Saturday, May 31, 2014

rishi026@gmAIL.COM

শব্দরা
....... ঋষি

হয়তো শব্দগুলো জেগে উঠছে
আগামী আলোর সকালে আজ সুপ্রভাত।
একটু মেঘলা আকাশ তাতে কি
ভীষণ রোমান্টিক বিছানার চাদরে কালো ছায়া।
ঘোর অন্ধকার আমার ঘরে তাতে কি
শব্দরা জাগছে তাদের উত্সস্থলে অভিনন্দন।

প্রভাতি আলোয় প্রথম সূর্যের চুম্বন  আমার শরীরজুড়ে
জড়িয়ে খুব আদরে নামছে ধীরে ধীরে।
জানলার গা ঘেঁষে ওই বইটা প্রথম আলো
ছড়িয়ে ছিটিয়ে অসভ্যতার পৃথিবীতে নতুন আলো।
ঘোর অন্ধকার আকাশ জুড়ে মেঘ তাতে কি
বৃষ্টি আসছে শব্দের মতো শীতল হয়ে।

রেল লাইনের শব্দগুলো বড় জটিল আমার কাছে
কারণ দুরত্বরা শুয়ে থাকে ওখানে।
আদুল গায়ে সমুদ্রের দুরত্ব মাপতে বসি
পারি না মাপতে আলাদিনের মাদুর।
আমার মনে শুধু শব্দের ভিড় তাতে কি
জটিল শব্দরা আদুরে সবসময় হৃদয়ে।

হয়তো শব্দগুলো অবাধ্য কখনো
আগামী দিনের পরে আরো আরো জটিল।
একটু অস্পৃশ্য তাতে কি
কিন্তু ভীষণ প্রিয় আমার কাছে।
খুব কাছে খুব গভীর শব্দমালায়
ঝকমকে কষ্টের শব্দরা  আমার কাছে। 

RISHI026@GMAIL.COM

চারদেওয়ালে
............ ঋষি

আমি সেদিন ছাদের সিলিঙে আকাশ দেখছিলাম
চারদেওয়ালে মাঝে বন্ধ আকাশ
মুক্তির মত তারাগুলো উজ্বল তোর  আলোতে।

 তোর নাভিতে উত্পন্ন একটা নদী গড়িয়ে পরছিল স্নেহ
অচেনা আনন্দে আমি উড়ছিলাম আকাশে।
ছো মেরে নেমে আসছিলাম তোর সমস্ত উপত্যকা পেরিয়ে
গভীর জঙ্গলে আমি বাঘ
আমি তখন মাংস খুঁজছিলাম।

আমি খুঁজছিলাম তোর খোলা  বুকে নিজেকে
বারবার তোকে পাগল করছিলাম উত্তাল প্রেমে।
আমি তখন নিজেকে খুঁজছিলাম
আকাশ জোড়া সিলিঙের তারায় প্রেমের রূপ
আর আমি পাগল তোর সাথে।

সময় কাটছিল চলচিত্রের জড়িয়ে যাওয়া ফিল্মে
উঠে আসছিল একটা গোঙানি তোর মুখে।
নদীর জলে তখন পূর্ণ জোয়ার
পূর্ণতা প্রাপ্তি আমার বুকের না জন্মানো কথাগুলো
হারিয়ে যাচ্ছিল বারেবারে।

আমি তখন ছাদের সিলিঙে তোকে দেখছিলাম
আমার অনন্ত প্রেম বর্ষার নদী
আর তুই মুক্ত আকাশে তারা আমার বুকে।

RISHI026@GMAIL.COM

আমার আকাশ
.............. ঋষি

তুই আর ভিজতে চাস না
আমি জানি।
অথচ আমার ভেজার লোভের শেষ নেই
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা
আমার আর কল্পনার শেষ নেই।

সবটাই এক প্রস্থ সাদা কাপড়ে কষ্টের দাগ
বাইরে দিয়ে বোঝা যায় না।
বোঝা যায় না অবুঝ মনের যন্ত্রণাগুলো
শুধু জড়ানো থাকে স্থির শরীরে সাদা রঙে
আমৃত্যু একা থাকার কষ্টগুলো।

নিত্যি এক রোগ লেগে থাকে শরীরে
আবর্জনার সাথে মাইল মাইল বাসা বাঁধে প্রেম।
জানতাম পাঁকে পদ্ম ফোটে
শুধু পাঁকের দুরত্বে পা হড়কে পরে প্রেম
আর পদ্ম সে তো হৃদয়েও ফোটে।

জানি না আকাশে আজকাল মেঘ করে
বৃষ্টি নামে যখন তখন।
আমার প্রেম আকাশে পাখি হয়ে ওড়ে
আমাকে ছুঁয়ে যায় যখন তখন
আর আদর সে তো আমার আকাশের নাম।

বল আমাকে কবে তোর স্পর্শ পাবো পাখি
আকাশের প্রেমে তোর বুকে আমার মুখ।
বল পাখি কবে তোকে মুড়ে দেব নীল রঙে
তোর শরীরে আমি চুপ
বল পাখি।

Friday, May 30, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

নিরর্থক ব্যঞ্জনা
,,,,,,,,,,,,,,  ঋষি

শোন তোর ওই হাতটা
যেটা লাল ছাপা মেহেন্দিতে রাঙানো।
সেদিন দেখি জঙ্গলে বাঘের থাবায়
গুছিয়ে রাখ
আমাকে বাড়িয়ে দিস না।
আমি চাই না তোর স্বপ্নে কবিতা আসুক
শুধু কবিতারা আসুক তোর মতো আমার স্বপ্নে।

আমার বুকের পাহাড়ে সূর্যোদয় হয়
সূর্যের তেজে  তোর কপাল ছুঁয়ে ঘাম।
গড়িয়ে চলে তোর নরম আদুরে শরীর
সরিয়ে রাখ
আমাকে করিস না উত্তাল তাপে।
আমি চাই না সুনামি আসুক তোর বুকে ধ্বংস নিয়ে
শুধু আসুক ধ্বংস সাদাপাতায় কবিতা হয়ে।

শোন তোর ওই চেলিটা
যেটা লাল রক্তের বিশ্বাসে ভেজানো।
সেদিন দেখি বিড়ালের চোখে লাগানো
চোখে রাখ
আমাকে ফলো করিস না।
আমি চাই না তোর জীবনে মুক্তি আসুক
শুধু কবিতারা মুক্তি হয়ে আসুক আমার খাঁচায়।






RISHI026@GMAIL.COM

পুড়তে আমাকে হবেই
........... ঋষি

যতটা আকাশ দেখার দরকার ছিল
তা আর দেখা হলো না।
আকাশ থেকে পাওয়ার নাম বৃষ্টি
বৃষ্টিতে ভিজছি আর ভিজে চলছি
তাই বলে কি রৌদ্রে পুড়বো  না।

তা হয় না কবিতা   .................

সিগারেটের শেষ টানে ছড়ানো স্তব্ধতা
মাথার ভিতর পুড়তে থাকে।
জ্বলন্ত ফিল্টারে আগুন
মন পুড়লো কিন্তু শরীরটা
আর চিতায়  পোড়ানো গেল না।

এমন হয় না কবিতা        .....................

বেশি সিগারেট উড়িয়ো না সভ্যতায়
বলছে আর বলেই চলেছে সম্পর্ক্যের বীজ।
আমি হাসছি ,আরো হাসছি
কিছুতেই বোঝাতে পারি না
আমি যে পুড়তে চাই আরো বেশি।

সত্যি কবিতা  .................

তোমার প্রেমের আগুনে আমি শতাব্দী দেখি
দেখি ছড়ানো ছেটানো ১১ ই সেপ্টেম্বর বারবার।
দেখি পিষে যাওয়া সভ্যতা মহত্বের বুলিতে
আমি কি শান্ত থাকতে পারি
আমাকে পুড়তে হয় বারেবারে।

আর প্লিস কবিতা  ...................

যতটা বোঝানোর ছিল বুঝেয়েছি
আমার বুকে লেগে আছে তোমার কষ্টের রক্তক্ষরণ।
বারংবার আঘাতে পূর্ণতা প্রাপ্ত শয়তানের একাকিত্ব
আমি ভিজবো ,পুড়বো বারবার
আমাকে বাধা দিও না খোলা আকাশে উড়তে। 

rishi026@gmail.com

ঘুম আসছে না
............ ঋষি

সাম্রাজ্যের শেষ পাতায় রাজা মৃত
সারারাত  বিলাসী স্পর্শে রাজা জীবিত।
ঘুম আসছিল না কিছুতেই
পাটরানীর সদ্য লেখা কবিতায় প্রেম মৃত।
পাটরানীর শারীরিক ভাষায় প্রেম জীবিত
ছাদের কড়িকাঠে মাকড়সার জাল।
আর টিকটিকিদের ধিক্কার দেওয়ালের গায়ে
সাম্রাজ্য নিপাত যাক।

কিছুতেই ঘুম আসছিল না
রাজার চোখ জুড়ে লাল নেশার স্বপ্ন।
আর আমার ঘরে টাঙানো মশারি
পাটরানীর চোখে লেখা অজস্র প্রশ্ন।
আর পাটরানীর লুকোনো প্রেম আমার ঘরে
দেওয়ালের রং জ্বলা গায়ে আকাশের রং।
বাদিকে তাকে রাখা গীতবিতানে আর
আমার রাজার কবিতা গান ।

সাম্রাজ্যের সভ্য খাতায় আজ রাজার দিন
আজ রাজা হাসছে আমার সামনে  দেওয়ালে ছবিতে।
ঘুম আসছে না কিছুতেই
পাটরানী আজ আমার বড় কষ্টে অনেক দূর কবিতায়।
কিছুতেই আসছে না আমার কষ্টের ঘরে
শুধু ঘড়ির কাঁটায় বেড়ে যাচ্ছে বয়স।
আর কিছু না আজ রাতে
আমার ঘুম আসছে না কিছুতেই। 

RISHI026@GMAIL.COM

বাউলে চিঠি
................ ঋষি

বাউলের হাতে একতারা
দুতারা ,,তিনতারা ,,আরো কত আকাশের গায়ে।
আজ ও  চিঠি আসে নি ভালো থাকার
শুধু ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে চিঠির উপরে শব্দমালা।
আজ ও ডাকপিয়নের ঘরে ঠিকানার খোঁজ
আকাশের হৃদয়ে এদিক ওদিক লোকানো তোমাতে।
শব্দ ঘোরে ফেরে পিঁপড়ের মতো
মাথার ভিতরে ভাঁড়ার ঘরে।

কফিন থেকে নিজেকে তুলে দেখেছি
দাঁড়িয়েছি এসে ঘুমের ঘোরে সভ্যতার আলোতে।
আরো কাছে তোমাকে আমি চেয়েছি
গ্রীস ,রোম ,ভারতবর্ষ  সবটাই দেখেছি।
ঘুরেছি আরো গভীরে প্রথিবীর বুক ছিঁড়ে
এক আকাশ স্বপ্নের নিচে।
যখন তোমায় ভালোবেসেছি
দুরত্ব যে দৌরাত্ম হয় তা বুঝে গেছি এতদিনে।

বাউলের হাতে একতারা
দুতারা ,,তিনতারা ,,আরো কত আকাশের গায়ে।
সবটাতে তোমাকে পাই না আমি
শুধু খুঁজি আর খুঁজে যায়।
গভীর কোনো নক্ষত্রমন্ডলীর  ভেতরে থাকা তুমি
স্বপ্নে দেখি বারে বারে তুমি হাসছো।
চিঠি লিখি ভালো থাকার বুকের ভিতর
কিন্তু তোমার ঠিকানা জানা নেই লোকানো কারাগারে। 

Thursday, May 29, 2014

তুই আমার
......... ঋষি

কেন যেন মনে হচ্ছে তোকে ঠিক ছুঁতে পারছি না
একটা পাঁচিল আমার আর তোর মাঝে।
আমার প্রেম খুব সাধারণ ,
কিন্তু অসাধারণ সময়ের নিরিখে।
কারণ প্রেম মানে আমার কাছে আশ্রয়
একটা খালি ভাব ,একটা না পাওয়ার কষ্ট।
একটা স্পর্শ ,একটা ছুঁয়ে যাওয়া আদুরে হাওয়া
তুই বুঝিস এই প্রেমের মানে।

কেন যেন মনে হচ্ছে আজ আমি হেরে গেলাম
কুরু সভায় একলা দাঁড়িয়ে দেখলাম বস্ত্র হরণ।
কিছু করতে পারলাম না
জাস্ট পুড়ে গেলাম ,আমি যে পুড়ে ছাই।
তোকে বলেছিলাম তোর প্রেমে আমি পুড়তে চাই
কিন্তু এমন যন্ত্রনায় কখনো নয়।
আমার শরীরে আগুনের ফোস্কা
তুই কি বুঝিস আর মানে।

কেন যেন মনে হচ্ছে আমি নিজেকে হারাচ্ছি
আমি কোনো অবচেতনে লক্ষ্যভ্রষ্ট পথিক।
যার বুমেরাং নিজের কাছেই ফিরে আসছে
বারবার আঘাতে জর্জরিত আমি।
তোর কাছে জানি না আমি কি
কিন্তু আমি জানি তুই আমার ,তুই আমার।
আমি পারবো না ভাগ করতে তোকে
আমার স্বপ্নে ,আমার জাগরণে ,শেষ চিতাকাঠ পর্যন্ত।     

rishi026@gmail.com

মনের অসুখ
......... ঋষি

সাজানো শরীরের পিছনে
খুব গভীর ক্ষণে আমাকে রাজা দেখা দেন।
উনি আমার মনের রাজা
অনেকটা সেই স্বপ্নের রাজপুত্রের মতো।
পক্ষীরাজের নিতান্ত স্বপ্নে আমি
কিন্তু দেখা দিয়েও ধরা দেন না।
ছুঁয়ে থাকেন স্পর্শ করেন না
অনেকটা বাতাসের মতো নিঃশ্বাস জীবনে।

খোলা আকাশে মেঘের দেশে
তার চিঠি আসে হৃদয় সুরভি নিয়ে।
চন্দন চর্চিত আমার মুখে
তার আলাপন ,হাত পায়ের মেহেন্দির রঙে।
কিন্তু সেই রাজা আশা দেন না
কাছে আসেন না ,ভীষণ কাছে।
শুধু সরে যান ,দুরের থেকে দুরে
খুব দুরে অন্য কোথাও চলে যান।

মনের দূরত্ব তো শরীর ঘেঁষা
আর  শরীরের দুরত্ব কয়েক যোজন।
তাতেই আমি খুশি
তবু মন মানে না দৌড়োতে থাকে রাজার দিকে।
আমি পিছোতে থাকি মৃত্যুর দিকে
যদি একবার কোনো অছিলায় রাজা ছুঁয়ে দেন।
মনে হবে না হবে এ জন্মে
কিন্তু জন্ম জন্মান্তরে রাজা আমার হবেন।

RISHI026@GAMIL.COM

একটা কবিতা
................... ঋষি

কলমের নিবে এইমাত্র কবিতা দেহ রাখলো
কবিতার আবার শরীর।
মৃত কবিতাগুলো লেখা ছিল কবির হৃদয়ে
এইমাত্র নেমে এসে ছড়িয়ে পড়লো আলোয়।
আর এইমাত্র বেড়ে গেল সভ্যতা
একক দশক করে ,কয়েকশো গুন
হৃদয়ের আলোয়।

কবিতারা মাটিতে থাকা অন্ধকারে জোনাকি
জ্বলছে নিবছে চেতনার মতো।
কিন্তু কোথাও যেন একটা ফাঁকা জায়গা
একটা শূন্য ,কবিতারা শুরু হয় শূন্য দিয়ে।
আর পূর্ণ হয় সাদা কাগজের চামড়ায়
কলমের বৈজ্ঞানিক নাড়াচাড়ায়
স্পর্শের আনন্দে।

অপরাহ্নের আলো ছুঁয়ে প্রকৃতির মতো
ঐশ্বরিক শব্দগুলো ঈশ্বরের মতো।
কখনো প্রেম ,কখনো দুঃখ,কখনো আনন্দ নিয়ে
ঈশ্বর হেঁটে যান সৃষ্টির যন্ত্রনায় পিঁপড়ের মতো।
হৃদয় জুড়ে এক তৃপ্তি
সৃষ্টি ,সৃষ্টি ,সৃষ্টি ,,,,একটা সৃষ্টি
একটা কবিতা। 

RISHI026@GMAIL.COM

আকাশ আর বৃষ্টি
...................  ঋষি

আকাশ নামে ছেলেটার নাম
       ...............  মুক্তি হতে পারতো।
তবে অযৌক্তিক না হোক
       ................ উড়তে পারতো কল্পনার আকাশে।
আর যাই হোক পাড়ি দিতে পারতো
       ................ একটু বেঁচে থেকে হেসেখেলে।
মানে আর কি একটু বাঁচতে পারতো।

বৃষ্টি বলে মেয়েটার নাম
       .............. সময় হতে পারতো।
তবে পরিবর্তন না হোক
       ............ ঝরে যেতে পারতো সময়ের স্পর্শে।
আর যাই হোক না  বাঁচতে পারতো
        .......... ইচ্ছে মতো একটু হেসে খেলে।
জন্মানো মাত্র অপেক্ষা করতো না ঋতু প্রাপ্তির।

আচ্ছা  আকাশ আর বৃষ্টি  যদি একসাথে
           ........... মিশে যেতে পারতো।
তবে শরীর না হোক
           ........... প্রেমের কবিতায় আরামে লেখা যেত।
আর যাই হোক তখন সময় থেমে থাকতো
          .......... আর প্রেম ফুরিয়ে যেত না সময়ের সাথে।
হাসতো আকাশ ,হাসতো বৃষ্টি ,শুধু সময় রাগ করতো। 

RISHI026@GMAIL.COM

মন অশান্ত
..........ঋষি

তোমার দুচোখের কবিতা
আমি লিখি নি কখনো।
লিখি নি তোমার নরম বুকের আড়ালে লোকানো
মহেঞ্জদরোর ভাস্কর্য।
তোমার নাভির অন্ধকারে যে সভ্যতা
তাকে করি নি উন্মুক্ত তা নয়।
কিন্তু সেখানে কখনো দেখি নি
আমার আকাশ ,,,আমার অহংকৃত প্রেম।

সভ্যতা সভ্যতা ছুঁয়ে নিষেধের আড়ালে
লোকানো ছোট শিশুর আতুরঘর।
সে ঘরে কখনো প্রবেশ করিনি চোরের মতো
বীর দর্পে কখনো বলতে পারলাম না।
আমি পুরুষ ,,,আমার অধিকার
আমার শরীর ,,আমার তুমি।
শুধু বলেছি আমাকে প্রেম দেও
আরো আরো ,,যেখানে তৃপ্তি,,যেখানে শান্তির।

তোমার দুচোখের তারায় কোমল আমন্ত্রণ
আমি বুঝি প্রেম এসেছে তোমার চোখে।
তোমার বয়স ছুঁয়ে ,,তোমার শরীরে
উপচে পরা নদীর জোয়ার।
তুমি চাইছো আমায় ,,আরো গভীরে
আরো গভীরে ,,,,যেখানে জন্ম মৃত্যু একসাথে।
কিন্তু আমার আকাশে প্রেম যে বড় শান্ত
সেখানে শরীর জঞ্জাল ,,আর মন অশান্ত। 

Wednesday, May 28, 2014

rishi026@gmail.com

অধিকার
.............ঋষি

যা বলেছিস বলেছিস
আর দ্বিতীয় ,তৃতীয় ,কোনবার বলিস না।
সাহস করিস না বলবার
তোকে সব অধিকার আমি দিয়েছি
কিন্তু মন আর শরীরের স্পর্শ কাড়ার অধিকার দি নি।
তোকে নিজের জীবন দিয়ে দিয়েছি
কিন্তু এমন করে জীবন কেড়ে নেবার অধিকার দি নি।

আমার কবিতার পাতায় রক্তপাত হয়
সে রক্তে আমি তোকে বারংবার চান করায়।
কারণ আমার কবিতারা একমাত্র আমার অধিকার
কে কি বললো আমার কিছু এসে যায় না।
কেন জানিস ?
আমার বেঁচে থাকা তোর অধিকার
কিন্তু আমাকে নিয়ে  ছেলেখেলার অধিকার
 তোকে কে দিল?

আমার প্রেম বৃষ্টির মত ঝরে সাদা পাতায়
জোকের মত রক্ত চুষে নেয় শরীর থেকে।
আমার ভালো লাগে কষ্ট পেতে
কিন্তু তাই বলে নিজেকে সরিয়ে রাখার অধিকার
কে দিল তোকে ?
যা বলেছিস বলেছিস
আর বলিস না তাহলে তোকে খুন করে দেবো। 

rishi026@gmail.com

গভীর চেতনায়
................. ঋষি

শেষ পেরেকটা পুঁতে দিলাম  
যিশুর রক্তস্নাত শরীরের দিকে তাকিয়ে
খুঁজে পেলাম প্রেম।
নিজের কফিনের উপর রাখলাম জ্বলন্ত চিতা
নিজেকে করলাম দগ্ধ আবার আরেকবার।
আবার আরেকবার নিজেকে করলাম ক্ষতবিক্ষত
অজস্র ঝরে পড়া রক্তবিন্দুতে যিশুর প্রেমে
এক আশ্রয়ের প্রয়োজনে।

নতুন কিছু নয় শব্দদের ভিড়ে
আটকানো প্রতিশ্রুতির মাঝে নিজেকে হত্যা করা।
সে অর্জুন হোক ,হোক কর্ণ কিংবা অন্য কোনো বিজয়ী
সকলেই তো বীর বিজেতা।
কিন্তু কোথাও না কোথাও সকলকে হারতে হয়
নিজের কাছে ,চোখের আয়নায় রাখা কাঁচের টুকরোয়।
ক্ষতবিক্ষত শরীরের হৃদয়ে রাখা প্রেমের
টুকরো কিছু মুহুর্তের ছবিতে।


আসলে জেতার মানেটা ক্ষনস্থায়ী এক উল্লাস
পাগলের ক্যালেন্ডারের পাতার বারোমাস।
আসলে ঢোকাতেই হয় পেরেক ঠুঁকেঠুঁকে
নিজকে নিজের ভিতরে থাকা অস্থিরতায়।
জীবনের আলিঙ্গনে হাতড়াতে হয় সময়ের খিদে
পাওয়া না পাওয়ার চেতনায়।
আসলে নিজেকে করতে হয় উন্মুক্ত শিকারীর চোখে
আটকানো খিদে আর লোকলজ্জায়।

Monday, May 26, 2014

মুখ ফুটে বলবো না

মুখ ফুটে বলবো না
.......... ঋষি

কখনো মুখ ফুটে বলবো না
আসলে আমি বলতে শিখি নি।
কারণ অকারণে নিজেকে দুষেছি
কেন জানো
মূর্খদের কোনো দেশ হয় না।
আর যতই শেখাও না কেন তোতার মতো
আমার যে ভালোবাসা শেষ নয় না।

কখনো কোনদিন আমি বলবো না
আমাকে জড়িয়ে থাকো লতার মতো।
কিন্তু আমি জড়িয়ে যাব তোমাতে
কেন জানো
আমি প্রেম শূণ্য পাত্রে তোমায় খুঁজি।
আঁচড়াতে থাকি আয়না পরম ঘৃণায়
আমার যে যাতনার শেষ হয় না।

কখনো কোনদিন আমি বলবো না
আমি তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসি।
আমি জানি আমি মূল্যহীন
কেন জানো
যে শাখায় ফুল ধরে ,ফল ধরে ,নতুন দিনের।
সে গাছের পায়ে পচন
আমার দহনের শেষ হয় না। 

Sunday, May 25, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

গত চারদিনে
........... ঋষি

গত চারদিনে না হলেও চারশোবার
দেশলাইয়ে বারুদ ঘষেছি।
তোমাকে ঘুম থেকে তুলে
কতবার যে বলেছি সেই কথাগুলো। .
যাতে দাবানল লাগে বুকের শূন্যস্থানে
যাতে শব্দরা নিস্তব্ধে হেঁটে চলে যায় বহুদূর।
যাতে বালিশের ফাঁকে জন্মায় অজস্র প্রশ্ন
যাতে উত্তরগুলো লেখা হয় একাকিত্বের কাঁপনে।

গত চারদিনে না হলেও চারশোবার
নিজের অজান্তে বন্দুকের এম রেখেছি হৃদয়ে।
আর বুলেটের গায়ে লিখেছি নিজের নাম বারংবার
কতবার যে আগুনে জ্বালিয়েছি নিজেকে।
যাতে আমি পুড়লে পৃথিবীর গায়ে নোনা জল
যাতে আমার অপবিত্রতায় ইশ্বর হেঁটে যায়।
যাতে ঐশ্বরিক আহুতিতে অনিয়ন্ত্রিত অশ্বমেধ
যাতে আমি বেঁচে উঠি অমৃতের স্পর্শে।

গত চারদিনে না হলেও চারশোবার
ক্রেন দিয়ে টেনে তুলেছি আমার জীবাশ্ম।
তাতে খুঁজেছি তোমায় টুকরো টুকরো করে
কতবার যে বলেছি ভালোবাসি।
যাতে আমার হৃদয়ের কাঁচের চিরে চুইনগাম জীবনের
যাতে অযথা জোত্স্নার আলোয় সূর্যের আলো।
যাতে সভ্যতার ভিতে আমায় মানুষের আয়নায়
যাতে জ্বলন্ত কবিতায় আমি শান্ত প্রেমে। 

RISHI026@GMAIL.COM

বন্দীত্বে বন্দী
......... ঋষি

বন্দীত্বের মানে বুকের মাঝে পাথর ভাঙ্গা
এক্কা দোক্কা দানে জীবনের সুদ গোনা।
নিদিষ্ট দূরত্বে থাকা পাকা চুল
আর মুখের নিকোটিনে নিজেকে শোনা ।
অনেকটা খোলা আকাশের বন্দী খাঁচা
যেখানে থাকা তোমাকে জানা ।
পাখির ডানায় বাঁধা স্পর্শের আকাঙ্খা
শোনে না কিছুতেই মানে না মানা ।

বন্দীত্বের মানে ডেস্কটপে ইঁদুরে হাত
সাজানো সানি লিওনার শরীরের উত্তাপ।
অথবা এক্সট্রা  পেজ থ্রিতে উপচে পরা ভিড়ে
স্বপ্নের অস্তিত্বদের সিঁড়ির ধাপ ।
কিংবা কুড়িগজের বাউন্ডারী লাইনে দাঁড়িয়ে
নিজেকে খোঁজার চাপ  ।
অনেকটা অন্ধ ভিখারীর থালায় থাকা
আবছা খিদের আমার তুমিতে জমানো পাপ ।

বন্দিত্বের মানে সর্টসার্কিট
শরীরের আনাচেকানাচে জমে থাকা রোগ।
পা বাড়িয়ে ছেঁড়া চটিকে
গলায় ঝুলিয়ে রাখার ঝোঁক।
আসলে সেই পুরনো স্মৃতির বেঁচে ফেরা
অনেক লুকোনো কথার আয়নায় মুখ।
হারিয়ে গিয়ে উড়তে থাকা স্বপ্নের হলিতে
নিজেকে আঁচড়ানোর শোক। 

RISHI026@GMAIL.COM

আকাশ  জুড়ে অন্ধকার
...... ঋষি


নিয়ন আলোর নিচে দাঁড়িয়ে
আকাশের মেঘ দেখি,
বৃষ্টি নামলো বলে ,,,আকাশ  জুড়ে অন্ধকার।
বাদিকে টেবিল ,,তারপর খাট ,,,তারপর তুমি
ঝোলানো ছবির ভিতরে
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশের মেঘ দেখি।
বৃষ্টি নামলো বলে ,,,আকাশ  জুড়ে অন্ধকার।



খোলা মাঠের সবুজে দাঁড়িয়ে
আকাশের মেঘ দেখি ,
বৃষ্টি নামলো বলে ,,,আকাশ  জুড়ে অন্ধকার।
ডানদিকে আলমারি ,,,তারপর খাট,,,তারপর তুমি
অহংকৃত সভ্যতার
উন্নত বুকে হাত রেখে বলি
বৃষ্টি নামলো বলে ,,,আকাশ  জুড়ে অন্ধকার।



সমুদ্রের উত্তাল পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে
আকাশের মেঘ দেখি।
বৃষ্টি নামলো বলে ,,,আকাশ  জুড়ে অন্ধকার
হৃদয়ে তুমি ,,তারপর খাট ,,,তারপর তুমি।
চোখের আড়ালে
দূরত্বের দেওয়ালে আটকানো নিঃশ্বাসে
বৃষ্টি নামলো বলে ,,,আকাশ  জুড়ে অন্ধকার। 

Saturday, May 24, 2014

rishi026@gmail.com

আসবো না আর বুকের মাঝে
............. ঋষি

আর আসবো না বুকের মাঝে প্রেম হয়ে
কিছুটা নষ্ট রক্ত বেড়িয়ে গেলে ক্ষতি নেই।
বৈশাখের রৌদ্রে শুকনো পাতা ঝরুক
ঝরুক প্রেম তোমায় না বলা কথায়।
আর আসবো না আমি কিছুতেই
বুকের মাঝে প্রেম হয়ে।

আমি জানতাম প্রেম বলে কিছু নেই
সাজানো শহরে চাহিদার পান্ডুলিপি।
খালি ফুটপাথ ,খালি রাস্তায় হাঁটি
ছড়ানো জঞ্জজাল স্মৃতির রক্ত আঁখি।
হৃদয়ের গায়ে প্রেমের শহরে একা
শুধু চটকানো স্মৃতির কাদা মাটি।

আর কিছুদিন আর কিছুপথ জুড়ে
মাথার ভিতর স্বপ্ন বুনতে থাকা ।
কলঙ্ক সব বুকের মাঝে থাকুক
হৃদয় আকাশে মুক্তির ছবি আঁকা।
এপারে আমি একলা দাঁড়িয়ে আছি
ওপারে এক পোড়ার স্পর্শ একা ।

আর আসবো না বুকের মাঝে প্রেম হয়ে
কিছুটা সময় হারিয়ে গেলে ক্ষতি নেই।
বৃষ্টির জলে চোখের পাতা ভিজুক
ঝরুক প্রেম কবিতার পাতায় আগুন ।
আর আসবো না কিছুতেই
বুকের মাঝে প্রেম হয়ে। 

RISHI026@GMAIL.COM

মনখারাপের মানে
................... ঋষি

মন খারাপ হচ্ছে না ,,,প্রশ্নটা অযৌক্তিক
আমার জন্ম নেই ,নেই মৃত্যু।
সীমাহীন দিগন্ত ছড়ানো সকালের আলোয়
আমার সূর্য ডুবি হয় না কখনো।
যতদিন তুই হাসতে থাকবি
আমি ঠিক বেঁচেই যাব যেমন করে হোক।
নাইবা হলাম কেঁচোর মতন
ক্ষতি কি
জন্ম ,মৃত্যু ভয়  তুই থাকতে নয়।

আমার মন খারাপ হয় না
ওতো অভিধানে থাকা একটা অনুভূতি।
ওসব অনুভূতি আমার নেই
শুধু থাকার মধ্যে আছে খোলা ফুটপাথে হাঁটা।
হেঁটে যাওয়া স্বপ্নের বুকে পা দিয়ে
তোর খোলা দরজার অপেক্ষায়
নাই বা হলাম প্রহরীর মতো।
ক্ষতি নেই
অপেক্ষা আর উপেক্ষা মাঝের তফাৎ আমার জানা।

মন খারাপ হচ্ছে না,,মিথ্যা বলবো না
আমার রাত্রের বিছানার চাদর ভিজে আমার চোখে।
লেগে আছে একটু আদর তোর ঠোঁটে
অদ্ভুত একটা জোকার হাসি লাগিয়ে মুখে।
বেঁচে আছি তোর দুরে থেকে
কোনো স্বপ্নের মতো
তোকে ছুঁয়ে শুধু তোর কারণে।
ক্ষতি নেই
মনখারাপের মানে আমার জানা নেই। 

RISHI026@GMAIL.COM

কলকাতা তুমি আমার দুধের শিশু
................. ঋষি

কলকাতা তুমি আমার দুধের শিশু
তোমার উচচাঙ্গে আটকানো সংস্কৃতিতে তুমি নান্দনিক।
কিন্তু তুমি পূর্ণ নও তোমার ছোঁয়ায়
তুমি পূর্ণ হতে পারো না।

তাকিয়ে দেখো নিজের দিকে
হাওড়া ব্রিজের উপর থেকে পবিত্র গঙ্গায় বিষ।
ময়দানে মিলিটারি বুটের শব্দ লেফ্ট রাইট,রাইট আর লেফ্ট
তবু আটকে থাকে কবি বই মেলায়
তোমার লজ্জায়।
এখানে সূর্য হাসে মানুষের হাসি চুরি করে
সন্ধ্যে নামে অন্ধকার রাজনীতির কায়িক ঘামে।
আর বোবা কলেজস্ট্রিট সংস্কার হয় মনে মনে
কফি হাউস বদনাম তোমার দামে।

এখানে শরীর বিক্রি হয় কলঙ্কিত কামে
বুড়ো শরীরে মুট বয় পেটের খিদে।
তুমি কলকাতা পূর্ণ হবে কি করে
তোমার  মুখে লোভ আর শরীরে  খিদে।
ধর্মতলায় চেনা ধর্মের ফেরি পবিত্র গির্জায়
মানুষ চিত্কার পুজোর মিথে।
আর কুকুরেরা ফুটপাথ চোষে বুড়ো আঙ্গুল
চোখের তৃষ্ণা শরীর ছুঁয়ে
সব সাজানো সব মিছে।

কলকাতা তুমি আমার  দুধের শিশু
তোমার উচচাঙ্গে  আটকানো বহু দামী নাম।
কিন্তু তুমি পূর্ণ নও তোমার ছোঁয়ায়
তুমি পূর্ণ হতে পারো না। 

RISHI026@GMAIL.COM

আমি কে ?
............ ঋষি

কি করো ?

কিছু করি না শুধু সময় লিখি সময়ের পাতায়
শুধু সময় কাটায় সময়ের ছোঁয়ায়।
অনেকবার ,,,বারংবার আমি স্পর্শ করি তলোয়ার
সেই ৪২ এর পর আবার ৭২।
তারপর বাবড়ি মসজিদ ,,তারপর মানুষের হৃদয়ে
আমি দাগ টানি খুব গভীর করে।

কোথায় থাকো ?

তোমার কাছে তোমার গভীরে রক্তের শিকড়ে
শুধু জীবন কাটাবার অছিলায়।
আমি রক্তশুন্য শরীরে লিখে ফেলি ধর্মগ্রন্থ
সাজানো ৪৭ এর বুলেটরেঞ্জে দাঁড়িয়ে লিখি ইতিহাস।
পাতায় পাতায় জালিয়ান ওয়ালাবাগ কিংবা চট্টগ্রাম
আর শহীদ মিনারে বন্দুকের শব্দ মনুষ্যত্বের বুকে।

খাও কি ?

বোবা রক্ত ,মানুষের রক্ত সে যেমন হোক সম্পর্ক্যে
মা ,বোন,বাবা,মা কাউকে ছাড়ি না।
জড়িয়ে ধরে গিলে নি সময়ের পাতায় রৌদ্রে
আসলে আমি মানুষ মানি না।
মানি না ধর্ম ,মানি না অস্তিত্ব,মানি না প্রাণ
আমি শুধু সময়ে সময়ের পাতায়। 

Friday, May 23, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

পাগল প্রেম
.......... ঋষি

পাগল তো হয়ে গেছি কবে
যেদিন চৈত্রের আকাশে কালো মেঘ।
সেদিন কবিতারা আমার শরীর বেয়ে বৃষ্টি
তোমায় ছুঁয়ে আমায় ছুঁয়ে।
চোখের পাতায় ,চোখের জলে
হৃদয় কার্নিসের আড়ালে থাকা আমার মুক্তি
তোমার আকাশে।

সেদিন হেঁটে ছিলাম একলা সারণী ধরে
বুকের কাটাতারে বাঁধা আমার এক বস্তা স্বপ্ন।
তোমার চোখের কোনে জমা লুকোনো অভিমান
সবটুকু আমি উজার করে দিয়েছিলাম।
তোমার হাত ছুঁয়ে তোমায় পাওয়ায়
আমার পাওয়া এক আঁচলা জল
তোমার অভিমানে ধুঁয়েমুছে সাফ।

জীবন্ত যন্ত্রণার পথ চলায়
তোমার শরীর বেয়ে পাশবিক প্রেম।
আমার সমস্ত জমানো দুঃখের পান্ডুলিপি
এক এক করে মুক্ত করেছিলাম।
তোমার শরীরের কবিতা লিখে
বারংবার তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমি
তোমার পাগল করেছিলাম পাগল প্রেমে।  

আজ না হয় আমি পাগল হয়ে থাকি
কোনো ক্লান্তি নেই এই বেঁচে থাকায়।
শুধু শব্দরা নিস্তব্ধ হোক চোখের তারায়
আমি পাগলে মতো তোমায় দেখি।
শুধু প্রেমের  সাদা পাতায়
তোমায় শুধু লিখতে থাকি
আমার  আকাশে।   

RISHI026@GMAIL.COM

দুরত্বের দূরত্ব
,......... ঋষি

যতই দূর তুই থাক না কেন
দূরত্বটা আজকাল লাগে না খুব বেশি।
ট্রেনের লাইনের আমার বুকের পাত দিয়ে
মনে হয় তুই আসিস যাস কতোবার।
কিংবা নিস্তব্ধ ফাঁকা সড়কে একের পর এক
লংজার্নির বাস আমার বুকের উপর।

আজকাল আর কোনো শব্দ করে না হৃদয়
ভীষণ শান্ত এক ফাঁকা ভুতুড়ে বাড়ি।
আলো আসে ,অন্ধকার হয়
কিছু আসে যায় না।
শুধুমাত্র সময় কাটতে থাকে দুরে থেকে
আরো দুরের রাস্তায় আমার তুই।

এ এক অদ্ভুত নেশা সারা শরীরে
আমাকে ছুঁয়ে নামতে থাকে অন্ধকার আকাশ।
সারা শরীর জুড়ে নক্ষত্ররা আমার সাথী
তাদের মাঝে আমি ঠিক খুঁজে পায় তোকে।
দুরের আকাশে হাজারো নক্ষত্রদের মাঝে
আমার নক্ষত্র আমার চোখের তারায়।

 যতই দূর তুই থাক না কেন
দূরত্বটা আজকাল গা সওয়া যন্ত্রণা।
আর মাছির মতো বিরক্ত করে না ঠিক
মাথার ভিতরে দূরত্বের মাপে।
তবে অসময়ে একলা মনে
ছিঁড়ে দিতে চাই দূরত্বের স্কেলটা। 

RISHI026@GMAIL.COM

সভ্যতার পাতা
....................... ঋষি

যাদের জন্য সভ্যতা
শিশুর স্লেটে লেখা একটা শব্দ।
আর নিরীহ জনতার চিত্কার
তাদেরকে বলি
সিন্ধু আর  সিন্ধুঘোটক দুটো আলাদা জাত।
ফুটপাথ আর স্বর্গ এক নয়
ঈশ্বর পায়ে হাঁটেন না ফুটপাথে
মানুষেরই হাঁটতে হয়।

আমার সভ্যতায় আমি নগ্ন
মিশরীয় ফ্যারাও যাননি কখনো শরীর কিনতে।
নিজের হারেমে কিনে রেখেছেন রাজকীয় কাম
এতে কমে নি ইতিহাসের ওজন
শুধু আইনের চোখে বাঁধা কালো স্বপ্ন।

আমার সভ্যতায় ফুল ফোটে
কিন্তু অসময়ে ঝরে যায় সভ্যতার স্পর্শে।
আমার সভ্যতায় আদম ইভ লেখা থাকে
প্রেমের কবিতায়
আর কোনো অজানা আতঙ্কে সভ্যতার পথ চলায়।

যাদের জন্য সভ্যতা
সাদা পাতায় ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ।
কিংবা রক্তাক্ত অহংকার
তাদেরকে বলি
জেরুজালেমের যিশু এখন তোমার আমার ঘরে।
ক্রুসের মতো কাঁটা চোখের আলোয়
যিশুর  পথ চলায় সভ্যতা চোরা বালি
ঈশ্বরের মৃত্যু আমাদের দৈনন্দিন পথ চলায়।

RISHI026@GMAIL.COM

হয়তো আমাদের প্রেমে
................. ঋষি

কোনদিকে আমি
এইমাত্র ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নিয়ে গেলো।
শরীরটা শবঘরে ময়না তদন্ত হবে
আমি আর অরিত্র পাশাপাশি।
আরিত্রকে চেনেন আপনারা আমার বন্ধু
মারা গেছে বছর চারেক হলো
আজ আমি গেলাম।

অরিত্র মাথা ছাড়া শরীরটা রেল লাইনে
আজও  ছটফট করছে আমার কবিতার প্রেমে।
আর আমি এখন শবঘরে
আমার শরীর জুড়ে কবিতার জঞ্জজাল।
ছড়ানো ছেটানো শরীরের অংশগুলো শোয়ানো ট্রেতে
আবার আরেকবার কাঁটাছেঁড়া হবে আমাদের শরীরগুলো
কবিতাদের যন্ত্রণা হবে না ,সে তো শরীরের।

আমি আর অরিত্র দুজনেই ছিলাম আছি
আমাদের প্রেমে।
আমরা দুজনেই এখন হাসছি নিজেদের উপর
দুজনেই উন্মাদ প্রেমের কারণে।
অরিত্র প্রেমের আঘাতে আর আমি কবিতার প্রেমে
অদ্ভুত এক যন্ত্রণা আমাদের হৃদয়ে
না বলা কথা গুলো এখনো রক্তপাত আমাদের প্রেমে। 

Thursday, May 22, 2014

rishi026@gmail.com

অবুঝ হৃদয়
...................... ঋষি

দোমড়ানো মোচড়ানো অনুভূতির চাদরে
চেতনার সাথে যুদ্ধ করি।
কুরুক্ষেত্রের কৃষ্ণের বাণী মস্তিষ্ক প্রসূত হিমরসে
শীতলতা বয়ে যায় সারা শরীরে।
অন্ধকারে নক্ষত্ররা আত্মার মতো হেঁটে চলে রাম্পে
আর আমি দর্শক আর অবুঝ হৃদয়।

কিছুটা অলক্ষ্যে এগিয়ে আসে বুলেট মুক্তির আশায়
বুলেটিন নিউসে থমকে  আসে তোমার খবর।
ভূমিকম্প হয়ে গেল শহরে
আর চির ধরলো তোমার তলপেটে থাকা ক্ষীন নদীতে।
নড়ে উঠলো স্বপ্ন শহরে অস্তিত্ব ঘামে
আর আমি দর্শক আর অক্ষম হৃদয়।

মোমবাতির আগুনে ফু ,আজ তোমার জন্মদিন
চারদেওয়ালে আটকানো নিস্তব্ধতায় তুষের আগুন।
এইমাত্র ফোনটা কেটে গেল তোমার
জানি না কি হলো ,,,,কথা কি ফুরিয়ে গেল।
অবুঝ মনের দূরত্বের শব্দগুলো কষ্টবহুল
আর আমি দর্শক আর বোবা হৃদয়।

দোমড়ানো মোচড়ানো আকাঙ্খায় কোলবালিশ বুকে
ভীষণ নরম বুক তোমার দাগরানো কালসিটে।
এই মাত্র আমার খিদে পেয়ে গেলো
জানি না কি হলো ,,,, কবিতার অক্ষরে রক্ত।
অনিত্যের আকাশে দুচারটে নক্ষত্রের পতন খবরে
আর আমি দর্শক  আর স্তব্ধ হৃদয়।

rishi026@gmail.com

তবু আমি ভালো আছি
.................... ঋষি

গলার কাছে আটকে আছে কথাগুলো
তবু আমি ভালো আছি।
মোমবাতি গলে পরছে চামড়ার উপর
ফোস্কা আর জ্বালা
তবু আমি ভালো আছি।

মিনিবাসে জানলায় আটকানো আঠারোর হাসি
আঁকি বুকি আমার শহরের মিনিস্কাট।
জিরোফিগারের হিরিক লাগা আকাঙ্খা
ফুটপাথ ঘেঁষে রেলিঙে আটকানো শরীর।
রক্ত চাপ মগজের শিরায়
বিন্দাস যদি কোনো কার্ডিয়াটিক ব্লকেজ থাকে
ক্ষতি কি তবু আমি ভালো আছি।

জাদুঘরে রাখা বন্ধ বাক্সে ঐতিহাসিক শব্দ
ঝুলতে থাকা ভিক্টোরিয়ার গায়ে লোভি চাঁদ।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঝোপেঝাড়ে ঘামের গন্ধ
বেশ কাছাকাছি।
জড়িয়ে গিয়ে ,মাড়িয়ে দিয়ে চলে যায়
ফুটপাথে জুতোর শব্দ
তবু ভালো থাকতে হয় ,আমি ভালো আছি।

গলার কাছে না বলা কথাদের আতঙ্ক
তবু আমি ভালো আছি।
জ্বলতে থাকা চিতার আগুনে সস্তা ধুপকাঠি
বেঁচে আছি চিতার আগুনে
সত্যি ,,,তবু আমি ভালো আছি। 

rishi026@gmail.com

মুক্তির আকাশ
................ ঋষি

বুঝি নি সেদিন
সোনালী পালকের আকাশে আমি মুক্ত।
আজ বুঝি
আমার পাঁচ বাই পাঁচ জাবেদা খাতা,ক্যালকুলেটারে  হিসাবে
নিজেকে বড় বেহিসাবী লাগে।
ফুরিয়ে যাওয়া পাতায় পাতায়
আমাকে কাছে ডাকে মুক্তির আকাশ।

বুঝি নি সেদিন
প্রেম যেদিন জড়িয়ে ধরেছিল লেপ্টে শরীরে।
আজ বুঝি
জীবন্ত ইঁদুর দৌড়ে ক্লান্ত জনতার সারি।
জীবন ভালো থাকতে চাই না
আর যা হোক প্রেম হৃদয়ে লুকিয়ে থেকে
আর ফিসফিস করে বলে মুক্তির আকাশ।

বুঝি নি সেদিন
শুধু দৌড়েছি পাওয়ার চাহিদায় বাঁধনের মাঝে।
আজ বুঝি
ক্লান্ত শরীরে ভিতর বাহিরে হৃদয় মুক্তি চাই।
উড়তে চাই মুক্তির আকাশে
বার বার এ জীবন ফুরিয়ে যেতে চাই
হাজারো ব্যস্ততায় মৃত্যুর আগে মুক্তির আকাশ। 

Wednesday, May 21, 2014

rishi026@gmail.com

হারানো সুর
............ঋষি

একটু হারাবো বলে পা বাড়িয়েছে
ফুটো পকেট আর জিন্সের পায়ে ছেঁড়া চটি।
চাহিদা কিছু নেই
শুধু দেখতে চাওয়া তোমায়।
তার জন্য পায়ের চটি আরো চৌচির
ক্ষতি কি
নিজেকে হারাবো আমি তোমাকে পেয়ে।

মোমবাতি মিছিলের সামনের সারিতে
প্রতিশ্রুতি আর হারানোর রক্ত।
আমার কিছু যায় আসে না
আমার না কমানো বহুদিনের দাঁড়ি।
আর গায়ে ঘামের গন্ধে প্রেম জুবুথুবু
ক্ষতি কি
তোমাকে পাবো না হয় পাগল হয়ে।

রামধনু রঙের তোমার শাড়িটা
আমার কবিতা ,,আমার প্রিয় স্বপ্নের রং।
আমার ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে যায়
তোমার পদশব্দ আমার বুকে।
হাঁটতে হাঁটতে মিলিয়ে যায়
ক্ষতি কি
আমি তো আছি প্রেমিক তোমার পথে।

একটু হারাবো বলে পা বাড়িয়েছে
রাত,দিন সব হারিয়ে আশ্রয় খুঁজেছি।
ফুটপাথে অভুক্ত আমার বিছানায়
প্রকৃতি মায়ার মতো তোমায় জড়িয়ে।
আরো এগিয়েছি তোমার দিকে
ক্ষতি কি
নিজেকে হারিয়ে তোমাকে পাওয়ায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

আমি চলে যাব
................ ঋষি

আমি চলে যাব
কিন্তু যাব যখন সবুজ মাঠে
তুমি হাসবে হাওয়ার দোলায়।
আর কিছু না আমি ছুঁয়ে যাবো
তোমার বোকা রৌদ্রের আতর মেখে
তোমার গন্ধ নেশায়।

অনেকটা পথ চলা বাকি
এ হাত ও হাতে ছুঁয়ে সমুদ্রের নোনা বালি।
শরীর থেকে শরীর এঁকে
প্রকৃতি আর প্রেম যেদিন পথের ধুলোয়।
সেদিন কাউকে বলবো না
আমি ঠিক চলে যাব।

ফাঁকা ফুটপাথে অনেক রাতে
আকাশের চাঁদ হেঁটে যাবে আমার সাথে।
তুমিও থাকবে  ছায়ার মতো
আমার প্রথম চুমু তোমার ঠোঁটে।
সেদিন আমি ঠিক চলে যাব
তোমায় ছেড়ে অনেক দুরে।

আমি চলে যাব
কিন্তু যাব যখন আমার শীতল শব ছুঁয়ে
তুমি বুঝবে আমি বেঁচে আছি আমার কবিতায়।
প্রতি স্তবকে ,প্রতি শব্দে তোমায় জড়িয়ে
সেদিন তুমি হাসবে,
আর আমি হাসবো তোমার চতনায় তোমায় ছুঁয়ে। 

RISHI026@GMAIL.COM

আমরা লজ্জিত নয়
.................. ঋষি

পা বাড়িয়ে সভ্যতার উরুতে উন্মাদ মগ্নতা
নেমে চলে কোনো নারীর নরম বুক ছুঁয়ে।
সমস্ত শীতলতার পারদ চাপিয়ে
দুই মেরুর জমানো চাপ চাপ রক্তে।
এগিয়ে আসা মৃত্যুর স্রোতের চোরাবালি
আরো গভীরে কোনো নগ্ন নারীর লজ্জায়।

আমরা লজ্জিত নয় কখনই
আমাদের নখ গুলো লোকানো বেড়ালের চোখে।
লেগে থাকা মাংসের লোভ
আর উন্মাদ বিকারগ্রস্থ সভ্যতার অহংকার।
বারবার কলঙ্কিত করে নারী শরীর
আর উন্মাদ গতির জেট সভ্যতা।

আরো নিচে আমরা নামতে পারি
যখন অশিক্ষার মিড দে মিলে বেহিসাবি ঘুনপোকা।
কিংবা কোনো অখ্যাত গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে
কেউ চিত্কার করে আমি শরীর।
কিংবা দেশের কোনো কারখানায় কাজ করে সেই হাত
যে হাতে কলমটা দরকার ছিল কোনো কড়া নয়।

আরেকটু এগোয় খুব গভীর সভ্যতায়
চলে যায় উরুর মাঝে জমানো লজ্জার নদীতে।
দুম করে নেমে আসুক কোনো অন্য গ্রহ
ফাটিয়ে দিক নদীর গভীরে মাটিটাকে।
কিন্তু আমরা বুঝি না যোনি ধাতুর নয়
আর নারী সভ্যতার কোনো শরীর নয়। 

RISHI026@GMAIL.COM

 কষ্টের ছোঁয়ায়
............. ঋষি

মেঝেতে গড়িয়ে চলে আমার কবিতারা
চোখের জল।
যেদিকে নিচু সেদিকেই গড়ায়
আসলে কবিতারা স্নেহের মতো নিম্নগামী।
অক্লেশে গড়ায় চোখের জল
হৃদয়ের গভীরে না ছোঁয়ার অছিলায়
কিছুটা তৃপ্তি কষ্টের কবিতায়।

সময় ছুঁয়ে গেছে ফুটপাতে বাসি রৌদ্রে
কোনো দুর্গের প্রাচীন প্রহরীর মতো।
আমি দাড়িঁয়ে স্মৃতির পাহাড়ায়
অনেকটা প্রাচীন কোনো স্থপতির ভাস্কর্য্য।
যার সৃষ্টিতে আনন্দ
আর ভাস্কর্যের গায়ে জমা ধুলোময়লা
সময়ের দাগ ছড়ানো কবিতারা।

রেসকোর্সের জমা ঘোড়ার নর্দমার কালি
দৌড়োয় আরো আগে ,আরো আগে।
কতো আগে ,সময়ের আগে তো নয়
হারি ,জিতি কি এসে যায়।
গড়িয়ে পরা আমন্ত্রিত অন্ধকারে
দু এক ফোঁটা চোখের জল ,আমার কবিতারা
গড়ায় আরো নিচে গভীর কষ্টের ছোঁয়ায়।  

Monday, May 19, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

বাঁচার আশায়
............. ঋষি

অনেকদিনের পরে যেদিন মহাবিশ্বে আগুনের ছোঁয়া
সেদিন বৃষ্টি নামবে না পৃথিবীর বুকে।
রক্তিম আগুনে উত্তাল লাভার ঢেউ
তোর বুক ছুঁয়ে ,আমার বুকে।
সেদিন ফিনিক্সের ডানায় লুকিয়ে থাকবে
উড়তে থাকার শোক।
ছো মেরে সভ্যতা কেড়ে নেবে
কোনো মুখচোরা রৌদ্র।
আর ছুঁয়ে যাবে  আমার ঠোঁটে তোর ঠোঁট।

অনেকদিনের পরে সভ্যতার উত্তাপে নগ্নতা
আর পারদ চেপে জঞ্জজাল বাড়তে থাকবে।
তখন আগুনের স্পর্শ তোমার ছোঁয়া
আমার শরীর বেয়ে অসংখ্য সাপ।
সেদিন ফিনিক্সের স্বপ্নে অগোছালো প্রেম
নামতে থাকবে মাটির বুকে।
ঝরে পড়বে দুএকটা পালক উল্টো মাধ্যাকর্ষণ
আরো নিচে ,আরো নিচে পৃথিবীর গভীরে
উল্টোনো আজেকের শোক।

অনেকদিনপর আমার ছোঁয়া স্মৃতিতে তোমার নাম
সেদিনও কেউ তোকে  কাছে ডাকবে।
হারানো  সভ্যতার আঁচলে লুকোনো নতুন সভ্যতা
তোর স্মৃতি ছুঁয়ে আমার নব্যতায়।
সেদিন ফিনিক্স না হোক শালিক পাখির অন্তরে আমি
তোমার দালানে খেলবো
অন্য কোনো অবকাশে তোমায় ছুঁয়ে।
নতুন আলোর সূর্য
তোমায় ছুঁয়ে ,আমায় ছুঁয়ে ,বাঁচার আশায়। 

RISHI@GMAIL.COM

নিষিদ্ধ প্রেম
.......... ঋষি

আমি ভাসছি খেয়ালে খেয়ালে
একটা তৃপ্তি নেমে যাচ্ছে শিরদাঁড়া বেয়ে
তোকে ছুঁয়ে নোনতা স্বাদের গল্পগুলো।

সেই ছেলেবেলায় শোনা
খোকা গেছে মাছ ধরতে ক্ষীর নদীর কুলে।
কিংবা আয় চাঁদ তোকে টি দিয়ে যা
আমি ভাসছি আর ভেসে চলে যাচ্ছি।
পর্তুগিজ দস্যুর নৌকার মাস্তুলে বাঁধা নিষিদ্ধ পতাকায়
আমি সিগারেটের নিকোটিনে তার গন্ধ পাচ্ছি
তোকে ছুঁয়ে তোকে  পাওয়ায়।

ছেলেবেলার সেই প্রথম দেখা তোকে
শরীরের ভাঁজে থাকা দ্রাবিড় সভ্যতার স্হাপত্যগুলো
ইতিহাসের পাতা ছেড়ে চোখের পাতায়।
এক নেশা লেগে যাচ্ছে তোর ঠোঁটে প্রতি পেগে
আমি উজার হয়ে যাচ্ছি এক শান্তির জোয়ারে।
আরো দ্রুত সময় চলে যাচ্ছে
তোকে পেয়ে তোর ছোঁয়ায়।

কিছুটা স্তব্ধতা ,অনেকটা না বলা কথা
কিছু চেনা সময় তোকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।
আমার চেতনায় থাকা ঘামের গন্ধ তোর মাঝে
আমি লিখে চলেছি তোকে আমার ছন্দে ।
যাচ্ছে শুধু সময় চলে যাচ্ছে তোর সাথে
ঘড়ির কাঁটায় সময়ের স্পর্শ
আর মনের পাতায় ইচ্ছে লেখা তোকে পাওয়ার।

আমি ভাসছি খেয়ালে খেয়ালে
শরীর নির্যাসে পুরনো গল্পগুলো মস্তিষ্কের অলিতেগলিতে
ঘুরছে ঠিক যেন কিছু লুকোনো ব্যাথা। 

RISHI026@GMAIL.COM

কবির সৃষ্টি কবিতা
,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

কবির কঙ্কালে কলঙ্ক তখনি লাগে
যখন কবিতারা প্রদর্শিত হয় বিচিত্র জাদুঘরে।
কিংবা কবিতারা বিপ্লব করে সময়ের তালে
আসলে কবিতারা নোংরা ঘাটতে ভালোবাসে।
উড়তে ভালোবাসে খালি পেটে মুক্তির আকাশে
আর যদি তাকে বেঁধে রাখতে চাও
তখনি দুম কবি মরে যায়।

কবিরা ফুটপাথে হাঁটতে  ভালোবাসে
ভালোবাসে মাটির শরীরে ঘামের গন্ধ নিতে।
কারণ কবিতারা যে ভীষণ সাধারণ
তোমার আমার মত নিরীহ ,তৃষ্ণার্ত প্রাণ।
কিন্তু কবিতারা বিদ্রোহ করে
যখন মানুষের রক্ত মানুষের গায়ে
কিংবা মানুষের লজ্জা পৃথিবীর গায়ে।

কবিরা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে
খালি পায়ে হেঁটে যায় আকাশের পথে।
নক্ষত্রদের ভিড়ে ঠিক চেনে নেই নিজের সৃষ্টিগুলো
তাদেরকে আদর করে লিখে দেই সাদাপাতায়।
কলম তখন সৃষ্টির কারখানা
আর কবি সে তো মাতাল নেশায় স্বপ্ন দেখায়
এক অনিদিষ্ট অনিদ্রিত অবচেতনায়।

কবিরা প্রেমের স্পর্শে  থাকতে ভালোবাসে
প্রেমের ছোঁয়ায় ,অবহেলায় কবিতা ফোটে
ঠিক যেন সদ্যজাত পৃথিবীর বুকে।
সেই যন্ত্রনায় কবিতারা পোড়ে আর পুড়তে থাকে
পোড়াতে থাকে সময় আর অসময়।
কবিরা প্রেমে পুড়তে থাকে নারী আর প্রকৃতির ছোঁয়া
আর কবিতারা জন্ম নেই অন্য আকাশে।

rishi026@gmail.com

আমার ক্যানভাস
................ ঋষি

আমার ক্যানভাসে খোলা আকাশ
আর সমুদ্রের জল বড় শান্ত
শান্ত তোমার চোখের মতো আমার সৃষ্টি।

আজকাল আর ঝড় ওঠে না যখনতখন
শুধু তুমি স্পর্শ করলেই জ্বর আসে।
সে এক কেমন আনচান ভাব
মনে হয় তোমায় আমি নিজের মতো আঁকি
আর আমার কপালে তুমি ঠেকাও ঠোঁট।

আজকাল সুনামির আড়ি করেছে আমার সাথে
শুধু তোমার থেকে দুরত্ব বাড়লেই সুনামি আসে।
হৃদয়ের ছাদ ভেঙ্গে নেমে আসে মাটিতে
মনে হয় সব ভেঙ্গে তছনছ করি
ধ্বংস করি পৃথিবীর  প্রেম শব্দটাকে।

শুধু ক্যানভাসে যখনি তুলি ধরি
চেষ্টা করি আকাশ ,বাতাস আর প্রকৃতির ছবি আঁকি।
কিন্তু হয় না ,কিছুতেই হয়ে ওঠে না
আনমনে ,আরো গভীরে তোমায় এঁকে ফেলি
আমার আর কিছু আঁকা হয় না।

আমার ক্যানভাসে এখন শুধু তুমি
ভীষণ শান্ত গভীর নদীর হৃদয়ে  তুমি
আর একমনে তোমায় আঁকি আমি।



rishi026@gmail.com

কবিতার আনন্দে
........... ঋষি

কবিতাদের রৌদ্রে চান করিয়ে
গা মুছে দিলাম
কিন্তু কবিতারা তবু ভিজেই থাকলো।

কাল রাতে ঘুম হয় নি ভালো
ভীষণ গরম যে।
আমার বুকের ভিতরে একটা জঙ্গল আছে
সেখানে আমি চলে গিয়েছিলাম তোমায় দেখতে।
আর কবিতারা ঠাই ভিজে গেলো তোমায় দেখে
আমি কিছু বলি নি শুধু দেখেছি দুচোখ মেলে।

একটা সদ্য সবুজ নদী
তার ওপর তুমি তোমার মতো রাজহংসী,
দু ডানা মেলে ধরেছো আমার কাছে।
তোমার চুলের আড়ালে লোকানো জলের বিন্দু
টুপ করে ঝরে পরলো আমার চোখের পাতায়
আসলে দুরত্বটা থেকেই গেলো।

রৌদ্র মাথায় ছাতা নিয়ে সদ্য তোমার পাড়ায়
ঘুম আসছিল না কিছুতেই।
তাই সোজা তোমার বারান্দায় চোখ
সেই টিয়েটা নেই সেখানে।
শুন্য খাঁচা ঝুলছে বারান্দায়
কবিতার মতো আকাশ ছুঁতে গেছে।

আমার কবিতারা আজ বড় আনন্দে আছে
শুধু ঘুম নেই চোখে
তোমায় পেয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেছে।

Sunday, May 18, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

স্বপ্নের আকাশ
............ ঋষি

চল একটা স্বপ্ন ধরি আজ
আমায় ভদ্রলোক বললেন স্বপ্ন ধরতে হয়
না হলে পিছিয়ে পড়তে হয়।
রেলিং ধরে ওঠানামা অনেকটা স্বপ্নের ধারাপার
স্বপ্ন এক কে  স্বপ্ন ,স্বপ্ন দু গুনে স্বপ্ন
চল আজ উড়ান দি স্বপ্নের আকাশে।

আচ্ছা আকাশের কি স্বপ্ন থাকে   ??
আচ্ছা বাতাসের কি স্বপ্ন থাকে   ??
ধুস থাকতেই হবে
স্বপ্ন ছাড়া বৃষ্টি নামে কি করে।
স্বপ্ন ছাড়া ঘুড়ি ওড়ে কি করে।
থাকতেই হবে স্বপ্ন এ জীবনে
না হলে কষ্ট বাঁচবে  কি করে।

আচ্ছা জীবনে বাঁচা কাকে বলে ?
বাঁচা মানে প্রাণ ,বাঁচা মানে চেনা গান।
ধুস বাঁচা মানে প্রেম
স্বপ্ন ছাড়া প্রেম হবে কি করে  ??
স্বপ্ন ছাড়া  পৃথিবী ঘুরবে কি করে  ??
পৃথিবীতে স্বপ্ন থাকতেই হবে।
না হলে জীবন বাঁচবে কি করে।

চল একটা স্বপ্ন ধরি আজ
আমায় ভদ্রলোক বললেন স্বপ্ন ধরতে হয়
না হলে হারিয়ে যেতে হয়।
জানলার কাঁচে ঝাপসা স্বপ্নের বৃষ্টি
ঝিরি ঝিরি রুমঝুম রুমঝুম।
ধুস আমি আসলে হারিয়ে যেতে চাই স্বপ্নে।

  

RISHI026@GMAIL.COM

তোমায় ভুলতে পারি না
,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

আমি প্রেমিক কিন্তু প্রেম বুঝি না
যে কোনো উচচতা থেকে ঝাঁপ দিতে পারি।
যে কোনো সারণী ধরে হাঁটতে পারি
একলা থাকতে পারি তোমায় ছাড়া।
কাঁদতে পারি ,হাসতে পারি
কিন্তু একমুহূর্ত তোমাকে ভুলতে নয়।

হতে পারে সময়ের ঘড়িটা কাঙ্গাল আমার কাছে
হতে পারে সভ্যতার রং আদিম আমার কাছে।
কিন্তু আমি জীবন বুঝি নি
শুধু আঁকতে পারি তোমায় আমার স্পর্শে।
যখন তখন জড়িয়ে ধরে আদর করতে পারি স্বপ্নে
বাঁচতে পারি কাঁটা তারে শুধু তোমার দর্পে।

হতে পারি আমি পাগল তোমার কাছে
হতে পারি আমি আগুন রঙের ঘুড়ি।
কিন্তু আমি সভ্যতা বুঝি না
আমি তোমায় জড়িয়ে বাঁচি।
আমার কবিতা তোমায় ছুঁয়ে থাকে
আলো আঁধারে খেলা কানা মাছি।

আমি প্রেমিক কিন্তু প্রেম বুঝি না
যে কোনো প্রেমের অভিধানে আমি লুপ্ত শব্দের মতো।
যে কোনো যোগ্যতার আকাশে আমি শান্ত তারার মতো
তবু আমি বাঁচি তোমার স্বপ্ন চোখে
তবু আমি  হাসি ,লেগে তোমার ঠোঁটে।
কিন্তু একমুহূর্ত  তোমায় ভুলতে পারি না। 

RISHI026@GMAIL.COM

বাঁচতে পারবো না
//////////// ঋষি

জানি দু চার লাইনে তোমায় লিখতে পারবো না
এমন কিছু আবদার আমার
তোমাকে আমি বলতে পারবো না।
রাস্তার লাল স্যিগনালে দাঁড়িয়ে সবুজের অপেক্ষায়
কাটিয়ে দিলাম বেওয়ারিশ শরীরের আকাঙ্খায়।
তোমায় আমি ভালবাসতে পারি
কিন্তু নিচে নামতে বা নামাতে পারবো না।

জানি পৃথিবীর আবর্তনে গতি বাড়িয়ে বা পিছিয়ে
তোমার স্পর্শগুলো একসাথে পাবো না।
তোমাকে ছোঁয়া যায় ,আরো গভীর থেকে গভীরে
কিন্তু এই দূরত্ব আমি কমাতে পারবো না।
একগ্লাস জলে তৃষ্ণা মিটলেও , তৃষ্ণার অভিধানে
তোমাকে ছুঁয়ে আছি আর থাকবো
কিন্তু জীবনে কখনো তোমায় ছাড়তে পারবো না।

জানি আমি এক বাউলে পাখি ,নীল আকাশে বাস
আমি উড়বো তুমি রুপোলি পালক
তোমায় ছাড়া উড়তে  পারবো না।
রৌদ্র উঠুক কিংবা ভীষণ ঝড়ে জলসা চোখে
আরো আরো স্বপ্ন নামুক।
বিশ্বাস করো তোমায় ছাড়া আমি শুন্য
আর এমন বাঁচতে পারবো না। 

Saturday, May 17, 2014

rishi026@gmail.com

স্বয়ং সত্য
.......... ঋষি

সত্যকে মুগ্ধ হতে দেখিনি কখনো
খোলা হাতে জামার কার্নিস গুটিয়ে
রৌদ্রে পুড়ে যেতে দেখেছি নির্বাসনে।
বিপ্লবী আত্মাদের ভূত কালিঘাটে বেশ্যাবাড়িতে
লুকোতে দেখছি অসময়ে।
ছুঁতে দেখেছি চোখের জল অনন্ত হৃদয়ে
কিন্তু সত্যকে আমি লুকোতে দেখি নি।

পরাধীনতা যখন হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে হুগলির জলে
তখন ও সত্য ছিল স্বাধীনতার স্বপ্নে।
মৃতপ্রায় কলকাতার জেগে উঠে মরে যাবার পিছনে
আজও সত্য আছে সবার জানা।
কিন্তু সত্যকে না ডাকা অবধি
সত্য কখনো দেশে আসে নি
বিনা প্রতিবাদে সত্যের ঘুম ভাঙ্গে নি।

অগোচরে লুকোনো সত্যগুলো বড় সাংঘাতিক
জঙ্গলের নিয়মে বাঁধা সিন্ধুকে জ্যোত্স্নার আলো।
আবছা অন্ধকারে বড় মায়াবী সত্য
আকাশের ছাদে আটকানো পবিত্রতার মতো।
আসলে সূর্য ,চাঁদের মতো সত্য কখনো হারতে শেখে নি।
উঠে এসেছে পিছোতে পিছোতে দেওয়ালে পিঠ
কিন্তু সত্যকে আমি চাপা থাকতে দেখি নি। 

Friday, May 16, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আরো দুরে
............. ঋষি

রাত্রি তোমার নৌকায় পাল লাগা
নেমে যাক খুব গভীরে পথ চলা।
আকুল হৃদয়ে তোমার পথ দেখা
আর কতো কি বাকি আছে বলা।

বুক চিতিয়ে তোমার আঁচলে ফাঁকি
সত্যি বলো চিনে নিলে নাকি।
উদ্দাম উরুর ,ঠোঁটটা তোমার ভ্রুয়ে
মনে করো না দিচ্ছি তোমায় ফাঁকি।

আল্পনা সব জল্পনা নয় জেনো
আমায় তুমি আপন করে রেখো।
রাত না আসুক সূর্য সকাল আঁকি
সূর্য টাকে হৃদয়ে লুকিয়ে দেখো।

মনে করো না আমার আকাশ লাল
দু এক ফোঁটা রক্ত নামুক সময়।
যেমন করে ক্লান্ত দিনের পরে
শিশু যেমন মায়ের কাছে ঘুমোয়।

আমি না হয় সকাল বেলার পাখি
বৃষ্টি ভেজা তপ্ত তোমার ঠোঁটে।
জীবন যখন পাতার মত ওড়ে
একলা সময় তোমায় জড়িয়ে কাটে।

এমন অনেক কবিতা দেবো লিখে
সকাল আলোয় তোমার শাড়ির ভাঁজে .
মন্দ বলুক সবাই আমায় যদি
তুমি না বোলো আমি ভীষণ বাজে।

রাত্রি তোর ছোটো ভীষণ ডিঙ্গি
জীবনটা যে সাগর তৃষ্ণা যেন।
ভুল বুঝো না এমন করে হৃদয়
দুরে আছো আরো দুরে কেন। 

RISHI026@GMAIL.COM

আজ বলার কিছু নেই
...........ঋষি.


চিরজীবী আমি পরজীবী  নই
সমস্ত সমগ্রের পরে মাছ ভাত।
আর জীবনে যুদ্ধের পরে খালি হাত
গেছে সব গেছে।
মাথার মধ্যে কিছু নেই বলেছিল আমার দিদি
শুধু পোস্টারে আটকানো চোখ।
নামতে নামতে নাভিতে
আরো নিচে
ছি বলার আর কিছু নেই।
 ২

সহস্র সংযোগের পরে বিয়োগ
আবার যোগ।
নিত্যনতুন উপাদানের উপঢৌকন
জীবন্ত ,নিভন্ত ,পড়ন্ত রৌদ্রে পথ চলা।
ওরে রৌদ্রে যাস না শরীর খারাপ হবে মা বলেছিল
শুধু রৌদ্রে দাঁড়িয়ে পুড়েছি।
আর নেমেছি  ,,নামতে নামতে
আজ শুন্যের নামটা আওরাচ্ছি
কি  আর বলার আছে।


যত গুলো চোখের তারা বাঁধা
তাদের জোত্স্নায় এক সমুদ্র মেঘ।
আর মেঘের দেশে কাটা ঘুড়ি
উড়ছি আর উড়ছি আরো ওপরে।
ওরে নেমে আয় পরে যাবি তো বাবা বলেছিল
আরো ওপরে আরো ওপরে।
উড়তে থাকার লোভ বাউলে হৃদয়ে
মানায় না বাঁধা থাকতে
কি আর করার আছে।


কুঁচকে যাওয়া চামড়ার চাদরে
অলক্ষ্যে হয়ে যাওয়া অন্ধকারের উত্তাপে।
কখনো পাহাড় স্পর্শ করে নি
নেমে এসেছে আরো উত্তাল ঢেউ।
ওরে ভেসে যাবি আরো গভীরে প্রেম বলেছিল
ভাসতে ভাসতে তোমার ঠোঁটের স্পর্শে।
আজ পাগল আমি তোমার উঠোনে
স্পর্শ চেয়েছি ,,তোমায় পেয়েছি
আর আজ বলার কিছু নেই। 

Thursday, May 15, 2014

rishi026@gmail.com

সম্ভব ও অসম্ভব
............. ঋষি

আবর্তনের পর প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয়
কিন্তু সম্ভোগের পর কষ্ট সম্ভব।
জানলার মরচে পরা লোহার কুচিগুলো
বিরক্তিকর মসৃন জীবনের প্রতিফলন
কিন্তু জীবনের পর মৃত্যু সম্ভব।

আমার এ কবিতা জমে বরফ শতকের পর
অন্য শতকে জন্ম ,মৃত্যু সব অহংকার।
কিন্তু কবিতারা ফুরফুরে হওয়ায়
বৃষ্টি ফোঁটা ঝরছে ,ঝরবে
কিন্তু খরা বৃষ্টির রক্তক্ষরণ সম্ভব .

প্রতিটা দিনের পরে রাত আর তার পরে
দিন আসে ,,সময় ঘুমিয়ে পরে ফাঁকে।
চুঁয়ে পরা স্বপ্নরা অবচেতনার কার্নিসে
মিছিল করে ,,বিবস্ত্র প্রাপ্তিতে
মোমবাতি গলে যাওয়া সম্ভব।

অজস্র তারাদের ভিড়ে লোকানো কষ্টরা
যদি বৃষ্টির মতো নামতে থাকা তারা খসে।
তবে তো আকাশ শুন্য হবে
বুকের পাহাড় ভেঙ্গে নামবে কষ্ট ঝরনা হয়ে
সেই ঝরনায় নিশ্চয় তৃপ্তি সম্ভব।

আবর্তনের পর প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয়
অন্ধকারের পরে দিন না হোক গোধুলি সম্ভব।
কনে দেখা আলোয় রামধনু রঙের প্রকিতির স্পর্শে
কিছুক্ষণের হলেও এ জীবনে ভালো থাকা
আর হাসতে থাকা সম্ভব। 

RISHI026@GMAIL.COM

কিছুটা অবেলায়
.......... ঋষি

দুদিন একটা দূরত্ব
আকাশের চিল বুকের রক্তে।
বুকের লুকোনো ব্যালকনিতে লুকোনো আকাশ
ঝুলতে থাকা স্বপ্নরা বাবুই পাখি বাসা।
নতুন জন্ম ,নতুন সৃষ্টি ,নতুন প্রেম
আর একটা আশ্রয়।
সবটা মিথ্যা হবে ভাবা যায় না
ভয় হয় ,,আজকাল ভয় হয়।
নিজেকে হারাতে লজ্জা হয় নিজের থেকে
একমুঠো বেঁচে থাকা ,,,,,, আশ্রয়টুকু।
মৃত শবের উড়ন্ত খই
বাড়ন্ত আগুন হারিয়ে যাওয়ার ভয়।
ভীষণ ভয়
আমি আর হারতে পারবো না।

অনেকদিনের লুকোনো ক্ষোভ অগ্নুপাত
স্মৃতির চূড়ার থেকে সোজা জানলায়।
হৃদয়ের জানলায় আঁকড়ে থাকা বুকে
হারিয়ে যাওয়ার ভয়।
দৃষ্টি খুব দুরে কোনো অজানাকে ঘিরে
চোখের পাতায় আদ্রতা।
প্লিস আর তো হারানো যায় না
আর তো লোকানো যায় না নিজেকে।
ভীষণ নগ্ন আমি তোমার কাছে
তোমার থেকে দুরে থাকা যায় না।
ভোলা যায় না একমুহূর্ত স্পর্শ
প্লিস তোমাকে ছাড়া আর কিছু।
আর কিছু ,,ভাবা যায় না
শুধু অগরুর গন্ধ আর চিতার আগুন ছাড়া।

RISHI026@GMAIL.COM

দেখতে দেও
............ঋষি

এক চড় নেমে এলো আমার গালে
আর কি হবে তোমাকে পেয়ে।
এ প্রশ্নের উত্তর লেখা যন্ত্রণার গায়ে
জড়ানো একটা সাবেকি স্কেলের মাপকাঠিতে।
উত্তর হতে পারে
মেরুর বরফ গললে কি হবে ?
ভেসে যাবে ,,ঠিক ভেসে যাবে।
কিংবা যদি একটা অন্য  গ্রহ ছুটে আসে প্রথিবীর বুকে
কি হবে ?
ধবংস হবে ,,সব নষ্ট হবে।
তোমার উত্তরটা এরকমই।

এক গাদা আবর্জনার নিচে চাপা পরে নাভিশ্বাস
বিশ্বাস এক মুঠো আঁকড়ে থাকা রৌদ্র।
তোমার মুখে
বলি নি কখনো তুমি সুন্দরী।
বলি নি তোমার জিরো  ফিগারে আমি ফিদা
শুধু বলেছি বারবার নিজের করে।
তোমার মনটা বড় সুন্দর
ওটা আমায় দেও ,,,আমি ভালোবাসি।
ওটা আমায় দেখতে দেও
ওর কতো গভীরে আমি ,,,কতোটা
একবার মাপতে  দেও আমায়। 

Wednesday, May 14, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

নাথিং ইজ ইম্পসিবল
............. ঋষি

বুকের খোলা বোতামের চিত্কারটা বদলায় নি
এক বুক লোমশ অন্ধকারে।
কখন যে বদলে যায় পশুত্বের  মানে
সবটাই খানিকের চাওয়া পাওয়া।
আর রাস্তা দিয়ে হাঁটা সেই ফেরিওয়ালা
যার প্রেমের মাটির পুতুলগুলো গড়া হয়েছে
ইটস পসিবল কি খেলা হয় নি  .

কিংবা ধরো সেই আশ্চর্য প্রদীপের দৈত্য
যদি হৃদয় ঝিলে বাসা বোনে।
কোনো অসম্ভবকে ছুঁয়ে হাসতে হাসতে বলে
নাথিং ইজ ইম্পসিবল।
তখন সমস্ত সত্তার সাথে যুদ্ধ করি
আমি হাসি আর বলি
ইটস পসিবল যে আমি ভালো আছি।

কোনো রৌদ্রের কবিতায় ঝিলিক দিয়ে রক্তমুখে
আমার কবিতারা আমার কথা শোনে।
ক্যানভাসে ফুটে ওঠে সভ্যতার মুখ
আমার পকেটে বেজে ওঠে সেলোফোন।
কিউ কি ইতনা পেয়ার করতে হ্যা হাম
আর জীবনের স্বপ্নে পথে একলা
ইটস পসিবল যে আমি ভালোবাসি।

আবার সমুদ্র ছুঁয়ে নোনতা হাওয়ার ঠোঁট
কোঁচকানো  বিছানার চাদরে পবিত্র তুমি।
সবটাই কেন জানি স্বপ্ন মনে হয়
এও সম্ভব আমার কবিতারা আমার স্পর্শে।
জেগে ওঠা উগ্রতায় জংলি আমি
অবাক চোখে  তোমায় দেখি
ইটস পসিবল যে আমি তোমার প্রেমী। 

RISHI026@GMAIL.COM

এতটুকুই পাওয়া
.................... ঋষি

আমি ভালো আছি ,তুই আছিস তাই
আকাশে বুক চিরে আমি দেখে নিয়েছি সভ্যতা।
আয়নার সামনে নগ্ন করেছি নিজেকে
বারবার  ইচ্ছেমতো মুখ ঘষেছি তোর  বুকে।
তোর ঘামের গন্ধে নিজেকে মাতাল করেছি
আমি ভালোবেসেছি তোকে।

কাগজের ঘরে বানানো সম্পর্ক্যের তীর
একটু আগুনে পুড়ে যাবে যাক।
একটু লোভ নাই বা করি আমি
মন্দ গুলো ভালোয় হারিয়ে যাক।
সভ্য হয়ে জংলি সাজ ধরি
তোর প্রেমেতে আমায় নেশায় পাক।

বুকের রক্তে আমার শিরায় আগুন
এমনি করে যাক না দিন কেটে।
বন্য প্রেমে জংলি মুকুট পরে
তোমার মুক্তি তেপান্তরের মাঠে।
একটা দুটো তারা চোখে ঝরুক
ভাবনা ছুঁয়ে আমার দিনে রাতে  .

আজকে না হয় প্রেমের বৃষ্টি নামুক
আমার শরীর আগুন প্রেমে পোড়া।
আরেকটু না হয় পুড়তে থাকি আমি
হৃদয় জুড়ে নোনতা স্মৃতির ছোঁয়া।
তুমি শুধু হৃদয় জুড়ে থেকো
আমার তো এতটুকুই পাওয়া। 

RISHI026@GMAIL.COM

সভ্যতার মানে
................ঋষি

টের পাচ্ছিস বারুদের গন্ধটা
টের পাছিস তোর শরীরে মিসিং অংশগুলো।
বারুদের গন্ধমাখা বিকেলের আলোয় সিগারেটের ধোঁয়া
আর দুরে দেখা যায় সেই বিষাক্ত হাওয়ার কারখানার ভো।
ছুটি হলো তোর,,,,, ছুটি হলো
ছুটি হলো সভ্যতার সভ্য আচরণের।
ছুটি হলো আইনের নামে বদলানো মানের
পথের উপর দিনে দুপুরে ছিটকে পড়লো রক্ত।
মানুষের ভাইয়ের ,মানুষের বোনের,মানুষ মানুষের
আর তারপর তোর পাওয়াটা।
বেঁচে থেকে মরে যাওয়ার মানেটা
লেপ্টে চলা কেঁচো।
এক সভ্যতার ইতিহাস লেখা হলো আইনের নামে
একটা দিন ,সন্ত্রাস চলে গেল তোকে চিরে।
টের পেলি ভুক্তভোগী মেরুদন্ডহীন রক্ত
টের পেলি সভ্যতার মানে। 

rishi026@gmail.com

বাঁচতে থাকা
............. ঋষি

নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য অক্সিজেন দরকার
দরকার একটা চৌড়া হাত আমার কাঁধে।
কয়েক গজ বুকের কষ্টের সীমানা বেঁধে
অদ্ভুত পদচারণা তোমায় ঘিরে
কিছুটা অস্তিত্ব কিছুটা কলরব শুন্য আকাঙ্খায়।

প্রতিটা শুন্য কিন্তু বাঁধন হারা নয়
শুরু থেকে শেষ ,শেষের শুরু দুটোই এক।
কোনটা তোমার আর কোনটা আমার
কোনটা স্বপ্ন আর কোনটা বন্য
উত্তর গুলো এক এবং অদ্বিতীয়।

আবার এক অলিক ম্যাজিক ছুঁয়ে বাঁচা
চর্বিত চর্বনের শেষ স্তবকে ক্লান্ত পদাঘাত।
হেরে যাওয়া মানে হারিয়ে যাওয়া
বারবার বোঝা আর বুঝতে থাকা
কিছুটা দূরত্বে থাকা তুমি আমি।

লোকাতে হবে কষ্ট ,দুঃখ ,ভীতি
হাসতে হবে সার্কাসের দড়ির উপর।
পৃথিবীর মগডালে সিঁড়ি লাগিয়ে
উঠতে হবে ,উঠতে হবে অন্ধকার আকাশে
চাঁদ কে ছুঁয়ে দেখতে যে হবে।

একগলা জলে দাঁড়িয়ে থাকা
সাঁতার না জানলে ডুবতে থাকা।
জলের তলায় নাভিশ্বাস
নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য অক্সিজেন দরকার
দরকার একটা চৌড়া হাত আমার কাঁধে।

কেউ কারো নয়

হঠাৎ করে কেউ হারায় না যে মেয়েটা বাড়িতে রোজ শাঁখ বাজিয়ে পুজো করে তার ও ইচ্ছে করে আকাশ ছোঁয়ার, ব্যাগ ভর্তি স্বপ্ন নিয়ে যে ছেলেটা বাজারে এসে দা...