Wednesday, February 28, 2018

শুভেচ্ছা রঙিন দিন

শুভেচ্ছা রঙিন দিন
,,,,, ঋষি
************************************
যদি বসন্ত পলাশ খোঁজে, খুঁজুক
আমি খুঁজি রাঙামাটির পথ, হাঁটতে ইচ্ছে করলে, হোঁচট খায়।
কে যেন চমকে দিয়ে সুরে, সবুজে আমাকে প্রেমিক করতে চায়
"স্থলে জলে বনতলে",,,,,,,,,লাগলো লাগলো দোল !
এ সময়,অসময় চলন্তিকা তুমি হাসতে পারছো,
তুমি, তোমার, আপনাদের লজ্জা করছে না।
.
রঙ,, সভ্যতার রঙ, মানুষের রঙ,শুধুই বসন্তের আগমনী
আর প্রতীবাদ?
বসন্ত যে এ সময় লাল রক্তের মতো পলাশ
বসন্ত যে এবারে সিরিয়ায় ধুঁয়ে যাওয়া রক্তের লাল পলাশের মতো সভ্যতা।
.
আবীরের রঙ এবার মাতাবে আমাদের
তারাও মেতে আছে রক্তের রঙ -এ।
সভ্যতা মাথা ঘামাবে,মানুষ মাথা ঘামাবে না
সোশ্যাল মিডিয়া শুধু হাসাতে জানে,চটপটি নিউস।
এ খবর সামনে আসবে না,
আবারও বোমা পরবে সিরিয়ায়,রাষ্ট্রপুঞ্জ চুপ,আমরা চুপ।
.
তবু বলবো চলন্তিকা তোমরা রঙ খেলো,উদযাপন করো
সভ্যতা সাক্ষী হোক সভ্যতার মৃত্যুর।
নবীন পাতায় লাগে রাঙা হিল্লোল।
দ্বার খোল্‌, দ্বার খোল্‌॥
এ দরজা কিসের চলন্তিকা,এই মৃত্যুর রঙ কিসের?
কে সন্ত্রাসবাদ?
.
মানুষের সভ্যতায় আমার, আপনার মতো মানুষ যখন চুপ
তখন কি এসে যায় কিসের দরজা?
হাততালি,,,,,, নরক না মৃত্যু?

.
চলন্তিকা আমাকে আর রঙ দিও না
সময় করে যদি পারো সিরিয়ার সেই মৃত শিশুর কপালে
একমুঠো লাল আবির দিও।
আর আপনারা রঙ খেলুন, প্রেম করুন মওকায়
না না এইসব ভাবনার সময় এখন নয়,
আপনাদের শুভেচ্ছা সভ্যতার লাল রক্তের দিনের।

Monday, February 26, 2018

পাগলামি(৮)

পাগলামি(৮)
,,,,,,,ঋষি
-----------------+------------------+----------------+-----------+
বুকের ভিতর একটা জেদ জমে আছে
জেদ তোকে পাওয়ার।
হাসছে সময়,শরীরের স্যাকারিনে বাড়তে থাকা আতংক
ক্রমশ প্রকাশ এ আমার পাগলামি।
নিদ্রাহীন শব ঘুম ভেঙে তাকিয়ে থাকে তোর মুখের দিকে
ঘুম ভাঙে না, তবু ঘুম আসে না।

পৃথিবীর বেতার আবহাওয়ায় শুনতে চাওয়া
তোকে
এ আমার অধিকার।
কোন একলা দিনে কাছে চাওয়া তোকে
এ আমার অভিমান।
চলন্তিকা এক বুক আশ্রয়ের খোঁজ
ভীষন দরকারী তুই আমার বাঁচায়।
ভীষন জরুরী ভিত্তিক একটা অধিকার এই দুনিয়ার আকাশে বাতাসে
আঁচড়াতে চাই,চাই আগলায়ে,চাই পাগলের মতো  ভালোবাসতে
এখানে কোন নাটক নেই,নেই ভুল।

বুকের ভীতর একটা জেদ জমে আছে
বসন্তের পলাশে জমে আছে অনেকটা একলা দিন।
কাঁদছে সময়,শরীরের তাপাঙ্কে ক্রমশ শীতল অনুভব
ক্রমশ প্রকাশ এ আমার পাগলামি।
ঘুম ভেঙে গায়ে উঠে পরে একলা সময়
চলন্তিকা আসলে একলা থাকার অভ্যেস আমার।

Sunday, February 25, 2018

শেষ গন্তব্য

শেষ গন্তব্য
,,,,,,,ঋষি
-------------------------------------------------------------------------
চলন্তিকা এবার গন্তব্য মৃত্যু
আপসেট নই,একটা রোগ বুকের গভীরে,একটা নেশা।
হারানোর ভয় নয়,পাবার আশা নয়
শুধু একচিলতে হাসি বুকের গভীরে কোনো কালো তিল।
জানি আমি তোর যোগ্য নই,আমি তো সব হারানো বাউল
যার একতারাতে শুধু তুই সুর তুলিস।

ছোটবেলার সেই ঘরের খোঁজ
আর তোর ঘরে আজ অনেক লোক,অনেক কাজ।
জানি আমি তোর প্রয়োজন নই
শুধু আয়োজন পথ আর পথ মাড়িয়ে শুধু পথ চলা।
জানিস চলন্তিকা এই ঘড়ির কাঁটায়
আমার চারপাশে কেউ কোথাও নেই এখন তুই ছাড়া।
আর সহ্য,তোর চোখের জল
সমুদ্রের অন্ধকার ফসফরাসে লেগে গেছে দিগন্ত।
আমি ঘর ছাড়া সেই বাউলে মন
যার ভাবনায় তুই ছাড়া কিছু থাকে না আজকাল।
আর সহ্য, আমি করি আজকাল নিজেকে
কারন মন কখনো বোঝা হয় না, বুঝিয়ে দেয় অস্তিত্ব ।

চলন্তিকা এখন আর কোন আমি নেই
এখন শুধু মৃত্যুর সিস্টেমে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।
আপসেট নই, শুধু একটা আবিষ্কার
পৃথিবীতে একটা মৃতদেহ বেড়ে গেল নিঃশব্দে।
আর কোন দায় রইলো না বেঁচে থাকার
এবার শুধু অপেক্ষা আবার তোর হাসিমুখ দেখবার।

Saturday, February 24, 2018

বিকেলের রৌদ্র

বিকেলের রৌদ্র
,,,,,,, ঋষি
--------------------------------------------------------------
বিকেলের রৌদ্র লেগে আছে
মরা সাবমেরিন বায়নাক্কা,দুস্তর টিপিকাল নগ্নতা।
আসলে তোকে মিস না করলে
আমার কবিতা মরা রৌদ্রের মতো গড়াগড়ি খায় রাস্তায়।
ভাগ্যিস দূরত্ব লিখতে শিখে গেছি চলন্তিকা
না হলে বোধহয় বাঁচার কোন কারন থাকতো না।

মতের অমিল হলেই বিনিময় করি মতামত
শহরের চারপাশে দেওয়ালগুলো কখন যেন ঘর হয়ে যায়।
এখানে কোনো বাড়াবাড়ি নেই নিষিদ্ধ দুপুর
তুই হাসিস আর আমি ফাঁকতালে গেলাম গেলাম।
তাই বিকেল হলে মন খারাপ
দেবতার রৌদ্র ফুরিয়ে গেলে আদরগুলো অন্ধকার কবিতা।
রয়ে সয়ে বসে বসে আবার রাত্রি আসে
বিবস্ত্র গাছ,রাত্রি বরাবর এতো নগ্ন কেন ভেবে পায় না?
সতেজ স্তনাভার,  নিদ্রাহীন চোখের তারা
একটানা বেজেই চলে পাখোয়াজ,ক্রমাগত বিষন্নতা।

বিকেলের রৌদ্র লেপ্টে
তোর চোখের কাজলের অন্ধকারে আমি।
আসলে তোকে মিস না করলে
আমার কবিতা চলন্তিকা ডাঙায় তোলা কই।
ভাগ্যিস একলা থাকতে শিখে গেছি চলন্তিকা
না হলে তোরর কবিতাগুলো ভীড়ে হারিয়ে যেত।



ছদ্মবেশ

ছদ্মবেশ
,,,,,,,, ঋষি
****************************************

ঈশ্বর শব্দটা লিখতে আজও ভুল করেছি
নিয়মিত একটা অভ্যেস হয়ে গেছে।
আমি কিন্তু নিয়মিত পঞ্চবটি ধূপ দিই,সামাজিক রিতী
আপনার একবিন্দু রক্ত কোন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে।
মানুষের পোড়া ভাবনাগুলো
ঐ পোড়া পঞ্চবটি ধূপের মতো ঈশ্বরের কৃপায়।

ফাগুনের পলাশ, ইস্কুলের ধুলোতে গড়াগড়ি
কুড়িয়ে নিচ্ছে নিঃশব্দ।
ফাগ, আবিরের আদরের গল্পরা পরাধীন নয় শুধু অস্থির
বসন্ত মিশ কালো কোকিল জিন্দাবাদ।
এক ভার্জিন দৈনন্দিন, নিরুপায় আকাশে আনন্দের আকাশ
ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান,তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান।
আবোল তাবোল ভাবনা
তবে সাবধান চলন্তিকা
কোকিলগুলোর খুব কাছে যেওনা শুনেছি
ওরা নাকি আজকাল কাক লুকিয়ে রাখে ছদ্মবেশে।

ঈশ্বর শব্দটা আজও লিখতে ভুল করেছি
কি হলো, বলোতো চলন্তিকা,আজ ছাদের উপর এতো ময়ূর। 
কোকিলগুলো গেলো কই?
আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ,ফিরে আসবো নতুন ভাবনায়।
আর ততক্ষন পঞ্চবটি ধুপ ছেড়ে চলো অনুশীলন করি
চিলেকোঠার শার্শিতে ঈশ্বরকে যদি আবার লেখা যায়।

বিষ কবিতা

বিষ কবিতা
,,,,,,,ঋষি
*****************************************************
তুমি ভুলে যাও সেই বিকেলের কথা
কবিতায় শহর বিক্রী হয় কিন্তু আমার কবিতা শুধু আকাশের।
রাত বাড়লে কাপড় ছাড়িয়ে তোমারও চামড়া পায়
নিদ্রাহীন শোক,,,,, বিষ কবিতার জন্ম।
হাত কামড়ায় কোনও জন্মের হয়ে যাওয়া নিদারুন ভুল
সেই বিকেলবেলা আমার নবজন্ম তোমার জন্মগুহায়।

এই কবিতা জন্মের নয়, নয় প্রেমের
শুধু রাশ রাশ প্রতীক্ষা ভরা অবুঝ দিন।
সকাল যখন গুডমর্নিং বলে আমাকে, আমি দিন গুনি
হয়তো প্রতীক্ষায় পুড়িয়ে ফেলি একটা দিন।
এক একটা দিন, নিদারুন ক্রোধে দাবানল
পুড়িয়ে ফেলি নিজের ভিতর সকল নীল আকাশ,লিফটে চুমু।
ইচ্ছেমত ছুঁয়ে ফেলি কোন বাউলের সুর
পৌঁছতেই হবে দূরে ওই পাহাড়ের ছাতে,ওই স্বপ্নের ঘর।
তোমার বারান্দা দিয়ে পাহাড় দেখা যায়
কিন্তু তোমাকে দেখা যায় না,শুধু আমার আকাশের কবিতা।

তুমি ভুলে যাও সেই বিকেলের  কথা
দূরবীনে তখন হয়তো  আমার মত কেউ কবিতা লেখে।
ল্যাম্পপোষ্ট।  হলুদ আলো ঠিক জলের মতো রাস্তায়
তুমি তো হলুদ শাড়ি পরে আছো।
হাত কামড়ানো জন্মের সেল্ফিতে তখন অন্য হাত
তুমি হাসছো, হাসছি আমিও।

কীট জন্ম

কীট জন্ম
,,,,,,,ঋষি
---+--------+--------+--------+------+------+------+------
ভালোবাসা মৃত্যুর ভাবনা
সিগারেটের তামাকে নেশা, পেয়ে বসেছে সময়।
মৃত্যুর দুদিন আগে বিষ মিশেছিল প্রেমে
প্রেম ভেবেছিল আবার জন্মাবে নতুন পৃথিবী বুকে।
শোনা কথা, রটা বদনাম, চোখে ঘুম ছিল না
আর সবটুকু প্রেম ছিল আজন্ম নিদ্রাহীন  চোখে।

নেশা শান্তির, বিনীদ্র যাপন, লালায় বিষ, নীলকণ্ঠ কীট
মৃত্যু ছুঁয়েছিল দু-একবার,কিন্তু প্রেম?
তোমার কি সত্যিই ঘুম পায়নি কখনো চলন্তিকা
আর আমার নেশারু চোখের স্বপ্ন?নিরুপম উত্তাপ।
কতটা রেশমী ছিল সবুজ উরুর চরাচর
উপগ্রহ, গহ্বর মাইল খানেক।
যাযাবর পায়ের ছাপ, গুটি ভেঙে ভেঙে
জল চুষে যায় মুখের ভেতর খানিক নিকোটিন।
আর
কীটজন্ম স্মৃতি।
ঘুম নেই, উপগ্রহ তোলপার করেও ঘুম নেই কোত্থাও
হে আদিম জীবন, আর একবার কীটজন্ম দাও।
নীল স্বপ্নে লাফ দিয়ে ঘুমের ভিতর
এক আঁজলা জল খুঁজে পাই।

মৃত্যুর দু'দিন আগে - টের পাওয়া যায় নি
প্রেম কবির কলমে নিষ্ঠুর যন্ত্রনা।
স্বপ্ন আর প্রেম থেকে বহু আলোকবর্ষ দূরে
তুমি আমার মৃত্যু হও কিংবা বাঁচা।
তবে আমার ঠোঁটে লেগে থাকা সিগারেটের চুমু
আর আমি কবি নই হয়ে যায় মৃত্যু ভালোবাসা।


প্রজাপতি

প্রজাপতি
,,,,,,,,ঋষি
*-----+--------+--------+-----+-----------+-----++-----*
সকালবেলা অলক্ষ্মী
লাবণ্য লাবণ্য বলে ডাকছি পৃথিবীর শূন্যগুলিকে।
টেবিলে জড়ো হচ্ছে, রূপকথার মিথ্যে ছায়ারা
তা কি নিজেরই ইচ্ছায়?
উড়ে আসে একে একে গুটি ভাঙা প্রজাপতি
শুঁয়োপোকা ঘর ভাঙে, স্বপ্ন চোখ বাচাঁর আশায়।

বালিকা জলের কাছে
জলের উপর রুপলী আয়না,ন্যাকা ডাগর চোখ।
সকাল বলে দেখ রে আমাকে
আমি বলি সময়,শুধু রঙ বদলায়,নিজের অভিসারে।
আমি সুন্দরী বলতে পারি না চলন্তিকা
শুধু বলি মানুষ।
আমার তুই বলাতে শুধুই আবষ্কার মানুষ
বাংলাশব্দের এই থ্যাঁতলানো ভালোবাসা
                                    শুধুই অভিসার।

সকালবেলার অলক্ষ্মী
ভেজাল মাপের ন্যাকা ন্যাকা বোকামি সুন্দরী চোখ।
শুধু বাইরেটা দেখা আর দেখানো
ভিতরটা কেউ দেখতে চাইলো  না।
শুধু গুটি ভাঙা  প্রজাপতি, নিয়মিত ধর্ষণ
কিন্তু আদর,গুটি বুনতে পারলো না।

Friday, February 23, 2018

নীল শহর

নীল শহর
,,, ,,,,,,, ঋষি
****-************************************-**-----*****
অনেকটা যন্ত্রনা নিয়ে শুরু হলো সন্ধ্যা
কানে ভেসে এলো রেকডিং সমুদ্রে ভাসার শব্দ।
বাড়ির সামনে দিয়ে কোনদিন চলে যায়নি সাদা  কাঁচের নদী
সেখানে সমুদ্র।
সারিয়ে নিলাম রঙিন কাঁচে বন্দী নীল শহর
রঙের পিচকিরি দিয়ে  ছড়ানো আজস্র চিঠি।

নিরাময়
উড়ছে এয়ারোড্রোমের সন্ধ্যেবেলায় গভীর আকুল সমুদ্র।
কেউ কোনদিন কোন  নিরাপত্তা
কোনও নক্ষত্র বা হলুদ স্বপ্নের কাছে পৌঁছে দিইনি।
যেখানে  মাধ্যাকর্ষণের শেষ
সেখানে দিল খুলে গেয়ে উঠিনি চেহরা হে কেয়া খাব কোয়ি।
সাগর জেইসি আঁখে বালি,,,,,,,,,
শুধুই সমুদ্রের শব্দ।
                            সূচ ও সুতো
আধখোলা চোখে দেখে নিজের ভবিষ্যত।
পড়ার টেবিলে জড়ো হচ্ছে, রূপকথার মিথ্যে ছায়ারা
গোলাবাড়ির প্রতিধবনি, মুহু মুহু দংশন।

সন্ধ্যের শেষ আলোটুকু নিভে গেলো
নীল শারীতে,নীল সমুদ্র,বাঁশ বাগান,ড্রাকুলা।
নীল শহরের আলোর দেওয়ালে ফাগ আবিরের আদর
ধুস যাতা এটা আবার কবিতা নাকি।
যেখানে দ্বিতীয় পৃথিবীতে ভালোবাসা শুরু হয়
সেখানে সমুদ্রের শব্দ বড় একলা করে তোকে ছাড়া।

Thursday, February 22, 2018

মৃত ভবিষ্যৎ

মৃত ভবিষ্যৎ
,,,,,,ঋষি
*******************************************
এখনও কাঁপছে,অন্তর গুহায় হায়নার ডাক
সময় সারথী এখন, থরথর এখনও মাটি।
এত চাপা পড়া দেহ
শহরের লাশ,রাষ্ট্রের লাশ,সময়ের লাশ।
এখনো  কী বাঁশি বাজে?
রাস্তায় বড় ধুলো, টের পাও বাসি, পচা গন্ধ।

দূরে সরে যাবে বলে উল্লাস! উত্তাপহীন শরীর
আজকাল বড় কাঁপে নিজের ভিতর শুকনো  পচা ভবিষ্যৎ।
কাছাকাছি থাকায় বড় বেশি ক্লেশ,হারানোতে সুখ
নড়েচড়ে বসেছে দুপুর,কফির চুমুতে লেগে আলসেমি তেতো।
মাটির গন্ধ নাকের করিডরে
এইভাবে ফিরে আসতে হয় মাটির কাছে।
ভীষ্মের শেষ ইচ্ছা
কত আর গুস্তাখি মেনে নেওয়া যায় নিজের নখের রক্ত।
অহং সম্বল জীবন
মৃত্যুর আগে মরতে মানা,বাঁচার নেশা,জেতার নেশা,
তবু চাপা পড়া লাশ কাঁদে
কাঁপতে থাকা মৃত ভবিষ্যৎ।

এখনও কাঁপছে
হাত বাড়াচ্ছে প্রতীক্ষা,মাটির নিচে শুয়ে থাকা লাশ।
বুকের বা দিকে নিঃশব্দে বেঁচে আছে স্বপ্ন
একসাথে জড়িয়েছে খাদ আর ঢেউ ফিরে দেখা ক্লিভেজ।
ধ্বস-ভাবনা থেকে শীঘ্র পতন
শহরের লাশ,রাষ্ট্রের লাশ,সময়ের লাশ,,,,, মৃত ভবিষ্যৎ।

অন্ধকার পোট্রেট

অন্ধকার পোট্রেট
,,,,,ঋষি
**************************;*****************

অক্সিজেন ভর্তি ইচ্ছা নিয়ে বাড়ি ফিরি
অনেক রাত হয়ে যায়।
আচ্ছা রাতের কি কোনো নাম আছে?
ছোটবেলার পড়া অন্ধকার।
আচ্ছা অন্ধকারে তুমিও কি আমার মতো
তোমার শহরে, পাড়ার গলিতে,বারান্দায় জোনাকি খোঁজ?

আকাশের চাঁদ তোমার চিবুক ছুঁয়ে,তোমার কপালে
কখন যেন অনবদ্য কবির কল্পনা।
নিরিবিলি জোনাকিরা স্বপ্নের খোঁজে আলো হয়ে যায়
অন্ধকার ফুঁড়ে ফুটতে থাকে কল্পনা।
আমার রাতে খিদের পাতে একের পর এক পোট্রেট
সরতে থাকা ইচ্ছেরা উদাসীন আমার কবিতা।
মনে হয় তোমার চোখের কবিতারা অন্ধকার হাতছানি
অন্ধকার সে যেন কোন নিবিড় তুমি।
বাইকের স্পিড
সরতে থাকা শিতল হাওয়া
শব্দ ফুরিয়ে যায় তোমাকে চাইতে।

আমার অক্সিজেন পুরন বায়বীয় স্বভাব
স্বপ্নের আদরে নীলচে আলো।
এই কবিতায় জোনাকি, চাঁদ সব ব্রাত্য
শুধু সত্যি অন্ধকার।
তবু বলা
তোমার শহরে, পাড়ার গলিতে আমি অন্ধকারে জোনাকি খুঁজি।

সেফ জার্নি

সেফ জার্নি
,,,,,,,,,,,,,ঋষি
★*******************************************★
"গরুর পালের মধ্যে বাঘপরার দৃশ্য’ এঁকে
কি বোঝাতে চাইছ গো ?
যে মানুষ পথ হারানো বন্য পথের ভাঁজে নিজেকে খোঁজে
তার বাঁচার লোভ কেয়ার অফ ফুটপাথ।
অস্পষ্ট ধোঁয়াশা ও একরঙা পেন্সিলস্কেচ
নিরালায় ফুঁটে অঠে জার্নি, সেফ জার্নি।

এর চেয়ে ভালো আখরোট লিপিস্টিকের দিকে তাকিয়ে
এক স্বপ্ন নদী সাঁতার কেটে ডাঙ্গায় ওঠা।
তার চেয়ে ভালো আশ্বিন; যা আসলে একটি নদীর নাম
তার গভীর জলে বুক থেকে কাপড় সরিয়ে স্নান করছে যে মেয়েটি
শরীরে তারও কিছু  আশ্বিন জেগেছে।
তার অন্তরে আশ্বিনের রং ও রোদ্দুর
ভালো লাগছে সামান্য পরকীয়াটুকু।
নিশ্চুপ স্বপ্নে বাঁধ ভেঙেছে
ভালো লাগাটুকু থেকে যাক পাঁজরের প্রতি রন্ধ্রে
ভালো নাই বা থাকা হলো।

ছোঁয়া লেগেছিলো; কেঁপে ওঠা ভেজা গোলাপ গায়ে
তাকিয়ে রয়েছে নীল বিড়ালের চোখ।
আমার প্রান্তরে ঘাসের উপরে ঝরে পড়ছে পালকের মতো স্বপ্ন
তাকে তুমি কুয়াশা বলছো  ! হাসছো গভীর জীবন।
তবু জানো অস্পষ্ট ধোঁয়াশা আর স্কেচ পেন্সিলে আমার স্বপ্ন ফুটছে
কারন তারা ভীষণ একগুঁয়ে আমার ইচ্ছাতে।

Tuesday, February 20, 2018

গভীর খোঁজ

গভীর খোঁজ
,,,,,,,,,ঋষি
★***************************************************★

হাওয়ায় উড়ছে আঁচল
ছুটে চলেছে সমুদ্রের দিকে,আরও গভীরে।
মরচে পড়ছে টিনের তলোয়ারে
পোয়াতির অসহ্য যন্ত্রনা, ঘুম আসছে কই?
সমুদ্রের নোনা জলে প্রতীক্ষার দাগ ছেড়ে যাচ্ছে
চিৎকার করছে, ঋনী  করছে সময়কে,আছড়ে পড়ছে বুকে।

চলন্তিকা সময় এমনি হয়
নিথর,স্থির পরে থাকা বিকেলের রোদ খোঁজে ফেরে আলো।
সময়ের দরজা খুলে অসময়ে ঢুকে পরে দুরন্ত ঘোড়া
বন্য আবদার শিরায় শিরায়।
ফিরে আসে রাত্রি বারংবার,ঘুম খোঁজা সকাল নিমন্ত্রন করে স্বপ্ন
বাইকের সিক্স গিয়ারে পা দিয়ে, হেডলাইট খোঁজে রাস্তা।
সামনে তখন বিশাল সমুদ্র
হাওয়ায় উড়ছে আঁচল,ছুটে চলা সমুদ্রের গভীরে।
নোনা শরীর ভিজে যায়, নোনা মন আশ্রয় চায়
চলন্তিকা তোর আঁচলে তখন, আমার নোনা ঘামের গন্ধ।

হাওয়ায় উড়ছে আঁচল
ছুটে চলেছে বন্য ঘোড়া সমুদ্র স্রোতের সাথে।
অন্ধকার ফসফরাসে তখন স্বপ্নের চোখ
রুপকের সাথে মেশা চলন্তিকা হঠাৎ ঘুম ভাঙা।
আচ্ছা স্বপ্ন ভেঙে  গেলে সমুদ্র হয়ে যায়
কিন্তু সমুদ্রের স্বপ্ন নোনা অথচ গভীর  খোঁজ।

Thursday, February 15, 2018

কেমন মানুষ

কেমন মানুষ
,,,,,,,ঋষি
*********************************************

বলো তো তুমি কেমন মানুষ?

কেমন মানুষ
অন্ধকার শিকল,নাকি মধ্যরাতে ঘুম ভাঙা পেঁচা।

তোমার ভিতরে কি পাহাড়,না নদী
নাকি লুকোন কোনো প্রত্যন্ত গ্রাম,সবুজ পাতা
নাকি শুধু পানা পুকুড়?

আছে আকাশ,মেঘলা বেলা,রুপলী স্বপ্ন
তোমার জানলা দিয়ে পাহাড় দেখা যায়, আর ঝরনা।
জানলা খোলা,আদুরে বাতাস
নাকি স্যাত স্যাতে লুকোন অভিমান।

তোমার ঘরেতে সুখ আছে,আর দুঃখ
নাকি শুধু সিলিং ফঁড়ে চাঁদের আলো গায়ে পরে,
নাকি শুধুই  শ্মশানের মরা পোড়ানো গন্ধ?

কেমন মানুষ?
আলোর দরজা,নাকি ঝলমলে আগামীর কবিতা।

বলো তো তুমি কেমন মানুষ?

ইচ্ছে গাছ

ইচ্ছে গাছ
,,,,,,,,,,,,ঋষি
*-********************************************

এইভাবে সকাল আসে
চলে যায় সাম্যের প্রান্তর ছুঁয়ে কোন এক দুপুরবেলা লবনহ্রদের দিকে।
কুমারী রোদ ছুঁয়ে তীব্রতা বাড়ে ভালোলাগা
নতুন শপথ শহরের বইয়ের গন্ধ ভরপুর কোন স্বপ্ন সফর।
সরতে থাকে ছোটবেলা,বইমেলা যেন গুটিয়ে ঢুকে গেছে শহরের কৃপণতায়
বেড়ে গেছে বিজ্ঞাপনী লোভ শহরের।

আমারও বাড়তে থাকা লোভ
হাজারো কবিতার পাতায় আমার হারানো ইচ্ছে গাছ।
বাড়তে থাকে
আমার বাঁচার লোভ  যেন সদ্যজাত নবজাতক কোনো।
চোখে লেগে যায় লিটল ম্যাগের ধারালো ছুড়ি
এগিয়ে যাওয়া হাতে থর থর কাঁপতে থাকে নতুন কবির কবিতা।
শহর জানে না, কবিতাকে থামানো  যাবে না
হাজারো রিমেকে, হাজারো অন্ধকারে সত্যি কবিতা জন্ম নেবে।
জন্ম নেবে কবির আঁচড়ে রক্তের দাগ, জন্মের দাগ,মানুষের দাগ
কারন কেউ লিখে গেছে
কবির কোন জন্ম নেই, নেই মৃত্যু।

কখন যেন অন্ধকার নামে
ফিরে আসতে হয় স্বপ্ন ছুঁয়ে শুকিয়ে যাওয়া গাছ।
অন্ধকার স্ট্রীটলাইট সাক্ষী হয়ে থাকে,সাক্ষী হয় এই শহরের ধুলোঘর
হারিয়ে চলেছে বইয়ের পাতা ক্রমাগত।
কেন জানি মনমরা হয়ে ফিরে আসা চেনাপথ, অচেনা কবিতা
আমার ইচ্ছে গাছের পাতাগুলো,কেন জানি দাউ দাউ পুড়ছে।

Tuesday, February 13, 2018

কিছু মানুষ

কিছু মানুষ
,,,,,,,,ঋষি
★**************************************★
কিছু মানুষ পুতুল হতে ভালোবাসে
,,, , খেলার পুতুল
যাকে সুবিধা মত আদর করা যায়,আবার দুই চড় মেরে বসিয়ে রাখা যায়।
এমন পুতুল যাকে ইচ্ছে মত পেট ভরে খাওয়ানো যায়
আবার পেটে লাথ মেরে বলা যায়
,,,,,,,,,,তুই বাজে, তুই দুষ্টু।

কিছু মানুষ ঘুড়ি হতে ভালোবাসে
ভালোবাসে আকাশে উড়তে লাটাই বাঁধা কোন প্রচেষ্টা ।
কিছু মানুষ ভোঁকাট্টা ঘুড়ি হয়
শুধু খুঁজে বেড়ায় নিজের ঠিকানা যেন কোন আশা।
কিছু ঘুড়ি আবার ছিঁড়ে নষ্ট হয়
আশাহীন,প্রত্যাশাহীন স্থবির বৃদ্ধ।

কিছু মানুষ মালগাড়ি হতে ভালোবাসে
ধীর, স্থির কোন নিরালায় ফেলে রাখা অপেক্ষা।
কিছু আবার জেট প্লেন
এক ছুট্টে আকাশ ছুঁতে চায়।
কিছু আবার হাতে টানা রিক্সা
যাদের বাঁচতে হলে অন্যকে দরকার হয়।

কিছু মানুষ একলা চলতে থাকা সড়ক হয়
যার দিকচক্রবালে ভেসে ওঠে প্রেমিকার মুখ।
কিছু সড়ক ঘুরে এসে একি পথে মেশে
যারা প্রেমিকার চারিপাশে চক্কর খায়।
কিছু সড়ক পাহাড় পেড়িয়ে সমুদ্রের দিকে ছুটে চলে
যেন প্রেমিকার বুকে মিশে যেতে চায়।

কিছু মানুষ একটু অন্যরকম পাগলাটে হয়
যাদের জন্ম থাকে না,থাকে না মৃত্যু।
যাদের আশেপাশে প্রচুর আলো
আসলে আলোর ঘোড়ায় চড়ে যারা শিকার করতে যায়।
যাদের কাছে সুখ আর দুঃখ সবটাই কমদামী
যারা আলোর খোঁজে ছুঁটে বেড়ায়।

আমার দিকে চেয়ে দেখো না, আমি নিতান্ত এক কবি
যে শুধু সময় লিখতে চায়।
লিখতে চায় এক চিলতে রোদ,চলন্তিকা তোমার বারান্দায়
একলা দাঁড়িয়ে রৌদ্র মাখতে চায়।
লিখতে চায় সোনালী স্বপ্নে দিন বদলের গান
কিছু মানুষ যদি বদলায়।

হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে

হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে
,,,,,,,,ঋষি
★***************************************★
আমার প্রতিটা দিন ভ্যালেন্টাইন ডে
তোমার জন্য।
এখন সত্যি যদি কিছু থাকে এই দিনে তবে সেটা উদযাপন
কিন্তু চলন্তিকা আমার উদযাপন  তো তোমায় জুড়ে আমার প্রতিদিন।
আমার প্রতিটা স্বপ্নে, প্রতিটা স্পন্দনে তুমি আছো
এর থেকে বড় ভ্যাপলেন্টাইন আর কি হতে পারে।

কিন্তু আমি পারলাম না চলন্তিকা বিজ্ঞাপনী প্রচারে তোমাকে বলতে
ভালবাসি।
কিংবা সাজানো চকলেট ডে বা ল কিস ডেতে লোক দেখাতে
তোমাকে ভালবাসি।
শুধু আমার অন্তরের তৃষ্ণা ছুঁয়ে গভীর নদী
ক্রমাগত, পরিবাহিত।

আমার বলতে লজ্জা নেই আমি তো চুমু তোমায় রোজ খায় আমার স্বপ্নে
তোমার আখরোট ঠোঁটে জিভ ছুঁয়ে খঁজে পায় চকলেট টেস্ট।
তোমার গভীর চোখে চোখ রেখে খুঁজে পাই নিজের ঠিকানা
তার জন্য আমার কিস কিংবা চকলেট ডের দরকার নেই।
দরকার নেই রোজ ডের যেখানে শুধু সাজানো  সুগন্ধ
কারন আমার কাছে তুমি গোলাপের থেকে কম কোথায়।
আসলে কি জানো চলন্তিকা
আমার জংলী  প্রেমে কোন ভালোবাসার উদযাপনের দরকার নেই
দরকার শুধু তোমায় আরো, আরো  অনেক বেশি
শুধু আদর করবো  বলে।

আমার প্রতিটা সেকেন্ড ভ্যালেন্টাইন ডে
কারন প্রতিটা নিশ্বাসে তুমি ছুঁয়ে থাকো, জানি আমি জীবিত।
আমার স্পর্শ আলাদা মাত্রা পায় কারন তোমার ধুকপুক আমি শুনি
আমি শুনতে পাই তোমার আগমনী "ভালবাসা " আমার শিরায় শিরায়।
তুমি জানো  তুমি আমার ভ্যেলেন্টাইন
তাই তোমাকে আমার আলাদা করে জানাবার দরকার নেই  "হ্যাপি ভ্যেলেন্টাইন ডে"।

Sunday, February 11, 2018

প্রতীবাদ

প্রতীবাদ
,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,  ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
প্রতীবাদ নাকি নাকছাবি
পরদানশীন নিয়মিত পার্টি মঞ্চের চিৎকার।
সময়ের আড়ালে লেনিন ঘুমিয়ে বিড়ালের তোষোকে
রাইটার্স বিল্ডিংগের বারান্দা বদলে সবুজ হয়ে গেলো।
শহরের দাগ নম্বর,পোষ্ট অফিস ঠিকানা বদলে গুগুলে
প্রতীবাদ শুধু ফেসবুক ষ্ট্যাটাসের লাইক আর কমেন্ডসে।

শহরে কান পাতা দায়
কমরেডস কামড়াচ্ছে, মশার মত স্বেচ্ছাচারী গনতন্ত্র।
ব্যাবসা বাড়ছে পারদার আড়ালে শাড়ির আঁচল
লুটিয়ে পরছে বারংবার কাস্টমার স্যাটিসফেক্সন।
ফোনের রিংটোনে ইয় ইয় হানিসিং
ভদকা নাকি এই দেশের মিনিস্কার্ট ফ্যাশন।
খবরে প্রকাশ টাইগার ইজ ব্যাক,হাউসফুল
অথচ বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে আজও বাচ্চা বিক্রী হয়।
জয়পুরে মরু প্রান্তরে তেরো বছরের কন্যা বিবাহ যোগ্য
যোগ্যতা কোন প্রশ্ন না এখন শুধু অর্থ মাপকাঠি।

প্রতীবাদ নাকি নাকছাবি
লাইমলাইটে আসার নতুন রিমেকি মাপকাঠি।
সময়ের অন্তরে হদ্য বোকা "বাড়ে উঠে ক্ষুদিরাম"
আর মাতৃগুহায় মুখলুকোনো আগামী সন্তান।
প্রতীবাদ শুধু গরীবের মুখ চাপাদেওয়া কান্না
আর সময়ের কাছে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের পাতা।

Wednesday, February 7, 2018

বাকিটা নিয়মিত

বাকিটা নিয়মিত
,,,,,,,,,,ঋষি
************:********::****::*******************

শেষ দরজাটা খুলে গেলো
খুলে গেলো একটা অন্ধকার দরজা শৈশবের কাছে।
মেয়েটা সদ্য মাত্র পাঁচ
অথচ শিক্ষা "ভয় "...........ধর্ষণ  কেয়ারঅফ শিক্ষক।
খবরটা সংবাদপত্রে ছিল,আপনি পড়েছেন
একটু আ আ উহু ইহু করেছেন,,,,,, শুধু এইটুকু।

পরের খবর
কলেজ ফেরত  মেয়েটা উধাও হয়ে গেলো।
সবে উনিশ
থানার দাঁড়িওয়ালা দারোগা সাহেব বললেন উঠতি বয়স পালিয়েছে।
লেকের ধারে একটা লাশ পাওয়া গেছে
থানায় অভিভাবক সনাক্ত করলো  সেই মেয়েটা।
নামটা সাধারন পারুল
আপনি চেনেন খবরের কাগজে  ছিল,পড়েছেন তো।
তারপর মুখরো চক চানাচুর
বেশ লাগে কি বলুন।

আর গল্প নয়
মেয়েটার কাছে অন্ধকার দরজা খুলে গেলো,,, চিচিং ফাঁক।
মা বাবা লজ্জিত,জবাব চাই, জবাব দেও,,,,সমাজ মুক
এই মৃত্যুর প্রতিবাদ চায়,পার্টি  বদল।
খেলা শেষ
শুধু আমি, আপনি সাক্ষি,,,,,আর বাকিটা নিয়মিত।

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...