Sunday, December 31, 2017

স্বপ্নরা কেমন হয়

স্বপ্নরা কেমন হয়
... ঋষি
=====================================================
যেদিন কবিতা লিখি মনে পরে যায় তোকে
চলন্তিকা আমার বিষাক্ত হৃদয়ের ঘুলঘুলিতে বাস করা সময়।
নির্বাক পাথরের দেওয়াল খনন করে
ফুঁড়ে ওঠা দীর্ঘশ্বাস ,এই সময় জানে বাঁচার মানে ?
কোনো অদ্ভুত সকালে ঘুম ভেঙে যায় সমুদ্রের শব্দে
শুধু তোর নুপুর পরা পা টা দেখতে পাই।

এই সব কেন যে আসে স্বপ্নে
'বিষাক্ত কার্বন শহরে ইটের পাঁজরে জমে থাকা তৃষ্ণা।
এখানে জেগে থাকা চোখগুলো
অজস্র চিৎকার।
আমি জানি চলন্তিকা তুই শুনতে পাস্ আমার মতো সমুদ্রের শব্দ
আমি জানি চলন্তিকা তুইও স্বপ্নে দেখি
বালির উপর পাশাপাশি আমাদের পায়ের ছাপ ,স্বপ্ন।
আখরোট ঠোঁট ,ভিজে বালি ,বালিঘর
সমুদ্র এসে ছুঁয়ে যায় চোখের  পাতায় অজস্র না বলা।
চলন্তিকা জানিস আমার শহরে এখন বছর শেষের উদযাপন
আর আমি কোনো ক্লাউন যে শুধু হাসছে ,কাঁদতে মানা
কারণ কান্নার রেণুগুলো তুই চুরি করে রেখে দিয়েছিস তোর আঁচলে।
আর কান্নার শব্দরা তো তোর প্রশ্রয়ে আজ কবিতা
শুধু আমার তোকে মিস করার মুহূর্ত।

যেদিন কবিতা লিখি মনে আসিস তুই
শুনতে ইচ্ছে করে তোর গলার স্বর ,তোর ভূমিকায় আমার আদর।
মাটির তলায় লুকোনো কফিনে আজও স্বভাব বন্দি সময়
শুধু অন্ধকার ফুঁড়ে আলোর রেনু ,নীল সমুদ্র।
আর তারপর তুই জানিস
স্বপ্নরা কেমন হয়। 

বেশরম

বেশরম
....... ঋষি
===========================================
আমার কলম ছাড়া কেউ আমাকে সাহায্য করতে পারবে না
ঘুম আসছে না।
আমার তো মৃত পরিচয়ে একটা ধাব্বা  লেগে গেছে
কখন যেন সময় ফুরিয়ে  চলেছে স্পর্শে।
আর আমি কখন যেন পেকে  যাওয়া মাথার চুলে
খুঁজে চলেছি সময়।

এখন আমি শুয়ে ,আর আমার পাশে আমার যৌনতা
ছিছি এইসব কথা বলতে নেই।
কিন্তু এই অন্ধকার সাক্ষী আমি মোটেও সামাজিক নয়
আর আমার কলম চিরকাল বেশরম।
তাই তো এখন আমি আর আমার যৌনতা পরস্পরের শ্রীঅঙ্গ হাতড়াচ্ছি
খুঁজে চলেছি ঘুম ,,যা এখনো বহুদূর।
এখন আমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না
শুধু আমার কলম ,যুগ যুগ জিও।
প্লিস বিনয়দা সহজেই সোনা আর চাঁদের গল্প লিখতে পারে
তবে আমিও পারি
আমার ঘুম না আসাকে কবিতা করতে।

আমার কলম ছাড়া কেউ আমাকে সাহায্য করতে পারবে না
ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি আমার কাছে এসো।
ধুর আমার তো মৃত পরিচয়ে একটা ধাব্বা  লেগে গেছে
কবির কোনো জন্ম হয় না ,মৃত্যু কি হয় ?
সুনীলদাকে সেলাম'
সময়ের পাঁজরে দাগগুলো সব ঘুমের যোগ্য নয়।

আরো অনেকদিন

আরো অনেকদিন
.............. ঋষি
==============================================
শূন্য হাতে ফিরে যাওয়া
চলন্তিকা নতুন বছর যদি তোমার মতো হয়।
যদি ক্যালেন্ডারের পাতায় তোমার মুখ
যদি ভগ্নাংশে পাওয়া সময়ের ক্ষরণে সম্পূর্ণ পারিজাত।
ইন্দ্রের রাজসভায় যদি কোনো নর্তকী নয়
শুধু মাত্র সময় নগ্ন হয় ?

কি হবে ?
প্রশ্ন করছে হৃদয় ,
আর কোনো কুলকুলে যদি নয় ,এবার এক সমুদ্র বুকে
নোনা জল।

কি যে আবোল তাবোল স্বপ্ন
চলন্তিকা হাসছে আমার দিকে ফিরে।
দীর্ঘ অপেক্ষা
নিঃশ্বাসে বাড়তে থাকা কার্বনের কালি ,হাতে জ্বলন্ত নেভিকাট
অনর্গল পুড়িয়ে চলেছে বেহায়া হিসেব।
চলন্তিকা জানিস মাঝে মাঝে ঈশ্বরকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়
আচ্ছা শুধু কি স্বপ্নে একটা জীবন বাঁচা যায় ?

শূন্য হাতে ভালোমন্দ
বছর ঘুরে আবার নতুন বছর চলন্তিকা তোমার ক্যালেন্ডারে। ]
আমার হৃদয়ের দেওয়ালে আমার কপাল লিখন
"শান্তি " , সো শুধু তোমার পাওয়ার মুহূর্তে।
আর বাকিটুকু
অনেক কাজ বাকি পরে আছে ,,, আরো অনেকদিন। 

অভিমানী মেয়ে

অভিমানী মেয়ে
...... ঋষি
====================================================
এক অভিমানী মেয়ের গল্প বলি শোনো
সকাল সহস্র বুকের পাঁজরে জমা কালো কার্বনের দাগ।
মানুষ নাকি বদলানো ভিতের উপর
তিল তিল করে গড়তে চায় স্বপ্নের শহর ,স্বপ্নের বাসর।
কিন্তু অভিমানী মেয়ে পোড়ো ধ্বংসস্তূপে স্বপ্ন দেখে
একটা জীবনের ,স্বপ্নের শহরের।

আমি বলি প্রেম একটা উপন্যাস '
আর উপন্যাসে শেষ পাতায় সেই অভিমানী ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে।
বাঁধ ভেঙে পরে ,ভেঙে পরে চারিপাশে প্রাচীন ইটগুলো
মাথার ছাদ খসে গিয়ে আকাশের চাঁদ।
সেই অভিমানী মেয়ে আকাশ কে প্রশ্ন করে
এত প্রেম ? এত রদল বদল ? কোথায় পাও চাঁদ ?
তোমার গায়ে তো পোড়া কালো দাগ।
কিন্তু আমি জানি সেই চাঁদ ,সেই জ্যোৎস্না সব রূপকথা
আমি জানি সেই অভিমানী মেয়ে একটা জ্বলন্ত আগুন।
আদিম দাবানলে পুড়ে যে সভ্যতার শুরু
সেই সভ্যতার রঙ্গমঞ্চে সেই অভিমানী মেয়ে নিজেই একটা সভ্যতা।
তার শরীরের ২০৬ টা হাড় সাক্ষী
সময় তার নয় ,কিন্তু তার প্রতিটা প্রতিবাদ সময় বদলায়।

এক অভিমানী মেয়ের গল্প বলি শোনো
রাত্রি গুঁড়িয়ে যার চোখে জেগে থাকে অজস্র জলের ফোঁটা।
মানুষ নাকি প্রতিদিন বদলায় ভালো থাকবে বলে
তবে অভিমানী মেয়ে তুই পারিস না কেন ?
জানিস চলন্তিকার মানে ,জানিস তো আমার চলন্তিকাকে
চলন্তিকা কখনো সময়ের কাছে হারে নি। 

খামখেয়ালি

খামখেয়ালি
...... ঋষি
==========================================================
একদিন সকাল হবে
পরে থাকবে আমার কবিতার ,আমার ইচ্ছেরা।
ইচ্ছের আলোয় উৎসর্গীকৃত জীবনের যোগফল
তুমি খুঁজবে আমাকে পাগলের মতো।
দেখবে আমি নেই
শুধু থাকবে মুহূতের ঘরবাড়িতে জমা খোলা আকাশ
আর আমি কোত্থাও নেই।

ছুঁয়ে নামবে স্পর্শ
তোমার আখরোট ঠোঁটে ,তোমার স্তনের উপর আমার আদরের কামড়।
অজস্র স্মৃতির পাতায় খোদায় করা সেলফি
তুমি হাসবে ,তুমি কাঁদবে ,পাগলের মতো স্মৃতির প্রতিটা ঘর।
আমি থাকবো না সেদিন
থাকবে আমার শব্দের শ্রমিকদের তৈরী করা তুমি।
আমার কবিতার প্রতি পাতায়
আমার হৃদয়ের প্রতি রক্তক্ষরণে ,আমার শহরের ধুলোয় আমার কবিতা।

একদিন আমি কোথাও নেই
পাগলের মতো আমাকেই খুঁজবে তুমি প্রতিটি চেনা মুখের কাছে
আমার সন্ধান করবে।
আমার বলা কথার তোমার চারপাশে তখন ভনভন প্রশ্ন
কোথায় আমি ?
নিষ্ফল আক্রোশে দিন যাবে তোমার
আমায় কোথাও পাবে না তুমি,জলজ্যান্ত আমি একদিন উধাও ।

বহুদিন চলে যাবে,
তুমিও অনুভব করবে,তুমি মনে করবে
কবিতারা বোধহয় এমনি হয় ,খামখেয়ালি পাগল আমার মতো।


বছর শেষের সেলফি



বছর শেষের সেলফি
.... ঋষি
==============================================
আমার শহর সম্মোহিত
হৃদয় খোলা দরজা দিয়ে কুলকুলে শীতল বাতাস।
বউটুপিখোলা আদরেরা ভাবনার শীত
আমার শহরে তুই মানেই ,,,,,সব ঠিক।
কফোঁটা  শিশির খুঁটেছে গতরাত,খুঁটছে বছর শেষের ব্যস্ততা
তুই দাঁড়িয়ে আছিস অপেক্ষায় জানি ,কিন্তু শহর ব্যস্ত।
.
মেঘেদের ঝলমলে  ডানা,স্বাধীন আকাশ
খালি শহরের বুকে হেঁটে চলা হাজারো পায়ের ছাপ।
আমার শহর তোর মতো ক্লান্ত
এখানে বছর শেষটা একটা অভ্যেস ,অভ্যেস বেঁচে থাকা।
মাঝে মাঝে একটা জেদ কাজ করে
শহরের খুলে বয়ে চলা বিষন্ন বায়ুঘর আমার হৃদয়।
ভাঙতে ইচ্ছে করে ,গড়তে ইচ্ছে করে
হৃদয়ের সেলফি তোলা মুহূর্তদের জড়িয়ে বাঁচা।
হৃদয়ের ফটোল্যাবে রাখা আছে রিটর্ট আর্দ্রতা ধরবো বলে
সেলফি পাঠাস  সময়।
সেলফি পাঠাস  তুই আমার হৃদয় বারান্দায়
এলেমেলো  শীতল বাতাস ছুঁয়ে যাওয়া।
.
আমার শহর সম্মোহিত
বছর শেষের লুকোনো  দুঃখ সাদা দাঁড়িওয়ালা সান্টা।
আলোয় ঝলমলে বছর শেষের  শুভেচ্ছা 
তুই ভালো থাকিস ,ভালো থাকুক শহর জোড়া কবিতারা।
বেশ কিছু অগোছালো সময়ের ক্যানভাস
বছরের শেষ দিনে, অপেক্ষা শুভ হোক আগামী।

Sunday, December 24, 2017

প্রেম সংক্রান্ত

প্রেম সংক্রান্ত
,,,,,,, ঋষি
====================================================
তুমি আমার সেই প্রেমিকা নও
যে সটান চুমু খেয়ে বলে ,তোকে ভালোবাসি।
আমি তোমার সেই প্রেমিক নই
যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পথচলতি অজানা যুবতীকে বলে ভালোবাসি।
তুমি আমার প্রথম প্রেমিকা নও.
যে চোলে যাওয়ার আগে একবার পিছনে ফিরে দেখেনি নি।

পৃথিবীতে এমন কিছু সম্পর্ক আছে
যার আগাপাশতলা শুধু মাত্র বিশ্বাসে ভিটেতে বাস করা প্রাচীন প্রস্তর যুগ।
যার কাছে আগুন শরীর নয়
মনের ঘষা মাজা ফুলকিতে অন্ধকারে আলো।
পৃথিবীতে এমন কিছু না বলা সম্পর্কটাও ভীষণ ছোট কোনো লজ্জার মতো
কারণ সীমানা সেখানে আকাশ ছাড়ানো নীরবতা।
আমি বিশ্বাস করি
প্রেম কোনো চার দেওয়ালে আটকানো কবিতা নয়।
প্রেম হলো খোলা আকাশ
আর প্রেমের কবিতা আকাশের শরীরে লিখতে হয়।
আসলে বিশ্বাস করো কি না করো
তোমাকে ভালোবাসতে  আমার তোমাকেও দরকার হয় না।

আমি তোমার সেই প্রেমিক নই
যে সকাল সন্ধ্যে তোমাকে ছুঁতে চায় শুধুমাত্র অধিকারে।
তুমি আমার সেই প্রেমিকা নও
যে খুব সহজে বলতে পারে আই হেট্ ইউ। প্লিস লিভ মি এলোন।
আমি তোমার প্রথম প্রেমিক নই
তবু খুব সহজে আমি বলতে পারি তোমার স্পর্শে আমার বাঁচা।

এত আলো

এত আলো
................ ঋষি
======================================================
রাতগুলো সব নিয়ম মাফিক অন্ধকার হয়
অথচ মনের আলোগুলো অন্ধকারে যেন জোনাকি। .
নিভৃতে বাড়তে থাকা আলো হাত বাড়িয়ে তোমায় ধরতে চায়
ঘুরে আসে তোমার শহরের অলিগলি।
শূন্য হাত থাকে
তবু কেন যে চারিপাশে এত আলো।

বন্ধ চোখে জানলার রেলিং বেয়ে জ্যোৎস্ন্যা
কখন যেন তোমার মতো দেখতে কোনো কবিতা হয়ে যায়।
চোখ খুলি ,পরম যত্নে কেউ হাত বুলিয়ে দেয় মাথায়
যেন উপস্থিতি কোনো আশ্রয়ে লেগে থাকা স্বপ্নের আদর।
প্রশ্রয়ে বাড়তে থাকা স্বপ্নের পারদ
কখন যেন নীল আলোর মতো ছড়িয়ে পরে সারা ঘর।
কত কাছে তুমি
অথচ কত দূরে।
 আলোর মতো আমার উপস্থিতি ভেদ করে কোনো নির্জন উপস্থিতি
আমি ভাবি এই তো তোমাকে ছুঁতে পারছি।
চেনা আখরোট ঠোঁট ,চেনা নাক ,চেনা চোখ
শুধু অন্ধকারকে বড়ো অচেনা লাগে।

রাতগুলো সব নিয়মমাফিক অন্ধকার হয়
অথচ  হৃদয় আলোয় দাঁড়িয়ে আমার স্বপ্ন নায়িকা হাত বাড়িয়ে দেয়।
আকাশে চাঁদ সাক্ষী থাকে ,সাক্ষী থাকে অন্ধকারগুলো
আলো কখনো একলা থাকে না ,তুমি আছো তাই।
আমিও ঘুমিয়ে পড়ি
তোমার আলো বুকে জড়িয়ে ধরে। 

দুটো সতেরো

দুটো সতেরো
........................ ঋষি
============================================================
হাজারো ব্যস্ততা ফাঁকে যদি মনে পরে তোমায়
তাকে স্পর্ধা দিও।
লুকোনো কবিতার খাতায় চেনা ফিগারে চলন্তিকা তোমাকে
আমাকে সময় দিও।
তোমায় করা শেষ ফোনকলটা দুটো সতেরোর পর থেকে একলা দাঁড়িয়ে
চিনতে পারছো তো?

চশমার কাঁচে চলন্তিকা সময় কেটে যায়
হয়তো শরীর বুড়িয়ে গিয়ে আরো পুরোনো আবর্জনা সাময়িক।
অথচ মনের জানলায় স্বপ্ন দেখে ভোর
কোনো অজানা সকালে তোমার ঘুম ভাঙা ঠোঁটে নীরব অধিকার।
তোমার জানলা দিয়ে পাহাড় দেখা যায়
আর আমার শহরের তাপমাত্রা বরাবর তোমার থেকে কম।
তবু তুমি ক্লান্ত মনে ভর করো আমাতে
আমি ঘুম ভেঙে স্বপ্নে দেখি তোমায় চেনা ফিগারে চলন্তিকা।
নিতান্ত নেশার মতো আমার এই কবিতা
এখন অপেক্ষায়।
তোমায় করা শেষ ফোনকলটা দুটো সতেরোর পর থেকে একলা দাঁড়িয়ে
গভীরতা খুঁজছে তোমার শরীরের গন্ধে।

হাজারো ব্যস্ততা ফাঁকে যদি মনে পরে তোমায়
আমাকে স্পর্শ দিও।
লুকোনো কবিতার খাতায় চেনা ফিগারে চলন্তিকা তোমাকে
আমাকে কবিতা দিও।
এখন ঘড়ির কাঁটা বিকেল পেরিয়ে প্রায় সন্ধ্যে
শুধু ফোনকলটা সেই দুটো সতেরোয় তোমাকে খুঁজছে।

মধুমিতাদি

মধুমিতাদি
........ ঋষি
========================================================
আঠারো মাইল লম্বা আদম ব্যালকনি
তোমার স্পর্শের শিড়শিড়ানিতে আমার আঠারো বছরের পাপ।
তোমার ছায়ার মেলোড্রামায় আমার তাবত বিশ্ব আলোর মতো
ভিজে যাওয়া অন্ধকার শরীরগুলো
চুঁইয়ে নামছে মধুমিতাদি
তোমার শুকনো ঠোঁটে লুকোনো রক্তের দাগ আজ সামাজিক।

এখনও তুমি ময়দানে যাও?
যোনিসাঁকো জুড়ে নিভৃত হরফে ডিসেম্বরের চেনা বরফ।
চিনতে না পারা শহরের গভীর শীতে পাপবিদ্ধ যুবক।
অন্ধকার  কবিতাকিশোর?
মধুমিতাদি বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসের চাপা রঙের পুরোনো যুবতী
জানেনা বোঝেনা কেউ নিতান্ত জখম।
বিয়োগচিহ্নে কতটা আর হতে পারে ক্ষত উপশম
নীরবে জমতে থাকা শুকনো গাছের পাতারা জানে না সময়ের বয়স, 
শুধু সময়ে আজ দাঁড়িয়ে পাপবিদ্ধ হাতড়ানো শরীর।
এ কবিতা লেখা হয় নি আগে
কারণ কবিতা এখন শুধু বাণিজ্যিক ,কবিতা এখন শুধু মেলা আর হাট চেনে
কিন্তু কবিতা কিশোর আজও কবিতায়।

আঠারো মাইল লম্বা ব্যালকনি
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আজও স্পষ্ট  দেখতে পাওয়া আঠারোর পাপ।
মধুমিতাদি আজ কি তুমি একলা বাথরুমে শাওয়ারে দাঁড়িয়ে
আমার মতো চিৎকার করো অন্ধকার পাপ।
যদি  কখনো সময়  করে আমার এই কবিতা পড়ো
ঠিক খুঁজে পাবে  এক মৃত কবিতাকিশোরের জীবন্ত ঘামের গন্ধ।

প্রেম ,নদী আর পাখি

প্রেম ,নদী আর পাখি
................... ঋষি
===================================================
শহরের রাস্তায় ধুলোবালি মাখা শৈশব
এই শহর থেকে নদী আর পাখি দুটোই খুব দূরে স্বপ্নে থাকে।
আমার কাছে শৈশব মানে একা সেই নদী কিংবা আকাশের পাখি
এই শহরে রবীন্দ্রনাথ শুধু প্রথাগত।
এই শহরে আজ শুধু সোহাগী আদর
কিন্তু আদরের মাটিতে জন্মানো বিষফল।

 পাখি এবং নদী এদুটো শব্দই  মূলত প্রেম
অঙ্গীকার জীবন এই শহর থেকে আকাশ দেখা যায় না।
বড়ো বড়ো স্কাইস্ক্যাপারে লেগে আছে হিসেবি অভিলাষ
শুধু ঠুনকো বাঁচা মর্ডানিজম।
এই শহরে চিড়িয়াখানায় কিছু পাখি আছে
আর কিছু আছে প্রত্যন্ত গলিতে লোকানো গুটিকয়েক মানুষের মনে।
পাখি এবং নদী মূলত শৈশব অথচ প্রেম
প্রেম লেগে আছে মধুমিতা দিদির শুকনো ঠোঁটে
কিংবা রক্তমাখা সেই গভীরতায় যেখানে দেওয়াল লিখন মানা।
এই শহরে প্রেম এখন মোবাইল টেক্টটে
ধুলোমাখা ডাকবাক্সগুলো এই শহরে প্রেম হারানোর যন্ত্রনা।
এখন বিকেল তিনটে পনেরো
শুকিয়ে যাওয়া রৌদ্রের চৌরা রাস্তায় আমি একলা দাঁড়িয়ে
ছবি আঁকছি প্রেম ,নদী আর পাখি।

নদী শব্দটা চিরকাল কেমন মিষ্টি মায়াময়
শীতের শুকনো শূন্যতায় শুকিয়ে যাওয়া নদীগুলো এখন আমার শহর।
পাখি শব্দটা চিরকাল শুধু স্বাধীন আকাশ
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে, বনের পাখি ছিল বনে।
এই শহর শুধু স্বপ্নে বাঁচে নদী আর পাখির
আর আমি স্বপ্ন দেখি খুব গভীর খোলা আকাশের। 

২৫ শে ডিসেম্বর

 ২৫ শে ডিসেম্বর
................. ঋষি
========================================================
হাজারো ব্যস্ততা ফাঁকে জমে থাকা স্পর্শ রেনু
একলা থাকা।
একলা রাস্তা মানে স্পিডোমিটারে বাড়তে থাকা গতি
অবসন্নতা ব্রেক ফেল।
ছোটবেলার লজেন্সের শিশিতে হাত ঢুকিয়ে উঠে আসা ডেও পিঁপড়ে
যন্ত্রনা একলা দুপুরে।

কলকাতা এসেছিলে
বাগুইহাটি ,ময়দান ,পার্কস্ট্রিট আজ লোকে লোকারণ্য।
তোমাকে খুঁজছে সময়
কেকের সুবাস, ফ্লুরিস, ককটেল, অলিপাব
এখন তোমার কাছে যাওয়া মানা।
আমি দূরে খুব
দুপুরের কাছে যাওয়া মানা গড়িয়ে নামা মুহূর্তরা বহুদূর।
হালকা কাজলের মতো কবিতার তুলিতে মনে মনে সাজাই
অচম্বিত তুমি তাকালে?
আমারই দিকে!
বাতাসের বাথটবে সদ্য স্নান সারা তোমার নাভির গন্ধ
ভেবো না আমি পাগল হচ্ছি। পাগল চিরকাল।

হাজারো ব্যস্ততা ফাঁকে জমে থাকা স্পর্শ রেনু
একলা থাকা।
মনে পরে আজ শহরের ক্লান্তিতে লুকোনো ২৫ শে ডিসেম্বর
বোধহয় একলা থাকা।
হিম হাওয়া, শুধু আমার এ  শরীর ছুঁয়ে তোমার নাভির উষ্ণতায়
বাড়তে থাকা স্পর্শ শহর। 

আর তারপর

আর তারপর
.... ঋষি
================================================
আর তারপর
ভালোবাসা গতি চায় ,চায় ডানা।
খোলা আকাশ ভর করা স্বাধীন পাখি
উড়তে উড়তে আকাশের ঠিকানায় রঙিন কাব্য।
বৃষ্টি এখন ঋতুকালীন মেঘে হয়
বাকিটুকু শুধু ভাবনার।

শহর শহরের দূরত্ব
মানুষ নাকি কম্পাসে মেপে দেওয়াল তৈরী করে চলে।
নিজের নিজের অধিকার ভিতে
এক একটা রবার স্ট্যাম্পে সম্পর্কের দেওয়াল।
অর্ডার অর্ডার
আজ থেকে আপনারা আইনানুগ ভাবে সব অধিকার থেকে মুক্ত।
এই শহরে বিক্রি হয় সম্পর্ক
অথচ এই শহরেও জেগে থাকে কোনো রাট জাগা পাখি।
আর তারপর ভালোবাসা গতি চায় ,চায় ডানা।
দমবন্ধ করা সম্পর্কের ভিটে মাটি
খুঁটে খাওয়া ঘুঘুদের বাস ,,,,নিরাময় চায় স্বাধীন আকাশ।
মৃত্যু এখানে গ্লানিমুক্ত কোনো অন্য স্বাদ
ভাবনার বৃষ্টি ,,,বাঁচা টুকু।

আর তারপর
ভালোবাসা গতি চায় ,চায় ডানা।
বোবা দুপুরে চঞ্চল শহরের হাজারো ব্যস্ততায়
উঠে আসে রবিঠাকুরের গান ,,,,ও যে মানে না মানা
আঁখি ফিরাইলে বলে, 'না, না, না।
ভালোবাসা গুমরে মরে  ..............

Sunday, December 17, 2017

নিরুত্তর

নিরুত্তর
.......... ঋষি
****************************************

অনন্ত শয্যা নিরুপম কখনো
জীবন নাকি পরে পাওয়া ভগ্নাংশ বাঁচা কথন।
আমি, তুমি শুধু স্বাভাবিক, নিরুত্তাপ অনন্ত অচলায়তনে।
মাটির তলায় চাপা পরা শোক অসংগত
অথছ সংগত স্বাভাবিক।

রেইনবো ফরেস্টে দুর্জয় স্বপ্ন  দেখা ভোর
কিংবা ঘুম খোলা চোখে এগিয়ে আসা ফরাসি চুইংগাম
সবটাই  নিরুত্তর।
মাটির তলায় শুয়ে থাকা  মন প্রশ্ন করে
রাতের প্রান্তিক শহরে কারা যেন রাতজাগা পাহারাদার?
কারা যেন আমাদের মতো  দেখতে লুকনো  দরজা।
দরজা খোলে
সামনে জেগে আছে ভোর রাতের শহরে।
নিরুত্তাপ রাতের পাহারাদার  শিস দিয়ে জানান দেয়
সাবধান মন এখনো যে  রাত বাকি।
সকালের ইচ্ছেরা গলা শুকিয়ে  ঘুমিয়ে পরে
স্বপ্ন দেখে রেইনবো  ফরেস্টে দুর্জয়  ভোরের।

নিত্য এই অনন্ত শয্যা
জীবন নাকি একলা বাঁচা লোককথা।
নিয়োজিত বাঁচা নিতিমাফিক উদযাপন রোজকার সকাল
ঘুম জাগা চোখ মরা স্বপ্ন।
মাটির তলায় চাপা পরা শোক সংগত
অথচ অসংগত বাঁচা।

Saturday, December 16, 2017

অন্য মানুষ

অন্য মানুষ
.................... ঋষি

=================================================

জীবন কোনো নিরুত্তর ইতিহাস
সাদা পাতায় পর পর লেখা অসংখ্য অজানা।
মানুষ শব্দটার সদুত্তরে অজানা আতঙ্ক
মানুষ নাকি মাটিতে পা রেখে চাঁদ ধরতে চায়।
চায় নিজের একলা বালিশে শুয়ে
সম্পর্ক নামে কোনো অজানা অস্ত্বিত্বের খোঁজ পেতে।

কোনো অরণ্যের সবুজে একলা দাঁড়ানো গাছটা
পাতায় পাতায় সম্পর্কের বাড়ানো ভিড়ে অসংখ্য তকমা।
মানুষ নাকি হৃদয়ে বাঁধ দিয়ে হৃদয় আগলাতে চায়
চায় নিজের অস্তিত্ব খুঁজতে হৃদয়ের ভাঁজে।
আমি আকাশ দেখেনি
দেখেছি সমুদ্রের সাদা সফেনে হারানো দিনলিপি।
বদলানো আয়নায় বারংবার খুঁজেছি নিজেকে
ভালোবাসা নাকি স্বাধীন পাখি।
কোনো গভীর অস্তিত্বের খোঁজে আমি প্রাগৈতিহাসিক ফসিল
হারানো চাঁদের লুকোনো দূরত্বের মতো খুব সাধারণ আমি।
কোনো জ্যোৎস্নায় অগোছালো ভিড়ে স্বপ্ন দেখি
অন্য মানুষের।

জীবন কোনো নিরুত্তর ইতিহাস
বদলানো ভাষা সাক্ষী মানুষের বদললের চাকার গতি।
মানুষ শব্দটার সদুত্তরে একটা ইন্সাইক্লোপিডিয়া
মানুষ নাকি মাটি লেপে ঘর বাড়াতে  থাকে।
দাবার সাদা কাটা ঘর ,চোখ বদল
মানুষও বদলাতে  থাকে। 

Sunday, December 10, 2017

মন (১১)

মন (১১)
.... ঋষি
=============================================
আলো আর ছায়া
কুয়াশার এপার ওপার থেকে নিরিবিলি একা থাকা।
মাঝে মাঝে পাতা উল্টে দেখি নি তোকে
মন তুই কেমন আছিস ?
বছর ঘোরে,আমার নিবিড় অচলায়তনে সাদা চুল সাক্ষী
হয়তো সম্পর্ক বদলে গেলে এমন হয়।

তোর সময়ের চোখে সকালের ব্যস্ততা
নাগরিকতার শুরুতে যে মৃত্যু শুধু নীল শিলালিপি লিখে যায়।
তার শিরায় ,শিরায় একটা ভিতের দরকার
অহল্যা চিৎকার করে আমার মনে তোর মতো। ..কবে মুক্তি ?
মুক্তি শব্দটার সারজেমিনে বসে
পাই খোলা আকাশ ,,,আমার জন্মদিনে তোর দেওয়া প্রিয় উপহার।
একগাদা সময়ের সাথে উড়তে উড়তে ,,ক্লান্ত হই
কিন্তু মন আমি হারতে পারি না তোর মতো।
যখন বরফ পরে তোর শহরে ,,ঢেকে যাওয়া ক্লাউনদের বরফ যুগ
তারপর হয়তো হেসে নি একলা মনের ফাঁকে।
মন তোকে নিয়ে আমার কবিতা লেখা মানা
চেনা তোর চোয়ালের তিলতার লুকোনো পরাধীনতায়
টস করে শৈশব গুঁড়োনো ছবি আঁকার।

আলো আর ছায়া
এই মুহূর্তে তোর চেনা শহরে আমি অচেনা নাগরিক।
ভালো করে খুঁজে পেতে আয়নায় দেখি
হয়তো মনের পাতা উল্টে তোর লুকোনো ছবিটা দেখি।
শুধু এতটুকু বুঝতে পারি'
হয়তো সম্পর্ক বদলে গেলে এমন হয়। 

জেদি

জেদি
.... ঋষি
=====================================================
সব কিছু মিলিয়ে একটা কবিতা লিখবো
আচ্ছা বলতো শরীর মনের ,,,নাকি মনের শরীর ?
কাব্য সময়ের,,, না ,,, সময়ের কাব্য ?
ঠোঁটে আগুন লাগলে আখরোট চিবিয়ে যায়।
জেদ বাড়ে ,,ভালো থাকার
শরীর মিশতে চায়।

গোলাপি স্তনে ঠোঁট রেখে মন ভিজে যায়
সে কি চোখের জল ?
বুকের খাঁজে আটকানো অভিনয় নীরবতা সাক্ষী রেখে যায়
সময় কাটানো।
পরবাঁশি কোনো সুর মনের পাটাতনে স্বপ্ন দেখে নিরিবিলি ভোরে
সূর্যদেখা তোর চেনা হাসি।
আচ্ছা বলতো মিশে যাওয়া কি জন্মের সাক্ষর
নাকি মৃত্যুর পরেই জন্ম লেখা হয় অন্য নামে ?
আচ্ছা সময় কি শুধু চলতে থাকা টিকটিক কাঁটা
নাকি কোনো পুরোনো তিথিতে কবিতার অন্য যাত্রা।
আদৌ কি  ধর্ম্যং স্বরনং গচ্ছামি
নাকি সেও শুধু কাব্য সময়ের অভিসারে। ...

সবকিছু মিলিয়ে একটা কবিতা লিখবো
যদি সময় হয় বেঁচে থাকার ক্লান্তির পর দেখা হবে।
তবে উত্তরগুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম
অপেক্ষায় রইলাম চেনা পোট্রেটে  সাজিয়ে রাখা সময়ের।
 জেদ বাড়ে ,,ভালো থাকার
সময় জেদি হতে চায়।

নপুংসক

নপুংসক
.............ঋষি
==============================================
নিজেকে মানাতে মানাতে
ভুলে গেছে মানুষ সময়ের চুলছেঁড়া নিয়মকানুন।
এই কবিতা মোটেও সামাজিক নয়
কারণ আগুন কখনো সামাজিম হয় নি আজ পর্যন্ত।
প্রতিবাদ বিকলাঙ্গ সমাজের মাছ না ধরা ছিপ
অথচ স্বপ্ন ছিপের ডগায় মনুষত্ব।

নিচে নামছে ক্রমশ
মানুষের চোখে আতসকাঁচে আনন্দ হরলিক্সের বিজ্ঞাপনে।
টলার,শার্পার আর কি বেশ
সব অসংখ্য বুজরুকি মাখা দেশের পিতাদের বীর্যের উসুল।
মানুষ বাড়ছে
অথচ কিছুতেই বোঝে না মানুষ তারা মরছে প্রতিদিন।
হাড় কাটা গলি আর মনুষত্বের নিলামে
বাজি রাখছে দেশ ,আগামী সকল সন্তান নপুংসক সব।
শহর পেরিয়ে গ্রাম ,গ্রাম পেরিয়ে অভয়রণ্যে
মোটা সড়ক ,মোটা মানুষ ,আর মোটা প্রফিট হবে।
তারপর দুই গোলার্ধে বরফ গলবে
সভ্যতা আরো নিচে মাটির মানুষ।

নিজেকে মানাতে মানাতে
মানুষ ভুলছে ছিঁড়তে না পারলে মরতে হয়।
এই কবিতা কোনো সভ্যতার দালালের নয়
আগামী কোনো সন্তানের মুখে আগুন।
প্রতিবাদ যদি রক্তে আগুন না ধরায়
তবে মানুষ বদলাবে কি করে ,,,, আর সময়। 

Fuck me

Fuck me
........... ঋষি
============================================
দেওয়ালে আটকানো ছবি
ছিপি খোলা ওল্ড মঙ্কের ফসিল মেয়েটার ঠোঁটে
নামহীন গোত্রহীন সদ্য জন্মানো কবিতা
শৈশব গোঙরানো নারীত্ব
মেয়েটা হাসছে ,নেশায় টাল প্রতিবাদী ছলছলে চোখ
মেয়েটার এমনি হওয়ার কথা ছিল

কথা ছিল শেষ জৈষ্ঠ্যের রোদ মাড়িয়ে কচি আমের আচার মুখে
বন্ধ হওয়া মাসিকের খবরটা ছেলেটাকে জানানোর।
কিন্তু জানানপুরের শেষ সংবাদ
ছেলেটা অন্য মেয়ের প্রেমে পরে ভোল বদলেছে।
আজ এত বছর পর
মেয়েটা ওল্ডমঙ্কের শেষ চুমুক ছেড়ে কবিতা লিখতে বসলো।
Fuck you  সমাজ ,,,পা বাড়িয়ে মেয়েটা এক লাথি ঝাড়লো  .......
আর প্রেমিক তখন অভিনয়ে ব্যস্ত।
পরপর ছবিগুলো সরে যাচ্ছে
ফরিদার এই নিয়ে আটখানা সন্তানের মা হলো।
জাস্টিনকে তার হাবি ছেড়ে গেছে
পৌলমীর এই মাসে দুবার মাসিক হলো।

দেওয়ালে আটকানো ছবি
ছবিতে দেখা যাচ্ছে অর্ধনগ্ন মেয়েটা নেশায় মত্ত।
আসলে মেয়েদের কোনো জাত হয় না
শুধু ফাক হয়।
আমি চোখ বন্ধ করে বেশ দেখতে পাচ্ছি
মেয়েটা কান্না মিশ্রিত হাসিতে চিৎকার করছে ,,,Fuck me। 

Monday, November 27, 2017

রংমিলান্তে

রংমিলান্তে
.... ঋষি
======================================================
নিজেকে ঠিক মেলাতে পারছি না
রাতের সাথে দিনের ,সময়ের সাথে প্রেমের।
নীরব কিছু অভ্যেস থেকে উঠে আসা অধিকার
আমি মেলাতে পারছি না নিজেকে ডিসকভারি চ্যানেলে পেঙ্গুইনদের সাথে।
তীব্র ধারালো ঠোঁট আর তোমার আখরোট ঠোঁট
মেলাতে পারছি না কিছুতেই।

কবিতা কে পড়ে ?
ফোটো, মুভি, থিয়েটার, এমনকি গদ্য তারও কাছে এত অবমাননা
কবিতা, আমি মেলাতে  পারছিনা।
তোমার রেগুলার পিরিয়ডস্
কোথাও শিকড় ছিঁড়ে সটান এক বোতল খিদে
মেলাতে পারছি না।
উড়ে যেতে চাইছি ঘুড়ি হয়ে কিলিমাঞ্জারো পাহাড়ের চূড়ায়
মাঞ্জার গান শিস দিচ্ছে নিরালা বাতাস কেটে
মেলাতে পারছি না।
 ক্লোজসার্কিট  ভালোবাসা আর শিশ্নঅভ্যাস
আমি মেলাতে গেলেই দেখছি তুমি হাসছো ,আমাকে বলছো
আট থেকে বারো করতে আরো চারবার।
কিছুতেই মেলাতে পারছি না
আমার পুরুষ অধিকারে কুড়িয়ে পাওয়া ভগ্নাংশের অংক।

নিজেকে ঠিক মেলাতে পারছি
সেই আমি আর এই আমি ,নিজের ভিতর পরিবর্তিত মতবাদ
মেলাতে পারছি না তোমার গভীরে আমার রঙিন প্রজাপতি
আর আমি একলা নীল আকাশ।
অথচ অবধারিত সমস্ত মেঘের গাল বেয়ে আজ গড়িয়ে পড়ছে
আমাদের প্রথম চুমুর ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি ....

কবিতার খোঁজ

কবিতার খোঁজ
.... ঋষি
==========================================================
চলন্তিকা অনেকদিন কবিতা আসে না
শীতের কুয়াশার ভিতর থেকে কাগজওয়ালা বেরিয়ে এসে
হাঁকতে থাকে মস্তিষ্কের অলিতে গলিতে।
খুঁজতে থাকা কলমের নিবে শব্দদের পরিচয়পত্র।
জমা দিতে হয় লোকাল নীরবতায়
হ্যা হ্যা গালে তিল ছিল। মেল্ কি ফিমেল জানি না।
হ্যা কবিতার একটা বিশাল বুক ছিল   ........


সময়ের সিগারেটে টান দিয়ে
চলন্তিকা কবিতা খুঁজতে থাকা একটা অঘোষিত রোগ এই সময়ের।
কি হবে কবিতা লিখে ?
কবিতা লিখলে তো পেট ভরে না ,ভরে না খিদে
তবে কি শুধু শান্তি খুঁজতে থাকা ?
একরাশ ধোঁয়া ছড়িয়ে পরে আকাশে বাতাসে
হালকা ধোঁয়াশার ফাঁকে কবিতা কখনো রমণী হয়ে ওঠে।
কিন্তু চলন্তিকা জানো তো এমন পাগল আমি
মাঝে মাঝে সময়ের পুরুষে ,শহরের গলিতে আমি কবিতা দেখি।
সেই যে প্রথম কবিতাটায় সূর্যাস্তের ফরওয়ার্ড রিউইন্ড  খেলতে  খেলতে
একটা নেশা হয়ে গেলো ,তারপর এই রোগ
আর কবিতা ছাড়া চলন্তিকা কিছু ভালো লাগে না।


চলন্তিকা অনেকদিন কবিতা আসে না
দুই এক কে দুই,তারপর তিন ধুস ভালো লাগে না।
 কবিতা কে  দেখতে পেলে চলন্তিকা আমার কথা বোলো
আমার দৃঢ় বিশ্বাস সে নির্ঘাত তোমার দেশেই আছে।
 স্নোপাউডার দিয়ে ,সাজিয়ে গুছিয়ে তাকে  ফেরত দিয়ো তারে
সন্দেহজনক কাউকে পেলে যাচাই করে নিয়ো নিজের সাথে
অবশ্য হ্যা আমার প্রতিটা কবিতা ভুল করে লেখা হয়ে যায়। 

অচলায়তন

অচলায়তন
..... ঋষি
=========================================
ধরা যাক এমন একটা সময়
যখন রাস্তায় কেউ কোথাও নেই তুমি হেঁটে চলেছো।
মহেঞ্জোদড়ো ,সুমেরু ঘুরে
তোমার আবর্তনের মাটিতে তুমি একলা একটা পৃথিবী।
দ্রাঘিমাংশে মুখ লুকিয়ে রাখা শৈশবের সূর্য
ধরা যাক তোমার সূর্য প্রণাম তখন বালখিল্য।

ধরা যাক সেই দ্বীপে তুমি  পৃথিবী
আদম ,ইভ আসতে অনেক দেরি ,দেরি অনেক রিপুর।
সুতরাং তোমার এই পৃথিবীর শরীর শরীর  খেলা
ব্যাস্ততার নিরিখে লিখে রাখা দিনকাব্য সব ভ্রষ্ট।
কি করবে তুমি ?

দূরে সমুদ্রের আছড়ে পড়া ঢেউ যেন সোনালী বিকেলের শস্য খেত
আকাশের মাটির সুদৃশ্য বাতাবীতে রমণীর স্বাদ।
সব তখন তোমার অজানা
অজানা হাত দিয়ে ভাত মেখে খেতে হয়।
সম্পর্ক্যের ভিতর লুকোনো সত্যিগুলো যে এক একটা প্রহসন
অজানা তোমার বাঁচার কারণ।


আত্মাকে প্রশ্ন করছি মশাই এই ভাবেও বাঁচা যায়
একটা সিঙ্গেল ট্রেন জার্নির রাস্তায় কবিতা লিখতে লিখতে।

শৈত্যের শিহরণ

শৈত্যের শিহরণ
........ঋষি
==================================================
এই  নগরের রাস্তা কি বোঝে হেমন্তের অবসানে শীতের আগমন?
বুঝুক বা না, তুমি পা রাখলে তোমার  শিহরণ হয় আমার অন্তরাত্মায় ।
শিহরণ হয় নিজের ভিতর বাইরে সেই পাগলাটে চাহুনির
যার গভীরে তুমি শুয়ে থাকো সারাদিন প্যাপিরাসে লেখা সেই পবিত্র বাণী। 
আমার শরীরে, মনে বা শিশ্নে আর কোনো কাঁপন নেই
কাঁপন শুধু নিজের ভিতর বাড়তে থাকা চলন্তিকা তোমার স্পর্শে।


 আমি শুধু টের পাই পিচঢালা কালোর অমসৃণে রাস্তায়
পথচলতে  হুমড়ি খেয়ে পরে আমার মতো কেউ।
যার হাত পায়ের চামড়ার রুক্ষতা ,যার সিগারেট পোড়া ঠোঁটে অব্যক্ত হাসি
কাঁদতে থাকা প্রতিবাদ জীবন কখন যেন কবিতায়।
 তবে রাস্তাটি কবিতাপাগল মানুষের মতোই অনুভূতিপ্রবণ
আর ঋতুটা কবিতার মানুষের শুকিয়ে যাওয়া ঝরতে থাকা পাতার ।
 তোমার  অদৃশ্য উপস্থিতি 
তোমার ভালোবাসার তরঙ্গ শুধু  ফোর জি র সান্নিধ্যে একটা অন্য জগৎ।
তারপর নির্দিষ্ট স্পেকট্রামে শুধু মাত্র একলা সান্নিধ্য
মজা এই,
 আসন্ন শীতের বিকেলে এই নগরের রাস্তায় অজস্র কপোতকপোতি।

এই নগরের রাস্তা কি বোঝে এই ভারবাহী ঋতুর গভীরতা
মৃত্যু বোধহয় এমনি শুকনো কোনো সাদা পাতায় ফুটে ওঠা রক্ত ফোঁটা।
আমি যা বলতে চাই তা আর বলতে পারিনা
আমি লিখে ফেলি কবিতায় নিতান্ত গভীর অর্গাসম।
তোমাকে ভালোবাসি চলন্তিকা বদলানো প্রতিটা ঋতুতে তোমার সঙ্গম
তবুও শৈত্যের এই মৃত্যুমাসে তোমার অনুভব আমার নগরের রাস্তায়। 

অনুব্রত ভালো আছো

অনুব্রত ভালো আছো
............... ঋষি
===============================================
অনুব্রত ভালো আছো
রুপোলি ঝিকিমিকি পথে  পাথুরে সফলতা।
সকালের বোবা রৌদ্র খুলে রাখে অনেকটা সম্ভাবনা
খামের ভিতর লুকোনো চিঠি।
সফলতা নীরবে দাগ টেনে যায় তোমার পুরুষালি ঘামে
আর আমি শুধু রৌদ্র ছায়ায় তোমার কবিতা।

অনুব্রত তুমি স্বার্থপর বটে
নিজেকে ভালোরাখার সমস্ত করিৎকর্মা ইচ্ছাগুলো তোমার শান দেওয়া।
হওয়ার ভিতর কাটতে থাকে সাই সাই শব্দে
তোমার আধাপাকা চুলে অনেক ইতিহাস।
সব জানা আমার
কিন্তু তুমি আজও বোঝোনি তোমার ভিতর একটা শৈশব লুকোনো
লুকোনো খোঁজ একটা আশ্রয়ের।
প্রশ্রয়ে বেড়ে ওঠা গাছ
খোলা আকাশে মাথা উঁচু করে গভীরতা মাপতে চায়।
অথচ.তল পাও না
আর কত গভর তোমার বিষাক্ত শরীরের সক্রিয়তা।
অনুব্রত তোমার সাঁইত্রিশের নিরাপত্তায়
আমি আছি ,ঠিক যেমন তোমার শেষ না হওয়া রাস্তা।

অনুব্রত ভালো আছো
শৈশবের কালো রংগুলো সব অক্লান্ত জ্বালাতন তোমার।
ঘুম ভেঙে যায় মাঝরাত্রে
আমার খোলা বুকে শিশুর মতো তুমি স্তন পান করো।
মুখ ঘষে খুঁজতে চাও তোমার অধিকার
কেউ জানে না তখন তোমার চোখে জল থাকে।

নিরুত্তর সময়

নিরুত্তর সময়
..................... ঋষি
=======================================================
সময় নিরুত্তর করে দেয়
বুঝিয়ে দিয়ে যায় রিয়ালস্টিক লাইফে শুধু পাথর।
সত্যি কি তোয়ালের প্রেম বলে কিছু আছে
আলতো বাতাস ,তোমার গায়ের গন্ধ ,গভীরতা।
সত্যি যদি জানতে চাও বলি
পুরুষ মানুষ অধিকারহীন প্রেম পছন্দ করে।

বাড়ির বারান্দা থেকে বাড়ানো হাত
ট্রাম লাইন,এলেমেলো  বাতাস,হাফ ছুটি এসব একটা একটা মিথ।
 বারান্দা থেকে বাড়ানো হাত
 ডিসপ্লে থেকে ফুড়ে ওঠে দিল ওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে সিকোয়েন্স।
বেশ রোমান্টিক
যেভাবে দামী ক্যামেরার লেন্সে চোখ রেখে সকলে  ভাবি পৃথিবীর কি  সুন্দর।
মাটি থেকে অনেকটা উঁচুতে পা ঝুলিয়ে বসে বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে
জীবন তখন আস্ত একটা সিনেমা ।
কিন্তু ভুলে যাই সমস্ত রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা
শুধু খালি পায়ে সবুজ শিশিরের উপর হাঁটা
তারপর ঝুপ করে অন্ধকার  ।

সময় নিরুত্তর করে দেয়.
পুরোনো গ্রিটিংস কার্ডের ভেতরের  সময়ের লেখাগুলো ফটোফ্রেম সব।
সত্যি কি গভীর প্রেম বলে কিছু হয়
শুধু শরীরের গভীরে মাদুর বোনা যায়।
আর তারপর জুলজুল করে তাকিয়ে থাকা
আসলে মেয়েরা গভীর অধিকারে সমুদ্রে ডুবতে চায়। 

কাছে দূরে

কাছে দূরে
.... ঋষি
==========================================
দূরে থাকা ,পাশে থাকা
জরুরী হুকুম তামিল ম্যাডাম।
আসলে জানেন দূর থেকে কাছে আসা যায়
কিন্তু কাছ থেকে দূরে যাওয়া যায় না।
সরতে থাকা সূর্যের উত্তাপ নিরক্ষরেখা ছুঁয়ে থাকে
ভিজে যায় তরল বাতাস প্রতি স্পর্শে।

সেদিন বৃষ্টি ছিল
আগামী কোনো দিনে আবার বৃষ্টি হবে।
তুমি পা মচকে হোঁচট খাবে ,গায়ে তোমার কালো শাড়ি
রাত্রে ঘুমিয়ে পড়ার আগে নিজেকে বলবে আমি আজ ক্লান্ত।
কিন্তু ম্যাডাম তোমার বুকে আঙুলের ছাপ
তোমার বুকের ভাঁজে লোকানো সিগারেটের গন্ধ
লুকোবে কি করে।
আরো কাছে আসবে ,আরো কাছে
যেখান থেকে দূরে  সরা যায় না।
চোখের কাঁজল লেপ্টে বাড়তে থাকবে চশমার পাওয়ার
কিন্তু তোমাকে চুষে খাওয়া কমবে না
কারণ ঝড়ের আদরে তুমি শুকনো পাতা।
আর ঝড়ের দিনে
আমি  প্রচন্ড ধূলি ঝড়।

দূরে থাকা ,পাশে থাকা
পৃথিবীতে কিছু  গল্প  অসমাপ্ত কবিতার মতো।
তাজমহল শুধু সময়ের পরিচয় নয়
স্পর্শ যা ছুঁয়ে থাকে।
সাথে থাকা আর পাশে থাকা এক নয়
যেমন দূরে থেকে পাশে থাকা যায়। 

তুমহারি সালু

 তুমহারি  সালু
,,,, ঋষি
==================================================
এই বিকেলের শুকনো রৌদ্র ঠোঁট পুড়িয়ে যায়
পুড়িযে যায় দৃষ্টিতে রাখা দৃষ্টান্ত।
মনে আছি তাই আলাদা করে মনে করার দরকার হয় না
এফ এম এইটে জকি চিৎকার করে গুড ইভেনিং সিটি।
এর পরের গানটা শুধু  আপনার জন্য
বন  যা টু মেরি রানী ,,তুঝে। ..........

তারপর শুরু হয় শ্রুতি আর প্রতিশ্রুতি
তাজমহল দেওয়া নেওয়া আরো অনেক কিছু।
বেশ লাগে শুনতে
সময়ের দুপুরে যেখানে শুকনো রোদ চেটে খায় তোমার আমার কুকুর। 
ভিখিরীদের খিদে মেটে না বাড়তে থাকে ,
বাল্কি সালু একলা হতে হতে পুরো একলা হয়ে যায়।
সময় তখন দাঁড়িয়ে দেখে।
বিকেলের ব্যালকনি থেকে ভেসে আসা স্প্যানিশ গিটারের শব্দ
গীতবিতান হারিয়ে যায়
তবু তুমহারি  সালু হিট ,,ঘষা মজা অনুভবে।

এই বিকেলে একলা রৌদ্র তোর ঠোঁটে সিগারেটের গন্ধ
নিঃশ্বাসে গভীর আমরণ ভালো থাকা।
মনে থাকে যে ,তাকে মনে করবো কেন
শুধু অভিমান হক  বনতা হ্যা সালু।
এফ এম এইটে এর.পরের গান তোকে উৎসর্গ করা
রবিঠাকুর ,,,কাদম্বরী স্পর্শ করে।

ম্যাডামকে

ম্যাডামকে
....... ঋষি
===================================================
আহ্লাদে আটখানা
কোনো অনবরত রৌদ্রের তীরন্দাজি ভেঙে
এগিয়ে চলা।
ম্যাডাম বয়স  তো  পেরোলো  অনেকটা
এখন আপনাকে মেরে ফেলা হয়েছে ,না নিজেই মৃত
জানতে চাই  নি তো আমি।

চশমার কাঁচ বদল হলো
বদল হলো আপনার চামড়ার ভাঁজে জমতে থাকা অভিজ্ঞতা।
কার সাথে সংসার করতে
কিংবা  গুড়িয়ে  যাওয়া  সংসারের খবর আমি জানতে চাই নি।
জানতে চাই নি আপনার বুকের মাপ
আপনার দুঃখ।
আমার কলমের নিবে উঠে আসা সময়
হয়তো আপনার বুকের উষ্ণতায় উত্তাপের জন্ম দেয় ,
বিশ্বাস করুন সে আপনার নয়।
আমার লেখা কবিতা সময়ের হতে পারে
কিন্তু ভাবনারা নিতান্ত আমার সন্তান।

আহ্লাদ আটখানা
কোনো অবঘন মুহূর্তের পেট গুড়গুড়।
দোয়া করে বাথরুমের ফ্ল্যাশ টানতে ভুলবেন না
কবিতা আমার পাগলাটে হতে পারে কিন্তু বেয়াক্কলে নয়।
ম্যাডাম বয়স হলো খাই খাই ছেড়ে
আবার একটু নিজেকে সন্মান করতে শিখুন।   

Sunday, November 26, 2017

.কোজাগরী


.কোজাগরী
........................ ঋষি
==============================================

শব্দরা আগুনে সেঁকবে
আসন্ন শীতে সত্যি কি শহরের তাপমাত্রা সময়ের নিচে।
কোনো অবিবাহিত যুবতী গর্ভবতী হবে
নার্সিংহোমে খসে যাবে স্বপ্নের সংসার।
কোনো কালো যুবতী বিবাহিত হয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে
তার শরীরে বোঝা যাবে না পোড়া সিগারেটের দাগ ,আরো ক্ষত। 

পথ অবরোধ হবে
উলঙ্গ নারীশক্তি মোমবাতি মিছিলে মিডিয়ায় চিৎকার করবে।
চিৎকার করবে ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনে টিভিতে যোনি
আর ক্যাবে ড্যান্সে সেই মেয়ে রোজগেরে হবে।
বাড়িতে সেই মেয়ের বেরোজগারে স্বামী ,শিশু কন্যা
হয়তো সেই মেয়ে বাজে মেয়ে হবে।
বিজ্ঞাপনের মেয়ে বলবে , 'পুরুষ-শাসিত এই সমাজকে ধিক'
সাদা চকোলেটে ভেসে যাবে বেশ্যার মুখ।
নির্বাসিত কোনো কবিকে বেশ্যা বলা হবে
সমাজ হাসবে ,সমাজ পুঁতবে ,সমাজ ব্যবহার করবে
তারপর ছুঁড়ে ফেলবে কন্ডোমের ব্যবহারের মতো ।
প্রভূত ডেটল-জলে ধোয়া হবে  এক নার্সের অবিবাহিত হাত
আর অন্য অবিবাহিত যুবতী মৃত স্বপ্ন জন্ম দেবে।

কোনো কোজাগরী রাতে শরীর আবারও মাতবে শরীরে
পবিত্র বিবাহ ভিতে যুবতী রমণী হবে।
রমণী শব্দের নিরিবিলি শীতে আকাশ তখন স্তব্ধ লাল
শব্দরা আগুন সেঁকবে বারংবার।
আর তারপর শুধু প্রতিবাদ কবিতায় গুমরে যাবে
তবুও কোজাগরী চাঁদ আরো রোমান্টিক হবে।  

আমার কবিতা

আমার কবিতা
.................... ঋষি
===================================================
আমার কবিতার ভিতর আমি শুয়ে থাকি
শুয়ে থাকো তুমি আমার ভিতর।
আমার কবিতার শব্দের চাদরে লোকানো তোমার সভ্যতা
মিসিসিপি মিশে যায় সময়ের প্রান্তরে।
ঠিক তখনি সময়ের গোলন্দাজের যুদ্ধের শব্দ
তোমাকে বারংবার তোমার কাছে ফিরে যেতে হয়।

আমার কবিতার বই তোমার হৃদয়ে
দুপুরের বারান্দায় কোনো নাম না জানা পাখি  তোমার নাম ধরে ডাকে।
কেউ বোঝে না তুমি শুধু বোঝো
তোমার বুকের ভিতর তোমার সংসারের মাদুরে শুয়ে
তুমি স্পর্শ করো আমার কবিতা।
নিরিবিলি সন্ধ্যেতে সূর্য ডুবে যায় আমার নীরবতার সাথে
আমি ধৈর্য ধরে দেখি
তোমার সংসার ,তোমার রান্নাঘর ,সময়ের সঙ্গম ,তোমার শীৎকার।
রাত্রি হয়
সকলে যখন ঘুমিয়ে আমি লিখতে থাকি তোমার কবিতা।
শব্দরা তোমাকে জড়াতে থাকে
তোমার স্তনবৃন্তে মুখ রেখে কবিতার জন্ম অনবরত।

আমার কবিতারা বাস করে তোমার ভিতর '
আর  আমার ভিতর শব্দের লাভ স্রোতে গনগনে সময়ে আঁচ।
তুমি রুটি বানাতে থাকো ,খিদের পৃথিবী
আর আমি আকাশের চাঁদে রুটি ছিঁড়ি হিংস্র ভাবে।
তোমাকে বলা হয় নি '
আমার কবিতার নিতান্ত আমার নয়। 

প্রয়োজন

প্রয়োজন
..... ঋষি
================================================
দেখা হয়ে যাবে একদিন ঠিক
আমার মুখের কুলুপে লেগে যাবে পুরোনো প্রশ্ন।
জানলা ,দরজা বন্ধ চারদেওয়াল
অথচ আকাশ দেখা ,,,,,,,, সম্ভব বলেই আমরা জানি।
তুমি হাসবে তোমার তুবড়ি হাসি
তারপর মিশে যাবে।

অনেক কথা সেদিন
শতাব্দীর শেষ ব্রীজটা ভেঙে গেছে হৃদয় পারাপার বন্ধ।
এক নিঃশ্বাসে তুমি প্রশ্ন করবে শহরের কথা
উত্তরে আমি কলকাতায়।
শহর বদলাচ্ছে নিজের ধোঁয়াশায় আজকাল চোখ জ্বালা
সিগারেটের উত্তাপ ঠোঁট পোড়াচ্ছে ,,,
আমি দায়ী বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ।
পত্রিকা ভর্তি আবোলতাবোল লেখা
সাহিত্য পণ্যের ঝুলিতে সকলেই দূষিত এখন।
শুধু হৃদ্স্পন্দনে কিছু শব্দ চিরন্তন
তুমি অবাক হয়ে দেখবে ,,বলবে তোর ঢুলু ঢুলু চোখটায়
নেশা হয় আমার।
.
দেখা হয়ে যাবে একদিন
অনেক কথা আটকে যাবে আমাদের চোখের তলায় কালিতে।
কোনো শব্দ হবে না সেদিন
শুধু হয়তো মৃত ফেলে আসা সময়ে দুজনেই বোবা।
শহর বদলাচ্ছে সময়ের প্রয়োজনে
এই আমাদের প্রয়োজনে মিছে থাকা। 

ছায়ামানুষ (২)

ছায়ামানুষ (২)
..... ঋষি
================================================
সব ঠিক আছে বলে
নিজেকে হত্যা করছে সে বারংবার।
ছায়ামানুষ
বিবৃতিতে আছে স্বপ্নের দেওয়ালে আজ নেশার শেওলা।
শুধু অধিকার খুঁজছে
পচে মরা সামাজিকতা ভাবনার লোভ।


লাশটাকে সরিয়ে রাখতে হবে
ফোনের গ্লিসারিন খুলে ফেঁটে যাওয়া ত্বক।
রক্ত বেরোচ্ছে
তবু দাঁতের চৌপাটিতে গোলকুন্ডা ফোর্টের পুরোনো দরজা।
কামান দাগছে
আকাশের পায়রার আজও বর্তমান।
নবাবী স্টাইলে সে নিজেকে ক্ষুদার্থ রেখে
খিদে মেটাচ্ছে ,
তাইতো গালাগাল দিয়েছিলাম ঠোঁট কামড়ে
তোর বুকে খাবলে পরে।
খিদে
নিরিবিলি অভিধানে মানুষ আজও প্রিহিস্টোরিক্যাল।

সব ঠিক আছে বলে
সময়ের চারপাশে চাপা দেওয়া ছাই।
শুকনো রক্ত '
প্রতিবাদ প্রতিদিন শহর খুঁজছে যাতনার।
আর কটা দিন '
তারপর বোধ হয় মুক্তি।


নীল কলমে আদর

চলন্তিকা জানো। .... আদর আসছে এখন
want your touches all over... but im tired too..."

নিরিবিলি কবিতার মতো
গোটা একটা আকাশ তোমার শরীরে লিখবো বলে
নীল কলমে আদর।

ফরম্যাট বদলাচ্ছে কবিতার
আমার রিসাইকেল বিনে  জমে আছে প্রচুর স্পর্শ।
রিস্টোর চাইছে
সিস্টেম হ্যাং।

কবিতা লিখবো কি করে চলন্তিকা
আমার ভিতরে আজ শহরের দহন,শুকিয়ে যাওয়া  শুকনো পাতা।
রান্না করতে হবে যে
একটু নুন ,একটু তেল ,দু চারটে কাতলা।
না ইলিশ আমি ছুঁই না '
শুধু সেই রাসায়নিক স্বাদটা পেলেই হবে। 

অজানা আতঙ্ক
আচ্ছা যদি তোমার আমার দরজা বাইরে থেকে বন্ধ হয়ে যায়।
আমি তুমি তখন মৃত পাশাপাশি
নগ্ন।

দূরত্বের কবিতার মতো
গোটা একটা শহরে আমি কবিতা লিখতে চাই
নিশুতি রাতে ,

চলন্তিকা জানো। ,,,, ঘুম আসছে না
want your touches all over... but im tired too..."


অন্যমনস্ক শহর '



অন্যমনস্ক শহর '
...... ঋষি
==============================================
অন্যমনস্ক যাত্রা শুরু
এই শহরের ক্যাবে চেপে মধ্যবিত্তরা যায়,
একটু  সুখী হবে বলে
মাসের প্রথমে  সাহেবি স্টাইলে বৌকে নিয়ে যায় ক্যান্ডেল ডিনারে,
খোকা কেঁদে ওঠে ,মাস মাইনে শেষ
মা বলে  আর কটা দিন দাঁড়া সোনা বাবার মাইনে হয়ে যাবে।
.
জামার পকেট হাতড়ে
বেরিয়ে পরে মানুষের সিগারেটের পোড়ানো ইচ্ছে টুকু,
ধোঁয়া ছাড়া শহরের বুকে
চেপে ধরে টিফিন খরচা বাঁচানো ঈশ্বর ও তার প্রেমিকা ,
হয়তো কোনো রেস্টুরেন্টের কোনে বসে কোনো একলা প্রেমিক 
শেষ চুমুকে আঁকড়ে ধরে প্রেমিকার বুক ,তৃষ্ণার ওয়েসিস ।
গাছের তলায় বৃদ্ধদের শেষটুকু
বিড়িটান দিয়ে তাসের বিবিকে কেন যেন চশমার পাওয়ার চোখ মারে,
ঢুকে যায় সম্পদ ,যৌবনের কিনারায়
বয়স ঈশ্বরকে কনফেস করে হয়তো পুরোনো কোনো প্রেমিকার মুখ।
সবটাই আতঙ্ক এই শহরের 
বাঁচতে চাওয়ার লোভ 
শুধু প্রশ্রয়ে আশ্রয়ে খোঁজে দিনযাপন
জীবনের বাকি চারানা দিয়ে  যদি আট আনা পাওয়া যায়।

অন্যমনস্ক যাত্রা শুরু
এই শহরের মারাত্নক জ্যামে সেই ভবা পাগলা দাঁড়িয়ে।
বিড়  বিড় করে আকাশ খোঁজে '
বুঝতে পারে না দুনিয়া করলো মুঠঠীমে থিওরিটা,
হঠাৎ সে কেঁদে ওঠে
কেঁদে ওঠে শহরের আগামী সন্তানেরা তার ভাবনায় । 

রাতের কবিতা

রাতের কবিতা
.... ঋষি
==================================================

শীতের হিমেল বাতাস
বুকের ভিতর উষ্ণতা খুঁজে ফেরে সভ্যতার মাটি

তোমার বুকের বুকের বিভাজনে আজকে; লালচে ছোপ
দাগ হয়তো মিটবে
কিন্তু আশ্রয় ঘরের খোঁজে।

আখরোট ঠোঁট
চকোলেটে লেগে গেছে কেমন একটা ছিপছিপে ভাব।
আমি ভুলি নি কিছুই
যারা মনে থাকে তাদেরকে কি ভোলা যায় ?

গোটা শৈশব পেরিয়ে গেছে তোমাকে খুঁজতে
প্যাস্টেলে আঁকা কল্পনার দরজায় তুমি অপরূপা।
ঘুমিয়ে আছে বীর্য সফর অন্য জরায়ুতে
সময়ের মাতৃত্বেও প্রেম থাকে।
সবার তো মা থাকে না আমার মতো।

খুব সত্যি একটা কথা
প্রতি কম্পনে ঢুকে যাচ্ছি আমি তোমার ভিতর।
হয়তো কয়েকফোঁটা রক্ত তোমার বিছানায়
আমার শরীরে স্পর্শ সুখ।
সময় খঁজছে স্পেস নিজেদের ভিতর
কে কার ভিতরে দরজা খুলতে পারি দেখা যাক। 

অন্য স্টাইলে লেখা এই কবিতা
অন্ধকার রাট ঘুম আসছে না বোবা প্লাটফর্মে।
শুধু টিকিট কাউন্টারে অদৃশ্য ভিড়
আমাকে চিনতে পারছো তুমি ,তোমার স্বপ্নে।
এইবার শেষ টুকু লিখতে হবে যে
এখন অনেক রাত,কাল তো ফিরতে হবে তোমার কাছে
তোমার ট্রেনের স্টেশনে একলা দাঁড়িয়ে। 

একটা গল্প

একটা গল্প
,....... ঋষি
=============================================

গল্পের শেষ পৃষ্ঠায় ধুলো জমেছে
অমলিন ইচ্ছাদের মানুষ বোধহয় স্বপ্ন বলে ডাকে।
জীবনের আর্ধেকটা কেটে গেলো
বাকি আর্ধেকটা দিয়ে আমি কি করবো বুঝতে উঠতে পারি না।
জাবেদা খাতায় জীবনের হিসেবে মেলাতে বসি
দাগ টানি,ক্রমশ গভীর। .....,মেলাতে পারি না।

রাট জাগা চোখে কবিতা এসে ভিড় করে
ভিড় করে অজস্র মুখের ছায়াছবিতে ক্রমশ ভুলতে থাকা আলো।
অন্ধকার গ্রাস করে
আকাশের সিলিঙে নীলচে ধিমি আলো ,,, মৃদুমন্দ স্বপ্ন।
এই তো বেঁচে আছি জীবন '
আমি যে স্বপ্ন দেখতে ভুলি নি।
অদৃশ্য ক্যানভাসে ফুটে উঠতে থাকে গোটা একটা শহর
তারপর অজস্র শহর।
চিৎকার কোলাহল মিশিয়ে জীবন নিয়ে দাঁড়ায় ট্রেনের কামরায়
সরতে থাকে পিছনের দিকে।
ক্রমশ চেনা মুখ অচেনা হয়ে যায়।

গল্পের শেষ পৃষ্ঠায় জমতে থাকা ধুলো
তুমি বলো ক্রমশ আমি বাস্তববাদী কোনো নতুন উপাখ্যান।
কিন্তু তোমাকে বলে পারি না
এই গল্প ক্রমশ চলতে থাকবে ,বুকের কাছে দমবন্ধ কষ্ট।
নিরুত্তর জাবেদা খাতায় বাকি অর্ধেক জীবনের স্বপ্ন '
শুধু বেঁচে আছি সেজন্য বোধহয়। 

পায়রার আকাশ

পায়রার আকাশ
.... ঋষি
======================================================
নিরুত্তর অপেক্ষাকে লিখে দেওয়া ভালো
তুমি বাড়ি ফেরো,
তোমার অপেক্ষায় মাছের ঝোল ,গরম ভাত,একটা উষ্ণতা ।
ট্রেনের শেষ হুইসেলের শব্দে
ঘুম ফেরা মুসাফিরকে জানিয়ে রাখা ভালো
জীবন শুধু অপেক্ষার আরেক নাম।

খোলা আকাশে পায়রাদের কিছুটা বকবকুম
সময়ের উপর উপাধি ছড়িয়ে অনেক খুঁটে খাওয়া জীবন।
চলন্তিকা তোমার আঁচলে বাঁধা খুচরো কিছু জানলা
গানটা মনে পরে
অফকোর্স রবিঠাকুর
যদি তারে নাই চিনি গো সে কি আমায় নেবে চিনে
এই নব ফাল্গুনের দিনে--    জানি নে জানি নে॥
অদ্ভুত জানি না
সুখ তুমি শুয়ে থাকো সময়ের বুকে দাবানল
পুড়ে যাওয়া সুখ আর সবুজ আবরণ।
কাছে এসো চলন্তিকা
যেমন আসে সময় অপেক্ষার নিরুত্তাপে।

নিরুত্তর অপেক্ষাকে লিখে দেওয়া ভালো '
কাল আবার অন্যদিন।
ট্রেনের জানলা থেকে সরে যাওয়া সাময়িকী
ঈশ্বর তুমি নিরুত্তর গন্তব্যে দাঁড়িয়ে।
পরের স্টেশন অজানা
আকাঙ্খার ভিটে জীবন খুঁটে খাওয়া পায়রার আকাশ। 

Friday, November 24, 2017

কুয়াশার চাদর

কুয়াশার চাদর 
,,,,,, ঋষি
===========================================

এত রাতে একলা দাঁড়িয়ে
উপভোগ জীবনের মাত্রার ভালোটুকু  চুষে  খাওয়া।
সামনে সারি দিয়ে পরে  থাকা স্ট্রিট লাইট
ছায়া পথে আঁকিবুঁকি।
শীতের শেষ কুয়াশা চাদরে
ম্যাডাম এখনো জেগে ,,কি ব্যাপার  ঘুম কই ?

ম্যাডাম তোমার  চশমার  কাঁচে
ইতিউতি শহরের উপভোগগুলো সব সুঁচের মতো ফুটছে।
ম্যাডাম তোমার  একলা বারান্দায়
যে হাত এগিয়ে গিয়ে কুয়াশায় চাঁদ খুঁজছে ,,,, আদর ।
অল্প সময়ের  পরে এক অন্য সকাল হয়তো ,ব্যস্ততা
সকালের শরীরের স্পর্শ নিয়ে ভোরের বাতাসে তুমি এগিয়ে যাবে
কতদূর তোমার ইস্কুল?
তুমি তাকিয়ে দেখেছ অস্পষ্ট পথের রেখা---পথের ধারণা
স্বপ্ন, অন্ধকার বীজ, যা
ধীরে ধীরে আমাদের অস্তিত্বে মিশেছে।
সময় শীতের সকালে নেশায় ব্যস্ত
অল্প সময় পর সকাল হবে।

এত রাতে একলা দাঁড়িয়ে আমি
সময়ের তেজস্ক্রিয় বিমগুলো এফোঁড় ওফোঁড় হৃদয়।
গন্তব্যে এগিয়ে চলা স্বাভাবিকতা
অস্বাভাবিক স্ট্রিট লাইটের আলো ছায়া।
শীতের কুয়াশার চাদরে
কেমন একটা অন্যমনস্ক স্পর্শ ,,, তোমাকে চাই। 

Thursday, November 23, 2017

জীবন আবর্তন

জীবন আবর্তন
....ঋষি
=============================================
জানি না জীবন আবর্তনের পথে
কে কে উদ্বৃত্ত।
জানি না চলন্তিকা এই জীবনের শেষ রাস্তাটা
কোন শহর। কোন গলি। কোথায় শেষ ?
শুধু এটা জানি জীবন নামক চৌদ্দগুষ্ঠির পর আমার
একটা অন্য শুরুর অপেক্ষা।

চলন্তিকা তুই জানিস
কতোদিন হলো, ভালো কোনো খাবার খাই না।
জুতোটা, সত্যি-সত্যি এবার ছিঁড়তে শুরু করেছে
মাথাটা বিগড়োতে বিগড়োতে ট্রেন লাইনের এক্সপ্রেস গতিটা ছুটছে
যেন কোনো অজানাকে জানাটা জরুরী।
যেন একটা খিদে অসময়ের দরজায় হা করে দাঁড়িয়ে ঢোঁক গিলছে
 বেঁচে আছি তো?
এই সাজানো শহরের পলতে পলতে জমতে থাকা কালো কালি
প্রচুর কালি আমার সারা শরীরে।
দুহাতে ঘষছি,মুছতে চাইছি ,পারছি না
শুধু মনে হচ্ছে একটা ফুসফুসে ক্রমশ পালাবার শব্দ হচ্ছে।
অথচ বিশ্বাস কর চলন্তিকা
সুখী মেয়েরা পাখির মতো আমার সামনে গান গাইছে
আর হাসপাতালের নতুন ডাক্তার ঘুরে বেড়াচ্ছে দেবতার মতো।

জানি না জীবন আবর্তনের পথে
কোথায় শুরু আর কোথায় শেষ আমার আয়ু রেখার বিদ্রোহ।
অনেকদিন হলো, কোনোকিছুই ঘটছে না আর পৃথিবীতে
শুধু ফাঁকা ঘরে, চুপচাপ বেজে চলেছে রেডিও।
রেডিওতে এবার বিশেষ সংবাদ
বাঁচার জন্য কিছু  লোকের নতুন ফুসফুস দরকার। 

ইতিহাস

ইতিহাস
............. ঋষি
=================================================
অনিত্যের সাথে শেষ দেখা
সময়ের সাথে ফেলে আসা শেষটুকু আজ শুরু।
সময়ের রংবিচুলি কিছুটা অনিত্যের
আমি তুমি শুধু মহড়া জীবনের সংশয়ের।
অথচ সংশয় প্রতিদিনের বেঁচে থাকা
যেন অনুরণন ও অনুকরণ  জীবনের।

আজ থেকে শত সহস্র বছর পর
আমি তুমি শুধু স্মৃতি।
অথচ ওই স্মৃতি নিয়ে যারা জীবিত থাকে
তারা শত সহস্র ভুলে যায় ,ভুলে যায় সময়ের অভিসার।
অনবরত ক্ষরণের পর
যে স্মৃতি হয়তো কখনো কোনো মুহূর্তে মানুষের খুব কাছের।
চলন্তিকা সময় শুধু মানুষের আগামী নয়
সে যে বর্তমান ও অতীতের কালচিত্র।
যখন ইতিহাস সময়ের স্মৃতি
ঠিক তেমনি মানুষের ভবিষ্যৎ সময়ের খেলাঘর।
যেখানে বাঁধ ভাঙে ,গড়ে
অথচ মানুষ স্থির ,নির্বিকার।


অনিত্যের সাথে সন্ধি
অতীতের স্মৃতি আর ভবিষ্যতের ফাঁকে আজকের বর্তমান।
আমি তুমি স্থির নির্বিকার কোথাও হয়তো
কিন্তু শত সহস্র বছর পর আমরা হয়তো বেঁচে।
কারণ মৃত্যুটা মৃত্যুর পর
সময় স্মৃতি নামে কিছু ইতিহাস লিখে রাখে। 

Friday, November 17, 2017

ঘড়ির কাঁটা

ঘড়ির কাঁটা
.............. ঋষি
===================================================

রাত্রি নটা
তোর নিয়মিত রান্নার ঘড়িতে তখন সাজ সাজ রব।
মফস্বলের শেষ ট্রেনটা চলে গেছে আমার শহর থেকে
শুধু শীতের প্রথম সন্ধ্যা চলন্তিকা নিবেদন ,
আজ গরম ,গরম লুচি আর আলুরদম
আমার কবি কলমের খিদে এখন নাটবল্টু খুলতে চাইছে।

রাত বারোটা
তোর ক্লান্ত চোখে চলন্তিকা বিচ্ছিরি সিলিং।
বব্ধ জানলা ,দরজার পাশে ঘুমোনো গিটারগুলো সুর তুলছে
সুর তুলছে বুকের কেবিনে খোলা আকাশ।
ছাদের উপর একলা দাঁড়ানো চাঁদ শুধু তোর একার নয়
আমার শহরেও একলা দাঁড়িয়ে।

সকাল ছটা
ঘুম চটকে চিৎকার করছে কলিংবেল।
চায়ের রান্নাঘরে তখন চিল চিৎকার লেড়ো বিস্কুট।
স্কুল ,কলেজের রেশ লেগে গেছে তোর ঘড়িতে।
ঘড়ি চলছে দ্রুত
আর আমার বিছানায় তখন নাছোড়বান্দা ঘুম।

দুপুর তিনটে
আমার কবিতার পাশে বুক খুলে শুয়ে তোর আদর।
চাঁদের শুকনো জামাকাপড়গুলো বড়ো বেয়াক্কেলে
রিংগিং টোনে সময়ের ঘড়ি তোকে খুঁজছে।
হ্যালো সময় বলছি
আমাকে শহর তখন এক বুক আশা।

রাত্রি তিনটে
ঘুম না আসা তোর শহর ,পাশে খোলা জানলা।
এলোমেলো  ভিজিয়ে গেলো শীতের প্রথম কিছু কথা
জানি আনমনে হাসছিস তুই।
আর আমি এখন ব্যস্ত তুমুল স্বপ্নে
দরজা খুলছে ,,,প্রথম আলো ,,নতুন ভোর। 

চিরমুহূর্ত

চিরমুহূর্ত
............... ঋষি
==========================================
তোর বুকে লগে গেছে আমার সিগারেটের গন্ধ
তোর যোনি পর্দায় আজ স্বপ্ন ধারা।
তোর নাভির পাশে পরে থাকা মৃতদেহ
অনেক খবর লুকিয়ে থাকা বাঁচতে চাওয়া বারংবার।
দিনটার বৃষ্টির ছিল
কিন্তু সফরে ভিজে মাটির বদলে ছিল
ঘামের গন্ধ।

কোলাহল সমাজের পোষ পার্বন
বিশ্বের দরজায় তখন হাতছানি অজস্র না বলা কথনের।
আমার পোড়া বুকের পাশে
দাঁড়িয়ে থাকা সুমেরু আদলে স্তন। কথা বলছিল   ......
ফিসফিস
বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি।


ভিজে মাটির পাওনা গন্ডা
দু চারটে চরিত্ররা নিরুপায় দর্শক আমাদের কাছে।
ঈশ্বর শুধু মন্দির ,গির্জার নয়
আদলে প্রেম।
সত্যি ছিল বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষারা গভীর ঘ্রানে
শুধু এইভাবে একটা দিন ,,,,,খুব গভীর
চিরমুহূর্ত রঙিন । 

খিদে

খিদে
................... ঋষি
===============================================
খিদে
বুকের খাঁজে আটকে আছে কিচিরমিচির বকুনি।
পায়রার ছোট ছোট খামে বন্ধ আকাশ
খুঁজে চলে ডানার স্বপ্ন আকাশ ধরার।

এই কবিতা কখনো জনপ্রিয় নয়
মানুষের স্বপ্ন বিক্রি করে বাঁচতে চাওয়া এক ডজন গল্পগুলো
শুধু রিমিকি সিরিয়ালে সাস বাহুর কাহিনী।
শুধু অভিশাপ কুড়িয়ে একগাদা ভাবনা ফিরে চলে বাসস্থানে
রাত্রি নামে,অনিদ্রার খাপ ছাড়া ঘুমগুলো বড়ো যন্ত্রণার।
আবার সকাল আসে নিয়ম করে
আবার কুড়োতে থাকা মৃত স্বপ্ন ইচ্ছা বাসরে আকাশের ঘরে চিঠি।
চিঠি পৌঁছায় না
ফিরে আসে বর্ডারে কোনো মৃত সৈনিকের নাম।
গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে সমাজ ,বন্দুকের শব্দ লালকেল্লায়
তারপর দৈনন্দিন। ....

খবরের পাতায় খুব কোলাহল
আহা ,উহু ,ইশ সকলের মুখে হরেকরেকম্বা।
দরিদ্র ইতিহাস থেকে শহরে ফুলকি ঝরতে থাকে '
মৃত স্বপ্ন বীজ আবার সকালের শিশিরে।
জন্ম হয় ইচ্ছা
চলতে থাকে। 

The hidden river is your silent huff

The hidden river is your silent huff
.
জোর করে মুঠিবদ্ধ সময় 
তোর সময়ের পাঁজরে জমতে থাকা জঞ্জাল। 
সবটুকু আকুতি নিয়ে ক্লোরোফরমিয় বাঁচা 
তবুও ডুবে মরা বারংবার রক্তাক্ত হৃদয়। 
আঁকিবুঁকি নদীতটে জল উপচে পরে কোনো ঝোড়ো হাওয়া 
সময়ের আগুনে অভিশপ্ত খেলাঘর। 

জ্যোৎস্ন্যা এসে খেলা করে তোর লুকোনো বুকের বিভাজনে মৃদুমন্দ নদী
স্বপ্নেরা সব নদীতটে বেড়ে ওঠা সম্পদ। 
গুমরে মরে আগামী ,গলার কাছে ডেলা বাঁধা কথাগুলো 
আমি ঠিক শুনতে পাই। 
আমিও যে বাঁচতে চায় নদীতটে মৃদুমন্দ স্বপ্ন বুকে 
আমিও ঢিমেতালে পা মেলাতে চাই তোর সম্পদে। 
এই সব রূপকথা কেন যেন আমার ভীষণ প্রিয় 
চোখে স্বপ্নে লেগে আছে রূপসী মুহূর্তরা। 
চলে যাওয়া আর চলতে থাকা পার্থক্য খুঁজতে গিয়ে 
আজকাল বারংবার হোঁচট খাই। 
মুখ থুবড়ে পড়ি রঙিন বালুতটে তখন শুকনো নদী
নদীর নোনা জলে খুঁজে পাওয়া তোকে তখন আমার অমৃত মনে হয় । 

জোর করে মুঠিবদ্ধ সময়
জিততে চাওয়া স্বভাব মানুষের গভীরে পরিণতি। 
কেউ কেউ তোর আমার মতো শুধু আবর্তন হয় 
আর পরিবর্তন নিজের আয়নায় দেখা ওপরের মুখ। 
বেশ তো শুকিয়ে যাওয়া নদী আমার থাকুক
থাকুক আমার একান্ত লুকোনো তুই।

.... ঋষি 

তবুও বৃষ্টি আসে

তবুও বৃষ্টি আসে
..... ঋষি
=========================================================
বৃষ্টি কোনো একলা দিনে কবিতার মতো প্রিয়
শুধু এইটুকু।
ঝরতে  থাকা জলের ফোঁটায় যদি কোনো উপাখ্যান  নিয়ম হয়ে যায়
 সময়ের যোগফলে যদি কোনো নিয়ম গল্প হয়ে যায়।
মীরজাফর যদি ইতিহাস হয়ে আসে
ঠিক তখন বৃষ্টি আসে।

এই সব নিয়ম কানুন হিসেবের যোগফল সবটাই বাহ্যিক
সতীদাহ থেকে কুমারী যোনিতে সমাজের নিয়ম সবটাই প্রাচীন।
তবুও বৃষ্টি আসে
একজন ষোলোবছরের মেয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গুনে চলে বৃষ্টি ফোঁটা
তার কপাল বেয়ে ঝরতে সমাজের থাকে লাল রক্ত শাওয়ারের জলে।
ফুটেজে চলে আসে বিনোদন দুনিয়া
বৃষ্টির ছাটে হাত বাড়িয়ে কোনো শৈশব খুঁজে পেতে চায় খোলা আকাশ।
বৃষ্টি আসে বারংবার
অসময়ের বৃষ্টিতে সময়ের সর্দি ,কাশি ,জ্বর
সবটাই প্রাচীন ,সবটাই সকলের জানা।
শুধু জানা নেই সময়ের বৃষ্টিতে ভিজে চলা বর্তমান
আগামী কোনো দিনে বৃষ্টির স্বপ্ন দেখে।

বৃষ্টি কোনো একলা দিনে কবিতার মতো প্রিয়
এইটুকু জানা।
বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়া পথ ঘাট ,নথিপত্র
সবটাই সাক্ষী রেখে যায় বৃষ্টির চলে যাওয়ার।
গাছের সবুজ ঠোঁটে তখন বাঁচার ইতিহাস
বৃষ্টি জীবনের ইতিহাস জানে।

Tuesday, November 14, 2017

চলন্তিকা আমার নাম

চলন্তিকা আমার নাম
....................... ঋষি
=========================================================
অপেক্ষায় আছি সেই কবিতার যা কখনো লেখা হয় নি
যার স্বর্ণের শব্দের স্পর্শগুলো ছড়িয়ে পড়বে চাঁদের জ্যোৎস্নার মতো।
অপেক্ষায় আছি এমন পৃথিবীর
যার প্রতি আবর্তনে শুধু অমৃত স্বাদ ,অনন্ত বাঁচা।
অপেক্ষায় আছি সেই সোনালী সকালের
যার প্রতি আলোকরশ্মি আমার বুকে শুধু তোমার মতো হবে।

এই সব ঘ্যান ঘ্যানে , তালি মারা চরিত্ররা
তখন অন্য পৃথিবীর গল্প।
এই সব শব্দের পাহাড়ে চড়ে খুঁজে পাওয়া একলা বোধগুলো
অবিরত বৃষ্টি।
চাঁদের পাহাড়ে কোনো ইচ্ছা সেদিন এক ঘরে নয়
স্বাধীন সাদা ঘোড়া ,টগবগ টগবগ ছুটবে রক্তের ধারায়।
জেগে উঠবে সোনালী ভোর
সবুজ শিশির জমা হবে নরম ঘাসের উপর।
শৈশব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া কিংবদন্তি মতবাদ
ইঁদুর ,বেড়ালগুলো তখন নিজের ফাঁদে।
খিদের পৃথিবী বদলে সেদিন লিখবে কবি সোনালী ফসলের কথা
সংবাদপত্রগুলো বদলে যাবে ভালোবাসার খবরে।

অপেক্ষায় আছি সেই কবিতার যা বদলাবে পৃথিবী
অপেক্ষায় আছি সেই কবির যার কলমে ঈশ্বর।
শুধু মাত্র পণ্যের মাত্রায় শব্দরা নেংটি পরে দাঁড়াবে না কোনো পত্রিকায়
শব্দদের নিজেদের অঙ্গীকার হবে আলোর মতো।
সেদিন তুমি স্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আমার সামনে
বলবে ,,,,, চলন্তিকা আমার নাম।  

সাথে বাঁচা

সাথে বাঁচা
...ঋষি
=================================================
তোমার না শেষ হওয়া গল্পগুলো তোমাকে ডাকছে
তোমাকে ডাকছে তোমার শৈশবের হারানো নাম।
তোমার নিজস্বতায় লুকিয়ে থাকা মুক্তি
তোমাকে ডাকছে।
তোমাকে ডাকছে তোমার মেনে নেওয়া জীবনের টুকরোটাকরা ইচ্ছা
আর তোমার বাঁচা।

বাঁচা শব্দটা সেই ম্যানড্রেকের ঝুলি
যার হাজারো কৃপণতার ফাঁকে একটা ম্যাজিক পায়রা লোকানো।
তুমি চোখ বুজলে রাজকুমারী
তোমার হাতে বদলানো ভবিষ্যতের চাবি।
দরজা খোলো
কেমন একটা ভাঙা পুরোনো বাড়ির শব্দগুলো তোমার পিছনে
তাড়া করছে ।
তুমি দৌড়োচ্ছ ,তুমি হাপাচ্ছো ,তুমি ভাবছো
একে তুমি জীবন বলো ?
ম্যানড্রেক সাহেব মনে মনে খুব হাসছেন
তার পায়রাটা এখনো ঝুলির ভিতর।

তোমার বেঁচে ওঠা স্বপ্নগুলো তোমাকে ডাকছে
তোমাকে ডাকছে তোমার হারানো সময়ের স্মৃতি।
তোমার নিজস্বতায় লুকিয়ে থাকা শক্তিরা
তোমায় ডাকছে।
তোমাকে ডাকছে তোমার ব্যস্ততার জীবনে আমার  পরিসর
ইচ্ছা সাথে বাঁচা। 

অধীনতা

অধীনতা
.................ঋষি
=============================================
যে সাহসের অধীনতা তুমি করছো
তাকে তুমি প্রেম বলো।
প্রতিটা ভেঙে পরার পরে তুমি যাকে আঁকড়ে ধরো
তাকে তুমি জীবন বলো।
কিন্তু যখন একটা অস্তিত্ব অধীন হয়ে যায়
তুমি জানো না তাকে হৃদয়  বলে।

আসলে জীবনের চলার পথে চুক্তিগুলো সব বিরক্তিকর
পায়ের শিকলে লেগে  থাকা ক্লান্তি অনন্ত।
মানুষ বাঁচতে চায়
তাই হাত বাড়িয়ে আকাশ ধরতে চায় ,খুঁজে পেতে চায় নিজেকে।
আকাশ কখনো মাটিতে নেমে আসে না
পাঠিয়ে দেয় মেঘলা রঙের স্বপ্ন ,বিশ্বাসে ভীত।
মানুষ প্রেমে পরে
মানুষ একা থাকে আরো বেশি ,খুঁজতে থাকে নিজেকে।
সেই নীল আকাশের চাদর
নীলচে রঙের স্বপ্ন আর বাঁচার অধিকার।

যে সাহসের অধীনতা তুমি করছো
তাকে আমি বেঁচে থাকা বলি।
প্রতিটা হেরে যাওয়ার পর খুঁজতে থাকা তোমার খোলা বুকটাকে
আমি আশ্রয়ের উষ্ণতা বলি।
কিন্তু যখন তুমি অন্য হয়ে যাও
আমি হাতড়াতে থাকি হৃদয় ,,,,বাঁচতে চাওয়ায়।  

তোমার কথা (৪)

তোমার কথা (৪)
.... ঋষি
============================================
তোমার কথা লিখতে গেলে
আমি অবাক হয়ে যায় এই সামান্য  জীবনে
ঠিক কতটুকু তোমাকে সত্যি জানা যায়।
ঈশ্বরের পুজোয় যেমন কোনো আবরণ থাকে না
ঠিক তেমনি তুমি  আমার কাছে  আমার আমি 
আমার কবিতায়।

নগ্নতা
জন্ম অবধি শব্দটা ভীষণ প্রিয় আমার কাছে।
আকাশের চাঁদে আমি তাই কারণ খুঁজে  পাই
খুঁজে পাই তোমার শরীরে একটা পৃথিবী কোনো অলীক ঈশ্বর।
সেই পৃথিবীর মাটিতে আমি আর্মস্ট্রং
পুঁতে দি পতাকা কোনো চেনা অধিকারে।
তোমার স্নানের ঘরে ,তোমার চুলের ক্লীবে ,তোমার সমস্ত অধিকারে
আমি থাকি তাই ,ঠিক যেমন করে তুমি রাখো।
তোমার রান্নাঘরের চুল্লিতে। তোমার অবাক হয়ে দেখা দৃশ্যের গভীরে
আমি বাঁচি ঠিক ,ঠিক যেমন করে তুমি রাখো।
তোমার নিঃশ্বাসে ,তোমার রক্তের প্রতি কণিকায়
আমার হৃদস্পন্দন
তাই তোমার চোখের জলে আমার মৃত্যু বারংবার।
আমার জীবনের দিশাগুলো ইচ্ছে খুঁজে পায়
আমার বেঁচে থাকায় ,আমার কবিতায়।

তোমার কথা লিখতে গেলে
তাই আমাকে পৃথিবী লিখতে হয় ,লিখতে হয় মানুষ।
তোমাকে পাওয়ার জন্য
আমাকে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় সময়ের প্রতি পাড়ায়।
তারপর যখন আমি ক্লান্ত ঘুমের গভীরতায়
তুমি বারংবার ফিরে আসো আমার কবিতায়।  

ঐশ্বরিক শব্দকোষ

ঐশ্বরিক শব্দকোষ
...... ঋষি
=====================================================
শব্দ  খুঁজতে খুঁজতে কখন যেন
একটা আস্ত শব্দকোষ ছিঁড়ে ফেলেছি।
পৃথিবী খুঁজতে খুঁজতে কখন যেন নিজেকে
পৃথিবীর বাইরে নিয়ে ফেলেছি।
ভুলে গেছি পৃথিবীর কথা আর পৃথিবীর কবিতা
খুব সাধারণ।
যেখানে পায়ের তলায় মাটি আর বাঁচার স্বাধীনতা
শুধু শব্দ নয় একটা এনসাইক্লোপিডিয়া ,,,,,, অদ্ভুত
যেটা  মানুষের পরিচয়।

ঈশ্বর নামক শব্দটাকে দেখি আমি প্রতিদিন সেই বাজারি বেশ্যার চোখে
প্রতিবার বলাৎকারের পর দেখতে পায়।
এই শব্দটা খুঁজতে আমি সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে কল্পনায় খুঁজে পাই
কোনো ঐশ্বরিক ঢেউ যেখানে আমি বিলীন।
ঈশ্বর শব্দের সন্ধি ছেদ করে
কারখানায় ঘষতে থাকে সেই  শৈশবের হাত।
ওই শব্দে চিৎকার করে সেই ভিখিরি
যার গলার স্বর বাসে,ট্রামে মানুষের ভীষণ প্রিয়।
সেই সন্তানহারা মা ,সেই শৈশব হারানো শিশু ,সেই দরিদ্র সমাজ
সকলেই ঈশ্বরের করুনায়।
অথচ আমি দুঃখের মাঝে ঈশ্বর খুঁজি
কোনো বেকার পঁয়ত্রিশ লিখে চলি ঈশ্বরের শব্দের শরীর।

শব্দ
খুব গভীরে শোনা ঈশ্বরের প্রতিধ্বনি আমার কাছে।
মানুষের মাঝে ঈশ্বর ,ঈশ্বরের মাঝে সত্যি
বড়ো অবুঝ  এনসাইক্লোপিডিয়া মানুষের কীর্তি। 

জনস্বার্থে লাঘু

জনস্বার্থে লাঘু
......................ঋষি
=========================================================
যারা সকাল সন্ধ্যের তফাৎ করতে ভুলে যায়
তাদের আমি অন্ধকার বলি
আমার সামনে থেকে দুপুর হাঁটতে হাঁটতে বিকেল হয়ে গেলো
এখন সন্ধ্যে
অথচ জীবনের অন্ধকারগুলো প্রদীপ ভাঙা পুতুলের মতো বেরঙিন
আমি আলোতে থাকতে থাকতে অন্ধকার হয়ে গেলাম

তোমাকে বলেছিলাম সাথে থাকতে
ফোন কাটার পর ওপারে বিরক্তিকর শব্দটা অনেকটা হুইসেলের মতো।
স্টেশন ছেড়ে তোমার মতো কেউ আমাকে ছেড়ে গেলো না
ছেড়ে গেলাম আমি নিজেকে তোমার থেকে দূরে।
এমন বারংবার
রাত কেটে সকাল ,তারপর সন্ধ্যে আবার রাত।
জীবনের ধারাপাতগুলো তুমি আমি রপ্ত
কিন্তু মিথ্যে বলতে পারি নি
তোমাকে ছাড়া বাঁচা যায় একটা জীবন অথচ মুহূর্ত বাঁচা যায় না।
তোমার আখরোট ঠোঁটে লেগে থাকা
আমার মৃত গন্ধ ,হয়তো হারিয়ে যায় জীবনে জটিল বেচা কেনায়। 
অথচ আমি জানি ফিরে আসে বারংবার
তোমার প্রতিটা মৃত্যুর পর আমার সিগারেট পোড়া ঠোঁট।

যারা সকাল সন্ধ্যের দূরত্ব ভুলে যায়
তারা আমার মতো পূজারী।
যার মন্দিরে ঈশ্বর নামক ভালোবাসার পার্থক্য
শুধু জনস্বার্থে লাঘু।
আর বাকিটা তুমি জানো আমি জানি
কারণ আমার প্রতিটা মৃত্যুর একমাত্র সাক্ষী তুমি। 

ঈশ্বর বোধ

ঈশ্বর বোধ
...... ঋষি
================================================
সময়ের উপকরণ দু চারটে ছাড়ানো রসুন
কয়েক  কোয়া আদা।
রান্না করছেন ঈশ্বর মানুষের সময়গুলো নিজের স্বাদে
বিশ্বাস করুন জজসাহেব,এই হত্যা আমি করি নি ,ঈশ্বর করেছেন।
নিজের নিজস্বতায় ,নিজের স্বাদে
মানুষ শুধু অধিকার চেয়ে গেছে ,বাকিটুকু ফাঁকি ।

আমার চলন্তিকা আছে
চার দেওয়ালের অধিকারে আমি তাকে  নগ্ন  হতে দেখেছি।
দেখেছি দিনের পর  দিন নিজেকে নষ্ট করতে
সময়ের ঈশ্বর নিজের রান্নার স্বাদে শুধু এত তেল ,লঙ্কা ,নুন দিলেন
কিন্তু ভালো থাকা টুকু দিতে ভুলে গেলেন।   

হাসছেন ঈশ্বর
বলছেন জজসাহেব সবটুকু যদি আমি মানুষকে দিয়েই দি,
তবে আমার থাকবে কি ,কি নিয়ে আমার সাম্রাজ্য
আমার অধিকার।
তাইতো অধিকার বোধ দিলাম  আমি মানুষকে
দিলাম অন্য সকল বোধ ,শুধু ইনকমপ্লিট ছেড়ে দিলাম
আমাকে মনে করবে বলে।
দুঃখ আছে তাইতো আমি আছি
না এই স্বার্থপর মানুষগুলো থোড়াই আমাকে মনে করবে।

সময়ের উপকরণ দু চারটে ছাড়ানো চামড়া
তার উপর লংকার গুঁড়ো।
রান্না করছেন ঈশ্বর মানুষের অনধিকারে রাখা আকাশটাকে
বিশ্বাস করুন জজসাহেব ,এই আকাশ তাই তো বদলায় ,লালচে সিঁদুরে।
তারপর বৃষ্টি হয় ,কিন্তু মানুষের দুঃখগুলো
কখন যেন ঈশ্বরের মতো মানুষ মনে করে চিরকাল। 

বাঁচা এখনো বাকি

বাঁচা এখনো  বাকি
.... ঋষি   
=================================================
জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো
সময়ের নফরতে কিছুটা হয়তো কারণসংগত।
অসঙ্গত সময়ের ভিটে মাটি
ভেজা বাস্প।
চলন্তিকা কখনো ভাবি  নি জীবন শুধু  কাটিয়ে দেওয়ার অন্য নাম  নয়
নফরতের ফাঁকে কোথাও জীবন এখনো  বাকি বেঁচে  থাকায়।

চলন্তিকা শুধু কি জীবনের   কাব্য লিখে চলেছি  আমি
আমার সময়ের  পাতায়  পাতায়  জমে  থাকা অজস্র নফরতের আলিঙ্গন।
দুঃখ  শুধু মানুষের   নিজস্বতায়  নয় ,ভাবনায়
তাই তো  ভাবনা  বদলে  বাঁচা।
তোমাকে পাওয়া কোনো  জীবনের ভিটে মাটিতে কুড়িয়ে  পাওয়া ঝিনুক
শৈশবের কবিতায়।
সুন্দর  সাজানো  সময়ের বিঘ্নতায় খুব আদরে লোকানো
সেই সব ব্যাকুলতা, বাঁচা ,তুমি। 
সময় বদলাবে ,বদলাবে  মানুষের ভাবনায় নিজস্ব দুঃখগুলো
কারণ  কোনো দুঃখ চিরস্থায়ী নয়। 
পৃথিবীতে  বায়ুশূন্য কোনো স্থান  পাওয়া মুশকিল
তাই মুশকিল আসান বাঁচতে  হলে  ভাবনা বদলাতে হবে।
অক্সিজেন
সময়ের কালোগুলো ভুলে বাঁচতে চাওয়া। 

জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো
বদলাতে থাকা মানুষের স্বভাবের আয়নায়  ভুলতে চাওয়া  সময়।
অসঙ্গত   এখানে  থেমে থাকা
তাই শক্ত  মাটি। 
মাটি  খোঁড়ো বেরিয়ে  পড়বে কঙ্কাল  আরো  অনেক  কিছু 
কিন্তু বাঁচা এখনো  বাকি ,তাই বেঁচে।


Saturday, October 28, 2017

শব্দের মিছিল

শব্দের মিছিল
...ঋষি
==================================================
শব্দের মিছিলে অগোছালো ঢেউ
মানুষ নাকি পবিত্র পাত্র চেটে খুঁজে চলেছে খিদে।
খিদে ,,,,,, সময়ের অন্তরে জংধরা দাগ
আকাশের পরিধি ছাড়িয়ে স্বপ্নদেখা চলন্তিকা।
প্রশ্রয়
আশ্রয়ে জমে থাকা আমার শহরে হাজারো খিদে।

তোমার থেকে রং চুরি করি
চুরি করি শব্দদের বর্ণমালা ,চুরি  করি শব্দদের পোশাকি হাজারো ঢেউ  ।
শব্দ মিছিলে  ভিড় করে আসে  শিশির মাখা সময়ের দাগ
কোনো নগরে তোমার গোলার্ধের বিপরীতে আমাকে একলা দাঁড়ায়।
হাজারো প্রশ্ন মুখোমুখি বসে স্থবিরতার ভিড়
শুধু  আৎকে ওঠে বারংবার
এখনো তো বেঁচে।
উঠোন জুড়ে পারা পড়শিদের হৃদয় হীন সংলাপ
নিজেকে বড়ো একলা  মনে হয়।
আয়নার সামনে নগ্ন  দাঁড়িয়ে মিলেমিশে দেখি সমুদ্রের গম্ভীর ঢেউ
আছড়ে পরে বুকে ,,,, চলন্তিকা।
রঙেরদের সাথে মিশে ক্যানভাসের মাথানিচু করা বর্ণরা
 কবেকার ফেলে আসা স্মৃতি ,,চেনা মুখ খুব কাছের
বুঝে ফেলি তুমি ছিলে চিরকাল চলন্তিকা আমার পাশে।
কবেকার ফেলে আসা অতীতের ছায়া আজকাল
গুড়ো গুড়ো রাত হয়ে নেমে এসে আঁকড়ে ধরে হৃদয়ের শ্রাবন
জানো সেদিন বৃষ্টি নামে সমুদ্রে ,,,সারাদিন ,সারারাত।

আমার আমিকে তোমাতে  ডুবিয়ে রাখি
জানালায় শিশিরবাষ্পর বুক চিরে আলোর আলপিন শব্দ।
ছিঁড়েফুঁড়ে  যায় অজস্র না বলা চলন্তিকা তোমায়
মাত্রাহীন ঢেউ শব্দের আকারে আছড়ে পরে তোমারি কবিতায়।
আমার চুরি যাওয়া আয়ুরেখা ফিরিয়ে দেয়
আমার শহরে সমুদ্রের ঢেউ স্বপ্নের কোনো আঙিনায়। 

Sunday, October 22, 2017

স্বপ্ন দোষ

স্বপ্ন দোষ
..... ঋষি
========================================================
বাঁশির শব্দ, শিস, শাঁখ
বিপন্ন অবসন্ন সিগারেটে লেগে থাকা স্বপ্ন দোষ।
বেফালতু বিপ্লবী অভ্যুত্থান,সময় সময় আগুনে জমা ঘি ,মোমবাতি মিছিল
উৎসবের জোয়ারে এক কোনে অভ্যুর্থান বিপ্লব অমর রহ।
বলছে কে অস্বাভাবিক শাদা এক  হাতি , একজন ফেক হিপোক্রিট
যার নাম তুমি কখনো জানতে পারবে না।


খড়ের স্তূপে এ’ এক আগুন লেগেছে
জ্বলে উঠছে হঠাৎ! তড়িঘড়ি নিভে যাচ্ছে।
অসুস্থি ,কালো ধোঁয়া ,শালারা নিকোটিনকে ক্যান্সার বলে
আর আমি বলি বিষে বিষে বিষক্ষয়।
তোমার রক্ত  কোনটা,তোমার জাত কোনটা
মেজরিটি আছে মাইনাসে  আর মাইনরিটি ধরেছে বাজি।
যুদ্ধ-বিরতি ডাকা হলো ,বিপ্লব শুকিয়ে মোর গেলো
অস্বাভাবিক একটা সুর দাও দেখি আমায়।
কম্প্রোমাইজ  করো
না না, হারমোনি-টারমোনি চাই না
শুধু জাগা সিগারেটের রিঙে বিপন্ন ,অবসন্ন স্বপ্ন।
কোনটা পছন্দ করবে
ক্রোধ না অবিদ্যা,না যৌনতা ,না বেঁচে থাকা
শুধু বেঁচে থাকতে চাই তাই শহরের বাতাসে শুধু রেমেকি বাঁচা।

বাঁশির শব্দ, শিস, শাঁখ
সব পাওয়া যায় গুগুল সার্চ  ইন্টারনেটের স্পীড মিটারে।
স্বপ্ন মরতে মরতে বিদ্রোহ হয়ে যায়
আর বিদ্রোহ লোডশেডিং হলে সময়ে প্রফিট মার্জিন।
এক ব্যাগ চাল  সময়ের খিদে না এক স্বপ্নের গণতন্ত্র
গণতন্ত্র নিপাত যাক বাঁচাটা জরুরি। 

ইতিহাস

ইতিহাস
... ঋষি
===========================================
কোন ইতিহাস লিখবো ?
যে সময়ের অতীতের কালগুলো শুধুমাত্র ভ্রম। .
শিশুপাঠ্য বৈচিত্রের বাইরে যে শহর শুধু
আলোর জ্বলা আর  নেভা।
আমার শহরে তোমার মতো বরফ পরে না স্যানোরিটা
শুধু মানুষের হৃদয় গুলো বরফে জমা মৃত।

তোমার দস্তানা সাইজের একটা সাদা দেশ
আমি মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি।
একবারের বেশি কখনো জানতে চাই নি তোমার ফার্নেসের গরম ওম
শুধু ইতিহাস বদলে গিয়ে দূরত্বটা আমার শহর।
অ্যাডামের আপেলে যে সভ্যতা বিষ ছিল , সেটাই ইতিহাস
আর ইভের ভৌগোলিক লিমিটেশন সেটা ইলাস্ট্রেশন ।
ছদ্ম-যুদ্ধ ,নিজের সাথে নিজের সংঘাত
ধুস এটা ইতিহাস নাকি।
বরং বুদ্ধের পর্যটকের মন্ত্রভূত চাবি শুধুই ইতিহাস। .
বুদ্ধং, ধর্মং, সঙ্ঘং
সময়ের যাত্রা শুভ হোক ইতিহাসের দিকে।

স্যানোরিটা  তোমার শহরের খবর কি বলো
ইতিহাসের সন্ধিক্ষণের ওপর আর কন্সট্রাকশনের নীচে ফ্লাইওভার।
ক্লিওপেট্রা কখন নামবেন এই শহরে?
এই রাতভোর, আড়াইটের মতো বাজলো বোধ’য়।
কিছু ঘোষণা করেছেন উনি  এই শহরের কোনো ইতিহাস নেই.
তবে কেন লিখবো আমি ইতিহাস । 

Saturday, October 21, 2017

তোমার কথা (৩)

তোমার কথা (৩)
.... ঋষি
===============================================
রাত্রি এসে হাজির হতেই
খাঁচাসুদ্ধ সময়   পালালো সে এক দৃশ্য, আর গভীর দর্শন তুমি।
অন্ধকার  বালিশে গলা রেখে, সময় থমকে দাঁড়ানো
নিয়মিত।
রোজ ঘুমঘোরে ইচ্ছার সিড়িতে পা ফস্কে অন্ধকার  আঁকড়ানো স্বভাব
ঘুম ভেঙে যায়।

ঘুম ভেঙে যায় প্রতিরাতে বারংবার
ক্ষতরা আসে যায় ,আবার কখনো আঁকড়ে থাকে জোকের মতো
রক্তের দরজায় নুন দিয়েও স্বস্তি নেই।
আমি একই দরজায় দাঁড়িয়ে প্রতিবার চিৎকার করি ,মাথা ঠুকি
any body in home?
দীর্ঘ সিঁড়ির  সারি সারি আমায় হাতছানি দেয়
আমি ভীনদেশী তারাদের আড়ালে শরীর ঢাকি।
বহু নিষিক্ত জতুগৃহ আমার জংলা পায়ে শেকল হয়ে যায়
বানান করে পড়তে থাকি তোমার নাম।
তার হৃদয়স্ত কোনো সংলাপে চিৎকার করি
ডেসডিমনা আরো আলো ,আরো আলো
প্লিস প্লিস  .......... ঘুম ভেঙে যায়।

রাত্রি আসে হাজির হতেই
শব্দরা খাঁচাবন্ধ পাখির মতো ছটফট করে কবিতার ছলে।
চিৎকার করা সময়ের বর্ণময় তোমার নাম
শুধু তুমি জুড়ে।
বলিরেখার নিচে জমা হয় নিঃসঙ্গ মৃত্যুর স্মৃতিফলক,
বাস্তুহারা নিশ্বাসরা পাড়ি দেয় তোমার খোঁজে জোৎস্নার দেশে। 

তোমার কথা (২)

তোমার কথা (২)
.... ঋষি
============================================
আমার চোখে শেষ কবছর বেঁচে আছো  আকাশের মতো
আমাকে সময়ের থেকে টেনে নতুন সময় উপহার।
কৃতজ্ঞতা শুধু একটা শব্দ ,কিন্তু বাঁচাটা একটা পরিসর
জীবন হে, তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে কাঁপতে থাকা সময়কে,
আমি হুকুম করি : জ্বলে ওঠো?
আমাকে বিশ্বাস করোনা,আরো পোড়াও তোমার আগুনে।

তুমি! দাঁড়িয়ে আছো আমার এ চিঠির বাইরে
শুধু তোমার দুটো চোখ আমার এই কবিতা।
আমি বিশ্বাস করি সকলের একটা গল্প থাকে 
সম্পর্কর বর্ন গুলো জুড়ে কখন যেন মানুষের গল্প হয়ে যায়।
এঁকে ফেলে হরেক রকম জীবনের ফেরি
আর কবির ঈশ্বর সত্বা তার উপর তুলির টান তৈরী করে সময়।
আমারর এই কবিতা শুধু তোমার জন্য ,তোমাকে স্পর্শ করে
আমি আকাশের কাছে   ধার করি যন্ত্রনা।
আমি বাতাসকে ধরে রাখি তোমার গভীর মুহূর্তের মতো
আমার আনন্দের রঙ, বিষাদের রঙ , যন্ত্রণার  রঙ,অভিমান রঙ,তৃপ্তির  রঙ
সব রং মিশিয়ে তুলির টানে আঁকতে থাকি তোমায়।
আর তোমার এই কবিতারা
হাজারো স্বাদকোরকে বন্দি হয়ে যায় শুধু স্পর্শ হয়ে ।


আমার চোখে শেষ কবছর বেঁচে আছি আমি তোমার ভূমিকায়
তোমার ছায়ার স্পর্শ ছুঁয়ে ফিরে আসে দিন বারংবার। 
রাত্রি হয়ে যায়
তবু এই পৃথিবীতে প্রতিটা চরিত্র একা... অথচ কাছাকাছি।
আসলে  বাস্তুহারা নিশ্বাস, একলা বাঁচার অভিমান আমার কাব্য
আর তারা সকলে আমার গভীরে বাস করা তোমাকে বেঁচে থাকা। 

তোমার কথা

তোমার কথা
.... ঋষি
=============================================
আমি সেই মেয়েটাকে চিনি
যে সময়ের থেকে একলা কোনো দিনে বৃষ্টিতে ভেজে।
যার হাওয়ায় উড়তে থাকা আঁচল গন্তব্য খোঁজে
খোঁজে আশ্রয়ে কোনো গভীর ওম।
সেই মেয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে খোঁজে ফেরে সোহাগের মাটি
সোনার কাঠি, রুপোর কাঠি রূপকথা।

আনন্দ শব্দের সাথে তার পরিচয়
যখন রিনিঝিনি বৃষ্টি তার শরীর বেয়ে ,হৃদয়ের ভাঁজে সময় খোঁজে।
জানলার বাইরে তখন এলেমেলো হাওয়া
সেই মেয়ে ভাসতে থাকে ,খুঁজতে থাকা চেনা প্রশ্রয়।
সময়ের আকুলতা সময় বদলে যায়
হাওয়ায় হাওয়ায় তখন তুমুল পক্ষিরাজের একলা ছোটা।
মন কি চায় সে খুব ভালো বোঝে
ভালো বোঝে তার পরিচয় আর  সময়ের খামে তখন নিরামিষ গন্ধ।
মেঘের স্কার্টে খোঁচা মেরে তখন সেই মেয়ের চোখে জল
দুহাত বাড়ানো বুকের ফাঁকে চেনা সময় হ্যাঁচকা টান মারে।
খুলে যায় বুকে আঁচল
সারাবুকে সেই মেয়ের কালসিটেরর দাগ।

আমি সেই মেয়েটাকে চিনি
যার সময়ে  লেগে আছে বৃষ্টি মাস চিরকাল।
যে ভিজছে একলা দাঁড়িয়ে সময়ের বৃষ্টিতে কোনো অসময়
বৃষ্টির রেশ বাড়তে থাকে,বাড়তে থাকে আশ্রয়ের খোঁজ। 
ঈশ্বরের স্বপ্ন চোখে সেই মেয়ে বৃষ্টিতে ভেজে
ঠিক এই লাইনে এসে আমার মনে পরে তোমার কথা।

Thursday, October 19, 2017

পেঁচার চোখ

পেঁচার চোখ
.... ঋষি
============================================
সর্বনাশ যা হওয়ার হলো
কোনো কারণ নেই নিশুতি রাতে পেঁচা ডাকার।
সময় শুধু সময়ের অন্তরে রেখে যায় কালো পচা দাগ
ভালোগুলো তো ঈশ্বরের মাধুকণ্টক
আমার এই কবিতা ঈশ্বরকে স্পর্শ করে নয়
নিতান্ত মানুষের অধিকারের

ঈশ্বরের স্বর্গে রাজ্যে প্রেয়সী কোনো ঠোঁট
সময়ের নিলামে দাগ রেখে যাওয়া কল্পিত নদী।
কখন যেন পঙ্কিল সাম্রাজ্যে সূর্য উদয় হয়
তোমাকে দেখি আমি নিশুতি পেঁচার চোখে আরো গভীরে।
এখানে ওখানে পোড়া ক্ষত ,শরীর জুড়ে লুটের কালো নীল ফোস্কা
মোনগুলো বোধ হয় জুড়ে গিয়ে তোমার মতো কবিতা লিখতে চায়।
অসম্ভব নিরুপায়
কোন বোবা রাত্রি।
কোনো এক স্বপ্ন নিবাসে লুট হওয়া মাংস পিন্ড
কখন যেন মৃতদেহ।
শুধু যখন স্বপ্ন বিলাসে তোমার উত্তাপের খোঁজে
আরো আশ্রয়ে তোমাকে জড়িয়ে ধরা।
মনে হয় ইট আমি
বেঁচে। .......

সর্বনাশ যা হওয়ার হলো
আবার একটা অস্থির সকাল বিষের ধোঁয়া পাক খায়
যন্ত্রণারা শিরদাঁড়া বেয়ে বড় কষ্টদায়ক
সন্ধ্যের অপেক্ষায় ,তার পর নিশুতি রাতে যদি পেঁচার চোখ।
শরীর জুড়ে মনের অন্তরালে বাড়তে থাকা তুমি
তখন খুব কাছে গভীর অন্তরায়।  

জার্নি টু লাইফ

জার্নি টু লাইফ
...ঋষি
======================================
একটা দিন
নীরব কিছু উপাখ্যান মানুষের ছাপোষা জীবনে।
সময়ের মতো হাইওয়ে মানুষের আসাযাওয়া
অদ্ভুত কিছু কাটতে থাকা মুহূর্তদের কাছে পাওয়া।
সবটাই কেমন যেন ব্যস্ত থাকা স্বভাব
স্বগোত্রীয়দের মতো ছিটকিনি আর তালা ঝোলানো চেতনা।

কোনো হাইওয়ের যাওয়া ,আসা সময়ের ফাঁকে
হঠাৎ ছুটে আসা কোনো আশার ঝিকিমিকি।
রাত্রের অন্ধকারে গর্জে ওঠে হেডলাইট
ফোকাসে তুমি জীবন,
আর মানুষ হা হুতাশে কাটাতে থাকা দীর্ঘশ্বাস।
কোনো না শেষ হওয়া কাব্যের সিকোয়েন্সের মতো
শুধু অপেক্ষার ভারবাহী বোঝায় লরি।
অনেকদিন হলো হাইওয়েগুলো শুধু নিয়মিত দিনভর
রাস্তার পিচে ঋতুরা ক্রমশ অভ্যস্ত ভাঙা গড়া।
আসে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনা
কোনো অসমাপ্ত জীবনের ঝুলকালি।
গভীর বোধ শুধু হঠাৎ ব্রেক মেরে দাঁড়িয়ে পরে
কিন্তু না শেষ হওয়া রাস্তা জার্নি টু লাইফ। 

একটা দিন
নিয়মবোধ ,স্বাভাবিক সকাল থেকে দিন ভর হাইওয়ে।
আজকাল গাড়ির শব্দে ঘুম চলে যায়
নেশা জীবন শুধু হাইওয়ে ধরে ছুটতে থাকে।
মানুষের স্বভাব
মানুষ শুধু গন্তব্যের খোঁজে চলন্ত হাইওয়ে। 

অসময়ের বৃষ্টি

অসময়ের বৃষ্টি
... ঋষি
======================================

কেউ কাউকে মনে করবো না
কেউ কাউকে ভুলতে পারবো না।
শুধু শতাব্দী শেষে কোনো বৃষ্টির অগোছালো দিনে
মনে পরে যাবে।
সেদিনও  হয়তো কোনো উৎসব
কিংবা ধরো কোনো সময়ের অধিকারের অভিজ্ঞতা।

আমাদের ধার করে বাঁচা জীবনের
তোমার হাসির তুবড়িতে তখন আগুন।
আগুন আমার বুকের আশৈশব বাড়তে থাকা অভিজ্ঞতা
বিশ্বাস করো আমি এখনো মানুষ হতে পারলাম না।
আমার কবিতার এই মেঘলা দুপুরে কোনো উপোষী দিন
অথচ আমি আজও ফেলে আসা শহরের কাঙালি।
তোমার সমস্ত উপত্যকায় যখন রাত জাগা চোখে দাবানল
তখন আমার একলা পাশ বালিশে বৃষ্টির কবিতা।
আজকাল বন্ধুরা যখন তখন জানতে চাই তোমায়
তোমার পরিচয়। .
অথচ তুমি যে বেঁচে চলেছো আমার সাথে
আমার শহরের রাস্তায় প্রতিটা মেঘলা দিনে।
বলতে পারি না আমার অপেক্ষার সফরে
চলন্তিকা তুমি চিরকালি আমার গভীরে।

কেউ কাউকে মনে রাখে নি চিরকাল
সুনীল বাবু রক্তের দাগে শুধু মনে করেছে তোমাকে।
সময়ের উপকরণের মতো তুমি বদলেছো
কিন্তু চিরকাল কোনো পুরুষের গভীরে তুমি ঘুমিয়ে।
ভালো থেকো আমার কবিতার পাতায় চিরকাল
কোনো অধরা অপেক্ষা অসময়ের বৃষ্টি ভেজা দিন। 

Monday, September 25, 2017

শহর

শহর
........... ঋষি
============================================
তোমার রোদ ভেজা শহরেরা
এই সময় ঘুমিয়ে আছে আমার গভীর জঙ্গলে।
পেন্ডুলামের খুচরো কিছু শব্দ বড় বড় পা ফেলে হেঁটে আসছে
আসলে তোমাকে বড় দেখতে ইচ্ছে করেছে।
আমার কাছে উদযাপন মানে তুমি জানো চলন্তিকা
কোনো উৎসবের আগুনে আমার ফেলে আসা পারিজাত সময়।

তোমার বারান্দায় এখন উৎসবের রেশ
চারিপাশে গা ঘেঁষে বেড়ে ওঠা অজস্র উৎসবমুখর মানুষ।
তুমি হয়তো হাসছো
কিন্তু তোমার ওই হাসির আড়ালে ,তোমার ওই আখরোট ঠোঁটে তুমি জানো
আমি বাঁচছি আমার  শহরে।
শহরের ঠিকানা কোনো আকাশ মেঘে পুরোনো জংধরা জানলার কাঁচে
গড়িয়ে নামা অসময়ের বৃষ্টি ,
তুমি জানো চলন্তিকা আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আমার শহরে এইবার দূর্গা পুজোয় খুব বৃষ্টি হবে।
তুমি জানো চলন্তিকা আমার না বলা ইচ্ছাগুলো এই বৃষ্টির জলে জমে
ঠিক একহাঁটু জল তোমার শহরে।

তোমার স্লিভলেস আয়নার চশমার কাঁচে
এই সময় জেগে আছে আমার দেখানো আলো।
পুরোনো ফাদার ক্লকের দুলতে থাকা সময় আজ বড় অস্থির
সারাদিন ভালো করে কথা হয় নি যে।
আমার কাছে বেঁচে থাকে  মানে তুমি জানো তো চলন্তিকা
একগাদা স্বপ্ন ,শুধু তোমার সাথে। 

উড়োচিঠি

উড়োচিঠি
............ ঋষি
================================================
সময়ের আঙিনায় সাময়িকী
হারানো উড়োচিঠির কিছু স্মৃতি আজ ফ্লায়িং কিস হয়ে তোমার বারন্দায়।
সময়টা বদলে গেছে অথচ সাদা ফ্যাসফ্যাসে শরতের রৌদ্র এখনো কাগজে কলমে
হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে উদযাপনের ,সামনের বাড়িটা খুব চেনা।
চেনা বারান্দা ,চেনা পাড়া
কিন্তু ভীষণ অচেনা আমি।

সামনের মাঠে দূর্গা পুজোর ঢাক
সাময়িকী সংবাদ আমার কবিতার কিছুক্ষন আগে মঞ্চস্থ।
তোমার নামটা এখনো আমার কবিতা
আসলে কেউ জানে না চলন্তিকা আজও আমার বেঁচে থাকা তোমারি জন্য।
সময়টা বদলে গেছে
আমাকে দু চার জন কবি বলে ডাকে।
অবাক হই চলন্তিকা আদৌ কি আমি এই সম্মানের যোগ্য
আমার যে সব কবিতা তোমারি জন্য।
তোমার মনে পরে সেই  তোমাদের চিলে কঠোর ছাদ ,তোমার পুতুলের বাক্স
সেই রংচটা পুতুলটা আজও আমার কাছে আছে ,যেটা তুমি দিয়েছিলে।
কোনো এক শারদীয়ার সকালে তুমি হঠাৎ আমার বাড়িতে
ঘুম থেকে তুলে লম্বা একটা চুমু।
আমি অবাক হয়ে দেখেছিলাম তোমায় সেদিন সারাবেলা
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ,তোমারি হাত ধরে।

সময়ের আঙিনার সাময়িকী
হারানো উড়োচিঠির টুকরো টুকরো কাব্য আমার শরতের আকাশে কাগজের এরোপ্লেন।
সময়টা বদলে গেছে ,শুধু আমি অতীতের কোনো পাইলট
সারা আকাশ জুড়ে পাঁক খাচ্চি ,আসলে চিৎকার করছি তোমার নাম ধরে।
তোমার বাড়ির পাশ দিয়ে ফিরতে ফিরতে
আমার আজ বড়ো কান্না পাচ্ছে চলন্তিকা। 

Friday, September 22, 2017

গভীরে আয়

গভীরে আয়
............. ঋষি
================================================
তোর খোলা বুকে মুখ ঘষে তপ্ত নিশ্বাস
তোর উজানে ওঠা আগুনের ঢেউয়ে একটু আশ্বাস।
আমার গভীরে আয়
তোকে ছুঁয়ে দি এমন করে যাতে তুই পরশ পাথর।
আমার হৃদয়ে আয়
তোকে মেখে নি এমন করে যেন স্বপ্ন বাসর।
.
কোনো আদরের দুপুরে
বেখেয়ালে লিখে দেওয়া চেনা আবদার যখন সময়ের বাঁচা।
কোনো এক একলা দিনে
মনের মাঝে ঝিলিক ওঠা সেই লুকিয়ে একা।
আমি আছি কাছে ,তুই আছিস তাই
আমি আছি বেঁচে কারণ তোর ঠোঁটে লেগে আছে লবঙ্গের স্বাদ।
আরো কাছে আয়
যেখান থেকে স্বপ্নগুলো সব সময়ের দুঃখ
আর বেঁচে থাকা তোর স্বপ্নের সুখ।
.
তোর জঙ্ঘায় ঠোঁট ঘষে বলি বেঁচে আছি
তোর ঠোঁটের  আদরে  ঘুম ভেঙে বলি ভালো আছি।
আমার গভীরে আয়
তোকে ছুঁয়ে দিয়ে আমি হয়ে যায় এক সমুদ্র স্রোত।
আমার হৃদয়ে আয়
তোকে নিয়ে ভেসে যায় তোর চোখে কাজলে আদরের স্রোত। 

অন্যগল্প

অন্যগল্প
......... ঋষি
============================================
আমার নিজস্ব কোনো গল্প নেই
যত গল্প সব তোমাকে জুড়ে আমার কাগজের কালির টান।
অজস্র হরফে,অজস্র শব্দে অজস্র বর্ণনায়
আমি যুগ যুগান্তরে লিখে চলি তোমায় আমার না শেষ হওয়া উপাখ্যান।
তোমার কাছে আমি  গল্পের সাতরঙা রং ধার করি
আমার আনন্দে বিষাদে, যন্ত্রণা অভিমান তৃপ্তি সব তোমাকেই অর্পণ করি।

আমার একান্ত নিজস্ব কোনো সংলাপ নেই
সব কথোপকথনে, ভাবনাতে জিভে আসা নরম গরম স্বাদে তুমি থাকো।
আর আমার ভূমিকায় আমার মতো কেউ এই প্রথিবীর মঞ্চে
একলা পায়চারি করে।
মনে মনে  চিত্রনাট্যে লেখে স্বপ্নে দেখা ঢেউ আছড়ে পরে বুকে
ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায় তোমার কাছে।
এই পৃথিবীতে একা থাকাটা একটা রোগ মানুষের
আমিও একা থাকি ,তুমি থাকো কাছে ,খুব কাছে
যেখান থেকে পাওয়া যায় তোমার চুলের গন্ধ।
আসলে আমার কোনো নির্দিষ্ট জন্ম ,মৃত্যু নেই
আমি এই কবিতার গল্পে ,তোমার সাথে বাঁচি আর মোর যাই।

আমার একলা বাঁচায় একটা অভিমান লেগে আছে
ভিড় এড়িয়ে যখনই আমি নির্জনে চলে আসি,একলা সমুদ্র তটে তখন তুমুল ঢেউ
আমার স্মৃতি ও চেতনায় ঢেউয়ের মতো উঠে আসে সেই সব মুখগুলো
যার মাঝে তুমি বারংবার এগিয়ে আসো নোনতা ঠোঁটে চুমু খাও।
বাড়িয়ে দেও আশার  হাত ,মনে হয় স্বপ্নরা আমাকে ডাকছে
তখন আমি পাগল হয়ে যাই ,এই গল্পের শেষ খুঁজতে থাকি।

বাড়ি ফেরা

বাড়ি ফেরা
............ ঋষি
=============================================
তোকে নিয়ে কবিতা লেখাটা
আমার আস্পর্ধা।
ভেঙেচুরে যাওয়া  চেনা নগর, ধুলো পড়া চশমার কাঁচ ঝেড়ে
তোকে কাছে পাওয়াটা  আমার প্রিয় বেঁচে থাকার অনুরণ।
 শহরের প্রিয় পার্ক এর বেঞ্চে হাত ধরে বেঁচে থাকা প্রেম
আসলে কিছু স্মৃতি যাকে জড়িয়ে বাঁচতে থাকা।

ফানুসের  যন্ত্রণার আগুন ভরে কোনো অভিশপ্ত শহরের প্রহরী
যদি রাতজাগা চোখে স্বপ্ন দেখে  তবে সেটা সময়ের অভিশাপ।
শহরের আকাশে এঁকেবেঁকে এগিয়ে চলা গাংচিল
স্বপ্ন দেখে সবুজ যন্ত্রণার।

বাসি পাউরুটিতে আজস্র ছত্রাক দখল করে  যখন
তখন ঘুম পাওয়া চোখে খিদে পায়।
কিন্তু মাখনের প্রলেপে  ভালোবাসা খুঁজে ফেরা অনর্থক
কারণ এই শহর থেকে অনেক দূরে
আমার মতো কেউ অপেক্ষায় কোনো একলা দিনের।

তোকে নিয়ে কবিতা লেখাটা
আমার আস্পর্ধা
তোর চোখের নিমেষে রেখে যাওয়া আলো আঁধারি না বলা  আমার যন্ত্রনা
আর যন্ত্রণার প্রলেপ কোনো স্পর্শকাতরতা।
টুকরো হয়ে যাওয়া নগরে বাড়ি ফেরা অভ্যেস সকলে
কিন্তু বাড়ি ফেরাটা আসলে কোনো স্বপ্নের খোঁজ। 

Wednesday, September 20, 2017

ট্রিগার

ট্রিগার
.............. ঋষি
=========================================================
অনিবার্য কোনো তোমার ফোরামে
ট্রিগারে আঙ্গুল রেখে চিরন্তন ছায়ারা এইবার  যোনিদ্বার পেরোবে।
আকাশে বাতাসে শব্দ " ফায়ার "
তারপর নিশুতি রাতে পেঁচা ডাকবে ,আমার সিলিং জুড়ে অশরীরি মুখ , বুকের ভিতরে অতৃপ্তি।
অনি তখন তুমি পাশফিরে বালিশ জড়িয়ে গভীর ঘুমে স্বপ্ন দেখছো
তোমার ব্যাংক ব্যালান্স বোধহয় আরেকটু সংযোজনের।

আমার চারিদিকে দাবানল
প্রতিবার এমন হয়  যখন তোমার সারা শরীরে  সুগন্ধী আতরের সুবাস ।
সম্পর্ক শুধু তোমার কাছে বিছনার সুখ আর তোমার স্বার্থের সংসার
তোমার কাছে ফিলিংসের কোনো মানে নেই ,মানে নেই স্বপ্নের আঁকিবুঁকিতে প্রেম শব্দটা বোনার।
শুধু হিসেবের সিঁড়ি ধরে তুমি সম্পর্ককে দেওয়া নেওয়ায় বোঝো
বোঝো না স্পর্শের গভীর মানে।
স্পর্শ  রোদ নকশায় প্রজাপতি ডানা মেলে  কারনিশ বেয়ে নেমে যাবে মেরুদণ্ড বেয়ে
অন্ধবিন্দুতে প্রথম পাওয়া একটা আবিষ্কার।
তোমার কাছে আবিষ্কারের কোনো মানে নেই ,সবটাই বিকোনো কারবারে
তুমি অনায়াসে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলতো পারো আমাকে বিছানার চাদরে।
অনায়াসে তুমি আমাকে বলতে পারো
আর কি চাই ,খেতে পারছো ,পরতে পারছো ,গা  ভর্তি গয়না ,দামি মোবাইল
কিসের অভাব তোমার এই সংসারে।

"অভাব " তুমি কি বুঝবে অনি
প্রতি রাতে তুমি মদ খেয়ে এসে আমাকে ব্যবহার করো যেন মাংসপিন্ড।
ভুলে যাও ,আমি একটা মানুষ ,আমার  ব্যক্তিগত কিছু চাহিদা আছে
আছে এমন অনেক কিছু ,যা শুধু তোমার এই বিছানার সম্পর্কে মেটে না।
তোমার ট্রিগারের উষ্ণতায় তুমি সুখী হতে পারো,ভাবতে পারো আমিও সুখী
কিন্তু তুমি বোঝো না আমার চোখের তোলার কালি ,আমার অতৃপ্তির মাসুল।   

বাংলার মুখ

বাংলার মুখ
............. ঋষি
======================================================
আমার শব্দের ভিতরে লুকিয়ে  আছো নীরব
থাকো।
অনন্তকাল ধরে যে  সোনালী  মাটির স্বপ্নে আমি বিলীন
আকাশের গাংচিল ,শস্য ভরা পাকতে থাকা ধান ,তোমার গর্ভের সন্তান  ।
আগুন জ্বলছে বুকে
প্রতিবাদগুলো তালগোল পাকিয়ে সব মাথা ঠুকছে দেওয়ালে।

আমার বাংলা
এই আমার শব্দটার ভিতর কেমন একটা স্পর্শ ছুঁয়ে থাকে
কিন্তু পাচ্ছি না খুঁজে বদলানো সময়ের আবর্জনা পূর্ণ কটু গন্ধে
সবটাই কেমন যেন গোলমেলে সাজানো।
চড়াই শালিখের দেশে-আজকাল বিদেশী  কিছু পরিকল্পিত অনুপ্রবেশ
ঘরের চালেতে মুষ্টিভিক্ষা ,শুধু ঘুমপাড়ানি গান।
ঘরের শিশু হঠাৎ কেঁদে বলে " মা খিদে পেয়েছে ভাত দে "
গর্জে ওঠে সময় ,মায়ের শুকনো মাইটা বুক ঠুকরে খায় হা ভাতে সন্তান।
বুকথাবড়ে আমার বাংলা কেঁদে ওঠে মায়ের চোখে
মা বলে আর কিছুক্ষন খোকা,আর কিছুক্ষন খোকা আর কিছুক্ষন
খোকা কখন যেন ঘুমিয়ে পরে।
রাতের শহরে উপকূলে হোটেল ,রেস্তোরা ,সরাইখানায় তখন  তুমুল তুফানে
 প্রেমিকেরা আছে,লং ড্রাইভ আছে ,আছে গেট টুগেদার ।
কিন্তু আমার বাংলা তখন একলা দাঁড়িয়ে রাস্তায়
স্ট্রিট লাইটের আলোয় হঠাৎ নিশুতি রাতে অন্ধকার খোঁজে বাংলার মুখ।

আমার শব্দের ভিতরে লুকিয়ে  আছো নীরব
শুধু বেঁচে থাকো।
স্বপ্নের চোখে শিকড় উবড়ে জীবন প্রদক্ষিণ অনেকটা সফর
আকাশের গাংচিল সোজা নেমে আসে বাংলার বুকে।দৃষ্টি আরো গভীর খোঁজ।
মৃত সংবাদ পত্রের ভিড়ে হারিয়ে যায় ছোট্ট খবর
কাল রাতে অচেনা কোনো ফুটপাথে না খেতে পেয়ে মারা গেছে বাংলার মুখ। 

এই তো জীবন

এই তো জীবন
........... ঋষি
====================================================
প্রথমেই বেছে নি তোমার তুমুল গহ্বর
স্পন্দনে উঠে আসুক আমার আমার তৃষ্ণার কোনো বৃষ্টি দিন ।
প্রচ্ছদটি ছিঁড়ে  প্রথম আলাপের অনবরত চর্বনে
দেখতে দেখতে বেশ কিছু দিন ।
তারপর পুস্তক উৎসর্গ ভূমিকার পাতায় তোমার নাম
চলন্তিকা ,,,,একটা আগুন আমার বুকের ।

নতুন নতুন হাজারো  পৃষ্ঠার কবিতার সংস্করণ
আমি আছি চলন্তিকা।
চরিত্ররা, এতদিন ধরে যারা চেনা রাস্তায় হেঁটে চলে গেছে বহুবার
এতদিন ধরে যার খোঁজে নিউরোনের উথাল পাঠাল মস্তিষ্ক
পেয়েছি ।
সব সারি বেঁধে দাঁড়ানো ,দাঁত কেলানো চরিত্রদের ফাঁকে আলাদা দ্যুতি তোমার চোখে
ফ্রেম চশমার দৃষ্টির বাইরে দৃষ্টি আটকানো পরিসরে।
রুমাল উড়িয়ে বিদায় জানাচ্ছি পৃথিবী
একটু একটু করে ক্রমশ বিলীন হতে চাইছি তোমার তুমুল গহ্বরে।
যেখানে প্রতিটা মন্থন উঠে আসা অমৃত স্বাদ
সবগুলি চিতাগ্নি সেরে  এই বার খুঁজে পাচ্ছে গাঢ় শান্তিজল
মনে ভাবি এই তো জীবন।

প্রথমে বেছে নি তোমার তুমুল গহ্বর
স্পন্দনে বুক আঁকড়ানো চিৎকারগুলো সব ভ্যানিস কিছু মুখ।
ঈশ্বরের  সে বই বলে পাঠ করছে কিছু রসিক কবিতার পাঠক
আর আমি হতক্লান্ত পথ চলা তোমার আরো কাছে।
কবিতার প্রথম লাইনে লিখলাম তোমার নাম
আর শেষে তুমিই থাকলে চলন্তিকা। 

অলিখিত কবিতা

অলিখিত কবিতা
.......... ঋষি
=============================================
যে কবিতা লিখি নি কোনোদিন
চলন্তিকা তোকে ছুঁয়ে দিলে ঘটে যাবে এই সময়ের দুর্যোগ।
আকাশ ভেঙে পরবে সেদিন
ভেঙে পরবে সময়ের ইতিহাসের সব আশ্চর্য সফর।
তুমুল ,ঝড় বৃষ্টি আর তোর নোনা ঠোঁট
সব ডুবে যাবে আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে থেকে।

নোনা শরীরে সেদিন বাঁধভাঙা ঢেউ
জিভ চুষে খাবে তোর শরীরে আদুরে ঘাম।
গড়িয়ে নামবে আদর সেদিন নিজের আবর্তে লাগা চেনা সময়
অচেনা মানুষের ভিড়ে সেদিন ঠিক খুঁজে পাবে।
স্পর্শ
কোনো মেঘভাঙা নিরাভরণ ঢেউ আমার চোখে মুখে।
তোর নাভির ভাঁজে
তোর বুকের ধুকপুক জুড়ে তখন সোনালী ঢেউ আছড়ে পড়ছে তুমুল আদর।
সেদিনও  বৃষ্টি হবে ,মাস ,কাল ,ঋতু সব যেন কবিতার সাথে
ঝরে পরবে ,জড়িয়ে ধরবে আমায় কোনো গভীর আদর।

যে কবিতা আমার লেখা হয় নি
সেই কবিতার সাথে আমি তুই অর্ধনারীশ্বর অন্য পৃথিবীর খোঁজে।
উষ্ণ নিঃশ্বাসে মিশে থাকা অনন্ত খোঁজ
সেদিন তৃপ্ত তোর ঠোঁটে হাসিতে।
আমিও হাসবো সেদিন পাগলের মতো তোকে জড়িয়ে ধরে
তুই বলবি পাগল কবি এবার ছাড় আমায়। 

পুতুলের গল্প

পুতুলের গল্প
.............. ঋষি
===========================================
এই পোড়া জমি ,দুপাশে উঠে যাওয়া অনন্ত অসীম
কোনো পুতুলের কবিতা লিখবো আজ।
নিয়মিত একটা অভ্যাস যখন বদলাতে বদলাতে সময় হয়ে যায়
তখন কিছু না বলা কাঠের পুতুল।
সময়ের নীরাদের মতো কিছু অবিনশ্বর তখন চলন্তিকা
আমি স্পষ্ট দেখতে পাই তোমায়।

কিছু কিছু কাঠের পুতুল অন্ধকারে হাতড়াতে হাতড়াতে একলা হেঁটে চলে
বিছানা ,বালিশে লেগে থাকে স্বপ্নের কিছু আশা।
পুতুলের ঘর
শেষ পর্যন্ত  পুরুষেরা  পুতুলের সাথে শোয় ,কামড়ে ধরে কাঠের বোঁটা
কাঠের  যোনীর ভেতরে দু’পংক্তি কবিতা লিখে হয়ে যায় সামাজিক সংসার।
অথচ পুতুল বলে ভালোবাসো,বলে সংসার ,পায়ের তোলার জমি
খুঁজতে খুঁজতে কখন মন ভাঙে।
জ্যোৎস্নার ঘাটে আরামি চাঁদটা কখন যেন জানলার পর্দা সরিয়ে দেখে
একটা পুতুল।
দীর্ঘশ্বাস—সময় দাঁত ,নখ বের করে খামচে ধরে
আর চাঁদেরও স্বপ্ন আসে।

পুতুল খুব ভালো করে ঋতুগুলো ,চেনে হেমন্ত
 যখন পাতা ঝরে, সে তার নিজের ভেতরেই ঝরে।
পৃথিবীতে শুধু তার হলুদ আভাস
আর আমার এই বিকেলে অদ্ভুত এক পুতুলের গল্প।
আসলে সময়ের পুতুলের সব সামাজিক
শুধু নিজেকে লুকিয়ে মৃত্যুর জুতো পরে হেঁটে যায়। 

সময়ের দূর্গা

সময়ের দূর্গা
............. ঋষি
===================================================
দূর্গা এই দূর্গা শোন তো একবার ?
মৃত কফিনের ভিড়ে জমে থাকা আফিমকে মানুষ আশা বলে।
দূর্গা এই দূর্গা তোর বাড়ি কোথায় রে ?
অনন্ত কোনো আকাশে স্বপ্ন খোঁজা চিলটাকে মানুষ বাসা বলে।
দূর্গা এই দূর্গা কে কে আছে তোর বাড়িতে
সম্পর্কের ভিড়ে টুকরো হওয়া চারদেয়ালে মানুষ ভালোবাসা বলে।
.
ঠিক এই ভাবে একটা কাঠের পুতুল
মাটি লেপে ,আদর করে ,তেলরং আরো সময়ের  মা দূর্গা।
আর কটা দিন তারপর
মনে পরে পথের পাঁচালির দুর্গাকে কোনো অসমাপ্ত কবিতা জ্বরে হারাতে থাকা।
কিছু অস্তিত্ব আমরা তৃতীয় নজরে ঈশ্বর করে তুলি
আবার কিছুকে খুব সহজে নগ্ন করে বাজারি ব্যবসা করি।
তুলনা থেকে যায়
আরাধনা আর আবর্জনার স্টোরি লাইনে তফাৎ থেকে যায়।
যখন কোনো অভিশপ্ত কবিতা উদযাপন হয়ে যায়
তখন অন্ধকারে এগিয়ে কালো লোমশ হাত সময়ের মাতৃত্বের দিকে
আর ইঙ্গিতে দেবীর দিকে।
.
দূর্গা এই দূর্গা শোন তো একবার ?
সভ্যতার মৃত সফরে হাজারো দূর্গা আজ পর্ণ কোনো সিস্টেমে।
দূর্গা এই দূর্গা তোর বাড়ি কোথায় রে ?
অনন্ত হৃদয়ে আজও কিছু না বলা বুকে কাঁদতে থাকে যোনিজ জীবের।
দূর্গা এই দূর্গা কে কে আছে তোর বাড়িতে
স্তনবৃন্তে লেগে গেছে মৃত্যু বিষ ,আগামী পুরুষ তোমরা মৃত।

Saturday, September 16, 2017

ছাঁচে তৈরী মূর্তি

ছাঁচে তৈরী মূর্তি
.................ঋষি
======================================================
ছাঁচে তৈরী মূর্তি
বুঝলে সময়ের বড় অভাব তোমাকে বুঝতে।
ওই তো কাঠের কাঠামো ,তারপর মাটি লেপে ,মুখটা বদলায় না
আসলে সময়ের চিৎকারে চলন্তিকা। শেষে গর্জন তেল রং।
খুব স্বচ্ছ কোনো ভূমিকায় নারী তুমি দেবী
পূজনীয় ,কমনীয় ,,,,,,,,,,,শুধুই রমণীয় ,,,,,,বাকিটা .....
.
সময়ের চিৎকার মিশে যায় জনতার উদযাপনে
সময় লুটিয়ে পরে ফুটপাথে হকারের চিৎকার ,,নিয়মিত পণ্য।
নতুন জামা ,নতুন সময় ,,,,আর কিছুদিন তারপর তিনি আসছেন সন্তান সন্তনি সহ
এই সমাজ, এই সময় লুটিয়ে পরবে দেবী আগমনে ,,,,আশীর্বাদ প্রার্থী পুণ্যার্থীর ভিড়।
অথচ এই সমাজ কোনো নারীকে খুব সহজে বলবে নষ্ট
করবে নষ্ট।
নিজের প্রয়োজনে প্রণম্য সেই দেবীকে বিসর্জন দেবে ভয়ানক রূপে
ধর্ষণ।
বুঝবে না চলন্তিকা তোমার বয়স কত
ষোলো ,ছাপ্পান্ন ,,নাকি জীবিত  নাকি মৃত ,,শুধুই মাত্র শরীর প্রয়োজন।
বুঝবে না  তোমার জঙ্ঘাসন্ধি স্থলে অবশেষে নেমে আসা  তরল সে কি  রক্ত ? নাকি জন্ম ?
কি আসে যায় ?সময়ের অভিসন্ধি শুধু শরীর।
এই সময় ,,এই সমাজ আসলে  জানোয়ারের চিড়িয়াখানা
এইবার জানোয়ার গুলো বন্দী করার সময় হলো।
.


এইবার বদলাক সময়ের ভিতে জাগ্রত কোনো নষ্ট অভিশাপ
চলন্তিকা তুমি পূজনীয় হও,,,,শুধু মাত্র দেবী নয় ,,শুধু মাত্র প্রয়োজন নয়
শুধু মাত্র মাংস রুপী অধিকারের ভিতে নয় ,
তুমি পূজনীয় হও মাতৃরূপী ,সত্যিকারের সন্মানে,সত্যি অধিকারে।
যাতে তোমার আগামী  কোনো চিৎকার মিশে না যায় কোনো ছ বছরের শিশুর কান্নায়
আর কোনো বধূ আত্মঘাতী না হয় ,,,লজ্জা ও শোকে।

Friday, September 15, 2017

অনেক কথা

অনেক কথা
............. ঋষি
=================================================
কথা দিলাম শ্রাবন
আমি ঠিক ফিরিয়ে আনবো তোমাকে সময়ের ঠিকানায়।
কথা দিলাম তোমার ভিজে বাহারে সবুজ পাতায়
আমি ঠিক আঁকিবুঁকি টেনে জংলী সভ্যতা ফিরিয়ে আনবো।
ফিরিয়ে আনবো মৃত্যুর মুখ থেকে
এক আঁচলা জীবন স্বপ্ন লিখবো বলে।

শ্রাবন তোমার অনবরত পতনের শব্দ
আমার জীবিত গন্ধে আমি বাঁচিয়ে রাখবো রঙিন প্রজাপতি।
কেঞ্চের দেওয়ালে গড়িয়ে নামা দু এক ফোঁটা জল
আমি এই বুকে ধরে রাখবো।
স্বপ্ন দেখবো ভিজে যাওয়া তোমার কবিতায় আনন্দের অনবরত ঝিরঝির
হাজারো ঋতু বদলালেও ফিরিয়ে আনবো তোমাকে।

কিছু অন্ধকার মেঘলা করা দিন
আমার বারান্দায় কফি কাপে সন্ধ্যে নেমে আসে।
বাইরে তখন অনবরত তুমি
ভিজিয়ে চলেছো মাটির সোঁদা গন্ধে  স্বপ্নের অধিকারে।
আর আমার ভিতরে লিখে চলেছো কোনো ঝড় বাদলের দিন
এক নির্জন প্রাপ্তি আমার।

কথা দিলাম শ্রাবন
আমি ঠিক ফিরিয়ে আনবো সময়কে তোমার দরজায় অন্তত একবার।
ঋতুবদল ,সভ্যতার সম্পর্ক ,নিয়মিত আঠা
সবকিছু ভুলে গিয়ে আমি ভিজবো তোমাতে।
তখন শুধু নির্জন কোনো মেঘলা দিন ,আমার কফি কাপে তুমি
পাহাড় লিখছো শেষ সন্ধ্যার তোমার অটোগ্রাফের কবিতায়।



একা কোপারনিকাস

একা কোপারনিকাস
.... ঋষি
========================================
অনেকদিন আজ  গুছিয়ে উঠতে পারি নি নিজেকে
তোমার সেই স্বপ্নে দেখা সমুদ্রের ধরে ছোট্ট ঘরটা
আমি স্বপ্নে দেখি নি।
কেমন একটা ব্যবসায়ীদের মতো হিসেবে কষছি
করছি নিজের সাথে ঝগড়া
অনেকদিন তোমাকে কাছ থেকে দেখিনি।

তুমি বলো শরীর ছাড়া প্রেম হয় না
আমি ভাবি স্পর্শটা খুব জরুরী।
তুমি বলো সম্পর্ক শুধু আগুনে পুড়তে থাকা মৃতদেহ
আর দৈনন্দিন বাকিটুকু মৃত ছাই,
আর আমি ভাবি একটা স্বপ্নে তো বাকিটুক বাঁচা যায়।
ঠিক এমন করে
আমার না ফুড়োনা রাতে অনেক গল্প
ছায়া সঙ্গী তুমি বাড়তে থাকো কোনো সমুদ্র ধারে নিরালা ঘর।
কিন্তু কি জানো তো
অনেকদিন স্বপ্ন দেখা হয় নি তোমার
অনেকদিন তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কথা বলা হয় নি।

অনেকদিন আজ  গুছিয়ে উঠতে পারি নি নিজেকে
তোমার শরীরের গন্ধে আদুরে শরতে নিজেকে ভাসতে পারি নি।
তবে কি আমি বদলে গেছি ?
নাকি বদলানো সময়ের আঙিনায় দাঁড়িয়ে আবিষ্কার করছি নিজেকে।
একা কোপারনিকাস তার নিজস্ব ভাবনায়
পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে ,,,খুব সত্যি। 

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...