Monday, November 27, 2017

রংমিলান্তে

রংমিলান্তে
.... ঋষি
======================================================
নিজেকে ঠিক মেলাতে পারছি না
রাতের সাথে দিনের ,সময়ের সাথে প্রেমের।
নীরব কিছু অভ্যেস থেকে উঠে আসা অধিকার
আমি মেলাতে পারছি না নিজেকে ডিসকভারি চ্যানেলে পেঙ্গুইনদের সাথে।
তীব্র ধারালো ঠোঁট আর তোমার আখরোট ঠোঁট
মেলাতে পারছি না কিছুতেই।

কবিতা কে পড়ে ?
ফোটো, মুভি, থিয়েটার, এমনকি গদ্য তারও কাছে এত অবমাননা
কবিতা, আমি মেলাতে  পারছিনা।
তোমার রেগুলার পিরিয়ডস্
কোথাও শিকড় ছিঁড়ে সটান এক বোতল খিদে
মেলাতে পারছি না।
উড়ে যেতে চাইছি ঘুড়ি হয়ে কিলিমাঞ্জারো পাহাড়ের চূড়ায়
মাঞ্জার গান শিস দিচ্ছে নিরালা বাতাস কেটে
মেলাতে পারছি না।
 ক্লোজসার্কিট  ভালোবাসা আর শিশ্নঅভ্যাস
আমি মেলাতে গেলেই দেখছি তুমি হাসছো ,আমাকে বলছো
আট থেকে বারো করতে আরো চারবার।
কিছুতেই মেলাতে পারছি না
আমার পুরুষ অধিকারে কুড়িয়ে পাওয়া ভগ্নাংশের অংক।

নিজেকে ঠিক মেলাতে পারছি
সেই আমি আর এই আমি ,নিজের ভিতর পরিবর্তিত মতবাদ
মেলাতে পারছি না তোমার গভীরে আমার রঙিন প্রজাপতি
আর আমি একলা নীল আকাশ।
অথচ অবধারিত সমস্ত মেঘের গাল বেয়ে আজ গড়িয়ে পড়ছে
আমাদের প্রথম চুমুর ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি ....

কবিতার খোঁজ

কবিতার খোঁজ
.... ঋষি
==========================================================
চলন্তিকা অনেকদিন কবিতা আসে না
শীতের কুয়াশার ভিতর থেকে কাগজওয়ালা বেরিয়ে এসে
হাঁকতে থাকে মস্তিষ্কের অলিতে গলিতে।
খুঁজতে থাকা কলমের নিবে শব্দদের পরিচয়পত্র।
জমা দিতে হয় লোকাল নীরবতায়
হ্যা হ্যা গালে তিল ছিল। মেল্ কি ফিমেল জানি না।
হ্যা কবিতার একটা বিশাল বুক ছিল   ........


সময়ের সিগারেটে টান দিয়ে
চলন্তিকা কবিতা খুঁজতে থাকা একটা অঘোষিত রোগ এই সময়ের।
কি হবে কবিতা লিখে ?
কবিতা লিখলে তো পেট ভরে না ,ভরে না খিদে
তবে কি শুধু শান্তি খুঁজতে থাকা ?
একরাশ ধোঁয়া ছড়িয়ে পরে আকাশে বাতাসে
হালকা ধোঁয়াশার ফাঁকে কবিতা কখনো রমণী হয়ে ওঠে।
কিন্তু চলন্তিকা জানো তো এমন পাগল আমি
মাঝে মাঝে সময়ের পুরুষে ,শহরের গলিতে আমি কবিতা দেখি।
সেই যে প্রথম কবিতাটায় সূর্যাস্তের ফরওয়ার্ড রিউইন্ড  খেলতে  খেলতে
একটা নেশা হয়ে গেলো ,তারপর এই রোগ
আর কবিতা ছাড়া চলন্তিকা কিছু ভালো লাগে না।


চলন্তিকা অনেকদিন কবিতা আসে না
দুই এক কে দুই,তারপর তিন ধুস ভালো লাগে না।
 কবিতা কে  দেখতে পেলে চলন্তিকা আমার কথা বোলো
আমার দৃঢ় বিশ্বাস সে নির্ঘাত তোমার দেশেই আছে।
 স্নোপাউডার দিয়ে ,সাজিয়ে গুছিয়ে তাকে  ফেরত দিয়ো তারে
সন্দেহজনক কাউকে পেলে যাচাই করে নিয়ো নিজের সাথে
অবশ্য হ্যা আমার প্রতিটা কবিতা ভুল করে লেখা হয়ে যায়। 

অচলায়তন

অচলায়তন
..... ঋষি
=========================================
ধরা যাক এমন একটা সময়
যখন রাস্তায় কেউ কোথাও নেই তুমি হেঁটে চলেছো।
মহেঞ্জোদড়ো ,সুমেরু ঘুরে
তোমার আবর্তনের মাটিতে তুমি একলা একটা পৃথিবী।
দ্রাঘিমাংশে মুখ লুকিয়ে রাখা শৈশবের সূর্য
ধরা যাক তোমার সূর্য প্রণাম তখন বালখিল্য।

ধরা যাক সেই দ্বীপে তুমি  পৃথিবী
আদম ,ইভ আসতে অনেক দেরি ,দেরি অনেক রিপুর।
সুতরাং তোমার এই পৃথিবীর শরীর শরীর  খেলা
ব্যাস্ততার নিরিখে লিখে রাখা দিনকাব্য সব ভ্রষ্ট।
কি করবে তুমি ?

দূরে সমুদ্রের আছড়ে পড়া ঢেউ যেন সোনালী বিকেলের শস্য খেত
আকাশের মাটির সুদৃশ্য বাতাবীতে রমণীর স্বাদ।
সব তখন তোমার অজানা
অজানা হাত দিয়ে ভাত মেখে খেতে হয়।
সম্পর্ক্যের ভিতর লুকোনো সত্যিগুলো যে এক একটা প্রহসন
অজানা তোমার বাঁচার কারণ।


আত্মাকে প্রশ্ন করছি মশাই এই ভাবেও বাঁচা যায়
একটা সিঙ্গেল ট্রেন জার্নির রাস্তায় কবিতা লিখতে লিখতে।

শৈত্যের শিহরণ

শৈত্যের শিহরণ
........ঋষি
==================================================
এই  নগরের রাস্তা কি বোঝে হেমন্তের অবসানে শীতের আগমন?
বুঝুক বা না, তুমি পা রাখলে তোমার  শিহরণ হয় আমার অন্তরাত্মায় ।
শিহরণ হয় নিজের ভিতর বাইরে সেই পাগলাটে চাহুনির
যার গভীরে তুমি শুয়ে থাকো সারাদিন প্যাপিরাসে লেখা সেই পবিত্র বাণী। 
আমার শরীরে, মনে বা শিশ্নে আর কোনো কাঁপন নেই
কাঁপন শুধু নিজের ভিতর বাড়তে থাকা চলন্তিকা তোমার স্পর্শে।


 আমি শুধু টের পাই পিচঢালা কালোর অমসৃণে রাস্তায়
পথচলতে  হুমড়ি খেয়ে পরে আমার মতো কেউ।
যার হাত পায়ের চামড়ার রুক্ষতা ,যার সিগারেট পোড়া ঠোঁটে অব্যক্ত হাসি
কাঁদতে থাকা প্রতিবাদ জীবন কখন যেন কবিতায়।
 তবে রাস্তাটি কবিতাপাগল মানুষের মতোই অনুভূতিপ্রবণ
আর ঋতুটা কবিতার মানুষের শুকিয়ে যাওয়া ঝরতে থাকা পাতার ।
 তোমার  অদৃশ্য উপস্থিতি 
তোমার ভালোবাসার তরঙ্গ শুধু  ফোর জি র সান্নিধ্যে একটা অন্য জগৎ।
তারপর নির্দিষ্ট স্পেকট্রামে শুধু মাত্র একলা সান্নিধ্য
মজা এই,
 আসন্ন শীতের বিকেলে এই নগরের রাস্তায় অজস্র কপোতকপোতি।

এই নগরের রাস্তা কি বোঝে এই ভারবাহী ঋতুর গভীরতা
মৃত্যু বোধহয় এমনি শুকনো কোনো সাদা পাতায় ফুটে ওঠা রক্ত ফোঁটা।
আমি যা বলতে চাই তা আর বলতে পারিনা
আমি লিখে ফেলি কবিতায় নিতান্ত গভীর অর্গাসম।
তোমাকে ভালোবাসি চলন্তিকা বদলানো প্রতিটা ঋতুতে তোমার সঙ্গম
তবুও শৈত্যের এই মৃত্যুমাসে তোমার অনুভব আমার নগরের রাস্তায়। 

অনুব্রত ভালো আছো

অনুব্রত ভালো আছো
............... ঋষি
===============================================
অনুব্রত ভালো আছো
রুপোলি ঝিকিমিকি পথে  পাথুরে সফলতা।
সকালের বোবা রৌদ্র খুলে রাখে অনেকটা সম্ভাবনা
খামের ভিতর লুকোনো চিঠি।
সফলতা নীরবে দাগ টেনে যায় তোমার পুরুষালি ঘামে
আর আমি শুধু রৌদ্র ছায়ায় তোমার কবিতা।

অনুব্রত তুমি স্বার্থপর বটে
নিজেকে ভালোরাখার সমস্ত করিৎকর্মা ইচ্ছাগুলো তোমার শান দেওয়া।
হওয়ার ভিতর কাটতে থাকে সাই সাই শব্দে
তোমার আধাপাকা চুলে অনেক ইতিহাস।
সব জানা আমার
কিন্তু তুমি আজও বোঝোনি তোমার ভিতর একটা শৈশব লুকোনো
লুকোনো খোঁজ একটা আশ্রয়ের।
প্রশ্রয়ে বেড়ে ওঠা গাছ
খোলা আকাশে মাথা উঁচু করে গভীরতা মাপতে চায়।
অথচ.তল পাও না
আর কত গভর তোমার বিষাক্ত শরীরের সক্রিয়তা।
অনুব্রত তোমার সাঁইত্রিশের নিরাপত্তায়
আমি আছি ,ঠিক যেমন তোমার শেষ না হওয়া রাস্তা।

অনুব্রত ভালো আছো
শৈশবের কালো রংগুলো সব অক্লান্ত জ্বালাতন তোমার।
ঘুম ভেঙে যায় মাঝরাত্রে
আমার খোলা বুকে শিশুর মতো তুমি স্তন পান করো।
মুখ ঘষে খুঁজতে চাও তোমার অধিকার
কেউ জানে না তখন তোমার চোখে জল থাকে।

নিরুত্তর সময়

নিরুত্তর সময়
..................... ঋষি
=======================================================
সময় নিরুত্তর করে দেয়
বুঝিয়ে দিয়ে যায় রিয়ালস্টিক লাইফে শুধু পাথর।
সত্যি কি তোয়ালের প্রেম বলে কিছু আছে
আলতো বাতাস ,তোমার গায়ের গন্ধ ,গভীরতা।
সত্যি যদি জানতে চাও বলি
পুরুষ মানুষ অধিকারহীন প্রেম পছন্দ করে।

বাড়ির বারান্দা থেকে বাড়ানো হাত
ট্রাম লাইন,এলেমেলো  বাতাস,হাফ ছুটি এসব একটা একটা মিথ।
 বারান্দা থেকে বাড়ানো হাত
 ডিসপ্লে থেকে ফুড়ে ওঠে দিল ওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে সিকোয়েন্স।
বেশ রোমান্টিক
যেভাবে দামী ক্যামেরার লেন্সে চোখ রেখে সকলে  ভাবি পৃথিবীর কি  সুন্দর।
মাটি থেকে অনেকটা উঁচুতে পা ঝুলিয়ে বসে বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে
জীবন তখন আস্ত একটা সিনেমা ।
কিন্তু ভুলে যাই সমস্ত রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা
শুধু খালি পায়ে সবুজ শিশিরের উপর হাঁটা
তারপর ঝুপ করে অন্ধকার  ।

সময় নিরুত্তর করে দেয়.
পুরোনো গ্রিটিংস কার্ডের ভেতরের  সময়ের লেখাগুলো ফটোফ্রেম সব।
সত্যি কি গভীর প্রেম বলে কিছু হয়
শুধু শরীরের গভীরে মাদুর বোনা যায়।
আর তারপর জুলজুল করে তাকিয়ে থাকা
আসলে মেয়েরা গভীর অধিকারে সমুদ্রে ডুবতে চায়। 

কাছে দূরে

কাছে দূরে
.... ঋষি
==========================================
দূরে থাকা ,পাশে থাকা
জরুরী হুকুম তামিল ম্যাডাম।
আসলে জানেন দূর থেকে কাছে আসা যায়
কিন্তু কাছ থেকে দূরে যাওয়া যায় না।
সরতে থাকা সূর্যের উত্তাপ নিরক্ষরেখা ছুঁয়ে থাকে
ভিজে যায় তরল বাতাস প্রতি স্পর্শে।

সেদিন বৃষ্টি ছিল
আগামী কোনো দিনে আবার বৃষ্টি হবে।
তুমি পা মচকে হোঁচট খাবে ,গায়ে তোমার কালো শাড়ি
রাত্রে ঘুমিয়ে পড়ার আগে নিজেকে বলবে আমি আজ ক্লান্ত।
কিন্তু ম্যাডাম তোমার বুকে আঙুলের ছাপ
তোমার বুকের ভাঁজে লোকানো সিগারেটের গন্ধ
লুকোবে কি করে।
আরো কাছে আসবে ,আরো কাছে
যেখান থেকে দূরে  সরা যায় না।
চোখের কাঁজল লেপ্টে বাড়তে থাকবে চশমার পাওয়ার
কিন্তু তোমাকে চুষে খাওয়া কমবে না
কারণ ঝড়ের আদরে তুমি শুকনো পাতা।
আর ঝড়ের দিনে
আমি  প্রচন্ড ধূলি ঝড়।

দূরে থাকা ,পাশে থাকা
পৃথিবীতে কিছু  গল্প  অসমাপ্ত কবিতার মতো।
তাজমহল শুধু সময়ের পরিচয় নয়
স্পর্শ যা ছুঁয়ে থাকে।
সাথে থাকা আর পাশে থাকা এক নয়
যেমন দূরে থেকে পাশে থাকা যায়। 

তুমহারি সালু

 তুমহারি  সালু
,,,, ঋষি
==================================================
এই বিকেলের শুকনো রৌদ্র ঠোঁট পুড়িয়ে যায়
পুড়িযে যায় দৃষ্টিতে রাখা দৃষ্টান্ত।
মনে আছি তাই আলাদা করে মনে করার দরকার হয় না
এফ এম এইটে জকি চিৎকার করে গুড ইভেনিং সিটি।
এর পরের গানটা শুধু  আপনার জন্য
বন  যা টু মেরি রানী ,,তুঝে। ..........

তারপর শুরু হয় শ্রুতি আর প্রতিশ্রুতি
তাজমহল দেওয়া নেওয়া আরো অনেক কিছু।
বেশ লাগে শুনতে
সময়ের দুপুরে যেখানে শুকনো রোদ চেটে খায় তোমার আমার কুকুর। 
ভিখিরীদের খিদে মেটে না বাড়তে থাকে ,
বাল্কি সালু একলা হতে হতে পুরো একলা হয়ে যায়।
সময় তখন দাঁড়িয়ে দেখে।
বিকেলের ব্যালকনি থেকে ভেসে আসা স্প্যানিশ গিটারের শব্দ
গীতবিতান হারিয়ে যায়
তবু তুমহারি  সালু হিট ,,ঘষা মজা অনুভবে।

এই বিকেলে একলা রৌদ্র তোর ঠোঁটে সিগারেটের গন্ধ
নিঃশ্বাসে গভীর আমরণ ভালো থাকা।
মনে থাকে যে ,তাকে মনে করবো কেন
শুধু অভিমান হক  বনতা হ্যা সালু।
এফ এম এইটে এর.পরের গান তোকে উৎসর্গ করা
রবিঠাকুর ,,,কাদম্বরী স্পর্শ করে।

ম্যাডামকে

ম্যাডামকে
....... ঋষি
===================================================
আহ্লাদে আটখানা
কোনো অনবরত রৌদ্রের তীরন্দাজি ভেঙে
এগিয়ে চলা।
ম্যাডাম বয়স  তো  পেরোলো  অনেকটা
এখন আপনাকে মেরে ফেলা হয়েছে ,না নিজেই মৃত
জানতে চাই  নি তো আমি।

চশমার কাঁচ বদল হলো
বদল হলো আপনার চামড়ার ভাঁজে জমতে থাকা অভিজ্ঞতা।
কার সাথে সংসার করতে
কিংবা  গুড়িয়ে  যাওয়া  সংসারের খবর আমি জানতে চাই নি।
জানতে চাই নি আপনার বুকের মাপ
আপনার দুঃখ।
আমার কলমের নিবে উঠে আসা সময়
হয়তো আপনার বুকের উষ্ণতায় উত্তাপের জন্ম দেয় ,
বিশ্বাস করুন সে আপনার নয়।
আমার লেখা কবিতা সময়ের হতে পারে
কিন্তু ভাবনারা নিতান্ত আমার সন্তান।

আহ্লাদ আটখানা
কোনো অবঘন মুহূর্তের পেট গুড়গুড়।
দোয়া করে বাথরুমের ফ্ল্যাশ টানতে ভুলবেন না
কবিতা আমার পাগলাটে হতে পারে কিন্তু বেয়াক্কলে নয়।
ম্যাডাম বয়স হলো খাই খাই ছেড়ে
আবার একটু নিজেকে সন্মান করতে শিখুন।   

Sunday, November 26, 2017

.কোজাগরী


.কোজাগরী
........................ ঋষি
==============================================

শব্দরা আগুনে সেঁকবে
আসন্ন শীতে সত্যি কি শহরের তাপমাত্রা সময়ের নিচে।
কোনো অবিবাহিত যুবতী গর্ভবতী হবে
নার্সিংহোমে খসে যাবে স্বপ্নের সংসার।
কোনো কালো যুবতী বিবাহিত হয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে
তার শরীরে বোঝা যাবে না পোড়া সিগারেটের দাগ ,আরো ক্ষত। 

পথ অবরোধ হবে
উলঙ্গ নারীশক্তি মোমবাতি মিছিলে মিডিয়ায় চিৎকার করবে।
চিৎকার করবে ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনে টিভিতে যোনি
আর ক্যাবে ড্যান্সে সেই মেয়ে রোজগেরে হবে।
বাড়িতে সেই মেয়ের বেরোজগারে স্বামী ,শিশু কন্যা
হয়তো সেই মেয়ে বাজে মেয়ে হবে।
বিজ্ঞাপনের মেয়ে বলবে , 'পুরুষ-শাসিত এই সমাজকে ধিক'
সাদা চকোলেটে ভেসে যাবে বেশ্যার মুখ।
নির্বাসিত কোনো কবিকে বেশ্যা বলা হবে
সমাজ হাসবে ,সমাজ পুঁতবে ,সমাজ ব্যবহার করবে
তারপর ছুঁড়ে ফেলবে কন্ডোমের ব্যবহারের মতো ।
প্রভূত ডেটল-জলে ধোয়া হবে  এক নার্সের অবিবাহিত হাত
আর অন্য অবিবাহিত যুবতী মৃত স্বপ্ন জন্ম দেবে।

কোনো কোজাগরী রাতে শরীর আবারও মাতবে শরীরে
পবিত্র বিবাহ ভিতে যুবতী রমণী হবে।
রমণী শব্দের নিরিবিলি শীতে আকাশ তখন স্তব্ধ লাল
শব্দরা আগুন সেঁকবে বারংবার।
আর তারপর শুধু প্রতিবাদ কবিতায় গুমরে যাবে
তবুও কোজাগরী চাঁদ আরো রোমান্টিক হবে।  

আমার কবিতা

আমার কবিতা
.................... ঋষি
===================================================
আমার কবিতার ভিতর আমি শুয়ে থাকি
শুয়ে থাকো তুমি আমার ভিতর।
আমার কবিতার শব্দের চাদরে লোকানো তোমার সভ্যতা
মিসিসিপি মিশে যায় সময়ের প্রান্তরে।
ঠিক তখনি সময়ের গোলন্দাজের যুদ্ধের শব্দ
তোমাকে বারংবার তোমার কাছে ফিরে যেতে হয়।

আমার কবিতার বই তোমার হৃদয়ে
দুপুরের বারান্দায় কোনো নাম না জানা পাখি  তোমার নাম ধরে ডাকে।
কেউ বোঝে না তুমি শুধু বোঝো
তোমার বুকের ভিতর তোমার সংসারের মাদুরে শুয়ে
তুমি স্পর্শ করো আমার কবিতা।
নিরিবিলি সন্ধ্যেতে সূর্য ডুবে যায় আমার নীরবতার সাথে
আমি ধৈর্য ধরে দেখি
তোমার সংসার ,তোমার রান্নাঘর ,সময়ের সঙ্গম ,তোমার শীৎকার।
রাত্রি হয়
সকলে যখন ঘুমিয়ে আমি লিখতে থাকি তোমার কবিতা।
শব্দরা তোমাকে জড়াতে থাকে
তোমার স্তনবৃন্তে মুখ রেখে কবিতার জন্ম অনবরত।

আমার কবিতারা বাস করে তোমার ভিতর '
আর  আমার ভিতর শব্দের লাভ স্রোতে গনগনে সময়ে আঁচ।
তুমি রুটি বানাতে থাকো ,খিদের পৃথিবী
আর আমি আকাশের চাঁদে রুটি ছিঁড়ি হিংস্র ভাবে।
তোমাকে বলা হয় নি '
আমার কবিতার নিতান্ত আমার নয়। 

প্রয়োজন

প্রয়োজন
..... ঋষি
================================================
দেখা হয়ে যাবে একদিন ঠিক
আমার মুখের কুলুপে লেগে যাবে পুরোনো প্রশ্ন।
জানলা ,দরজা বন্ধ চারদেওয়াল
অথচ আকাশ দেখা ,,,,,,,, সম্ভব বলেই আমরা জানি।
তুমি হাসবে তোমার তুবড়ি হাসি
তারপর মিশে যাবে।

অনেক কথা সেদিন
শতাব্দীর শেষ ব্রীজটা ভেঙে গেছে হৃদয় পারাপার বন্ধ।
এক নিঃশ্বাসে তুমি প্রশ্ন করবে শহরের কথা
উত্তরে আমি কলকাতায়।
শহর বদলাচ্ছে নিজের ধোঁয়াশায় আজকাল চোখ জ্বালা
সিগারেটের উত্তাপ ঠোঁট পোড়াচ্ছে ,,,
আমি দায়ী বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ।
পত্রিকা ভর্তি আবোলতাবোল লেখা
সাহিত্য পণ্যের ঝুলিতে সকলেই দূষিত এখন।
শুধু হৃদ্স্পন্দনে কিছু শব্দ চিরন্তন
তুমি অবাক হয়ে দেখবে ,,বলবে তোর ঢুলু ঢুলু চোখটায়
নেশা হয় আমার।
.
দেখা হয়ে যাবে একদিন
অনেক কথা আটকে যাবে আমাদের চোখের তলায় কালিতে।
কোনো শব্দ হবে না সেদিন
শুধু হয়তো মৃত ফেলে আসা সময়ে দুজনেই বোবা।
শহর বদলাচ্ছে সময়ের প্রয়োজনে
এই আমাদের প্রয়োজনে মিছে থাকা। 

ছায়ামানুষ (২)

ছায়ামানুষ (২)
..... ঋষি
================================================
সব ঠিক আছে বলে
নিজেকে হত্যা করছে সে বারংবার।
ছায়ামানুষ
বিবৃতিতে আছে স্বপ্নের দেওয়ালে আজ নেশার শেওলা।
শুধু অধিকার খুঁজছে
পচে মরা সামাজিকতা ভাবনার লোভ।


লাশটাকে সরিয়ে রাখতে হবে
ফোনের গ্লিসারিন খুলে ফেঁটে যাওয়া ত্বক।
রক্ত বেরোচ্ছে
তবু দাঁতের চৌপাটিতে গোলকুন্ডা ফোর্টের পুরোনো দরজা।
কামান দাগছে
আকাশের পায়রার আজও বর্তমান।
নবাবী স্টাইলে সে নিজেকে ক্ষুদার্থ রেখে
খিদে মেটাচ্ছে ,
তাইতো গালাগাল দিয়েছিলাম ঠোঁট কামড়ে
তোর বুকে খাবলে পরে।
খিদে
নিরিবিলি অভিধানে মানুষ আজও প্রিহিস্টোরিক্যাল।

সব ঠিক আছে বলে
সময়ের চারপাশে চাপা দেওয়া ছাই।
শুকনো রক্ত '
প্রতিবাদ প্রতিদিন শহর খুঁজছে যাতনার।
আর কটা দিন '
তারপর বোধ হয় মুক্তি।


নীল কলমে আদর

চলন্তিকা জানো। .... আদর আসছে এখন
want your touches all over... but im tired too..."

নিরিবিলি কবিতার মতো
গোটা একটা আকাশ তোমার শরীরে লিখবো বলে
নীল কলমে আদর।

ফরম্যাট বদলাচ্ছে কবিতার
আমার রিসাইকেল বিনে  জমে আছে প্রচুর স্পর্শ।
রিস্টোর চাইছে
সিস্টেম হ্যাং।

কবিতা লিখবো কি করে চলন্তিকা
আমার ভিতরে আজ শহরের দহন,শুকিয়ে যাওয়া  শুকনো পাতা।
রান্না করতে হবে যে
একটু নুন ,একটু তেল ,দু চারটে কাতলা।
না ইলিশ আমি ছুঁই না '
শুধু সেই রাসায়নিক স্বাদটা পেলেই হবে। 

অজানা আতঙ্ক
আচ্ছা যদি তোমার আমার দরজা বাইরে থেকে বন্ধ হয়ে যায়।
আমি তুমি তখন মৃত পাশাপাশি
নগ্ন।

দূরত্বের কবিতার মতো
গোটা একটা শহরে আমি কবিতা লিখতে চাই
নিশুতি রাতে ,

চলন্তিকা জানো। ,,,, ঘুম আসছে না
want your touches all over... but im tired too..."


অন্যমনস্ক শহর '



অন্যমনস্ক শহর '
...... ঋষি
==============================================
অন্যমনস্ক যাত্রা শুরু
এই শহরের ক্যাবে চেপে মধ্যবিত্তরা যায়,
একটু  সুখী হবে বলে
মাসের প্রথমে  সাহেবি স্টাইলে বৌকে নিয়ে যায় ক্যান্ডেল ডিনারে,
খোকা কেঁদে ওঠে ,মাস মাইনে শেষ
মা বলে  আর কটা দিন দাঁড়া সোনা বাবার মাইনে হয়ে যাবে।
.
জামার পকেট হাতড়ে
বেরিয়ে পরে মানুষের সিগারেটের পোড়ানো ইচ্ছে টুকু,
ধোঁয়া ছাড়া শহরের বুকে
চেপে ধরে টিফিন খরচা বাঁচানো ঈশ্বর ও তার প্রেমিকা ,
হয়তো কোনো রেস্টুরেন্টের কোনে বসে কোনো একলা প্রেমিক 
শেষ চুমুকে আঁকড়ে ধরে প্রেমিকার বুক ,তৃষ্ণার ওয়েসিস ।
গাছের তলায় বৃদ্ধদের শেষটুকু
বিড়িটান দিয়ে তাসের বিবিকে কেন যেন চশমার পাওয়ার চোখ মারে,
ঢুকে যায় সম্পদ ,যৌবনের কিনারায়
বয়স ঈশ্বরকে কনফেস করে হয়তো পুরোনো কোনো প্রেমিকার মুখ।
সবটাই আতঙ্ক এই শহরের 
বাঁচতে চাওয়ার লোভ 
শুধু প্রশ্রয়ে আশ্রয়ে খোঁজে দিনযাপন
জীবনের বাকি চারানা দিয়ে  যদি আট আনা পাওয়া যায়।

অন্যমনস্ক যাত্রা শুরু
এই শহরের মারাত্নক জ্যামে সেই ভবা পাগলা দাঁড়িয়ে।
বিড়  বিড় করে আকাশ খোঁজে '
বুঝতে পারে না দুনিয়া করলো মুঠঠীমে থিওরিটা,
হঠাৎ সে কেঁদে ওঠে
কেঁদে ওঠে শহরের আগামী সন্তানেরা তার ভাবনায় । 

রাতের কবিতা

রাতের কবিতা
.... ঋষি
==================================================

শীতের হিমেল বাতাস
বুকের ভিতর উষ্ণতা খুঁজে ফেরে সভ্যতার মাটি

তোমার বুকের বুকের বিভাজনে আজকে; লালচে ছোপ
দাগ হয়তো মিটবে
কিন্তু আশ্রয় ঘরের খোঁজে।

আখরোট ঠোঁট
চকোলেটে লেগে গেছে কেমন একটা ছিপছিপে ভাব।
আমি ভুলি নি কিছুই
যারা মনে থাকে তাদেরকে কি ভোলা যায় ?

গোটা শৈশব পেরিয়ে গেছে তোমাকে খুঁজতে
প্যাস্টেলে আঁকা কল্পনার দরজায় তুমি অপরূপা।
ঘুমিয়ে আছে বীর্য সফর অন্য জরায়ুতে
সময়ের মাতৃত্বেও প্রেম থাকে।
সবার তো মা থাকে না আমার মতো।

খুব সত্যি একটা কথা
প্রতি কম্পনে ঢুকে যাচ্ছি আমি তোমার ভিতর।
হয়তো কয়েকফোঁটা রক্ত তোমার বিছানায়
আমার শরীরে স্পর্শ সুখ।
সময় খঁজছে স্পেস নিজেদের ভিতর
কে কার ভিতরে দরজা খুলতে পারি দেখা যাক। 

অন্য স্টাইলে লেখা এই কবিতা
অন্ধকার রাট ঘুম আসছে না বোবা প্লাটফর্মে।
শুধু টিকিট কাউন্টারে অদৃশ্য ভিড়
আমাকে চিনতে পারছো তুমি ,তোমার স্বপ্নে।
এইবার শেষ টুকু লিখতে হবে যে
এখন অনেক রাত,কাল তো ফিরতে হবে তোমার কাছে
তোমার ট্রেনের স্টেশনে একলা দাঁড়িয়ে। 

একটা গল্প

একটা গল্প
,....... ঋষি
=============================================

গল্পের শেষ পৃষ্ঠায় ধুলো জমেছে
অমলিন ইচ্ছাদের মানুষ বোধহয় স্বপ্ন বলে ডাকে।
জীবনের আর্ধেকটা কেটে গেলো
বাকি আর্ধেকটা দিয়ে আমি কি করবো বুঝতে উঠতে পারি না।
জাবেদা খাতায় জীবনের হিসেবে মেলাতে বসি
দাগ টানি,ক্রমশ গভীর। .....,মেলাতে পারি না।

রাট জাগা চোখে কবিতা এসে ভিড় করে
ভিড় করে অজস্র মুখের ছায়াছবিতে ক্রমশ ভুলতে থাকা আলো।
অন্ধকার গ্রাস করে
আকাশের সিলিঙে নীলচে ধিমি আলো ,,, মৃদুমন্দ স্বপ্ন।
এই তো বেঁচে আছি জীবন '
আমি যে স্বপ্ন দেখতে ভুলি নি।
অদৃশ্য ক্যানভাসে ফুটে উঠতে থাকে গোটা একটা শহর
তারপর অজস্র শহর।
চিৎকার কোলাহল মিশিয়ে জীবন নিয়ে দাঁড়ায় ট্রেনের কামরায়
সরতে থাকে পিছনের দিকে।
ক্রমশ চেনা মুখ অচেনা হয়ে যায়।

গল্পের শেষ পৃষ্ঠায় জমতে থাকা ধুলো
তুমি বলো ক্রমশ আমি বাস্তববাদী কোনো নতুন উপাখ্যান।
কিন্তু তোমাকে বলে পারি না
এই গল্প ক্রমশ চলতে থাকবে ,বুকের কাছে দমবন্ধ কষ্ট।
নিরুত্তর জাবেদা খাতায় বাকি অর্ধেক জীবনের স্বপ্ন '
শুধু বেঁচে আছি সেজন্য বোধহয়। 

পায়রার আকাশ

পায়রার আকাশ
.... ঋষি
======================================================
নিরুত্তর অপেক্ষাকে লিখে দেওয়া ভালো
তুমি বাড়ি ফেরো,
তোমার অপেক্ষায় মাছের ঝোল ,গরম ভাত,একটা উষ্ণতা ।
ট্রেনের শেষ হুইসেলের শব্দে
ঘুম ফেরা মুসাফিরকে জানিয়ে রাখা ভালো
জীবন শুধু অপেক্ষার আরেক নাম।

খোলা আকাশে পায়রাদের কিছুটা বকবকুম
সময়ের উপর উপাধি ছড়িয়ে অনেক খুঁটে খাওয়া জীবন।
চলন্তিকা তোমার আঁচলে বাঁধা খুচরো কিছু জানলা
গানটা মনে পরে
অফকোর্স রবিঠাকুর
যদি তারে নাই চিনি গো সে কি আমায় নেবে চিনে
এই নব ফাল্গুনের দিনে--    জানি নে জানি নে॥
অদ্ভুত জানি না
সুখ তুমি শুয়ে থাকো সময়ের বুকে দাবানল
পুড়ে যাওয়া সুখ আর সবুজ আবরণ।
কাছে এসো চলন্তিকা
যেমন আসে সময় অপেক্ষার নিরুত্তাপে।

নিরুত্তর অপেক্ষাকে লিখে দেওয়া ভালো '
কাল আবার অন্যদিন।
ট্রেনের জানলা থেকে সরে যাওয়া সাময়িকী
ঈশ্বর তুমি নিরুত্তর গন্তব্যে দাঁড়িয়ে।
পরের স্টেশন অজানা
আকাঙ্খার ভিটে জীবন খুঁটে খাওয়া পায়রার আকাশ। 

Friday, November 24, 2017

কুয়াশার চাদর

কুয়াশার চাদর 
,,,,,, ঋষি
===========================================

এত রাতে একলা দাঁড়িয়ে
উপভোগ জীবনের মাত্রার ভালোটুকু  চুষে  খাওয়া।
সামনে সারি দিয়ে পরে  থাকা স্ট্রিট লাইট
ছায়া পথে আঁকিবুঁকি।
শীতের শেষ কুয়াশা চাদরে
ম্যাডাম এখনো জেগে ,,কি ব্যাপার  ঘুম কই ?

ম্যাডাম তোমার  চশমার  কাঁচে
ইতিউতি শহরের উপভোগগুলো সব সুঁচের মতো ফুটছে।
ম্যাডাম তোমার  একলা বারান্দায়
যে হাত এগিয়ে গিয়ে কুয়াশায় চাঁদ খুঁজছে ,,,, আদর ।
অল্প সময়ের  পরে এক অন্য সকাল হয়তো ,ব্যস্ততা
সকালের শরীরের স্পর্শ নিয়ে ভোরের বাতাসে তুমি এগিয়ে যাবে
কতদূর তোমার ইস্কুল?
তুমি তাকিয়ে দেখেছ অস্পষ্ট পথের রেখা---পথের ধারণা
স্বপ্ন, অন্ধকার বীজ, যা
ধীরে ধীরে আমাদের অস্তিত্বে মিশেছে।
সময় শীতের সকালে নেশায় ব্যস্ত
অল্প সময় পর সকাল হবে।

এত রাতে একলা দাঁড়িয়ে আমি
সময়ের তেজস্ক্রিয় বিমগুলো এফোঁড় ওফোঁড় হৃদয়।
গন্তব্যে এগিয়ে চলা স্বাভাবিকতা
অস্বাভাবিক স্ট্রিট লাইটের আলো ছায়া।
শীতের কুয়াশার চাদরে
কেমন একটা অন্যমনস্ক স্পর্শ ,,, তোমাকে চাই। 

Thursday, November 23, 2017

জীবন আবর্তন

জীবন আবর্তন
....ঋষি
=============================================
জানি না জীবন আবর্তনের পথে
কে কে উদ্বৃত্ত।
জানি না চলন্তিকা এই জীবনের শেষ রাস্তাটা
কোন শহর। কোন গলি। কোথায় শেষ ?
শুধু এটা জানি জীবন নামক চৌদ্দগুষ্ঠির পর আমার
একটা অন্য শুরুর অপেক্ষা।

চলন্তিকা তুই জানিস
কতোদিন হলো, ভালো কোনো খাবার খাই না।
জুতোটা, সত্যি-সত্যি এবার ছিঁড়তে শুরু করেছে
মাথাটা বিগড়োতে বিগড়োতে ট্রেন লাইনের এক্সপ্রেস গতিটা ছুটছে
যেন কোনো অজানাকে জানাটা জরুরী।
যেন একটা খিদে অসময়ের দরজায় হা করে দাঁড়িয়ে ঢোঁক গিলছে
 বেঁচে আছি তো?
এই সাজানো শহরের পলতে পলতে জমতে থাকা কালো কালি
প্রচুর কালি আমার সারা শরীরে।
দুহাতে ঘষছি,মুছতে চাইছি ,পারছি না
শুধু মনে হচ্ছে একটা ফুসফুসে ক্রমশ পালাবার শব্দ হচ্ছে।
অথচ বিশ্বাস কর চলন্তিকা
সুখী মেয়েরা পাখির মতো আমার সামনে গান গাইছে
আর হাসপাতালের নতুন ডাক্তার ঘুরে বেড়াচ্ছে দেবতার মতো।

জানি না জীবন আবর্তনের পথে
কোথায় শুরু আর কোথায় শেষ আমার আয়ু রেখার বিদ্রোহ।
অনেকদিন হলো, কোনোকিছুই ঘটছে না আর পৃথিবীতে
শুধু ফাঁকা ঘরে, চুপচাপ বেজে চলেছে রেডিও।
রেডিওতে এবার বিশেষ সংবাদ
বাঁচার জন্য কিছু  লোকের নতুন ফুসফুস দরকার। 

ইতিহাস

ইতিহাস
............. ঋষি
=================================================
অনিত্যের সাথে শেষ দেখা
সময়ের সাথে ফেলে আসা শেষটুকু আজ শুরু।
সময়ের রংবিচুলি কিছুটা অনিত্যের
আমি তুমি শুধু মহড়া জীবনের সংশয়ের।
অথচ সংশয় প্রতিদিনের বেঁচে থাকা
যেন অনুরণন ও অনুকরণ  জীবনের।

আজ থেকে শত সহস্র বছর পর
আমি তুমি শুধু স্মৃতি।
অথচ ওই স্মৃতি নিয়ে যারা জীবিত থাকে
তারা শত সহস্র ভুলে যায় ,ভুলে যায় সময়ের অভিসার।
অনবরত ক্ষরণের পর
যে স্মৃতি হয়তো কখনো কোনো মুহূর্তে মানুষের খুব কাছের।
চলন্তিকা সময় শুধু মানুষের আগামী নয়
সে যে বর্তমান ও অতীতের কালচিত্র।
যখন ইতিহাস সময়ের স্মৃতি
ঠিক তেমনি মানুষের ভবিষ্যৎ সময়ের খেলাঘর।
যেখানে বাঁধ ভাঙে ,গড়ে
অথচ মানুষ স্থির ,নির্বিকার।


অনিত্যের সাথে সন্ধি
অতীতের স্মৃতি আর ভবিষ্যতের ফাঁকে আজকের বর্তমান।
আমি তুমি স্থির নির্বিকার কোথাও হয়তো
কিন্তু শত সহস্র বছর পর আমরা হয়তো বেঁচে।
কারণ মৃত্যুটা মৃত্যুর পর
সময় স্মৃতি নামে কিছু ইতিহাস লিখে রাখে। 

Friday, November 17, 2017

ঘড়ির কাঁটা

ঘড়ির কাঁটা
.............. ঋষি
===================================================

রাত্রি নটা
তোর নিয়মিত রান্নার ঘড়িতে তখন সাজ সাজ রব।
মফস্বলের শেষ ট্রেনটা চলে গেছে আমার শহর থেকে
শুধু শীতের প্রথম সন্ধ্যা চলন্তিকা নিবেদন ,
আজ গরম ,গরম লুচি আর আলুরদম
আমার কবি কলমের খিদে এখন নাটবল্টু খুলতে চাইছে।

রাত বারোটা
তোর ক্লান্ত চোখে চলন্তিকা বিচ্ছিরি সিলিং।
বব্ধ জানলা ,দরজার পাশে ঘুমোনো গিটারগুলো সুর তুলছে
সুর তুলছে বুকের কেবিনে খোলা আকাশ।
ছাদের উপর একলা দাঁড়ানো চাঁদ শুধু তোর একার নয়
আমার শহরেও একলা দাঁড়িয়ে।

সকাল ছটা
ঘুম চটকে চিৎকার করছে কলিংবেল।
চায়ের রান্নাঘরে তখন চিল চিৎকার লেড়ো বিস্কুট।
স্কুল ,কলেজের রেশ লেগে গেছে তোর ঘড়িতে।
ঘড়ি চলছে দ্রুত
আর আমার বিছানায় তখন নাছোড়বান্দা ঘুম।

দুপুর তিনটে
আমার কবিতার পাশে বুক খুলে শুয়ে তোর আদর।
চাঁদের শুকনো জামাকাপড়গুলো বড়ো বেয়াক্কেলে
রিংগিং টোনে সময়ের ঘড়ি তোকে খুঁজছে।
হ্যালো সময় বলছি
আমাকে শহর তখন এক বুক আশা।

রাত্রি তিনটে
ঘুম না আসা তোর শহর ,পাশে খোলা জানলা।
এলোমেলো  ভিজিয়ে গেলো শীতের প্রথম কিছু কথা
জানি আনমনে হাসছিস তুই।
আর আমি এখন ব্যস্ত তুমুল স্বপ্নে
দরজা খুলছে ,,,প্রথম আলো ,,নতুন ভোর। 

চিরমুহূর্ত

চিরমুহূর্ত
............... ঋষি
==========================================
তোর বুকে লগে গেছে আমার সিগারেটের গন্ধ
তোর যোনি পর্দায় আজ স্বপ্ন ধারা।
তোর নাভির পাশে পরে থাকা মৃতদেহ
অনেক খবর লুকিয়ে থাকা বাঁচতে চাওয়া বারংবার।
দিনটার বৃষ্টির ছিল
কিন্তু সফরে ভিজে মাটির বদলে ছিল
ঘামের গন্ধ।

কোলাহল সমাজের পোষ পার্বন
বিশ্বের দরজায় তখন হাতছানি অজস্র না বলা কথনের।
আমার পোড়া বুকের পাশে
দাঁড়িয়ে থাকা সুমেরু আদলে স্তন। কথা বলছিল   ......
ফিসফিস
বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি।


ভিজে মাটির পাওনা গন্ডা
দু চারটে চরিত্ররা নিরুপায় দর্শক আমাদের কাছে।
ঈশ্বর শুধু মন্দির ,গির্জার নয়
আদলে প্রেম।
সত্যি ছিল বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষারা গভীর ঘ্রানে
শুধু এইভাবে একটা দিন ,,,,,খুব গভীর
চিরমুহূর্ত রঙিন । 

খিদে

খিদে
................... ঋষি
===============================================
খিদে
বুকের খাঁজে আটকে আছে কিচিরমিচির বকুনি।
পায়রার ছোট ছোট খামে বন্ধ আকাশ
খুঁজে চলে ডানার স্বপ্ন আকাশ ধরার।

এই কবিতা কখনো জনপ্রিয় নয়
মানুষের স্বপ্ন বিক্রি করে বাঁচতে চাওয়া এক ডজন গল্পগুলো
শুধু রিমিকি সিরিয়ালে সাস বাহুর কাহিনী।
শুধু অভিশাপ কুড়িয়ে একগাদা ভাবনা ফিরে চলে বাসস্থানে
রাত্রি নামে,অনিদ্রার খাপ ছাড়া ঘুমগুলো বড়ো যন্ত্রণার।
আবার সকাল আসে নিয়ম করে
আবার কুড়োতে থাকা মৃত স্বপ্ন ইচ্ছা বাসরে আকাশের ঘরে চিঠি।
চিঠি পৌঁছায় না
ফিরে আসে বর্ডারে কোনো মৃত সৈনিকের নাম।
গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে সমাজ ,বন্দুকের শব্দ লালকেল্লায়
তারপর দৈনন্দিন। ....

খবরের পাতায় খুব কোলাহল
আহা ,উহু ,ইশ সকলের মুখে হরেকরেকম্বা।
দরিদ্র ইতিহাস থেকে শহরে ফুলকি ঝরতে থাকে '
মৃত স্বপ্ন বীজ আবার সকালের শিশিরে।
জন্ম হয় ইচ্ছা
চলতে থাকে। 

The hidden river is your silent huff

The hidden river is your silent huff
.
জোর করে মুঠিবদ্ধ সময় 
তোর সময়ের পাঁজরে জমতে থাকা জঞ্জাল। 
সবটুকু আকুতি নিয়ে ক্লোরোফরমিয় বাঁচা 
তবুও ডুবে মরা বারংবার রক্তাক্ত হৃদয়। 
আঁকিবুঁকি নদীতটে জল উপচে পরে কোনো ঝোড়ো হাওয়া 
সময়ের আগুনে অভিশপ্ত খেলাঘর। 

জ্যোৎস্ন্যা এসে খেলা করে তোর লুকোনো বুকের বিভাজনে মৃদুমন্দ নদী
স্বপ্নেরা সব নদীতটে বেড়ে ওঠা সম্পদ। 
গুমরে মরে আগামী ,গলার কাছে ডেলা বাঁধা কথাগুলো 
আমি ঠিক শুনতে পাই। 
আমিও যে বাঁচতে চায় নদীতটে মৃদুমন্দ স্বপ্ন বুকে 
আমিও ঢিমেতালে পা মেলাতে চাই তোর সম্পদে। 
এই সব রূপকথা কেন যেন আমার ভীষণ প্রিয় 
চোখে স্বপ্নে লেগে আছে রূপসী মুহূর্তরা। 
চলে যাওয়া আর চলতে থাকা পার্থক্য খুঁজতে গিয়ে 
আজকাল বারংবার হোঁচট খাই। 
মুখ থুবড়ে পড়ি রঙিন বালুতটে তখন শুকনো নদী
নদীর নোনা জলে খুঁজে পাওয়া তোকে তখন আমার অমৃত মনে হয় । 

জোর করে মুঠিবদ্ধ সময়
জিততে চাওয়া স্বভাব মানুষের গভীরে পরিণতি। 
কেউ কেউ তোর আমার মতো শুধু আবর্তন হয় 
আর পরিবর্তন নিজের আয়নায় দেখা ওপরের মুখ। 
বেশ তো শুকিয়ে যাওয়া নদী আমার থাকুক
থাকুক আমার একান্ত লুকোনো তুই।

.... ঋষি 

তবুও বৃষ্টি আসে

তবুও বৃষ্টি আসে
..... ঋষি
=========================================================
বৃষ্টি কোনো একলা দিনে কবিতার মতো প্রিয়
শুধু এইটুকু।
ঝরতে  থাকা জলের ফোঁটায় যদি কোনো উপাখ্যান  নিয়ম হয়ে যায়
 সময়ের যোগফলে যদি কোনো নিয়ম গল্প হয়ে যায়।
মীরজাফর যদি ইতিহাস হয়ে আসে
ঠিক তখন বৃষ্টি আসে।

এই সব নিয়ম কানুন হিসেবের যোগফল সবটাই বাহ্যিক
সতীদাহ থেকে কুমারী যোনিতে সমাজের নিয়ম সবটাই প্রাচীন।
তবুও বৃষ্টি আসে
একজন ষোলোবছরের মেয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গুনে চলে বৃষ্টি ফোঁটা
তার কপাল বেয়ে ঝরতে সমাজের থাকে লাল রক্ত শাওয়ারের জলে।
ফুটেজে চলে আসে বিনোদন দুনিয়া
বৃষ্টির ছাটে হাত বাড়িয়ে কোনো শৈশব খুঁজে পেতে চায় খোলা আকাশ।
বৃষ্টি আসে বারংবার
অসময়ের বৃষ্টিতে সময়ের সর্দি ,কাশি ,জ্বর
সবটাই প্রাচীন ,সবটাই সকলের জানা।
শুধু জানা নেই সময়ের বৃষ্টিতে ভিজে চলা বর্তমান
আগামী কোনো দিনে বৃষ্টির স্বপ্ন দেখে।

বৃষ্টি কোনো একলা দিনে কবিতার মতো প্রিয়
এইটুকু জানা।
বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়া পথ ঘাট ,নথিপত্র
সবটাই সাক্ষী রেখে যায় বৃষ্টির চলে যাওয়ার।
গাছের সবুজ ঠোঁটে তখন বাঁচার ইতিহাস
বৃষ্টি জীবনের ইতিহাস জানে।

Tuesday, November 14, 2017

চলন্তিকা আমার নাম

চলন্তিকা আমার নাম
....................... ঋষি
=========================================================
অপেক্ষায় আছি সেই কবিতার যা কখনো লেখা হয় নি
যার স্বর্ণের শব্দের স্পর্শগুলো ছড়িয়ে পড়বে চাঁদের জ্যোৎস্নার মতো।
অপেক্ষায় আছি এমন পৃথিবীর
যার প্রতি আবর্তনে শুধু অমৃত স্বাদ ,অনন্ত বাঁচা।
অপেক্ষায় আছি সেই সোনালী সকালের
যার প্রতি আলোকরশ্মি আমার বুকে শুধু তোমার মতো হবে।

এই সব ঘ্যান ঘ্যানে , তালি মারা চরিত্ররা
তখন অন্য পৃথিবীর গল্প।
এই সব শব্দের পাহাড়ে চড়ে খুঁজে পাওয়া একলা বোধগুলো
অবিরত বৃষ্টি।
চাঁদের পাহাড়ে কোনো ইচ্ছা সেদিন এক ঘরে নয়
স্বাধীন সাদা ঘোড়া ,টগবগ টগবগ ছুটবে রক্তের ধারায়।
জেগে উঠবে সোনালী ভোর
সবুজ শিশির জমা হবে নরম ঘাসের উপর।
শৈশব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া কিংবদন্তি মতবাদ
ইঁদুর ,বেড়ালগুলো তখন নিজের ফাঁদে।
খিদের পৃথিবী বদলে সেদিন লিখবে কবি সোনালী ফসলের কথা
সংবাদপত্রগুলো বদলে যাবে ভালোবাসার খবরে।

অপেক্ষায় আছি সেই কবিতার যা বদলাবে পৃথিবী
অপেক্ষায় আছি সেই কবির যার কলমে ঈশ্বর।
শুধু মাত্র পণ্যের মাত্রায় শব্দরা নেংটি পরে দাঁড়াবে না কোনো পত্রিকায়
শব্দদের নিজেদের অঙ্গীকার হবে আলোর মতো।
সেদিন তুমি স্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আমার সামনে
বলবে ,,,,, চলন্তিকা আমার নাম।  

সাথে বাঁচা

সাথে বাঁচা
...ঋষি
=================================================
তোমার না শেষ হওয়া গল্পগুলো তোমাকে ডাকছে
তোমাকে ডাকছে তোমার শৈশবের হারানো নাম।
তোমার নিজস্বতায় লুকিয়ে থাকা মুক্তি
তোমাকে ডাকছে।
তোমাকে ডাকছে তোমার মেনে নেওয়া জীবনের টুকরোটাকরা ইচ্ছা
আর তোমার বাঁচা।

বাঁচা শব্দটা সেই ম্যানড্রেকের ঝুলি
যার হাজারো কৃপণতার ফাঁকে একটা ম্যাজিক পায়রা লোকানো।
তুমি চোখ বুজলে রাজকুমারী
তোমার হাতে বদলানো ভবিষ্যতের চাবি।
দরজা খোলো
কেমন একটা ভাঙা পুরোনো বাড়ির শব্দগুলো তোমার পিছনে
তাড়া করছে ।
তুমি দৌড়োচ্ছ ,তুমি হাপাচ্ছো ,তুমি ভাবছো
একে তুমি জীবন বলো ?
ম্যানড্রেক সাহেব মনে মনে খুব হাসছেন
তার পায়রাটা এখনো ঝুলির ভিতর।

তোমার বেঁচে ওঠা স্বপ্নগুলো তোমাকে ডাকছে
তোমাকে ডাকছে তোমার হারানো সময়ের স্মৃতি।
তোমার নিজস্বতায় লুকিয়ে থাকা শক্তিরা
তোমায় ডাকছে।
তোমাকে ডাকছে তোমার ব্যস্ততার জীবনে আমার  পরিসর
ইচ্ছা সাথে বাঁচা। 

অধীনতা

অধীনতা
.................ঋষি
=============================================
যে সাহসের অধীনতা তুমি করছো
তাকে তুমি প্রেম বলো।
প্রতিটা ভেঙে পরার পরে তুমি যাকে আঁকড়ে ধরো
তাকে তুমি জীবন বলো।
কিন্তু যখন একটা অস্তিত্ব অধীন হয়ে যায়
তুমি জানো না তাকে হৃদয়  বলে।

আসলে জীবনের চলার পথে চুক্তিগুলো সব বিরক্তিকর
পায়ের শিকলে লেগে  থাকা ক্লান্তি অনন্ত।
মানুষ বাঁচতে চায়
তাই হাত বাড়িয়ে আকাশ ধরতে চায় ,খুঁজে পেতে চায় নিজেকে।
আকাশ কখনো মাটিতে নেমে আসে না
পাঠিয়ে দেয় মেঘলা রঙের স্বপ্ন ,বিশ্বাসে ভীত।
মানুষ প্রেমে পরে
মানুষ একা থাকে আরো বেশি ,খুঁজতে থাকে নিজেকে।
সেই নীল আকাশের চাদর
নীলচে রঙের স্বপ্ন আর বাঁচার অধিকার।

যে সাহসের অধীনতা তুমি করছো
তাকে আমি বেঁচে থাকা বলি।
প্রতিটা হেরে যাওয়ার পর খুঁজতে থাকা তোমার খোলা বুকটাকে
আমি আশ্রয়ের উষ্ণতা বলি।
কিন্তু যখন তুমি অন্য হয়ে যাও
আমি হাতড়াতে থাকি হৃদয় ,,,,বাঁচতে চাওয়ায়।  

তোমার কথা (৪)

তোমার কথা (৪)
.... ঋষি
============================================
তোমার কথা লিখতে গেলে
আমি অবাক হয়ে যায় এই সামান্য  জীবনে
ঠিক কতটুকু তোমাকে সত্যি জানা যায়।
ঈশ্বরের পুজোয় যেমন কোনো আবরণ থাকে না
ঠিক তেমনি তুমি  আমার কাছে  আমার আমি 
আমার কবিতায়।

নগ্নতা
জন্ম অবধি শব্দটা ভীষণ প্রিয় আমার কাছে।
আকাশের চাঁদে আমি তাই কারণ খুঁজে  পাই
খুঁজে পাই তোমার শরীরে একটা পৃথিবী কোনো অলীক ঈশ্বর।
সেই পৃথিবীর মাটিতে আমি আর্মস্ট্রং
পুঁতে দি পতাকা কোনো চেনা অধিকারে।
তোমার স্নানের ঘরে ,তোমার চুলের ক্লীবে ,তোমার সমস্ত অধিকারে
আমি থাকি তাই ,ঠিক যেমন করে তুমি রাখো।
তোমার রান্নাঘরের চুল্লিতে। তোমার অবাক হয়ে দেখা দৃশ্যের গভীরে
আমি বাঁচি ঠিক ,ঠিক যেমন করে তুমি রাখো।
তোমার নিঃশ্বাসে ,তোমার রক্তের প্রতি কণিকায়
আমার হৃদস্পন্দন
তাই তোমার চোখের জলে আমার মৃত্যু বারংবার।
আমার জীবনের দিশাগুলো ইচ্ছে খুঁজে পায়
আমার বেঁচে থাকায় ,আমার কবিতায়।

তোমার কথা লিখতে গেলে
তাই আমাকে পৃথিবী লিখতে হয় ,লিখতে হয় মানুষ।
তোমাকে পাওয়ার জন্য
আমাকে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় সময়ের প্রতি পাড়ায়।
তারপর যখন আমি ক্লান্ত ঘুমের গভীরতায়
তুমি বারংবার ফিরে আসো আমার কবিতায়।  

ঐশ্বরিক শব্দকোষ

ঐশ্বরিক শব্দকোষ
...... ঋষি
=====================================================
শব্দ  খুঁজতে খুঁজতে কখন যেন
একটা আস্ত শব্দকোষ ছিঁড়ে ফেলেছি।
পৃথিবী খুঁজতে খুঁজতে কখন যেন নিজেকে
পৃথিবীর বাইরে নিয়ে ফেলেছি।
ভুলে গেছি পৃথিবীর কথা আর পৃথিবীর কবিতা
খুব সাধারণ।
যেখানে পায়ের তলায় মাটি আর বাঁচার স্বাধীনতা
শুধু শব্দ নয় একটা এনসাইক্লোপিডিয়া ,,,,,, অদ্ভুত
যেটা  মানুষের পরিচয়।

ঈশ্বর নামক শব্দটাকে দেখি আমি প্রতিদিন সেই বাজারি বেশ্যার চোখে
প্রতিবার বলাৎকারের পর দেখতে পায়।
এই শব্দটা খুঁজতে আমি সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে কল্পনায় খুঁজে পাই
কোনো ঐশ্বরিক ঢেউ যেখানে আমি বিলীন।
ঈশ্বর শব্দের সন্ধি ছেদ করে
কারখানায় ঘষতে থাকে সেই  শৈশবের হাত।
ওই শব্দে চিৎকার করে সেই ভিখিরি
যার গলার স্বর বাসে,ট্রামে মানুষের ভীষণ প্রিয়।
সেই সন্তানহারা মা ,সেই শৈশব হারানো শিশু ,সেই দরিদ্র সমাজ
সকলেই ঈশ্বরের করুনায়।
অথচ আমি দুঃখের মাঝে ঈশ্বর খুঁজি
কোনো বেকার পঁয়ত্রিশ লিখে চলি ঈশ্বরের শব্দের শরীর।

শব্দ
খুব গভীরে শোনা ঈশ্বরের প্রতিধ্বনি আমার কাছে।
মানুষের মাঝে ঈশ্বর ,ঈশ্বরের মাঝে সত্যি
বড়ো অবুঝ  এনসাইক্লোপিডিয়া মানুষের কীর্তি। 

জনস্বার্থে লাঘু

জনস্বার্থে লাঘু
......................ঋষি
=========================================================
যারা সকাল সন্ধ্যের তফাৎ করতে ভুলে যায়
তাদের আমি অন্ধকার বলি
আমার সামনে থেকে দুপুর হাঁটতে হাঁটতে বিকেল হয়ে গেলো
এখন সন্ধ্যে
অথচ জীবনের অন্ধকারগুলো প্রদীপ ভাঙা পুতুলের মতো বেরঙিন
আমি আলোতে থাকতে থাকতে অন্ধকার হয়ে গেলাম

তোমাকে বলেছিলাম সাথে থাকতে
ফোন কাটার পর ওপারে বিরক্তিকর শব্দটা অনেকটা হুইসেলের মতো।
স্টেশন ছেড়ে তোমার মতো কেউ আমাকে ছেড়ে গেলো না
ছেড়ে গেলাম আমি নিজেকে তোমার থেকে দূরে।
এমন বারংবার
রাত কেটে সকাল ,তারপর সন্ধ্যে আবার রাত।
জীবনের ধারাপাতগুলো তুমি আমি রপ্ত
কিন্তু মিথ্যে বলতে পারি নি
তোমাকে ছাড়া বাঁচা যায় একটা জীবন অথচ মুহূর্ত বাঁচা যায় না।
তোমার আখরোট ঠোঁটে লেগে থাকা
আমার মৃত গন্ধ ,হয়তো হারিয়ে যায় জীবনে জটিল বেচা কেনায়। 
অথচ আমি জানি ফিরে আসে বারংবার
তোমার প্রতিটা মৃত্যুর পর আমার সিগারেট পোড়া ঠোঁট।

যারা সকাল সন্ধ্যের দূরত্ব ভুলে যায়
তারা আমার মতো পূজারী।
যার মন্দিরে ঈশ্বর নামক ভালোবাসার পার্থক্য
শুধু জনস্বার্থে লাঘু।
আর বাকিটা তুমি জানো আমি জানি
কারণ আমার প্রতিটা মৃত্যুর একমাত্র সাক্ষী তুমি। 

ঈশ্বর বোধ

ঈশ্বর বোধ
...... ঋষি
================================================
সময়ের উপকরণ দু চারটে ছাড়ানো রসুন
কয়েক  কোয়া আদা।
রান্না করছেন ঈশ্বর মানুষের সময়গুলো নিজের স্বাদে
বিশ্বাস করুন জজসাহেব,এই হত্যা আমি করি নি ,ঈশ্বর করেছেন।
নিজের নিজস্বতায় ,নিজের স্বাদে
মানুষ শুধু অধিকার চেয়ে গেছে ,বাকিটুকু ফাঁকি ।

আমার চলন্তিকা আছে
চার দেওয়ালের অধিকারে আমি তাকে  নগ্ন  হতে দেখেছি।
দেখেছি দিনের পর  দিন নিজেকে নষ্ট করতে
সময়ের ঈশ্বর নিজের রান্নার স্বাদে শুধু এত তেল ,লঙ্কা ,নুন দিলেন
কিন্তু ভালো থাকা টুকু দিতে ভুলে গেলেন।   

হাসছেন ঈশ্বর
বলছেন জজসাহেব সবটুকু যদি আমি মানুষকে দিয়েই দি,
তবে আমার থাকবে কি ,কি নিয়ে আমার সাম্রাজ্য
আমার অধিকার।
তাইতো অধিকার বোধ দিলাম  আমি মানুষকে
দিলাম অন্য সকল বোধ ,শুধু ইনকমপ্লিট ছেড়ে দিলাম
আমাকে মনে করবে বলে।
দুঃখ আছে তাইতো আমি আছি
না এই স্বার্থপর মানুষগুলো থোড়াই আমাকে মনে করবে।

সময়ের উপকরণ দু চারটে ছাড়ানো চামড়া
তার উপর লংকার গুঁড়ো।
রান্না করছেন ঈশ্বর মানুষের অনধিকারে রাখা আকাশটাকে
বিশ্বাস করুন জজসাহেব ,এই আকাশ তাই তো বদলায় ,লালচে সিঁদুরে।
তারপর বৃষ্টি হয় ,কিন্তু মানুষের দুঃখগুলো
কখন যেন ঈশ্বরের মতো মানুষ মনে করে চিরকাল। 

বাঁচা এখনো বাকি

বাঁচা এখনো  বাকি
.... ঋষি   
=================================================
জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো
সময়ের নফরতে কিছুটা হয়তো কারণসংগত।
অসঙ্গত সময়ের ভিটে মাটি
ভেজা বাস্প।
চলন্তিকা কখনো ভাবি  নি জীবন শুধু  কাটিয়ে দেওয়ার অন্য নাম  নয়
নফরতের ফাঁকে কোথাও জীবন এখনো  বাকি বেঁচে  থাকায়।

চলন্তিকা শুধু কি জীবনের   কাব্য লিখে চলেছি  আমি
আমার সময়ের  পাতায়  পাতায়  জমে  থাকা অজস্র নফরতের আলিঙ্গন।
দুঃখ  শুধু মানুষের   নিজস্বতায়  নয় ,ভাবনায়
তাই তো  ভাবনা  বদলে  বাঁচা।
তোমাকে পাওয়া কোনো  জীবনের ভিটে মাটিতে কুড়িয়ে  পাওয়া ঝিনুক
শৈশবের কবিতায়।
সুন্দর  সাজানো  সময়ের বিঘ্নতায় খুব আদরে লোকানো
সেই সব ব্যাকুলতা, বাঁচা ,তুমি। 
সময় বদলাবে ,বদলাবে  মানুষের ভাবনায় নিজস্ব দুঃখগুলো
কারণ  কোনো দুঃখ চিরস্থায়ী নয়। 
পৃথিবীতে  বায়ুশূন্য কোনো স্থান  পাওয়া মুশকিল
তাই মুশকিল আসান বাঁচতে  হলে  ভাবনা বদলাতে হবে।
অক্সিজেন
সময়ের কালোগুলো ভুলে বাঁচতে চাওয়া। 

জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো
বদলাতে থাকা মানুষের স্বভাবের আয়নায়  ভুলতে চাওয়া  সময়।
অসঙ্গত   এখানে  থেমে থাকা
তাই শক্ত  মাটি। 
মাটি  খোঁড়ো বেরিয়ে  পড়বে কঙ্কাল  আরো  অনেক  কিছু 
কিন্তু বাঁচা এখনো  বাকি ,তাই বেঁচে।


.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...