Thursday, October 27, 2016

মানুষ আর সময়

মানুষ আর সময়
.... ঋষি
===================================
এই সময় মানুষের ,এই পাওয়াটা প্রাপ্য চলন্তিকা
প্রতিটা হেরে যাওয়া থেকে ফিরে আসা আমাদের জীবন
কিন্তু হেরে যাওয়াটা জীবনেরই প্রাপ্য ।
প্রতিটা হাসি যেমন জীবনের আলোর উৎস
তেমনি প্রতি ফোঁটা কান্না সবসময় অন্ধকার নয়
হেরে গিয়ে ফিরে আসাটা মানুষের উপস্থিতি।

আজ সত্যি বলছি চলন্তিকা সত্যি কষ্টকর
এই বাজারে পাঁকের পদ্মটা মানুষের আর পাঁকটা অপ্রয়োজনীয়
এই বাজারে নীলকণ্ঠ পূজনীয় কিন্তু তার আদর্শ।
হা ঈশ্বর,,,,,, আমরা সবাই বলি
কিন্তু সে শুধু এক শ্রেণীর বাঁচার লোভ আর এক শ্রেণীর রুজি।
কজন আমরা ঈশ্বরের পথে চলি ?

একটা ভন্ডামি লেগে আছে মানুষের মনে ,কিছুটা স্বার্থপরতা
আর লোভ।
লোভ মানুষের বেঁচে থাকার স্বাবাভিক
কিন্তু লোভ যদি যাপনের অঙ্গ হয়ে যায় তবে মানুষ লুলা ,ল্যাংড়া ,অসহায়।
এই অসহায়তা মানুষের প্রাপ্য চলন্তিকা
আর এই সময় মানুষের সৃষ্টি।

এই সময় মানুষের ,এই পাপ বোধ প্রাপ্য চলন্তিকা
কিন্তু প্রতিটা পাপ যদি মানুষের অন্তরে অনুভবের যন্ত্রনা দেয়।
তবে সেটাও পাপ নয় ঈশ্বরের অধিক।
মানুষের পঞ্চ রিপু মানুষেরই সাথে সেলাই করা চলন্তিকা।
কিন্তু মানুষ কোনো হেরে যাওয়া প্রজাতির নাম নয়
আমার বিশ্বাস মানুষ নিজেই তার সব প্রশ্নের সমাধান। 

Sunday, October 23, 2016

সেই নিরীহ ছেলেটা

সেই নিরীহ ছেলেটা
.......... ঋষি
=========================================
চিনতে পারছি না তোমায়
নিরীহ স্বভাবের  ছেলে ছিলে তুমি অভি।
কলেজে পাঞ্জাবী পরতে,সাইড ব্যাগ আর স্টেজে গলা ফাটাতে
চিনতে পারছি না সেই সিগারেট পোড়া ঠোঁট।
আজ শেষ ক বছর বহুবার বলেছি অভি
আমি আছিতো ,আমার ঠোঁট তবে ,সিগারেট কেন ?

তখন খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে গাল ঘষতে গালে
আমি কখনো বলি নি আমার লাগছে।
আজ বলতে ইচ্ছে হয় লাগছে অভি ভীষণ চিনতে পারছি না
কোনো মিল পাচ্ছি না।
সেই কলেজের সাহসী ,নিরীহ ছেলেটার
তুমি দেশের কথা বলতে ,বলতে সময়ের কথা ,আর প্রেমের।
আমার মতো অনেকেই তোমার প্ৰেয়সী ছিল
কিন্তু আমি তোমার ঘরের বৌ অভি।
চিনতে পারছি না তোমায়
আজ তোমার কাছে বাড়ি ,গাড়ি ,ব্যাংকব্যালান্স ,পার্টি সব আছে।
তোমার ক্লিন সেভ্ড দাড়ি ,পারফিউম ,দামি ড্রেসআপ
কিন্তু ছেলেটা না খুঁজে পাচ্ছি না কিছুতেই।

চিনতে পারছি না তোমায়
তোমার সততা ,তোমার দেশ প্রেম ,রাজনীতি ,কবিতা পথ।
তুমি যখন রাত্রে নেশার চোখে আমার শরীর ঘাটতে আসো
পাই না তোমার ঘামের গন্ধ ,পাই না তোমাকে।
কে তুমি চিনতে পারছি না অভি
আমি সেই কলেজের নিরীহ ছেলেটাকে ভালোবাসি। 

পিরামিডের দেশ (২)

পিরামিডের দেশ (২)
........ ঋষি
===========================================
আরো যখন সবুজ হয়ে যায়
তখন খোলা বুকে কোনো পিরামিড সূর্যডোবা দেশ।
নিস্তব্ধ মরুভূমি ভালো লাগে
যখন সেই সূর্য সকালে প্রথম শীতল হয়।
কিন্তু রাত্রি সাপ,খোপ আর হায়নার বাস
সাবধান তাই।

তোকে বলি নি
একটা কালো নদী তোর দেশে অনেক আদোরে থাকে।
তোকে বলি নি
এক অদ্ভুত অন্ধকার শাখাপ্রশাখা তোকে ঘিরে থাকে।
তবুও  সেখানে ঈশ্বরের বাস
তবুও সে যে চোখের তৃপ্তি
একটা পিরামিডের দেশ তোর গভীরে থাকে।
সেই চোখ যখন ঈশ্বর খুঁজতে থাকে
সরে যায় মেঘ ,তুমুল বর্ষণ তবু পিরামিড শুকিয়ে যায়
কেউ ঠোঁট রাখে না ভালোবেসে
শুধু দেখতে চাই হয়তো অধিকারে

আরো যখন সবুজ হয়ে যায়
সেই কালো নদী শাখাপ্রশাখায় ছড়িয়ে পরে একটা দেশে।
সেটা পিরামিডের দেশ
তোর ভিতরে দৃশ্যে সেই  দেশ রাখা আছে।
অদ্ভুত শীতলতা সেই জলে
আর সেই জলে ভেসে যায় সময়ের চোখ নোনতায়।

Friday, October 21, 2016

সন্ধ্যে নামছে

সন্ধ্যে নামছে
........... ঋষি
============================================
সন্ধ্যেরা সবসময় ভীষণ ক্লান্ত হয়
অনেকটা চলার পর রাস্তার পাশে ছায়া ফেলে।
ভীষণ ক্লান্ত
তারপর হঠাৎ ঝুপ  করে হর হর মহাদেব।
ব্যোম ভোলে ,নেশা হয়
সন্ধ্যে নামে ,ক্রমশ চোখ বুজে যায় অন্ধকারে।

দিনগুলো  ঠিক তোর মতো
এত আলো  ,এক মুখ হাসি ,আলাদা মাধুৰ্য।
ক্রমশ কর্কশ পায়ের ছাপ শহরের বুকে
ধুলো ওড়ে ,ব্যস্ত একটা দিন ,মানুষ ভুলতে চায় সন্ধ্যাকে।
তবু সন্ধ্যে নামে কোনো শব্দবহুল দিনের পর
পৃথিবীর ক্লান্ত পাগুলো বাড়ি ফেরে।
ঠিক তোর মতো
ক্রমশ মলিন হতে থাকে হাসি ,বাড়তে থাকে চোখের তলায় কালি।
তারপর অন্ধকার রাত্রি
ফিসফিস করে অনেককিছু বলে  ,পাশ ফিরে শোয়
 দিন শেষ।

সন্ধ্যেরা সবসময় ভীষণ ক্লান্ত হয়
অনেকটা চলার পর তোর সাদা শাড়িতে একটা রঙিন ছোপ।
আমি দেখতে পাই হৃদয়
তারপর হঠাৎ কোনো ব্যস্তসমস্ত দিনে তুই একা।
জানলার পাশে বসে সময় বুনছিস
সন্ধ্যে নামছে তোর শহরে।


আরো শূন্যতায়

আরো শূন্যতায়
............... ঋষি
=========================================
তেতো সিগারেট ঠোঁট
চুষে নিয়ে পাগলের মতো অনুরণন।
কেঁপে যাচ্ছে ভিতরে
পাগলী উঠছে ঝড় ,আকাশ ,বাতাস সব বন্ধ।
আর একলা নেশা
ক্রমশ ক্লোস্ড সার্কিটে কিছু স্বপ্ন কবিতা লিখছে।

ফরমাস খাটতে খাটতে জীবন
কোনো বিছানার বদলানো চাদরের মতো ভীষণ দুরছাই।
কিংবা ধরো একলা শহরে  রেলিং ধরে হাঁটা
অনেকটা পথ ,পা বাড়াই শূন্যতায়।
সবটাই নাটক
এই কবিতা নাটককে প্রশ্রয় দেয় না।
এই কবিতার শব্দ রক্তের থেকে সত্যি কোনো নীরবতা
চুপচাপ ফিসফিস কানে কাছে বলতে থাকে।
চল পা বাড়াই
আরো শূন্যতায়।

মুখের উপর উপচে উঠছে স্তন
পাতায় পাতায় গড়িয়ে নামছে সবুজ রক্ত।
পাগলী ক্রমশ শীৎকারে প্রকৃতি কাঁদছে
এই নয় কোনো প্রকৃতির সবুজ যোনি  কল্পনায়।
এই হলো স্বয়ং সৃষ্টি
মাইক্রোফোনিক কোনো স্পষ্টতা নীরব আজ কবিতা। 

আরো শূন্যতায়

আরো শূন্যতায়
............... ঋষি
=========================================
তেতো সিগারেট ঠোঁট
চুষে নিয়ে পাগলের মতো অনুরণন।
কেঁপে যাচ্ছে ভিতরে
পাগলী উঠছে ঝড় ,আকাশ ,বাতাস সব বন্ধ।
আর একলা নেশা
ক্রমশ ক্লোস্ড সার্কিটে কিছু স্বপ্ন কবিতা লিখছে।

ফরমাস খাটতে খাটতে জীবন
কোনো বিছানার বদলানো চাদরের মতো ভীষণ দুরছাই।
কিংবা ধরো একলা শহরে  রেলিং ধরে হাঁটা
অনেকটা পথ ,পা বাড়াই শূন্যতায়।
সবটাই নাটক
এই কবিতা নাটককে প্রশ্রয় দেয় না।
এই কবিতার শব্দ রক্তের থেকে সত্যি কোনো নীরবতা
চুপচাপ ফিসফিস কানে কাছে বলতে থাকে।
চল পা বাড়াই
আরো শূন্যতায়।

মুখের উপর উপচে উঠছে স্তন
পাতায় পাতায় গড়িয়ে নামছে সবুজ রক্ত।
পাগলী ক্রমশ শীৎকারে প্রকৃতি কাঁদছে
এই নয় কোনো প্রকৃতির সবুজ যোনি  কল্পনায়।
এই হলো স্বয়ং সৃষ্টি
মাইক্রোফোনিক কোনো স্পষ্টতা নীরব আজ কবিতা। 

একলা পাখি

একলা পাখি
............ ঋষি
============================================
অনেকদিনের সে সব কথা
ঘুম থেকে উঠে দেখি জানলার গ্রিলে বসে সেই পাখি।
সুর ছড়াচ্ছে ,গাইছে ,হাসছে আর পাগলের মতো কাঁদছে
কেন জানি না মায়া  হয়।
কিন্তু কি জানিস পাখি ভালোবাসলে আকাশ পাওয়া যায়
কিন্তু আকাশ যে একটাই।

আজ সুর ছড়াচ্ছে
তোর পোট্রেটে ধরা লাল ,নীল ,সবুজ হাজারো রং
বুঝতে চাস নি না ,অপেক্ষা কাকে বলে ?
কাকে বলে বেঁচে থাকার মরণ নির্যাস।
তোর ডানায় হাজারো রঙের পালকে একটা রং লাল
জানি না ভালোবাসা কেন লাল হয় ?
মনে হয় ভালোবাসা তো রক্তের মতো দরকারি
আর জীবন সে তো ভালোবাসার পূজারী।
কি বলছিস ?
ক্ষমা।
ভুল করে ভালোবাসা যায়
কিন্তু ভালোবাসলে আর ভুল করা যায় না।

অনেকদিনের সেসব কথা
সকালের সূর্যের পাশে তুই সেই পাখি জানলার গ্রিলে।
তখন থেকে ডেকে চলছিস
হয় মায়া ,যা উড়ে তুই।
আর ফিরে আসিস না ,আর কোনো দরকার নেই
শুধু আকাশের মাঝে তুই আজো একলা। 

আকাশের পাখি

আকাশের পাখি
.... ঋষি
===========================================
তুমি বললে পাখি লিখতে চলন্তিকা
কিন্তু আমি আকাশ লিখলাম।
আকাশ ছাড়া তো পাখি নয় আর পাখি মানে মুক্তি
মুক্তির ডানা।
আর সারা আকাশ জুড়ে কোনো ইচ্ছায় ভর  করে নতুন ভোর
সকাল হয়ে গেছে চলন্তিকা।

আচ্ছা চলন্তিকা আমি যদি পাখি হতাম
সকাল সকাল  তোমার উঠোনে।
খুঁটে খেতাম ইচ্ছে ফল তোমার হাত থেকে
তোমার ইচ্ছায় আমি আকাশ হতাম ,তোমার মতো মুক্তি।
আচ্ছা একবার ভেবেছো আমি যদি আকাশ হতাম
আমি জানি তুমি  আকাশ দেখতে ভালোবাসো।
 তুমি যখন জানলার গ্রিল ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকো
মনে হয় তোমায় কোনো প্রাচীন রোমান নারী।
আমি মুগ্ধ হই
কিন্তু জানো আমি প্রেমে আকাশ হতে চাই না।
হতে চাই পাখি
কারণ প্রেম  মুক্তি কখনো চায় না।

তুমি বললে পাখি লিখতে
আমি লিখলাম কবিতা কোনো প্রাচীন প্রেমের কাব্য।
প্রেমের ডানায় ভর করে আমার এই কবিতা মুক্তি
যেমন মুক্তি পাখির জন্য খোলা আকাশ।
প্রেম হলো আকাশের মতো
আর পাখি আকাশের বুকে খুঁজতে থাকা আশ্রয়।

Thursday, October 20, 2016

চিতাকাঠ ডাকে

চিতাকাঠ ডাকে
................. ঋষি
=====================================
জীবন চিরকাল মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকে
পাশে চলতে  থাকে রোজকার দৈনন্দিন।
আসলে শ্মশানের চিতাকাঠ কাছে ডাকে ,ঘুমের ভিতর
আঁতকে ওঠে মানুষ।
মরতে কি কেউ চায় ,কত মায়া পৃথিবীতে
কত অনুভব ,মানুষ ঘুমিয়ে স্বপ্ন জড়িয়ে বেঁচে থাকায়।

দিন কাটতে থাকে
কিন্তু  শ্মশানের চিতাকাঠ কাছে ডাকে।
ডোমের হাতে চিরকাল ধরা আজন্ম আগুন
আর আগুন সে তো আজন্ম ইতিহাস।
সময়ের মতো পুড়তে থাকা মানুষ শ্মশান খোঁজে
কারণ চিতার আগুন মানুষ পোড়ায়।
পোড়ায় উপস্থিতি ,পোড়ায় মাথার খুলি ,হাজারো ভাবনা
আর অনুভূতি।
আগুন কখনো কোনোরকম অভিনয়  জানে না
আর চিতার আগুন বোঝে না মানুষ মানুষ খেলা।
আগুন  শুধু পোড়াতে পারে
তাই পোড়ায় মানুষের অনুভব আর মানুষকে
আর তাইতো চিতাকাঠ ডাকে।

জীবন চিরকাল মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকে
চিরকালীন এই এগিয়ে যাওয়া মানুষের প্রাপ্য বাঁচা।
মানুষ ভয় পায় মরতে
কিন্তু নিজের মৃত্যু কামনা করে না এমন কজন আছে।
আমি কারণ জানি
কারণ চিতাকাঠ মানুষের মতো মুখোশ পরে না। 

তুমি চললে

তুমি চললে
.............. ঋষি
===============================================
 তুমি চললে
পরে রইলো তোমার রাজ্যপাট ,তোমার সাজানো সংসার।
আমি যে ভীষণ একা হয়ে গেলাম চলন্তিকা
বাড়ির নিচে তোমার পোঁতা পেয়ারা গাছের নিচে কাঁচের গাড়ি দাঁড়িয়ে ।
ওরা আমাকে শেষ দেখা দেখতো দিলো না
বলছে বুড়ো মানুষ ,আমার নাকি শরীর খারাপ হবে ।

চলন্তিকা শেষ বিয়াল্লিশ বছর তোমার সাথে
আমি ইচ্ছে করলেই চোখ বুজে তোমাকে দেখতে পাই , তোমার মুখ।
এখন তোমার সারা শরীর ঢাকা সাদা শুভ্র বস্ত্রে
গায়ে পারফিউমের তীব্র গন্ধ চোখে তুলসীপাতা,পায়ে আলতা ,কপালে সিঁদুর ,
সেই সিঁদুর যা প্রতিদিন যত্ন করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরতে।
আর মনে পরে বলতে আমাদের  তোমাদের কোনো দায় নেই বাবু
আমাদের দায় বিবাহিত প্রমান করার।
আমি হাসতাম আর বলতাম পরজন্মে তোমাকে পুরুষ হতে
কিন্তু আমার হতে।
পরজন্মে তুমি আবার আমার হবে তো
না হয় আমি তোমার স্ত্রী হবো।


তুমি চললে
তোমার ছেলে-মেয়ে বৌমা নাতিনাতনি খুব কাঁদছে,তোমাকে ভালোবাসে।
কিন্তু চলন্তিকা দেখো আমি কাঁদছি না
আমার চোখে এক ফোঁটা জল নেই কারণ আমি জানি তুমি রইলে আমার ভিতর।
বাইরে কর্পোরেসনের মর্গের গাড়িটা স্ট্যার্ট দিল ,সঙ্গে হরিবোল
তুমি চললে ,সাবধানে যেও ,আমি আসছি তোমার পরে। 

শ্বাশত তোমার প্রেমে (১৫)

শ্বাশত তোমার প্রেমে (১৫)
..... ঋষি
===============================================
একেকটা সকাল যেন মাঝেমধ্যে শ্বাশত হয়ে যায়
আজ একবছর আমি ওম্যান হোস্টেলে।
আজ আমার জন্মদিন ,অফিস ছুটি
 হোস্টেলের দারোয়ান বললো একজন ভদ্রলোক দর্শনপ্রার্থী
আমি অবাক হলাম ,ছুটে গেলাম
ভেবেছিলাম শ্বাশত তুমি এসেছো,কিন্তু বাবা।

মনে আছে শ্বাশত
সেদিন আমার জন্মদিন ,তখন আমি কলেজ হোস্টেলে
তুমি সেই সাদা রাজহংসী টি শার্টটা পরে এসেছিলে
বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলে বাইকে ভর দিয়ে
আমি আজকের মতো ছুটে গেছিলাম
তারপর একটা গোটা দিন
তুমি আর আমি ,আমি আর তুমি ,আর একটা গোটা শহরে
ভালোবেসে সেদিন তুমি এমন বিয়ে করতে চাইলে
আর গিফট ছিল প্রপোস রিং
দেখো শ্বাশত আজও সেই রিং আমার হাতে
আজও আমি ছুটে এসেছি
কিন্তু তুমি নেই দাঁড়িয়ে ,কারণ তুমি শ্বাশত নও

একেকটা সকাল যেন মাঝেমধ্যে শ্বাশত হয়ে যায়
কেমন আছো তুমি ,আমি ভালো।
তুমি কি আগেরমতো  আছো ,আজও কি নেশা করে বাড়ি ফেরো
অতো নেশা করো না ,তোমার প্রেসারটা বেশি।
নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছো তো
আজ আমার জন্মদিন শ্বাশত ,বাবা  এসেছেন। 

Tuesday, October 18, 2016

প্রেমিক ,প্রেমিকা আর প্রেম

প্রেমিক ,প্রেমিকা আর প্রেম
..... ঋষি
=========================================
প্রেম ঘুমিয়ে গেলে
অভাব খোঁজে কাছে না পাওয়া মুহূর্তদের দুঃখ
আর সুখ
সে তো স্বপ্নে দেখা চলন্তিকা তুমি কবিতা
আর আমি
কলমের নিব বেয়ে লিখে চলা কবি

প্রেম  ঘুমিয়ে গেলে
ক্লান্ত শরীরে প্রেমে হাবুডুবু খায় জ্যোৎস্য রাতে।
একটা হাহাকার
এমন করে আঁচড়াচ্ছো কেন ,এমন করে কামড়াচ্ছ কেন।
ফ্রোয়েড খুলে বসি
খুলে বসি নিজের ভিতর কামার্ত পাপ।
সারা শরীরে দংশন ,ব্যাথা ,আর সাপের বিষ
সারা শরীর বেয়ে চলতে থাকে নিজস্ব মেশিনিক মোশন।
ফ্রোয়েড চুপ
এটা কি প্রেম ?

প্রেমিক ঘুমিয়ে গেলে
সে তবে ক্লান্ত তার নিজস্ব সুখে বিভোর।
আর প্রেমিকা পাশে শুয়ে থাকা বারংবার ব্যবহার
সব শেষ।
যেন তো প্রেমিকা রাট জাগে বিরহে
আর প্রেমিক স্বপ্ন দেখে সঙ্গমের।

ভালোবাসার কথা

ভালোবাসার কথা
..... ঋষি
===============================================
কেউ আমাকে ভালোবাসার কথা বললে
আমি অবাক হই না বুঝতে পারি নদীতে বেড়ে গেছে স্রোত।
আমি মোটেও অবাক হই না
বুঝতে পারি এর পর পার হবে ইংলিশ চ্যানেল।
আর তারপর শর্তসাপেক্ষে আমার দিকে বাড়িয়ে দেওয়া হবে সিঁদুর
আমি মোটেও অবাক হই না।

তারপর নিয়ম মাফিক বলবে আমাকে ভালোবাসতে হবে
সেটা পুরুষের প্রাপ্য।
তারপর বেশ কিছুদিন চলবে ভালোবাসার খেলা
নদীতে বান আসবে ,সময় ফুসবে ,তারপর নেতিয়ে যাবে।
তারপর আমার প্রেমিক পুরুষ ছুটে  যাবে আবার অন্য ভালোবাসার দিকে
প্রেম প্রেম খেলবে
তারপর আবার ইংলিশ চ্যানেল।
তারপর তাকে বলবে আমার কথা ,আমার বদ চরিত্রের কথা
বলবে আমাকে নিয়ে নাকি ঘর করা যায় না।
বলবে আমি নাকি বাজা
তারপর তিন তালাক ,কিংবা সেই আইনের ঘোরটোপ।

কেউ আমাকে ভালোবাসার কথা বললে
বুঝি তার প্রেমিকা বন্দী ঋতুরক্তে কিংবা কোনো প্রসূতি সদনে।
আমি মোটেও অবাক হই না
এটা বুঝি প্রাচীন কাল থেকে মেয়েরা রমণী কারণ রমণ যোগ্য।
কিন্তু আর কতদিন ,আর কতকাল আমরা শরীর ,আর ভালবাসা পণ্য
তবু আমি অবাক হয় না মোটেও। 

কবিতার জন্ম নদী

কবিতার জন্ম নদী
............ ঋষি
===============================================
প্রেমে পড়লে আমি কবিতা লিখতে বসি
আমার বুকে এক উচ্ছল নদী,আর নদীর পাড়ে এক প্রাচীন বৃক্ষ
এ ওকে ছুঁয়ে যায় ,নদী ছলাৎ ছলাৎ করে
আরো কাছে আসে ,আরো কাছে
তারপর শেওলা জন্ম নেয়
সেই প্ৰাচীন বৃক্ষের পায়ে জড়িয়ে থাকে ভালোবাসার সবুজ

আমি প্রেমিক হয়ে যায়
আমার কাছে প্রেমিকার নিবেদিত জন্মের আদিম রূপ।
চুপ করে আমি কবিতা লিখতে থাকি
শব্দ হয় না ,শুধু বারংবার আরো শেওলা জন্ম নেই।
তারপর গল্পটা বদলায়
বৃষ্টির পর নদীর মাথার উপর সূর্যের কালা জাদু।
যদি শুকোতে থাকে ,প্রাচীন বৃক্ষ ক্রমশ ঝিমিয়ে পরে তাপে
আর শেওলা গুলো পচে যেতে থাকে।
আমার কবিতা থেকে তখন রক্তক্ষরণ হয়
প্রাচীন কলমের নিবে যন্ত্রনা


প্রেমে পড়লে আমি কবিতা লিখতে বসি
আর আমার ভিতরে উচ্ছল নদীটা তখন বিস্তীর্ণ শাখাপ্রশাখায়।
দূর দূর প্রান্তরে তখন জীবিত জনপদ ,জীবনের ইচ্ছা
তারপর কোনো রৌদ্র মুখর দিনে আমি চলন্তিকাকে খুঁজি।
কাঁদতে থাকি ,লিখতে থাকি যন্ত্রণার কথা
তখন আমার প্রেম আমার কবিতা লিখে দেয়।  

ঘুম ভেঙে যায় (৪)

ঘুম ভেঙে যায় (৪)
..... ঋষি
=========================================
ঠোঁটের কাছে এসে  থেমে যায় নিশুতি রাত
যাপন যখন জীবন ছাপিয়ে তখন
হিসেবি সুখের আনাগোনা অভ্যেস হয়ে দাঁড়ায়।
তখন আকাশের চাঁদ প্রেমিকার মুখ
আর জীবন পরে পাওয়া ভগ্নাংশে বাঁচতে চাওয়ার সুখ
ঠোঁটে ঠোঁট ,,,নিশ্চিন্তে ঘুম।

আসলে ভালোবাসলে সবসময় আকাশ হতে নেই
এই কথা আমার চলন্তিকা বলে।
ভালোবাসা যখন  আকাশ হয়ে যায় ,,তখন গর্ব
তখন অনুতাপ।
কিন্তু ভালোবাসায় গর্ব ,অনুতাপ  এসব কিছুই নেই
শুধু সুখ।
কোনো এক শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ জানে ঘুমোনোর সুখ
সময়ের পাতাতে ক্রমাগত লেখা রক্তক্ষরণ।
আর স্বপ্ন সে যে তোমার ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে আস্ফালন
আমি আছি চলন্তিকা।

ঠোঁটের কাছে এসে  থেমে যায় নিশুতি রাত
নিজস্ব আয়নায় তখন খসে পরে আঁচল।
তোমার অনাবৃত স্তনে ঠোঁট রেখে ঢুকে যায় মায়া
 ঘুমিয়ে পরে সময়।
আর তারপর আবার একটা অন্যদিনে চলন্তিকা আমি জেগে
ঘুম ভেঙে যায়।

অজস্র কবিতা

অজস্র কবিতা
.............. ঋষি
================================================
ঘুমিয়ে থেকে সঙ্গম করলে স্বপ্ন দোষ
অথচ সে স্বপ্ন যখন আমি কবিতায় লিখি তখন দারুন
একটা অনুভব।
আজকাল একটি বেশি ইচ্ছে করলে নেশা হয় ,তারপর কবিতা
আমার লেখাগুলো  তখন কফি হাউসের দেওয়াল ঘেঁষে
কখন যেন কবিতার মতো হয়ে যায়।

শহরের কথা বললে
আমার চওড়া বুকের উপর প্রকাশ্যে লাইট পোস্ট আর পিচ কালো রাস্তা।
সেই রাস্তায় উদোম হাঁটি কখনো নীরা ,কখনো আকাশলীনা
কিংবা আমার প্রেমিকা চলন্তিকার হাত ধরে।
তারপর হঠাৎ রাট বারোটার সুনসান রাস্তায় আমি একা দাঁড়িয়ে
নীরা তখন সুনীলবাবুর কাছে।
আকাশলীনা তখন জীবানন্দের কাছে
আর চলন্তিকা তখন কল্পনায় আর রাতের বিছানায়।
আমি সঙ্গমরত
আর প্রতিদিন সকালে সেটাই কবিতা হয়ে যায়।

আমি ভাবতে থাকি
ভাবতে ভাবতে খোলা সবুজ মাঠ ,কচুরিপানা ঢাকা শেওলা পুকুর।
চারিদিকে সবুজ ,মাটিতে ল্যেপা স্বপ্নের বাড়ি
বাড়ির দরজায় লক্ষ্মীর পা ,আর অন্ধকার কোজাগরী রাত।
আমি আধ গলা জলে দাঁড়িয়ে পুকুরের আকাশের দিকে চেয়ে
সকাল হবে পাখিদের কলরবে ঘুম ভাঙে।
সামনে যামিনী রায়ের ছবি
অবাক সকলের টেবিলের ওপর চলন্তিকার চিঠি।
কাল রাতে ঘুম হয়েছিল
আমি ঠিকানায় উত্তর পোস্ট করি সারারাত আমার কবিতা।

ঘুমিয়ে থেকে নারী দেখলে আমি বজ্জাত
অথচ কবিতা যখন আমি নেশা করি সময়ের দিকে তাকাই।
আমার প্রাক্তন সময় আমাকে চুমু খায়
সারা অস্তিত্ব জুড়ে সময়ের ভিড় ,হাজারো মুখ ,অস্তিত্বের অবস্থান।
এটাও কি সত্যি আমি পালাচ্ছি এসব ছেড়ে  ,পালাচ্ছি আর পালাচ্ছি
আমার মৃত বুকে অজস্র কবিতা।


দেশের অবস্থা

দেশের অবস্থা
........... ঋষি
============================================
ম্যাডাম দেশের অবস্থা ভালো না
সময় নটা ত্রিশ ,স্থান কলকাতা ,আর আমি চায়ের দোকানে।
বাড়ি থেকে সোজা  কলেজ স্ট্রিট তারপর এই চায়ের দোকান
চেনা দোকান ,বাবুদা এক কাপ চা।
সামনে সেই ভদ্রলোক
যেচে আলাপ  ম্যাডাম দেশের অবস্থা ভালো না।

আমি চশমার ফাঁক দিয়ে তাকাই
মধ্য চল্লিশেক এক হেরে যাওয়া বাঙালি ভদ্রলোক।
আর আমি আঠাশ বছরের অবিবাহিত নারী
নারী বটে
এ দেশে রক্ত ,মাংসের মেয়েমানুষকে সমাজ নারী বলে ডাকে।
আজ নাকি পুজোর মিছিল ,ছুটির দিন
রাস্তা ঘাট খালি ,আমাকে নাকি বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত।
আমি কি উত্তর দেব বুঝতে পারছি না
চায়ের বিল মিটিয়ে উঠে এলাম
বাড়িতে অসুস্থ বিধবা মা আর গ্রাজুয়েট আমি।
কিন্তু চাকরি
এই দেশে মেয়েদের চাকরি মানে খানিকটা শারীরিক ,
শরীর এসেই পরে বসেদের চোখে
না হলে মাইনে থেকে অনেকটা বাদ।

ভদ্রলোক ঠিক বলেছেন ম্যাডাম এই দেশে মেয়েরা সুরক্ষিত নয়
শীত পড়ছে শহরে,আমি শিয়ালদার দিকে হাঁটছি
 চাদর ঢাকা এক জন বললো পাঁচশো হলে চলবে।
আমি হন হন করে হাঁটছি ,পিছনে সেই লোকটা  আচ্ছা আরো কিছু বাড়িয়ে
আমি ছুটছি ,আরো জোরে ,আরো জোরে
আচ্ছা মেয়েরা কি কোনোদিন শরীর পেরিয়ে মানুষ হবে না ?

চরিত্রহীন কবি

চরিত্রহীন কবি
............. ঋষি
================================================
শুনেছি কবিরা চিরকাল চরিত্রহীন
আসলে চরিত্রহীন সমাজের চরিত্রটা একটা বেহায়া মানচিত্র।
আমার প্রেমিকা আমাকে চুমু খেতে খেতে বলে
ঈশ্বর নাকি আমাকে পাঠিয়েছে কবিতা লিখতে ,আমি নাকি কবি।
আমি হাসি নিজের মনে মনে বলি
কবি আর কবিতা দুটোই ঈশ্বরের পরিচয়।

স্বমৈথুনে শরীরে বিকার হয়
কিন্তু কবিতা সে তো পাতায় ,পাতায় ভরে থাকা প্রেমিকের পরিচয়।
কবি হতে গেলে আগে প্রেমিক হতে হয়
অথচ প্রতিটা প্রেমিককে এই দুনিয়া এক ঘরে করে রেখেছে।
কেউ তাকে পাগল বলে ,কেউ চরিত্রহীন ,কেউ বা ঈশ্বর
আসলে কবি জানে সে মানুষ লেখে ,লেখে সময়
আর এই সব বেঁচে থাকা আসলে অভিনয়,মানুষ মানুষ খেলা।
মানুষ আর সমাজ দুটোই সামাজিক
কিন্তু কবি এক ঘরে অসামাজিক।
এটাই পরিচয় কবি এটাই নিয়ম
কবি চরিত্রহীন আর মূর্তিমান অনিয়ম।

শুনেছি কবিরা চিরকাল চরিত্রহীন
আসলে কবিরা আকাশের গায়ে কবিতা লিখতে চায়।
কবির কলমে নেই লজ্জা ,নেই ভীতি ,নেই ভয়
কবিতা কখনো সামাজিক ,কখনো অসামাজিক কিন্তু হৃদ্যিক হয়।
আসলে কবিকে সময়ের বাইরে সরিয়ে নিজেকে রাখতে হয়
তাই তো কবি অসামাজিক আর চরিত্রহীন হয়।  

শান্তির আশ্রয়

শান্তির আশ্রয়
............ ঋষি
=================================================
আমার কোনো বাড়ি নেই ,নেই ঘর
সময় স্থায়িত্ব খোঁজে সময়ে ফাঁকে জমতে থাকা অভিমান
ঠিক এই কথা বলেছিস তুই।
কিন্তু চলন্তিকা বাড়ি মানে কি শুধু চারদেয়ালের ঘর
একটা ছোট খোলা আকাশও তো  বাড়ি হতে পারে
হতে পারে জীবন,,,,,, পরিচয়।

ভালোবাসাও তো একটা বাড়ি
যেখানে চলন্তিকা সময়ের রোমন্থনে সকল হিসেবনিকেশের অবসান।
যেখানে এক সমুদ্র মেঘ ,তারপর বৃষ্টি
একটা খোলা বুক ,তারপর আগুন।
সব পুড়ে ছাই
সমস্ত হিসেবে নিকেশ ,সমস্ত গন্ডি ,সমস্ত ভাবনা।
সেখানে মিলে যায় আকাশ আর সমুদ্র গভীর নীলে
সেখানেও তো তোর বাস চলন্তিকা ,
সেটা কি তোর বাড়ি নয়।
আচ্ছা  মানুষ তো নিঃস্ব হতে পারে ,হতে পারে আমার মতো বেজন্মা
কিন্তু ভালোবাসা সে তো বেহিসেবেই ভালো লাগে
ভালোবাসা কি চলন্তিকা কোনো বাড়ি নয়।

তোর খোঁজ কোনো একটুকরো জমি ,একটা কফিন
যেখানে ভিড় করা দুঃখের শহরে ,এক চিলতে হাসি।
আচ্ছা চলন্তিকা জীবন মানে কি শুধু দুঃখ
সেখানে তো সুখও  আছে ,আছে বেঁচে থাকার ইচ্ছা ,একটা আলাদা স্বপ্ন
আমার যেমন  তুই চলন্তিকা একটা খোলা আকাশ
একটুকরো বিশ্বাস আর অবাধ স্বাধীনতার একটা শান্তির আশ্রয়।  

তুই আছিস তাই (৮)

তুই আছিস তাই (৮)
.................. ঋষি
=================================================
ভালোথাকা সম্পুর্নতা পেয়ে গেছে খবরে শোনা যায়
চলন্তিকার পথ এগিয়ে যায়  ফুরিয়ে যাওয়ায়
এসব নিত্যকার কিন্তু  প্রেম।
না সে তো না ফোরানো দিনের মতো আরো আলো ,আরো আলোর খোঁজে
আর জীবন সে তো আজও  তৃষ্ণা চলন্তিকা
এ সবকিছু শুধু তুই আছিস তাই।

চলন্তিকা তোর বারান্দায় ম্যানি প্ল্যান্ট গাছটাকে বলিস
আমি আছি বেঁচে।
চলন্তিকার তোর শহর সকালগুলোকে আমার অভিনন্দন
তুই আছিস তাই।
প্রতিটা সকাল যেখানে রাত্রি ধরতে যায়
আমি সেখানে আলোকে আঁধারিতে তোর অপেক্ষায় আমার দিনরাতে।
জীবন যেখানে কোনো বইতে থাকা স্রোতস্বিনী
তুই সেখানে আমার গতির মতো দরকারি।
সবটাই শুধু অনুভব ,সবটাই শুধু কল্পনা নয়
কিছুটা বাঁচা গভীরে তোর স্পর্শ আমাতে নাড়িয়ে যায় মুহূর্তে।


ভালোথাকা সম্পূর্ণতা নয় সে তো অপেক্ষায়
আমার শহরের খবর বলে আকাশবাণীর প্রথম সুর ,ভোরের শিশির
আর একটা নাম চলন্তিকা তোর।
না এ সব কল্পনায় লেখা গুনগান নয় আমার কবিতায়
এ হলো বেঁচে থাকা আমার আর নিশ্চয় তোর
কারণ একটাই তুই আছিস তাই।

মৃত্যুর খবর

 মৃত্যুর তত্বতলাশ
.............. ঋষি
=======================================
প্রতিটা মৃত্যুর একটা করে দেশ থাকে
কিন্তু  আমার দেশ চলন্তিকার আঁচলে মৃত্যু।
সকালের আলো যখন বিভাবরী মাতাল
তখন আমার গৃহস্থ গ্রামাফোনে সকালের বাঁচা।
এফ এম নাইনে শুনতে পাওয়া রোজকার খবর
মৃত্যু বাড়ছে এই শহরে।

মৃত্যু বাড়ছে এই শহরে
খোলা নখ ,হাতে পায়ে রক্ত মাখা ব্যাভিচার বেড়েই চলেছে।
সময় পেরিয়ে সীতারা সব আজ দগ্ধ
নিজস্ব আয়নায় মুখ দেখে ললাটের সিঁদুরে খোঁজে মৃত্যু।
শৈশব শুকিয়ে যাওয়া চামড়ার ভাঁজে শহরের দূষণ
মাঠ পেড়িয়ে আজ বড় বড় স্ক্যাই স্ক্যাপারে আকাশ মৃত।
মৃত যৌবন আটপৌরে স্বপ্ন দেখে ভালোবাসা ,সুখের ঘর
ছেঁড়া পকেটের রুমালে প্রেমিকার লিপস্টিক তবু মৃত।
বার্ধ্যকের শেষ কটা দিন বিছানার চাদরে
অপেক্ষারত নথিবদ্ধ মৃত্যুর কারবার।

প্রতিটা মৃত্যুর মতো আমার মৃত্যু চলন্তিকা তুমি
শিশিরের স্পর্শে বেঁচে থাকার আকাঙ্খার অপেক্ষারত শহর।
 একটা সকাল চাইছে মানুষ
আমি চলন্তিকা তোমাতে বিভোর মৃত্যুর কোলে শুয়ে বেঁচে।
এটা কোনো বাড়তে থাকা পরিসংখ্যান নয়
শুধু বেড়ে যাওয়া মৃত্যুর খবর। 

Sunday, October 16, 2016

খুব সাধারণ কন্যা

খুব সাধারণ কন্যা
..... ঋষি
===============================================
মিতা বলে মেয়েটা মরে গেলো
সোজাসাপ্টা মরে গেলো  ,সময় থেকে চলে গেলো।
কিন্তু কেন ?
এই প্রশ্ন সময়কে করা হয়েছে বারংবার
উত্তরে কারণ ছাড়া পাওয়া মিতাদের মরে যেতে হয় বারবার ।

সামনের শিবতলায় বুড়ো জ্যোতিষী আজও বসে
হাত দেখে বলেছিলো মিতাকে মৃত্যু যোগ।
ভালো পড়াশুনা হবে চাইলে চাকরিও হবে ভালো
কিন্তু কেন ?
মিতাদের মরে যেতে হয়।
উত্তর চেয়েছে অনেকে খবরে ,মিডিয়ায় ,আরো অনেক নাটকে
তবু  কারণ ছাড়া এই সমাজ বলে মিতাদের মরে যেতে হয়।
মরতেই হয় মিতাদের
কারণ না সে অজানা নয় পুরুষও তন্ত্র।
ভোগ তন্ত্র ,সমাজ তন্ত্র ,খিচুড়ি তন্ত্র
যন্তরমন্তরে এই সময় মিতাদের মরতেই হয়
কারণ ভালোবাসা ,প্রেম ,সম্পর্ক সব ছাড়িয়ে মানুষ আজ লোভী।

মিতা বলে মেয়েটা মরে গেলো
তোমার কেও প্রতিবাদ করলে ?পুজো শেষে বিজয় মিছিল হলো সাজানো,
আর প্রতিবাদ ? আচ্ছা ভাবো তো দেবী দুর্গাকেও যদি মেরে ফেলা হয়।
একদম না সে তো দেবী মহিষমর্দ্দিনী
আর মিতা তোমার আমার ঘরের খুব সাধারণ গৃহস্থ কন্যা। 

কবিতার কবি (২)

কবিতার কবি (২)
............... ঋষি
==================================================
তুমি যুদ্ধের কি বোঝো কবি
সোজাসাপ্টা রুল টানা খাতায় কবিতায় প্রেম লেখো।
পাতায় পাতায় তুমি চলন্তিকা
অজস্র হৃদয়ের কারবারে তুমি শুধু আদর লেখো।
কখনো ছেঁড়া কাপড়ে সম্মান ঢাকার চেষ্টা করেছো
কখনো এক কণা অন্নের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখেছো


আচ্ছা যে মেয়েটা রোজদিন রাত্রি করে বাড়ি ফেরে
পাড়ার রকে উঠতি যুবকের  সমালোচনায় কান পেতেছো।
কান পেতেছো গৃহস্থের ঘরে
সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পরে যে গৃহিনী আধ পেটা খায়।
কিংবা যাকে ভেবে তুমি কবিতা লেখো
সে যদি ও পাড়ার লাল্টুর হাত ধরে হেঁটে যায়।
কেমন লাগে
ঠিক যুদ্ধ পরিস্থিতি তাই না।
ঠিক যেন চারিদিকে কারফিউ ,ব্ল্যাক আউট তাই
এসব বুঝেছো কোনো দিন কবি ?

কবি অবাক হয়ে আকাশের দিকে চায়
প্রশ্ন করে কবিতা কাকে বলে ?চলন্তিকাকে ? ভালোবাসাকে ? যুদ্ধকে।
জানতে চায়   তবে সে কাকে নিয়ে লিখবে ?
সমালোচক চুপ
কিন্তু কবি পাগল তাই  আজও সে সময় লিখে যায়
পাতায় পাতায় কবির কলম অন্তঃস্বত্বা বারংবার সময় জন্ম দেয়। 

Friday, October 14, 2016

স্বপ্ন দেখা

স্বপ্ন দেখা
............. ঋষি
===========================================
স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে
আর স্বপ্ন দেখি বলে হয়তো চলন্তিকা আমার কলমে তুমি।
বেশ তো
না হয় তুমি সেই কলেজ ফেরৎ যুবতী।
আমি পথ চলতি উড়তি যুবক ,পথে দেখা ,চোখে চোখ
তারপর বাকিটাও স্বপ্ন।

এই যে আজ তুমি বললে
তোকে আদর করতে ভীষণ ইচ্ছা করছে।
এটা হচ্ছে পাখির খোঁজ
খোলা আকাশের বুকে পরম আশ্রয়ে কোনো ডানা।
আরো গভীরে এসো,মিশে যায় ,তারপর
সবটাই স্বপ্ন।
এই ভাবে একদিন স্বপ্নের বাড়িঘর ,ঘরকন্না
ইচ্ছে দরজা ,ইচ্ছে পথ ,ইচ্ছে জীবন।
উঠতি,পড়তি আমি মধ্য চল্লিশের কোনো ঘর পোড়া গরু
তোমার দরজায় আর তুমি কোনো সম্পূর্ণ রমণী।

স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে
তাইতো চলন্তিকা তোমার হাত ধরে খোলা আকাশে হাঁটা।
অনেকটা পথ হাঁটার পর ক্লান্ত হয়ে চোখে চোখ রাখা
আর খোঁজা আশ্রয় ,লুকোনো প্রশ্রয়।
সবটাই স্বপ্ন বোধহয়
ভালোবাসলে জানো তো স্বপ্ন দেখতে হয়। 

না আজ থাক

না আজ থাক
............ ঋষি
================================================

ঠোঁট লাগবে
তারপর বুক ,তারপর কাঁপন,আর হৃদয়
সে তো মাঝদরিয়ায় তখন আপনহারা প্রাণ
পাগল খাবি কি
শেষ রসটুকু চুষে নিয়ে পুরো মাতাল
কোনো নোনতা সামুদ্রিক ঢেউ

ঢেউয়ে পরে ঢেউ
হৃদয় ছুঁয়ে ভেঙে যাবে সভ্যতার পারে মাটির চর.
ভাঙবে ঘর ,ভাঙবে সভ্যতার জঙ্গলে নিয়মিত হত্যার জীব
সবটাই অনিয়মিত।
অনেকগুলো যাপন ভেঙে শরীরে নোনতায়
কেমন একটা ভিজে ভাব ,জ্যাব ,জ্যাবে ঘাম।
শুষে নেবে মাতাল মন্থন
কোনো হৃদয়ের সুখ।
আর দুঃখ
না আজ সে কথা থাক।

ঠোঁট লাগবে
সমুদ্রের যদি তটে ইচ্ছা সমুদ্র চোখ রগড়ে দেখবে জ্বালা।
সত্যি পুড়ে যাওয়ার সুখ
আর দুঃখ
না সে কথা আর বলবো না
আকাশ আর সমুদ্র শুধু মাঝদরিয়ার মাঝির আবদার।

আকাশের ঘুড়ি

আকাশের ঘুড়ি
........... ঋষি
============================================
নিজেকে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়
মনে হয় যদি তোমাকে সেই সতেরোতে দাঁড় করানো যেতো।
স্কুল ছুটির পর লুকিয়ে দেখা
এক ফালি হাসি ,চোখে চোখে কথা।
অবিরত নিজের সাথে প্রতিজ্ঞা করা ওই তো তুমি
আমার জীবন ,আমার পুজোর প্রথম আদরের ফুল।

আজ এত বছর পরে
আমি নিজের আয়নাতে আজকাল তোমাকে চিনতে পারি না।
এই রাস্তা ধরে টক ,ঝাল ,ফুচ্কা ,ঝালমুড়ি
আকাশের ঘুড়ি ,তুমি তখন স্বপ্ন।
আমার সদ্য উড়তে চেনা ডানায় আরব্য রজনী
ম্যাজিক কার্পেট।
কোনো অপরিচিত কণ্ঠে তোমাকে বলতে থাকা
এই তো আমি তোমার কাছে।
ধুস সব স্বপ্ন
আকাশে ঘুড়ি ওড়ানো যায় কিন্তু আকাশ
না মুঠোয় ধরা যায় না।

নিজেকে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়
যখন তোমার ভাঙ্গতে থাকা স্বপ্নগুলো প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
তুমুল ঝড় সেদিন ,মারাত্নক বৃষ্টি
আমি কল্পনায় আকাশের বিদ্যুতের গায়ে তোমার অধিকার।
সরে গেলো মেঘ ,আকাশ পরিষ্কার এখন
আমার শেষ ঘুড়িটা ,ভোঁ কাটা ,,,,,যা জীবন। 

প্রিয় নারী

প্রিয় নারী
.............. ঋষি
=================================================
প্রিয় নারী
তোমাকে বলবো বলে ভাষা পাওয়া যায় না।
আজ বিজয়ের পরে দশমীর পর্যায় মা চললেন
কিন্তু তুমি ,কোথাই আছো নারী ?
এই হারানোতে কোনো অধিকার লাগে না
শুধু ইচ্ছা ?

আমি ছোটবেলা থেকে ভীষণ অবাক হয়েছি তোমাকে দেখে
কি অদ্ভুত মায়াময় জালে তুমি ডুবিয়ে রেখেছো ভুবন।
অদ্ভুত তোমার ভঙ্গি
তুমি মা।

আরো অবাক হয়েছি যখন তোমাকে বুঝতে শেখ
প্রথম চোখে ধরা তোমার অবয়ব।
শারীরিক বর্ণনায় মন্ত্র মুগ্ধ কবিতা হারাতে থাকে
কিন্তু মা।
তোমার প্রেমে অবাক হওয়া আমি আজ আবার মুগ্ধ।
তুমিও মা হলে চলন্তিকা ,দেবী
অথচ একা।

প্রিয় নারী
তোমাকে ভালোবাসি বলাটা আমার অপরাধ।
যতদূর জেনেছি পুরুষ শুধু তিন পায়ের কোনো জানোয়ারের নাম
এটা স্বীকোরোক্তি তোমার কাছে।
কিন্তু মা
না এটা শুধু স্মৃতি নয় ,ইচ্ছা। তুমি কোথাই ?


আকাশের চাঁদ

আকাশের চাঁদ
.............. ঋষি
==============================================
নিস্কলঙ্ক একটা কবিতা লিখতে গিয়ে
বারংবার অক্ষের চাঁদের মতো কলঙ্ক লিখে ফেলি।
কলঙ্ক বেঁচে থাকা ,কলঙ্ক একা থাকা
এই সমাজ ,এই অধিকার ,এই অস্তিত্ব ,সর্বোত্তম দেশ।
সবটাই শুধু একই আসনে আসীন
আমার ,তোমার মতো একা কোনো ক্ষয়িষ্ণু সমাজবোধ।

হাসছে জীবন হাসছে
সকালের সূর্যের সাথে ব্রেকফাস্ট ,তারপর সেই মেকি হাসি।
কাঁদছে জীবন কাঁদছে
বিছানার চাদরে মেশা একা থাকা আকাশের চাঁদ।
নিস্কলঙ্ক আকাশ
এই কবিতার সীমানা ছাড়ানো বিশ্ব ব্রম্হান্ডে এক টুকরো গোলক।
ঘুরে চলছে সময়ের পরিধিতে
সবটাই শুধু নিয়ম আর নিয়মিত
তার বাইরে বাকিটা অপ্রাসঙ্গিক।

নিস্কলঙ্ক একটা কবিতা লিখতে গিয়ে
লিখে ফেলি তোমায় চলন্তিকা এক না শেষ হওয়া কাহিনী।
সময় বদলায় ,বদলায় মানুষের মানচিত্র
কিন্তু অস্তিত্ব সবটা এক নাড়াচাড়া জীবনের না ভুলতে থাকা পর্যায়।
আগুনের স্ফুলিঙ্গের মতো আরো উজ্বল
তাইতো আকাশের চাঁদও মলিন নয়। 

আশ্রয়

আশ্রয়
............ ঋষি
==========================================

সত্যি বলতে কি অভি
এই জীবনের সপ্তসুরে আমি আছি ,তুমিও,
কিন্তু কেন জানি একটা তার কাটা।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখের কালিতে
অবাক হয়ে দেখি জীবন
কিন্তু কেউ আজ অবধি এই ভালো করে দেখলোই না।

অভি এই কথা জানা ছিল
একসাথে থাকা মানে পাশে থাকা নয়।
কিন্তু আজ জীবনের এতগুলো বছর তোমার সাথে থাকার পর
অবাক হয়ে পিছন ফিরে দেখি এটা কি জীবন।
মেকি হিসেবি যাত্রায় আমি তুমি পথিক
প্লাস্টিক স্মাইলে মেপে চলা সভ্যতার কাঁটায় আমি তুমি ঘড়ি।
শুধু সময় কেটে যায়
কিছু বদলায় না সভ্যতার মতো।
মাঝে মাঝে আজকাল দূরত্বের পাঁচিলে দাঁড়িয়ে
তোমাকে আকাশের চাঁদ নয় ,তারা খসা মনে হয়।

সত্যি বলতে কি অভি
আমি আজও সেই ছোট্ট ফ্রকে বিনি দুলিয়ে স্কুলে যায়।
আজ স্বপ্ন দেখি আমার স্বপ্নের পুরুষ
খোলা লোমশ বুকে মাথা রেখে কেমন একটা অদ্ভুত আশ্রয়।
জানি এইভাবে জীবন কেটে যাবে
কিন্তু আমার চোখের গভীরতায় কোনো অতল খিদে। 

দেশলাই কাঠি

দেশলাই কাঠি
......... ঋষি
==============================================
দেশলাই নিভে যাওয়ার আগে
আমার হাত ধরো চলন্তিকা ,চলো এগোই।
সময় ছাড়িয়ে ,সমস্ত বন্ধনের ওপারে
একবার আকাশের পথ ধরে গ্যালাক্সীর শেষ নিভে যাওয়া তারা।
আলোয় এসো চলন্তিকা
হাত ধরো পৃথিবীর শেষ প্রান্তে আজও অপেক্ষা।

প্রান্ত ছেড়ে কোনো প্রান্তিকে
আকাশের ভিড়ে হারানো তারাদের সাথে চলো একলা হই একবার।
কেউ তো চলন্তিকা দীর্ঘস্থায়ী নয়
শুধু সময়ের কাঁটা।
তিরতিরে নদীর মতো বোবা জীবন বয়ে চলে যায়
সমস্ত অবয়ব জুড়ে শান্তি চায়।
বাঁচতে চায় চলন্তিকা একবার দেশলাই নিভে যাওয়ার আগে
চলন্তিকা হাত ধরো ,চলো এগিয়ে যাই।

শেষ দেশলাই কাঠির বারুদে জীবনের স্থূপ
হাজার বছরের প্রতীক্ষার পরে আকাশের গভীরতা এই বুকে।
আগুন জ্বলে যেমন জীবন
এই মরুপ্রান্তরে হাজারো প্রতীক্ষায় মানুষের ভিড়ে অসংখ্য শরীর।
শুধু সময়
দেশলাই নিভে যাওয়ার আগে।

আরশি নগর

আরশি নগর
.............. ঋষি
================================================
তুমি আরশি নগর চেয়েছিলে
আমি চেয়েছিলাম আমার আয়নায় তোমাকে।
আমার ঘুম ভাঙা চোখে চলন্তিকা অজস্র স্বপ্নের ধারা
তোমার লাল পেড়ে শাড়ি ,স্লিভলেস অন্ধকারে নিঃশব্দ আমার ছবি।
আজও আয়নায় ধরা
স্মৃতির মুখে লেগে আছে মাতন এই নীরবতা।

শেষ কবে তুমি কাছে এসেছিলে
আজকাল কবিতার আঁচড়ে নিজের সাথে যুদ্ধ তিনশো  পয়ষট্টি।
যুদ্ধ চৌষট্টি ঘরের সাজানো সম্পর্কের খেলায়
শেষ কবে ভালোবেসেছিলে।
আজকাল এই প্রশ্নটা বাতাসের গায়ে সুর
না সারে ,গামা নয় অন্যকিছু।
শেষ কবে তুমি আমার হাত ধরে হেঁটে গিয়েছিলে
আজও মনে পরে
জীবন সে যে সমুদ্র আর তুমি " নোনতা হাওয়া " ।

তুমি আরশি নগর চেয়েছিলে
আমি চেয়েছিলাম আয়নার আড়ালে তোমাকে জড়াতে।
আমার সকালের সূর্যে যে তীক্ষ্ণ জ্বালাপোড়া
তুমি চাঁদ চেয়েছিলে আর আমি একটা খোলাআকাশ।
দিন কেটে গেলো ,দিন চলে
আর আরশিনগর আজ তোমার আয়নায়।  

অন্য কোনো দিনে

অন্য কোনো দিনে
.............. ঋষি
=================================================

শুধু মেতে আছি
এই পাগল হাওয়ায় আমি শুধু ভেসে।
আরো চলেছি দূরে ,আরো দূরে চলন্তিকা তোমার দূর থেকে কাছে
এই শহরের হাওয়ায় আজ নেশা করেছে জীবন।
কোনো পাগলাটে মেঘের আদলে শুধু ঘোরা ফেরা আকাশ
আজ বিদীর্ণ চলন্তিকা তোমার প্রেমে।

এই ভাবে ঠিক এইভাবে
তোমাকে বলতে চাইনি আমি ভালোবাসি।
আমার শেষ মুঠোফোনের আলাপে তুমি বলেছিলে সুখে আছি
আমিও তো আছি সুখে।
এই শহরের প্রতিটা রাস্তার মোড়ে মোড়ে
প্রতিটা লাইট পোস্টার অন্ধকার হারানো দিনে।
আমি সুখে
শুধু মেতে আছি ,শুধু ভেসে আছি।
তোমার থেকে দূরে
আরো দূরে ভালোবাসি তোমায় চুপিচুপি।

হাওয়ার হাত ধরি ঠিক যেন তুমি চলন্তিকা
ভাসতে থাকি মনুমেন্ট ,ভিক্তোরিয়ার পাশ দিয়ে পাগলের মতো।
এগিয়ে যায় আরো কাছে ,আরো কাছে
বাতাসে তোমার সুবাস ঠিক যেন ভালোবাসা।
আর জীবনে চলন্তিকা তুমি
অন্য কোনো দিনে।

মুক্তির খোঁজে

মুক্তির খোঁজে
................ ঋষি
=================================================
একটা স্বপ্ন দেখলাম
সেই অন্ধ মানুষটা হেঁটে চলেছে আলোর দিশায়।
তারপর দেখি
সেই খোঁড়া মানুষ ক্রাচ ছুঁড়ে ফেলে উঠে দাঁড়িয়েছে।
আর তারপর অবাককান্ড
আমি উড়ছি আকাশের নীলে ,,মুক্তি ,মুক্তি।

আমার শুধু মনে হয়
এই বোবা পৃথিবীর মানুষগুলো কেন জানি খোঁড়া ,অন্ধ সেজে আছে।
শুধু মনে হয় শান্তির খোঁজে ,শান্তির বেঁচে থাকায়
তারা শুধু পুড়ে চলেছে।
চারিদিকে চামড়ার পোড়া গন্ধ ,মৃতের স্তূপ
আকাশের ঘন গভীরে নীল হারিয়ে লাল রং মোড়া।
এই রং মৃত্যুর
এই রং একলা থাকার।
এই রং সভ্যতার চাকায় পিষে যাওয়া মানুষের রক্তের
মানুষ গুলো একলা হতে হতে কখন যেন মরে গেছে।

একটা স্বপ্ন দেখলাম
ঘুম ভেঙে চোখ খুলে দেখি নীল আকাশ, না বদলায় না কিছু
তারপর দেখি
সেই অন্ধ ,খোঁড়া মানুষগুলো মিছিল করে চলেছে।
সকলের হাতে মুক্তির পায়রা
কিন্তু কিছুই বদলায় নি ,যতদিন না সব মেরুদন্ড উঠে দাঁড়ায়।

মানুষের মতো

মানুষের মতো
............ ঋষি
=================================================

আমি চিরকাল কোনো পথ হারানো পথিক
এই ইট ,কাঠ ,কংক্রিটের জঙ্গলে হাত ধরা সভ্যতা।
পথ যেখানে রাংতায় মোড়া আধুনিকতা
না আমি আধুনিক হতে চাই নি।
প্রাগৈতিহাসিক সময়ের সবুজে মেতে শুধু হাঁটতে চেয়েছি
মানুষের মতো।

মানুষের মতো
আমি আগুন পেড়িয়ে হেঁটে যেতে চেয়েছি সবুজ জঙ্গলে।
জল-জঙ্গল-জমি বিনষ্টকারী 'উন্নয়ন' নামের সুনামির আমি মৃত্যু চেয়েছি
তাইতো বদলে শুধু চাবুক চলেছে,
চাবুক চলেছে আমরা ঘরে বাইরে বেঁচে ফেরায়।
সেই চাবুকের দাগে
আজ আমি রাঙিয়ে ডোরাকাটা হিংস্র চিতা,
কোনো সমীকরণ নয় শুধু উদাহরণ আমার নখে মানুষের রক্ত।

ঘর ভাঙে আমার
আর সভ্যতা হয় রেমেকি।
ঘর ভাঙে বারংবার
সম্পর্কও যেখানে মেকি।
তাইতো চিরকাল আমি পথিক থাকতে চেয়েছি
কিন্তু কখন যেন মানুষের জঙ্গলে আমি সবুজ হারানো ডোরাকাটা চিতা। 

Thursday, October 13, 2016

আসল কাব্য

আসল কাব্য
..........ঋষি
=============================================
জানি হয় না
কি করে হবে ? কি ভাবে হবে ?
সময়ের ঘরে সৈনিকের কুইক মার্চে গল্পের শেষে
রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধ।
ভিজে যাওয়া পানিপথ বুকে নিয়ে একলা হবে
সেই তো আসল কাব্য।

এই শহরের বাতাসে আজকাল দীর্ঘশ্বাস বাস করে
এই শহরের পথে ঘাটে আজকাল প্রতীক্ষা বাস করে।
প্রতীক্ষা সময়ের সফরের শেষ হ্যারিকেনের আলোর
আর আমার কলমের নিবে অনবরত তুমি।
জানি এই ভাবে সময় শেষ হবে
পথ ফুরিয়ে পথের শেষে নতুন চারাগাছ অঙ্কুরিত হবে।
আরো সবুজ
আরো আলো ,এই ভাবে ঠিক এই ভাবে
আমার কলমে তুমিই  কবিতা হবে।

জানি হয় না
কি ভাবে এই সময় হবে ?
তোমার ঠোঁটের ভিজে যাওয়া ইচ্ছাগুলো
আমার জন্ম হবে।
প্রতিবারে যখনি আমার কলমে ক্রমাগত তুমি
আসবে ,যাবে ,আর আবার চলে যাবে। 

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...