Wednesday, September 30, 2015

একটা জীবন

একটা জীবন
..............  ঋষি
========================================
তোকে নিয়ে যে কবিতা লিখবো
সেখানে প্রেম বলে যদি কেউ আটকে থাকে
আমার কি দোষ।
জীবন থেকে বেঁচে যাওয়ার মানে
ঢালাও নিমন্ত্রণ
প্রতিদিন শেষ বেলায় আশার জীবন।

আমি তো শেষ থেকে শুরু করি
তোকে আমার বেশ লাগে।
কোনো বারন্দায় দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখিস তুই
খোলা বুক।
আর বুকের ভিতর আটকে ত্রিফলা
সমস্তটা শুষে নিয়ে।
একটা জীবন যদি এমন কেটে যায়
সময়ের সাথে।
চুপি চুপি
তোর পাশে লুকোনো অধিকারে।

তোকে নিয়ে কবিতা লিখবো
পাতায় পাতায় রঙিন আদুরে তুই
আমার প্রেম।
জীবন থেকে যদি সময় চলে যায়
এমন করে
প্রতিদিন শেষ বেলায় আমার স্বপ্নে তুই। 

Tuesday, September 29, 2015

বিন্দাস জীবন

বিন্দাস জীবন
................... ঋষি
=================================================
একটা স্পর্শ খুঁজে পাই
নোনতা একটা স্বাদ লেগে গেছে জিভে।
আমি তোকে খুঁড়ে তোর স্কেলিটনে আঁকবো জীবন
একবার ,একবার  ,
তুই যদি আমার হোস
সবটুকু না হয় পোড়া ছাই ,,আর কি বিন্দাস জীবন চাই।

বেশ এতটুকু রাখ
মধ্যরাতে আলপিন ঢুকে যাক বুকে তোর তলপেটে।
আজন্ম যন্ত্রণা
নতুন জন্ম প্রেম কোনো অভিষেকের মতন রুপোলি মোড়কে।
রাংতা ছেড়ে সে নিক যিশুর মুকুট
প্রার্থনা সে যেন কাঁটার হোক।
আর শরীর সে হোক জোত্স্নার মতন পরম প্রিয়
বিছানার চাদরে ভিজে যাওয়ার শোক।
আর ইচ্ছায় জাগুক না ঘুমোনো চোখে
প্রেমের মতন অঙ্গীকারে।

একটা স্পর্শ খুঁজে পাই
হারিয়ে যাওয়া রোমন্থনে ক্রমাগত সুখের আয়নায় নিজের মুখ।
চার দেওয়ালে আড়ালে রাখা যন্ত্রণা
মুক্ত হোক নীল আকাশ ,মুক্ত হোক জীবন ,আমৃত্যু সুখ।
যদি একবার তুই আমার হোস
তবে সবটুকু জীবন চাই ,,,তোর ঠোঁটে বিন্দাস কল্পনায়। 

আমার শহর (১২)

আমার শহর (১২)
........................ ঋষি
=================================================
সেই এক কল্পপরী
আমার শহরে ঘুম ঘুম ভাব।
ছেঁড়া চটি ,জ্যোত্স্না ছেঁড়া প্রিয় পাঞ্জাবি
গলার উপর তিলটা  একই রকম না বদলানো ভিক্টোরিয়া
আর বুকের জঙ্গলে জমে থাকা ময়দান।

বাইকে স্টার্ট ,
সমস্ত গিয়ার পেরিয়ে ওঠা  শহরের  মুখে নিষ্ঠুর হাসি।
ভাবনার শহর ছুঁয়ে ফেরিঘাটে জমতে জমতে থাকা তুলোটে মেঘ
ছলাত ছলাত গঙ্গা স্পর্শ করে  পায়ের পাতায় মূহুর্তর মতন।
সময় ছাড়ছে
শিয়ালদার মানুষ লোকাল যন্ত্রণার মুখোশ।
মানুষ কাঁদছে
দৌড়ে আসছে ইট ,কাঁদানো চোখের বারুদে জমতে থাকা হিংসা।
আমার সাদা পাতায় কবিতায় জীবন
নিজস্বি তুলে রাখি
নিজস্ব কায়দায় হাসতে থাকা মুখ।

সেই এক কল্পপরী
আমার শহর জুড়ে আসন্ন শীতের ওম।
ফ্যাসানে লোকানো শহরের বুকে পুরোদস্তুর জঙ্গল
আমার বুকের কাছে ফুসফুসে জমতে থাকা সিগারেটের ধোঁয়া
বুক খোলা পার্কস্ট্রিটে নেশার বাহানা ,,বেঁচে ফেরা।

নিজস্ব আয়নায়

নিজস্ব আয়নায়
.............. ঋষি
=========================================
হয়তো কেউ স্পর্শ করে নি কোনদিন আমাকে
আমার সারা জীবিত যাপনে যতটুকু।
সবটুকু সামাজিক
কিন্তু কেউ হয়তো ভালবাসে নি আমায়।
যেটা সমাজের স্বার্থে সাজানো অলংকার
আমি অলংকৃত অথচ ভিখারিনী।

বিছানার চাদরে বারংবার এগিয়ে আসে মাংসল থাবা
আমার জরায়ুতে জন্ম নেই ইচ্ছা।
প্রেম আমার শরীর বেয়ে
মরে যায়
বারংবার বেঁচে থাকার ঠেলায়।
আমি বারংবার নগ্ন হয় নিজের আয়নায়
আমার উরু বেয়ে আমার সিঁথেতে সমাজের রক্ত।
আমার জ্বলন্ত কামনায় সমাজের ছাই
আর জীবন
সেজে সাজানো গদ্যে নায়িকার মত ক্লিওপেট্রা।

হয়তো কেউ স্পর্শ করে নি কোনদিন আমাকে
আমার জীবিত ইচ্ছায় বাস করা প্রেম,
যে এখনো কুমারী রয়ে গেল।
আমার বুকের ভিতর স্মৃতিতে লোকানো প্রেমিকের মুখ
সেও কেন জানি একলা রয়ে গেল
আমার মতন কোথাও নিজস্ব ভাঙ্গা আয়নায়। 

অনন্য অধিকার

অনন্য অধিকার
................ ঋষি
========================================
দুরন্ত কিছু প্রশ্রয়
বিকেলের ফেলা রৌদ্রকে গায়ে মেখে একলা দাঁড়িয়ে।
কেউ চাই আমি হাসি জীবনের পথে
অথচ আমাকে ফালা ফালা করে
জীবন্ত হাস্য কৌতুক।

কি শুনতে চাই
জীবন থেকে পালাবার মুখ ,নকল হাসি,
কার্পন্য জীবনের ভালোলাগাটুকু আর ভালোবাসাবাসি।
বাসি পড়ে থাকা বিছানার চাদরে
উল্টো মুখ।
সাজানো আসবাবের দেরাজে রাখা শুকনো ফুল
মানুষের ভিতরে বাস করা অন্য মানুষ ,
আত্মাকে।
স্বাগত জীবনের কবিতার হৃদয়ে
অনন্য অধিকারে।

দুরন্ত কিছু প্রশ্রয়
শেষ বেলায় শুকনো চামড়ার আবছা আলো।
চশমার কাঁচে লেগে থাকা পাওয়ারের গায়ে জীবনের ঘাম
নির্ঘাত মৃত্যু থেকে ঘুরে দাঁড়ানো জীবন
শুনি তোমায়।

তবুও জীবিত আমি


তবুও জীবিত আমি 
................. ঋষি
===========================================
অন্ধকার নিয়ে শুরু করা পবিত্রতা 
সবাই বলে আলোয় এসো। 
আলো সেটা কি আমি বুঝিনি আমার জীবিত ফসিলে 
জীবন খুঁজছে পরিচয়ে আত্মা। 
আর জীবিতরা খোঁজে অন্তর্নিহিত দহন 
মনের ভিতর বদলানো আয়নায় নিজের মুখ। 

এইভাবে সময়ের সাথে 
দাঁড়ানো দূরত্বে জীবন খুঁজবে শাখাপ্রশাখাওয়ালা বিশাল গাছ। 
মাটির উঠোন ,খোলা দরজা ,জীবিত গৃহস্থ 
হাসিখুশি অনন্ত সমাজের ভেকে অসংখ্য পরিচয়। 
পরিচিত হারিয়ে যায় 
পরিচয় খুঁজে পায় জীবিত বাহানায় পথ চলা। 
মুখোশের দাম 
নিজস্ব বাজারী ফর্দে জমে থাকা মূল্যস্ফীতির অজানা মূল্য।


অন্ধকার নিয়ে শুরু করা পবিত্রতা
আমি অন্ধকারে নিজের মতন রান্না করি। 
শিক্ষার গিলোটিনে জমিয়ে রাখা কালিগুলোকে 
নিজস্ব মিক্সারে ফেলে নগ্ন করি সমাজের আলো। 
আমাকে অন্ধকার বলে ডাক ক্ষতি নেই 
তবুও জীবিত আমি। 

লুকোনো পাসওয়ার্ড

লুকোনো পাসওয়ার্ড
.......... ঋষি
======================================
তুই তো নেই সেখানে
তবু আমার পাসওয়ার্ডে কোথাই যেন তুই আছিস।
যেমন করে সকাল আসে
সন্ধ্যেতে বদলায় সময়ের প্রস্ফুরিত হাসি।
তারপর ঘুম তুই তোর মতন কোথাও
নিশ্চিন্তে শহরের কোনে।

আমি শহর বলতে বুঝি স্মৃতি
ডার্করুমে জমতে থাকা ছবিদের স্কেলিটনে।
অসংখ্য টুকরো টুকরো মুহূর্তরা হৃদয়ের কোনে
তোর হাসিমুখ।
গড়িয়ে নামা কাজলে ভিজে নোনতা মায়া
ছলছলে চোখ।
মুহূর্তরা জমতে থাকা চেতনায় নক্সী কাঁথায় সুঁচ সুতোর
একের পর এক ফোঁড়।
সময় কেটে যায়
কিন্তু  কেটে যাওয়া সময়ের পারে না ফোরানো  তুই।

তুই তো নেই সেখানে
তবু পুরনো ম্যাগাজিনের পাতায় তোর মতন কত।
বুলেটের বারুদে উদান্ত যৌবনের পাখি
আগুন জ্বলছে ,,ঝলসানো পাখিদের মাংস ,,শরীরে।
আমার শুকিয়ে যাওয়া ঠোঁটের কোথাও
তোর দাঁতের দাগ।

Sunday, September 27, 2015

এক পাগলামি

এক পাগলামি
............. ঋষি
==========================================
যাদের হারবার কথা ছিল
তারা আজকাল শিয়ালদা ফ্লাইওভারে।
ট্রেনের হুইসেল শোনে
সময় আসে ,সময় যায়,সময় বদল পরম্পরা।
ভাঙ্গা গড়া আর নতুন খেলা
এক পাগলামি।

জীবন  ব্যতিক্রমী  শব্দগুলো তুলোর মতন  হওয়ায় ভাসছে
ছিটকে আসা অনাহুত আহ্বানগুলো সব অসংবিধানিক।
আয়নার মুখ
দুহাতের ফাঁকে আটকে  থাকে সময়।
প্রেমের ঠোঁট বেয়ে পোশাকি নাম
মুখোশ।
লুকিয়ে যাওয়া সময়ের অদ্ভূত স্পৃহা
নিজের  মুখ অপরিচিত সংশয়ে
এক পাগলামি।

যাদের আজ হারাবার কথা ছিল
তারা আজ নতুন জন্ম গড়িয়াহাট ফ্লাইওভারের নিচে।
অসংখ্য যানের  আসা যাওয়া
পোড়া  পেট্রল ডিজেলের সাথে কালি  মাখা সারা গায়ে।
অজস্র  স্পন্দন
তারা আছে ,,, এক পাগলামি।  

অন্তরমহল


অন্তরমহল
............ ঋষি
===========================================
শিকড় বাকর সব একই আছে
ভাঙ্গা কার্নিস ,খিড়কির দরজা ,শেওলা ধরা পুকুর পাড়।
শুধু  সদ্য খোলা দরজার পাল্লাটা ভাঙ্গা
জানলার ঘুনে খাওয়া কপাটে  হওয়ার দুলুনি।
সব স্বাবাভিক
শুধু তুই ছাড়া বাড়ির অন্তরমহলে ।

কেতাবি কল্পনায় তুই নাকি শুকনো পাতা
গাছের গড়িয়ে নামা গন্ধে তুই মাটি মাখা।
আসলে কি জানিস
পথিক পথ খোঁজে।
জীবন ঠিক তেমনি বাঁচার গন্ধ বারংবার
তোর শুকিয়ে যাওয়া কাব্যে।
আধুনিকতা আছে ,সভ্যতা আছে ,আছে সম্পর্ক
কলমের গাছে সদ্য ফোঁটা  ফুল।
তুই নেই
তুই তো পড়ে  থাকা  পাতা পথের উপর কাদায় মাখা।

শিকড় বাকর সব একই আছে
ভাঙ্গা কথা ,কপাট ভাঙ্গা দরজা জানলায়  ফিসফিস কিছু।
কিন্তু কি জানিস সেখানে তুই নেই
তুই তো সোজা সড়কে  শিশির ভেজা আলাপন।
কিছুটা নরম ,পবিত্র  পুজোর ফুল
কিন্তু কি জানিস সব ফুলে পুজো হয় না। 

লুকোনো বেডশিট

লুকোনো  বেডশিট
................. ঋষি
====================================
আমি শরীর দেখি
দেখি লেপ্টে থাকা শাড়িতে  ভিজে তোকে।
আমার থার্মোমিটারে পারদ বাড়ে
বাড়ে  না আকাশে মেঘ।
এখানে বৃষ্টি হয় আমার শহরে
শহর ভেজা পচা দুর্গন্ধ শরীরের প্রতি ভাঁজে।

নিঃঝুম  কোনো দুপুরবেলা
শীতল বালিশটা  বুকে টেনে নি খুব কাছে।
আরো কাছে তোর শরীর শরীর গন্ধ
মনটা খুঁজি পাই না।
তাই আবার হারায় ঘুমের ঘোরে  পায়ে চলা ফোস্কায়
আমার শহরের তখন শোরগোল।
ব্যস্ত দোকানির ফর্দে জমতে থাকা লোভ
আমি তখন ক্লান্ত ঘুমে বুকের ভিতর।
আমার প্রেম হারানোর শোক
তাইতো আজকাল আমি শুধু শরীর দেখি।

আমি শরীর দেখি
দেখি শরীরের ভেজা হৃদপিন্ডের ধুকপুক।
শুনতে পারছিস আমার শহর  জুড়ে চিত্কার
এ  শহরে প্রেম নেই ,সব মায়া ,সব নকল।
এ শহরে কেউ জীবিত নয় ,সব সাজানো ,জবরদখল
শহর ভেজা প্রতি কোনে  লুকোনো বেডশিট। 

কাজল কালো চোখ

কাজল কালো চোখ
............... ঋষি
=============================================
চোখের কাজলে এক দিঘী  টলটল
কিছুটা ঐতিহাসিক মমতাজের চোখে দেখা তাজমহল।
সাত রঙা  কোনো রামধনুর কলা
আর চলা ,বলা।
কাজল কালো নয়নি তোর
প্রেম ছটফট।

প্রেমে ডুবি না আমি
আমি মধুলোভি কোনো বিষাক্ত কিট।
হুঙ্কার দি ,সমঝে যাও প্রেম হৃদয়ের ঘরে
সোজা একটা বুলেট হৃদয়ের  ভিতর আর না।
প্রেমের ডেডবডিটা রাস্তায় পরে জুলিয়েট কাব্যে
কিংবা সনাতন সিঁদুরের ফাঁকে।
বিছানার চাদরে চটকে ফেলা ঘামে
রজনীগন্ধার পচা গন্ধ।
আর না
প্লিস আর না প্রেম।

চোখের কাজলে এক দিঘী  টলটল
এগিয়ে যাওয়া শেওলা মৃত্যু আমাকে বলে কানে কানে।
আয় ডুবে যাই ,আয় আরো গভীরে
দমবন্ধ প্লিস ,একটু আয়ু দেও।
একবার ভেবে দেখি
তোর কাজল  কালো চোখ। 

Friday, September 25, 2015

ভালোবাসি কোনো শব্দ নয়

ভালোবাসি কোনো শব্দ নয়
............. ঋষি
====================================
ভালোবাসি একটা গন্ধ রেশ লেগে থাকে হৃদয়ে
নোনতা হৃদয় ,ভিজে ঠোঁট।
যখনতখন বৃষ্টি
ভিজে একরাশ সমস্ত অবয়বে
হৃদয়ের দাগ।

ঠোঁট ছুঁয়ে যায়
ছুঁয়ে যায় বিশ্বাসে বৃষ্টি ব্যাকুল একটা অনুভূতি।
নামতে চাই ,ঠিক শাওয়ার বেয়ে
সারা শরীরে মিষ্টি গন্ধ।
চুপ
কোনো শব্দ নয়।
ফিসফিস
এ হৃদয়  এক গুচ্ছ গোলাপের ফুল।
সবটুকু শুষে নেব
নিঃস্ব  তুই।

ভালোবাসি একটা গন্ধের রেশ লেগে থাকা হৃদয়
বৃষ্টি আসছে ,মেঘ বেলা।
ঘনঘটা
চিরে যাওয়া বুক বিদ্যুতের অছিলায়
খুব কাছে। 

অনুবাদ বিশ্ব

অনুবাদ বিশ্ব
............. ঋষি
=============================================
অনুবাদ করবো তোমায়
পোড়া মৃতদেহ খুলছে না শ্মশানের দরজা।
পোড়া  সভ্যতা খুলছে ঈশ্বরের সময়
মন্দির। মসজিদ। ঈশ্বরের দরজায় সেই পাগলীটা দাঁড়িয়ে।
ব্যাথার হাত ধরে সহজপাঠ সভ্যতা
নিতান্ত অজানা সফরে।

জন্ম নেব আবার
আমার মায়ের শরীরে মাটির গন্ধ।
আমার দেশজ পতাকায় কেমন একটা ঝিম ধরা ভাব
হে বিশ্ব ,তুমি আমার মা হবে।
হে বঙ্গ ,তুমি আবারও  হবে আমার জন্মদাত্রী
নিজের মানচিত্রে আটকানো অসংখ্য পীড়নের  সুঁচ  সর্বত্র।
স্বাধীনতা যেখানে ক্রমাগত ভেকবদল
রক্ত বীজের ঝারে  উন্মুক্ত নর্দমায় কোনো  বেজন্মা সদ্যজন্মানো।
আমার সারা শরীরে কাদা
আমার কপালে লেখা আমার দেশজ ঈশ্বর।
আমার চারপাশে ব্যারিকেট  দেওয়া মানচিত্র আটকানো
মুক্ত করো  আমায়।

অনুবাদ করবো  তোমায়
হে বঙ্গ তোমার দেশজ জন্মকে আরো উন্মুক্ত করবো বিশ্বে।
মানবো  না ব্যবধান  কোনো  শক্তিশালী ঈশ্বরের
কোনো ধর্মের ,কোনো জাতের ,কোনো ফ্যাসান সভ্যতার।
সারা বিশ্ব জুড়ে  ঈশ্বরের দরজায় ঘন্টায় ক্রমাগত আঘাত করবো
মানবিকতা ,স্নেহ ,প্রেম আর শিক্ষার আঙ্গিনায়। 

Thursday, September 24, 2015

অনন্য বনলতা

অনন্য বনলতা
............... ঋষি
================================================
নিজস্ব সেল্ফিকে যদি বলো
সখী  ভালোবাসা  করে কয়।
আসলে জীবন যে একা থাকার ভয়
বিনিময়।
ধ্রিমি তালে এগিয়ে যাওয়া মৃত্যুর  পরম্পরা
সম্পর্ক জন্মের নামে ।

এ  কি দৃশ্য দেখি বন্য ,,এ  যে অন্য ,,এ অনন্য
মুগ্ধ কবিতার মতন কালো চুলের স্বপ্ন।
ঠোঁটে  লাগানো লিপস্টিকে লাল শব্দের মিশ্রনে তৈরী  পাগলপারা
ঘুম আসছে না আজ।
ক্রিং ক্রিং মুঠোফোন বাজলো
কে যেন ,সে যেন ,স্বপ্ন পরী।
ওড়া উড়ি
ভাঙ্গা বাউলের সুরে সেই পপুলার রিমেকের গান।
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়।

নিজের সেল্ফিকে যদি বলো
সখী ভাবনা কাহারে বলে।
আমার আঙ্গুলের টাইপের  স্পিডে দুরন্ত ঝড়
কবিতা আসছে বনলতা সেন নিজস্ব ভঙ্গিমায়।
জীবনানন্দ ক্লোস্ড ক্যামেরায় ভাবছেন
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা। 

অপেক্ষার বৃষ্টি

অপেক্ষার বৃষ্টি
............... ঋষি
===========================================
অপেক্ষার কুরবানি  যদি  চাস
শোন  আকাশ আজ তুমুল বৃষ্টি হোক।
নির্ভিক যন্ত্রণা বুকে মেঘেদের কলরব
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে।
একটা মেয়ে ভিজছে  একা ,,ভীষণ  একা
জীবন দেবো  মেপে।

ক্রমশ প্রগতীর  দিকে
এগিয়ে যাওয়া জীবনের হুঙ্কার।
কলমের কালি  রক্ত গঙ্গার মতন সাদা পাতায়
শুকনো রজনীগন্ধা বারংবার ফিরে যায়।
প্রেম চাই
প্রেম দেও।
সে কি ঔরসজাত জন্মের মতন পুজোর ফুল
বোবা ঈশ্বরের পায়ে প্রনতি।
না জানা যন্ত্রণা
ও মেয়ে বৃষ্টি আসছে রে মন্দির গুছিয়ে রাখ নিজের ভিতর
মনের ভিতর।

অপেক্ষার কুরবানী যদি চাস
তবে শোন  আকাশ আজ বৃষ্টি আসবে।
নির্ভিক বুক চিরে বিদ্যুত বয়ে যাবে বহুদূর
মেয়েটা দাঁড়িয়ে কোনো ছায়ার আড়ালে ,,, একাকী।
শোন  মেয়ে আমি আছি তোর  অভিমানে ,আমার কলমে
জীবন্ত কোনো বৃষ্টির শব্দে। 

মায়াজাল

মায়াজাল
........... ঋষি
=========================================
স্বপ্নের ভেতর খেয়াঘাটেবসে থাকি
ছায়াতলে ভেসে ওঠে মরিচিকা নিত্য অবয়বে তুমি।
হাজারো অস্ফালোনোর  মাঝে ,
বেঁচে থাকার চিত্কার।
এক একটা নাম ,মুখের অবয়বে লোকানো চিতার দাঁত
হাতের নখে তোমার নেলপালিশ।

সাজাতে ভালো লাগে নিজের মতন
সরে যাওয়া মন্তাজের অসংখ্য কাঁচ ভাঙ্গা আবেদন।
প্রেম নাকি সমুদ্র মন্থনে উঠে আসা মৃত্যু
মহাকাল নাচে।
সময় উলঙ্গ ভিখিরীর  মতন তোমার কলঙ্কে
দাগ টানে।
আকাশের  চাঁদ
ঝরতে থাকে জ্যোত্স্না অবুঝ এ  বেলায়।
পুরনো প্রেমিকার মুখ
ভাঙ্গা কাঁচের সম্পর্কে চোখের জল
হৃদয়ের রক্ত।

ধরতে পারি না
ছায়াতলে ভেসে ওঠা অবয়বে  মায়াবী রূপ।
কস্তুরী হরিনের সুগন্ধ ছড়ানো  এক পেয়ালা প্রেম
নেশা হয়,,, চিত্কার।
ভাঙ্গা চোখে দেখা প্রেমের রূপ নগ্ন শরীরে
একলা দাঁড়িয়ে ভিজে জ্যোত্স্নায়। 

অসুখী নাগরিক

অসুখী নাগরিক
......................ঋষি
===============================================
সুখী দেশের খুনির মতন
আমার শক্ত চোয়াল জুড়ে শুধু গড়িয়ে নামা  রক্ত।
বুলেটের প্রয়োজন নেই ,প্রয়োজন নেই কোনো নামী অস্ত্রের
এর  নাম পৃথিবী।
সুখী দেশের অসুখী নাগরিকদের  খুব ছোট দেশ
আরো ছোটো  দেশজ মনের রোগের নাম বাঁচা।

অসুখ আর নিম্নকোটির মুখগুলো সব ব্রণময়
আজকাল আমার ঈশ্বরকে দেখতে ইচ্ছে হয়।
নগ্ন শরীরে ঈশ্বর ভিক্ষুকের মতন দাঁড়াক
শরীরটা যেন বেশ্যার মতন বিকোয়।
মানুষের রক্তাক্ত যোনির  মতন জন্ম হোক যন্ত্রণা সেখানে
বেঁচে থাকা রোজ।
বেঁচে থাকা রোগ
কোনো অকুতভয় যুবকের বুকে জ্বলতে থাকা আগুন কর্মহীনতা।
কোনো মায়ের বুকের সন্তান হারাবার  বেদনা
কোনো নারীর বুকে না বলা কথা।
ঈশ্বর বুঝুক  রাস্তার পুরনো গ্রামাফোনে
রঙচটা শহরের কার্নিশভাঙ্গা বাড়িগুলোর মতন
একলা থাকার শোকে ।

সুখী দেশের খুনির মতন
আমার চোয়াল জুড়ে গড়িয়ে নামা খুনের রক্ত।
খুন করতে ইচ্ছে হয় একটা ভন্ড ,স্বার্থপর মুখোশকে
একটা গোটা  দেশের নগ্নতাকে নগ্ন করতে ইচ্ছে হয়।
ঈশ্বর বিকোচ্ছে ,বিকোচ্ছে  ভাবনা ,বিকোচ্ছে  চেতনা
আমার খুনি মস্তিষ্কের   নিউরনে মৃত শব। 

তুমি জানো

তুমি জানো
.............. ঋষি
========================================
তুমি ঠিক বলেছো
ওরা  জানে না প্রেম কাকে বলে।
সুতোগুলো জুড়ে দিয়ে গিঁট বাঁধি
স্নায়ুগুলো  জুড়ে শুধু তুমি আর তুমি।
মেঘমল্লারে ভীমসেনের  তাল
অদ্ভূত  গম্ভীর সমুদ্রের মতন।

নিরুদ্রপ  বিকেলের রকে  বসে বিন্দাস মেয়ে দেখা
স্কুল ছুটি রাস্তায় সাইকেলের ক্রিং ক্রিং।
ভালো লাগে তুমি হাসলে
ভালো লাগে তুমি গাইলে।
খোলা চুলে  রবিঠাকুরের গান
 ফাগুন হাওয়ায়  হাওয়ায়  করেছি যে দান।
বা দিকে ঠোঁটে তোমার গড়িয়ে যাওয়া বিকেল
আমার হৃদয়ে  রৌদ্র বোবা তৃষ্ণা।
সারা ফুটপাথ জুড়ে ,
সারা শহর জুড়ে আসন্ন শীতের ওম।
আমার বাহু  ঘেঁষা তুমি ঠোঁটের নোনতায়
একে কি প্রেম বলে।

সময় চলে গেছে
শোনা যায়  চামড়ার ভাঁজে ডুগডুগি।
সুতোর গিঁটগুলো কখন যেন পেঁচিয়ে একসার
স্নায়ুমন্ডল জুড়ে  আজও তুমি তুমি।
একেই তো প্রেম বলে
সময়ের সাথে না ফরোনো চুপচাপ ফিসফিস। 

আমদানি তুমি


আমদানি তুমি
....................ঋষি
=======================================
স্প্যানিশ আমি বলতে পারি না
কিন্তু তোমাকে চিনি আমি সুন্দরীরূপে।
তোমার কটা  চোখের রঙে  কালো প্রদীপের কালি
আমি জানি।
জীবন থেকে ফেলে আসা মুহুর্তদের সড়কে
হাজার জীবন ,,,,,,আমি আমদানি।

তোমার সরু কোমরের একটু এগিয়ে
বাদিকে গলি।
আমি  চলি  আর চলি
তোমার গলার কাছে একটা কালো তিল।
আমার হৃদয়ে রাখা এই বেসহারা  দিল
তোমার জন্য।
চাই যে সাহারা
প্লিস সেই মরুভূমি নয় ,
এ  যে প্রেম বাঁধন  হারা।

স্প্যানিশ আমি বলতে পারি না
তবে তুমি বলো  আমি তোমার ভাষায় শুনি।
তোমার ওই মিষ্টি  হাসির ছটায়
আমি জানি।
জীবন থেকে চলে যাওয়া মুহুর্তদের সড়কে
তুমিও যাবে চলে ,,,একবার ভাবো  তুমি আমার হলে।

আমার উর্মি ম্যাডাম

আমার উর্মি ম্যাডাম 
............... ঋষি 
================================================
তোমাকে দেখে আমার উর্মি ম্যাডামের কথা মনে পরে 
অদ্ভূত একটা ভয়ংকর চাহুনি ছিল চোখের ভাঁজে। 
লুকোনো শব্দের মতন কিছু ছিল 
সমস্ত অবয়বে ফুটে উঠতো  অদ্ভূত স্পৃহা। 
আমি ভয় পেতাম তার  ভূগোলের ভাঁজকে  
আর ম্যাডাম হয়তো  আমাকে। 

তুমি আমাকে ভয় পাওনা জানি 
চারআনার মুড়ি আর আটআনার তেলেভাজা সহ  স্কুলের টিফিন। 
ম্যাডাম তখন টিচার্সরুমে আমার প্লাবনে 
ক্লাস এইটের স্টুডেন্ট এমন বাঁদর । 
আর আমি হাসছি রেলিঙে  বসে ম্যাডামের প্রেমে 
সময় বদলেছে। 
বদলেছে জীবনের এসবেস্টারের  চাপানো কালো পিচ রং 
ম্যাডামের গন্ধটা পাইনি বহুদিন হলো। 
আজ আবার বছর কুড়ি পর সেই স্কুলের মোড়ে 
তেলেভাজা  বুড়ির দোকানে 
আমার উর্মি ম্যাডাম। 

তোমাকে দেখে আমার উর্মি ম্যাডামের কথা মনে পরে 
প্রথম এক টেনে চড়  আমার গালে 
বাজে বখাটে ছেলে ,তখন আমি ক্লাস টেনে ।
সব বদলে যায় ,যেমন সময়
আবার আমি আর আমার উর্মি ম্যাডাম আমার মনে 
টেনে চড়  তোমাকে আজ ,, I  AM  BUSY । 

Wednesday, September 23, 2015

অগোছালো সময়

অগোছালো সময়
........... ঋষি
==============================================
এখন তুই তুই নেই
আমি যে তুই কে চিনি সেই সোজা চ্যাপ্টা হাসি।
বুকের ফাঁকে উঁকি মারা ইচ্ছেগুলো
খোলা আকাশ।
জানলা আর এক মাথা চুল
সেই আমার আমিকে।

এই যে তোর বারান্দা  দিয়ে আকাশ দেখা যায়
আমার বারান্দা ঢাকা সিগারেটের ধোঁয়ায়।
সিগারেটের গোল রিঙে তোর মুখ
কেমন একটা এবরোখেবড়ো সম্পর্ক জুড়ে রাশি রাশি পাহাড়।
রূপের ঝরনা
সকাল হয় জ্যোত্স্না হারায়।
আবার একটা অন্য দিন
আমার তুমি আমার মাঝে।
একলা শহরের পথেঘাটে
বিদীর্ণ আদলে
অন্য শহর।

এখন তুই তুই নেই
আমি যে তুই কে চিনি সেই পাগলপারা চোখ।
বুকের আগুনে পুড়তে থাকা সময়ের গুন
সব শুকোয়।
জানলা খোলা বদলানো বয়েসকাট
আর অগোছালো আমি। 

তোর খোঁজে

তোর খোঁজে
........... ঋষি
===============================================
কেমন আছিস এমন কুয়াসা দিনে
জানিস আমার এখানে আজও বৃষ্টি হচ্ছে।
সময়ের শহরে শুয়ে থাকা মুহুর্তদের ভিড়ে কফিকাপ
চেনা কফি কর্নারের কাঁচে আজ ভ্যাপসা ছায়া।
সেই ছায়ায় কোথাও
হয়তবা আমার হৃদয় গর্ভে বৃষ্টির নাম।

 নিতান্ত গ্লিসারিন ছেটানো সকালের রৌদ্র
নিঃশেষ টুকু না হয় মুঠোয় তুলে আদরে মেঘের কোলে প্রেম ।
এমন কুয়াসা ,এমন আদরে
কোথাও তুই।

জানিস এখানেও আজকাল যখনতখন ঝড়
উবড়ে ফেলা গাছগুলোর গভীর শিকড়ে হারানোর শোক।
কিছুটা মিশ্র প্লাবন যদি থাকে তোর খোঁজে
সেই দস্তানা পরা বরফের দেশে।
হাজার ডেসিবেলের চিত্কার অজানা
অকারণে বৃষ্টি আমার শহরে। 

মরুভূমির ক্যাকটাস


মরুভূমির ক্যাকটাস 
................ ঋষি
========================================
কিছুটা তৃষ্ণা নিয়ে মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে 
হাত বাড়িয়ে জীবনের নাম। 
ক্রমশ জটিল হয়ে যাওয়া সম্পর্ক ঘোর
চুপচাপ বৃষ্টি খালি পায়ে। 
মেঘের গায়ে 
ঘামের গন্ধ পোড়া বালি আর পোড়া খালি। 

তোর নাভির গন্ধে 
কীটপতঙ্গ নির্যাস জিভ বের করা ক্যাকটাস। 
আমার কিছুটা আতংক 
খানিক হারিয়ে যাওয়ার ভয় মেঘের বাড়ি। 
চুপচাপ নিঝুম রঙের কোনো সপ্ন পরীর বুকে 
মুখ ঘষি,মিষ্টি গন্ধ ,নিঃশ্বাস বন্ধ। 
তুই যদি পরী হোস
আমি তবে তৃষ্ণা নামা জিভ বের করা সমাজ। 
শরীরের রং বদলায়
অথচ তোর অবয়বে কল্পনার রং। 

কিছুটা তৃষ্ণা নিয়ে মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে 
হাত বাড়িয়ে জীবনের রং। 
মশগুল কল্পনার শব্দের বাড়িঘর ,বিশ্বাস ,আশ্বাস 
তোর ঘন হয়ে ওঠা  নিঃশ্বাস।
চুপ খালি 
মরুভূমির তৃষ্ণা বুকের ক্যাকটাসে পরম  প্রেম। 

ক্রমাগত তুমি


ক্রমাগত তুমি 
................ ঋষি
================================================
ব্যর্থতা আমার 
তুমি বুঝতে পারলে না তাই। 
সামাজিক ক্রিয়াকর্মের বাইরে যে আকাশ জীবন 
সেখানে কিছু একটা থাকে। 
তারাদের মতন অনেক দূরে ,না বলতে পাওয়া 
একগোছা তারা ঝরা। 

আমাকে নিশ্চিন্তে মরতে দেওয়া 
এই অন্ধকারে। 
চারিদিকে এগিয়ে আসা গিজগিজে সাজানো সভ্যতার শব্দ 
আমার অসহ্য লাগে। 
কোনো  ম্যাগাজিনে সদ্য খুঁজে পাওয়া তরুণী শরীরের গন্ধ 
মাংস ,উত্তাল নরম উন্মাদনাকে,
আমার কেন জানি সাজানো মনে হয়। 
মনে হয় সর্বত্র ছড়িয়ে অসংখ্য টানাপোড়েন
ভাঙ্গা চোরা ধ্বংস স্তুপে অনবরত বাসি রক্তের গন্ধ। 
তোমার মুখ 
জীবনের মুখ 
আমি স্পষ্ট দেখতে পাই। 

ব্যর্থতা আমার 
তোমাকে বোঝাতে পারলাম না তাই। 
একের পর ২৬/১১ ঘটে যাওয়া বুকের পাটাতনে 
মালভূমিরূপ ক্রমশ মরুভূমি। 
যেখানে একটা লুকোনো উত্তাপ থাকে তৃষ্ণার মতন 
তোমার ঠোঁটের ননতায় রাখা সমাজ। 

সভ্যতার শিরা


সভ্যতার শিরা 
............. ঋষি
=================================================

যন্ত্রণা কই ,যন্ত্রণা কই
অকাল শ্রাবন আরো গভীরে মানুষের অন্তরে। 
বুকের স্রাবগুলো সব নোংরা পাঁক 
সম্পর্ক ,জুড়ে থাকা রোগ। 
ক্রমাগত বাঁচতে চাওয়া জীবন তোমার সাথে 
তোমার পাশে। 

এই ভাবে বলতে গেলে ইতিহাস 
সম্রাট শাজাহানের হাতে পাথরের ফুল তাজমহল। 
প্রেমিকা নাকি জন্ম থেকে বন্দী 
প্রেম নাকি মহা উড়নচন্ডি। 
প্রেম কই ,প্রেম কই ,প্রেম কই
শরীর থেকে শরীরে বারুদের আগুন। 
এগিয়ে যাওয়া সভ্যতার চোখে জেট প্লাস স্পিড 
ক্রমাগত মুখথুবড়ে সভ্যতা  শরীরে ঘামে। 
ঘামের রক্তে 
আরো নেমে তলিয়ে 
মানুষের তলপেটে জন্ম শরীরের হরমোন সভ্যতায় । 

যন্ত্রণা কই,যন্ত্রণা কই
মানুষ হলো যন্ত্রণার  অন্য নাম। 
হাজারো প্রাচীন মানসিক বিকারে মানুষ অগ্রশীল 
চাকা ,আগুন ,প্রেম ,খিদে। 
সব বেড়েই চলছে ক্রমাগত তবু 
ভন্ডামি আর নষ্টামি সভ্যতার শিরায়।

কবিতার জন্য

কবিতার জন্য
................ ঋষি
=============================================
এখান থেকে শব্দ তৈরী হয়
শব্দের সাজঘরে সাজ ,সাজরব।
যুদ্ধের হুইসেলে রোজকার বেঁচে ফেরা
বাজারী ফর্দে জীবন পঞ্জিকায় বাঁচার কারণ।
সবটাই ট্রামে ,বাসে ,রিক্সায়
লুটোপুটি খায় প্রেমিকা রৌদ্রের মতন।

আমি পুড়তে ভালোবাসি
আর ভিতর ভিতর তোমাকে পোড়াতে আরো বেশি।
সব শব্দরা যখন জ্বলন্ত লাভার মতন আমার রুক্ষ বুকে মুখ ঘষে
জন্ম নেয় প্রেম।
এক সোহাগী উষ্ণতা তোমার মতন
কবিতা।

আমি জানি তুমি কোনো নারীর মতন তরল
তোমার নেশার চোখে লেগে আছে হাজার স্বপ্ন পথিকের।
তোমার নাভির থেকে জন্ম নেওয়া পুজোর ফুল
কোনো ঈশ্বরের আরতিতে ,
পবিত্রতা।
নিসংকোচে বলতে পারি ভালোবাসি তোমায়।

এখান থেকে শব্দ তৈরী হয়
শব্দগুলো কখনো যন্ত্রণার ,কখনো আনন্দের ,কখনো জীবনের।
অথচ তোমায় ছাড়া অন্ধকার চারিধার
আমি দু হাতে আগলাতে থাকি তোমায়।
আসলে বাঁচতে চাই
তোমার গভীরে কবিতা।

ক্রমাগত বাঁচা

ক্রমাগত বাঁচা
..................... ঋষি
===========================================
বাঁচি বাঁচি বাঁচি
কতটুকু বাঁচি এই ধুলোর পৃথিবীতে।
বাড়ানো হাত শাখা প্রশাখার মতন অদ্ভূত জড়ানো প্যাঁচ
একের পর এক ক্রমশ ক্লোস্ড।
কোনো অজানা চোখ
জানিস না ভয় লাগে বাঁচতে একলা অসময়।

সবাই কবিতা বলে
আমি বলে যন্ত্রণা জড়িয়ে নামা ক্রমাগত নোনা হাওয়া।
যুগের হাওয়া ,পাপের হাওয়া
গা ভাসাও ,ভেসে যাও ,শরীর শুধু।
ক্রমাগত অশরীর
ঠান্ডা ,বরফ নামা থেকে একটা শীতল পৃথিবী।
ভয় করে পরিচয় খুঁজতে
সম্পর্ক খুঁজতে।
জীবন খুঁজতে
নিজের মাঝে অন্য পৃথিবী।

বাঁচি ,বাঁচি ,বাঁচি
কতটুকু বাঁচি সারা জীবনে পোড়া পোড়া দাগ।
এ সমাজ ,এ চলন্ত ট্রেনের কামরা
কাটতে থাকা পিছনে সার দেওয়া সাজানো মুখ।
ব্যারিকেট দেওয়া জীবনের লাইনে বাঁচার সুখ
দাঁড়ি ,কমা সমেত একটা জীবন। 

ভুল কারে কয়


ভুল কারে কয় 
.............. ঋষি
============================================
ভুলটা কি 
নিজের শব্দকোষে গড়িয়ে নামা মুহুর্তগুলো। 
মানুষ ভুল করে 
ইশ্বর দাঁড়িয়ে দেখেনে অন্তরগর্ভের ক্ষতগুলো। 
পঙ্কিল অন্ধকার থেকে সৃষ্ট লালাগুলো 
গড়িয়ে নামে শরীর বেয়ে অন্তরে  
ক্রমাগত রক্তপাত ,বীর্যপাত ,থুথু আরো কত বাঁচা। 

মানুষের মাঝে ইশ্বর 
প্রাচীন ছলনার দেওয়ালে অর্বাচীন কোনো যুক্তি তর্ক গল্প। 
মানুষের হিংস্র নখে লেগে আছে মানুষের রক্ত 
মানুষের লোভি চোখে ক্রমাগত বাড়তে থাকা রক্তচাপ।
গড়িয়ে পরছে রক্ত ,তলপেটে ব্যাথা
এই মাত্র জন্ম হলো ঈশ্বরের। 
পঙ্কিল পাঁকে ইশ্বরের চোখ 
মানুষের মতন। 
লোভি কোনো জানোয়ারের রোমন্থন 
মানুষ ও মনুষত্বের বিকৃতি। 

ভুলটা কি 
পাঁচ বছরের কোনো মেয়ের ধর্ষণ। 
ঢুকে যাওয়া বুলেট ক্রমাগর বিপ্লবের গায়ে 
কোনো বৃদ্ধ মানুষের ঘরছাড়া পৃথিবী।
কিংবা কোনো ভিখিরি পাগলিনীর গর্ভে দশ মাস 
ভুল কোনটা 
মানুষের বুকে আটকে থাকা পচা আত্মশ্লাঘা মনুষত্ব। 

একলা খালি

একলা খালি
.................. ঋষি
====================================
এরা কথা বলে না
শব্দের জটিলতায় শব্দ খোঁজে নিস্বার্থতায়।
কিন্তু
সবাই তো আর জীবিত নয়।
যেমন জীবন ,জীবনের আয়নায় জীবিত রূপ
এরা কথা বলতে ডরায়।

এদের ঘরের কোনে লোকানো শুকনো চোখে বালি
হাজারো বিচার ,হাজারো আছার খালি।
জীবন থেকে সময় চলে যায়
আর শুধু জীবিত ভেবে যায়।
ভাঙ্গা আয়নায়
কাঁচের ঘর ,আরো খুচরো সমাজে।
 লুকিয়ে থেকে যায়
এরা কথা বলে না কেন।

এরা কথা বলে না
শব্দের জটিলতায় খুচরো খোঁজে বোবা পাতায়।
কিন্তু
কলমের সুর জন্মের গায়ে।
শোনা যায় পদশব্দ
এরা শুধু একলা থাকে খালি। 

Tuesday, September 22, 2015

অকাল শ্রাবন

অকাল শ্রাবন
.............. ঋষি
========================================
ঠিক বলেছিস ওই মেয়েটা তুই না
তোর মতন কেউ আমার ঠোঁট ছুঁয়ে আমার বুকে।
তুই হতে পারিস না
তুই হবি না কখনো।
কারণ তুই এক নিঃশ্বাসে ভালোবাসতে পারিস না
আমার মতন ইচ্ছা ঘোরে।


যেদিন আমার কবিতারা তোকে ছুঁয়ে
তোর বিছানার চাদর।
যেদিন কবিতারা তোর স্নানের ঘরে শাওয়ারের জল
সেদিন দেখবি আকাশে নক্ষত্রে নতুন জন্ম আসবে।
সে জন্মে কোনো দুঃখ নেই
নেই কোনো জমানো অভিমান অনিচ্ছার মতন।
সবটুকু মায়া ,স্নেহ ,প্রেম বুকের মাঝে
বুকের রাজদরবারে বসে সারেঙ্গী সহ প্রেম ধুন গাইবে।
সেদিন বুঝবি আমি আছি কাছে
তোর পাশে ,খুব কাছে।

ওই মেয়েটা তুই না ,তুই হতে পারিস না
আমার কবিতায় যদি আকাশ জুড়ে মেঘ না করে।
আমার কবিতায় যদি অকাল সময়ে বৃষ্টি না পরে
তবে বুঝিস আমি নেই তোর কাছে।
যেমন জীবন থাকে হৃতপিন্ডে চুম্বকের মতন
নিস্তব্ধ অথচ চলমান। 

জানলার গরাদ


জানলার গরাদ 
................... ঋষি
============================================
ভালো লাগা সময়টুকু বলতে পারি 
সবার একটা জানলা আছে বুকের ভিতর। 
জানলার গরাদে মোটা লোহার বিমগুলো কখনো পুরনো হয় না 
আসলে পুরনো হয়ে জং ধরে বিমগুলো প্রাচীয়নতায়। 
তবে বন্দী এই শব্দটা ভাঙ্গে না  
আর জানলার বাইরে খোলা আকাশ ,,,মুক্তি। 


এমনি মুক্তি চেয়েছিলাম আমার নীল আকাশে
পুরণো ডায়রির  পাতায় শৈশবের দিন। 
খোলা আকাশে ঘুরি 
উড়ি,,,, উড়ি ,,, উড়ি। 
হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের ঘরে স্যাক্সোফোন 
নিয়ম মাফিক ডাক   .
ভাঙ্গা সাতসুর সাধা হারমুনিয়ামের সৃষ্টিহীন চঞ্চলতা 
শব্দ হয়ে যায় ,বেঘোরে বেজে যায়। 
চর্বিত চর্বন 
চার দেওয়ালের মাঝে বাঁধা সবার জীবন। 

পক্ষীরাজ আসছে তার উপর স্বপ্নের পুরুষ কোনো 
মন হাওয়ায় হাওয়া করেছি দান। 
কোনো সিনেমার প্রেক্ষাগৃহে পপকর্নের সাথে প্রেমিকার ঠোঁট 
গরম কফির সাথে প্রেমিকার নাভি। 
ইশ ছি ছি ছি ,,, সত্যি আরো কদর্য 
যেমন জীবন জানলার গরাদের অন্তরায়। 

ছেঁড়া সুতো

ছেঁড়া সুতো
.................. ঋষি
==================================================
জীবনের দিকে পা বাড়াই
কেমন একটা চিনচিনে ব্যাথা ছুঁয়ে যায়।
শিরা উপশিরা ছুঁয়ে
শেষ না  হওয়া বোবা পাতায় তৃষ্ণাগুলো কাঁদতে থাকে।
অনবরত ,অবিরত
প্রশ্ন চিন্হ বেঁচে থাকা জীবন।

সেদিনকার সন্ধ্যেটা বোধহয় ঈশ্বরের ডিলিট বাটনে লাগানো সম্পর্ক
ডিলিট হয় না কিছুতেই সময়ের মুখ।
শেষ দেখা কোনো কফিকর্নারে প্রেমিকার ঠোঁট
ছুঁয়ে যাওয়া কোনো ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে উষ্ণতার চুমু।
সবটাই কাব্যিক কোনো গ্রন্থের মতন রোমান্টিক
ভীষণ পরিচিত সময়ের সাথে ।
সবটাই তোর স্পর্শ আমার কাছে বুকের উষ্ণতায় মরুভূমি গভীরতা
পাথর কাঁদে এখানে।
গভীর আরো গভীর বুকের কোনে
জমানো আগুন।
সম্পর্কের বাড়া থালায় এক মুঠো ছাই
শ্মাশানে সম্পর্কের মুখ।

জীবনের দিকে পা বাড়াই
কেমন একটা চিনচিনে শিহরণ সারা শরীর জুড়ে।
ভাবনার মৃত্যু নেই
জমতে থাকা হৃদয়ের রিসাইকেল বিনে একটার পর একটা সুতো।
ছেঁড়া সুতো জড়ো করে সময়ের মুখ
জ্বলতে থাকে আমার সদ্য পুড়ে যাওয়া শরীরে।

মৃত্যু জীবন

মৃত্যু জীবন
................ ঋষি
================================================

আমার কাছে শেষ বলে কিছু নেই
আসলে মৃত্যু ইস্তক হাতের ইকিরমিকির ছাপিয়ে অসংখ্য প্রহসন।
আমার আয়নায় ফুটতে থাকা অনবরত প্রসাদের ফুল
ঈশ্বর এখানে শায়িত পরম বেদিতে।
মহান আগ্রহে চেয়ে আমি তোমার বুকের কলমে
সদ্য ফোঁটা পদ্ম তোমার অনন্য রূপ।

নিশ্চিত মৃত্যু তাড়িত কোনো পথিক
যদি পথ চাই ঈশ্বরের মতন।
নিশ্চিত ইচ্ছা তাড়িত মৃত্যু যদি জন্ম চাই
আবারও
তবে সেখানে ঈশ্বর হাসবেন মোনালিসার মতন ।

সারা বিশ্ব জুড়ে ছেঁড়া কাটা হবে মোনালিসার বুক
ছুড়ি ঢুকবে, বের হবে ।
সেলাই হবে বারংবার জানতে চাওয়া মোনালিসা
তুমি কি নারী ,তুমি কি পুরুষ ।
না তুমি ঈশ্বর।...... ...

আমার কাছে শেষ বলে কিছু নেই
জন্ম ইস্তক পথ চলা হাতের তুলিতে লিওনার্দের নিপুন টান।
ফুটে ওঠে অবয়ব তোর মতন হাসি মুখে
আর আমি চেয়ে থাকি খুব দুরে।
মোনালিসা আমি ব্যার্থ ,তোর প্রাসাদে  সময়ের ফুল
আমার ভাগে না হয় মৃত্যু জীবন অনামিকা। 

সব খালি

 সব খালি
.............. ঋষি
==================================================
উন্মাদ প্রেমের শব্দগুলো শোনাবো বলে
কান পেতেছি তোমার নুপুরের শব্দে।
তোমায় বলছি এক আকাশ পাখিদের মাঝে তোমাকে পছন্দ ছিল
আকাশ ভাঙ্গলো , বৃষ্টি হলো।
তুমি আকাশকে মুঠোয় করতে চাইলে
ওমনি আকাশ  অনেক দুরে।

আমার সুরের কলারে জমে আছে তোমার নাম স্নেহ
বৃষ্টি এসেছিল সেদিনও।
মাঝরাতে রিনিঝিনি শব্দে
ভরা সঙ্গমের সাথে ভেসে যাচ্ছিল রুপোলি জ্যোত্স্না তোমার শরীরে।
সেদিনও রাত্রি ছিল,,, অন্ধকার
ডেনিম ল্যাম্পের আলোয় একটু মায়াময় তুমি।
আরো এগিয়ে আসছিলে আমার দিকে
তুমি আমাকে আকাশ বলে ডাকলে।
কিন্তু আকাশের রং নীল
আর আলোটা নিভে গেল ,,কখন যে সকাল হয়ে গেছিল।

উন্মাদ প্রেমের শব্দে আমার শহরে আজকাল বৃষ্টিপাত
মেঘলা আকাশ। চিরন্তন কিছু প্রশ্ন ?
ইচ্ছা ,আশা ,ভরসা ,বিশ্বাস সবমিলিয়ে প্রেমাতুর সময়
হাসছে আমার দিকে তাকিয়ে।
আর আমি আকাশের দিকে আমার মুঠো তুলে বলছি
শূণ্য ,শূন্য ,শূন্য ,,,,,, সব খালি। 

Thursday, September 17, 2015

নোএন্ট্রি


নোএন্ট্রি
............... ঋষি
===============================================
শ্বাশত তুমি চিরকালীন আমার  জানি
আমার বুকের প্রতি নারী মুহুর্তের আঁচলে তোমার নাম। 
সবটাই সত্যি 
সেই থিয়াটারের ড্রপ সিনের মতন একটার পর একটা মিথ্যা। 
তুমি আমাকে বলেছ 
কিন্তু সব সত্যি আমি জানি ,আমার হৃদয় জানে। 

যেদিন প্রথম অন্ধকারে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলে 
একের পর এক বন্ধিগুলো নেমে যাচ্ছিল আমার পায়ের পাতায়। 
আমার বুকের লজ্জায় তুমি হাত রেখে বলেছিল 
এটা নৌকা ,এটা হাল। 
আমি বাধা দি নি তোমাই
তারপর ইচ্ছেমতন তুমি আমাকে ডেকেছো কতবার। 
আর আমি সমর্পণ করেছি নিজেকে 
কিন্তু প্রশ্ন করি নি। 
কিন্তু কখনো তোমাকে অবিশ্বাস করি নি
আজও করি  না যখন তুমি বললে তোমার প্রেমের নাম। 

শ্বাশত তুমি চিরকালীন আমার  জানি
আমার এই বিশ্বাসকে তুমি হয়তো বোকামি বলবে। 
কিন্তু সবটাই  সত্যি 
সেই থিয়াটারের সাজানো শিল্পীর  মতন একটার পর একটা এন্ট্রি।
কিন্তু কি জানো
আমার জীবনে আর কোনো এন্ট্রি নেই তুমি ছাড়া। 

জ্বলন্ত সময়


জ্বলন্ত সময় 
................ ঋষি
=========================================
মৃত্যু থেকে এসে দাঁড়িয়েছে 
একটা কালো ছায়া আমার পিছু পিছু। 
এই জীবনের শেষ স্তব্ধতায় লেগে আছে পায়ের শব্দ 
শুনতে পাচ্ছি এগিয়ে আসছে 
কেমন যেন একটা উদ্ভট কল্পনা জীবনের জানলায়। 

এই মাত্র শেষ সুতোটা ছিঁড়ে গেল 
বুকের ব্যালান্সসিটের জমানো খাতায় শান্তিটুকু চলে গেল। 
একটা দেশলাই কাঠি 
একটু কেরোসিন। 
কিছু মুহুর্ত্ব জ্বালিয়ে গুমড়ে ওঠা ধোঁয়াগুলো একসাথে 
মুখের তেতো সিগারেটের নিকোটিনে পরম প্রিয়। 
দাহ্য আর দহনের সম্পর্কের ফাঁকে 
একটু সময় থাকে। 
জ্বলে যাবার ,শেষ হয়ে যাওয়ার ইচ্ছাটুকু
সেই টুকুকে অভিনন্দন এই রুপোলি বিকেলের মরা আলোতে 
 তোমার মুখ।  

মৃত্যু থেকে উঠে এসে দাঁড়ানো সত্য গুলো 
একটা করে কাঠি জ্বালছি আর ছুঁড়ে মারছি সময়ের দিকে। 
পুড়ছে না কিছুতে পুরনো সময় 
তোমার মুখ আমার কাছে পরম  প্রিয় ,
কোনো অনিদ্রায় জেগে থাকা স্বপ্নের মতন। 

বেজন্মা জীবন

বেজন্মা জীবন
................ ঋষি.
=================================================

আমাকে প্রশ্ন কোরো  না
উত্তরগুলো পরীক্ষায় খাতায় অনেক আগে লিখেছি
এই যে শতক জুড়ে অসংখ্য পরিযায়ী  সারা বিশ্বে
আমি মিশে আছি এদের মাঝে
বোবা অস্থিরতার মতন
আমার পাসপোর্টে বেজন্মা স্ট্যাম্প জন্ম ঘিরে

নেহাত ছেলে মানুষী নয়
আয়নার কস বেয়ে গড়িয়ে নামা রক্ত বিন্দুগুলো আমার চেনা
চেনা আমার মিউনিসিপালিটির শোরগোলে উঠে আসা খিস্তি গুলো
আমি সমাজ চিনি ,চিনি তোমার শরীর ,তোমার অস্তিত্ব
তোমার বুকের তিলে আজও লেগে আছে আমার ঠোঁট
কিন্তু আমি নিজেকে চিনি নি
চিনি নি এই সমাজের সাজানো মুখের আড়ালে জন্মের মুখ
বেজন্মা আমি শ্মশানের ছাইয়ে বাড়তে থাকা মৃত্যু
আমার ধুকপুকে লেগে আছে যুগের বিষ
আহত কুকুরের মতন আমার হিংস্র পাগলা দাঁতে
শান্তি কাড়া আমার অভিশাপ

আমাকে প্রশ্ন কোরো  না
উত্তরগুলো বহুদিন পাশ করে গেছে জীবন শিক্ষকের অভিযানে।
এই শতকে চড়ানো অন্ধকারের মাঝে
আমি ক্লান্তিহীন শুয়ে থাকা সড়ক।
আমার বুকের হিমঘরে শুয়ে  অসংখ্য সম্পর্কের শব
আর আমি সেই হিমঘরের স্মৃতিদের রক্ষক। 

সত্যি বলতে নেই

সত্যি বলতে নেই
................... ঋষি
===========================================
সত্যি বলতে নেই
সমাজের ডিকসানারিটা  হাতের পুতুল অন্ধকারের মিশে।
সমস্ত ক্লোস্ড ফায়ারে যে গুলিবর্ষণ
তার ক্লাইমেক্সে বন্ধুক  ওয়ালার কাছে ঈশ্বরের অর্ডার থাকে।
অর্ডার ,অর্ডার ,অর্ডার
হে ঈশ্বর তোমার লাইব্রেরিতে কি শান্তির বই নেই।

আইনের চোখ বাঁধা গান্ধারীর মতন
শত সন্তানের জননী হেলে দাঁড়িয়ে আছেন অন্ধকারের গায়ে।
গুলি চলছে ,প্রকাশ্যে লাঠিচার্জ ,কাঁদানে গ্যাস
আর প্রতিবাদ !!!!
ঠুনকো জগন্নাথের মতন কাঁচের সমাজ
মোমবাতি মিছিল ,রাস্তা জ্যাম ,শহর বন্ধ।
অন্ধকার আর অন্ধকার
আমার হাসি পাই আজকাল প্রতিবাদের নামে।
এই সব স্বার্থন্বেষী প্রতিবাদে সত্যি থাকে বটে  বেশ্যার মতন
তবে সেটা দিনান্তে ঢুকে যায় বিক্রি যোনিতে মনুষত্বের নামে।

সত্যি বলতে নেই
তবে তুমি শহর ছাড়া হবে ঈশ্বরের দাদাগিরিতে।
কিংবা ঢুকে যেতে পারে তোমারও বুকে মৃত্যুর বুলেট
তাই ক্লাইমেক্সে  ঈশ্বরের বন্দুকের নলে আমাদের দেওয়ালে পিঠ।
সময় কাটছে ,যেমন কাটে
আর আমরা সেই বেশ্যার মতন পাঁচিলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে সর্বত্র।

উত্তর কি ?

উত্তর কি ?
.................. ঋষি
=============================================
এ চেতনা আমার নয় শুধু
এ চেতনা শহরের বুকে নামতে থাকা কালো প্লাবন।
নারী তুমি সর্বত্র এত সহজ কেন
সহজে কেন তোমার সরে যায় বুকের কাপড়  ?
কেন তোমরা অবিশ্বাস কে বিশ্বাস করে ঠকতে থাকো
তোমার ইমারতের ভাস্কর্যে কেন এত কদর্য হাত।

বিশ্বের নিঃশ্বাসে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে
তার উত্তর তুমি হত পারো।
তোমার গর্ভে বেড়ে উঠতে পারে আগামী প্রজন্মের আলো
তবে এত অন্ধকার কেন।
কেন এত বেজন্মা আজ শহরের গলিতে
কেন তুমি বারংবার খবরের হেডলাইনে ?
ঈশ্বর তোমাকে নত করেছে
ঈশ্বর তোমাকে নগ্ন করেছে।
তোমার যোনিতে রেখে গেছে জন্ম আদিম আদম
এ প্রশ্নের উত্তর কি ?
পাঁচ থেকে পঞ্চান্ন যদি সকলেই শরীর হয়
তবে কেন হাড় কাঁটা গলি আমার শহরে।

এ চেতনা আমার নয় শুধু
উত্তর সকলের বুকের মাঝে দাগী আসামীর মতন দাঁড়িয়ে।
তোমরা বোকা ,তোমরা সহজলভ্য ,তোমরা শরীর
তোমরা ইউসড মেটেরিয়াল ,মাংসের দোকানে বিক্রি হওয়া খিদে।
তোমরা বলি প্রদত্ত জন্ম থেকে সমাজের চোখে
কিন্তু নারী তুমি ভুলেছো তোমরা রক্ত পিপাসু মা কালিও বটে।

আকাশ ও সমুদ্র

আকাশ ও সমুদ্র
....................... ঋষি
==============================================

যেখান থেকে সমুদ্র শুরু হয়
সেই সেখান থেকে একটা গল্প শুরু হলো ,পুরনো গল্প।
অভিন্ন হৃদয়ের কিছু না বলা কথা
সমুদ্র নাকি নোনতা জলে ভিজে।
সেই পথ ,বালি মাখা পায়ের তলায়
সরতে থাকা ভিত।

কিছুক্ষণ পর সূর্য ডুবি বিশাল নীল সমুদ্রে
মাঝে মাঝে সমুদ্রকে আমার  হিংসা হয়।
হাজারো অস্থির ঢেউয়ের আঘাতে সে অপরিবর্তনীয়
মাঝে মাঝে আমার সমুদ্র হতে ইচ্ছে করে।
এত স্থির
এত গভীর।
এই বিশলতা ছুঁয়ে থাকা নীল আকাশ ঠিক মিশে আছে তোর মতন
আমার মাঝে।
এক সাজানো পোশাকি দূরত্বে নীল শাড়িতে
আকাশ আমার সাগরের গভীরতায়।

সেই যে গল্পটা ,সমুদ্র ,আকাশ আর আমি
সমুদ্রের ধরে বসে পুরনো ঝিনুকের ফিসফিসগুলো শুনতে পাই।
নোনতা ভিজে বাতাসে তোর ঠোঁটের স্বাদ
আমার চোখের জলের।
সেই পথ ,ভিজে বালি ছুঁয়ে থাকা পরম স্নেহ
আমি সমুদ্র আর তুই নীল আকাশ। 

Wednesday, September 16, 2015

অনাবশ্যক কুয়াসা

অনাবশ্যক কুয়াসা
.............. ঋষি
=========================================

অনুভব নিয়ে শব্দগুলোকে এ ফোঁড় ওফোঁড় করি
কলের পুতুলের মতন স্টেজের উপর মাইম।
দূর থেকে দেখি কুয়াসার মতন কিছু
হেঁটে চলি খালি পায়ে এক যুগ ,দুই যুগ ,কয়েক যুগ।
সবাই খেলা দেখে
আর কুহেলিকা বলে সুন্দর দিন।

মানুষের তিন নম্বর চোখের
খবরটা আজকাল খুব একটা জনপ্রিয় না.
টেবিলের উপরে সাজানো ফুলদানিতে পতঙ্গ বসে
প্লাস্টিক স্মাইল ,প্লাস্টিক সভ্যতায়।
সবটাই সাজানো
যে বোঝে ,
সে বোঝে
তিন নম্বর চোখ আগুনের চিতা খোঁজে।
ঝরঝর বৃষ্টি মেঘলা আকাশ
কুহেলিকা এটা একটা  মেঘলা ঝড় বাদলের সন্ধ্যা।

ঝড়কে স্বাগতম ,বৃষ্টিকে স্বাগতম ,নোনা জল
চোখের পাতা ভেজে কোথাও একলা দিনে।
কুহেলিকা ভালো লাগলো তোমার পরিচয়
তোমার আবর্তনে নতুন সৃষ্টির স্বাগতম।
স্বাগতম অন স্টেজ মাইম
তোমার বিদীর্ণ হাসির তরল চোখের পাতাকে। 

Tuesday, September 15, 2015

নীল সাইকেল

নীল সাইকেল
................. ঋষি
===============================================

হাজার সবের ভিড়ে সময় হারিয়ে যায়
আটকানো চোখের পাতায় ঘুম ঘুম ভাব।
ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি মোদের বাড়ি এসো
চোখের চুম্বকে সটান চেনা তুই ।
কালভার্টে হেলান দেওয়া সেই নীল সাইকেলের ঘন্টা
সাইকেল স্পোক বেয়ে কয়েক ফোঁটা জল।

চোখের পাতায়
সোজা পুরনো দেওয়ালটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পরে।
চেনা শরীরের গন্ধ
সদ্য চুমু তোর ঠোঁটে নোনতা স্বাদ।
আলোড়ন সারা বাতাস জুড়ে আজকাল ঘেমো  গন্ধ
পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া সন্ধ্যের সাথে।
আজকাল যখন তখন বৃষ্টি আসে
আমি ভিজি ,ভিজিস তুই।
প্রশ্ন তোকে ,তোর বুকের ভিতরে জমানো অভিমানে
কেন ,কেন
কেন এত ভালোবেসেছিলি তুই।

হাজার সবের ভিড়ে ক্লান্ত চোখের পাতায় ছুঁয়ে থাকে কালি
শূন্য জীবন ,শূন্য বাঁচা ,শূন্য রাস্তা থেমে যায়।
সেই গলির মোড়ে তোর বারান্দায় চোখ আটকে
আজ ও  খোঁজে কাকে।
ক্রিং ক্রিং নীল জং ধরা সাইকেলের ঘন্টা
সাইকেলের স্পোকে জড়িয়ে থাকা সময়।

একটা নগ্ন দেশ

একটা নগ্ন দেশ
.................... ঋষি
=================================================
বাতাসে ডেটলের গন্ধ ,আকাশ ছোঁয়া
লাশ কাটা টেবিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অঙ্গপ্রতঙ্গ সহ।
আমার দেশ
ডেটলের প্রয়োজন ফুরিয়েছে এখন।
এখন দেশ ,একটা বডি
একটা মৃত শরীর ,শীতল ,স্থির
আর পিন ড্রপ সাইলেন্টে একটা নগ্ন দেশ ।

আমার ,আমার ,আমার দেশ
বুক ছিঁড়ে উঠে আসে ইতিহাসের পাতার পুরনো দিনগুলো।
স্বাধীনতার রক্তে ভেজানো পিচ্ছিল পথ
থ্রিডাইমেনসনে  ভাবলেই হৃতপিন্ড জড়িয়ে যায় জালিয়ানাওয়ালাবাগ।
প্রকাশ্যে রাজপথে গুলি কালো আদমির গায়ে
প্রকাশ্যে রাজপথে ধর্ষণ ,সে আমার মা ,সে আমার দেশ।
বুকের পাঁজর খুলে ঢুকে যাচ্ছে বুলেট
কাতারে কাতারে মৃত্যু ,মন্বন্তর ,আগুন ,রায়েট।
হিন্দু আমার ভাই ,মুসলিম আমার ভাই ,আমরা এক ওভিন্ন
জড়িয়ে আছে মা আমার জাতীয় পতাকা।
চোখটা চিক ,চিক করছে না
কিন্তু মায়ের চোখে রক্ত।
আর আমাদের চোখে লোভ
আর আমাদের হায়ায় বাঁধা বেঁচে থাকার শোক।

খালি শরীরে আমার দেশ শুয়ে লাশকাটা টেবিলে
ওয়ার্ডেন গাড়ি ঠেলে বডি চলেছে লাশঘরে।
এইমাত্র খবরের চ্যানেলে প্রকাশ্যে এলো আরো একটা ধর্ষণ
মাত্র পাঁচ বছর বয়স।
কি করবেন আপনি ,আপনি স্থবির ,আপনি মেরুদন্ডহীন
মিডিয়া লুঠছে ,স্বাধীনতা  লুঠছে ,,,,,আপনার কি ?
আপনি তো আছেন বেহাল তবিয়তে।

এক একটা জীবন

এক একটা জীবন
............... ঋষি
=====================================
প্রতিদিন ঘুমের মধ্যে দেখি নতুন সকাল
কাগজওয়ালা কাগজ দিয়ে যায়।
নটার সাইরেন ,বাজার দৌড় ,  রাস্তার কলে জল
সকালের সার দিয়ে অফিসে  চলা জীবন ,
কোনকিছুই বদলায় না
সবটাই নিয়ম মাফিক ,সবটাই সিম্বলিক সকাল।

সেই রিং মাস্টারের সিংহটাকে মনে পরে
যে প্রতিদিন আগুনে ঝাঁপ মারে প্রতিটা শোয়ে।
অথচ জানে সে আগুন তাকে পোড়াবে না
রিং মাস্টার তাকে মরতে দেবে না।
আগুন  বারংবার জ্বলবে
জীবনের টুলে বসে সিংহ  শুনবে জনতার ক্ল্যাপ।
ঠিক একটা জীবন নিয়মমাফিক প্রতিদিন হেঁটে চলে
রেসের ঘোড়াদের মতন লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লান্তি চেবায়।
তারপর দৌড় ফিনিশিং লাইন অবধি
এক একটা জীবন
রেসের মাঠে দৌড় আর দৌড়।

প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গে রাত্রে অবিরত
নিজস্ব জীবিকার পরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি তারা খসা।
সোজা বুকের ভিতর ক্লান্তির হাই
সামনের নগরের সারণী দিয়ে তখন ক্লান্তিহীন সময়।
সবটাই নিয়মমাফিক অনিদ্রার চরণে
আকাশের সিলিঙে তখন   ঘুমের ডাক নতুন সকালের। 

Sunday, September 13, 2015

ক্ষমা করা যায় না


ক্ষমা করা যায় না
............ ঋষি
============================================

ক্ষমা কি করা যায়
পাশাপাশি চলে যাওয়া বহুদূর গন্তব্য থেকে,
একলা কি ফেরা যায় কখনো।
দুটো ইস্পাত পাশাপাশি পাতা দুরান্তরে
কত ট্রেন আসে যায় ,
অথচ রেললাইন দুরত্ব কমে না  ,আবার বাড়েও না কখনো।

সেদিন আকাশের দিকে তাকিয়ে
জানলায় ফিরে গেছি ,পুরনো শৈশব আর পড়ন্ত রৌদ্র।
জন্ম ,মৃত্যু আর হাট্টিমাটিম টিম
ওরা আছে পাশাপাশি রেললাইন।
কোকিলের ডিম কাগের ঘরে আর কাগেরটা নিজের
তা দিয়ে যাই।
সময় পুড়ে যায় ,আসে যায়  কতবেলা
অথচ ক্ষমা তো করা যায় না।
অথচ ক্ষমা করাটা নিত্যনতুন ভাবনার মতন
ভীষণ মারাত্নক।

পাওয়া না পাওয়া
পাশাপাশি চলে যায় বহুদূর।
হাত ধরে বন্ধুর ঘরে তুমুল হৈহুল্লোর ,তাসের ঘর
ভেঙ্গে তো পরে বারংবার।
যেমন তাসের টেক্কা ,বিবির ঘাড়ে আর বিবির হুকুম গোলামের
আর ক্ষমা শুধু নামের। 

হ্যাপী এন্ডিং

হ্যাপী এন্ডিং
.............. ঋষি
==========================================
নতুন করে লেখার কি আছে
জীবন থেকে জড়িত সকল মুখের মাঝে,
তোমার মুখটা আমার জীবন।
বুকের জানলা খুলে উঁকি মারা বিশাল আকাশটা
যেখানে স্বপ্নদের সাথে আশাদের ভিড় ,
তাতে আলাদা করে বলার কি আছে আমার তুমি।

সেই যে
সেই সন্ধ্যার গঙ্গার মিষ্টি হাওয়ায় আমাদের চুমু ক্লাস।
ভারতীয় ,রোমান ,ফরাসী কত পদ্ধতি
সবটা একই আছে বুকের ডিকসনারিতে ভাবনার আয়োজনে।
শুধু স্তব্ধতা গুলো তোমার ঘিরে আসছে
আসলে কি জানো।
জীবন তো আর কোনো চলচিত্রের মতন না
অস্বাবাভিক কল্পনার সাথে স্বপ্নের রংতুলি।
যেখানে হিরো ,হিরোইন আছে ,আছে ভিলেন
আছে ক্লোস্ট রোমানস্।
আসলে জীবন চর্বিত চর্বনের নাম
একটা না পড়া বইয়ের ইচ্ছের মতন।

নতুন করে লেখার কি আছে
বুক ভাঙ্গা প্রেমিকের আঁশটে গন্ধ ,অসমাপ্ত কবিতা।
শেষ না হওয়া কেচ্ছা কাহিনী পরে আপসেট হওয়ার কি আছে
জীবন্ত চলন্ত ট্রেনের বগিতে বসে বদলানো সময়।
সময় যে পিছনে সরতে থাকে আর সামনে
তোমার না বদলানো মুক ,হ্যাপী এন্ডিং। 

আমি আর গনেশপাইন

আমি আর গনেশপাইন
............. ঋষি
==========================================

 সেদিন আকাশে মেঘ ছিল না
ছিল না মনের ফাঁকে কোনো ইশারা।
এক ঝাঁক রৌদ্রের মতন কিছু একটা সোজা চোখ
সোজা বুক খুঁড়ে।
মাথা ঠুকছিল আমার  বুকের
রঙিন ইশারা ,বোবা কফিশপ আর গনেশপাইন।

শিল্পীর তুলিতে মন ছিল না সেদিন
ভালবাসার মন্দিরে পুজো হয় নি বেশ কিছুদিন হলো।
ওপাশে টেবিলে তোমার নীলচে শাড়ির আঁচলে
একটা নিস্তব্ধ দুপুর ঘুমিয়ে ছিল।
কথা হয় না আজ বহুদিন হলো
নিভে যাওয়া বাতাসে আজ কেমন মনমরা ভাব।

এক মনে আমি এঁকে চলেছি গভীর থেকে গভীর টানে
তোমার অবয়ব।
তোমার কাজল রাঙ্গা চোখ ,লালচে চকলেট ঠোঁট
তোমার নিতম্ব ছুঁয়ে ,বুকের পাঁচিলে আমার তুলি।
ঝড় উঠলো মারাত্নক ঝড়
তোমার সাথে কথা হয় না আজ বহুদিন হলো।

সেদিন আকাশের মেঘের সাথে
আমার আড়ি ,এক ঝাঁক রৌদ্র।
কফিশপে দেওয়ালে টাঙানো গনেশ পাইন
ঠিক তোমার মতন।
একই চেয়ারে বসে আছে মুখোমুখি চিরকাল
আমাকে খুঁড়তে থাকে বুকের ভিতর ,খুব গভীরে। 

গভীরে রক্তপাত

গভীরে রক্তপাত
................. ঋষি
=======================================

বুকে ছোড়া ঢুকে গেলে
গভীরে রক্তপাত।
মুখ বুজে আছি এ করুন জন্মভূমি
তোমার শরীরে ধর্ষণের চর্যাপদ।
নিস্তব্ধ অন্ধকার থেকে উঠে আসা চিত্কার
বাঁচাও কেও আছো।

দূর থেকে চিত্কার কুকুরের ছিঁড়ে খাওয়া
অন্ধকার সয়ে গেলে মুখ বুজে কোনো মূক জন্তুর মতন।
চেয়ে দেখি
মোমবাতি মিছিলে দাঁড়িয়ে ধর্ষিত জন্মভূমি।
বেশ পাগলাটে লাগে এই প্রতিবাদ
নাকের নথে পুরে দেওয়া বারুদ।
ফাটছে আওয়াজ আসছে
বারুদের গন্ধে নাকে রুমাল চাপা রক্তের গন্ধ।
আর রুমালে পোশাকি কৃত্রিমতা পারফিউমের নষ্টামি
সব নষ্ট ,সব গন্ধ ,পচা গন্ধ।

বুকে ছোড়া ঢুকে গেলে
গভীরে রক্তপাত।
যারা গেলো ,তারা গেলো ,পবিত্র ধর্মভূমি
পবিত্র ঈশ্বরের দরজার কলিংবেলে বারংবার আঙ্গুল করে।
একে অপরের দিকে
আসলে নিজেকে প্রশ্ন করি ঈশ্বরের স্থবিরতায়। 

চুপ

চুপ
........... ঋষি
=============================================

কত সময় কেটে গেছে ,কত রাত
জীবন থেকে টুক করে কখন সময় চলে গেছে।
চলে গেছে সমস্ত বোঝাপড়া
ভালো লাগাটুকু।
আজকাল আকাশ থেকে জ্যোত্স্নার মতন রক্ত ঝড়ে.
ঝড়তে থাকে পুঁজ চাঁদের গায়ে
বিসমিল্লার সুর অনন্ত দিগন্ত ওই অন্ধকার আকাশে।

ও মেয়ে তোর বাড়ি কই লো ?
ওই তো পাহাড়ি সই ,খুব দূরে আরো দূরে দিগন্তরে।
ওই মেয়ে তোর বাড়িয়ে কে আছে?
আমি আছি ,সময় আছে ,আছে  ওনারা অনেকে।
কিন্তু শান্তি
সে তো নেই
সে কই ?

সিঁড়ি ভাঙ্গা অঙ্কের মতন নামতে নামতে পাহাড়ি বুকে
আজ অনেক নিচে পায়ের তলায় মাটি।
মাটির তলায় জীবন
ঘুম আসে মেয়ে  তোর,আমায় ছাড়া।
থুড়ি আরো বলবো না
শুধু সময় জুড়ে বিষাদ পাড়ায় আজ রক্তের স্রোত ,
সানাই বাজছে ,বাজছে কানে ,,,,,,, চুপ।

কাঁদছে সময়

কাঁদছে সময়
............... ঋষি
===========================================
সৃষ্টি থেকে  শুধু যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ
সাক্ষী রয়ে ইতিহাসের,ধর্মগ্রন্থের অন্তরিত জানাগুলো।
রামায়ন ,মহাভারত ,বাইবেল ,কোরান
 প্রশ্ন কোথাই রক্ত নেই।
আসলে সময় বদলায় ,বদলায় না রক্তের রং
ইতিহাস বদলায় ,বদল নেই সভ্যতার।

সীতা কেঁদেছিল,দ্রোপদী চিত্কার করেছিল কুরুসভায়
আজও  সীতারা কাঁদছে, ,
আজও দ্রোপদীর চিত্কার থামে নি।
রাবণ মরে গেছে ,মরে গেছে দুর্যোধন
অথচ রাবণ  বেঁচে আছে ,বেঁচে আছে  দুর্যোধন।
আজও কাঁদে স্বামীহারা ,সন্তানহারা ,সম্মানহারা আমার সভ্যতা
কাঁদে  আশ্রয় ,কাঁদে খিদে ,কাঁদে শৈশব ,কাঁদে অকাল শ্রাবন  ,
কাঁদছে মানুষ আজও  সময়ের নিসঙ্গতায়।

কারণ রাবণ মরে গেছে ,মরে গেছে রাম
কারণ কুরুক্ষেত্র হয়ে গেছে ,হয়ে গেছে পলাশী।
অথচ বদল কিছু হয় নি
রয়ে গেছে মীরজাফর ,রয়ে গেছে অবিশ্বাস।
বিশ্বাসের মৃত্যু বারংবার ,বিশ্বাস ঘাতকের মৃত্যু নেই
মৃত্যু শুধু  অন্তরের লোকানো হলাহলের।
জন্ম নিচ্ছে নবরূপে রাবণ ,তৈমুর ,মীরজাফর
ষড়যন্ত্রীরা বেঁচে আছে ,বেঁচে আছে নির্যাতন।

সৃষ্টি থেকে  শুধু যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ
রক্ত ঝরছে কাঁটা তারে ,রক্ত ঝরছে বুকের মাঝে।
চিরে যাচ্ছে সভ্যতা ,চিরে যাচ্ছে এ সময়
প্যালেষ্টাইন ,ইরাক  ,দগ্ধ আমাদের কাশ্মীর।
সময় বদলাচ্ছে ,বদলাচ্ছে রূপ আরো কৃত্রিম রঙে
মানুষ বদলাচ্ছে ,অথচ এ রঙে শান্তি নেই।

Friday, September 11, 2015

দ্যাটস এ হিউম্যান স্ট্যান্ট

দ্যাটস এ হিউম্যান স্ট্যান্ট
............... ঋষি
=================================================
সকলের একটা  স্ট্যান্ট  দরকার
জানেন তো দাদা সিনেমার নায়কের মতন একজন সুপারহিরো।
ভীষণ দরকার
সমাজ আর সময়ের মাঝখানে যে পাঁচিল।
সেই পাঁচিলে হামগুড়ি থেকে দুপায়ে
এবার চিতার আগুনে বেড়িয়ে আসা দরকার এই জীবনে।

নিত্য কতকথা
টুকরো শৈশবের আজন্ম মুখ না দেখা আয়নায়।
স্পাইডারম্যান ,সুপারম্যান, X ম্যান  আরো কত
যদি একজন।
যদি একবার এই পৃথিবীতে এমন হত
কেমন হত জানি না।
যেমন হত ,তেমন হত ,তবে বেশ ভালো হত
সমস্ত মিথ্যা ,সমস্ত চালাকি ,ভন্ডামি ,ধর্ষণ ,বর্ষণ।
সবকিছুর বিরুদ্ধে মোমবাতি মিছিল হত না
হত না অপেক্ষা আইনের ম্যারপ্যাঁচের।
এই ভাবে সম্মান বাজারে বিক্রি হত না
সবকিছু নিয়মমাফিক আলোর মতন হত.
সবকিছু মানুষের মেরুদন্ডের মত হত
দ্যাটস এ হিউম্যান স্ট্যান্ট।
 
সকলের একটা  স্ট্যান্ট  দরকার
জানেন তো দাদা  পৃথিবীতেও মানুষের সোজা মাথা দরকার।
ভীষণ দরকার
নিজের পিছনের মেরুদন্ডের অক্ষমতাকে বিচার করার।
প্রতিবাদ দরকার
সমাজের বুকে পা দিয়ে লাথি মারার অধিকার অন্ধকারকে।
  

অচেনা সময়

অচেনা সময়
................ ঋষি
==========================================

সমস্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর অজানা
অজানা সাময়িক বিবেচনাধীন অধিকারের সম্পর্ক।
মানুষ দেখছি
জানলার ভেজানো পাল্লার আড়াল থেকে লুকিয়ে।
মুখোশের মুখ
অচেনা এই বিদীর্ণ সময়ের সাময়িকী।

চিনতে পারি না মানুষকে
নিজেকেও আয়নায় দেখে অজানা লাগে আজকাল।
ঈশ্বরের চালচিত্রের আড়ালে আলোড়ন সব
চলন্ত  সময়ের মতন।
আসাযাওয়া এই পৃথিবীর পথে সবজান্তা জীবন
 হৃদয়ের ফুসফুসে বাতাসের ভেল্কিতে ভেন্টিলেটর বসানো।
সময় এর নাম
নিত্য ভেঙ্গে যাওয়া পথগুলো সম্পর্কের ফাঁকফোঁকর।
মেরামত দরকার
সময় কই কারো ?
 ফিরে দেখা নিজেকে আয়নায় মুখ।
সকলে দেখছে ভাঙ্গা আয়না
আর সেই অচেনা  আমার মতন নিজেরাও অজানা।  

অজানা সময়ের আয়নায় এক একটা মুখ ভেঙ্গে পরে
সময় ফুরিয়ে যায়।
মানুষের আশার আলোয় বসে যা লোডসেডিং
কৃত্রিম স্টার্ট দরকার ,দরকার বেঁচে থাকা সময়ের সাথে।
সকলে তো বেঁচে থাকে
তবে প্রশ্ন যেটা কজন সত্যিকারে বেঁচে।

Wednesday, September 9, 2015

অপরিবর্তিত ইতিহাস

অপরিবর্তিত ইতিহাস
.............. ঋষি
==========================================

ইতিহাস কখনো জীবন্ত হয় না
মৃত্যুর স্থায়ীত্বে ছুঁয়ে  থাকা বেবাগ জীবন ,
কখনো সংযমী হয় না
বাঁচতে চায় বারংবার।
হাত বাড়াই
যদি একটু বেশি বাঁচা যায়।

এই ভাবে চলছে
যুগান্তরের রেলগাড়ির গন্তব্যহীন একটা ট্রেন।
স্টেশন আসে ,বদলে যায়
কিন্তু ইতিহাস বদলায় না ,বদলায় নি কোনদিন।
শুধু বুকের ধুকপুকে বাড়তে থাকে শোক
বদলে যায়  জীবিত চিন্হ প্রতিদিন দুপাশে।
তবু ট্রেন ছোটে
বারংবার এক রুটে ,
অপরিবর্তে গন্তব্য যদি এসে যায়।

ইতিহাস কখনো জীবন্ত হয় না
যেমন জীবন্ত হয় না তোর নোনতা ঠোঁট আমার ঠোঁটে।
সর্বত্র ছুঁয়ে থাকা অসংখ্য যন্ত্রনায়
যেন জীবিত হয় অকারণে বদলে যাওয়ার শোক।
সব একই থাকে ,শুধু  ট্রেন ছোটে
অপরিবর্তিত লং রুটে ইতিহাস বুকে। 

অসময়ের কবিতা

অসময়ের কবিতা
.............. ঋষি
===========================================

স্মৃতি কিছুটা চুলকানির মতন
খুব ভালো লাগে অসময়ে চুলকোতে।
তুই আমার কাছে কবিতার মতন
ভুলে থাকা যায় না।
সময়ের সাথে ,সময়ের মুখ
বারংবার তোকে বদলাতে।

সেই কাপের কিনারা বেয়ে এক লাফে সোজা তোর নিঃশ্বাসে
নিস্তব্ধ আরামের মতন।
কিছু ছিল আটকে আমার বিশ্বাসে
বারংবার আসা ,যাওয়া।
এই জীবনের সাথে রওয়া
সবটাই যাপন ,যাকে বলে জীবনযাপন।
বাকিটুকু পাওয়া
এই অন্ধকারকে ছোঁয়া
এও আমার শুধু নিশ্বাসে।

স্মৃতি কিছুটা চুলকানির মতন
খুব ভালো লাগে অসময় চুলকোতে।
তুই আমার কাছে পোড়া দাগের মতন
ভালোবেসে তাকাই।
হাত বোলাই তোর ভিতরে বাহিরে
আসলে স্মৃতিটুকু আমার ইচ্ছাতে। 

কিছু বলে গেল না

কিছু বলে গেল না
................ ঋষি
==========================================
আজ সারাদিন কিছু লিখি নি
কেন জানিস।
প্রেম এসেছিল ,ঠিকানাহীন ,গোত্রহীন অনুভবের মতন
অথচ সময়ের সেই আঁকিবুঁকি।
কিছু বদলায় নি
এই ঠিকানাহীন সম্পর্কে।

রোজকার আঁকিবুকি সময়ের পরে ও আগে
জমে যাওয়া রোগ।
চায়ের কাপ ছুঁয়ে তোর ঠোঁটের উষ্ণতার
একলা থাকার ঝোঁক।
কমে নি কিছু শুধু বেড়ে গেছে
সময়ের পাতা থেকে সময় সরে গেছে।
যেমন আমি, তুই আর মুখোমুখি সময়
কয়েকশো ডেসিবেলের পৃথিবী থেকে।
আমার মতন কেউ
তোর সাথে সময় রয়ে গেছে।

আজ সারাদিন কিছু লিখি নি
কেন জানিস।
প্রেম এসেছিল ,ঠিকানাহীন ,অদৃশ্য গোপন যবনিকার মতন
অথচ সময়ের সেই কাঙ্গালীপনা।
চলে গেল প্রেম
কিছু বলে গেল না। 

Tuesday, September 8, 2015

সোহাগী দূরত্ব


সোহাগী  দূরত্ব
............. ঋষি
======================================
একের পর এক ঢেউ বুকের উপর
ডানদিকে রাস্তা চাপা বাড়িটার দরজায় দাঁড়িয়ে ভাবছি।
আচ্ছা যদি বাড়ির রেলিঙে একবার যাওয়া যেত
চুপ করে পালক পাতায়।
ভেসে থাকা যেত
অদৃশ্য ম্যাজিকে গোলকের আকর্ষণের পরিবর্তে বিকর্ষণ।

ম্যাজিক, ম্যাজিক, ম্যাজিক।
গিলি গিলি গে ,হুররে একের পর এক সোহাগী পাতা।
খুলে যাওয়া দূরত্বের ফাঁকে
নিজের আঙ্গুল গলিয়ে ভাবি অদ্ভূত জীবন্ত প্রেম।
শরীরের লোমকূপে টান টান শিহরণ
শরীর ,মন ,সম্পর্ক ,দুর্বলতা  টানা সুতোর পুরনো পাখায়
ভালো লাগা হাওয়া।
দুলছে  সময় না না না মৃত্যু নয়
সে যে হেঁটে আসা অমায়িক হাসি আমার দিকে।
আমার প্রেমে
তোমার বুকের ভিতর ,তোমার ঠোঁটের নোনতায়।

একের পর এক ঢেউ বুকের উপর
তোমার নরম মাংসে দাঁড় টেনে ভাবি আমি জীবিত।
তোমাকে কল্পনা করে তোমার বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে ভাবি
চুপ কোনো শব্দ নয়
তুমি  আর আমি এক  মাইল মিশে
ভাসছি এক ম্যাজিক ,খুব কাছে ,চুপ ,কয়েকশো যুগ। 

মহৎ উদ্দেশ্য

মহৎ  উদ্দেশ্য
.............. ঋষি
============================================

মহৎ কিছু উদ্দেশ্য
সারি দেওয়া লোম ওঠা খেও কুকুরের রোজকার চিত্কারে।
সরে যাচ্ছে দুরত্ব
যেমন সময় সরে সময়ের ভিতর।
জ্বলন্ত পাপ
নিস্পাপ অজস্র মুখ।

হাসছি চিত্কার করে
বুকের ক্লোরোফিলের ঘরে শ্মশান স্তব্ধতা।
পরে থাকা সারি সারি মৃতদেহ অজস্র বকলমে অনামী দূরত্ব
দুর্বলতা।
ক্রমশ ক্লোস্ড সার্কিটে ফুটে ওটা প্রেমজ ধ্বনি
শরীরের ভাষা।
বুক ,স্তন ,যোনি,লিঙ্গ ,তাল তাল মাংস ,পিন্ডি
জন্ম ,মৃত্যু ,সভ্যতা একসাথে শুয়ে।
সাজানো চিড়িয়াখানায় গিমেকের মডেলে প্রলুব্ধ লোমকূপ
ঝরে পরছে হিংসা ,লোভ ,অহংকার ,অত্যাচার ,ব্যভিচার।
আর পারছি না
তবু হাসি সে তো সাজানো প্লাস্টিক ফর্মে অর্থহীন সভ্যতা।

মহৎ কিছু উদ্দেশ্য
বেঁচে থাকা কুকুরের ফোল্ডারে জমতে থাকা পানুগুলো চর্চায় আছে।
সরে যাচ্ছে সময়
রক্ত লাল সারণী দিয়ে হেঁটে আসছে ইত পাটকেল ,অপ্রান অপার্থিব।
জ্বলন্ত চোখ
আর নিভে যাওয়া আগুন মানুষের রক্তে। 

ঘুমিয়ে থাকা ফসিল

ঘুমিয়ে  থাকা ফসিল
................. ঋষি
=================================================

নিজের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাওয়াটা
প্রত্নতাত্মিক আবিস্কার।
জানি জন্মের দিকে গড়িয়ে নামা ঢেউতে কোনো তাপউত্তাপ  নেই
সবটুকু আবিস্কৃত নতুন সভ্যতার মতন।
বুকের মডেল পথ ভ্রমনে
ঘুমিয়ে  থাকা ফসিল।

মুগ্ধতা ধরে রেখে
শূন্যে সরে যাওয়া মুখগুলোর মতন।
অসংখ্য বলি পায়ের তলায় রক্তে ভেসে যাওয়া সম্পর্ক সব
ভীষণ একা কোথাও।
একলা ঘরে বন্দী হৃদয়ের পাখি
মিথ্যে ডাকাডাকি।
দাবিহীন ,অর্থহীন সম্পর্কের বাজিধরা হারজিত
হেরে গিয়েও ভালো থাকা যায়
মরে গিয়েও যেমন বেঁচে কারোর বুকে।

নিজেকে খুঁজে পাওয়া নিজেকে অনধিকার চর্চা
ভৌগলিক আবিস্কারের মতন।
ক্যাপ্টেন কলম্বাসের ডায়রির শেষ পাতায় মৃত্যুর আগে
মেনে নেওয়া সভ্যতার বৃত্তের মাঝে।
টুকরো টুকরো সম্পর্ক
ঘুমিয়ে  থাকা ফসিল।

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...