Tuesday, March 31, 2020

অন্য সময়ের মানুষ



অন্য সময়ের মানুষ
... ঋষি
.
নিয়তি ভাঙার ভীড়
নিয়তি নাকি শুয়ে আছে এই কবিতায় স্তব্ধতার পাশে,
নিয়তি নাকি শুধু প্রতীক্ষা,
নিয়তি নাকি শুধু বেঁচে থাকা
নিয়তি নাকি শুধু ঘোর অন্ধকারে দেখা দূরে আলোর ফোঁটা।
নিয়তি আকাশের চাঁদ,নিয়তি সূর্য
নিয়তি সকালের ঘুম ভাঙা,নিয়তি রাত্রে ঘুমিয়ে পরা।
.
এতই যদি নিয়তি মানলাম তবে বেঁচে থাকা কেন?
এতই যদি কবিতা ভাবলাম তবে এমন লিখলাম না কেন?
এতই যদি তোমার ছবি আঁকলাম তবে আঁকড়ালাম না কেন?
এতই যদি ভালোবাসলাম তবে বাঁচলাম না কেন?
.
এসব কথা মিথ্যে আজ,
সত্যি করে বলতে গেলে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা একটা আর..ট।
যারা এই আর..ট কে বিশ্বাস করে, যারা বেঁচে থাকে
তারাই এক মাত্র বেঁচে থাকতে পারে,
নাটক করতে পারে, সাজানো নিয়ম মানতে পারে।
কিন্তু অসুবিধা হলো
আমার মতো কিছু হতভাগা আছে যারা  নিয়ম মানে না
শুধু নিজের মতো করে নিয়ম তৈরি করে,
সমাজ মানে না, ঈশ্বর মানে না
মানে ইতিহাসকে,মানে সময়ের গভীরে রাখা অনুভুতিটুকু
যারা জানে মানুষ সভ্যতা তৈরি করে
কিন্তু সভ্যতা মানুষকে না।
তারা শুধু হারিয়ে যেতে চায় সবুজ অরণ্যে, নীল দিগন্তে
শুধু সবুজ মাখতে চায়,শুধু ভালোবাসতে চায়
শুধু নিজেকে হারাতে চায় সময়ের মাঝে।

মিস্টার মুখার্জির স্ত্রী


মিস্টার মুখার্জির স্ত্রী
... ঋষি

অভ্যস্ত তালে অনঅভ্যস্ত সময় চেয়ে থাকে
চেয়ে থাকে নারী শব্দটার ভীত সামাজিক পুরুষের প্রতি।
আসলে  সত্যি করে মিথ্যে বলার নাম সমাজ
আর প্রতিদিন গরম ভাতের থালায় জীবন শুধু বাঁচার নাম।
দিন বদলায় ঠিক,
আমাকেও ঠিক একইরকম পাবেন গল্প, উপন্যাস
এমন কি সমাজের প্রতি গৃহস্থের চালচিত্রে।
.
সময় শুধু বদলায়
কিন্তু নারী মানেই যে শুধু পুরুষের ভোগ কিংবা সহ্য।
ধরুন আজ আমি পাঁচ বছরের ছেলে নিয়ে আজ সাতমাস বিধবা হয়েছি
কিন্তু আমার পরিচয় কি?  শুধু মিস্টার মুখার্জির বিধবা স্ত্রী
কিন্তু আমার তো নিজের একটা নাম আছে। 
কেও জানে সেই নাম ?
এমন কি শুধু আজ থেকে ?এতো জন্ম থেকে আমরা জানি
নারী মানেই দাস
প্রথমে পিতা, তারপর পতি, তারপর পুত্র শুধু বাহানা।
.
আচ্ছা ধরুন আমি বিয়ে করলাম না
তখন আরেক ফ্যাসাদ। বাড়িতে বিয়ের বয়স্ক কুমারী মেয়ে
মা, বাবার মুখ পুড়ে যায়,বোন কিংবা দাদাকে বিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আচ্ছা ধরুন আমি পড়াশুনা করে চাকরী জুটিয়ে ফেল্লাম
রাত করে অফিস থেকে বাড়ি ফিরছি,
এখন সমাজ বলছে বাজে মেয়েছেলে,
সময় বলছে এমন মেয়ের বিয়ে হবে কি করে ?
নষ্ট মেয়ে যে।
.
কিন্তু আমি যে খুব সাধারন, পড়াশুনা জানি না
তার  ওপর আজ সাত মাস ভাড়া বাড়িতে আছি মিস্টার মুখার্জির বিধবা স্ত্রী।
আমার পাঁচ বছরের ছেলেটা খুব কাঁদছে
বাড়িতে একফোঁটা খাবার নেই, টাকা, পয়সা,ইনসিওরেন্স কিছুই রেখে যাই নি লোকটা
এখন কি করবো আমি?
কে দেবে উত্তর? মৃত্যু কি এই সময়ের একমাত্র উত্তর?
নাকি আরেকবার বসে পড়ি নিজের অস্তিত্ব বাঁচাতে বিয়ের পিঁড়িতে।
.
যে দেশে বিয়ের আগেই পুরুষ দেখে বাসর ঘরের স্বপ্ন,
যে সভ্যতায় সময় খোঁজে কুকুরের মতো  নারী শরীরের গন্ধ
যে দেশে সমাজ বলে
জানা আছে তো, " ওর কি পুরুষের অভাব
এ সব করবে বলেই তো নিজের মরদটাকে মারলো ",
তারপর মুচকি হেসে যোগ করে
" দেখো খোঁজ করে কজনে কাছে কাপড় খুললো "।
.
সেই সময়ে দাঁড়িয়ে আমি কি আশা করতে পারি ?
পুরুষের কাছে,
সময়ের কাছে,
সমাজের কাছে,
সভ্যতার কাছে,
কি আছে উত্তর ?



Sunday, March 29, 2020

অ নে ক ক্ষন


অ নে ক  ক্ষন
... ঋষি

অনেকক্ষণ ধরে পেঁচিয়ে নামছি
পেঁচিয়ে নামছি যেন একটা সাপ, যেন একটা প্রশ্নচিনহ,
জড়িয়ে, পিষে কাটতে আসছে  সময়
সময়ের নজরবন্দী, মানুষের পাপ বোধহয়,
আর আমি, তুমি শুধু পাপসিক্ত অহল্যা,
শুধু অপেক্ষা " মুক্তির "।
.
মুক্তি শব্দটা জানো ডিক্সানারি বন্দী একটা ধাঁধাঁ বোধহয়
উত্তর সবাই জানি,
হয়তো পা বাড়াই, খোঁজ,
হয়তো খোলা আকাশে পাখি হয়ে উড়তে চাই
আকাশে ভাসি,মনেতে ভাসি,
ভাসি সময়ের বিপরীতে কোন অন্য আকাশে।
আসলে আমাদের ভেসে থাকা গুলো সাদা কাগজের টুকরো
আচমকা শহরে রক্ত বৃষ্টি হয়ে নামে।
.
বৃষ্টিতে ভেজে সবাই
তুমি, আমি, আমরা আগুনের স্তুপে ঠোঁট রেখে কাটিয়ে ফেলি জীবন,
কাটানোটাই জীবন
কাটানাটোই বাঁচা,
বাকিসব লুকিয়ে বুকের পাঁজরে রাখা " প্রশ্ন চিনহ "
অন্য ভাষায় অপেক্ষা।
আমার মনে হয় অপেক্ষা শব্দটা একটা ম্যাজিক
একটা খোলা নীল আকাশের পাখি,
যে পরিযায়ী হয়ে উড়তে থাকে গ্রামের থেকে শহর
সময়ের থেকে স্রোতে
গা ভাসানো জীবন বাঁচতে থাকে।

Wednesday, March 25, 2020

নির্জনতা - ২


নির্জনতা - ২

সকালে চোখ খুলে বেড়িয়ে পরেছি
সামনে অফিসের রাস্তা, গাড়ির শব্দ,জমজমাট বাজার,
নিয়মের স ফ র৷
তুমি ছুটে চলেছো হয়তো বাচ্চার স্কুলে, সংসারে,বাঁচায়
আমার কবিতার আঁচড়ে একটা ব্যাস্ত দিন লেখা,
লেখা মানুষ আর পৃথিবী।
.
রোজ এমনি এটাই নিয়ম
তোমার ইনবক্সে জমা হচ্ছে তোমার ডজন খানেক টাইম পাশ,
আমার হিসেবে খাতায় জমা ব্যাস্ত সময়।
আমার সংসার, সাত বছরের ছেলে,পবিত্র নিয়মিত সমাজ
আমাকে নিয়ম করে বাড়ি ফিরতে হয়
ফেরবার সময় কিনে আনতে হয় নিয়মের টুকিটাকি।
.
রোজ ও নিয়মিত
কিন্তু এখন,
ভর সন্ধ্যা, নির্জন পথঘাট,দোকানপাট বন্ধ, পুলিশ ঘুরছে
চেকিং পোস্ট প্রতি শহরের কোনে।
অদ্ভুত
আমি বাড়িতে, তুমিও বাড়িতে এখন
আমার পড়ার টেবিল,আমার চেয়ার, আমার সিঁড়ি ঘর যারা একা ছিল
আজ আমি আছি তাদের সাথে,
 আজ কেমন নিয়মিত নিয়মগুলো অনিয়মিত হয়ে নিয়ম হয়ে গেছে।
তুমি ছাদ থেকে দেখছো
বন্ধ শহর,শহরের নতুন নিয়ম, মানুষগুলো মাস্ক পরে হাঁটছে,
আর পাখিটা ঘরে ফিরে গেছে ভয়ে
শুধু আকাশে দেখছে শাসন, " সময়ের শাসন "।




নির্জনতা - ১

নির্জনতা  - ১
.... ঋষি

নিয়ম ভাংচুর করতে কেউ বলে নি আগে
নিয়মের দরজায় ঘুম ভাংগা চোখে পৃথিবী দাঁড়িয়ে,
আমরা সব সতরঞ্জকা খিলাড়ি ছিলাম আগে নিয়ম মাফিক।
নিয়ম ভাংচুর  নতুন নিয়ম
এই পৃথিবীতে সুরজ নিভে গেছে বহু আগে,
 এখন টের পাচ্ছে মানুষ 
শুধুই " অন্ধকার "।
.
চলন্তিকা বলছে কবি তুমি ভালো বলতে পারো না ?
আমি ভাবছি অন্য কথা,
পৃথিবীর শীত করছে,ক্রমশ কাঁপুনি দিয়ে অসুখ
তারপর কিছুদিন
আমরা জানি মৃত মাছ কোনকিছু ব্যাতিক্রম ছাড়াই পোঁছে যায় হিম ঘরে।
কিন্তু পৃথিবী বলতে পারছে কই
শীত করছে চলন্তিকা " আমার স ম য় ।.
.
ফিরে আসবে দিন, ফিরে আসবে দিন
রাস্তায়, খবরে ক্যাপসানে শুয়ে বাড়তে থাকা মৃত্যু।
এখন বিকেল ছটা তিরিশ
এক কাপ কফি আর অনেকটা নির্জন আমার এই কবিতা।
কবিতার জন্য নির্জনতা বেশ
কিন্তু পৃথিবী নির্জন হলে কেমন যেন মন খারাপ চলন্তিকা।
আমার সময় ষোলআনা মৃত্যু উপত্যকা হয়ে তুলে নেবে মৃতদেহ
আমি তুমি সাক্ষী
এখন ইসপার কি উসপার
লক ডাউনে শ হ র, বাঁচার নাম ঘর।
মৃত্যু বাইরে দাঁড়িয়ে , আর আমাদের জানলা দরজা বন্ধ
বাঁচার " ঘর ",
যেন আমরা বেহুলা আর লক্ষীন্দর।



   

Monday, March 23, 2020

নিষিদ্ধ


নিষিদ্ধ শব্দে নিজেকে প্রচলিত করতে করতে
ঘুম চলে যায়।
দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো মুহুর্তরা ক্লান্ত ভীষণ
ঘুম চায়।
আর ঘুম
অরন্যে বাস করা সেই মেয়েটা, যে একা ভীষণ
নিরিবিলি জ্যোৎস্নায়।
.
মানে বোঝো নি, আমিও না
খাটের চারপাশে আমার শিয়ালের চোখ, আর
তোমার বুকে দাঁত,
ইশ হাওয়া ভেঙে পড়ে, সময় থেমে গিয়ে শুধু শরীর হাতড়ায়
আমি ঘেমে নেয়ে উঠে বসি একলা বিছানায়
জানি সবটা তো আমার নয়।
.
" আমার ছিল না কোনদিনি "
শুধু আজকাল মাঝে মাঝে মনে হয় দাবানল আমার বুকের লোমে।
মন তখন নিরাভরণ পাখি
দরজা,জানলা বন্ধ, রাত চুরি করা পরিরা মিষ্টি আদরে
ত্রিশুল পুঁতে দেয় সময়ের রাস্তায়
বিশ্বাসের মতো করে মেনে নিতে হয়।
একের পর এক ঘুমের ওষুধ জলে গুলতে গুলতে
মনকে বোঝাতে হয় মনের অসুখ,
আঁশটে বিশ্বাস মুছতে মুছতে সংসারের কাব্যে নিজেকে লুকিয়ে
ভাবতে হয় " এই তো তুমি মনে করছো আমায় "।


ছদ্মবেশী



ছদ্মবেশী
... ঋষি

হাজারো প্রশ্ন তুলে রেখেছি একান্ত আপনে
নিজের করে নিজেকে ভাবিনি বহুদিন, শুধু সময়ের দক্ষতায়।
 নিজেকে যাচাই করতে হিসেব নিকেষ খুলে বসেছি
শুধুই " দিন যাপন "।
গরম সাদা ভাত,সময়ের খবর,শরীর পরিষ্কারের গন্ধ
না দাড়ি কাটিনি বহুদিন, মাথা ভর্তি চুল
মনের ভুল।
.
ফিরে আসছি স্তব্ধতা লেখার কাজে
খুঁড়ে চলেছি নিজের ভিতর শরীরের ঘামের গন্ধ
তোমার স্পর্শ।
 তোমার হাজারো যুক্তির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আমার দিনগুলো
কাটতে থাকে,
 জানি ভালোবাসার বড় প্রয়োজন এখানে
তোমার আগের প্রেমিকদের মতো, তুমি অসহায়।
.
আমি শুয়ে আছি তোমার বুকের ভাঁজে হাজার নিযুত বছর
যেন তোমার আংগুল বেয়ে গড়িয়ে নামা বিকেল
যেমন ব্যাস্ত এই সময়।
জানি অদ্ভুত এক স্নেহ
জানি আদিমতা জুড়ে সৃষ্টি খুলে রেখেছে সময়ের জুরাসিকতা
তবু বাঁচতে ইচ্ছে হয়
সাদা ভাতের গন্ধ, শরীরের সাবান
দুপুরের সাথে, রাতের খাবার আর সময়ের ছদ্মবেশী স্পর্শ। 

স্টপ মুভমেন্ট

আজ কোন কথা হবে না,আজ শুধু রবিঠাকুর
" ভালো মন্দ যাহাই আসুক,  সত্যেরে লও সহজে "।
বেশ কিছুদিন দেখা হবে না চলন্তিকা তোমার সাথে
কিংবা বাঁচা।
আজ শুধু স্পর্শহীন,  একাকীত্ব
তোমাকে বাঁচাতে, আজ আর তোমাকে ছোঁয়া যাবে না।
.
  আজ কোন কবিতা নয়,
এখন শুধু কবিদের কলমে একাকীত্ব লেখা হোক ।
বেশ কিছুদিন কোন বাজার, দোকান কংবা বাঁচার রাস্তা নয়,
নয় কোন ভীড় কিংবা মিছিল
এখন  শুধু মৃত্যুর মুখে ঝামা ঘষে দিতে  " স্টপ মুভমেন্ট "।
.
এখন  শুধু ঘর
এখন শুধু গতিহীন শহর, রাষ্ট্র  আর সময়ের ঈশ্বর। 
এখন তুমি একা
এখন  আমরা একা
এখন ভালোবাসা স্পর্শহীন হোক আর রাতগুলো প্রার্থনার ।
আজ একা থাকাগুলো মানুষের নিজের একান্তে হোক
আজ অন্ধকারকে  হারাতে দশ বাই দশ ঘরে,
 আমাদের জীবন আরো অন্ধকার হোক।
আমরা আসবো ফিরে
আগামী কোন দিনে
অন্য সময়
শুধু অপেক্ষা এই সময় পৃথিবীর রোগ মুক্তির।

Thursday, March 19, 2020

তোমার সাথে যুদ্ধ



তোমার সাথে যুদ্ধ
... ঋষি

তোমার সাথে সঙ্গম
আর আজকের সময়ের যুদ্ধকালীন তৎপরতা ,
না মেলাতে পারি না।
তোমার চোখে কাজল দেখে  যুদ্ধকে বড় হিংসা হয় আমার
তোমার ঠোঁটের লাল লিপস্টিকে
আমি বুঝতে পারি
যুদ্ধে তুমুল আগুন কিন্তু স্পর্শ কোথাও থাকে না।
.
তোমার সাথে যুদ্ধে আমার মরতে ইচ্ছে করে
বারংবার
কিছুতেই  জিতে ফেরে না পাণ্ডবের শেষ যাত্রার দিনগুলো।
তোমার রিংটোন বাজলে
কিছুতেই বিছানায় শরীর রাখতে পারি না
পারি না রাখতে ঠোঁট তখন তোমার ঠোঁটের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।
.
যুদ্ধ চলতে থাকে
আমার না ঘুমোনে চোখের সিলিঙে একের পর এক সাদা ঘোড়ার ভিড়।
আমি জানি ঈশ্বরের আমার মতো না ঘুমোনোর রোগ
শুধু আকাশে ঘোড়া ছুটতে থাকে
আমি আর ঈশ্বর পাশাপাশি শুয়ে সাদা ঘোড়াদের দেখি।.
.
এই যুদ্ধে কোনো লজ্জা  নেই
লজ্জা নেই রাষ্ট্রের,
লজ্জা নেই সময়ের বিরুদ্ধে ছুটতে থাকা লাগামহীন ঘোড়াগুলোর।
শুধু আমি যখন ঘোড়ার পিঠ থেকে যুদ্ধ করি
দেখি ঈশ্বর মিটি মিটি হাসছেন
আর আমাকে বলছেন " যুদ্ধ করছিস নাকি "।

জীবনের পরিচয়


জীবনের পরিচয়
.... ঋষি

আমার সকাল আমার শৈশব
দুপুর হলো আমার আমার বাবার নাম।
আমার বিকেল আমার না জন্মানো বোন ,
আর অন্ধকার আমার মা।
.
ভালোবেসে আমি অন্ধকারে যাই
ভালোবেসে আমি অন্ধকারে জড়িয়ে ধরি আমার প্রিয় নারীকে ,
তবে অন্ধকার আমার কে হয়  ?
আমার শৈশব আমাকে ডাকে
আমার দুপুর আমাকে বিনা কারণে বের  করে দেয় আমার পরিচয় থেকে ,
আমার বিকেলগুলো কাঁদে
আমি ফিরে যাই রাত্রির কাছে।
.
আমাকে বিশ্বাস করুন আমি মানুষ হতে চেয়েছিলাম
কিন্তু প্রতিটা  রূপ কথায় আমি রাক্ষস হয়ে যাই ,
খেয়ে ফেলি কাঁচা মাংসের লোভে আমার সকাল ,বিকেল ,সন্ধ্যে
শুধু রাত্রিটুকু থাকে।
রাত্রে তাই আমি জেগে থাকি নিজের ভিতর
খুঁজতে থাকি পরিচয় ,
প্রতিবার হস্তমৈথুনের পর আমি ঝেড়ে ফেলতে চাই আমার বেঁচে থাকা
 বিশ্বাস করুন আমার প্রেমিকা তখন থাকে
তার  ওড়নার আত্মজীবনী, শান্ত পাখির মাংস ও বান্ধবীকে
আমার খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে তখন।
.
দেখুন আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে
কখন যেন আমি খেয়ে ফেলেছি আমার সময় ,আমার শহর ,নিজেকে।
বিশ্বাস আমার কাছে মিথ্যে কাঁচের জারে বেঁচে থাকা
যাকে চুষে চুষে খেতে হয়।
অথচ ,
বিশ্বাস করুন আমি জীবন খেতে পারি না কিছুতেই চিবিয়ে
আমার খুব কষ্ট হয়
তাই  আমি পালিয়ে বেড়াই
সব খেতে পারি আমি তবুও কারোর বিশ্বাস খেতে পারি না।

স কা ল


স কা ল
... ঋষি

তোমার কিছু কিছু লেখার পাশে
একলা জীবন ,খেলনাবাটি ছড়িয়ে বসতে ইচ্ছে করে।
রাতের পর সকাল আসতেই হবে এমন কোনো নিয়ম কোথাও নেই
তবুও আমরা কোথাও ধরে নি " এই তো স কা ল "।
আমাদের সকালগুলোর পরিচয় আলাদা আলাদা
কখনো স্বপ্নে
কখনো বাসনায় ,
কখনো সম্পর্কে
কখনো বেঁচে থাকায়।
.
আমাদের সকালগুলো সোনালী পাখির ডানা
যার আকাশ ,যার সমুদ্র ,যার পাহাড় ,যার ভাস্কর্য সবসময় হৃদয় জয় করে।
আর সবচেয়ে বড় কথা
আমাদের সকলেরই সেই সকালের  " ভয় " ভীষণরকম ।
.
ভয় আসলে রাষ্ট্রের দিকে তাকে করে থাকা বন্দুকের নল
ভয় আসলে মানুষের বুকের ভিতর হারানোর
ভয় কুমারী যোনির সামাজিক ভীতি।
.
মানুষ ভুল করে
ভুল করে খেয়ে ফেলে বিষ কিংবা মারাত্নক উন্মাদনায় ছিঁড়ে ফেলে ব্লাউজ
তারপর
কোনো একটা অন্ধকারে খোঁজে ফেরে ফিরে যাওয়া।
.
তোমার কিছু কিছু লেখার পাশে
আমার খুলে ফেলতে ইচ্ছে করে একটা মধ্যবত্তি সংসার।
বিছানা ,বালিশ ,আলমারি ,মানুষের আয় - না
রান্নাবাটি খেলা।
খেলতে ইচ্ছে করে জীবনের পুরোনো দানগুলো নতুন করে
অথচ জীবনের ভাতঘুমের বয়স আড়াইআনা দশপয়সা
যৌনতা কিনে নেয় অন্ধকার বিলাসী ঈশ্বর
আর আমি ঢুকে যাই ধীরে ধীরে  শামুকের ভিতর মুসাফির সেজে।
তোমার বুকের মাপ জেনেও
বারংবার আমাকে যুদ্ধে পরাজিত হতে হয়। 
অথচ সময়ের বুকের মাপ নিয়ে
আমাকে শিখতে হয় নিজের আত্মরক্ষার পদ্ধতি।

পুরুষ কুকুর


পুরুষ কুকুর
.... ঋষি

আমি জানি চলন্তিকা তোর চোখে ঘৃণা
তুই বুঝিস পুরুষ মানে কুকুর।
যাকে তুই যতই লাথি ,ঝেঁটা মারিস ,যতই খেতে না দিস
ঠিক লেজ তুলে আসবে।

তুই জানিস চলন্তিকা তোর  ভিতরে একটা গভীর  নদী
যার পাহাড়ায় আছে পুরুষ নামক কুকুর।
তুই জানিস তোর শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলেও পুরুষ রক্ত চোষে
যেমন ভাদ্রের কুকুর রাস্তার ধুলো শোঁকে তৃষ্ণায়।

পুরুষ চেটে নেয় সময়ের নারীর আদ্রতা
যেমন প্রতিটা যুদ্ধে মানুষের দেশ আসে নারী লজ্জার মতো।
তবু তুই  বলতে পারিস  না যুদ্ধ বন্ধ করো
কিংবা কুকুরের মতো সেক্স।

আমি জানি মার্চের লম্বা দুপুর চলন্তিকা তোর কাছে  অন্ধপাখি
অথচ বিকেলের ভাঙা রোদ গুটিয়ে ঘুমিয়ে কুকুরের মতো।
প্রতিবার দু চার পেগ পেটে পড়ার পরে
না পারলেও পুরুষ তোকে কামড়াতে চায়।

আমি অন্ধ সময়ে একলা দাঁড়িয়ে বুঝে গেছি
আমার উপসনা চলন্তিকা হয়তো কোথাও কুকুরের মতো।
নিজেকে ভুলতে আমিও হয়তো চলন্তিকা পুরুষ মানুষ
কিংবা তোর কাছে সময়ের বিদ্বেষ।


প্রতিবেদন


প্রতিবেদন
.... ঋষি

আমাকে হত্যা করেছে সময়
আমাকে হত্যা করছে আমার স্মৃতি ,
আমাকে হত্যা করতে করতে একসময় আমার বুকে বারুদ
আমার শরীরের রন্ধ্রে আগুন ,
আমার শুধু সত্যিটা বলা নেই কোথাও,কাউকে
আমাকে হত্যা করা তখন সম্ভব যখন আমি নিজের বুকে ছুরি ঢোকাবো।
.
তবু বিশ্বাস করুন আমি মানুষ
তবু বিশ্বাস করুন আমি গীতা ,কোরান কিংবা বাইবেল নই
তবু বিশ্বাস করুন আমি কাশ্মীরি ,ফিলিস্তিনি ,পাকিস্তানী কোনোটাই নই
আমি শুধুই  মানুষ
যার কাছে ঈশ্বর আর বর্তমান ,যার কাছে ভূত আর ভবিষ্যৎ
সবটাই  বাঁচা মাত্র।
.
আমার কাছে বিশ্বাস হল অন্ধকারে হাত বাড়ানো আলোর দিকে
আর সময় হলো সঙ্গমরত গভীর জলের মাছ
যার উদ্দেশ্য
শুধু জন্ম ,শুধু মুহূর্ত।
আমার কাছে দেশের মানচিত্র হল বিশ্বাস, খিদে হলো প্রয়োজন ,
 শৈশবের ঠোঁটে মাতৃস্তন  ,পুরুষের বুকে নারী সবসময়ই সুন্দর।
আমার কাছে বিশ্বাস হল অন্ধকারে পাপ , কবি আর কারাগার,
সম্রাট শাজাহানের তাজমহল আর একুশে মানে পাকতে থাকা চুল।
.
কিন্তু বিপদ হলো
আজকাল রাষ্ট্র বলে চিৎকার করে কিছু ঘুনপোকা মানুষ
আজকাল সাহিত্য বলে চিৎকার করে কিছু শকুনের মতো মানুষ।
আজকাল কবিতাও সুন্দরী হয়ে উঠলে তাকে কচলাতে আসে সময়
আজকাল নারী সুন্দরী হয়ে উঠলে শুধুই অধিকার চায় সময় ,
আজকাল মানুষের ঘরের ভিতর হাজারো ছোট ছোট কুঠরি
আজকাল মানুষের মনেতে হাজারো লুকোনো স্বপ্নের কবর।
আজকাল আর জন্ম লেখে না কেউ
আজকাল মৃত্যুতে সবাই বাঁচতে চায় ,
আজকাল সত্যি ভালোবাসে না কেউ
আজকাল শুধু ভালোবাসি শব্দটা সকলে বলতে চায়।

সে কারনে  আমার এই প্রতিবেদন মানুষের কাছে
যদিও জানি আমি মানুষ বলে যাদের চিনি তারা সকলে যন্ত্র ,
আর আমি সময় বলে যাকে চিনি
তার মুখবন্ধ।



বসন্তের টুকরো



.
বসন্ত আসেনি কোনদিনও
অথচ এই পোড়া দেশে, এই শহরে শুধু বসন্তের খোঁজ  ।
মাঝে মাঝে মনে হয় বসন্ত একজন  সুন্দরী মেয়ের মতো
যাকে ভেবে বনলতা ,যাকে ভেবে নীরা কিংবা চলন্তিকা ,
শুধু ভাবনাতেই বসন্ত আসে
পিয়ানো বাজায় মানুষের মনের খোঁজে ,মনের মাঝে।
.

.
 আমরা তো নষ্ট সময়ের কাব্য লিখি
কিশোরী চোখের হ্রদে আমাদের মৃতপ্রায় যৌবনকে একলা খুঁজি।
তারপর ক্লান্ত হয়ে
শরীরের উপত্যকায় ঘুমিয়ে পরি কোনো একলা দিনে ,
কারণ সময় মানুষের মনে  দাগ টানে
আর মানুষের স্মৃতিরা বানায় একলা ঘর ।
 .                     
  ৩                                           
.
শিকারি আর হরিণীর মাঝে এক অদ্ভুত মিল
নগ্নতা মুড়ে নিতে ঈশ্বর খোঁজে ফেরে সাধের বাগান ,
বাগানে রজনীগন্ধা।
অথচ মানুষের শোকের মিছিলে নগ্নতা আয়নায়
আয়নার উল্টোপাড়ে
মানুষ নামক জীবটা নিরুপায়।
.

.
বসন্ত তো আসেনি কখনো
শুধু সময় বাঁচে প্রেমিক শহরের রাস্তায় ধুলোবালি মেখে।
মাঝরাতে কুকুর ডেকে ওঠে একলা শহরের গলিতে
আত্মার  আর্তনাদ " বেঁচে থাকা "
শহরের অলিতে গলিতে হুজুগে মানুষ প্রেমের কারণ খোঁজে।
.

.
ক্যানভাস মেলে রাখি রং
আমাদের ভিতরের ঘরে সে আছে স্পর্শের আকাঙ্ক্ষায়।
ক্যানভাস গড়িয়ে নামা গভীর আবেদন
আমাদের মৃত্যুর মতো পরম গন্তব্যের লোভ তার ,
তারপর বারংবার ফিরে যেতে হয় মানুষকে " বসন্তের খোঁজে "।  

নাগরিক পর্যায়

নাগরিক পর্যায়
... ঋষি
.
নাগরিক - ১
.
ভালোবাসার অপরাধে প্রতিটি জন্মে আমি মৃত
আমাকে খুন করে চলেছে সময় ,রাষ্ট্র আর নিয়মের মতো কিছু।
প্রেমিকের অপরাধ কাব্যিক ও গৌরবময় শুধু আদর্শিত কিছু নিয়ম
আর প্রেমিকার কাছে  রাষ্ট্র শুধু সামাজিক।
মৃত্যুর মুখে আগুন দেবার সময় আমার প্রতিটা কবিতা নীরবতা সাক্ষী
বাধ্যতামূলক নাগরিক পর্যায়
আমরা শহরের লুকোনো প্রেম ও নাগরিক।
.
নাগরিক - ২
.
ভালোবাসার অপরাধ প্রেমিকাকে একলা করেছে
নদীতে বাঁধ দিয়ে , গাছের নাড়িভুঁড়ি বার করে ক্লোরোফিলের রক্ত
আজ শুধু সময়ের দেওয়ালে পরিসংখ্যান। 
মৃত্যুবুকে নিয়ে বারংবার গিয়ে দাঁড়িয়েছি ঈশ্বর শব্দের অর্থে
ছুঁড়ে দিয়েছি গরম ভাত,ক্লান্ত নিশ্বাস আর বেঁচে থাকা।
কফি কাপে ঠোঁট রেখে পুড়ে গেছি বারংবার
খুঁজে পেয়েছি প্রেমিকার ঠোঁটে আমরণ আমন্ত্রণ।
.
নাগরিক - ৩
.
আমার প্রতিটা চুম্বন তাই পাথরের স্তূপে ভাস্কর্য
প্রাচীন সভ্যতার অঙ্গীকারে নিষিক্ত এক পার্থক্য পরকীয়া ও প্রেম।
সেই পার্থক্যের খোঁজে প্রতিবার নিজেকে পোড়ানোর আগে
সময় খুলে নিয়েছে আমার  চোখ, খুবলে নিয়েছে আমার হৃদয়।
তাই আমার প্রতিটি মৃত্যুর আগে পৃথিবীর প্রতিটি রাস্তার সিগন্যাল বক্স
বাঁকের মুখে "বিপদজনক" লেখা হোর্ডিং
আর পৃথিবীর সমস্ত নারীকে আমার আদর্শ মনে হয়।
.
নাগরিক - ৪
দূরত্ব এক নিবিড় দহন
ভৌগোলিক ম্যাপে  যতই নারী ও নদী কাছাকাছি হয়েছে
সৃষ্টি হয়েছে বেঁচে থাকা।
সত্যিকারের ভালবাসা পৃথিবীর জন্য মোটেও খুব সুবিধাজনক নয়
ভালোবাসার  প্ররোচনায় বিপ্লব, প্রতিবাদ, কলরব,
ইতিহাস সাক্ষী ভেজা ঠোঁট সর্বদা ডুবিয়ে দিয়েছে সভ্যতা
আর ভেজা চোখ ভেঙে দিয়েছে সময়ের বাঁধ।
.
নাগরিক - ৫
.
আমি প্রতিবার তোমার সাথে সঙ্গমে মরে যাই
স্টিফেন হকিং ,নিউটন, আইনস্টাইন
এরা কেউ রেশিও বা সাইন্টিফিক কোনো উদাহরণ দেয় নি এর।
সময় প্রতিষ্ঠা করতে টিভিতে কৌশলে বেড়ে গেছে
গ্যাং রেপ ,মার্ডার মিস্ত্রি ,ভালোবাসা ও ধোঁকা
আর আমরা মাদকতায় মেশানো সময়ের ধুলোয় ধোঁয়া তুলসীপাতা
সত্যি বলতে কি আমরা সামাজিকতায় বাঁচতে ভুলে গেছি।

অনবদ্য

অনবদ্য
... ঋষি

প্রতিদিন রাতে তুমি  অনবদ্য কবিতা 
প্রতি রাতে তোমার অধীনে স্বপ্ন দেখে নির্ঘুম রাত।
অন্ধ আর্তনাদ,  শিৎকারে ,আনন্দের উষ্ণ ওমে শান্ত চোখ
প্রতিদিন রাতের  আকাশ নক্ষত্র অধীন,
শব্দরা পাগলের মতো সাদা পাতা আঁকড়ে ধরে
তোমার বুক।
 .
প্রতি রাতে কপর্দকহীন
প্রতি আরোহণে চেতনানাশক এক প্রেম শুধু জেগে থাকে ,
জেগে থাকে মহল্লার প্রতিটা গলিতে
সময়ের কাছে যাওয়ার কলম।
কলম নিব সাদা পাতা স্পর্শ করে ,স্পর্শ করে তোমার ঠোঁট
এই যে ভালোবাসার মৃত্যুর সুন্দর সূক্ষ্ম আয়োজন,
এই যে ঈশ্বর আর উপস্থিতি একসাথে তুমি ,আমি আর আমার এই কবিতা
তুমি বলো চলন্তিকা অনবদ্য নয় ?
.
প্রতিটা মুহূর্ত  জীবন এক নেশাগ্রস্থ পথিকের মতো
হেঁটে চলে সাদা পাতায় মৃত্যু ঘুম ,
সময়ের দুহাতে জলের স্রোতে ধুয়ে ফেলা আমার একলা বাঁচা
তোমার নদী জল
হেমলক পান করে।
.
তবুও আমার জীবন
জন্মনেশাতুর এক নগ্নতায় কবিতা জড়িয়ে বাঁচা ।
তোমাকে জড়াতে জড়াতে লিখে ফেলা ভালোবাসা তোমার বুকে
তোমার বুকে শ্বেত পদ্ম ফোঁটে
ফুটে ওঠে আমার কলমের আঁচড়ে আমার জন্ম নেবার কবিতা।
ক্রমশ জুড়তে থাকে মুহূর্ত
ক্রমশ শব্দরা তোমাকে ভালোবেসে সাদা পাতায় একটা ছবি আঁকে
তোমাকে মনে করার এক গভীর  তুমি
আমার কবিতায় অনবদ্য সর্বদা। 

Tuesday, March 17, 2020

তোমার নাম ধরে ডেকেছি তাই


তোমার নাম ধরে ডেকেছি তাই
.... ঋষি

এই প্রথম তার নাম ধরে ডাকিনি
প্রায় কয়েক শতাব্দী  ,
আমার মতো যারা ,আমার মতো কারা ,জ্বলন্ত মোমের ফোঁটা
আমরা ডেকেছিলাম,
তুমি ,তোমরা ,ক্রমশ মোমের আগুন
বুঝতে পারলে কই
ভালোবাসা আকাশের চাঁদ নয় ,মাটির গভীরে অসংখ্য মুহূর্ত।

এই লিখে প্রেমিক কলম রাখলো
বুকে পাথর চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি ,আমি ঠিক বুঝেছিলাম
ঘূর্ণিঘড় বেসামাল করে সময়
আমি ঠিক বুঝেছিলাম ,
সময় কখনো কখনো পাথরের থেকে ভারী
বুকের উপর।

ঘুমের ভিতর প্রবল ভাবে ডেকে ওঠা
অন্ধকার চাঁদ।
সময়কের টুকরো টুকরো করে লিখলে আকাশের বুকে ব্যাথা ,
আর যদি আমি আকাশ হই
এই প্রথম যেন তার চোখে ,তাদের ঠোঁটে আমলকী স্বাদ
সময়ের বিস্বাদ।

কত শব্দ মিলিয়ে বাক্য
তার পর কথা ,কথকতা অদৃশ্য সময়ের রাখা অনিশ্চয়তা।
তুমি তোমরা সময় নির্ভর
আশ্রয় আকাশে লাল রক্তে লেখা কবির কলম।
সংসার থামে না
থামে না সময়
শুধু দুর্বলতায় ঘর ভাঙে ,শহরের খোঁজে।

শুধু তোমার নাম ধরে ডাকিনি
অনন্ত ঈশ্বর ,নাম বদলায়
চলন্তিকা ,বনলতা ,নীরা আরো কত তুমি না তোমরা
আমি ,আমরা মেঘ বালক
মেঘের দেশে
সংসার পেতেছেন  জয়বাবু  পরজন্মে শুধু আমাদের জন্য ।


রক্ত পলাশ


রক্ত পলাশ
... ঋষি

নিজের কোনো সাড়া শব্দ নেই
দুইপাশে গাছ ,
রক্তপলাশ।
আমার ভিতরে কেউ ওদের দিকে তাকিয়ে আছে
কত আয়োজন ,উৎসবমুখর ওদের মুখ।
আমারে গভীরে ক্রমশ নষ্ট হওয়া রক্ত ,কমতে থাকা গলারস্বর,
আমি বেঁচে আছি নামে মাত্র ,
অথচ ছেলে মেয়ে দুটির হৃদয়ে ছাপা হচ্ছে হাজারো প্রেমের কবিতা
আর আমি নষ্ট গ্রন্থাগার। 
.
পলাশের খোঁজ শহরের রাস্তায় রাস্তায়
ওদের স্বপ্ন জনবহুল শহরের রাস্তায় একবার পলাশ ছোঁয়ার।
আমি গভীরে যাচ্ছি
আমি হারিয়ে যাচ্ছি উত্তর ,দক্ষিণ ,পূর্ব ,পশ্চিম শহরের মৃত্যু বুকে ,
এখানে প্রেমিক নেই ,
শুধু খাঁচা
আর খাঁচায় ভর্তি হাজারো স্বপ্নের পলাশ।
.
চিঠিভর্তি ডাক পিয়ন
ব্যালকনি থেকে একলা দাঁড়িয়ে দেখা ছেলে, মেয়ে দুটি হাঁটছে
রোজ শহরের রাস্তায়।
ভিড় বাড়ছে
এখন সময় খুব কাছে
ভালোবাসা রোজ রাতে গভীরে রক্তে বিক্রি হয়,
সকালে রাস্তার দুপাশে
রক্ত পলাশ।
নিয়ম মাফিক ব্যস্ত শহরের ফাঁকে ওরা ছুটি খোঁজে
ছোটে
তারপরে হারিয়ে ফেলে একে অপরকে শহরের নিয়ন্ত্রিত জঙ্গলে।
বোটানিকাল গার্ডেনে তখন বুড়ো রক্ত পলাশগাছটা
শহরের দিকে তাকিয়ে

গন্তব্য

গন্তব্য
... ঋষি

বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো মুহূর্ত
কয়েকশো সময়ের মৃত্যু যেন ভাবনায় জড়ো বার্ধক্য ,
তাকিয়ে থাকা ডুকরে  ওঠা শহরের পিচরাস্তা
টার্মিনালে অন্ধ সময় বসন্ত যুগের রেজিস্ট্রেশান ভাঙে।
ছুটে যেতে ইচ্ছে করে
শহর ছাড়িয়ে জঙ্গলে ,
কোনো অন্ধকার যুগের পর আলোর খোঁজ।

মাংসের দাম কমতে থাকে
শহরের রাস্তায় বাড়তে থাকে ভালোবাসা নামে কারণের ভাইরাস ,
কৌশলে শহরে বাড়তে থাকে ধুলো
মাংসের পাশে বাড়তে থাকে রাসায়নিক ক্ষিধে দুর্বিনতা।
প্রেমিক কাঁদে
মানুষের জন্য কান্না ফুরিয়ে অনুষ্ঠানে মার্টান রান্না হয় ,
মানুষ কাঁদে
পেট্রোলের মতো প্রেমের বিক্রি চড়া লোভ ,লোকসানে।

বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো মুহূর্ত
অনেকটা রাতের অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পরা নিস্তব্ধ বিনিদ্র রাত ,
যেন মৃত খোলসের স্মৃতির অন্ধকার অপেক্ষা

ন্ত
ব্য। 
ছুঁয়ে নামা  মৃত আগামী বেঁয়ে  আঁকাবাঁকা শহর
শহরের রাস্তা
ক্লান্তিহীন ,শব্দবহুল কোনো পথগুলো বড় বেশি দূষিত।
দূষিত প্রেম বাতাসে
তাকিয়ে আছে বর্তমান মানুষের দিকে ,
মানুষের প্রেমশব্দে বাসা বেঁধেছি পাখির মৃতদেহ
আখির শরীর পচে বেড়িয়ে আসছে স্ক্যাই স্ক্যাপারে একলা শহর।
 


  

নগ্নতা ও ঈশ্বর




নগ্নতা ও ঈশ্বর
... ঋষি

প্রশ্নাতীত কল্পনা
নগ্নতায় প্রেম জন্ম দেয় কিছু ঈশ্বর।
নগ্নতা ? ঈশ্বর ?
সোজা তাকিয়ে আছি দূরত্বে রাখা দুর্বলতার দিকে ,
পোশাকের সাথে মুখোশ
আর নগ্নতায় রাখা ঈশ্বর নিজস্ব উত্তাপে নির্ভরশীল।

চলন্তিকা এমন করে তাকিয়ে থাকিস না
প্রেম জন্মায় ?
ঠিক এই প্রশ্নে নিজের সাথে নিজের আয়নায় অন্য মুখ।
ঠিক এই কারণে কুয়াশা আর ছায়া আলো তোর নাভি চিরে ঢুকে গেছে
বিপ্লব শব্দের গভীরে।
শুরু থেকে অনবরত চুম্বন
গড়িয়ে নামছে একটা গভীর আয়োজন আমার মাথার ভিতর।

যদি ভাব শরীর লিখছি তবে ভুল
আসলে আমি একটা শরীর আঁকছি ঈশ্বরের মতো কোনো ঠিকানায়।
মনে মনে একটা আশা বাঁচে
নিজের বুড়ো আঙ্গুল চেপে ধরি তোর ঠোঁটের ফাঁকে
আরো আখরোট চিরে যাক গভীর বিভাজনে।
চলন্তিকা আবরণহীন পুরুষের শরীরে পাখির সন্ধ্যের ঘরে ফেরা
কোষে কোষে জমা থাকা আদৃত ভোগ ,
নিখুঁত একটা ভাস্কর্য
বাঁশি হাতে মুদ্রাস্থিত ঈশ্বর মানুষের দিকশূন্যতায়।
স্পর্শীল কোনো মুহূর্তের অপেক্ষা
প্রতিটা নগ্নতার পরে ঈশ্বর সঙ্গমে লিপ্ত হয় গভীরে ,
আর তখন যদি কেউ আমাকে বলে দোষারোপ করে
আমি সোজা চলন্তিকা তোর বুকের গভীরে মিশতে চাই।

Saturday, March 14, 2020

কবিতার পৃথিবী

কবিতার পৃথিবী
... ঋষি
.
হঠাৎ শান্তি উঠে আসে আমার বুকের  ভাঁজে
অন্য পৃথিবী থেকে একটা পাখি ঠোঁটে চেপে নিয়ে আসে কবিতা ,
     আমি ভাবতে থাকি একটা বাড়ি
                        শুধু কবিতার ,
সবকটা ঘর জুড়ে সময়ের অনুভূতিগুলো শুধু মাত্র দেওয়ালে
আমি দাঁড়িয়ে একলা সেখানে।
.
তুই কি করছিস চলন্তিকা ?
জানি প্রকৃতি ডাকলে মানুষ বড় অসহায় এই বিশাল সমুদ্রে,
আচ্ছা সমুদ্র তো একটা বাঁচা তাই না
একের পর এক ঢেউ ,
              তারপর ঢেউগুলো ছুঁয়ে যায় পায়ের পাতা ,
                      সময়ের গত জন্মের ভাবনা
শুধু সময় বোঝে না।
.
হঠাৎ কবিতার মাঝে আগাম বৃষ্টির মেঘ জমে
তুই বিরক্ত হোস ,
আসলে কি জানিস মানুষের বিরক্তিগুলো আসলে একটা মুক্তির খোঁজ।
তোর খোলা বারান্দার বাইরে
আমার ক্যানভাসে একটা দৃশ্য ভেসে ওঠে
           কবিতার বাড়ি।
হয়তো কোনোদিন এই কলকাতার কোনো রাস্তার পাশে কফিশপে
আমি তুই  একলা
সেই কফিশপের দেওয়াল জুড়ে শুধু কবিতা।
আচ্ছা,
এমনকি হতে পারে না কোনোদিন
মানুষের বাঁচাগুলো সব কবিতা
মানুষের ভালোবাসাগুলো এক একটা আদরের কবিতা
আর মানুষ
ধর আমি, তুই আর সক্কলে কবিতা হয়ে যাই।
.
জানি তুই ঠিক বলবি এখন আমাকে
তুই  পাগল,
আর তোর পৃথিবীতে কবিতা ছাড়া কি আর কিছু নেই ?
আর সত্যি যদি এমন হয়
তবে নাকি পৃথিবী পাগলাগারদ হয়ে যাবে।

Friday, March 13, 2020

অন্ধকার শরীর


অন্ধকার শরীর
.... ঋষি

আমি রত্না গো ,চিনতে পারলে আমাকে 
বয়স সাঁইত্রিশ ,প্রতিদিন  সোদপুরের ট্রেনে আমাকে দেখতে পাবেন। 
হয়তো দেখে  খুশি হবেন
আমি ঠিক এই গ্রহের না ,আমি ঠিক পুরুষ না আর নারীও না
লোকে আমাকে  অবাক চোখে দেখে ,
তাকিয়ে থাকে আমার বুকের দিকে।
.
বিশ্বাস করুন সেদিন ট্রেনের মধ্যে একটা বছর ছাব্বিশের ছেলে
অবাক ভাবে তাকিয়ে ছিলেন বুকের দিকে
আমি জানি ছেলেটা  জানতে চাইছিল আমার বুকে দুটো বল না কমলালেবু।
আমি কি করে বোঝায় সবাইকে
আমি নারী হতে চাই ,আর জানি নারীর বুক ছাড়া নারী হওয়া যায় না ,
আমিই কি করে বোঝাই বাজারে স্পঞ্জওয়ালা ব্রাও পাওয়া যায়,
আসলে পুরুষের কাছে নারীর বুক ছাড়া স্বীকৃতি কই ?
আমি  শাড়ি পড়ে ,নকল চুল বেঁধে হিজড়া পর্যন্ত হতে পেরেছি
মেয়ে হতে পারিনি ,
আমি জানি এইভাবে  মেয়ে হওয়া যায় না ।
.
আমার মতো মানুষের ওড়নায় আজ কত পুরুষের বীর্য
কন্ডোম এর মিষ্টি গন্ধ আর ভালোবাসার ক্ষত ।
আমাদের ভালোবাসা সে তো অন্ধকারে মেশা
এক অন্ধকার পুরুষ ,
জানি না আর কত ক্ষত তৈরি হলে পুরুষ তুমি প্যান্ট পড়বে ?
জানি না আর কত অন্ধকার পার হলে আমার শীৎকার থামবে ?
আসলে যৌনতায় আমি মেয়ে,
আসলে মাথার ঘিলুতে আমি মেয়ে ।
কিন্তু প্রয়োজন ফুরোনোতে কেউ ই বুঝিয়ে দিতে ছাড়ে না
শরীরের সাথে শরীরের গল্প শুধু ক্ষনিকের
আসলে আমি পৃথিবীর আশ্চর্য যৌন কর্মী।
.
গু থুতু কফ, নাড়ি ভুঁড়ি মাড়িয়ে সময় ঠিক বুঝিয়ে দেবে আমাদের পরিচয়
 তাতে শাড়ি চড়ানোর দরকার পড়ে না, কানের ,নাকের পড়তে হয় না
কিন্তু মনের দুনিয়ায় আমি তো রত্নাই।
কিন্তু কাজল না টানলে যে পুরুষ আসে না
কিন্তু সায়া ব্রা না পড়লে যে আমাকে মেয়ে লাগে না 
মন আর শরীর যে এখনও একসাথে ,বড়ো জটিল এক অন্ধকার।
এবার আপনি ভাবছেন হয়তো আমরা লড়াইতে হেরে গেছি ,
কি তাই তো ? ভুল ভাবছেন।
আমাদের যে হাড়ে হাড়ে আগুন। বেঁচে থাকার স্পর্ধা,
আমরা মেয়ে না হয়েও ,মেয়েরই মতো
আমরা পুরুষ না হয়েও ,পুরুষের শরীর
সমাজ আমাদের নগ্ন করে
আর শাড়ি তুললেই আমাদের হিজড়া বলে। 

হলুদ পাখি


হলুদ পাখি
... ঋষি

তোমাকে যারা জন্ম দিয়েছিল
আমি তাদের চিনি না ,জানি না ,দেখিনি কোনোদিন ,
শুধু আমাদের চূড়ান্ত সঙ্গমের দিনে
রাস্তার লাইটপোস্ট একটা হলুদ  রঙের পাখি এসে  বসে
তোমাকে বলে
ভালো থাকিস।

তুমি কতটা বুঝতে পারো আমি জানি না চলন্তিকা
আমি জানি তোমাকে যারা জন্ম দিয়েছিল তাদের সুন্দর হৃদয় ,
সেখানে একটা নদী,সেখানে একটা পাহাড়
তারপর বৃষ্টি।
জলের ফোঁটাগুলো ক্রমশ একসাথে হতে হতে নদী
তুমি ,'
আর তারপর আমি যেন তৃষ্ণার্ত পথিক
এক ফোঁটা জলের আশায়।

তোমাকে যারা জন্ম দিয়েছিল
আমি তাদের চিনি না ,জানি না ,দেখিনি কোনোদিন ,
শুধু যখম গভীর খোঁজে চুম্বন গাঢ়তম হয়
ঠিক তখন নদীর ধারে আমি বাঁশিওয়ালা।
অদ্ভুত  এই যে
তখন সারা শহরে অন্ধকার হঠাৎ জ্বলে ওঠে লাইটপোস্টের আলো
আমি স্পষ্ট দেখি
দূরে কোনো চুরি যাওয়া আকাশে হলুদ পাখিটা উড়ছে।
পাখিটার ঠোঁটে একলা লাল রঙের এনভেলাপ
ভিতরে চিঠিটার শেষে আমার নাম সম্বোধিত করা
আর লেখা
প্রিয় সময় ভালো থেকো।


একলা রৌদ্র




একলা রৌদ্র
... ঋষি

শব্দ চুরি গেছে
বারান্দায় একফালি রৌদ্র আদুরে বেড়ালের মতো আমার সময়ে।
আমি আয়নার সামনে দাঁড়াই
কেমন একটা মায়া লাগে সময়ের দারিদ্রতায়।
সময় পুরোনো হয়ে গেলে বিবস্ত্র হয়ে যায়
যেমন আমার আয়না।
.
আমার শহরে ক্রমশ বেড়ে গেছে  একোরিয়ামের মাছ
জলের তলায় জীবনগুলো বেশ শীতল।
বাইরে দারুন রৌদ্রে পুড়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী লীলা দির বাড়ি ,
লীলা চ্যাটার্জি  একসময়ের বিধবা জাদরেল উকিল
আজ  কেমন একলা বারান্দায় সাদা চুলে।
লীলাদিকে একবার দেখেছিলাম জোয়ান কালে
লাল প্যান্টি আর কালো সভ্যতায়।
.
আজকাল কবিতা লিখলে চলন্তিকা একটা মেরুদন্ড এঁকে দেয়
কবিতার খাতায় তাই বেহায়া রৌদ্র ছায়া খোঁজে।
আমার জীবনে কোনো গাছ ছিল না কোনোদিন
শুধু ছিল রাস্তা ,
আর বারান্দার রৌদ্রে আরো একলা হয়ে আমার পড়ার টেবিলটা।
পাশে রান্নাঘরে কেমন একটা শব্দ আসছে
বোধহয় আদুরে বেড়ালটা মাছ চেবাচ্ছে  চুরি করে ,
শুনেছি নাকি সুন্দরী মেয়েরা মাছের মাথাগুলো ভালোবাসে
এইবার এমন কারোর সাথে দেখা হলে
চেয়ে নেবো আরেকটা একলা দুপুর।
লীলা দি সুন্দরী ছিল এককালে
কিন্তু আজকাল তাকে আর বিবস্ত্র দেখতে চাই না। 

পলাশ ফুল


পলাশ ফুল
... ঋষি

সময়ের শব্দদের অগ্রাহ্য করতে হবে
হেঁটে যেতে হবে নাগরিক উপত্যকা ধরে জীবনের অধ্যায়।
চলন্তিকা  বলে সময় অনুর্বর ,প্রেম শব্দটা নদীর বাঁধ
আর ভাঙলেই সমাজ ,জীবন ,সময় সব ভেসে যায়।
সংসার খোঁজে যোগ্যতা ভিটে মাটি সুখে ,
চৌরাস্তায় একলা দাঁড়ানো পাগলা  আনন্দ  মনের সুখে গেয়ে ওঠে
" খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি "।
.
শব্দ ,সুর আর মানুষের বাঁচাগুলো
একসাথে একটা মিক্সারে গ্রাইন্ড করলেই তবে জীবন তৈরী হয় ,
ভাবনার রসদ
ঈশ্বর বলেন বিষাক্ত আপেল থেকে মানুষের পাপ জন্মায়
সময় বলে জন্ম  হলো মানুষের যন্ত্রণার কারখানা
আর প্রেম বলে মার্চ মাস এলে বিষাক্ত দুপুর গিলে খেতে আসে
আর আমার চোখ তখন  জন্মের খোঁজে ক্লান্ত।
.
মমির ঠোঁট চুষে উঠে আসা দৈনন্দিন
আমার কাছে সভ্যতা হলো নারী ,কিংবা গণেশ পাইনের আঁকা ছবি।
গড়িয়ে নামা ক্যানভাসে সময়ের রং ,দারিদ্রতার রং ,বাঁচার রং
সব মিলেমিশে
বাঁ
চার কারণ।
এখন কলকাতায় প্রচুর পলাশ ফুটেছে
পলাশ মানেই কষ্ট হতে হবে কেউ কখনো বলেছে বলে জানি না।
আসলে পলাশ হলো  সেই ছেলেটার নাম
যে চেনে তার প্রেমিকাকে ,
আর এটাও বোঝে সময় শুধু ঈশ্বর নয়
কোনো সকালে রাস্তার পাশে পরে থাকা পলাশ ফুল।  

Thursday, March 12, 2020

দিল তো পাগল হে

দিল তো পাগল হে
.... ঋষি

আমি তো যন্ত্রণার মধ্যে সভ্যতা লিখি মাঝরাতে
দূর থেকে ডাক শুনি " জগতে রহো "।
উপলব্ধি আর অবস্থানের মধ্যে ,রক্ত পার্থক্য লিখেছেন ঈশ্বর
এ জন্ম আমার মানুষ জন্ম নয়।
আদতে দাঁড়ানো দূরত্বের শব্দ থেকে স্যানোরিটা
তোমাকে  বোঝাতে পারলাম কই
" দিলতো পাগল হে  "।
.
তোমাকে প্রতিবারে হতে হবে পারফেক্ট
না হলে দুটো শহরের মাঝে মৃত সংলাপ বলে তুমি উড়িয়ে দেবে প্রেম ,
তোমাকে প্রতি মুহূর্তে বলতে হবে ভালোবাসি
না হলে হঠাৎ বসন্তের ফাগুন মাখা ফাগের রং হালকা হয়ে যাবে ,
পোট্রেটে দাঁড়ানো সাজানো সংসারটা
ভীষণ রকম বিষন্ন তখন।
.
কথা রাখা আর না রাখার ফাঁকে
এক দূরত্ব কোথাও তোমার মগজের আলমারিতে আতর মাখা।
কিছু মানুষ বসন্ত খোঁজে না
খোঁজে মৃত্যু ,
কিছু মানুষ এই সভ্যতায় একলা দাঁড়িয়ে হত্যা করতে পারে সময়কে
বদলাতে পারে।
তুমি ভুলে গেছো ঈশ্বর বেঁচে থাকে চিতাকাঠের ছিটকে আসা আঁচে
আর খিদে বাঁচে হৃদয়ের সেঁকতে থাকা স্মৃতিতে।
আমার এ জন্ম মানুষ জন্ম নয়
আমাকে এ জন্ম সাধারণ কোনো পাখির চোখে দেখা তোমার শহর ,
আমি এ  জন্মে  বন্ধ করতে পারি না আমার চোখের পাতা
আমার চোখ বন্ধ মানে মৃত্যু
তোমাকে বোঝাবো কি করে।
তোমাকে বোঝাবো কি করে একমাত্র শাহরুখ খান মানেই প্রেম নয়
প্রেম অতি সাধারণ ঈশ্বর হতে পারে।  

Wednesday, March 11, 2020

শেওলা রঙের বাড়িটা


শেওলা রঙের বাড়িটা
.... ঋষি

সনাতনদের বাড়িটা বহুদিনকার পুরোনো শেওলা মোড়া
সেই শেওলা মোড়া দিনে উঁকি মারছে সেই  মেয়েটা " মাম্পি "।
মাম্পি সনাতনের বোন
আর আমার সেই সময়কার একটা আবিষ্কার ,
হয়তো চোখের টান
হয়তো আমার  বুঝতে চাওয়া চোখে আর মেয়েদের বুকে কিভাবে আগুন
জ্বলে।
.
একটি দলামচড়া হৃদয় তখন সদ্য কবিতা
জয় বাবুর কবিতা থেকে স্বপ্ন চুরি করে তখন শুধুই মাম্পি ,
আমি ঈশ্বরের উত্তর চেয়েছিলাম  তখন
পাপ কিংবা পূণ্য ?
উত্তর পাই নি ,তবে পেয়েছিলাম প্রাগৈতিহাসিক একটা ভাবনা
মানুষের আগুন আবিষ্কার শুধু সভ্যতার নয়
সে যে ভালোবাসারও।
.
সময়ের সমুদ্র সর্বদা গভীর
এবং অপেক্ষার নির্যাস মানুষের বাঁচাতে ,
অপেক্ষা সে তো এই সভ্যতায় শহরের রাস্তায় রোজকার নিয়ম
আর নিয়মিত নিরিবিলি একলা কবিতায়।
সেদিন পাড়ার গানের স্কুলে ,কিংবা প্রাইভেট ট্রামে
মাম্পি শুধুমাত্র সময় লেখে নি
লিখেছে আকাশে মেঘে ভাসতে থাকা রূপকথা।
চলন্তিকাকে আমি বলেছি এইসব কথা
শুধু বলা হয় নি মাম্পির প্রতিটা নিশ্বাস আজ শুধু স্মৃতি ঘোর
আর মনখারাপের বেলায় আমার দিকদর্শন।
চলন্তিকার সাথে একবার দেখা করাবো তাই
 আজও সেই শেওলা রঙের বাড়িটা আমার স্বপ্নের চিলেকোঠায় আসে,
কিন্তু মুশকিল হলো
চলন্তিকা আর মাম্পি কখনো একসাথে থাকতে চায় না।
সময় বদলায়
বদলায় বেঁচে থাকা
শুধু স্মৃতির পিয়ানোতে ঈশ্বরের মতো কিছু থেকেই যায়।

অনুচ্চারিত নির্বাসন


অনুচ্চারিত নির্বাসন
... ঋষি

আমাকে একলা ভেবে
তুমি ক্লান্ত নদীর কাছে লেখা আকাশযাপন  ভেবে নিচ্ছো
প্রত্যহ নিজের  সামাজিক রীতি সেরে
তুমি খুব আদর করে আতর মাখাচ্ছো বিগত শতাব্দীতে।
সময়ের অন্ধকার থেকে
তুমি সরিয়ে নিচ্ছো আলগোছে রাখা সময়ের রোগ।
.
আমি এইভাবে ধীরে ধীরে পূর্ণ দৈঘ্যের একটা চালচিত্র
আমি এইভাবে ক্রমশ ঈশ্বরের হাতে তৈরী মাটির পুতুল।
ঈশ্বর মৃৎশিল্পী সেজে আমার হাতে দিচ্ছেন আপেল
আমি আপেলে দাঁত বসিয়ে আইনস্টাইন ,
প্রতিটা ক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় বেঁচে থাকা খুঁজছি
ভাবছি সময় নতজানু
ভাবছি ঈশ্বৰ ভালোবেসে আমার সময়ে ছড়াচ্ছে ফিনাইল।
.
আমি তো এইভাবে সরিয়ে নিচ্ছি একটা জীবন একটু একটু করে
তুমি চাইছো স্পষ্ট হোক শূন্যের ক্ষত
সময়ের  ট্রান্সলেশন জুড়ে ভয়ে ভয়ে তোমার হৃদয়ে ,
দাঁত বসাচ্ছে বাঁচা,
আমার মতন করে বললে , তোমার বুকে আমার দাঁতের দাগ।
মহান ঈশ্বর সাক্ষী
পৃথিবীর শরীরের যেসব বিপ্লব ঘাড় মটকে মরেছে
আমি তাদেরই একজন,
জানি বিপ্লবের কোনো শরীর নেই ,আছে আত্মহত্যা সময়ের নামে।
তুমি দাঁড়িয়ে থেকো আমার মৃতদেহের পাশে
সাক্ষী দিতে হবে
চিনে নিতে হবে
একলা লোপাট করা পচা ,গলা ভালোবাসাটাকে ।



কাদম্বরীর আর্তনাদ


কাদম্বরীর আর্তনাদ
... ঋষি

শুন্য গিরিশপার্ক মেট্রো
শুন্য গভীর গহ্বর থেকে হন্তদন্ত উঠে আসা আর্তনাদ
কাদম্বরীর কান্না শুনেছেন কেউ ?
সময়ের থেকে ছিটকে সরিয়ে নিয়ে কবিতার খাতা
 আত্মহত্যার চিঠিতে গীতবিতানের লুকোনো ব্যাথা।
কাদম্বরী একলা দাঁড়ানো মিথ্যা অপচয়
সত্যি শুধু রবিবাবুর কল্পনায় সৃষ্টি শুধু  কাদম্বরীময়।
.
 গিরিশ পার্ক থেকে নবীন পল্লী, কলুতলা লেন থেকে শিলাইদহ
একটি আর্তনাদ শুনেছেন কেউ ?
একটা স্বীকারুক্তি কিংবা আকাশে ভরা কালচে মেঘ।
সৃষ্টিরা সব খুঁজতে থাকে প্রেম
মৌনতা লিখে রাখতে সাদা কাগজে শুধু মাত্র অভ্যেস প্রয়োজন।
তোমার আমি ,আমার তুমি ,
সেদিন দুজনে দুলেছিনু বোনে
কাদম্বরী আর রবীন্দ্রনাথ।
.
কোথাও আর সেখানে  রবীন্দ্র সঙ্গীত বেজে ওঠেনা
না শোবার ঘরে না বারান্দায় না চিলেকোঠায়,
আর কখনো পিয়ানোর রিডে হাত বোলায় না ইতিহাস।
শুধু মাত্র জন্মরা বেঁচে থাকে
শুধুমাত্র সন্তানরা বেঁচে থাকে ,
আর বাঁচে কাদম্বরীর আর্তনাদ।
শুধু  এক জোড়া গোপন পাখির ঠোঁটে ঠোঁটে ঠোকাঠুকি
শুধু গঙ্গার ধারের নৌকায় বিলাসবহুল জমিদার সাদা পাতায় লেখেন
আমি চিনি গো ,চিনি তোমারে ,
আর তারপর
সারাবছর ,সারাদিন ধরে ভালোবাসার আর্তনাদ পাওয়া যায়,
পাওয়া যায় কাদম্বরীর ফ্রীজে জমানো শুকনো  বরফের শব্দ।
জোড়াসাঁকোর দেওয়ালে মেয়েদের খোলা থাকে বুক
বুক জুড়ে রজনীগন্ধা আর জমিদারি গোপন প্রথা ।

হয়তো দেবেন্দ্রনাথ দোষী কোথাও   ...................

ফিসফিস


ফিসফিস
... ঋষি

দুঃখ পেয়েছে একটা সময়
হয়তো দুঃখগুলো জমা ছিল শহরের রাস্তার ধুলোয় ,
হয়তো বা দুঃখগুলো একা ছিল মানুষটার পকেটে।
মানুষটা একলা ঢেউ
বাঁচার জন্য অন্য কেউ
তবুও এই পৃথিবীতে ফুল ফোটে ,সকাল হয়
আর দুঃখগুলো মানুষটার আয়নায় একলা কেউ ।
মানুষটার আকাশি জামা
মানুষটার পুরোনো স্যান্ডেলে জমা রাস্তার ধুলোদের কথা ,
যুদ্ধ অমূলক নয়
শান্তি মূলত নিয়ম করে ভাবনার দরজায়।
বাঁচা একটা অভিধান
অসুখ হলো অনিয়মের সুখ ,
আর দুঃখ
সাক্ষর একটা সময়ে জমা কাঁচের গুঁড়ো।
.
দুঃখ পেয়েছে মানুষটার
সময় আকাশের পাখি ,মুশকিল বাঁচা
আর একলা খাঁচা।
মানুষটর ভিতরেও গান,মানুষটার ভিতরে শব্দ ,বর্ণ ,পরিচয়
মানুষ না বুঝলেই পাগল তখন।
মানুষটার সাথে মেঘেদের বন্ধুত্ব
তার সাথে বৃষ্টির শব্দ বদল
তারপর বজ্রপাত
দুঃখ হয়তো প্রেমের উপাসক কিংবা কবিতার পিতা।
জন্মের মাপকাঠি অনাদৃত এই সময়
লোকটির মৃদুমন্দ বাক্যালাভ
সময়ের সাথে
দুঃখের সাথে
এই শহরে রাস্তায় একলা  দাঁড়ানো মানুষটা। 

পাগলামি(১৩)

পাগলামি(১৩)
.... ঋষি
.
জন্ম নিয়ে গল্প কথা
স্মৃতির সব পুরোনো ব্যাথা
যখন কেউ আমাকে পাগল বলে।
.
ভালোবাসি ভুলবো কি করে
চলন্তিকা বাঁচবো কি করে
তার প্রতিবাদ করি আমি।
.
তোমার ঠোঁটে আমার ব্যাথা
সত্যি গুলো মিথ্যে কথা
যখন তুমি আমায় পাগল বলো।
.
আমি হাসতে থাকি
আমি লিখতে থাকি
ধন্য হয় যে সে পাগলামি। 
.
হিসেবের খাতা পত্র খোলা
নিজেকে মিথ্যে কিছু বলা
ধন্য আমি ধন্য  হে।
.
সময়ে এক রাজপুত্র থাকে
হৃদয়ে এক রাজকন্যা থাকে
পাগল তোমার জন্য হে !

সাধের লাউ বানাইলে মোরে বৈরাগী


সাধের লাউ বানাইলে মোরে বৈরাগী
... ঋষি

আমার ভিতরে একটা একতারার শব্দ
অন্য পুরুষ।
আমার ভিতরে ঝোঁপঝাড় , গাছপালা ,বেড়ে ওঠা নিকোটিনের ছাই
সময় চাই
কোনো একটা ব্যক্তিগত সড়ক দিয়ে হেঁটে চলা প্রতিশ্রুতি
রোজ রাতে পীড়িত করে আমার আয়নায়।
বাউন্ডুলে মন গেয়ে ওঠে
" সাধের লাউ বানাইলে মোরে বৈরাগী "।

.
আমার শরীরের দুভাগ করে রেখে যায়
আমি আর আমার আয়না।
অন্যপ্রান্তে দাঁড়ানো কবির যন্ত্রনা বলে সময় কেন পরিযায়ী।
ক্যানভাস ,স্ক্যালপচার ,হাতঘড়ি আর মৃতদেহ
সত্যি বেঁচে থাকাটা আয়নার এপাশে মুখ ভেংচায়
ভিতর দিয়ে কেউ বলে
সঙ্গমের সময় স্ট্রবেরি কন্ডোম লাগানো বাধ্যতাময় কিংবা সাবধান,
চলন্তিকার  মাসের চারদিন করো - না আসতে পারে।
.
পৌরুষের মৃত্যুর পর
প্রেয়সীরা ঘিরে দাঁড়ায় একটা মৃতদেহ ,কিছুটা থুথু দেয় চিতার আগুনে ,
কারণ যাদের ধর্ষিত হতে হয় রোজরাতে চাঁদের দর্শনে
তাদের প্রতি করো -না আর করুনা
সমাজের  ব্যালেন্স শিটের পুরুষ নামক জাঙ্গিয়াতে লুকোনো থাকে। 
রামকিঙ্করের সেই সাঁওতাল রমণীর কোদাল বানাতে ভুলে যান
লেনিনের হাত থেকে কাস্তে ঝরে পরে
একটা অনবদ্য সৃষ্টি বিদেশী কিছু ফিল্মফেয়ারে গিয়ে ভারতবর্ষ সৃষ্টি করে
.আর তখনি
আমার ভিতর কোনো বাউন্ডুলে পুরুষ বীর্যপাত করে
জন্ম - জন্ম  - জন্ম !
গাইতে থাকে আপন মনে
" সাধের লাউ বানাইলে মোরে বৈরাগী "। 

কিছু না থাকার কবিতা



কিছু না থাকার কবিতা
... ঋষি

কি যেন একটা নেই ,কি যেন একটা মৃতপ্রায়
ধবংসের গল্পের শেষে সভ্যতা সৃষ্টি নামক প্রলয়ে মত্ত।
মুঠোফোনের ওপাশে ক্রমাগত বেজে চলা
জিস নাম্বারমে আপ কল কররেহে হ্যা ,ওহ অভি সুইচ অফ হ্যা।
সময়ের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে
বদনামের গলার স্বর
সময় বড় বেশি বেঁচে থাকা নির্ভর।
.
কি যেন একটা সরে গেছে
সময়ের থেকে দূরে পরে থাকা চন্দ্রবিন্দু আকাশের গায়ে।
সর্বনাশে লেখা হয়েছে স্মৃতিনির্ভর হাজারো কথা
ক্রমাগত বিস্ময়
খোলামেলা সম্পর্কের চাবি , অ থেকে অজগর
সবটাই অধিকার
একটা ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প লিখছে সময়।
.
ধ্বংসের ঠোঁটে ঠোঁটে ছুঁয়ে থাকা স্মৃতিঘর
সদ্য স্নান সেরে কবিতা একলা টাওয়াল গায়ে চলন্তিকা যেন ,
 নদীর বুকে যতবার ডুব স্নান শব্দদের
উঠে আসে সময়ের মৃতদেহ।
আমার এই কবিতা সমর্পিত অদ্ভুত  অলীক চাওয়া, মৃদু হাওয়া শিশিরের
প্রতিদিন আমার বেঁচে থাকা জানে
ঋণগ্রস্ত বিস্বাদ
জমানো স্মৃতি স্বাদ
শব্দের ঢেউ , অতীতে রেখে যাওয়া কিছু প্রতিশ্রুতি।
আখরোট ঠোঁট থেকে গড়িয়ে নামা বিষন্নতা ,
বিষণ্ণ উষ্ণতা তোমার আঙ্গুল গড়িয়ে নামা ঝড়
চোখ ছলছল
হৃদয় চলন্তিকা শুধু মাত্র তুমি নির্ভর। 

Tuesday, March 10, 2020

চিরকাল


চিরকাল
.... ঋষি
ভালোবাসতে দিও, চলন্তিকাকে বলেছিলাম
চলন্তিকা হেসেছিল, বলেছিল
দায়িত্ব লোকানো থাকে কাদা মাখা পুরনো পুকুরে।
ইশারায় বুঝেছিলাম
শহরে জনসঅংখ্যা  বারে, বারে না ভালোবাসা,
জলস্তরে কলকাতা সহ  অন্য শহরেরা নেমে যায় নিচে
কিন্তু মেয়েদের জল কমে না।
.
মেয়ে বলতে মনে পরলো
মেয়েদের শরীরের গন্ধে অনেক কিছু গোপন কথা থাকে,
যেমন অনেক গোপন প্রস্তাব, অনেক গোপন নেটওয়ার্ক
অনেক জিওম্যান্ট্রি, প্রাক্তন পুরুষের ঘ্রান
আর একটা নদী।
যেমন সময়ের ফুল ফোটে কিছুটা কষ্টে,কিছূটা অভিমানে,
তাই মাকে দেখেছি আমি বারংবার অন্তরবাস লুকোতে দিতে গোপনে।
.
গোপন কথা বলতে নেই বলে জানি
কারণ কথারা বেশি হয়ে গেলে গভীরতা হারিয়ে ফেলে।
চলন্তিকা দেখুন এখন সন্ধ্যা পুজোয় ব্যাস্ত
আর আমি ব্যাস্ত শুনতে চাওয়া অধিকার তোমার ঠাকুরঘরে।
অবাক লাগে জানেন
ঠিকানা  বদল হয় সময়ের আর মানুষের গভীরে আরতির,
অথচ সময় বদলায় না।
মঞ্চে উঠে আসা উস্কানি দেওয়া, ভুল পথ দেখানো মানুষগুলো
আমি রাক্ষস কিনা জানি না
কিন্তু এটা জানি শীত শেষ হয়ে গেলে মানুষ অপেক্ষা করে চুল্লীর
অথচ মৃত্যু শব্দটা বরফের মতো শীতল চিরকাল।

রোদ্দুর রায়

আকডুম বাগডুম মেশানো ট্রিম করা কবিতায়
গতজন্ম শুয়ে,
রোদ্দুর রায় কতটা রোদ্দুর মাখলো, কতটা মাগী ঘাটলো
তাতে শুনতে  সমস্যা জানি,
আরো সমস্যা হলো বাংলা সাহিত্য কিংবা সংস্কৃতির। 
দুদিন ভাতার মারিয়ে যদি সংস্কৃতি তৈরি হতো
তবে বোধহয় ব্রেনোলিয়া বিক্রি হতো না কলেজস্ট্রীটে।
.
গতজন্মে প্রকাশ্যে চাঁদ আর ভুট্টা লেখার জন্য বিনয় বাবুকে 
রিহ্যাবে দেওয়া হয়েছিল,
আমার বন্ধু সনাতন সপ্তাহে দুবার হ্যান্ডেল মেরে বুকফুলিয়ে বলতো
হ্যান্ডল মারা একটা  শিল্প,
আজ যখন সেই ছেলেকে দেখি রাষ্ট্রের হ্যান্ডেল দেখে তেরেমেতে খিস্তি মারে
কিংবা বৌ বাচ্চা নিয়ে জমিয়ে সংসার, অবাক হই।
কিংবা আমার অগ্রজ  শিল্পি কবিরা আমাকে খিস্তি মারে
আমি নষ্ট কবি তাই,আমি হাসি আর বলি
তোমরাও তো মারো ভাই
তফাৎ শুধু আজ  আমরা আছি বিনয় বাবু নাই।

শিল্প কিংবা শিল্পী কাউকেই ব্যান্ড করার অধিকার নেই রাষ্ট্রের
কিন্তু রোদ্দুর রায়কে বলা
আপনি দাদা গাইবেন, হাঁচবেন,না হাগবেন সেটা আপনার ব্যাপার
তবে কেন বাপু রবিবাবুকে জড়ানো।
আপনাকে অবশ্যই বাঁচিয়ে রাখবে আপনার শিল্প
কিন্তু রিমেক করে বা নকল করে আপনি মিছে সময় কাটালেন
সৃষ্টি কি হলো?
সৃষ্টির প্রসঙ্গে আমার বন্ধু সনাতনের বক্তব্য
তোর বৌদিকে বলছি একটা বাচ্চা নিতে, মানে না
বলে মেয়ে হলো তো কি হলো ? আজকের দিনে ছেলে মেয়ে দুজনেই  সমান।

Ghore baire

ঘরে বাইরে
..ঋষি
প্রশ্ন, উত্তর আর এই জীবনের অংশীদারি
রাষ্ট্র,দ্রোহ আর দ্রোহিত্র,
মাঝে মাঝে দিন কাটে এমন শুধু নিয়মের বাইরে।
তোমার সাথে দেখা হওয়াটা মুহুর্ত ,
হাওড়া ব্রীজের উপর থেকে শহর দেখাটা শুধু আশ্চর্য
আর আমি শেষ না হওয়া মৃত্যু।
.
আর কবিতা  লিখবো না
ভাবি বারংবার,
আর তাকাবো না চলন্তিকা তুমি আর তোমার সংসার।
শুধু মনে মনে, ঘরের কোনে
তাকিয়ে থাকবো আকাশের দিকে
আরো গভীরে সেক্সপিয়ার লিখবো হ্যামলক নাটকে।
.
আচ্ছা আমি যদিও সংবিধানিক নই
এই শহরের গভীরে অন্য একটা শহর শুধু মনকেমন।
তোমার মুখোমুখি অন্য চেয়ারে বসে
শুধু সময় চুরি করা, কিছু অবশিষ্ট নেই আমার।
ভেঙে ফেলার একটা শব্দ থাকে
কিন্তু আমারগুলো তো আজ ভেঙে গেছে বহুদিন।
তোমার উত্তরগুলো চলন্তিকা আমি বুঝে যাই
সময়ের উত্তরগুলো সত্যজিৎ বাবুর ঘরে বাইরের সেই মেয়েটা।
মেয়েটা সময় দেখে নি
মেয়েটা তাকিয়ে ছিল সভ্যতা নামক অন্য একটা রাষ্ট্র্বে,
আর তারপর এই কবিতা শুধু ঘরে বাইরে প্রতিদিন,
সময় বদলায়
অথচ তোমার সময়ে ঘরে বাইরে থেকেই যায়।

Saturday, March 7, 2020

রং ও ২০২০



রং ও ২০২০
... ঋষি

চলন্তিকা পলাশ কে মনে পরে ,
পলাশ ফুল ?
রাঙামাটির ঘর ,সাজানো সম্বল ,আর আমরা।
নিস্তব্ধতা ,
আজ আকাশ রঙিন - সময়ের
আজ জীবন রঙিন -  কাব্যের
আজ লাল ,নীল ,সবুজ আবিরের দিন আর ফাগের।

চলন্তিকা চল আজ রং মাখি
চল উড়িয়ে দি আজ এই লাল আবির -হিংসার রং
উড়িয়ে দি আজ নীল আবির - আকাশের রং।
চল আজ তোর গালে গোলাপি ,আমার হৃদয়ের আকাশ 
জানিস তো চলন্তিকা ,
গোলাপি হলো আদরের রং ,
আর সবুজ
সে তো স্বপ্নের । 

আজ শুধু মুক্তির কথা হোক
আজ শুধু আশার কথা হোক ,
আজ শুধু ফিসফিস ,আজ চলন্তিকা শুধু আজ গোপন কথা।
সময়ের রং
আরো গভীর মানুষের দুর্বলতায় লুকোনো মুহূর্তরা।
আজ শুধু সেই সব মুহূর্তের কথা হোক ,
হোক আজ আমাদের ভালো থাকার কথা।
সময় ফুরোতে থাকে ,মনে থাকে মানুষের করে ফেলা ভুল
পলাশ ফুল
তোর শরীরে আজ চলন্তিকা আবিরের গন্ধ ,
গন্ধ প্রেমের।
আমি শুধু কবি,কবিতায় তোকে জানাই  রঙিন ফাগের শুভেচ্ছা 
রং ও ২০২০।

Friday, March 6, 2020

নষ্ট প্রতিবাদ

কবিতা শেষ হয় না
গল্পে বাঁড়া গুঁজে সভ্যতা গিয়ে দাঁড়ায় তোমার স্ট্যাচুর কাছে ,
আমার ছেলে খেলার ছলে বলে স্ট্যাচু
অথচ অবাধ্য আমি চাঁদ বুনে দি সময়ের যৌনাঙ্গে।
মিথ্যে বলে নি সভ্যতা
শুধু অসভ্যতা পালনে কবিতা চুলকিয়ে বলতে ইচ্ছে করে
 " হা গুরুদেব  আমিও নাকি ন্যাংটো কবিতা লিখি  "।
.
তোমাদের বলছি
আমি নিতান্ত নষ্ট কবি তাই এমন চুলকোতে পারি।
কিন্তু তুমি ,তোমরা এমন ন্যংটো হয়ে চোর বাজারে দাঁড়ালে
কেউ যদি সার্ভিস সেন্টার দাবিয়ে দেয়
তবে অসভ্যতা কোথায় ?
অসভ্যতা শুধু একটা শব্দ নয়
কিন্তু সকাল সকাল আকাশের তলায় ঢোকালে
ঈশ্বর ও চুলকে যায়।
.
সভ্যতা কাকে বলে ?
ঈশ্বরের শব্দ নিয়ে কেউ যদি রাহাজানি করে
ঈশ্বরের শব্দদের কেউ যদি গুঁজে দিতে চায় সস্তা সভ্যতার যোনিতে ?
টি আর পি
নাকি
নিজেদের নিতম্বের সাইজের সভ্যতা তৈরির তাল।
প্রতিবাদ দরকার
কিন্তু প্রতিবাদ মানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাপড় খোলা না,
প্রতিবাদ মানে আগুন
প্রতিবাদ মানে সন্তানের রক্তে পরিষ্কার করা বন্দুকের নল।
কিংবা
আমার এই কবিতা
তোমাদের ন্যাংটো শরীরে আমার কলমের থুথু।
.
....ঋষি
.
( কোনো এক নষ্ট কবির নষ্ট প্রতিবাদ ,কারোর যদি চাঁদ দেখতে ইচ্ছে হয় আকাশে দেখুন ,বেমক্কা নরক গুলজার করবেন না ) 

Thursday, March 5, 2020

ভালোবাসার ছবিঘর


ভালোবাসার ছবিঘর
... ঋষি

ছবি - ১
.
স্তনবৃন্তে মুখ রাখছে মৃত সন্তানের লাশ
মা ডাকার আগে প্রসূতি সদনে ভেঙে পড়ছে সময়ের নির্যাস।
জানি আমাদের সন্তান  ক্রমশঃ বড় হচ্ছে গোলাপি  রঙের হৃদয় নিয়ে
চুষে নিচ্ছে মায়ের  বুক
হঠাৎ কামড় ,হঠাৎ মাড়ি ,
ঘামে ভিজে বেরিয়ে আসছে সে স্কুলের গেট ছেড়ে।
.

ছবি - ২
.
চোখে কাজল দিলে নারী তুমি প্রজাপতি হয়ে যাও
প্রজাপতির  সংসার নেই
শুধু ফুল
শুধু ভুল।
হৃদয় আসলে  নারী প্রজাপতি
প্রজাপতির ঘুম ভাঙলে  আকাশ চিৎকার করে " আমার " বলে
ভালোবাসার নিয়মগুলো নারীর আঁচল ধরতে চায়  ।
.
 ছবি -৩
.
দূর থেকে অস্ত যাচ্ছে আমার আকাশের সূর্য
 সাজানো সম্মানে তুমি ফিরে আসতে চাইছো খোলা ব্রায়ের হুক
ভালোবাসার বুকে।
লজ্জা ,ঘৃণা ,ভয় আকাশে উড়ছে  বসন্তের ফাগের মতো
তোমার নাভিতে  তোমার রঙ খসে পড়ছে
শান্তি।
তোমার বুকে স্থাপত্য
তোমার বুকে রুটি নামের কোনো এক পুরুষ সমাজ।
.
 ছবি - ৪
.
তোমাকে অন্ধকার হলে নগ্ন করতে পারি না কেন ?
শুধু তোমার মুখ।
সারারাত ঢেউ ভাঙে সমুদ্র
সমুদ্র তখন  অনুবাদযোগ্য কোনো বিদেশী কবিতার মতো লাগে।
তুমি কবিতায় চলন্তিকা ,
মাঝ রাত্রে অফিস ফেরত মহিলা হঠাৎ ফেরার হয়ে যায়
মনে পরে আমার নিজের ভাষা ,বর্ণদের আর শব্দদের
ওরা যদি সত্যি হারিয়ে যেত।
.
ছবি - ৫
.
ভালোবাসা হারানো একটা প্রজন্মের নাম
আজকের জন্মে সবটুকু প্রয়োজন ছুঁয়ে সময়ের  নিম্নগামী নদী।
ইতিহাস থেমে থাকে নি কখনো
এক সময় প্রেমিক ঘিরে তুলে দেওয়া হয়েছিল মৃত্যুর পাঁচিল
আজ শুধু সেই পাঁচিলের দুপাশে
প্রেমিক ,প্রেমিকা।
দেওয়াল ভাঙার জন্য নিজেরা দেওয়াল তোলে
মাঝরাস্তায় কুকুরগুলো ছুটে যায় সঙ্গমরত  কুক্কুরীর দিকে।

ছবি - ৬

এই  শতাব্দীর সবথেকে সহজ  ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’
আরো সহজ " প্লিজ তোমাকে সহ্য হচ্ছে না "।
জানি না হচ্ছেটা কি ?
তোমার পাশে শুয়ে আছে অন্য পুরুষ
ছিঃ সহ্য করা যাচ্ছে না
কিংবা সত্যি বলা।


অসম্পূর্ণ যৌনতা


অসম্পূর্ণ যৌনতা
.... ঋষি

যে নারীকে আমি  পছন্দ করি। সে জন্মসূত্রে ভারতীয় ,
অথচ তাকে আমি দেখতে চাই
প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের নিচে হ্যাট মাথায় দিয়ে।
তার কাছ থেকে আমি বুঝেছি
জীবন দুঃখ ছাড়া কখনো সম্পূর্ণ হয় না।
.
যে নারীকে আমি  পছন্দ করি সে সময় সুযোগে ঈশ্বর  হয়ে যায়
সত্যি ,মিথ্যার ভিতের উপর দাঁড়িয়ে সে খৈ হাওয়ায় ওড়াতে থাকে।
নগ্ন মৃত্যুগুলো তার চোখের লেন্সে নীল হয়ে যায়
আমি চিনতে পারি তাকে
আমার রাষ্ট্র যেমন  বিদেশী মোড়কে নগ্ন  গনতন্র। 
২০২০ তে আমার কবিতা জুড়ে শুধু মৃত্যু সুখ
আর এই মুহূর্তে সময়ের স্তনের দিকে ছুটে আসা বিদেশী খিদের জ্বর।
.
খসে পড়া ক্লিভেজের ফাঁকে
হালকা ফিকে খিদে ,
আমার প্রিয় নারী  আজকাল গাছ পুঁতছে ব্যস্ত সেখানে ,
কারণ আমি সবুজের সুখ।
জানি না গাছেদের আসল  অভিভাবক কে ?
শুধু জানি তৃষ্ণা বলে কোনো এক রমণীকে  দ্বিতীয় বিয়ে করে
কেউ কেউ সাবালক হতে চায় ,
যেমন সাবালক ঈশ্বর এই মুহূর্তে  ছদ্মবেশে লাঙ্গল চালাতে ব্যস্ত।
 এ এক যৌনযন্ত্রণা
নিজের রাষ্ট্রে মানুষগুলো সব পরিচয়পত্র।
.
যে নারীকে আমি পছন্দ করি
তার নীল লেন্সে আমি হয়ে যায় ফরাসি যুবক ,
অদ্ভুত হলো দৃষ্টান্ত না থাকলে
মানুষ পরগাছা হয়ে ঝুলে থাকে সময় নামক বৃদ্ধার স্তনে।
আমার আবার স্তনে বড়ো এলারর্জি
তাই আমার প্রিয় নারীকে ঢেকে রাখতে ভালোবাসি।


হলুদ মেয়ে


হলুদ মেয়ে
... ঋষি

সেই দরজাটায় আমাকে ফিরতে হয় রোজ
তুমি থাকো সেখানে
অথচ আমি কখনোই সেখান ছিলাম না ,জন্ম থেকে ,শুরু থেকে।
.
পিছনের রাস্তা ,স্ট্রিট লাইটের নিভু আলোর আড়ালে
একটা সাইকেলে পা ,
দুটো চোখ তোমার দিকে তাকিয়ে ছিল অনেক্ষন
তুমি খেয়াল করো নি।
দূরে কোথাও আকাশের দিকে তাকালে এই শহরে
লাইটপোস্টের তার
আকাশ বন্ধ
সময় অন্ধ হলে ,মানুষের  কান্না  পায়।
.
তুমি কোনোদিন পাত্তা দেও নি  আমাকে
পিঠ ব্যাগ। লুকোনো অংকের খাতায় জমানো তোমার নাম
তুমি কখনো জানতে চাও নি ,
বয়সের জুতোর ফিতে খুলে আজ চশমা চোখে দূরে তাকালে ঝাপসা
তুমি ,তোমার মুখ।
.
কিছু স্মৃতি ছল
তোমার বিছানো হলুদ ওড়নার একলা আঁচল,
বয়স পুরোনো হলে সবকিছু হলুদ স্মৃতি ,
কিন্তু হলুদ ওড়না পুরোনো হবে কি করে। 
হাজারো ছবি তোমার আঙ্গুল গড়িয়ে মায়াবী বিকেল
তুমি জানবে কি করে ?
তোমার দিকে তাকিয়ে ছিল কেউ। সেই দরজা ,দোতলার ঘর ,
স্মৃতির ভাষার মনের  দেওয়ালে
ফিরে আসো বারংবার হলুদ মেয়ে।  

রাঙা মাটির দেশ


রাঙা মাটির দেশ
... ঋষি

রাঙা মাটির দেশে হাঁটতে হাঁটতে
হারিয়ে গেছি আমি ,
মহুয়ার চুমুক ,অধিকার নামে সবুজ প্রকৃতি
সবুজ টিয়ার গল্প।
.
আমার সাথে হারাতে চেয়েছিল  সবুজ বলে সাঁওতালি মেয়েটা
আমার অন্ধকারে পোড়া এই শরীরে শুধু সবুজের শোক।
খবর ,প্রত্যাশা ,আর নাটক
লালচে মাটিতে ধুলো উড়লেই গোপন জ্বর
সেই সাঁওতালি নারীর দুঃখ ,রৌদ্র তপ্ত দিনের আকাশে।
কঠিন পাহাড়ের দেশ সেটা
গভীর তৃষ্ণার দেশ সেটা
হা করে চেয়ে থাকা আমাদের " যদি বৃষ্টি আসে ",
যদি আসে কোনোদিন।
.
সেই দেশে একটা নদী আছে
আমার হাত ধরে সাঁকো পার করেছিল সাঁওতালি স্বপ্নের কোনো গোপন কথা ,
ওর চোখে তখন আরো গভীর কিছু।
আকাশে তখন গর্ভবতী চাঁদ
মহুয়ার নেশা সর্বনাশ।
আমি পালিয়েছিলাম সেই মেয়েটার হাত ধরে
কেউ দেখতে পায় নি ,কেও জানতেও না
শুধু রাঙা মাটির দেশে তখন ফাগুনের ফুল ফুটছিল রাস্তার দুপাশে।
.
আমার ঘুম ভাঙলো
আমি আঁতকে উঠে শুকনো নদীর পাঁক থেকে টেনে ,হিঁচড়ে বার করলাম
একটা লাশ ,
সেই  সাঁওতালি মেয়েটার।
আমি চমকে উঠলাম ,
দেখি পৃথিবীটা জ্বলছে পলাশের রঙে
আমার শরীরের প্রতিটা ইচ্ছা ,মনের বাঁচাগুলো পুড়ে চলেছে
এইভাবেও সবুজকে দুমড়ে মুচড়ে নষ্ট করা যায়।
পরেরদিন খবরের কাগজে একটা  ছোট খবর হয়তো চোখে পরে নি কারো
রাঙামাটির দেশে এক সাঁওতালি যুবতীকে কুপিয়ে খুন। 

মেঘলা মন

মেঘলা মন. ঋষি

তুমি বলে চিৎকার করছে সময়
আমি বলি একলা দাঁড়ানো কিছুক্ষন ,
ঘাড় কাত করে আমার দিকে তাকালে ,যেন চিন্তা
আমি কাঠের ঘোড়া
দৌড়
অন্ধকার ছেড়ে রূপরাজ্যে সংক্রমিত সময়।
.
এই যে সময়
এই যে আমি ,তুমি আর দুস্কর এই মনকেমনের বিকেল ,
গাছেদের কবিতায় শুধু অপেক্ষার মুখভার।
আয় দেখি আমার কাছে চুল আঁচড়ে দি , মেঘের উপরে হাত
আয় দেখি তোর কাজল চোখে ,একটু আদর লেপে দি ,
এখনো বৃষ্টি আসে নি
এখনো মেঘ করে আছে ,সময় আসে নি।
.
এইবার একলা আমি ,শুধুই প্রেমিক হয়ে যাবো
প্রেম সাজাবো ,হাতে আমার আকাশের মেঘ ,পাহাড়ি নদী,আর কিছুক্ষন ,
তারপর
সময়ের ইতিহাস
ভালোবাসা দীর্ঘশ্বাসে
স্তবকে স্তবকে অনন্ত অধিকার শুধু সময়ের বসা শোয়ায়।
চুমু গুঁজে দিয়ে আয়নার সামনে অন্য মুখ
সময়ের সুখ ,
পাহাড়ের খাদে লাফ দিয়ে ঘোরা তোমার নামটুকু
আমার আমি
বয়ে চলা সাজানো শহরে
অন্যবিকেল
একা আমি।   

Wednesday, March 4, 2020

বিষবৃক্ষ


বিষবৃক্ষ
... ঋষি
কখনো ভাবি নি আমি প্রাক্তন হয়ে গেছি
কখনো ভাবি নি সময় আমার পুরনো প্রেমিকাদের চিঠি দেবে।
রৌদ্র ভেজা কোন এক দিনে
কখনো ভাবি নি আমার কবিতারা তোমায় স্পর্শ করবে।
শুধু অবেলায় দেরী হয়ে গেলে
থেকে  যাবে
বিষবৃক্ষ।
.
নিরাসক্ত কোন এক দিন মানূষের মিছিল
পাশে দাঁড়ানো সময় দেখবে অজস্র মুখ তোমার, আমার
তারপর
হঠাৎ ঘুম ভাংগা চোখে সভ্যতা উঠে দাঁড়াবে,
সেদিন আর কেউ লিখবে না
" এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ "। 
.
অদ্ভুত ভাবনায় মানুষ নিজের ঘরে তালা দিয়ে
সময় আঁকড়ে বাঁচে।
বাঁচা একটা সবুজ শহরের নাম
যেখানে মিথ্যা নেই,যেখানে সাজানো নেই, যেখানে শুধু সত্যি।
সত্যি শুধু একটা ভাবনার নাম
যা একজন প্রেমিক তার প্রেমিকার চোখে খোঁজে
যা একজন পিতা তার সন্তানের সুখে খোঁজে
যা একটা জীবন সত্যি বাঁচাতে খোঁজে।
আর
মি
থ্যে
সে রিমেকি ঝলমলে কাগজে মোড়া আমাদের জীবন।

ঝগড়া


ঝগড়া
... ঋষি

ঝগড়া খুলছে
বালিশের ফাঁকে বেড়ে চলেছে দুটো গ্রহের দূরত্ব।
মহাবিশ্বে বিপ্লব বলে একটা শব্দ আছে
বিপ্লব সময় বদলায় ,
কিন্তু বিপ্লবীরা চিরকালই রাস্তায় বসে রক্তের বিনিময়ে সময় কেনে ,
আর নির্দিষ্ট  সময় তারা পরিণত হয় স্ট্যাচুতে।
.
একটা গল্প কথা খুলছে
মানুষের যন্ত্রনা গুলো শ্মশানের ছাইয়ে লুকোনো মুখ ,
মুখ আয়নায়।
সত্যি বলতে কি প্রতিটা গল্পের একটা করে ধ্বংস থাকে
আর জীবনের ধ্বংসগুলো আসলে গল্প তোমার আমার।
একইরকম অনেকটা সকলের
শুধু সময় আর সময়ের মুখের ঝগড়া চিরকাল।
.
সময় বিষাক্ত হলে
তোমার চোখে ঘুম থাকে না ,চোখের কোনে  কালি ,
সময় একলা হলে তুমি মিথ্যে বলতে শিখে যাও
শিখে যাও  নিজেকে গুছিয়ে ভালো আছি বলতে।
মুঠোফোনের ওপারে তোমার আমার ঝগড়া
ঘরের ভিতরে সময়ের ঝগড়া ,
বিপন্ন সভ্যতায় ঈশ্বরের ঝগড়া মানুষের সাথে।
এইভাবে দিন বদলায়
দূরত্ব বাড়ে বালিশের ,প্রয়োজনগুলো  বাঁচার আয়োজন নয়
কষ্টে বেড়ে যায়।
কিলোমিটারে লেখে ফলক
ফেলে আসা সময় কিংবা কষ্ট । 

ডেডবডি


ডেডবডি
... ঋষি

মাঝে মাঝে ভাবি আর বুভুক্ষু হবো না
মাঝে মাঝে ভাবি আর মন্বন্তরে দাঁড়িয়ে সময় লিখবো না
অথচ কলম থামে না
থামে না ভাবনা।
ভাবি কবিতার লাইনভুলে এইবার ঈশ্বর লিখবো
কিন্তু ঈশ্বর ভাবলেই বিদ্রোহ করে সময়
ছাল ,চামড়া ছাড়ানো মাংসের দোকানে লাইন বেড়ে যায়।
.
বেড়েই যায় নদী জল
মুক্তির খোঁজে সময় ছুটতে থাকে শহরের রাস্তায় ,
ধর্মতলা মোড়ে ভিড় বাড়ে
মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিথ্যে বলে সময় ,আমি চিৎকার শুনি মানুষের।
আমার খিদে পায়
জানি না ঈশ্বরের খিদে পায় কিনা ,
ইচ্ছে করে ছুটে গিয়ে ট্রামলাইনে শুয়ে আমিও স্বপ্ন দেখি
শরীর মরে গেলে যে ডেডবডি হয়ে যায়।
.
সভ্যতা প্রাচীন শোক
গাছদেরও থাকে ,পাখিদেরও থাকে ,মানুষেরও থাকে ,
জানি না ঈশ্বরের থাকে কিনা।
তবু গ্রীষ্মের কোনো দুপুরে পথচারী রাস্তায় চলতে স্যানস্ট্রোকে মারা যায় ,
তৃষ্ণা খোঁজে সবুজ
কিন্তু সময় বোঝে না সবুজের শোক।
আমার কান্না পায়
একটা মৃত  শালিখ আমি খুঁজে পাই শহরের মাঝ রাস্তায়
আমার রাস্তা হারাই
জানি না ঈশ্বরের এমন হয় কিনা
শুধু জানতে ইচ্ছে হয় ঈশ্বরের মৃত শরীরটাকে
মানুষ ডেডবডি বলে কিনা।  

দুমুখো


দুমুখো
... ঋষি

গাছেদের বিষাদ নামে অন্যকোনো দিনে
বিষন্নতা রৌদ্র হতেই  পারে।
বছরের ক্যালেন্ডারের কিছু তারিখের উপর আঙ্গুল ছাপ
সর্বত্র জল ছাপ।
চিনতে পারি খুব দূর থেকে
ভালোবাসা আর প্রতারণা দুজনের আলাদা মুখ।
.
অন্য সময় হলে
তুমি সমুদ্র লিখতে চাইলে আমি লিখে ফেলতাম তোমার বুক।
এই সভ্যতায় দুধের ট্যাক্স উঠে গেলেও
দুধ উথলে  উঠলে
সবুজ জঙ্গলে সোনার হরিণ দৌড়োতে থাকে।
তোমার ইনবক্সে জমতে থাকা ঘোড়া
কখন যেন জংলী হয়ে যায়।
.
বিষন্নতা একটা অসুখের নাম
গাছেরা বিষন্ন হলে আকাশে মিশতে চায় ,
আর তোমার বিষন্নতায় আমার কবিতারা নষ্ট হয়ে যায়।
বছরের তারিখের নিরিখে কিছু তারিখে ঠোঁট লেগে থাকে
কিছু তারিখে শুধু সম্বল ,
আজকাল শপিং মলে তারিখে অফার।
সময় দর্শনীয় হলে আমিও রমণীয় হয়ে যায়
বুকের পতাকা তুলে
তাকিয়ে থাকি হাজারো সভ্যতা ভুলে বাসস্ট্যান্ডে।
সেখানে দাঁড়িয়ে প্রতীক্ষা
প্রতিটা প্রতারণার পরে প্রতীক্ষা আরো বেড়ে যায়।

বিনিদ্র রজনী


বিনিদ্র রজনী
... ঋষি

আটকে যায় বুক তোর বুকে বুক ঠেকিয়ে
বেবাক একটা দিন স্থবির হয়ে বসে থাকে তোর শহরের রাস্তায়।
হিসেব করে অঙ্গীকার দাঁড়ায় না
অথচ দাঁড়িয়ে থাকে একটা মানুষ ঘুমের ঘোরে ,
তোর কপালে ঠোঁট এঁকে
অনেকটা চায় জীবন।
.
এইভাবে মানুষ স্ট্যাচু হয়ে গেলে
শহরের রাস্তায় একটা দিন মানুষ ঠিক জড়ো  হয় ,
অন্তত একটা দিন মানুষটার আশে পাশে ভিড় বাড়ে
তারপর একা।
মানুষ একা হলে বোকা হয়ে যায়
আর মানুষ বোকা হলে মরে যায়।
.
আটকে যায় নিশ্বাস
হঠাৎ
তুমি কাছে এলে ,এক সমুদ্র মেঘ আমার ঘরে
বইয়ের টেবিলে বৃষ্টি ,সেদিন ঘুম।
সারা শহর ঘুমোয় ,
বৃষ্টিতে ভিজে সেদিনও একটা মানুষ ঘরে ফেরে।
ঘুম জড়িয়ে ধরে
তোমার চোখে বিনিদ্র রাত
তোমার দুইঞ্চি জীবন কিংবা চার ইঞ্চি
জোর কোথায়
শুধু রাত্রিটা কেটে যায় রোজকার বাধ্য সময়ের মতো।
আসলে রাত্রি একা হলে
কবি কবিতার নাম দেয় " বিনিদ্র রজনী "। 

উপন্যাসের প্রথম পাতা


উপন্যাসের প্রথম পাতা
.... ঋষি

যেখানেই যাই না কেন
মাথার ভিতর একটা ঘর থেকেই যায় চলন্তিকা।
চলন্তিকা আমার ছুটির দিনগুলো  খুলে রাখি তোমার কাছে
অথচ তুমি কি জানো কবিদের ছুটি নেই ,
ছুটি একটা গাছের নাম ,সবুজ অজস্র পাতা ,সবুজ স্বপ্ন
ছুটি একটা নদীর নাম ,সারাবেলা তিরতির বয়ে চলে চোখে পাতা।
.
যেখানে যাই না কেন
তুমি  থেকে যাও আমার গভীরে কোনো চিৎকার লেগে।
নিন্দুকেরা বলে একজন গম্ভীর ,হ্যান্ডসাম লোক কি করে প্রেমিক হয়ে যায়
কি করে হয়ে যায় পাগল তোমার জন্য।
হাতিয়ারা থেকে হাতিবাগান ,বেলেঘাটা থেকে বেলুড়মঠ
মন থেকে মিউজিয়াম ,সময় থেকে জীবাশ্মে
আজকাল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে আমি তাজমহল দেখি।
.
ভাবছিলাম একটা উপন্যাস লিখবো
"তোমাকে ভালোবাসি" এই হলো আমার প্রথম উপন্যাসের নাম।
আমার উপন্যাসের নায়িকা নিয়ম করে বাড়ি ফিরে যায়
আর নায়ক ঘরকন্নার স্বপ্ন দেখে " এইবার ছুটি "।
হঠাৎ বড়ো হয়ে যাওয়া একটা শৈশব আমার প্রেমিকা হয়ে গেলো
হঠাৎ দুমড়ে মুচড়ে আমার প্রেমিকা মা হয়ে গেলো
আমি অবাক হলাম ,
শুধু সাদা পাতায় আমার দ্বিতীয় অধ্যায়ের শিরোনাম লিখলাম
" ভালো আছি "। 
আমি জানি আমার কোনোদিন উপন্যাস লেখা হবে না
তবে এটা জানি আমাকে নিয়ে সময় লিখবে
অনেকে ভাববে।
একসময় আমাকে বুঝতে না পেরে আকাশের দিকে তাকাবে
হাসবে
আর বলবে " পাগল কবি"।
কিন্তু কেউ জানবে না কখনো
একটা জীবন ভালোবাসে উপন্যাস হওয়া যায়। 

Tuesday, March 3, 2020

আমি আর আমি


আমি আর আমি
.... ঋষি

আগুনে পোড়া সময় হয়ে যাবে দুধে  ভাতে,
আমি মুখ রাখবো তোমার বুকে
এক ঝটকায় ছিঁড়ে নেবো তোমার বুকের কালো অন্ধকার।
গুলি – বন্দুক – বুলেট মুখ  লুকোবে লজ্জায়
সময় ,
আমার সারা মুখে রক্ত।

জানি তুমি আঁতকে উঠছো চলন্তিকা
ভয় নেই তোমার ক্ষতি আমি আমার সাতজন্মে করতে পারবো না ,
শুধু পারবো নিজেকে নষ্ট করতে
শুধু পারবো নিজেকে পোড়াতে  সময়ের আগুনের মুখে ঘি ,
দাউ দাউ
জোনাকীর মৃদু আলোয় এখন আর আলো হবে না
এখন আমার বুকে বারুদের রোগ।

কবিতার ঘ্রাণে নিসর্গ মুক্তি পাবে
ভাবনার দেওয়ালে,
আঁকিবুকি খেয়ালে মাঠে লাফিয়ে বেড়াবে জলফড়িং।
না ফিরবে না
ফিরবে না শৈশব
শূন্য নির্জন মরুভূমি তৈরী করবে একটা জনপদ।
সাজানো মানুষ
মিথ্যে তখন ,
আমার মতো মুখে তাদের নিজের শরীরের মাংস।
স্মৃতি খুবলে খাবে অতীতের ইতিহাস ঘেঁটে
বাঁচা – মরা
শূন্য শব্দ - মিথ্যে বলা
আলুথালু আকাশের মেঘ - শব্দ ভাঙছে মৃত্যুতে ,
নদীতীরে ফাঁকা বেঞ্চ - পাশাপাশি আমি আর আমি।
তুমি কাঁদছো কেন চলন্তিকা
আমি যে বেঁচে এখনো। 

ন্যাংটো পৃথিবী


ন্যাংটো পৃথিবী
.... ঋষি

চোখ বন্ধ অন্ধকার
জানালা খুললেই দেখা যায় স্বাধীনতা ন্যাংটো হয়ে স্মৃতিসৌধ।
কখনও আলো আলো, কখনও ছায়া ছায়া,
সময়ের শব্দগুলো যন্ত্রনায় নীল।
একটা সাত বছরের যোনি চিৎকার করে কাঁদে
মা তুমি কোথায় ?
নাগরিক পথচলায় মানুষ দাঁড়িয়ে গান্ধীজির  বাঁদর।
আমি ঘেমে নেয়ে  উঠে বসি আমার বিছানায়
পাশে আমার সাত বছরের ছেলে
ভাগ্যিস ছেলে।
.
নীচের ফাঁকা ময়দানে  ‘ ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও ‘ এই সব শব্দের ভাঁজ
চোরাকারবারি ব্যস্ত নিচের ময়দানে সুখের পতাকা দাঁড় করতে ,
মানুষ যদি গুঁড়িয়ে দিয়ে নিষ্কৃতি পেয়ে যেত
তবে আমি আঁতকে উঠতাম না মাঝ শহরের ব্যস্ত রাস্তায়
একজন বার্ধক্য বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়াতে।
শুধু মোমবাতি মিছিল করে কি হবে ?
দৈনন্দিন মানুষের চিৎকারের থেকে বেশি মোমবাতি
এই শহরে যোনি ফুটো করে।
.
পাঠক ভাবছে টিআরপি বাড়াচ্ছে কবি
আসলে কবি নিজের যৌন চাহিদাতে খুঁজতে চাইছে সবুজ মাঠ।
কেউ কেউ বলছে ভীষণ ন্যংটো লিখি আমি
কিন্তু কিছুতেই তাদের বোঝাতে পারি না মানুষগুলো ন্যাংটো যে আজ।
ষড়রিপুর ষড়যন্ত্রে
কাঁপে সময়ের ভাঁজ , ভেজা  ঠোঁট,
তসলিমা  পড়তে পড়তে  পেখম মেলে সাহসী শরীর,
জীবন ফেরে বন্য ময়ূর হয়ে সবুজ অরণ্যে ।
তারপর পৃথিবীর সোনা ঝুড়ি  রোদ ডুবে যায়  অন্ধকারে,
নিঝুম রাতে প্রজাপতি হয়ে যায় মথ,
নদী মরে সাদা জ্যোৎস্নায়।
তবু শালা আমি লিখতে পারি না সময়
ন্যংটো পৃথিবীতে কবিতারা নষ্ট হয়।

লুকিং গ্লাস

আরো দ্রুত এগিয়ে যাও তুমি  যাতে তোমার পিছনের ভয়গুলো তোমাকে না ছুঁতে পারে  ঠিক এখানেই একটা ফুলস্টপ লাগানো আছে , স্বার্থক মুক্তি আর মুক্তির মাঝ...