Friday, July 13, 2018

ভিতরে বৃষ্টি পরছে

ভিতরে বৃষ্টি পরছে
,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমি তোমার জন্য বাঁচি
এই শব্দগুলো জংলী ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে শিরায়।
আর শুনতে চাওয়া মৃত্যুর প্রতিধ্বনি
যেন ছুটে যায় ভাদ্রের কুকুর, ছুটে যায় কবিতার বিছানা বালিশে।
ঘুম আসে না এই কথা ভাবতে
ক্রমশ চুলে পাক ধরা, চশমার কাঁচে আসন্ন সন্ধ্যা।
,
মনে পরে আমার জন্মের ৪০ বছর হয়ে গেলো
৪০,কিছু কারন সর্বদা বলা যায় না সবখানে।
কিছু লুকোনো ডাইরির পাতা
আর কিছু মুহুর্তের মাথার ভিতর অস্থির পদচারনা।
মাথার উপর দিয়ে চলে যায় এরোপ্লেন
বুঝতে পারি না কিছু কারন,শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চাওয়া।
তোমার থাকা আর না থাকাটা দুটোয় যন্ত্রনা আমার কাছে
শুধু বুকের পাটাতনে লেগে গেছে জন্মদাগ।
,
আমি তোমার জন্য মরতে চাই
হুশ, হুশ করে ঘুঘুদের তাড়িয়ে দিতে হয় আঙিনা থেকে।
আর তারপর চেনা পথ, অচেনা ডি,এন,এ
কষ্টরা কবিতা হয়ে ক্যামফ্লেজ করে কবিতার প্যামফ্লেটে।
অন্ধকারে ফুটে ওঠা রক্তের দাগ
কখন যেন কান পেতে শোনা ভিতরে বৃষ্টি পরছে।

আকাশ, বৃষ্টি

আকাশ, বৃষ্টি
,,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ছাতা তুমি হারিয়ে ফেলো প্রায়সময়
আমি জানি বৃষ্টিতে নিজেকে নোনতা করার লোভ।
আসলে আকাশের আদলে নীল রঙ তখন অন্ধকার
তুমি খুঁড়তে চাও নীল আকাশ।
বিনিদ্র রজনীর ঘড়ির শব্দদের সাক্ষী করে দেওয়াল আঁকো
আর ভাঙতে থাকো সাজানো দেওয়াল।
,
এখানে বৃষ্টি বারোমাস
অসমাপ্ত কবিতার ভাষারা চিৎকার করে আকাশ চাইছে।
হিপক্রিসি ভরা পরে থাকা পুরোনো ছাতা
এ শহরে  ছাতা সারানোর লোকের অভাব।
অভাব নিজের কাছে আয় বৃষ্টি ঝেঁপে নির্ভিক বাতাবরনের
অভাব আগাম আবাহসংবাদ লিপিকরনের।
বৃষ্টি আসে ভেজা মাটি বীজ বুনতে থাকে সবুজ স্বপ্নের
অথচ শহরজুড়ে স্কাইস্ক্যাপার দাঁত বের করে হাসে।
,
ছাতা সাথে না থাকাটা তোমার ভুলে থাকা
আর তোমার বৃষ্টি ভেজাটা একটা খামখেয়ালি আকাশ।
তুমি আকাশ খুঁড়ে বৃষ্টির কথা বলো
আমি ছুঁয়ে ফেলি আকাশের গহীন কান্নার স্পর্শ।
আজ রাতে তোমার শহরে বৃষ্টি হচ্ছে খুব
আর আমার ভাঙা জানলা চুঁয়ে বৃষ্টির ঝাপটা  নিস্তব্ধে।

লুকোনো বাইপাস

লুকোনো বাইপাশ
,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
জীবন কি আরেকটু চোখ পেতে পারে
দৃষ্টিসংগত বিনিময়ে লুকোনো বাইপাস।
ছুটে যাওয়া গাড়িগুলো এক্স, ওয়াই, জেড ধারালো রশ্মি
লুকোনো এক কামড়ার চাদরে খুচরো জীবন।
এই কবিতা তোমার আমার নয়
সংগত বাঁচাটুকু দৃষ্টি মধুর আয়নায়।
,
মনে পরছে কৌশিক দা
নন্দন জীবনানন্দ সভাঘর,কবিতা,এক রাশ হাততালি।
ক্রমশ বুকের পাঁজরে দুমরে, মুচরে চলন্তিকা
পুরুষের জমিতে বেঁচে ওঠা অন্য উত্থান।
হাততালি ক্রমশ ঘোর
আসলে বেঁচে থাকাটা বোধহয় হাততালি নির্ভর।
আর আমি সম্পর্ক লিখতে শিখেছি
চুলের পাক ধরা নিরর্জনতায়।
জীবন যেন ছেঁড়া স্যান্ডেল ধুয়ে মুছে তুলে রাখা
সাজানো আলমারিতে।
,
জীবন কি আরেকটু চোখ ছুঁতে পারে
ক্লান্তি ছোঁয়া তোমার চুমুতে আমি লিপস্টিক।
অর্ধেক আত্মহত্যা থেকে প্রতিদিন জেগে উঠি সকালে
অনেক কাজ বাকি পরে আছে।
আমার চারপাশে শুধু সমুদ্রের সেলাই করা ঢেউ
কিন্তু আমাকে ভেজাবে একলা তুমি।

নতুন ভোর

নতুন ভোর
,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,    ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
কবি শুয়ে আছে সলিল সমাধিতে
তার বুকের উপর হেঁটে চলে প্রেম তুমুল যত্নে।
কবির কোন জন্ম নেই,নেই মৃত্যু
আছে আশা বাঁচার,
শহরের প্রত্যাশা বাড়তে থাকা জঞ্জালে।
,
যখন জীবনের ধ্বংসস্তুপে বসে থাকে কবি
সে সামনে দেখে সেই বাঁশিওয়ালাকে যার সুরে জীবন বাঁচা।
কবির মৃত্যুর ভয় নেই
শুধু বেঁচে থাকা কবিতার পাতায় রক্তের আঁচড়ে।
আজ থেকে বহু শতাব্দী পরে, যেদিন মানুষ শব্দটা সামাজিক
সেদিন কবি শুন্যতায় মুড়ে তুলে রাখবে কলম।
অন্যথায় কবির কবিতায় হেঁটে যাবে সময়ের আয়না
আর বাঁচার রসদ।
কবির বুকের প্রেম শুষে নেবে শহরের ধুলোমাখা পথ
তবু কবি লিখবে চলন্তিকা জাগো সকাল হলো বলে।
,
কবির মৃত্যু মিছিলে চিরকাল হেঁটে যাবে
সময়ের বন্য শ্বাপদ, সময়ের দালালেরা।
তবু কবি বাঁচবে আগামী লিখবে বলে
স্বপ্ন দেখবে আর ভালোবাসবে বলে সময়কে
কবির কলমে প্রত্যয় নতুন ভোরের।

তোমার কথাটা জোড়ালো

তোমার কথাটা জোড়ালো
,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
উপদ্রিত সময়ের উপপাদ্য থেকে শেখা
আমার কথাটি ফোড়ালো, তোমার কথাটি জোড়ালো।
নিয়ম মাফিক সমাজের পকেটে রাখা
ছেঁড়া কিছু স্মৃতি আর অহংকার।
আদরনীয় জজসাহেব টেবিল চাপড়ে বলছে
কেস ডিসমিস।
,
তোমার বৃষ্টি ভেজা ছবির পাতায়
লুকিয়ে ছিল কিছু নোনা জল, কিছু প্রশ্রয়।
এই শহরের দুটো ডানা আছে
শুধু মিশে থাকা বৃষ্টি ভেজা নিয়মিত মেঘের আড়ালে।
আসলে আততায়ী আর নিহতের মাঝখানে একটা শুন্যতা বোধ
যেন কিছু অবুঝ লক্ষন আদ্রতায়।
মাথার ভিতর ডিবডিব করছে অজানা প্রশ্নের ভীড়
আমি ব্রাত্য নিয়মিয় খেয়ালখুশীতে।
আমার শহর ছাড়া ভাবনাদের ভাঁজ করে আটকে দেবো ঘড়ির কাঁটায়
তারপর শুধু টিকটিক আর টিকটিক।
,
জীবনের লুকোনো উপপাদ্য
আমার কম্পাস হারানোর স্বভাব নিরবিধি মৃত্যুর অধিকারে।
আসলে প্রেম আমরা হাতড়ে যাবো ছেঁড়া শহরে
অথচ জীবনের পাল্টানো পাতায় সম্পর্কের আরাধনা।
আদরনীয় জজসাহেব তখনও টেবিল থাপড়াচ্ছে
কিন্তু ফাঁসির বদলে দিয়ে যাচ্ছে বাঁচার অধিকার।

Sunday, July 1, 2018

এই শহর

এই শহর
,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমি কি মরে যাচ্ছি?
এ শহরের প্রতিটা বিজ্ঞাপনে আমি দাঁড়িয়ে দাঁত বের করে হাসছি।
সে হাসিতে কোন শোক নেই,নেই আনন্দ
শুধু মাথার মেরুদন্ড বেয়ে শিরশির করে নেমে যাচ্ছে সময়।
এ শহরের ধুলোবালি,নিশ্বাসের কালি সব আমার চেনা হলেও
এ শহরে মৃত্যু আমার চিরকালীন।
,
বিরক্তিভরা দিনগুলো এ শহরে নিয়মিত
নিয়মিত রাতজাগা দুঃস্বপ্ন,ভৌতিক ঘড়ির শব্দ ডানা ঝাপটানো।
ঘড়ির পেন্ডুলাম যেন নিয়মিত ছন্দে আরোপিত
লিখে চলেছে আমার মৃত্যু পথ।
আমি সারারাত ধরে দরজায় দরজায় বিছানা খুঁজতে থাকি
স্বপ্ন দেখি আমার বাড়ানো হাত তোমার দিকে।
অথচ ঘুম ভেঙে শহরের ফুটপাত ঘেঁষা লাগোয়া বিজ্ঞাপনে
আমি হাসতে থাকি,যেন নিথর মৃত।
সারাদিন আয়নার দেওয়ালে আমি খুঁজতে থাকি নিজেকে
কিন্তু আয়নার সামনে হেসে, কেঁদে কিছুই পাই না।
,
তবে আমি কি মরে যাচ্ছি?
এ শহরের প্রতিটা শব্দ আমাকে মনে করায় আমি মৃত।
যেন কোন মৃত শহরের দারোয়ান আমি
মিথ্যা হাসি, কান্নার এই জীবনে আমার আর মন ভরে না।
শুধু মাঝে মাঝে মনে হয়
আমি যদি সত্যি মরি তবে এই শহর লিখবো কি করে।

বালির শহর

বালির শহর
,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
অদ্ভুত যন্ত্রনার অনুভুতি,পরিচয়হীন,অধিকারহীন
নিয়মছাড়া যেন কোন অন্য আমি।
পৃথিবীর দিকচক্রবালে যত দূর দেখা যায় তাকিয়ে দেখি
খুঁজি নিজেকে,আবিষ্কার করি নিজেকে আবার হারাই।
কি হচ্ছে আমার সাথে
বোঝার চেষ্টা করি,কিন্তু হারিয়ে ফেলি বারংবার।
,
আমার এই কবিতা অনুভুতিহীন,উত্তাপহীন
এক বরফ শরীর।
সহস্র প্রাচীন মৃত শরীরে মিশরীয় শোক
প্যাপিরাসে ফুটে ওঠা সামাজিক নিয়মগুলো আমার কাছে ব্রাত্য।
বালির শহর, শুধুই তৃষ্ণা
তবু নেমেসিস অপেক্ষায় আমার মৃত্যুর দ্বারে।
শান্ত আমি শহরের ভীড়ে মিশে থাকি
ধোঁয়া ধোঁয়া অন্ধকারে একলা দাঁড়ানো প্রাচীন ফারাও।
,
অদ্ভুত যন্ত্রনা অনুভুতিহীন কোন পাথুরে শহরে
ভাঙা চোরা জীবন ঝাঁকিয়ে চলে যায় রাতগাড়ি।
পৃথিবীর ক্যালেন্ডারে একলা দাঁড়িয়ে আমি দিনগুনি
ভালো থাকা।
নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করি বাঁচাটা খুব জরুরী
কিন্তু মরতে থাকি মিশরীয় সভ্যতার খোঁজে।

আর তুমি

আর তুমি
,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ,,
তুমি আসো জীবনে সুগন্ধ সুরভিত
আর তারপর শুধু পড়ে থাকে প্রাচীন হাড়গোড় আর ফসিল।
আসলে জীবনের সুগন্ধগুলো বাতাসে উবতে থাকে
কিছুই চিরস্থায়ী নয় এই জীবনে।
শুধু পড়ে পাওয়া চৌদ্দআনা,ষোলআনার খোঁজে
জীবন বদলাতে থাকে।
,
তুমি আসো যেন কোন আদিম বৃষ্টির আকাঙ্ক্ষা
আর তারপর শুকনো ফাটতে থাকা মাটির তৃষ্ণা।
আসলে আমরা নিজের বলে শুধু আঁকড়াতে থাকি
এমন অনুভব যেন একে অপরের জন্য বাঁচা।
আর তারপর অনুভুতিহীন নিরুত্তাপ অন্ধকার  ঘিরে চারপাশে
পালাতে থাকি নিজেদের থেকে দূরে,খুব দূরে।
ভেসে যায় পুরনো কথাদের রক্তের স্রোত,চারপাশে বন্দী জীবন
আমরা ভাসতে থাকি,ভুলতে থাকি কিংবা ভোলার ভান করি।
কিন্তু কি জান চলন্তিকা
আমাদের কোন দেশ নেই,পালাবো কোথাই।
,
তুমি আসো যেন কোন আলোর প্রদীপ
আর তারপর একলা মন্ডপে অন্ধকার মোড়া পরিচয়।
আসলে জীবনের আলোগুলো অনুভবে একা থাকে
কিন্তু মানুষের জীবনে একলা থাকাটা নিয়ম।
শুধু পড়ে পাওয়া চৌদ্দআনা,জীবনের শোক
আর ষোলআনা মানুষের বাঁচার রোগ।

অভিশাপগ্রস্ত

অভিশাপগ্রস্ত
,,,,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
মাঝে মাঝে তোমাকে পাওয়াটা জরুরী হয়ে যায়
অদ্ভুত এক নেশা কাজ করে।
রংচটা চায়ের গুমটির পাশে আমার বিকেলগুলো যখন নিরুত্তাপ
ঠিক তখন তোমায় মনে পড়ে।
দেখতে পাই সেই ছোট ছেলেটাকে যার আশ্রয়ের ভীষন প্রয়োজন
সময়ের জলপ্রপাতে আমার ভিজতে থাকা কোন না বলা।
,
হাত ফসকে বেড়িয়ে যাওয়া মুহুর্তরা
স্যাকারিন হৃদয় খুঁজতে থাকে শিরা উপশিরায় অজস্র উষ্ণতা।
আমার মুখ একটা শহরের পোস্টার যা শুধু মানুষের হৃদয় চেনে
কিন্তু আমার চারপাশে মানুষের মাঝে কজন চেনে আমায়।
শেষ কিছুদিন মনে হচ্ছে আমি ভীষন একলা
আমার চারতলার বারান্দার রেলিং জড়ানো গাছটা।
ভুল বুঝছে সময় বারংবার
হয়তোবা কিছু ভুল তোমার কাছে আমার।
তবু এই কাঁটাতার, অনুভুতিহীন লোকাচার সব সাক্ষী থাক
আমি শুধু কবিতা লিখে যাবো,কিছুই যায় আসে না আমার।
,
মাঝে মাঝে তোমাকে পাওয়াটা জরুরী হয়ে যায়
অদ্ভুত এই মরফিনের নেশা আমার শিরায়।
সকালের আলো আর অন্ধকারে জীবন সব অনুভুতিহীন কবিতায়
আমি লিখতে থাকি তোমায়।
অভিশাপগ্রস্ত দেবতার মত মুহুর্তরা ভীষন ক্লান্ত
তোমায় খুঁজছি আমি, কিন্তু পাবো কোথায়।

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...