Monday, September 30, 2019

অন্তরমহল

অন্তরমহল
.... ঋষি
====================================
তোমাকে ভালোবাসি মনে করলে কোন শব্দ হয় না
কিন্তু নিঃশব্দে নিজের ভিতর বৃষ্টি পড়তে থাকে।
অদ্ভুত একটা মেঘলা বিকেল পায়চারি করে
সময় জুড়ে।
বুঝতে পারি না সময়ের ছবি
নিজেকে কেমন এক স্থবির মনে হয়।

তোমাকে মনে করলে তখন  মনেতে বেজে ওঠে
 স্যাক্সোফোন।
চারিপাশে তুমুল বৃষ্টি ,আমি ভিজতে থাকি
নিজের শরীরটাকে কেমন একটা তুলোর মতো মনে হয়।
বুকের ভিতর ঘোড়া ছুটতে থাকে
পৃথিবীর  অবশিষ্ট ঘু্ম যেন তখন তোমাতে জড়িয়ে যায়। 
তোমার রাতের নুপুর ,অন্ধকার স্নানের শব্দ
নীল আবদার ,তোমার ঘরের হলুদ ডিম্ লাইট।
কেমন এক মায়া
চারিপাশে বৃষ্টি আমার শরীর ছুঁয়ে
নামতে থাকে বুকে,ঘুম আসে ,আবার ভেঙে যায়।

তোমাকে ভালোবাসি মনে করলে কোন শব্দ হয় না
শুধু ভিজতে থাকে সময় যেন অগোছালো বলতে চাওয়া।
অদ্ভুত কোনো আলো আমাকে ছুঁয়ে
আমার হাইওয়েতে সোনার মতো ছড়িয়ে পরে।
বুঝতে পারি না বেঁচে আছি
শুধু স্বপ্ন জড়িয়ে যায়। 

Thursday, September 26, 2019

ইচ্ছে হোক

ইচ্ছে হোক
.... ঋষি
===================================
আমার অনেক ইচ্ছে
ইচ্ছের ছাদ বেয়ে উঠে পড়ছে অসমাপ্ত বেঁচে থাকা।
খোলা আকাশের নিচে
তোর আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে মুহূর্ত।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই কি বল
হৃদয়  দিয়ে ছুঁই।

আজ খুব মেঘ করুক
বৃষ্টি ফোঁটা আগুন হয়ে ছুঁয়ে যাক সময়ের শহর।
আজ খুব ইচ্ছে হোক
ইচ্ছে হোক বুকের মাঝে ঘুমোক সময়।
আজ খুব মেঘ করুক
তোর ঘরের চালে একলা থাকুক সময়ের ঘর।
আজ খুব ইচ্ছে হোক
বৃষ্টি ভেজা  আমার সময় তোর আদর হোক।
ঠিক এতটুকু
তারপর ঘুম ,তারপর তুই,তারপর পূর্ণ আমি
যেন কোন একলা ঘর। 

আমার অনেক ইচ্ছে
আমার বুকের জঙ্গলে লেগে তোর সাজানো ঠোঁট।
খোলা আকাশের নিচে
এই শহরের গলিতে ,জমানো জল ,সময় বল।
তারপর
আজ খুব ইচ্ছে হোক। 

Wednesday, September 25, 2019

বৃষ্টি ভেজা

বৃষ্টি ভেজা
.............. ঋষি
====================================
একটু পরে খুলে পরবে ঘুমের শহর
শহরের ভিজে রাস্তায় জমতে থাকা এক হাঁটু জল
দৃষ্টি নির্ভর ,সময়ের আদ্রতা।
মানুষের কথাগুলো বুকের কাছে খোলা আকাশের তারা
যেখানে নক্ষত্ররা সারা আকাশ জুড়ে ছবি
শুধু আমি  তুই  ,সময়নির্ভর শহরের উপাখ্যান।
.
তোর খোলা বুক আঁকড়ে ধরে বসিয়ে দেব
ভ্যাম্পারে ক্যানাইন।
এগিয়ে যাওয়া বিশ্বাসগুলো তোর ঘাম চুষে খাবে
খাবে নদী জল।
এক ছুট্টে চলে যাবো  তোর গভীরে
দৃষ্টি বদলাবো
বদলাবো সময়ের গভীরে শুয়ে থাকা আমাদের অনাবৃত মৃতদেহ।
আসলে আমি মৃত্যু  লিখতে চাই
শহরের রাস্তায় ,সময়ের কবিতায়
তোকে ছুঁয়ে নক্ষত্র হয়ে বাঁচতে চাই অন্ধকার আকাশে।

একটু পরে চোখ বন্ধ হয়ে যাবে তোর গভীরে
তোর বুকে নাক ঘষে খুঁজে পাওয়া শিহরণ বাঁচা।
একটা আকাশ  চায়
চায় মুক্তি আকাশের নক্ষত্রের ভিড়ে নিজের উপস্থিতি।
সময়ের রঙে নিজেকে রাঙানো ভীষণ সহজ
কিন্তু আমার বুকের শহরের রাজপথ চিরকাল বৃষ্টি ভেজা ।  

Saturday, September 21, 2019

সবুজ জঙ্গল

সবুজ জঙ্গল
.............. ঋষি
======================================
সময় যেন ছুটন্ত ট্রেন
আর আমরা যাত্রী ,দৃশ্যগুলো সরতে থাকা যাপন ,
কি বদলাচ্ছে
কতটা বদলাচ্ছে চলন্তিকা ?
বহুদূরে যে পৃথিবী আছে ,তার গভীরে একটা জংলী গন্ধ
অথচ আমার বুকের অরণ্যে  দাবানল।

তোর সজীব স্মৃতি ,মুহূর্তঘন  পায়ের ছাপ
ক্রমশ আমার বুকে কোনো আলোড়ন।
আমি ফিরে চলছি সবুজ অরণ্যে
নিজের ভিতর দূরে দেখতে পারছি পুস্করিণী ,অমৃত সুধা।
তৃষ্ণা ঝরছে আমার শহরে
অথচ আমি অনন্ত কোনো ঝর্ণার জলে চান করছি।
আমার সারা রোমকূপে জুড়ে
একটা জংলী গন্ধ।
চারিপাশে ধুলোবালি ,কত কালি ,কত অন্ধকার
অথচ আমি সকাল দেখছি দিনে রাতে।
অসংখ্য দেওয়াল ,অসংখ্য দুর্ভেদ্য অন্ধকার পেরিয়ে আমি হাঁটছি
পায়ের তলায় ফুটছে সময়ের কাঁটা
তবু কষ্ট হচ্ছে না ,
শুধু সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে
অরণ্য উপত্যকায়।

সময় ছুটন্ত ট্রেন
আমি  তুই যাত্রী ,শেষ না হওয়া স্টেশন ,ফেরিওয়ালা
সময় পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ সবুজের খোঁজ।
ছুঁয়েছি তোকে , শুধু সেইটুকু স্মৃতি পরাগ মেখে
ক্রমশ ফুল ফুটছে
এখন আমার শূন্য বুকে ,চারিপাশে  সবুজ জঙ্গল।

সবুজ স্পর্শ

সবুজ  স্পর্শ
................. ঋষি
======================================
ফিরে আসা আলো
আরো রৌদ্রতপ্ত দিন ,পুড়ে যাওয়া  পড়ন্ত শরীর
আকাশের দিকে মুখ।
এই মাত্র জজ সাহেব ঘোষণা  করলেন
ডিভোর্সের কেসটা অর্পিতা জিতে গেছে ,
খবর হলো ,বড়দের আশীর্বাদ , বন্ধুদের শুভেছা বার্তা
কিন্তু এইবার ?

আকাশের দিকে তাকাস অপর্ণা
ঈশ্বর বললেন এত মুক্তি নীল আকাশে ,এত গভীর।
কি খুঁজছিস অপর্ণা ?
পোড়া শরীর ,লুকিয়ে থাকা মন ,অনেকটা ক্লান্ত এই পথ চলা।
বুকের কালসিটেতে সেই লোকটার স্পর্শ ছুঁয়ে আছে।
কিসের স্পর্শ অপর্ণা ?
মেঘ ভাঙলে বৃষ্টি হয় ,বৃষ্টি হলে মাটির সোঁদা গন্ধ
সবুজ  স্পর্শ।
সবুজেই  তো মানুষ বাঁচে ,
স্মৃতির মরা পচা গন্ধটাও পিছনে ফেলে যেতে হবে অপর্ণা ,
বাঁচতে হবে যে।
আকাশের গভীরে ,হৃদয়ের অন্তরে বাঁচা লুকিয়ে
জাগাতে হবে অপর্ণা।

ফোনটা বাজছে
খুব বৃষ্টি হচ্ছে চারিপাশে ,ওপাশে আকাশের ডাক
শুনছিস অপর্ণা।
জজসাহেব ,সময় ,সমাজ শুধু সময়ের হত্তাকর্তা নয়
আসলে ঈশ্বর সময় নিজে অপর্ণা।
হ্যালো ,কেউ আছেন ওপাশে আমি ঈশ্বর বলছি
শুনছিস অপর্ণা।

আমার মুক্তি

আমার মুক্তি
...... ঋষি
========================================
আমার হত্যার জন্য তুমি দায়ী চলন্তিকা
অজস্র তলোয়ারের খোঁচায়
তোমার চোখের গভীরে আমার মৃত্যু সুখ।
জানো তো জন্মঅবধি হাজারো পথ চলা তোমার খোঁজে
বারুদের বুকে আমার জলছবি দুঃখকণারা আঁকে
ভালোবাসা মানে কি শুধু দুঃসহ মৃত্যু ডাক ... নাকি প্রতীক্ষা ?

কোনো উত্তর আসে না
শুধু দূরে দিক্চক্রবালে নিয়ম করে আলোরা ফেরারি।
আমি রৌদ্রের খোঁজ করি
খোঁজ করি তোমার হাসিতে আমার হারিয়ে যাওয়া বাঁচা।
এই দেশে বিপ্লব নামেই  দীর্ঘজীবী
আসলে ভালোবাসার বিপ্লবটা সকলে করে উঠতে পারে না।
তাইতো শহরের অলিতে গলিতে
খুব সস্তায় বিক্রি হয় ভালোবাসার শরীর
আর বিপ্লবী আদরগুলো খুব সহজে মিলিয়ে যায় সময় থেকে।
অথচ আমার শরীরে তোমার ক্লান্তহীন পথচলা
আমার গভীরে তোমার নাম
শুধু আমার মুক্তি তোমার অন্তরে।

আমাকে হত্যার জন্য তুমি দায়ী চলন্তিকা
অজস্র সময়ের সফর
অথচ আমার সময়ে ভালোবাসার সময়টুকু কম।
বুকের ভিতরে ঝড় চেপে আছি অবিরত
জানো তো পৃথিবী তবু তো সামলে নিয়েছে নিজেকে
অথচ আমার বিপ্লবী আত্মারা তোমার জন্য মৃত্যু খোঁজে। 

Friday, September 20, 2019

ভালো থেকো

ভালো থেকো
.... ঋষি
=======================================
পলিকাটা জমি 
স্তরে স্তরে এই সময়ের বুকে জমে আছে মায়া স্তর।
স্নেহ জমছে এই শহরের প্রতি
উপস্থিতি নিজের ভিতর জমতে থাকা পলিমাটি।
আরো গভীরে
বেজে চলা বিসর্জনের ঘন্টা।

শরতের মেঘ
মনখারাপ চলন্তিকা ? করতে নেই ,বলতে নেই
আমাদের শুধু পায়ে চলতে সময়ের সাথে।
কবে যে একটু ঘুমোতে পারবো
আকাশের বুকে পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘের বালিশে
যদি কখনো মাথা রাখতে পারি।
সময়ের রৌদ্র ,আবিস্কারের ইতিহাস ,পুরোনো কাসুন্দি
খড়কাঠামোর উপর মাটির লেপন
রঙের খেলা ,গর্জন তেল ,ঝকমকে দৃষ্টি
চোখ আঁকছে সময়
কিন্তু আমি যে অন্ধ চলন্তিকা।

ন্ধ
সময়ের পাতায় শুধু দিকভ্রষ্ট পথিক।

এঁটেল মাটি
ভিজে মাটির তালে সত্যি যদি তোমায় গড়তে পারতাম।
আমার সময় ,আমার শহরে
উপস্থিতি নিজের গভীরে তোমার অকাল বোধন। 
জানি এই সব জানি বস্তা পচা অধ্যায়
তবু তোমাকে জানানো শুভ মহালয়া ,ভালো থেকো। 

Thursday, September 19, 2019

সময়ের কবিতা

সময়ের কবিতা
.... ঋষি
==================================
যে কান্নার কখনো জন্ম হয় না
সে  কান্না মৃত নারীর বুকে আজ কয়েকশো যুগের গল্পে ।
বুকের কাছে আগলে রাখা স্নেহ
মাতৃত্ব,নারীত্ব আর যন্ত্রনা  মূল্যহীন।
মূল্য পৌরুষের সমাজে সন্তানের মুখ
আর খুব সহজে বলা বাজা নারী।

আমি সময়ের গল্প লিখি
লিখি মানুষের গল্পে সময় সাজানো কবিতায়।
কল্পনার ডিভোর্স ফাইল হলো
কারণ সে নাকি বাজা।
ফিরদৌস  আজ তার ষষ্ঠ সন্তানের জন্ম  দিল
কাঁদলো অনেকটা ,
সন্তান যে কন্যা।
জেসিকা আজ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেলো
তার কফিন বন্দী শরীরটা আজ বাঁচতে চাইছে
যদি মা হওয়া যেত।
সবটাই সামাজিক ,সবটাই পুরুষ শব্দের সমার্থক
কারণ পুরুষ বীর্যহীন হতে পারে
কিন্তু বাজে নয়।

অর্ডার অর্ডার অর্ডার আমি সমাজ বলছি
এই সব বস্তা পচা গল্পের কোনো মানে না
প্রশ্ন সন্তান পুরুষ তো ?
পৌরুষ জরুরী আর নারী সেখানে পুরুষের মেশিন মাত্র
ভোগ করার ,গর্ভবতী করার
নারী তোমায় কাঁদতে নেই ,শুধু পুরুষ জন্ম দিতে আছে।

যাতায়াত

যাতায়াত
.... ঋষি
===================================
কোথায় যাচ্ছি
ঠিক কোন পথ দিয়ে হেঁটে গেলে একটু নিশ্বাস নেওয়া যায় ,
এটা ঠিক কবিতা নয়।
জমতে থাকা বিস্মরণের বিস্ফোরণ পৃথিবীর স্তরে
ঠিক কোথায় ম্যানিকুইনের বদলে
সত্যি মানুষ পাওয়া যায়।
.
বুকে আমার বারুদের ঘর
অজস্র উদযাপন ,বৃষ্টি জ্বর ,আবোলতাবোল শহর পেরিয়ে হাঁটা
ঠিক কোথায় শেষ।
তোমার স্তনের বৃন্তে দাঁতের দাগ
পাগল আমি
তুমি ছুঁয়ে চলে আসি শরতের মেঘে রৌদ্র বৃষ্টি।
হৃদয়ের বারান্দা দিয়ে বাড়ানো হাত
আরো গভীর
তোমার যাতায়াত ,
আমার নিঃশ্বাসে বিষ ,তবু বিশ্বাসে তুমি বেঁচে
চলন্তিকা।

কোথায় যাচ্ছি
গন্তব্যের হদিশ খোঁজা হৃদয়ের  সবুজ পাখি।
তোমার উঠোনে খুঁটে খাওয়া বেঁচে থাকাটুকু
আজ সময় নির্ভর।
ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আমি
দুইপাশে শেষ না হওয়া হাইওয়ে সভ্যতার ভিড়। 

জংলী

জংলী
..... ঋষি
=================================
কথা বলা হয়ে ওঠে না
দূরে কোথাও স্টিমারের ভোঁ বেজে চলে বিচ্ছিরি ভাবে
ছেড়ে চলে যায় বুকের বিকেলগুলো একলা জলে।
কখন যেন বাতিস্তম্ভের হলুদ আলো  হাত বাড়িয়ে
জড়িয়ে ধরে প্রেমিকার মতো
আমার একলা শহর আরো একা হয়ে যায়।

ঠিক এই ভাবে
শহরের উপর দিয়ে ভেসে চলে যায় এরোপ্লেন।
একলা মন
যখন তখন
ছুটে চলে যায় তোমার শহরে।
খুঁজতে থাকে অলিগলি,
 সাইক্লোনের মেঘ আকাশ ভাঙতে থাকে।
তোমার বাড়ির ছাদে বৃষ্টির শব্দ
যেন আমি কোন আগুন্তুক ঈশ্বর ছুঁতে চায় ।
দেওয়াল ভাঙতে চাই নিজের ভিতর
তারপর সব  ফুরোতে থাকে
শুধু একলা সময় তোমায় খুঁজতে থাকে।

কথা বলা হয়ে ওঠে না
দূরে কোথাও মিলিয়ে যেতে থাকে সরতে থাকা স্টেশন।
শেষ ট্রেন ছেড়ে চলে যায়
শহর পেরিয়ে শব্দগুলো ক্রমশ জঙ্গলের দিকে।
আজও জংলী আমি
শুধু আমার প্রেমিকা ক্লোরোফর্ম ঢাকা আমার রক্তকোষে।

আমার মুক্তি আলোয় আলোয়

আমার মুক্তি আলোয় আলোয়
.... ঋষি
====================================
বেঁচে আছি হে গোলাপি
সমৃদ্ধ পরিচয় পত্র ,পোশাকি আলাপন।
ছুঁয়ে যাওয়া
বেঁচে থাকা
নিত্য একাকার রাত্রে একলা যাপন।

হাজারো কবিতার পাতা
ভীত সময়ের ভিতে ব্যস্ত ভিটেমাটি ,লক্ষ্নীর পাঁচালি।
কথা ছিল আকাশ পেরিয়ে সমুদ্র ছোঁয়ার
রোমন্থনে মৃত শরীরের লোমকূপে
অজস্র আগামী।
কথা ছিল পায়ে পা মিলিয়ে হেঁটে চলা শহর কুয়াশায় মোড়া
দোতারার বাউল মনে তখন মুক্তি
" আমার মুক্তি আলোয় আলোয় " ।
হাজারো কবিতার পাতা
শব্দরা মনের আনাচে কানাচে মাকড়সার জাল
হারিয়ে যাওয়া কাল ,অনন্ত আগামী ,আজকের আমি
স্থির কোথাও মাকড়সার জালে।

বেঁচে আছি হে গোলাপি
সমৃদ্ধ চোখের কালো চশমায় বিবেকের মুখ।
তোমার চোখ
তোমার ঠোঁট
চোখে পাতায় আটকে স্বপ্ন একজোট।  

Thursday, September 12, 2019

সাতকাহন

সাতকাহন
.... ঋষি
==============================================
আড়াআড়ি দু ভাগ করে হেঁটে চলো
সমৃদ্ধ জীবনের কোন।
কেউ কেউ বলে একলা রাস্তা সমৃদ্ধ শহরের অলিগলি
আসলে মৃত সেই সাতকাহন।

তোমাকে এমন করে ভাবলে
আমার না লেখা উপন্যাসের পাতায় নারী থাকবে না।
কথা না হলেও তেমনভাবে
যেটুকু আছে সেখানে জমে আছে অজস্র কুয়াশা ভেজানো অন্য সকাল।
শহরের পথ ,হাতে টানা রিকশা
গরম চায়ের কাপ
আর আমার এই শেষ না হওয়া কবিতা
সবটাই অবান্তর।
তবু জানো
তোমাকে এমন করে না ভালোবাসলে
আমার বাঁচা থাকবে না।
তামাদি দিনের কুয়াশায় ভেজা, আধো অন্ধ ভোর
পরাজিত সময়
হয়তো এই বেঁচে থাকা।

সোজাসুজি কোনো শিরোপা ছাড়াই বলি
ভালো আছি।
অথচ জানো চলন্তিকা আজও পথ চলতি অনেককেই
কেন জানি তুমি মনে হয়।

ঘুম


ঘুম
............... ঋষি
================================
কেউ কাউকে স্পর্শ করতে চাইছে না
ভাঙছে  বালি পাড় ,বালির বিছানায় বালিশের স্তূপ।
ঘুম নেই চোখ
শুধু সহ্যতে লেগে আছে অঙ্গীকার,
সাথে বাঁচা ,আরো অন্ধকার।

ক্রমশ চোখ বন্ধ ,
তবু ঘুম নেই।
পাশাপাশি শুয়ে কত হাজারো সামাজিকতা
ঘরের ভিতর রাখা সময়ের লাশ।
সিঁথির সিঁদুর ,নিমেষে মিশে যাওয়া অবয়ব
একলা শহর
ভিজতে থাকা শাওয়ারের জলে ঘুম খোঁজা।
ভালবাসা মানে ভাঙা ভাঙা
কাঁচের টুকরো,স্মৃতির
সম্পর্কের ভিতরে জমে যাওয়া,ক্রমশ না বলা
হাজারো কথার স্তূপ ।

বুকের তিল, নাক বরাবর সোজা হেঁটে চলা
একটু আদর করে খুঁজতে থাকা সম্বল।
ঘুম নেই চোখ
শুধু আড়ম্বরে লেগে মৃত উদযাপন ,পৌনঃপুনিক আলোড়ন
হুড়মুড় করে ভেঙে পরে সব।

ফাঁকি

ফাঁকি
... ঋষি
======================================
সব ফাঁকি
সমস্ত ভুল ,গল্প ,নাগরিক যাপনে
অল্প অল্প শহরের ফাঁকে জমতে থাকে বিষ।

সঙ্গী ছিলো, সঙ্গী আছে
আয়নাতে আর ঠুনকো কাঁচে ,টুকরো টুকরো কাঁচে
ফুটে চলা দংশন আন্তরিক  ।

পাড়ায় পাড়ায়
যখন সময় তার দুহাত  বাড়ায়
আমিও আমার নখের ডগায় হিংস্রতা বাঁচিয়ে রাখি।

জমতে থাকা সময়গুলোর
গোলমেলে সব জীবিত থাকার হিসেবগুলো
চনমনে অন্য বাঁচা।

রঙপেন্সিল,আঁকার খাতা। লুকোনো শৈশব ছু  মন্তর
জন্মজড়ুল,কালোদাগ
আর সময়ের ঠোঁটে রক্তের ন্যাংটা স্বাদ।

সব ফাঁকি
মুহূর্ত জড়িয়ে আসলে মুহূর্ত বাঁচি
তারপর চলা পথ আর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখি। 

রিংটোন

রিংটোন
........... ঋষি
=============================================
বেজে যাওয়া রিংটোন
প্রথমবার কেমন একটা উদাস আকাশ  ,একলা আকাশ।
বৃষ্টি নির্ভর সভ্যতার মানুষ
কাঁদতে শিখেছে
কিন্তু ভালোবাসতে আজও শিখলো না।

সভ্যতা মানুষকে  আদম করেছে
বস্তুত পিছনে ফিরে তাকানো নিজের পূর্বপুরুষের বসতবাড়ি হারানো।
সম্পর্ক লতায় পাতায়,
বর্ষাকালীন ব্যস্ত ছাতায়
নিজস্ব অবলম্বন খুঁজতে থাকা ব্যস্ত শহর।
এই আকালেও ,আদ্যিকালের পুরোনো জামার কলারে
কিংবা তোমার চেইনখোলা মর্ডান জামাও
অভাবগ্রস্থ।
হঠাৎ দেখা হয়ে যাওয়া প্রগলভ মুহূর্ত
হাতে  হাত ছুঁইয়ে বুঝতে চাওয়া স্পর্শটুকু
শীত বা শ্রাবণ,
উষ্ণ বা মেকি
সম্পর্ক কোন এক মুহূর্ত ।

বেজে যাওয়া রিংটোন
হঠাৎ খুঁজে পাওয়া ঈশ্বরের শব্দ।
বলা যায় না সবকিছু এই অবিশ্বাসী সভ্যতায়
বিশ্বাস শব্দটা শুধুই আদরের
আর বিশ্বাস হারানোটা সভ্যতার ধ্বংস।

My poems


My poems become immortal in the direction of the sky .....
 هههههههههههههههههههههههه ...
অনেকদিনের খুঁজে পাওয়া সেই বিমূর্ত
আমি আকাশের গায়ে লিখতে চাই
কবিতা তোমায়।
.
নিখুঁত একটা প্রতিমা তিল তিল করে গড়ে উঠেছে আমার মাটিতে
সময়।
সে যেন কলমের নিব বেয়ে গড়িয়ে নামা ঘাম
খুব সাধারণ সে আমার কবিতায় ,
যাকে বর্ণনা করতে আমায় সময় লিখতে হয় I
.
মাঝে মাঝে মনে হয় এটা আমার অসুখ
কবিতার পাগলামি।
কেমন একটা ঘোর  চেপে ধরে আমায়। দাঁত পেষা জেদ
সময়ের অসুখ।
আমার এই অসুখে পুরুষ ,নারীর ভেদ থাকে না
চাঁদ ,সূর্যের আলো থাকে না,
রাস্তার মোড়ে কোনো ভীড় থাকে না
শহরের বিজ্ঞাপনগুলো ,মানুষের মুখোশগুলো ভ্যানিস।
আমি হাওয়াতে ভাসতে থাকি
আমি প্রেমে পড়তে থাকি
চলে যাওয়া সময়ের কিংবা এই সময়ের।
.
আমার হৃদয়ের দেয়ালে বর্ণমালারা ছবি আঁকে
আমার মাথার ঘরে কেমন একটা ঝিম ঝিম ভাব।
শব্দরা ধীরে ধীরে ক্রমশ একসাথে ,পাশাপাশি কেমন একটা পরিচিত সব
কবিতা জন্মায়।
আমি হাসতে থাকি পাগলের মতো নিজের ভিতর
আমি কাঁদতে থাকি প্রসব যন্ত্রনায়। 

ভোকাট্টা

ভোকাট্টা
.... ঋষি
=================================
আসলে আমাদের সকলের একটা অসুখ আছে
ভালো না থাকার।
নাগরিক জীবন ,সাজানো নিরাপত্তা ,হারানোর ভয়
আসলে আমরা সকলেই  শৈশবের কাগজ কুচিয়ে ছড়িয়ে ফেলার মতো
একই কাজ করছি
সময় কাটাচ্ছি হিসেবের ভিড়ে ,প্রত্যাবর্তনের আশায়।

প্রত্যাবর্তন
সময়ের আগুনে লেখা আছে কিছু অযাচিত কষ্ট
যেগুলো ঘা ,পাঁচড়ার মতো চুলকিয়ে আরাম।
আসলে আমাদের অসুখগুলোর জন্য আমরাই দায়ী সর্বদা
তবু দোষ  দিয়ে ফিরি সময়কে ,কিংবা অন্যকে।
আমরা কখনো নিজেদের খুঁড়ে দেখি না
শুধু খুঁজতে থাকি প্রশ্রয় বাঁচার 
পুরুষ নারীর মাঝে ,
ভাঙা শৈশবের আদলে ,
ছেড়ে যাওয়া প্রেম ,কিংবা অপ্রেমে
কিংবা আকাশে ভাসতে থাকা গ্যাস বেলুন ,স্বপ্নের চোখে। 

আসলে আমাদের ভালো না থাকার কারণগুলো
সকলেই আমি জানি।
তবু চিৎকার করতে পারি না ,সত্যি বলতে পারি না
শুধু ঝগড়া করি নিজেদের গভীরে।
যেন ভোকাট্টা সেই ঘুড়ি
যে জানে না ঠিকানা ,ভালো থাকাগুলো। 

পিঁপড়ে

পিঁপড়ে
.... ঋষি
=============================================
মাথার ভিতর অন্য একটা দেশ আছে
পিঁপড়েদের।
আমার আছে ,
আমার মতো আরো অনেক মানুষের আছে যাদের কাছে সময় মানে
ক্রমাগত হৃদয়ের ক্ষরণ।

একদল পিঁপড়ে বেমক্কা ঘুরতে থাকে মাথায়
সারাক্ষণই গুটিগুটি  নিঃশব্দে জড়ো করতে থাকে অসময়ের সময়।
 আমি কিছু করতে পারি না
ওদের বোঝানো যায় না জীবনের উঁচু ,নিচু চলাগুলো।
কিছুতেই মেরে ফেলা যায় না তাদের কোনো কীটনাশকে
কিংবা নিজের ইচ্ছাতেও।
 সময় গুলিয়ে যায় ,হৃদয়ের ক্ষরণে পিঁপড়েদের পায়ের ছাপ 
তাদের আসাযাওয়া খুব দৈনন্দিন।
কিন্তু জানো  চলন্তিকা যখন ,তুমি আসো হৃদয়ে 
এই পিঁপড়েদের   উপদ্রব বেড়ে যায়
আমি ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি
পিঁপড়েরা চুপ করে থেমে যায়।

মাথার ভিতর পিঁপড়েদের দেশ অনেক মানুষের আছে
আছে নিজের একলা থাকায়।
আমরা যারা বাঁচতে ,বাঁচতে নিজেকে পোড়াতে থাকি
নিজের ভিতর
তাদের মাথার নিউরনে পিঁপড়েরা বাঁচে।

silent

I want to create my word with silent .....

নিঃশব্দে ঝরতে থাকে শব্দগুলো
না বলা।
মানুষের গল্পগুলো প্রত্যেকের কাছে তাদের শ্রেষ্ঠ
অথচ ব্যাকগ্রাউন্ডে  বাজতে থাকা স্যাড সং
তু যাহা ,যাহা রহেগা .....

বেজে চলা রিংটোন ,অজস্র নাগরিক আলাপ
বাড়ছে ব্যস্ততা।
শহরের পথ ,চেনা রাস্তা ,অচেনা হাজারো মুখ
টুক করে উঁকি মারা আচমকা তুমি।
থমকে দাঁড়ানো
দাঁড়ি ,কমা সমেত কোনো না লেখা কবিতার অযাচিত গঞ্জনা।
বাড়তে থাকা শহর
কমতে থাকা  সময় আর সময়ের হৃদয়ে
হাজারো না বলা।
ব্যস্ততা দৈনন্দিন ,তবু অসময়ের কিছু  দুর্বলতা
থমকে দাঁড়ায়
...........নিজের মানুষ।

নিঃশব্দে ঝরতে থাকে শব্দগুলো
নিজের নির্জনতায়।
মানুষের শ্রেষ্ঠ উপহার সম্পর্কগুলো সব যান্ত্রিক
অথচ নিজস্ব আয়নায় সেই জোকারটা গায়
জিনা ইহা ,মরনা ইহা  ......

... Rishi

Saturday, September 7, 2019

নতজানু সময়

নতজানু সময়
.... ঋষি
======================================
নতজানু সময়ের পাতা
ক্রমাগত এবড়োখেবড়ো বুনে চলা আক্রমণ।
আক্রোশ খোলা পাতায় রক্তের বিন্দু
রোল মডেল বদলাচ্ছে।
রোল্ড রোয়েলসে চড়া মানুষগুলো ক্রমাগত অন্ধকারে
তবু সময় ক্যানভাসে আঁকছে আগামীর বাঁচা ,আলো ।

আমি লাশ গুনে চলেছি
লাশের পাহাড়ের উপর বসে ক্রমশ একের পর এক
মৃত শৈশব ,মাছি বসা যৌবন ,হেগে মুতে ছড়ানো বার্ধক্য
সব দেখছি গুনছি। 
লাশ গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে ক্রমশ ছিঁড়ছি
ছিঁড়ে চলেছি নিজেকে
কুচি কুচি করে ক্রমশ ছিটিয়ে দিচ্ছি সময়ের আকাশ  থেকে।
আকাশ খুঁজছি
নতজানু হয়ে জড়িয়ে ধরছি আকাঙ্খিত চিরনিদ্রা। 
 ভয় করছে না,আর ভয় করে না
শুধু ভাবতে ইচ্ছে করে অবোধ সেই সব মানুষগুলোকে
হাসতে ইচ্ছে করে তাদের উপর
যারা থুথু দিয়ে জীবন গুনছে।

নতজানু সময়ের পাতা
কাজল লেপ্টানো  নদী, কুয়াশার নরমে মন
স্তব্ধ চারিধার, মৃত্যু চারিধার।
তবু এটা মৃত্যুর কবিতা নয়
জীবিত কিছু বাঁচতে চাওয়া অধিকারের কবিতা
যাদের আকাশ ছোঁয়ার লোভ।

মুখোশ মিছিল

মুখোশ মিছিল
.... ঋষি
==================================
রাজদ্বীপ এই বেঁচে থাকার মধ্যে একটা মজা আছে
মুখোশ মানুষ।
সময় সত্যি হয়ে ঘুমিয়ে পরে এক রাস্তায় 
স্মৃতিদের হলুদ ,সবুজ আলোগুলো পিয়ানো বাজায়।
শোনা যায় আলো নাকি অন্ধকারে থাকে ,বহুদূরে
যেখানে জীবনগুলো একা ছোট হয়ে যায়।

দেখ রাজদ্বীপ আজও আমি বেঁচে
ঠিক যেমন পুরোনো কাগজের দোকানে ময়লা হলুদ কাগজ।
এই বেঁচে থাকায় আমার কোন শোক নেই
আছে ঘৃণা
নিজের প্রতি
মানুষের প্রতি,হয়তো মানুষ শব্দটার প্রতি।

জানিস রাজদ্বীপ
আজকাল বৃষ্টিতে আমি একলা ভিজি ,নিজের সাথে থাকি।
হৃদয়ের গভীরে
যেখানে তুফান ওঠে ,
ঠিক সেখানে
আমি মানুষ খুঁজি ,হাজারো মুখোশের মাঝে।

জানিস রাজদ্বীপ
এই বেঁচে থাকার মধ্যে একটা আবিষ্কার আছে ,
একলা নেশা।
প্রতিদিন ,প্রতিমুহূর্তে কতকিছু যে ঘটে ,পথে ঘাটে
ম্যাখোশগুলো সব মানুষ হয়ে আসে ,
আর আমি মুখোশের মিছিলে একা।

Wednesday, September 4, 2019

ভাবছি ঘুরে দাঁড়ানো ভালো

ভাবছি ঘুরে দাঁড়ানো ভালো
.... ঋষি
===========================================
ঘুন ভাঙলে আজকাল ভয় করে
শহর পেরিয়ে সীমান্ত তারপর রাজ্য ,ক্রমে দেশ
ছেয়ে যায় সময় মেঘলা  রোদে।
আঁতকে উঠি যখন চরাচর ঘুরে নিজের সাথে দেখা হয় বারংবার
ফায়ার প্লেসে জ্বলতে থাকা শরীর
জতুগৃহ দেশ জ্বলছে, ,জ্বলছে মন মানুষ বাঁচায়।

আজকাল চিৎকার করতে ইচ্ছে করে
চিৎকার গুলো উৎসবের পিছনে আবহগীত হয়ে বৃষ্টি  নামে বুকে।
এক অদৃশ্য আশা ,স্পর্শে বুক বাঁধা
আর তারপর শহরের গল্পগুলো দেশ ব্যাপী ন্যাশনালে।
আজকাল আমরা  কুশলও জিজ্ঞেস করি
খারাপ আছি কিনা জানার আশায়
সময়ের সাথে আমরাও হয়েছি ঈশ্বর প্রকোপে কোন অদ্ভুত বাঁচা।
তবুও অনেকটা সাহস জোগাড় করে আমি শক্তি বাবু পড়ি
" ভাবছি ঘুরে দাঁড়ানোই ভালো।
এত কালো মেখেছি দুহাতে
এত কাল ধরে।
কখনো তোমার করে তোমাকে ভাবিনি। "

ঘুম ভাঙলে আজকাল ভয় করে
শহরগুলো ছোট হতে হতে সেঁধিয়ে যায় শহরের বুকে
আর মানুষের মুখে সময়ের রক্ত।
আঁতকে উঠি নিজের আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখি অন্য একটা শহর
শুধু দাউদাউ পুড়ে চলা অভিশাপ এই বাঁচা
বাকি সব গল্পগাঁথা।

Tuesday, September 3, 2019

আর কতক্ষন

আর কতক্ষন
..... ঋষি
========================================
হঠাৎ পথচলতি
তুমি এসে দাঁড়ালে পাশে ,অচল সময়ের মাঝে।
দূরে কোথাও বেজে উঠলো ঢাক ,শঙ্খ ,আজ উদযাপন
সেই হাসি ,আখরোট ঠোঁট ,কাজল টানা চোখ।
শুধু কিছু বললাম না ,বুঝলাম
আমার ভিতরে ,আমার গভীরে আজও অন্য বাঁচা বেঁচে।

শব্দ হচ্ছিল না
খুব বৃষ্টি ,জীবন অদ্ভুত সৃষ্টি ,জড়িয়ে ধরলে আমায়।
কানে মুখ চেপে বললে ,পালাচ্ছিস কোথায়
আমি কিছু বলতে পারলাম না।
শব্দ হচ্ছিল বুকে
আরো জোরে ঘটে চলছিল কিছু আনকোরা মুহূর্ত।
তুমি বললে
আয় আমার  গভীরে যায় ,আয় মিশে যা আমায় 
আমি স্থির ,আরো অস্থির আমার সময়।
চিৎকারগুলো গলার কাছে আটকে আর কতক্ষন
আর কিছুক্ষন ,
তুমি চলে যাবে আবার
আমি একা
আবার একা।

হঠাৎ পথ চলতি
তুমি হেসে উঠলে আমার বুকে,আরো গভীরে।
বললে সব ঠিক হয়ে যাবে ,সব ঠিক হবে
আমি হাসতে পারলাম না ,কাঁদতে পারলাম না।
ঘুম চলে গেলো ,চোখ খুলে দেখি
তুমি রয়েছো জড়িয়ে ,যেমন জড়িয়ে থাকো।  

পুরুষ

মাথা ছিঁড়ে পড়ছে সময়ের তাপমাত্রার পিচ গলে মাথার ভিতর রাস্তা বানাচ্ছে উদাসীন কালবৈশাখী শৌখিনতার সাথে  নিজের ভিতর লড়ছে,,,,,,,,,,,, কবে ?  ঠাকুর...