Sunday, January 31, 2016

আবছা হওয়া সময়

আবছা হওয়া  সময়
....................... ঋষি
==============================================
বাদুলে আকাশ ঢেকে আছে অন্ধকার ক্রমশ
আমি দেখতে পাচ্ছি  এক চাষীর মুখে।
যার চোখে মুখে ভয়
এ ভয় খুব সার্বিক বেঁচে থাকার কামনার।
আমরাও পাই ,প্রতিদিন ,প্রতিমুহুর্তে
সকলেই তো বাঁচতে চাই।

এই বছরে বৃষ্টি হয় নি সময় মতন
অথচ  সেই গরিব চাষীর চোখে ক্ষুদার্থ  সংসার।
মহাজনের ঋণ
ফসলের চিন্তা
এখন গলার কাছে ফাঁসির মতন আটকে এই দুনিয়া।
এই চিন্তা সকলের হয়
সকল বলতে সাধারণ জনগনের।
তার বাইরেটা যে ভীষণ  নকল ,কদর্য কিছু শাসন বসে থাকে
যারা প্রতিশ্রুতি  দেয়  সবুজ মাটির।
অথচ হিসেব ফেরত নিজেদের মুড়ে  নেই কালো টাকার পাহাড়ে
আর সেই চাষী  আমাদের  অতি আপন  একজন
গলায় ফাঁসি দেয় একটু বাঁচার জন্য।

বাদুলে আকাশ ঢেকে আছে অন্ধকার ক্রমশ
আমি দেখতে পাচ্ছি সেই চাষীর ঝুলন্ত শরীরটা হাওয়ায়  দুলছে।
চোখের সামনে ধুলি ঝড় ,আবছা হচ্ছে সময়
এমনটা রোজই হয়  কোথাই কখন  কারো সাথে।
কিন্তু এসব আজকাল খবর হয় না
আমরা জানি না কারণ এই খবরে কোনো মুনাফা নেই।  

জীবনের কৃপনতা

জীবনের কৃপনতা
................. ঋষি
===============================================
যখন মৃত্যু হয় এই  দেশের
তখন তার নাম হয় কামদুনি ,সুরাট ,বারাসাত।
দূরত্ব যতই মাপো  না কেন
দূরত্ব  কমে না সাংবাদিক মাধ্যমের কাঁটা ছেঁড়াই।
জীবনতলায় মৃত্যু ফলায় নির্লজ্জ লোলুপ কারো  হাত
ঠিক বেঁচে থাকে সময় দুর্বৃত্ত অজুহাত।

নতুন খোলসে বুদ্ধের দেশে নৃশংসতার নজির গড়ে
আদিম বন্য মানুষ।
আমি দাঁড়িয়ে থাকি চিড়িয়াখানার গেটে কোনো বন্য গন্ধের জন্য
স্বাধীনতার কৃপনতাকে  লক্ষ্য করি প্রতিটা বন্য জানোয়ারে।
স্বভাব যদি জানোয়ার হয়ে যায়
তবে তাকে একটা খাঁচা দেও চিড়িয়াখানার মাঝে।
জীবন যদি দুর্বৃত্ত হয়ে যায়
তবে তাকে তকমা দেও মানুষের আদিম বাদরের।
তবে তাকে সহ্য করো  না
নিজের মেরুদন্ডের সাথে সন্ধি করাটা একটা অপরাধ যে।

 দেশের প্রতিটা মৃত্যু আমাকে যন্ত্রণা দেয়
অগ্রগতির চাকায় পেষা চাঁদ পড়ে থাকে ডাস্টবিনে অন্ধকারের সাথে।
ভাঙা চালের ফাঁক বেয়ে নেমে আসা জ্যোৎস্না চেখে
এই তৃষ্ণা মেটে  না।
দেশকে কিছুইতেই মনে হয় না স্বয়ং সম্পূর্ণ
কারণ সম্পূর্ণতা মানুষের জীবনতলায় কৃপণ বাঁচা।

Friday, January 29, 2016

আলোর জীবন

আলোর জীবন
............................ ঋষি
=================================================
তোমার অনুভবে তুমি দেখো হাতের রেখা
আর আমি দেখি তোমায়।
তুমি তোমার মহান উপলব্ধিতে তফাৎ  খোঁজো  সময়ের আর শরীরের
আমি তোমার শরীরের ফাঁকে সময় খুঁজি ,,,বাঁচা
আমি কোনো মহান কবির মতন ভাবতে  পারি নি
বনলতা তোমার হারিয়ে যাওয়ার কথা

খুব চেনা, একটা শীত হাওয়া  যখন তোমায় স্পর্শ করে
সেটা শেষ নয়  সবেমাত্র শুরু আমার আদরের।
যখন ধৈর্য তোমার আশংকার সুচকে দাঁড়িয়ে সময়ের ওজন করে
দেখো আমি দাঁড়িয়ে তোমার দিকে ,তোমার সাথে।
তোমার রহস্যের হাসি আমি গুছিয়ে রাখি তোমার কবিতা বলে
তোমার নেভানো আগুন আমি জ্বালিয়ে রাখি তোমাকে  পাবো  বলে।
কারনে, নিভে যাওয়া পাঁজরের আগুনে পোড়া রক্তের  গনগনে কমলা
আমি সহ্য করতে পারি না
আমার , যন্ত্রণার মিলন কবিতায় তুমি থাকো  ঠিক
অনেকটা ক্লোরোফিলের ভূমিকায়
আলোর জীবন

তুমি জেনে গেছো  হাতের রাখি ঘুমিয়ের থাকে
আমি আমি জানি তোমায়।
সুঁচের এফোঁড় ওফোঁড় যেমন করতে পারে সময়
ঠিক তেমনি তুমি আমার সেলাই করা হৃদয়।
কোনো মহান কবির মতন আমি উদাত্ত প্রেমে হারাতে পারবো  না
শুধু তোমার কল্পনায় ,আমার তোমাকে চায়। 

মনে রাখা

মনে রাখা
................... ঋষি
==============================================
সে বলে আমাকে মনে রেখেছে
আমি বলি সে মন আমার কাছে নেই।
মনে রাখার হিসেব আমি রাখিনি কোনো দিন
সত্যি বলছি মনে রাখে নি।
মনে রাখতে চাই নি পাট ভাঙ্গা শাড়ি ,নতুন বইয়ের পাতার তফাৎ
অনেকটা নারী আর কবিতার মতন।

কেন জানি আজ ও মনে হয়
শাড়ি  ছাড়া নারী ঠিক মায়ের মতন লাগে না।
যেমন লাগে না আমার কবিতা ছাড়া জীবনে বাঁচা
অথচ সে আমাকে বলে মনে রাখবো।
আমি মনে রাখবো  না জীবন
পথের পরে পথ ফুড়িয়ে  যখন হারিয়ে যাওয়া যায়।
তখন নাই বা হাঁটি সেই পথে
নাই বা রাখি কথা মনে রাখার।
এখন সত্যি তাকে প্রশ্ন করা হয় নি
আমি কি মনে পড়ি  তোর।

সে আমাকে  বলে মনে রাখবো
আমি চুপ করি শুনি আমার চোখের পাতায় জল।
জীবন থেকে হারানোর মুহুর্তে আর যাই হোক
জীবন কখনো মনে রাখে না।
যেমন মনে রাখে না সময় কোনো সুখী মুহূর্ত
আর আমি কিছুই মনে রাখতে চাই না।

Thursday, January 28, 2016

তোমার উপহার

তোমার উপহার
................ ঋষি
===============================================
এই ভাবে শত ভাবে শতরূপে চলন্তিকা
তুমি রূপমতী হও।
আমার কলম ছুঁয়ে ভাবনাদের আগুন জ্বলুক তোমার বুকে
অন্ধকারে প্রদীপের মতন।
আর আমার বুক পুড়ুক পুড়তে থাকা সলতে
প্রদীপের ঘর ,আলো হোক সময়।

সময়ের লাগাম ছাড়া রক্তে দাগ পরুক চলন্তিকা তোমার পায়ের
লক্ষ্মীর পা , আরো গভীরে যা
সময়ের উপহার ,সবুজ চারিধার।
আরো উজ্বল হোক চলন্তিকা তোমার  রূপ
আরো তেজী  হোক তোমার আহ্বান রূপকথার মতন
আমি শৈশবে ফিরে যাই।
কোনো  নিঝুম দুপুরবেলায় সেই রাক্ষসের দেশে
তুই রাজকন্যা ,আমি শৈশব
তুই ভাবনা ,আমি বাস্তব।
সময়ের উপহার চলন্তিকা তুমি যে আবার
ফিরে আসা অন্য শৈশব।

 এই ভাবে শত ভাবে শতরূপে চলন্তিকা
তুমি বীর্যবতী হও।
তোমার সন্তানেরা হোক দাবানল এই পুড়তে থাকা দেশে
আরো আগুন জ্বালো আমার কলমের নিবে।
আরো রূপমতী হও
আমার ভাবনারা ভিন দেশে তোমার উপহার।

যদি ভাবি চলন্তিকা

যদি ভাবি চলন্তিকা
................... ঋষি
=========================================
পাবো পাবো না করে পেয়ে গেলাম তাকে
যেমন দিন আসে আবার চলে যায়।
ঠিক তেমন
সময়ের হাত ধরে কলমের নিবে থাকা চলন্তিকা।
তোকে ভাবতে ইচ্ছে হয়
ইশ তুই যদি আমার নেশার জীবন হতিস।

ব্রেক ফাস্ট , লাঞ্চ , ডিনার তোর সাথে
আমার সর্বস্ব জীবন একসাথে।
যদি এমন করে কাটাতে চাই চলন্তিকা পবিত্র পথে
যদি আকাশ থেকে নেমে আসে ক্রুশ
আমি রক্তাক্ত হই।
তবু রাজি চলন্তিকা
একবার না বারংবার বয়ে চলবে সেই সময়ের ভারটাকে।
নিজের গভীরে সময়ের সাজে
ঈশ্বর তুমি প্রেমের অবুঝ রূপ।

যদি ভাবি চলন্তিকা আমি তোর চোখের কাজল
ইচ্ছে নদীর ছোঁয়ায় চোখ টলমল অবিরাম শান্তি।
যদি ভাবি তোকে আমি তোর নিশ্বাসে
কোনো স্বাধীন বার্তার মতন পবিত্র  সময়।
তবে তোকে জড়িয়ে নিতাম
আর কানে কানে বলতাম তুই আমার আদর। 

Wednesday, January 27, 2016

নগ্নতার বারোমাস্য

নগ্নতার বারোমাস্য
................ ঋষি
=================================================
একটু বাড়াবাড়ি করছি
ঘোমটার নিচে খ্যামটা নাচ অসহ্য লাগছে।
শালা নগ্নতা বললেই
এক বুক আছোলা ,ছি ছি ,রামো রামো।
অথচ সকাল সন্ধ্যে নগ্নতার বারোমাস্য সময়ের উপহার
একদম যাচ্ছে তাই কি বলো।
.
পাড়ার লতা বৌদির ফিগারে চোখ রাখি
রাখি না হাত নিজের প্যাপিরাসের কলমে এমন কজন আছে।
খাজুরাহ মন্দির দেখলেই ওঠে রব ,,চোখ গেলো ,চোখ গেলো
অথচ মোবাইলের  স্ক্রিনে খাজুরাহ খোঁজে না এমন কজন আছে।
টিভির পর্দায় বড় করে বিজ্ঞাপন কনডম ,সেক্স বর্ধক ট্যাবলেট
অথচ শিশু পাঠে ওসব অসহ্য,,, বড়দের বলি না এমন কজন আছে।
আছে আরো অনেক কিছু
ধর্ষণ হলে  মেয়েটা কে বলি মশাই  নষ্ট ছিল।
মেয়েদের ঋতু হলে বলি ইশ সময়টা অপবিত্র
অথচ যখনি সময় আসে অন্ধকারে সেই জায়গাটায় ধরি।
আহা কি মিষ্টি মধুর
তুমি আমার জান ,তুমি আমার প্রাণ।
শালা এক আজব ভন্ড এক নগ্ন সভ্যতার নাগরিক আমরা
অথচ নগ্নতার নামে চোখ বন্ধ করি।
.
একটু বাড়াবাড়ি করছি
আমাদের সৃষ্টির সময়ের নগ্নতা ঢাকার পাপকে আমরা বয়ে বেড়াচ্ছি।
সম্পর্ককে নাম দিয়েছি জীবন আর জীবনকে নাম দিয়েছি চুক্তি
আজব মর্ডান আমরা।
যে সিন্ধু সভ্যতাকে পাশ্চাত্য অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে
আমরা সেই সভ্যতায় বাস করে  প্রাচ্য সঙ্গীত গাইছি ।
.
(আমার এই বাড়াবাড়ি শুধু কবিতায় স্তিমিত থাক। যুক্তিতর্ক সমস্ত জরুরী কিন্তু সবচেয়ে জরুরী আমাদের কুপমন্ডুকতার বিরোধ করা। )

সময়ের খিদে

সময়ের খিদে
.......................... ঋষি
=====================================================
আমি এক খিদের সময়ের নাগরিক
আমি সেই শহর থেকে বলছি।
তোমরা শুধু প্রতিশ্রুতি দেও পেট ভরা মানুষের
আর আমি দেখি অন্ধকার চারিধারে মানুষের দেওয়ালে পিঠ।
তোমাদের প্রতিশ্রুতিরা রঙিন কোনো দেওয়ালে বার্ষিক বিজ্ঞাপন
আর আমি দেখি ভিতু মানুষ তোমাদের অত্যাচারে।

সময় থামে নি কখনো
মাঠে মাঠে যে গরীব কৃষকের মাথায় বৃষ্টির শুকনো মাটির খিদে।
আমি সেই সব মজুরের কথা বলছি
যাদের  খুনি মালিকের রক্তখোর ফার্নেসে  ঝলসানো স্বপ্নদের খিদে।
আমি ইঁটভাটার সেই মেয়েদের কথা বলছি
যারা সমস্ত ফেয়ারনেস ক্রিমের সভ্যতা উড়িয়ে  সাজাচ্ছে নিজেদের খিদের সাথে।
আমি সেই মা মরা ছেলেটার কথা বলছি
যে রোজ চা দোকানের মালিকের থাপ্পড় খেয়েও চা অমলেটে  সাজাচ্ছে খিদে।
আমি সেই মেয়েটার কথা বলছি
যে সন্তানের মুখে ভাত দেবে বলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেটাচ্ছে সময়ের শরীরের খিদে।
আমি সেই সময় থেকে বলছি
তোমাদের ঘৃণাগুলোকে আমি বাঁচিয়ে রাখবো সময়ের অগ্নিগর্ভে ।
যদি পারো সম্মুখীন হও তোমাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নিয়ে
যদি পারো একবার চেখে দেখো  সময়ের গভীর খিদে।

ফুটপাতের উলঙ্গ নিয়নের নিচে আমি ঘুমিয়ে থাকতে দেখেছি অগুনতি সময়
আমার কলমের ভেতর কান্নাগুলো শুকিয়ে বারুদ হয়ে উঠছে।
মাল্টিপ্লেক্স সভ্য সমাজের  বাবুদের আমি  প্রতিশ্রুতি দিতে  পারবো না
মহামান্যগন যদি পারেন এখন থেকে দূরেই থাকুন।
কারণ সময়ের ক্রোধ ও বেদনাগুলোকে যদি সশব্দে বিস্ফোরিত হয়
তখন আপনাদের সৌখিন সাম্রাজ্যে  নৈরাজ্য বোমা হয়ে আছড়ে পড়তে পারে।


খাঁচার ভিতর অচিন পাখি

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
................ ঋষি
=====================================================
ঘুম পাচ্ছে চোখের কোনে নেশা
আমি দেখতে পাচ্ছি সেই লোকটাকে যাকে দেখেছিলাম ট্রেনের লোকালে।
আমি দেখতে পাচ্ছি সেই লোকটাকে যে অন্ধ অথচ ভিখারী
আমি দেখতে পাচ্ছি তার স্ত্রী যে একঘেয়ে গেয়ে চলেছে।
সেই লোকটা যে এই মাত্র হারমুনিয়ামে চোখ রাখলো
গেয়ে উঠলো খাঁচার ভিতর অচিন পাখি। ....


ঘুম ভেঙ্গে যায়
নীলচে চোখে সেই লোকটা সামনে দাঁড়ানো।
আমার মতন অনেক প্যাসেঞ্জার সামনে দাঁড়ানো
গান চলছে।
ট্রেন চলছে
কু ঝিক ঝিক জীবন চলছে
শুধু খাঁচার ভিতর অচিনপাখি কেমনে আসে যায়।

ঘুম থেকে উঠে বসলাম
সেই অন্ধ লোকটা হাত বাড়ালো খিদের।
আমিও হাত বাড়ালাম তার দিকে
সময়ের।
হিসেব নিকেশ জীবন
লক্ষীর ঝাঁপি উজার করে বিষন্নতা
শুধু খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।

ঘুম পাচ্ছে চোখের কোনে নেশা
আমি দেখতে পাচ্ছি সেই অন্ধ  লোকটাকে যাকে এই মাত্র খুন করা হলো।
সময়ের হাতে বুলেটে রক্তের ভিজে গন্ধ
তার গর্ভবতী স্ত্রী এই মাত্র প্রসব করলো সময়।
রক্ত মাখা শিশু হাত বাড়াচ্ছে জীবনের দিকে
আর সেই লোকটা গাইছে খাঁচার ভিতর অচিন পাখি। ....

শ্বাশত তোমাকে (১৬)

শ্বাশত তোমাকে (১৬)
.................... ঋষি
=====================================================
শ্বাশত বুকের ভিতরে আজকাল জ্বালা ভাব
নির্দিষ্ট কন্ঠি বদল সভ্যতায়।
আমারও মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় আমিও ভিজি সময়ের সাথে
সময়ের পায়ে পা মিলিয়ে আমিও হয়ে যায় নীলকন্ঠ।
সময়ের উঠে আসা বিষে আমি মেতে
হয়ে যায় তোমারি মত।

গলায় ঝোলান ধর্মের তাবিজ তবু শ্বাশত
তুমি বোঝো বাঁচা মানে নিজেকে কি করে আরো সেলফিস করতে হয়।
তোমার প্রিয় প্রেমিকারা যাদের তুমি সময় সুযোগ মতন জল দেও
ওরা কারা ?
তুমি বল বান্ধবী
আর আমি বুঝি সময়ের শরীর যাদের বেশ্যার মতন  তৃষ্ণা বাঁচা ।
তৃষ্ণার্ত জেসাস জানতেন বেশ্যাদের কাছে তৃষ্ণা কলস
তুমিও এই সময়ের জেসাস
অথচ তুমি তৃষ্ণা বোঝো না
বোঝো শুধু শরীর।

শ্বাশত বুকের ভিতরে আজকাল জ্বালা ভাব
বুকের গোপন কুঠরিতে যেখানে তুমি আগুনে পুরুষ ছিলে একদিন
আজকাল মনে হয় তুমিও হয়তো শুধু  শরীর ছিলে।
আমি যখন আজকাল ফেস আর বুক খুলি দেখি তোমার মতন অবিরাম শরীর
যাদের বীর্যরা ক্রমশ নিষিক্ত করতে চাইছে শরীরের রিপুকে
আমার মনে হয় এই সময়টা শুধু শরীরের ,হৃদয়ের না। 

Tuesday, January 26, 2016

কিছুক্ষণের যন্ত্রনায়

কিছুক্ষণের যন্ত্রনায়
.................... ঋষি
============================================
এই মাত্র কলিংবেলে শব্দ
বোবা মুঠোফোনে খোঁজা আমার তোকে।
বিকেলের শব্দরা তখন ঘুমিয়ে পরেছে অজ্ঞানে
তুইও হয়তো ঘুমিয়ে কোথাও।
জীবন দরিদ্র কোনো ভিখিরী তোর দরজায়
উত্তর শুধু আমার তোকে।

এই ভাবে মুহূর্তরা ঘড়ির শব্দের মতন টিক টিক আকাশে বাতাসে
এই ভাবে সময় ভিত হৃদয়ের মতন চিত্কারে।
সময় কানে কানে বলে যায়
আর কিছুক্ষণ
তারপর মুক্তি।
কি বলতো জীবন আমার তুই এখন জীবন চুক্তি।

নিভে যাচ্ছে আলো
ঠিক কনে দেখা বিকেল।
একেরপর এক শব্দ ভাঙছে বাঁধন ভাঙ্গা সময়ে
নিস্তব্ধ পৃথিবীর দরজায়।
চুপ একদম
আর কিছুক্ষণ তারপর মুক্তি।

এই মাত্র কলিংবেলে শব্দ
বোবা মুঠো ফোন খোঁজা আমার তোকে।
মুঠো ফোন চুপ তাকিয়ে আছে আয়নার মতন সময়ের আরশি
আমি সেই নগর যেখানে হাজার জনপদ।
আরশির মতন নির্বাক দর্শনে সময়
সে যে কবিতায় কিছুক্ষণের যন্ত্রনায়।


একলা মন

একলা মন
............... ঋষি
=============================================.
মেঘে ভেজানো ভাবনাদের
পেঁজা তুলোর মতন আকাশের গায়ে ছিটিয়ে দি।
নেমে আসে ,,,,,গ্রাভিটি শুধু নেশায় গোলকের
মিলে মিশে এক একাকার।
মাইল ব্যাপী ফানুসের  ভিড়ে
বিষাক্ত চিত্কার ,,,,,,,, একলা মন।

আমার শহর থেকে ভাবনারা তোর ঠোঁটে লোকানো তিল
আমার হৃদয় থেকে ভাবনারা তোর ঠোঁটের মিষ্টি হাসি।
আমার সময় থেকে ভাবনারা যন্ত্রণা কামনায়
আমি আরো একলা থাকতে চাই।
হাজার চিত্কারে শহরের মতন
আমার একলা বাঁচা বড় শহুরে বিজ্ঞাপন।
নিরন্তর কবিতায়
তোর ছবি এঁকে যাই।
তোকে পাওয়ায় ,তোকে না পাওয়ায়
হন্যে এই জীবন।

মেঘে ভেজা ভাবনাদের
আকাশের মাঝি নৌকায় বসিয়ে গভীরতা মাপতে যাই।
ডুবে যাই,,,, যুগান্তরের প্রতি স্তরে আঁশটে গন্ধ
তোর বুকের ভাঁজে আমার শহর।
আশ্রয় প্রশ্রয়ে বাড়তে থাকা ভাবনার সাথে
বিষাক্ত চিত্কার ,,,একলা মন। 

পুড়তে শিখে গেছি


পুড়তে শিখে গেছি
...................... ঋষি
==========================================

আমি পুড়তে শিখে গেছি
জানিস তো আমি আজকাল অনে বড় হয়ে গেছি।
জন্মের পরিচয় ছেড়ে পোশাকি মেজাজে
আমি উড়তে শিখে গেছি।
খোলা আকাশ আমার কথা শোন
আমি পুড়তে শিখে গেছি।

আমি সেই আদিম কোনো  সিন্ধু সভ্যতার পুরুষ
পাথর ভেঙ্গে পাথর গড়া অভ্যাস।
আমি সেই খিদের পেটে প্রথম আদিম মানুষ
মাংস পুড়িয়ে দাঁত লাগানো যার  স্বভাব।
চিত্কার করতে ইচ্ছে করছে
কোনো মৃত জানোয়ারের মতন আমার চোখে জল।
আরো কাঁদতে ইচ্ছে করছে
মাথার ভিতর জীবিতদের মৃত কোলাহল।
আর কত জীবন
একলা আমার জাস্ট পোড়াতে ইচ্ছে করছে।

আমি পুড়তে শিখে গেছি
জানিস তো জীবন থেকে ফুরিয়ে যাওয়া মানে হারানো নয়।
আমার আরো বাঁচতে ইচ্ছে করছে
আমি যে উড়তে শিখে গেছি।
ওই খোলা আকাশ জানে একলা পোড়ার মানে
আমার আরো পুড়তে ইচ্ছে করছে। 

আগুনে পরিচয়

আগুনে পরিচয়
.................. ঋষি
==================================================
কতক্ষণ আকাশের চাঁদ জানে
মরে যাওয়া আলো আর হারানো প্রেমের কথা।
বলিস না কি করে জানে
গত ৭২ ঘন্টা কোনো আগুনের স্পর্শ খোঁচা মারে হৃদয়।
শব্দ হয় তাই আতকে ওঠে
আগুনে পরিচয়।

এমন করে শিখে ওঠা বর্ণপরিচয়
আমার শেখা বর্ণরা জানে কোনো শব্দের মানে।
আমার শেখা হৃদয় লিপি  জানে চলন্তিকা তুই রুপোলি দরজায়
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আয় হৃদয়ে
তুই অন্ত স্বত্বা।
ভিজে যাওয়া মাঠে শিশিরের স্পন্দন
প্রেম হৃদয়ে বাস
এখন আগুন মাস।
স্পন্দন আমার কবিতার ছিঁড়তে চাওয়া আকাশ
জানিস তো মাঝে মাঝে আমার পাগল পাগল লাগে।
সোহাগী প্রেমের কথা
সোহাগী প্রেমের স্বর
আমার আজ কেন একা একা লাগে।

কতক্ষণ আকাশের চাঁদ জানে
কফিনবন্দী জীবন আর আটকানো পেরেকের মানে।
মনে মনে ডুবে যায়
গত হয়ে যাওয়া সময়ের ভিড়ে সময়ের সত্কারে।
আমাকে শুধু আকাশের চাঁদ জানে
আগুন আর আলোর পরিচয়।  

এই মেয়ে

এই মেয়ে
............. ঋষি
======================================================
এই মেয়ে শুনছিস
এমন করে কাঁদতে নেই রে জীবনের কাছে।
শোন এই বোবা হৃদয় জানে
হৃদয়ের শব্দ।
তোর পায়ের শব্দ
আমার প্রতি নিশ্বাসে এক দীর্ঘশ্বাস জীবিত আমি।

এই মেয়ে শুনছিস
তোর পাগলপাড়া চোখ ছিন্নভিন্ন করে জীবিত হৃদয়।
তোর আদুরে  প্রেমের স্বর একলা করে এই জীর্ণ দুপুর
একলা পথ চলা ছোটো মনে হয়।
কেন জানিস
তোকে মনে করছি তাই।
এই মেয়ে শুনছিস তোকে ভালোবাসি তাই
তোর বোবা অভিমান ,তোর না বলা কথাদের শুনতে ইচ্ছে করে।
আকাশ থেকে প্রেমের মতন দখিন হাওয়া আসুক
আমার ভাসতে ইচ্ছে করে।
কেন জানিস
আমি স্পর্শ করি তোকে
আর আমার ভালোবেসে মরে যেতে ইচ্ছে করে।


এই মেয়ে শুনছিস
তুই আছিস কোথাও আমি জানি আমার বুকের কাছে।
শোন এই বোবা হৃদয় জানে
তোর না ফোরানো কথা আর লুকোনো চোখের জল
নোনতা স্বাদ
আমার জানিস তোকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। 

মনে করবো না

মনে করবো না
............... ঋষি
===========================================
তোমাকে মনে করবো না বলে
সকাল থেকে নিজস্ব আঁকিবুকি ব্যস্ত জীবন।
তবু মুঠোফোনের প্রতি চিত্কারে
মন শুধু তোমাকে চায়।
আরো কাছে
যেখানে জীবনের সাথে নিয়মের দৈনন্দিনের মৃত্যু লিপি।

তোমাকে মনে করবো না বলে
সকাল থেকে ফুটপাথ ধরে একলা হাঁটা যাবতীয় ঈশ্বর।
দরজা খোলা দরজা বন্ধ ব্যস্ত জীবন
ঈশ্বর কানে কানে বলে যায় চুপিচুপি
তুমি আছ ,আমি আছি তাই।
তবু তোমাকে মনে করবো না বলে
বিকেলের চায়ের ভাঁড়ে ঠোঁট রেখে তোমাকে ভাবা।
তোমার হৃদয়ের গন্ধ আকাশ জোড়া তুবড়ির আলো
সময়ের অনর্গল বলা।
আর কিছুক্ষণ
তুমি তো আসবে।

তোমাকে মনে করবো না বলে
সকাল থেকে রাত জীবিত এই ধারাপাত ব্যস্ত জীবন।
তবু বারংবার মনে পরে যাও
ফেলে আসা হৃদয়ের পথ ,হৃদয়ের সাথে হাত।
প্রেম কি এমন হয় জীবন সর্বস্ব ঈশ্বর
তবু তোমাকে মনে করবো না বলে।  

তুমি আমাকে ভালোবাসবে বলে

তুমি আমাকে ভালোবাসবে বলে
................... ঋষি
==================================================
তুমি আমাকে ভালোবাসবে বলে
 এক পা ,দুপা করে আমি তোমার বুকের কাছে।
শাড়ির লুকোনো আঁচলের ফাঁকে যেখানে সভ্যতা চিত্কার করে
তোমার বুকের ওমে ,অসংখ্য আঁচড়ের ফাঁকে।
একটু একটু করে খুলে দিয়েছিলে  সারা আকাশ আমার কাছে
তুমি আমাকে ভালোবাসবে  বলে।


কিন্তু আমি সেই ঠাই দাঁড়িয়ে এক আকাশ মাথায়
নিজের মতন কুচি ,কুচি করেছি স্নেহ।
নিজের মতন উজার করেছি নিজেকে একটু বাঁচার আশায়
তুমি আমাকে ভালোবাসবে  বলে।
এই ব্যস্ততম শহরের বুকে এক আকাশ তৃষ্ণা মরিয়া হয়ে তাড়া করেছে
গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে সাবধান করেছে  , সময়।
আমি গ্রাহ্য করিনি এগিয়ে গেছি তোমার দিকে
সমস্ত দরজা বন্ধ করে তোমাকে খুঁড়েছি চারদেওয়ালে।
ছিটকে পরেছে সময় ,ছিটকে পরেছে একের পর এক  দূরত্ব
আজ আমি সেই  একলা দুরত্বের ফলকে বসে ,
তোমার অপেক্ষায়
তুমি আমাকে ভালোবাসবে  বলে।

তুমি আমাকে ভালোবাসবে বলে
তুমি উঠে দাঁড়িয়েছো তোমার অধিকারে আমার পৌরুষের বুকে।
তোমার আস্ফালনে আজকাল মনে হয় সময়
কোনো দুরত্বের  সাঁকো নিরদ্বিধায় প্রাপ্তি  আমার বুকে অসংখ্য মৃত্যু ছেঁকা।
একটু একটু করে আমার মৃত্যুর পরে ,আমি উঠবো বেঁচে আবার
তুমি আমাকে ভালোবাসবে  বলে।

মানুষের পতাকা

মানুষের পতাকা
................... ঋষি
=======================================================
সবটাই তুমি জানো তাই  আলাদা করে দেশ নিয়ে কিছু বলার নেই
বরং এসো বিশ্ব গড়ি চলন্তিকা।
এক আকাশ ছোপ ছোপ তাজা স্বাধীনতার  রক্ত ছেড়ে
সমস্ত বিভাজন ,চামড়ার বিভেদ ,ধর্ম ছেড়ে অমর হই আমরা এসো।
আমি  শুধু মানুষের তন্ত্র বুঝতে চাই প্রয়োজন  নেই সেখানে প্রজাতন্ত্রের কোনো
প্রজার নামে শাসক তন্ত্রের জঙ্গল ছেড়ে এসো এক জাতি গড়ি  চলন্তিকা।
.
মানুষ, মানুষ, মানুষ
জানি তুমি বলবে চলন্তিকা তুমি জীবনকে আদর করতে পারো না।
তাই তুমি দেখো হেরে যাওয়া মৃত শব ,মৃত জনপদ
হারিয়ে যাওয়া অধিকারের  বুকে লজ্জা নিয়ে
তুমি তাই নগ্ন।

আসলে কি চলন্তিকা আমি দেশ বুঝি না ,বিভাজন বুঝি না
বুঝি না জাতীয়তাবাদ মানে।
আমি শুধু বুঝি এক সবুজ বিশ্ব , একটা  সবুজ আলিঙ্গন
প্রেম ,শান্তি আর জীবন মিলেমিশে একটা গোলক  ,
লজ্জা নেই বলতে সত্যি আমি নগ্ন।
.
আমার বুকে রক্তপাত হয় যখনি আমি দেশময় কোলাহল শুনি
নির্ভয়ার লজ্জা আমাকে নগ্ন দাঁড় করে দেশ শব্দের কাছে।
কোনো সত্যি বলা কবির মৃত্যু চিত্কারে আমি মাথা হেঁট করি
মৃত্যু আমাকে আদর করে মায়ের মতন
যখন আমি দেশের খিদের কষাঘাতের শব্দ শুনি কাঁদতে থাকি।
.
সবটাই তুমি জানো চলন্তিকা এই দেশের মানে
তাই আলাদা করে অহংকার তোমার সাজে না ,সাজে না তোমার অভিনন্দন।
এসো মুক্ত কর সমস্ত অভিমান ,সমস্ত পাপ ,সমস্ত লজ্জা ,সমস্ত ভয়
এসো আলিঙ্গন করি মানুষ বলে একটা জাতিকে।
সমস্ত অধিকারে পরিবর্তে লেখা হোক সংবিধান এক নতুন বিশ্ব মানুষের
যেখানে চলন্তিকা আমাদের হাতে  থাকবে জীবনের পতাকা।

Sunday, January 24, 2016

যদি কোনোদিন

যদি কোনোদিন
................ ঋষি
==================================================

এটা সমাপ্তি নয় শুরু, পথ চলা
চলন্তিকা কখনই ভাবি নি তোকে ছাড়া পথ হাঁটবো।
কিন্তু যদি কোনোদিন  হয়
নির্দিষ্ট ধুলো বালি জীবিকায় যদি সময় হারায়।
তখন  আমার তোর আলাদা পথ
আর জীবন সে  যে বাঁচার কলোরব।

আজ থেকে বহু বছর পর
তোর সাদা চুলের ফাঁকে অসংখ্য আয়ুমাখা জীবন।
সুন্দর সেই ফোকলা  হাসি
চলন্তিকা আমি নেই তখন ,হয়তো বা মৃত।
কি করবি তুই
আরে এমন করে বলিস না আমায় ,দিস মুখে চাপা।
প্লিস কাঁদিস না সেদিন
একবার একবার সেদিন  আমাকে মনে মনে  আদর করিস।
রোজকার মতন জড়িয়ে ধরে হাত কানে কানে বলিস
শোন আজ তুই আমায় জড়িয়ে ধরিস না।


হতেই পারে এমন
আমি নেই তোর সাথে কোনো দিন ,কোনো মুহুর্তে।
তুই তখন মুচকে হাসিস
আমি তখন কোনো আকাশের গায়ে তোকে আঁকছি আঁচড়ে।
তুলির টানে চলন্তিকা
তুই তখন আমার হারানো প্রেমিকা। 

Saturday, January 23, 2016

সময়ের একাকিত্ব

সময়ের একাকিত্ব
.............. ঋষি
====================================================
কখন যেন জন্মগুলো বড় একা হয়
কখন যেন সময় কানে কানে প্রশ্ন করে তোমার পরিচয়।
আমি সেই পরিচয়হীন মানুষ যে বিগত জন্মে
হয়তো বেঁচে ছিল মানুষের মত।
আজও আছি  বেঁচে তবে শরীরে কোনো স্পন্দন নেই
মরা মানুষের মতন নেই শ্বাস ,নেই অনভূতি।

আমার জন্ম এমনই দেশে
যেখানে ধর্ম ,জীবন ,মানবিকতা  সময়কে স্তৈন্য করে রেখেছে।
যেখানে তীব্র শোষনের বিষে  ঠকঠক করে কাঁপছে একটা গোটা শতাব্দী
যেখানে মৃত্যু খুঁজে পাওয়াটা দৈনন্দিন যাতনা লাশের স্তুপ।
আর বাঁচতে চাওয়াটা সময় কাটানো মৃত্যু ভয়
ঢাল ,তলোয়ারহীন নপুংশক সময় যেখানে মিলনে ব্যস্ত
ধর্ষণের নামে।
যেখানে নারী অস্তিত্ব কোনো পর্নোগ্রাফির লালসা
যেখানে শৈশব অক্সিজেন ছাড়া এক কৃত্রিম প্রজনন।
যেখানে যৌবন বাড়তে থাকা রক্তচাপ কর্মহীনতা নামে
যেখানে বার্ধক্য লজ্জাজনক একটা ভয় সম্পর্কের নামে।
এমন এক সময় যেখানে সত্যি বলাটা অপরাধ
আর প্রতিবাদ সে মৃত্যুর নামান্তর।

কখন যেন মৃত্যুকে বড় প্রয়োজনীয় মনে হয়
কখন যেন জুবুথুবু করে চেপে বসে একলা সময়ের ভয়।
আমি অবাক হয়ে দেখি ,আমি অবাক হই  ভাবলে
সময় ,মানুষ আর জীবন কি এগুলো ?
বড় একা হয়ে যায় ,দারুন একা হয়ে যায়
বড় একা লাগে আমার।



মাতৃভূমি

মাতৃভূমি
.................. ঋষি
================================================
আকাশের চাঁদের গায়ে চামড়া ফাটা রাত
এটা একটা গ্রাম যেটা শহরের থেকে অনেক দুরে মাতৃভূমি নাম।
মাতৃ ভূমি কোনো স্টেশন আগলানো লোকাল না
এটা একটা মাটি যেখানে বৃষ্টি হয় নি শেষ দুবছর।
ফাটা মাটি
যেখানে ফাটা কপালের কিছু গরীব করে বৃষ্টির প্রতীক্ষা।

দিন আসে দিন যায়
বাড়তে থাকা গোলকের  দুষণে এই মাটি ধুসর হতে থাকে।
মানুষগুলো হতে থাকে শুকিয়ে যাওয়া চামড়ার
এই মাটির তাই মারাত্নক খিদে।
ঘাস পাতার ঝোল ,পুকুরের জল সর্বস্ব হজমে পেটখারাপ
তাই এই মাটি কিছুটা গু ,মুতে ভরা।
বৃষ্টি আসে নি ,বৃষ্টি আসবে এই আশায় মাঠের ফসলের দিকে তাকিয়ে
পাওয়া যায় লক্ষীর কঙ্কাল,
আর কিছু সময়ের আগে ফুরিয়ে যাওয়া শুকনো ডালপালা।
অন্ধকার ঘুটঘুটে নিশুতি রাতে
পুকুরের জলে খিদের গোল থালা।

আকাশের চাঁদের গায়ে ক্রমশ জড়িয়ে থাকা তারারা
সাক্ষী এই মাতৃভূমি নাম গ্রামটির যেটা কোনদিন আমার দেশ ছিল।
সুজলা সফলা সবুজ মানুষেরা এই দেশের জনপদ
আর লক্ষীর পায়ের ছাপ ছিল এই দেশের প্রতিটা ঘরে।
আজ মাতৃভূমি করছে প্রতীক্ষা সুদিনের এক তুলকালাম বৃষ্টির
ধুঁয়ে দিতে হবে সমস্ত পাপ এই বৃষ্টি নামক কোনো তৃষ্ণায়।  

Friday, January 22, 2016

পতাকাটা কেড়ে নেও


পতাকাটা কেড়ে নেও
.............ঋষি
==================================================
পতাকাটা কেড়ে নেও  হাত থেকে
এই স্বাধীনতার পতাকা ধরার অধিকার নেই।
১৯৪৭ যদি ফিরে আসতে চাই চলন্তিকা
জানিও সামলে ভাই  সময়।
সামনে যে দেশ তৈরী হচ্ছে ,যে বিভাজন সেটা শুধু মুক্তোর মালা ,
বাদরেরা বুঝবে না স্বাধীনতার মানে।


আজাদ হিন্দের গর্জন যখন কোনঠাসা করেছিল ব্রিটিশ রাজকে
সেদিনও চলন্তিকা সুভাষ বাবু একলা ছিলেন
তাকে বোঝে নি এই পতাকা।
যে দড়ি গলায় নিয়ে ক্ষুদিরাম ,ভগৎ সিং  হাসতে হাসতে লাল করেছে
এই উপমহাদেশের  মাটি
সেই দড়ির সম্মান  বোঝে নি এই স্বাধীনতা।
কিসের পতাকা ,কিসের স্বাধীনতা ?
বাজারে মূল্যতে একটা ছুটির দিন ছাড়া কি স্বাধীনতা ?
মদের ফোয়ারা ,মস্তি একটা কমপ্লিট এনজয়মেন্ট
তাই না চলন্তিকা।
তিরঙ্গা হাতে নিয়ে যে দেশের স্বপ্ন ছিল লেগে সময়ের
সে সময় দেশের না ,মানুষের ছিল
এই স্বাধীনতা মানুষের না ,মানুষ নামে কোনো মৃতজীবিদের।
কোথাও  এগোয়নি আমরা পতাকা হাতে
বরং পিছিয়ে একটা স্বার্থন্বেষী ,লোভি ,রক্তাক্ত দেশ তৈরী করেছি।

পতাকাটা কেড়ে নিও হাত থেকে
দেশ নামক আজব বোধকে দেও এক বোতল মদ।
মায়ের মতন দেশ যখন নগ্ন সময়ের ধর্ষণে
তখন মাইক লাগিয়ে ফুর্তি করো ,কর উদযাপন উল্লাস।
মায়ের নগ্ন শরীর ভোগ করুক সময়ের কামুক চোখ
শুধু প্লিস চলন্তিকা তিরঙ্গাটা হাত থেকে কেড়ে নেও সময়ের।  

পাগলী তোর সাথে


পাগলী তোর সাথে
............... ঋষি
===========================================
জীবনে কেউ  আসে কিছুটা দখিন হাওয়া
তুই তেমন স্পর্শ দিয়ে যাস।
প্রথম চুমু খাওয়ার মতন একটা অভিজ্ঞতা দিয়ে যাস
দিয়ে যাস না বলা যন্ত্রনাদের প্রশ্রয়।
আর আশ্রয়
পাগলী তুই বদলালি না এখনো।

পাগলী  তুই বদলাস না কখনো
শহর ছেঁড়া ভাবনারা আকাশের নীল ছিঁড়ে কফি শপের কাঁচে
বাইরে বয়ে চলা জনপদ। সিগারেটের ধোঁয়া।
ইচ্ছা সমুদ্রের বাসিন্দা আমি।
ঠাই দাঁড়িয়ে ভেবে যায় পাগলী ভালোবাসা করে কয়
বাঁধন ছাড়া তীরের মতন হৃদয়ে গেঁথে যায়।
কিংবা সেই আলো
কোনো সমুদ্রের ফসফরাসে জ্বলতে থাকা জোনাকিরা।
কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলে  জীবিত আছি
আমার শহর পাগলী  তোর সাথে।

জীবনে কেউ আসে কিছুটা নরম আদর
শুভ্র কোনো ইচ্ছাদের পবিত্রতায় আকাশ থেকে ঝরনা।
তুলকালাম হৃদয়ের কলমে আনন্দের স্পর্শ
সাদা পাতায় তুই পাগলী আমার শহর।
কিছুটা দূরে ওই আকাশের চাঁদে হাসতে থাকা মুগ্ধতা
পাগলী তুই বদলালি না এখনো।

অজানা বুকে

অজানা বুকে
............... ঋষি
======================================
কাছে এসেছিল না-চাইবার পাওয়া
স্বর্ণের খনিতে জ্বলজ্বল আগুন  ,পুড়ে ছাই।
পুড়ে যাই ,ছ্যাক বুকের ভাঁজে
ঠোঁটের পোড়া নিকোটিন মরা শহুরে জীবন।
নিজেকে বড় আজ অজানা লাগে
আজকাল কেন যেন মরতে যে চাই।

লিপস্টিক মোছা দাগের বাইরেটা ইশারা হলে
চলন্তিকা এই আগুনে প্রেম নেই।
প্রেম পুড়ে যাওয়া জমানো কোনো ফটোফ্রেমে
জ্বলতে থাকা ধিক ধিক শরীর।
সে যে চামড়া
আর ভিতরে আগুনে মঙ্গল কোনো প্রদীপের তেলে।
পুড়তে থাকা পলতে
মরে যাই তবু বলে যাই সোহাগী প্রেমে।
এই প্রেমে জীবন নেই
জীবন স্পর্শের আগুনে পুড়ে যাওয়া উপন্যাসের অধ্যায়।

দূরত্ব নেই তবু নৈ:শব্দ্য আগুন হয়ে জ্বলে
জ্বলন্ত আগুনে পুড়ে ,আগুনের নিভে ছাই।
বৃষ্টিরা আসে যখন
আমার প্রেম প্রেম পায়।
কাল বৃষ্টি হয়েছিল আজ যে শুকনো হৃদয়ের তৃষ্ণা
জমে যায় জ্বলন্ত নাভিতে অন্য কোথাই।

স্বপ্নদের নিয়ে

স্বপ্নদের নিয়ে
................. ঋষি
============================================
স্বপ্নরা কখনো মরে না
সে যে আলো ,বাতাস ,জীবন।
যাকে কেউ থামাতে পারেনা কোনো সময়ের আঘাত
যাকে পোড়ানো যায়না বাস্তব সময়ের চিতায়।
আলো কিংবা জীবন অথবা বাতাসের মত
তাকে কখনো পোঁতা যায় না কবরে।

স্বপ্নরা কখনো মরে না
সে যে সক্রেটিস।
সে যে ভিঞ্চির চোখে দেখা নারী
সে যে ভাস্কোদাগামার পৃথিবী।
সে যে  মুঘল সম্রাটের চোখে নেশা
সে যে হিটলারের চোখে স্বদেশ।
সে যে ক্ষুদিরামের  স্বাধীনতা
সে যে জগদীশ বাবুর গাছেদের প্রাণ।
সে যে তসলিমার চোখে পুরুষ
সে যে এডিসন সাহেবের আলো।
সে যে ভীমসেনের গম্ভীর গলা
সে যে আমজাদ আলীর সেতার।
সে যে নাসিরুদ্দিনের গল্প
সে যে সত্যজিতের পথের পাঁচালি।
সে যে জীবনানন্দের বনলতা
সে যে শক্তি বাবুর কবিতা।
সে যে সাধারণ মানুষের বাঁচা আগামী
সে যে ট্রাম ,বাস ,অবাক শহর ,অবাক জনপদ।
আর কত বলবো স্বপ্নরা সব জীবিত
এক একটা নিজেদের অধিকার।

স্বপ্নরা কখনো মরে না
মানুষের হৃদয়ের ফাঁকে চলতে থাকা ধুকপুক সেটা  স্বপ্ন।
মানুষের সময়ে দেখা সুদিনের আশা সেটা স্বপ্ন
মানুষের বদহজমের হজমি গলি সেটা স্বপ্ন।
মানুষের বেঁচে থাকার ইচ্ছা সেটা স্বপ্ন
স্বপ্নদের ইতিহাসে স্বপ্ন নিজে একটা স্বপ্ন। 

সুইচ অন স্বপ্ন

সুইচ অন স্বপ্ন
.................... ঋষি
=================================================
একটা অন্ধকারে হাতড়ে ফিরছি তৃষ্ণা
যুগের পর যুগ বদল।
কিন্তু বদলালো কই নিজের আত্মায় লুকোনো এক গ্লাস জল
আজও যেন ঢাকা কোনো অনিচ্ছার আচ্ছাদনে।
আর তৃষ্ণা
জান যায় ,প্রাণ যায় ,তবু জীবন সে যে বেঁচে।

অন্ধকারের কোনো রূপ নেই কোনো রঙ নেই,
আমি অবয়বগুলোকে দৃষ্টির তীব্রতা সনাক্ত করতে পারছি।
বিকলাঙ্গ শরীর ,নপুংশক সময় ,স্বার্থপর মানুষ আর শোকাতুর হৃদয়
শোক কেন ,কিসের শোক ?
চোখের সামনে দেখা অনুভবে সেই ধর্ষিত নারীর আত্মা
ফিরে আসতে চায় সময়ের হাত ধরে সাধারণ মাঝে।
অনুভবে আঁকা সেই মায়ের ছবি যে আজ কোনো বৃদ্ধাশ্রমে
ফিরে আসতে চাই স্বজনদের মাঝে।
ঘেমে যাওয়া ক্লান্ত সময়ের পথে হেঁটে খুঁজে পাওয়া সেই শিশুটা
যে রেস্টুরেন্টের বাসন ছেড়ে পড়াশুনা করতে চায়।
আমার দমবন্ধ লাগছে ,আমি হাতড়াচ্ছি অন্ধকার কোথাই বেদসুইচ
সুইচ অন করলাম চোখটা ঝলসে গেলো আলোর রাজ্যে।

এমনি আলো খুঁজছি আমি যুগের পর যুগ
সময়ের আবর্তনে মানুষের ইচ্ছাদের আচ্ছাদনে আলোর রেনু।
টুকরো টুকরো পরিবর্তনের সাথে মিলে মিশে
প্রত্যেকের হৃদয় এক সংঘবদ্ধ পরিকল্পনা মানুষ হওয়ার।
সুইচ অন স্বপ্নদের সাথে আমি ভাসছি ইচ্ছার ফানুসে
এক ফুসফুস বাঁচার জন্য তৃষ্ণা । 

লুকোনো মানুষটা

লুকোনো মানুষটা
....................... ঋষি
=================================================
অসংখ্য পাথর ভেঙ্গে একটা রক্তাক্ত সময়
এগিয়ে চলেছে সুখী জীবনের দিকে।
আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল জীবন তত্পর বেঁচে থাকার ভয়
ঠিক এমন তো চাই নি আমি।
ঠিক এমন করে আমি দেখতে চাই নি ধ্বংস
নিজের ভিতর লুকোনো মানুষটাকে।

আমি ভারতীয় সময়ের কোনো সাধারণ চাদরের নাগরিকত্বে
ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখি।
ঘুমিয়ে পরেছে সময় ,যেমন ঘুমোচ্ছে মানুষ এই সময়
আমার এলার্ম ক্লকে নিয়ন বলে দেয় রাত বারোটা।
বারোটা বেজে গেছে এই দেশের !!!

ঠিক এমন চাই নি আমি
দেখতে চেয়েছি নির্বিঘ্নে খুঁটে খাওয়া মানুষ হেঁটে যাওয়া  হাত ধরে।
দেখতে চেয়েছি মানুষের মুখে হাসি আর এক ছায়া ইশ্বরের
শান্তি বোধহয়।
সময়ের সকালে আমি ঘুম ভেঙ্গে দেখতে চাই চলন্তিকার মুখ
সময়ের ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে উপস্থিত এক রৌদ্র ঝলমলে দিন।
ঠিক এমন রক্ত ভেজা ঠোঁট আমি চাই নি চলন্তিকা
এই দেশের উপলব্ধিতে ধ্বংসের উপসংহার।

আমি স্বপ্ন  চেয়েছিলাম মরুপ্রান্তরের বুকে এক তেজী ঘোড়া ছুটছে
সময়ের জিনে পাল্লা দিয়ে মানুষ শান্তির দরজায় দাঁড়িয়ে।
হাসছে খুব একসাথে সবাই বাঁচছে অন্যের জন্য
এক পৃথিবী কলরব তখন আছে বেঁচে।
কিন্তু সেটা কান্নার না
মানুষের হাসির ,মানুষের উপস্থিতির ,মানুষের উপলব্ধির ।  

ক্ষণিকা তোমাকে

ক্ষণিকা তোমাকে
.................. ঋষি
=============================================
স্বল্প কল্পনায় ডায়রির পাতায় তুমি তুমি
নির্জন দুপুর কিংবা মেঘে ঢাকা তারা
তখন শুধু তুমি তুমি।
ক্ষণিকা
জীবন তুমি তুমি না
এ হলো কোনো উপন্যাসের নায়িকা তুমি।

তোমাকে মিস করছি
শুনলেই চটকাতে থাকি নিজের ভিতরের আত্মার দিনলিপি।
মিস কি ক্ষণিকা
সেই ডায়রির পাতায় অবেলায় ফিরে আসা স্মৃতি।
সম্মিলিত সময়ের ফাঁকে খুঁজতে চাওয়া মুহূর্ত
আমি না।
হতেই পারি না আমি
সে যদি আমি হতাম তবে তুমি না কখনো
জুড়ে থাকতাম সময় আর সময়ের সাথে।

স্বল্প কল্পক আল্পনায় ছবি আঁকা যায় প্রেমের
কিন্তু সে প্রেম নয়।
প্রেম হলো ভিঞ্চি মশাইয়ের হাতে আঁকা ছবি মোনালিসা
যত কাছে যাবে অবাক হবে ,হবে মুগ্ধ।
জীবনের ফেলে স্মৃতিরা ,ডায়রির পাতা প্রেম নয়
সে হলো প্রেমের মৃতদেহ কিংবা মুছতে থাকা মুখ।  

Thursday, January 21, 2016

রামকিঙ্করের সৃষ্টি

রামকিঙ্করের সৃষ্টি
................. ঋষি
========================================
তোমাকে দেখতে অনেকটা রাম কিঙ্করের মতন
এমনি বলেছিল চলন্তিকা প্রথমবার।
কিন্তু রাম কিঙ্কর সে যে মানুষ  ভেকে ঈশ্বর
অথচ আমি সে যে নেহাত মানুষ।
পাগল হয়েছে মেয়েটা
ইশ্বর আর মানুষের তফাত বোঝে না।

রাম কিঙ্কর বেজ বিখ্যাত কোনো স্থপতি
সমরেশ মজুমদারের দেখি নাই ফিরে আমার হাতে।
কি অদ্ভূত স্রষ্টা
কি অদ্ভূত সৃষ্টি।
কি বলে চলন্তিকা আমি রাম কিঙ্কর
ভীষণ হাসি পাচ্ছে আমার চলন্তিকা এই মুহুর্তে,
 তুই এখনো বাচ্চা রয়ে গেলি।
আমি কবিতা লিখতে পারি
কিন্তু জীবন গড়তে পারি না।
অথচ ওই ভদ্রলোক কি অনায়াসে পাথর ভেঙ্গে গড়ে গেছেন
আদিম সৃষ্টি।
পাথুরে জীবন বলা যায় ,কত জীবন্ত
আর আমি মানুষ গড়তে পারলাম কই।

তোমাকে দেখতে অনেকটা রাম কিঙ্করের মতন
এমনি বলেছিল চলন্তিকা প্রথমবার।
চলন্তিকা তুই কখনো গেছিস শান্তিনিকেতনে
সেখানে দেখিস এক জীবিত বুদ্ধ বসে আছেন।
রাম কিঙ্করের সৃষ্টি
কি অদ্ভূত তার শান্তি যেমন জীবিতরা চায় আরকি। 

মানুষের মন্দির

মানুষের মন্দির
................... ঋষি
=============================================
নিহত কোনো মূক জন্তুর মতন
জটলা ধরা জংলী কোনো মন্দিরের পুজারী আমি।
সময় যেখানে মন্দির
আমি সেই মদিরে প্রতিষ্ঠা করি মানুষকে।
আর আমি পড়তে থাকি জীবনে মন্ত্র
আমার হাতে জীবিত মাথার খুলি আর জমানো শব্দের হাড়।

হাড় ভাঙ্গে ,সেই যন্ত্রনাকে সঙ্গী করে
আমি পাহাড় ভাঙ্গতে থাকি।
আমার মুখে সময়ের মন্ত্র আরো আলো ,আরো আলো
আমার মুখে খিদের মন্ত্র ,আরো জ্ঞান ,আরো জীবন।
আমার হাতে সময়ের ফুল
তথাস্তু বলি আমি।
মানুষ তুমি চিরজীবী হও ঘুম ভাঙ্গা ঈশ্বরের মতন
তোমার হাতে বাজতে থাকুক সময়ের ডমরু।
সময়ের মন্থনের উঠে আসা বিষের নর্দমায়
তুমি জেগে ওঠো মানুষ জ্ঞানে
সময়কে দেও উপহার আলোর ঝরনা।

নিহত কোনো মূক জন্তুর মতন
আমার মুখের কষে লেগে আছে মানুষের রক্ত।
সেই সব মানুষ যারা ক্ষুদার্থ ,যারা ভীত ,যারা ত্রস্ত
আমি তাদের  মন্দির থেকে  আনি তুলে নারায়ণ শিলা।
তার বদলে আমি মন্দিরে বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করি মানুষকে
আরো জীবন ,আরো স্পন্দিত হওয়ার জন্য।

সমুদ্রের শব্দে

সমুদ্রের শব্দে
.................... ঋষি
================================================
সবটুকু জীবনের উপর আছড়ে পড়লো নোনা ঢেউ
বৃষ্টি হবে নাকি।
বহুদিন বৃষ্টি হয় নি শহুরে জীবনের ফুরসতে
বহুদিন শুনতে পাই নি সমুদ্রের গম্ভীর স্বর।
আসলে বকে নি বহুদিন আমাকে কেউ
একটু বিষন্নতার প্রয়োজন।

একটু বিষন্নতা দেবে চলন্তিকা
ভালো লাগছে না জীবনে মাইলেজে ফোরাতে থাকা প্রেমে।
ভালো লাগছে না অনবরত গাধার মতন একলা দাঁড়িয়ে ভিজতে
আমার হাত ধর প্লিস।
চল একবার সমুদ্রতটে যাই
চল না একবার পাশাপাশি বসি সমুদ্রের বালিতে নুনের পাতে।
চল না একবার খেয়ে আসি সমদ্রের মাছ
একি ঠোঁটে ,একই রাতে।
দূর দূর সমুদ্রের ঢেউএ জোনাকির ভিড়
ফসফরাস সব মাছ বস্তির জীবন।

সবটুকু জীবনের উপর আছড়ে পড়লো নোনা ঢেউ
বৃষ্টি হবে নাকি।
বহুদিন বৃষ্টি নেই এই শহরে
শুধু শহর জোড়া বড় বড় হোডিঙ্গে সভ্যতার বিষন্নতা।
আমারও বিষন্নতা চাই চলন্তিকা তোর সাথে
একলা থাকার ,সমুদ্রের শব্দে। 

গভীর ভাবনায়

গভীর ভাবনায়
................ ঋষি
========================================
যতটা বৃষ্টির সাথে তোমার দেখা হবার কথা ছিল
চলন্তিকা কোথাই পাবে তারে অসময়ে।
শীতের বৃষ্টি শরীর খারাপ হবে
তাই বলি ভিজো না শোনা নিশাচর হও.
হলুদ চোখে খুঁজে নিও
এক খিদের পৃথিবী।

এমন করেই আবর্তিত হয় ভাবনারা
দেওয়াল গড়া মেকি ইতিহাসের সাথে সন্ধি জীবন।
এমন করেই তো তৈরী হয় বড় বড় স্কাইস্ক্র্যাপার
এক একটা স্কোয়ার ফিটে জীবন।
বিছানা বালিশ সম্বল ভাবনার জীবন
নুন আনতে পান্তা।
তার সাথে একটু কাঁচালংকা আর সর্ষের তেল
জীবন হাউস ফুল।
যাকে বলে জমে একবারে ক্ষীর ভাবনা ছাড়া
জীবনের আচার।

চলন্তিকার তোমার ভাবনারা বলে আমি নাকি মহাকাশচারী
অথচ ঘুমের মধ্যে আমি দেখতে পাই সবুজ শহর।
কিন্তু শহর ভাঙছে রিখটার স্কেলের আজব গন্ডী
সেই গন্ডী ভেঙ্গে চৌকাঠ পেড়োনোর  ইতিহাস।
পৃথিবী পুড়ছে  রাবনের ক্রোধে
আর তুমি  গভীর ভাবনায়। 

সারাক্ষণ তোকে

সারাক্ষণ তোকে
........................ ঋষি
============================================
সারাক্ষণ নিজেকে যন্ত্রণা দিয়েছিস তাই
ভেবেছিস কেটে যাবে।
যেমন কাটে দিন ,মাস ,বছর ,ক্যালেন্ডারের পাতারা
ঠিক তেমন করে তোকে কাটতে দেব না।
হয় কাটা ঘুড়ি  করে দেব
নয় পাখি।

তোকে পাখি বলে ডাকবো ভেবেছি
খাঁচার পাখি।
এক আকাশ মেঘ কল্পনায় যখন তোর খাঁচায় বিষন্নতা
তখন আমি তোর নোনতা জল চোখের পাতায়।
এক চিলতে আকাশ ধরার নেশায়
তুই যখন পাগলপাড়া।
তখন আমি তোর  ভাবনার ফল
এক প্রেমিক।
এক জীবন কল্পনায় চলন্তিকার তোর সাথে অন্য দেশ
ভালোবাসি কথাটা আজকাল লাগে বেশ
নেশার মত।

সারাক্ষণ নিজেকে যন্ত্রণা দিয়েছিস তাই
ভেবেছিস বর্ম পরে জীবন ঢাল তলোয়ার হীন তালপাতার সিপাই।
সিপাই যুদ্ধে নামে হারে বারংবার
আবার ফিরে আসে সকালে আবার হারবে বলে।
না ঠিক এমন না
আমি এমন করে তোকে আর হারতে দেব না।

এমন একটা দেশ

এমন একটা দেশ
..................... ঋষি
=================================================
আমরা এমন একটা দেশের আশা করি
যেখানে আনন্দ ম্যাগাজিনের পাতায় ভরে উঠবে
সুন্দরী সব নায়িকাদের পাছা।
আর একটা সেক্স বর্ধক সিনেমার  সম্প্রচারে
কোনো শহরের আইডল লুঙ্গি তুলে দিয়ে করবে লুঙ্গি ড্যান্স
সাথে থাকবে আপাত মস্তক লাস্যময়ী রাত।

আমরা এমন দেশের আশা করি
যেখানে সারা দিন রাত্রি চলবে মদের ফোয়ারা ,হুল্লোর আর সঙ্গম।
কুকুরের মতন রাস্তায় দাঁড়িয়ে জুড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা
হবে যেখানে বন্ধুমহলে প্রিয়।
যে দেশের জন প্রতিনিধি মন্ত্রীসভায় বসে দেখবে পর্ণগ্রাফি
আর সৈনিকেরা ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে করবে ধর্ষণ।
ধর্ষণ ধুস এটা কোনো শব্দ নাকি
সকাল সন্ধ্যে টিভি খুললে যে দেশে লাগানো হবে  জাপানি তেল।
সেই দেশের বিখ্যাত ঢপবাজিতে মানবধিকার
সেন্সরের কাঁচি হাতে বেআব্রু করে চলবে মানুষের অধিকার।

আমরা এমন একটা দেশের আশা করি
যেখানে শৈশবের মুঠোফোনের 2G, 3G ধাপে ধাপে গতিতে নীল দুনিয়ায় পা।
এমন এক দেশ যেখানে বয় ফ্রেন্ড ,গার্লফ্রেন্ড থাকা ধর্মের মতন জরুরী
যেখানে  মাতৃভাষাই কথোপকথন ওল্ডফ্যাসানেট।
আসমুদ্র হিমাচল যে দেশে বাড়তে থাকা দূষণের মতন নগ্নতা ২৪ ঘন্টা
অথচ ইস্কুলে শেখানো হয় আপনি মানুষ হবেন ধর্ষক না।

ভুলি নি আমি

ভুলি নি আমি
............... ঋষি
====================================================
ভুলি নি আমি
সেই দরবারী ভুরিভোজের পরে পাশের দরজার আওয়াজটা।
পুলিশ এলো
চারিদিকে ছটফটে বদলানো মানুষ।
আমি দাঁড়িয়ে
ঘরের ভিতর ঝুলতে থাকা দিদির পা।

হ্যা গো, সেই পা আমি দেখি স্বপ্ন
লাল আলতায় রাঙানো লক্ষী পুজোর মতন।
লক্ষী পুজো ছিল সেদিন
বাড়িময় কত লোক তার মাঝে আমার দিদি.......
আমি কাঁদি নি সেদিন।
আজও  কাঁদতে পারি না
শুধু রাগ হয়ে গেছে ভালবাসার নামে কোনো স্বপ্নের নামে।
স্বপ্ন দেখতো দিদি ,ভালোবাসতো  কাউকে
কিন্তু আজ বড় হয়ে বুঝি ভালোবাসা হলো একটা আশা
যাতে আশায় বাঁচা যায়।

ভুলি নি আমি
প্রতি লক্ষী পুজোর আকাশের চাঁদে আমি দেখি দিদির মুখ।
সময় আসে
চলে যায় ঠিক হারিয়ে যাওয়া মানুষের মতন।
কিন্তু বিশ্বাস কর আমি আর ভালোবাসতে পারবো না
ওই শব্দটা আমার কাছে দিদির সেই ঝুলতে থাকা পা।  

আমার মা

আমার মা
............. ঋষি
================================================
মাকে দেখি নি আজ বহুদিন হলো
আমি স্বপ্ন দেখি এক দেশের যার সারা শরীরে জ্বলবে আলো।
মা আজকাল দেখতে পান না ভালো
চোখে হরলিক্সের বাইরে মা বই পড়তে ভালোবাসেন।
কিন্তু মাকে ভাবার সময় নেই কারো
ঘরের খিদের পাহাড়ে মা এখন বিশ্বের দরজায় দাঁড়ানো ।

মাকে আমি দেখি নি বহুদিন
স্বপ্নে দেখেছি হাতে বন্দুক নিয়ে আমি রবি ঠাকুরের শিশু।
তারা এসেছিল বহুজন
আমি বন্দুকের ট্রিগার টেনে আওয়াজ করেছিলাম।
সেই শৈশবের বন্দুকে বাঁচাতে পারি নি মাকে
তুলে নিয়ে গেল
মাকে আমি দেখি নি আজ বহুদিন হলো।

মাকে আমি দেখি নি বহুদিন
শুধু ঘুমের মধ্যে আজও খুঁজতে থাকি মায়ের বুকের গন্ধ।
ঘুম ভেঙ্গে দেখি সময় দাঁড়িয়ে হাতে হ্যারিকেন
কিন্তু হ্যারিকেনে কতটুকু আলো।
দরজা খুলে মা ঘরে ঢুকলো সময় কাঁদছে মায়ের মতন
বাপ ঘরে ফেরে নি দুসপ্তাহ হলো
মা এবার কি ভাবে দাঁড়াবে সময়ের কাছে।

মাকে আমি দেখিনি বহুদিন হলো
আমার মা আজ সময়ের মন্দিরে দাঁড়িয়ে ভিখিরিনীর হাত।
শহর মতন বাড়ছে সময়ের মতন বাঁচার অজুহাতে
আর আমি সেই ভিখিরিনীর কোলে না জন্মানো সন্তান।
তবু আমার দুঃখ আমি দেখতে পাই সময়
কিন্তু মা ,সে যে সময়ের অন্তরে আমার খিদের পৃথিবী। 

কবি আপনি কেমন আছেন

কবি আপনি কেমন আছেন
.................... ঋষি
=============================================
কবির রোগের পাশে বিষন্নতা শুয়ে
কবি আপনি কেমন আছেন?
তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন ,আপনার সাথে শুয়ে আছে সময়
কবি আপনার কলম ধরার ক্ষমতা নেই।
কি ভাবে ধরবেন মা নুষ এই মানচিত্রে
কে ভাবে বাঁচাবেন দেশ।

আপনি না থাকলে কে বলবে কবি
শুয়োরের বাচ্চা এ হলো  এক আবিস্কার গোলকের গল্প,
যে গোলকে প্রতিবাদ কোনো মৃত সময়ের কফিন বন্দী।
কবি আপনি না থাকলে কে খুলবে
সময়ের মুখোসের নগ্ন সব অমানবিক দরজা।
কে নিয়ে আসবে  ভোরের আলো ?
কবি তাড়াতাড়ি  সুস্থ হয়ে উঠুন।
সময় আপনার শিয়রে অপেক্ষায়
পৃথিবীর মানচিত্রে আপনার খিদে এক জন্ম আগুনের।
সেই আগুনের প্রেমে ,প্রেমের আগুনে
মানুষ আপনার প্রতিক্ষায়।

কবির রোগের পাশে বিষন্নতা শুয়ে
কবি আপনি কি ভাবছেন ,অনেক বয়স হলো ,এবারতো ......
একদম না ,বারণ করে দিচ্ছি
কবিদের কখনো চলে যেতে নেই সময়ের থেকে।
কবি আপনি সুস্থ হবেনি আমি জানি
যখনি সময়ের দুর্যোগে ঈশ্বরের প্রয়োজন হবে। 

Wednesday, January 20, 2016

শুধু কবিতায়

শুধু কবিতায়
............... ঋষি
==============================================
কবিতা লিখে কি হয় ?
টাকা পয়সা ,বাড়ি ,গাড়ি ,আরো অনেক নেশা।
না ,শুধু নেশা কবিতাকে ভালোবাসা।
কেউ যখন কোত্থাও নেই
তখন আর কেউ না থাক কবিতা আছে
কোনো প্রাচীন প্রেমিকা।

কবিতা তোকে ভাবলে
অনবরত অন্তর্লীন রক্তক্ষরণ ছাড়া আর কিছু মনে আসে না।
কবিতা আমি কবিদের ভাবলে
 নির্জন উপত্যকায় পড়ে থাকা চূড়ান্ত এক মৃত শব দেখতে পাই।
অসাংসারিক এক এসকেপিস্ট যে বিষন্ন
বিরক্তির সিগারেটে সুখটান দিয়ে বাঁচতে চাওয়া নিকোটিন,
এক অদ্ভুত প্রাণী যার সঙ্গে নিগোসিয়েট করতে যাওয়াই বোকামি।
তবু তো আমি কবিতা লিখি
কবিতার প্রেমে পরি বারংবার যখনি একলা মন।
কবিতা  আমায় স্পর্শের নারীর মতন  করে আলিঙ্গন
আর  আমি  বর্ণ আর কবিতার লোভ।

কবিতা লিখে কি হয় ?
এই পোড়া দেশে কবিতা মানে বিগড়নো লোকেদের পাগলামি।
কবিতা হলো প্রফিট আর লসের খাতার পাশে পরে থাকা ডাস্টবিন
কবিতায় কি আর প্রতিবাদ হয়।?
আমার হৃদয় বলে হয়। কলমের বারুদের বিস্ফোরণে
কোনো যুগ বদলায় অন্ধকার থেকে আলোতে। 

হিসেবের সাথে

হিসেবের সাথে
..................... ঋষি
===============================================
নিয়মের অনিয়মিত মালভূমি
হিসেবের দেরাজ খুলে বন্ধ বুকের কেবিনে।
সোনালী আকাশ
আকাশ কি কখনো সোনালী হয় প্রশ্ন করেছি বহুবার।
হিসেব পাই নি ,শুধু ইচ্ছা পেয়েছি
সত্যি যদি আকাশ স্বপ্নের মতন সোনালী হয়।

একটা শৈশব একটা
 একটা  বেহিসাবী  যৌবন থেকে পড়ন্ত বিকেলের
হাত ধরে হাঁটুতে ব্যাথা।
কার হাত চলন্তিকা সময়ের ,স্বজনের না তোর
কোন সময় চলন্তিকা।
নিয়মিত আঁকিবুঁকি হিসেবের লেনদেনে বিছানা বালিশ সম্বল জীবন
হাসি পাচ্ছে  চলন্তিকা।
এইটাকে কি জীবন বলে সোনালী পালকের দিন
উদ্বৃত্ত যদি থাকে সেটা সংশয় ,ভগ্নাংশ পাটিগণিত ভাষায়।
আজকাল খুব হেসেবি হয়েছে সময়
ভালোবাসতে ভুলে গেছে।

নিয়মের অনিয়মিত মালভূমি
হিসেব নিকেশ ছেড়ে দরজা বন্ধ করে বসি।
হিসেবের যোগফল আর বিয়োগ সেরে সারাংশে জীবন
বাঁচতে চাই সবাই।
হিসেব মাফিক কোনো সোনালী আকাশের স্বপ্নে
চলন্তিকা তুই হয়তো  আকাশ সেখানে। 

তবু মনে রাখিস

তবু মনে রাখিস .............. ঋষি ================================================ তবু যদি আসতে চাস চলে আসিস । এই অঙ্গীকার জীবন বুকের বোতাম খোলা আগুনে তোর ঠোঁটের স্পর্শ। এক মেঘ সময়কে আমি তো টাটা বলেছি কবে শুধু সময়ের বৃষ্টিরা এখন আমাকে ভেজাচ্ছে। অদ্ভূত একটা স্বভাব আমার যা ফেলে এসেছি তাকে মনে করতে চাই নি কখনো। এমনকি আমার জন্মকে রেখেছি গাঁট ছাড়া হিসেবের বাইরে আমার জন্ম আকাশে, আমার জন্ম সময়ের নিপুন ফোঁড়ে সুঁচ আর সেলাইয়ের সুতোতে। আঘাত ছাড়া মানুষ হয় না জানিস যেমন হয় না জীবন স্পর্শের কোনো হিসেব ছাড়া। অথচ জীবন আমি সর্বদা বেহিসাবী আমার বোতাম খোলা ভাবনারা সময়ের হাওয়া আমাকে ভাসায় যেমন বাঁচায় আমাকে তোর কবিতা তবু যদি আসতে চাস চলে আসিস । এই স্বপ্ন সফরে নাই বা হলো কোনো সর্বজান্তা পথ নাই হলাম আমরা পরিচিত পথিক। তবু হাত রেখো হাতে অসীম দীর্ঘশ্বাসে তবু মনে রাখিস ।

সভ্যতার নামে

সভ্যতার নামে
.............. ঋষি
==========================================
ছাদের কার্নিসে দাঁড়িয়ে এক বেয়াড়া আদিখ্যেতা
নেমে আসতে ইচ্ছে করে নিচে ,
খুব নিচে।
ভাসতে ভাসতে কোনো ঘুড়ির মতন
কোনো অজানা দেশে ,অজানা সফরে
কোনো এক ইচ্ছার সাথে ।

এ আবার কি ইচ্ছা
জীবন যদি ফুরিয়ে যাওয়া কবরের ইতিহাস হয়।
আমি সেই ইতিহাসে সদ্য জন্ম গোলাপ
আমার লাল রং ,লাল সুরভী ,লাল চোখে দেখা পৃথিবী
আজব আদপ কায়দা।
নিয়ম আর নিয়ম ,বাকি টুকু সত্যি অনিয়ম
যেমন অনিয়ম এখন সত্যি বলা।
এমন হাজার অনিয়মের মতন প্রেম আমার কাছে
একবুক নগ্নতা ছাড়া কিছু নয়।
সত্যি প্রেমে আমি  এপাড় ওপাড় দেখতে পাই
মাঝখানে কোনো পাড় নেই বিশ্বাস ছাড়া।

ছাদের কার্নিসে দাঁড়িয়ে এক বেয়াড়া আদিখ্যেতা
ইচ্ছে করে নেমে যায় নিচে।
কিন্তু সত্যি নামা হয় না ভাসতে কাটা ঘুড়ির মতন
নিয়মে আটকে যায় ,অনিয়মের সভ্যতায়।
লটকে থাকি কোনো বৈদ্যুতিক তারে
সভ্যতার নামে। 

সত্যি না বলা

সত্যি না বলা
............. ঋষি
===========================================
ভাষা বীজ অন্তরতায় এক বুক আগুন
অনেক কিছু বলে উঠতে পারি নি তোকে চলন্তিকা।
আমি দেশের কথা বলি
না সত্যি বলি নি।
আমাদের সম্পর্কের কথা কিছুতেই না
আমি সত্যি বলতে পারি নি।

যেখান থেকে সকালের প্রথম আজানের সূর্যোদয় হয়
ঠিক তখুনি একটা ভালো লাগা ছুঁয়ে যায়।
কি বলবো একে ,
কি ধর্ম আমার তখন
কেন ভালো লাগে।
শেষ অবধি চলন্তিকা তোর  ঠোঁটে ঠোঁট রাখি
বলি তুই আমার দেশ
তুই হাসিস বলিস আমাকে যে তুই মা করে দিলি।
আমি চলন্তিকা এই দেশ ,এই মাটি ,এই মানুষ ,এই জীবন
সবই আমার
যেমন তুই।

ভাষা বীজ অন্তরতায় এক বুক আগুন
কখন কোথাও  চামড়ার বিভাজনে মানুষ যোনিজ  হয়ে যায়।
কিংবা হয়ে যায় দেশের মতন অন্তরায়
তখনি তো প্রয়োজন ভিসা ,পরিচয় পত্র।
চলন্তিকা তুই বল আমি মানুষ
এটা কি আমার পরিচয় নয়।

Tuesday, January 19, 2016

আকাশলীনা (২)

আকাশলীনা (২)
.................. ঋষি
=================================================
এলোমেলো কথা সাজিয়ে আকাশলীনা
তুই মেঘে ঢাকা
বৃষ্টি  হচ্ছে আজ আমি জানি ,এও  জানি কোনো বিষন্নতা
দম চাপা শব্দদের ভিড়ে
নিজেকে লুকিয়ে রাখা সে যে সামাজিক
কিন্তু সময় আমার মতন অসামাজিক হৃদয়

সকালের চায়ের  কাপে ঠোঁট রেখে
তৃষ্ণা না মেটা  সময়ের গায়ে অজস্র চাপানউতর  আকাশলীনা।
আমি ঠিক বুঝতে পারি
সময় সেও কোনো মেঘে ঢাকা আকাশের মতন তোর  বুকে।
তোর  সাজানো চোখের তারায়
তুই নিজেকে লোকাতে পারিস
আমাকে না।
আমি তোর  বিষন্নতার আগুনে এক মুঠো ছাই
দমকা হাওয়া হৃদয়ের।
উড়ে যায়
খুব কাছে তোর বিষন্নতার লুকোনো ক্লাইম্যাক্সে।

এলোমেলো কথা সাজিয়ে আকাশলীনা
আকাশ ঢাকা যায় না।
জীবন দিয়ে মুছে ফেলা সময়ের সরোবরে তুই চান করতে পারিস
হতে পারিস পবিত্র ঈশ্বরের মতন।
আমি পাঁকের পদ্ম ,তোর  ভেজা ঠোঁটের অভিশাপ
বিষন্নতা হৃদয়ের পাঁকের মতন। 

অ-তিথি

অ-তিথি
........................ ঋষি
====================================================
নীল রং আমার প্রিয় কেন জানিস
ওটা আকাশের রং।
আকাশ সেই ছেলেটা যার বুকে মাথা রেখে  তুই খুঁজিস  জীবন
আর আমি খুঁজি  তোকে।
আমার বুকে আঁচড়ে অজস্র প্রহসন
ভয় লাগে যদি হারিয়ে ফেলি ,যদি খুঁজে না পাই তোকে ,,কোনদিন।

তুই কি করে জানলি
এক ভাঁড় চায়ে কিংবা একটা সিগারেটে আমার মন ভরে না।
মন ভরে না তোকে বারংবার পাওয়ায়
বুক ভরা সিগারেটের ধোঁয়া ,তিতো ঠোঁটে বিরক্তি ফেলে আসা
কেন বলতো এমন হয়।
এক আকাশ বুক নিয়ে তুই যখন নীল  শাড়িতে আমার কাছে আসিস
আকাশ হাসতে থেকে,আর সেই ছেলেটা একলা হয়
ভীষণ একলা তোর মত রাত জাগা চোখ
ভাঙ্গা নিঃশ্বাস আর বিশ্বাস
তুই আছিস তো আমার
একলা আকাশ

এক উপনাস্যের মতন ক্রমশ পৌঁছানো শেষের পাতায়
পাতা শেষ হয়ে যায় ,তুই না।
এক পৃথিবী মৃত্যু কুড়িয়ে নিয়ে তোর  দরজায় আমি
সেই আকাশ বলে ছেলেটা।
নীল রং যার ভীষণ প্রিয়
অ-তিথি,সারা আকাশে  এক জীবন বাচাঁর ক্ষিদে। 

প্রতিদিন অভ্যাসে


প্রতিদিন অভ্যাসে
........................ ঋষি
==================================================
অভ্যস্ত জীবনের জানলা ধরে
একলা দাঁড়িয়ে খুঁজে ফেরা সময়ের বিষে অমৃত।
কোনো উজার হওয়া সময়ে গুঞ্জনে উঠে আসা হৃদস্পন্দনটা
ভীষণ প্রিয় আমার।
একটা  শব্দ হয়তো কিংবা আমি সেই স্পন্দন
কিংবা আমার মতন তুই আমার আয়নায়।

অমিল কিছু থাকে না পথচলায়
সাজানো আলোর ঝরনায় ভিজে যাওয়া মুহুর্তদের তৃষ্ণায়।
কিছু তৃষ্ণা আমার,তোর
কোনো নির্জন দুপুরে খোলা আকাশে রৌদ্র ঝলমলে কালো তিল।
তোর বুকের ভাঁজে অনেকটা পৃথিবী রাখা
আর সেই ঘামে ভেজা কপালের মুহুর্তদের জীবন
একটা জীবন বেঁচে যাই ।
চেনা চারদেওয়াল ,দরজা তফাত পৃথিবীর নিয়মে
লুকিয়ে থাকা ,গোপনীয় কোনো আমন্ত্রণ ।
এক ঠোঁট তৃষ্ণা
এক বুক তৃষ্ণা ।
ঝলকে ওঠে
এখনো  এতটা বাঁচা তুই ,এক বিদ্যুত স্পর্শ ।

অভ্যস্ত জীবনের জানলা ধরে
ভাবনারা কেমন অভ্যস্ত প্রাচীন কোনো ধর্মের মতন।
আঁকড়ে ধরি ,বিশ্বাস করি তোকে
আবার তোর বুকে মুখ ঘষে করি প্রতিবাদ জ্বালাতন জীবন।
আজব এক সফরের সাক্ষী এই সময় আমি
তোর মতন আমার বুকের ভিতর তুই।

চলন্তিকার তোর খেয়াল

চলন্তিকার তোর খেয়াল
............... ঋষি
==============================================
সবজান্তা হেমন্তের মিঠে খেয়াল  তুই চলন্তিকা
সব জানিস কি করে বল তো ।
আমি কেমন আছি ,কোথাই আছি ,কি ভাবে বাঁচি
আমার শহর ছেড়ে তোর কাছে যাওয়াটা অভ্যাস।
কোনো নিয়ম না ,কোনো যানবাহন না
শুধু তোর শহর আমার স্পর্শে কাছাকাছি।

জানি তুই পাগলী ছিলিস
জানি আমিও এক পাগল যে সময়ের সাথে সন্ধি করে
নিজেকে করছে রক্তাক্ত নিজের মত।
জানি তোর শহর থেমে থাকবে না কোনদিন আমার মত
হাজারো যানবাহন ,চিত্কারে পরিপূর্ণ
অথচ তুই আকাশ দেখিস।
মেঘ দেখে তোর কি আনন্দ ছেলেবেলার ছড়া
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ,জীবন দেব মেপে।
চলন্তিকা তুই জীবনের নদীতে পা ডুবিয়ে খেলতে থাকিস
অথচ বৃষ্টি আসে এক ঝাঁক কল্পনার মত তোর খেয়াল।
আমাকে ছুঁয়ে নামে মনমেঘে
আমি সেই জীবনের নদীর একলা বাড়তে থাকা জল।

সবজান্তা হেমন্তের মিঠে খেয়াল তুই চলন্তিকা
এলোমেলো ভাবনাদের চারদেওয়ালের অভ্যাস।
একটুই বদলায়
নিজেকে ভাবতে আমাদের শহরে একসাথে মুহুর্তদের।
এক মেঘ দুরত্ব আর বৃষ্টি
দারুন মিষ্টি বল চলন্তিকা চিনচিনে ব্যাথা।

মন খারাপ

মন খারাপ
..................... ঋষি
====================================================
জানি একটা শব্দ অষ্টপ্রহর মাথার ভিতর বাকুম বাকুম করে
মনখারাপ।
কি জানি এক ব্যতিক্রমী দারুন ঝড়  ভাসিয়ে নেয়
মনখারাপ।
কোনো শব্দ ছাড়া জব্দ হৃদয়ের ঘরে চিনচিনে ব্যাথা
মনখারাপ।

এমন থেকে এমন আকাশ ছাড়িয়ে আরো গভীরে কোনো ইচ্ছা বেলুন
আকাশ ভাবা কল্পনায়।
মাঝে মাঝে নিজেকে ইশ্বর মনে হয়
দেশজ কান্নার নুনে একটু বদহজম করে  বেজন্মা হয়।
মাঝে মাঝে নিজেকে প্রতিবাদ মনে হয়
বিবেকের দর্পনে লুকিয়ে দেখা নিজের মুখে অসংখ্য পোড়া ছোপ।
মাঝে মাঝে নিজেকে ভয় করে ভীষণ
মনে হয় যদি একলা হতে হতে হারিয়ে যায় জীবন থেকে।
তখন বুঝি মনখারাপ
কোনো শব্দ নয় একটা জব্দ সময়।

জানি একটা ঘ্যানঘ্যানে বিড়ালের ডাক পিছু ফেরে ঘরে
মনখারাপ।
কি জানি এক ভয়ার্ত চিত্কার নিজের টুঁটি নিজেই খামচে ধরে
মনখারাপ।
কোনো অর্থ  ছাড়া জব্দ হৃদয়ের ডেসিমেলে আলাদা মাপ
মনখারাপ। 

একটুকরো আশা

একটুকরো আশা
............... ঋষি
================================================
একলা ফেলে যাওয়া মুহূর্তরা জেরবার
এক জেদী চোয়াল শক্ত  জীবন আছে প্রতিক্ষায়।
ইচ্ছাদের এক্সারসাইস করতে বলো
লেট মেক দেম এ ভিগার।
বেশ ভালো লাগবে আয়নার সামনে দাঁড়াতে
হাসতে জীবনের হাসি।

হেরে যাওয়াটা একটা প্রশ্রয় জীবনের কাছে
আর জিতে যাওয়াটা একটা আহ্লাদ শিশুর  হাসি।
জিততে তোমাকে হবেই কেউ  বলে নি
সকলে তো আর জেতে না।
তবু চেষ্টা না করে হেরে যাওয়াটা কোনো মানুষের অঙ্গীকার না
অঙ্গীকার জীবন একটা যুদ্ধ।
জীবিত স্থির মৃত্যুর পথে
অঙ্গীকার বাঁচতে চাওয়া দিনান্তে জীবন।
অনির্দিষ্ট এই জীবনের পথে
একটুকরো আশা।

একলা ফেলে যাওয়া মুহূর্তরা জেরবার
কোনো অসম মুহূর্ত নিজেকে হারানোটা খুব সাধারণ।
অসধারণ হলো হেরে গিয়ে ফিরে আসা
এট লিস্ট লেটস ট্রাই ওয়ান সেকেন্ড।
বেশ ভালো লাগবে যদি নিজেকে ফিরে পাও অসময়
তোমার মধ্যে ঈশ্বর হাসবে জীবিত হাসি।  

হেডলাইন্স জীবন

হেডলাইন্স জীবন
................. ঋষি
=======================================================
নিজস্ব আয়তনের জীবনের সাথে
তোমার সাথে বহুদিন কথা হয় নি ,নেওয়া হয় নি খবর।
কেমন আছো ,,,হাসছো সম্পর্কে আছো
কেমন সেটা।
সম্পর্ক  গুলে  চরণামৃত খেলে তবেই পুণ্যি
ধন্যি সত্যি, ধন্যি তুমি।

নিজস্ব প্রতিকির অন্যতম নিদর্শন
আয়নার মুখ  ,আয়নার সুখ ,মুচকি হাসি ,জীবন যেমন।
মানিয়ে নিতে হয় ,না হলে মেনে
তাইতো বীপ্লব আসে নি আজ বহুদিন হলো।
কার ঘরে। কার বিছানায়।কার দানে মুখ দিয়ে
সময় রক্তাক্ত
সম্পর্কের নামে।
তবু, জানতে ইচ্ছে করে, তুমি কেমন আছো
ইতিহাসের মন্দিরগাত্রে   আবক্ষ ধূসর মূর্তি।
নাকি , শুকনো খড়ের চাপা দীর্ঘশ্বাস
ইচ্ছা আছে বাঁচার
নাকি তাও !

নিজস্ব আয়তনের জীবনের সাথে
তোমার সাথে কথা হয় না আজ বহুদিন হলো ,না টেলিফোন।
বুকের ম্যাগাজিনে ছড়ানো পেজ থ্রি খবরের পাতা
ক্যামেরা চলছে ,পটাপট হেডলাইন্স জীবন।
সম্পর্ক অনেকটা শুনতে পাও কারখানে ভো ,
কিংবা স্কুল ছুটির শব্দ। 

ভুলেদের সাথে

ভুলেদের সাথে
................... ঋষি
===============================================
জীবনের ভুলগুলো উল্টোনো শব্দের মতন
অনিয়ম।
সত্যি কি তাই
ভুল ভাঙ্গে ,কূল ভাঙ্গে ,নিভন্ত মোমবাতির চিত্কার।
অন্ধকার ,বাঁচাও
একটু আলো  প্লিজ ,টর্চটা জ্বালান।

প্রেমিকার বুকের ওড়না সরিয়ে লাল জল টলমল
চোখে শীর্ণ নদী অপেক্ষার উপত্যকায়।
আপেক্ষিক ভুলগুলো ভালবাসা ছুঁয়ে থাকে ,বেঁচে থাকে
মনের গভীরে ,,,, পোড়া দাগ।
অভিমানেরা নদীর নিজের চলার পথে গতি হারিয়ে শুকিয়ে যায়
সূর্য রঙা আগুন ফুলের প্রতিক্ষায় ,,, নতুন জন্মের।
মৃত সময়ের  গায়ে সাদা বস্ত্র ,,ছড়ানো খই
মৃত কবির মুখে  নিষ্পাপ মৃত্যু ,, কবিতার জন্ম।
এই ভাবে কাটে সময়
কাটতে থাকে ,কাটছে তাই।

বৃষ্টির শরীরে শৌখিন নীরবতায় অন্যমনস্ক শব্দ
পদশব্দ।
ফেলে আসা ভুল হাঁটি হাঁটি পায়ে
বাঁচতে চায়।
সূর্যের মেঘে ঢাকা আলোয় বর্ণদের প্রস্ফুরিত ছটা
ভুল সে যে জীবনের স্পন্দন।




পাগলামী

পাগলামী
............... ঋষি
======================================

পাগলামীগুলো অধরা থাক জানলার শার্সির কাঁচে
গড়িয়ে নামুক স্নেহ শব্দদের ধাঁচে।
রঙিন হোক  আরো পাগলামী সময়ের কাছে
আরো বৃষ্টি নামুক
বাড়ুক বয়স চামড়া ভাঁজে।

অদ্ভূত কমতে থাকা বয়স সেটা কি অনিয়ম
পাগলামী।
বর্ণের শৃঙ্খলে শব্দ ধরা ,,এ  জীবন আমি জানি
পাগলামী।
বুকে মাইনের বিস্ফোরণের শব্দ ,,মনখারাপ ,,১৪৪ ধারা
পাগলামী।
প্রেমের ওপার থেকে বাজে হুইসেল ,,হার জিত সময়
পাগলামী।
বন্দুকের নল ঠেকিয়ে আজ সময়ের মুখ ,,রক্তবমি
পাগলামী।
কাচা মিঠে জ্যোৎস্নায় আমার নদী হতে ইচ্ছে করে
পাগলামী।
কয়েক ফোটা রক্তের দামে স্বাধীনতা আর সুদিন
পাগলামী।

পাগলামীগুলো অধরা থাক ইচ্ছেদের মিছিলে
অনিয়মের গুলিবর্ষণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে  নিয়মিত জীবন।
বেরঙিন সময়ের পালকে
আর জটিল হোক জীবন পাতার পর পাতা
পাগলামী কোনো হৃদয়বন্দী নিয়ম। 

Sunday, January 17, 2016

আকাশের কাছে

আকাশের কাছে
............ ঋষি
=============================================
এমন করে আকাশ দেখতে হয় নাকি
আকাশেরও লজ্জা করে।
এমন করে জীবন দেখতে হয় নাকি
জীবন যে  বদ্ধ ঘরে।
এ সেই কবিতা যা আকাশের গায়ে লেখা আছে
কোনো গভীরতা।

নিজের জানলা খুলে জীবন দেখা
কোনো উপন্যাসের শেষ পাতায় না মেলা কল্পনারা।
সব অযৌক্তিক
যেমন অযৌক্তিক আকাশ দেখা গভীর প্রেমে।
আকাশের প্রেমে
মুঠোয় করে আকাশ ধরা যায় নাকি।
একটা জীবন যদি আকাশ হয়ে যায়
তবে আকাশের নীলে হাজার ছবি ,জল ছবি।
ছবির রং
জীবনকে আকাশ ভাবা যায় নাকি।

এমন করে দেখতে হয় নাকি
আকাশ কি মেঘে ঢাকা তারা না তারায় ঢাকা জীবন।
এখানে সর্বত্র রাখা গভীরতা
যেখানে তলিয়ে যেতে হয় কখনোবা মরে।
কিন্তু আকাশ ধরা
না ,সে কোনো রূপকথার মতন রাজপুত্রের গল্প। 

Saturday, January 16, 2016

বৃষ্টি বরণ

বৃষ্টি বরণ
.............. ঋষি
=====================================================
কখন জানি মনে হয়
বৃষ্টি আমি বোধহয় মাটি হয়ে গেলাম।
কখন যেন মনে হয় বৃষ্টি
জানিস আমি একলা আকাশ হয়ে গেলাম।
আকাশের পাড়ে মেঘ ,তারপর টুপটাপ বৃষ্টি
যা এবার আমি চুপ হয়ে গেলাম।

এই ভাবে ঠিক এইভাবে আমার শহরে বৃষ্টি আসে নিয়ম ছাড়া
এই ভাবে ঠিক এইভাবে আমার শহরে জীবন ভাসে কোনো খবর ছাড়া।
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে শুনি পায়ের শব্দ রিনিঝিনি
নুপুরের মতন কিছু অদ্ভূত আমার কাছে।
জানি না কখন ভিজতে ভিজতে
আমি আমার একলা হয়ে গেলাম।
তবু বৃষ্টি থামে না
তবু রোদ ওঠে না
তাই তো আজ আমি চুপ হয়ে গেলাম।

কখন জানি মনে হয়
বৃষ্টি আমি শুধু কবিতা হয়ে গেলাম।
কখনো কখনো বৃষ্টি তুই জানিস
আকাশ ভরা মেঘ আর চাতকের মত মাটি এক তৃষ্ণা।
তবু শোন বৃষ্টি এই বেশ সময়
জানি আমি ,তুই বুঝিস আমি  কেন চুপ হয়ে  গেলাম।

তোমার একটা চুমুর জন্য

তোমার একটা চুমুর জন্য
..................... ঋষি
==================================================
তোমার একটা চুমুর জন্য এই একটা জীবন
আমি বহুবার পরম্পরায় বাঁচতে পারি
তোমার একটা চুমুর জন্য আমি আকাশ থেকে উধাও করতে পারি চাঁদ
তোমার ঠোঁটে অর্ধের চাঁদ আঁকতে পারি
একবার বলেই দেখো
তোমার ওই চুমুর জন্য আমি খালি পায়ে আগুনে হাঁটতে পারি


যখন দখিন হাওয়া আমার বারান্দা ছুঁয়ে তোমার চুলে খেলা করে
যখন তোমার আয়নায় রবি ঠাকুরের গান ছুঁয়ে যায়।
ঠিক তখন তোমায় কেমন কেমন লাগে
আমি দেখতে পাই।
আর তখনি ,,,,না বলবো না আর
শুধু এতটুকু
তোমার একটা চুমুর জন্য আমি প্রতিদিন সকাল দেখতে পাই।
এইভাবে শুধু এইভাবে
একযুগ ,দুই যুগ ,শত সহস্র যুগ।
আমার শহরে সকাল হাসে ,প্রত্যহ চিত্কার ,গায়ের ঘাম  শুকিয়ে
জীবন কেন একা হাঁটে
আজ বুঝেছি তোমার একটা চুমুর জন্য।

তোমার একটা চুমুর জন্য এই একটা জীবন
কেন যেন কম মনে হয়।
তোমার একটা চুমুর জন্য আকাশের অবেলায় বৃষ্টি
আমার একা মনে হয়।
তুমি কি জানো
ওই একটা চুমুর জন্য আজকাল যখন তখন আমার মনখারাপ হয়।

Friday, January 15, 2016

কথপোকথন

কথপোকথন
................... ঋষি
====================================================
নিজেকে স্বীকার করতে পারি না
মন তোকে জানানো হয় নি এখনো অনেক কিছু।
সাহস করে বলতে পারি না
নিজের গলা টিপে ধরি।
মন ভালবাসা সেই রুপোলী নদী যে প্লাবন চায়
অথচ কেন ভাসতে পারি না।

আমার বুক ফেটে যায় ঘন অন্ধকারের নিরুদ্দেশের পথিক আমি
আমার বুকের মধ্য দিয়ে কেটে যায় রাস্তা আরো কত দূর।
হৃৎপিণ্ড উপরে শূন্যে ছুঁড়ে দেয় অস্তিত্বের চাবিকাঠি
হটাত মাটিতে পরে হারিয়ে যায়।
আমি খুঁজতে থাকি আর খুঁজতেই থাকি চাবি
সিন্দুকের দেরাজে রাখা লুকোনো কথা।
মনে পড়ে যায় কত কথা রেখে এসেছি  বানভাসি গ্রামে
চোখের জল, কিংবা ইট বের করা ভাঙ্গা দেউলের কাছে।
মন্দিরের প্রতিমা খড়খড়ি ওঠা চামড়া
আর বৃষ্টিতে ভেজা দেউলে সময়।

নিজেকে স্বীকার করতে পারি না
টুকরো টুকরো মন এখানে সেখানে চামড়ার মুখ।
বুকেতে ছোঁয়ান ডিনামাইটএর স্পর্শ
আমি স্বপ্নের ভিতরে শূল , কিংবা অন্ধকারে অসমান সূর্য।
মন ভালোবাসা কখন যে শুকনো নদী
আর নদীর ধারে পরে থাকা অসংখ্য মুখ।



কেমন আছি

কেমন আছি
................. ঋষি
==========================================
কেমন আছো
এই গল্পের সুক্ষ থেকে সুক্ষতর ফাঁকগুলোই ভীষণ দামী।
সেটা তুমিও জানো
তারপর কি করি বলি সবকিছু হিসেব মাফিক।
ওঠা ,পরা ,ভাঙ্গা ,গড়া জীবন সামুরাই
নিয়ম মাফিক।

সন্ধ্যের কোল ঘেঁষে ফুরিয়ে যাওয়া শীতের আদরের ডাক
সময়ের মতন।
সূর্যাস্ত থেকে চাঁদ ওঠার মাঝের সময়টাতেই নিশ্চিন্ত থাকা
ব্যস্ত আছি।
কিন্তু যখন  দিন ,রাত্রি নিজেদের সামলাতে ব্যস্ত
বুঝতে পারি না ,
মনে হয় বয়স বেড়ে গেছে ,
তাই গোছাতে পারি না।
কেমন আছি ?
কিছুটা কৌতুক ,আর অতৃপ্তি পথ দেখিয়ে চলে যায়
জীবনের ঘামে অতি সাধারণ দামে
আড়ালে টেনে বুঝিয়ে যায়  ভুল ভ্রান্তি ,আর  প্রয়োজন
বেঁচে আছি ।

শিখছি. শব্দ ,বর্ণ, অর্থ ,নির্বাক কায়া
তারপর দেখছি, পুরোটাই "শূন্যতা" ক্রমশ ক্লান্ত শরীরে।
ঘুম পাচ্ছে ,আসছে না কিছুতেই
তাই পাতা উলটে শুরু করার তোড়জোড় করি।
পুরনো পাতাগুলো জোর করে হারিয়ে ফেলি
তারপর কখন যেন রাত্রি ,অন্ধকার।

Thursday, January 14, 2016

এক বিন্দু জীবন

এক বিন্দু জীবন
................ ঋষি
=============================================
যে কাউকে
নিদিষ্ট শিলালিপিতে ফটিকের কল্পনা অহল্যার বুক
অভ্যাসে জীবন।
সারা বিশ্ব যদি মাদার টেরিসা হয়ে যায়
সামনের অচলয়াতন অনাথ শিশুটার মুখে হাসি
চোখের জলে পাথর ভাঙ্গে অহল্যা হাসে।

যে কাউকে
একটা জীবনে পরম প্রিয় ঈশ্বর করা যায়।
জাত ,ধর্ম ,অভিন্ন হৃদয়ের নগ্ন ভিখারিনীর বুকে অর্ধেক চাঁদ
জ্যোত্স্না সারা পৃথিবীতে,
গভীরে উত্তরণ মানুষ আর মাদার টেরিসা বোধ।
যে কাউকে
কোনো শ্রমিকের ঘামে যদি একটা পৃথিবী গড়া যায়
মৌচাকের গভীরে সুখী মৌমাছি সংসার।
মধু গড়িয়ে নামে
মিষ্টি কোনো শৈশবে কন্যা ভ্রুণ
হামাগুড়ি দিয়ে অহল্যা সময়ের কাছে।

যে কাউকে
নিদিষ্ট সময়ে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার প্রতিবাদ সময়ের নর্দমাকে
অভ্যাসে শিরদাঁড়া।
সারা বিশ্ব যদি মাদার টেরিসার মতন হাসে
কালি মাখা শৈশবের হাতে বর্ণপরিচয়
চোখের সামনে গড়িয়ে নামে এক বিন্দু জীবন অহল্যার। 

সময়ের মীরজাফর

সময়ের মীরজাফর
.................... ঋষি
=================================================
অবিশ্বাসের বইটা খুলে দেখলে  বিশ্বাস করতে বাধ্য হই
কথা দিয়ে কথা না রাখা ইতিহাস
 অভূতপূর্ব ডিগবাজি ।
মীরজাফর মরে গেছে বেঁচে আছে পলাশী আজও
পলাশীর কামানের সামনে দাঁড়িয়ে হতভাগ্য সিরাজদৌল্লা
আর রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদের মাটি।

সাক্ষী,সাক্ষী,সাক্ষী ,অবিশ্বাসের সাক্ষী
রক্তাক্ত হৃদয়ের দর্পনে সময়ের চালাক আলিঙ্গন।
প্রেমের বুক ,সময়ের শরীর
ক্ষনিকের ইতিহাস
আবার সিরাজদৌল্লার মৃত্যু বারংবার যতবার অবিশ্বাস।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ন্ত সময়ের  মিথ্যে
খিদের ভাতে বাড়তে থাকা কাঁকড়।
সঠিক শব্দের খোঁজ পেলে, এরপর সময়  তর্ক করতে ভুলে যাবে
তাতে কার কি?
যুক্তি কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে.
কেও মনে রাখেনি কারণ মানুষের বিশ্বাসে ধর্ম ।

অবিশ্বাসের বইটা খুলে দেখলে  বিশ্বাস করতে বাধ্য হই
রক্ত নেই, লাশ পচা গন্ধ নেই,আছে কথারা।
বাড়তে থাকে হাতে হাত রেখে সংসারের ধর্ম
বর্মের মত সম্পর্কের চাবি।
বদলে যাচ্ছে সময় ,দেখতে পাই না সময়ের আয়নায়
মানুষের মুখ কিংবা বিশ্বাসী মানুষ।   

অন্য সময়

অন্য সময়
................ ঋষি
====================================================
ভেবে দেখলাম পাল্টে যাবো
কোনো নিষেধ বারণ এর তোয়াক্কা করার প্রয়োজন বোধ না করে।
ঠিক যেমনটা চেয়েছি
তেমনটা বুকের আগুনে সময়কে পুড়িয়ে দেবো।
পুড়িয়ে দেবো দেশ ,সীমা ,হৃদয় জাতীয় অবাধ্য ,বেসরম দুঃখ
লিখবো আবার অন্য সময়।

ঈশ্বরের প্রতি আমার অগাধ ভক্তি
তাই বোধ হয় ঈশ্বর মুখো হলেই আমি দেখি এক বেআব্রু মাকে।
আমার দেশ ,আমার মাটি ,আমার জীবন
ছি লজ্জা।
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে  দেখি অথচ অভিশাপ দিতে পারি না ঈশ্বর
ঈশ্বর ভূমিকায় ধর্মের কুকুররা চিত্কার করে।
স্বার্থের দরজায় দাঁড়িয়ে স্লোগান ধরে নাস্তিক তুই নরকে যাবি
আমি হাসতে থাকি ,আমি কাঁদতে থাকি।
আমার ভয় করে না আরো যন্ত্রণা হয় আমার মা কাঁদছে
কাঁদছে আমার দেশ।
ঠিক তখনি মাথার ভিতর  যুদ্ধের দামামা
সময়ের রক্তে  কলম চুবিয়ে আমার কবিতা
আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি।

সর্বনাশ
লাল ওষুধ, নীল ওষুধের পরিচর্যায় আমার  অসুখ সারে না।
ডাক্তার বদ্যি ফেল করে ঈশ্বরের নাম করে
আর আমার ঈশ্বরের প্রতি অগাধ ভক্তি।
আমি করি অপেক্ষা
একটা সুন্দর দেশের ,এক দেশ মানুষের ,আর সম্মানের। 

আমি যেখানে প্রশ্ন

আমি যেখানে প্রশ্ন
................ ঋষি
================================================
সময়ের সাথে ঝগড়া আমার চিরন্তন
শাশ্বত যেখানে পৌরুষের ধানি লঙ্কা সমাজের বুকে,
চলন্তিকা সেখানে নারী।
ভেবে দেখেছি পুরুষের পরিচয় পুরুষ নিজে অহংকারে
আর নারীর পরিচয় ,
সমাজের মুখ পৌরুষের সিংহে।

সেই সমাজে দাঁড়িয়ে
পাঁচবার নামাজ পরার পর আমি সময়কে প্রশ্ন করি।
আমার ধর্ম কি কোরান না গীতা
উত্তর পাই আমার ধর্ম আমি নিরক্ষর।
সেই উঠোনে দাঁড়িয়ে আমি প্রশ্ন করি সময়কে
আমি হিন্দু না মুসলিম  আমার জাত কি।
উত্তর পাই সময় বলে খিদে
আবার প্রশ্ন করি খিদে কি
সময় মুচকি হেসে বলে খিদে হলো জীবন।

সময়ের সাথে ঝগড়া আমার চিরন্তন
শ্বাশত যেখানে কামুক পুরুষ বদলানো সময়ের প্রেমে।
ঠিক সেখানেই চলন্তিকা আমার প্রেমিকা
আমার স্পর্শ আমার জীবন।
তবে কি চলন্তিকা আমার খিদে ,আমার জাত  ,আমার শিক্ষা
পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের কাছে আমি হয়তো প্রশ্ন। 

তোমাকে ভাববো বলে

তোমাকে ভাববো বলে
.............. ঋষি
================================================
তোমাকে ভাববো বলে
চলন্তিকা আমি বলি মানুষের কথা ,দেশের কথা।
বুকের ভিতর বহু দিন বৃষ্টি না হওয়ার চিন্তা
চিন্তার দেরাজ থেকে খুলে ফেলি শব্দদের মিছিল।
ফিসফিস সময়ের দরজায় আজান হয়
ঘুম ভেঙ্গে একমন কেমন করা ভাব।

যদিও এসব কথার কথা নয়
ঘুমতাড়ানি ভাবনা।
যুক্তির পাহাড় ঘেঁটে অযৌক্তিক পাগলামি ঘাপটি মেরে বসে থাকে
না হলে তোর বুকের পিরামিডে কি করে উঠি চলন্তিকা
মুখ ঘষে বন্য গন্ধে পেয়ে যায় কৃত্রিম পারফিউম।
আধুনিকতার পাহাড়ে কখন যেন অপরাধ প্রবন হয়ে যায়
কোনো এক ডেঞ্জার জোন চলন্তিকা।
মজার কথা, শিকার এবং শিকারি দু পক্ষই ব্যস্ত নিজেদের জাহির করতে
যুক্তির আড়ালে অযোক্তিকগুলো  দ্বিধায় ভুগছে।
পরম্পরা ভাবনায়
আদর্শ নাস্তিকও ব্যাভিচারী  তকমা ঢাকতে কৃষ্ণ আদর্শ বাতলে যায়।

তোমাকে ভাববো বলে
তোমার সেলফি  থেকে উল্টে পাল্টে দেখি  অনেকটা মাংস।
বুক পকেটে রাংতায় মোড়া ইচ্ছে রা উঁকি দেয়
মুখোশের রঙ বদলে যাচ্ছে।
এরকমই তির্যক ঘুমতাড়ানি ভাবনা গুলো নতুন ভাবে ভাবতে বাধ্য করছে
তোমাকে ভাবছি আমি।

আবছা ছায়া

আবছা ছায়া
.............. ঋষি
===============================================
একটা আবছা অন্ধকার তাড়া করে ফিরছে
সময়ের মাইলস্টোনে লেখা একটা জীবন।
একটা কোলাজ করা কালসিটে সময়ের গায়ে
দীর্ঘ শ্বাস এই জীবন।
চলন্তিকা তুই পথ হতে পারিস
আমি পথিক তোর পথে।

নীলাজ এখনো আসে নি
সময়ের লাইট পোস্টে কর্পোরেসনের আলোটা জ্বলছে আর নিভছে।
অনেকটা আলো অন্ধকারে মায়ার পৃথিবীতে আশা শব্দটা
নিরুত্তর ছায়ার মতন তাড়া করে ফিরছে।
আরেকটু কাছে আয় চলন্তিকা
উহু হচ্ছে না আরো কাছে আয় আমার বুকের ভিতর।
হাসছিস আর বলছিস জংলী
আর আমি জঙ্গল দেখছি।
একটা অন্ধকার অন্ধকার জঙ্গল আমার চারপাশে
চলন্তিকা লাইট পোস্টের আলোটা নিভে গেল
এখন শুধু জ্যোত্স্না সম্বল।

একটা ছায়ার মতন কিছু বুকের আয়নায় ভেসে ওঠে বারংবার
চলন্তিকা তোর  অবয়ব আমি দেখি।
তোর গলার তলায় একটা ছায়া কালসিটে
ডক্টরের অপেরেসানে সারবে না।
আমি আটকে উঠি চলন্তিকা আরো তোকে দেখতে চাই
সমস্ত যন্ত্রনায় আমি তোর হৃদয়ের পথে। 

দৃশ্যসম

দৃশ্যসম
.................... ঋষি
==================================== 
(১)
.
স্বাগত শ্বাশত 
বাঁধ ভাঙ্গার আড়ালের রুদ্ধশ্বাস প্রতিক্ষা। 
সময় আন্তরিক বিষাক্ত সোহাগ 
নির্বাক দৃশ্য। 
.
(২)
.
অন্তরায় সময়ের গায়ে কালসিটে চলন্তিকা 
হে নারী তুমি উর্বসী সম। 
ক্লান্তি পথে নীলকন্ঠ 
সহজ দৃশ্য। 
.
(৩)
.
রাত কখনো আসে নি সময়ের আগে ও পরে 
বিবর্তনের ইতিহাস বাউন্ডুলে ভাবনার মোড়কে।
অনুষ্ঠানের গায়ে লাগা উদ্বোধন খিদের
সার্বিক দৃশ্য। 
.
(৪)
.
এক পাও যায় না ,দু পাও 
তবু পায়ের সাথে কদম মিলাও ,মিলাও কদম। 
সময়ের স্রোত গায়ে অন্ধকার 
অন্ধকার দৃশ্য। 
.
(৫)
.
বোবা এডিসন সাহেব দরজার আবিস্কারে 
অন্ধকার ছিঁড়ে আলো আসছে। 
পিন ড্রপ সাইলেন্স ,ফায়ার 
রক্তাক্ত দৃশ্য। 
.
(৬)
.
সময় চিরদিনের এগিয়ে যাওয়া আবর্তনের 
বিবর্তন সম্ভব সার্বিক চেতনায় 
নতুন সূর্যের প্রথম আলো
সম্পূর্ণ দৃশ্য 

Wednesday, January 13, 2016

শ্বাশত তোমার জন্য (১৫)

শ্বাশত তোমার জন্য (১৫)
.............. ঋষি
========================================================

অনেকটা বাঁধন ছাড়া হিসেব নিয়ে
হিসেবী পুরুষ তুমি শ্বাশত।
তোমার অধিকারের ফুল ফোটে প্রতি রাতে গোপন ভ্রমরে
সকাল হয় ভ্রমর উড়ে যায় তোমার মতন।
দুরে খুব দুরে
কোনো অনধিকার অন্তরে।

এমন করে চলছিল জীবনের ১৮ টা বছর
আজ উনিশে পা দিয়েছি তোমার সাথে সময়ের রাস্তায়।
জানো তো এর মধ্যে অনেক ফ্যা ফ্যা করে ঘুরেছি রাস্তায় রাস্তায় হৃদয়ের
একা একা।
কারণ তুমি তো ব্যস্ত
তোমার প্রেমিকাদের ডেস্কটপে সাজানো ঠিকানায়।
ডেটিং ,সময় ,শরীর  ,হৃদয়
তুমি তো ব্যস্ত।
তবে শ্বাশত তোমাকে বলি নি ১৮ টা কতটা লাকি ছিল তোমার কাছে
যেদিন তুমি প্রথম আমাকে দেখেছিলে তারিখটা ১৮ ছিল
আমাদের বিয়ের তারিখ ১৮ ছিল।
তাই আজ ১৮ ফেলে যখন আমাদের বিয়ের বয়স ১৯
আমার খুব ভয় করছে শ্বাশত।

আমি গৃহবধু ,এই সংসারে সাজানো গন্ধের মতন আমি
আজ শেষ ১৮ বছর তোমার সমস্ত সত্বাকে আমি সামলেছি।
ইচ্ছে করেছে বারংবার ভাঙ্গতে এই সম্পর্ক্য কাঁচের চুরির মতন
ইচ্ছে করেছে ছিঁড়ে ফেলতে এই সাজানো অলংকার।
না পারি নি কিন্তু আজ উনিশে পা
আমিও না তোমার মতন বাঁধন ছাড়া হিসেবী হয়ে যায়। 

স্পর্শ সময়

স্পর্শ সময়
................. ঋষি
================================================
নিত্য এক যাত্রা দিয়ে শুরু করি
সমস্ত অবয়বে ফুটে উঠতে থাকে এক ক্লান্ত মুখ।
প্রশ্ন করেছি বারংবার
কি হয়েছে চলন্তিকা মন খারাপ ,শরীর খারাপ।
উত্তর পাই নি
এ যেন কোনো ইনফেকশন সময় থেকে সময়ের।

ক্রমশ আরো ক্লোস্ড
চোখের কালি হৃদয় ছুঁয়ে মেয়েলি আদলে আরো গভীরে।
না বলা কথাদের ফুল স্টপে
জমতে থাকে ধুলো আরো ধুলো ,ধুলোময় সময়।
আর জীবন কেমন একটা বিষাক্ত  ভূমিকায়।
নিত্য যাত্রা সময়ের।
তোকে ছুঁয়ে মনখারাপ হয়
জানলার কাঁচ বেয়ে সকালের কুয়াসা ঘরের ভিতর।
হৃদয়ের ভিতর
সময়ে প্রবেশ করে ,থেকে যায়
নির্বিঘ্নে স্পর্শ সময়।

নিত্য এক যাত্রা দিয়ে শুরু করি
গলিপথ পেড়িয়ে আরো গভীরে সময়ের পাহাড় রাখা।
প্রশ্ন করেছি বারংবার
কি হয়ে সময়ের সাথে ,কি হয়েছে নিজের সাথে ,কি হয়েছে জীবন।
একদম চুপ
ফিসফিস কোনো মনখারাপ সময়ের গায়ে।

মৃত্যুর পরে

মৃত্যুর পরে
................ ঋষি
=========================================

মৃত্যু খুঁজেছি বলে গিয়ে দাঁড়িয়েছি
জন্মের মুলে,
যেখানে কোনো শিশুর অন্তরে জন্ম নিচ্ছে অধিকার পৃথিবীর।
মৃত্যু খুঁজছি বলে
গিয়ে দাঁড়িয়েছি অভিধানের বাইরে অন্য দরজায়
খিদের পৃথিবী।

যে জন্ম সর্বত্র আকাশ ভরা সূর্য ,তারা
আমি সেই জন্মের প্রদীপে ঢেলে দি স্বাধীনতার লজ্জা।
এত গুলো বছরের পরে
যেখান থেকে সৃষ্টি বেড়ে ওঠা মায়ের পেতে  কন্যা ভ্রুণ।
তাকে আমি আগেই করে দি সতর্ক
বাইরে চলছে এক যোগ বিয়োগের খেলা
এক রাক্ষস পৃথিবী।
তাই তো মৃত্যু খুজেছি প্রতিটা জন্মের গভীরে
অঙ্কুরিত ভ্রুণের অন্তরে।
কানের কাছে চব্বিশ ঘন্টা সাইরেনের প্রিয় নিরবতা
হাসপাতালের বেডে মৃতপ্রায় স্বাধীনতা।

মৃত্যু খুঁজেছি বলে গিয়ে দাঁড়িয়েছি আমি
ভিখারীর মতন।
আমার হৃদয়ে রাখা অজস্র ক্ষতের বাইরে এক নির্ভেজাল স্বপ্ন।
বাসযোগ্য সন্তানের মুঠোয় হোক অহংকার।
হে পৃথিবী তুমি সবুজ হও প্রকৃতির নগ্নতায়
আর জন্ম তুমি সজীব নগ্ন হৃদয়ের। 

পুতুল মানুষ

পুতুল মানুষ
................. ঋষি
===========================================
একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে
নিজেকে নামিয়ে এনে প্রতিশ্রুতি দেওয়া
বাঁচতে চাওয়ার লোভ বুকের আঁচড়ে নির্বাক আমি।
নিজস্ব ফটো মিডিয়াতে নামতে নামতে
অসংখ্য মুখের মাঝে  একটা মুখে রক্ত লেগে আছে
তৃষ্ণার্ত সময়ের অলংকার।

সিদ্ধান্ত একটা নিয়ে নেবো
খালি পায়ে হেঁটে যাওয়া পথের উপর পায়ের ছাপ
রক্তের।
আবার চটি পরে নেবো
সহ্য হচ্ছে না সময়ের বুকে মাথা রেখে স্পন্দন গোনা।
সহ্য হচ্ছে না নিজের ফুসফুসে ক্রমশ কালো ছোপ
নিকোটিন।
সিগারেটের পোড়া ঠোঁটে অসংখ্য না বলারা
চুমু খেতে চায়।
আমি কি ভিখারী হয়ে গেলাম
সময়ের হাতে আমিও কি খেলনা পুতুল।

একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে
পাতা ঝড়া শীতের বিকেলে শুকনো পাতাদের বিলাপ।
কান পেতে শোনা পদশব্দে আমন্ত্রনের অহংকার
নেমে গেছি নিচে বেওয়ারিশ আন্দাজে।
নিজস্ব মাইক্রন স্পিকারে রাখে কালের গান
হয়তো কলের পুতুল মানুষ।

প্রেমের ইন্টারভেল

প্রেমের ইন্টারভেল
................ ঋষি
=================================================

ইন্টারভেলে গল্পটা শেষ হয়ে গেছিল
আর কাহাতক সহ্য করা যায় এই সব মেয়েলি ন্যাকামি।
স্পর্শ যেখান শরীর শ্রেষ্ঠ পৌরুষে
সেখানে আর কাহাতক খালাস হওয়ার পরেও বেকার বসে থাকা।
বলতে তো পারি না
পেমিকা এখানেই প্রেম  শেষ  সবটুকু চোষা  হয়ে গেছে।

সিনেমা চলছে নির্দিষ্ট শোতে
গ্যালারী থেকে বেড়িয়ে গেলো ছেলে দুটো ইন্টারভেল।
মেয়েটা  বেড়োলো না
টিকিট চেকার চোখে পড়েছিল ব্যাপারটা ,সাথে একটা সন্দেহ দানা বেঁধেছিল।
যাই হোক সিনেমা চলছে ,
শেষ সিন নায়ক জড়িয়ে ধরে চুমু খেলো নায়িকাকে ,দি  এন্ড।
সকল দর্শক  বেড়িয়ে গেলেন
সিনামাহলের সাফাই কর্মী একটা গো গো মেয়েলির গোঙানির শব্দ পেল
তারপর খবর
দিনদুপুরে মফস্বলের কোনো সিনামাহলে দুই যুবক দ্বারা এক ছাত্রীর ধর্ষণ

ইন্টারভেল ঠিক একটা সিনেমার মতন জরুরী প্রেমে
যেখানে কিছু কারণ থাকে কাউকে প্রেম নিবেদনের , আরো কাছে আসার।
যেখানে কিছু অনিয়মিত বিশ্বাসে
প্রেম কখনো কখনো  বাজারী হয়ে যায় জিভ থেকে জল পরা খবরে।
কিভাবে  প্রেমকে ডিফাইন করা যায়
শুধু শরীর ,অনেকটা কষ্ট ,কিংবা কারণ সঙ্গত বেহায়াপনায়।

   

Tuesday, January 12, 2016

ভূত পেত্নীর গল্প


ভূত পেত্নীর গল্প
==========================================
ভূত পেত্নীর গল্প
কনে দেখা আলোতে সূর্যাস্তের ব্যাপ্তিতে বিহুগান সঙ্গত।
নির্ভেজাল সময় থেকে কালান্তরে যন্ত্রণা
রঙিন মুখ।
পিরামিডের উপরে দাঁড়িয়ে দেখা অন্য পৃথিবী
নিস্তেজ স্যাক্সোফোন।

যন্ত্রণা নিজস্ব লজেন্সের স্বাদে অন্ধকার কোনো রসায়ন
অনেকটা ভূত পেত্নীর  গল্প।
পথ চলতি নিশুতি সময়ে নিজস্ব খারাপ হওয়া যন্ত্রাংশের দিকে তাকিয়ে
কেঁদে চলেছে সময়।
নিশিডাক
নিশি পর্বের অনন্ত পথে ঘুম চুরি  চাহুনিতে।
ভূত পেত্নীর আদরে উত্থিত কোনো সাময়িক রক্ত
সে তো সার্বিক ,
ভিত এই  সময়।
ভিত দূরত্বে দাঁড়িয়ে প্রত্যেক না দেখাকে
আহ্বান
অলিক নিয়ম।

ভূত পেত্নীর গল্প
কারেন্সির হিসেবে পিরামিড ছোঁয়া স্বপ্নে জেগে উঠছে মমি।
প্রত্যন্ত বালিতে পা দিয়ে
এগিয়ে আসা ধুলিঝড় সময়ের ব্যাপ্তি।
ভূত পেত্নীর গল্প ছাড়া বাকিটুকি নির্ভেজাল জীবন
পিরামিড একলা দাঁড়িয়ে। 

তোর কামনায়

তোর কামনায়
.................. ঋষি
==============================================
আমি তোকে দেখছিলাম তখন
সেই কালো সাদা খোপ খোপ বাক্স ওয়ালা ব্লাউস
একটা মেরুন রঙের শাড়ির সাথে কোনো ম্যাগাজিনের ছবি।
কার্তুজ ভর্তি একটা বন্দুক থেকে শব্দ হলো
ঢিসুম ,,ছিটকে পরলাম আরো নিচে ,আরো নিচে
আমার চারপাশে জোনাকি আর বাক্সবন্দী মুহূর্তরা।

নিজস্ব সেল্ফিতে তোর না বলা  চোখের এককোনে
একটা হালকা তিল  লেগে আছে।
তোর জোড়া ভ্রুর মাঝখানে সময়ের কালো তিল ,কালো টিপ
আর ঠোঁটে মিঠি মিহিদানা ,মিষ্টি ছুড়ি।
ফালা ,ফালা আমার বুক ,এমন করে হাসিস না
হৃদয়ে মাদল।
আমি ভূকম্পের মতন রিখটার স্কেলে বাড়তে থাকি
আর আরো নামতে থাকি নিচে।
তোর অস্তিত্ব বেয়ে সমস্ত অবয়বে ভাবনাররূপ
সমস্ত ক্লোজ ক্যামেরায় অন্য সকাল।

আমি তোকে দেখছিলাম তখন
সেই কালো সাদা খোপ খোপ পুরনো বাড়ির দেওয়ালে এক আশ্রয়
নিত্য পায়রার বাকুম বাকুম ,আসা যাওয়া সময়।
দরজায় অপেক্ষায় তোর চোখের কাজলে লুকোনো সময়
আরো ভালো ,আরো ভালো থাকতে চাই
কবিতা এই সময় ,অসময় তোর কামনায়। 

জান্তব সময়

জান্তব সময়
.............. ঋষি
=============================================
নিজের সাথে সময় কাটানোটা
একটা অদ্ভূত দর্শন নিজে কাছে ক্রমশ আয়নায়।
বেশ লাগে তোকে দেখতে মিষ্টির মতন
চ্যাট চ্যাটে একটা না ছাড়া ভাব লেগে থাকে আয়নায়।
আমার ভয় করে যদি আমি জন্তু হয়ে যায়
এক লাফে ছিঁড়ে ফেলি তোর বুকের গভীরে গোপন খিদে।


হাসছিস যে
আরে আমাকে ভয় পাবি তো একটু।
আরে কাছে আসিস না আর একটু তো ভয় কর
জানি তুই কোনদিন ভয় পাস নি সময়।
তোর বুকের পারদে জমে যাওয়া সময়ের বরফে
অনেকদিন খিদে শুয়ে হৃদয়ের মর্গে।
তবু তো ভয় পা আমাকে
আমি এক বিশাল জন্তু সময়ের মতন অন্ধকার দিনের।
সরিয়ে দেবো  তোর বুকের পর্দা
অন্ধকার থেকে নিয়ে আসবো এক রাশ বন্য গন্ধ তোর নিস্তব্ধতায়।
তুই পাগল হবি ,তুই আদর হবি
আরেকবার হেসে বলবি বেশ তো তুই আরো জান্তব হ।

নিজের সাথে সময় কাটানোটা
জীবিত বিছানার চাদরে কেমন এক আঁশটে বন্য গন্ধ সময়ের।
সময় যে তোর দেখা সাপের মতন বিষধর
অথচ তুই সেই বন্য দপ্তরের  রেস্কুই ম্যানেজারের ভূমিকায় সময়ের প্রেম।
সময় হাসছে আমার মতন জন্তুর মুখে তোর বুকে
আর তুই পরম তৃপ্তিতে আগলে রাখছিস আমাকে।

এত কথা

এত কথা
............... ঋষি
=======================================
এতকথা বলতে পারি না
রাস্তায় দাঁড়িয়ে সারা রাস্তায় সুসু করতে পারি না।
এত হিসেব রাখতে পারি না
দেশ আর পরস্ত্রীর পার্থক্য বুঝি না।
এত জ্বালা লিখতে পারি না
জীবন আর যন্ত্রণার নিয়ম বুঝি না।

একটা জীবনের খোঁজ করছি কোনো এসাইনমেন্ট  ছাড়া
একটা এনগেজমেন্ট বলা যায়।
যেখানে জীবনকে নিতান্ত সরলতায় ভালো রাখা যায়
পাতার পর পাতারা সব জীবিত কবিতায়।
নির্দিষ্ট অবয়বে ফুটে ওঠা প্রেমের ভূমিকায়
চলন্তিকা তোর বুকের ওমে পাহাড় দেখা যায়।
দেখা যায় সূর্যোদয়
ফুরিয়ে যাওয়া কবিতার মতন মৃতপ্রায় কবি।
মাথা রেখে নিভৃতে অনন্ত কবিতায় চলন্তিকা তোর বুকে
কোনো একদিন স্বপ্নের সকালে।

এত কথা বলতে পারি না
রাস্তায় দাঁড়িয়ে সকাল দেখি অথচ সূর্যোদয় কই ?
নিয়মকরে দিনের শেষে বাড়ি ফিরি
অথচ বাড়ির দেওয়ালে আমার মতন অন্য কেউ।
এত কল্পনা করতে পারি না
কল্পনারা বাড়ি বয়ে চলন্তিকাকে প্রপোজ করে বারংবার। 

টমাস এডিসনের আলো

টমাস এডিসনের আলো
................. ঋষি
===================================================
শুভ সন্ধ্যা বলার কিছুক্ষণ পর আমার শহরে
টমাস এডিসন পা দিলেন।
আলো জ্বলে উঠলো লোকবসতির অন্ধকার কোনে
আর বাকি অন্ধকারে আমি দাঁড়িয়ে দেখলাম
তার কাটা নিতাই  মিস্ত্রী নেশার চোখে পৃথিবী দেখছে
মুখে তার রাম নাম সত্য হ্যায়।

কিছুটা খই বাতাসে ছড়িয়ে কিছুটা ছড়িয়ে দিলাম সদ্য জন্মানো অন্ধকারে
নিতাই তুই কোথাই ,ও আমার নিতাই রে।
নিতায়ের মা কাঁদছে
ছড়িয়ে পড়ছেন টমাস এডিসন প্রতিটা শিরায় পৃথিবীর।
আর তখনি  মারা পড়লো নিতাই নেশার চোখে পৃথিবী দেখবে বলে
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আমার ইচ্ছা করছিল
প্রশ্ন করতে নিতাইকে
নিতাই শুনছো ,কেমন দেখছো পৃথিবী ?
নিতাই হাসছে ,নিতাই কাঁদছে ,ছড়িয়ে পড়ছে মৃত্যুর খই কারো  দুধে
বুঝলেন দাদা খুব খিদে
বুঝলেন দাদা ভীষণ খিদে।
টমাস এডিসন তখন আলো করছে
টমাস এডিসন তখন একের পর আলো জ্বালতে ব্যস্ত।

শুভ সন্ধ্যা  বলার কিছুক্ষণ পর আমার শহরে
টমাস এডিসন নোংরা বস্তি দেখছেন।
দেখছেন কাজরী আজও দাঁড়িয়ে নিতাই ফিরবে বলে দরজার গোড়ায়
চারচারটে সন্তান ,বুড়ো শ্বাশুড়ি ,আর এক নেশাক্ত মরদ।
ফিরছে না নিতাই আমি দেখছি অন্ধকার থেকে তার বউ অপেক্ষায়
আলো নিভলো খিদের শহরে ,কাজরীর বুকে অন্য মরদ।


Sunday, January 10, 2016

আমি তো মরে গেছি কবে

আমি তো মরে গেছি কবে
............. ঋষি
-----------------------------------------------------------------------------------
নাস্তিক আমি ধার্মিক নয় তাই না
ধর্ম কাকে বলে সাত পাঁকে বাঁধা নারীর যন্ত্রনাকে ।
শাঁখা সিন্দুর নিয়ে একুশ কোটি দেবতার গভীর স্তবকে
না নিজেকে ,নিজের হৃদয়কে।
যেখানে নিজস্ব আত্মায় নিজের পরিচয় বেজন্মা বলে আমাকে
আর মৃত্যু তুই আমাকে নাস্তিক বলবি।

আপাতত আর কিছু নয়
এই খানে রেখে দিলি বোঝাপড়া সময়ের হাতে।
আমি তো মরে গেছি কবে
যেদিন অহল্যার চিত্কারে কেঁপে উঠেছিল সময়ের ভিত।
যেদিন একরাশ পুস্প বৃষ্টি হয়েছিল বিজয়প্রাপ্ত  পান্ডবদের জন্য
যেদিন পঞ্চবটিতে নাক কেটে ঘুরে ফিরেছিল শূর্পনখা।
আমি তো মরে গেছি
তোর চোখের গভীরে রাখা কোনো না বলা কবিতা দেখে।
আর না বলা কবিতারা মৃত্যু সামিল
আমার যন্ত্রণা।

নাস্তিক আমি পবিত্র ধর্মগ্রন্থের কালো অন্ধকার
যেখানে কর্ণ দাঁড়িয়েছিল অর্জুনের দেওয়া মৃত্যুর সাথে।
সেই পুণ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে
আমি ঈশ্বর হয়ে যায় পুস্পবৃষ্টি করি।
মৃত্যু তুমি ভিত সেখানে কর্ণের বীরত্বের অদ্ভূত আহ্বানে
কে বদলাবে আমাকে সময়।

অনন্ত বার্তা

অনন্ত বার্তা
.............. ঋষি
=================================================

বড় আদরনীয় সময়
তোকে আমি আদর বলে ডাকবো ভেবেছি।
ভাঙ্গা চাঁদ মুখ থুবড়ে কাঁদুক
করুক গোসা আমার উপর
তবু তোকে আদর করবো ভেবেছি।

পৃথিবীতে সবটাই তো অ্যাবস্ট্রাক্ট কোনটার কি কোনো উপস্থিতি আছে
পৃথিবী নিজেই উপস্থিতি হারিয়ে আবর্তনে।
আর চাঁদ সেই মুখ ভার করে আকাশের গায়ে জ্যোত্স্নার চাদরে
কোনটা স্থির তবে।
চাঁদের অভিমান ,পৃথিবীর রাগ ,না এই পরম প্রিয় মুহূর্ত
যখন আমি তোকে আদর করবো ভেবেছি।
ভাবছি তোর কথা গুলো কবিতায় লিখে দেবো
স্পর্শের ছন্দে।
ছন্দবদ্ধ উপলব্ধি তোর প্রেম গভীর হৃদয়
কিছু আসে যায় না
সে চাঁদ রাগ করুক কিংবা পৃথিবীর আবর্তনে।

বড় আদরনীয় সময়
সময়ের মেঘ কুয়াসার চাদরের মতন আমাকে ঘিরে থাকে।
টুপ করে একটু ভিজিয়ে যাস তুই
কথাই কথাই বলিস
আমার প্রেম প্রিসিয়াস কোনো তাড়াহুড়ো নয়। 

অহংকার

অহংকার
.............. ঋষি
================================================
সর্বাঙ্গ সুন্দর কোনো রমনী দেখেছি আমি
কিন্তু এমনতর অহংকার।
চিতার আগুনে চিতোর থেকে চিত্রহার হতে পারে
অথচ মুখ তুলতে বাঁধে।
ঠিক যেন এক সুঁচ এফোঁড় ওফোঁড় হৃদয়
আপদকালীন ঘন্টি।

পাগলা খাবি কি ঝাঁঝেই মরে যাবি
অবাক হয়ে ভাবি কি ঝাঁঝ মাইরি পুরো লাল লঙ্কা।
অবাক হবেন প্লিজ
অনুভবকে লুকিয়ে রাখতে নেই যাচ্ছেতাই হবে।
যেমন হচ্ছে সকলের ঘরে ঘরে
ডিভোর্স ফাইল ,তারপর দেওয়া ফিনাইল হৃদয়ের ঘরে।
রমনী তুমি সর্বাঙ্গ সুন্দর হও
সুন্দর হোক তোমার পবিত্রতা ,তোমার ঈশ্বরের প্রতিকী।
তবে কি প্লিজ অহংকারী হও না
হও জীবিত হৃদয়।

সর্বাঙ্গ সুন্দর কোনো রমনী দেখেছি আমি
কিন্তু এমনতর তেজ।
রূপের আগুনে পুড়ে যায় হৃদয়ের লেজে লঙ্কা
আর শ্রীলঙ্কা ছত্রভঙ্গ ঝড়ে।
রমনী এলেন আমার হৃদয়ে শঙ্খ বাজাও ,উলু দেও
অহংকার সময়ের ঘরে। 

Saturday, January 9, 2016

শাশ্বত তোমার প্রেমে (১৪)

শাশ্বত তোমার প্রেমে (১৪)
................... ঋষি
=======================================================
শাশ্বত তোমার আমার আজ বিবাহবার্ষিকী
শেষ চোদ্দটা বছরে জানি না কবে তুমি শেষ আমাকে আদর করেছিলে।
দিয়েছিলে এক অধিকার স্ত্রীর ভূমিকায়
নিজকে বড় অনধিকার মনে হয় আজকাল।
মনে হয় ঠিক গঙ্গার পবিত্র জলের মতন বিষ
আমার শরীরে তোমার অধিকার।

শেষ চোদ্দটা বছর
রামের বনবাস নয় শাশ্বত যেখানে ফিরে আসা যায়
এ হলো এক অপরাধ
সমাজের নিয়মে তুমি আমাকে খুন করলে।
তুমি খুনি শ্বাশত
তোমার কোনো অধিকার ছিল না আমাকে নারীরূপে পাওয়ার।
তোমার যোগ্যতা বাজারী বেশ্যার বিলাস যাপন
আর তোমার অধিকার কোনো স্বার্থপর জন্তুর ভোগ।
তবু কেন জানি আমি জীবিত আছি
ঝরা পাতার পাড়ে চাবি বেঁধে গৃহিণী হয়েছি
মনের দৃষ্টি দিয়ে রচনা করেছি সৃষ্টির পূর্ণতা

শাশ্বত তোমার আমার আজ বিবাহবার্ষিকী
জানি না ঘ্যান ঘ্যান করে কথটা তোমাকে কত বার বলেছি।
আজও  আরেকবার বলতে ইচ্ছে হয়
আমাকে একবার মৃত্যু দিতে পারো।
তোমার  অধিকারে সস্তার শরীর ছেড়ে আমি প্রজাপতি হতে চাই
আগুন ও অন্ধকারের মিশেলে নীলচে আকাশকে ভালবাসতে চাই। 

এরা হোমোস্যাপিয়ান

হোমোস্যাপিয়ান
..................... ঋষি
=====================================================
আমার বুকে চাপ চাপ রক্ত
সময়ের মন্থনে উঠে আসা অস্তিত্ব সংকট মানুষ।
ধানক্ষেতে জলের মত প্রয়োজন বৃষ্টি
রক্ত স্নাত সময়ের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুষে নিচ্ছি  জীবন।
একে অপরের সাথে চুম্বনরত
বাড়তে থাকা হৃদয়ে বাঁচতে থাকার লোভ।

জীবন চুষছি ,চুষছি সময়ের ম্যাগাজিনের বুলেটের যন্ত্রণা
তবুও কোথাও কোনো পরিবর্তন নেই।
পরিবর্তন শব্দটা সভ্যতার বুকে ক্রমশ বিলোপের কান্না
আর কতদিন ,আর কতকাল
আমরা মনুষত্বের বদলে মানুষ মানুষ খেলবো।
আর কত সময় ,আর কটা জীবন
আমরা ধর্ষণ বলে ছুঁড়ে দেব কুমারীকে নতুন জন্ম বলে।
সময়ের ঘড়িতে টিক টিক
ক্রমশ পুড়তে থাকা অস্তিত্বের ঘরে পিপুফিসু সভ্যতা।
হাসতে পারছি না ,বলতে পারছি না ,মরতে পারছি না
শুধু মৃতের অভিনয়ে জীবন খুঁজে মরছি

আমার বুকে চাপ চাপ রক্ত
জানি না কবে এই ক্ষতের নিরাময় সম্ভব মানুষের ডিক্সানারীতে শান্তি।
স্বর্গের পারিজাত চুরি করে আর কত পারফিউমের গন্ধে
হাসাবো সময় চোখের কোনে নোনতায়।
আর কত মানুষের বিবর্তনকে মিউজিয়ামে দেখে সন্তানকে বলবে
এরা   হোমোস্যাপিয়ান। 

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...