Thursday, July 31, 2014

rishi026@gmail.com

কে তুই
............... ঋষি

সুন্দর ভেবে তোকে সাজায় ফুলচন্দনে
বুকের পাথরে আমি অবাঞ্চিত কবিতা।
হেঁসেল ঘেষে বেড়ে ওঠা অভিমুন্যের
শুধু হেরে যাওয়া যুদ্ধের ছবিটা।

সহস্র সঙ্গমে জমে ওঠা পারদ
শরীর ছাড়িয়ে আকাশি রঙের ঢেউ।
নীলনদের কালো জলে আরক্ত চোখ
ভালোবাসা তোর অন্তিম কেউ।

শীত্কার শুধু শীত্কার
শরীর দিয়ে দেওয়াল ঘষে দেখিস।
বিছনার কবিতারা কাঁদছে
নিজেকে একটু মিলিয়ে মিশিয়ে রাখিস।

পুড়িয়ে দিয়ে , পিছিয়ে যাওয়া দেওয়ালে পিঠ
কোনো এক ম্যাগাজিনে কল্পিত মিথ।
সময় চলিয়া যায় ,সীতার আগুনে ছাই
বিন্দাস বিলকুল ,রোমান্টিক নগ্ন গীত।

মোটা ভীষণ ,মোটা ,তুচ্ছ জীবন্ত চোখ
জানিস তো শরীর আহুতি  চাই পুড়তে।
কিন্তু সমুদ্র সৈকতে শুধূ বালি
ঝড় আর ঝড় ,যাচ্ছিস শান্তি ধরতে।

সুন্দর করে সাজিয়ে রাখিস
বুকের তরঙ্গে ঢেউ আদরনীয় কবিতা।
তোর আঁচলে বাঁধা সিঁথির লাল রং
শুধু পেতে চাওয়া গভীর প্রেমের ছবিটা।





rishi026@gmail.com

কবিতার খাতায়
........... ঋষি

নিজেকে নিজের করে ভাবি নি কখনো
কষ্টের ডানায় ভর করে মেঘলা আকাশ।
আর আকাশ সমুদ্রে নিশ্চিত বাউল
নিজেকে কবিতা করি নি কখনো।

দূর থেকে ,দূর থেকে
সমুদ্র চলে গেছে নীল আকাশের অন্তরালে।
আর আমি বাস্তব নাবিক
নিজের জাহাজের পাল তুলি নি কখনো।
দেখি নি সমুদ্রের অজস্র গরল
নোনতা চোখের জল
চোরা বালি কিন্তু নিজেকে হারাতে পারি নি কখনো।


হতে পারি এক সামুদ্রিক ঝড় অনন্ত মুক্তি
স্পর্শ জুড়ে শুধু শরীর আর রক্ত আর।
মৃত্যুর মতো কিছু স্পর্শিল ,
কিন্তু আমি যে পাগলাটে বাউল।
ঘর ছাড়া ,বাঁধন ছাড়া ,দু হাতে শুধু প্রেম কুড়োতে চাই
সমুদ্র সৈকতে দু চারটে কুড়োনো মুক্ত ,প্রেম
ভালোবেসে তোমাকে দিতে চাই।

নিজের ডানায় ভর করে এক তৃষ্ণা ঈগল
আকাশের গায়ে ,খুব দুরে ,খুব দুরে।
আমি হিংস্র ,গরল ,বিষ
মৃত্যু  তোমাকে জড়িয়ে ধরতে চাই।

rishi026@gmail.com

কল্পক
.......... ঋষি

কল্পিত আমি ভাবনার গালে
কিছুটা স্বপ্ন ঘষে নিলাম।
কিন্তু বুঝলাম না কিছুতেই
তোর গাল এত লাল কেন।

বুঝলাম না জানিস
কাশ্মীর কেন তোর গালে আপেলের মতো।
একটু ভাবলাম
ভেবে দেখি তুই গলে যাচ্ছিস
আরে বরফ নাকি ,ওমা কি লজ্জা।

লজ্জা লজ্জা ঠোঁটের গালিচা
আরে স্বপ্নগুলো হেঁটে যাচ্ছে।
ফিরে আয় পিছে বস্তা বন্দী কিছুটা সময়
ওমা আকাশের চাঁদ তোর কপালে
এক আকাশ বুকে অন্ধ ভিখারী।

কল্পিত আমি ভাবনার শরীরে
অলি গলি নেয়ে চেনা অচেনা তুই।
হাসছি জানিস এতটাই
আমার সাদা পাতার কবিতা তুই।

RISHI026@GMAIL.COM

শেওলা রঙের শহর
............ ঋষি

ঘরের বুননে লুকোনো অন্তর দহন
কিছুটা অবেলায় লেখা তোমার নাভিতে শহর।
ক্লান্ত জোত্স্নায় ক্লাসিফায়েডের পাতায়
ছুঁড়ি ,কাঁচি
সবটুকু ভালো লাগা নিয়ে আমার শহর।

পাতার পর পাতা জুড়ে ভিক্টোরিয়া ,গড়ের মাঠ
নন্দনের অন্ধকারে চলন্ত ছায়াছবি।
লুকোচুরি মুহুর্তদের সাজানো কফিহাউস
ব্যস্ততার ভিড়ে চলন্ত মেঘ আমার শহরে
কখনো কখনো একলা সময়ে আমি কবি ।

প্রেম বন্যার শেষ বিকেলটা গঙ্গার জলে
ডিঙ্গি নৌকায় আধুলি চাঁদে ছোটো স্বপ্ন।
ইলিশ গুড়ি বৃষ্টি আকাশের মেঘ
তোমার মুখ আমার শহরের আকাশে
লুকিয়ে আসে মনে কনে গভীর প্রশ্ন ।

তখন ভেঙ্গে যায় বাঁধ
আমার শহর জুড়ে সাজানো সফলতা।
পেজ থ্রির সিঁড়ি বেয়ে একটু উপরে
আমি আধুনিক কবিতায় তোমায় ছুঁয়ে
কিন্তু কোথায় যেন তুমি ক্লান্ত বিফলতায় ।

ঘরের বুননে বোনা চেনা সোয়েটার
পুরনো কবিতারা গা গলায় তোমায় ঘিরে।
নেমে আসে সময় আরো গভীরে
আমার শহরে অন্তরক্ষরণ
প্রেম আর ফেলে আসা মুহূর্ত শেওলা রঙে।

Wednesday, July 30, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

সত্যি বলছি
.............. ঋষি

সত্যি বলছি তোকে আমি দেখতে পাচ্ছি
তোর বুকের অলিগলি  দিয়ে আমার ঘরটা।
আমি ঠিক চিনতে পারছি
কিন্তু কি জানিস
আমি সত্যি বলছি তোকে ছুঁতে পাচ্ছি না।

রোজ রাতে বিছানার জানলার কড়িকাঠে
আমি ঠিক  দাঁড়িয়ে থাকি জোত্স্না বুকে।
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে জোত্স্নার কারিকুরি
আমি পুড়তে থাকি ঘুমের ঘোরে
আমি সত্যি বলছি ঘুম ভেঙ্গে যায়।

সকালের সূর্য তোর চোখের পাতায়
তুই চোখ খুলিস আমি দেখতে পাই।
তোর শাওয়ারের জলে শীতল স্পর্শগুলো
আমি কাঁপতে থাকি
আমি সত্যি বলছি আমার জ্বর এসে যায়।

তোর পথের ধারে আমি ক্ষুদ্র পাথরকুচি
তুই আসিস পথে আমি মুগ্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু সত্যি বলছি যখনি
আমি জড়াতে যায়
কোথায় এক  খাঁচার মাঝে আমি আটকে যায়।

সত্যি বলছি আমি তোকে দেখতে পাচ্ছি
দেখতে পাচ্ছি তোর বুক ঘেঁষে মেঘলা বিকেল।
আমি ঠিক চিনতে পারছি
কিন্তু কি জানিস
আমি সত্যি তোকে আর দুরে রাখতে পারছি না। 

RISHI026@GMAIL.COM

ওরা কারা
.............. ঋষি

যারা অন্ধকারে মিশে যায় শরীরে সাথে
বদলে দুচার কড়ি খিদে গায়ে মেখে।

যারা জীবনটাকে যন্ত্রনায় মুড়ে হাসতে পারে
শরীরের দামে শুধু নিজেকে পোড়াতে পারে ।

যারা রোজ রাত্রে বিক্রি করে ভালোবাসা
যাদের বাঁচতে চাওয়া শুধু সর্বনাসা।

যারা মেশিনের মতো ভালোবাসার পণ্য
আর যারা জীবন যুদ্ধে সাধারণের ঘৃণ্য।


রাত্রির  শয়নে নগরীর প্রতি মোড়ে
যার পরিচয় শুধু জন্ম মৃত্যু ঘোরে।

যাদের ঘরে জ্বলতে থাকে শুধু প্রয়োজন
তারাই তো মাংস আর রাত্রের ভোজন।

যাদের ঠিকানা শুধু পচা শরীরের গলি
 স্বপ্নের বাসরে ওরা চম্পাকলি।

যাদের চাহিদা মানে রোজ মরতে থাকা
শরীর এক রেখে নাম বদলাতে থাকা।

যাদের বাঁচা  মানে সমাজের পাঁক
পুরুষে বীর্যের শরীরের  সাজ।

RISHI026@GMAIL.COM

সাজানো জীবন
............... ঋষি

আজকাল আর কবিতা আসে না
যারা আসে তারা জিন্স টি-শার্টে পণ্য রমনী।
সেই শাড়ি পড়া সমুদ্রের ঢেউ
উত্তাল আঁচলের স্পর্শে বেঁচে থাকা হৃদয়।
আর কবিতায় থাকে না
থাকে শুধু বর্ণমালায় সাজানো পণ্য রমনী।

আর কলম দিয়ে কবিতা গড়তে পারি না আমি
সিমেন্ট ,বালিতে সাজানো সৌধ গড়ি।
আজকাল বৃষ্টিতে ভিজে কবিতা লিখি না আমি
শাওয়ারের জলে দাঁড়িয়ে নগ্নতা লিখি।
লিখি এমন কিছু যা ভীষণ বাস্তব প্রতিদিনকার
সেলাই করে সাদা কাগজে আমি মৃত্যু গড়ি।

আজকাল কবিতা দাঁড়িয়ে থাকে বারন্দায়
আর বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমি মৃত্যু দেখি।
আকাশ থেকে দড়ি দিয়ে চাঁদ ,সূর্য,তারা
আমি সকাল সন্ধ্যে শুধু স্তব্ধতা লিখি।
আজকাল সকাল আসে না আমার রাত্রে
আমি বিছানার চাদরে যন্ত্রণা দেখি।

আজকাল আর কবিতা আসে না
যারা আসে তারা পলিথিনে মোড়া জীবন।
সবুজ পাতায় আর নিশ্বাস থাকে না
শুধু কার্বনে মোড়া জেরক্স মরণ ।
আর কবিতা থাকে না আমার সাথে
যে থাকে সে আমার একলা সাজানো জীবন। 

rishi026@gmail.com

মিথ্যা সত্যচারিতা
.................. ঋষি

কয়েকটা গান্ধীর টুকরো ভীষণ জরুরী
আমার তোমার জীবনের প্রতি দিনের পথ চলায়।
বাকি টুকু শুধু বেঁচে থাকা
আর তার জন্য ব্যস্ত জীবনের দৈনন্দিন নগ্নতায়।

পণ্য আর পুন্যের মাঝের তফাৎটা
বোঝে সবাই, তবু পন্যটাকে বেছে নেয়।
প্লাস্টিক স্মাইলে লুকোনো হাসির কষ্টগুলি
চিরকালীন কোনো অন্তরদহন।
আসলে আজকের সময়টা ভীষণ সাজানো
তবু মানুষ খুশি কৃত্রিমতায় ,
শুধু অহেতুক জটিলতায় জীবনটাকে বেছে নেয়।

কারণ আছে ,কারণ লোভ ,আরো আর আরো
প্রেম যেখানে শারীরিক কিংবা স্বার্থের বারবনিতা।
মানুষ যেখান অহেতুক, অহেতুক বেঁচে থাকায়
কচি কচি মুখগুলো পরিপক্ক শ্রাবনে,
কায়িক যৌবন পূর্ণ কোনো নেশাতুর শ্রবনে।
আর জীবন চারপায়ের চলন্ত চিতা
মিথ্যা স্বপ্ন ,মিথ্যা দর্পণ ,মিথ্যা এই সত্যচারিতা।

কয়েকটা গান্ধীর টুকরো ভীষণ জরুরী
আমার তোমার জীবনের প্রতিদিনের পথ চলায়।
বাকিটুকু শুধু স্বপ্ন দেখা
আর তার জন্য মনুষত্ব বলি দৈনন্দিন মিথ্যাচারিতায়।


Tuesday, July 29, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

পাগল করে দিবি
.............. ঋষি

পাগল করে দিবি আমাকে
আমার  সকালের প্রথম শিশিরে তুই।
তোর বিছানার চাদরে তপ্ত নিশ্বাস
আর আমার ভিজে বালিশের হৃদয়ে তুই
পাগল করে দিবি।

সদ্য ঘুম ভাঙ্গা চোখে আমার নাকে
তোর শরীরের পারদের গন্ধ।
থার্মোমিটারে চেয়ে দেখি আমার জ্বর
আমি পুড়ে যাচ্ছি তোর ঠোঁটে
তোর হৃদয়ে আমার ঘর।

বিকেলে এক কাপ চায়ে কয়েক মুহূর্ত
তোর ঠোঁট জুড়ে নামতে থাকা বিশ্বাস।
ভালোবাসি তোর গভীরে এক সমুদ্র
সেই সমুদ্রে আমার নিশ্বাস
এক মুঠো আশা এই ভালোবাসা।

হাসছি ভীষণ হাসছি
নেশার  মতো আমার চোখে তুই।
তোর হৃদয়ের বন্য রঙে
এক বুক জঙ্গলে
ভীষণ একা আমি আর তুই।

পাগল করে দিবি আমাকে
এক বুক হৃদয় আগলে আমার দিনে রাতে।
আমার কবিতার পাঁচিলে চিত্কার
আমার বুকে স্বপ্নিল তুই
পাগল করে দিবি।



RISHI026@GMAIL.COM

আবার একটা বৃষ্টি দিন
.......... ঋষি

তোর ময়ুর পেখমের শাড়িটা
আমার খুব গভীরে আমাকে নাড়িয়ে যায়।
তুই হাঁটতে থাকিস
আমার হৃদয় নাচে তোর আঁচলের দোলায়।
তোর দুই ভ্রুর মাঝে কালোটিপ
আমি একটা লক্ষ্য দেখতে পাই।
তোকে পাওয়ার।

এমন করে দিন কেটে যায়
আমার দুরত্বটা কমতে থাকে তোর গন্ধে।
শুধু পৃথিবীর প্রদক্ষিণের গতি কমে যায়
সময় সময়।
সূর্য এসে স্বপ্নে দেখা দেয়
আর আমি  এগিয়ে যায় তোর দিকে।
পৃথিবী প্রদক্ষিন করতে ভুলে যায়।

প্রদক্ষিন করে তোকে ঘিরে
তোর স্বপ্নে নতুন মেঘ আমার আকাশে।
বৃষ্টি নাম খুব জোরে
তুই ভিজে যাস ময়ুর পেখম শাড়ি।
আর আমি তন্ময় হয়ে দেখি তোর চোখ
তোর ঠোঁট ,তোর বুক ,তোর মাটিতে।
আবার একটা বৃষ্টি দিন।



RISHI026@GMAIL.COM

কথাকলি
.......... ঋষি

আত্মার চিত্কার বলা যায়।
অন্ধকার সারণী দিয়ে হাঁটার পর
এক একটা মিনিট তোকে  ছাড়া
অসম্ভব বৃত্তান্তের কথাকলি
ভাবনায় তোকে ছাড়া যায়।

বাংলায় যদি বলি নিম্নচাপ
বাতাস থেকে বাতাসী তারপর আনমনে।
অনেকটা সাদা পাতায় আঁকিবুঁকি
অর্থহীন,শব্দহীন কথাকলি
ইচ্ছা হলেই কি পাওয়া যায়।

বাজিয়ে দামামা বুকের পাথরে
দুচারটে চির ধরে খুব গভীরে।
আঠা দিয়ে কিংবা ফেভি কুইকে
সাময়িক জোড়া যায়
কিন্তু আসলে কি জোড়া যায়।

আমি বলি কাছে আয় খুব গভীরে
ঢুকে যায় তোর গভীরে বাড়িয়ে রক্তচাপ।
কিন্তু একবার ভাব
যতই আমার আমার আগলায় না কেন
তোকে কি জড়িয়ে রাখা যায়।

ঠিক বলেছিস কাজ চালানো
বুকের পাথরে চটপটে আন্দোলন সময়।
সব বদলে যায়
দিন আসে দিন যায় ,শব্দহীন কথাকলি
কিন্তু কেন বলতো সময় হারিয়ে যায়।

আত্মার চিত্কার বলা যায়
বলা যায় জবরদখল ।
শুধু বয়স বেড়ে যায় সময়ের তারে
অসম্ভব বৃত্তান্তের কথাকলি
ভাবনায়  তোকে ছুঁয়ে যায়।

RISHI026@GMAIL.COM

আমায় পূর্ণ করো প্রেম
.............. ঋষি

কত টুকু পেলে তুমি পূর্ণ হবে
আর কতটুকুতে আমি।
এই প্রশ্নগুলো আজকাল অবাঞ্চিত আকাশে
দুচারটে উড়ন্ত খই পুস্পবৃষ্টি
আকাশ থেকে নেমে আসে প্রেমের বন্যা।
মৃত্যুর পর আমার কফিনে কিংবা চিতায়
আমায় পূর্ণ করো প্রেম।

হয় না ঠিক হয় না
পুষ্পক রথে তুমি উড়ে যাও রাক্ষসের দেশে।
কৃত্রিম সোনার গড়নের কেউ
আমার সামনে আসে ,আমাকে লোভ দেখায়।
আর আমি মুখ ঘষি রুক্ষ মাটিতে তোমার বুকে
তুলে আনি আমার এক বুক স্বপ্ন
তোমার বুকে আমার পূর্ণতায় প্রেম।

এযেন কোনো চরম গাঁথা
তোমার হৃদয়ে ক্ষুদ্র কুঠরিতে ,আমার মুখ।
এক কোনে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে
ছুঁতে চাই তোমার ঠোঁট আরো ভালোবেসে।
আরো গভীরে কোথাও তোমার স্পর্শ চাই
শুধু আকাঙ্খা
আমায় পূর্ণ করো প্রেম। 

Sunday, July 27, 2014

RISHI026@GAMIL.COM

আমার মুক্তি
............. ঋষি

সচকিত ভঙ্গিমায় তোমার আঁচলে
আমার বিশ্বাস বাস করে।
কোনো উড়ন্ত বিহঙ্গের মতো
তোমার দৃপ্ত দৃষ্টিতে
আমার মুক্তির গান লেখা।

আমার কবিতার ধারাপাতে
ধরিত্রী থেকে উঠে আসে সীতা বারবার।
আসলে আমার কবিতায় প্রেম বাস করে
কতো রূপে আমার অন্তরের স্পর্শগুলো।
সাদা পাতায় শান্তির গান গায়
তোমায় ছুঁয়ে গড়িয়ে নামে আমার আকাঙ্খার
তিস্তা নদী তোমার আছিলায়।

তিস্তা,তিস্তা ,তিস্তা
তুমি এক স্রোতস্বিনী আমার হৃদয়ে।
টুকরো টুকরো বিভক্ত আমিতে তুমি মিশ্রিত
আমার কবিতায় তোমার গান
তোমার স্পর্শ আমার মুক্তি।

Saturday, July 26, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

অন্ধকার রাত্রি
............... ঋষি

জড়ানো মশারির গায়ে পাখাদের ঘ্যানঘ্যান
অবিশ্রান্ত  রক্তচোষা রাত্রি সিলিঙের মানচিত্রে।
পাশের কোলবালিশে অভিমান
জড়িয়ে যাওয়া মায়া শরীরের গন্ধ।
বিছানার চাদরে ফুটিয়ে দিচ্ছে জোত্স্না
কয়েকটা  ছুঁচ ,তুমি নেই।

সামনের বুককেসে রাখা রবীন্দ্রনাথ
তোমার গলায় বেদনার সুর।
বুকের রক্তে দুএকটা ধারাপাত
জড়ানো স্মৃতির রাত্রি মধুর।
টিক টিক, টিক টিক ঘড়ির শব্দ
 ঘ্যানঘ্যান,তুমি নেই।

ঘরের কোনায় শুকনো রজনীগন্ধা
আলমারির তাকে রাখা তোমার আতর।
তোমার শাড়ি ,তোমার শরীর
গন্ধ লুকিয়ে চুপচাপ কানে কানে।
অজস্র পেরেক বুকেতে
যন্ত্রণা ,তুমি নেই।

কিছুক্ষণ গড়ানো নেশার পেয়ালায়
মাথার শিয়রে ঝোলা তুমি আমি একসাথে।
আজ কত রাত হলো জানি না
কিন্তু সবটুকু তোমার গন্ধ আমার সাথে।
ঘ্যানঘ্যানে পোড়া দাগ
বেশ এতটুকু ,তুমি নেই। 

RISHI026@GMAIL.COM

খবরের টুকরো
.........................ঋষি

উচ্ছিষ্ট কিছু কাগজের টুকরো
কয়েকশত ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য চেতনার বৃষ্টি।
চেতনার নদী যে গোপন অধিকারে
শুধু কামড়াতে চাই।
আর হাত বাড়ায় অবেলায় খবরের কাগজের
দৈনন্দিন পোড়ানো শব্দমালায়।

এ যেন এক তুরুপের তাস
দিন বদলায় শুধু ভূমন্ডলের আবর্তনে।
কিন্তু তাসটা সেই একই থাকে
একই ভূমিকায় ,একই চাহিদায় ,একই শব্দগুচ্ছে।
দিনান্তের অন্তরালে পৃথিবীর পাপ থেকে যায়
শুধু কারণ আর ভূমিকা একই থাকে।

একই থাকে রাজনৈতিক চাহিদার ইচ্ছেগুলো
একই থাকে বাজারের উর্ধমুখী গতি।
নিয়মিত পেট্রলের,কেরোসিনের ,মনুষত্বের চিত্কার
শুধু বদলায় একটা জিনিস।
মানুষের নিম্নমুখী অধিকার আর সঙ্গতি
সে চেতনা হোক ,কিংবা যন্ত্রণা,কিংবা প্রেম।

উচ্ছিষ্ট কাগজের টুকরোগুলো আসলে জেরক্স কপি
আকাশে উড়ছে মানুষের হৃদয়।
টুকরো টুকরো মস্তিষ্ক প্রসুত জন্মগুলো কাঁদছে
শুধু অধিকার চাই।
শিশুদের মতো ,বারবার বলছে খবরের কাগজ
বদল চাই ,নতুন অধিকারে। 

RISHI026@GMAIL.COM

মানতে পারছি না
..........ঋষি

চোখ বুজলেই নিজেকে অসহায় লাগছে
কারগিলের যুদ্ধ পিশাচ দামামা আমাকে কাঁদাচ্ছে।
ফুসে উঠে গলার ভিতর জ্বলন্ত কার্গিল দিনে রাতে
ঘুম আসছে না।

পথের উপর পরে আছে সেই নগ্ন নারী
যার যোনিতে আগুন লাগিয়েছে কয়েকশো পিশাচ।
সে আমার মা হতে পারতো,হতে পারতো বোন
কিন্তু শরীর হয়ে গেল তাও মৃত।
কিন্তু শরীর হয়ে গেল মর্গে শুয়ে সমাজের নগ্নতা
মানতে পারছি না।

সকালের ফুটপাথে ছোটো হাতগুলো হাত বাড়াচ্ছে আমার দিকে
ঘুম আসছে না কিছুতেই।
দুদিন কিছু খায় নি বাবু দু দিন খায় নি
আমি হাত বাড়াচ্ছি চেতনার দিকে,আমার নিজের কেউ হতে পারতো।
ঘুম আসছে না কিছুতেই দৃষ্টি অদৃশ্য রক্তে
মানতে পারছি না।

আবৃত সজানো অশিক্ষায় পুড়ে যাচ্ছে কেউ গভীর অজ্ঞানে
কেউ এগিয়ে আসছে না।
কিছু গালাগাল কোনো ডাইনি বুড়ি যেন আকাশের চাঁদে
আমি দেখতে ঘুম আসছে না কিছুতেই।
আকাশ থেকে জোত্স্নারুপী  কোনো নাগিনী আমায় জড়িয়ে ধরছে
মানতে পারছি না।

চোখ বুজলেই চোখের সামনে রক্ত আর রক্ত
ছড়ানো সভ্যতার শক্তিশালী দালালের মাইকের  শব্দ কানের কাছে।
সুদিন আসছে ,আমরা আনছি তোমাদের স্বার্থে
কিন্তু কারগিলে আর যুদ্ধ থামছে না। 

RISHI026@GMAIL.COM

নিখোঁজ কবিতারা
............... ঋষি

রাস্তা দিয়ে শত সহস্র কবিতার ফেরিওয়ালা
ভাঙছে গড়ছে দুপুরের আকাশটাকে।
রৌদ্র ঝলমল সকালের পরে বৃষ্টি
কবিতারা নিখোঁজ  মোড়ের গাছটাতে।

একলা দাঁড়িয়ে আজ সহস্র যুগ
গৌতমির কোল ঘেঁষে খেলা করা কপট যৌবন।
বুদ্ধ আসে নি ,বাঁধ বাঁধে নি
ভেঙ্গে গেছে সহস্র ব্যান্ডের সৃষ্টি ছাড়া মাথাগুলো।
আরো যুগ পরে ,অন্য আলোতে
আমার মাটিতে ধরা দেয় কপট শ্রাবন।

এমনি হওয়ার ছিল
ছড়ানো ছেটানো চেতনার গাছে কবিতার শরীর।
ধর্ষিত শতাব্দীর অবচেতনে ক্লোরফর্মিও মায়া
এমনি হওয়ার ছিল যুগে যুগে সাজানো কবিতায়।
দশ নম্বর পায়ে কোনো অবতার
তার সৃষ্টিছাড়া পৃথিবীর হায়ায় আর মায়ায়।

রাস্তার কলিংবেলে অদ্ভুত শব্দটার
কবিতার শরীর বেয়ে ধুলো মিশ্রিত শব্দগুলো।
বর্ণমালার কোনো অভিধানিক নরকে
কবিতাদের নিখোঁজ হওয়ার কথা ছিল। 

Friday, July 25, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

অষ্টম আশর্য তুমি
........... ঋষি

অর্থহীন ঈশ্বর প্রদত্ত এই জীবন
কিছুটা স্তব্ধতা ঘিরে এগিয়ে যাওয়া বাঁচা।
শহর পেরিয়ে রাজ্য ,রাজ্য পেরিয়ে দেশ ,দেশের পরে বিশ্ব
তারপর বলে কিছু নেই না।

এই গোলকের গন্ডিতে বাঁধা ক্ষুদ্র  জীবন
মহানুভব ঈশ্বর মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে মন্দির ,মসজিদ ,গির্জায়।
দিনান্তের উপরে কোনো প্রাচীন গুহায় ধ্যানরত
আর আমরা ক্ষুদ্র কিছু পঙ্কিল প্রাণ
হাসছি ,খেলছি ,বাঁচছি,বাঁধনের অছিলায়।
ঘুমোচ্ছি ,জাগছি ,হাঁটছি  আর পুজো করছি ভরসায়
প্লিস আমাদের বাঁচিয়ে দিন।

অধিকারের অষ্টম আশর্য ঈশ্বর মহান শক্তিশালী
মানুষের লজ্জায়।
পারমানবিক বিকিরণ কিংবা গ্রিন লাইট এফেক্ট
অথবা জল দূষণ কিংবা শব্দ কিংবা মানুষের জীবন
ছারখার ,ধ্বংস আর ধ্বংস।
আড়চোখে ঈশ্বর হাসছেন সৃষ্টির আধুনিকতায়
আদম ,ইভ সেই বিষ ফল মনে পড়ে।

মনে পরে ঈশ্বর তোমায় ,তুমি স্বপ্ন দিলে
দিলে বেঁচে থাকার পূর্ণাঙ্গ অধিকার ,স্বাধীনতার পৃথিবী
কিন্তু টুকরো করে।
তুমি উন্নতি দিলে ,ছুঁয়ে দিলে স্যাটেলাইটে অন্য গ্রহে
দিলে দানব করে।
তুমি প্রেম দিলে ,দিলে এক বুক স্পর্শ হৃদয়ের
কিন্তু বিষাক্ত করে।

অর্থহীন ঈশ্বর তোমার এই সৃষ্টি
যেখানে ঝুলন্ত ক্ষুদিরাম রোজ গিলোটিনে রক্তাক্ত।
আর তুমি গভীর ধ্যানমগ্ন লজ্জার অছিলায়
দমবন্ধ গন্ডির পৃথিবীর অষ্টম আশর্য তুমি ,,ইশ্বর। 

RISHI026@GMAIL.COM

নষ্ট এ সময়
................. ঋষি

নষ্ট হয়ে গেছি আমি
এইমাত্র আমি চিনলাম নিজেকে।
দিনের শেষে সাদা পাতায় আজ রক্ত ফোঁটা
নিজেকে সরিয়ে রাখতে রাখতে ,
আমি ভুলে গেছি সব
তবু ভুলি নি তোকে।

আমার এক আকাশ স্বপ্নের আকাশে
আজ অস্ত চাঁদ।
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত কয়েকশো বিন্দু
আকাশের গায়ে।
ছড়ানো ছেটানো চেতনার ভিড়ে কয়েকশো মুখ
কিন্তু কাছের তোর মুখটা।

কি রে চিনতে পারছিস না আমায়
আমার সহস্র কবিতার আঁচলে আজ ভয়ংকর ঢেউ.
বুকের উপর আছড়ে পরছে একের পর এক
আর আমি শূন্য বুকে স্পর্শ পাচ্ছি।
ধরতে পারছি  না ,,,আমি ধরতে পারছি না
আমার তোকে।

নষ্ট সব নষ্ট ,নষ্ট এ সময়
মুখোসের আড়ালে লোকানো প্রিয় মুখখানি।
আমি পারছি না খুঁজে আমার প্রেমের আয়নায়
শুধু পাহাড় ভাঙছে ,ভাঙছে টুকরো টুকরো স্পর্শ।
রক্তাক্ত আমি আরেকবার
তোকে আমি খুঁজে পাচ্ছি না। 

Thursday, July 24, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

অসমাপ্ত কবিতা
............ ঋষি

শহরের উষ্ণতম দিনে
তোর আদিম নাভিতে আমার সমাধি।
দু চারটে ফুল ফুটুক মরুভূমিতে
ক্ষতি কি
আমি তো তোর সবটুকু দেখতে পাই।

তোর ঠোঁটের ভাঁজে থাকা চাপা উষ্ণতা
তোর গলার খাঁজে থাকা উত্তপ্ত মরালী।
আরেকটু নামি আমি ,তোকেও নামায়
তোকে ছুঁয়ে কোনো আদিম গুহায়
আমি স্পর্শ করি।
আয় তোকে আমি পাগল করি।

আয় তোকে আমি পাগল করি।
দিনে রাতে ,প্রতিক্ষণে।
এক বুক প্রেম দাঁড়িয়ে তোর দরজায়
আমি ঠিক  তোকে দেখতে পাই।
কোনো অসামপ্ত কবিতার পাতায়
আজ লিখবো তোকে আমার কবিতায়।

শহরের উষ্ণতম দিনে
তোর বুকের উচচতায় আমি প্রাসাদ গড়ি।
দু চারটে স্পর্শ তোর পরাগ রেণু
ক্ষতি কি
আমি তো তোর সবটুকু দেখতে পাই। 

RISHI026@GMAIL.COM

কি রে তুই কোথায় ?
............... ঋষি

কি রে কিছু বল
এই তুই আছিস তো আমার সাথে।
এই শুনতে পাচ্ছিস আমার ডাক
বুকের ভিতর পাথর ভাঙ্গার শব্দ।
কি রে শুনতে পাচ্ছিস ?

আজকাল বিকেলে এক কাপ চা তোর ঠোঁটে
সকালের খোলা আকাশে আমার বুকে মেঘ।
সাপ লুডোর ছকে বাঁধা জীবন
কখন তোকে ছুঁয়ে দেয় আবার সবার নিচে।
তলিয়ে যায় ,হারিয়ে যায় ,মিশে যায়
আসলে মিশে যেতে চাই তোর বুকে
তাইতো আজকাল বৃষ্টি আমার শহরে।

আজকাল সন্ধ্যের আরতি তোর নামে
হারাতে চাই না এক মুহূর্ত।
শুধু ছুঁয়ে যেতে চাই তোর গভীরে লুকোনো মেঘ
একটু বৃষ্টিপাত আমার শহরে।
আমি ভিজে যায় আর ভিজতে থাকি
তোকে ছাড়া হেঁটে যায় ফুটপাথে গভীর রাতে।
আজকাল আমার শহরে বৃষ্টি বারোমাস।

কি রে কিছু বল
এই আমি তো বলে দিলাম আমার বাঁচার মানে।
এই আমি তো করে দিলাম নিঃস্ব নিজেকে
তুই কি শুনতে পাছিস আমার ডাক।
কি রে তুই কোথায় ?

RISHI026@GMAIL.COM

আমার মুক্তি
............. ঋষি

ফুরিয়ে যাবার আগে
বা দিকে বুকপকেটের নিচে যে সন্ন্যাসীর বাস।
তাকে বলেছিলাম আকাশ ধরে চল
মুক্তি পাবি ,প্রেম পাবি।

কিন্তু ছদ্মবেশী অবুঝ সন্ন্যাসী অবরোধ করলো
হৃদয়ের রক্ত পরিবাহী তারগুলো আটকে গেল।
দমবন্ধ ,জলের তলায় চিত্কার
হাত বাড়িয়ে মুক্তি তোমার নেশায়।
জড়িয়ে  ধরলো সংসার ,এক অবুঝ মায়া
আর তার থেকে বেশি তোমাকে।
তার থেকে বেশি একটা স্পর্শ
একটা মায়া ,একটা ছন্দ।
রন্ধ্রে রন্ধ্রে বেড়ে যাওয়া রক্তচাপ
তোমার শরীর ,তুমিতে আমার মুক্তি।

এখন আর সেই সন্ন্যাসী নেই
শুধু বুকপকেটে জমানো সংসারী মায়া।
আর আকাশ হারিয়ে গেল
মুক্তি নাকি আজকাল তোমার নাম। 

Wednesday, July 23, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

তুই কে রে ? কে রে তুই ?
...................... ঋষি

তুই কে রে ? কে রে তুই ?
তুই যতক্ষণ থাকিস আমি পুড়ি
তোর আগুনে আমার প্রেম কাঠকয়লা।
আর তুই চলে গেলেই
তৃষ্ণা পাই ,ভয় হয় নিজেকে হারিয়ে ফেলার।
তোকে ছাড়া আমার প্রেম বাঁধন ছাড়া
কাটা ঘুড়ি ,উড়ি ,উড়ি দূর আকাশে
প্রেম অস্তরাগে।

তুই কে রে ,কে রে তুই ?
তুই যতক্ষণ থাকিস আমার শরীরে জ্বর।
আমার হৃতপিন্ডের থার্মোমিটারে শুধু ধুকপুক
শুনতে পাই।
আর তুই চলে গেলেই
আমার কান্না পায় ,জীবন যেন বিষাক্ত বিষ.
বিষ ছড়ানো জীবনের পাতায় শুধু স্মৃতি
আর আমার মস্তিষ্কের বিকৃতি।

তুই কে রে ? কে রে তুই ?
তুই থাকলেই আমার সকালের সূর্যে সুপ্রভাত।
তোর চুলের গন্ধ ছুঁয়ে জীবন খালিপায়ে
হাত ধরে হাঁটতে চাই।
আর চলে গেলেই
এক বিশাল সমুদ্রের ঢেউ আমার বুকে।
ভাসিয়ে নেয় ,আমায় দুরে কোন আকাশে
একলা এক অস্পষ্ট অন্ধকার গুডবাই।

RISHI026@gMAIL.COM

আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টি
............... ঋষি

তুই এসে গেছিস ,আমার কবিতারা উদ্বেল
কবিতার  বিশ্বে আজ নতুন গ্রহ।
এইমাত্র জন্মাল তোর কাছে আশায়
তোর শরীরের গন্ধে আমার গ্রহে বৃষ্টিপাত
মেটো গন্ধ আমার কবিতার পাতায়।

মারাত্নক বৃষ্টি চোখে অন্ধকার
আকাশ থেকে নেমে আসে প্রেম প্রতি বিন্দুতে।
আমার কলম ছুঁয়ে ,শরীর ছুঁয়ে
আমাকে ভেজায় তোর কাছে আসায়
আজ সারারাত বৃষ্টি।

অজস্র প্রশ্নের গোপন নথিতে হস্তক্ষেপ
সমস্ত আভিধানিক সম্পর্কের সংক্ষেপ।
দুচার ফোঁটা স্পর্শ এই বৃষ্টিপাত
তোকে ছুঁয়ে আমাকে ছুঁয়ে অবিরত
প্রেম ভিজিয়ে যায় চোখের পাতায়।

তুই এসে গেছিস গভীর স্বপ্নে জড়িয়ে চাদর
ভিজে বালিশের প্রতি স্তব্ধতায় তুই।
আমার জানলার ওপারে দেখা বিশাল আকাশ
আর মনের বৃষ্টিপাত তুই
আমার  মনের খাতায় প্রতি পাতায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

ঠিক দেখতে পাচ্ছি তোকে
,........ ঋষি

ঠিক দেখতে পাচ্ছি তোকে
আমার শহরের অলিগলি শিরা বেয়ে।
চলতে চলতে তোর দরজায়
একটা ক্লান্ত শরীর ,তৃষ্ণার্ত হৃদয়।
কোথাও যেন চাতকের বুকে
আমি ঠিক দেখতে পাচ্ছি তোকে।

তোকে ছুঁয়ে থাকাটা একটা লুকোনো নদী
আমার বুক ছুঁয়ে তোর বুকে।
উত্তাল জোয়ারের নায়াগ্রার জলপ্রপাত
কানবন্ধ করা মারত্মক উপলব্ধি তুই।
আমার বুকে সবসময় গতিময়
আমি  ঠিক দেখতে পাচ্ছি তোকে।

ঠিক দেখতে পাচ্ছি চোয়ালে হাত
সেই অদ্ভুত রোমান স্থাপত্যকে।
খাঁজ কাটা চলন্ত সময়ের জানলায়
অনন্য এক আদিম পাওয়া।
আমার তুই আমার বুকে
আমি ঠিক দেখতে পাচ্ছি তোকে।

আজকের কবিতায় ক্লান্ত তুই
ব্যস্ত শহরের দরজায় বিষন্ন বিকেলবেলা।
রাস্তায় চাকা জ্যাম ,অদ্ভুত শূন্যতা তোকে ছুঁয়ে
ভালো লাগছে না জানিস।
আমি দাঁড়িয়ে তোর অপেক্ষায়
কিন্তু ঠিক দেখতে পাচ্ছি তোকে। 

RISHI026@GMAIL.COM

অলওয়েস ওয়েলকাম
................... ঋষি

দেখতে দেখতে অনেকগুলো বছর চলে গেল
পুরনো ক্যালন্ডারের অখুশি গৃহস্থলি।
পঙ্কিল পাঁকে ট্যাগ লাগানো ওয়েলকাম
অলওয়েস ওয়েলকাম।
জীবন ,যৌনতা,যন্ত্রণা মোড়ানো জাদুকরী জীবন
বাঁচতে চাই ,সময়ের পাতায় হাসতে হাসতে।


মারাত্মক একটা ভুল
রংমশাল আর রঙিন রৌদ্রে মোড়া ফুটপাথ।
আমরা ভাবি সভ্যতা কিন্তু পোড়া
পোড়া কপাল ,পোড়া ফুটপাথ ,পোড়া জীবন।
কিন্তু বাঁচতে চাই ,,তাই তো পোড়া
আসলে পোড়া নয় ওগুলো পোড়ানো।

কি যাতা কথা সব তো আছে
সম্পর্ক বাঁধা জটিল সমীকরণ ,ক্লোরফর্মের স্পর্শ।
নিশ্বাস ,বিশ্বাস ,সময় ,অসময় ,দহন
হাসি পাছে জীবন।
সে যে বেশ্যার মতো বিক্রিত যৌনতা
আর আমরা ক্রেতা ,বিক্রতা ,সার্কাস।


আবার অহংকার ফেলে আসা পাতায় উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ
চুলকানি আর সারাক্ষণ চুলকিয়ে যায়।
ভালো লাগা ,ভালবাসা ঝোলানো দরজায়
ওয়েলকাম অলওয়েস ওয়েলকাম।
একটা জীবন একটু জড়িয়ে গিয়ে জ্যাবজ্যাবে
স্নেহ ,মায়া ,মমতায় তোমার সাথে।

RISHI026@GMAIL.COM

বিকেলের কফি কাপ
.................... ঋষি

তোকে পেলাম না এখনোও
বিকেলের কফিকাপে ঠোঁট পুড়ে যায়।
পুড়ে যায় ফেলে আসা পাতায় আমার হৃদয়
তোকে পাওয়ায় ,তোকে ছোঁয়ায়
কেমনকরে দিন কেটে যায়।

কি বলবো ও ঠোঁটে আমার উষ্ণতম দিন
রাজস্থানের নাভির মত তোর বালিতে আমার পা।
তলিয়ে যাচ্ছি জানিস ,খুব গভীরে
উন্নত বালিয়াড়িতে চোখ রেখে
তুই আমার নগ্ন মরুভূমি।

নগ্নতার সাক্ষী এক হৃদয় স্বপ্ন
দুচার মুহুর্তের আলাপন স্বপ্নে আমার কাছে।
এগিয়ে আসছিস ,মিশিয়ে নিচ্ছিস বুকে
তপ্ত নিঃশ্বাসে গভীর বিশ্বাসে
তোর শরীর ছুঁয়ে হৃদয় গভীরে।

তৃষ্ণা ,তৃষ্ণা ,তৃষ্ণা এ বুকে
তোকে ছুঁয়ে তোর চোয়ালের পঙ্কিল ভাঁজে।
কয়েকশত পদ্ম
নগ্ন নাভিতে শুয়ে আছে নারায়ণ প্রেম বুকে
তোর ঠোঁটে এক কাপ আমি।

rishi026@gmail.com

সভ্যতার অন্তরালে
.................. ঋষি

অবেলায় শুকনো রৌদ্র খুঁজতে বসছি
খালি পেটে রৌদ্রে শোষা রক্ত।
দুচার খানি কবিতায় সভ্যতা খুঁজছি
খুঁজছি উত্তর বেঁচে থাকার পাতায় পাতায়।

থ্রি মাস্কেটিয়াস যেন ত্রিফলা বল্লম
পাঁকে ডুবে থাকা পঙ্কিল মাছেদের মাঝে নিজেকে আবিষ্কার।
কোনো মাছের পেটে শকুন্তলার
আবিষ্কার ,আবিষ্কার আবিষ্কার ,আগুন ,চাকা ,মেরুদন্ড।
সবটাই হলো ,কিন্তু সেই পরগাছা ,কেঁচোর মতো আমরা
মাটির তলায় জীবাশ্মের স্পর্শিল আশা
বেঁচে থাকা।

চোখে আঠা লজ্জা ,ভ্রুণ হত্যা ,নারী নির্যাতন ,অশিক্ষা
ধুঁয়ে যাওয়া রজস্বলা শরীরে উর্বর মৃত্তিকায় ধর্ষণ।
উত্তর ইতর পৃথিবীর বর্বরতা ,কোনো সৃষ্টি নয় ,সৃষ্টি নয়
শুধু লজ্জা ,শুধু লজ্জা।
কেযেন বলেছিল আমায় লজ্জা ,ঘৃনা ,ভয় প্রেম থাকতে নয়
কিন্তু কোথায় প্রেম,এ যে প্রেমের সোনালী ভাঁজে
থকথকে ঘা শরীর না হলে স্বার্থ ,না হলে অধিকার।

প্রেম নেই ,প্রেম নেই ,প্রেম নেই
পড়ন্ত আলোয় অভুক্ত আমি তৃষ্ণার্ত সকলের মতো।
সবুজ ঘ্রাণ,সকালের সূর্য ,দৃপ্ত স্পর্শ প্রেম
খুঁজছি সভ্যতার খেয়ালে আমার কবিতার পাতায়। 

Sunday, July 20, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

তোমার অন্য কেউ
.................. ঋষি

আমি সে নই
যাকে তুমি খুঁজছো বুকের পাড়ে।
যে ঈশ্বর তোমার নরম বুক ছুঁয়ে ,ধন্য তুমি
সে আমি নয় ,সে অন্য কেউ
তোমার নিজের কেউ।

শেষ চার ঘন্টা অন্তত চারশোবার  তোমার দরজায় দাঁড়ালাম
তোমাকে শব্দ করে ডাকার সাহস আমার নেই।
আমি নিতান্ত ক্রীতদাস তোমার প্রেমে
তোমাকে ছুঁয়ে দেখার অধিকার আমার নেই।
ভয় ও  লাগছিলো আমার
যদি সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসেন ঈশ্বর।
যদি আদেশ দেন অসামাজিক তুই ,অযৌক্তিক প্রেম
তোর শাস্তি মৃত্যুদন্ড ,আমি সে ভয় পাই না
ভয় পায় মরে গেলে তোমায় দেখবো কি করে।

শেষ চারঘন্টায় না হলেও চারশোবার
আমার মোবাইল ফোনে অপেক্ষা ,একটু তোমায় শোনা।
ফোন বাজে নি ,তোমার গলা শুনতে পাই নি
তাতেও আমার দুঃখ নেই।
কারণ আমি জানি আমি তো ঈশ্বর নয়
নয় কোনো ভরা শ্রাবনের মাতাল ঝড়.
যে পাগল করবে তোমায় ,
আমি ফোন করি নি কেন জানো ,ওপাড়ে ঈশ্বরের কন্ঠস্বর
আকাশবাণীতে আজ বিশেষ খবর।

আমি সে নই
আমি নিতান্ত তোমার এক ক্রীতদাস অবুঝ সময়।
পরে থাকা বেলার বাকিটুকু জড়িয়ে
আমি অপেক্ষায় তোমার  স্পর্শের
তোমার অন্য কেউ।

RISHI026@GMAIL.COM

 মিনারা শুধু শরীর হয়ে যায়
.............. ঋষি

এই ভাবেই মিনারা হারিয়ে যায়
হাঁটুর উপর তোলা শাড়ি দেখলেই।
পুরুষরা যে যোনি দেখতে পায়
ভারী বুক দেখলেই পথে ঘাটে।
চার ইঞ্চি লম্বা হয়ে যায়
এ কারণে মিনারা  শরীর হয়ে যায়।

অসমের চা বাগান থেকে বিহারের রেল বস্তি
কত মিনা হারিয়ে যায়।
কত মিনা স্থানান্তরিত হয় সময়ের পাঁকে
সিনামা হলে বাড়ানো হাত ,অফিস টাইমে পেঁচানো শরীর।
পথে ,ঘাটে, দিনে,রাতে সময় অসময়
মিনারা শুধু দলিত হয়
শীত্কারে উঠে আসে আগুন, কোনো মিনা শরীর হয়ে যায়।

সামনে ঝোলানো গাছে নগ্ন শরীর
মাটির দু হাত থেকে কিংবা কেরোসিনে আগুন।
কত মিনা বাঁচতে চাই ,হাত বাড়ায়
শিক্ষা ,সভ্যতা ,সংস্কৃতি ,অধিকার ,আইন সর্বপরি পৃথিবী।
দস্যুরা হাত বাড়ায় শরীরের দামে
হাসতে হাসতে ,লজ্জা ঘ্রাণে ,বাঁচতে থাকায়
কত মিনা হারিয়ে গিয়ে  শরীর হয়ে যায়।

পুরুষ তুমি  মাতৃত্বে কখনো শরীর দেখো না
পুরুষ তুমি ভ্রাতৃত্রে  কখনো যোনি  দেখো না।
কখন দেখো হৃদয় শরীর ছাড়া
বিশ্বজুড়ে অভিধানের নিরিখে নারী শরীর।
আর তোমারা চার ইঞ্চি শিকারী ইচ্ছে ডানায়
আর মিনারা শুধু শরীর হয়ে যায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

চার দেওয়ালে ঈশ্বর
........................... ঋষি

চার দেওয়ালের মধ্যে দমবন্ধ
একটা হাত এগিয়ে আসছে আমি দেখছি।
আমার ছিল ,ছিল না কিছু
আমার করে স্বপ্নে  ছিল সবটা।

জানিস আজকাল বড় ভয় হয়
আমি তো স্বপ্নমাত্রিক প্রথিবীর ঈশ্বর।
বাস্তবতা আমার ঠিক হয় না
ইচ্ছেমতো বদলানো আর বদলানো পৃথিবীর তারিখে
আমার ভালোবাসা কখনই স্পর্শ হয় না।

ত্রিমাত্রিক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি
দেখি শুধু প্রেম ,মায়া ,সত্য আর মুক্তি।
কিন্তু পৃথিবীর নীল রক্তে পরিবাহী জীবানুরা
আমাকে বারবার অসুস্থ করে
সুস্থ পৃথিবীর স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার।

জানিস আজকাল আমার সকাল হয় তোর ঠোঁটে
ঘুম ভেঙ্গে যায় বারবার ,হাত বাড়িয়ে খুঁজি তোকে।
পাই না কিছুতেই পাই না
বাস্তব পৃথিবীর অজস্র পাপে আমার মুক্তি
ধুস কিছুতেই শান্তি আসে না।

চার দেওয়ালের মধ্যে ঈশ্বর বন্দী
ইটের উপর ইট দিয়ে সাজানো সম্পর্ক।
বেঁচে থেকে হাসতে থাকা ঈশ্বর
কিন্তু আমার কিছুই করার নেই।


RISHI026@GMAIL.COM

ভালো নেই আমার নীলাঞ্জনা
.............. ঋষি

ঠিক চেনা গেল না তোকে
শ্রাবনের ধারার মত আমার নীলাঞ্জনা
ঠিক চেনা গেল না তোকে।

কয়েকটা ঋতু কেটে গেল
কেটে গেল বেশ কিছু সম্পর্কের অবস্থান।
কিন্তু তোকে ভালো দেখতে চেয়েছিলাম
তুই ভালো নেই নীলাঞ্জনা
ঠিক চিনতে পারছি না তোকে।

যে চোখে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম
দেখেছিলাম না বলা কথাদের কোলাহল।
আজ আর কিছু নেই
শুধু শূন্য আর স্তব্ধতা জড়ানো দুপুরবেলা
বালিশে গড়াগড়ি ,,চিনতে পারলাম না তোকে।

তোর ছবিতে তোর বুক আমি দেখতে পাচ্ছি
দেখতে পাচ্ছি সুন্দরী পর্বতাকার স্পর্শ।
কিন্তু কেউ দেখতে পাচ্ছে  না তোর পোড়া দাগগুলো
আসলে দেখতে চাইছে না
শুধু চাইছে অধিকার আর অধিকার।

ঠিক চিনতে পারছি না নীলাঞ্জনা
শ্রাবনের ধারার মত তোর তপ্ত নিশ্বাসে আমি পুড়ে যায়
ভালো নেই আমার নীলাঞ্জনা। 

Saturday, July 19, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

অগ্নি সাক্ষী হৃদয়
..................... ঋষি

চলন্ত অগ্নুপাতের মাঝে
দু এক সময় আমার খামচে ধরা হৃদয়।
তোমার হৃদয়টাকে কাছে চাই
তোমার শরীরের গন্ধটা তখন অচেনা লাগে
শুধু তোমার হৃদয়ে তলিয়ে যেতে চাই।

এ যেন প্রাচীন কোনো ধর্মগ্রন্থের স্লোক
সলজ্জ নয়নে তোমার চাওয়াটুকু।
আমাকে মুক্তি দেয় এক আকাশ স্বপ্নে
আকাশের নক্ষত্ররা সাক্ষী থাকে
এখন রাত্রি তোমাকে কাছে পাওয়ার সময়।

আবার সকাল আসে ,একটা ব্যস্ত দিন
দু পায়ে মাড়িয়ে যায় জীবন ফুটপাথে।
শুধু এতটুকু চাওয়া তোমার কাছে
জড়িয়ে থেকে প্রতিমূহুর্তের সংশয়
তোমার হাসিতে নিজেকে খুঁজে পাওয়া।

কানের কাছে চলতে থাকা ফিসফিস
রেললাইনের ধারে শুয়ে থাকে হৃদয়।
শুনতে চাই দূরত্বের শব্দের ছোটো খুনসুটি
তোমাকে ছেড়ে দিতে হবে ,চলে যাবে ট্রেন
অন্য কোনো দেশে ,অন্য অধিকারে।

চলন্ত অগ্নুপাতে মাঝে
তখন আমি একা এক না বলা কাব্য।
কবিতার শিরায় শিরায় বিষ
আর তুমি চোখের পাতার দুচারটে পালক
ধরা দিয়ে সরে যাও আবার অন্য দিনে। 

RISHI026@GMAIL.COM

দিনান্তের কবিতা
............. ঋষি

দু চার মুহুর্তের বেঁচে থাকা
বিকেলের চায়ের কাপে লেখা শেষ।
সত্যি শেষ হলো একটা দিন
তোমার সাথে ,সময়ের সাথে।
মিলিয়ে মিশিয়ে যাওয়া সূর্যিমামা
এখন অস্ত পাটে।

আর কিছুক্ষণ তারপর অন্ধকার
জীবনের পাতায় পাতায় লেখা হবে বয়স।
চামড়ার ভাঁজ জুড়ে শুধু স্তব্ধতা
কিছুটা পাওয়া ,কিছুটা না পাওয়া।
মিলে মিশে আমার কবিতার কলামে
এগিয়ে যাওয়া তোমার দিকে।

গুটি গুটি পায়ে যদি একটু পিছিয়ে
ইশ হয় না ,কিছুতেই না।
দিন কেটে যায় দিনান্তে ক্লান্ত সূর্য
হারিয়ে যায় রোজ নতুন আশায়।
আবার সকাল আসবে
আবার আসবে তুমি হাসি মুখে।

দু চার মুহুর্তের বেঁচে থাকা
জড়িয়ে ধরা অস্তিত্বদের নতুন আবদার।
মেনে নিতে হয় ,আরো কঠিন
কিন্তু এক কাপ চা আর তোমার সাথে।
আমার কবিতার পাতায় পাতায়
শুধূ অপেক্ষা তোমায় ছোঁয়ার। 

RISHI026@GMAIL.COM

আদিম আমরা
.................... ঋষি

বৃহত্তর প্রেমের কল্যানে
যদি বলি তোর চৌত্রিশ সাইজের বুকে হাত রাখবো।
তবে কি করবি তুই ,
আমাকে জড়িয়ে ধরবি ,না লজ্জা পাবি
আমাকে গভীরে পাবি ,না সরে যাবি।

তুই তো বললি লজ্জা পাবি না
তোর লিপস্টিকের কবিতা আমি লিখেছি অনেক আগে।
আয়  আজ তোর বুকের কবিতা লিখি
তোর বুকের মাঝে নাক ঘষে খুঁজি আশ্রয় ,
আয় আজ তোকে খুব আদর করি।

আরেকটু নিচে নামি বুঝলি
আমার বুকের মাঝে একটা জঙ্গল তোর নাভিতে ,
জিভ  রাখি ,ও মা তুই কাঁপছিস কেন
এখনো ভূমিকম্প আসে নি
সবে তো বুকের পারদে আমার ঠোঁট।

ঠোঁটে সাথে ঠোঁট ঘষে
আয় তোকে আজ আমি আদিম করি।
দুহাতে তুলে নি তোকে আমার বুকে
তোর আর আমার নিশ্বাসে আজ আগুনে চোখ ,
আয় আমরা চান করি আদিম স্রোতে।

বৃহত্তর প্রেমের কল্যানে
আয় আজ তোকে আদর করি হৃদয় মাঝে।
তোকে ছুঁয়ে আমার পূর্ণতায় আসুক নতুন আলো
আরেকটু দুরে নতুন সূর্যের আলোয় তোর মুখ
ঝলমল করুক আমাদের শান্তিতে।

RISHI026@GMAIL.COM

এখন সাড়ে চারটে বাজে
................... ঋষি

আর একমিনিট বাকি আছে সাড়ে চারটে বাজতে
আসলে চারটে ত্রিশটা একটা সংখ্যা আমার কাছে।
একটা দূরত্ব তোর আর আমার মাঝের
হয়তোবা একটা সাঁকো ,
কিন্তু আমার তো মন মানে না কিছুতেই
এই দুরত্বটা খোলা হাওয়া
কারণ অকারণে আমাকে পুড়িয়ে যায় আনমনে।

আসলে আমি জানি না আমি
তোর কাছে কি চাই।
তোর  হৃদপিন্ডটা না তোর শরীরটা
কিছুতেই ঠিক শান্তি পাই না।
বুকের মাঝখানে একটা জ্বালা ভাব প্রতিমুহুর্তে
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে আমার ঠোঁট
খুব কাছে তোকে পেতে চাই।

এখন ঠিক সাড়ে চারটে বাজে
ঘড়ির প্রতিটা স্পন্দন হৃদয়ের গায়ে।
তুই আসছিস আমার কাছে
আমার হৃদয়ের চোরা গলি বেয়ে পদশব্দ।
পায়ে পায়ে এগিয়ে আসা আরেকটা দিন
তোর সাথে দেখা হওয়ার আরেকটা স্মৃতি
আমার কবিতায় ,তোর প্রতীক্ষায়। 

rishi026@gmail.com






আমার শহর (১২)
........................... ঋষি

আমার বুক খানি জ্বলে যায়
প্রতিটা দিন আমার শহরে আগুন জ্বলে।
ছুটে আসে দমকল ,এম্বুলেন্স
ছুটে আসে বুকের দিকে দিকভ্রষ্ট বুলেট।
মারাত্মক বৃষ্টির পরে শহরে খাদ্যাভাব
আর শরীরে নিসপিস করে ইচ্ছা
তোমাকে ছুঁয়ে আমার শহর বারুদের গন্ধ।

খালি ফুটপাথে কুকুরের সাথে আমি
ভিখারীর বালিশে মাথা রাখি ক্ষুব্ধ যৌবন।
প্রেমিকার বুকে মাথা রাখি জড়ানো স্নেহ
আর পুনরাবৃতি সেই জ্যাল জ্যালে শরীর।
আমি ছুটে যায় শহরের মাঝখানে সবার উপরে
সেখান থেকে দেখি ধর্ষিত স্নেহ ,মায়া ,প্রেম
আর শরীরগুলো নিয়ে যায় সময়ের শকুন।

আমার বুক খানি  জ্বলে যায় বারে বারে
সুখের পরীরা শুয়ে থাকে স্বপ্নে।
আমার চোখে ঘুম নেই ,,ঘুম নেই জাগ্রত হিংসা
শহরের অলিতেগলিতে জ্যাব জ্যাবে প্রেম।
ঘুম নেই শরীরের কামনায় বেশ্যা
জেগে থাকে আমার শহর আমার সাথে
রাত্রি দিন আমার যন্ত্রনায়।

খালি সভ্যতায় হেঁটে যায় খালি পায়ে
পথের দুপাড়ে দেয়াল বেঁয়ে নামে বিজ্ঞাপন।
দুচারটে মিঠি বুলি ব্যবসায়িক চোখ
সময়ের সাথে প্রফিটের দিনযাপন।
মুদ্রাস্ফীতি ,রোজনামচা সাধারণ আমি
পুঁড়ে যায় আমার শহরে
ঝুলন্ত বাসে লাগানো ক্লান্ত মুখ।

rishi026@gmail.com

বাঁধ ভাঙ্গার শব্দ (আমার জ্বর )
........... ঋষি

বাঁধ ভাঙ্গার শব্দটা অনন্য
কিছুক্ষণের দুর্বলতার সত্যকে আমার তুমিতে।
কিছুক্ষণের স্তব্ধ আকাশেকে মেঘের মাঝে
মাথা ভেঙ্গে যায় জ্বরে।
পারদের স্কেলে বারুদের গন্ধে
চারপাশে ছড়ানো ছেটানো চেতনার বৃষ্টি
আমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়।

তোমার ভিতরে লোকানো আমাতে
তোমার বুকের গন্ধে পানসে মুখে ঝাল মুড়ি।
চোখের সামনে আবছা আলোয় তুমি
আরেকটু ,খুব গভীরে জড়িয়ে ধরি।
কোনো কাঁচা লোহাকে পিটিয়ে ,হত্যা করে
তৈরী ঢালতলোয়ার ,বর্ম ,সব প্রয়োজন
আজ তোমার সাথে যুদ্ধ ,আমার জ্বর।

মাথার উপরে হাত বুলিয়ে দেও
প্লিস একটু মাথাটা টিপে দেও।
যন্ত্রণা মাথার শিরা উপশিরায় তোমার স্পর্শ
চারিদিকে ভেঙ্গে পরা বাঁধের শব্দ।
জ্বর আসছে আমায় ছুঁয়ে ভেসে যাচ্ছে গ্রাম ,শহর
আমার তুমি তুমি আমার বুকে ভরা জোয়ার
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

rishi026@gmail.com

বাঁধ ভাঙ্গার শব্দ (আমার জ্বর )
........... ঋষি

বাঁধ ভাঙ্গার শব্দটা অনন্য
কিছুক্ষণের দুর্বলতার সত্যকে আমার তুমিতে।
কিছুক্ষণের স্তব্ধ আকাশেকে মেঘের মাঝে
মাথা ভেঙ্গে যায় জ্বরে।
পারদের স্কেলে বারুদের গন্ধে
চারপাশে ছড়ানো ছেটানো চেতনার বৃষ্টি
আমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়।

তোমার ভিতরে লোকানো আমাতে
তোমার বুকের গন্ধে পানসে মুখে ঝাল মুড়ি।
চোখের সামনে আবছা আলোয় তুমি
আরেকটু ,খুব গভীরে জড়িয়ে ধরি।
কোনো কাঁচা লোহাকে পিটিয়ে ,হত্যা করে
তৈরী ঢালতলোয়ার ,বর্ম ,সব প্রয়োজন
আজ তোমার সাথে যুদ্ধ ,আমার জ্বর।

মাথার উপরে হাত বুলিয়ে দেও
প্লিস একটু মাথাটা টিপে দেও।
যন্ত্রণা মাথার শিরা উপশিরায় তোমার স্পর্শ
চারিদিকে ভেঙ্গে পরা বাঁধের শব্দ।
জ্বর আসছে আমায় ছুঁয়ে ভেসে যাচ্ছে গ্রাম ,শহর
আমার তুমি তুমি আমার বুকে ভরা জোয়ার
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

Friday, July 18, 2014

RISHI026@GMAIL.COM


আমার বৃষ্টি বেলা
................... ঋষি

কি এমন অপরাধ আমার
ছুঁয়ে ছুঁয়ে পালিয়ে যাস মেঘের মতো।
আমি বৃষ্টি ভালোবাসি
কিন্তু কি জানিস মেঘ ছাড়া যে বৃষ্টি হয় না।
কি এমন অপরাধ আমার
আমাকে তুই পোড়াস আমার বৃষ্টি বেলায়।

আমি তো ভিজতেই চেয়েছিল
তোর স্পর্শে আমার আকাশ জোড়া কালো রং।
আমি তো থাকতেই চেয়েছিলাম
বৃষ্টি ভেজা বিকেল বেলায় তোর সাথে।
এক হাঁটু কাদা ভেঙ্গে পিছলে পরে
আবার আমি উঠে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম।

তুই আমাকে জানতে দিস নি নিজেকে
কখনো বলিস নি তুই আমার একলা আকাশ।
শুধু হাসতে চেয়েছিস নিজের ভিতরে
কিন্তু তুই জড়িয়ে ধরতে পারিস নি।
মানছি আমার দোষ ছিল
কেড়ে নেওয়া উচিত ছিল আমার অধিকার।

দেরী তো হয় নি বেশি
এখনো সময় আছে আকাশের গায়ে মেঘ।
এবার বৃষ্টি নামবে আমার বুকে তোর ঠোঁট ছুঁয়ে
দুচার মুহুর্তের এই আলাপন।
আবার একটা বৃষ্টি দিন আকাশের গায়ে
আজ নাহয় চল ভিজি তুই আর আমি। 

RISHI026@GMAIL.COM

তোর সমীকরণ
............... ঋষি

তুই কখনো আসবি না
নির্দিষ্ট সমীকরণের পর সাঙ্কেতিক ভাষার।
শব্দগুলো জটিল  আলোর   মতো
স্পর্শ বোঝা যায়, অর্থ না।
জড়িয়ে বাঁচা যায়
তবুও কেন জানি অর্থহীন আমার কাছে।

বাঁধন ছাড়া লতার মত
গা ঘেঁষে পাথুরে শহরের কোনো বস্ত্রালয়।
তবুও এ শহরে লজ্জা খুব কম
তোর মত ,তোর প্রেম খোঁজা লজ্জার।
কে বললে
জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ার জন্ম রহর্ষ  বিষাক্ত।
কে বললে
কে বললে তোর জরায়ুতে শুধু আত্মজ।
কেউ বলে নি
আর আমিও মেনে নিতে পারি নি।
আমার স্বপ্নে তুই নগ্ন প্রেমিকা
আর আমিই শুধু বাঁচতেই পারি তোর প্রেমে।

আমার কবিতা এখন কফি কাপে
সাজানো ধোঁয়া।
ধোঁয়ার আড়ালে লোকানো সিগারেটের অন্তরদহন
পুড়ছে  আর পুড়ে চলেছে।
কেন জানিস
বাঁধন ছাড়া স্বপ্নগুলো অর্থহীন তোর কাছে।

RISHI026@GMAIL.COM

বৃষ্টির জন্মদিন
.............. ঋষি

ভেজানোর কথা ছিল
ছাদের কড়িকাঠে দুচার মুহুর্তের আলাপন।
বালিস ভিজে গেল
বাইরে এখন তুমুল বৃষ্টি।
বৃষ্টির জন্মদিন আজ ,ভালো থাকিস
আমার বুকে তুমুল বৃষ্টি।

আলাপনের ঘনঘটা তোর ফোন নাম্বার
কিন্তু আমার ওয়ার্ডস আপ নেই।
তাই বলে বৃষ্টি হয় না এ বুকে কে বললো
এ আকাশে এতো মেঘ।
চারধার শুধু কালো কালো অন্ধকার
বৃষ্টি আয় মাটিতে ,,আজ তোর জন্মদিন।

জীবনের দুচার পাতায় না হয় আমায় লিখিস
বৃষ্টির কাদামাটি না হয় শরীরে মাখিস।
দেখবি আমার গন্ধ সেখানে
তোর হৃদয়ে ,,খুব গোপনে তোর সাথে।
বৃষ্টি তুই ভালোথাকিস আজ তোর জন্মদিন
আমি মাটি তোর শুভেচ্ছায়।

RISHI026@GMAIL.COM

ষড়যন্ত্র  C/O পৃথিবী
........... ঋষি

পৃথিবীর বাইরে বলে কিছু নেই
তুমি আমি সবাই এই গোলকের অদ্ভুত জীব।
হিংস্র বটে ,অহংকৃত বটে ,হাসছি বটে
আসলে আমরা কেউ কাঁদতে পারছি না।

চারপেয়ে আর দুপেয়ে তফাৎ, তফাৎ
কিছু নেই আর
সবুজ সভ্যতার ,লাল রং।
সভ্যতার দোলনায় দুলছে ভালমন্দের সাথে
কিন্তু আজকাল মনে হয় মন্দটাই বেশি,
মনে হয় মুখ থুবড়ে পরছে অন্ধকারে পৃথিবী।

নোংরা মাছের বাজারে বন্ধ হাঁড়িতে মাছগুলো
দমবন্ধ লাগে ,আর কত দিন মৃত্যুর অপেক্ষায়।
সময় পেরিয়ে যায় এক দিন ,দু দিন ,কিছু দিন
বদলায় না কিছু।
শুধু অন্যায় আর নিরুপায় আমরা
বাঁচতে থাকি আশায় আশায়।

পৃথিবীর মধ্যেও আজকাল কিছু নেই
তুমি ,আমি,সবাই শুধু দিনগুনি সুদিনের।
দিন আসছে আর চলে যাচ্ছে জীবন পাতায়
কিন্তু তফাৎ দিন আর প্রতিদিনের।   

rishi026@gmail.com

ভালোবাসবো না তোমায়
....................ঋষি

জীবন তোমাকে আমি ভালোবেসেছিলাম
জানলা ,দরজা ,খুলে আলোর মতন তোমায় জড়িয়ে ধরেছিলাম।
সময়ের আগে আর পর তুমি ছিলে শুধু
চোখ খুলে ,চোখ বুজে শুধু জীবন আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম।

তারা তুলে নিয়ে গেল আমায়
তারা কয়েকজন তুলে নিয়ে গেল আমায়।
ছাল,চামড়া ,ছাড়িয়ে ,জামাকাপড় ছিঁড়ে আমাকে নগ্ন করলো
ছাল চামড়া ছাড়িয়ে ইচ্ছে মতো ব্যবহার করলো।
ইচ্ছে মতো স্পর্শ করলো ভিতরে ,বাহিরে
ইচ্ছে মতো  নুন দিল প্রতি আঁচড়ানোর রক্তে।
তারপর ছুঁড়ে ফেলে দিল নগ্ন করে ব্যস্ত ফুটপাথে
তারপর ছুঁড়ে ফেলে দিল জীবন তোমার কাছে।
আমি হাসছি জানো জীবন তোমায় ভালোবেসেছিলাম বলে
আমি হাসছি জানো আমার রক্তাক্ত জরায়ুর মুখে।

জীবন তুমি দাঁড়িয়ে আছ বন্ধ জানলার পাশে নতমুখে
কিন্তু জীবন তোমায় এমন মানায় না অন্ধকারে।
আসলে আমারও আর ভালোবাসা মানায় না তোমাকে
যাও জীবন তোমায় মুক্তি দিলাম আর ভালোবাসবো না তোমায়। 

Thursday, July 17, 2014

RISHI026@GMAIL,COM

একটু স্পর্শ দিয়ে যা
............... ঋষি

কয়েকশো অভিমান বোতলবন্দী প্রেম
ধুঁয়ে মুছে কবিতার গায়ে আগুন।
আয় কবিতা স্পর্শ করে যা
আয় কবিতা আমাকে ভিজিয়ে যা।
আরেকটু একা কর আমায়
একটু কাঁদিয়ে যা।

কয়েকশো অধিকার অনাহুত আগুন
রক্তের ভিতরে হর্সপাওয়ারে জ্বলন্ত বাল্ব।
নিভে গিয়ে জ্বলে ওঠা লোডশেডিং
অধিকার জবাব দেও গড়িয়ে যাওয়া।
অবাঞ্চিত চেতনার আগুন
একটু পুড়িয়ে যা।

যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল আর ভেজেনি
যারা জড়িয়ে ধরেছিল আশাহীন।
তাদের কবিতার খাতায় আমার ছোপ
রক্তাক্ত দাগ সাদা পাতায়।
আমার কবিতা আরেকবার ,আবার
একটু স্পর্শ দিয়ে যা।

RISHI026@GMAIL.COM

সভ্যতা সঙ্গম
.................. ঋষি

হাজারো বছরের সভ্যতা আমার
বুকের জমা খামে উন্নত উদাসীনতায় আম্রপলি।
আমি সভ্যতা আঁকতে পারি নগ্ন রঙে
যখন তখন নিজেকে কাঁদাতে পারি আলিঙ্গনে
হাসছি ,হাসবো এক জোকার দু বুক জুড়ে।

উন্নত সভ্যতার উন্নত স্তনে মুখ দেবো
সেখান থেকে তুলে আনবো কালি।
সভ্যতার উরুর মাঝে চেপ্টা নদী
চান করবো নিজেকে ধোবো
আসলে নিজেকে ব্যস্ত রাখা খালি।

ঠোঁট ঘষবো নগ্ন করবো সভ্যতা
অনেকটা সাদা পাতায় আঁকিবুকি আমার কলম।
জিরাফের উষ্ণতায় এক বারুদ বুক
বন্দুকের নলে লেখা অগ্রদানি সভ্যতা
হাসছি দেখো আমার রক্তাক্ত ঠোঁট।

দুহাত বাড়িয়ে এগিয়ে যাব তোর দিকে
আমার পিছনে উচ্ছল সমুদ্র সৈকত।
সভ্যতার বালি আমার দুচোখে নিংড়ে
কিছুটা ওপরে উঠে আবার নেমে যাব
আমার সভ্যতা সঙ্গম। 

RISHI026@GMAIL.COM

যন্ত্রণার স্পর্শ
,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

একটা আহত দিন
মুক পশুর মতো এক চোখ জিজ্ঞাসা।
কি হবে ,কেন হলো
ভুল কিছু মায়ার অব্যক্ত যন্ত্রণা।
ছড়ানো ছেটানো ফ্ল্যাশ ব্যাকে ছায়াছবি
বড় কষ্ট দায়ক।

তুই বুঝিস নি আমায়
হয়তোবা বোঝাতে পারি নি অস্তিত্বদের ভিড়ে।
পুরনো প্রযুক্তির রক্তক্ষরণ ,ঠিক তাই
কিন্তু যন্ত্রণা তো যন্ত্রণা থাকে।
যে নামে ডাকিস না কেন আমায়
ভালোবাসা সেই একই থাকে।

একটা মেঘলা দিন
তোর দুচোখ ছুঁয়ে বৃষ্টির ধারা।
আমি ঠিক স্পর্শে পাচ্ছি না বলা কথা
কিছু উষ্ণ মুহুর্তের অদ্ভুত আবাহন।
আমাকে ডাকছে হৃদয়ের যন্ত্রণার রক্তপাত
কেউ যেন আমাকে ভালোবাসছে।

RISHI026@GMAIL.COM

একলা সড়ক
............ ঋষি

শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত রাস্তায়
পাখিটা ডানা ঝাপটায় ,একটা আশ্রয় খোঁজে।
খুব বৃষ্টি আজ
সামনে পরে থাকা ক্যানাস্তারে ড্রামের শব্দ।
পাখির বুকে হাহাকার
একটা শহর আমার হতো।

ফেলে আসা পথে পিছনে হাঁটা
ব্যস্ত সরগরম দিনগুলো।
ঠোঁটের  সাথে ঠোঁট ঘষে তপ্ততায় হাঁটা
আনকোরা সেই বিকেলবেলা।
দুচারটে  পালক খসে গেল
পাখি আবার আকাশে উড়ে গেল।

শহরের সুনসান গলিতে
একটা চারশো স্কোয়ারফিট বন্ধ দরজা।
পাখিটা দরজা খোঁজে
এড়িয়ে যাওয়ার ,পালিয়ে যাওয়ার।
দূরত্বের আকাশে
এক বুক স্বপ্ন ভেজা বিকেলবেলা।

হেরে যাওয়া এক কাপ চায়ে চুমুক
রেলিঙ্গের আড়ালে লুকিয়ে ভয়ংকর অজগর।
হা করে আসা আকাশের দিকে
তাকিয়ে পাখিটা স্বপ্ন খোঁজে।
ভালোবেসে উড়তে চাওয়ার ইচ্ছার আঙ্গিনায়
খিদের পৃথিবী ব্যস্ত সড়ক। 

rishi026@gmail.com

কয়েক ভরি
.................... ঋষি

হাতে চুরি পরেছি
বুকের থেকে খুলে রেখেছি সোনার নথটাকে।
এই মাত্র কয়েকভরী চুরি হয়ে গেল
শুধু শরীরের গুলো রয়ে গেল।

বিষাক্ত বেশ্যার মত ফুটপাথে দাঁড়িয়ে
আমি একভরী সোনা কিনবো।
বাঁচবো,মরবো আবার বাঁচবো
কেউ বলে নি এমন।
ইশ্বর সোজা আসে মন্দির, গির্জায় অহংকৃত
ইশ্বরের পথে আমি শুয়ে আছি  .
কিন্তু কি জানি আমি হারিয়ে ফেলেছি
চুরি গেছে  সিন্দুকের চাবি।

হাতের চুরি ,মুখে হাসি
সাজানো শরীরে অনেক দামী স্পর্শ।
নৃত্য করি এসো ইশ্বর হাত ধরে
বাঁধানো দান্তে মৃত্যুর সর্প কয়েক ভরি। 

rishi026@gmail.com

পৃথিবী ক্লান্ত
...................... ঋষি

আরেকটু এগিয়ে এসো পৃথিবীর বাইরে
বাইরে থেকে দেখা রূপ রসে পূর্ণ এ পৃথিবী।
সভ্যতা নাকি হাত ধরেছে বিশ্বায়নের আর শিল্পায়নের
আর মানুষ হাত ধরেছে অন্তিম শ্বাসের
বেশ কিছুদিন বদল হলো জীবনের।

জীবন মানে  পরে পাওয়া চৌদ্দ আনা
বিশ্বব্রম্হান্ডের বাইরে দাঁড়িয়ে সবুজ ,নীল পৃথিবীর মাঝে
একটা রং সবার অচেনা ,কষ্টের
লাল রং রক্তের।
কে যেন বলেছিল আমায়
পৃথিবীতে কি কিছুই ভালো না ?
আসলে আমি দেখতে পাই পৃথিবীর গায়ে লাল লাল ছোপ।
সারি বেঁধে পিপড়েরা খুবলে খাই পৃথিবীর মাটি
লুটেপুটে খাওয়া পৃথিবীর শরীরে ক্ষয়ে যাওয়া রোগ।
সবারি তো ভালো থাকা চাই
কিন্তু আসল কেউ ভালো নেই।

ভালো থাকতে পারে না
লোভ ,হিংসা ,সার্থপরতা ,বিকৃত সম্পর্ক,বিক্রিত প্রেম।
চাহিদার উর্ধমুখী বিবর্তন ,মনুষত্বের অদ্ভুত পরিবর্তন
বিকৃত যৌনতা,শরীর ,খিদে মিলিয়ে
চেতনার ধুকপুকে শুধু স্তব্ধতা ,পৃথিবী ক্লান্ত। 

Wednesday, July 16, 2014

rishi026@gmail.com

সন্ধ্যা আরতি
...........ঋষি

ইচ্ছে হলো তোকে পেতে
তাই দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম একটা অস্তিত্ব।
দিনরাত ,দৈনন্দিন অজস্র যন্ত্রণার কাঁটায়
আমি ডুব লাগালাম তোর প্রেমে
বাউল আমি।

আমার একতারায় বাজে প্রেমের সুর
দিনে রাতে একলা পথে।
আজ আমি খালি পায়ে প্রেম পুজারী
আমি হাঁটি ,হেঁটে চলি সিংহল থেকে সুমাত্রা।
একটু শান্তি ,একটু স্পর্শের আশায়
তোকে ভালোবাসার আশায়।

স্বর্গের ঈশ্বরের হাতে বাজে দুন্দুভি
আমি সেই ছাই মাখা জটাধারী ধ্বংসের কবিতা।
যার প্রতি স্তবকে লেখা আছে প্রেমের স্পর্শ
দু একটা ফুল তোকে ছুঁয়ে হিমালয়ের বুকে।
নেমে আসে জ্যান্ত নদী আমার বুকে
আমার শহরে গঙ্গা তুই।

ইচ্ছে হলো তোকে পেতে প্রতি ছন্দে
আমার গন্ধে ,রন্ধে রন্ধে তোর হৃদয়ের সুবাস।
দৈনন্দিন ফুটপাথে দেখা জোত্স্নার রুটি
আর একটা অস্তিত্ব তোর প্রেমে
আমার সন্ধ্যা আরতি তুই। 

rishi026@gmail.com

একলা সময়
................. ঋষি

আজ তুমি আসো নি
সকাল থেকে ছড়ানো কবিতারা বিহ্বল।
যতটুকু মেঘ ছিল আকাশে
সব সরে গেছে
শুধু জীবন থেকে একটা দিন চলে গেছে।

বয়স বেড়ে দাঁড়িয়ে আছে একলা স্টেসন
স্টেসনের ১০.৪০ সোনারপুর লোকাল দাঁড়িয়ে আছে।
আমি দাঁড়িয়ে এককোনে
ট্রেন এসে গেছে বহুক্ষণ স্টেসনে একা।
আমার মত
দুচারটে মুহুর্তের ভিড়ে দাঁড়ানো আমাতে।

চারিদিকে ছড়ানো চিত্কার আমার কবিতারা
ফেরিওয়ালা ,খবরকাগজ ওয়ালা ,সিঙ্গারা ,চা কত কিছু।
এই জীবনের ভালো থাকা মুহুর্তদের ভিড়ে
ভীষণ একা একলা স্টেসন।
কত ট্রেন আসে যায় দিনে রাতে
কিন্তু  ১০.৪০ সোনারপুর লোকাল একটু স্পেসাল আমার কাছে।

আজ তুমি আসো নি
সকাল ফুরিয়ে বিকেলের আলোয় অন্ধকারের স্পর্শ।
যেটুকু আশা ছিল সব গেছে
শুধু সময় থেমে গেছে
আমার একলা পায়ে জড়ানো সময়।

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...