Wednesday, December 30, 2020

বছর শেষের কাব্য

বছর শেষের  কাব্য 
... ঋষি 
.
আরেকটা বছর খুলে পড়ছে নাতিশীতোষ্ণ দেশে
কেমন আছে চলন্তিকা? 
কেমন আছি আমি। তুমি। তোমরা। 
হারানোর শোক, গাছের দুঃখ, নদীর শুকনো চর 
আমার শহর, সময়ের বাড়িঘর 
কেমন আছে? 
.
নকল হতে হতে বরফ খসে পড়ছে বছর শেষের কাব্যে 
সময় হাসছে, বেশিরভাগ কাঁদছে? 
পড়সীর বাসরে কাক, ফ্ল্যাট বাড়ির বারান্দায় মানি প্ল্যান্ট
মোহল্লায় নতুন খবর, ওয়েবসিরিজে নতুন খবর 
ও পাড়ার চাপা হাসতে হাসতে বিসর্জনের শেষ দরজায় দাঁড়িয়ে
দরজা খুলছে পেটের ভাতের। 
.
আরেকটা বছর খুলে পড়ছে নাতিশীতোষ্ণ দেশে
কেমন আছে চলন্তিকা? 
কেমন আছে সাধারণ,  কেমন আছে আমার গ্রামের রহিম চাচা
খবর পেয়েছি বেঁচে আছে। 
কেমন আছে বিপ্লব এই দেশে, কেমন আছে ট্রাক্টরের চাকাগুলো
কেমন আছে অসিত আমেরিকায়, 
কেমন আছে করোনায় পুত্র হারানো চাপা ডাঙার রত্না
খবরে পড়েছি করোনা এখন প্রায় শেষ বেলায়  ধিকিধিকি করে পুড়ছে শ্মশানে
অথচ কালো প্লাস্টিকে ধাপার মাঠে বডিগুলো আজও বেওয়ারিশ ছাই। 
.
জানতে ইচ্ছে করে প্লাস্টিক স্মাইলে সাজানো শহর 
কালকে হাসবে কিনা? 
কালকে রাত বারোটায় ফাঁকা বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো মেয়েটা 
ভয় পাবে কিনা? 
ভয় পাবে কিনা পেন্সনরত সেই বৃদ্ধ 
মায়ের পেটে বেড়ে চলা আগামীর সন্তান
কিংবা বারাসাতের সেই বাংলার মাষ্টার মশাই
যার লাল ঝান্ডায় আজও কাস্তে, হাতুড়ি, তারা। 
.
না ভয় পাচ্ছি না, সত্যি 
বেশ কাটছে সময় ,আমি খেতে পাই  কি না পাই,
বেশ কাটছে সময় লকডাউনে চাকরী হারানো মানুষগুলোর 
বেশ আছি আমরা সময়ের স্বপ্নে
আর আমার কবিতারা বেশ আছে বুকের আগুনে। 
তবুও একটা নতুন বছর চোখের পাতায় 
তবুও নাতিশীতোষ্ণর দেশে এই বছর শেষের কাব্য 
ভালো থেকো চলন্তিকা 
ভালো থেকো তোমরা।






বিকর্ষন




বিকর্ষন 
... ঋষি 
ক্রমাগত কাছে আরও কাছে
আরও কাছে শব্দটার শেষ খুঁজতে তল পাই না,
অথচ অদ্ভুত সম্পর্ক শব্দটা এত  জোড়ে বিকর্ষন করে রোজ 
যে মাঝের কাঁচটা ভেঙে পড়ে। 
সমস্ত বদলের অভ্যাসগুলো বেবস জিন্দেগীর কাঁচে দাগ টানে 
মাঝের কাঁচের ওপাশের মানুষগুলো তখন  অচেনা ভীষণ । 
সরল হিসেব 
আরও সরল নিজের মুখের উপর পরে সময়ের আলো,
সামনে ছড়ানো তোমার শীতের ওম 
ফ্ল্যাসব্যাকে ফুটে ওঠা কাছে যাওয়া কোন চকোলেট সন্ধ্যায়
গোপন কথপোকথন, ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকা 
অনবদ্য বন্ধ ঘড়ি 
আর 
কাঁচের এপাশে গলা ধাক্কা খাওয়া একটা দিন
 হুমড়ি খেয়ে পড়ে অন্যদিনে।
.
রাত ফুরিয়ে লিখে ফেলা 
মেমরি লেনের ধারে দাঁড় করানো অসনখ্য বাতিস্তম্ভ
শীত জমছে শরীরে 
জুলফির পাশে কিছু পাকা চুল প্রমান করে
আশা ফুরোয় নি। 
ক্রমাগত আরও কাছে ছুঁয়ে যায় অফিস ফেরত ইচ্ছেগুলো
জমতে থাকে কাঁচের অপাশে একলা পিচ রাস্তায় কিছু স্বপ্ন,
ছুটে আসা হেডলাইটের আলো 
ফেলে রেখে যায় আমাকে। 
জানি চলন্তিকা তুমি পড়ে ফেলবে আমাকে একলা শহরে
হয়তো আগলেও রাখবে বুকেত কাঁচে
কিন্তু কাঁচের ওপাশে মুখগুলো আজও বড় কাঁদায় আমায় 
একলা করে অন্য দিনে। 

Tuesday, December 29, 2020

পাগলামি




পাগলামি 
.. ঋষি 

অনন্ত মৃত্যুর চোখে চোখ
জাতিস্মর দাঁড়িয়ে ফ্যেলফ্যেলে ভাবনায় একলা দুপুর, 
খোঁজ ফুরোয় না
পাতাঝরা একলা শীতে আমি লেপ্টে  থাকি তোমার লেপের ওমে, 
শহর জেগে ওঠে যানবাহনের শব্দ নিয়ে রোজ 
আমার বারান্দায় শীতের রোদ। 
.
পিঠ পুড়ে যায় 
বুকের ভিতর কিছু একটা আটকে থাকে তোমাকে পাওয়ার পর
একলা গল্প, 
কবিতায় শুয়ে থাকে আমার শহর 
মৃত্যুবুকে নিরিবিলি নক্ষত্র খোঁজ 
তখনি ঠিক সন্ধ্যে নামে আমার শহরে। 
.
প্রতিবার তোমার সাথে কথপোকথন 
এক একটা ছবি ক্লিক 
আমার সারা বুকের ক্ষতের উপর তোমার আদরের নখ, 
রক্ত ঝরে তুমি জানো চলন্তিকা।
ছিনেজোঁক, উন্মাদের ঠোঁট
ছুঁয়ে যায় তোমার গোপন গনিত, 
হিসেব মিলে যায় বারংবার একলা বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে
তুমুল আমি 
পাগলামি। 


আদিম যুগ




আদিম যুগ 
... ঋষি 

পৃথিবীতে আমার প্রতিটি  নিঃশ্বাসের মধ্যে পাথর আছে
পাথরের মধ্যে শুয়ে আছে আদিম যুগ
ম্যামথ। 
আমি অবাক চোখে দেখি আমার প্রেমিকার দিকে
আমি ও প্রেমিক 
অথচ আমার প্রেমের কিসসাতে কোনো ক্লান্তি নেই। 
.
আমি তুষার যুগ ভাঙছি
ভাঙছি পরশুরামের কুঠারে ধার্মিক সভ্যতার পুরনো মন্দির, 
পুরনো মন্দিরের গায়ে টেরাকোটা সংগম 
নারী বহুগামী 
আর ঈশ্বর একলা পুরুষ দাঁড়িয়ে একা
সন্ন্যাসী ও সংসারে। 
.
পৃথিবীতে আমার বেঁচে থাকার মধ্যে আশ্চর্য  খোঁজ 
আমি আদিম যুগ 
ম্যামোথের দাঁতে বানিয়েছি সময়ের সংসার 
ভালোবাসা বিবাগী হলে মানুষ যে আদিম এই সভ্যতায়। 
ভালোবাসা পৃথিবীর এক মাত্র কারণ
যা কবিকে নেশাগ্রস্থ 
আর প্রেমিকাকে অন্ধকার করে। 
আর সেই অন্ধকারে শুয়ে আমার পাখির ঠোঁটের সংসার 
পাথরের নেশাগ্রস্থ ঠোঁট 
আবিষ্কার, 
কিছু চিনি নি আমি ম্যমথের কল্পনায় 
একজন কবিকে জন্মাবার কারণ শুধু আদিম ভালোবাসা নয়
তার রক্তে লুকোনো আদিম যুগ। 

Monday, December 28, 2020

শেরপা




শেরপা
... ঋষি 
এলোমেলো ভাবনা, তার আবার গড়ন 
সন্ধ্যে ফেরত মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে শ্মশানের সামনে, 
এলোমেলো পাহাড়ি  সন্ধ্যে
এলোমেলো চুল লেগে আছে সন্ধ্যের গায়ে। 
পাহাড়ি রৌদ্র খুলছে জেনে
সারা উপত্যকায় আজ রুপকা রানী আর চোরোকা রাজা। 
.
বিভিন্নতা
জ্যান্ত মানুষ ঘিরে ছড়ানোছেটানো মৃতদেহ 
কে কি চায়? 
কে কতটা পায়? 
সময়ের অনবদ্য সন্ধ্যায় উপছে পরা পাহাড়ী বউ আজ 
বাসর জাগছে। 
.
রুপ খুলছে
তোমার রঙ চুরি করে সাজিয়ে দিচ্ছি খালি ক্যানভাসের গায়ে, 
আমার সন্তান বড় একা
বুদ হয়ে আছি আগামীর নেশায় শুয়ে থাকা বিরুপতায়।
সন্ধ্যে ফেরত মেয়েটা দাঁড়িয়ে শ্মশানের সামনে 
পৃথিবীতে পরকীয়া বাঁশি বাজে পাহাড়ের গায়ে
অথচ আমি পাহাড়ি শেরপা
পাহাড়ি  খাদে আমার জন্ম মৃত্যু সব। 
এক কোটি ত্রিশ খুলে রেখেছে জান্তব প্রেম 
হা ঈশ্বর 
আমি স্বাধীন  হতে চাই 
মেঘ বাস্পে ভেসে যেতে চাই পাহাড়ি সভ্যতায় 
মেয়েটা দেখুক শ্মশান আর পাহাড়ি নীরবতায় কতটা হাহাকার। 

নষ্ট শৈশব



নষ্ট শৈশব 
... ঋষি 
.
বেড়ে ওঠাটা স্বাভাবিক 
অস্বাভাবিক বুকের বৃক্ষগুলো হঠাৎ যদি নবজন্ম চায়, 
ফিরে আসার কবিতা লিখতে গিয়ে
নাবিকের মাস্তুলে বারংবার খুঁজে পাওয়া বাতিঘর 
আলোর আবেশ 
আমি যে ছোট হতে চায়। 
.
বৃদ্ধের আসন ছেড়ে সবুজ মাঠের খোঁজ 
শীতের রৌদ্রে সারা শরীরে সরিষার গন্ধ ছটফট করে
বুকের ভিতর মা প্রশ্ন করে
কেমন আছিস খোকা? 
ফোকলা দাঁতে হাসি, দেখ আমি বাড়ছি মা। 
.
অদ্ভুত সংযোগ 
শব্দগুলো মিলে যাচ্ছে তোমার আমার, 
হঠাৎ গভীর সংগমে কয়েক ফোঁটা জন্ম তোমার নাভিতে
জন্ম খুঁজছে 
অথচ পৃথিবী সত্যি কি শৈশব দিতে পারে মানুষকে? 
তাইতো আমি যে আর বড় হতে চাই না আর 
আমি আর যুবকের প্রেমের চোখে নারী লিখতে চায় না
হতে চায় না ছাদনাতলায় নিয়মের টোপরের মালিক, 
মা আমি পৃথিবী দেখতে চাই 
মা আমি পৃথিবীর হতে চাই। 
শেকলের ভীড়ে বেঁধে রাখা শৈশব আকাশ খোঁজে
নিয়নের ঘোরটোপে একলা শৈশব মাথা খোঁটে 
তারপর গল্পটা আমাদের জানা 
আদর্শ আসলে সামাজিক চোখে একটা চলা
কিন্তু আদর্শ শব্দটার সর্বদা ভালোবাসাহীন একটা সমাজ 
নষ্ট শৈশব । 

ইনসোমনিয়া



ইনসোমনিয়া
... ঋষি 

এখন অন্ধকার দিশাহারা
তোমার একবোতল এলাচের সবকটা বিষন্ন রাত্রি, 
কয়েক শতাব্দী জুড়ে আমি ভাঙছি পাথর 
দিশাহারা শব্দরা পাগলের মতো আছড়ে পড়ছে তোমার বুকে
ইনসোমনিয়া 
নিস্তব্ধতা ভালো লাগে ভিষণ। 
.
আমি শব্দপ্রেমিক
শব্দদের আদর করে কাছে ডাকি, বুক পেতে দি 
আসন পাতি বুকেত ভিতর, 
তোমার গোলাপী আভা ছড়িয়ে পড়ে
কবিতারা লাজুক হয়, শব্দরা চুমু খায় আমায় 
আমি চোখ বন্ধ করি 
ঘুম আসে না। 
.
ঘুম আসে না
ঘুম আসে না কিছুতেই 
শব্দের প্রকৃত শরীরে সবুজ আভা, শিশুর হাসি
অবসন্ন শরীরে এগিয়ে চলি হাজারো জন্ম কবিতার বুকে
আরো হাজারো জন্ম আমি তোমাকে জড়ায় পাগলের মতো। 
ইনসোমনিয়া 
কোমর ভাঙা গভীরে দূরত্বের সেই কন্ঠস্বর
আমি মেঘ সরাই
আমি আকাশ সরাই
বৃষ্টিস্নাত একটা দিন, শীতের দুপুর, অন্ধকার রাত
কিছু বদলায় না
ঘুম আসে না চোখে।

কবির আর্তনাদ



কবির আর্তনাদ
.. ঋষি 
.
ভাবনার দরজা
শব্দ চুরি করছে কেউ, আমার সময় চুরি করছে, 
নিশ্চুপ অন্ধকার চুরি হয়ে যাচ্ছে। 
অবশেষ ফসিলের উপর পরম যত্নে কেউ লিখে চলেছে 
রাতের কলম, থামছে না
লেখা আসছে, প্রেম যেন অস্তিত্বের জেরক্স কপি। 
.
অন্ধকার ফুরোলে কবি যে জীবাশ্ম 
কিছুতেই বোঝে না চলন্তিকা। 
পাথর চাপা ঘাস, সময়ের দীর্ঘশ্বাস, 
কৃষকের চোখ, সবুজ গন্ধ, অসহায় মানুষের চিৎকার
শ্রমিকের দ্রোহ, ঈশ্বরের  হাতে বোমা
বিস্ফোরণ 
সবকিছু সবুজ হলে কবি যে যন্ত্রনা লিখতে পারবে না। 
.
উৎসবের আর্তনাদ, দরজায় দাঁড়িয়ে ভাবনা
একান্ত কথোপোকথন 
তুমি ভীষন কথা বলো চলন্তিকা রাত ফুরোয় না তাই, 
অন্ধকার অন্তরর্বাস ছিঁড়ে সত্যি বেড়িয়ে আসে 
সত্যি ভালোবাসে 
শব্দরা ঘুমোতে চায়, কবিতারাও 
তারপর বিস্ফোরণ , ছড়িয়ে পড়ে মানুষে লাশ
রাস্তার শিশু,শ্রমিকের অধিকার 
সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাও, মানুষের অধিকার 
মানুষের অধিকার। 
সারা সময়ের দেওয়ালে লাল কালির  পোস্টার 
বেঁচে আসুক মানুষ, 
আবার কবিতা জন্মায় 
কবির আঙুল বেয়ে কান্না ঝড়ে পরে সাদা পাতায় 
জন্মাক কবিতা।
কবির কন্ঠ নীল হয়ে যায়, রক্তবিষ সারা শরীরে
কবিতা বাঁচুক 
অন্ধকার কারাগারে কবি শব্দশ্রমিক, বিদ্রোহী  সময়ের।

রাত কাহন



রাত কাহন 
... ঋষি 

ঘুমের ভিতর আমরা এসে দাঁড়ায় মুখোমুখি 
রাত গড়ালেই এগিয়ে যায় আমি তোমার পায়ের পাতায় চুমু খেয়ে নদীতে, 
স্রোত বাড়তে থাকে গভীরে
আমরা হাঁটতে থাকি সময়ের সাঁকো ধরে
হারিয়ে যায় বারংবার তবু ফিরে আসি 
মুখোমুখি দাঁড়ায় পুরনো সাঁকোটায়। 
.
ঘুমের আগে, ঘুমের পরে প্রচ্ছন্ন ছায়া
অন্য হাওয়া 
জাগতে থাকা পেঁচার চোখ, রাত পাহাড়ায় একে অপরের চোখ 
শান্ত নদী, ক্লান্ত ঝড় 
বিশ্বাস  করো ইচ্ছে হয় তোমার মুখোমুখি  থাকি সর্বদা
মুখোমুখি হাঁটতে থাকি। 
.
ঘুমের মধ্যে আমি তোমার মুখোমুখি দাঁড়াই
বাইরের জোৎস্ন্যায় একটা পালতোলা নৌকা দে উড়ান 
গভীর জলে। 
অক্লান্ত রাত, ছায়ার ভিতর তোমার ঠোঁট 
অন্ধকার জড়িয়ে যায় চোখের পাতায় 
নিস্তব্ধ ছায়া কাহন। 
পাখির বুক, পুরনো ডাকঘরের ঠিকানায় কিছুটা অপ্রাপ্তি
একটা পুরনো চিঠি
হলদেটে পাতা।
মুখোমুখি তুমি আমি দাঁড়ায়, 
রাতের পাহারাদার সময় বলে দেয়
কিছুই ফুড়িয়ে যায় নি 
বাঁচা যে বাকি। 



Sunday, December 27, 2020

ঘুনপোকা ২০২১

ঘুনপোকা ২০২১
... ঋষি 
.
একটু একটু করে কামড়াচ্ছে ঘুনপোকা 
বুকের ভিতর, 
মাননীয় বিচারক আমি দাঁড়িয়ে আছি ২০২০ শেষ  লগ্নে 
আমার মাথায় লাগানো সত্যের রাইফেল 
তবু আমি অন্ধ 
বুকের ভিতর আসন্ন ২০২১ শব্দহীন অন্ধ। 
.
শুনতে পাচ্ছি বুকের ভিতর ঘুনপোকা ২০২১
আমি নেমে আসছি নিজের ভিতরে 
মাননীয় বিচারপতি প্রেমিকার ব্লাউজ খুলে মাথা গলে না আইনে 
আইন আমিও জানি ঈশ্বর  ও শয়তানের, 
তবে জানা নেই সময় ঈশ্বর  না শয়তান 
এও জানি না অন্ধকারে সত্যি কাকে খোঁজে মানুষ?. 
.
কষ্ট হচ্ছে
নতুন বছর কিছু কি বদলালো? 
বদলালো ফুটপাথের ফরিদার বেলুন বিক্রির গল্প 
কিংবা পাচার হয়ে যাও মারলিনের সেই শরীরের গল্পগুলো। 
বুঝতে পারছি বুকের ভিতর ঘুনপোকা ২০২১
মাননীয় বিচারপতি 
আমাকে ডোরাকাটা সাম্রাজ্যবাদের কথা জিজ্ঞাসা করুন 
জিজ্ঞাসা করুন মানবাধিকার, রক্তের সাথে হাড়ের লেগে যাওয়া মাংস
কিংবা আর্সাদের শার্টে লেগে থাকা দেশভাগ 
প্রশ্ন করুন 
ধর্ষিত সময় ধর্ষনের সময় কি বলে চিৎকার করে? 
সেখানে সেই  দুজনেই থাকে কিনা
সেই দুজন ঈশ্বর ও শয়তান কিনা? 
.
মাথার ভিতর ঘুনপোকা ২০২০ এগিয়ে ২০২১ এ
আমি জেল খালাস কয়েদি, বাড়ি ফিরছি
শুনতে পাচ্ছি ভায়োলিন বাজছে ছিন্নমুল সময়ের বুকে 
মানুষের বুকে আজও মাগী তোর রেট কত? 
বিধবার দরজায় টোকা, মানুষের আঙুলের ডগায় ধর্ষিত যোনি।
হা ঈশ্বর 
মাননীয় বিচারপতি আমার কথা শোনে নি,
রাষ্ট্রের অসুখী মানুষের বুকে ঘুমিয়ে আছে বাঁচা
মিথ্যে প্রলেপে আবারও আমরা উপস্থিত কিংবা অনুপস্থিত
আসন্ন ২০২১।
আমি শুনতে পাচ্ছি চিৎকার করছে চলন্তিকা 
বুকের ভিতর ঘুনপোকা ২০২১
আবারও নতুন বছর 
রাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ আমরা ভালো থাকতে চাই 
 মাৎসন্যায় ছাড়া। 

Friday, December 25, 2020

মিছিল



মিছিল 
... ঋষি 
একা হতে হতে ভ্যানিস হয়ে যায় মানুষ
সময় কাটে, কেটে চলে যায় ছুরির বুকে মিছিল, 
শেষ হচ্ছে বছর 
বোধহয় এমন করে শেষ হয় সফর। 
সকলে ঈশ্বর  হয় না
কেউ ঈশ্বরের ভেকে অপেক্ষা ছেড়ে যায়, 
সকলে সত্যি হয় না
কেউ পরিশ্রান্ত জীবনের রুমাল হয়ে থাকে। 
মানুষ ভাবে শান্তি, খোঁজেও 
নদীর বুকে জেগে থাকা ব এর  মতো ঘুম চিরকালীন 
নির্বাসিত মিছিল এ সময়, অসময়। 
একার গল্প লিখছি আবার 
ফিনিক্স বলে পাখিটা আগুনখেকো 
আগুন 
ভালোবাসে। 
ফিরে যাচ্ছি ঘুমের দেশে 
আমার এই মৃত্যুতে শোক ছিল না কোনও দিন, 
সান্তা আবার হাসছে 
সময় বদলাচ্ছে দ্রুত মানুষের ভাবনায়। 

মেরি ক্রিসমাস


মেরি ক্রিসমাস 
... ঋষি 
.
 

ছুটে বেড়াচ্ছি বরফের উপর
ঘর বানাচ্ছি নর্থ পোলে বরফের ঘর, 
আমার হিসাবে বরফে শুয়ে থাকা বাজারের মাছগুলো
আমার হিসাবে আমদানীর সেই বরফে সাজানো হাসিগুলো,
মহাকালে নাচছে
রেইন ডিয়ার মানে কি বরফের হরিণ ? 
.
উচ্চ থেকে উচ্চতর, আরো গভীরে
বরফের চোখ চলন্তিকা, 
বরফের একমুখ দাঁড়ি, খুব শীত করছে চলন্তিকা
আবারও তুই পাচ্ছে, 
না বলবো না আমার শৈশব সান্তার লাল থলিতে 
কিংবা সান্তার লাল গ্লাভসে  নিয়মকানুন লেগে। 
.
বরফ তোকে ছুঁয়ে দিয়েছে
আবারও ছোঁবে
আমি বরফের চোখে দেখবো, চড়বো রেইনডিয়ার স্লেজে একটা দিন
শুধু এক দিন
হিসেব করে বারো মিনিট। 
আমার চশমার কাঁচ সাদা হয়ে যাবে
আমার লাল কোটের পকেটে জমা থাকবে মুহুর্তের চিঠিরা 
তুই চুপ থাকবি চলন্তিকা,
আমার ছেলে হাত বাড়িয়ে দেবে সান্তার দিকে 
আঁকার খাতায় এঁকে ফেলবে রেইনডিয়ার। 
আমি ছুটবো চিরকাল শৈশবের খোঁজে তোর গভীরে চলন্তিকা
তুই বুঝবি, হাসবি আমার ছেলের পাশে অন্ধকার রাতে
আকাশ দিয়ে একটা হাত এগিয়ে আসবে 
তোদের সকলের হৃদপিন্ড ছুঁয়ে বলবে 
মেরি ক্রিসমাস, 
মেরি মেরি ক্রিসমাস ভাল থাকবি সকলে।



Wednesday, December 23, 2020

অপদার্থ

 অপদার্থ 

.... ঋষি 


ন্যাকা কান্না আর ভালো লাগছে না 

বুকের বাক্সে চব্বিশ রং এখন আর সাতরঙা নেই ,

লাল রং তোমার কেমন লাগে চলন্তিকা ?

না গোলাপ না 

না ভালোবাসার সেই চারশতলায় শোয়া স্বপ্ন না 

শুধু রক্তের লাল রং কেমন লাগে। 

.

সত্যি বলেছি সেদিন 

ভালোবেসে আমি পৃথিবী বদলাতে পারবো না 

কিন্তু একবিন্দু জল গড়াতে গড়াতে ভ্যানিসের পর্যায় 

পাগল হতে পারবো 

কিংবা মরে যেতে। 

.

আজ অবধি আমার চারহাজার কবিতার দাঁড়িয়ে কেউ বলে নি 

আমিও বেঁচে আছি ,

না না ন্যাকা কান্না আর ,আর ভালো লাগছে না। 

দেওয়ালে ভেঙে 

দেওয়ালের স্বপ্ন আমার পৃথিবীতে গাছের মতো, 

আচ্ছা আমরা  যদি গাছ হয়ে যেতাম 

আমরা যদি আকাশ হয়ে যেতাম 

কিংবা মাটি,

সম্ভাবনায় লেগে আশি কিংবা একশো শতাংশ

অথচ ধার করা বারো মিনিট। 

জানো তো পৃথিবীতে  একমাত্র টিকে থাকে তারা 

যারা মাটিতে তাজমহল বানাতে পারে 

কিংবা গাছের টবে আটকে রাখতে পারে গোলাপকে, 

আমি চালচুলোহীন এক অপদার্থ 

আমার বুকের তাজমহল গুঁড়িয়ে যায় বারংবার 

আর গোলাপের কাঁটারা সাক্ষী থাকে আমার ধ্বংসের দিনের। 


GRETEST FUN IN THE WORLD


 

পাগলামির রং মুছে দাঁড়িয়ে আছি 

হাতের গোপনে ধরা নিজের হৃদপিন্ড থেকে বিন্দু বিন্দু রক্ত ,

GRETEST FUN IN THE WORLD । 

নিয়মিত তিলে তিলে ক্ষয়ে চলা বিষয়বস্তু 

সর্বদা রং লাগা ঠোঁট 

নাকের উপর লাল রঙের বল। 

.

ঈশ্বর বদলাচ্ছে না 

পরাজিত ঈশ্বর রং আর ভোল বদলে আজ জোকারের ভূমিকায় ,

আমি টেনে নিয়ে চলেছি নিজের মৃতদেহ 

একি  পরিহাস ,

ঈশ্বর পারে নিজের লাশ বইতে 

আমি যে মানুষ হতে চেয়েছিলাম। 

.

পাগলামির রং মুছে গোধূলিতে দাঁড়িয়ে ছেলেটা 

মাথায় কোঁকড়ানো চুল ,বুকের ভিতর চলন্তিকা জলতরঙ্গ,

নির্বাক স্থির মুখগুলো সম্পর্কের মতো মাছের কাঁটা, 

আমি বিড়াল হতে পারবো না 

আমি মানুষ হতে পারবো না 

আমি স্বাভাবিক হতে পারছি না 

পারছি না জেরুজালেম কুড়িয়ে লিখে দিতে পবিত্র ঈশ্বর। 

শুধু পারি হতে ঈশ্বররূপী জোকার নিজের ভূমিকায় 

পারি হতে সমান্তরাল সময়ে পরে থাকা সার্কাসে তাঁবুর পরিত্যক্ত চিন্হ। 

মাটি ভেজে না এখন 

শুধু আগুন বুকে ভাবনারা কবিতার রক্তক্ষরণে জোকার 

না হাসছে 

না কাঁদছে 

ভুমিকাটা  একই কম্পাসের দিকচিহ্নে 

ঈশ্বররূপী জোকার। 

Tuesday, December 22, 2020

আমার শহর



 আমার শহর 

... ঋষি 


জানো তো কলকাতায় শীত বাড়ছে 

জুবুথুবু বৌ টুপি পড়া আমার শহরে আবার একটা জন্ম ,

জন্মেছি আমি 

বুকের অলিন্দে লেগে আছে অসহ্য বাঁচা। 

নির্ভীক কিছু কল্পনা 

আমার কলকাতায় আজও সময় বিলি হয় করে আগের মতো । 

.

নাট্যমঞ্চ ,রঙ্গ মঞ্চ ,মহিমের ঘোড়া 

নিত্য ,অনিত্যের বাজারি দরে সবকিছু কেমন যেন ঝকমকে 

আমার ভীষণ চোখে লাগে চলন্তিকা ,

সত্যি লিখতে সাহস লাগে 

মিথ্যে বলতে সাহস লাগে 

অথচ আমার শহরে চকচকে মোড়কে মিথ্যে বিক্রি হয়। 

.

জানো তো আজ বাদে কাল

কাল বাদে পরশু অনেকগুলো গল্প অজানা মানুষের ,

অসম অতীত 

অনির্দিষ্ট ভবিষ্যৎ 

মানুষের হেঁটে চলাগুলো যতটা সাবলীল 

ঠিক ততটাই একগুঁয়ে এই পৃথিবীর পথে বেঁচে ফেরায়। 

শীত পড়ছে আমার শহরে 

শীত করছে আমার 

শীত করছে কলেজস্ট্রীট ,গড়ের মাঠ ,ভিক্তোরিয়া 

শুধু বদলানো সম্বল 

কিছু স্থির নয় 

মানুষের অস্থিরতা এই শহরের দৈনন্দিন বেঁচে থাকা। 


হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা



 হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা

... ঋষি 


মাটির গভীরে চিৎকার থেকে কেমন শীতলতা 

অতীত থেকে বাজতে থাকা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা 

চিৎকার ঘুমহীন ,চিৎকার জলহীন 

চিৎকার ধর্মহীন ,চিৎকার ঈশ্বরহীন।

পবিত্র আত্মার কাছে মিলিত হয়ে যায় অনন্ত জলের তলায় জীবন 

ঈশ্বর বোধহীন হিটলার আমার শহরের পথে ঘাটে । 

.

শুভেচ্ছা ঈশ্বর 

তুমি তো সহজপাঠ পড়ো নি 

সহজপথে তোমার বাসি পুরনো সংলাপ আজ সময়ে  বেমানান ,

বেমানান ফকিরের কালো পোশাক   

বেমানা তোমার ধর্মের চোখ ,বর্মের চোখ 

শুধু শব্দে পেট ভরে না 

আজকের সময়ে তুমি বড় অপাঙতেয়। 

.

বিশ্বাস কখনো বদলায় নি মানুষের 

ধর্মের জোরে ,বর্মের জোরে সময়ের ঈশ্বর হরণ করে চলেছে স্বাধীনতা ,

ঠিক ধরেছেন মশাই

 আমি সময় থেকে বলছি 

বুকে পেরেক লাগানো জেরুজালেমে আজ রক্তক্ষরণ 

কবিতার পাতায় দু এক ফোঁটা রক্ত কখন যেন শ্মশান করে দেয় এই শহর,

এই শহরে লুকোনো মন্বন্তর ,৭০ এর দশক ,দেশ বিভাজন 

হৃৎপিন্ড ছিঁড়ে যায় ,

আমি ঈশ্বরের দিকে তাকাই 

তাকাই মানুষের দিকে 

দেখি মানুষের চোখে অবলা পশুর চোখ 

আমি ঈশ্বরের দিকে তাকাই 

তাকাই নিজের দিকে 

দেখি গভীরে  হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা সুর বুনছে। 

Monday, December 21, 2020

ইতিহাস

 


ইতিহাস 

... ঋষি 

চলন্তি ইতিহাসের উপর দাঁড়িয়ে ইতিহাস ব্রাত্য 

সময়ের বোমায় লেগে শুধু গণতান্ত্রিক বারুদ আর জনগণ।  

আঘাত ছিঁড়তে পারছি না চলন্তিকা 

মেঘে বৃষ্টিতে আজ শূন্য আজ ভাতের আটত্রিশটা হাঁড়ি। 

চন্দ্রবিন্দু ধরে পথ চলি 

বিন্দুগুলো অসম পদ্ধতিতে জুড়লে জীবন তৈরী হয় 

আবার হয় না শান্তি। 

নির্বাক মানুষের মতো খালি পকেট আর ফুটপাথ 

তাই বলে হাতের কাজের সীমানায় দাঁড়ায় অবাঞ্চিত সন্তানরা। 

কি প্রাপ্য আর কতটা 

মাকে প্রশ্ন করলে ক্ষীণ স্বর শুনি সামাজিক রীতি 

আমি ব্রাত্য তাই। 

মেইল ফলকে দাঁড়িয়ে কবিদের ছুঁতে চাই 

অথচ কবিদের হাতে আজকাল কামের বেহালা 

রক্ত কি কবি 

আর যন্ত্রনা ?

নিয়ন্ত্রিত জীবন তবুও তাকাতে ভুলি না তোমার দিকে 

জীবিত অথবা মৃত ইতিহাস চিৎকাল ফারাওতে বাঁচে।                   

দিন বদল

 দিন বদল 

.. ঋষি 


স্বপ্ন আঁকছি          

চারকোলের কালিতে একটা জীবন স্তবিরতায় 

ভারতবর্ষ আঁকতে পারলাম কই ,

ভারতবর্ষের সারা শরীর জুড়ে শুক্রাণু 

মিনি ওয়াকে হেঁটে চলেছে সকাল থেকে সন্ধ্যে 

আমরা প্রগতির দিকে। 

.

আপনি মশাই ,আপনাকে বলছি

গ্রন্থ কীটের মতো ন্যাশনাল লাইব্রেরী না চটকে রাস্তায় দাঁড়ান,

না কোনো প্রতিবাদ না 

একবার তাকিয়ে থাকুন পথের ধুলোয় খুঁজে পাবেন না সত্তরের রক্ত 

দয়া আর দোয়ায় এখন শুধু কলিঙ্গ 

চোখে তাই লেগে আছে সময়ের কালি। 

.

হাসবেন না দয়া করে 

দয়া শব্দটা সভ্যতার ডিকশনারিতে প্রাগৈতিহাসিক পাথর সব ,

পাথর বাঁধছে বুকে 

শুক্লপক্ষ থেকে শুক্রাণু 

না না। নারী কোমলতার কথা বলি নি ,

বলেছি রাস্তায় দাঁড়ানো প্রগতি পাড়ার প্রগতি ময়দানে ফুটবল খেলে 

আর আমি নেশার চোখে দেখে বদলানো অন্ধকার।       

মধ্য রাত

 


মধ্য রাত 

... ঋষি 


কাকপক্ষ্মী টের পেলো না 

টের পেলো না নাভির ভিতর বাজতে থাকা রিংটোন 

                                   বদলে গেলো সব

এই শহরের কথাগুলো আজকের মতো যথেষ্ট নয় । 

.

ম্যাডোনা শুয়ে ছিল 

বুক বদলে বালিশে তোমার মধ্য দিগন্তের চাঁদ 

চোখের অন্ধকার কাজলে সমাজ শুয়ে সিঁদুরে ,

বদলানো আকাশ তুমি অহেতুক রাতজাগা। 

সমাজ আর সাময়িকী 

                        রাগ না বিশ্বাস করো 

পবিত্রতা বদলাচ্ছে। 

.

কাকপক্ষ্মী টের পেলো না 

কবিতার পাতা ভিজে গেলো হঠাৎ বাসস্ট্যান্ডের বৃষ্টিতে 

                      তুমি নিশ্চুপ ঝর্ণা 

আমি ভিজি মধ্যরাতে। 


Saturday, December 19, 2020

জিনেকে লিয়ে

 


জিনেকে লিয়ে 

... ঋষি 

.


যারা পারে তারা এমন করে পারে 

বালির উপর হাতের তালু দেখতে ,

সহজে লিখতে নিমিত্তের জীবনে নির্মমপরিবর্তন ,

লম্বা চাদর দিয়ে ঢাকা উন্মাদ ছেলেটার কাছে এক বস্তা শব্দ ছিল 

তা দিয়ে শহরের প্রতিটা নাটকে এক ছত্র কবিতা লিখে দিত সে 

তারপর খালি পেটে  ঘুমিয়ে পড়তো একলা ড্রেনের ধারে। 

.

কেউ জানতো না 

ওই এক বস্তা শব্দরা আসলে ছেলেটার জীবন ছিল 

সে শব্দ দিয়ে ভালোবাসতো প্রতিটা উপস্থিতি 

শহরের গাড়িঘোড়া ,বড় বড় মাল্টিপ্লেক্স ,ম্যানিকুইনের হাসি ,

সেও হাসতো পাগলের মতো ক্লোরোফিলের হাসি 

তারপর ক্লোরোফর্ম শব্দের নেশায় হারিয়ে ফেলতো নিজেকে। 

.

যারা পারে তারা এমন পারে 

নিজের হাতের তালুতে হঠাৎ সময় সরিয়ে আকাশ বাড়ি আঁকতে 

সহজে লিখতে যন্ত্রনা বোবা আকাশে পাখিদের সাথে ,

গাছের সাথে সখ্যতায় এঁকে ফেলতে পারে মানুষের শাসন 

মানুষের চিৎকারগুলো অনবদ্য ছন্দে এগিয়ে দিতে পারে প্রতিবাদে মিছিলে। 

লম্বা চাদর ঢাকা উন্মাদ ছেলেটার ছেঁড়া পকেটে এক টুকরো পাথরে আছে 

শান্তির পাথর ,

সে সময় সময় সেই পাথরটা হাতের মুঠোয় ধরে 

তারপর চিৎকার করে 

বাড়তে থাকা মধ্যবিত্তের হাঁড়িতে 

মানুষের গরম ভাতের স্বপ্নে 

নারীর আতঙ্কের দিনরাতে ,

সেই ছেলেটা হঠাৎ মাঝরাতে দাঁড়িয়ে পরে অন্ধকার শহরের রাজপথে 

একটা ট্রাক ছুটে এসে পিষে  চলে যায় ,

ছেলেটা রাস্তায় রক্তাক্ত তখন 

শেষ নিঃশ্বাসে আগে হাসে একবার তার প্রিয় পাথরটা আঁকড়ে ,

ট্রাকের  বিহারি খালাসি  একবার সময়ের পানের পিক ছুঁড়ে বলে

সমঝে ড্রাইভারজি এ সব লোগ খুব জিতে হ্যা 

না হ্যাম লোগোকে জিনে দেতে হে। 

 


রেডিও স্যিগনাল

 রেডিও স্যিগনাল

.... ঋষি 


রেডিও স্যিগনাল পৌঁছচ্ছে না কিছুতেই 

শব্দ ,আমি ,সংসার সমস্ত জ্যাম লেগে আছে সার দেওয়া চলন্তিকায় ,

কি ভাবছো 

খোলা আকাশ আর সংসারের ফাঁকে আছে বারুদ ,

তবু তোমার বুকের দাগে আমি পুঁতে দিয়েছি খুঁটি

ফিরে আসাটা একটা নিয়ম 

আর নিয়মের বাইরে সবটা অশ্লীল। 

.

অরাজকতায় আমার সভ্যতায় একটা বাড়ি আছে 

আছে হিসেবের শেষে তোমার কাছে রাখা একটা ঠিকানা 

যার শুরু আর শেষ 

সবটাই ট্রেন বাতিলের মতো কিছুক্ষন স্থগিত হতে পারে 

তবে ফিরে তোমায় আসতেই হবে 

আজকে 

কালকে কিংবা আগামীতে। 

.

কোথায় ফিরছো তুমি ?

দূরত্ব তো বাড়ে নি কখনো তোমার আমার ,

বরং তোমার গভীরে শুয়ে থাকা জলজ আলপথে আমি জাগি রোজ রাতে 

ডিঙি বাই মাঝ দরিয়ায় 

তোমার বুকে যত্নে লিখি অদৃশ্য আমার নাম, 

অথচ ফিরে তোমাকে যেতে হয় প্রতিবারে নিজের নামের কাছে। 

বেনামি আমি 

বেদরকারী ভীষণ 

জানি রেডিও স্যিগনাল পৌঁছবে না কোনোদিনও আমার কাছে 

শোনা যাবে বিশেষ কোনো সংবাদে আর দূরদর্শনের সুর 

শুধু বদলানো পৃথিবীতে 

আমি থেকে যাবো অশ্লীল শব্দের তোড়ে 

আর তোমাকে ফিরে যেতে হবে একলা সামাজিকতায়। 

 

ইয়েস আই এম এলাইভ

 ইয়েস আই এম এলাইভ

..... ঋষি 

.

উজ্জ্বল দা আমি তুমি সীমান্তে দাঁড়িয়ে 

সীমান্তের সূর্য আমাদের দুজনেরই বোধহয় অস্ত গেছে আজ বহুযুগ ,

তোমার আমার বার্দ্ধক্যজনিত ব্যাথা 

কিছু কথা ,

অকাল শ্রাবনের মতো ফিরে আসে প্রতি ঋতুতে 

প্রতি উত্থানে আমরা বোধহয় দেখতে চাই স্বপ্ন 

নিজেদের ফিরে আসা। 

.

উজ্জ্বল দা তুমি বলো আমি কবি না 

কিন্তু ভাবি কেউ কি সাধে কবি হয় 

যন্ত্রনা দাদা , এই বুক পুড়ে যায় শশ্মানের পুরোনো সন্ধ্যায়, 

আমার বুকে চিৎকার করে অসুস্থ ভারতবর্ষ 

আমার বুকে চিৎকার করে নজোয়ান ভারতের একশো ত্রিশ কোটি 

আমি শুনতে পাই কদম কদম বাড়ায়ে যা 

কিন্তু বাস্তব পৃথিবীতে কিছুতেই মেলে না অংক। 

.

উজ্জ্বলদা আমি শুনতে পাই 

নিরুদ্দেশ সম্বন্ধে ঘোষণা 

হারিয়ে গেছে আমাদের ঘরবাড়ি ,বাসনকোসন ,সময় আর সন্ধ্যা 

শুধু আছে 

শরীরে হাড়ে বাড়তে থাকা জেদ 

ইয়েস আই এম এলাইভ। 

এই শহরে প্রতি সন্ধ্যায় যখন জ্বলে ওঠে সাজানো আলো 

আমি দেখি মৃত শহরে দাঁড়ানো কিছু অশরীরী 

যারা আমাকে প্রবল ঘৃনায় বলছে

ছিঃ ছিঃ তুই এখনো বেঁচে ,এই পৃথিবীতে কিছুই তোর না 

না জীবন 

না নারী 

আমি হাসি তাদের প্রতি তারপর দুয়ো দিয়ে বলি 

ভাবনাদের পরিধি বাড়াও 

দেখো আমার গভীরে শুয়ে আছে চলন্তিকা আর আলোর ভারতবর্ষ

আমি জানি তুমি বুঝেছো এ কথা আমার গভীরে।   

  

মানুষের মিছিল

 মানুষের মিছিল 

,,, ঋষি 


বুঝলে রীতিশা তুমি ঠিকই বোলো 

আমরা গত জন্মের ভাই বোন ছিলাম ,

আসলে আমাদের অন্ধকারগুলো মৃত্যু উপত্যকায় লেলিহান আগুন 

আমি তুমি সেই আগুনে পিপীলিকা ,

স্বভাবগত আমাদের মৃত্যুগুলো আদৌ  নির্ভরশীল নয় 

বরং আমরাই নির্ভরশীল চিরকাল। 

.

কিছু কথা সমুদ্রের মতো পুরনো 

কিছু সমুদ্রের মতো শান্তি ,

সব হারিয়ে বোবা ফুটপাথে দাঁড়ানো মানুষগুলোর চিৎকার তুমি শুনতে পাও 

শুনতে পাও বুকের গভীরে নির্ঘুম রাতে কিছু অছিলা ,

তবুও বাঁচার স্বভাব 

অতৃপ্ত জীবন বারংবার ফিরে ফিরে আসে। 

.

বুঝলে রীতিশা  এই সামাজিকতায় আমি মানুষ খুঁজেছি বুকের রক্তে 

অথচ পেয়েছি চিরকাল সারি দেওয়া অজস্র মুখোশ ,

মিছিলের সাথে মুখোশে দাঁড়িয়ে আমি শুনেছি মানুষের চিৎকার 

মানুষের ব্যাভিচার 

মানুষের মিথ্যে 

মানুষের আতঙ্ক 

তবুও জানো আমি মানুষ খুঁজে পাই নি,

কোনো পুরুষ বুকের গভীর সঙ্গমে আমি ঈশ্বর খুঁজে পাই নি 

পাই নি নারী বুকে বেঁচে থাকার সুখ। 

শুধু বাঁচার মিছিল 

শুধু ভিড়ের মিছিল 

রীতিশা আমি চলন্তিকাকে বলেছি একবার প্লিজ একবার 

যদি মানুষ হতে পারি 

ফিরে আসবো অন্ধকার গুটিয়ে তোর বুকে 

সেদিন প্লিজ ফেরাস না আমায়। 


কল মি জিন্দেগী

 কল মি জিন্দেগী 

... ঋষি 


সিকি ভাগ জীবন 

চলন্তিকা বলে শান্ত হ ,তুই বাচ্চাদের মতো উত্তাল ,

চলন্তিকাকে বলি নি ভারত জননী কোনো বিখ্যাত বইয়ের নাম হলে 

আমি সেই বইয়ের শেষ পাতায় সমাপ্তির মতো কিছু। 

ক্ল্যাসিক্যাল ওয়েব ফ্যাক্টরি বলে যদি কিছু থাকে 

যেখানে অজস্র শিক্ষা 

আর আমার জীবন সেখানে  ঈশপের থিওরির মতো। 

.

বিশ্বাস করতে পারছি না 

উঁচুনিচু ভঙ্গিমায় তোর শরীরটা চলন্তিকা আমার চলার পথ হয়ে গেছে 

আর তোর আত্মাটা আমার ধুকপুকে একটা আর্তি 

বাঁচতে চাই। 

ক্রিটিকাল মাইন্ড আর কল মি জিন্দগী 

দুটোই সমগোত্রীয় 

কলম কখন যে কবিতা ছাড়িয়ে সিগারেটের ছাই হয়ে উড়তে থাকে এই শহরে 

সেটা আমার কাছে আজ আর অজানা নয়। 

.

সিকি ভাগ জীবন 

বরাদ্দের বারো মিনিট ,ছলোছলো চোখ ,না বলা কথা 

কেটে যায় 

কেটে যায় বুকের ভিতর রাংতা মোড়া  জীবন।

আমি জানি হায়দ্রাবাদের সালমা আমাকে ভালোবাসে 

ভালোবাসে কলকাতার সার্পেন্টাইন লেনে থাকা মেয়েটা 

ভালোবাসে ফিরোজা বলে সে মুসলিম মহিলা 

কিন্তু আমি যে কোথাও নেই চলন্তিকা 

কিছু আমি যে বেশিক্ষন কোথাও থাকতে পারি না 

আমার আকাশের দরকার হয় 

দরকার হয় শব্দদের 

তাই আমি তোমার সন্ধ্যের তুলসী মঞ্চে প্রদীপের বুকে পুড়ি 

তাই আমি এই শহরের বেজন্মা বস্তিতে শৈশবের মতো জ্বলি  

তাই আমি একলা একটা জীবন 

যে চলন্তিকায় বেড়ে চলি। 


ঈশ্বর আর কবিতা

 ঈশ্বর আর কবিতা 

... ঋষি 


ফিরতি গল্পটা লিখতে চাইছে আমার বন্ধু অমিত 

তোমার হাসিতে একটি জীবন খুঁজে পাই আমি ,

জন্মান্তরে রক্ষিত কিছু স্মৃতিচিন্হ 

দাগ টানে নি তোমার বুকে ,

ছড়ানো সবুজের ফাঁকে তোমার বুকের কালিগুলো আকাশ হয়ে বাঁচুক 

বাঁচুক স্বপ্নরা তোমার হৃদয়ের গভীরে গাংচিল হয়ে। 

.

বলো তো অমিত 

আমি কি সত্যি ভালোবাসতে জানি ? ভালোবাসতে পারি এই শহরকে ?

আমি কি সত্যি একটা গল্প লিখতে পারি ,

জানো তো আমার সারা রাত ঘুম নেই 

ঘুম নেই আমার শহরের 

রোমিওজুলিয়েট ভেবে সত্যি আমি শহর লিখতে পারি না। 

.

আচ্ছা বলতো সত্যি যদি তোমায় লিখতে দি গল্পটা 

তুমি কি কোনো চলতি পথসভায় হাজার মানুষের ভিড়ে সাহস করবে 

তোমার কণ্ঠের আগুনে 

আগুন পুড়িয়ে সত্যি বলতে পারবে 

ভালোবাসা সামাজিক। 

জানো তো অমিত আমি কানের কাছে চিৎকার শুনতে পারছি 

শুনতে পারছি একটা শতাব্দী আজ শুধু মিথ্যে সাজানো 

সাজানো শহর 

সাজানো বাস্তব 

আমি কোথাও নেই ,কেউ কোথাও নেই 

শুধু তোমার গায়ের নদীর সেই সেঁতুটা একটা যোগাযোগের মাধ্যম 

ঈশ্বর আর কবিতার 

আর সেখানে পরে আছে আমার পচা গলা শরীরটা 

প্লিজ নাকে রুমাল দিও না 

আমি এখনো মরি নি অমিত। 

তোমার মুখে আবৃত্তি শুনতে চাই

 শ্রদ্ধেয় রাহুলদাকে উৎসর্গ করে 

তোমার মুখে আবৃত্তি শুনতে চাই 

... ঋষি 

.

কবিতায়  নিভে যাওয়া আগুন 

থকথক করছে বুকের ভিতর পুড়ে যাওয়া অজস্র বাঁচা ,

পরিধির বাইরে জীবনটা একটানে খুলে ফেলছে সময়ের ঘোমটা 

চুপ থাকছি আমি 

আমার বুকের গভীরে জনগণ জাগছে 

আবারও জাগছে সময় অনবদ্য একটা শান্তির খোঁজে। 

.

তোমার সাথে দেখা হয়ে গেলো রাহুলদা 

আমার বুকের ভিতর তোমার কণ্ঠস্বর যেন সময়ের হ্যামারের আঘাতে জন্ম ,

সত্যি জন্ম খুঁজছে সময়। 

উদাত্ত কণ্ঠে বিপ্লবীর চাওয়া, বদলানো সময় 

এটা ১৯৭০ না রাহুলদা 

এখন সবটাই শুধু কলঙ্ক মেখে তোমার চোখের গভীরে শুয়ে

কেমন যেন একটা বিরক্তি । 

.

আমি হেরে ফিরতে পারি না 

সে জালিয়ানওয়ালাবাগের রক্তের মাটিতে আমি ভিজতে পারি 

ভিজতে পারি ০.২ পয়েন্ট রিভলবারের সামনে দাঁড়িয়ে দেশদ্রোহীর তকমায়

কিংবা খুব ভোর রাতে আমার আত্মা হেঁটে চলে মধুবংশীর গলিতে 

অথচ আমি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র লিখতে পারি না। 

আমার বুকের ভিতর মিশর ঘুমিয়ে 

ঘুমিয়ে অজস্র ষড়যন্ত্র ,গুপ্তহত্যা 

আর অবিকল মৃত আমার মতো দেখতে একটা শরীর। 

রাহুলদা আমি চলন্তিকাকে বলেছি 

তোর নীলনদ ,তোর উত্তপ্ত বালি ,তোর চোখের নেমেসিস্ 

আমার মৃত্যুর কারণ। 

আমার মৃত্যুর পর একটা আবৃত্তি করো রাহুলদা 

সেখানে তোমার গলায় আমি বিস্ময় শুনতে চাই 

শুনতে চাই তুমি বলছো 

রক্ত ,রক্ত ,রক্ত ,চারিদিকে এতো রক্ত ,

কৃষকের 

শ্রমিকের 

সাধারণের 

আর আমার বুকে এক বুক বারুদ 

সময়ের বিস্ফোরণ। 


Thursday, December 17, 2020

বিবর্ণতা

 বিবর্ণতা 

... ঋষি 


নিজেকে খুলতে পারছি না 

মুক্ত শৈশবের নষ্ট পাতায় জটাধারী সেই ভৈরব 

কালের  হিসেবে ,

কাল লিখতে সময়ের কালিতে আজকাল বিবর্ণ কিছু শুকনো পাতা 

নকল ময়েশ্চার শীতের ক্রিম 

আর  নিউজ ক্রিয়েটেড স্কেণ্ডেল ছাড়া কিছু মনে পড়ছে  না। 

.

অদ্ভুত মুক্তি 

অদ্ভুত যুক্তি 

সময়ের কালের ঘরে অজস্র সেলাই করা ধানের শস্যের খেত 

তবু খিদে মরছে না ,

বেড়ে চলেছে বেওয়ারিশ কিছু সূর্যোদয় মনের ভাজে। 

.

নিজেকে খুলতে পারছি না 

বলতে পারছি আমার একটা ডানা চায় খোলা আকাশের 

বলতে পারছি নির্বুদ্ধি নিজের স্পর্ধাকে ওঠো ,জাগো 

মিটিয়ে ফেলো সর্বশান্ত করা এই সময় ,

ভাতের হাঁড়ি থেকে উথলে উঠছে শোক 

তোমার বুকের পাঁজর থেকে তৈরী করছি পাশা 

ধুর ছাই 

সময়ের পাশা খেলায় সত্যি শুধু জীবন 

বাকি তো সব বিবর্ণতা। 

মিথ্যে

 


মিথ্যে 

... ঋষি 


ভাঙতে ভাঙতে একদিন ভেঙে ফেলবো সময়ের ঘরবাড়ি 

গিয়ে দাঁড়াবো একলা কোনো সমুদ্রের ধারে 

পায়ের নিচে বালি 

পায়ের আরও নিচে জল 

হয়তো আকাশের গায়ে মিশে যাওয়াগুলো 

মিথ্যে 

ভীষণ মিথ্যে তখন। 

.

চিৎকার ফুরোচ্ছে না এই শহরে 

শহরের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে যখন তখন ভেজা বালি পায়ের নিচে 

মিলেমিশে থাকা মাইলস্টোন ,সাজানো শহর 

অদ্ভুত না 

কেন যেন আমার মনে হয় 

মানুষের বেঁচে থাকাগুলো ভীষণ মিথ্যে 

মিথ্যে ভীষণ। 

.

বুকের ভিতর পাথরের ঘর 

দরজা ,জানলা ,ঢেউ। রান্নাঘর থেকে গৃহস্থালি 

টুকরো টুকরো নাটকের অজস্র চঞ্চল ঢেউ আমার পায়ের পাতা ঢেউ 

আর পায়ের নিচে বালি 

ভিজে বালি ,

তার নিচে জল 

কোলাহল এই শহরে থামে না। 

রাস্তার উপর এসে দাঁড়ায় আমার মতো কেউ 

খালি পা ,খালি গা ,নোংরা পচা ঘা সারা শরীরে 

দুর্গন্ধে ভেসে চোখের বালি ,

এটা কি মৃত্যুপুরী না শ্মশান 

মৃতদেহগুলো ঠিক সম্পর্কের মতো দেখতে,

আর আমার পায়ের নিচে বালি 

পায়ের আরও নিচে জল 

মিথ্যে 

ভীষণ মিথ্যে তখন। 

 

হিসেব

 হিসেব

... ঋষি 

এই শোন নিরিবিলি কি বাঁচতে পারবো না  ?

ক্রিচিয়ানা রোনাল্ডোর মতো বই ডিফল্ট জীবনটাকে ব্যাক পাশে 

গোল ,

কেন পারবো না ?

কেন পারবো না বলতে তোকে ভীষণ ভালোবাসি ,

কেন পারবো না এই শহরের রাজপথে তোর হাত ধরে হাঁটতে। 

.

ভয় করছে 

আমারও করছে সিগারেট পোড়ানো জমানো বুকে স্বপ্ন দেখতে,

কি দাঁড়াচ্ছে তবে 

মেরুদণ্ডের ওপারে থাকা তোর সিঁথির সিঁদুর 

তোর সাজানো সংসার 

আর 

এই পাশে আমি একা 

হিসেবে বদলাচ্ছে না। 

.

বদলানো কি যায় 

বুকের নেমপ্লেটে লেখা আছে সকাল সন্ধ্যা এই পৃথিবীর 

বদলানো কি যায় বাঁচার কয়েনের টস ,

তুই কি জানিস চলন্তিকা সবটাই আপেক্ষিক যেখানে 

সেখানে বিশ্বাস ,ভালোবাসা শব্দগুলো দমবন্ধ করা এক একটা মুখোশ 

আর মুখোশের আড়ালে এক নরখাদক দাঁড়িয়ে 

আমাদের হাড় চিবিয়ে খায়। 

যাক এই বেলা প্রশ্ন ,উত্তর থাকে 

তোকে বলার ছিল ভালোবাসি 

তোকে বলার ছিল এই পৃথিবীর হিসেবের বাইরেও ফুল ফোটে রোজ 

তার মাঝে কিছু ঝরে 

কিছু শুয়ে থাকে ঈশ্বরের পায়ে।  

আর কষ্ট হবে না

 আর কষ্ট হবে না 

... ঋষি 


ক্যাপসুলতা গিলে ফেলতে হবে 

তুমি খাও কি ,না খাও ,সুস্থ তো থাকতে হবে জীবন ,

সার্বিক পর্যায় শরীরের পাশে পরে আছে ওষুধের খালি পাতা ,শিশি ,সিরিঞ্জ 

বাঁচে চাওয়ার নিয়মাবলী 

নিজেকে খারাপ রেখে তোমাকে হাসতে হবে 

হাতে হাত রাখতে হবে বাজারী রাজনীতির মতো। 

.

কি বদলাচ্ছে ,কে হাসছে ?

প্রশ্ন তুলে রাখা ঈশ্বরের বুকে ফুটে থাকা পেরেক 

মাথার উপর কাঁটার মুকুট ,

সবটাই সত্যি 

সবটাই দুঃখের 

তবে কি জানো চলন্তিকা এক বাঁচা যায় না যে। 

.

উড়ে পালানো পাখির মতো 

দূরে দাঁড়ানো তোমার মতো 

খোলা আকাশ 

মুক্তি লিখছি সাদা পাতায় জীবন ছুঁয়ে নামা হৃদয়ের রক্তে 

গভীর আকুতিতে লেখা কয়েক মুহূর্তের মৃত্যু। 

আবারও বাঁচতে চাই 

বারংবার 

আবারো আমি ফিরে আসতে চায় জীবন নামক অশ্লীলতার বিরুদ্ধে 

রুখে দাঁড়িয়ে 

জীবনের বুকে পুঁতে দিতে চায় বাঁচার পেরেক ,

আর রক্তক্ষরণে 

শুধু তুমি থেকো চলন্তিকা 

দেখবে আর কষ্ট হবে না তোমার আমার মৃত্যুতে। 

মুখাগ্নির মন্ত্র

  


মুখাগ্নির মন্ত্র

... ঋষি 

.

এক শতাব্দী নিজস্ব অন্ধকারে লুকিয়ে থেকেছি 

এক শতাব্দী লাট খেয়ে পরে থাকা মৃতদেহ কুড়িয়েছি 

কুড়িয়েছি ভনভন পচে যাওয়া মৃত দেহ আগলে নিজের স্বজন ,

দুর্ভাগ্যবশত আমার মৃত্যুও ঐশ্বরিক 

ভারতবর্ষের কোনো সীমানায় দাঁড়ানো সৈনিকের মতো 

অজস্র বুলেটের বারুদ আমার শরীরে। 

.

সব শোক মৃত হয়ে যায় 

সব মৃত স্মৃতি হয়ে যায় 

অথচ ভিতর থেকে গুমরে খায় নিজের শিরদাঁড়ায় ভয়ার্ত জীবন ,

অথচ চোখ রাঙায় জীবনের দরজায় 

মনের খিদে 

বেঁচে থাকা 

আর দুর্বলতা। 

.

সব পাখি আকাশ খুঁজতে চায় 

সব খাঁচা কখনো না কখনো না মুক্তি চায় 

মুক্তি চায় জীবনের ফেরিওয়ালা ভূমকা বদলে

কিংবা আমার শহরে একলা সেই গ্যাসবেলুন ওয়ালা 

বিলিয়ে দেয় জীবন খিদের বাহানায়।   

ফিরে আসা প্রেমিকের লোভ একলা দাঁড়ানো স্তম্ভের মতো 

একা থাকা প্রেমিকার কান্না কর্তব্যরত জীবন যাপন  

সময় ব্রাম্হণের বেশে মূর্তি পুজো করে 

পুজো জীবন 

নিয়ম 

সমাজ 

তবুও চিতার আগুনে শ্মশানের মন্ত্রে মৃতদেহের মুখাগ্নির মন্ত্র

ওঁ কৃত্বা তু দুষ্কৃতং কর্ম জানতা বাপ্যজানতা।

মৃত্যুকালবশং প্রাপ্য নরং পঞ্চত্বমাগতম্।।

ধর্মাধর্মসমাযুক্তং লোভমোসমাবৃতম্।

দহেয়ং সর্বগাত্রাণি দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু।।' 

.

সত্যি মুখ পোড়ে জীবনের। 


Wednesday, December 16, 2020

একটা অদ্ভুত গল্প

 



একটা অদ্ভুত গল্প 

... ঋষি 

.

সেখানে  অনেকগুলো টবে ফুলগাছ লাগানো ছিল 


ঋতুর ঝুলি খুলে তৃষ্ণার গ্রীষ্ম ,প্রেমের বসন্ত ,শীতের শুস্কতা 


সব ছিল ,


ছিল এক অদ্ভুত বদলানো রং নির্ভীক আদুলতা ,


তুমি জানো চলন্তিকা 


ওখানে আত্মা ছিল কিনা ?


ছিল কিনা সেই টবের গাছগুলো অন্যমনস্ক সবুজ ভালো থাকা। 


.


সেখানে  অনেকগুলো টবে ফুলগাছ রাখা ছিল 


রাখা ছিল চলন্ত পথ চলতি মানুষের একঝলকে ভালো লাগা ,


হয়তো সেই মানুষগুলো স্বপ্ন দেখতো 


টবের রঙিন ফুলগুলো চুরি করার ,


হয়তো সেই মানুষগুলো চাইতো ফুলের সুগন্ধে রাঙাতে 


অথচ তুমি জানো চলন্তিকা 


মানুষের ফুলের প্রতি লোভ চিরকাল    


ফুল ছিঁড়ে ফেলার ,ফুল চটকে জীবন থেকে ছুঁড়ে ফেলার। 


.


সত্যি বিশ্বাস করো সেখানে অনেকগুলো টবে ফুলগাছ লাগানো ছিল 


সেই টবগুলোতে ছিল কিছু বিষাক্ত ফুল 


সেখানে বসতো না প্রজাপতি ,সেখানে আসতো না কোনো রোদ 


শুধু হঠাৎ মেঘের দিনে 


সেই টবগুলো আর ফুলের গাছগুলো ভেসে যেতো বলতে না পারায়। 


সেই টবগুলোর সামনে একটা পথচলতি ভিখিরি রোজ জুলুজুলু চোখে দাঁড়াতো 


চলন্তিকা বিশ্বাস করো সেই পাগলা ভিখিরীটা জানতো 


ওই ফুলগুলো বিষাক্ত ,


তবুও তার সাধ হতো একবার প্রজাপতি হবার 


আর অবাক কান্ড সে পাগলটা প্রজাপতি হয়ে গেলো। 


সে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো ফুলগুলোকে 


তারপর আজ এতগুলো দিন  জানো চলন্তিকা


প্রজাপতি শুধু ঢেকে রেখেছে ফুলগুলোকে ,


পথ চলতি লোক আর সেখানে টবগুলো দেখতে পায় না 


দেখতে পায় একটা বিষাক্ত ঝলসানো প্রজাপতি মৃত্যুর সাথে ধুঁকছে 


আর টবের ফুলগুলো খসে পড়ছে। 


বিষণ্ণ ভালোবাসা

 বিষণ্ণ ভালোবাসা 

... ঋষি 

.

আমাদের ভালোবাসায় ধ্বংস একটা আছে 

আছে জীবন ভূমিকায় হঠাৎ ফুটে ওঠা 

পাঁচ তোলার ফ্ল্যাটের টবে ফুলের মতো বিষন্নতা ,

তোমার কণ্ঠে ছুঁয়ে থাকা দাঁতগুলো 

সাক্ষী থেকে যাবে 

আমাদের ধ্বংসের বিষণ্ণতায় শীতের রোদে ছোপ ফেলে যেমন 

আমাদের ভালোবাসার দাগ তেমনি  ফুটে ওঠে বিষন্নতায় । 

.

সব সত্যি সূর্য, স্নাত আমরা 

অন্তরে হয়তো পুড়ে গেছে নিজস্ব জীবিকায় বেঁচে থাকা খেরো খাতা ,

খুঁজে পাচ্ছি না শহর 

খুঁজে পাচ্ছি না এই শহরের নিঃশ্বাসে তোমার গন্ধ এইমুহূর্তে ,

তাও তো ধ্বংসের দত্তক সাক্ষী আমার শহর  

বিষণ্ণ ভালোবাসা। 

.

আমাদের ভালোবাসার ধ্বংস একটা আছে 

ধ্বংস লেখা হয়ে গেছে সেই মরা নদীর চড়ে সাক্ষী তোমার ছায়ায় 

আর পাওয়ায় 

সতীর বাহান্ন পীঠে লুকোনো যন্ত্রনা ,

তবুও

বাহান্ন পরিপাটি গোছানো আমাদের নিজেদের আলমারি। 

ধ্বংস আমাদের 

অসম্পূর্ণ কবিতার মতো মৃত আত্মায় 

ফুটে ওঠা অসম্পূর্ক খড়ি তোলা শীতের বিকেল 

বিষণ্ণ ভালোবাসায় ।   


Tuesday, December 15, 2020

জন্মান্তর



জন্মান্তর 
... ঋষি 

দৃষ্টির বাইরে সরে যাওয়া সময় থেকে
উঠে এসেছে আমার উত্তর, 
তোমরা একে পাগলামী বলো কিংবা অপ্রস্তুত পর্যায় 
আমার কিছু যায় আসে না, 
সম্ভাব্য সম্ভাবনায় জীবন আমাকে ডাকছে 
অকুতভয় গভীর জলেতে জীবন আমাকে ডাকছে। 
.
মজা পাচ্ছো চলন্তিকা 
দৃষ্টির বাইরে দাঁড়ানো দর্শন, ক্রমশ ছায়ার মতো তুমি 
অনুসরন করছো, 
আমার পথে, ঘাটে, আমার প্রতি রাতে
সম্ভাবনা বাড়ছে 
জেনেশুনে এগিয়ে যাওয়া জীবন অনন্ত পর্যায়। 
.
ব্রম্মপুত্র পথ, এঁকেবেঁকে এগিয়ে আসা  সর্ম্পক, অধিকার 
ক্রমশ চোখের বাইরে,
সবুজ উত্তরনে সবুজ কচুরিপানা, নিরিবিলি কল্পনায় 
হঠাৎ খুঁজে পাওয়া রহর্স্য অবিকল তুমি। 
আমি হাসছি ভীষন, হয়তো পাগোল ভীষণ 
আলতো করে তুলে নেওয়া তোমায় আমার বুকের খাঁচায় 
সময় সংগমে একটা জীবন 
ছবির মতো 
তুমি ডাকছো আমায় 
অথচ আমি এগিয়ে চলেছি আগামী মৃত্যুতে
হ্যাংগিং আলপথ ধরে একটা জন্মান্তরে । 

Sunday, December 13, 2020

হাওয়া বদল



 হাওয়া বদল 

... ঋষি 

.

দশ বিশ হাত দূরে একটা মৃতদেহ শুয়ে আছে 


প্রয়োজন জীবন ও কবিতা ,


সব পথ শেষ হয়ে গেলে সমস্ত সংকীর্ণতায় অজস্র চিৎকার 


শুয়ে থাকা সবুজ মাঠের ঘ্রান 


মাঠের শিশির 


শান্ত হও চলন্তিকা। 


.


আখরোটে লেগে থাকা বাউলের ঠোঁট 


নিভে যাওয়া গানেরা আজ সাত সমুদ্রের গভীর জলের মাঝি ,


লণ্ঠনের আলো 


কলংকরা ক্রমশ দূষিত করছে আমায় ,


প্রতিদিন তোমার  মৃত্যুর পর আরো জোরে দীর্ঘশ্বাস 


চলন্তিকা পথ চলা বাকি। 


.




দশ বিশ হাত দূরে আমার মৃতদেহ শুয়ে 


যার কাছে আজ সম্পর্ক জীবন আর জীবিতের মাঝে শুধু তফাৎ


পাশ বয়ে চলা আমার শহর 


আমার কবিতা 


নির্ভীক মানুষের আত্মায় লিখে চলা সময় ,


সময় বদলায় 


বদলায় মানুষ 


চারকোলের পৃথিবী থেকে গ্রাফাইট অবধি দিন বদল 


কাঁচা মাংস থেকে খুবলে খাওয়া মাংস সময়  বদল 


জীবন আরও দরিদ্র আজ 


গভীরে 


হাওয়া বদল। 

Saturday, December 12, 2020

নগ্ন ঈশ্বর

নগ্ন ঈশ্বর 
.. ঋষি 
তোমার বুকের উপর উঠে বসে আছি
বসে আছি তোমার জরায়ুর পাশে যুবুথুবু বৃদ্ধ পাথর, 
জ্যামিতির মাপে তোমার গভীরে আমি আঁকা
তোমার ধুকপুক নিরর্ভিক বাঁচা, আমার বেঁচে  থাকা, 
শুধু কবিতার জন্ম নয় 
আয়ত বালিশে মাথা রেখে শুয়ে আছে আমার নগ্ন ঈশ্বরী। 
.
তোমার বুক যেন শব্দের আঙিনা
তোমার পোষা ফ্রীজএ জমে আছি আমি আজ কয়েক জন্ম, 
আরও কয়েকজন্ম শুধু দাঁড়িয়ে আমি গাছ হয়ে, 
সেদিন আমি মানুষ হবো 
যেদিন তোমার দুই স্তনের মাঝে আমার রাস্তা 
একটা পোষা টিয়া খাঁচা খুলে উড়ে যাবে খোলা আকাশে । 
.
তোমার সভ্যতায় আমার নাম লেখা নেই জানি 
জানি আমি কোন চোর নই 
জানি আমি কোন ঈশ্বর  নই
জানি আমি খবরে হুজুগে পাতা নই
কিংবা টেলিভিশনে টি আর পি বাড়ানো মেগা সিরিয়াল। 
আমি খুব সাধারন আমার শহরে বাঁচতে চাওয়া এক মানুষ 
আমি একজন  নগ্ন কবি যে শুধু কবিতায় বাঁচতে চায় 
একজন প্রেমিক যার কাছে ভালোবাসা নগ্ন  ঈশ্বর 
একজন পিতা যার কাছে সন্তান সময় 
আমি একজন মালী যে তোমার বুকে ফুলগাছ লাগায় সময়ের। 

Friday, December 11, 2020

আগুন জ্বালো

আগুন জ্বালো
.. ঋষি 

আগুন জ্বালো, আগুন জ্বালো
দেওয়ালে হেলান দিয়ে ভাবো যা হাত দিয়ে বেড়িয়ে গেলো
পাখি ফুরূৎ, 
ভাবো আগামী, ভাবো ব্যাধি 
এই বয়সে কি আর বিয়ের গায়ে হলুদ মানায় 
নাকি সিস্যানাল ভারতবর্ষের চাদড়ে দুঃখ আঁকতে। 
.
চলন্তিকা তুমি বিরক্ত হচ্ছো 
তোমার বিভাজনে লুকোনো তিলটা আমার ভারতবর্ষ,
তোমার মুখের হাসি বলে দিচ্ছে
সুর্যের আগুনে নিজেকে পোড়ানো যায় না,
শুধু সেঁকা যায় জীবন 
অথচ সত্যি বলে সত্যি কিছু হয় না। 
.
কি মশাই ভারতবর্ষ হলো? 
কৃষি বিপ্লব, চাঁদের হাট, খালি পেট, খালি আগুন আগুন, 
মানুষের পকেটে বিরহ 
মানুষের চটিতে ক্ষয়ে চলা জীবন 
মানুষের ভাবনায় অন্যের নারী অনন্যা 
ইশ, উফ, যদি আর কি ফিরে পাওয়া যেত জীবন।
জানেন মশাই হয় না
এই ভারতবর্ষের মানুষগুলো নিজেদের সভ্যতায় দাঁড়িয়ে পুড়ছে
পুড়ে চলেছে  আদি অনন্ত হিসেবের দুনিয়ায় নিউমারিক ডিজিটগুলো 
আপনি, আমি সাক্ষী 
আকাশের চাঁদের খিদে থাকতে পারে 
কিন্তু চাঁদ কখনো মাটিতে আসে না। 
ভারতবর্ষের আগুন সবার বুকে পুড়ছে, সবাই আগুন চাইছে
কিন্তু জানেন মশাই কেউ জ্বালছে না 
কারণ 
আগুনে বুক পোড়ে আপন পাওয়ায় 
অথচ চলন্তিকা জানো সত্যিটা হলো আগুনে জ্বালানো সহজ 
নেভানো নিরংকুশ ভুমিকায়
দাগ থেকে যায়। 

Thursday, December 10, 2020

উপলব্ধি



 উপলব্ধি 

... ঋষি 


বারংবার  মনে পরে তোমায় 

 কখনও কখনো  হঠাৎ মাঝরাতে এসে টোকা দাও

বুকের সাথে বুক ঘষে হেসে ওঠো শৈশবের হাসি 

মনে হয় নিজের সাথে মিশে আছি আমি ,

অস্তিত্ব 

অস্তিত্ব

সত্যি কি কিছু থাকে মানুষের মিশে থাকার পাশে। 

ঠোঁটের ওপরে ঠোঁট 

জেগে উঠি

প্রতিবার 

সঙ্গে আসা হঠাৎ শীতল বাতাস মেরুদন্ড কাঁপিয়ে 

হাইওয়ে দিয়ে ছুটে যে সমস্ত ভারি-ভারি ট্রাক

চোখ জ্বালা করে 

উন্মাদ অন্ধকার ডিজেলের ধোঁয়ার মতো বড় বিষাক্ত করে। 

.

বারংবার মনে পরে তোমায় 

সারা গায়ে মেখে আসো রাত্রি অন্ধকার শরীরের মতো 

তোমার নিঃশ্বাসের সাথে আমি মিশে যায় 

তোমার হৃদপিণ্ডের শব্দে আমি শুনতে পাই 

সময়ের শব্দ 

আমার হৃদপিন্ডে তখন অনবদ্য স্রোত ,

ঠিক যেমন শব্দরা পাগল হলে সাদা পাতায় গড়িয়ে নামে সৃষ্টি 

ঠিক তেমন  নিস্তব্ধে শোনা  অন্ধকারে তোমার পায়ের শব্দ। 

নিশ্বাস ঘন হয় 

আরো গভীরে এসে বাসা বাঁধও পাখির নীড়ে 

কিচির মিচির কিচির মিচির 

ঘুম ভেঙে যায় 

সকাল এসে দাঁড়িয়ে তোমার ঠোঁটের হাসিতে 

জানলা থেকে একফালি রোদ উপলব্ধির ভূমিকায়। 



কবির মৃত্যুর পর

 



কবির মৃত্যুর পর 

.... ঋষি 


মৃত্যুর সময় শেষবার চোখ খুললেন তিনি 

সর্বস্বরে চিৎকার শোনা গেলো সামাজিক নিয়মের কাছে ,

চোখ বুঝলেন 

এক ফালি হাসি খেলে গেলো মুখে 

মৃত্যু দুঃখ 

আজ কবির মৃত্যু হলো তার প্রেমিকার সাথে। 

.

কে বুঝলো 

কি বুঝলো 

ঘর পরিষ্কার গোছা গোছা শব্দদের ফিনাইল ,ঝাঁড়ু মেরে পরিষ্কার করা যাচ্ছে না 

কাজের মাসি খিঁচিয়ে উঠলেন 

ধুর বাবা আমি কি শব্দ পরিষ্কার করতে পারি। 

কবির  মৃত্যুর একবছর পর কবি আরেকবার হাসলেন 

সামাজিক দেওয়ালে টাঙানো ছবিটা কেঁপে উঠলো 

মাটিতে পরে ভেঙে খানখান ,

সময়ের গভীরে কবির অভিমান কবির মৃত্যু বার্ষিকী। 

.

কেউ কি মনে রাখে 

কেউ কি সত্যি মনে রাখে কাউকে ,

কবির ঘরের খাটের  নিচে পুরোনো হলদেটে হয়ে যাওয়া উই ধরা পাতা 

শব্দদের আত্মারা জমে আছে কবির হৃৎপিন্ড নিয়ে। 

আজ তো বহুদিন হলো 

আর কেন 

পরিষ্কার করে ফেলে দিক পাগলাটে কবির কবিতার খাতা। 

কবিতার প্রেম 

কবির প্রেমিকা শব্দদের গভীরে চিৎকার করে বলছে 

ওরে তোরা ওকে বাঁচতে দে 

ওরে ওর শব্দদের এক পৃথিবী অধিকার ,

ভালোবাসা ও প্রেমে 

ওরে মানুষটা কবি ছিল ,ছিল প্রেমিক। 

কবি হাসলেন আরেকবার মৃত্যুর ওপারে 

তবে সত্যি ছিল প্রেম তাই না চলন্তিকা 

তবে সত্যি ছিল শব্দরা 

নিশ্চুপ বটে 

কবির  প্রেম আর তার প্রেমিকা। 



Wednesday, December 9, 2020

মরুভুমি

মরুভুমি
.. ঋষি 
হয়তো কিছুক্ষন, হয়তো আরও কিছুক্ষন 
অভিমানী আমার রক্ত কোষ দুরত্ব  থেকে দ্রবীভূত, 
মানুষের জন্ম মৃত্যু হলে 
তুমি কি করতে পারো চলন্তিকা, 
তবুও বলা সতন্ত্র নিরালায় 
পারিজাতে ফোটা ফুল কখনোই শুকিয়ে যায় নি। 
.
আমার বয়স আজ পাথরের 
তোমার বয়স বাইশ, বিস্তারিত হবার ভুমিকায় তুমি বিবাগী, 
আমার পাপের রঙ সাদা 
তোমার অভিমানের গন্ধ আমার নাকে এসে লাগে, 
জানি তুমি আমার সাদা পাপ জেনেও 
আজকাল বাগানে যাও স্বপ্নের রামধনু ছুঁয়ে দিতে। 
.
হয়তো কিছুক্ষন, হয়তো আরও কিছুক্ষন 
দেখো সামনে কালো ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা হচ্ছে আমার অভিমান, 
বিষাক্ত পুরুষের মতো ঈশ্বর  ভ্রষ্ট আমি ক্রমশ। 
পেছনে দেখো পৃথিবী 
সামনে তোমার বুকের সাথে পিষে নিতে চাই নিঃশ্বাস 
ক্লান্ত উরুতে ঘুমোতে৷ চাই একটা জীবন। 
জানো তো প্রতিটা মুহুর্তের রন্ধ্রে কত কৃষ্ণচূড়া জন্মায় এই বুকে 
তুমি জানছো রক্তের ছোপ,
আমাত বর্তমানে তুমি যত্নে সাজিয়ে রেখোছো আজন্মের অভিমান
অথচ আমার বুক জুড়ে কোলাহল 
প্রযত্নে মরুভুমি। 

Monday, December 7, 2020

অমরত্ব

 


অমরত্ব 

..........ঋষি 

কেউ জড়িয়ে ধরছে এমন নয় 

কেউ জড়িয়ে বাঁচবে এমন ছিল না কোনোদিন ,

প্রথমত আমি শব্দটা অভিশপ্ত 

প্রথমত আমি শব্দটা সর্বদা আমার আমিত্বে ,

আমি জড়িয়ে  রেখেছি তাই আকাশ 

যাতে হঠাৎ বৃষ্টি এলে আত্মহত্যার গান লিখতে পারি। 

.

কেউ বাঁচবে আমার জন্য এমন নয় 

কেউ বাঁচবে শুধু আমাকে ভালোবাসবে বলে এমন নয় 

দ্বিতীয়ত আমি শব্দটা ভীষণ সাধারণ 

দ্বিতীয়টা আমি শব্দটা মোটেও সামাজিক নয় ,

আমি ভালোবেসেছি তাই বিষফল 

আমি ভালোবেসেছি তাই যোগফল জীবন বিয়োগের ঘরে।  

.

কেউ স্পর্শ করবে না আমায় 

কেউ স্পর্শ করুক আমিও চাই না আর ,

তিনটে সময় আমাকে ঘিরে রেখেছে 

তিনটে যুগ  পার করে আমি আজ প্রাচীন কোনো শেওলা মানুষ ,

আমার সাইনবোর্ডে লেখা বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ 

আমার  শরীরে স্পর্শ জলপ্রপাতে একলা সুখ। 

আমার ইচ্ছে ছিল তোমাকে জড়িয়ে একটা যুগ বাঁচবো 

আমার ইচ্ছে ছিল তোমাকে জড়িয়ে থেকে  যাবো কফিনের ভিতর,

আমি সময় পাস করি নি তাই 

আমি তোমার ব্লাউজে ঢেলে দিতে পারবো না সেক্সপিয়ার কিংবা ট্রেজেডি ,

আমি সময় লিখতে পারি 

আমি মরে যেতে পারি 

শুধু একবার 

শুধু একবার আমায় স্পর্শ করো

তবে বিয়োগের ঘরে আমি যোগফল লিখে অমরত্ব পাবো।  

পাগলামী (৩)

 



পাগলামী (৩)

... ঋষি 


দুঃখী জামার ভিতর জ্যোস্ন্যা লুকোনো 

চেটে নিচ্ছি তোমার স্তন ,

তুমি বলছো ধ্যাৎ এমন কুকুরের মতো ভালোবাসে কেউ ,

মুকুট পরে বেঁচে আছো তুমি 

তুমি জ্যোৎস্ন্যা হতে পারো 

কিন্তু তুমি কি জানো এ বুকে শ্মশানের জ্যোৎস্ন্যা মাখছে সন্ন্যাসী। 

.

স্কেলিটনে জলপ্রপাত 

তুমি বলছো আমি নাকি ব্ল্যাকহোলের মতো তোমাকে টেনে চলেছি 

অদ্ভুত একটা গল্প 

স্যাক্সোফোনে ক্রমাগত ভালোবাসা 

তোমার স্তনে চাঁদ সূর্য 

তবুও মিথ্যে বলে বেঁচে থাকে বাসি রুটির জীবন 

তুমি বলছো 

ধ্যাৎ পাগল একটা। 

.

উচ্ছিষ্ট জীবনের মতো ডাস্টবিনে ভর্তি ঘরবাড়ি 

আমি, তুমি বলছি 

কিংবা আমি 

আসলে  গল্পটা তোমার শরীরের ঘামের গন্ধের মতো আমার প্রিয়। 

যুবক হয়ে উঠছে সময় 

মনের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত সবুজ সুতোয় তাঁত চলছে 

তুমি শুনতে পাও আমি জানি

ক্রমে  বুঝতে পারো একটা অক্লান্ত পরিশ্রম তোমাকে খুঁড়ে চলছে 

আজ হাজারো বছর 

অথচ তুমি হাসছো 

বলছো 

ধ্যাৎ পাগল খ্যাপা একটা।   

উপাসনা

 উপাসনা 

... ঋষি 


রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে এসেছি 

চলে এসেছি সময় সাময়িকী সমাজ আর উপসনা ,

উপসনা কখনো রাস্তা মেপে হয় না 

জানি ,তবে তুমি বলতে না ,না বলেও 

ভালোবাসি বুঝিস না। 

.

আজকাল পথ মেপে ভালোবাসা 

অথচ সারা রাত পথ মেপে অন্ধকারে বাঁচে কজন ,

কজন শত সমুদ্র ইতিহাস পেরিয়ে পাথর হয়ে বাঁচে। 

মানুষ রক্ত ভালোবাসে না 

অথচ মানুষের ভালোবাসায় চিরকাল চিৎকার জুড়ে রক্ত বমি ,

মিথ্যে বলে না সময় 

সদ্য জন্মানো শিশুও যে রক্তমাখা অভিধান। 

.

রাস্তা দিয়ে হেঁটে এসেছি 

চলে এসেছি সময়ের ওপারে যেখানে আর কেউ নেই 

যেখানে আর কেউ থাকতে পারে না তুমি ছাড়া। 

সূর্য সর্বদা উত্তর থেকে দক্ষিণে 

নিয়ম মাফিক কান্নাগুলো আজকাল সময়ে শার্টে দাগ ফেলে না ,

নিয়ম করে রাত জাগা চোখ 

সিগারেট ভ্রুন 

উল্লসিত চিৎকার অনন্ত কিছু প্রশ্ন ,

শালা ভালোবাসি তবু বুক খুলে দেখানো যায় না 

রাতের অন্তর্বাসে চাপ চাপ স্পর্শের রক্ত 

সাথে থাকি 

দূরে থাকি 

তবু থেকে যায় তোমার বুকের দাগের মতো 

অনবরত রক্তক্ষরণে। 

Saturday, December 5, 2020

সম্পর্ক

সম্পর্ক 
... ঋষি 
ভেজা বাঁশ বেয়ে দু ইঞ্চি ওঠানামা
সম্পর্ক সম্প্রসারিত ব্যাকরনের মতো মুখসুদ্ধি, 
ফিরে আসি বাংলায় 
তোমাকে মা ডাকতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে ডাকি আকাশ। 
তোমাকে বাবা ডাকতে ইচ্ছে করে,ইচ্ছে করে ডাকি নিঃশ্বাস বলে
তারপর হঠাৎ নিঃশ্বাস ফুরিয়ে যায় 
মুখোশগুলো খুলে পরে বাসি বিছানায় তোমার অন্তর্বাসের মতো।
শুধু মৃত শব্দের মতো সম্পর্ক পাতা ভরিয়ে যায়
তারপর তুমি একা আমার মতো
দু ইঞ্চি জমিতে মানুষের সম্পর্কগুলো ফরিয়াদি কল্পনায়।

Friday, December 4, 2020

কণে দেখা আলো

 



কণে দেখা আলো 

... ঋষি 


চিৎকারগুলো মুক্তি খুঁজছে 

ব্যাকরণে লেগে আছে কোনো কণে দেখা বিকেলের সেই আলো ,

অদ্ভুত এক হিসেবের শেষে আমরা দাঁড়ায় খালি হাতে। 

ভালো থাকতে আজকাল নির্ভরশীল জীবন 

শহরের রাস্তায় একলা দাঁড়িয়ে 

অপেক্ষা গোনে মনের ভাঁজে লুকোনো সেই মুখটা। 

.

আমি অবিশ্রান্ত সময়ের ধুলোয় বুক খুঁজছি 

খুঁজছি মেয়েটাকে নিজের গভীরে ,

শুধু শুনতে পারছি আর্তি ,শুধু দিচ্ছি দ্রষ্টার দৃষ্টান্ত 

কিন্তু বদলাতে পারছি না 

অসহায় গৃহপালিত মতো তাকিয়ে আছি দূরে 

একটা আলোর দিন ক্রমশ মুখ থুবড়ে পড়ছে। 

.

ভালোবাসি এই কথাটা আজকাল সময়ের রঙে রঙিন 

শহরের পাঁচতারায় প্রতিদিন ভালোবাসা শরীরের মতো দেখতে লাগে 

দেখতে লাগে নিজের চারপাশে অজস্র কামুকতা ভালোবাসার নামান্তরে ,

জীবনের নামতায় প্রতিদিন ফুরোয় 

কালকে বাঁচবে বলে 

অথচ সেই কাল গোগ্রাসে গিলে নেয় সময়ের যোগফল। 

সেই মেয়েটা প্রতিমুহূর্তে বাঁচে আমার বুকের ভিতর 

অথচ শতরন্জ কা খিলাড়ি 

একটা ভুল দানে জীবন ফুরিয়ে যায় ,

অথচ চিৎকারগুলো মুক্তি খোঁজে 

ব্যাকরণে লেগে থাকা  কণে দেখা বিকেলের সেই আলো 

ছড়িয়ে পরে এই বুকে 

মৃত্যুর সুখে 

আমি দেখি মেয়েটা আস্তে আস্তে ঘরে ফেরে প্রতি সন্ধ্যায়। 

Thursday, December 3, 2020

শুকনো পাতা

 



শুকনো পাতা 

... ঋষি 

.


পাতাগুলো খুলে পড়ছে আমার শীতের শহরে 

বডি ময়েস্টচার মাখা প্রেমগুলো বেশ লোলুপ লাগে এই শহরে ,

সমস্ত আস্তরণের পর 

আমার খড়ি ওঠা পাপের শহরে শুকনো পাতা 

ছড়িয়ে পড়ছে আমার শহরে 

তবু নিয়মিত কর্পোরেশনের গাড়ি পাতা কুড়োচ্ছে হিসেবে করে। 

.

এই শহরে জমির বড় অভাব 

বিশাল মাপের জনমহলে রংচঙে শরীরের গল্পগুলো 

আজকাল ওয়েনবিসিরিজে সস্তার দরে ,

কেন নামছে এই শীতে বিষাক্ততা 

কেন নামছে আমার শেওলা মাখা শরীর বেয়ে অজস্র যন্ত্রনা। 

.

কষ্ট হচ্ছে 

বুকের পাঁজরে জমতে থাকা নিকোটিন প্রেম জানে সে কথা ,

শহরের গল্পে 

শহর লেখাটা সময়ের অভ্যেস 

অথচ আজ অবধি কোনো চিত্রকর হৃদয় আঁকতে পারলো কই 

কই পারলো কোনো কবি কই লিখতে পারলো ভালোবাসি। 

স্রষ্টারা ভালোবেসেছে চিরকাল স্রষ্টির ঘোরে 

প্রতিবারে আরও জোড়ে চিৎকার করে বদলাতে চেয়েছে সময় কে 

তাই তো কেউ ঘর  ছাড়া 

কারোর বা  আবার বুকের উঠে এসেছে বিষাক্ত ট্রামলাইন,

সময় বদলাতে কেউ নাওয়া ,খাওয়া সংসার ছেড়ে পাগল হয়ে গেছে 

অথচ সময় বদলায় নি। 

বদলায় নি স্রষ্টার প্রেম তাই বলে 

এই যে শহরের পথে ছড়ানো শুকনো পাতাগুলো 

আজও তাই  গল্প বলে ঈশ্বরের

আজও তাই সৃষ্টির আদরে ভালোবাসা সবুজ পাতা  ,

শীত আসুক ক্ষতি কি 

ক্ষতি কি ঝড়ে পড়ুক গাছের পাতা সময়ের অছিলায় 

ক্ষতি কি ভালোবাসা শব্দটা হোক আরো যন্ত্রণার 

তবুও তো নতুন পাতা জন্মাবে 

তবুও স্রষ্টার চিৎকারে ,রক্তক্ষরণে ভালোবাসা জন্মাবে 

এই পাথরের শহরে।  


বিহাইন্ড দ্যা সিন্

 


বিহাইন্ড দ্যা সিন্ 

... ঋষি 


এক কড়াই বেঁচে থাকা 

সান্ধ্য অনুষ্ঠানে আমি তুই শুধু দর্শক চলন্তিকা ,

আর বিহাইন্ড দ্যা সিন্ চলতে থাকে 

হেলিকপ্টারের উড়ান 

মাথার ভিতর কোনো হেলিপ্যাড না থাকায় 

ভাবনারা ঘুরতে থাকে হাওয়ায়। 

.

হঠাৎ তোকে জড়িয়ে ধরা 

চশমা কালো মুখে ছুঁয়ে থাকা আমার অনবদ্য প্রেম 

কালি পরে যায় 

আমি ছুঁতে পারি না তোকে ,

সময় তোকে আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে অন্য মায়ায়

আর মায়া ঘিরে  শুধু অজস্র কাঁটাতার। 

.

সমস্ত অধিকারের গল্পগুলো তোর মাইক্রোওভেনের হিসেবে মতো সামাজিক 

আর আমি অধিকার গল্পে ছোট্ট একটা বারো মিনিটে  

জীবন খুঁজে যাই। 

তোকে নিয়ে পালাতে চাই  জীবন থেকে দূরে 

বলতে পারি নি কোনোদিন 

কোনোদিন তোকে ছুঁতে পারি নি চারদেয়ালের বাইরে। 

সাজানো পৃথিবীতে অদ্ভুত হেঁটে চলা 

তোর জন্য ছেড়ে যেতে পারি এক সমুদ্র মেঘ 

তোর জন্য আমি বন্য গ্যাসবেলুন হঠাৎ বন্ধন ছাড়া  শৈশবের সুখে 

বেঁচে থাকা 

কবিতার পাতার বাইরে 

চলন্তিকা তোকে আমি ছুঁতে পারি না

শুধু রান্নার কড়ার দাগ তুলে যাই ।  

Saturday, November 28, 2020

এমন কিছু




এমন কিছু 
,ঋষি 
এমন কিছু ঘটে যাক আমার তোমার মাঝে
যেখানে শব্দের অব্দরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোক, 
এমন একটা কিছু ঘটুক 
যাতে দুবার কেউ না আমাকে ছেড়ে যেতে না পারে, 
যাতে দুবার কেউ আমাকে বলতে না পারে 
এইবার আমার ছুটি। 
.
জীবন ভেঙে  পড়ুক 
ভেঙে পড়ুক এক প্রস্থ এজলাস আমার বুকে, 
মৃত ভায়োলিনের সুর ছুঁয়ে যাক আচমকা কোন পুরাতন স্যানেটোরি 
পুরনো সেই গাছটার মতো আমি দাঁড়িয়ে , 
সামনে দাঁড়াক সেই মুহুর্ত 
যেখান থেকে যাতে কেউ কাউকে ছেড়ে যেতে না পারে। 
.
সত্যি বলছি চলন্তিকা আমি দেখতে চাই এমন কিছু
যেখানে মৃত স্যিগনেচার বুকে আজকের সমাচার হেডলাইন না করে
ছেলেটা আর নেই, 
মুহুর্তরা আর নেই 
আর নেই সেই প্রতিশ্রুতি বদ্ধ নিরাকার সম্পর্ক। 
এমন কিছু একটা ঘটুক 
যাতে ফুটপাথ লাগোয়া বস্তিতে তুমি যাতে একলা না দাঁড়াও
যাতে একলা না দাঁড়ায় এই শহরের কোন অবুঝ বোঝাবুঝি, 
আমার মতো কেউ হঠাৎ  মৃত্যু থেকে ফিরে
একলা না হয়ে যায় হঠাৎ 
তাকে যাতে বলতে না হয় ভালো থাকিস তুই 
 আর তো কিছু চাই নি। 



জানি না তুমি বিরক্ত হও কিনা

 



জানি না তুমি বিরক্ত হও কিনা 

.. ঋষি 

.

এই যে সকাল থেকে গোটা পাঁচেক বার তুমি 

ক্রমশ অন্ধকার থেকে আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ো ,

হঠাৎ পথ চলতে হোঁচট খেতে খেতে 

আমাকে তুমি মনে করো ,

আমার বড় জানতে ইচ্ছে হয় 

তুমি কি বিরক্ত হও ?

না কি  প্রত্যেক আমিতে,আমাকে আরো জড়িয়ে ধরো। 

.

এই যে সকাল থেকে আমি 

শুধু তোমাকে শুনবো বলে খুলে রাখি অগতির গতি ,

হঠাৎ অফিসে কাজের ফাঁকে ,হঠাৎ কম্পিউটারের স্ক্রিনে 

তোমার মুখ যেন অনবদ্য বেঁচে থাকা ,

জানি না তুমি মনে করো ? 

আমি মনে করি এমন করে কি এঁটুলির মতো আটকে থাকে কেউ 

না কি কেউ এমন বিরক্ত করে বিরক্ত করে  কাউকে।  

.

জীবন চলে যায় 

চলে যায় সময় ঘন্টা ,মিনিট ,সেকেন্ড আরো ন্যানোতে 

আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না 

এমন করে কাউকে জড়িয়ে ধরলে সে কি  করে ভাবতে পারে 

বেশ আছি, ভালো আছি। 

এই যে গোটা সকাল থেকে সন্ধ্যে তারপর রাত্রি

একটা ছায়া আমাকে তাড়া করে ফেরে ,

এই যে আমার মাথার উপর একটা হেলিকপ্টারের পাখা যখন তখন 

আমাকে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয় তোমার শোয়ার ঘরে 

তোমার বাথরুমে 

তোমার কবিতার বইতে 

তোমার ভাবনায় 

তোমার রান্নাঘরে হাতাখুন্তির শব্দে ,

এই যে হঠাৎ মনখারাপী সন্ধ্যে আমাকে একলা করে দেয় বারংবার 

জানি না তুমি কি ভাবো  

জানি না তুমি বিরক্ত হও  কিনা।  

Thursday, November 26, 2020

জেব্রাক্রসিং

 জেব্রাক্রসিং 

... ঋষি 


রাস্তায় জেব্রাক্রসিং 

নিয়ম মেনে চলে নি জীবন কোনোদিনই ,

তুমি বলো  আমি বিবাগী হবো 

অথচ আমি ঘোরতর সংসারী 

ভীষ্মের মতো আমিও পার করেছি ইতিহাস 

অথচ আমার মহাভারতে দ্রৌপদী রাতের গভীর ঘুমে। 

.

আজকাল অর্ধরাতের পরেও ঘুমোয় না কোনো একলা প্রেমিকা 

সারারাত জেগে থাকে  অন্ধকারে ,

মানুষ অন্ধকার ভালোবাসে না 

অথচ ভালোবেসে হেগে ,মুতে ছড়াতে রক্তবমি করে। 

মানুষ জানে হৃদয়ের থেকে বড়ো অন্ধকার হয় না 

তবুও ডিম্ ভেঙে বেড়োনো শিশুর কাছেও আজ বিজ্ঞাপন প্রিয়। 

.

সূর্য পশ্চিমেই ওঠে সমাজের মতো 

তবুও তুমি রাত  জেগে ভাবো ষোড়শী কিশোরীর মতো আমাকে ,

বলো সিগারেট খাস না 

বলো তুই সিগারেট খাবি আমি অসুস্থ হবো 

অথচ আজ অবধি কোনোদিন তুমি আমাকে ভালোবাসো বলো নি। 

বলো নি একটা ফোন কলের অপেক্ষায় 

তোমার অভিমান হয় ,

শেষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে তুমি চিরকাল আজন্মের পাথরের মতো 

তুমি বিশ্বাস করো না 

নারী এই সময়ের শেওলা ধরা পাঁচিলের মতো চির প্রাচীন 

আর পুরুষ পাখিদের মতো। 

তাইতো তুমি কাঁদলে পরে মনে হয় আমি আর লিখবো না 

বরং জেব্রাক্রসিং মেনে রাস্তা পার হবো তোমার হাত ধরে 

তোমার সময়ের অধিকার হবো।   

বদনাম গলি




 বদনাম গলি 

....  ঋষি 


সময় জুড়ে শুয়ে আছে ভারতবর্ষ 

কমরেডদের শরীরের ওপর উঠে আছে আতঙ্ক 

উঠে আসছে একটার পর একটা যুদ্ধের ট্যাংক ,যুদ্ধ বিমান 

বদনাম ভারতবর্ষ। 

.

কোনো সভ্যতা নয় 

বিপ্লবের দীক্ষায় দীক্ষিত ভারতবর্ষের মানচিত্রে শুয়ে আছে অশোকস্তম্ভ 

অথচ মাথা নিচু করে সময়ের সিংহরা

ভয় পাচ্ছে 

ভুলে যাচ্ছে মাংসের গন্ধ 

 বদনাম গোলিয়সে গুজেরনে বালা হর  ইনসান 

আজকে তারিখমে সব রেন্ডি  হোতি  হে। 

.

সারা মানচিত্র জুড়ে ছড়িয়ে অজস্র রক্তবিন্দু 

মানষের জন্য 

শ্রমিকের জন্য 

সময়ের জন্য ,

অথচ চলন্তিকা তোমার বুকে পুঁতে রাখা হয়েছে সামাজিক ধর্ম 

সমাজের প্রজাপতি 

অথচ প্রজাপতির নরম আনন্দকে বলাৎকার করছে দেশ 

ধর্মের পাঠায় লেখা আছে কুন্তী পাঞ্চালি 

আর অহল্যা পাপী। 

সব সত্যি মিথ্যে হয়ে যায় ,সব মিথ্যা সত্যি হয়ে যায় 

সময়ের পাতায় ,

আমরা জানি আমরা কজন গাছ লাগায় 

জোয়ারভাঁটার টানাটানিতে মরুভূমি কেন জন্মায়। 

অথচ সত্যি বলতে পারি না জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড নিয়তি নয় 

বিপ্লবকে দমবন্ধ করে মারার প্রচেষ্টা 

আর আজকের সময়ে যদি আপনার স্ত্রীর গর্ভে সময়ের প্রজাপতি জন্মায় 

আপনি কমরেড না 

সময়কে ,সমাজকে বেজন্মা বলে গালাগাল দেন। 

তোমার বুকের ভিতর

 


তোমার বুকের ভিতর 

.... ঋষি 

.

তোমার বুকের ভিতর সিঁড়ি ভেঙে নামি 

দেখি একরা রোদেলা বিকেল খাবি খায় গভীর অভিমানে ,

আমার গোপন কথা জানা ছিল 

আমার গোপন করে রাখা ছিল 

ফুচকার মশলা দিয়ে মাখা জীবন অনবরত তীক্ষ্ণতায় 

যেন সময়ের জন্ম দিন 

তোমাকে বলা হয় নি অভিমানগুলো জমা হলে বাষ্প হয়ে যায়। 

.

চারিদিকে থিকথিক  করছে  প্রাচীন শারিরীক  জীবাশ্ম

সমাজের হাড়গোড়

কোথাও উড়ে যাচ্ছে ফেরিঘাটের আবর্জনা 

সঙ্গমের মাংস ছড়িয়ে ছিটিয়ে ,

তোমার বুকের গভীরে বরফ মাখা শরীরটা আকাশ চাইছে

আমার শীত করছে। 

.

তোমার বুকের ভিতর সিঁড়ি ভেঙে নামি 

প্রতিটা সিঁড়িতে লেখা আছে অসংখ্য সময়ের প্রহসন ,

আমি আবিষ্কার করি 

কালোবেড়াল রাস্তা পেরিয়ে চলেছে আমার শহরের সোনাগাছি 

সমাজ সন্ন্যাস 

অথচ তোমার আলতা মাখা পায়ে সময়ের চিৎকার। 

উচ্ছিষ্টের মতো শুতে থাকো তুমি 

নিজের গভীরে খনন করো তুমি গভীর সুড়ঙ্গ 

শব্দরা কম পড়ে 

অভিমান লিখতে কবিতায়। 

সময় তবু ডাকিনী বিদ্যা জানে 

জানে তোমার জন্মের কবিতায় মৃত্যুগুলো মুখোশের মতো 

শুধু অপেক্ষায় 

আমার ভয় করে ইতিহাস 

কারণ ইতিহাস পুড়িয়ে সর্বদা উপস্থিতি তৈরী হয়।     

আমার সমস্ত কবিতা

 



আমার সমস্ত কবিতা 

... ঋষি 

.

আমার সমস্ত কবিতায় তুমি শুয়ে থাকো চলন্তিকা 

অথচ জন্মের প্রতি তোমার চূড়ান্ত দুর্বলতা 

আর সময় শেষ হলে তোমার অভিজ্ঞতা ভরে যায় মাসিকের রক্তে। 

তুমি কেন চলন্তিকা  ?

কারণ তুমি শরীরের বাইরে সময়ের বাইরে জরায়ু মুক্ত 

লোভ শুধু 

একবিংশ শতাব্দীতে অভিশাপ মুক্তির 

অথচ কিপ  ডিস্টেনসিং। 

.

আমার সমস্ত কবিতা তোমার জন্য 

অথচ সময়ের ভিতর তুমি নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকো প্রতিটা নারীর গভীরে ,

সংসার শব্দটা তোমার কাছে পুতুলের মতো 

অথচ প্রচ্ছন্ন আয়নায় তোমার বুকের ভিতর নির্বিকার পাঁচালি পাঠ ,

আমি কলম তুলি সেখানে 

আচ্ছন্ন ভূমিকায় লিখি রাজা ,রানীর গল্প 

আর কিছু অযত্নে পালিত শরীর 

কিংবা বলাৎকারের গল্প। 

.

আমার সমস্ত কবিতায় তুমি না থাকলে আমি এক হয়ে যায় 

কারণ তুমি আমার কাছে পরাজিত কিংবা জিতে যাওয়া সময়ের শস্য ক্ষেত্র 

যেখানে জন্ম হয় 

হয় মৃত্যু ,

তুমি আমার কাছে প্রতিশ্রুতির অভিমান ,পার্কের পাশাপাশি বসা 

নিরাশ্রয়ী ফুটপাথে বিশাল গাছে মতো কিছু ,

তোমার চুলগুলো চলন্ত ট্রেন 

তোমার চোখ সময়ের আগামীর ঈশ্বর 

তোমার স্তন মৃতের কাছে বিশল্যকরণি আর সময়ের কাছে বিজ্ঞাপন 

তোমার কোমর অতলান্তিক নির্ভরতা 

তোমার সে যেন কবিতার মতো মসৃন কিছু অনবদ্য ভাবনা। 

.

এখন ও বলবে কেন তুমি আমার কবিতা 

কারণ চলন্তিকা তুমি অন্ধকারে বাঁচার গান কিংবা মোমবাতি 

জোস্ন্যার জলাশয় 

আর আমার প্রতি রন্ধ্রে তুমি নিঃশ্বাসের জন্ম। 

আই এম মিস্টার নো ওয়ান



আই এম মিস্টার নো ওয়ান

...ঋষি 


আবার আর একটা মধ্যাহ্নে দাঁড়িয়ে 

পুড়ে যাচ্ছে বুকের ভিতর একটা মাংসাশী দুপুর 

ভাতের হাঁড়ি ,গরম ভাত 

হ্যা ঠিক,  “I am Mr. No One

তবুও উপস্থিতি 

খিদে পায় যে আমার। 

.

দুঃখ নয় ,বুকের ফিরোজা রঙের রং মহলে অনেকটা জীবন শুয়ে 

আসলে তোমার কোমরে রুপোর দড়ি বাঁধা ,

অদৃশ্য 

প্রতিটা দুপুরের মৃত্যুই নিয়ে আসে আমার 

তবুও  দুঃখ নেই। 

নিজের গভীরে পুড়ে যাচ্ছে আঠারো বছরের একটা পুরোনো মুখ 

গত হওয়া যৌবন 

উপছে ওঠা গরম ভাত 

হ্যা ঠিক “I am Mr. No One। 

.

আবার একটা মধ্যাহ্ন দাঁড়িয়ে হা মুখ করে 

জীবন অটোগ্রাফ দিচ্ছে জানি,

এও জানি  সময়ের গর্ভাশয় আছে  ,যা শুকোয় ,যৌবন আসে ,

বৃদ্ধ বয়স ব্যস্ত পুরোনো হারমোনিয়াম মতো ধুলো ভরা  ন্যাংটো ।

জন্ম মানেই শুভ 

অথচ জন্ম লিখতে গেলে আপনি মাতৃ গর্ভের বানান ভুল লেখেন,

অথচ আমি চিরকাল জরায়ু বলতে বুঝি মহাপ্রলয়। 

অদভুত এই মধ্যাহ্ন 

সারি দেওয়া লাশের ওপর সাজানো গোলাপের ফুল

আমি পচা গন্ধ ঢাকতে আতর  ছেটাচ্ছি 

তবু বুকের ভিতর জিউস আর হেরা স্বর্গচ্যুত

কারণ ট্রয় শুধু যুদ্ধ ছিল না 

ছিল একলা খিদের গল্প

ভাতের গল্প 

 “I am Mr. No One আমি বুঝবো কি করে সে কথা। 

 

 

 


সহজিয়া

 


সহজিয়া 

... ঋষি 

.

আমি ঈশ্বরকে ঈর্ষা করি 

ঈর্ষা করি তোমার সহজিয়া গঠনের ঐশ্বরিক ভাবনাকে ,

মৃত্যুমুখী মানুষকে আমি ঘৃণা করি 

ঘৃণা করি অকারণে কাঁদতে থাকা এই বিশ্বের বিজ্ঞপন গুলোকে ,

আমি খিদের মানে বুঝি 

তাই নিজের খিদে মেটাতে আমি চুরি করি ,ডাকাতি করি 

হঠাৎ মাঝরাতে তোমার স্বপ্নে ঢুকে পড়ি সিঁদ কেটে। 

.

সোজা সাপ্টা মাথার উপর ঈশ্বর দাঁড়িয়ে তরবারি হাতে 

কখন যে কি হয় 

তবু আমি মরতে চাই নি কখনো ,

এক নিঃশ্বাসে চেটে খেয়েছি সময়ের যত পাপ 

তোমার নগ্ন শরীর 

তোমার যোনি 

কারণ আমি কখনো বাহ্যিক হতে পারে নি। 

.

আমি কোথায় দাঁড়িয়ে ?

ভেবেছি ,

বেড়ালের মতো পা টিপে টিপে উঠে এসেছি প্রত্যহ ঘুম থেকে 

শুধু বাঁচবো বলে ,

তোমাকে হাজারোবার জড়িয়ে ধরে বলেছি 

এই শরীরে আমার লোভ নেই 

তোর হৃদপিন্ডটা দিবি।

জানি মানুষ ঈশ্বরকে পুজো করে আরও অভিযোগের জন্য 

অথচ আমার আভিজাত্য সেখানে 

আমি ঈশ্বরকে হিংসা করি 

হিংসা করি প্রত্যেক গোপন ভালোবাসার গভীরে শুয়ে থাকা মৃতদেহকে ,

আমি বরফে ঢাকা মৃত শরীরকে ঘৃণা করি

তাই আমি শুয়ে থাকি তোমার বুকে গভীর যন্ত্রণার মতো 

আমি বেঁচে থাকি ঈশ্বরের ভূমিকায় 

অথচ আমি ঈশ্বরকে সহ্য করতে পারি না।  

 

Tuesday, November 24, 2020

উপস্থিতি

 উপস্থিতি 

... ঋষি 


লুকোচুরি খেলা শেষ

পিলসুজের কালি মাখা ওম ,অনবরত তৈল দ্রোহ 

সব শেষ 

কেমন আছো চলন্তিকা ?

আজানের সকাল ,সময়ের বিকেল ,অন্ধকারে রাত্রি 

কেমন আছো খুব জানতে ইচ্ছে হয় 

উপস্থিতি। 

.

সময় জুড়ে  তৃতীয় বিশ্বের বিলাপ

শেষ কয়েকমাস আমাদের কেটেই গেলো ঘোরের মতো ,

কি বোলো চলন্তিকা ,

শীত চাদরে সহস্র শতাব্দীর অপেক্ষা আর

শীৎকারে ভেঙ্গে এগিয়ে যাওয়া ক্রমাগত তোমার দিকে 

উইকিপিডিয়া ...

জানি, পিছনের পথ তোমার সবই মনে আছে 

আছে মনে সেই লোকটাকে। 

.

যেমন করে মনে আছে সিড়ি ভাঙ্গা অঙ্ক

জানালায় সমুদ্র আসেনি কখনও হয়তো বাষ্পের মতো মেঘ ,

জানি সেই লোকটাকে তোমার মনে আছে 

যেমন মনে আছে পুরুষ শুধু নির্ভরশীল চেটে খাওয়া ক্লীবলিঙ্গ। 

কেমন আছো চলন্তিকা ?

রক্তকরবি পোড়ায় রাজার ঘর,

মিছিলে এসো আরেকবার

আরেকবার শ্মশানে চোখ রাখো , 

মশালে রাখো চোখ

দেখো কি ভীষণ অন্ধকারেও জ্বলে আলো। 

কিছু ভিজে যাওয়ারা অসুখ জানি মানেনা সময়ের বাঁধ 

কয়েক ফোঁটা অভিমান শহরের ধুলোতে 

আদুরে রুমাল হয়ে যায় এক জীবন কাটানো যায় না 

তাই না। 

Monday, November 23, 2020

সামনে ,পিছনে

 


সামনে ,পিছনে 

... ঋষি 


একটু পিছিয়ে শুরু করি 


ছেলেটা জানে এই মুহূর্তের পৃথিবী ভাঙতে পারে যে কোনোদিন 


কারণ ছেলেটা বোঝে বাবামার  ঝগড়া দিন কাটাচ্ছে 


পাশাপাশি সমাজের মতো করে ,


ছেলেটা ভয় পায়


অথচ বলতে পারে না কাউকে টিভির পর্দায় পরিবারগুলো 


আর নাটকে ভালো লাগে না । 


.


ছেলেটা রোজ শোনে বাবার সাথে ঝগড়ার সময় 


রিতা আন্টির কথা ,


রিতা আন্টি কে ? ছেলেটা বোঝে 


কিন্তু বুঝতে পারে না তার পৃথিবীতে কে তার প্রয়োজন 


বাবা না মা ?


.


সব প্রশ্নের উত্তর হয় না যেমন 


সব প্রশ্নের জবাব কি থাকে ?


সামনে খোলা প্রান্তরে এখন ছেলেটার সময় বদলাবে সমাজ  ,


ছেলেটাকে মাননীয় জজসাহেব প্রশ্ন করে ?


বলো তো বাবা কে তোমায় বেশি ভালোবাসে ? বাবা না মা। 


ছেলেটা চেয়ে থাকে পর্দার বাইরে 


মনে পরে তার বাবার মুখ ,বাবার সাইকেলে করে ঘুরতে যাওয়া 


মনে পরে তার মায়ের মুখ ,মনে পরে মায়ের আদর করে জড়িয়ে থাকা ,


ছেলেটা হঠাৎ কেঁদে ওঠে 


সে বলে আমার দুজনকেই চায় ,


আবার একটা প্রশ্ন ভেসে আসে সমাজের কাছ থেকে 


বাবা রিতা মেহতা বলে কাউকে তুমি চেনো,


ছেলেটার মনে পরে রিতা আন্টির মুখ


মনে পরে মায়ের মুখ দিয়ে শোনা নোংরা কথাগুলো বাবাকে বলা 


মনে পরে বাবার বলা কথা উত্তরগুলো ,


ছেলেটা আবার কেঁদে ওঠে ফুপিয়ে 


বলে রিতা আন্টি বাবার প্রেমিকা। 


.


এইবার সামনে দাঁড়িয়ে বলি 


আপনারা কি ভাবছেন ছেলেটা বাবার কাছে যাবে না মায়ের 


সমাজ কি ভাবছে ইশ এতটুকু ছেলে 


সময় ভাবছে মা ,বাবার বিচ্ছেদ হলে ছেলেটা মানুষ হবে না 


আর আমি ভাবছি 


ছেলেটা কোথায় দাঁড়িয়ে ?


ছেলেটা কোথায় দাঁড়াবে ?


কেউ কারো নয়

হঠাৎ করে কেউ হারায় না যে মেয়েটা বাড়িতে রোজ শাঁখ বাজিয়ে পুজো করে তার ও ইচ্ছে করে আকাশ ছোঁয়ার, ব্যাগ ভর্তি স্বপ্ন নিয়ে যে ছেলেটা বাজারে এসে দা...