Monday, April 28, 2014

rishi026@gmail.com

অন্য পৃথিবী
............... ঋষি

কিছুটা পাঁচিল ভাঙ্গার শব্দ
কিছুটা নদীর পার ভাঙ্গার।
কোনো অখ্যাত সুনামির দাম গুনছি
এক চিলতে ভাঙ্গা বাড়ি ,,
একটা সঠিক আশ্রয় খুঁজছি।

একলব্যের কাঁটা আঙ্গুল
ঝুলে আছে চালসে চোখে বুড়ো আঙ্গুল।
কোনো আজব দেশের রাজা
আর আমি আসলে  বোকা প্রজা
একটু শান্তি আর শান্তি চাইছি।

সারা দেশ জুড়ে আমার বাড়ি
আর দেশের পরে দরজায় খিল।
দেশের রাজা অন্ধ কুলুপে
লাভ আর লোকসান ,বাঁচা অমিল।
আশ্রয় চাইছি এমন নরকে। ......

একটু পা বাড়ায় কিছুটা বাইরে
হয়তো আকাশে ,হয়তো সমুদ্রে।
সবটা নীল ,কোনটা লাল,লাল রক্ত
বৃষ্টি নোনা দেখছি স্পষ্ট।
পিছনে লাগা চাবি মস্ত।

আর পারি না এগিয়ে চলা
সুনামি বুকে মোমবাতি শব।
গলছে আর ভাসছে জীবনে
সম্পর্ক্য আর বাস্তব সব।
আমি অন্য পৃথিবী চাইছি। 

RISHI026@GMAIL.COM

ঈশ্বরের দরজায়
..................  ঋষি

ঈশ্বরের দরজায় দাঁড়িয়ে কড়া নাড়ি
সহজ বুকের পাথরগুলো আমার চোখে।
এই যে ,,কেউ আছো হে
কি হলো দরজা খোলো আমি নেহাত মানুষ।
আপনার দরজায় ,,প্লিস বুঝুন আমাকে
আমি নেহাত মানুষ খুব সাধারণ
আপনাকে অবিশ্বাস করতে পারি তবে ক্ষতির ক্ষমতা আমার নেই।

নেই আমার কিছু হারাবার শোক
নেই কিছু পাওয়ার লোভ আমি খুব সাধারণ আপনার কাছে।
আমি দেওয়াল ছাড়া এক আহত প্রেমী
আপনার দরজায় ,,,প্লিস দরজাটা খুলুন।
আমি কিছু চাইবো না
আমার কিছু প্রশ্ন আছে আপনার কাছে।
বলুন তো আপনি ঈশ্বর তো .. ?

কে বানালো আপনাকে ঈশ্বর .... ?
কে দিল আপনাকে সব জান্তার তকমা ...?
বলুন তো কিভাবে বিশ্বাস করবো আপনাকে   ... ?
আমার প্রতিটা দুঃখে আমি আপনাকে ডেকেছি
আমার প্রতিটা সুখে আপনাকে দিয়েছি তৃতীয় শুন্যস্হান।
কিন্তু কি পেয়েছি ,শুনেছি আরো বিশ্বাস করতে
আজ উত্তর চাই ,,,কি হলো দরজাটা খুলুন। 

Sunday, April 27, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আমার আকাঙ্খায়
.......... ঋষি

টুকরো টুকরো ভালো থাকার অস্তিত্বগুলো
জুড়তে চেষ্টা করছি।
উড়তে চেষ্টা করছি আলাদিনের মাদুরে
যখন খুশি ,যেমন খুশি তোমায় ছুঁয়ে
ভালো থাকার চেষ্টা করছি।

সবটাই এক কল্পনায় থাকা সমুদ্রের বিশালতা
খুব একটা সাধারণ আঠায় লাগানো যাবে না।
ফুটপাথ ধরে হেঁটে চলেছি রৌদ্র গায়ে
খুব সহজে আমাকে আর ঝোলানো যাবে না
হেরে যাওয়ার তকমাটা তোমার হাতের।

জীবন থেকে খুঁড়ে আনা নোংরাগুলো
সরাবার চেষ্টা করছি।
গড়তে চেষ্টা করছি স্বপ্নের আদুরে ঘর
যেখানে আনন্দ ,যেখানে জীবন তোমায় ছুঁয়ে
বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি।

আমি জন্ম দেখি নি ,স্বপ্ন দেখেছি
আমি হৃদয় দেখি নি ,হৃদয় দিয়েছি।
আমি সময় দেখি নি ,সময় ছুঁয়েছি
আমি পাপ  করি নি, ভালোবেসেছি
এতো সহজে হারতে আমি পারবো না।

টুকরো টুকরো আলোর স্পর্শগুলো
আমি ছুঁতে চেষ্টা করছি।
ভাঙ্গতে চেষ্টা করছি তোমার পুরনো মিথ্যাগুলো
যেভাবে খুশি ,যেভাবে ভালো থাকা যায়
আমি একসাথে থাকার চেষ্টা করছি।



RISHI026@GMAIL.COM

আমি বৃষ্টিতে ভিজতে চাই
,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

মিথ্যা এক বিকেলবেলা আটকে আছে
কিছুক্ষণ পরে সন্ধ্যা নামবে বুকের পাহাড়ে।
জমে থাকা আকাঙ্খায় হাহাকার
যে কাঁচ ভেঙ্গে যায়
তা কি আর জোড়া যায় ?
চিরটা তো থেকেই যায় মনের কোনে।
মনের বাসনায় রাত্রি নামে
দুহাতের নখের ডগায় খামচানোর ইচ্ছাগুলো বাড়তে থাকে
আকাশের তারায় ,চোখের তারায়।

যে তারা খসে যায় ,তা কি আর পাওয়া যায়
মিশে যায় ,জ্বলে যায় ,ধুলোর মতো।
উড়তে থাকে অভিশাপ চারিধারে অবহেলায়
ধুলো আর ধুলো চোখের ধুলো ,মনেরও বোধহয়।
চোখ জ্বালা ক্লান্তি বড় অসহায়
নিজেকে বড় ছোটো লাগে নিজের কাছে।
অনেকটা গীতবিতানের সেই গানটা
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে
তবে নাকি  একলা থাকতে হয়।

মিথ্যা এক বিকেলবেলা জমে ওঠা পাহাড়গুলো
ভাঙ্গতে থাকা ,ভাঙ্গতে থাকা বুকের ভিতরে চিত্কার।
আর না ,প্লিস আর না
আর ভালো লাগছে না এই বেঁচে থাকা।
রাত্রি নামবে অনিদ্রায় ,চিন্তায় এক আকাশ
আর না আর আকাশ চাই না।
চাই না স্বপ্ন ,শুধু নোনা বৃষ্টি
দুকুল ছাপিয়ে বুকের উপর হাহাকার সমুদ্র
আমি ওই বৃষ্টিতে ভিজতে চাই।


  

RISHI026@GMAIL.COM

আমাদের কথা
......... ঋষি

সোজা হেঁটে রাসবিহারী মেট্রো স্টেশন ছেড়ে
আরেকটু দুরে।
রৌদ্র মাথায় শ্যাম বাজারের ধরে
কিংবা ধরো অন্য কোথাও।
যেখানেই যায় তুমি ফলো করো
ঠিক আসলে বুঝি না
আমি করি না তুমি করো.

তোমার ভেজা চুলে মাতোয়ার গন্ধটা
আমার অলিন্দের খাঁজে আটকানো।
অনেকটা সেই তপ্ত দুপুরে কফি সপে
আটকানো আমার কবিতার মতো।
তোমার আনত চোখে ,তোমার বুকে
শিরশিরে একটা মায়া ছুঁয়ে যায়
জানি তুমি কেন আমায় পাগল করো।

যেদিন আমার বুকের পাঁচিলে তোমার ঠোঁট
যেদিন স্তব্ধতায় ছড়ানো মুগ্ধতা আমার চোখে।
সেদিন তুমি আমায় দেখা দেবে
অন্যরূপে শুধু আমার হয়ে।
সেদিনও তুমি আমায় পাগল করবে
প্রেমের ছোঁয়ায়
সেদিন আমি হাঁটবো হনহন করে তোমার সাথে।

সে শিয়ালদা  হোক ,কিংবা অফিস পাড়ায়
কিংবা আরেকটু দুরে।
এক সমুদ্র মেঘের মতো বিশাল আকাশে
মনের সুখে আমরা ভাসবো।
সেদিনও কেউ ফলো করবে আমাদের
তপ্ত নিশ্বাসে ছড়ানো আদ্রতায়
আমার কবিতায় আমার তুমিকে। 

RISHI026@GMAIL.COM

উনিশ বিশ
............. ঋষি

একটু পিছিয়ে যায় চল
যেখান থেকে সূর্য দেশে দেওয়া যায় পাড়ি।
তুই আঠারো আমি বিশ,হলেও হয় উনিশ বিশ
ক্ষতি নেই ,শুধু একটু পিছিয়ে যায় চল।

এই শোন না ,আমার হাত ধর
চল পালিয়ে যায় দুরে কোথাও।
তুই আঠারো আমি বিশ,হলেও হয় উনিশ বিশ
কিন্তু চল পালায় সব দড়ি ছিঁড়ে .

এই তুই হতে পারবি না সদ্য ফোঁটা ফুল
ফুলের গন্ধে আমি মাতোয়ারা আজ থেকে।
তুই আঠারো আমি বিশ,হলেও হয় উনিশ বিশ
বলতে পারিস একরকম ইচ্ছা আশ্রয়।

এই শোন কাঁদছিস কেন দেখ আমি আছি
তোর নিশ্বাস ,তোর বিশ্বাসে, তোর কাছে সর্বক্ষণ।
তুই আঠারো আমি বিশ,হলেও হয় উনিশ বিশ
তাতে কি স্বপ্ন তোকে ছুঁয়ে থাকে।

এই তুই তো আঠারোতে আছিস আমার ভাবনায়
সদ্য স্নাত জন্মানো কবিতার গহ্বরে।
তুই আঠারো আমি বিশ,হলেও হয় উনিশ বিশ
কিছু আসে যায় না ,আমার সাথে তুই।

একটু এগিয়ে যায় চল
যেখান থেকে শুরু করা যায় প্রথম আলো।
তুই আঠারো আমি বিশ,হলেও হয় উনিশ বিশ
ক্ষতি নেই ,শুধু একটু ভালো থাকায়। 

Saturday, April 26, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আমন্ত্রিত জীবিকা
,,,,,,,,,,,ঋষি

নিত্য এক রোগ লেগে আছে
অনিত্যের পথেঘাটে  নোঙরা আবর্জনা।
যদি সাফাইওয়ালা  হতাম বেশ ভালো হতো
সাফাই করতাম হৃদয়ের যন্ত্রণা।

পরে থাকা টুকরো কাঁচ সব
এক একটা শব অনিদ্রার  চুলকানি।
সবাই যদি সত্যি হয়ে যেতো
হতো না এই বিবেকের মানহানি।

বিশ্ব মাঝে প্রেম বিলিয়ে ফিরি
আমি কোনো এক প্রেমের ফেরিওয়ালা।
যীশুখ্রিস্টের মুট বয়ে চলা
দাঁড়িয়ে দেখা রক্তে হলি খেলা।

পারদ চেপে বাড়তে থাকা বারুদ
বারুদের খোল জীবন মৃত্যু তফাত।
খোলের ভিতর রগড়ে ওঠে খড়ি
চিতার খাটে শুয়ে পড়লে হঠাত।

আমরা সবার পাওয়ার ঘরে খুশি
হারিয়ে যাওয়া হারিয়ে ফেলার রোগ।
কিন্তু যখন জীবন কাঁদতে থাকে
ভিষণ একা সাজানো সম্ভোগ।

অনিদ্রার দোষ যদি হয় একা
কাঁদতে থাকা বালিশে বিপ্লব।
হাতপা ঝেড়ে উঠলো শিরদাঁড়া
সবার শুধু ভালো থাকার লোভ।

আবার আমি সকাল নজল কাড়ি
সাফাইওয়ালার নোঙরা ঘাটা স্বভাব।
জীবন যদি ফুল রঙা চোখ রাখে
কষ্ট ছাড়া সুখের বড় অভাব।
  

rishi026@gmail.com

বাবু আমি ,,,শরীর
,,,,,,, ঋষি

ঠিক বলেছিল সেই সতেরোর মেয়েটা
যার বাপ মায়ের ঠিক নেই
আমায় কি বলছেন  বাবু ,,,,,,শরীর।

জন্মাবার পর জীবন বলেছিল
ধন্য তুমি নারী পৃথিবীতে এসো মাতৃরূপে।
একটু বড় হবার পর শরীর বললো
ঢেকে রাখ চুরি  হয়ে যাবে।
কিছুদিনের পরে সেই মেয়েরা মা হলো
যার মা ,বাপের ঠিক নেই সেই সতেরোর মেয়েটা।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা জীবনের পচা স্বপ্ন নিয়ে
কেমন মা,,,,,,, শুধু শরীর।

ইচ্ছে করছিল কেটে ফেলি মেয়েটাকে
আসলে নিজেকে কুপোতে ইচ্ছে করছিল
সংকীর্ণ জংলি নিয়মে মেয়েটার পাশে।

একটা গন্ডি কেন পৃথিবীর আলোয়
কিসের অসহায়তা সেই সতেরোর মেয়েটা।
একটা পণ্য ,একটা ভোগ্য,একটা লোলুপ দৃষ্টি
একটা শরীর ,,,সে তো পুরুষও হতে পারতো।
একটা ভীতি বেঁচে থাকা শরীর আগলানো
পরাধীনতার জীবনে জন্মানোর কুপমন্ডুকতা।
কিছুক্ষণের ধর্ষিত জীবন এক অভিশাপ শরীর
যদি কখনো মুক্তি হতে পারতো।

ঠিক বলেছিল সেই সতেরোর ,,শরীরটা
চিরবিভক্ত  পৌরুষ ক্ষরণে পাপ মেয়টার শরীর
আমায় কামড়ে বলছে বাবু ,,,,,শুধু আমি শরীর। 

rishi026@gmail.com

প্রশ্রয় ভালো থাকা
..........ঋষি

ভালো থাকা ,মন্দ থাকা
যেন বইয়ের পাতা জুড়ে মাঝামাঝি।
এক অন্তরলিখিত দহন
আলাদা অস্তিত্বের ভাগাভাগি।

কি যেনো এক ছুঁয়ে গেলো মেঘলা বিকেলে
গড়িয়ে পড়লো ঘাম ছেঁড়া বুকের কবিতায়।
ফুটপাথ দিয়ে হনহন করে হাঁটলাম
হাঁটলাম সময়ের সারণী ধরে তোমার ঠিকানায়।
ইচ্ছাগুলো আকাশের পাখি বন্দী খাঁচায়
হাঁটু গেড়ে দাবিয়ে দিলাম গলা আকাঙ্খায়।
ইচ্ছার দড়িতে বাড়িয়ে দিলাম গলা স্বপ্ন
কি যেন এক জটিল হাওয়া ছুঁয়ে গেলো।

কয়েকটা মুহূর্ত একলা করে সময় ছুঁয়ে গেল
বুঝলাম ,হাঁটলাম আর অদ্ভুত আবার হাসলাম।
তুমি চলে এলে প্রানের মাঝে
সেই একলা দিনে সময়ের সারণী ধরে।

কি জানি আজকাল এমন হয়
এক খাঁচা নাগরিকত্ব ছুঁতে চাই ভালোলাগাটুকু।
আটকে যায় জোকের মতো অন্তর দলিত ইচ্ছা .
আর মন্দ লাগে একলা থাকা সময়ের স্মৃতিটুকু।
ঠিক তখন মনে হয় একলা চলি ,
জীবনের পথ আর জীবনের সরণী বৃথা জীবনটুকু।
সব খালি ,শুন্য এক মুহুর্তের বাঁচা
আর প্রশ্রয় ভালো লাগা  তোমার স্পর্শটুকু। 

Friday, April 25, 2014

RISHI026@GMAIL.COM


রূপকথার সাজসজ্জা
.......... ঋষি

কয়েকটা প্রাচীন ঝরা পাতা যুক্তি মানে না
মানে কোনো বাঁধন,শাসন।
পুরো ছন্নছাড়া আদুরে এক পাগলা হাওয়া
চিরে দেখতে চাই এক বুক প্রেম।
ডুব দিতে চাই পানকৌড়ির মতো প্রেমের সাগরে
তুলে আনে মুক্ত ,ঝরা পাতা প্রেমের ঘরে।

 রাজকন্যা ঘুমোয় সোনার কাঠি রুপোর কাঠি
এক মায়া ,এক ইচ্ছা রাজকন্যার ঠোঁটে।
নিজেকে বোঝানো যায় না কিছুতেই
ছুঁটে যায় স্বপ্নের পক্ষীরাজ রাক্ষসের ঘরে।
ভাঙ্গাতে চাই ঘুম প্রাচীন আদরে
এক নির্বাসিত জোত্স্নায় প্রেম খেলা করে।

তোর মুখের সাথে মিল পায় সেই রাজকন্যার
যার ঘর নেই ,নেই দোর ,শুধু রাক্ষসের সম্ভোগ।
নিজেকে বড় ছোটো লাগে নিজের কাছে
যদি সত্যি কথা হতো।
রূপকথার রাজকন্যা বাস্তবে আমার হতো
বেশ হতো পাগলা হাওয়া স্বপ্নের আদরে। 

RISHI026@GMAIL.COM

প্রেমের প্রকৃতি
.......... ঋষি

ফুল সেতো ফুটে ছিল সেদিন
যেদিন একঝাঁক আকাশে তারা খসে পড়ল।
গোলকের বুকে নেমে এলো ইচ্ছার মতো
আমরা ইচ্ছা করেছিলাম সেদিন।
হাত হাত রেখে ,একসাথে থাকার ,জড়িয়ে থাকার
একদম চিরকালের সত্যের মতো।

আকাশ যেদিন আবার গর্ভবতী হলো
জন্ম নিলো  স্বপ্ন এক আকাশে চাঁদ আর সূর্য।
এক মায়ের জমজ রত্ন
তোমাকে জড়িয়ে সেদিন জন্মেছিল প্রেম।
দুটো হৃদয় হয়ে এক আকাশে
একটা আশ্রয়ের  প্রেমে।

যেদিন বৃষ্টির জলে ছুঁয়ে গেছিল তৃপ্তি
যেদিন অভিমানী মেঘের আলোর আশা।
সেদিন তুমি ছুঁয়ে ছিলে আমায়
তোমার একমাথা চুল যেন আলোর ঝরনা।
একটা মাতাল করা নেশা
এক শরীরে তুমি আমি।

তারপর আর দেরী হয়নি প্রেমের প্রকৃতিতে
ফুল ফুটতে  ,তোমায় মিস করতে।
শব্দ জুড়ে গোলকের আলোয় অভিমান
আর সেই অভিমানে তোমায় রাখতে।
তোমার কাছে থাকতে জড়িয়ে
আর তোমায় ভালোবাসতে। 

RISHI026@GMAIL.COM

একলা আকাশ ২
.............ঋষি

তুমি বললে আমার আকাশ হও
আমি তোমার একলা আকাশ হলাম।
রৌদ্র ছিল সূর্য ছিল মাথায়
আমি তোমায় মেঘলা ছায়া দিলাম।

তুমি বললে তোমার রক্তে আমি
আমি তোমার রক্তে জীবন হলাম।
তোমার আঘাত নিজের করে নিয়ে
তোমায় আমি হাসি উপহার দিলাম।

তুমি বললে আমার সময় হও
ঘড়ির কাঁটায় তোমার সময় হলাম।
স্পর্শ থেকে অন্ধকারে হাসি
তোমায় আমার জীবন দিয়ে দিলাম।

তুমি বললে আমার স্বপ্নে এসো
আমি তোমায় স্বপ্নে  আগুন হলাম।
তোমার সকল স্বপ্ন মেখে নিয়ে
তোমায় আমার স্বপ্ন দিয়ে দিলাম।

তুমি বললে আমার অনেক কাজ
আমি তোমার কাজের হৃদয় হলাম।
তোমার কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে
আমার কবিতায় তোমায় লিখে দিলাম।

তুমি বললে আমার জীবন তুমি
আমি তোমার হৃদয় পাখি হলাম।
তুমি এখন পূর্ণ অন্য রূপে
শুধু নিজেকে শুন্য করে দিলাম।

তুমি বললে তুমি একলা থাকো
আমি তোমার মুক্তি হয়ে এলাম।
আজকে আমার দিন ফুরোলে বলে
তোমায় ছাড়া একলা হয়ে গেলাম। 

RISHI026@GMAIL.COM

মুখোমুখি জীবন
............ঋষি

দুপুর রৌদ্র চামড়া তোলা দিন
আচ্ছা যদি অতীত তোলা যেতো।
ফুটপাথে এক ভাঁড় চা
আচ্ছা যদি জীবন তৃষ্ণা মিটে যেতো।

হাত বাড়িয়ে এক আঁচলা জল
এক সমুদ্র নোনা বালি আমার বুকে।
যদি অন্য হাতে তোমায় ছোঁয়া যেতো
প্রকৃতি অহংকারী আমার সুখে।


পাশে ফুটপাথ ছুঁয়ে পণ্যের মতো স্মৃতি
বিকোচ্ছে লাভ আর পাপ নিয়ে।
মস্তিষ্কে তোমার  সাথে সঙ্গম
তোমার হাসির আলোররেশ  নিয়ে।

জীবন এক কোলাহল এলোমেলো ট্রাম
পথ ছেড়ে পথের উপর এ বুকে।
চলছে ,থামছে ,মাড়িয়ে চলে যাচ্ছে
অনির্দিষ্ট জার্নি লং রুটে।


বিরক্তি সব পথে হেঁটে চলে
সাজানো হাসি পাহাড় বোমা যেন।
হাসিটুকু হৃদয় ছুঁয়ে থাকে
মাথার ছুঁয়ে শব্দ মিছিল যেন।

পথের ধারে ভিক্ষাবৃত্তি এক জীবন
তুচ্ছ দর্প ভালো থাকার সাধ।
অন্ধকারে আলোর শব্দ খোঁজা
তুমি শুধু জীবন  থেকে বাদ।

দুপুর আসে চামড়ায় লাগে ছেঁকা
ভালো সব মুহূর্তগুলো একা।
চোখের ছোঁয়ায় লেগে যায় আদ্রতা
জীবন চলে সাথে বাঁচা একা। 

RISHI026@GMAIL.COM

অন্তর দহন
........... ঋষি

তোমার যোনি চিরে যেদিন ঢুকে গেছিল
কোনো একটা অধিকারী শরীর
সেদিন বোঝো নি।
বারংবার একা হয়ে আকাশের তারা গুনেছো
কিন্তু অধিকার চাও নি আকাশকে স্পর্শ করার
তবুও বদলাও নি।

যেদিন এসেছিল একটা শরীর তোমার নাভিতে
তখন বোঝো নি  তোমার অন্তর ইচ্ছা
এখন বোঝো কিন্তু নিজেকে চেনো নি।
অভিশপ্ত রাত্রিগুলোতে শরীর সেজেছো
সাজিয়েছো অভিনয় সাঁঝবাতি
কিন্তু রাতের প্রদীপে প্রেম ঢালো নি।

প্রদীপ জ্বলেছে অন্তরে গহীন কোনের ইচ্ছা
দিনে রাতে সময় আর সময়ের সাথে
তবু  স্পর্শ করো নি।
আলাদিনের প্রদীপ দৈত্য অন্তর দহনে গর্জেছে
অন্তর নিংড়ে আকাশ চেয়েছে
তুমি ভিজেছ বৃষ্টিতে আকাশ দেখো নি।

দেখো নি আকাশ কোনো নিয়ম শৃঙ্খলে বেঁধে
নুপুরে শব্দ শুধু মনের কোনে
তবুও কখনো হৃদয়ে ডবো নি।
কি  চাও,প্রশ্ন করেছো নিজেকে বারংবার
উত্তর পেয়েছি আমার আকাশ
কিন্তু তুমি স্পর্শ করো নি। 

Thursday, April 24, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আমার কবিতা আর তুমি
......... ঋষি

কখন তুমি হাসলে কবিতা হয়ে
তোমার গালের আঁচিল গলে জল।
৪০ - ৫০ এ পারদ ঠেকলো বলে
তোমার শরীরে সব রক্ত জল।

হৃদয় জুড়ে ঝরনা তুমি শব্দে
শব্দ তোমার ঠোঁট জুড়িয়ে থাকে।
তোমার শরীর গন্ধ নিয়ে আসে
কবিতা তখন যত্নে ছবি অংকে।

কখনো তুমি একলা বিকেলবেলা
সদ্য স্নাত সন্ধ্যা আরতি ফুল।
কবিতা গুলো হওয়ার মতো আসে
বাতাসে গন্ধ প্রেমের কদম ফুল।

আকাশ থেকে কবিতা নেমে আসে
যখন তুমি আকাশ পানে দেখো।
সূর্য তখন আখমিচুলি খেলে
চাঁদের দিকে তুমি তাকিয়ে থাকো।

তোমার আঁচল স্বপ্ন জাগা স্রোত
আঁচরে চলে বুকের পাথর ভেঙ্গে।
কবিতা তখন খেলনা বাটি খেলে
হৃদয়ে আমার ঘুম না যায় ভেঙ্গে।

স্রোতের পরে স্রোত বয়ে যায় পাতায়
শব্দগুলো এক একটা রাত জাগে।
তুমি যখন স্বপ্নে শুয়ে থাকো
আমার কবিতে শিয়রে স্পর্শে থাকে।

কবিতা তোমায় স্পর্শ করে প্রেমে
যাক না জীবন ,যেদিক দুচোখ যায়।
বাঁধন ছেড়ে উড়তে থাকো তুমি
আমার কবিতার তোমার প্রেম চায়।

তোমার নরম বুক যদি হয় কাদা
আমি তবে কাদার কবিতা লিখি।
তুমি যখন কাঁটায় হাঁটতে থাকো
আমি তোমায় জীবন বলে ডাকি।

প্রকৃতি যদি থার্মোমিটারে থাকে
তোমার শরীর আমার কবিতা হয়।
শুন্য থেকে পঞ্চাশ সব ফাঁকি
আমার কবিতা স্পর্শ সুখে রয়।

RISHI026@GMAIL.COM

আদিম সভ্যতা
..................... ঋষি

বেশ তো দুরবীন দিয়ে দেখছি তোকে
বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম তোর সাথে।
মনে মনে ,,মনের গভীরে
যে পথ চলে যায় অলিগলি বেয়ে
সোজা গিয়ে দাঁড়ায় ,,তোর জানলায়।
উঁকি মারি,,,,,, কি রে ব্যস্ত তুই।
কি রে কি খুঁজিস এক উটের চোখে।

কি করছিস ,,,,,,,, ??
কোনো রৌদ্র মাখা জামায় হাত গলিয়ে
বিকীর্ণ সভ্যতার পিঞ্জরে জড়ানো খাঁচা।

কি রে কেমন আছিস ,,,??
কি করছিস মনের জানলায় দাঁড়িয়ে
একলা মনে ,,এক কোনে।

সত্যি বলতে বাধা নেই
সভ্যতা তোকে ভিখিরি করেছে
করেছে অলিন্দের জমা রক্তে ওঠবোস।

কেমন আছিস খাঁচায়  .... ??
তোর পায়ের নুপুরে জমানো অভিশাপ
মেনে নিতে হয় ,,,না হলে ভাঙ্গতে।

কি রে কোনটা করবি তুই ......... ??
আয় জানলায় আয় গল্প করি
করি সভ্যতার আলিঙ্গন আদুলে গায়ে।
মাখি এক সমুদ্র নোনা হাওয়া
আয় পুড়ি কোনো এক অচিন স্পর্শে।
এক সাথে ,এক মনে
আয় গ্রহণ করি সভ্যতার আদিম ইতিহাস। 

Wednesday, April 23, 2014

RISHI026@GMAIL.COM


তুই চলে যাচ্ছিস যা
........... ঋষি

তুই চলে যাচ্ছিস যা
যাওয়ার সময় তোর পায়ের তলায় মাড়িয়ে যাবি নুড়ি
ঠিক আমার মতো।

যাওয়ার পথে রেলিং দিয়ে হাত বোলাবি শব্দদের ভিড়
প্রশ্ন আমার মতো।

যার হাত ধরে যাবি আর যেখানে যাবি সবটাই আলো
অন্ধকার আমার মতো।

মসৃন পথে দুচারটে কাঁকড় থাকবে শব্দ বহুল জগত
আশা আমার মতো।

যে যানে তুই চড়বি তার স্পিডের কাঁটায় আমার গিয়ার
সত্য আমার মতো।

যেখানে তুই থাকবি তার প্রতি তলায় নিয়ন আলো
সুইচঅফ আমার মতো।

রাত্রে যেখানে শুবি তোর কোল বালিশে তুলো
স্পর্শ আমার মতো।

তুই চলবি ,কথা বলবি,স্বপ্ন গড়বি ,ভালো থাকবি
ইচ্ছা আমার মতো। .

তুই চলে যাবি ,কষ্ট দিবি ,আরো দুরে মিশে থাকবি
অগ্রাহ্য আমার মতো।

তুই চলে যাচ্ছিস যা
যাওয়ার পথে সাবধানে পা মেপে রাখিস  ক্লান্ত তুই
জীবন আমার মতো। 

RISHI026@GMAIL.COM

অহংকারী প্রেম
........... ঋষি

তোর স্তনে দাঁত রেখে ছিঁড়ে নেব
সবটুকু,,,,,,,,,,,,,, তুই সাড়া দিবি ঠিক।
তোর নরম বুকে মুখ ঘষে কেড়ে নেব
তোকে ,,,,,,,,,,, তুই বুঝে যাবি ঠিক।

তোর চোখের কোনে লেগে থাকা ক্লান্তি
অনিদ্রার ,,,,,,,আমি তোকে নিদ্রা দেব।
তোর বুকের ঢিপিতে লাগা উই পোকা
যন্ত্রণার ,,,,,আমি তোকে মুক্তি দেব।
তোর ব্যস্ত পাতায় শুধু ইঁদুর দৌড়
রৌদ্র,,,,,আমি তোকে স্বপ্ন দেব।

তোর বৃষ্টির মেঘে লেগে থাকা সিঁদুর
ভয় ,,,,,আমি তোকে শান্তি দেব।
তোর দখিন হওয়ায় ভেসে যাওয়া অতীত
কল্পনায় ,,,,, আমি তোকে সত্যি দেব।
তোর বারন্দায় শুয়ে থাকা ক্যাকটাসে
রক্তপাত,,,,,আমি তোকে আশ্রয় দেব।  

তোর নাভিতে জিভ দিয়ে জীবন্ত স্পর্শ
প্রেম ,,,,,, তুই বুঝে নিবি ঠিক।
আমার শব্দের অন্তরে লেগে থাকা শুন্যতায়
আমৃত্যু ,,,,,,জীবন তুই বাঁচবি ঠিক। 

rishi026@gmail.com

শব্দদের আকুতি
..........ঋষি

কিছু শব্দ বুকের কাছে বসে
বাকুম বাকুম করে পায়রার মতো।
বেঁধে রেখেছে কেউ ,,,কোনো অদৃশ্য মায়া
উড়তে চাই আরো উপরে ,,আরো আরো।
যেখান থেকে ভাসা  যেতে পারে মাধ্যাকর্ষণ ছাড়া
কোনো মায়া ছাড়া
কোনো আকাঙ্খা ছাড়া গভীরতর প্রেমে।

শব্দদের অস্লিলতর শরীরগুলো পাড়ারমোড়ে
চায়ের দোকানে প্রেমে পরে।
আমিও প্রেমে পড়ি বারবার শব্দদের ভিড়ে
নরম কুয়াসায় ভিজে যাওয়া শরীরের মতো।
আমিও ঝগড়া করি নিজের সাথে অস্লিল ভাষায়
সে ভাষায় শুধু থাকে দূরত্বের রক্ত
আচ্ছা প্রেম যদি পাড়ার শরীরে হত।

ফাঁকা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ল্যাম্পপোস্টের মাস্তুলে বাঁধা
আমার স্বপ্ন রঙের পতাকা।
নিস্তব্ধ অন্ধকার ছুঁয়ে যাওয়ায় হলদে আলোয়
স্বপ্নের মাঝে দুরে দেখি তোমায়।
একটা অস্তিত্ব ,ক্লান্তহীন সামনের আলোয়
আমি এগোতে থাকি তোমার দিকে
আর শব্দরা ডাকতে থাকে পায়রার মতো। 

rishi026@gmail.com

শব্দহীন শেওলা
....................ঋষি

দুরন্ত আবেগবুকে  তুই চিরে দিস
ভিতরে রক্ত মাংশ শরীর সবটা তুচ্ছ
শুধু হৃদয়টাতে বড় বাজে রে।
তোর ভালো থাকা ,খারাপ থাকা
লেগে থাকে আমার ফসিলে।
সেখানে হাড়ের শব্দে
তোকে আরো গভীরে ডাকে রে
খুব গভীরে নিয়ে যেতে চায়।

কি আছে শরীরে ,
মাংস আর মাংস ,সাজানো শরীরে।
একটা কাঠামো দাঁড়িয়ে থাকা শিরদারা
সব সত্যি।
কিন্তু আসলকথা এই মনটা
সুক্ষ কাঁচের মতো ফুঁটতে থাকে হৃদয়ে
তোকে ভীষণ ভালোবাসে রে।

এক যুগ জমানো প্রেম
আছড়াতে থাকে আমার বুকে জমানো বরফ।
শেওলাগুলো ভেসে চলে
মনের গভীর নদীতে।
দিনের সাথে সেগুলো বাড়ে আবার কমে
এ যেন কোনো শব্দহীন কান্না।
তোকে আরো গভীরে ডাকে
রক্ত মাংস বাদে হৃদয়ের সাথে। 

Monday, April 21, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

মমির প্রেম
,,,,,,,,,, ঋষি

মমির খাটে শুয়ে সুগন্ধিকর মৃত্যু লেখা
পরামিডেও প্রেম শুয়ে আছে।
শুয়ে আছে নীলনদের কালোজলে রক্ত।
বালি আর বালি চোখে
জ্বলে যায় ,পুড়ে যায়  তাপে।
নিরাসক্ত অভিশাপে মমির কালো রক্ত।
আরেকটু দেরী করো জীবন যন্ত্রনায়
মমির মত শুয়ে থাকি বালির কল্পনায়।

সময় কোনদিন থেমে থাকি নি
থাকে নি মুহুর্তদের বিরক্তিকর আল্পনা।
কিছু মুহূর্ত মমির খাটে
কিছু মুহূর্ত জ্বালায় রাতে।
আসলে শব্দ কখনো হৃদয়ে থামে নি
ঠুকে ঠুকে পেরেক পোঁতায়।

পাথরে পাথর ঘসে ,বালির সাথে কালি
সাজায়ে মালা বসে থেকে
স্বপ্ন দেখা খালি।
মমির খাটে রক্ত লাগে নি ,জমানে অভিমানে
শুকিয়ে গিয়ে প্রেম কাঁদে নি
পিরামিডের প্রাণে।

মমির খাটে শুয়ে সুগন্ধিকর মৃত্যু লেখা
লেখা প্যাপিরাসের অন্তর গভীর
ভঙ্গুর কিছু শব্দ মন্থন।
অভিশাপ পিরামিড ধর্মগ্রন্থ।
মৃত্যুহীন কালোছায়া আকাশ জুড়ে কাঁদে
পিরামিডের গায়ে যখন বৃষ্টি নামে।
ফুল ,পাথর পচে ,পচে মমির রক্ত
সেই রক্তে ঈশ্বর শুধু ভালবাসার ভক্ত। 

RISHI026@GMAIL.COM


আমার আকাশ
.......... ঋষি

এক আদ্রতা ভেজা দিনে তুমি এসেছিলে
ছন্নছাড়া এক আদুলে হাওয়ায়।
আমি খোলা ছাদে পাঁচিল গেঁথেছিলাম মনের মত
একগাদা রামধনু রং ছড়িয়ে দিয়েছিলাম আকাশে।
গভীর আকাশে হাত বাড়িয়েছিলাম স্বপ্ন দেশে
আমি হেসেছিলাম সেদিন বেদুইন হাসি।
এক মহুয়া নেশায় পাগল হয়ে
জড়িয়ে ধরেছিলাম তোমায় আমার আকাশ।

আকাশে নোনা জল চোখে বিশ্বাস
আর বিশ্বাসে ক্লান্তি থাকে না।
থাকে না কোনো আপ্লুত নগ্নতা
শুধু বাঁধ ভাঙ্গা নিস্তব্ধতা হৃদয় কোনে।
ধরা  দেয় শেফালী ফুলের গন্ধে
তোমার পথে পরে থাকা শেফালীগুলির।
শুধু বিশ্বাস মাড়িয়ে যাওয়া একটা স্পর্শ
আর নেশা বুকের উপরে।

আজ বালুময় প্রান্তরে দাঁড়িয়ে
খুব দূর থেকে দেখি তোমার শহরটা।
যেখানে রোদ,বৃষ্টি ,মেঘ আসে যায়
সময় বদলায় ,সময়ের পথে তোমার রূপ।
আমি আজও পাঁচিল গাঁথি,,,বালির  পাঁচিল
যা ভেঙ্গে যায় তোমার ঘামের গন্ধে।
আমি আজও আদ্র থাকি কোনো ক্লান্তি ছাড়া
জড়িয়ে ধরি তোমায় আমার আকাশ।  

RISHI026@GMAIL.COM




















অভিনয়
,,,,,,,,,,, ঋষি

অভিনয়টা ভালই রপ্ত করেছো
সকালের আলো মেখে পুলিশ মুখোমুখি
প্রশ্নবান ছুঁড়ে দেয় অজান্তে নিশানায়।

সাদা কাপড় ঘুমিয়ে থাকে তিন হাত জমিতে
সেখানে হাতগুলো গুটিয়ে রাখাটা একটা ভীরুতা
আর তুমি রয়ে গেছো সেই অন্ধকার ঠিকানায়।

মিছিমিছি করে চলো অভিনয় ভালো আছো
খুব ভালো  সাজানো শরীরে কালিময়
চোখের কালি অন্ধকারকে হার মানায়।

দু এক ফোঁটা চোখের জল তোমার বারান্দায়
ক্যাকটাসে লেগে থাকা সুপ্ত আশার ঘোড়া
ঘোড়া চড়ে এ জীবনে তোমার ক্লাস কামায়।

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
আরো ভালো অভিনয় আমি করে চলি
এ চোখে তোমার চলা মৃত্যুকে জানায়।

অভিনয়টা ভালই রপ্ত করেছো
এবার তো আলোর কাছে এসো
প্রশ্নগুলো ছুঁয়ে আছে তুমি নিশানায়। 

rishi026@gmail.com

আমার ক্যানভাস
......... ঋষি

তোর ফ্যাকাসে ছবিটা সরিয়ে রাখ
ওটাই প্রান নেই।
আমি যে জীবন্ত ছবি আঁকি
আমি যে সময়ের কথা বলি।
এই ছবিটা দে আমি এঁকেছি
দেখ তুই ফুটবি তোর ক্যানভাসে।
যেখানে একপাত্র হাসি আমি ঢেলে দেব
তোর মুখে।

জীবন বড় কাঁটাময় তোর চোখের কাজলে
বড় ক্লান্তি ছুঁয়ে আছে দু নয়নে।
যেখান থেকে গড়িয়ে যায় কোনো নদী
শিবের জটায় জোটে মৃত আকন্দ ফুল।
অনেকটা বিষাক্ত কোনো গাঁথা
লুকিয়ে থাকে চোখের কাজলে তোকে খোঁজে।
একপাত্র বিষে শিব নীলকন্ঠ
আর তুই এক নেশায় মাতাল আকন্ঠ।

আমি জীবন হয়ে সমুদ্রে থাকি
আমি মৃত হয়ে আমার ক্যানভাসে।
আমার হাতে ফুটুক নতুন ফুল
রং দেব না সাজাবো আকাশে।
আজ আর কোনো কথা বলবো না
শুধু শুনতে চাই তোকে তোর মুখে।
আজ আর নতুন ছবি আঁকবো না
হাসাবো ছবি ক্যানভাসে তোর সুখে।
             

Sunday, April 20, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

ওলটপালট ঝড়
......... ঋষি

এক একটা ঝড় এমন হয় যে
জীবন ওলটপালট।
কোনো এক ইমোসানে চড়ে কাঠের ঘোড়ায়
ঠিক যেন ,,,,, পাগলা ঘোড়া।
আর পাগলা ঘোড়া খেপলে
বন্দুক থাকে হাতে আর হৃদয় গড়ায়।

শুধু বারুদের গন্ধ ঘিরে ধরে হৃদয়ে
আর পরে থাকা কার্তুজের শব্দহীন জটিলতা।
নিরুদ্দেশ এক অন্তহীন পথে
ছুটতে থাকে আর
ছুঁয়ে দিতে চাই স্বপ্নগুলো
ঝড়ের ছোঁয়ায়  চঞ্চল হৃদয়।

আজ বিকেলের ঝড়ে লাল আকাশ
উড়তে থাকা পাতারা তোমার খবর নিয়ে আসে।
আমি জানি তুমি ভালো আছো
ভালো আছে আমার অন্তরের স্পর্শগুলো।
তোমার ছোঁয়ায়
তবুও তোমায় ছুঁয়ে দিতে চায়।

জীর্ণ পাতার মতো উড়ন্ত মুহূর্তরা
ধরা দেয় চোখের পাতায়।
বায়োস্কোপের গল্পের মত সাজানো জীবন
তোমাকে ছুঁতে চায়।
প্রতি মুহুর্তে ঝড়ের এ ছোঁয়ায়
ওলটপালট হৃদয়ের দরজা জানলায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

আসলে এভাবেই  হেরে যেতে হয়
............... ঋষি

হারার কিছু নেই ,সবটুকু স্পর্শ
হাত ছেড়ে দেওয়ার পরে একটা ঝিম ভাব।
ভোলার প্রতিযোগিতায় আমি হারবো আমি জানতাম
তুমি জিতছো ,আর জিতে যাবে।

দেশলাইয়ের শেষ টুকু ছাই
মিশে যাবে ,মিশে যেতে হয়।
নিয়মগুলো বানানো বোধ হয় ঈশ্বরের হাতে
হারার পর জীবন হেরে যেতে হয়।

তোমার পথে হোক পুষ্প বৃষ্টি
গলায় ঝুলুক জিতে যাওয়ার মেডেল।
আমার শুধু এক পশলা বৃষ্টি
হারার যন্ত্রনায়  ,হেরে যাওয়ার লেবেল।

ট্রেন ক্রসিঙে দাঁড়িয়ে দুরে দেখা সেই পথ
অপেক্ষা একটা ফেলে আসা বেলার সোনালী রৌদ্র।
রৌদ্র আসে কু ঝুক ঝুক করে
আমার উপরে ,বুকের উপরে।

নিত্য জমানো স্মৃতির ভাঁড়ে ভাঙ্গা টুকরো গুলো
মুহুর্তের আঠায় জুড়তে থাকি।
জুড়তে থাকি ফেলে আসা বেলার সোনালী স্পর্শে
 যা ভেঙ্গে যায় ,তা আশার আলোয় গড়তে থাকি।

গড়তে থাকি তাজমহল হারার যন্তনায়
হাত ছেড়ে দেওয়ার সোনালী নিয়মগুলোর।
কারণ খুঁজতে থাকি জীবন যন্ত্রনায়
আসলে এভাবেই  হেরে যেতে হয়। 

rishi026@gmail.com

আচমকা আমি
................ ঋষি

কেন আমি কি ভিনদেশী
না বহিরাগত আচমকা আসা প্রশ্ন।
সকালের তারার আলোয়
উত্তরগুলো সাজানো অপেক্ষায়।
এক নির্জন একলা সময়
যখন অস্তিত্ব তোমায় ছুঁয়ে যায়।

আমি পারিনি হতে গোলকের মত স্থির
ধীর খুব গভীর চেতনার রঙে
আমি তোমায় ছুঁতে চায়।
ঠিক যেমন কনে দেখা আলোয় একটা মুহূর্ত
আর একটা মেটো গন্ধ তোমার গায়ে।

মাটির উপর প্রলেপ ফুটে ওঠে আমার কবিতায়
সারা জীবন জুড়ে কত ভূমিকায়।
কবিতারা বায়না করে ,মানতে চাই না
তাইতো তোমায় জানতে চাই
যখন বন্ধ হৃদয় একলা ঘরে।

তারকাটা কোনো একতারা সুরে ক্লান্ত হৃদয়
হাঁটতে থাকে এগিয়ে যায় সূর্য দেখার লোভে।
আমার কবিতারা সেই পথ ধরে
তোমায় জানতে চাই ,আরো গভীর হওয়ার লোভে।
কিছুক্ষণের সন্ধ্যা তারার মতো
এক আকাশ তারার মাঝে তোমায় খুঁজে যায়। 

rishi026@gmail.com

আমি তাদের কথা বলছি
............ঋষি

তারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল ,রৌদ্রে পুড়েছিল
তাদের কোনো দেশ নেই ,নেই শান্তি।
তারা ভিনদেশী কোনো সময়ের মতো
সবার সাথে মিশতে চেয়েছিল।
তাদের চোখে স্বপ্ন ছিল বেঁচে থাকার।

শঙ্খ চিল বা স্বপ্নের মতো
যারা ধরতে চেয়েছিল হৃদয়।
তাদের কোনো দেশ নেই,নেই শান্তি
আমি তাদের কথা বলছি
যাদের হৃদয়ে রাখা শুধু একমুঠো আশা।

আশা এই বেঁচে থাকা,একটু ভালো থাকা
আশা জীবন নিয়ে বিশাল সাগরে ভাসতে থাকা।
আমি তাদের কথা বলছি যাদের রক্তে বিষ
বিষ জমে থাকা প্রেমের অভিধানে
শুধু পুড়তে থাকা।

পুড়তে সবাই পারে ,পোড়াতে কজনে
স্বপ্ন সবাই দেখে ,ঘুমোতে কজনে।
প্রেমে সবাই পোড়ে ,পুড়তে কজনে।
আমি তাদের কথা বলছি
যাদের মন ,পোড়ার ইচ্ছা ক্লান্ত জীবনে।

তারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল ,রৌদ্রে পুড়েছি
কিছু স্পর্শ হয়তো কখনো অবেলায় ছুঁয়ে ছিল.
তারা বেঁচে আছে শবাগারে জ্যান্ত লাশ।
আমি তাদের কথা বলছি
যারা  ভালবেসেছিল একবার কিংবা বারবার। 

Saturday, April 19, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

সিগারেটের ধোঁয়ায়
..........ঋষি

একটা এক্সরে বিম সোজা বুক চিরে
সিগারেটের ধোঁয়ায়।
কিছুক্ষণের স্তব্ধতা তোমায় ঘিরে
আমার ছোঁয়ায়।

রোজ দিন আসে রাত্রি যায়
বুক পোড়ে ,,, পুড়তে থাকে।
এক পেগ নেশা তোমার চোখে
শুধু ধোঁয়ায়,শুধু ধোঁয়ায়।

আমি জীর্ণ ছেঁড়া কাঁথা মুড়ি
স্বপ্ন দেখি নকশী কাঁথা।
আর তুমি বুকের কষ্টে রক্তপাত
তোমার  ছোঁয়ায়।

একরাশ ধোঁয়া ছাড়ি ,ঘোড়ায় চড়ি
পক্ষিরাজের সাথে আঁড়ি।
সিগারেটের ঠোঁটে চুমু
শুধু ধোঁয়ায়,শুধু ধোঁয়ায়।

শপিং মলে এদিক ওদিক
খুঁজতে থাকি মনের পাখি
সবটা ফাঁকি ছবি আঁকি
তোমার ছোঁয়ায়।

মনখারাপের মাথায় বাড়ি
একটা সিগারেট জ্বালিয়ে ধরি।
তোমায় পোড়ায় চোখে আগুন
শুধু ধোঁয়ায়,শুধু ধোঁয়ায়।

একটা এক্সরে বিম সোজা বুক চিরে
সিগারেটের ধোঁয়ায়।
কিছুক্ষণের ভালো থাকা আমায় ঘিরে
তোমার ছোঁয়ায়। 
বুক ফুরে চলে যায়
.......... ঋষি

তোমার ছবি দেখেই আমি ছুঁয়ে দি তোমায়
তোমার চারপাশের বেগুনি রশ্মি যেন
বুক ফুরে চলে যায় এপার ওপার।

তোমার চারপাশে ছড়ানো সমস্ত বাযুস্তরে
যেন এক আস্তরণ  ঠেকে আমার কাছে
যেন একটা নরম অনুভূতির চাদর।

তুমি যখন ভীষণ ক্লান্ত থাকো
তোমার চুলে আমি হাত বুলিয়ে দি
বাতাসে উড়তে থাকে আমার আদর।

তোমার নরম বুক ছুঁয়ে একফালি চাঁদ
যখন তখন তোমার উঁকি মারে আমার চোখে
তখন ভাবি যদি আমি চাঁদের ওপর ছবি আঁকি।

যদি কখনো বাউলে সুরে ঘর ছাড়ার গান
আমি ঘর ছাড়তেই পারি তোমায় নিয়ে
কিন্তু তুমি খাঁচার পাখি।

সকাল সন্ধ্যে দিনে রাতে কত আলো
তোমায় নিয়ে আমার চোখে
তুমি যেন কোনো স্বপ্ন পরি।

স্বপ্ন রানী ,আমি জানি
তোমার চোখের পাতায় রৌদ্র লাগে
আর আমি সেই প্রেমেই মরি।

ছবি থেকে বেরিয়ে এসো
  ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁয়ে যায়
তখন আমার  হৃদয় ঘোড়ার গাড়ি।

খুব  ছুটছে ,খুব ছুটছে জীবন পথে
ক্লান্ত ঘোড়া তোমার ঠোঁটে
বুক ফুরে চলে যায় এপার ওপার। 

RISHI026@GMAIL.COM

যুগ যুগ জিও
.........ঋষি

প্রথমে নাম ,ঠিকানা সব দেখে নিও
তারপর চেয়ে পাঠাও ছবি।
যদি পছন্দ হয়
তবে শুরু করো খেলা ... গভীর খেলা।
ভুলেও গভীরে যেও না
ভুলে স্পর্শ করো না হৃদয় সত্যিকারের।
শুধু খেলো প্রেম প্রেম খেলা
আর পারলে স্পর্শ করো শরীর,
আর পারলে খেলার পর ভেঙ্গে দিও।
এই না হলে কমুনিকেসান
এই না হলে জি মেইল ,,ফেইসবুক।
এই না হলে সময়ের তারে বানানো উজবুক।

আরো অনলাইন থাকো
আরো খোঁজো কারোর গভীর ক্ষত।
সুযোগ বুঝে ফোন নাম্বারটা চেয়ে নিও
চেয়ে নিও তার অনুভূতি অস্তিত্ব।
তবে লুঠ করতে সুবিধা হবে
সে শরীর হোক কিংবা মন
ভাঙ্গতে সুবিধা মৃত সুবিধাবাদিতা।
সব হয়ে গেলে চেঞ্জ করে দিও তোমার
ফোন নম্বর,মেইল আইডি আর তোমার অস্তিত্ব।
এই না হলে যুগের হাওয়া,এই না হলে কমুনিকেসান
দেখো যেন বুঝতে না পারে কেও ,
যুগ যুগ জিও অনলাইন ইন্টারনেট,,,, সাজানো ঢেউ । 

Friday, April 18, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

জোকারের সাজ
............ ঋষি

নিজেকে সাজাবো বলে
দুহাতে মেখে নিয়েছি কালি এ মুখে।
আবার পথে হাঁটবো বলে
পায়ের তলায় ফুটিয়ে নিয়েছি পেরেক।
রোজকার দুঃখগুলো আর মাখবো না গায়ে
তাইতো শরীর জোড়া আমার জোকারের সাজ।
কাল,পরশু ,আজ ,,,,,,জোকারের সাজ।

জোকার বাইরে ,জোকার ভিতরে
সব জ্বলন্ত মুখ হাসি এ মুখে ও মুখে।
দুঃখগুলো লুকিয়ে রাখি
হাঁটতে থাকি ,হাঁটতে থাকি।
বোবা রক্ত পথের উপর
পিছন ফেরার দাগ রেখে যায়।
বাঁচতে থাকি বাঁচার জ্বালায়।

এমন পথ ,এমন জীবন ,এমন সময় ,এমন মরণ
কান্না চোখে হাসি বেরোয় ,হাসির সাথে রক্ত।
জীবন যখন জোকার সাজে ঈশ্বরের ভক্ত।
অনুভূতি সব মাটির তালে
লেপ্টে থাকা হাসি।
ঈশ্বর শুধু হাসতে থাকেন রক্ত মুখে বাসি
তবুও আমি হাসি আর হাসি। 

rishi026@gmail.com

আদর বলে ডাকবো
............ঋষি

আদর বলে ডাকলে কি হবে
সমুদ্রের সব ঢেউগুলো আমার জামার বোতাম ছিঁড়ে
আমার বুকে আছড়ে পড়বে।
আর আমি যদি তখন ভেসে যায়
তখন সমুদ্রের মাঝে কাকে খুঁজবি তুই।

আদর বলে যদি তোকে ডাকি
তবে রৌদ্র দিনে মেঘলা হবে।
ব্যস্ত সড়ক এই পথঘাট সব এক হাঁটু জল
তখন কি হবে
আমার ভীষণ কষ্ট হবে।

আদর বলে তোকে ডাকলে
এই পৃথিবীর দরজাগুলো খুলে যাবে।
খুলে যাবে আড়ালে থাকা দর্পগুলো
তখন কি হবে
সেই তো প্রতিবাদী মিছিল।

আদর বলে তোকে ডাকবো
যখন আকাশের চাঁদ তোর কপালে
আমি টি দিয়ে যাব।
তখন কিছু হবে না
আমি আর তুই একে অপরের ভিতরে ঢুকে যাব।

আদর বলে তোকে ডাকব নিশ্চয়
যখন শব্দরা সব নিস্তব্ধ হবে।
যখন আলো অন্ধকারে গোধুলির পৃথিবীতে
তখন কিছু হবে  না
শুধু আদর আর আদর ছাড়া। 

rishi026@gmail.com

আগমনী বার্তা
..... ঋষি

লজ্জার ডানা মেলে উড়ছে তোমার এলোচুল
চুলের স্পর্শ লেগে তোমার আদ্র ঠোঁটে।
তোমার নরম বুকে ডুবে যাচ্ছে
আমার আদরের চুমুক
এক কাপ চা আর তোমার ঠোঁটে।

বাইরে শব্দরা সব জব্দ ভিতরে বন্দী
এক একটা তীর সোজা আমার বুকে,
ছুটে যাচ্ছে ,ছুঁতে চাচ্ছে
তোমায় এ সময় ,,অসময়ে।
কিছু একটা কথা তোমায় বলতে চাইছে।

কানের কাছে ফিসফিস ,,শরীরের লোমকূপে
লেগে থাকা চটচটে ঘাম।
কিছু একটা স্পর্শ কেন যেন জড়িয়ে যাচ্ছে
লাফিয়ে যাচ্ছে মাথার ভিতর পোকারা
তোমাকে আমার ভীষণ কাছে ডাকছে।

মাথায় সূর্য নিয়ে নিত্য পথে ঘাটে
বস্তা পচা সম্পর্ক্যের বয়ে চলা।
রৌদ্র আসছে ,,,সব পুড়ছে
ভিতরে বাইরে এক চিত্কার
কে যেন তোমায় আদর বলে ডাকছে।

আদর জীবন ,আদর মরণ ,আদর শয্যা ,আদর লজ্জা
এ এক প্রাচীন কোনো কাব্যের আরো প্রাচীন  স্লোক।
কোনো অভিধানের পাতার মনেরা জানতে চাইছে
জানতে চাইছে এই পৃথিবীর অন্তরে থাকা অগ্ন্যুপাত
কি হচ্ছে ,কাকে ডাকছে ,প্রেম কাকে ভালবাসছে।

আর আমি বলছি প্রেম আসছে
আসছে একবুক স্তব্ধতা নিয়ে চোরের মতো।
খুব ধীরে ,অন্তরে গভীরে
তোমায় ছুঁয়ে যাচ্ছে ,ভালবাসছে
আর আদর বলে কাছে ডাকছে। 

rishi026@gmail.com


বৃষ্টির সন্ধ্যায়
.....ঋষি

আটপৌরে কোনো এক বিকেলবেলা
মাটির হাত ধরতে চাইলো বৃষ্টি।
কাঁচের শার্সি ছুঁয়ে জমে থাকা দীর্ঘশ্বাস
গড়িয়ে নামতে চাইলো এপার আর ওপারে।
আমি এখন মিয়িয়ে থাকা  ফুল
সদ্য মৃত হৃদয় ছোঁয়ায় আরামকেদারা
আরামে আরও  ডুবতে চাইলো।
সন্ধ্যে এলো আমার বুকে
এবার বৃষ্টি নামতে চাইলো শার্সির এপার আর ওপারে।

জমে  থাকা হাহাকারগুলো কপিরাইট করে ছাপানো হৃদয়ে
অনুভূতিগুলো বোধহয় একইরকম তোমার আমার।
আমি মাটি আর তুমি বৃষ্টি
আমি ক্লান্ত আর তুমি শান্তি।
শার্সি ছুঁয়ে জমে থাকা দীর্ঘশ্বাস
কিছুক্ষণের তুমুল বৃষ্টি ,,আরো জোরে ,,খুব জোরে।
গড়িয়ে নামতে থাকলো একলা বিকেলের আরামকেদারায়
চায়ের কাপে কোল্ড টি  বৃষ্টির জলে।
ভীষণ উষ্ণতা হৃদয়ের নোনা রক্ত।

ঘড়ির কাঁটায় টিকটিকি ডাকছে
এইমাত্র ধ্বংস হলো আমার পৃথিবী ,,এই তো কিছুক্ষণ।
যখন বৃষ্টি ধরতে চাইলো মাটির হাত
সেইতো তুমি নেমে এলো বুকে একটা ক্লান্ত দিনের পরে।
তবে কেন এই জীবনে এতো সংঘাত
কেন শার্সি ছুঁয়ে জমে থাকা দীর্ঘশ্বাস।
বৃষ্টি নামলো গড়িয়ে শার্সির এপার আর ওপারে
মাটির  মেটো গন্ধ বৃষ্টির গায়ে।
আর আমার হৃদয়ে জড়িয়ে যাওয়া বৃষ্টি। 

rishi026@gmail.com

সভ্যতার বদল চাই
..............ঋষি

নত জানু হয়ে সভ্যতার কাছে আমি ভিক্ষা চাইবো
আমার লজ্জা করবে না কারণ এ মানচিত্র আমার।
মানচিত্রের মাঝে মহাদেশ  ,টুকরো করে দেশ
টুকরো করে রাজ্য ,আরো টুকরো টুকরো শহর,গ্রাম।
আমি মানি না কিছু
আমি আকাশের মত জড়িয়ে ধরি গোলক কে।
অক্ষাংশের মত আমার উপস্থিতি
আমি মাথা নিচু করি সভ্যতার কাছে।
শুধু কিছুতেই বদলাতে পারি না সভ্যতা
কিছুতেই শেখাতে পারি না সভ্যতার মানে।

টুকরো টুকরো করে অনাহারে থাকা আগুন এই সভ্যতায়
কিসের যেন কালো লোভের দাগ।
আরো আর আরো ,আরো চায়
চায় অর্থ ,চায় অধিকার,চাই শরীর ,চাই রক্ত।
চাই না জীবন ,চাই না প্রেম ,চাই না মুক্তি
শুধু যুক্তি আর যুক্তি।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে অগোছালো পৃথিবীর চাকায়
শুধু লেখা আছে বনবন করে ঘোরা।
আর বনবনে নোঙরা মাছি সভ্যতার গভীরে
শুধু অনাদরে পচতে থাকা সভ্যতা।

আগুন থেকে চাকার দূরত্ব ,মানুষ থেকে মনুষত্ব
খাবারের থেকে খিদের দূরত্ব ,আইনকানুন আর হাজারো স্বত্ব।
সব সত্যি সাজানো গোলকের গায়ে সভ্যতার গিলোটিন
প্রকৃতি আর প্রকৃত সবটাই ভিষণ মেকি।
লন্ডভন্ড তান্ডব বদলানো সাবেকি
সভ্যতার মুক্তি চাই ,পাঁচ পয়সার মোমবাতি নিস্তব্ধ বিপ্লব।
সভ্যতায় আলো চাই ,জমানো পাপের কবরে সত্য যুগ
সভ্যতার বন্ধ দরজায় সময়ের করাঘাত।
আমি মাথা নিচু করে অতি বিনয়ের সাথে বলছি
আমার এই সভ্যতার বদল চাই। 

Thursday, April 17, 2014

rishi026@gmail.com

আমি চিনি তোকে
.........ঋষি

আমি চিনি তোকে
তোর নাড়ি নক্ষত্র জুড়ে সাদা পোশাক
বড় অহংকারী তুই।
মরে গেছিস কবে
তবুও ভাঙবি অথচ মচরাবি না
কাঁদবি অথচ সাজিয়ে রাখবি।

ট্রাফিক জামের রাস্তায় বড় হতভাগা ট্রাম
মাটি কাঁপিয়ে চলে ঠিক
অথচ ভীষণ বুড়ি তোর মতো।
গাড়ির ভিড়ে নিজেকে বড় একলা রাখে
চলে কম থামে বেশি
অথচ পুরো রাস্তটা যেন তোর নিজের।

আমি দেখিনি তোকে কাঁদতে কখনো
মিথ্যা বলবো হাসতে দেখেছি।
কিন্তু দেখেছি ভীষণ একলা চলার পথে
যখন সবাই হাসে তখন তুই চুপ।
আর কাঁদলে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেখেছি।

এক বুক নিস্তব্ধ অন্ধকারে তুই
অনেকটা একটা পুরনো খবরের কাগজ।
যার লাল পাতা জুড়ে শুধু খবর
অথচ নিজের খবর লোকাতে দেখেছি।
আমি চিনি তোকে। 

rishi026@gmail.com

কনফিউসড প্রেম
............. ঋষি

পাঁচিলে পাঁচিলে গা ঘষাঘষি করে
উঠে আসা তিক্ততায় প্রেম থাকে না।

বড় কনফিউসড প্রেম ট্রেন লাইন ধরে হাঁটতে থাকে
মনের জানলার স্টেসন চেনে না।

নিরাসক্ত কোনো ঋষির অলিক ভাবনায় রাতপরি
হাসতে থাকে ,স্পর্শে থাকে না।

আচ্ছা ঋষিদের তো কাম থাকে না ,থাকে না সংসার
শুধু হাঁটতে থাকা পথের নাম থাকে না।

হামাগুড়ি দিয়ে চালের হাঁড়িতে শুন্য আকাশ
আর থালায় ভাত থাকে না।

জন্মাবার আগে কোনো জন্মস্থান ,কোনো সময় প্রেম
আসে যায় ,মনে থাকে না।

পথের উপর কুমড়োফুল  আর কচ্ছপ
লুকোনো চলন্ত ভাষায় প্রাণ থাকে না।

কিছু লতানো সময়ে ভরে উঠে দাঁড়ানো
দৃষ্টি সঙ্গিন কোনো দাম থাকে না।

আজকাল পাঁচিলের পরে আবার পাঁচিল পিঠ ঠেকে যায়
পালিয়ে যাওয়ার পথ থাকে না।

উঠে আসা মুখগুলো কত কালি আর গালাগালি
সেই তিক্ততায় প্রেম থাকে না।

কনফিউসড প্রেম ট্রেন লাইন ধরে হাতে
পাশের বস্তিতে প্রাণ থাকলেও ,প্রেম থাকে না। 

rishi026@gmail.com

নিত্য এ প্রেম
................. ঋষি

সন্ধ্যের ঝরা পাতা
এক একটা স্বপ্ন ছুঁয়ে নামছে আমাদের।
ফ্লাড লাইটের হলুদ আলোয় এত মায়া
জানা ছিল না এর আগে।
ছড়ানো ছেটানো স্পর্শগুলো সব
আমার অন্তরে পেন্ডুলাম।
দুলছে রে খুব জোরে দুলছে
প্রেম এই অনুভূতির অদ্ভুত দাম  ।

দুরে কোথাও আকাশের চাঁদে আজ মুক্তি
মুক্তি ঝিকিমিকি আকাশের তারায়।
এক আনন্দ অচেনা পথে
পাশাপাশি এই  পথ চলায়।
যদি জীবন কাটে এমন একিভাবে
একপথে , পাশা পাশি এমনি অবেলায় ।
সময় কাটে ,চলে যায় ,আশা বাঁচে
যদি তোমার ও পথ আমার হয়।

দূরত্বের হিসেবে এক আকাশ দূরত্ব
আর সময়ের হিসেবে ভীষণ অসময়।
তবু মন মানে না
বারবার তোমার ছুঁতে  চায়।
তোমার পথে আকাশের পথ ধরে
আমার মুক্তি তোমার ছোঁয়ায়।
এযেন কোনো দূর জন্মের হিসেব
কোনো অলীক সত্য ,,নিত্য এ প্রেম।

Tuesday, April 15, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

তোমার অপেক্ষায় ২
....... ঋষি

আমি বোধ হয় বোঝাতে  পারি না
মারাত্নক দোষ আমার।
আমি মুখ  ফুটে বলতে পারি না
দাঁড়িয়ে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা
তোমার অপেক্ষায়।

তুমি এসে দাঁড়াও বাস স্টান্ডে রোজ
বাস আসে তোমায় নিয়ে চলে যায়।
তোমার সালোয়ারগুলো বদলায় রোজ
কিন্তু ওপর পারে আমি বদলাতে পারি না
অপেক্ষায় থাকি তোমায় বলবো।

তোমার পথ ধরে অপেক্ষা বাড়তে থাকে
বাড়তে থাকে তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছেগুলো।
তুমি  যেন প্রিয় রিং টোন  আমার কাছে
আমি তোমায় শুনতে থাকি বারে বারে
আর হৃদয়ের টোনে তোমায় ধরে রাখি।

রোজকার সকাল সন্ধ্যায় তোমার পথের ধারে
আমি তোমার মুখের রৌদ্র।
তুমি ঘামতে থাকো আমার রুমাল ফিসফিস
ছুটে যেতে চাই তোমার ঘামের গন্ধে
বোধ হয় সবটুকু তোমায় পেতে চাই।

এমনি হয় যেন দিনরাত চলে যায়
ক্যালেন্ডারের পাতারা ঝগড়া করে।
দিন বাড়ে ,,বাড়ে বয়স
কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে থাকি আশার পথের ধারে
আজ তোমাকে বলবো আমি। 

Monday, April 14, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

স্পর্ধা তোমায় ছোঁয়া
......... ঋষি

সবাই তো তোমার যোগ্য হবে তা না
সবাই তোমার মতো সহ্য করতে পারে না।
দরত্বটা নাগরিকত্বে রাখা
কিন্তু অসামান্য স্তব্ধতা কখনো নীরবতা নয়।
রক্তে যখন আগুন জ্বলে ,,হৃদয় চমকায়
বৃষ্টি আসে ঠিক কিন্তু সবাই তো তোমার মতো
বৃষ্টিতে ভিজতে পারে না।

আমি রৌদ্র হতে পারি ,হতে পারি একলা আকাশ
কিন্তু আকাশে তারারা আছে।
কেউ দেখে ,কেউ দেখতে পাই না
শুধু সকাল দেখে।
কিন্তু সকালের পরে সন্ধ্যে ,তারপর অন্ধকার
সবাই আমার মতো অন্ধকারকে
চুমু খায় না।

তুমি পাহাড় ভাঙ্গতে পারো ,তুলতে পারো পাঁচিল
অদৃশ্যে থাকা বুকের পাঁচিলে আমার নাম।
তোমার কপাল ছুঁয়ে নেমে আসে সভ্যতা
কিন্তু আমি তো ভদ্র নয়।
আমার জংলি স্পর্শে আকর্ষণ আছে
কিন্তু কোমলতা নেই।
সবাই তো তোমার মতো পদ্ম কলি না। 

RISHI026@GMAIL.COM

ফোনটা কেটে গেলো
....... ঋষি

 তোর ফোনটা কেটে গেলো
বলা হলো না বুকের না বলা কথাগুলো।
একটা সরু তার তোর স্পর্শ ছিল
সব ভেঙ্গে গেল ,ছিঁড়ে গেল জানিস
একটা কাঁচে চির লেগে গেলো জানিস।

এপারে আমি ওপারে তুই
ঠিক যেন এক জীবনের দুটো তারা।
কোনো শবাগারে নেমে আসে আকাশ থেকে
খসে পরে মুহুর্তের টুকরো গুলো।
জ্বলতে থাকে ,পুড়তে থাকে ,বুকের ভিতরে
তোকে অনেক কিছু বলার ছিল।

আমার ওপারে তুই
মুঠোফোনের ফোন লিস্টে একটা নাম।
একটা অস্তিত্ব ,একটা স্পর্শ ,আমার ওপারে
এক ধাক্কায় বুকের পারদ নেমে গেলো।
জ্বর আসছে জানিস ,গা পুড়ে যাচ্ছে
যেমন পোড়ে একলা সময় বিকেলবেলা।

এমন কিছু নয় ,সারাদিন কতো ফোন আসে যায়
কতো কথা সব কি মনে থাকে।
কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারছি না তোর শেষ কথা
কি রে কথা বলবি না তো ,,কিরে।
বল আমি কি করবো এবার।

RISHI026@GMAIL.COM

আমায় মৃত্যু দে
,,,,,,,,,,,, ঋষি

আর কিছুনা শুধু ওই ঠোঁটটা আমাকে দে
তোর সময় আর সময়ের ফাঁকে থাকা
টুকরো মুহুর্তটা আমায় দে।
আর যদি কিছু নিতে হয়  তবে আমার তৃষ্ণা নে
আর যদি ইচ্ছে করে
তবে আমায় ভিজিয়ে দে।

কৃষ্ণচুড়ার মুকুটে লেগে লাল রক্ত
বিছানায় পাতা শুকনো ফুলগুলো
আমি তো আছি তোর রক্তে।
শুধু সময় রয়েছে পরে শিরায় উপশিরায়
পথের উপরে এঁকেবেঁকে এক নদী
এক ইচ্ছা সারা শরীরে।

কোনো এক সমুদ্র প্রান্তরে দাঁড়িয়ে
চিত্কার করি তোর নাম মুখে।
আরো জোরে গলা চিরে যায়
রক্ত বেরোয় ,বদ রক্ত প্রেমের।
তবুও ,তবুও  শান্তি নেই
আরো গভীরে তোমায় চাই।

আর কিছুনা শুধু একটা শান্তি দে
গোলাপের পাতা স্বপ্নে কাঁটা ফোঁটে।
কিছুটা অলক্ষ্যে কেটে যাওয়া সময়
চলে যায় তোর সাথে।
কিছু মুহূর্ত হাতছানি দেয় ক্লান্ত চোখে
একটু সময় আমায় মৃত্যু দে। 

RISHI026@GAMIL.COM

কুড়ি বছর পরে
.......... ঋষি

কোনো নির্জন ,নিরালায়
মুখোমুখি আমি আর তুমি।
কেউ কোথাও নেই শুধু তুমি আর আমি
চারদেওয়াল হোক বা তার বাইরে।
কোনো শব্দ হবে না সেদিন
আজ থেকে বছর কুড়ি পর
আবার আমি তুমি মুখোমুখি।

সেদিনও তোমার চুলের সুবাতাস
আমাকে ছোঁবে।
সেদিন ও কিছু বলবো না তোমাকে আমি
শুধু দেখবো দুচোখ  ভরে .
সেদিন ও  হয়তো তোমায় ছুঁয়ে দেবো ঠিক
আজকের মতো তোমার অন্তরে।
সেদিন বাঁধবো সেতু চোখের জলে
আমরা খুব দুরে ,,খুব কাছে
আবার কুড়ি বছর পরে।

তোমার চোখের পাতা আমায় ছুঁয়ে যাবে
আমার চোখের তারা তোমায় খুঁজে  যাবে।
আজ থেকে কুড়ি বছর পরে
দিনটা হয়তো আজকের মত ভারী  হবে।
তুমি তো সেদিন ও আমাকে ছেড়ে যাবে
ছেড়ে যাবে একলা পথে আবার আরেকবার
যখন মুখোমুখি আমি আর তুমি কুড়ি বছর পরে। 

Sunday, April 13, 2014

rishi026@gmail.com

শুভ দিনের প্রতীক্ষা
.......... ঋষি

দুঃখ গুলো  সব নতুন আলোয় মুছে যাক
নতুন বছরে নতুন সূর্য আসুক।
পথের পিচে আর না  থাকুক অনাহার
হৃদয়গুলো আকাশি মেঘে ভাসুক।

দৈনন্দিন মুখগুলো সব ফ্যাকাসে
আয় সূর্য নতুন হাসি মুখে।
জীবন যেন যায় না কারো থেমে
প্রেম আসুক সুখ নিয়ে সব বুকে।

প্রেমের ঠোঁটে সত্যি গুলো জমে যাক
মিথ্যাগুলো অন্ধকার সব দরজা।
সেই দরজা বন্ধ থাকুক নিত্য
জীবনে আসুক গোলাপে ভরা শয্যা।

সময় কাটুক যেমন কাটে রাত্রি
ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে ভরা আদর।
কারোর রক্তে কেউ না ভিজুক কষ্টে
জড়িয়ে থাকুক সপ্ন রঙের চাদর।

কারোর ঘরে আর না আসুক সুনামি
কারোর স্বপ্নে আর না লাগুক হারানো।
সবার যেন জীবন হাসতে থাকে
মায়ের কোলে শিশুর ঘুম পাড়ানো।

যাক না ঘুরে এই গোলকের অন্ধকার
যাক না চলে জড়িয়ে থাকা মিথ্যা।
নতুন বছর নতুন সূর্য দেখুক
শুভ কামনা আমার এই প্রতীক্ষা।





প্রেমাতুর ২

প্রেমাতুর ২
.......... ঋষি

এক লন্ডভন্ড ঝড়ো হাওয়া ছুঁয়ে যায়
যেন কোনো না ছোঁয়া রৌদ্র।
আমাকে পোড়ায় ,আমার গায়ে তার দাগগুলো
থেকে যায় তোমার মতো।
যেমন তুমি হৃদয় ছুঁয়ে তান্ডব করো।

আমি বিষ পান করি রোজ
রোজ আমাকে ছোবল দেয় তক্ষক তোমার স্পর্শে।
আমাকে জড়িয়ে ধরে ,মিশিয়ে নিতে চাই হৃদয়ে
আর আমি এগিয়ে যায় সমুদ্রের দিকে।
গা ভাসায় ,ডুবে যায় তোমার বিষে।

বিষ বড় বিষ তোমার প্রেমে
আমার শিরায় শিরায় বয় বিষ রক্ত।
দিনে ,রাতে যখন তখন তুমি আসো
আমাকে ভেজাও ,আমাকে মেশাও ,নিজেকে হারিয়ে।
তুমি ভালবাসতে থাকো যেমন মৃত্যু শরীরে।

তুমি আমাকে মেরে ফেলো তোমার বিষে
প্রেম যদি বিষ হয় ,জীবন যদি বাধা হয়।
কি দরকার স্নেহ মায়ায়
তুমি আমাকে কেড়ে নিও আমার থেকে।
যখন তুমি হৃদয় ছুঁয়ে তান্ডব করো।

এক লন্ডভন্ড ঝড়ো হাওয়া ছুঁয়ে যায় আমায়
ইচ্ছে  করে ছুটে চলে যায় তোমার কাছে।
তোমার বিষে ,তোমার আঁচলে ধরা দি
যেমন সমুদ্র ছুটে আসে বালুচরে।
কিন্তু বালুচর যে স্থির থাকে ,,, ঈশ্বরের মতো। 

rishi026@gmail.com

আরো কষ্ট.....
,,,,,,,,ঋষি

বিকেলের মুকুন্দ ফুলের গন্ধে
আমি তোমায় কুড়িয়ে পায়।
কুড়িয়ে পায় তোমায় রৌদ্র ছায়ায়
অবাক জোত্স্নায় প্রতি রাত্রে।

তারারা সব আকাশের পরী
এক আকাশ স্বপ্ন নিয়ে তুমি।
ঠিক নেমে আসো আমার বিছানায়
আমি ভিজি তোমার জোত্স্নায়।

ঘুম আসে না তোমার বুকে শুয়ে ভাবি
যদি সত্যি তুমি কাছে হতে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি চাঁদ হাসছে
আর তুমি হাসছো মিটি মিটি চাঁদের মাঝে।

অবাক জোত্স্নায় তুমি হাসতে থাকো
ঠিক কোনো মায়া আমার হৃদয়ের।
তুমি হাসো আর বলো কি করবে
আমি বলি ভালোবাসবো,আদর করবো।

আমি এগিয়ে যায় ,তুমি পিছোতে থাকো
যেমন চাঁদ সরে অমাবস্যার দিকে।
তুমিও সরে সরে যাও , ঘুম ভেঙ্গে যায়
আমি দেখি শুন্য বিছানায় খোলা আকাশ।

সকালে আমি কুড়োতে যায় রাত্রের ঝরা ফুল
যদি আবার তোমায় কুড়িয়ে পায়।
ছিঁড়ি না তোমায় গাছ থেকে
যদি আমার আরো কষ্ট হয় ,,আরো কষ্ট। 

RISHI026@GMAIL.COM

শুধু নারীর জন্য
........... ঋষি

ফুল ছিঁড়ে যাক ,মুচড়িয়ে দে তোরা
আমি তো কামনার ফল।
আমার যাতনা নাই বা বোঝ তোরা
কন্যা ভ্রুণ তার আবার আসা যাওয়া।
বের করে দে ,কেন রাখবি তোরা।

এই কথা বলেছিল জন্মাবার পর পৃথিবীর আলোকে
যখন জন্ম হলো  নারী  ইভের রূপে।
এই কথা বলেছিল ঈশ্বর যখন এগিয়ে দিয়েছিল বিষফল
সৃষ্টির পিতা মাতার হাতে।
জানা ছিল না নারী কলঙ্কিনী হয়
জানা ছিল না নারী শুধু যোনিময় হয়।
জানা ছিল না নারী এই পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে দাঁড়িয়ে
পিছনের সারির একটা করুনা মাত্র।

তাইতো বারংবার মৃত্যু আসে কংসের কারাগারে
শুধু নারীর জন্য।
সে জন্মাবার আগে হোক বা জন্মাবার পরে
তাইতো বারংবার ইচ্ছা অনিচ্ছায় এই মন ,শরীর ধর্ষিত হয়
দিনে রাতে ,, কামনার আগুনে।

এমন তো হয় নি যখন জন্ম হয়েছিল দেবী মাতৃরূপে
তখন তো দেবতাও প্রার্থনা করেছিল বেঁচে থাকার।
আর আজকে তোরাও হাত পাতিস সেই নারীর কাছে
কিন্তু কি দিস তোরা ,,,সিন্দুর ,,সমাজের নিয়ম।
চাই না জানিস আমি ক্লান্ত, ভিষণ ক্লান্ত
আমি ক্লান্ত তোদের বানানো পথে চলতে চলতে।
আমি আর পৃথিবীতে আসতে চাই না তোদের কামনায়
আর মারতে হবে না তোদের শিশু ভ্রুণ দেখে। 

RISHI026@GMAIL.COM

আমার কবিতা
........... ঋষি

কবিতা গুলো এবরোখেবড়ো পথে চলতে চলতে
পৃথিবীর অক্ষাংশ মাঝের দড়ি ধরে আবর্তন করে।
দোদুল্যমান এই ধরনীর অন্তরের বিষগুলো
উগরাতে থাকে পথের দৈনন্দিন কালিমায়।
আর সাদাকাগজে খড়ি ওঠা চামড়ার অস্তিত্ব
ফিরে আসে বারবার অনন্ত দহনে
কাগজের উপর দাগ টানে মনের ভিতর।

সহস্র ফনাধারী ঐশ্বরিক কল্পনার প্রাচীন কাব্যে
যা দেখি তার কতটা সত্যি।
সত্যি কি যিশুর কবরে থাকা মৃত্যুর রক্ত
সত্যি কি কৃষ্ণের দিকে ছুটে আসা ব্যাধের তীর।
যদি সত্যি হয়
তবে ঈশ্বরের ও মৃত্যু হয়।
মৃত্যু ছুঁয়ে থাকে সকলকে ,সবসময়,অবেলায়।

আমার কবিতা গুলো ছুঁয়ে থাকে তাদের
যাদের কোনো দেশ নেই ,যাদের মনের শান্তি নেই।
আমার কবিতারও নেই এইসব মায়া
বাঁধন ছাড়া ,ছন্নছাড়া আমার কবিতার পায়ে রক্ত।
খালি পায়ে হেঁটে চলা নোঙরা ফুটপাথ দিয়ে
আমার কবিতার পেটে খিদে।
অভাব লেগে আছে কষ্টের আগুনে পোড়া আমার কবিতায়। 

Saturday, April 12, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আমি জীবন বলছি
............ ঋষি

কান্নার পিছনে যে নিংড়ানো সত্যগুলো খাবি খায়
তাদের কি বলে ডাকবেন বলুন তো।
বদলাতে ইচ্ছে করে কান্নার মানেগুলো দখিন হাওয়ায়
কি করে কান্না লুকিয়ে রাখি বলুন তো।
কি করে একটা জীবনে শুধু হাসতে থাকি।

আমি জীবন বলছি
বদলানো আগুনের খোলসে লোকানো সত্যি।
সত্যিকারের হেরে যাওয়ার মানেটা
লাথি মেরে যদি সরিয়ে দেওয়া যায়
তবুও কি কান্না আসবে।

আচ্ছা এ জগতে কিছুইতো চিরকালীন নয়
আপনি ,আমি ,সুখ ,দুঃখ ,হাসি ,কান্না।
দুঃখ আর কান্না এই দুটো কেটে বাদ দি
একবার চেয়ে দেখুন তো কি পরে থাকে।
ঠিক যেন পৃথিবী একটা পাগলাগারদ।

সবাই হাসছে আর হাসছে
পৃথিবী হাসছে ,আমি হাসছি ,আপনিও।
সত্যি কি তাই ,সত্যি এমন হবে
দুঃখ ছাড়া সুখ নাই ,কান্নার ছাড়া হাসি।
সত্যি পৃথিবী বদলে যাবে।

কিন্তু এই কান্নার মনেতে অনুবীক্ষণে দেখেছি আমি
সবটাই একটা শুন্য থেকে তৈরী।
চলুন বরং হৃদয়ের শুন্য গুলো পূর্ণ করে দি
তাহলে বোধ হয় জীবন ভালো থাকবে।
কিন্তু সব শুন্য যে পূরণ হয় না। 

rishi026@gmail.com

আমায় আশ্রয়
........... ঋষি

প্রেম যদি বৃষ্টি হয়ে নামে ভরা বৈশাখে
আমি যদি তপ্ত রৌদ্রে ভিজে তোমাকে ডাকি।
তুমি কি আসবে
আমার এই বিন্ধ্য বুকে
তুমি কি মাথা রাখবে।

আমি যদি হয় ঝড়ের প্রথম মুহূর্ত
তুমি কি হবে আমার লাল আকাশ।
আমি যদি প্রবল বেগে আসি
তুমি কি উড়বে শুকনো পাতার মতো।
উড়তে থাকবে আমার সাথে অন্য হাওয়ায়।

ভরা শ্রাবনে যখন ভেজা পথ ঘাট
তুমি বসে আছো জানলার ধারে একলা আকাশ।
আমি যদি ছিটকে আসি তোমার চোখে মুখে
তুমি কি হাত বাড়িয়ে নেবে এক আঁচলা জল।
নাকি মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেবে।

যেদিন আকাশে থাকবে না কোনো আলো
আমি যদি সেই আঁধার আকাশ হই।
তুমি কি হাসবে চাঁদের মত আমার বুকে
তোমার জোত্স্নায় আমাকে ভাসিয়ে
তুমি টানবেটো আমায় তোমার বুকে।

রৌদ্র মায়া,রৌদ্র ছায়ায় ,আমার শীতল বেলা
আমি ঘুম ভেঙ্গে দেখবো তোমার মুখ।
সূর্য পোড়া বিকেলবেলায় আমি ক্লান্ত পায়ে
এগিয়ে যাবো তোমার দিকে
তুমি দেবে তো তখন আমায় আশ্রয়। 

পুরুষ

মাথা ছিঁড়ে পড়ছে সময়ের তাপমাত্রার পিচ গলে মাথার ভিতর রাস্তা বানাচ্ছে উদাসীন কালবৈশাখী শৌখিনতার সাথে  নিজের ভিতর লড়ছে,,,,,,,,,,,, কবে ?  ঠাকুর...