Sunday, January 29, 2017

পরিচয়পত্র

পরিচয়পত্র
........... ঋষি
==================================================
সমস্ত প্রতিবাদগুলো দমবন্ধ করে নিজের গোপনে
নোট বন্দি ,হালহকিকত ,রাজনীতি।
সমস্ত নিয়মের বাইরে মানুষের একটা পরিচয় থাকা জরুরী নিজের কাছে
আমাদের আছে পরিচয়পত্রে।
ঘুমিয়ে পড়া সময়ে মানুষগুলো সব মায়ের কোলের ধেড়ে খোকা
আর সময় সে রক্তাক্ত।

এইভাবে একদিন ডাইনোসোরস হারিয়ে গেলো
বিজ্ঞান সম্মত জীবিকায় একের পর এক  একে ফোর্টি সেভেন গর্জে উঠলো।
নভেম্বর ইলেভেন আরো কত
বাংলাদেশ ,পাকিস্তান ,ভারতবর্ষ ,নাইজেরিয়া ,সুদান
শুধু দেশ থেকে গেলো।
দেখুন এর  মধ্যে কেউ কেউ আবার তেড়ে এলো বলে
এই সময়ে মানসিকতায়  সত্যি বলতে নেই।
শুধু সত্যি আঁকড়ে বাঁচতে শেখা  মিথ্যের সাথে
ধর্ম ,কর্ম ,রং হাজারো বিভাজনে।
শুধু পুঁজিবাদী অলংকার
আর মানুষ সদা ত্রস্ত কুকুরে বাচ্চা সব।

সমস্ত প্রতিবাদগুলো মানুষের গোপন অঙ্গের লুক্কায়িত
কিন্তু প্রয়োজন আছে।
না হলে বাড়তে থাকা প্রযোজন প্রসেসিংএ শুধু কুকুর বাড়বে রাস্তায়
মার্ খেলে ক্যাও ক্যাও করে লেজ তুলে পালাবে।
কিন্তু মানুষ জন্মাবে না
জন্মাবে একাধিক ব্যাধির মতো বেঁচে থাকা এই সময়।  

এক কাপ কফি

এক কাপ কফি
.......... ঋষি
====================================================
এক কাপ কফি আর হারানো বিকেলের আড্ডাতে
আমার  তোকে মনে পড়লো।
সম্পর্কের নাম হিসেবে ধরলে কিছুটা সন্ধ্যে এই মুহূর্তে আমার সাদা পাতায়
 অথচ যদি পরিচিতি হয় তবে কবিতা।
চলন্তিকা আমি জানি প্রতিটা ফেলে আসার পরে
রোমন্থন ভীষণ  জরুরী  হয়।

সামনে একা পরে থাকা আমণ্ত্রন গুলো
আমার নিয়ন্ত্রিত জীবনের নিমন্ত্রণ কখনো হতে পারে না।
হতে পারে না কোনো পেজ মার্কের জরুরত
তবে সেগুলো তো কবিতা হতে পারে।
আমি বহুবার  দেখেছি
সারি বাঁধা ফোটোফ্রেমের ডাইরির ভিতর কোনো  ,
সে কোনো নিরাভরণ নারী নয়।
সে পূজনীয় কোনো কবিতা
সদা  আবৃত্ত হৃদয়ের ফেলে আসা শহরের কয়েকটা লাইন
নারী তুমি কবিতা হতে পারতে।

এক কাপ কফি আর হারানো বিকেলের আড্ডাতে
লুকোনো ভ্রম।
সম্পর্কের নাম হিসেবে ধরলে তবে সে তো বড়ো নিয়ন্ত্রিত সামাজিক
কিন্তু আমার কবিতা সামাজিক নয়।
আমি চির পরিচিত উষ্ণ কফি বিনের  থাকা ভবিষ্যতের
পুনরাবৃত্তি পরিচিত উষ্ণ ঠোঁটে। 

? চিহ্ন

? চিহ্ন
......... ঋষি
==========================================
প্রশ্নটা কেন লাগলো ,মানে ওই চিহ্নটা।
নিজেকে আরক্ত করে বিকেলে আলোয়
কিছু কষ্ট মাড়িয়ে হেঁটে চলা জীবনের পথগুলো মিশে যায়
যেমন নদী মোহনায়।

কোনো মুম্বাই গামী ট্রেনের দরজায়
শুয়ে থাকা ভিখিরিটা তো আমি হতে পারি।
কিংবা ধর  তোর শহরে যেখানে  প্রচন্ড জ্যাম
সেখানে কোনো তপ্ত দুপুর ,তৃষ্ণা আমি হতে পারি।
হতেই পারি আমি আকাশের বৃষ্টি
তোর বাড়ির জানলা দিয়ে দেখা রুপোলি পাহাড়টা সেটাও তো আমি হতে পারি।
কুয়াশা ঢাকা কোনো সকালের রাস্তা
কিংবা তোর চলতে থাকা নিঃশ্বাসে একটুকরো  তো আমি হতে পারি।
হতেই পারি আমি কোনো বন্য রাত্রি
গড়িয়ে নামা তোর জিভের স্বাদ ,কিছুটা আদর।

প্রশ্নটা কেন লাগলো ,সঙ্গে একটা চিহ্ন
নিজেকে ভিজিয়ে ফেরা ভাবনার দরজায় একটা কলিংবেল।
অনেকটা জীবন থেকে শেখা জীবিত থাকা
কারণ বাঁচতে চাই যে। 

আরো জীবিত

আরো জীবিত
.......... ঋষি
====================================
আমাকে পাগল বলে তুই হাসছিস
কিন্তু তোর দুলে ওঠা শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাগলামি।
যে অন্ধকার তোকে আজ যাতনার আগুনে  পিষে চলেছে
তুই জানিস সেই আগুন আমার নামান্তর।
যারা পুড়ে গিয়ে ফিরে আসে তারা মানুষ
আর বাকিরা কতগুলো যাযাবর।

বাঞ্জারা এই জমিটা উর্বর ছিল একদিন
সবুজ কিছু আলো তোর চোখে আজও জীবিত।
তুই নিজের বলে অরণ্য খুঁজছিস
কিন্তু অরণ্য তোর আমার মতন হাজার মুসাফির।
আরো গভীরে শান্তি
আরো সবুজ হোক হৃদয়।
আরো আগুন জ্বলুক আরো তৃষ্ণা বাঁচুক বাঁচার।
তবে না জীবন
আরো জীবিত।

আমাকে পাগল বলে তুই হাসছিস
আর আমি যাযাবর হয়ে হেঁটে চলেছি তোর  মাটিতে।
আমার ছায়ায় কোনো পাপ নেই কোনোদিন
শুধু আছে সাথে থাকা।
তুই আমায় পাগল বলিস
কিন্তু এটা কি জানিস পাগলামিও একটা বেঁচে থাকা। 

Friday, January 20, 2017

ইতিহাসের কাছে

ইতিহাসের কাছে
................ ঋষি
=================================================
সব কি শেষ করা যায়
নিজের সাথে মিলেমিশে অবদারদের গাছে তোলা।
তারপর জটিলতা
 ইকিরমিকির চামচিকির/চামে কাটা মজুমদার/ মজুমদারের হাড়িকুড়ি।
সমস্যা সেই  হাড়িকুড়ি
হাঁড়ির বাড়ন্ত চাল আর অনবরত গালাগাল।

এইভাবে খুলে যায় দৃশ্য
অজানা স্টেজে আতংকরা ঘুম ভাঙা মুসাফির।
কিছু তবু পড়ে থাকে দৈনন্দিন বেঁচে ফেরা  থেমে গেলে
একাকী প্রান্তরে প্রবল মাঝরাতে তখন কুয়াশা।
কেউ তার ভিত ধরে নাড়ে
তারই ভিতরে চকমকি ঠুকে দেখে কিভাবে আগুন জ্বেলেছিল হোমোস্যাপিয়ান।
নিজেরই মুখ পুড়ে আয়নায় অচেনা
সত্যি কি আমরা
এই ভাবে শেষ হওয়ার সাহস খুঁজে পায় নিজেদের ইতিহাসের কাছে।

সব কি শেষ করা যায়
সময়ের সেলাই করা প্রতিফলন আরো প্রকট হয়।
ক্রমশ যায় জটিল
ভোর হল, দোর খোল, খুকুমণি ওঠ রে।
কিন্তু খুকুমনি
সে যে এখন ভীষণ ছোট ,ফিরে আসতে  ভয় পায়। 

বাঁশিওয়ালা

বাঁশিওয়ালা
............ ঋষি
=========================================
একটা ইচ্ছেকে আমি
পৃথিবী দিয়ে গড়ে পিঠে মানুষ করি।
তুই বলিস একটা ফোন কল দূরত্ব তোর থেকে
কতগুলো ছোট ছোট বোতাম আমাকে আরো ছোট করে দেয়.
তুই বল চলন্তিকা
এইভাবে কি তোকে পাওয়া যায়।

একটা হচ্ছে তোর গাল বেয়ে আকাশে হারিয়ে গেলো
একটা ইচ্ছে এই বিকেলে চায়ের কাপে তোর ঠোঁট ছুঁয়ে গেলো।
তুই বলিস
এই তো আমি তোর কাছে ,তোর পাশে।
আমি হাত বাড়ায় সামনে সেই ফেলে আসা ছোটবেলার প্রথম শব্দ কিছু
তুই বল চলন্তিকা আমি কি শিশু ?
নাকি তুই আমার শৈশব  ?
হাত বাড়ালে সেই ইলশেগুঁড়ি ভিজতে থাকা প্রলোভন
তুই বল চলন্তিকা
এই ভাবে কি মাটি ভিজলে আদর পাওয়া যায়
কিংবা তোকে

একটা ইচ্ছেকে আমি
পৃথিবীর পথে তোর সাথে হাতে হাত মেলায়।
পাশাপাশি হাঁটি ,গ্রাম পেরিয়ে রাঙা মাটির দেশে সেই বাঁশিওয়ালা
আজও বাঁশি বজায়।
তুই বল চলন্তিকা তোর রিংটোনের বাঁশির শব্দে
সত্যি কি আমি থাকি ?

মানুষের পরিচয়

মানুষের পরিচয়
........... ঋষি
==============================================
এইভাবে প্রতি সকালে আত্মঘাতী হোক
নিদারুন বাঁচা।
কোনো বেওয়ারিশ লাশ হয়ে  মৃতদেহ চলে যাক গুমঘরে
আরো কাটাছেঁড়া হোক।
ছোট ছোট ছুরি নয় ঢুকে যাক গোটা একটা তলোয়ার তলপেটে
তারপর নির্মম আনন্দ নেচে উঠুক কোনো উৎসবের দিন।

মানুষ মরছে
মানুষ কারণ।
মানুষ পুড়ছে ,পুড়ে চলাটা নাকি সভ্যতা
আর প্রতিটা নগ্নতাকে সভ্যতা গালাগাল দেয় হিরোশিমার  আদলে।
আমার বুকের ভেতর থেতলে আছে বুক,
কারো চিবুকের আকর্ষণে,ঠোঁটের প্রলোভনে  আত্মঘাতী হবো না।
নিজের ভাঙাগড়া সয়ে হাসিমুখে দেখবো না
আরও কতটা সুউচ্চ হলো তার প্রাসাদ,তার বুকে রঙিন পিরামিড।
মিসিসিপি তলিয়ে গেলো ,মানুষ বুঝলো না আজও
মানুষের পরিচয়।

এইভাবে প্রতিদিন সকালে জিভ পুড়বে
নিদারুন মৃত্যুতে।
কোনো অজানা বালিচর হয়ে মানুষ কাটাবে আরো আগামী
আরো মৃত্যুর সাক্ষী এই বাঁচা।
ছোট ছোট শিশু নয় এই বার লাঞ্চিত সভ্যতা নিজের ঘরে
ফিরে থাকবে মানুষ পিঠ পুড়ছে। 

মুখরোচক

মুখরোচক
............... ঋষি
===========================================
সেই রকম একদিন
হঠাৎ দেখা পাতার পর পাতা এই নাগরিক জীবন।
অজস্র কোলাহলে প্রচুর বিদ্রুপ
কান ঝালাপালা অশিক্ষা, দারিদ্র্তা।
বেকার থাকবে দেশে, ধর্ষণ নিত্যকার রীতি - আলোচ্য বিষয় বটে
তবুও বেশ মুখরোচক।

খাওয়া শেষ
খবরের ঠোঙ্গারা রাস্তার পাশে কিংবা সভ্য আরো ডাস্টবিনে।
এ শহরের রাস্তার হিজিবিজি কোন এক পাশে
আমাদের দেখা হলে দেশ ও সমাজ আর সময়ের
ফর্দোফাই।
তারপর সেই ফিরে যাওয়া নিজ নিজ সুখী গৃহকোণে
চলছে চলবে সময়ের চাকা।
বিনিময়  বাবু শুধু চিৎকার করে যাবেন
পুরোনো হবে আরো কবিতার পাতা।
তারপর পুনরায় আবার দেখা পথচলতি মানুষের বেশে
সে রকমই একদিন, ট্রামে কিম্বা বাসে।

সেই রকম একদিন
হঠাৎ অভিনীত দেশ ,কাল ,সমাজ নিজেদের পরিচিতি।
আয়নার মুখগুলো এই শহরে বড্ডো রঙিন
সবুজকে মুছে দিতে চায় নিত্যকার মর্ডান খেলনা।
আর আমরা শিশু সব
শুধু মুখের ভাষণে  বদলাতে  চাই একটা গোটা সভ্যতা।

তুমি কুয়াশা

তুমি কুয়াশা
............ ঋষি
==============================================
কতটা একলা হলে তুমি কুয়াশা হবে
এই শহরের বুকে একলা দাঁড়িয়ে ভিজে যাবে সকালের শিশিরে।
এই শহরে আদর পাওয়া দায়
শুধু নিজের সাথে নিজের অভিনয় ভিজে যাওয়া।
মুহূর্তের গভীরে আজকাল বিনিময়
সভ্যতার প্রথম অক্ষরে কালো বর্ণমালা পরিচিত বিজি নেস।

কতদিন তোমার পাশে হেঁটেছি চলন্তিকা
আরো কতদিন ভিজবো জানি না সকালের আনন্দে।
প্রতিটা সকাল যখন কুয়াশার গভীরতা আমার কাছে
ছুঁয়ে থাকো ক্ষণিকের বেঁচে থাকায়।
আচ্ছা চলন্তিকা তুমি কি সত্যি কুয়াশা হতে পারো না
সভ্যতার বর্ণাক্ষরে পরিচিত  হোক নতুন জন্ম।
নতুন একটা দিনে খুলে পড়ুক আকাশ তোমার খোঁপার সুগন্ধীর মতন
বাতাস লাগুক বুকের ভিতর আনন্দ।
কবির ভাষায়
একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, প্রাণেশ হে,. আনন্দবসন্তসমাগমে।

কতটা একলা হলে তুমি কুয়াশার  হবে
এই শহরের বুকে কোনো পান্তরে আমি সেও ভিজে সতেজ চোখ।
এই শহরে সত্যি চলিন্তিকা হৃদয় পাওয়া ডে
শুধু নিজের সাথে নিজের আয়নার পরিচয় আদিখ্যেতা।
মুহূর্তের গভীরে তুমি কি জানো ভিজে যায়
চোখের পাতায় তখন সদ্য সকাল তুমি কুয়াশা। 

Wednesday, January 18, 2017

যদি কিছু বাকি থাকে

যদি কিছু বাকি থাকে
.............. ঋষি
=================================================
ঠিক কতটা বেঁচে
অযুত নিযুত হৃদয়ের পর্যায় পরিযায়ী সব।
সময়ের দ্রাঘিমায় দৃশ্যপট বদলায়
ঠিক যেন কোনো ঋতুর  দৃশ্য বদল ।
আমি তুমি দীর্ঘজীবী চিল
নীল আকাশে।

দমবন্ধ এই সভ্যতার গায়ে
লাল নীল আঁচিলে কোনো পরিচয় লুকিয়ে থাকে।
মানুষের রোজকার যাপনে যতটুকু বাঁচে
বাসি পান্তাভাত আর নুন লংকা সময়ের সাথে।
একটা অদ্ভুত আনন্দ যদি ছুঁয়ে যায়
সে তো পরিচয়।
একা  থাকা
যেমন এই চতুর্ভুজের সীমানায় নিয়ম ,সমাজ ,সময় আর আদালত।
আর আদালতের দরজায় সকলে আমরা
মহান ঈশ্বর তুমি কি শুনছো ?
তুমি কি সত্যি কোনো আদরের সন্ধ্যের শঙ্খের শব্দ।

ঠিক কতটা বেঁচে
অযুত নিযুত ,চন্দ্রবিন্দু চাঁদ আকাশের পর্যায়।
আমাদের জানলা দিয়ে আকাশ দেখা যায়
সেও কোনো চুক্তি বোধহয় বেঁচেথাকা আর ভাল থাকার ফাঁকে।
বাকিটুকু শুধু পরিচয়
সম্পর্ক হজম করার যদি কিছু বাকি থাকে।

Thursday, January 12, 2017

নগ্নতার কাব্য

নগ্নতার কাব্য
........ ঋষি
========================================
নিজেকে আরক্ত করে ভিজিয়ে রাখা রক্তে
সকালের কুয়াশা এখনো আলগা এই শহরে।
আভিজাত্যের কোনো রাস্তায় নগ্নতা ভেজা মানবিকতা
এই শহরের ঘুম ভাঙে নি এখনো।
কে এই নারী
যে এখন যন্ত্রনায় কুঁকড়ে ভিজে যাচ্ছে সভ্যতার অন্ধকার ধর্ষণে।

আপেলের পাশে শোয়ানো শাণিত ছুরি রক্ত লোলুপতা শক্ত হয়
পৌরুষ আজ সভ্যতার তিন নম্বর পায়ের সন্ধানে।
বেলা আসে ,বেলা যায়
চামড়ার আস্তরণের নিচে সফেদ জিভ উজ্জ্বল মাংসল নিতম্ব
রৌদ্র এখন চারপাশে।
পথচলতি মানুষের  আঙুল খুলে ফেলে নিজের লোলুপতা
 ধোঁয়া শরীর চিমনীর কালো চোখে চকচক।
ঘর ছাড়িয়ে নেয় খোসা বার করে আনে বীজ
মেয়েটা ধর্ষিত
পুলিশের গাড়ি এসে দাঁড়ায় ,সাথে এম্বুলেন্স।

নিজেকে আরক্ত করে ভিজিয়ে রাখা রক্তে
এই শহরে এমন ঘটনা খুব দৈনন্দিন আর শ্রুতিমধুর মানুষের।
উদ্দীপনা থাকে না আর  বেইমান ভঙ্গীতে নামিয়ে রাখা শরীর
 লাল রক্ত মাংস।  পুলিশের খাতাতে হিসেব মিলিয়ে সস্তা সেন্ট।
উগ্রতা মেজাজ হারায় সেই নারী স্বীকার করে সভ্যতায়
এটা নিয়তি প্রতিটা ধর্ষিত নষ্ট এবং স্বাবাভিক খবর।

বনসাই

বনসাই
........... ঋষি
==========================================
মনে পরাটা একটা রোগের ধারক
কাল সারাদিন কেটেগেলো পুরো একটা পৃথিবীর আবর্তনে।
আমি বিষুব রেখা ধরে হাঁটছি
এখানে শীত ,গ্রীষ্ম প্রকোপ সমকামী কোনো জীবিকা।
কিন্তু শীতের শুকনো পাতার ফিসফিস করে বললো আমাকে
তুই নাকি আমাকে ভুলতে চাইছিস।

কাল সারারাত আমি ভেবেছি
উত্তরাখণ্ডের পাথরের চাইয়ে গড়িয়ে নামা মৃত্যুর তালিকা।
সেখানে একটা মৃত্যু আমারও হতে পারতো
রোজকার ব্যস্ততার সাথে নিজেকে ভুলিয়ে রাখার যে অপচেষ্টা।
সেখানে না হয় এই মৃত্যুর কোনো দায় থাকতো না
আসলে সম্পর্কের মৃত্যু হলো একটা ডোরাকাটা চিতা।
যে শুধু সবুজ  ছিঁড়ে দৌড়ে যায় টুটি চিপবে বলে
কিন্তু তৃষ্ণা।
চিতার  আদলে এই সভ্যতার গোধূলি বেলায়
হতেই পারতো একটা সম্পর্কের মৃত্যু।

মনে পরাটা একটা রোগের ধারক
আমার চারপাশে ছেটানো তোর সদ্য ছাড়া যাতনার বস্ত্রগুলো।
তোর আমার কাঁচের ঘরে বাঁচিয়ে রাখা ভালো থাকাটুকু
সভ্যতা বনসাই করে রেখেছে।
কিন্তু ভালো করে চেয়ে দেখ সেই গাছটার সব পাতাগুলো আজ ঝরে গেছে
তুই নাকি আমাকে ভুলতে চাইছিস।   

Sunday, January 8, 2017

পরিচয়

 পরিচয়
... ঋষি
======================================
এটা  রমণীয় নিস্তব্ধতা নিজের কাছে
শাওয়ারের জল গড়িয়ে নামা পবিত্রতা ঈশ্বর স্পর্শ।
আমি মেঘ স্পর্শ করি ,স্পর্শ করি বারংবার নিজের পরিচয়ে
অথচ আমার পরিচয়পত্রে তুমি শহরের মতন একটা যাপন।
আমি জীবন স্পর্শ করি ,সরকারি কোনো দপ্তরী  চেতনায়
কিন্তু তোমাকে খুঁজে পাই না কেন এই শহরে।


আমার নাগরিক জীবন জানে
জীবন নাকি নিজের কাছে বাজতে থাকা স্যাক্সোফোনের করুন সুর।
আমার প্রেমিকা খুব ভালো করে জানে
আমার কাছে জীবিত থাকার মানে এই জীবনে শুধু যাপন।
তবু জানো এই শীতের বিকেলে
আমি সাওয়ারের জলে নিজেকে ভেজায় কারণ অপেক্ষা।
গ্রীষ্ম আবার আসবে
ফিরে আসবে তৃষ্ণা কোনো শান্তির পথে কোনো বাউল।
একতারা নিয়ে গেয়ে উঠবে
আমার প্রিয় রবিঠাকুর।

এটা  রমণীয় নিস্তব্ধতা নিজের কাছে
প্রতিটা গ্রীষ্মের দুপুর জানে মানুষের ইন্দ্রিয় গড়িয়ে নাম নুন।
আমি সময় স্পর্শ করি ,স্পর্শ করি নিজের আলাপন
এই সব কি ভুলভাল আমার পরিচয়পত্রে তুমি কোথাও নেই।
এক অরণ্য শেষ হলে আরেক অরণ্যে আমার এ পদচারণা
শুধু আমার ভিজতে থাকার পরিচয়।

একটা চিহ্ন

একটা চিহ্ন
.......... ঋষি
==========================================
আমার বুকের উপর তুমি পা রাখো
যেমন করে চিরকাল তুমি হেঁটে এসেছো আমার হৃদয় পথে।
আমি কান পেতে শুনি তোমার নুপুরের শব্দ
প্রতিটা পদধ্বনিতে সময় উড়তে থাকে পতপত পতাকার মতো।
পতাকা তো একটা উচ্চারণ মানুষের মনের
সে তো একটা চিহ্ন জীবিত থাকার।

সোডিয়াম হলুদে ছুঁতে আসা তোমার স্পর্শের আবরণ
আমি নিদারুন থাকি সেই দিনে।
তুমি হাঁটতে থাকে প্রান্তর  ছেড়ে কবিতার পাতায় নিজের মতো চিরকাল
আমি আকাশ লিখি ,লিখি নদী ,লিখি সমুদ্র।
সমুদ্রের গভীর অতলে আমি খুঁজতে থাকি নিজেকে বাঁচার কিনারায়
কিছুটা অক্সিজেন এই জীবনে
কিছুটা বেঁচে থাকা তোমার নামে।
এই ভাবে সময়গুলো কখন যেন জুবুথুবু প্রাচীন অশ্বথ্থ মনের  ফাঁকে
সবুজ পাতায় জন্মায় ,ঋতু বদলায়
আর আমি সদা ,সর্বদা রঙিন আমার কবিতায়।

আমার বুকের উপর তুমি পা রাখো
তোমার জন্ম ,মৃত্যু লেখা হোক আমার জীবিত যাপনে।
আমি কান পেতে শুনি রুনুঝুনু
তুমি আসছো ,.এগিয়ে আসছো আমার দিকে এক একটা শতাব্দী।
তোমার প্রতিটা পদক্ষেপে তুমি জানো কি
আমার জন্ম হয় বারংবার আর হয় মৃত্যু। 

শুনছো চলন্তিকা

শুনছো চলন্তিকা
........... ঋষি
==========================================

শুনছো চলন্তিকা
তোমাকে দোষ দিই নি কোনোদিন ,না তুমি দোষী।
তবু বলি একদিন তোমার  নামটা গাঁজা ,চরসের মতো বাজারে বিক্রি হবে
কিন্তু সেদিনও তুমি আমারি থাকবে।
জানি নেশা হবে অনেকের তোমার মাঝে সেজে
কিন্তু কখনো এক মুহূর্ত তুমি আমার থেকে দূরে যাবে না।

বিশেষ আইনি প্রস্তুতিতে তুমি বাজারে ব্যান্ড
অথচ তুমি জানো  চলন্তিকা ব্যান্ড পার্টি হবে ,হবে ছম্মকছল্লু।
লোকে তোমাকে অবহেলা করবে
কিন্তু দিনে রাতে তোমার ২৪ - ৩৬ -২৪ এ চোখ রেখে নিগড়ে দেবে ন্যেতার জল।
তুমি সাদা হবে ,বিধবা হবে
তবু তুমি কখনো কোনোদিন একার হবে না।
এই সভ্যতা তোমাকে পাঞ্চালি করেছে ,দিনে রাতে পাড়ায় পাড়ায়
হাজারো মানুষের চোখের তারায়
তুমি স্বপ্ন শরীর।
তোমার প্রেমিক সকলে আমার মতন একলা
কিন্তু তুমি কখনো একার নও।

শুনছো চলন্তিকা
যারা তোমার সংস্পর্শের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নিজেদের প্রেমিক ভাবে
তোমার নিষ্পাপ চাহনি, কোমল আলাপন শুধু মাত্র মাটির জন্য নয়
একঝলকই যথেষ্ঠ আশ্চর্য তুফান ও প্রলয়কারী ধ্বংস সম্ভাবনার।
সকল  তরতাজা পুরুষের উপর তোমার প্রাণঘাতী প্রভাবের
আশ্চর্য নিরাময় বংশগতি থামিয়ে দিতে পারে পৃথিবীতে!

বাকি গল্পটা

বাকি গল্পটা
......... ঋষি
===========================================
আজও  গল্পটা বাকি থাক
যেমন তুই বাকি রেখেছিস একটা হৃদয় পায়রা খোপে
সারাদিন শুধু বাকুম বাকুম
সামাজিক একটা ভিতের উপর স্বপ্ন দেখা খোলা আকাশ।
আর বলবো না তোকে
কি রে তোর গল্পটা কি শুধু তোর আয়নায় রঙিন।

আমি তো খোলসা করে বলেছি তোকে,
কিভাবে পায়রার আকাশ ছুঁয়ে মুক্তি খুঁজতে থাকে থাকে,
কি ভাবে স্বপ্নঘুড়ি আকাশে গিয়ে ভাবে ,যা ভয় ভোকাট্টা।
আজকে এই সময়ে সাক্ষী থাকুক আকাশ
তোকে বলছি চুপকথা ,
আজও গল্পটা বাকি থাক কি বল।
কিছু বলে দেওয়া কথা আগামীতে হতে পারে দারুণ তলোয়ার
আদিম রক্তে খোঁজে যেমন মৃত্যু প্রিয় আদিম কারবার।
সুতরাং,  সাবধান
 প্রেমে ও যুদ্ধে  সবকিছু ফাঁকি
তবে পায়রার বাসায় লুকোনো ডাকাডাকি মানুষের গল্প।


আজও  গল্পটা বাকি থাক
আমি শুধু কবিতার ছন্দে মাতাল কোনো সময়ের খোঁজ।
নিজের অজান্তে মানুষ  খুঁজি বাকুমবাকুম
সামাজিক ভিতের উপর স্বপ্ন দেখি পায়রার সাদা ডানার।
আর বলবো না তোকে
এই সব  শুধু জীবিত থেকে যায় মানুষ আর আয়নায়। 

চব্বিশ ঘন্টা

চব্বিশ ঘন্টা
........ ঋষি
=============================================
দিক্চক্রবালে আলো নিহত হয় বারংবার
প্রতিটা  চব্বিশ ঘন্টা নির্ধারণ করে মানুষের গুনাগুন বাঁচবার।
তবু জানিস  যন্ত্রনা বাড়তে থাকা
আমার চারপাশে সবুজ হারানো শোকগুলো এই শীতের সন্ধ্যাতে।
লণ্ঠনের আলো
আর উষ্ণ ওম ,তুই তাকে প্রেম বলতে পারিস।

এবার আমি সহজে বলতেই পারি
এসো প্রেম স্বপ্ন দেখি হাতে বানানো উনুনের রুটি।
তুমি আমি দুপাশে বসি
চোখে চোখ নিভে যাক আর ক্ষুধার পৃথিবীতে মানুষ যেন হাহাকার।
প্রশ্ন করি কিসের খিদে ?
জানিস ফিসফিস উত্তর  আসে হৃদয়ে " বাঁচবার " ।
আবার আমি যাতনায় চেয়ে নিতে পারি প্রেম একটা নিষ্কলঙ্ক চুম্বন
ঠোঁটের সাথে আঠা মাখামাখি বাড়ন্ত লোভ এই সভ্যতা।
নিদারুন একটা শোক
খুব কাছে প্রেম তুই জানিস আমি নিরাকার।

দিক্চক্রবালে আলো নিহত হয় বারংবার
ক্রমশ ছোট হতে হতে দিন  মিশে থাকে আশার আলোয়।
তবু যন্ত্রনা বাড়তে থাকে
প্রতি হৃদস্পন্দনের হেক্টর স্কেলে উঁচুনিচু দূরত্ব বেঁচে থাকা আর বাঁচবার।
লণ্ঠনের আলো
অন্ধকার তো দূর করে কিন্তু প্রেম সে তো একার। 

আদর্শ

আদর্শ
.............. ঋষি
=========================================================
আদর্শ ,আদর্শ চিৎকার
ঘুম ভেঙে সামনে দেখি আমার চার বছরের শিশু।
ঈশ্বর তুমি আদর্শবান পুরুষ
তবু আমি নিরালায় নগ্ন হয়ে আদর্শ খুঁজি নিজের আয়নায়।
আর ঈশ্বর নিজের শরীর রং তোলেন
সবুজ প্রকৃতি,লাল রক্ত , নীল আকাশ আর আস্ত সমুদ্র।

মৌনতা নাকি সম্মতির লক্ষণ
কিন্তু লক্ষণরেখা বারংবার পারাপার মানুষের মর্ডানিসমে।
গোর্কি সাহেব সমবেদনা খোঁজে ছেলেবেলায়
ঠিক তখনি আলো নিভে যায়
চারপাশে অন্ধকার
সমাজ হাঁটছে ,মৃতমানুষের ভিড়ে জীবিত যন্ত্রনা আর দেশ দাঁড়িয়ে অভাগী দাসত্বে।
এইবেলা শেখা ভাল না দেখেও না দেখা
শালা বেঁচে থাকাটা নাকি একটা সিস্টেম
বাইরে রিমেকি আলোর  ঘটা, জিরো ফিগারের রুপোলি চশমা
খুলে ফেলে লজ্জার শেষ বিন্দুটা।
আসলে প্রতিটা  ধর্ষণ নতুন এক নিয়ম তৈরী করে
মানুষের নগ্নতার।

আদর্শ ,আদর্শ চিৎকার
ঘুম ভেঙে যায় আমার চার বছরের ছেলেটা।
কেঁপে ওঠেন ঈশ্বর আদর্শবান পুরুষ
চাই লজ্জা নিজের  নগ্নতায় আদর্শ কোনো সময় জেগে  ওঠে।
আর ঈশ্বর মনের আনন্দে গেয়ে ওঠেন
ঘরে ফেরার গান ,,মানুষ তুমি ফিরছো কবে ?


তুমি তো থাকবেই

তুমি তো থাকবেই
,,,,,,,,,,,,, ঋষি
=================================================

না গো আমি কবিতা লিখতে পারি না
আমি যতবার চেষ্টা করি তুমি ভেঙে পর ঠিক গুঁড়ো গুঁড়ো কাঁচের মতো
আমাকে সিগারেট খেতে মানা করো
কিন্তু একবার কি ভাব তুমি যদি এমন করে চলে যাও বারংবার
আমাকে তো পুড়তেই হবে
সে না হয় সিগারেট হোক

সে আমি উত্তরেই যাই চলে হিমালয়ের বৃন্তে
কিংবা দক্ষিণে তোমার খাত বেয়ে জলাজঙ্গলে আর দ্বীপে
কিংবা  রাজস্থানের তৃষ্ণায় দাঁড়িয়ে
জল ভিক্ষা করি
অথবা দুহাত  ছড়িয়ে ডানা আকাশের জলে
নিজেকে ভেজাই
যেদিকেই যাই না কেন তুমি তো থাকবেই
কারণ একটা ভাবনা যদি গ্রাম ,শহর ,রাজ্যের বাঁধন  ভেঙে রাষ্ট্র হয়ে যায়
তুমি তো থাকবেই
এটা কাম্য চিরকাল আমার কবিতার শুধু তুমি নির্ভর নয়
স্বপ্ন নির্ভর সত্যি এক রূঢ় বাস্তব।

না গো আমি কবিতা লিখতে পারি না
আমি যতবার চেষ্টা করি না কেন নিজেকে বাঁচাবার আলোর খোঁজে।
তুমি এসে পর মাঝরাত্রে জ্যোৎস্নার মতো
কিন্তু একবারও কি ভাব স্পর্শ শুধু নিদারুন শোক নয় ,যন্ত্রনা।
সে শুধু পুড়িয়ে যায়
অনবরত  আমার  ঠোঁটের ফাঁকে।  

রক্তাক্ত বারংবার

রক্তাক্ত বারংবার
,,,,,,,,,,, ঋষি
=========================================

কেন যে লিখি
সমস্ত অবয়ব জুড়ে ছুঁয়ে থাকা যন্ত্রণারা আমার কাব্য।
কার কথা লিখি
কলমের  নিব ফেটে  লাল রঙের  ছড়িয়ে পরে মানুষ।
হতাহত ,রক্তাক্ত ,ধর্ষিত হাজারো চিৎকার
আমার সভ্যতার কালিতে সংযোজন করে কালো রং।

এইভাবে কি মানুষ লেখা যায়
নিদারুন কান্না দিনে মানুষ ছুঁয়ে থাকে নিজস্ব যন্ত্রনাদের ভাবনায়।
মানুষের সাথে সেলাই করা রিপুদের অদ্ভুত কারবার
মানুষের চিৎকার ঠিক সেলাই মেশিনে চলবার শব্দ।
মানুষ তো চলতে থাকে
থামলেই একটা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে নিদারুন কোনো আওয়াজ।
অর্থ ভারবহ বেশ কিছু হতাহত সংবাদ মানুষের পেশায়
মৃত্যু এখানে নিত্যদিনের জন্মের মতো।
কিন্তু মানুষের পশুত্ব ,মানুষের নিচের চোখে
সভ্যতাকে জঙ্গল করে তোলে
আর মানুষেকে নিজের আয়নায় মৃত্যু।

কেন যে লিখি
ভাবলে পরে শিওরে ওঠে শরীরে অসংখ্য উপস্থিতি।
না আর মানুষ না
কলমকে যদি লজ্জিত হতে হয় সত্যি লেখার জন্য।
তবে এই মৃত্যু
আমার সাদা পাতা ধর্ষণ বারংবার। 

আদিম আবর্তিত

আদিম আবর্তিত
.......... ঋষি
=================================================
পাগলাটে চাহুনিতে আমি দেখতে পাই
মনের ভিতর কোথাও তোর অনেকগুলো প্রদেশ আছে।
আচ্ছা আমি কি  উপমহাদেশের নাবিক হয়ে সভ্যতা তৈরী করতে পারি
তৈরী করতে পারি আদিম আবর্তিত সেই প্রথম চকমকি ।
তুই আমাকে পাগল বলতে পারিস বারংবার
কিন্তু প্রেমিক করিস না

অস্থির পায়চারি যখন তোর নাভিদেশে ঘুরে ফিরে আরবসাগর
তখন সূর্যের শেষ ঝুলতে  থাকা আলোতে তুই প্রথাগত।
তোর বারান্দার রেলিঙে
যেখানে বিকেলের শেষ আলো ,মিহি বাতাস,নিদারুন স্পর্শ তোকে রবিঠাকুর ছুঁয়ে যায়
তখন আমি শহর ভাঙি।
শহরের ফুটপাথে শুয়ে থাকা নগ্নতাকে আপন করি
ভাসতে থাকি মেঘের দেশে।
সভ্যতা তৈরির ঈশ্বরদের আমি গিলোটিনে বলি দিয়ে
কল্পনায় উপমহাদেশ তোর মতো লুকোনো রয়ে যায়।
জানি অশ্লীলতার দায়ে আমি চিরকাল পঙ্গু
কি সত্যি আমি কবিতায়।

পাগলাটে চাহুনিতে আমি দেখতে পাই
মনের ভিতর তোর অনেকগুলো প্রদেশ আছে।
আচ্ছা আমি কি সেই পুরোনো কিছু,বহুল ব্যবহৃত শব্দে
তোকে সভ্যতা আঁকতে পারি সেই আদিম গুহায়।
তুই আমাকে পাগক করতে পারিস অনবরত সময়ের আঘাতে
কিন্তু প্লিস পাগল করিস না।  

আর কিছুক্ষন আলো

আর কিছুক্ষন আলো
............ ঋষি
=============================================

ক্রমশ বিকেলটা ছোট হতে হতে একটা বিন্দুতে পরিণত
আর কিছুক্ষন ক্রমশ চারপাশে অন্ধকার।
ঠিক এইভাবে মানুষের মনে মৃত্যু ভয় আসে বাঁচার আশায়
কাল দিনটা আমার।
আমার ছোটবেলার সেই খেলনা ঘোড়াটা হয়তো আজ স্বপ্নে জীবিত
কিন্তু কালকের পর আবার ফিরে আসা।

চলন্তিকা তুমি বলো সকলকে ফিরে আসতে হয়
নিজের কাছে।
কখনো কোনো সময় আয়নায় মুখ দেখে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়
ভীষণ নগ্নতা তাই না।
 যে বাহু বিষম ছিল তাতে ভর দিয়ে চলতে চলতে স্বাভাবিক একটি ব -দ্বীপ গঠিত
 পলি জন্মায় আতপ মনে।
মন শব্দটা আগামী প্রজন্মের কাছে  হ্রস্ব ই  কার থেকে যায়
যা ক্রমশ চন্দ্রবিন্দুর মতো শব্দকোষেই হারানো।
আর মানুষের রক্তে বাড়তে থাকা কোটি কোটি বীজাণু
মনের ভিতর অযথা মৃত্যুর  কান্ডারি।

ক্রমশ হারানো আলোর সাথে বিন্দু গামী দৃষ্টি হয়তো একটা আশা
আর কিছুক্ষন তারপর আলোর মৃত্যু।
আলোর চিরকার চলন্তিকা তোমার মতো দেখতে
তোমার উন্নত বুকের উচ্চতায় আদিম লোভ।
লোভ ছিল বাঁচার ,আছে ,থাকবে আরো পরিণত
তারপর জানি হঠাৎ করে কালকের দিনটাও ফুরিয়ে যাবে। 

Thursday, January 5, 2017

প্রেয়সী চাঁদ

প্রেয়সী চাঁদ
..... ঋষি
==============================================
সমুদ্রের উপর আছড়ে পড়া স্রোত
কিলবিল করে এগিয়ে চলা ,মিলে মিশে একাকার কোনো দেহ তত্ব।
প্রগাঢ় লাবণ্যে গাঢ় হয়ে এলো শীতকাল,
জলের ইকিরমিকির ভিজে যাওয়া বাসনার এক ফালি চাঁদ।
একলা আকাশে উপহার দিক নিরুপম প্রেম
সময় ঘুমিয়ে পরে অথচ আমি জেগে।

ক্ষনিকের মননে ঈশ্বর যেখানে নগ্ন কোনো প্রেয়সী
উন্নর পাহাড়ের বুকে জ্যোৎস্ন্যা ভেজা মনোরম কোনো আদিম গন্ধ।
কয়েকফালি মেঘ তোমার নাভি বেয়ে
বৃষ্টি ভেজা শুন্যতা ,,,,,কিছুটা নীরবতা।
প্রেমকে দেখিনি কখনো কাছ থেকে
বারংবার নিলাম হতে দেখেছি প্রাচীন পাশা খেলার আয়োজন থেকে।
তুমি কি রমণীয় কোনো শীতের বেলা
মাটির পাত্রে চুমুক দিয়ে তোমার গন্ধ।
আফিমের মেদুরতা চুপচাপ ফিসফিস কিছু বলে
বাতি নেবে বারংবার আবার জ্বলে।
তারপর ,,,
সেই নীরব কিছু মুহূর্ত রোমন্থন আকাশের চাঁদ সুন্দরী প্রেয়সী।

সমুদ্রের উপর আছড়ে পড়া স্রোত
কিলবিল করে এগিয়ে চলা দেহ নদী আরো প্রকট কোনো সময়।
ভারতবর্ষের কোন রমনী স্নান করে গঙ্গা জলে
সে খবর উড়ে যায় আরব সাগর পাড়ি দিয়ে কামশব্দে।
সারারাত-উত্তেজনায় ভরা কিশোর আর মুখ ঢাকে চাঁদ
প্রেম আজ ছদ্মবেশী বিজ্ঞাপন কামার্ত দেহ জ্বলে।

পাখির স্বপ্নে

পাখির স্বপ্নে
............ ঋষি
======================================
কি আনন্দ
মাঠ ভর্তি সংসারের ফাঁকে এক চিলতে আকাশ।
আমি প্রার্থনা করি
তুমি হয়ে যাও কোনো সোমত্ত পায়রা।
একলা নীল আকাশে
ভিন্নগ্রহে জন্ম নিক আলোর মতো আদর তোমার ডানায়।


নিখুঁত কোনো পালিয়ে যাবার পর
দাঁড়ি কমা নিয়ে আমার শব্দেরা সব নেমে আসা নীলাভ স্বপ্ন।
আমার করুনার দিকে দুহাত তুলে
হু হু করে ভারী হয়ে কেঁদে উঠুক উন্নত কোনো আকাশ।
সমস্ত অন্ধকার  রঙ পেরিয়ে হে নিঃশব্দ সবুজ
আকাশ থেকে নেমে আসছে অবুঝ  ঐশ্বর্য।
ন্যুয়ে পড়া  নগ্ন প্রাচুর্য তুমি কি দেখতে পাচ্ছো
ক্রমাগত অন্তরীক্ষের ভেতর তুমি ভিজছো।
ইচ্ছে হচ্ছে
এই চিরদিনের তোমার ডানায় আমি ।

কি আনন্দ
মাঠথ ভর্তি সংসারের ফাঁকে এক চিলতে রৌদ্র।
আমি প্রার্থনা করি
তুমি আরো উজাড় হও,হও জাগ্রত নীল আকাশের পাখি।
আমি দূর থেকে তোমাকে দেখি
আর ভাবি আমার কল্পনা আজ মুক্তির কোনো ইচ্ছা।

পুরোনো ছবি

পুরোনো ছবি
............ ঋষি
=======================================
তুমি যাও আমি আসছি
পিছনের ঘড়ির কাঁটার লেগে থাকা আলাপন।
আমার রাইটিং ডেস্কের উপর সময় কে দেখি নিজস্ব অভিনয়ে
অসংখ্য টানাপোড়েন শুয়ে থাকা ফন্দিফিকির আমার জানলার বাইরে।
আমার বারান্দা দিয়ে আকাশ দেখা যায়
তোমারও যায় নাকি।

তুমি যাও আমি আসছি
কাজের দেরাজে রাখা কিছু স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশ।
দেনা পাওনার খাতায় জমিয়ে রাখা মুখভার
সকলকেই তো যেতে হয় তবে কিছু  কাজ আছে বাকি।
তুমি যাও আমি আসছি
নিজস্ব স্লেটে পুরোনো তুলে তবে  না নতুন দাগ টানা যায়
নিজস্ব দেরাজে ছেঁড়া ,নোংরা ফেলে তবে না নিজেকে সাজানো যায়।
আমি সাজাচ্ছি
সুন্দর কোনো বাগানের মালির ভূমিকায় ঈশ্বর।
নিজস্ব যাতনা
ঘুম ভেঙে আবার চোখ লেগে যায় সময়ের প্রকোপে।

তুমি যাও আমি আসছি
পিছনের ঘড়ির কাঁটা অদৃশ্য কোনো রিঙে ভেন্টিলেশন জীবন।
টিক টিক ,কোনো টগবগ ঘোড়ার মতো শুনতে পাই
সময় আসছে ফিরে বারংবার।
আসলে সকলকে ফিরে যেতে হয় কোনো আলো আঁধারি রেস্তোরায়
পুরোনো কোনো ক্যানভাসে ঝুলতে থাকা ছবি। 

ও একলা

ও একলা
........ ঋষি
==========================================
অস্ফুট মন্ত্রের মত ব্যর্থ কথা বলে চলেছেন তারা
গলার কাছে আটকে আছে কিছু না বলা।
যুগ যুগান্তরে হাওয়া হাতড়ে ঈশ্বর মুখী কিছু তৃষ্ণা তাদের চোখে
অনেকটা গলার স্বর শুকিয়ে রক্ত বমি।
ঈশ্বর সেখানে ক্লান্ত
মানুষ কবে তুমি জীবিত হবে প্রকৃতির প্রেমে।

রাত কেটে যায় নির্নিমেষ ,দিনের আলো যুগান্তরকারী ব্যস্ত এই সময়
এই সব গড়িয়ে ,মাড়িয়ে সময়ের শীতলপাটি।
কারো শরীরে রাতের চিত্রপট ,কারো দিনের স্বপ্নস্বেদ
রঙ তুলির উল্লাসে
ভরে আছে পৃথিবীর চালচিত্র।
কারো হাতে রাতের আধিপত্য ,কারো সকাল শুনশান দুপুর
হিমশীতল কুঠুরী থেকে উঠে এসে অরণিকাঠ খূঁজে নেয় সন্ন্যাসি।
সেও এক গভীর অরণ্যে ঈশ্বর মুখী তৃষ্ণা
হাতছানি দিয়ে মানুষকে আরো একা করে
করে একাকার।

অস্ফুট মন্ত্রের মত ব্যর্থ কথা বলে চলেছেন তারা
তোর মতো কিছু চাওয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে রোমন্থন কোন বেলা।
যুগযুগান্তর হাওয়া হাতড়ে নিজস্ব কাল্পনিক অভিনয়
নিরুপম ঈশ্বর সাজার প্রচেষ্টা।
ঈশ্বর  হাসেন গভীর হৃদয়ে ,পুজোর ফুল হাত থেকে গড়িয়ে নামে
মানুষ তুমি নিরুপম ও একলা। 

জাগরণ

জাগরণ
.......... ঋষি
==============================================

নিরঙ্কুশ অধিকার বলে কিছু নেই
সবটাই সময় সাপেক্ষ নির্ভরশীল কোনো কোনো অনাদায়ে অভিনয়।
খাচ্ছো দাচ্ছো বগল বাজাচ্ছো
অভিপ্রায় কাটিয়ে দেওয়া জীর্ণশীর্ণ কুন্ঠিত জীবন।
উচ্চাভিলাসের আশায় বিগলিত
কোনো ভিখিরির মতো।

হৃদয়ের কি দোষ?
ওর তো মস্তিষ্কের সাথে হৃদ্যতা,যোগাযোগ সোপানে অলংকৃত পরিচয়
যুগের তাল রেখে সকলেই পরিচিত হতে চায়
নিঃষ্কন্টক এই অভিন্নতা একটা অভিশাপ।
পরিচিত জীবনে অপরিচিত মানুষ নিজেদের কাছে
সম্পর্কের গভীরে লুকোনো অভিনীত তত্ত্ব।
মানুষের অভিনয়
মানুষ খুব ভালো হাসতে পারে ,বাঁচতে চায়।
কিন্তু প্রশ্ন মানুষের কাছে
বেঁচে তো ?

নিরঙ্কুশ অধিকার বলে কিছু নেই
মস্তিষ্ক দিয়েই হয় ভালবাসা ,হৃদয়ের আর কি দরকার!
শুদ্ধ, বিশুদ্ধ, পবিত্র-প্রেম আগুন লাগুক অন্ধকারে
আলো তো আসে।
খুব দারুন খবর আজকাল খবরের পাতায়
মানুষ আজও বেঁচে।

একান্ত দ্বীপ

একান্ত দ্বীপ
............ ঋষি
================================================
নিঝুম দ্বীপের হঠাৎ হাওয়াবদল
অনায়াসে দাহ্য বায়বীয় ফসিল জ্বালানী সবটাই স্বয়ংক্রিয় প্রথাগত।
সূর্য যোগান দেওয়া  সহসা অগ্নি স্ফুলিঙ্গ
বিশ্বাস করো
একটা চিত্রা হরিণও আর বেঁচে নেই।
বেঁচে নেই শৈশব
আর প্রকৃতির খোঁজে তুমি নিরুপায়।

হৃদয় নামক  দ্বীপটা ছেয়ে গেছে অতিরিক্ত  লবনের বিষক্রিয়াতে
একবিন্দু সবুজও সেখানে তৃষ্ণার মতো মারাত্নক।
আর সাগরতটের দখলে অগুনতি বিষাক্ত কর্কট সব যাপন
যেখানে পা ফেললেই দংশনে মৃত্যু নিশ্চিত।
আজ আমাদের যৌথ স্নিগ্ধ স্মৃতিদের মত বিপন্ন সকল নিরিবিলি দ্বীপ
তিক্ততা আর নীলে প্রাণঘাতী সমগ্র বালুতট।
তুমি ভালো থেকো এই আশা ,
সম্মুখে পা রাখতে অতীত মুছে ফেলা জরুরী বিষয়।
চোখ দুটো সামনে বলে এই ভরসায়
শুধু তোমার এগিয়ে যাওয়া সামনে পা ফেলে।

নিঝুম দ্বীপের হঠাৎ হাওয়াবদল
একান্ত অধিকার চাইছি বলে এসব বলছি ভেবো না, ভেবো শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে-
বিশ্বাস করো-
মিথ্যা বলার অভ্যাসটা এখনো আয়ত্তে আসেনি,অন্তত তোমার সাথেকোনোক্রমেই নয়।
আমি চাই তোমার নতুন পথচলা নিষ্কন্টক হোক
অনাগত প্রহরগুলোয় সুখে থাকো তুমি একান্ত দ্বীপে
অনাগত কোনো সম্ভাবনাই। 

প্রদীপের আলো

প্রদীপের আলো
...... ঋষি
==============================================
চমকে উঠি তোমার দ্যুতি দেখে
ক্রমশ ঘোর লাগা বাল্বের হলুদটা খুব কম হয়ে যায়।
আমি হারাতে থাকি
আরো গভীরে কোথাও কিছু কথা কানের কাছে ঝিঁ ঝিঁ।
আমি শুনতে পাই তুমি কাঁদছো চলন্তিকা
এ আলো প্রদীপের শেষ  দিন কটা।

দুঃখ কাকে বলে আমি বুঝি নি
এতটা বোধগম্য সুখ আছে বলেই দুঃখ মানুষের এত প্রিয়।
আসলে মানুষ বোধহয় দুঃখের সাথী
শেষ টা আমার জানা নেই চলন্তিকা।
দিকচক্রবালে বিকেলের শেষে ডুবতে থাকা আলো বৃত্তাকারে
এখনো যন্ত্রণা আসে,বাঁচতে থাকে।
মানুষ তখন অর্ধাকারে
যেমন বৃত্ত ফেটে যায় হঠাৎ হয়ে যায় গোধূলিতে।
তখন অন্ধকারে মিলায়
অজস্র খননের  পরে প্রদীপের শেষ সলতে।

চমকে উঠি তোমার দ্যুতি  দেখে
মানুষের নক্সাগুলি মানুষই তো ওলটপালট করে দ্যাখে বারংবার।
অভূতপূর্বটির সন্ধানে সন্ধানে পুনরাভিনীত হয় প্রাচীন মোহের দৃশ্যাবলী
আদিমের ভিতরে আদিম তালিকায় ।
অট্টহাস্যে ভরে যায়  অভিনয়দৃশ্যে বাতাসের নিঃশ্বাস
প্রদীপ তখন দপ দপ করে তারপর নিভে যায়। 

Tuesday, January 3, 2017

নীরবতা

নীরবতা
........... ঋষি
===============================================
কান পেতে শোনো নীরবতা কিছু বলছে
পুরনো সেই ছায়াছবি থেকে বেরিয়ে বয়সের মিলিমিশিতে।
কিছুটা সভ্যতা ভ্রাম্যমান
আমরা দিন বদলাচ্ছি  বাঁচতে থাকার স্বার্থে।
সামনের ইতিহাসে ডাইনোসোরস কি ফিরবে
কিন্তু মানুষ  ?

হৃদয়ের কারুকাজ, জজবা খুলে ,শান্তির ঘুমঘোর
মৃত্যু জানি দরজা খোলা হাতছানি।
কত সভ্যতার মহাপ্রয়ান পর রাত্রি আরো শীতল, ভেসে যাবে  যাবে জ্যোৎস্নায়
প্রজাপতি রঙ, অসহ্য শ্রাবণ।
ফিরে পেতে চাওয়া একলা ভেজা সভ্যতার সবুজ রং
মহাবিশ্বের পৃথিবীর উপস্থিতি কতটা জানি না।
কিন্তু মানুষের কাছে পৃথিবী ?
চুপচাপ প্রশ্নগুলো চুইংগামের মতন চিবিয়ে
দরজার বাইরে ফেলে রেখে আসি।
ঘুম নেই
মৃত্যুর সমতুল্য সুখ যদি হয় ,তবে বেঁচে সভ্যতা আঁকিবুকি।

কান পেতে শোনো নীরবতা কিছু বলছে
ক্রিয়ার বিপরীত ফলে সম্ভাবনারা আজ গ্রহণ যোগ্য সভ্যতার লিরিকে।
বীজ হয়ে, জন্ম হয়ে পুণরায়  দেখানো ভদ্রপাড়া
ফিরে আসো বেনি দোলানো দুপুর চলন্তিকা।
আজ তোমার কথা ভাবি
সভ্যতা কি তোমার অন্তর্বাসে নিরিবিলি  একলা ?

একলা কথা

একলা কথা
.................. ঋষি
============================================
নিজের দূরত্ব থেকে আরো গভীর দূরত্ব
শিল্পীর ছবিটা ফুটে ওঠা ওয়াটার কালারে রঙের মিছিল।
নিজের দূরত্ব থেকে
দূরত্বকে নিবিড় করে ভাবা চলন্তিকা।
কবির কল্পনায় একা হেঁটে যাওয়া কোনো রাজপথে পিচের উপর
সকালের শিশিরের অপেক্ষা।

চলন্তিকা একদিন তুমি কল্পনায় চিবুক ছোঁবে
যখন সকালের শিশিরের অন্যমনস্ক কোনো পলেস্তারা ভেজানো শীতলতা।
পাহাড়ী ঝর্ণার উচ্ছলতা বুকে নিয়ে
মৌন নিশ্চুপ দুপুরগুলোর যেদিন  আন্দাজ
বোহেমিয়ান।
সেদিন খুব আলগা করে আদর ভেজিয়ে রেখো
আমি আসবো নিশ্চুপ পাহাড়িয়া  সুর পাশে নিয়ে।
খুব আদরে সেদিন না হয়
রাত্রি হবে।
আমি তখন শীতল কোনো কুয়াশার মতো মাটি ভেজাবো
ভিজে মাটি।

নিজের দূরত্ব থেকে আরো গভীর দূরত্ব
সবুজের মাঝে খুঁজতে থাকা চোখ ঝলসানো সর্ষে ফুল।
সমস্ত আশ্চর্যের ফাঁকে পৃথিবী দাঁড়িয়ে একা
দৃশ্য বদলানো আবর্তনে জীবিত জীবন।
কবির কল্পনায় তুমি হেঁটে যাওয়া নারী প্রতিটা দিনকে সাক্ষী রেখে
আমার কিছু একলা কথা।

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...