Sunday, July 31, 2016

রুপোর নুপুর

রুপোর নুপুর
.................. ঋষি
=========================================

আমার থেকে তোমার দূরত্ব যতটা
ঠিক ততটাই দূরত্ব আমার আর হাসপাতালের
হাসপাতালের যেন নেই ঠিক কত নম্বর কেবিন ছিল
মনে নেই কোন সুন্দরী নার্সের কোমড়  কত ছিল
শুধু মনে আছে আমার শরীর খারাপ ছিল
যেমন তোমাকে ভুলতে পারি না

এইভাবে সৎ গতিতে
মৃত্যু এসে ছড়িয়ে গেলো আমার স্নায়ু মন্ডলী বেয়াদপিতে।
আরেকটু ওয়ান হাতে নিলে হতো
হা হা তবে মুখে কি দেবো  আগুন।
তারপর চামড়ার গন্ধ চারিদিকে মম করবে মাংস
আমি জড়িয়ে তোমায় উনসত্তরে।
আমার আরো অনেক কিছু মনে পড়বে
তোমার ক্লান্তি ঘুম আমার বুকে মাথা রেখে।
বেশ কটা পাকা চুল
আরো নিচে
যেখানে তোমার পায়ে বাঁধা রুপোর নুপুর।

আমার থেকে তোমার দূরত্ব যতটা
থি ততটাই মৃত্যু হলো হাসপাতালে শুয়ে থাকা আমার।
চারিদিকে কেমন একটা ওষুধ ওষুধ গন্ধ
আমি যে সুস্থ থাকতে চাই ,থাকতে চাই ভালো।
তবু কেন এই মুহূর্তে আমার মৃতদেহ জ্বলছে
আর মাথার ভিতর গায়ের চামড়া আরো পাতলা হয়ে যাচ্ছে।  

পঁচিশ দিন

পঁচিশ দিন
................ ঋষি
============================================

অনেকদিন তোমার কাছে যায় নি বোধ হয়
আগামী পঁচিশ দিন তোমাকে ছুঁতে পারবো না।
আরে  আকাশ দেখো
এই তো আমি তোমাকে ঘিরে ,বহুক্ষণ ফোন নেই।
তোমাকে শুনতে পারছি না
ধুস কলমের নিবে ভিজে যাওয়া লাল সাদা কাগজে।

মাথার ভিতর নিউরোন থেকে
বৃষ্টি হচ্ছে।
শব্দজুড়ে অবিরাম পাগলামী বেড়ে চলা বৃষ্টি দিন
বৃষ্টির ছাট  ভিজে যাচ্ছে শহরের প্লাস্টিকে মোড়া  চড়ুইয়ে চোখ।
তুমি কোথায় ভেন্টিলেশনে
বাড়িয়ে দেওয়া অক্সিজেন পাইপ তোমার চারপাশে।
অক্টপাসের মতো জড়িয়ে ধরছে আমাকে
নিঃশ্বাসে এবার  কষ্ট হচ্ছে।
সামনে অনেকটা সময়
প্রায় পঁচিশ দিন।
বাঁচবো তো ?
বাঁচতেই হবে মোটে  তো আর কটা  দিন।

আমি ঘড়ি পড়ি না হাতে সময় দেখতে চাই না
সময়ের সাথে আমার ঝগড়া।
তবু এই সময় মোবাইলের ক্লক  বলছে বাড়াবাড়ি
খুব বাড়াবাড়ি ,,তাই বলে এতক্ষন।
জানি তো আমার অপেক্ষা আরো পঁচিশ দিনের
তবু এখন তবে এটা কি ? 

কবি তুমি কাঁদছো

কবি তুমি কাঁদছো
,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
==============================================

কলমে দাঁত লেগে গেছে
খুব সাধারণ ক্ষত আর রক্ত ঝরছে কমবে না ডেটল ব্যান্ডেজ।
প্লিস আমার কাছে আসবেন না
কবি তুমি তাদের কথা লেখো।
যাদের প্রেমে তুমি হাবুডুবু খাও আবার হয়তো প্রেমে পরো
এসো কবি আবার মানুষের কথা লেখা।

সামনে পরে থাকা  পয়লা শ্রাবন
সে তো চলে গেছে ,চলে যাওয়াটা সাধারণ বৃষ্টির মত /
টাপুরটুপুর সারা দুপুর, শরীরে ঘাম
ভিজে যাচ্ছে সময় সবুজ পাতা গড়িয়ে জল তোমার নাভিতে।
কবি তুমি ভিজে যাচ্ছো
বললাম তো  মানুষের কথা লেখো।
কলমের সাথে ভালোবাসা ভালো আরো ভালো মানুষকে  ভালোবাসা
কবি তুমি জীবনের কথা লেখো।
চলা পথ ,পায়ে কাঁটা ,ভেঙে পরা  পাঁচিল ,আকাশের চাঁদ
আবার ভিজছে ,চাঁদ আড়ালে এখন
তোমার বুকের উপর খাবলানো কোনো কবিতা।

কলমে ইচ্ছে লেগে আছে
খুব সাধারণ পায়ে হাঁটা আদরের সাথে বিছানার চাদর।
ইশ ভিজে গেলো সব
কবি তুমি জানলা বন্ধ করো।
বৃষ্টি ফোঁটা গড়িয়ে নামছে চিবুক বেয়ে ঠিক নোন জল
ইশ কবি তুমি কাঁদছো। 

খুব কাছে সু

খুব কাছে সু
............. ঋষি
============================================

তোমাকে নিয়ে লিখতে চাই না সু
তবু আমি লিখে ফেলি কারণ অকারণে কবিতা।
কতবার বলেছি তোমার কোনো অভাব নেই
অভাব শুধু আমার।
বারংবার ভেবেছি আর ভাববো না তোমায়
কিন্তু হঠাৎ পথ  চলতি ভিড়ে তোমাকেই মনে পরে সু।

এ কোনো কৃপণতা নয়
আসলে আমি তোমার মতো হিসেবী  হতে পারি নি।
পারি নি স্বর্গের পারিজাততে
নিজেকে সংযত রাখতে।
দুহাতে মাংস খুঁড়েছি ,খুঁড়ে ফেলেছি বারংবার নিজেকে কান্নায়
আমি কাঁদতে শিখেছি সু।
আমি বাঁচতে শিখেছি নতুন করে
তুমি  বলো  এমন তোমাকে না মনে করে থাকা যায়
না বাঁচা যায় সু।
আসলে এমনি তো চেয়েছি তোমায় নিজের গভীর যন্ত্রনায়
প্রতিদিনের একটু করে ফুরিয়ে যাওয়া সময় সু।

অনেকদূরে যখন ইন্দ্রপ্রস্থে যুধিষ্টির বাজি হারে
আমিও হেরে যায় তোমার কাছে বারংবার।
আমি যতবার তোমার থেকে দূরে যেতে ,তোমাকে ভুলে
আরো বেশি কাছে চলে আসি
খুব কাছে সু
যেখান থেকে তোমার উষ্ণ  নিঃশ্বাসের পরশ পাওয়া যায়।

পরকীয়া

পরকীয়া
............... ঋষি
============================================

তোমার যে হাত ছুঁয়ে আমি বেঁচে থাকতে চাই
সেই হাতে তুমি ধরে রাখো অন্য কারো হাত।
তুমি সামাজিক কোনো বিবাহিত রমণী
তোমাকে কি নিজের মতো ভালোবাসা যায়।
কি হলো চুপ কেন ? চোখের কোন জল ?
কেঁদো না  লক্ষ্মীটি ,সত্যি  আমি ভালোবাসতে চাই।

কি বেশ শব্দটা
পরকীয়া ?
কি সেটা খাই ,না মাথায় মাখে তারপর সাবানের ফ্যানা।
জল ঢালি ,গড়িয়ে নামে শরীর মেঝেতে
ভেসে চলে যায়।
আরেকটু গাঢ় হয় বুঝলে তোমার মুখের গন্ধ পাই যখন তখন
আরেকটু গভীরে যাই বুঝলে তোমার খোলা বুকে আশ্রয় পাই।
আসলে তোমাকে ছুঁতে চাই
তোমার ঝুলে যাওয়া বুকে মুখ রেখে কোনো শিশু আমি
একটু আশ্রয় চাই।
অরে চুপ চুপ সমাজ দাঁড়িয়ে সামনে ফাঁসির দড়ি নিয়ে
সত্যি বলা পাপ
তাই তো মশাই প্রকাশ্যে বলা তোমাকে আমি চিনি না।

তোমার হাত ছুঁয়ে আমি ছুঁয়ে দিয়েছি কোনো অনিয়ম
তাবু আমি ভালো আছি।
তুমি বিবাহিত ,তুমি হৃদয়ের ঘরে লেগে থাকা পরাগ
আমার মতো তুমিও মৃত।
চুপ সমাজ শুনছে ,শুনছে সময়ের অনাগত ভাবনা
স্বাধীনতা হাসছে ,তবু তো আমরা একসাথে।

এমন একটা দেশ

এমন একটা দেশ
................. ঋষি
=======================================================
এমন একটা দেশ এটা
যেখানে মেয়ে কালো হলে পাত্রী ক্যানসেল হয়
যেখানে সন্তান না হলে বিয়ে ভেঙে যায়।

এমন একটা দেশ
যেখানে যৌন  সংক্রমণের বীজ মানুষের  রক্তে
যেখানে বিধান সভায় বসে ন্যাংটো শরীর দেখা হয়।

এমন একটা দেশ
যেখানে সুলভ শৌচাগারে দু ,পাঁচটাকার বিনিময়ে ত্যাগ করা যায়
আবার সেই দু পাঁচ টাকার জন্য মানুষ মারা যায়।

এমন একটা দেশ
যেখানে ফুটপাথে শুয়ে খিদে বিক্রি হয়
সেই বিক্রি কখনো কখনো সুন্দরী জবরদখল নারী শরীর হয়।

এমন একটা দেশ
যেখানে  শিক্ষার নামে  ব্যাভিচার হয়
যেখানে একটা তেরোবছরের শিশু গর্ভবতী হয়।

এমন একটা দেশ যেখানে
যেখানে  বছরান্তে বসন্ত উৎসব ,দুর্গাউৎসব ,মহরম এমন হাজারো উৎসব হয়
আবার  বৃষ্টি ,শীত ,গ্রীষ্ম বহু মানুষ দুর্যোগে মৃত্যু সাজা পায়।

 এমন একটা দেশ
যার ইতিহাস লেখা সোনার অক্ষরে ইতিহাসের পাতায়
অথচ সেই দেশ আজ বিকৃত পশ্চিমী আকাঙ্খায়।

এমন একটা দেশ
যার স্বাধীনতা লেখা হয়েছে বহু মানুষের রক্তে
অথচ তার স্বাধীনতা দিবসে উদযাপিত মদের পার্টি হয়।

এমন একটা দেশ
হ্যা আমি এই দেশের অধিবাসী কোনো মৃত সময়ের রক্ষী
অথচ  আমার মতোই অনেকে এই দেশ বানাবার সাক্ষী। 

মধ্যবিত্ত শহরবাসী

মধ্যবিত্ত শহরবাসী
................ ঋষি
========================================================
আমি মধ্যবিত্ত কোনো শহরের বাসি
আমার পেটে  খিদে মুখে লাজ।
আমার সংসারের লুকোনো মুখগুলোর মধ্যে আমি পীড়িত
এটা কোনো রোগ না ,রোগটা অভাবের।
কিন্তু আমার প্রচুর টাকার দরকার বুঝলেন মশাই এই মুহূর্তে
আমার স্ত্রী ভালো নেই ,হসপিটালে ,ক্যানসার।

আমি কোনো এক অফিসে মামুলি কেরানী
ডাক্তার বলেছেন আমার স্ত্রী সুস্থ হবে কিনা  জানি না কিন্তু অনেক টাকা দরকার।
তাইতো আজকাল অফিস  ছুটি নিয়ে শুধু দৌড়োচ্ছি কদিন
হাত পাতছি  আত্মীয় স্বজন ,বন্ধু বান্ধব।
যাদের কোনো সময় আমি আমার সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি
 আজ জানেন মশাই তাদের হাতগুলো খুঁজে পাচ্ছি না।
ভাবতে ভাবতে মাথাটা এমন একটা অবস্থায় আছে
যেখানে আর ভাবতেও পারছি না।
কি করবো ?
কোথায় যাবো কার কাছে ?
মশাই আমি ঈশ্বর বিশ্বাস করি
হ্যা সুবিধা মত  স্ত্রী সুস্থ থাকতে পুজো করেছি তেনার।
কিন্তু এই মুহূর্তে
না মশাই, সেই ঈশ্বরকে খুঁজে পাচ্ছি না।

আমি মধ্যবিত্ত কোনো শহরের বাসি
দুঃখ সহ্য করতে পারি ,সহ্য করতে পারি কষ্ট ,কারণ এগুলো নিয়মিত।
কিন্তু মশাই আমার চোখে সামনে আমার স্ত্রী মারা যাবে টাকার জন্য
বলুন তো কি করতে পারি ?
হ্যা মশাই এই মুহূর্তে আমি টাকার জন্য যেকোনো বেআইনি কাজ
কিংবা মানুষ খুন করতেও রাজি ,অপশন  আছে আপনাদের কাছে ?

Friday, July 29, 2016

স্মৃতির হাতছানি

স্মৃতির হাতছানি
................. ঋষি
===========================================

বিশ্লেষণ চায় বুঝলে চলন্তিকা
কষ্টগুলো  পুঁটলিতে বেঁধে সময়ের সাথে হেঁটে যাওয়া।
পিছু ফিরে দেখলে মনে  হয়
মানুষের স্মৃতিগুলো বড় বেশি লজ্জাহীন।
পিছনে হাতছানি দেয়
আর বাড়তে থাকা স্মৃতি দিন প্রতিদিন।

সময় কখনো ভুলতে শেখে নি
মানুষও ভুলতে পারে না কিছু ,শুধু অভিনয় রপ্ত করে
হেঁটে চলা ,আর বেঁচে।
সময় কখনো একলা থাকে নি
তাই জানো  চলন্তিকা মানুষ একলা থাকতে পারে না
স্মৃতি জুড়ে কিংবা  স্মৃতি ছাড়া।
সময় কখনো কারোর অপেক্ষা করে নি
তাই তো মানুষও অপেক্ষা করে না শুধু এগিয়ে যায়।
কখনো যদি ফিরে আসতে  চায়
সময়ের ফেরা কিছুতেই সময়ে ফেরা যায় না।

বিশ্লেষণ চায় বুঝলে চলন্তিকা
নিজের সাথে কাটানো সময় দিন প্রতিদিন নিজেকে দেখা।
চেনা আয়না বদলায় না কিছু
শুধু বদলানো সময়ে বড় হতভাগ্য একলা  মানুষ।
একলা দাঁড়িয়ে শুধু পথের দিকে তাকায়
আর পিছনে পরে থাকে সময় আর স্মৃতির হাতছানি।

মানুষ জাগবে

মানুষ জাগবে
................. ঋষি
=====================================================
শহরটাকে দেখছি
ক্রমশ আলো ফুরিয়ে শহরে বাতিস্তম্ভে জোনাকির আলো।
অবাক হওয়ার কিছু নেই
এই শহরে জোনাকি খুঁজে পেতে  হয় অন্ধকারে।
শহরের রাস্তায় এগিয়ে যাওয়া ভিড় নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছোট ছোট বেঁচে থাকা
মানুষ এগোতে চাই আলোর দিকে ,পিছিয়ে যাচ্ছে নির্বিকারে।

শহরের স্টেশনে উপচে পরা সব ক্লান্ত শরীর
শহরের রাস্তায় সময় ফেরত মানুষের মুখে অজস্র দৈনন্দিন হারা জেতা।
শহরটা গুটিয়ে যেতে চায় ঠিক মাদুরের মতো ছোট্ট হয়ে
ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে সময়
ক্লান্ত শহর ঘুমিয়ে পরে।
তবু হাইরোড দিয়ে এগিয়ে যায় কোনো বেঁচে থাকা
দূর থেকে দেখা যায় রিফেলকসন আলো।
দূরে কোথাও শিশু কেঁদে ওঠে
মায়ের অবসন্ন হাত শিশুর বুকে।
ঘুমিয়ে আছে শহর মানুষের সাথে ,অন্ধকার  চারিধার
সকাল হবার আশায়।

শহরটাকে দেখছি প্রতিদিন
এইভাবে বেড়ে যাচ্ছে বুকে ব্যাথা ,শ্বাস কষ্ট ,অন্ধকার মানুষের
দিন প্রতিদিন নিয়মে বাঁধা সময় কোথাও মানুষ এক হচ্ছে
বুজে যেতে চাইতে মানুষের ক্লান্ত চোখ।
তবু খিদে জেগে আছে মানুষের তাইতো সকাল
শুধু অপেক্ষা ,,,মানুষ জাগবে। 

জন্ম থেকে চিনি

জন্ম থেকে চিনি
.............. ঋষি
==============================================

জানি না কতক্ষন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম
তোর চোখের  কাজলে লেগে ছিল কোনো পরাগের রেণু।
জীবন কেমন হয় তা জানি না
মানুষ হিসেবে আমি কতটা সামাজিক জানতে ইচ্ছে করে না।
ইচ্ছে করে বারংবার ছুঁয়ে দেখি
কোনো গভীর কান্নাকে ,যাকে  আমি হয়তো জন্ম থেকে চিনি।

এই সব জন্ম ইতিহাস তোর না জানার কথা
পৃথিবীর প্রতিটা  স্কেলিটনে মতো তুই  মত্ত তোর যাপন শহুরে আদরে।
তবু  কেন আমার স্কেলিটনে মাঝে মাঝে ব্যাথা হয়
আর তখনি আমার বাঁচতে ইচ্ছে হয় তোর সাথে।
আজকাল শহুরে  আলাপনে মোবাইল মাফিক রিলেশান
কি সহজে বলা যায় যায় ভালোবাসি।
ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে আমি স্বপ্ন দেখি কোনো  পাহাড়ি চূড়া
যেখান থেকে আমি চিৎকার করি
তোর নাম ধরে।
প্রতিবারে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে তোর নাম আমার কানে
ঠিক যেন ফিসফিস তুই আমার ভীষণ চেনা  ।

ঠিক  কতক্ষন তুই  অবিরত বাকুম বাকুম ক্যাফেটোরিয়ায়
আমি চেয়ে আছি তোর ঠোঁটের দিকে।
হালকা লিপস্টিক ,একটু ভিজে ভাব ,বাইরে তখন না শেষ হওয়া শহর
সামনে পরে আছে ক্রমশ নিভে যাওয়া কফি।
তবু  আমি জেগে উঠি হঠাৎ
আমার বলতে ইচ্ছে হয় তোকে আমি ভীষণ রকম চিনি।  

ঘুম ভেঙে যায়

ঘুম ভেঙে যায়
............ ঋষি
=================================================
চলন্তিকা তোর দূরত্ব কত
আমি বনলতাকে ঘেঁটে দেখেছি জীবনানন্দের চোখে।
আমি মানুষ হয়ে হেঁটে দেখেছি মানুষের চোখে
তবু দূরত্ব বেড়ে গেছে।
নিজের থেকে দামি কোনো না দেখা সকালের স্বপ্নে
আমার বারংবার ঘুম ভেঙে গেছে।
.
সিংহল সমুদ্র থেকে ঘুটঘুটে অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি একটু শান্তির খোঁজে।
সকলে বালিশে মাথা রেখে নিজস্ব  আলাপনে জীবন ভাসায়
আমি ভাসাতে পারি নি নিজেকে
শুধু বারংবার ঘুম ভেঙে গেছে।
ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখেছি চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা
চলন্তিকা একবার ভাব তোর মাথায় চুল নেই
নেই তোর শ্রাবস্তীর কারুকার্য মাখা নিটোল শরীর।
বয়স হয়েছে চামড়ায় ভাঁজ
সত্যি আজও কি প্রেম আছে
,,,, আছে ঠিক যেমন ছিল মনের ভাঁজে ভাঁজে।
.
চলন্তিকা তোর দূরত্ব কত
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দ নিয়ে সন্ধ্যা আসে।
ক্রমশ পৃথিবীর সব রং নিভে যায় ,,ঘুটঘুটে অন্ধকারে স্বপ্ন
আমি কান পেতে শুনি তোর পায়ের শব্দ চলন্তিকা।
আমার ঘুম ভেঙে যায়
তবু আমি ক্লান্ত নই কারণ তোকে জড়িয়ে বাঁচার আশায়।
.
( জীবানন্দের প্রেয়সী বনলতা অবলম্বনে )

Thursday, July 28, 2016

সময়ের সাথে

সময়ের সাথে
................ ঋষি
===========================================
সময়ের সাথে ফুরিয়ে যায়
তবে শেষ হওয়া হয় না।
শরীর  ,মন সব রইলো পাশে
শুধু জানলা খোলা হয় না।
তাই তো আকাশে নীল মেঘ নীলের সাথে
কেমন শূন্য  লেগে থাকে।

ভালোবাসা অনেকটা স্যাকারিনের মতো
জলে ভেজালে গুলে  যায়।
কিন্তু পুরো মিশে এক হয়ে  যায় না
মিষ্টতা ফুরোতে ফুরোতে কেমন একটা তেতো হয়ে যায়।  
তখন রইলো খোলা জানলা
রইলো পরে ভিজে ভাব ,ভিজে সব অনুভব।
আবার বৃষ্টিতে ভিজতে  ইচ্ছে হয়
অথচ  বৃষ্টি দেখা যায় কিন্তু বৃষ্টিতে ভেজা যায় না।

সময়ের সাথে ফুরিয়ে যায়
সে প্রেম বলো ,ভালোবাসা বলো  ,,সবটাই হৃদয়।
আকাশের ওপর হাঁটা
বিশ্বাসে বেঁচে থাকা ,,,শুধু বাঁচা সেটাই জীবন।
বাকিটুকু স্বপ্নে দেখা ভিজে নোনতা ভাব
চোখের কোনে। 

মৃত্যুর দেখা

মৃত্যুর দেখা
.................... ঋষি
====================================================
হঠাৎ পরে গেলাম
আমার উপর উঠে এলো আস্ত একটা বাস।
কিছু শুনতে পাচ্ছি না ,চারিদিকে চিৎকার একসিডেন্ট
কিন্তু বুঝতে পারছি আমি আর নেই।
তারপর হাসপাতাল ,বডি ট্রানফার আইনি নিয়ম ,আরো কত
চারিদিকে সমাজ পরিজন ,আমি পুড়ছে,আমার বডি।

পরেরদিন খবর
অফিস ফেরত কাল অমুক রোডে একজন যুবক মৃত।
বাস চালক পলাতক
যেমন পলাতক একটা দিন আমার থেকে।
মাঝখানে একটা তফাৎ থেকে যায়
আমি আছি আর আমি নেই কোত্থাও।
চলন্তিকা কাঁদবে ,কাঁদবে হয়তো কিছুটা সময়
খবর পাতা পরে কেউ কেউ বলবে আহা বেচারা চলে গেলো অসময়।
তারপর নিউজ পেপারের এই ফালতু খবরটা ঠোঙা হয়ে যাবে
কোনো রান্নাঘরের ঝ্যাঁটার সাথে আবার রাস্তায়।

হঠাৎ পরে গেলাম
সামনে দিক থেকে ছুটে আসছে একটা বাস আমার দিকে।
তারপর মারাত্নক জোরে ব্রেক ,প্রায় গায়ের কাছে
চারিপাশে চিৎকার গেলো গেলো রব।
বাস ড্রাইভার একটা খিস্তি মেরে বললো দেখে রাস্তা পার হতে হয়
আর আমি তখন সদ্য ফেরত মৃত্যুর দেখা। 

প্রথম প্রেম

প্রথম প্রেম
...................... ঋষি
====================================================
ভালোবেসে সাক্ষী রেখেছি আমি
আমার প্রথম প্রেম ,প্রথম অধর স্পর্শ ,সেই সব দিন।
আজ ডাইরির পাতা ছুঁয়ে মন চলে যায় পুরোনো কোনো সকালের দিনে
ভালোবেসে এগিয়ে দেওয়া হাত গোটা একটা অংকের পাতা।
যাতে লেখা ভালোবাসি ,ভালোবাসি
সময় সেই সুর স্পর্শ ছুঁয়ে আজ মাতাল আমি কোনো নেশা।

সেই ছেলেটা দাঁড়িয়ে
রোগা ,কালো ,এক মাথা না আঁচড়ানো চুল ,সদ্য ওঠা দাঁড়ি ,
ঠিক তারমধ্যে আমার প্রথম পুরুষ খোঁজা।
ইঁটের গাঁদার আড়ালে কখনো ছুঁয়ে  যায় সময় অনুরণন
এই শরীরের ভাঁজে।
আমার প্রথম প্রেম ,আমার প্রথম চিঠি ,ফ্রকের আড়ালে লোকানো
আমার বাড়ন্ত স্বপ্ন।
সব যায় হারিয়ে সেই ইঁটের গাঁদা ,সেই রোগা ,কালো, ছেলেটা
বদলে গিয়ে ছুটে পালায় সময় উল্টোদিকে
আর আমি আজও কখনো আনমনা আমার প্রথম প্রেম।

ভালোবেসে সাক্ষী রেখেছি আমি
আমার মেয়েবেলা ,বেড়ে ওঠা আমন্ত্রনের দিনে লুকোনো চিলেকোঠা।
আমার প্রথম প্রেম তোমাকে বলা
সেই যুবতী আজ সম্পূর্ণ কোনো নারী সময়ের স্পর্শে সময়ের আদলে।
তুমিও  হয়তো সংসারী কোনো নিয়মিত সময়
কিন্তু আমার এই কবিতা বহু যত্নে আমার প্রথম তুমি  হৃদয়ে লেখা। 

বৌ ঠাকুরুন

বৌ ঠাকুরুন
................ ঋষি
========================================================
চশমার কাঁচে লেগে আছে উপচে পড়া সত্যগুলো
সবতো আর মনের মতো হয় না।
রবিঠাকুরের প্রেমে উতলা কোনো দুপুরের কবিতায়
বৌঠাকুরুন বারংবার কাছে চায় প্রিয় রবিকে ।
না এমন তো আর এই সময়ে হয় না
রবিবাবু মারা গেছেন সময় পেরিয়ে আরো গভীর প্রেমে।

কিছুই বলিস না তুই
শুধু বৃষ্টি দিনে জানলার আরশিতে ঠোঁট রেখে মাপতে থাকিস উষ্ণতা।
কিংবা তোর সেই প্রিয় সাওয়ারের তলায়
নিজেকে ভিজিয়ে ভাবিস ছুঁয়ে গেলো স্নেহ হয়তো বা আদর।
কিছুই সত্যি নয়
তোর দুপুরের উপুড় হয়ে খোলা বয়ে গোগ্রাসে গেলা নায়ক ,নায়িকা।
জানিসতো নিভে যায় বাতি
প্রতি রাত্রে অন্ধকার সিলিঙে আলো খোঁজা একটা রোগ।
ঠিক তোর মতো নিজেকে খোঁজা
গভীরে শুয়ে থাকা সেই ছোট বৌঠান।

চশমার কাঁচে লেগে আছে উপচে পড়া সত্যগুলো
বোবা ঠোঁট জানে না বলা ঠোঁটে মানে।
ছুঁয়ে থাকা নোনতা ভাব পরে থাকা বেলা সারাদিন
দিন কাটে রাত কাটে তাই।
তবু রবিঠাকুর তুমি জন্ম নিও আবার
আমি তোমার বৌ ঠাকুরুন। 

উপত্যকার দেশ

উপত্যকার দেশ
...............ঋষি
======================================================

উপত্যকার দেশ
আরোহী কোনো সাময়িকী দেশের গায়ে।
উত্তরণ প্রয়োজন
নিজের মলাট খুলে অন্য মলাটে তুমি বড় বেমানান।
নির্দিষ্ট পথে পথিক
সিন্ধু সভ্যতার অংশ গর্ভে তোমার প্রিয়স্থান।

দেশ বললেই
কাঁদবো কাঁদবো করে কেমন একটা আকুলপাথার কুল কুল রক্তের স্রোত।
সারা শরীরময় মারাত্নক বেদনা
মনে হয় এ যেন দেশের জ্বর।
ছায়া চায় রৌদ্র ,,,,,,,আবেশ মারা গেছে কোনো দেশের অংশে
কোনো প্রাঙ্গনে তার মায়ের স্তনে দেশের দাগ।
তৃপ্তি দেশাই হাজারো অনেক নারী আজ উন্মুক্ত কোনো জন্মের অভিশাপ
দেশ কাঁদছো উরুস্থলে রক্তের নদী।
আরো আছে উপখ্যান
দেশ ভাঙছে ,দেশ চাইছে দেশ নিজের গভীর অন্তরে
আজ শুধু হাহাকার।

উপত্যকার দেশ
কমপ্লিট মলাটে সাজানো কোনো উৎসব বাজারি শব্দে।
দুচারখান খিস্তি সকলেরই দিয়ে থাকে নিজের জন্ম দাগকে
কিন্তু দেশ ,
সে শুধু কাঁদছে মানুষের ভিতর কোনো অন্তর মহল
যে বোঝে না দেশের মানে। 

অনেক কিছু বাদ

অনেক কিছু বাদ
.................. ঋষি
================================================
অনেক কিছু বাদ পরে গেলো বুঝলে
আকাশের সূর্য ,তারা  ,জীবন ,প্রেম আরো কত কি।
শুধু কবিতাটা থাক
বাঁচতে তো হবে
সেই প্রকৃতির সবুজ রঙের ইচ্ছার সাথে।

কিন্তু জীবন ছাড়া কবিতা কি করে সম্ভব ?
চলন্তিকা জীবন একটা নদী যার দুকূলে জনপদ অসংখ্য যাপন।
আর কবিতা সে যে নিজেই একটা জীবন
যার উৎস দিয়ে হাজারো ভাবনা ,হাজারো সৃষ্টি আর সৃষ্টির কবিতা।
কিন্তু সূর্য ,তারা এসব যদি না থাকে
তবে বাঁচবে কি করে ?
কি প্রয়োজন বাঁচার অরে নিশ্বাস ছাড়াও চলন্তিকা কবিতা লেখা যায়।
বুঝলে অনেক অনেক যন্ত্রনা দরকার
তুমি বোঝো বা কেন চলন্তিকা কবিতা সৃষ্টি, সৃষ্টির যন্ত্রনা।

অনেক কিছু বাদ  পরে গেলো বুঝলে
নারী ,যোনি ,স্তন  আরো কত জীবিত আবেগ।
অদ্ভুত তো আমাকে তোমার প্রয়োজন নেই ?
কে বললো চলন্তিকা স্পর্শ জরুরী
যেমন তোমার না থাকা। 

মাংস

মাংস
............... ঋষি
===================================================
মাংসের টুকরোগুলো প্লাস্টিকে ভরে দোকানদার দিল
আজ রবিবার বাড়িতে তাই ভোজ।
কিন্তু মাংসের ধারালো দিকটা আজ কেন জানি আমার মাথার নিউরনে
রক্ত ,শরীর আরো কত কি।
যাচ্ছে তাই জীবনের ভূমিকায় আসলে আজ ফ্রী জোন
তাই এই উদ্ভট ভাবনা।

দুপুরে খাওয়া হলো
তারপর ঘুম , না আসছে না।
জানলার পাশে কোনো ক্যালেন্ডারে নারী শায়িত
আবার সেই মাংস।
স্তনের বেলুনে লেগে যাচ্ছে আঠার মতো চোখ
ক্রমশ একটা চাবি উৎসের দিক থেকে আরো দূরে চলে যাচ্ছে।
দূরে দূরে ধোঁয়ার ভিতর কোথায় যেন
ক্রমশ ফিট হওয়া জানলে অন্য চোখ।
ধুস জানলা বন্ধ করি ,দরজাটাও
আমিও শেষ অবধি মাংসাশী কোনো দিনে আমিষের গন্ধ।

মাংসের টুকরোগুলো পেটের ভিতর অদ্ভুত যাতনা দিচ্ছে
না মাংস আমার হজম হবে না।
পাশের বুকশেলফ থেকে তুলে নিলাম সুনীলের কবিতা
সেই বিখ্যাত লাইন আমার মাথায়।
এই কবিতার জন্য আর কেউ নেই ,শুধু তুমি নীরা
এই কবিতা মধ্যরাত্রে তোমার নিভৃত মুখ লক্ষ্য করে।

রাক্ষসী

রাক্ষসী
............ ঋষি
=================================================
সেই রাক্ষসী আবার আসবে
ঘুমের মাঝে সহ্যের তীরে কোনো বেদনা।
নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থেকে
নেইল পালিশ ,লিপস্টিক ,আতরের সাথে ,কবিতা।
সবটাই বেসামাল কোনো দিন
দূরে যা ,চলে ,সরে রাক্ষসী ,সেই রূপকথা।

নিশি জাগা ছবির সাথে
ডার্করুমে এগিয়ে আসবে হাত ,হাতের নখ বুকের কেবিনে পিয়ানো বাজাবে।
গুঁড়ো গুঁড়ো রিডে আবার কবিতা
সে যে  শহরের থেকে দূরে এক রাক্ষসী আমার প্রেমিকা।
রাক্ষসী যদি হবে
নদীর জলে মুখ দেখে আমি আয়না খুঁজবো।
আয়নার ভিতর প্রিজম
তারথেকে দূরে এক না শেষ হওয়া রাত।
কবিতা ভাবাবে ,কবিতা আসবে ,কবিতা জাগাবে
রাক্ষসী আমার রক্ত খাবে।

সেই রাক্ষসী আবার আসবে
আমার ইচ্ছার কেবিনে জমে থাকা ইচ্ছার রূপকথার কোনো স্বপ্ন বাস।
ঘুম ভাঙবে ঠিক রাক্ষসী বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরবে
গড়িয়ে নামবে খিদে তার চোখে।
আমার চোখে বাঁচা লেগে আছে
শোন রাক্ষসী বাঁচবি আমার সাথে। 

আকাশ পথে

আকাশ পথে
...................... ঋষি
=======================================================
কোথায় তুই
আকাশে ,বাতাসে ছড়িয়ে থাকা দীর্ঘশ্বাস।
যদি ভাবিস প্রেম
সে তো শুধু কবিতার পাতায় পরে থাকা শব্দের মিশেল।
যদি ভাবতে চাস আমায়
আমি খোলা আকাশের ঘরে নীলের প্রতীক্ষা।

সময়
বড় অদ্ভুত রঙের একটা ইচ্ছা যদি ,
বয়ে চলে অনিচ্ছায় মানুষের সর্বত্র শিরা উপশিরায় জীবিত যাপন।
আকাশের গায়ে বড় বড় ঘর
প্রতি স্কোয়ার ইঞ্চিতে বাড়তে থাকা জীবন আর ভর।
সবটাই নির্ভর
তোর আমার মতো অনেকেই আছে বেঁচে
ছোট ,ছোট ক্লান্ত শহরে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের বেশে।
কোনো জীবন্ত এক বিশাল আকাশ
যেখানে পৃথিবী নীলে মেশে।

কোথায় তুই
এটা কোনো প্রশ্ন নয় ইচ্ছে কোনো আকাশ পথে।
হাঁটতে থাকা জীবিত কফিনে
আজকাল শেষ পেরেক অনেকটা গভীর।
কিন্তু শহর বদলায়
আর মানুষ তবু বারংবার মানুষ খোঁজে। 

শান্তির ওম

শান্তির ওম
,............ ঋষি
====================================================
আমি কি উড়তে পারি
সমস্ত সত্বা ছেড়ে সীমানাহীন ওই আকাশে।
আমি কোনো ইচ্ছা নদীর কবিতার মত
পাহাড় বেয়ে নামতে পারি।
সৃষ্টি করতে পারি এক অন্য পৃথিবী যেখানে মানুষে মনে
শুধু শান্তির ওম।

আমি ডানা ভাঙা সেই ক্লান্ত কবি
পাতার ঠিকানায় লিখে চলেছি অবিরত ক্ষরণ রক্তধারা ভেসে যাওয়া দুঃখ নদী।
হাওয়ার মাতাল প্রেরণায় ঠিক কোনো শুকনো পাতা
উড়ে চলেছি জীবন কোনো অজানা পথে।
আমি কি সব সীমানা ছেড়ে ,জাত ,ধর্ম ,বিভাজন ছেড়ে
কৃষ্ণকে আল্লাহ বলতে পারি ?
আমি কি একলা থাকতে পারি
মানুষের মত পায়ে হাঁটা পথ ,জীবন যাপন
আমিও তো জীবিত থাকতে পারি।

আমি কি উড়তে পারি
নিয়ম  ভেঙে সীমানা ছেড়ে অন্য কোনো আদিম জগৎ।
আমি কোনো ইচ্ছা নদীর প্রেমের কবিতা লিখতে পারি
যদি চলন্তিকা তুমি মানুষ হও।
সৃষ্টি করতে পারি কোনো নগ্ন পৃথিবী মুখোশ ছাড়া
যেখানে শুধু হৃদয় থাকে

Saturday, July 23, 2016

লোকাল ট্রেন

লোকাল ট্রেন
................. ঋষি
===================================================
সন্ধ্যের ওপাশে কোনো লোকাল ট্রেন
গায়ে থুথু দিয়ে চলে গেলো।
যায় প্রতিবারে ,নিয়ম এটা, নিয়মিত অভ্যাস হয়ে গেছে আজকাল
তবু আসার কোনো শব্দ আমি পাই না।
কেন জানি হুইসেল শব্দটা ফেরত কালীন সাধারণ মনে হয়
অথচ চলে যাওয়াটা কষ্টের।

এইসব স্বাভাবিক দীর্ঘকালীন আলাপন
আরামকেদারায় বসে দুলতে দুলতে এক কাপ চা আর প্রিয় কবির কবিতা
পোষা বিড়ালে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠা।
হাসি পায়  ভাবলে জীবন কোথাও বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখে
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চায় দূরত্ব।
সে সব না বলা থাকে
ছুটির দিন সকালে ঘুম ভেঙে এক কাপ চায়ের সাথে রবি ঠাকুরের গান
আজি ঝরঝর মুষল বাদল দিনে।
বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি
আমি কান পেতে ট্রেনের চলে যাওয়া  শুনতে  পাই।

সন্ধ্যের ওপাশে কোনো লোকাল ট্রেন
আমাকে স্বাগত জানায় ,আমার বুকের ভিতর কোনো ট্রেন লাইন।
সামনে পরে থাকা মাইলফলকে একটা গোটা জীবন
দৈনন্দিন ট্রেন আসে আবার চলে যায়।
কিন্তু কেন জানি হুইসেল শব্দটা ফেরত কালীন সাধারণ মনে হয়
অথচ চলে যাওয়াটা কষ্টের। 

সাজানো ঘর

সাজানো ঘর
.................. ঋষি
=================================================
আমার পড়ার ঘরে ঢুকলেই দেখবেন
একটা ট্রামের রিপ্লিকা আমার বুক আর সেলফে লেগে আছে।
আমার ওই একটা পৃথিবী আছে
যেখানে সুদূর পেরুর মাচু পিকাচুর প্রাক ইনকার ঈশ্বর দাঁড়িয়ে  আছে।
আমি ঈশ্বর দেখিনি ,বিশ্বাস করি নি তাকে
তবু এই ঘরের দেওয়ালে  রবিঠাকুর টাঙানো।

এই সব  কথা আপনাকে বলা কেন
আসলে জানেন মানুষ নিজের ভিতর লুকিয়ে থেকে আবিষ্কার করে।
যেমন ধরুন লুকোনো সভ্যতার হরপ্পা ,মহেঞ্জদড়ো
আজ মাটি খুঁড়ে আবিষ্কার।
এই সব আপনার  জেনে কি  হবে ?
মশাই আমরা সকলে নিজেদের খুঁজে চলেছি বাঁচার নেশায়।
জানেন না
ইচ্ছেদের স্বপ্নবন্দী করে রাখা হতভাগ্য মানুষ।
আশায় বাঁচে
তাইতো ইচ্ছে সাজানো প্রত্যেকের মনের দেওয়ালে।

আমার পড়ার ঘরে একপাশে টাঙানো রাজপুতানা তলোয়ার
ধার নেই তবু বেশ ধার ইতিহাসের পাতায়।
মশাই ইতিহাস পড়িনি তেমন
তবু যখনি কোনো ইতিহাস বইয়ের পাতা খুলি।
অবাক হয়ে দেখি মানুষ
নিজের ভিতর নিজেকে বদলাচ্ছে ঠিক আমার সাজানো ঘরের মত।


Thursday, July 21, 2016

বিরহের কবিতা

বিরহের কবিতা
................ ঋষি
=====================================================
আমার এই কবিতা তোমাকে স্পর্শ করবে কিনা  জানি না।
আদো এর শব্দগুলো তোমার হৃদয়ে পাঁচিলে
আমার নাম লিখে দেবে কিনা জানি।
তবে আমার এই কবিতা  তোমাকে  চিরকাল মনে করবে।
যেমন করেছে এতদিন
প্রতি দিন রাতে সূর্যের থাকা না থাকায়।

তোমাকে  বলা হয় নি চলন্তিকা
আমার বুকে একটা আস্ত   সূর্য আছে।
যেটা তোমার হাতঘড়ির মত সারাক্ষন টিকটিক করে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়।
তুমি যখন তোমার খয়েরি সালোয়ারে হেঁটে যাও শহরের পথ ধরে
তখন তোমার গড়িয়ে নামা ঘামে আমার আতংক।
এই নামলো বৃষ্টি আমার শহরে ,,নোনতা জল
এই  বোধ হয় কোনো ধূলিঝড় ,সারা আকাশে মেঘ
সূর্য নিভে গেলো।
তুমি বলো কার না নিভতে ভয় করে ?
কার না পুড়তে  ভয় করে মাঝ আকাশে সূর্যের মত?

আমার এই কবিতা তোমাকে স্পর্শ করবে কিনা  জানি না।
তবে এই কবিতার কোনো শব্দে আমি নেই
এ যে কোনো বিরহের কবিতা।
আমি প্রেমিক হতে পারি ,কিংবা পাগল প্রেমে মাতাল সূর্য
হয়তো পুড়তে পারি নিজের ভিতর শ্মশানের আগুনে
কিন্তু তুমি আমার প্রেমিকা নও।


আমার কোনো কবিতা নেই

আমার কোনো কবিতা নেই
........... ঋষি
-===========================================
আমার নির্দিষ্ট কোনো পাঠিকা নেই
যে আমার কবিতার আঁচলে  ঢেকে দেবে নিজেকে।
আমার প্রেমও কোনোদিন নির্দিষ্ট নয়
যে কোনো শহরের রাস্তার মতো সোজা হেঁটে যাবে।
ভেঙে গড়ে আসলে আমার কবিতা আমার নয়
সে যে সময়ের বুকে আমার হেঁটে চলা।

কতবার ভেবেছি নিজেকে
হয়তো আমি কবি।
কিন্তু যখনি আকাশের দিকে তাকায় আর তাকিয়ে থাকি
আকাশের চাঁদ খিদের মতো আমাকে গিলে  খেতে আসে,
আমি সাধারণ ,খুব সাধারণ হয়ে যায়। .

কতবার ভেবেছি আমি প্রেমিক বড়
কিন্তু যখন আমি প্রেমের চোখে তাকায় খুব আদরের চোখে।
মাটিতে লুটিয়ে পরি ,যেন কোনো ভাঙা গাছ
যেন কোনো ইতিহাস আমাকে তাড়া করে।
শাজাহান তার প্রেমিকা তাজমহলকে
কোনো অজানা দুর্গে বন্দী থেকে দেখতে থাকে।  

আমার এখনো নিজের কোনো কবিতা নেই
যাই লিখি সব সময়ের দুর্যোগ ,কল্পনার আকাশে রঙিন চাঁদ।
দুঃখ লেগে থাকে বিচুটি পাতার মতো সারা ভাবনায়
ইশ এখনো একটাও কবিতার লাইন লিখতে পারলাম না।
শুনেছি নাকি  কবি সে তো স্বভাব প্রেমিক
তবে আমার কোনো পাঠিকা হবে কি করে। 

বারুদের গন্ধ

বারুদের গন্ধ
.................. ঋষি
======================================================
ওরা হেঁটে যাবে একে ,ওপরের বিপরীতে
কেউ তাকাবে  না কারোর দিকে।
শুধু হাঁটতে হাঁটতে মনে করবে এক রক্তাক্ত পৃথিবীর কথা
পৃথিবীর সব শহরে মৃতের স্তূপ ,বারুদের গন্ধ ।
স্বপ্ন দেখে ওরা মৃত্যুর
ওদের মাথায় ভর করে আছে কোনো অন্ধকার পৃথিবী।

অনুচ্চারিত শর্ত ফিসফিস মনে মনে আওড়াবে
খালি পায়ে ফুঁটে যাবে পথের কাঁকর ,বালি কিংবা হতেও পারে কাঁচের টুকরো।
ওরা কসম খেয়েছে ওরা থামবে না
হেঁটে যাবে সভ্যতার মৃত্যুর  দিকে।
একঝাঁক বারুদ যদি ছুঁটে আসে কে কাকে বাঁচাবে ?
কে ভাববে সে কথা ?
একঝাঁক ভালোবাসা যদি পথ রোধ করে ওদের
ওরা ফিরেও তাকাবে না,গলা টিপে মেরে ফেলবে শান্তি ।
ওদের ওয়াশ করা ব্রেনে ঢুকে আছে আলাদা ধর্ম মানুষ ছাড়া
ওদের ব্রেইনের মেমব্রেনে ঢুকে আছে কোনো মৌলবাদী হিংসা।
ওরা থামবে না ,মরে যাবে
তবু ওরা হেঁটে যাবে মানবিকতা আরো দূরে ,খুব দূরে।

রক্তের বন্যা বইবে
শহরে শহরে মৃত শবের স্তূপ  ,আর ধর্মের অরাজকতা।
ওদের হাতে থাকবে মানুষের রক্ত
ওরা সভ্যতাকে একলা রেখে হেঁটে যাবে বিপরীত দিকে।
মানবিকতা থেকে দূরে,মনুষত্বের থেকে দূরে
শুধু ধর্মের নামে ,ওদের রক্তে হিংসার বীজ। 

মাঝরাতে

মাঝরাতে
................. ঋষি
=================================================
পৌঁছোবার খবর দিস বুঝলি
মাঝরাতে আমি যখন করিডোর দিয়ে অকারণে পায়চারি করি।
মাথার উপর উইন্ড চার্মটা দোলে
মনটা হঠাৎ ভালো হয়ে যায়।
কিছু শব্দ তো বেঁচে আছে এখনো আমার চারপাশে
বাকি সব ফাঁকি ,তুই খবর দিস পৌঁছোবার।

আমি, আমার মতো কেউ
পৌঁছোতে চাই  পৃথিবীর বাইরে যেখানে অন্য পৃথিবী।
আজকাল লিখতে ,পড়তে ভালো লাগে না
ভালো লাগে না
তবুও  কেন  যে  হাঁটতে থাকি মাঝরাতে বুকশেল্ফের দিকে বারংবার।
 হাতে তুলে নি কোনো প্রিয় কবিতার বই
প্রিয় কবির লেখা লাইনগুলো আওড়াতে থাকি মনের মত।
আমি না আমার মতন কেউ
একা পৃথিবীতে হেঁটে বেড়ায় চেতনার খোঁজে
একটু শান্তি আর জীবিত থাকার লোভে।

পৌঁছোবার খবর দিস বুঝলি
কিন্তু কোথাই পৌঁছতে চাই তা জানি না।
কাকে কিভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় ঘুমের গভীরে
জেগে থাকে আমার চোখ।
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে শুনি বাইরের করিডোরে পায়ের শব্দ
আমার মতো আমি হেঁটে বেড়াই। 

সাদা ফুল

সাদা ফুল
.................. ঋষি
=================================================
চুপ করে ভাবতে থাকি
খাটের উপর শুয়ে গুনতে থাকি কড়িকাঠ।
আজকাল বিশেষ কিছু করার নেই আমার শুয়ে থাকা ছাড়া
ডাক্তার বলেছে এটা নাকি একটা প্রেম সময়ের বিছানার।
আমি জানি এ সব মন ভোলানোর গল্প
আসলে আমার বয়স হয়েছে বিছানা ছেড়ে ওঠার ক্ষমতা নেই।
.
মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজন আসে
ব্যাজার মুখ করে আমার হাত ধরে বলে সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আমি জানি ওরা মনে মনে বলে
বয়স হলো ,আর কতদিন ,এবার জায়গাখালি করুন।
কি দরকার বাঁচবার ?
একবার বলেছিলাম আমার স্ত্রীকে আমার জোয়ানকালে।
সে আর নেই
সেদিন কেঁদেছিল বলেছিল এমন কথা আর কখনো মুখে এনো না।
আমি আনি না আর,মনেও করতে চাই না , আসলে বাঁচতে চাই
কিন্তু আমি জানি ছেলেরা বলে মনে মনে
বুড়ো হয়েছো এবার যাও না বাপু ওষুধ পত্রের যা দাম।
.
চুপ করে ভাবতে থাকি
চার বছরের দাদুভাই রোজ সকালে একটা সাদা ফুল দেয় আমায়।
আমি তো নড়তে পারি না ,মাছি ওড়ে  ঠোঁটের পাশে
এগিয়ে দি আমার আঙ্গুল দাদুভাইয়ের হাতের দিকে ।
দাদুভাই খিলখিলিয়ে হাসে
আর আমি জানি কাল এই সাদা ফুল শুকিয়ে যাবে।

আকাশের তারা

আকাশের তারা
.................. ঋষি
====================================================
প্রতিরাতে আমি যখন আকাশ দেখি
আশেপাশে কেউ যেন আমাকে আগলাতে চায়।
আরো এগিয়ে যাই আমি আকাশের কাছে
আকাশ হঠাৎ বদলে যায়।
চেতনার চাদরে দ য়ের মতো শুয়ে থাকিস তুই
আমার সেই মুহূর্ত বেঁচে থাকায়।

আজকাল ভীষণ ক্লান্ত লাগে তোকে
কখনো মুখ ফুটে বলিস না যত্নে তোলা তোর আঘাতগুলো।
আমি যখন রাত্রে আকাশ দেখি
কোনো স্পর্শীল দিন ,কোনো মহুর্তের ফ্রেম সারা আকাশময়।
সেই মহুর্তে মনে হয় জড়িয়ে আছিস তুই
আকাশের তারারা জোনাকির মতো কানে কানে বলে যায়।
চুপ ,সেই না বলা কথা
সেই ছুঁয়ে যাওয়া রাতের আদলে আদুরে হাওয়া।
আমি ক্লান্ত হয়ে এলিয়ে পড়ি বিছানার চাদরে
আর আকাশের তারা খসা আমার বুকে।

প্রতিরাতে আমি আকাশ দেখি
ছুঁড়ে দু আকাশের সিগারেটের দিকে সিগারেটের ধোঁয়া।
 জ্যোৎস্নার বৃষ্টিতে বড় ছায়াময় লাগে নিজেকে
মুখের নিকোটিনের তেতো স্বাদে হঠাৎ তোর ভিজে ঠোঁটের মিষ্টি গন্ধ ।
চেতনার চাদরে আমি তোকে ঢেকে রাখি আকাশের মতো
সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকে আকাশ ভরা তারা। 

নিজেকে পুড়তে দেখা

নিজেকে পুড়তে দেখা
............. ঋষি
===============================================
নিজেকে পুড়তে দেখাটা বেঁচে থাকা
স্বাবলম্বী অভিনয়ে জড়িয়ে আছে কোনো চুল্লির লাল গনগনে কাঠ।
ছেঁকা লাগে ঠিক যতটা
ততটাই মনে হয় নিজের পরজন্মের কথা।
প্রজন্ম পেরিয়ে বুলবুলিতে ধান খেয়ে যায় জীবনের উঠোনে
কিন্তু উঠোন সে যে মানুষের মতো একা।

৪৫০ কোটি বছরের এই আবর্তনের নাভিতে
জন্মগুলো আজ শেওলার মতো পরনির্ভর।
একলা বেঁচে থাকাটা শুধু যন্ত্রনা নয় একটা চিৎকার
তবু মানুষ নিজের কাছে একলা।
চক দিয়ে খড়ি ওঠা বয়সের ফিতে মাপা ব্ল্যাকবোর্ড
নিজেরাই লিখছি।
আবার মুছে চলেছি পুনরায় স্মৃতির দেরাজে
আসলে ফিরে আসা যায় না।
যায় না ফিরে যাওয়া
শুধু একলা থাকার যায় নিজের ভিতরে ,নিজের যাপনে
নতুন বীজ ,হয়তো অংকুরের কল্পনায়।

নিজেকে পুড়তে দেখাটা একটা মিউজিয়ামে
যেখানে সযত্নে রক্ষিত সময় আরো হয়তো সময়ের পর।
সারি সারি জীবন সুরক্ষিত নির্দিষ্ট ক্লোরোফর্ম দেওয়া নিঃশ্বাসে
আসলে অবয়ব দরকার।
দরকারি অবয়বের ছায়াতে ভোরে যাওয়া ৪৫০ কোটি বছর
আজ শেওলার মতো প্রাচীন।

পাগল করবে

পাগল করবে
.............. ঋষি
============================================
পাগল করবে জানি
সম্পর্ক  টপকে  গিয়ে গাছে ফুল ফুটবে আবার।
এই অপেক্ষায়
চিরটাকাল যারা রৌদ্র সেঁকা রুটিতে জীবন যাপন করে।
সেই সাধারণ দাঁড়িয়ে দেখবে
তুমি আমাকে পাগল করবে।

শেষ ছয়বার তুমি যা পারো নি
সেই পাগলামি লেখা থাকা আমার আজীবন কৃতজ্ঞতায়।
এতো কাছাকাছি জেট গতি ছুঁয়ে
তুমি আমাকে আবার একলা করবে প্রতিবারের মতো।
সাধারণ দাঁড়িয়ে দেখবে
হাততালি দেবে জলপ্রপাতের শব্দে রাতে ঘুম নেই আজ বহুদিন।
সম্পর্ক টপকে গিয়ে গাছে গাছে সবুজ শিশির
আর টাটকা কোনো সুবাসে আমার ফিরে আসা
একটা পাগলামি ,
আর তুমি কোনো পাগলের প্রলাপের ধারাপাত।

পাগল করবে জানি
হাজার মেরামতে ভেঙে যাওয়া চারদেওয়াল কখনো বাড়ি হবে না।
শুধু স্বপ্নে
কয়েকশো ভোল্টের আলোর ঝাড়বাতি।
তার তলায় জীবন দাঁড়িয়ে দেখবে জীবনের বেঁচে থাকা
সকলে পাগল বলবে জানি।  .

Wednesday, July 20, 2016

সার্কাস চলছে

সার্কাস চলছে
............... ঋষি
=================================================
ব্যস্ত তুই ,ব্যস্ত আমি
শহরের প্রান্তরে চলতে থাকা সার্কাসে।
মানুষ গুলো সব জোকারের মতো কাঁদা ,হাসায় ব্যস্ত
আর এই ব্যস্ততার শরিক আমি তুই।
একি হাওয়ায় গা ভাসায়
সবার মতো কাঁদি,হাসি প্রতিদিন আস্ফালনে।
.
কিছুটা মিল থেকে যায়
আর কিছুটা অমিল কিলোমিটারের স্কেলে লেগে থাকে দূরত্বের দৌরাত্ম।
সারা মহাজাগতিক সমস্ত চাওয়া ,পাওয়া
সবকিছু ছাড়িয়ে অনেকদূরে কোনো আজব কোনো রূপকথা। .
কিছুটা মিল পাওয়া যায়
কিছুটা অমিল থেকে যায় রূপকথা ভালোবাসাতে।
আরো কাছে আসাতে
অনেকগুলো সার্কাসের তাঁবু খাটানো শহরময়।
দৃশ্যের লেন্সে লেগে থাকা দিনযাপন
জোকারে হাসি ,আমি ,তুই আর আমরা।

ব্যস্ত তুই ,ব্যস্ত আমি
শহর জুড়ে বিজ্ঞাপন আজ সন্ধ্যার খেলার মাঠে অমুক সার্কাস।
সার্কাস তো চলছে
যেমন আমরা হেঁটে চলেছি নিয়মিত সার্কাসের স্টেজে।
কেউ হাসছে ,কেউ কাঁদছে ,কেউ লাফাচ্ছে যেন পিংপং বল ,কেউ সাইকেলে
অদ্ভুত সকলেই এই ভাবে বাঁচছে।

Tuesday, July 19, 2016

চলন্তিকার সত্যি

চলন্তিকার সত্যি
.............. ঋষি
====================================================
সেই সকাল ছিল বেনারসী রঙের
কটকটে কোনো ইচ্ছার লাল রঙের শাড়িতে চলন্তিকা বিয়ের কনে।
এই সমাজের ভাবি রূপ ,বিষয়ী ভাবনা
আজও নারীকে পর করে দেয় মুহূর্তে বিয়ে দেওয়ার ছলে।
তার সাথে মিশ্রিত কোনো যুবতীর  নারী হয়ে ওঠার স্বপ্ন
স্বামীর ঘর ,সিঁথিতে সিঁদুর ,সন্তান আরো কত।

সবটাই সামাজিক ভীত
নিয়মরীতি রেখে চলন্তিকার বিয়ে হয়ে গেলো বাবার ঠিক করা পাত্রের সাথে।
সব স্বাবাভিক সানাই বাজছে ,বর পক্ষ ,সমাজ সাক্ষী সাত রাউন্ড
তারপর কনে  বিদায় শ্বশুড় বাড়ি ,,অন্য ঘর।
এই গল্পটা জানা
কিন্তু চলন্তিকার বিয়ের আগে বরকে যে পণ দেওয়ার কথা ছিল দেওয়া হলো না।
কিংবা ধরো চলন্তিকা ঠিক  শ্বশুড় বাড়ির ধর্মের কল হতে পারলো নো
এটাও হতে পারে চলন্তিকা শ্বশুড় বাড়িতে নিজেকে খুঁজে পেলো না।
তারপর
বিছানার বৌ ,সমাজের বৌ ,শ্বশুড় বাড়ির কাজের বৌ।
আরো কত সামাজিকতা হলো,অজস্র সামাজিক নিয়ম হলো
মারধোর ,চোখ রাঙানি ,মানসিক ও শারীরিক সামাজিক ধর্ষণ হলো।
না এই সব বলতে নেই তাই  চলন্তিকা কাউকে বললো না
শুধু চোখের জল গড়িয়ে গেলো সময়ের সাথে সামাজিক নিয়মে।
কিন্তু চলন্তিকা আজও কুমারী রয়ে গেলো মনে মনে
তার যে আর স্বপের  বিয়ে করা হলো না।

আজ সকাল ছিল অন্য রঙে
কটকটে কোনো ইচ্ছার লাল রঙের শাড়িতে চলন্তিকার মেয়ে  বিয়ের কনে।
আজও সানাই বাজছে ,চলন্তিকা চুলে পাক ধরা অভিজ্ঞতা
মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে।
সবটাই সামাজিক রীতি হয়তো সামাজিক ভীতি ,খুব সাধারণ দৃশ্য
কিন্তু চলন্তিকার আজও সত্যি কথাটা বলা হলো না।

সবুজ ছোঁয়ার সাধ

সবুজ ছোঁয়ার সাধ
........... ঋষি
=====================================================
প্রকট কোনো ইচ্ছার মতো
আমার সবুজ  ছোঁয়ার সাধ বহুদিনের।
শহরের কার্বনের হাতে অনেকদিনের সাধ আমার
সবুজ শিশিরের অনন্ত ঘাস।
যেমন  কোনো প্রেমের কবিতার কলমে গনগনে  প্রেম তৃষ্ণা জাগায়
নিজেকে পোড়াবার কিংবা  বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে।

শহরের বুকে পা দিয়ে শুনতে পাওয়া হকারের চিৎকার
গাড়ির হর্ন ,বাজারের রকমারি হেরফের।
সেখানে দাঁড়িয়ে আমার সবুজ ছোঁয়ার ইচ্ছা
ঘুম ভাঙা সকালে পাখি কলরব ,রেলিং ঘেঁষে দাঁড়ানো কোনো রূপকথা।
অশ্বমেধের ঘোড়া  দৌড়োচ্ছে রাজপথ ধরে
শান্তি আসছে ,সাদা পতাকায় ভর করে মানবিক রূপ।
খিদে নেই এই শহরে ,নেই লোভ মানুষ টপকানো ইঁদুর বেড়াল খেলা
চারিদিকে কোনো সমুদ্রের নীলের মতো গভীরতা।
মানুষের হাসির পঙ্কিলতা হারিয়ে পরিষ্কার রৌদ্র
কাঁচে লেগে থাকা সম্পর্ক সে যেন জলের মতো স্বচ্ছ।
মানুষ হাসছে ,খুব হাসছে
চারিদিকে শুধু আনন্দের শোরগোল।

প্রকট এই ইচ্ছা আমার
সবুজ ছুঁয়ে শহরের বুকে নেই কোনো উঁচু ,নিচু ভেদ।
না কোনো ধর্ম ,না কোনো অজুহাত ,না কোনো পার্টি ব্যানার ,না বিজ্ঞাপন
চারিদিকে যতদূর চোখ যায় সব সবুজ।
জানি এই ইচ্ছা আমার কবিতার কলমে স্বপ্নে দেখা অন্য দেশ
কিন্তু এই দেশে এমন শহর পাওয়া শুধু কল্পনার দিনযাপন। 

বিশ্বাসের বেহায়াপনা

বিশ্বাসের বেহায়াপনা
............. ঋষি
=============================================

কাঁচ ভেঙে পরে
ঝুরঝুর বেহায়াপনা বিশ্বাসের নামে।
কাঁচে টুকরো সব হাতে ফোঁটে
হয়তো হৃদয়ে।
কিন্তু সময় সে যে কাঁচে রক্তের থেকে সত্যি
ক্ষত মুছে  যায় ,কিন্তু বিশ্বাস ?

সেদিন বিশ্বাসকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম ঈশ্বরের কাছে
ঈশ্বর প্রশ্ন করলো তুমি কার ?
বিশ্বাস খুব গম্ভীর ভাবে উত্তর দিলো আমি একলার।
সে দিন থেকে ঈশ্বর হাসতে ভুলে গেলেন
সোজা কোনো ব্রোথেলের যোনিতে জিভ  রেখে বললেন।
দেখ বিশ্বাস কর
আমি এটা ,তোর মতো একলা।
বিশ্বাস একটুও অবাক হলো না
একটুও  কাঁদলো না ,একটুও না।
শুধু আস্তে আস্তে নীল হয়ে মোড়ে গিয়ে
অবিশ্বাস হয়ে গেলো।

কাঁচ ভেঙে পরে
ঠিক যেন বিশ্বাস ভাঙা কাঁচের টুকরো হৃদয়ের মেঝেতে।
রক্তাক্ত হতে পেতে ,হৃদয় তো
ভীষণ নরম।
তবে বিশ্বাস ঠিক বদলে যায়
একবার সত্যি বিষাক্ত অবিশ্বাস পেলে। 

তোর পুতুল

তোর পুতুল
............... ঋষি
===================================================
এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর
যেগুলো লেখা ছিল তোর মৃত্যুর পরে।
তোর সেই পুতুলটা জেতার ভিতর তোর জান ছিল
যেটার হাত ভেঙে ,পা ভেঙে ,চুল গুলো ছিঁড়ে একদম নগ্ন করে  দিয়েছিলি।
সেটা ফিরে আসছে
তোর ভিতর ,বাইরে এখন তোর পুতুল।

তুই চলে গেলি
তোর সেই পুতুলটা তোর শোয়ার খাটের তলায় মন খারাপ করে ছিল।
তুই কদিনের জন্য ঘুরতে এলি ছোটবেলাতে
তোর পুতুলটা তোকে বলতে চেয়েছিলো।
তুই বিশ্বাস করিস নি ,তুই ভাবতে চাস নি মৃত্যুর গল্প
আজ কি হলো ?
সেই তোর ভাঙা পুতুল তোর কাছে
ঠিক তোর মতো দেখতে ফিরে এলো।
এখন শুনবি ওর কথা
কি রে ?
এখন ভাববি ঐ পুতুলের মতো একলা হয়ে।


এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর
যেগুলো লেখা ছিল তোর জন্মের আগে।
আজ পুতুলটা একলা হয়ে খুঁজছে পোশাকি পরিচয়
পোশাক পত্র ,খিদে ,তৃষ্ণা।
আর  সময় এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগামি তোর মনের সাথে
তাকিয়ে দেখ তোর পুতুল। 

তোমাকে ভেবে

তোমাকে ভেবে
.................. ঋষি
============================================

তুমি কি আজও আগের মতো আছো
নাকি বদলে গেছো ?
তোমার খোলা চুল ,নদীর ঢেউ আছড়ানো চোরা বালি
তুমি কি নদীর মতো আছো।
নিজের পথে এঁকে বেঁকে কোনো কুমারী সকালে
নাকি  সমুদ্রে মিশে গেছো ?

তুমি কি আগের মতো আছো
সেই কৃষ্ণচূড়ার আকাশ ভরা লাল সারা পথ জুড়ে।
তুমি হাঁটছো আমার পাশে
আমি হেঁটে চলেছি তোমার দিকে ,,আরো এগিয়ে।
সামনে সেই নদী ,হাঁটু ভাঙা জল
তুমি বললে চল ,,,,,,,পেড়িয়ে যাবো ঠিক।
পেড়িয়ে যাবো সময় হৃদয়ের হাত ধরে পাশাপাশি
যেমন আমরা হেঁটে চলেছি প্রান্তর এই জীবন।
সামনে যদি পেড়িয়ে কাশফুল;
আমার আর ভালো লাগে না সাদা রং দেখতে

তুমি কি আজও আগের মতো আছো
নাকি কোনো সময় ?
একলা দাঁড়িয়ে নিজের কপালের ওপাশে লাল সিঁথি
ভিজে যাওয়া চোখে ,,আমার চুমু।
তুমি কি আজও আগের মতো আছো
নাকি অভিমানে আরো একলা হয়ে গেছো। 

চুপচাপ কবিতা

চুপচাপ কবিতা
.............. ঋষি
===============================================
ঠিক কতটা কাছে গেলে ভালোবাসা যায়
ঠিক কতটা একা হলে তোকে ছোঁয়া যায়।
এসব আজ মনে করছি না
শুধু তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে ,আরো গভীর নীলে।
তোর চোখ ,তোর ঠোঁট আর তোর গলার স্বর আমায় ঘিরে
আমি চুপচাপ কবিতায়।

এসব প্রশ্ন উত্তর তোলা থাকে
আমি শুধু জুড়ে থাকতে চাই একটা গোটা আকাশ।
তোর নিঃশ্বাসে ভিজে শব্দ
আমি ভিজি।
তোর আকাশের মতো নীল বুক আমার আশ্রয়
আমি তাকিয়ে থাকি ফ্যাল ফ্যাল।
আমার সামনে তুই আকাশের নীল বদলানো কোনো বৃষ্টি দিন
আমি ভিজছি তোর খেয়ালে ও আকাশ
তোর  মতো গভীরতায় আমি একলা থাকতে চাই।

ঠিক কতটা ভালোবাসলে ভালোবাসা বলে
ঠিক কতটা কাছে গেলে তোকে ছোঁয়া যায়।
এসব আজ মনে করছি না
শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে হেঁটে যাচ্ছি তোর কাছে।
তোর নিবিড় আলাপনে আমি বাউল হৃদয় গেয়ে উঠছি
সখী ভাবোনা কাহারে বলে। 

লক্ষ্মীর কৃপায়

লক্ষ্মীর কৃপায়
.............. ঋষি
=====================================================
তোমার  কষ্টগুলো আমি চেটেপুটে খেতে চাই
নিজের একলা থাকায় ,,ভালোবাসায়।
তাদের বলো আরো গভীরে আসতে
বিশ্বাস করো আমি ভালো আছি
কারণ তুমি আছো তাই।

পৃথিবীর আস্তরণে হাঁটতে হাঁটতে
হোঁচট খাওয়ার অভ্যেস আমার।
মাঝে মাঝে মুখথুবড়ে পড়ি পোশাকি সময়ের গায়ে
প্লাস্টিক স্মাইল উঠে দাঁড়াই  জানো।
আরো হাঁটতে হবে ,,এখনো অনেক পথ বাকি
বাকি অনেক চাওয়া ,পাওয়া ,হিসেবে নিকেশ আর কুলঙ্গির লক্ষ্মী।
জানি লক্ষ্মী এলো ঘরে ,,হৃদয়ের ঘরে
আলো করে।
ঠিক তোমার মতো দেখতে ,সেই চেনা হাসি
ভালোবাসি
আমি পূর্ণ লক্ষ্মীর কৃপায়।

তোমার  কষ্টগুলো খোলা আকাশে মেঘের মতো
হঠাৎ গম্ভীর উপস্থিতি ,,তুমুল বৃষ্টি।
তাদের বলো আমাকে ভেজাতে তোমার নোনতা জলে
গড়িয়ে নামুক আমার বুক বেয়ে তৃষ্ণা
তোমাকে ভালোবাসি তাই। 

বিড়াল রান্নাঘরে

বিড়াল রান্নাঘরে
................ ঋষি
==================================================
আমি জানি তোমার সময়টা জরুরী ভীষণ
নিজের ভিতর নিজেকে পাওয়ার লোভ চলন্তিকা।
পা টিপে টিপে বেড়াল যেমন মাছ চুরি করে রান্নাঘরে
ঠিক তেমনি এই রান্নাঘরে মাছের গন্ধ।
আঁশটে জানি ফিরে পাওয়া
তবু তোমার নিজেকে পাওয়া খুব জরুরী।

নিজের চোয়াল হাঁটুতে রেখে
চলন্তিকা তুমি জানলার বাইরে তাকিয়ে এই মহুর্তে  বৃষ্টি দেখছো।
আসলে নিজে ভিজে যাচ্ছো
ভিতর ভিতর ঘুনপোকা ক্রমশ কেটে চলেছে।
জানি ভয় করছে
এই পৃথিবীর না ফেরানো হিসেবে সময়ের যান্ত্রিক অভিধান।
যার প্রতি পাতায় লেখা স্পর্শ জরুরী
অথচ একটা ভয় কাজ করে ,,অথচ কিছু অলিখিত ভাবনা ওত পেতে বসে।
ঠিক বিড়ালের মতো
মাছের লোভ।

আমি জানি তোমার সময়টা জরুরি ভীষণ
এও  জানি প্রতিটা সময়ের ফাঁকে সময় রাখা থাকে। .
পা টিপে টিপে বেড়ালটা গৃহস্থের রান্নাঘরে
মাছের থাকে উল্টালো ,,ঘুম ভেঙে গেলো গৃহস্থের।
তোমারও ঘুম ভাঙবে
অবশ্যই নিজেকে   পাবে তুমি ঠিক। 

Saturday, July 16, 2016

অনেকটা সময়ের পরে

অনেকটা সময়ের পরে
................. ঋষি
--==================================================

অনেকগুলো দিন নষ্ট করা গেছে
অনেকগুলো রাত্রি ভূতের মতো একলা বিছানায় জেগে।
আর জীবন ফাঁকা মাঠে  দৌড়োনো  সেই চেতনার বালক
যার দিন রাত সব নষ্ট।
নষ্ট যার শৈশব আর বেঁচে থাকা প্রতিদিন নিজের সাথে
এবার জীবিত বাঁচতে হবে।

অনেকগুলো দিন পেরিয়ে
ক্রমশ আত্মতুষ্টিতে ভোগা এই প্রজন্মের গল্প কাহিনী সব সাময়িকী।
সব জানা আমাদের , লাল ছবির দরবার ,বাড়তে থাকা ক্রাইম
শরীর ভিত্তিক প্রদর্শিত ক্যাটওয়াক জীবনের মঞ্চে।
শালা সেই জোকার হাসছে
এই হাসিটা আজকাল প্রায় শুনতে পাই জীবিত  পথ চলাতে।
আমি দেখেছি নিরীহ জনগণের যাপনকে
যারা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছে ,ভুলে গেছে ইতিহাস।
শুধু সকলে সুখে থাকতে ভালোবাসে কিন্তু সুখের মানে বোঝে না
কোনো পচা পুকুরে চান করে ভাবে পবিত্র বেঁচে থাকা।

অনেকটা সময় নষ্ট হলো জীবিত বাহানায়
এবার একটা চুক্তি করা যাক জীবনে প্রতিদিনকার অধিকারে।
আর ফাঁকা মাঠে নয় আবার নিয়ম হোক প্রয়োজন
আর হেঁটে চলা জীবন নয় শুধু হোক জীবনবিজ্ঞানের সজীব সংজ্ঞা।
প্রতিবাদ হোক জীবন মোমবাতি মিছিলে নয়
মানুষের চেতনায় জ্বলুক হাজারো সভ্যতার মোমবাতি। 

পাহাড়ি আদর

পাহাড়ি আদর
............ ঋষি
=====================================================

পাহাড়ি আদর সে যেন কেন সবুজ বাঁচা
সামনে বয়ে চলা তিরতিরে তিস্তা ঘুমিয়ে আছে বাচ্চা মেয়ের মতো।
জানেন মশাই বর্ষায় এই তিস্তা গর্ভবতী হয়ে
এই পাহাড় উপত্যকায় জন্ম দেয় অসংখ্য ঝর্ণা।
অসংখ্য খুচরো নাম না জানা নদী
অন্ধকার হচ্ছে চলুন ফিরি আবার হোটেলে।

মশাই ওই যে ওইখানে আপনি দাঁড়িয়ে ছিলেন
জানেন ওটা সুইসাইড পয়েন্ট।
কি ভয় করছে ? অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আমি ওই পাহাড়ি টিলার  দিকে
এই পাহাড়েও মৃত্যু স্পর্শ করে ?
হৃদয়ের চারিপাশে তখন ক্রমশ সবুজগুলো কেন যে হারিয়ে যাচ্ছিল ডার্করুমে
একের পর এক নেগেটিভ চোখের লেন্সে।
গা ছমছমে ভয়
এগিয়ে চলেছি হোটেলের দিকে।
সবুজকে আমার চিরকাল জীবন মনে হতে
আজ প্রথমবার মৃত্যুর স্পর্শ টের পেলাম।

পাহাড়ি আদর তখন ঢলে পড়েছে পাহাড়ি কুয়াশায়
সামনে একটা চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ভাঁড়ে চুমুক দিলাম।
মশাই শুনছেন
ওই যে শুনতে পারছেন এক অদ্ভুত  শব্দ।
ঠিক শুনেছে বরফ পড়ছে পাহাড়ের সাদা কাগজে লেখা আমার স্মৃতি থেকে
এই কবিতা পাহাড়ি আদরের কোনো  মৃত্যুবৃত্তান্ত। 

মঞ্চে ম্যাজিশিয়ান

মঞ্চে ম্যাজিশিয়ান
...................  ঋষি
===================================================
মঞ্চে ম্যাজিশিয়ান প্রবেশ করে
হাতে তার জাদুদন্ড সময়ের ধরে রাখা কোনো অধিকার।
দর্শকরা হাততালি দেয় ,অডিটোরিয়ামে ভয়ঙ্কর মিউজিক
শুরু হলো ম্যাজিক মশাই।
ম্যাজিশিয়ান বলে আমি এখন আপনাদের ইন্দ্রজালে ফাঁসাবো
ভয় পাবেন না।

দর্শকের মধ্যে পোদ পাকা কেউ
উঠে দাঁড়িয়ে বলেন মশাই আমরা জীবিত এটা কি ম্যাজিক নয়।
ম্যাজিশিয়ান বলে
মশাই আমি যেটা দেখাই সেটা ম্যাজিক কারণ আমি তো স্বপ্ন দেখাই।
কিন্তু দর্শক মানেন না
বলেন আপনার ম্যাজিক তো প্রকৃতি ছাড়া নয়
তবে স্বপ্ন কেন ?
স্বপ্ন আর প্রকৃতি দুটোর তফাৎ কি ?
দুটোই তো সবুজ।
ম্যাজিশিয়াম মাথা চুলকে বলেন চলুন তবে আপনাদের সময় ফিরিয়ে দি।

মঞ্চের আলো নিভে আসে
ম্যাজিশিয়ান জাদুদন্ড তুলে ধরে হিপনোটাইজ করে সকলকে আদিম করে দেয়।
কেউ ম্যাজিশিয়ানকে দেখতে পাই না
দেখে নিজেদের সবুজ প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে নগ্ন সকলে।
চোখে সকলের লজ্জা ফিরে আসতে  চায় বাস্তবে
ম্যাজিশিয়ান হাসতে হাসতে জাদুদন্ড নাড়াই বলে এটাই জীবন। 

আরো কিছু বেশি

আরো কিছু বেশি
............. ঋষি
=========================================

মাঝে মাঝে মনে হয় আমি পাগল হয়ে গেছি ?
আকাশের দিকে তাকিয়ে মুহূর্তের ফ্রেম।
চোখে দরজা খোলা রেটিনার প্রতিটা দৃশ্য
সব অদৃশ্য।
কিছু নেই সামনে
শুধু হেঁটে চলেছি একলা কোনো নাম না জানা সরণি দিয়ে।

স্মরণীয় কিছু আমার নেই
স্মরণ করুন মতো আমার কোনো দরকার নেই।
বেঁচে আছি
সামনের দিকে তাকিয়ে কোনো বন্য উপত্যকার লোভে।
আমি কি জংলী হয়ে গেছি ?
আমি কি কোনো অজানা ঝর্ণায় চান করে বেঁচে মরে আছি।
না কি সত্যি
আমি ভালোবেসেছি কোনো অধিকারে ?
কোনো প্রতিবাদে ?
কোনো বাঁচতে চাওয়ায় ?
আমার কবিতার অপেক্ষায় লেগে যাযাবর সুর।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমি পাগল হয়ে গেছি ?
নিজের দৈনন্দিন যাপনে একের পর এক ক্রমশ ফোরানো দিন।
ক্যালেন্ডারের পাতায় লাল দাগ দিয়ে রাখা মুহূর্তরা সব জীবিত
আর আমি মৃত কোনো আত্মা।
শুধু তাকিয়ে আছে
আরো ভালোবাসা আরো বেশি আশ্রয়ের লোভ। 

তোর ভূমিকায়

তোর ভূমিকায়
................. ঋষি
====================================================

হয়তো বিষুব রেখার কাছে তোর বাস
তোর উত্তাপে ছড়ানো এই বিকেলে লেগে থাকা তৃষ্ণা।
আমি ফুটপাথে দাঁড়িয়ে চায়ে চুমুক
তুই তখন রান্নাঘরের ছাঁকুনিতে জীবন ছেঁকে চা বানাচ্ছিস।
ইচ্ছার পরাধীন পুরোনো চায়ের কাপ
আমি,তুই ঠুনকো শব্দ চেয়ে পেয়ালার।

হয়তো এখন তুই ল্যাপটপে
একের পর এক ফোল্ডারে চশমার কাঁচ ঘষে কোনো অফিসিয়াল চয়েস।
কিন্তু জানিস আমার ওটা ফ্লেভার নয়
আমার বাস  তোর খালি চোখে দেখা পৃথিবীর মাঝে
খুব সাধারণ।
তুই বিষুবের কাছাকাছি হলেও কেন এতো অসাধারণ ?
হয়তো বিষুবের কাছাকাছি জেগে থাকে দুটো ক্লান্ত চোখ
আর আমি ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে তোর ছায়ায়।
আমাদের শহর আলাদা যেমন
ঠিক তেমন আলাদা আমাদের বাঁচার ধরণ।

হয়তো বিষুব রেখার কাছে তোর বাস
প্ৰাচীন ভগ্নাংশের নীরবতা তোর আমার সময়ের খাতিরে।
আমি ফুটপাথ ধরে হেঁটে যাওয়া বিজ্ঞাপনে চোখ
তোর চোখে তখন কোনো সাময়িক নির্ধারিত যাপন।
আমি স্বপ্ন দেখি বেঁচে থাকার সাধারণের মতো
আর তুই অসাধারণ তোর ভূমিকায়।  

সেই গাছ

সেই গাছ
............. ঋষি
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-

বিশ্বাসের মুখপোড়া আয়নায়
আজকাল একটা গাছ দেখতে পাই শুকিয়ে যাওয়া
উদাসীন চোখের পাতায় রাত্রি জ্বলে
ঠিক যেন জোনাকির মতো ভাসতে থাকা এলোমেলো বাতাস
আর তুই ক্ষনিকের ইচ্ছার সাথে মাতোয়ারা
কোনো নেশার রাত

পাঠশালা খোলা চেতনার মাঠে
সারা আকাশ জোড়া বিশাল বড় ছাতা।
যেখানে আশ্রয় পোড়ে বাতাসে না খুঁজে পাওয়া অবয়বরা কথা বলা
আমার কাছে আসে ,আদর করে ,তারপর ভীষণ কোনো কালবৈশাখী
আকাশ হারিয়ে দূর দূর যতদূর দেখা যায় ধূলি ঝড়।
সেই গাছ একলা দাঁড়িয়ে
কালবৈশাখী তুমুল ঝাপটায় পাতাগুলো সব কেমন মাটিকে কাছে চায়।
উড়ে যায় মাটির বুকে
আমি দেখতে থাকি দূর থেকে সেই গাছটাকে
যে ভালোবেসে কোনো আশ্রয় খুঁজতে চাই।

বিশ্বাসের মুখপোড়া আয়নায়
আজকাল আমার মতো কোনো শুকিয়ে যাওয়া গাছ।
কোনো দার্শনিক ঝড়ে উড়তে থাকে পাতা
সমস্ত পরিমণ্ডল জুড়ে ক্রমশ আস্তরিত বেঁচে থাকা ভুঁয়ো পরিচয়।
আর তুই ক্ষনিকের সেই কালবৈশাখী
আমার  উড়তে থাকা শুকনো পাতা।

অন্য পাঁচালি

অন্য পাঁচালি
............... ঋষি
===============================================
মেঘ আঁকতে গেলে
আমি পথের পাঁচালির অপুর মতো ছুটতে থাকি ট্রেন লাইন ধরে।
আর আর  ঈশ্বরের কাছে খুঁজতে থাকি রাংতার মুকুট
একটু বড়ো হবো বলে তেঁতুলের তেল চুরি করে জিভে ঢালি
কান পেতে শুনি হরির দিন তো গেলো।

ঐ ঐ কান দিয়ে শোন ট্রেন আসছে
ধুকপুক হৃদয়ের কাশফুল ছিঁড়ে ধোঁয়া ছুটিয়ে ছুটে আসছে সে।
বুকের ভিতর শৈশবের  সে কটা দিন
আমার মা শাক কোঁড়ায় নি কোনোদিন কোনো জংলী পুকুরে
কিন্তু আমি  সেই পুকুরের ধারে।
আমার জন্ম ইস্তক কোনো দিদি নেই
তবু কেন বারংবার দুর্গাকে দিদি বলতে ইচ্ছে হয়।
কোনো বৃষ্টির দুপুরে দিদির আঁচলের তলায় নিজেকে ভাবতে ইচ্ছে হয়
বাইরে তখন তুমুল বাজ,কাঠের জানলা দরজা কাঁপতে থাকে।
আর সত্যি তো সবটাই স্বপ্ন নয়
তাই তো দুর্গা আজ মৃত।

মেঘ আঁকতে গেলে
আমি পথের পাঁচালির অপুর মতো ছুটতে থাকি ট্রেন লাইন ধরে।
হঠাৎ ঘোর ভেঙে যায়
ইরেসার দিয়ে ঘষে ঘষে তুলতে থাকি শৈশবের দাগ
আর তখন বৃষ্টি আসে। 

তুই শুধু আমার

তুই শুধু আমার
.............. ঋষি
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-
ক্লিভেজের ঢাল পাওয়া চওড়া দুপুর
হৃদয়ের স্কেলিটনে একটা সাহস খামচে ধরে।
বুকের পাঁজরে লেগে যায় পাপ
কেন জেনো তোকে দেখার পর চলন্তিকা পৃথিবী থেমে যায়।
আর আমি গড়িয়ে নামা তোর গভীর জল
চান করে খেতে বসা দৈনন্দিন।

আজ আর অন্যকিছু বলবো না
ল্যাপটপ খুলে নিজের গভীর ড্রাইভে খুঁজবো তোকে।
কিংবা তোর ফেস আর বুকে ছোট বাক্স খুলে
লিখে দেব মনের কথা।
বারংবার এমন ভাবি ,বারংবার পিছিয়ে যায় দেওয়ালের পিছনে তোর আস্তরণে
তোর বারান্দায় ঝুলতে থাকা কাপড়ের মতো  কবুতররা জানে বাকুমবাকুম।
আর আমি একলা দাঁড়িয়ে চলন্তিকা
বারংবার দেখি তোর চলে যাওয়া ,তোর যাপন।
একবার সাহস করে তোর বুকে মাথা রেখে খোঁজা আশ্রয়
শুধু স্বপ্নে ভেজানো যাতনা সব।

ক্লিভেজের ঢাল পাওয়া চওড়া দুপুর
আরো চওড়া দূর থেকে দেখা তোর  সাথে মিশে যাওয়া।
হৃদয়ের দৈনন্দিন সময় খোঁজে
আর আমি দাঁড়িয়ে সময়ের ফাঁকে জমে থাকা ধুলোতে।
এই অশ্লীলতা আমার সাজে
কিন্তু চলন্তিকা আমি বলতে পারি না তুই শুধু আমার।

ফিরে যাওয়া

ফিরে যাওয়া
.............. ঋষি
==============================================
ফিরতে হবে নিজেকে
নিজের সহজ পোশাকি সম্পর্কও ছেড়ে নিজের ভিতর।
খুঁজে পাওয়া তোকে আজ থেকে সহস্র বছর পরে
মাটি খুঁড়ে পাওয়া আমাদের ফসিল
পাশাপাশি।

সেই দিনটা আমি থেকে  গেলাম তোর কাছে
বরং চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের হৃদয় দিয়ে বানিয়ে দিলাম সবুজ কুটির
চলন্তিকা একটা বাড়ি তো তোর আমাদের হোক।
যেখানে ফিরে আসা যায়
চৌরাস্তার হাজারো মানুষের পথচলা ,উঁকি মারা
সবকিছু থাকুক পৃথিবীর জল সর্বদা নিচের দিকে গড়ায়।
তবু ফিরে যেতে হবে নিজেকে
খালি পায়ে ,কোনো সংক্রমিত রোগের দিনে আমার হৃদয়ে জ্বর।
তোকে ছুঁয়ে ঠান্ডার বাতিক
তবু বল একসাথে থাকা তো যাবে।

ফিরতে হবে নিজেকে
নিজের কল্পনাবোধকে আরো শক্তিশালী করে।
করে মৌমাছির চাক ভাঙা যন্ত্রনা কামড়ে ধরবে গহির্ত অপরাধে
আর প্রতিটা দুঃখ ,বেদনা ,জ্বালা
সবটাই একসাথে। 

একটা নদী

একটা নদী
.................... ঋষি
================================================
একটা নদী স্বপ্নে আসে
ঠিক তোর মতো ছুঁয়ে চলা অসংখ্য ব্যস্ত জনপদ আর চঞ্চলতা।
উপচে ওঠা নদীর পাড়ে
কখনো ভেসে যায় প্রেম ,কখনো অভিমান ,কখনো বেঁচে থাকা।
তোর জীবনে কতকিছু না বলা
বাকি থেকে যায়।

শুধু বাঁচতে থাকিস তুই
বড্ড ব্যস্ত থাকিস আজকাল ,তোর চলার পথ আর জীবন।
আমি কোনো যদি কূলে একলা দাঁড়িয়ে
তোর চলে যাওয়া দেখি।
আবারও কখনো ফিরে আসা ফুঁসতে থাকা বর্ষার মেঘে
শুধু একলা থাকিস তুই।
আমি জানি এই জীবনে পথ চলা পথ একলা সকলে
তবু কষ্ট হয় জানিস
যখন ভাবি তুই তো শেষ অবধি সাগরেই যাস।

একটা নদী স্বপ্নে আসে
নদীর মিষ্টি জল ,নদীর গর্বিত বুক ,নদীর পাড়ে চাষের জমি।
জানি খুব বেশি চাওয়া তোর কাছে
তবু ছুঁয়ে থাকিস তোর একলা চলা পথে ,কোনো গ্রামের বাঁকে।
আমি কোনো বাজা জমি
একবার ভালোবেসে জীবিত হতে চাই ,সাথে থাকিস। 

আগুনপাখি

আগুনপাখি
............. ঋষি
=================================================
একটা অবিকল চিৎকার শোনা যায় নিজের ভিতর
নিজের গলাকে চেনাটা একটা শোক।
নিজের জন্ম দত্তক হৃৎপিন্ডটা
খুঁজে চলে সবুজ বসন্ত।
অথচ বসন্ত চলে যায় ঋতুবাহী নিজস্ব ভূমিকায়
তবু ধুকপুক চলতে থাকে।

সামনে পরে থাকা পথ
কোনো আগুন পাখি ছুটে এসে বুক দিয়ে ডাকে।
পুড়ে যায় নিজের ভিতর বেঁচে থাকার রূপ
ছড়ানো ছেটানো সম্পর্ক্যের মানে পুড়তে থাকে।
পুড়তে থাকে রক্তের  স্রোতের ভিতরে রূপ ,যৌবন আর অনেক না বলা
নিজের ভিতর বাস করে নির্জন দুপুর।
আর কিছু আধ পোড়া কাঠ
ক্রমশ সমসাময়িক জীবিত ভাবনারা বাতাসে মড়া চামড়ার গন্ধ।
প্রেতের মতো ,কীটের মতো ,জোনাকির মতো
অন্ধকারে জ্বলতে থাকে আকণ্ঠ তৃষ্ণা।

একটা অবিকল চিৎকার শোনা যায় নিজের ভিতর
ভাবনাদের আগুনে ফুলকি মেপে মেপে।
জন্ম দত্তক হৃৎপিণ্ড ,চেনা ধুকপুক
বেঁচে আছি।
অথচ বসন্ত চলে যায় চেনা ঋতুবাহী ভূমিকায়
কিন্তু ফিরে আসতে চায় বেঁচে থাকা বারংবার।  

Thursday, July 14, 2016

তুমি মোনালিসা

তুমি মোনালিসা
.............. ঋষি
===========================================
তোমাকে দেখে আমি ছবি এঁকেছিলাম
চলন্তিকা ক্যানভাসে লাল রং ঢেলে বলেছিলাম দুঃখ।
তারপর সাদা রঙের বর্ডারে আমি ভালোবাসা এঁকেছিলাম
তুলির গভীর টানে।
তারপর একে একে তোমার মানচিত্রে আমি ফুটিয়েছিলাম জীবন
সেই ছবিটা রয়ে গেছে ,শুধু চলন্তিকা আমি প্রশ্ন। .

এমন করে হাজারোবার কোনো প্রেমিক ডিহাইড্রেশনে ভুগুক
এমন করে হাজারো গোলাপের পাতা ক্যানভাস লালা করুক।
তোমাকে আঁকতে আঁকতে আমি ভুলে বসেছিলাম জীবন
আমার বিলাস বহুল স্বপ্নরা সব তুমি নির্ভর।
তারপর ঝড় এলো
শহরের রাস্তায় উড়তে উড়তে একটা শুকনো পাতা।
হ্যা একটা শুকনো পাতা আমার পায়ের পাতায়
আমি উড়ছি ,হাওয়ায় দুলছি ,ভাসছি।
কালো করে আসা মেঘের দিকে তাকিয়ে
আমি মাটির খুব কাছাকাছি।

তোমাকে ভেবে আজ আমি ছবি আঁকি
আর্টগ্যালিরির উপচে ওঠা মুখগুলো পাথরে মুখ ঘষে।
তাদের সকলের মুখের দিকে তাকিয়ে
আমি নিজেকে দেখতে পাই।
আর আমি আঁকতে থাকি তোমার মুখ আজ রঙিন রঙে
কিন্তু সেই ছবিটা চলন্তিকা ,তুমি মোনালিসা।

সেদিন বৃষ্টি হবে

সেদিন বৃষ্টি  হবে
................... ঋষি
===========================================
জানতাম এমন হবে
আমি দেশ লিখলে ,আমি মা লিখলে আগুন জ্বলবে।
জানতাম যদি আমি কখনো ভালোবাসি সবে রাস্তায় জ্যাম
প্রতিবাদ হবে দরজা খোলা আকাশের কাছে।
তারপর বৃষ্টি ,
চশমার ভিজে কাঁচে শহর জোড়া মেঘ।

আমি মেঘের কবিতা লিখি নি কখনো
আমার এই কাঁচা বাংলায়  লেখা কোনো জাতিস্মরের বিবরণ নয়।
কিংবা কোনো যুদ্ধবিমান ক্লান্তিহীন শান্তি নয়
এ হলো সেই ভাঙা সাইকেল।
যার ঝরঝরে প্যাডেলে পা রেখে ইতিহাস বলবে বদলে যা।
যেমন সময় বদলায়
যেমন শহরের বুকে পোস্টারে বদলাতে সিনেমার জবরদখল।
যেমন ভোট আসে প্রতিবারে অনেক আশা নিয়ে
তারপর আশা শুকিয়ে মুখে খিস্তি।
সবটাই পূর্বপরিকল্পিত
শুধু জানতাম না

জানতাম এমন হবে
আমি দেশ লিখলে ,আমি সম্পর্ক লিখলে জ্যান্ত চিতা।
কোনো নারী মেইন রাস্তা ধরে বেআব্রু হয়ে এগিয়ে যাবে প্রতিকারের আশায়
পিছনে লোমশকোনো হাত কবিতা চটকাবে।
মজা লুটবে মুনাফাধারী চশমার আড়ালে লাল চোখ
আর সেদিন বৃষ্টি হবে। 

সেই মেয়ে /এই মেয়ে

সেই মেয়ে /এই মেয়ে
............. ঋষি
===============================================
আমি সেই মেয়েটাকে দেখতে পাই
কালো শাড়ি ,কালো টিপ ,আর আদুরে হাসি মুহূর্তদের ভিড়ে।
যে আমার বাড়ির কলিংবেল টেপে
মুখের দিকে তাকিয়ে রিংটোনে অদ্ভুত ব্রেকআপ।
আমি আর বৃষ্টিতে ভিজি না জানিস
শুধু আজকেও ক্যাফেটারিয়াতে সাদা পাতাতে কবিতা লিখি।

জানি তোর ফিরে দেখা মুখটাকে
আবার কোনোদিন দেখবো কিনা।
জানি না সেই দার্জিলিং ফেরত আমাকে উপহার দিতে চাওয়া সোয়েটারটা
আর আমি গায়ে পড়বো কিনা?
কিংবা শান্তিনিকেতন থেকে আনা আমাকে দেওয়া তোর একতারাটা
আর একলা আছে কিনা ?
কিন্তু তুই জানিস মেয়ে সেই কালো টিপ ,লিপস্টিক মোড়া ভিজে ঠোঁটটা
আমিও আজও দেখতে পাই ,ছুঁয়ে দি  কখনো আনমনে
আমার কবিতায়।

আমি সেই মেয়েটাকে দেখতে পাই
রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাটির ভাঁড়ে চেয়ে চুমুক দিয়ে।
কিংবা সেই ঠোঁটে লেগে উষ্ণ আস্তরণে পারে লেগে থাকা জ্বরে
জ্বরে ঘোরে  অসুখ এসে দাঁড়ায়।
আমার মাথায় জলপট্টি আর কেমন এক নেশা
এই মেয়ে জানিস শুধু এইটুকু আর আশা। 

চারদেয়ালের আশায়

চারদেয়ালের আশায়
................. ঋষি
====================================================

দরজায় বাইরে দাঁড়িয়ে আমার মতো কেউ
দরজার ভিতরে হাঁড়িকুড়ি,নিয়মিত হেঁটে চলা যোজনা।
স্বহস্ত দূরে রাখা তোমার থেকে
আরো দামি কোনো সংসারী আতরে রেমেকি উৎসব।
উৎসব বেঁচে থাকা সামাজিক ভীত
কিন্তু আমি চিরকালি দরজার বাইরে চারদেয়ালের আশায়।

কতকিছু ভেবে পথ চলা
সকালের কুড়িয়ে পাওয়া অদ্ভুত দেখা পাথরের টুকরো।
নিজের হৃদপিণ্ডের শরণাপন্ন ঈশ্বরকে বারংবার বলা
আর কতদিন আমরা দুজন আমাদের মতো।
দরজার ভিতরে যে জন রয়
উৎসবে মাতোয়ারা এটিএম,সেভিংস ব্যালেন্স ,রান্নার উনুনের করতে নাড়াচাড়া।
আর দরজার বাইরে খোলা আকাশ
আকাশের উপর পা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া জীবন
কুড়িয়ে পাওয়া পাথরের শিলাজিৎ এর খোঁজ।

দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আমার মতো কেউ
দরজার ভিতরে রাতজাগা চোখে আমার না লেখা কবিতা।
কতটা দূরত্বে গেলে দুজনকে পাওয়া যায়
ঠিক কতটা বেহিসেবি হলে জীবনকে।
সবটাই জানা
তবু আমি দাঁড়িয়ে দরজার বাইরে চারদেয়ালের আশায়। 

নিয়মিত সংঘাত


নিয়মিত সংঘাত
............... ঋষি
================================================

প্রকল্পের সংঘাত নিজের সাথে
আকাশের দিকে থুথু ফেলে ফিরে আসা মুখে বিস্বাদ।
দেওয়াল থেকে দেওয়াল লিখন মুছে
হৃদয়ে উপর এখন শুধু তুই।
আর কতটা সত্যি হলে সমস্ত দেওয়াল ভেঙে ,সমস্ত নিয়ম
শুধু আমি আর তুই।

না চলন্তিকা
একলা কোনো মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে হাঁকতে পারি না
ভালো বাসি কিংবা ভালো আছি।
না চলন্তিকা
তোর প্লাবনের আসা ঢেউ যদি কখন দুর্বার হই ।
আমি একলা থাকতে পারি ন
আমার অপরাধ।
না চলন্তিকা আমি তোকে ভালোবাসি
বারংবার লিখতে লিখতে এই কলম ভাঙতে পারি না
আমি সৃষ্টির পূজারী।

কোনো অভিযোজনের দিকে এগিয়ে আসা সময়
তোকে অপেক্ষায় রেখে ছুরি দিয়ে লোভ কেটে বাদ ডি।
আমি শিখে গেছি একলা থাকতে চলন্তিকা
শিখে নিতে হয় খোলা মাঠে  শিশিরে একলা ভেজা।
এই টুকু শুধু আমার থাকে
বাকিটা তো তোকে দিয়েছে ভালোবাসা নাম নেওয়ার আগে। 

বরফের থেকে শীতল

বরফের থেকে শীতল
............. ঋষি
=============================================
বরফের চেয়ে এগিয়ে গিয়ে অপেক্ষা করছি
সামনে পরে আছে এক হিম যুগ।
বিছানার চাদরে ,বালিশের কুশনে ঠোঁট ঘষে ভাবা
চুমুতে যে ঠোঁট ,যোনিতেও লাগে।
ভিজে যায় জিভের তাপমাত্রার পারদ
আর বুকের সাথে লেগে থাকে আমার আমি।

এই কবিতা নির্ঘাত কোনো স্বপ্ন দোষে তৈরি
ভালোবাসতে যে শরীর লাগে আর শরীর বললেই প্রতিবাদ।
ভালোবাসতে যে অধিকার লাগে আর অধিকার বললেই একলা নির্ঘাত
কোনো সময়ে সাময়িক সময়ে স্মৃতিঘন মুহূর্ত।
জিভের সাথে জিভ ছুঁয়ে ,নিঃশ্বাসে আটকানো নেশা
মিশে থাকা।
হা ঈশ্বর  ভালোবাসা কি পোশাকি হয়
ভালোবাসা যে অরণ্য।
আর আমি অরণ্যের জীব শীতল কোনো ভাবনায়
কম্বল জড়িয়ে অথচ সম্পূর্ণ নগ্ন।

নদীতে লেগে থাকে রক্তের আভাস
ঠিক আমি ড্রাকুলার মতো দাঁত ফুটিয়ে ভালোবাসা খুঁজি।
মেঘ কি শুধু নদী  তীরে ভাসতে থাকা ইচ্ছা
আমি নদীর জলে চান করে পবিত্র কোনো মন্দির।
ভালোবাসা পবিত্র কোনো ইচ্ছার নেশা
আর এক থাকা বেদনা। 

আছিদের সাথে

আছিদের সাথে
.............. ঋষি
===============================================
বাড়ছে তো
নিজের সাথে আছি শব্দের সংশয়।
কবিতার পাতায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে শব্দদের অধিকার
আর বেড়ে চলেছে কোনো জীবিত প্রজাতির বেঁচে থাকার দ্বন্দ।
আমিও আছি বেঁচে
সেই আছিদের দলে কোনো বাঁচতে চাওয়া জীবন।

বাড়ছে তো মশা ,মাছি
আর সহবস্থান।
রান্নাঘরে বাড়তে থাকা তৈলাক্ত দেওয়ালের মতো
অজস্র অজুহাত।
অনেকে কথার বেলা ফুরিয়ে গিয়ে
বেড়ে চলেছে আক্রোশ ,হিংসা ,দ্বেষ আর না বলা।
বাড়ছে প্রতিদিন যানবাহনের দূষণের মতো
মারান্তক কিছু।
বেড়ে চলেছে ধর্ষণ আর কমতে বর্ষণের আবহাওয়া দপ্তরের প্রতীক্ষা
এই বছর বৃষ্টির পরিমান স্বাবাভিকের থেকে কম।

বাড়ছে তো
নিজের সাথে একলা থাকা মানুষের রোগ।
হাতে মুঠোফোন ,হাই ,হ্যালো ,সাইবার প্রেম
ডিজনিল্যান্ডের মতো ফ্যান্টাসী কোড়ানো স্বপ্নের ইচ্ছা।
আমিও আছি সেই দলে
যেদিকে যদি বইছে ,সেই নদীতে প্রানপন ভেসে।   

এটা কি কবিতা ?

এটা কি কবিতা ?
হা ঈশ্বর কবিকেও দাঁড়িয়ে দেখতে হয় নিয়মের কাঁটা।
কবিকেও হেঁটে যেতে হয় আকাশ থেকে মাটিতে
যেখানে ভাবনারা জঞ্জালের স্থুপ
আর কবি ,,সে তো পাগল দেশের প্রলাপ

বিন্তিদের সকাল

বিন্তিদের সকাল
.............. ঋষি
=============================================
বয়ে আসে লোকালয়, দিনকাল
দৈনন্দিন না  শেষ হওয়া আকাশের চাঁদ আর খিদে।
বিন্তির মাকে কাঁদতে দেখি নিজের ভিতর
বারান্দায় আকাশ দেখার যোগ্যতা খোঁজা আমি যে বেঁচে।
বিন্তি  বাবা মরা সন্তান
আর এই সমাজ যেখানে একলা আকাশের নিচে দুজনে।

সকালের স্কুলে পৌঁছে বিন্তির মা ছোটে
অফিসের পিয়নের কাজের ঐটুকু সম্বল সংসারে।
সংসার সে তো ছিল বিন্তির বাবা বেঁচে থাকা কালীন
এখন শুধু বেঁচে থাকা বিন্তির মুখ দেখে।

স্বামী মারা গেলো বিন্তি তখন পেটে
একটা দুর্ঘটনা কিভাবে সমাজ বদলে দেয় ,কিভাবে মানুষ,
সবটাই জানা হয়ে গেছে ,সবটাই বোঝা।
প্রথম প্রথম আত্মীয় স্বজন ,তারপর বন্ধুরা ,,এখন তো শুধু  
আছে এই সমাজের কিছু শরীর চাঁটা দৃষ্টি আর  শূন্যতা।

বয়ে চলা সামাজিক ধারা আর রোজকার সকাল
খিদের পৃথিবীতে অনেকটা যোগ্যতা খোঁজে বাঁচা বিন্তি আর বিন্তির মার।
রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে বিন্তিকে মা বলে ,,ঐ তারাটা বাবা
আর বিন্তি প্রশ্ন করে আচ্ছা আমরা কোথাই ?
উত্তর ভেবে গায়ে কাঁটা দেয় বিন্তির মা ভাবে
ইশ বিন্তিটাও যদি ছেলে হতো।

চলে যাওয়া

চলে যাওয়া
........... ঋষি
==============================================
চলে যেতে পারি
সত্যি বলছি চলন্তিকা চলে যেতে পারি।
এই শহর পেরিয়ে  প্রান্তরে নিরালায়
এক মুঠো মুহূর্তদের ছোঁয়া নিস্তব্ধতা বুকে নিয়ে
দেওয়ালে লাগা পিঠ সে শুধু আমার হোক।

অনেকদিন ভেবেছি  চলে যাবো
নিজের পায়ের চটি জোড়া ছেড়ে যাবো খালি পায়ে।
নিজের বুকশেলফে রাখা চলন্তিকা সেই লাল খামটা
সেই বুক ভেজানো চিঠিটা ফেলে যাবো।
ফেলে যাবো মায়ের স্মৃতি ভরা কোনো নারীর না ফুরোনো  ছবিটা
ফেলে যাবো বিকেলে কাঠবিড়ালী পেয়াড়া তুমি খাও।
সেই শৈশবটা
আর ফেলে যাবো অপ্রতীম তৃষ্ণা
যে কোনো যদি নয় ,কোনো স্পর্শ চলন্তিকা তোর মতো।

চলে যেতে পারি
বারংবার চলে গিয়ে আবার পিছনে ফিরে দেখি।
এই শহরের কলমে লেগে থাকা জন্মানোর অধিকার
বারংবার চান্স নিয়ে দেখতে চাই
যদি একবারও নিজেকে ফিরে পাওয়া যায়। 

Wednesday, July 13, 2016

মহাভারত

মহাভারত
............ ঋষি
=============================================
পৃথিবীর দিকে তাকানোটা একটা বীক্ষণ
আমরা দৃশ্যের বাইরে যা দেখি
সেটা অনুভব।
আর অনুভব জীবনের পিছনে তকমা লাগানো বেঁচে থাকা
অনেকটা বল অভি তোর আমার মতো
অনেকটা আলাদা আবার কোথাও মিলে মিশে একাকার।

চলতি কা নাম গাড়ি
সেই গাড়িতে সাওয়ার আমি, তুই  আর সম্পর্ক।
হাজারো সম্পর্কের চোরা মেকাপে আমরা সকলেই কোথাও যেন এক
অভি আমি যেখান থেকে আকাশ দেখি
তুই দেখিস না ,কিন্তু আকাশ দেখিস।
আমার তোর চাওয়া পাওয়া ইতিহাস যদি মহাভারতে  লিখি
তবে একটা কুরুক্ষেত্র সন্নিকটে।
অথচ আমাদের মিয়ে থাকা বিকেলগুলো এক একটা মহাভারত
নিজের সাথে যুদ্ধ চলতে থাকে
আর অন্যদিকে বেঁচে থাকা।

পৃথিবীর বীক্ষণের সাথে নিজেরা দৃশ্য হতে থাকি
তারপর টুকরো টুকরো ফটো ফ্রেমে আমাদের সামাজিক মুক্তি।
হাসতে থাকি তাই হাসা অভি
কারণ কাঁদাটা নিতান্ত আমাদের।
অভি এইভাবে ফুরোতে ফুরোতে আমরাও কি
পুরো একটা দৃশ্যটা থাকতে পারি না কখনো কোনোদিন। 

Tuesday, July 12, 2016

বুঝলেন বাবু

বুঝলেন বাবু
........... ঋষি
==================================================
অতো বাবু বুঝি না
মেয়ে মানুষের গতর খাটিয়ে খেতে হয়।
সে স্বামীর সোহাগে হোক ,প্রেমিকের পিড়িতে কিংবা দৈনন্দিন
এই যে দেখুন সকালে লোকাল ধরে শহরে আসি ,
তারপর বাড়ি বাড়ি কাজ ,তারপর ফিরে গিয়ে সংসারে খাটুনি
দিন শেষে নেশা করে আসা মানুষটার মারধর।

হ্যা ঠিক বলেছেন বাবু অভ্যেস
যখন কোনো নিয়ম দৈনন্দিন  হয়ে যায় ,সেটা তো অভ্যেসই হয়।
বাবা মা ভালোবেসে নাম রেখেছিল জুঁই
এখন জুঁই স্বামী,সংসার সন্তান নিয়ে দিব্যি সংসারী।
পড়াশুনায় মোটামুটি ছিলাম গ্রামের স্কুলে ,দেখতে তো সুন্দরী ছিলাম
বাবা বলতো তোকে দেখলেই মনটা জুঁই ফুলের মতো গন্ধ ছড়ায়।
আর আজ স্বামী বলে শালা ছোটোলোক মাগী  শহরে গতর খাটিস
কি করে এতো তোর রূপ আমি বুঝি না ভাবিস।
বুঝি বাবু কি বলতে চাই
কিন্তু এই সিঁদুর ,নোয়া ধরে দিব্যি করে বলছি
মরে  যাবো কিন্তু কখনো অমন হতে পারবো না।
তবে সেই বারে সেই পানবিড়ি বিক্রি সুখেনের সাথে পালাতুম না
বলেছিল জুঁই তোকে  সুখে রাখবো আমার সাথে পালিয়ে চল।
যাই নি বাবু ,কপালকে মেনে নিয়েছি
সুখেনকে  খেদিয়ে বিদেয় করেছি।

আসলে বাবু আমি স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছি এখন
প্রতিদিনকার এই ঝিঁগিড়ি,বাড়ি গিয়ে সংসার ,স্বামী সব নিয়ে
ভালোই আছেন বুঝলেন বাবু।
অভাব তো সবারই থাকে আর আমি তো মেয়েছেলে
কৈ  মাছের জান  ,মেনে নিয়েছি আসলে মেনে নিতে হয়
মেয়ে মানুষকে স্বপ্ন দেখতে নেই ,নেই খুব ভালো থাকতে। 

বছর দশ পরে

বছর দশ  পরে
................. ঋষি
=====================================================
ভাবতো আজ থেকে বছর দশেক পরে
তুই আমি মুখোমুখি।
আমার না কামানো দাঁড়ি ,চোখের কোন লেগে গেছে ভাসা ভাসা সময়
আমার হাতে আঙুলের গড়িয়ে নামা ইচ্ছাগুলো
যদি সব কবিতা হয়ে যায়
কি বলবি আমাকে ,আমি কোনো ইচ্ছা নদী যদি তোর মত।

নদী ভাগাভাগি করে গায়ে মাখি
যেমন একটা গোটা জীবন ভাগের অংশ সহবাস।
তোর অধিকারের শীৎকারে আমি পাতাময় তোর কবিতা
আর তোর আঙুলের ডগায় আমার নাম।
আমার দিকে আঙ্গুল তুলে রাখিস
আমি আকাশের মতো গভীর কোনো মেঘ তোর মনে।
তোর পাকা চুলের ভাঁজে
তোর চোখের পাওয়ার পয়েন্টে আমি একলা কোনো অসংযমী।
হয়তো কবি আমার অধিকার
কিন্তু আমি অধিকারী তখনও তোর প্রেমে।

ভাবতো আজ থেকে বছর দশেক পর
তুই আমি মুখোমুখি।
চেনা রাস্তা তোর আমার দুদিকের গেছে চলে
আমি একটু কুঁজো হয়ে হাঁটি ,তুই তখনও সোজা তোর মেরুদণ্ডে।
পাশাপাশি হাঁটছি এগিয়ে যাচ্ছি
আমার পকেটে রুমালে তোর ঘামের গন্ধ।

সুখের ইশারায়

সুখের  ইশারায়
...................... ঋষি
==============================================
আসা যাওয়া
জীবনের মেঘে ভাসা ইচ্ছাদের আকাশে দেখা।
ঐতো সেই মুহূর্ত
কেউ ভাসে সে যেন হৃদয় দেওয়ালে ছোপ ছোপ কাশফুল।
দক্ষিণ হাওয়া
উথাল পাথাল কোনো স্পর্শ বেয়ে নামা যাযাবরি সুর।

বাজলো তোমার আলোর বেণু
রেডিওর মহালয়ার রেখে যাওয়া জীবিত আলোড়ন।
হাজারো প্রতিবন্ধকতা ,হাজারো জটিল মাকড়সার জালে
নতুন সকাল স্নেহের ধারাতে।

আলো এমন হয়
কাশফুল কুড়ানো শরতের  মেঘে টুকরো টুকরো  ইচ্ছে।
জীবিতের মুখ
আর জিবির স্পন্দনে ভালো লাগা টুকরো স্পর্শ।

আসা যাওয়া
জীবনের মেঘে ফেলা আসা কিংবা চলে যাওয়া শরৎ।
কিছুই থাকে না পরে
শুধু আলোড়ন বুকের খাঁচায় বাঁচতে চাওয়া মুহূর্ত।
পাগল হাওয়া
উড়িয়ে নিয়ে যায় অচেনা প্রান্তরে সুখের ইশারায়। 

চুপ কথা সব

চুপ কথা সব
............ ঋষি
===========================================
এই  ভালো লাগা কোনো বেঁচে থাকা
সকালের  ঘামে ভিজে জামা দৈনন্দিন গন্ধ একা থাকা।
আকাশের কথা
সে যে নিজের  মাঝের  লোকানো তোর মুখ।
হাসতে থাকা
ভালোবেসে আরো গভীরে কোনো রূপকথা।

আমি জীবিত
এই কবিতার বর্ণের ব্যাথায়  বাড়তে থাকা মুহূর্তদের ঘুম ঘোর।
সকালের চোখ খোলা আজানের শব্দ
নিঃশব্দে অধিকার রাতজাগা অনুভূতিদের অরণ্যে বাস।
সারা নিস্তব্ধতা জুড়ে পড়ে থাকা শুকনো পাতা ,মাটি
আর পাখিদের কিচিরমিচির।
সবুজ আর অধিকার জুড়ে ইট কাঠ শহরের আরেকটা দিন
খুব কাছে ভিজে থাকা ,বৃষ্টি ভেজা শহর।
রাস্তায় না গড়ানো চাকাদের সাথে এক হাঁটু জল
চুপ কথা সব
আমার জীবিত সফরে আবার অরণ্যে তুই।

এই ভালো লাগা কোনো বেঁচে থাকা
সকালের সাথে ঘুম ভেঙে কোলগেটে ৯৩.৭ ফম।
পুরোনো কিছু গান মনের দেরাজে
আর টাটকা তোর মুখ সদ্য ঘুম ভাঙা চোখে।
আবার পৃথিবী
আমার মতো একা  দেখা।   

Friday, July 8, 2016

অনুভূতিদের স্পন্দন

অনুভূতিদের স্পন্দন
................ ঋষি
===============================================
এইভাবে নিজের কবিতার খাতায় একাধিক আঁচড়
সময়ের প্লাবনে ভাসতে থাকা মূল্যবোধ বেঁচে থাকা
হাজারো অনুভূতিদের স্পন্দন
নক্সীকাঁথা
তুই তো আজকাল নীল শাড়িতে মাতোয়ারা মেঘ
একটা গোটা আকাশ আমার বুকে

আকাশের বাড়িতে সিঁড়ি লাগিয়ে উর্দ্ধগামী
ইচ্ছাদের ভিড়ে বাড়তে থাকা শহরের কার্বনের কালো হাত।
সময়ের  চিৎকার ,,প্রতিবাদ
কালো হাত ভেঙে দেও ,সাম্যের জরুরী কালীন নিস্তব্ধতা ব্ল্যাক আউট।
আমি শহরের বুকে হেঁটে যাই
আমার বুকের আকাশে সাই ,সাই বোমারু বিমান।
চারিদিক এতো জনগণ ,এতো চিৎকার ,এতো আলোড়ন
অথচ আমি একা " এক আকাশ বুকে " ।
নিস্তব্ধ পিনড্রপ সাইলেন্ট বুকে শহরের মাধ্যাকর্ষন দাঁড়িয়ে
বেঁচে থাকা ইচ্ছাদের ফানুস।

এইভাবে নিজের কবিতার খাতায় একাধিক আঁচড়
সময়ের দরবারে দূর থেকে শুনতে পাওয়া বেঁচে আছি।
হাজারো অনভূতিদের কম্পন
বেশ তো।
তুই তো আজকাল নীল সমুদ্রের চোখে নোনা জল বৃষ্টি
আকাশ থেকে গড়িয়ে নামা স্পর্শ।

মেঘ বৃষ্টি খেলা

মেঘ বৃষ্টি খেলা
............... ঋষি
===============================================
ইদানিং আকাশ থেকে মেঘ নেমে আসে আমার বারান্দায়
ইচ্ছে মতো বৃষ্টি করে ,ইচ্ছে মতো আদর।
বারান্দার টবের  গাছগুলো  আকাশের মতো আজকাল সতেজ
আর আকাশ সে তো সময়ের মতো অসীম।
আমি বারন্দায় দাঁড়িয়ে দেখি
মেঘ বৃষ্টি খেলা আর খুব আদরে ভিজি।

সখি ভাবনা কাহারে বলে
ঠিক এমন করে চলন্তিকা আমাকে প্ৰশ্ন করেছিল একবার।
আমি বলেছিলাম রবিবাবু তো বলে গেলেন
তুই গান গাইলে সেবার স্টেজের মাইকে ভালোবাসা ,ভালোবাসা।
চারিদিকে হাততালি ,কত মানুষ সেদিন
কিন্তু চলন্তিকা ভালোবাসা তো হাততালি নয়।
ভালোবাসা তো হলো নিস্তব্ধতা ঠিক আমার বারান্দার বৃষ্টির মতো
মুখশুকনো অর্কিডটা যেমন ভিজতে চায়।
ভিজতে তো চায় সকলে
কিন্তু ভেজাতে কজন পারে আর কজন পুরো ভিজতে।
বুঝলি এই জীবনে ভালোথাকা যায় যদি ভালোবাসা
আর যদি ভালোবাসা যায় তবে ভালো থাকা।


ইদানিং আকাশ থেকে মেঘ নেমে আসে আমার বারান্দায়
ঠিক চলন্তিকা তখন আমার পাশে দাঁড়িয়ে উঁকি মেরে আকাশ দেখে।
আমি বারংবার বলি ঝুঁকিস না এতো পরে যাবি
চলন্তিকা হেসে বলে পরে তো গেছি কবে তুই বুঝিস নি।
আমি চুপ করে থাকি আর দেখি
মেঘ বৃষ্টি খেলা আর খুব আদরে ভিজি।

এই জীবন

এই জীবন
............... ঋষি
==================================================
আর স্কেলিটনে আকাশ ধরে আছি
অথচ সময়ের কাছে মুখ নিচু করা জানোয়ার।
সজারুর আবার কাঁটা লাগার ভয়
আমরা তো সকলে নকল জীবিত বাহনে সাওয়ার।
বাহন হলো জীবন ,জীবিত হলো মুখোশ
জানি সবই, এটাও জানি আর আমাদের কিছুই  নেই হওয়ার।

এতটা ভেঙে পড়বেন না মশাই
খেতে কি পারছেন না ,না শুতে ,না বাঁচতে।
এখনো তো জন্ম ,মৃত্যু আছে ,আছে প্রেম ,আছে অভিমান ,আছে গতি
তবে কেন এতো হতাশ ?

হতাশা
নিজের সন্তানের সামনে কোনো মাকে রেপ করা হলো।
একজন ১৫০০ টাকা ধার দেওয়ার অপরাধে তার গায়ে আগুন দেওয়া হলো
দেওয়া হলো কোনো খিদের অপরাধকে চুরির বদনাম।
একটা সদ্য জন্মানো সন্তানকে মেয়ে হওয়ার অপরাধে খুন করা হলো
একজন সদ্য বিবাহিত পণ না দিতে পারায় তাকে হত্যা করা হলো।
একজন স্কলার ছাত্রের টাকার অভাবে পড়া বন্ধ হলো
একজন শিক্ষিত যুবক চাকরির অভাবে আত্মহত্যা করলো।
দৈনন্দিন নিত্য সামগ্রীর দাম বাড়লো
দাম বাড়লো পেট্রোলের ,কেরোসিনের ,ডিজেলে ,বেঁচে থাকার।

মশাই তাতে কি বেঁচে তো আছেন
রোজ তো খাচ্ছেন ,দাচ্ছেন,ঘুমোচ্ছেন ,অভাব কিসের ?
তাছাড়া দেখছেন তো, বুঝছেন তো দিন কাল
অভ্যাস হয়ে যাবে আরেকটু অভ্যেস করুন।

আর স্কেলিটন দিয়ে আমি আকাশ ধরে আছি
চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে অভাব এই মেরুদন্ড।
বারংবার সময়কে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে
কিসের দেশ ,কিসের স্বাধীনতা ,কিসের বেঁচে থাকা এই জীবন।
আর জীবনের ভূমিকায় অভিনয়ে নিজেকে জোকার লাগে
এইবার হাসতে হবে ,সামনে বিশাল দর্শক।

আমরা বন্ধু


আমরা বন্ধু
............... ঋষি
=======================================================
জীবনকে পাশে নিয়ে একবার হাঁটি চল পাশাপাশি
হাঁটছি তো বহুদিন উঁচুনিচু জাতিধর্ম ধরে।
আনোয়ার তোর নাম
আমি ঋষি ,একটু লিখি আনমনে ,আজ আর বাজে কথা না ।
চল আনোয়ার আজ ধর্মের কথা বলি
বল তো দেখি  জাত আর ধর্মের তফাৎ কি ?

জানিস তো আনোয়ার
কোনোদিন ঈশ্বর আর আল্লাহ  তোর আমাদের মতো হয়তো হেঁটেছে পাশাপাশি।
হয়তো  তাদের ব্যাগপত্তরে  খুঁজে পাওয়া যেতে পারতো
পবিত্র কোরান আর গীতা আমাদের মতো ।
হয়তো তাদের বন্ধু যীশু কিংবা নানক ছিল
ছিল হয়তো তাদের সকলের আলাদা ভাবনা তোর আমার মতো,
কিন্তু কোথাও তারা ভীষণ এক ,,তারা সকলে  ছিল শান্তি দূত।
আমার তোর মতো হয়তো তাদের ভাষা আলাদা ছিল ,ছিল তাদের বাড়ি
কারোর মন্দির ,কারোর মসজিদ  কিংবা গির্জা ,কিংবা গুরুদ্বার
কিন্তু বাড়ি সবসময় শান্তির ছিল,
তারা সকলে পাশা পাশি থাকতো বন্ধুর মতো ,খুব কাছের।
কারণ তাদের সকলের রক্ত এক ছিল
এক ছিল অধিকার বোধ ,এক ছিল তাদের জীবনের ধারণা।

জানিস তো আনোয়ার
তারপর কেন জানি হঠাৎ সকলে আলাদা হতে চাইলো।
সকলেই চাইলো একলা আধিপত্য
দিন বদল ,রক্তে ভেসে গেলো সময় ,শান্তির দূত আজ আজকের মানুষ।
আচ্ছা আনোয়ার আমরাও তো মানুষ , আমি ঋষি তুই আনোয়ার কিন্তু বন্ধু
কিন্তু কেন বলতো পৃথিবীর সকল মানুষ আমাদের মতো হয় না?


Wednesday, July 6, 2016

শুধু এতটুকু

শুধু এতটুকু
............... ঋষি
====================================================
কিছুটা কেলেঙ্কারি লেগে গেছে বুঝলি
আর কিছুদিন অভি তারপর তোকে। .............উপায় নেই।
ডাইরিতে  সব লেখা সম্ভব নয়
সামনের মাসে আমার বিয়ের দিনতারিখ ঠিক হয়ে আছে।
কিন্তু তার আগেই বুঝলি। ........ সব বলা
না একদম সম্ভব নয়।

তোকে ফোনে পাচ্ছি না আজ বেশ কিছুদিন
শেষ তোর সাথে দেখা হয়েছিল অভি তোড়া কাকিমার খালি বাড়িতে।
তুই ফোন করে বলেছিলি আসতে
আমি যাবো না বলেও গেছিলাম প্রচুর ম্যানেজ করে ,
আসলে তোকে জানানো দরকার ছিল।
জানিয়েছিলাম ,,তুই যখন আমার উষ্ণতম খাঁজে ঠোঁট রেখে বলছিলিস
তোকে ছাড়া বাঁচবো না। ...তোকে জানিয়েছিলাম।
তুই শুনলি ,আমাকে টেনে নিলে বুকে
বললি একদম ভাবিস না ,,
আমিও নিশ্চিন্তে ঠোঁট ডুবিয়েছিলাম অভি সিগারেট পোড়া ঠোঁটে।

কিছুটা কেলেঙ্কারি বুঝলি অভি
তোর ফোন আনরিচেবেল আজ বেশ কিছুদিন।  ....... উপায় নেই।
তবু ডাইরিতে লিখলাম
আর অপেক্ষা করা যাচ্ছে না ,,,,এইবার পালাতে হবে।
আর বাঁচা যাবে না। .....সব বলা সম্ভব না অভি
তাই শুধু এতটুকু লিখে গেলাম।  

বৃষ্টি ভেজা রাত

বৃষ্টি ভেজা রাত
,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
==================================================
খানিকটা রগচটা বুঝলি চলন্তিকা
দিন  ফুরোলে রাত তারপর আবার দিন  প্রতিদিন।
রগচটা কেন ?
আরে একটু খেপালেই খেপে যাস যে।
পুরো চিচিং ফাঁক
তার অভিমান বেয়ে টুপটাপ বৃষ্টি আমার চুইং গাম শহরে।

বৃষ্টির ফাঁকে আমি বারুদের গন্ধ পাই
কোনো কফি সাবমেরিনে চড়ে বাইরে রাস্তায় চোখরাখি ইতিউতি।
প্রত্যিহিত জীবনে ক্যাপসুলে সুস্থ থাকার ইচ্ছা
আর ইচ্ছা ভালোথাকা প্রেম ,,,,, শুকনো শহরে
বৃষ্টির প্রতীক্ষা।

মাঝে মাঝে মেঘ হয়
হাতের খেলনাপুতুল তুলে ধরে গাল টিপে বলা আমার সোনামুনি।
চলন্তিকা আমি এই সব কথা জানি
জানি না শুধু ভিজতে চাওয়ার গভীর ব্যালকনি
যেখানে তুই একলা দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখিস।

খানিকটা রগচটা বুঝলি চলন্তিকা
দিনগুলো তবু কেটে যায় কাজের চাপ কিন্তু রাত্রি ভেরি স্প্যেশাল রোড।
কত যানবাহন আসে যায় পুরোনো হাই ওয়ে ধরে
পাশে  পরে থাকা দুচারটে পানসে রাতের দুর্যোধন।
যে দ্রৌপদীকে বেআব্রু করতে চায়
তবু চলন্তিকা আমি তোকে দেখি বৃষ্টি ভেজা রাতে।

সবটাই শরীরী

সবটাই শরীরী
............... ঋষি
=====================================================
নিজেকে প্রশ্ন করেছো কখনো " সমাজ "
কোনো দলিত প্রজন্মের ইঁট ভাঁটার গতর খাটা  মেয়ে
কারো চোখে লালায়িত শরীর।
নিভে যাওয়া আলো থেকে অন্ধকারের ক্রমশ বিলীন একটা সদ্য জন্মানো ভ্রুন
কখন যেন মরতে মরতে নারী হয়ে যায়
তারপর ,তারপর যদি সে দলিত হয় তবে তো সবটাই ,, শরীরী।

আহত হলাম জানো
দলিত কালো মেয়ে খিদে ভেজাচ্ছে কোনো ইটভাঁটার বীর্যের কামার্ততার।
না সেই মেয়ে ৪৭ কিংবা ৩৭ অথবা ৭ হলেও ক্ষতি নেই
সত্যি বলতে কি আমি আরো আহত হলাম ভেবে
সমাজ তুমি সবটাই জানো।

যখন কোনো নারীকে তোমরা ডাইনি স্যাবস্ত  করো
যখন কোনো অফিস ফেরত নিত্য খিদেকে তোমরা বাজে মেয়ে সাব্যস্ত করো।
যখন কোনো সন্তান না হওয়া নারীকে বাজা বলো
যখন কোনো পথ চলতি যুবতী শরীরকে চোখে গেলো।
একবার ,অন্তর একবার কখনো কি ভেবেছো
সেও জীবিত ,তারও একটা হৃদয় আছে শুধু যোনি নয়।
তারও একটা বাড়ি আছে ,আছে তার বেঁচে থাকার ইচ্ছা
আছে হাজারো সম্পর্ক শুধু শরীর ছাড়া।


নিজেকে প্রশ্ন করেছো কখনো " সমাজ "
তোমার হীনমন্যতায় ,তোমার অপবিত্রতায় লেগে আছে নারী শরীর।
কখনো নিজের মাকে প্রশ্ন করেছো
তোমার জন্মদাগে কজন দাগ টেনে গেছে।
লজ্জা করছে ,,যদি তুমি নারীকে সন্মান না করতে পারো
তবে আজ থেকে কোনো নারীকে শরীর বলে ভোগ করো না। 

মেগাস্থিনিসের খাতা

মেগাস্থিনিসের খাতা
................. ঋষি
================================================

মেগাস্থিনিসের খাতা খুঁজে পাওয়া প্রাচীনত্ব
দেরাজে ফোল্ড করে রাখা একটা গোটা বিশ্ব আর বোঝাপড়া।
নিজের দেশ এবং  সাময়িকী আবিষ্কারের ইচ্ছারা
মাটি খুঁড়ে দাঁড়িয়ে প্রাচীন ভূগর্ভস্থ ফসিল।
সবটাই শুধু মানুষ আর ইতিহাস
কিন্তু মনুষত্ব এযুগে অর্বাচীন সময়ের দূত এক মেগাস্থিনিস।

শব্দ ,কল্প ,ব্রহ্ম
শক্তির প্রাচীন পুরোধা ,,নিয়মিত ব্যয় যোগে ফুরিয়ে যাওয়া প্রত্যাবর্তন।
আদর্শের শব্দসীমায় ফেলে আসা রোমন্থন
রেনেসাঁস ,ফ্যাসিবাদ ,জিন্দাবাদ ,ক্লীববাদ ,নারীবাদ।
সব শুধু ফেলে আসা হিসেবে
আর আয়ের খাতায় রাখা মানুষের অভাবী মূল্যবোধ।
সবটাই অভাব
অভাব সময় ,অভাব হৃদয় ,অভাব বেঁচে থাকা ,অভাব একলা বাঁচা।
সব জুড়ে একটা মানচিত্র যদি তৈরি করি
সেখানে মেগাস্থিনিসের খাতা চুরি যাওয়া মানুষের মনুষত্ব।

মেগাস্থিনিসের খাতা হারিয়ে ফেলা ইতিহাস
সমস্ত চন্দ্রগুপ্তিয় সময়ের  জুড়ে শান্তির সেলুকাস।
সময় হারিয়ে যায় ,ইতিহাস খুঁজতে খুঁজতে দেশ বিলীন
সমস্ত বিশ্ব জুড়ে শুধু বাড়তে থাকা চিৎকার।
খিদে পাচ্ছে মা ,সময় বাড়ছে আরো গতিশীল ইতিহাসে
মানুষের ফসিল খোঁজার ভীষণ দরকার।

জ্বরের রাত

জ্বরের রাত
................... ঋষি
======================================================
প্রায়শ্চিত্ত একটা দরকার ছিল
দরকার ছিল সময়ের অধিকার লেখা বেসিনে নিজেকে ধোয়ার
অনেকটা পথ ফেরারি আতঙ্কের মতো দায়সারা
বুকের মাঝে ভয় ছিল
তোর শুনতে না পাওয়া গলার স্বর
আর আমার তিতো ঠোঁটে লেগে জানিস ১০৪ জ্বর

সকালের নিজস্ব সরগমে ব্যস্ত সুরের থলিতে
কিছু বেসুরে আবদার।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি বোধহয় মানুষ না হয়ে পাখি হলে ভালো হতো
ইচ্ছেমতো তোর শহর ঘুরে অনেকদূরে তোর আঁচলের সাথে সন্ধি।
কাল সারা রাত ঘুম আসছিলো না চোখে
মাথা ভারী ,বুকের ভিতর উথানপাথান ঢেউ বালির সহচরে।
আমার সারা গায়ে বালি ,,মারাত্নক যন্ত্রনা
তোর লোক চশমার আড়ালে আমার চোখে দেখা অন্য পৃথিবী।
তুই অবুঝ বলিস ,,বলিস পাগল
আমি বলি জীবন সে যে না শেষ হওয়া জ্বরের রাত।

প্রায়শ্চিত্ত একটা দরকার ছিল
ভারী হয়ে আসা মাথা বাথরুমে ট্যাপের তলায় রেখে অবিশ্রান্ত ভেসে চলা।
অনেকটা সময় নিজেকে একলা রাখার মতো
বালিশ ,চাদর আর উষ্ণতা আর থার্মোমিটার সম্বল জীবন নিজের ভিতর।
তোকে তখন আমি খুঁজে পাচ্ছিলাম নেশার লাল চোখে
সারা অস্তিত্বে অসম্ভব যন্ত্রনা আর যন্ত্রণার সফর। 

Sunday, July 3, 2016

নিজস্ব অভিশাপ


নিজস্ব অভিশাপ
.................... ঋষি
===================================================
কাকে ভালোবাসো তুমি ?
এই দেশকে ,এই সময়কে ,এই ধর্মকে ,কিংবা নিজেকে।
প্রশ্ন অর্থহীন ,
মানুষ তুমি কাউকে ভালোবাসতে পারো না।
তুমি শুধু অভিনয় করো বেঁচে থাকার
আরো বাঁচার।

কার কথা বলছো তুমি ?
দেশের কথা ,মাটির কথা ,মানুষের কথা,সময়ের কথা  ,,কিংবা ধর্মের।
মৃত্যুর সাথে  লুটিয়ে থাকা প্রতিটা নিস্তব্ধ শরীর
সে কি শুধু উদাহরণ তোমার শক্তির।
 সত্যি বলতে কি আমার বলতে লজ্জা হয় মানুষ তোমার কোনো জাত নেই
নেই ধর্ম ,নেই অধিকার বলার আমার দেশ।
যে মৃত্যুগুলো সেদিন জানতো না তাদের  হঠাৎ মৃত্যুর যোগফল  .
হিজাব না পরতে  পাড়ার কারণ ,ধর্মের বুলি আওড়ানোর।
না মানুষ তোমার কোনো ধর্ম নেই।
ধর্ম সে তো কোনো রক্তস্নাত সভ্যতা নয় ,সে হলো শান্তি
আর  মানুষ তোমরা শান্তিতে থাকতে ভুলে গেছো।

কাকে ভালোবাসো তুমি ?মানুষ ?
আমি জাত , দেশ ,সময় কিছুই বুঝতে চাই নি আগামী সভ্যতার জ্ঞানে।
শুধু মানুষ দেখতে চেয়েছিলাম  মানুষের পাশে
কোনো মানচিত্রের অভিশাপ আমি কুড়োতে চাই নি।
চেয়েছি আগামীর সন্তানকে বলতে আমি মানুষ ,তুমিও মানুষ হবে
কিন্তু ছিঃ  আমিও তোমাদের অংশ। আমার মানুষ হওয়া হলো না। 

Saturday, July 2, 2016

অরিত্র আমার বন্ধু (১৪)

অরিত্র আমার বন্ধু (১৪)
..................... ঋষি
====================================================
কেমন করে আজকাল  দিন কাটে জানিস অরিত্র
এই শহরের বুকে একটা আগ্নেয়গিরি আছে।
আর আছে বিশাল একটা জঙ্গল
জঙ্গলে প্রচুর জীবজন্তু আমার মতো ,আমাদের মতো বেঁচে ফেরা।
আর  দূর থেকে আগ্নেয়গিরি কবিতার মতো লাগে
কিন্তু কাছে এলে জীবন পুড়ে যায়।

অরিত্র প্রশ্ন করছিস কেমন আছি
হাসছিস একটু মুটিয়েছি বলে , সময়ের রংবাজী এটা।
আসল কথা শোন এই শহরে আমার মতো আরো অনেকে আছে
যাদের তলপেটে জমে আছে চর্বি।
আর বুকের ভিতর আস্ত একটা আগ্নেয়গিরি ,জ্বলছে ,পুড়ছে
কিন্তু উগড়োতে  পারছে না ,পারছে না বমি করতে।
শুধু তোর মতো ফার্নেস পুড়ছে
কিন্তু ফুরোচ্ছে না ,পুড়ে যাচ্ছে ,চারিদিকে চামড়ার গন্ধ।
না ফেরানো জীবন
এটাই নাকি বেঁচে থাকা।

আচ্ছা তুই কেমন আছিস অরিত্র
এই শহর ছেড়ে ,আমাদের ছেড়ে ,জীবন ছেড়ে ,জীবিত ছেড়ে।
বোকার মতো প্রশ্ন জানি
তুই ভালো থাকবি।
কারণ ফোড়ানোর পর তো আর আশা থাকে না বেঁচে থাকার
তাই তো আমাদের মতো তোর কোনো জীবন নেই। 

একদিন এমন হবে

একদিন এমন হবে
.................. ঋষি
====================================================
একদিন এমন হবে
আমার মৃত্যুর পাশে শুয়ে থাকবে আমার কলম।
আমার জীবিত আকাঙ্ক্ষারা কবিতার পাতা জুড়ে রাজহংসী
সকলে আকাশ চাইবে।
কিন্তু আমি শুয়ে থাকবো জলের তলায়
স্বপ্নের নদীর তুমুল আলোড়ন আমার বুকে চিরনিদ্রায়।

একদিন এমন হবে
চলন্তিকা তুই নিজের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করবি নিজেকে।
কেন এই প্রেম ?
আমি তখন কোনো ছাপোষা সংসারের মতো দিন ফুরোনো রাত।
তুই হাসবি
আঁচল  দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে নিজেকে সাজাবি তোর আয়নায়।
আমি তখন খালি পায়ে বাউলের হৃদয়
হাতের একতারাতে পাগলের সুর আর জীবন।
দু এক ফোঁটা রক্ত
আর মুক্তি সে শুধু বাঁচার অপেক্ষায়।

একদিন এমন হবে
আমার মৃত্যুর পাশে পড়ে থাকবে আমার কবিতার খাতা।
তুই তুলে নিবি তাকে বুকে ,,পাতা ওল্টাবি
নিজেকে খুঁজবি।
আমি থাকবো না সেদিন ,,তবু হাসবি
আর মনে মনে বলবি ,,আচ্ছা একটা পাগল।

আকাশের চিঠি

আকাশের চিঠি
............... ঋষি
==================================================
নিজস্ব দ্বীপের মাঝে হৃদয়কে দেখিস
আকাশের চোখে।
আকাশের কাছে প্রশ্ন করিস কোথাই মুক্তি ,কোথাই ঈশ্বর ?
নিজস্ব চুক্তনামার স্বাক্ষরিত সময়ের ভগ্নাংশে
একবার আকাশের দিকে তাকা
মেঘে ঢাকা অনেক্ষন তবুও তো আশ্রয়।

শীত চাদরে উষ্ণতা খুঁজতে ব্যস্তসমস্ত বেলা
তোর দিনকাটে  নৌকার বৈঠা ভেঙে।
নিরুদ্দেশ হওয়া সব অনুভুতি সব সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশের মেঘের পালকে
কোনো অচিন দ্বীপবাসী কিছু ইচ্ছারা সব ঘর ছাড়া।
কেমন আছিস আজকাল ?
ইচ্ছে করে  প্রশ্ন করতে তবু সবটাই  জানি।
কেমন কাটছে সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে
মনখারাপ হয় আমি তাও জানি।
শুধু তোর মতো আমি আকাশের তাকিয়ে থাকি
আর জীবন গুনি জীবনের ঋণে।

মাঝে মাঝে চিৎকার করি তুই ঠিক বলিস
ভালো আছি খুব ভালো কবিতার সাথে তোর প্রেমে।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ?
ঠিক কোথায় আকাশের বুকে এক ফালি আমাদের ঠিকানা।
আর পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘে আমাদের ইচ্ছাদের কল্পনা
না সবটা লেখা যায় না আকাশের চিঠিতে। 

মাঝরাতে

মাঝরাতে
............. ঋষি
=================================================

সমস্ত অধিকার চুরি করে ঘুম ভাঙে
ঘুম ভাঙে মাঝরাতে।
মাঝরাতে ঈশ্বরের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি
সারা আকাশময় সিলিং আর সেখানে অসংখ্য বাঁচার প্রলেপ।
জীবনের রং
সে যে কবিতা মতো জীবিত বেঁচে থাকা।

তুই বলিস পাথর রাখা সে চোখে
আমি দেখি ,,,,আমি বুঝি অসংখ্য গলিত ইচ্ছা জমে আছে প্রাচীন শেওলায়।
অনেকগুলো মৃত ফসিলের জমে থাকা শবাগারে
আমি শুনি বাঁচার আকুতি।
রাত কাটে প্রতিদিন যেমন সময়ের কাঁটাতে টিকটিক
তুই বলিস শ্বাসকষ্ট বাড়ছে ,,অন্ধকার হাত বাড়িয়ে।
আমি দেখি আমার শ্বাসে লেখা আছে বিশ্বাস
কালকের আগামীর।
তারপর নিয়মিত আমি আমার যাপনের দরজায় দাঁড়িয়ে
তোকে আহবান করি।
আয় বাঁচবি আয় ,,অন্তত একবার
আমি বাঁচবো বলে।

সমস্ত অধিকার চুরি করে মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট
শরীরে বাড়তে থাকা নিজস্ব বয়স।
চামড়ার ভাঁজে লিখে যায় দৈনন্দিন নিশ্বাস তোর আমার
তুই বলিস কবিতা।
আমি বলি আমি জীবন লিখি শব্দের অছিলায়
আসলে আমি বাঁচতে চাই।

শেষ না হওয়া গল্প (৪)

শেষ না হওয়া গল্প (৪)
............ ঋষি
================================================
প্রকৃতির খেয়ালে একটা আবছা নদী
দুকূল ছাপিয়ে আমি যেখানে ভেসে  থাকা ইচ্ছা।
শেষ না হওয়া গল্পের পাতায় পাতায়
 আগামী কোনো চব্বিশ ঘন্টা।
রেডিওর খবরে শহরে নিম্নচাপ বাড়ছে
সমস্ত খেয়া নৌকা আজ ঘাটে বাঁধা।

একপশলা বৃষ্টি হয়ে গেলো বাইরে
বারান্দার কাপড় নাড়ার দড়ি গড়িয়ে ক্রমশ বেয়ে চলা আস্তরণ।
আগামী উনিশ দিনে মুহূর্তদের জড়িয়ে চলা
সাময়িক নিম্নচাপ আর বৃষ্টি বারংবার।
সবটাই সত্যি
আজ আবছা নদীর জলে ডুব দিয়ে ঠোঁটে লেগে থাকা তৃপ্তির ব্যাকুলতা
কিন্তু ফেরিঘাট বন্ধ
নদীর ধারে  বসে জেলে পাড়ার হাঁড়িতে শুধু পান্তা
আর নদীর দিকে তাকিয়ে থাকা ভাসবার ব্যাকুলতা

প্রকৃতির খেয়ালে একটা আবছা নদী
দুকূল ছাপিয়ে যেখানে চোখ না সারা বৃষ্টির শব্দ।
শেষ না হওয়া গল্পের পাতাতে
আজ কারণ লিখে রাখা সদ্য জন্মানো পদ্ম জীবনের ইচ্ছাতে।
বারান্দার ধার ঘেঁষে নারকেলে গাছের মাথা দুলছে
আজ হাওয়া লাগছে হৃদয়ের ইচ্ছাতে।  

Friday, July 1, 2016

তোমাকে ভালোবাসি

তোমাকে ভালোবাসি
................ ঋষি
=----------------------------------------------------------------------------
অভি এই যে সকাল থেকে তুমি ফোনে আমাকে পুজো করো
বারংবার বলো তোমার মতো কাউকে দেখিনি।
বলতে পারো কেন ?
কেন আমাকে সবসময় প্যাম্পার করো আমাকে ?
জানি উত্তর , তোমাকে ভালোবাসি।

কিন্তু কেন ভালোবাসো আমাকে
আমি তো পেড়িয়ে যাওয়া সময়ের মতন প্রাচীন কোনো কলমে লেখা কবিতা।
শুধু সময়ের সাথে আমাকে সকলে মনে করে
হয়তো কেউ পড়ে,কিন্তু বোঝে কতটা ?
তুমি কতটা বোঝো আমাকে অভি।
আর পাঁচটা মেয়ের মতো তুমি আমাকে লোভ দেখতে চাও
তুমি আমাকে সময় পেড়িয়ে আবার লিখতে চাও।
এও কি সম্ভব অভি
আমার কলমের যে অধিকার লেগে থাকে সেটা সামাজিক
কিন্তু তুমি বোঝো অভি তুমি অসামাজিক

আরে অভি শুনতে পাচ্ছি না ,এতো হাসছো কেন ?
ফোনটা ঠিক করে মুখের কাছে ধরো।
কি বলছো ? আমি অতসব সমাজ তোমায় বুঝি না
শুধু তোমায় বুঝি ,
কিন্তু অভি কিছু মনে করো না আমি আজকাল প্রেমের মানে বুঝি না। 

শেষ না হওয়া গল্প (৩)

শেষ না হওয়া গল্প (৩)
.................  ঋষি
=================================================
আবার একটা সূর্য উঠলো
যেমন ওঠে প্রতিদিন সকালে আবার একটা দিনে ।
সকালের দিকে তেড়ে মেরে বৃষ্টি
বেশ কাক ভেজা হয়ে অফিস ঢুকলাম।
তুমিও তখন  ছিলে হয়তো বৃষ্টির ওপারে মেঘের ভিতর
আর প্রশ্রয়ে আমাকে ভেজালে অসময় বৃষ্টিতে।

আর কুড়িদিন বুঝলে
কিন্তু জানি না সেদিন সত্যি বৃষ্টি হবে কিনা।
কিংবা শহরের পথে পথে আমিও কোনো সময়ের বৃষ্টিতে ভিজবো কিনা
কিন্তু তোমার সাথে থাকবো।
বিশ্বাস না হয় চিমটি কেটে দেখো আমাকে
ওহ সত্যি তা সম্ভব না।
আচ্ছা এমন অনেক কিছু সম্ভব না এই দিনান্তের পথ চলাতে
কিন্তু এটা সম্ভব ছিল ,আছে থাকবে
আমি তোমার কাছে।

আবার একটা সূর্য উঠলো
যেমন ওঠে প্রতিদিন সূর্যডোবার পরে।
সারাদিন আজ বেশ মেঘ করে ছিল তোমার মতো আমার শহরে
জানি তুমি এখন মুখ ভার করে আকাশের দিকে দেখছো।
হয়তো মনে মনে চাইছো রাত্রে বৃষ্টি হোক
আর আমি না ,আমরা যাতে ভিজে যায় একসাথে।  

কেউ কারো নয়

হঠাৎ করে কেউ হারায় না যে মেয়েটা বাড়িতে রোজ শাঁখ বাজিয়ে পুজো করে তার ও ইচ্ছে করে আকাশ ছোঁয়ার, ব্যাগ ভর্তি স্বপ্ন নিয়ে যে ছেলেটা বাজারে এসে দা...