Sunday, June 29, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

কবিতার শহর
....................... ঋষি

মন্ত্র মুগ্ধের মতো কবিতার শহরে আমি একা
যেন কোনো জুজু আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।
বুকের পকেট থেকে লাফিয়ে নামে হৃদয়
যেন পিং পং বল সাদা পাতায়।

আজ কাল পরশুর গল্প লিখি
লিখি বারবার  তোকে ভালোবাসি।
আমার এ শহরে সবখানে তুই
মনে হয় কোনো অমর কবিতার মতো।
কখনো মেঘ ,কখনো বৃষ্টি ,কখনো মৃত্যু ,কখনো জন্ম
কখনো বা যন্ত্রণার মতো তুই রক্তক্ষরণ।
সাদা কফিনে ঢাকা পরে আমি
ডুবে যায় মাটির নিচে স্মৃতির খাতায়।

আমি তোকে দেখতে পাই সকাল ,সন্ধ্যে
দিনে ,রাতে আমার স্পর্শে তুই জীবন্ত আমার শহরে।
চারিধারে যেন তোর  ঝরনা
কখনো বয়ে নামে শরীর ছুঁয়ে খুব গভীরে।
কখনো বা আমায় পোড়ায় দাউ দাউ আগুনে
চিতার খাটে আমি একা।
আমার কবিতার পাতায় ঝরতে থাকা শুকনো পাতা
সদ্য জাত ফুল নানান রঙে তোর স্পর্শে।

আমার শহরে আজ বৃষ্টিপাত
আমি ভিজতে থাকে গঙ্গা ,যমুনা মিলন সঙ্গমে।
কান পেতে শুনি ফিসফিস শব্দ ধ্বনি
লিখে ফেলছি সাদা পাতায়।



RISHI026@GMAIL.COM

পারলাম না
................ ঋষি

আমার চোখ শুধু তোর চোখে যায়
গড়িয়ে নামে ঠোঁটে
কিন্তু আর নিচে আমি নামতে পারবো না।

সভ্যতা আমাকে সৃষ্টি দিয়েছে
আমার বুকে নিকোটিনের জমানো পাহাড়।
যন্ত্রণার ছবি যদি আঁকি
তবে তোকে আঁকবো
তোকে নগ্ন দেখতে পারবো না।

আমার ওপারে তুই অলিক নারী
তোর বুকে মাথা রাখতে পারি মেরির মতন।
চোখে চোখ ,ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে জানাতে পারি
আমি তোকে ভালোবাসি
কিন্তু ভালোবেসে সভ্যতা হারাতে পারবো না।

যখন বৃষ্টি নামে আদিম প্রকৃতির বুকে
আমি ভিজতে থাকি আদিম রূপে।
আমার ক্যানভাসে ফুটে ওঠে দেবী চক্ষু বোধনের
ধুপ ধুনো প্রাচীন শ্লোকে তুই মায়াবী
তোকে আমি পুজো করি নগ্নরূপে।

আমার চোখ শুধু তোর চোখ ছুঁয়ে
গড়িয়ে নাম ঠোঁটে ভীষন তৃষ্ণা এক মরুভূমি
তোকে চুমু খেতে পারি কিন্তু নগ্ন না।

RISHI026@GMAIL.COM



নিকোটিন আর তোমার ঠোঁটে
............. ঋষি

পৃথিবীর বৃত্তটা জ্বলছে অনকেটা আগুনের গোলা
দুচার ফোঁটা রক্ত যেন বৃষ্টিপাত বুকে।
নেমে আসে আকাশ থেকে ধুমকেতু
মুখের সিগারেটে চিতার ছাই
তবুও আমি বাঁচতে চাই ,,নিকোটিন আর তোমার ঠোঁটে।

নাভির ভিতর জড়িয়ে জড়িয়ে শূন্যতা ওঠে
যেমন কারখানার চিমনির ধোঁয়া সিগারেটের রিঙে।
মাথার ভিতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে দুচারটে মুখ
থেঁতলে গিয়ে মাড়িয়ে যায় মনের স্রোতে
তবুও এই বেঁচে থাকা  ,,নিকোটিন আর তোমার ঠোঁটে।

অনেকটা দিন পেরিয়ে চোখে ছানি
জীবন একটা শব্দের মতো পথের ধারে ঠিকানা খোঁজে।
মনের জানলায় দুচারটে স্মৃতি হামাগুড়ি
আর সময় সে যে আনকোরা শুধু ভালোবাসতে ছোটে
তবুও এই বেঁচে থাকা  ,,নিকোটিন আর তোমার ঠোঁটে।

তবুও এই বেঁচে থাকা ,,তবুও এই বেঁচে থাকা
অন্তর আত্মার চিত্কার যেন সীতার পাতাল প্রবেশ।
আচ্ছা পৃথিবীটা যদি আমার হতো
নিস্তব্ধ কোনো প্রেমের দেশ
তখন সত্যি এই বেঁচে পোড়া,,নিকোটিন আর তোমার ঠোঁটে।

RISHI026@GMAIL.COM

ফায়ার
.............. ঋষি

নিজেকে হারিয়ে ফেলার পর
সকালে আর ঘুম ভাঙ্গে না কিছুতেই।
যদিও ঘুম ভাঙ্গে
আকাশের মেঘগুলো  ঢুকে যায় মাথার ভিতর।
খুব গভীরে চির ধরে যায়
আর তখনি মৃত্যু আসে।

সেদিন তোর হাত ধরে চলেছি আর চলেছি
তুমি বললে কত দূর যাবে।
আমার উত্তরে হেসে বললে শেষ হবে না
সত্যি কখনি কি শেষ হবে।
এই পথচলা
তোমায় ছুঁয়ে হেঁটে যাওয়া একটা জীবন।

পথ আর পথ স্পর্শগুলো ঘড়ির কাঁটার ভয়ানক ট্রিগার
মানুষ ছাড়িয়ে মানুষের পড়ে মস্তিষ্কের ঘরে।
টুকরো টুকরো করে পরে আছে শরীর
ফায়ার গর্জে উঠলো একলা জীবন।
আবার রক্তক্ষরণ আর মৃত্যু একটা দিনের
আবার হারিয়ে ফেলা নিজেকে।

এমনি চলছে আজকাল
শত শত রক্তক্ষরণ জালিয়ানওয়ালাবাগে।
আর মাথার ঘুলির ভিতর শুধু ফায়ার
ছুটে আসে বুলেট ফুঁড়ে দেই হৃদয়টাকে।
আবার আমি ঘুমিয়ে পরি মৃত্যুর সাথে
তোমার হাত ধরে জীবনের পথে। 

RISHI026@GMAIL.COM

জীবনের মানে
.................. ঋষি

আসলে হলো না কিছুতেই
কেন যে আমরা ঘরের ভিতর ঘর খুঁজি।
মনের গভীরে নিজের মতো করে মন খুঁজি
আমাদের আর ভালো থাকা হলো না।

জীবনের দিক চক্রবালে দাঁড়িয়ে
দুর থেকে দেখা যায় সেই তাল গাছগুলো।
যাদের কোনো ঘর নেই ,নেই দায়
আর আমাদের শুধু দায় আর দায়।
শুরু সংসার ,মাতৃত্ব ,পিতৃত্ব,অধিকার ,অহংকার
ছড়ানো শব্দের আরো জটিল সব শব্দে
নিজেদের দুমড়ে ,মুচড়ে সব যন্ত্র।

নেই তন্ত্র,পাকাশয়ে জমানো পাথরের ভিড়ে
বোধ হয় একটা অপারেশন দরকার।
অপারেশন হৃদয় ,অপারেশন মস্তিষ্ক
সর্বপরি বেঁচে থাকার কলার টিউনে
মুক্তির গান।
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে
তবে নাকি একলা চলতে হয়।

আসলে হলো না কিছুতেই
শৃঙ্খল আর শৃঙ্খলার মাঝে দাঁড়িয়ে।
নিজেকে বড় নগ্ন করতে ইচ্ছে হয়
প্রশ্ন একটাই জীবনের মানে।

RISHI026@GMAIL.COM





তোমাকে লিখছি
.................. ঋষি

আমি তোমায় লিখবো বলে
বাজার থেকে কিনে এনেছি সুগন্ধি কাগজ।
কিন্তু লেখা হলো না
আসলে বুঝে উঠতে পারলাম না কি লিখবো।

সহস্র মন্থনে রোজকার রক্তক্ষরণ বেঁচে থাকা
কিংবা হৃদয় অন্তরে তোমার স্পর্শ।
রোজকার মূল্যবৃদ্ধি ,ট্রাফিক জ্যাম ,চিত্কার
বা তোমায় ছাড়া বাঁচতে পারবো না।

নিউমার্কেট ,গজিয়ে ওঠা শপিং মলে অলংকার
কিংবা অলংকারের আড়ালে এই বেঁচে থাকা।
নির্বাচন এলো কারা যেন দাঁড়িয়ে গেল সার দিয়ে
সার সার সুন্দরী শব্দ  ঠিক রাস্তার বেশ্যা।
বিক্রি হলো ,গজিয়ে গেল দাঁড়ি খালি ময়দানে
কিন্তু চিত্কার থামলো না
শুধু আরো খিদে বেড়ে গেলো।

এইসব লেখা যায় নাকি
নিজেকে আরে এ যে মনুষত্বকে গালি।
এসো শুধু তোমায় লিখি
সেই একই গল্প তোমার বুকের স্পর্শ।

আমি লিখছি ঠিক তোমাকে নিজের মতো
বাজার থেকে কিনে আনলাম কিছু খালি বাক্স।
কিন্তু রাখবো তোমায় না সময়
ঠিক বুঝলাম না ,আর লেখা হলো না।

RISHI026@GMAIL.COM

দিনান্তে
................. ঋষি

দিনআনি দিন খাই
আমাদের  জন্য আজ রৌদ্র পোড়া
আর আমরা কি কিছু খেতে পারি দিন ছাড়া।

মেঘলা দিন মন হালকা আনমনা
বৃষ্টির দিন পুরো ভিজে কাক।
শীতের দিন ঘর পোড়া
গ্রীষ্মের দিন আগেই বলেছি ঘেমে মরা।

খালি পা ,নগ্ন শরীর ,ছড়ানো অতৃপ্তিতে পথ চলা
চলে যাওয়া দিনআনি দিনের খুব গভীরে।
রক্তাক্ত দিনে লাল সূর্য চোখ রাঙায়
চোখ রাঙায় দৈনন্দিন বেঁচে থাকার উপকরণ গুলো
শুধু বেঁচে থাকা আর দিন গুনে চলা।

এগিয়ে যাওয়া এক থেকে বদলানো দিনে
কিন্তু দিনআনি আর দিন খাওয়ার শেষ নেই।
আসলে আমাদের শুধু বেঁচে থাকা
নিজেদের দিনআনি দিন খাওয়া নসিবে।

আসলে উত্তর নেই কিভাবে আমরা দিন এনেছিলাম
কেমন করে আমরা দিন আনি দিন খাই
শুধু দিনআনি দিন খাই। 

Saturday, June 28, 2014

rishi026@gmail.com

জ্বরের কবিতা
,,,,,,,,,, ঋষি

আমাকে একটু সামলাতে দে
ধুম  জ্বর সামনে শ্রাবনের মাটি।
কতক্ষন মাটি কামড়ে আছি জানিস
বিছানার চাদরে বলিস জড়িয়ে ব্যাবিলন।
আরে আশর্য একটা
ইতিহাস পরিস নি তাই জানিস না।

ইতিহাস এক সমুদ্র ইতিহাস
সৃষ্টি থেকে গড়িয়ে নামে উভচর প্রেম।
অভয় দিয়ে বলে আমি আছি বিন্দাস আছি
যেমন আমার আমিতে আজ জ্বর।
থার্মোমিটারের পারদ ছুঁয়ে ১০৩
সব উল্টো পাল্টা আরেকটা দিন।

আরেকটা দিন খোলাম কুচি হৃদয়টাকে
শ্রাবনের ধারায় ভিজিয়ে চিতার খাটে।
যাব না যাতে মাতাল তালে ঠিক
আরেকটা দিন কাটছে কাটুক।
আমি ঠিক ,আমি ঠিক
জ্বরে পুড়ে লিখে যাবো।

জ্বরে পুড়ে দিয়ে যাব কিছু চাবুকের দাগ
আমাকে একটু সামলাতে দে।
আমার নাভির ভিতরে জ্যান্ত সাপ
ধুস ভালো লাগছে না।
আর লিখবো না তোকে
আরেকটা দিন কাটুক অন্য পথে।

RISHI026@GMAIL.COM

আজকাল এমন হয় ............. ঋষি সত্যি বলছি বুকের ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে একটা চিল নেমে এলো। ছো মেরে তুলে নিল সেই পাথরটা ভীষণ পার্থিব আমার কাছে আমার জীবনের তুচ্ছ প্রেম। বিছানায় দাঁড়িয়ে আকাশ ধরতে গেছি সেই প্রায় একই কান্ড। নেমে এল বৃষ্টি আকাশ থেকে রাত্রে আমার বালিশ ভিজে জব জব নিজেকে আদর করা ভালো থেকে। এ এক আজব কান্ড যা বাবা সকালে সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে সোজা রাস্তায়। সে কি জ্যাম ,চাকা আর এগোয় না কিন্তু আমি ঠিক পোঁছে গেছি তোমার কাছে মনে মনে আরো কাছে। ফুটপাথ দিয়ে এক দমকে জঞ্জাল ঠেলেঠুলে এগিয়ে সামনে দমকা হাওয়া। কে যেন ছুঁয়ে দিল রাম রাজত্বের রাম সোজা লঙ্কায় আর আমি আমার শহরের ফুটপাথে। ফুটপাথ শেষে রাজপথ ও মা পার্সটা নেই কাছে ,নিয়ে গেছে। আজকাল মাঝে মাঝে এমন হয় সব তোলপার ,সে এক উদম ঝড় আমার কাছের হৃদয়ে আমার।

Friday, June 27, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

ক্ষমাপ্রার্থী
,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

আজ ক্ষমা করার ক্ষমতা আমার নেই
নিজেকে হাজারোবার প্রশ্ন করি।
কেন জানি মনে হয়
আসলে আমার হারাবার কিছু নেই।
অনকেটা পেয়ে পাওয়া চৌদ্দ আনার মত
ভীষণ কমদামী আমি।

সেদিন সকালে চোখ খুলে দেখি
অস্তিত্ব কাঁদছে।
আমি হাসলাম শাওয়ারে দাঁড়িয়ে নগ্ন আমি
আবার ভিজলাম নিজের ভিতরে।
প্রশ্নগুলো উঠে এলো প্রতি জলের বিন্দুতে
আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

আমি ক্ষমাপ্রার্থী ,ক্ষমা প্রার্থী পৃথিবীর কাছে
দাগ কেটে গেছে।
পৃথিবীর বুকে ,আমার বুকে ক্রন্দনরত
হারিয়ে যাওয়া শব্দগুলো।
স্মৃতি রেখে গেছে বুকের ভিতর রক্তক্ষরণ
পৃথিবীর আবর্তন আর আবর্তন।

কিন্তু প্রত্যাবর্তন ,সে তো সম্ভব নয়
তাহলে সময়ের ফিরে পাওয়া।
আর সময় সে তো ঘড়ির পেন্ডুলাম
দুলতে থাকে ,দুলতে থাকে।
আর আঘাত করে বুকের ভিতর কোনো গভীরে
নিজেকে আর ক্ষমা করা গেল না। 

rishi026@gmail.com

আমার কথা
................ ঋষি

আমার কথা বললে দিন খারাপ
সকালের রৌদ্রে মেঘেদের কারফিউ।
রাস্তায় ভীষণ জ্যাম
আসলে সব হৃদয়ের কারসাজি।
এমনটা হয় তুলকালাম বৃষ্টি
মন আর মন ভিজিয়ে যায়।

আমার কথা বললে বৃষ্টি নামে
শহরের গলিগুলোতে এক হাঁটু জল।
শহরের শরীর বেয়ে নাভিশ্বাস
জীবন আর এত কোলাহল।
দু এক ফোঁটা  বৃষ্টি সাদা পাতায়
জীবনের ফুটপাথে উত্পন্ন হলাহল।

আমার কথা বললে মন খারাপ
আজ বৃষ্টির দিন আমার শহরে।
কিছুক্ষণের জন্য সব উল্টোপাল্টা হোক
নৌকা ডুবি হোক মনের ঘরে।
এ যেন কোনো অবুঝ বেলা
মন মানে না আর বাঁচার তরে।

আমার কথা বললে আগুন হৃদয়ে
পেট্রলিঙ্গে দাঁড়িয়ে যায় সার বাঁধা ট্রাক।
দমকল ছুটে আগুন নেভাতে
খুঁজে পায় না হৃদয়ের হাজার বাঁক।
এমনি হয় আমার কথা বললে
পুরো লোডশেডিং বোলতার চাক।



  

rishi026@gmail.com

তোর নাম
,,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

তোকে একবার আগুন বলে ডাকবো ভেবেছি
কিন্তু নাভির ভিতরে উষ্ণতা তুলে।
আমার পারদে বালি ,,চোখের বালি
পুরো চোরাবালি আমায় ঘিরে।

কতবার ভেবেছি তোকে নদী বলে ডাকবো
কিন্তু ডাকা হয় নি কেন জানিস।
আমি যখনি দেখি তখনি সমুদ্র তুই
কিছুতেই তল পাই না খুঁজে।

একবার ভাবলাম তোকে আমি বৃষ্টি বলবো
কিন্তু বলা হয় নি।
আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণে বৃষ্টি রোজ
তোকে তো বৃষ্টি বলা যায় না।

তোকে ভাবি আমি দেবী মতো
কিন্তু দেবীর চোখের তেজে আমি পুড়ে যায়।
তাই তোকে দেবী বলে ডাকা হয় নি
আসলে ভয় পায়।

তোকে আমি ভাবি একটা অস্তিত্ব
যার স্পর্শে আমার ভালো থাকা ,খারাপ থাকা।
কিন্তু অস্তিত্ব বলে তো আর ডাকা যায় না
সেটা আবার কেমন নাম।

তোকে আমি স্বপ্ন বলে ডাকবো ভাবলাম
কিন্তু ভীষণ বিপদ ,স্বপ্নরা যে হারিয়ে যায়।
তাই ডাকি নি
আমি দেখেছি তোকে মন বলে।
  

Thursday, June 26, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

সহবাস২
,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

অজান্তে আজ বাড়ানো হাত তোমার দিকে
জানলার কাঁচে গড়িয়ে  তৃষ্ণা আমার বুকে।
এক আকাশ স্বপ্ন তোমায় ঘিরে ওঠা পরা
সেই বিকেলে তোমায় ছোঁয়া খোলা হাওয়া।

উড়ে যায় তোমার আঁচল,তোমায় চুল
তোমার বুকে ঠোঁট রেখে হয় বাউল আমি।
আমার বুকে গর্জে উঠা কলম গানে
নগ্ন করি আদর করে তোমায় আমি।

এমন করে স্বপ্ন আসে দিনেরাতে
তোমার সাথে কাটানো সময় সহবাসে।
রৌদ্র ছোঁয়া পুড়তে থাকে সময় কাটে
তোমার সাথে প্রথম দেখা চৈত্র মাসে।

এইভাবে আজ দাঁড়িয়ে আমি একলা আকাশ
বৃষ্টি নামে যখন তখন তোমায় ছুঁয়ে।
তোমার শরীর গন্ধ নিয়ে আমার বাঁচা
সত্যি বলি জীবন মানে  ভালোবাসা।

রোজ বিকেলে কফি কাপে তোমার চুমুক
জানলা দিয়ে ঠোঁটে লাগে স্পর্শ তোমার।
আকাশ দিয়ে রোদ ঝলমল তোমার মুখে
লিখে দি আমার কবিতা স্পর্শ আমার।

আর কটা দিন এমন ভাবে  যাক না কেটে
আমার কবিতা পুড়তে থাকুক তোমায় দেখে।
হাসছি আমি লাগাম ছাড়া তোমায় পেয়ে
মরতে যে চাই তোমায় কবিতা বাঁচিয়ে রেখে।

RISHI026@GMAIL.COM

না বলা কথা
............ ঋষি

সাহস করে তোকে বলতে পারি
সেদিন চৈত্র মাস  তোর চোখে দেখেছিলাম
আমার সর্বনাস।
আমার না বলা কথাগুলো অব্যক্ত যন্ত্রনায়
হৃদয় বন্দী।
ঠিক সেই খাঁচায় বন্দী অচিন পাখি
বন্দী থেকে যায়।

ফাঁকা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে চিত্কার করে
হেলেদুলে আসা ট্রামের মাড়িয়ে যাওয়া শব্দে
বুকের উপর উঠে আসে মস্ত হাতি।
এক একটা পদক্ষেপে দাগ ফেলে যায়
হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।
আর অদ্ভুত এক যন্ত্রণা ছড়ানো
না বলা কথা গুলো।

আসলে তোকে আমার অনেককিছু দেওয়ার ছিল
মূল্যবান কিছু লোকানো রত্ন।
যার দাম বোধায় আজকের পৃথিবীতে মাটির মত
কিন্তু ভীষণ দামী আমার কাছে।
একটা হৃদয় ,,,আমার হৃদয়
আর ছড়ানো ছেটানো শব্দগুলো একসাথে
ভালোবেসে তোর গভীরে ,তোর খুব কাছে।

RISHI026@GMAIL.COM

কবিতা আর তুমি
,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

আমার কবিতা থেকে তুমি শব্দটা তুলে দিলে
কবিতা মরে যাবে।
আর যদি আমার হৃদয় থেকে তোমাকে তোলা হয়
তবে জীবন মরে যাবে।

বিষাক্ত কোনো স্যাতস্যাতে বিকেলে
যখন একলা সময়ে বিছানার শীতলতা জড়িয়ে ধরে
তখন আমি আকাশ দেখি।
আসলে আমি তখন লুকিয়ে পরি হৃদয়ের মাঝে
তোমাকে  খুঁজি শুধু হৃদয়ের পোস্টারে।
নিজেকে লুকিয়ে রাখি ওই আকাশে
নীল আকাশে তোমার  বুকে মাথা।

আমার কবিতাদের শরীরে তোমার নগ্ন রূপ
তোমার চোখের  তারায় লেখা আমার কবিতা।
আমি লিখতে থাকি ,হয়তোবা আঁকতে থাকি
আমার হৃদয় ক্যানভাসে তোমার মুখ।
এ যেন এক সাত পাড়ের রুপকথা
রামধনুর সাতরঙ্গা ঢেউ আমার মস্তিষ্কে প্রেম
আর আমি হাসতে থাকি।

আমার কবিতা থেকে তোমাকে মোছা যাবে না
তুমি তো খোদাই করে হৃদয় লিপি।
আর আমার জীবন থেকে তোমাকে সরানো অসম্ভব
তুমি যে আমার কবিতার দিনলিপি।

RISHI026@GMAIL.COM

অলিখিত প্রেম
.......... ঋষি

আবার তোকে লিখবো বলে
আমার কলমের নিবে সিরসির।
তোর নীল রঙের শাড়ির ভিতর
একটা স্বপ্নের সমুদ্র মন্থন
উত্পত্তি প্রেম শব্দটা অমরত্বের স্পর্শে।

জানিস নীল রংটা আমার ভীষণ প্রিয়
ওটা আমার আকাশের রং।
ওই রঙের গভীরে খুব গভীরে
অনন্ত মেঘ আর লুকোনো মনিমুক্ত
সারা আকাশের বুকে ছড়ানো প্রেম।

টুকরো টুকরো ছোটো ছোটো স্বপ্ন
এখন লুকোনো ঝলসানো সূর্যের আলোয়।
আর অন্ধকার আকাশের খুব গভীরে
আজ মেঘ ,বৃষ্টির এই অবেলায়
আবার শুরু প্রেমের পথ চলায়।

জানি হাসছিস তুই হাসছিস
তোর চোখের দহনে হৃদয়ে রক্ত।
ঠিক যেন ভিসুভিয়াসের নিলজ্জ প্রেম
চোখের তারা থেকে নেমে আসে নাভির মাঝে
নিজেকে পোড়াতে  প্রেমের আগুনে।

আজ কাল পরশুর সেই পৌরানিক কথন
কুমারী মেরীর গর্ভে ঈশ্বর
নেমে আসুক সৃষ্টিতে, শুধু প্রেমে।
আমার শব্দগুলো তোকে ছুঁয়ে হাহাকার
নেমে আসুক আজ এই বৃষ্টি দিনে।


RISHI026@GMAIL.COM

চোখ পুড়ে যায়
,,,,,,,,,,,, ঋষি

চোখ পুড়ে গেল
বুকের বিন্ধ্যে জমানো রক্তাক্ত শব।
আহত ,নিহত কিছু  স্মৃতি
মনের চিলেকোঠায় পায়রার সাথে উড়ে যায়।
পাঁচিল পেরিয়ে পাঁচিল
দূরত্বের থেকে আরো দুরে কোনো অন্য গ্যালাক্সীতে
মুক্তির আশায়।

সকালে উঠিয়ে আমি মনে মনে বলি
সারাদিন আমি যেন চোখ বুজে চলি।
চোখ খোলা মানে হলো রক্ত মেখে চলা
আর সেই রক্তে সভ্যতা বিরক্তিতে বলা।

এই তো জীবন
এমনি কেটে যায় ,কাটতে থাকে একলা নিরালায়।
মৃত্যু লাল পায়ে কাঁটা তার বাঁধা
ছোপগুলো  অদৃশ্য কোনো ধুলোর কবিতায়।
পাহাড় পর্বত পেরিয়ে জ্বলন্ত লাভা বুকের ভিতর
চোখ বুজে যায় ,চোখ বুজে থাকা
শান্তির আশায়।

সন্ধ্যের চোরা স্রোতে অন্ধকারে চলা
ভয়ে ভয়ে জীবনের মিথ্যা বয়ে চলা।
চোখ খোলা মানে হলো রক্ত মেখে চলা
আর সেই রক্তে সভ্যতা বিরক্তিতে বলা।

RISHI026@GMAIL.COM

মৃত্যু খাত
,,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

তোর চোখের তীক্ষ্ণতায় মৃত্যু লেখা আছে
আমি দেখেছি জানিস কেন।
আমি তো মরে ভূত কবে
যেদিন প্রথম বৃষ্টিপাত হৃদয়ে দেওয়ালে
সেদিন লিখেছি কবিতা তোকে নিয়ে।

আমার কবিতার সাথে রোজ মৃত্যু আসে
কখনো অন্ধকার দিয়ে কখনো আলোতে।
সমুদ্রের ওপারে নীল দেশে শান্তি বৃষ্টি
কখনো চেতনায় কখনো ভালোবেসে
আমি তো মরে গেছি কবে।

হাজারো বছরের জমে থাকা দূরবীনে
কাছে যাওয়ার লোভ পিছোতে পিছোতে।
দেওয়ালে পিঠ ,
কুরুক্ষেত্রের কর্ণের মৃত্যুর পূর্বে
রাজনৈতিক কৃষ্ণের জ্বলন্ত তোপ।

পুড়ে গেছি ,পুড়ে চিতার ছাই
তবু কেন মন বলে বাঁচতে চাই।
হাসতে চাই আরেকবার একটু হাসতে
হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণে বৃষ্টিপাত
এইমাত্র বৃষ্টি নামলো ,ভিজতে চাই।

ভিজতে ভিজতে আমার কবিতা সাদা পাতায়
তোর দুটো জ্বলন্ত চোখ দুটো শব্দ।
এক জন্ম অন্য মৃত্যু
আমি মৃত্যুটাকে বেছে নিলাম আমার কবিতায়
আমি যে ভালোবেসে মরতে চাই।

RISHI026@GMAIL.COM

ইচ্ছা বৃষ্টি
............ ঋষি

দু এক ফোঁটা বৃষ্টি আমার সাদা পাতায়
মাথার ওপরে খোলা ছাদে।
অনেক অনেক দুরে ,স্বপ্নের ভিতর
মেঘ আর আকাশ দেখা যায়।

তোকে জড়িয়ে লেখা আমার শব্দগুলো
বড় ফ্যাকাসে আজ ,,বৃষ্টির ফোঁটায়।
তোর শরীরের মেটে গন্ধে উষ্ণতা
তোকে ছুঁয়ে বাঁচতে থাকায়।

হাওয়ার দমকে বৃষ্টির তীব্রতায়
ছিটকে ওঠে মনের পর্দার ইচ্ছেগুলো।
হাসতে থাকে আপন মনে
কষ্ট কুচি টুকরো গুলো সাদা পাতায়।

বাড়তে থাকা ফুটপাথেতে
এমন কিছু নোনতা জলে ঠোঁটের চুমু।
আধা ঘোরে অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া
বুকের পাতায় স্বপ্ন গুলো।

ভিজতে চাওয়া ,ভিজতে চাওয়া
ইচ্ছা আমার হারিয়ে যাওয়া সাদা পাতায়।
টুকরো গুলো জুড়তে বসে
আঁতকে দেখা জীবনটাকে হৃদয় খাতায়।

এগিয়ে গিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া
ছোটবেলার বৃষ্টি ভেজা বিকেলটাকে।
মুখ লুকিয়ে কাঁদতে থাকা
অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাটাকে।

এমনকরে দিন কেটে যায়
হাসতে থাকে জোকার গুলো বুকের ভিতর।
আবোলতাবোল শব্দগুলো সাদা পাতায়
রক্তক্ষরণ সাজিয়ে আতর। 

Wednesday, June 25, 2014

RISHI026@GAMIL.COM

চোরা উষ্ণতা
........... ঋষি

এ কেমন কথা বুকের সমুদ্রে দুচারটে ঢেউ
হয় না ,হতে পারে না।
সহস্র কোটি প্রেমের চোরাস্রোত
ঢেউ এর মত আছড়ে পরে বুকে।
পাড় ভাঙ্গে ,ঘর ভাঙ্গে
নতুন দ্বীপ সমুদ্রের বুকে।

জন্ম হয় কোটি কোটি তারা আকাশের গায়ে
যখন সন্ধ্যা নাম অন্ধকার হয়।
প্যাপিরাসে লেখা হয় সভ্যতার সোনালী রং
এক্কা দোক্কা পায়ে এগিয়ে যায়।
আর তখনি আমি আগুন আবিষ্কার করি
পুড়ে যায় ,আমি পুড়তে চাই।

এ যেন কোনো নাবিকের জ্যোতিষ চর্চা
দিকভ্রান্ত নোলকে লাগানো শব্দের কোলাহল।
কিংবা হাতের আঙ্গুলে জমে থাকা আংটির হলাহল
সভ্যতা উত্তর চাই।
প্রেম শুয়ে থাকে বিছানার চাদরে অন্ধকারে
বালিস জুড়ে অস্তিত্বের অপেক্ষায়।

এ কেমন কথা বুকের পাঁজরে প্রেম রক্তবমি
আর চেতনার শার্টের হাতে আবিষ্কার
এক নতুন সভ্যতায় প্রেম।
লজ্জা ,ঘৃনা ,ভয় সব শূন্য এক গোপন ব্যথা
সময় অসময় ফিরে আসা গোধুলি বেলা
আর প্রেম অপেক্ষায় পুড়ে চলা।

RISHI026@GMAIL.COM


জবাব চাই
................... ঋষি

যেদিন বিপ্লব জন্ম নিল দুমুঠো ভাতের জন্য
খিদে মেরে দিলে।
যেদিন বিপ্লব জন্ম নিল মনুষত্বের অধিকারের জন্য
গলা টিপে দিলে।
প্রশ্ন কর নিজেকে বারংবার
কত বার ঝুলিয়ে দিয়েছো বিপ্লবের লাশ
দিল্লির খুনি দরজার গায়ে।

গর্জে উঠেছে বন্দুকের নল নিরীহ রক্তে
ভেসে গেছে ,ভেসে গেছে
মানুষের কান্না সভ্যতার গায়ে।
আওয়াজটা শোনা যাচ্ছে রক্তাক্ত বিপ্লবের
নাকি ক্ষীন ক্ষীন হতে হতে হারিয়ে গেছে
সভ্যতার দালালের রক্তে।

বিপ্লব তো পিঠ ঠেকে যাওয়া মনুষত্বের চিত্কার
অনেকটা ডার্ক রুমে তৈরী ফিল্মে   র ছবির মত।
শুধু আলো আর আলো
কত এসে গেল সভ্যতার নতুন সকাল।
কিন্তু গতানুগতিক বেঁচে থাকায়
বিপ্লব বেঁচে মরে গেলো।

বিপ্লব বেঁচে মরে গেল তোমাদের জন্য
মাথা নিচু করে সহ্য করা ধর্ষণের বর্ষণ।
কেঁচোর মত বাঁচা মানুষের রক্তে এনিমিয়া
সভ্যতার শরীরে লেগে পচা দাগ।
শুধু মানিয়ে নেওয়া ডি এন এ আবিষ্কার
বিপ্লব পচে গলে গেলো।

RISHI026@GMAIL.COM

মৃত কবিতা
,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

অতশত বুঝি না
আমার কলমে লেগে আছে পিচ্ছিল রক্ত।
মৃত কবিতাদের ইশ্বর যাত্রা তোমায়  পেয়ে
একটু আগুন দিও মুখে কবিতার।

আত্মার বলির পর জীবন চারপেয়ে
কপালে লেগে চিতার ছাই,
ও কবিতা তোমাকে কেমনে পাই।
আমি ইশ্বর বুঝি না
নেহাত রক্তপাত মানুষের হৃদয়।
আমার  কবিতায়  মানুষের রক্তপাত
আর মানুষ শুধু বাঁচতে চাই।

ইট,কাঠ ,পাথরের গল্প গাঁথা
সীতার অছিলায় সত্য লেখা চেতনায়।
শাক দিয়ে মাছ চাপা
চাপা আগুন ধিক ধিক।
কবিতার চিতায় চিত্কার বাঁচতে চাই ,বাঁচতে
আসলে মরতে চাই কবিতা ,
তোমার সাথে তোমার চিতায়।

অতশত আসে না
আমার রক্ত লিপি দৈনন্দিন ধারাপাত।
মৃত কবিতারা জেগে উঠুক শ্মশানের ভূত
কোনো মৃত স্বপ্নের বেঁচে ওঠায়।

rishi026@gmail.com

তোকে পাওয়ায়
................... ঋষি

আমি পাল্টে গেছি
ঠিক তাই আমি খোলা জানলায় আকাশ দেখি
দুহাত বাড়িয়ে এঁকে দি তোর চোখ ওই আকাশে।

আমার বৃষ্টি বেলার কাদা আমার হৃদয়ে
তাল তাল কাদা আর মাটি ,আমি তোকে গড়ি
ভাবনায় নিজেকে কাঁদিয়ে।

আমার সাদা ক্যানভাসে দুচারটে স্পর্শ
দু একটা অনিয়মের ফ্যাকাসে ছোপ তোকে ঘিরে
কিছু অদৃশ্য আর কিছু দৃশ্য।

দু চারটে পাল্টে যাওয়া সুখ ,,আমার অসুখ
ভালোবেসে জড়িয়ে যাওয়া রোগ ,,,সম্ভোগ
সবটাই তোর।

সুরে ঝংকারে কেমন এক ভালোলাগা মূর্ছনা
সময়ের পরে আটকে থাকার লোভ
তোকে জড়িয়ে তোকে পাওয়ার।

সবটাই সাবেকি নয় ,কিছু মঙ্গল ,কিছু সময়
ভেসে যাওয়া আদুরে হাওয়ায় তোর ঠোঁট
আমার ছুঁতে চাওয়ায়।

আমার ভাবনারা সাদা পাতায় দৌড় আর দৌড়
পাল্টে যাওয়া আমার নিজস্ব দিনলিপি
আসলেতে তোকে পাওয়ায় সপ্নিল ঘোর.

আমি পাল্টে গেছি
ঠিক তাই আমি খোলা বারান্দায় মুক্তি দেখতে পাই
তোকে ছুঁয়ে তোকে পাওয়ায়।

rishi026@gmail.com

পাগল কবিতা
................ ঋষি

তোকে জড়িয়ে একটা কবিতা লিখব
আমার অদ্ভুত আবিস্কারের আগুনে তোকে পোড়াবো।
সতীর ৫১ তীর্থের সবকটা ঘুরে
তোর টুকরোগুলো সেলাই করে
তোকে ভালোবাসব ,,,ভীষণ ভালোবাসব।

আমি বলিনি কখনো তুই আছিস আমার সাথে
একলা বারান্দার ওপারে একটা পাখি ডাকে রোজ।
ফিসফিস  করে আমায় বলে
তুই পাগল ,তুই পাগল ,,ভালোবাসার পাগল
আমি জড়িয়ে ধরি আকাশ আদর করে।

আমার কবিতার মাথায় আবার বজ্রপাত
আকাশ বেয়ে ছুঁটে আসে স্ফুলিঙ্গ মাথাতে।
তোর মন ভালো নেই ,ভালো নেই ভালোবাসা
আমি পাগল ,,আমি পাগল
আমার  পাগুলে এ ভালোবাসা।

সহস্র গভীরতায় তোকে ছুঁয়ে লিখব আজ
আমার অদ্ভুত পাগলামি তোকে ঘিরে সারাবেলা।
তুই আমার হৃদয়ের বৃষ্টির নরম ছোঁয়া
আমার মেঘলা সময়ের লুকোনো পাগলামি খেলা
বল কিভাবে তোকে আমি আরো ভালোবাসবো। 

rishi026@gmail.com

পথ চলা  
............. ঋষি

মাথার ভিতরে অব্দের ভিড় 
শতকের পর শতক পরে থাকে ফুটপাথে। 
এগিয়ে যাওয়া সময়ের হাত ধরে 
কিছুটা নির্লিপ্ত অগ্নুপাত হৃদয় দহনে। 
আজ ,কাল ,পরশুর গল্প নয় 
এ জীবনে পথ চলা অল্প নয়। 
সবটাই ক্ষনিকের 
নিশ্চিন্ত এক আগন্তুকের দৃষ্টি। 

গড়িয়ে পরা শতকের কালিমায় 
আরো বাস্তবায়িত হোক সভ্যতার রং। 
নীল ,সবুজ ,লাল পতাকার পিছনে 
হিংস্র শহরের ফুটপাথে। 
তোমার আমার রোজকার কথা 
আরেকটু কালিমা হোক। 
রোজকার দহনে ক্ষনিকের 
আরেকটু এগিয়ে যাওয়া ধংসের পথে। 

আমি সময়ের কথা বলছি 
হাতের ফাঁকে থাকা গলে যাওয়া সময়। 
নিজের কপালে ফাঁকা কলসি 
আমি বলছি জীবনের হারাবার কথা। 
আসলে হেরে যাওয়া আর হারানোর তফাত্টা
বুত্পত্তির দিক থেকে ভীষণ সরল। 
কিন্তু হৃদয়ের কাঁচে চির 
অব্দ মাথার ভিতর মাড়িয়ে চলা অসময়ের । 



Tuesday, June 24, 2014

rishi026@gmail.com

চিরন্তন তাজমহল
,,,,,,,,,,,, ঋষি

আমার ইতিহাসে প্রেম শুয়ে থাকে
মমতাজের কবরের পাশে মাথা ঠোকে শাজাহান
এখনো মৃত্যু আসে নি তার।

একলা রাত্রে নিজের সাজানো তাজমহলকে
শাজাহান চান করে রুপোলি রঙের আদরে।
মমতাজের চোখের মাঝে খোঁজে নিজেকে
ইশ যদি আজটা আমার হত।
ইশ যদি মৃত্যু জড়ানো যেত
হয় না ,কিছুতেই হয় না
চলে গেলে কেন যে ফেরা যায় না।

সহস্র প্রাচীন প্রবাদ
জন্মালে মরিতে হবে ,কিন্তু কেন।
একসাথে ভালবাসা যায়
তবে মরা একসাথে নয় কেন।
ইন্দ্রপ্রস্থের পারিজাত যদি শিউলি হতে পারে
তবে তুমি কেন নও প্রেম
অন্যরকম আমার মত মৃত্যুর অপেক্ষায়।

আমার ইতিহাসের পাতায় মমতাজ মৃত
কিন্তু শাজাহান চিরজীবিত ,,,আমার হৃদয়ে
সামনে দাঁড়ানো তাজমহলের প্রেমে। 

RISHI026@GMAIL.COM

শুধু তোমাকে চাই
........................... ঋষি

সহস্র সচেতনা সত্বেও
দেখা হয়ে গেল ঘড়ির কাঁটায় গড়িয়ে বিকেল।
সামনের কফিশপে কর্নারে শুয়ে আছো স্মৃতি
এই তো আমার ভীষণ কাছে
জড়িয়ে থাকা স্মৃতি।

একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে খালি পায়ে
রেসকোর্সের সবুজ ঘাস পেরিয়ে।
একলা হাঁটা ,,,আকাশে চোখ
বৃষ্টি গড়িয়ে বা দিকের বুক পকেটের নিচে
তুমি রক্তক্ষরণ স্মৃতি।

সামনে দাঁড়িয়ে আজ বত্রিশে আমি
সেই ফ্রক পরা মেয়েটা সদ্য কিশোরী।
গন্ধ মাখা ক্লোরোফর্ম নেশায় প্রেম
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘড়ির কাঁটায় ঠোঁট
ছুঁয়ে নামে আমার ঠোঁটে।

জীবনের জ্বলন্ত অধ্যায়ের একটা স্পর্শ
একটা মোড় ,অলিগলি বেয়ে তোমার শিরায়।
আমার রক্ত , ছুঁয়ে থাকা প্রেম
স্মৃতি ,, বিকৃতি এক অলিক  গাঁথা
মুহুর্তের ভেসে ওঠা মুখ।

টুকরো টুকরো করে সাতকাহনের গল্প
মেঘ ,বৃষ্টি ,মাটি ,দেশ আর মন।
উড়ন্ত আকাশে একঘেয়ে সুর
শুধু তোমাকে চাই
মন বারে বারে তোমায়।

Sunday, June 22, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

এটা পুলিশস্টেসন
,,,,,,,,,, ঋষি

ঘুমের মধ্যে জড়িয়ে শুয়ে আছে টেলিফোন
অপেক্ষার সাথে শব্দের স্পর্শ।
তোমাদের আমি জড়িয়ে থাকি নি
শুধু সময় জড়িয়ে রেখেছে  তোমাদের।

আমার টেবিলের ওপারে লাগানো পিকাসো
তোমরা হাসছো,,,,,, ভীষণ মলিন হাসি।
সাজানো রঙের তুলিতে তোমাদের ঠোঁটে রক্ত
আর চুসে খায় আবেদন কোন যৌন শিরায় শিরায়।

ফুল ,ফল ,রসকস,সিঙ্গারা,বুলবুলি ,শরীর
খাদ্য আর খাদকের মাঝের খিদে।
সেই তো সুরঙ্গের সারি আর মরিচিকা
সাজানো শহরে লুকোনো নর্দমার দর্শন।

দর্শন আর বর্ষণের মাঝের তফাত্টা
নেহাত মানবিক চাহিদা।
তোমাদের খিদে তোমরা হাসছো
আর বৃষ্টি সে যে নোনতা চিরকাল।

আজ বরং উল্টো পৃথিবী গড়ি
অহংকৃত পৌরুষের মাঝে নগ্ন নারী।
তোমরা দেখো আর জ্বলো
আর নারী তোমরা নৃত্য করো।

আর করো না টেলিফোন এটা পুলিশ স্টেসন
আমি ঘুমোচ্ছি সভ্যতার কর্কশ বিছানায়।
তোমাদের আমি জড়িয়ে থাকি নি
তোমরাই জড়িয়ে আছো অপেক্ষার শিরায় শিরায়।  

RISHI026@GMAIL.COM

স্পর্শ সুখ
............. ঋষি

তোকে স্পর্শ করতে বারণ আছে
মানছি না।
যেদিন ৭৬ এর মন্বন্তর আমার বুকে
সেদিন থেকে একটা খিদে লেগে গেছে।
সময়ের থেকে তোকে কেড়েছি
কিন্তু নিজেকে বাঁধতে পারবো না।

ভিখারীর কাছে ভিক্ষা চাওয়া
হাসি পাচ্ছে।
যেদিন বৃষ্টির আকাশে রামধনু রং
তোর বুকে চৌরা পাড়ে ডুগডুগি।
আমি বাজেয়েছি তোর স্বপ্নে
কিন্তু তোকে স্বপ্নে রাখতে পারবো না।

ফেরিওয়ালার ডাকে ঘুম ভাঙ্গা ছোটবেলা
ফিরে আসছে।
জানলার গরাদে আটকানো নোনতা জল
সাদা পাতায় ছড়িয়ে চিত্কার।
জন্ম তোর শরীর ছুঁয়ে তুলির টান
কিন্তু তোকে সাজাতে পারি, আঁকতে পারবো না।

তোকে স্পর্শ করতে বারণ আছে
মানছি না।
জীবনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বেঁচে থাকা অন্ধকার
স্পর্শ গুলো সঙ্গিন কোনো অন্য কবিতায়।
সৃষ্টির আনন্দের মাঝে নিজেকে খোঁজা
পারছি না ,তোকে ছাড়া কবিতা লিখতে পারবো না। 

RISHI026@GMAIL.COM

বৃষ্টির দিন
........... ঋষি

তোকে বেশ আমি দেখতে পাচ্ছি
দেওয়ালে আটকানো ক্যালান্ডারের নিরিখে।
কি যেন হয়ে গেল
শোয়ার ঘরের দেওয়ালে টিকটিকিরা
ঘড়ির কাঁটায় চিত্কার।
ঘন্টা ,মিনিট ,সেকেন্ড সব সরছে
পাতার পর পাতারা উপন্যাসের  নাটকীয় মোর।

আমি ঠিক বুঝতে পারছি
গাল থেকে গড়িয়ে পরা ঘামের টুকরো।
আর হৃদয়ের গড়িয়ে নামা আশ্রয়টাকে
তোর সাথে জুড়ে দিলাম ব্যস্ত ঠিকানায়।
চিঠিটা আসে নি ,আমিও যাই নি
শুধু বারান্দার সাথে জোড়া ক্যাকটাসে
সেক্সোফোনের নগ্ন রক্তপাত।

তোকে আলাদা করে বলবো ভেবে
ছাদের রেলিং ধরে আকাশ ধরতে গেলাম।
নেমে গেলাম বৃষ্টির সাথে সোজা মাটিতে
আজকে বৃষ্টির দিন।
কয়েকপশলা বৃষ্টি আমার শহরের পোশাকে
ভিজে মাঠঘাট ,ভিজে শহর
মিথ্যা রক্তপাত আর একলা সময়। 

Saturday, June 21, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

ওই চোখ
.......... ঋষি

তোমার চোখের আরশিতে আমি নিজেকে দেখেছি
সোজা আমি চলেগেছি তোমার গভীরে
যেখানে জন্ম ,মৃত্যু ,ভয়
সব তুচ্ছ প্রাচীন প্রবাদ আমার কাছে
আমি তোমার চোখে নিজেকে দেখেছি

ছৌ নাচের পটভূমি ছেড়ে কখন যে মুখোশটা
আমার বুকে ঠিক তোমার মতো চোখ
শত সহস্র প্রাচীন কবিতার নেমে আসা গুড়িগুলো
আমার বুকে ঘর করে
আর সেই ঘরের ভিতর তোমার দুটো চোখ

আমি হেসেছি ,আকাশ ছিঁড়ে চিত্কার করেছি
তোমার ও চোখের আরশিতে আমি নিজেকে দেখেছি
নিজের শহরে ফুটপাথে একা হেঁটেছি
আর রাস্তার হডিং -এ তোমার চোখ
মনের মধ্যে এঁকেছি নিজের করে

কত বার ,কত বার তোমার চোখে আমি নিজেকে দেখেছি
বুকের অলিন্দ থেকে শতসহস্র রক্তধারা
আমার ক্যানভাসে সাদা পাতায় বৃষ্টি
আমি ভালোবেসেছি নিজের করে
তোমার ওই চোখ

RISHI026@GMAIL.COM

বিবেকের সাথে
.................... ঋষি

সবাই চলে গেছে
আমি একলা দাঁড়িয়ে বিবাগ বিবেকের কাছে।
হাসছি খুব হাসছি
মনের ভিতর থেকে পবিত্র সাপ
আমার নাভিতে উন্মাদ  সৃষ্টিতে।

আমি ভাসছি গভীর শেওলা জলে
গভীর করে তলদেশে সময়ের সাথে।
আমাকে কুঁড়ে খায় সমুদ্রের নীল তিমি
বিশাল এক আকাশ দুরত্বে
হা করে গিলে নেয় গভীর চেতনায়।

শব্দরা সব বেশ্যার মত আমার বাগানে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে শরীরের উষ্ণতা।
ফুল ফুটছে ,জীবন হাসছে
আর প্রেম নাভিশ্বাস সময়ের সাথে
শব্দরা আজ দাঁড়িয়ে আমার শিরায়।

ক্লিওপেট্রার দেশে নীলনদের জলে
আমি তলিয়ে আছি প্রাচীন ঘুমে।
আমাকে জড়িয়ে বিষাক্ত কোবরা
আমি ভাসছি আরো গভীরে অবচেতনে
বিশ্বাসী বিষের সাথে।

সবাই চলে গেছে
আমি একলা দাঁড়িয়ে সবজান্তা সময়ের সাথে।
দুহাতে সময় জড়িয়ে আছি বুকে
মনের ভিতরে শুয়ে পবিত্র সাপ
আমার চেতনায় গরুরের ঠোঁট। 

RISHI026@GMAIL.COM

কুহকিনী .
.......... ঋষি

একটু বাকি ছিল
গড়িয়ে পরা দুর্বলতার  সাথে সহবাস।
হাজার বছরের প্রাচীন কোনো সভ্যতার লিপিতে
লিখে ফেলা এই অপেক্ষার বিকেলবেলা।

যতটুকু ছিল সবটাই দিয়েছি
শুধু জড়িয়ে ধরা অস্তিত্বদের মাঝে।
ফিসফিসে কিছু অন্তর্দহন
ফলসরূপ আমার রক্তে তোমার বাস।

পারি নি নিজেকে সরিয়ে গড়ে দিতে তাজমহল
মুখের থেকে কেড়ে নিতে স্পর্শ।
শুধু সরিয়ে রেখেছি  তোমাকে
নিজের  থেকে অন্তর দহনে।

চেতনার ফুটপাথে শুয়ে নগ্ন পৃথিবী
আমার ঘরের থেকে আকাশের ছাদ।
দুরত্বের ফুটোয় সর্বস্য দিয়েছি
তবু পারি নি ছুঁতে তোমায়।

এতটুকু বাকি ছিল
আমার পাওয়ার তোমার কাছে।
প্রাচীন প্রবাদে আকাশের আজ গর্ভপাত
ফল স্বরূপ  বৃষ্টি আমার শহরে।

rishi026@gmail.com

দাগ রেখে গেছে
............ ঋষি

দাগ রেখে গেছে
সে যাওয়ার চলে গেছে।
কিন্তু কোথায় এই মেঘলা আকাশে
দাগ রেখে গেছে।

তোকে বলেছে কেউ তোর চোখটা বড় গভীর
ওখানে একটা চাহিদা রাখা আছে।
তোর নরম বুকের প্রলেপে রাখা সভ্যতার ভিতরে
কোথায় যেন সব জ্বলে পুড়ে গেছে।
তবে  জানিস সে দাগ রেখে গেছে।

তোর নাভির থেকে উঠে আসা দুটো হাত
তোকে জড়িয়ে আছে।
তোকে বলেছে সুন্দরী জানি
কিন্তু তোর সাদা পাতাগুলো শূন্য রেখে গেছে।
তোর বুকে কোথাও দাগ রেখে গেছে।

বারান্দার বাইরে একটা পৃথিবী
যেখানে অনেক আশা রাখা আছে।
তোর অবলম্বন তোর গভীরে ধরা আছে
কিন্তু কি জানিস বড় জ্বালা।
তোর বুকে কেউ দাগ রেখে গেছে।

দাগ রেখে গেছে
সে যাওয়ার চলে গেছে।
তোর বারান্দার বাইরে অন্য আকাশ দাঁড়িয়ে আছে
তোর বুকে সে জানিস দাগ রেখে গেছে।

Friday, June 20, 2014

rishi026@gmail.com

হাঁটতে থাকা
................ ঋষি

কাল ঘুম হয়নি ভালো
অশরীর মতো আমার আত্মারা শহরের পথে।
এদিক ওদিক শ্মশানের ছড়ানো ছাই
আমি জীবিত মৃত এক কাব্য
এক অভুক্ত ভিখিরি জীবনের পথে।

কাদা মাটি আর বৃষ্টির যন্ত্রসুর
একলা ছাদে ঝুলন্ত বাদুরের খিদে শুয়ে।
জীবন গিয়েছে চলে পৃথিবীর পথে
কাল রাতে ঘুম হয় নি
আমার সময় ,অসময় একলা পথে।

মেটে গন্ধে শুয়ে আছে শহরের যিশু
ক্লান্ত মা আমার রুগ্ন  শহর রাজকীয় পথে।
রক্তাক্ত বিবর্ণ শেষ ৬ দিন
জীবন থেকে তুমি চলে গেছ ঈশ্বর
আমার প্রেম অন্য পথে।

ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিগুলো নোনা রক্ত
টেলিফোনের ওপারে তুমি ঘুমে স্বপ্নের পথে।
আমার কানে ফিসফিস শব্দরা রঙিন
মেরা না জোকার এক হাসি
রক্তক্ষরণ এক রাত হৃদয়ের পথে।

কাল রাতে ঘুম হয় নি ভালো
ঘুম হেঁটেছে একলা শহর তোমার পথে।
এক সকালে শ্মশানের গন্ধে পরে আছো তুমি
আমি জীবিত এক প্রাচীন পর্বত
ক্ষয়ে হেঁটে তোমায় ছাড়া অন্ধকার পথে।

RISHI026@GMAIL.COM

হায় অশোক
................ ঋষি

সমস্ত বিবাদ আমার ছিল
শত সহস্র বছরের এক কিলবিলে সাপ।

সমর্পনের পর হেঁটে গেছি নগ্ন হয়ে অশোকের দেশে
কিছুটা ছায়াতে, কিছুটা যন্ত্রনায় ধৌলি পারে কষ্ট নদী।
সম্রাটের ছায়াতে ভাসিয়েছিল লাল রং
হয় অশোক ,হায় অশোক
তোমার সভ্যতার তিরঙ্গার ত্রিবর্ণ রং।
সেখানে কোথায় আমার রং  
কোথায় আমার যন্ত্রণার লাল ছোপ।

তোমার উদ্ধত হাতে বাঘের থাবা
শতসহস্র লাল রক্তবিন্দু তোমার বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যে।
লাল মাটি তোমার অশোক
আমি নগ্ন ,অসভ্য সহস্র প্রাচীন সভ্যতা।
বিস্তৃত তোমার উদ্ধত চহনির তলোয়ার
আমার বুকে শুধু যন্ত্রণা
তোমার উপলব্ধি এক জীবনী শান্তি, শান্তি ,শান্তি।

কোথায় শান্তি সম্রাট ,তোমার কোন পাথুরে আবিষ্কারে
আমিও শান্তি চাই অশোক তোমার মতো। 

RISHI026@GAMAIL.COM

একলা আকাশ ২
......... ঋষি

একটা কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে চেতনার আবর্তন
সবাই তো ভালো করতে চাই আমার।
কিন্তু যখনি ঝুঁকে পরে সভ্যতার সিঁড়ি
তখনি আকাশের গায়ে কাটা ঘুড়ি।
ভো - কাট্টা, ভো কাট্টা
এই সময় ,অসময়
একলা আকাশে ওড়া আমার।

ঘুম ভাঙ্গা সকালে আমার দরজায়
গোলাপ আসে নি ,আসবে কি করে।
ফুটতে পারে নি ,শুধু কাঁটা ফুটে রক্ত
সবাই তো ভালো দেখতে চাই আমার।
দুহাত বাড়ানো কোনো ছায়াছবির নায়ক
সবাই আসলে ভালো থাকতে চাই।

কিছুটা এগিয়ে গিয়ে কক্ষ ছাড়া আমি
আমার চারপাশে ছড়ানো এই গ্যালাক্সি।
আমার আবর্তনের কোনো নিয়ম নেই
সবাই তো ভালো করতে চাই আমার।
কিন্তু আকাশের গায়ে মেঘলা বিকেল
বিছানার চাদরে শীতলতা
আসলে আকাশ ছাড়া বারান্দা আমার। 

Thursday, June 19, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

সেদিন পূর্ণ হবো আমি
............. ঋষি

যেদিন বুকের রক্তে লিখতে পারবো বর্ণমালা
সেদিন বুঝি পূর্ণ হবে আমার কবিতা।
সস্রধারার মত জংলি জলপ্রপার আমার কবিতার
ধারাপাত ছুঁয়ে যাবে অসংখ্য বন্য আগুনে।
সেদিন পূর্ণ হবো আমি।

যেদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখবো তোকে
আমার সামনে রুপোলি স্বপ্ন তুই।
সেদিন তোর বুকে মাথা রেখে করব প্রতিজ্ঞা
আর যন্ত্রণা না ,,,এবার জীবন।
সেদিন পূর্ণ হবো আমি।

যেদিন অজস্র ঝরা পাতার মত জীবনের কালি
উড়ে যাবে দুরে ,,বহুদূরে।
যেখানে শান্তি ,যেখান আনন্দ ,,যেখানে জীবন
সেদিন আমি কাঁদবো শেষবার।
সেদিন পূর্ণ হবো আমি।

যেদিন এই পৃথিবীর মোহে থাকবে না পঞ্চ রিপু
সমস্ত স্তব্ধতার অন্ধকারে অবসানে নতুন আলো।
নতুন সূর্য আমার সভ্যতায়
এক নতুন সৃষ্টি জীবনে মানে।
সেদিন পূর্ণ হবো আমি।

যেদিন বুকের পাঁজরে আর কাঁদবে না স্মৃতি
ভাঙবে না সুখের ঘর সাজানো আলোতে।
সেদিন সপ্ন হেঁটে যাবে খালি পায়ে
তোর মতো আমার সাথে।
সেদিন পূর্ণ হবো আমি। 

RISHI026@GMAIL.COM

আমার তুমিতে
............ ঋষি

সময়ের সাথে মাটির প্রলেপ জীবনের উপর
কিন্তু মাঝে মাঝে বৃষ্টি আসে।
মাটি ভিজে কাদা ,,তারপর যন্ত্রণা
আর যন্ত্রনা যেন কলঙ্কিনী তোমাতে
ধরা দেই সব স্বপ্ন বেদনা।

বেদনার কথা বলতে গেলেই
গলা শুকিয়ে যায় ,জিভ আটকে যায় নাভিতে।
আর মস্তিষ্কের প্রকট সভ্যতায় আগুন
রাগ হয় ,বড় রাগ তোমার উপর
তবুও তোমায় পেতে ইচ্ছে হয়।

ধরা দেওয়া কবিতারা বারান্দার রেলিঙে
কখনোবা ছাদের সিলিঙে নৃত্যরত তুমি।
আসলে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়
ঠিক তোমার নরম বুকে ,তোমার গন্ধ
পৌঁছে যায় স্বপের সিঁড়ি ওপারে তোমাতে।

অদ্ভুত এক বদ রোগ আমায় জড়িয়ে বাঁচে
যখন তখন কাজের ফাঁকে একলা আমি।
ঠিক তুমি দুম করে চোখের পাতায়
হাসতে থাকো দুহাত বাড়িয়ে আমার দিকে
আমি ছুঁটতে থাকি পা হড়কে তোমার কাছে।

আসলে সময়ের মাটির প্রলেপ ফেঁটে যায়
চির ধরে স্পন্দিত হৃদয়ের স্পন্দনে।
কিছু না বলা কথা ,কিছু লুকোনো ব্যাথা
তখনি ভীষণ একলা করে
আমার হৃদয়ে লোকানো আমার তুমিতে। 

rishi026@gmail.com

তোর কবিতা
.................. ঋষি

আগমনী আমার কবিতারা তোকে ছুঁয়ে থাকে
তোর গরম নিশ্বাসে আমার কবিতায় আগুন।
আমি তোকে সদ্য কিশোরীর মত সাজায়
অষ্টমীর কাঁসর ঘন্টার মাঝে প্রতিমার মুখে।
তোকে বলিনি কখনো
আসলে আমি জানি তুই আমায় ভালোবাসিস।

তোর সেই সাগর পাড়ের থিওরিরা
যেগুলো পাহাড় পর্বতে বন্দী গুহায়  ,সব বুঝি।
তাইতো থিসিস লিখি নি তোকে ,
লিখেছি কবিতা।
আমার কবিতারা তোকে ছুঁয়ে হাসে
কখনো কাঁদে অবেলায় ।

আগমনী তোর ঝলমলে পোশাক
চারপাশে তোর আলোর ছড়াছড়ি।
কেউ বোঝে না আমি তোকে বুঝে নি
তোর উন্নত স্তনের মাঝে লুকনো হৃতপিন্ডে,
কিছু কষ্টেরা আমাকে ছুঁয়ে  থাকে
আমি তাদেরকে কবিতা লিখে দি।

আগমনী তোর কবিতার শরীরে আমি বাঁচি
তোর ছুঁয়ে থাকা চোখের পাতায় ,,আড়ালে হাসি।
আমি ভালোবাসি ,,ভালোবাসি তোকে পাগলের মত
কিন্তু তোকে জড়িয়ে ধরতে পারি না।
কেন জানিস ,,তুই দেবী ,,আমি তুচ্ছ
আমি তোকে মানুষ করতে  পারি না। 

rishi026@gmail.com

বিভাজিত আবর্তন
................ ঋষি

মানচিত্রের শরীরে  রক্ত লেগে গেছে
বিভাজনের পর টুকরো তারপরে টুকরো।
আসলে টুকরো গুলো সব মানুষের করোটিতে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘর বেঁচে থাকা
একা নিরালায়  ... আর জ্বালায়।

কয়েকটা মোমবাতির তলায় অন্ধকার
অন্ধকার নেতৃত্বের রাজনৈতিক আলোরণে।
যুদ্ধ চলছে হিরোসিমায় চিরদিন ,চিরকাল
আর অন্ধকার ব্ল্যাকআউট
টুকরো শহরগুলোর শিরায় শিরায়।

যে অহংকারে সাদা কালো রং  পৃথিবীর
সেই পৃথিবীর ভিনদেশী আমরা।
ভুলে আছি পৃথিবীর নীল , সবুজ রং
শুধু রক্তের রঙে রাঙিয়ে আছি আমরা
সেখানেও বিভাজন সম্পর্কের শিরায় শিরায়।

আসলে যুদ্ধ চলছে মানুষের সাথে মানুষের
যুদ্ধ চলছে ইচ্ছার সাথে নরকের।
প্রেম ,মায়া ,সত্যি সবটাই ছায়া আজ
আর লোভ ,হিংসা ,মিথ্যা সব।
মানুষের কায়া ,,,

মানচিত্রের শরীরে মনুষত্বের রক্ত বমি
উঠে আসা নর্দমার জল মিশে আছে সমুদ্রে।
কালো কালো ধোঁয়ার কালি ছড়ানো বাতাসে
মানুষ করোটিতে শুধু লোভ বাঁচা
আর তার জন্য বলি ,,একটা শব্দ ভালোবাসা। 

rishi026@gmail.com

মনুষত্ব  একদিন
................. ঋষি

স্বাধীনতা ,পিতৃ ,প্রজাতন্ত্র দিবস
গাল ভরা নাম।
কিন্তু শুয়ে থাকা অনুভবের মাদুরে
একটা দিন মানুষের হতে পারতো।
হাসতে পারতো সময়ের গতির বুলেটিনে
মনুষত্ব  একদিন।
একটু অন্যরকম যেদিন কেউ বলতো না
খিদে ,খিদে ,,খিদে।

খিদে শরীরের ,খিদে অর্থের ,খিদে যশের
খিদে ,,খিদে ,,,খিদে।
আকাশের মাঝে ঝুলন্ত খিদের মেডেল
মানুষ ঘুমোচ্ছে এখন রাত্রি।
আর আমার হাতে খোলা তলোয়ার রক্তের
খিদের মনুষত্বের মস্তকহীন নারী।
শুধু শরীরটা দরকার বিভত্স খিদে
অমানিবকতার ধর্ষণ প্রতিদিন তিলতিল।

ছড়ানো ছেটানো  রাত্রির শ্মশান
চারিদিকে শব করে কলরব।
আমি আকন্ঠ বিষে নিমজ্জিত ইশ্বর
গেঁথে চলেছি রক্তের মনুষত্ব  গাঁথা।
আর মানুষ ঘুমোচ্ছে সুখে বেঁচে থাকার
নিজের স্বার্থের গলা জড়িয়ে।
মনুষত্ব  একদিন
অপেক্ষায় সুদিনের মানচিত্রের আঁচরে।

Wednesday, June 18, 2014

rishi026@gmail.com

শহরে বৃষ্টি
............. ঋষি

এইমাত্র শহরটা ছিঁড়ে এলো মেঘলা চোখে
আকাশ চিঁড়ে ছুঁটে গেল জ্বলন্ত মশাল
আমার বুকে।
চারিদিকে শঙ্খ ধ্বনি খোল করতাল
আকাশ ভাঙছে ,,পৃথিবী ভাঙছে
আজ সারা রাত বৃষ্টি আমার শহরে।

আজ ডুবে যাবে পথঘাট
আমার দুচোখে আগুন তোকে ছোঁয়ার।
আজ পৃথিবী কাঁদছে ধংস লীলায়
আজ আর সকাল হবে না।
শুধু বৃষ্টি,শুধু বৃষ্টি ,শুধু বৃষ্টি
তোকে ছোঁয়ার ,,তোকে পাওয়ার ,,সবটুকু।

এইমাত্র লোডশেডিং আমার শহরে
ফুটপাথে উঠে আসা নর্দমার জল।
আজ বুকে লেগে আছে রক্তস্রোত
নোনা জল ,,তোকে পাওয়ার ,,না পাওয়ার।
কত ছল ,,,চল ভিজি আজ
তোকে পাওয়া না পাওয়া ক্লান্ত রাত  .

এইমাত্র ডুবে গেল অন্ধকার চারিপাশে
একলা শান্ত ,নিস্তব্ধ আমি।
আজ বৃষ্টি হোক ক্ষতি নেই
আজ রক্তপাত আমার হৃদয়ের তাতে কি।
আমি অপেক্ষায় ,,আমি অপেক্ষায়
তোর আসার ,,,আর তোর ছোঁয়ার।



rishi026@gmail.com

 অমঙ্গল আমি
............ ঋষি

আজ ভীষণ কষ্ট হচ্ছে
জন্মানো মাত্র মায়ের প্লাসেন্ট ছিঁড়ে।
আমি এক অভিশপ্ত  প্রাণ পৃথিবীর বুকে
এমন হয় জানিস
যখন সূর্যের আড়ালে চাঁদ আর গ্রহণ।
যখন পৃথিবীর কোলে
তখন শিশু বলে অমঙ্গল ঘোর অমঙ্গল
মায়ের বুকে মাথা।

হলো না রে নিজেকে জেতা গেলো না
অনেকটা পাথরে আঘাতে পিছিয়ে গিয়ে।
অন্ধকারে পিঠ ,,,,কিছুতেই
নিজেকে  জেতানো গেল না।
যখন রৌদ্র হাসে পৃথিবীর বুকে
আমি পুড়ি ,,,,, আর বৃষ্টিতে।
ভিজতে ভালোবাসি কেন জানিস
হাসতে পারি নোনতা জলে ,,আমার যন্ত্রণা।

আমি হাসতে পারি যখন তখন
নিজের বুকের ভিতরে লোকানো ক্ষতগুলো।
আমি ঢাকতে পারি ,,,,,যখন সমাজ চলে
কিন্তু অন্ধকারে মাথায় শেয়ালের ডাক
তখন ঘোর অমঙ্গল পৃথিবীর বুকে।
ঈশ্বর ডাক ,,,ইশ্বর ডাক ,,,শান্তি আসুক
আসবে না শান্তি এ বুকে
রক্তাক্ত নাট্যমঞ্চে অমঙ্গল আমি।


rishi026@gmail.com

এমন করে
................. ঋষি

তেমন করে চাই নি তোকে আমি
অন্ধকারে কাজল লাগা চোখ।
বুকের খাঁজে আটকে আছে আঁচর
আমার তোকে জড়িয়ে ধরার রোগ।

ভালোবাসার শব্দটুকু নেবো
তোকে আমি ,ঠিক মিশিয়ে দেবো।
আমার রক্তে  গঙ্গা ফড়িং নাচে
তোকে আমি বুকে টেনে নেবো।

হাজার বছর পূর্ণ এ আদর
আদিমতম স্পর্শে জড়ানো সাধ।
কেমন করে রইবো বেঁচে আমি
মৃত্যুভাঙ্গা ভালোবাসার ছাদ।

এমন করে আগুন জ্বলুক বুকে
মরতে থাকি তৃষ্ণা ফাটা ঠোঁট।
তোর বুকেতে অদৃশ্য সেই আগুন
হারিয়ে গিয়ে ফিরে আসার রোগ।

এইভাবে এক আদিমতর বুকে
রাখবো মাথা ঝড় তুফানে স্রোত।
বুনবো স্বপ্ন ভালবাসার শোকে
আমার ঠোঁটে জড়িয়ে তোর ঠোঁট।

এমনকরে কাটবে যে দিন জানি
সময় সে তো ইশ্বরের মত জ্ঞানী।
আমরা শুধু সময় বুনতে পারি
ভালোবাসার কষ্টটা যে জানি। 

rishi026@gmail.com

তোর জন্য
,,,,,,,,,, ঋষি

কি রে কতোটা স্পর্শীল তুই
বলিস না স্পর্শ গুলো মরে গেছে।
আদিম আর আদিমতা মাখা মোহের আবর্তন
যন্ত্রণা পুনারাবৃতি আর সময়ের নিয়ন্ত্রণ।
সবটাই শুধু পাওয়া
মিথ্যে কি এই চলে যাওয়া
সব আছে এখনোও মরে যাস নি তুই।

হাসছিস যে সভ্যতা রঙের এই হাসি
আমি আটকাতে পারবো না।
তোর শাড়ির আঁচলে নরম বুকে
আঁচরের দাগ ,আমি মুছতে পারবো না।
যদি পারি তবে একটু স্পর্শ দিতে পারবো
বাঁচতে পারবো তোর সাথে
কিন্তু সময় ফিরিয়ে আনতে পারবো না।

কি রে কতোটা সময়ের সাথে তুই
কাঁদছিস ,ওটা তোকে মানায় না।
জীবনের পরে যদি কিছু থাকে সেটা তুই
আর তোর চোখে নোনতা মানায় না।
সবটাই শুধু পাওয়া
মিথ্যা কি দাগ টেনে যাওয়া
সব আছে এখনো বেঁচে আছিস তুই। 

rishi026@gmail.com


মৃত প্রেম
......... ঋষি

সত্যি দহনের মুহর্তে
আর কিছু না  একটু জ্বালানি দিও।
আমি যে পুড়তে  চাই
আমার কলমের নিবে রক্তের দাগ।
জীবনের সাদা পাতায়
আমি লিখতে চাই।

আর কিছু না সময় হাসুক
একটু চোখ খুলে সূর্যের আলো।
আরো জোরে পৃথিবীর আবর্তন
ঝড় উঠুক ,,পাথর ভাঙ্গুক হৃদয়।
রক্তপাত,,,,, বলতে চাই
ভালোবাসি তোমায়।

এক আকাশ মেঘ ওপারে রৌদ্র
ক্লান্ত পায়ে হেঁটে চলা।
কাটছে সময় ,কাটছে বেলা
একলা এই বিকেলবেলা।
শুধু মূর্ছনা ,,, তুমি শুনছো
আমি ও যে বাঁচতে চাই।

সত্যি দহনের মুহুর্তে
আর কিছু না একটু স্পর্শ দিও।
আমি যে পুড়তে চাই
আমার কলমের নিবে বিষাক্ত রক্ত।
তোমার মৃত প্রেমে আমি পাগল
ভালোবাসি তোমায়। 

rishi026@gmail.com

বৃষ্টির জলে
............. ঋষি

আজ আকাশ জুড়ে মেঘ
দু এক ফোঁটা বৃষ্টির স্বরলিপি আমার গায়ে।
এইমাত্র নেমে এলো শব্দে
ফিসফিসে যন্ত্রণা দুরে গির্জার পায়ে।
সবটুকু মেনে নিয়েছি
সবটুকু ,,,রক্তক্ষরণ যিশুর শরীরে
আর প্রেম সেতো সবার গভীরে।

কিন্তু বৃষ্টি সুন্দর তরল নোনা জল
আর প্রেম ঘুমন্ত সভ্যতার লুকোনো আঁচল।
জড়িয়ে ধরে আবছা লেগে হৃদয়ের গায়ে
কিছু ফেলে আসা মুহুর্তের ,,,নোনতা জল।
ছিটে তোমার ঠোঁটে।
আর তুমি আমার একসমুদ্র প্রেম
আমার স্বপ্নের স্পর্শ ,,,ছুঁতে চাই।


ছুঁতে চাই তোমার ভাস্কর্যের অন্তরে
তোমার গভীরে ,,,,,আদিম সভ্যতা।
আমি বৃষ্টি নদী বয়ে যায়
চোখের কাজলে লেগে থাকা মোচড়ানো দাগ।
কেটে যায় ,চলে যায় সময়
এই অবেলায় তোমায় ছুঁয়ে
শুধু তোমাকে পেতে চাই ,,বৃষ্টির জলে। 

Tuesday, June 17, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আমরা হাসছি
......... ঋষি

বিষ শুধু বিষ ,,সময়ের বালিশ
রাজপথে লুটিয়ে চলে আঁচল চিত্কার।
বাঁচাও ,বাঁচাও ,,,বাঁচাও
হাসছি ,, খুব হাসি পাচ্ছে
উজবুক জনতার মাঝে আমি হাসছি।

মেয়েটা দৌড়চ্ছে লজ্জা ,অভিমানে
আমাদের থেকে দুরে আরো দুরে।
কোনো নিমজ্জিত চেতনার ভিতরে
আমাদের বাঁচাতে ,নিজেকে বাঁচাতে
জন্মের থেকে দুরে সভ্যতার পাঁজরে।

তার শরীরে কাপড় নেই
নিখুত  রোমান  দেবীর উন্নত বুকে।
পিছলে পরছে খিদে শরীরের প্রাচীন স্তবকে
লেখা কিছু পশুর চিত্কার
আরো জোরে নামছে সভ্যতা নিচে নাভির ভিতরে।

আমরা হাসছি ,উজবুকের হাসি
বন্ধ করোটির ভিতর শীতল নীল নেশা।
রোজকার জীবনে হারিয়ে যাচ্ছি
উড়তে উড়তে ,আরো পিছনে
সৃষ্টির শেষ দিনে।

মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে রক্তাক্ত ,লজ্জিত
টিভি ক্যামেরা ,খবরের কাগজ চাটছে।
তার যোনিতে প্রশ্ন উঠছে
মেয়েটা ভালো না ,খারাপের
আর আমাদের হাততালি খবর জমেছে।

খবর জমেছে মেয়েটার শরীরে গন্ধে
মাংসের গন্ধ,,শরীর লোভী সভ্যতার উঠোনে।
আজ সবার পিকনিক ,ফিসফিস কানে কানে
আমি হাসছি সবার মাঝে একসাথে
ছড়ানো ছেটানো সমাজে মেয়েটার কবরে।


RISHI026@GMAIL.COM

আমি পিরামিড থেকে বলছি
................ ঋষি

একটা ঝাঁঝালো কটু গন্ধ
অনেকদিনের বদ্ধ ঘরে আমি ঘুমোচ্ছি।
চারিদিকে জঞ্জাল,ইঁদুর,বাদুঁর আর সাপ
আমি ঘুমোচ্ছি
আমি পিরামিড থেকে বলছি।

আমার শরীর ছুঁয়ে অনেক ঔষধি
অনেক প্রাচীন রঙের আমার আমার সভ্যতা।
এখানে সকালের আগুনে সোনালী ছাই
আর তৃষ্ণায় আমি পুড়ে ছাই
আমি জাগতে চাই সভ্যতার প্রেমে।

পৃথিবীর সপ্ত আশ্চর্যের এক জন পিরামিড
তার ভিতরে গভীর কুঁপে আমি নিদ্রামগ্ন।
আমি স্বপ্ন দেখি ফিরে আসার
শতাব্দীর নতুম আলোয় নীলনদের তীরে
আমি নগ্ন ফারাও বড় একা

আমি জানি মৃত্যু সম্ভব এবং মৃত্যুর পর জন্ম
আনুবিসের সংরক্ষিত আমি।
মমির ভিতর ,,কয়েক হাজার বছর
অপেক্ষায় আবার জন্ম নেবার
আরেকবার রাজকীয়  জয়ধবনি আমার কানে।

আর কিছুদিন এই ঝাঁঝালো গন্ধ
অনেকদিনের পুরনো আতরে আমি।
আমি পিরামিড থেকে বলছি ফারাও
আমার আত্মারা বন্দী পাথরের ত্রিভুজে
জন্মের অপেক্ষায় ,জেগে ওঠার , আরেকবার। 

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...