Sunday, November 30, 2014

RISHI026@GAMAIL.COM

আমাদের আকাশ
,..............ঋষি

তোমার জানলা দিয়ে আকাশ দেখা যায়
সেই আকাশের এককোনে আমি মেঘলা মন।
জীবন্ত অনন্য অদৃশ্য স্নেহের মত কেউ
গড়িয়ে নামে হৃদয়ের প্রতি রক্তকোষে।
নিশ্বাসের বিশ্বাসে মারাত্নক কোনো রোগ
আমার হৃদয়ের মরীচিকা তুমি।

তবু আমি জানলা দিয়ে আকাশ দেখি
তবু আমি জীবন থেকে মুক্তি খুঁজি।
মুক্তি খুঁজে বেঁচে থাকার প্রতি পাতায় পাতায়
দৈনন্দিন আগুনের সাথে চুক্তি।
আর মুক্তি আমার নীল আকাশ
আমার জানলা দিয়েও আকাশ দেখা যায়।
একসমুদ্র গভীর নীলে
শৈশবের রঙিন আলো ,যৌবনের দৃপ্ত আগুন।
আমি হাসি
আসলে আমি আকাশকে বড় ভালোবাসি ,
ভালোবাসি না তোমায়।

তোমার জানলা দিয়ে  আকাশ দেখা যায়
সেই আকাশের এক কোনে আমি অন্য আকাশ।
জীবন্ত অনন্য অদৃশ্য স্পন্দনের মত কেউ
বেঁচে থাকে আমার অনুভবে।
নিশ্বাসের বিশ্বাসে মারাত্নক কোনো আগুন
আমার জ্বলন্ত শব তোমার  আয়নায়।

RISHI026@GMAIL.COM

মোমের আগুন
.......... ঋষি

অদ্ভূত আচরণে আমি মুগ্ধ হয়ে যায়
দুঃখের সাথে নিজেকে মিশিয়ে আমি গলে যায় মোমের আগুনে।
চিরন্তন কোনো শব্দের মত ভালোবাসা আমার জীবনে
যন্ত্রণার মত রক্তচরণ বুকের মাটিতে।
আমি ভালোবেসে যায়
আর সময় পালাতে থাকে দূরে ,বহুদূরে।

আমার কবিতার শব্দচয়নে বিবস্ত্র সভ্যতার শরীর
আমি হাজারো শ্রাবনে চান করে আনকোরা রৌদ্র।
ছুঁতে চাই ভিজে মাটি ,মেটে গন্ধ
ভালোবাসার ধারালো অস্ত্রে নিজেকে হত্যা করে
আমি পেতে চায় ভালোবাসা তোমার মাঝে।
কিন্তু ভুল হয়ে যায় ,ভুল হয়ে যায় ,
বারংবার ভালোবাসা আমার কানে ফিসফিস
আমি নেই ,মুর্খ তুই।
ভালোবাসা মানে যন্ত্রণা
আর যন্ত্রণা মানে ভালোবেসে বেঁচে থাকা।

অদ্ভূত আচরণে আমি মুগ্ধ হয়ে  যায় তবে
জানলার সার্সি দিয়ে সোনালী রৌদ্র আমাকে জড়ায়।
জড়িয়ে ধরে তোর অস্তিত্বের রক্তবিন্দু আমার স্পন্দনে
তবু আমি অনুভব করি ,ভালোবাসি তোমায়।
দুঃখের সাথে নিজেকে মিশিয়ে গলে যায় মোমের আগুনে
আর তুমি আগুনের মত আমার যন্ত্রনায়।

RISHI026@GMAIL.COM

অন্য একটা গল্প
............... ঋষি
মেয়েটা আকাশ দেখতে চাইলো
আমি নীল আকাশের কোলে নিজেকে ঢেলে দিলাম।
ইচ্ছে মত উড়োউড়ি যা ইচ্ছে তাই আকাশ নীলে
আমি চুপ করে দেখলাম।
কিছুদিন পর মেয়েটা বল্লো আমি বৃষ্টি ভালোবাসি
আমি আকাশ থেকে বৃষ্টির মত ঝরলাম।
মেয়েটা হাততালি দিল বললো
এক আমার আকাশ স্বপ্নে মেঘলা আকাশ,
আমি হাসলাম।
কালো অন্ধকার আকাশের বুকে মিশে দেখলাম
মেয়েটা চলে গেল।
কিন্তু আমি আকাশ সেজে  রইলাম
আমি ডাকলাম তাকে পিছন থেকে
সে হাসলো।
বল্লো আমি আকাশ চেয়েছিলাম ,বৃষ্টি চেয়েছিলাম
কিন্তু তোমায় চাই নি।
আমি হাসলাম ,চিত্কার করে হাসলাম
গল্পটা শেষ হয়ে গেল।

RISHI026@GMAIL.COM

তুমি প্রথম কেন
......... ঋষি
প্রথমত তোমার অভিধানে আমি প্রথম তাই
দ্বিতীয়ত আমার জীবিত আকাঙ্খায় তুমি তাই ,
অদ্ভূত না।
ঠিক এই সময় তোমার রেশটা কেটে যায়
তুমি ভাবো
অদ্ভূত আমি তোমার জীবনে।

ক্লাসিফায়েডের পাতা থেকে তোমাকে তুলে
ম্যাগনিফায়েড লেন্সের তলায় রেখে নাড়াচাড়া।
প্রথমে তোমার শরীর
তারপর আরো গভীরে হাত রাখি ,,হৃদয়।
স্পন্দন কেঁপে যায়
যেমন কাঁপি আমি একলা নিরালায় আমার  কবিতায়।
সাদা পাতায় অসংখ্য শব্দ শরীর তুমি
লিখে যায় ,লিখে যায়
হৃদয় পাই না ,তবু তুমি প্রথম তাই।

প্রথমত তোমার অভিধানিক সংজ্ঞাতে আমি অদ্ভূত
আমার অচঞ্চল চোখের পাতায় স্বপ্নের নীড়,
নীল আকাশ ,নীল সমুদ্র।
আর তুমি
প্রথম আমার জীবনে আদরের মত প্রশ্রয়ে
অদ্ভূত ভালো লাগা।


RISHI026@GMAIL.COM

পাওয়ার মুহূর্তরা
.......... ঋষি

মন তোকে পাওয়ার মুহূর্তরা
অপ্রিয় সত্যের মত যন্ত্রণার।
কয়েকশো  পৃথিবীর ক্ষুদ্র স্পন্দনে
আমার স্পন্দিত আলিঙ্গনগুলো ,, মৃত।
মৃত আমার মত
তোকে না পাওয়ার মুহূর্তরা।

যাকে যন্ত্রণা বলে নিজের যন্ত্রনায় নুন
যাকে জীবন বলে নিজের কল্পনায় আগুন।
মন তোর মুখের আদলে
তোর ঠোঁটের তৃষ্ণার্ত স্পর্শে ,
হৃদয়ের জীবিকায় হাজারো বিভাজনে
মুহুর্তদের জমে যাওয়া দুষিত রক্তে ,
তুই বেঁচে থাকা
আমার এই ক্ষুদ্র জীবন।

মন তোকে ছুঁয়ে থাকার মুহূর্তরা
অজস্র স্পর্ধিত স্পর্শের প্রতিফলন আমার আয়নায়।
কয়েকশো বন্দিত ঈশ্বরের স্পর্শীল শব্দে
বিচরিত আমার বেঁচে থাকা সাধারণ জীবন।
ফুটপাথ ঘেঁষে তোর ঠোঁটের মিষ্টি হাসি
তোকে পাওয়ার মুহূর্তরা। 

RISHI026@GMAIL.COM

বুলেটের বুলেটিন
......... ঋষি

বুকের পাঁজর ফুটো করে ঢুকে গেলো বুলেটটা
লুটিয়ে পরলো নিস্তব্ধ শরীরটা মাটির উপর।
সাদা পাতায় বড় বড় করে লিখলাম মন
তোমার নাম।
তারপর আবার আরেকটা বুলেট ঢুকে গেলো
মস্তিষ্কের ভিতর।
লুটিয়ে পড়লো অস্তিত্ব অন্ধকার মনে।

সারা শরীর জুড়ে শিহরণ ,খুব সাধারণ শরীর
নিস্তব্ধ খুব সাধারণ শাক ভাতে শরীর।
রোজকার মাড়িয়ে যাওয়া মানুষের মতো
ঈশ্বর তুমিও ছিলে সেখানে।
একটা অপমৃত্যুর ঠিকানায়  নিস্তব্ধ গভীর মনে
হৃদয় ফুটো বুলেটে ,বুলেটপ্রুফ শরীর সাধারণ।
রোজকার মৃত্যুর গল্পের শিরনাম
নিজের মনের মৃত্যু।

শুনতে পেলে না তুমি বুকফাটা আর্তনাদ
দেখতে পেলে না তুমি রক্তাক্ত ক্ষুদ্র হৃদয়টাকে।
শুধু সাদা পাতায় লাল রক্তে লেখা তোমার নাম
আমার মন সদ্য ফোটা গোলাপ।
আর গোলাপের কাঁটার মতে বিঁধে তুমি
তোমার স্পর্শে মন।
আরেকবার অবচেতনে সোজা বুলেট তুমি মন। 

Friday, November 28, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

অদ্ভূত ঈশ্বর
............. ঋষি

অদ্ভূত ঈশ্বর আমার
একসমুদ্র বালি নিয়ে চোরা বালি মাঝে।
হাত গলে গড়িয়ে যায় বালি
মুঠো খুলি ,বন্ধ মুঠো সব খালি।
খালি ,খালি ,খালি
ঈশ্বর তোমার ধ্রুপদী রূপের সুন্দর চাহনি।

ঈশ্বর তুমি দেখতে থাকো,শুনতে থাকো
অন্তিম আকাঙ্খার শ্মশানে শুয়ে সেই শেষের কবিতা।
ঈশ্বর লিখতে জানো,পড়তে পারো
হৃদয় পারে আমার মনের কবিতা।
যে কবিতায় পার ভাঙ্গে জমানো ক্ষোভে তোমার ঠোঁট
যে কবিতায় আছড়ে পরে সমুদ্রের মাঝে লুকোনো লোভ।
ঈশ্বর এমন কবিতা তুমি লিখতে পারো
নাকি শুধু আমার মত শব্দ নিয়ে তুমিও খেলো।

অদ্ভূত ঈশ্বর আমার
একসমুদ্র আঁচড়ানো বুকে রঙিন শোক।
আমার কবিতার গায়ে আগুন
গড়িয়ে পরে মুহুর্তদের ভিড়ের অশ্লীল শব্দ।
খালি, খালি ,খালি
ঈশ্বর তুমি খালির ঘরে লুকোনো চোরা বালি।

RISHI026@GMAIL.COM

ভালোবাসার মানে 
.................. ঋষি

যে বলেছিল ভালোবাসি 
যে বলেছিল সাথে আছি। 
এই থাকাটুকু কি কাঁচের মত ঠুনকো
এই ভালোবাসা কি মৃত্যুর মত আদরীয়।
.
ইচ্ছে মত সম্পর্ক্যের বাঁধনে রক্তের ছোপ
ইচ্ছে মত জীবনের স্বপ্নে মৃত্যুর স্লোক।
সবটাই কি এত সহজ
সবটাই শুধু সাজানো।
যেমন সাজানো সভ্যতার মাঝে সম্পর্কের মানে
যেমন সাজানো জীবনের মাঝে হারানোর মানে।
ভেঙ্গে যায় ,কাঁচ ভেঙ্গে যায়
টুকরো টুকরো জীবন হারায় সময়ের জানলায়।
আসলে কি ভালোবাসার মানে হারিয়ে যাওয়া
সত্যি কি ভালোবাসার মানে শুধু অভিধানিক।
.
প্রশ্নগুলো চিন্হ হয়ে থাকুক প্রেমের
অদৃশ্য আশার আকাশে উঁকি মেরে আমি চাঁদ খুঁজি
প্রশ্নগুলো বিরক্ত হয়ে থাকুক এই জীবনে
আর আমি আকাশের চাঁদে খুঁজি তার মুখ

Wednesday, November 26, 2014

rishi026@gmail.com

এক  রাত্রির স্বপ্ন
............. ঋষি
জীবন অববাহিকার বাইরে যতটুকু
সেটুকু খরা,
মরুর রক্ত চোষা জানোয়ার সব সময়ের বুভুক্ষ।
গড়িয়ে চলা পঞ্চ সর্বনাশের সর্বনাশী স্বপ্ন
এক রাতে ,
এক সমুদ্র অচঞ্চল বেলাল্লাপনা।

রাত্রে নেশার চোখ জড়িয়ে পান পাত্রে বরফের শীতলতা
শীতল চোখে যন্ত্রণা নারী।
রাম্পে হেঁটে যায় যারা বিলাসী শরীর
কার্পন্যতা সস্তার কার্পেটে ইঁদুর দৌড়।
যতটুকু যেটুকু জীবন
মরে বেঁচে থাকা একলা সমুদ্র।
হাসি পায় অচঞ্চল চোখে অসংখ্য চরিত্রের উন্মোচনে
এক একটা নাটকের সমাপনে।

জীবন অববাহিকার ভিতরে যতটুকু
সেটুকু তৃষ্ণা।
হিম শহরে শুয়ে থাকে কারা যেন মানুষের মতো দেখতে
বিভত্স্য লাল চোখে সর্বনাসী স্বপ্ন।
আরো ভালো বাঁচার
যে কোনো মতে সর্বনাশী বিলাসী জীবনে।

rishi026@gmail.com

আমার প্রশ্রয়
.................. ঋষি

যদি জীবিত থাকি
ফিরে এসে ডেকো আমায় গোপন আলিঙ্গনে।
জীবন যেখানে শেষ ,সেই মুহুর্তে
তুমি নেমে এসো আকাশ পরী আমার জীবনে।

তোমার কাছে চাওয়ার মত আমার কিছু নেই
শুধু এই মাত্র সম্বল ,আমি বেঁচে।
তোমাকে দেওয়ার মতোও আমার কিছু নেই
শুধু জোছনা রাত্রির আকাশটুকু ছাড়া।,
কারণ তুমি তো আকাশ আমার মুক্তি।
আর তুমি সেই অদ্ভূত বিকেলবেলার অদ্ভূত পদচরণ
আমার বুকের সোনালী আশ্রয়।

যেদিন তুমি এসেছিলে খুব কাছে
আরো কাছে আমার চাওয়া পাওয়া পৃথিবীর কিনারায়।
এক সমুদ্র আলো আকাশ থেকে ভালো থাকার নামে
তুমি ,তোমার আমিত্বে আমার প্রশ্রয়।   

Sunday, November 23, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

অচেনা তোমাকে
.......... ঋষি

কোনো এক বিকেলবেলা
জড়ানো কফিকাপে শুয়ে থাকা সময়ের ভিড়।
ফাঁকা ফুটপাথে কেউ হেঁটে যায় হিসেবের বাইরে
অন্য কোথাও
যেখান থেকে পথ চলা শুরু আর জীবন শেষ।

এমনি এক জড়ানো দিনে
বিকেলের কফি কাপে তোমার ঠোঁট আমার উষ্ণতা ছুঁয়ে।
আমার খোলা বোতামের জামার গভীরে
ছুঁয়ে যায় মুহূর্ত।
উফ্ফ্স জিভ পুড়ে যায় ,সত্যি তাই
তাই তাই তাই জীবন পুড়ে যায়।
হাসি পায় হৃদয় পুড়ে যায়
চেনা চেয়ারে  অচেনা তোমাকে আবারও  চেনা যায়।

কোনো এক বিকেলবেলা
ফুরিয়ে যাওয়া আলোয় হঠাৎ  লোডসেডিং।
ফাঁকা ফুটপাথে ,হাজার অলিগলি চেনা কফিসপ
অন্য কোথাও
অচেনা লাগে হাজারো তোমার মাঝে অন্য তোমাকে। 

RISHI026@GMAIL.COM

প্রিয় পুতুল
.......... ঋষি

অহেতুক অহংকারী হৃদয়ের দরজায়
মন তুই দরজা খুলে ঢুকে পরিস।
সামনে খোলা মাঠে দম দেওয়া পুতুলের ভিড়
তুই আমাকে খুঁজিস ,পুতুলের মাঝে
তুই নিজেকে খুঁজিস ,সবার মাঝে।


টেবিলের উপর উল্টে পরা টেডি বিয়ার
ভালোবেসে নাম রেখেছিস পল্টু।
পল্টু হাসতে থাকে অবলীলায় ,ইচ্ছেমতো উল্টেপাল্টে
আদর করিস।
তুই ভালো পুতুল খেলিস মন
পুতুল খেলার সংসারে আমি এককোনে জীবিত ও মৃত.
আমাকে সযত্নে কোলে তুলিস
চাবি ঘোরাস
হাততালি দিয়ে উঠি ,ভীষণ সুন্দর হাসিস তুই।

অহেতুক অহংকারী হৃদয়ের দরজায়
মন তুই জীবন নিয়ে ঢুকে পরিস।
মৃতের মিছিলে ,ইচ্ছে মত খেলতে থাকিস ,হাসতে থাকিস
আর আমি দরজায় দাঁড়িয়ে তোকে দেখি
তোর প্রিয় পুতুল আমি। 

RISHI026@GMAIL.COM

সমীকরণের কিনারায়
............ ঋষি

প্রত্যয়ী হয়ে উঠি মাঝে মাঝে
অলংকার থেকে সমীকরণের দরজায় দাঁড়িয়ে।
বৃত্ত আঁকতে  থাকি
একটা,দুটো, তিনটে ,হৃদয় জুড়ে।
গন্ডির বাইরে পা বাড়ানো কসমেটিক সার্জারির রূপ
কিন্তু ছুরি ,কাঁচি ,একই থাকে।


প্রত্যয়ী হয়ে উঠি মাঝে মাঝে
দরজা ঠেলে ঢুকে পরি অনির্দিষ্ট খাদের কিনারায়।
শরীর থেকে চটচটে ঘামের মত লেপ্টে থাকে সময়
বৃত্তের বাইরে।
একটা জীবন
থেকে যায়
আসলে বৃত্তের রেখাটুকু  সরল নয়।

প্রত্যয়ী হয়ে উঠি মাঝে মাঝে
অলংকার থেকে সমীকরণের কিনারায় ভাবনার নৌকা।
একটুকরো জীবন ছুঁড়ে ফেলি জলে
কম্পনে ঢেউ ওঠে হৃদয়ের জানলায়।
আসলে হৃদয়ে বৃত্তকে বাঁধা যায় না
প্রত্যয়ী আমি সমীকরণের কিনারায়।

RISHI026@GMAIL.COM

দূরত্বের হিসাব
............ ঋষি

অনেকটা দুরে সরে যেতে পারিস
কিন্তু পাথর ভাঙ্গার শব্দটা বদলায় না।
বুকের পাথরে অজস্র হাতুড়ির আঘাত
জীবন খুঁজছে সম্পর্কের মানে।
কিন্তু আসলে কি জানিস
সম্পর্কের মানেটা বদলায় না।

অনেকটা দুরে সরে যা
বুকের পাথর ভেঙ্গে  উঠে আসুক জ্বলন্ত লাভা।
রক্ত নদীতে চান করুক এই সবুজ পৃথিবী
ধ্বংস আর মাংসের মাঝে আঁকড়ে ধরি হৃদয়।
আমি এগিয়ে যায়  গোমতী সঙ্গমে
হাজারো বছরের তপস্যার পর বুকের আগুনে জ্বলন্ত তুই
আমার কবিতায়।

অনেকটা দুরে সরে যেতে পারিস
কিন্তু পাথরের টুকরোগুলো একি থাকবে।
প্রতি আঘাতে আর্তনাদ হৃদয়
ভালোবেসে তোকেই কাছে ডাকবে।
আসলে সরে গিয়ে দুরে থাকা যায়
কিন্তু দুরে থেকে আরো সরা যায় না। 

RISHI026@GMAIL.COM

বদলানো পেন্ডুলাম
........... ঋষি

যাওয়ার আসার আছিলায়
সময় বদলায় মুখোমুখি বদলানো নাটকে।
অভিসম্পাত সম্পর্কের মাঝে আটকানো পেরেকটা
আলগা হয় ,খুলে যায় ,সরে যায়।
হিসেবী বোঝাপড়ায় পা মাপা দুরত্বরা
বাড়তে থাকে হৃদয় থেকে রৌদ্র ,মেঘ ,বৃষ্টি
মিশে যায় শরীরের মত দু হাত মাটি।

জীবন আমাদের হাসতে শেখায় ঠিক ,বলে ভালো থেকো
হৃদয় আমাদের ভালোবাসতে শেখায় ঠিক ,বলে সুখে থেকে।
ভালো থাকা ,সুখে থাকা আয়নার দুরত্বের দুর্বলতা
ভাঙ্গা আয়নায় মুখ দেখা যায় ,টুকরো টুকরো কাঁচ ফুটে যায়।
ফুটতে থাকে হৃদয়ের কোথাও
ভাঙ্গা কাঁচ জোড়া যায় না।


যাওয়া আসার অছিলায়
মুহুতরা জমা হয় ,জমানো হৃদয়ের পাতায় পাতায়।
ফুটে ওঠা সংজ্ঞার অধিকার জীবনের উপসংহার
টানতে ইচ্ছে করে ,হয়তো না টানা যায়।
কিন্তু হিসেবী সময়ের পেন্ডুলামে জীবন কাছে ডাকে
বাঁচতে চাই আবার সম্পর্কের মাঝে,
হাসিকান্নার পা মাপা দূরত্বে মিশে যায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

সমাপ্তির ভূমিকায়
....... ঋষি

তোকে ছোঁয়া যায় না মন
সমস্ত অনুভূতির ভিতরে নিজেকে লুকিয়ে।
সমস্ত অধিকারের ভিতরে নিজের রক্তক্ষরণ
তোকে পাওয়া যায় না।

আগত অজস্র প্রশ্নের মুখে কালি
অজস্র সময়ের অভিনন্দিত অন্তর স্বাস  দহন।
দমবন্ধ লাগে হৃদয়ের ভেন্টিলেসানে  শ্মশানের  ছাই
কয়েকটা মৃতদেহ পর পর শুয়ে
তোকে পেয়ে না পাওয়ার মুহুর্তে অসংখ্য পদচরণ,
অজস্রবার হৃদয় মন্থনে শুধু রক্তক্ষরণ।

তোকে ছাড়া যায় না
এমন তুই কোনো এক পরিযায়ীর মত ছুটে বেড়াস।
দেশ থেকে দেশান্তরে ,হৃদয় থেকে অন্তরে
কোথাও স্থির নয়।
অস্থির না পাওয়ার মুহুর্তদের হৃদয় বিন্যাস
অসমাপ্ত কবিতা।

তোকে ছোঁয়া যায় না মন
কর্পোরেসানের মর্গের গাড়ি নম্বর জানি না।
কিন্তু হৃদয়টা শুয়ে যেখানে
যেখানে তোকে ছুঁয়ে আমার অপমৃত্যু। 

Saturday, November 22, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

বাউন্ডুলে
...........ঋষি

বাউন্ডুলের আবার দেশ
ছড়ানো মানচিত্র আকাশের গায়ে।
চারিদিকে ছিটকে পরছে বরাহনন্দনদের অদ্ভূত আশ্বাস
আর বিশ্বাস ,সেটা তো  একটা শব্দ মাত্র
মানুষের নিম্নাগ্নে লাগা জমা ময়লার মতো।

যাকে  বাউন্ডুলে বলে মানুষের বোধ
সে  ছড়ানো মানচিত্রে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে হিসু করে।
কিন্তু কপট বাহানায় হৃদয় ভাঙ্গে না
কিন্তু কপট নিশানায় হৃদয় রাখে না।
দশজন মিলে লুঠ করো কোনো মেয়ে শরীর
উপার্জন করে মিডিয়ার পাতায় ব্রিলিয়ান্ট নগ্নতা।
কিন্তু বাউন্ডুলে সে নগ্ন করে না
আসলে হিসেবের বাইরে দাঁড়িয়ে সে বিশ্বাস করতে ভালোবাসে।
সে  ভালোবাসে দৈনন্দিন ঘামের গন্ধ
কিন্তু বাউন্ডুলে এটিকেট জানে না।
হতে পারে না  বরাহনন্দনদের অদ্ভূত আশ্বাস
কিংবা বিশ্বাস কোনো নগ্ন কল্পনা।

বাউন্ডুলের আবার ইশ্বর
ঈশ্বর নিজে জানেন না বাউন্ডুলের কোথাও শেষ নেই।
শুধু  ব্রাত্য কিছু মানুষের কল্পনায় বাউন্ডুলে অসামাজিক হয়ে যায়
আর তখনি  ছিটকে আসে স্বল্পবসনা নগ্নতার নাম
বাউন্ডুলে পাগল হয়ে যায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

তুই পাবি শান্তি
............ঋষি

অজস্র অজুহাতে সময় পিছিয়ে যায় আরো পিছনে
তোকে খোঁজার অভ্যেসটা আমার বহু পুরনো।
আমি খুঁজতে থাকি
আর তুই অজুহাত দিতে থাকিস দূরে সরে যাওয়ার।
আমি এগোতে থাকি
আর তুই পিছোতে থাকিস অন্য কোথাও।
আমি হাসতে থাকি
আর তুই কাঁদতে থাকিস ,তোর চোখের তলায় কালি।

এমনি চলছে আজ বহুদিন
এমনি চলবে আরো অনেকদিন।
এমনি ঠিক এমনি আমি তোকে চেয়ে যাব
আমি তোকে পেয়ে যাব ,যেমন চাতক পায় আকাশের বৃষ্টি।
আমি এমনি ঠিক হাসবো ,বুক খোলা আর্তনাদে
তুই কাঁদবি  ,তোর চোখের তলায় কালি।

অজস্র হিসেবের পরে সময় কাটাকুটি খেলবে হৃদয়ে
তোর কফি কাপে আমার ঠোঁট ছুঁয়ে উষ্ণতা।
তোর সরে যাওয়া ওড়নার ফাঁকে লুকোনো নিস্তব্ধতা
ছুঁয়ে যাবে একমুহুর্তে সোনালী বেলা।
আমি এগিয়ে যাব তোর দিকে
তোর গভীরে তোর বুকের নরম মাংস কেটে ,
আমি খুঁজে পাব আমার দুহাত মাটি
আর তুই পাবি শান্তি। 

Thursday, November 20, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

পরী হ্যা তু
......... ঋষি

মন তোকে ভালোবাসার মুহুর্তে
তুই বলিস পরী হু ম্যা।
সত্যি দিন পরী ,রাত পরী ,হৃদয় পরী
সর্বপরি  বেঁচে থাকার পরী,আমার হাসার পরী।

রাতের স্বপ্নে চোখের তারায় আটকে থাকে রৌদ্র
কোনো নীল চোঙে ঠোঁট রেখে শব্দহীন আমি।
এই সময় ,অসময়  অনেকদূর কোথাও
তোর নিংড়ানো হৃদয় ভুলভুলিয়া।
আমি হারিয়ে যায় অলি গলি বেয়ে তোর স্পন্দনে কোথাও
আমি বাঁচতে চাই ,হাসতে চাই
নীল রঙের রঙিন সমুদ্র।
তুই এগিয়ে আসিস আমার  দিকে
ডান হাতের তর্জনী আমার দিকে  দেখিয়ে বলিস
পরী হু ম্যা।

পরী হয়ে যাস ,ঘুম ভেঙ্গে যায়
কাঁচ ভেঙ্গে যায় টুকরো টুকরো অনুভূতির কাঁচ।
ফুটে যায় হৃদয়ের দেওয়ালে রক্তাক্ত মানচিত্র দৈনন্দিন
আমি একা ফুটপাথে পরী হ্যা তু। 

rishi026@gmail.com


বায়বিক পেহচান
....... ঋষি

সমস্ত অধিকার নিয়ে আমি তোর বুকে
আছড়ে পড়া সমস্ত সত্বার বাইরে বায়বিক পেহচান।
আমি আগলে রেখেছি
দুহাতে আগুন জ্বেলে ছুটে গেছি হৃদয়ের অন্ধ কুঠরিতে।
আলো জ্বাল ,জ্বেলে দে পিরিতের প্রদীপ সত্যের কিনারায়
সমস্ত হিসেবের বাইরে
নিজেকে আলোকময় কর,কত আলো এ পৃথিবীর।

শরীর ঘেঁষে তোর মুখে ফুচকার ঝাল
কোনো অছিলায় অন্ধকার খুঁজে ঠোঁটে তৃষ্ণা।
নিভে যায় না ,বাঁচা যায় না
মিথ্যে আভিধানিক জীবনের বায়বিক পেহচান।
কখনো কোনো কামার্ত জানোয়ারের শারীরিক দাঁত
ঘষতে থাকে উন্মুক্ত স্তনে
নখ বসে যায় চামড়ার শরীরে।
অথচ অদ্ভূত  পরিচয় অজানা থাকে হৃদয়ের অবকাশে
আদরে জড়ানো যায় না বায়বিক পেহচান।

সমস্ত অধিকার নিয়ে আমি তোর বুকে
খুঁজে নিচ্ছি নিজের পরিচিত স্টাইলের পরিচিত আমাকে।
সিগারেটের প্রতিটা রিঙে বায়বিক পেহচান তৃষ্ণা
মিশতে মিশতে মিশে যায় তোর গভীর চোখের হৃদয়ে।
কানে কানে ফিসফিস এই পেহচান
বায়বিক মাত্রার বাইরে অনন্য কোনো শারীরিক প্রশ্ন চিন্হ
পেহচান বায়বিক কিন্তু আমরা নই। 

rishi026@gmail.com

অজ্ঞাত কবিতা
..........ঋষি

তারপর হঠাথ জীবনটা বদলে যায়
সোজা সুমেরুর সমস্ত শীতলতায় শীতল শরীর
শুয়ে থাকে শূন্য ভবিষ্যতে অন্য কোথায়।

তারপর মাটির নিচে আরো গভীরে রক্তপাত  হয়
আরো গভীরে শিরা উপশিরায় ধ্রুপদের অগ্নিস্নাত কন্যা জন্ম নেই।
তেজস্বী তার চোখে আগুনে প্রলয় ,পুড়ে ছারখার
ধ্বংস হয় কুরু বংশের পাপী শরীর।
আবার শীতলতা দ্রোপদী তুমি পঞ্চ ভোজ্য কোনো নারী শরীর
হাসছে  দুর্যোধন হৃদয় ,দ্রোপদী তুমি ধ্বংস।

যা তেরি
তারপর  আবার এক জীবন বদলে যায়।
সোজা  কোনো এস্কিমোর দেশে বরফে শুয়ে থাকে অপেক্ষা
কেলায়ডাস্কপে দাঁত কেলায় কাঁচের টুকরোগুলো।
ফুটতে থাকে হৃদয়ে দুরত্ব দুর্বলতা হয়ে
আর তখনি মৃত্যু হয়।

তারপর আর কিছু  নেই
সোজা এই গল্পটা  লিখে ফেলি কোনো অজ্ঞাত কবিতায়
বাকিটুকু উহ্য ভবিষ্যত শীতলতায়। 

rishi026@gmail,com

আকাশের গায়ে
............. ঋষি

দুহাত তুলে ধরেছি আকাশে
আমার মুঠোর মধ্যে কিছু মুহুর্তের গোলাপ পাঁপড়ি।
মুঠো খুলছি ছিটকে পরছে স্নেহ ,মায়া ,প্রেম স্পর্শগুলো
বারান্দার টবে ফোটা সদ্যজাত কুড়ি।
আগলে রেখো কাঁটা ,আগলে রেখো হৃদয়
সময়ের হস্তক্ষেপে ভূমিকম্প আকাশের  গায়ে।

আবর্তনের পরিবর্তিত হিসেবে সাইরেন বাজায় সময়ের টেলিস্কোপ
কাঁপতে থাকে আগত পদশব্দ কালের ধ্বনি।
আজকাল ভয় লাগে না জানো,কেন জানি কাঁদতে ইচ্ছে করে
তোমার বুকে মাথা ,প্রেমের আঠালো রক্ত ,,,নোনতা।
জানতে ইচ্ছে করে গোলাপের গন্ধে লুকোনো বিষগুলো ,,জীবন
জানতে ইচ্ছে করে অন্তরের যন্ত্রনাগুলো ,,,স্পর্শ।
ঘুনপোকা মাথার ভিতর  আর হাতে ধরা আকাশে নোনতা সময়
চা বিস্কুট কিংবা তৃষ্ণা নামক হিসেবের বাইরে
তোমাকে জড়িয়ে বাঁচতে ইচ্ছে করে।

দুহাত তুলে ধরেছি আকাশে
পুঞ্জ পুঞ্জ  মেঘের ভিতরে জমে থাকা অশ্রু বিন্দু।
মুঠোর ভিতর থেকে  গলে যাওয়া সময়ের  বৃষ্টি
বারান্দার টবে ফোঁটা সদ্যজাত আশা।
আগলে রেখো হৃদয় ,গোলাপের কাঁটা
কাঁটা ফুটবে তো ফুটুক ,কিন্তু সময় অবিচল আকাশের গভীরতায়।

Wednesday, November 19, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

সবাই বলে উপলব্ধি
..................... ঋষি

সবাই বলে উপলব্ধি
আমি বলি শৃঙ্খল ,ভালো থাকার যন্ত্রণা।
অবাককান্ড মস্তিষ্কের ভিতরে অজস্র তেলেপোকা
যাদের বিশ্রী গন্ধ ,বিশ্রী চেতনা।
ফুটপাথ ঘেঁষা ডাস্টবিনে কুকুরের ভিড়
পর্দা ওল্টায় জনতার আদালতের চোখে রোদ চশমা।

সময় চলতে থাকে ,তারিখের পর তারিখ
সময়ের পরে আরো সময় চায় ,মুখবোজা হৃদয় জবাব চায়।
জবাব কোথায় অস্তিত্বের ওপারে
বেআব্রু রক্তাক্ত যোনির ভিতর অত্যাচারিত বীর্য।
বেআব্রু সমাজের মুখে  বেশ্যার গালি
বেআব্রু সময়ের গায়ে নপুংসকের  সরকারী তকমা।
সরকার বদলায় রাত্রের নোংরা লুঙ্গি ,ভিজে জনতা
লুঙ্গির তলায় অন্ধকার মায়ের আঁচল,শুধু দুঃখিত জনতা ,
খবর কাগজের হেডলাইন মানুষের মানুষগিরির ক্ষমতা।

সবাই উপলব্ধি বলে
আমি বলি আগুন ,ঝলসানো ক্ষোভ  তন্দুরি চিকেনের।
বাটার পালিশ ,পারফেক্ট ফ্রাই ,জনতা ঘুমিয়ে
জাগছে না ভাই ,জাগবে না যতদিন ,
রক্তের নোনতা স্বাদ ,মৃত্যু ছিটে  চেতনার গায়ে।
আর নগ্ন চেতনা ফুটপাথে মানুষের খালি পায়ে। 

RISHI026@GMAIL.COM

তোকে পাওয়ার মুহূর্তরা
............. ঋষি

 দরজা ঠেলে সিঁড়ির গোড়ায় তোর মুখ
সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা যায় ,নামা যায় নিচে
কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে যায়।
যেমন দাঁড়ায় সময় ভাবনার ব্যালকনিতে
কিংবা মার্বেলের ফ্লোরে আঁকড়ে ধরা হৃদয়টাতে
আমি দাঁড়িয়ে যায়।
যেমন নিদিষ্ট গন্তব্যের স্টপেজে হৃদয়ের বাস।

জানলা দিয়ে উঁকি মারি ,সময় থেকে লাফ মারি
সবুজ ঘাস পেরিয়ে ,ঘুমের ঘোরে চেতনার ওপারে ,
বাইকের ফিফথ গিয়ারে ব্রেকে পা
গতি  দাঁড়ায় না উল্টে যায় ,উবড়ে আসে শিকড়ে মাটি।
এক্সিডেন্ট তোর আমার হৃদয়ের
এক্সিডেন্ট তোর আমার সময়ের।
এই বিকেলবেলা কফিকাপে তোর ঠোঁট
আমার উষ্ণতা তোর চোখেমুখে।

 দরজা ঠেলে সিঁড়ির গোড়ায় তোর মুখ
সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা যায় ,নামা যায় নিচে
কিন্তু আমি থেমে যায়।
সময় থেমে যায় বেকার জীবিকায় আমার কবিতায় আগুন
তোকে ছোঁয়া যায় না ,তোকে পাওয়া যায় না।
শুধু আমার ভাবনার মরণ কামড় হৃদয়ের স্রোতে
রক্তক্ষরণ তোকে পাওয়ার মুহূর্তরা। 

RISHI026@GMAIL.COM

মুখোশগুলো
......... ঋষি

অন্ধকারে চোরা গলি বেয়ে মুখোশের আয়নাতে
লোকানো অজস্র নর্দমার জল।
সারা শহরের ড্রেইনেজ সর্বসাকুল্যে এত পঙ্কিল নয়
যতটা মুখোশের আড়ালের মুখগুলো।
শহরের বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকে ইচ্ছার জাহাজগুলো
যেগুলো ডুবতে চাই ডুবোজাহাজ হয়ে নর্দমার জলে।

আমার বারান্দা দিয়ে তোর মুখটা আমি পরিষ্কার দেখি
পরিষ্কার স্পর্শ করি তোর ঠোঁটের তিলটা।
আদর করে তিলটাকে আমি প্রেম ডাকি
আর সম্পর্ক্যতা হলো লুকোনোর  তৃষ্ণা।
আয়নার মুখ ,মুখোশের ছবি ,লুকোনো প্রেম
তোর মুখোশের আড়ালে আশ্রিত চোখ।
সবটাই আমার যেখানে
সেখানে আমার কাছে তুই মুক্তির আকাশ।

অন্ধকার অলিগলি বেয়ে তোর সামনে আমি
মুখোমুখি স্বপ্নের আলোয় আমি ,তুই।
আমার মুখোশটা  তুই ছিঁড়ে ফেলেছিস অনেক আগে
তোরটা  ছিঁড়বো  আজ ,তোকে দেখবো।
চুমু খাবো তোর ঠোঁটের তিলে
আর হাত  রাখবো তোর বুকে আরো গভীরে।  

RISHI026@GMAIL.COM

ঘুম ভেঙ্গে গেলো
........... ঋষি

যেদিন কালোকুকুরের পেটে সাদা ঘি
যেদিন শিশ্নের আগুনে জ্বলে ওঠে জ্বলন্ত তলোয়ার ,
তুই বলিস আমি  বাজে।
আর আমি  আকাশের দিকে তাকায় ,দু হাত বাড়ায়
বাজতে থাকে হৃদয়ের গভীরে কোথাও  তোর স্পর্শ
তোর অনুরণন হৃদয়ের তারে স্পর্শের  ধবনি।

অনেকটা চর্বির পাহাড়ে দাঁড়িয়ে
থাকে থাকে নিজিকে গুছিয়ে রাখি অনমনস্ক আলমারিতে।
প্রথম থাকে প্রেম তুই  ,দ্বিতীয় থাকে যন্ত্রণা
তারপর অভিমান ,দূরত্ব ,দৌরাত্ম ,সমাজ ,মাটি ,পৃথিবী  একে একে
আর সবার শেষে আবার তুই প্রেম।
অদ্ভূত আমার আলমারির মর্যাদায় তুই ছাড়া কেউ নেই
শেষ আর শুরু শুধু তুই মন।

সেদিন কালো কুকুরটা ফুটপাথ দিয়ে তোর হৃদয়ে
চাটছিল তোর হৃদয়টা আদরে।
তুই বল্লি যা পালা এখান থেকে  ঢিল ছুরলি
কুকুরটা বেরিয়ে এলো হৃদয় ছেড়ে তোর দরজায় দাঁড়িয়ে।
ঘুম ভেঙ্গে গেলো
অদ্ভূত বুকে জড়ানো তোর সেই ছবিটা। 

Tuesday, November 18, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

লং লিভ শেরপা
...........ঋষি

চারিদিকে সাদা ধপধপে
সে  এগিয়ে যাচ্ছে গন্তব্য ছেড়ে আরো আগে।
সে এগিয়ে যাচ্ছে দৈনন্দিন ছেড়ে জীবনের দিকে
ভীষণ একা এক মুহুর্তের কবিতায়
সে নিজেকে জড়িয়ে দিচ্ছে প্রকৃতির প্রেমে।

হাসছে বাতাস আজ ,হাসছে তার খোলা জানলার কার্নিস
কিছুটা সময় স্তব্ধতা জুড়ে  স্নায়ুতন্ত্রে শীতল শিহরণ।
তার হৃদয় জুড়ে কয়েকশো পৃথিবীর প্রতিফলন
খুলে যাচ্ছে সকল জানলার পাঁজর।
কয়েকশো ডেসিবেলের পৃথিবী থেকে
উড়ে যাচ্ছে তার একলা  বুকের উপর থেকে পাহাড়ে স্তব্ধতা।
কোনো প্রত্যয়ী শেরপার মত তার দৃপ্ত পদচরন
বরফ কেটে হাতুড়ির মত আমার অনুভবে।
আমি আলোড়িত কোনো মেঘলা বেলা
অপেক্ষা শুভ্র বেলার
লং লিভ শেরপা তোমার আগমনী ধ্বনি।

চারিদিকে সাদা ধপধপে
দূরে কোথাও বলয়ের গায়ে লাল ,নীল অপেক্ষা জীবন।
সে এগিয়ে আসছে সময় পেরিয়ে কিছু মুহুর্তের দিকে
সে পেরিয়ে আসছে অন্ধকার ছেড়ে শুভ্র স্বপ্ন নিয়ে।
ভীষণ একা মুহুর্তের আমার কবিতায়
মনের ইচ্ছার জানান দিচ্ছে  প্রকৃতির বেঁচে থাকা। 

Sunday, November 16, 2014

rishi026@gmail.com

মন তুই চলন্তিকা
...........ঋষি

এই মন তুই চলন্তিকা নাকি
সাদা দহনের উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশে দেখিস সেই ছেলেটাকে।
আচ্ছা তুই সত্যি করে বল  চলন্ত এই পৃথিবীর আঙ্গিনায়
তোর কি সত্যি মনে পরে না আমায়।
আমার হাজারো বছরের প্রতিক্ষার ওপারে কোথাও কি
কেউ দাঁড়িয়ে থাকে না তোর অপেক্ষায় ,
তুই সত্যি করে বল তোকে কি কেউ ভালোবাসে না।

অন্ধকার গলির শেষে যেখানে অশরীরা  শরীর ঘেঁষে দাঁড়ায়
সেখানে শুধু পোড়া গন্ধ পায়।
সূর্য ওঠে নতুন সকালে তোর মুখ বেয়ে তোর ঠোঁটে
তোর বুকে কেউ কি হাত রাখে না।
তুই কি সত্যি  স্পর্শ পাস না
সত্যিকারের  বল তুই কি আমায় ভালোবাসিস না।

এই মন তুই চলন্তিকা নাকি
সস্তার ম্যাগাজিনে শরীরের উষ্ণতায় তুই কোথায়।
তুই তো রাস্তায় চলতে পারিস না
আমার হৃদয়  মোড়া  এক দেরাজ গোলাপ পাতায়।
তুই এগিয়ে আসিস ,আমার শান্তি হয়ে ,
একবার বল প্লিস
রাস্তার পাসে তুই আমায় দেখতে পাস না। 

rishi026@gmail.com

আরো কাছে
..........ঋষি

মন তোর রুপোলি স্বপ্নে
সেই ছেলেটা আজও বারান্দা দিয়ে আকাশ দেখে।
হাত বাড়ায় আকাশের দিকে
নীল আকাশে তোর গভীর দুটো চোখ,
ছেলেটাকে কাছে ডাকে ,খুব গভীরে।
অন্য কোথাও পাশাপাশি বসে ওরা
একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে।

মন আজকাল রাত্রে বিছানার চাদরে তোর গন্ধ
অন্ধকারে হাতড়ানো সিলিঙের ছাদে ফুটো,
গড়িয়ে পরে টুপ করে বৃষ্টির নোনা জল
মনটা ভিজে যায় ,ছেলেটার চোখের পাতায় অজস্র স্পন্দন।
তুই রাতপরী আকাশ থেকে নেমে আসিস
কবিতার খাতায়,সাদা পাতায়।
তোর শরীর ধরে তিরতিরে নদী বয়ে যায়
আরো গভীরে কবিতার ছন্দে ,
আজকাল ঘুম আসে না ছেলেটার মন তোকে ছাড়া।

মন তোর ঠোঁটে স্তব্ধতায়
ছেলেটার জীবন পুড়ে যায় নানান ভূমিকায়।
ছাদের ওপর বৃষ্টি জলে রঙিন স্বপ্নে
তোকে জড়িয়ে ছেলেটা একলা সময়।
খুব হাসতে থাকে চিত্কার করে আপনমনে
তোকে ভালবাসে সে খুব গভীরে আকাশের মতো
কিন্তু ছেলেটা আরো কাছে তোকে পেতে চায়। 

Saturday, November 15, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

তোর স্পর্শ
................. ঋষি

তোর বুকের বা দিকে একটা তিল আছে
জন্মের আগুনে আজ সহস্র সূর্য ও শরীরে।
আমি জন্ম দেখিনি ,আমি মৃত্যু দেখিনি
তোকে ছুঁয়েছি  তোর খুব গভীরে।

তোর ঠোঁটের থেকে চুঁয়ে নামা তৃষ্ণা
আমার বুকের হৃদস্পন্দনে তুমুল দামামা।
তোর কপাল ছুঁয়ে চুলের অলিগলি
আমি ঘুরি ,ঘুরে মরি স্পর্শের অন্তরে।

তোর চেনা রিংটন,তোর চেনা স্পন্দন
আমার অচেনা দিনের  পুড়ে যাওয়া ছাই।
আমি বাঁচতে চাই ,আমি পুড়তে চাই
তোর গভীরে তোর স্পন্দনে।

কনে দেখা আলোয় তোর চোয়াল ছুঁয়ে
আশ্রয় নেমে যায় ,তোর গভীরে।
অচেনা আলোয় দুপুরের রৌদ্রে ক্লান্ত সীমানায়
তোর শরীর বেয়ে নামতে থাকে তৃষ্ণা।

এ তৃষ্ণায় লোভ নেই ,এ তৃষ্ণার মৃত্যু
অনন্ত সময় ধরে বয়ে চলা নদী বুকের ভিতর।
তির তির পারদের উষ্ণতায় বারুদের ঘ্রাণ
আমার চেতনায়  আজ তোর শরীরের।

তোর বুকের বা দিকে তিলের উপর আমার ঠোঁট
বেয়ে চলে কোনো নারী স্পর্শ মস্তিষ্কের আগুনে।
আমি জীবন দেখি নি ,দেখি নি সময়
আজ শুধু তুই ,আর তোর স্পর্শ আমার হৃদয়। 

rishi026@gmail.com

এমন বেঁচে থাকা
............... ঋষি

এমন একটা বেঁচে থাকা
যেখানে সাথে থাকা ,না থাকাটা কোনো বাধা নয়।
যেখানে জীবিত ,মৃত কোনো তফাত নয়
যেখানে প্রেম ,মায়া ,স্নেহ ,অভিমান ,অধিকার সব খাটো।
এমন একটা সম্পর্ক্য যার নাম নেই
কি শব্দে বাঁধবো বল এমন বেঁচে থাকা।

বাঁচতে চাই রে
খুব ভালো থাকতে চাই তোর সাথে।
সমস্ত দায়িত্বের পরে,সমস্ত অধিকার জড়িয়ে
কিছুটা অস্তিত্ব আমার ,তোর
ভালো থাকা ,বেঁচে থাকা তোর সাথে।
একমুহুর্তের হাসি ,অভিমান ,দুঃখ ছেড়ে বিশাক আকাশ
এক মুঠো মুক্তি দুহাত তুলে চিত্কার আকাশের দিকে।
ভালো আছি খুব ভালো তোর সাথে
আরো হাসতে চাই ,আরো হাসতে।

এমন একটা বেঁচে থাকা
যেখানে পাশে থাকা মানে একটা জীবন জীবিত।
যেখানে পাশে না থেকোও ভালো থাকা যায়
যেখানে কোনো বাঁধা নয় ,খোলা আকাশ আমার তোর।
এমন একটা সম্পর্ক্য যা যন্ত্রণার মতো পবিত্র
কি শব্দে বাঁধবো বল এমন বেঁচে থাকা। 

Friday, November 14, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

সেই বাড়িটা
................ ঋষি

কোনো গলিতে অর্বাচীন স্তাপত্যের মাঝে দাঁড়িয়ে
সেই বাড়িটা।
এক কালের নামজাদা কোনো নায়িকার বাড়ি
বাড়িটা দাঁড়িয়ে সেদিন থেকে।
যেদিন  প্রথম দেখা নায়িকা আর নায়কের
সে সাক্ষী।
এক জন্মের আতুরঘরের
আজ বহুদিন হলো নায়িকা নেই ,নেই নায়ক,
স্নেহ নেই ,ভদ্রলোক বিলেতে থাকেন।

গেট ঠেলে ঢুকলো কজন
বাড়িটা কান পেতে শোনে ওদেরি কেউ বলছে।
এই জায়গাটা বেশ গাড়ি রাখা যাবে
একটা ছোটো মানুষ ছুটে গেল বাড়ির ভিতর ,
পিছন থেকে মেয়ে লোকটা  বললো
বাবু দেখে ,পরে যাবি তো।
মনটা নেচে উঠলো বাড়িটার এখানে  আমার ঘর হবে।

সবাই চলে যাচ্ছে
কেউ একজন বললো দাদা একদম চিন্তা করবেন না ,
দু চার দিন লাগবে কাজ শুরু করতে
অনেকদিনের পুরনো ভাঙ্গতে যা সময় লাগবে।

বাড়িটা আনমনে বললো
আবারও ভাঙবে আমায় ,আর কিছুদিন।

Thursday, November 13, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

সেই লোকটা
.......... ঋষি

সেই লোকটা
যে সন্তানের কপালে চুমু খেয়ে ভাবে
ভীষণ জীবিত সে।

সেই লোকটা
যে প্রমিকার কপালে চুমু খেয়ে ভাবে
আরো কতটা জীবিত থাকা যায়।

লোকটার হৃদস্পন্দনে লোকানো শব্দ মহলে
সকল সম্পর্ক্য একটা স্পর্শের মত।
যার আয়নার মুখটা বারোয়ারী ক্লাবের বারোয়ারী পুজো ,
যাকে তার এক বান্ধবী বলেছিল
কতটা বিলোলি নিজেকে।
সে হেসেছিল বলেছিল
যতটা বিলোলে নিজেকে জীবিত রাখা যায়
আর যতটা জানলে নিজেকে মেরে ফেলা যায়।

সেই লোকটা
যার নামের অর্থে পার্থিব সকল শান্তির অবসান
ভীষণ  বাউলে সে।

সেই লোকটা
যার আয়নার মুখটা নিজের অস্তিত্বের কাছে
অস্থির পৃথিবী।

rishi026@gmail.com


বিশ্বাস
............... ঋষি

ভয়ংকর আগুনে পা দেওয়ার মত
তোর হৃদয়ে পা।
আমার আমিত্বের মাঝে খিড়কির জানলার শার্সিতে
কয়েকশো প্রশ্ন ,হাজারোবার মাথা খোঁটে
বিশ্বাস
যা আগুনের মত পবিত্র।

কলঙ্কময়ী  সীতা মাটি ছিঁড়ে ঢুকে যায় বুকে
বুকের মাটির অন্ধকারে নতুন জন্ম।
বসবাস কোনো  নারী ,তুমি বিশ্বাস
প্রেম তুমি নিশ্বাস।
আর কবিতা তুমি কল্পনা ,অথচ প্রেম নও
বিশ্বাসী নও।

এমন হয় সহস্র প্রাচীন লিপির অন্তরে
ক্ষরিত হয় স্নেহ ,অনুভূতি ,স্পর্শ।
যেখানে  হৃদয় মরে বারংবার
অথচ আশা জন্মায় বিশ্বাসে আগুনে পুড়ে ছারখার।
বিশ্বাস সে যে আগুনের মতো পবিত্র
শুধু শব্দ নয়।

জ্বালা ধরে বুকে যদি  ভাঙ্গা বিশ্বাসে কাঁচে রক্ত
অথচ শান্তি পায় ,বিশ্বাস খোঁজে।
পা বাড়ায় তোর হৃদয়ে বাঁচার আশায়
আরেকবার এক জীবন্ত সমুদ্র।
অসংখ্য ঢেউয়ের  আঘাতেও  অগ্রগামী প্রেম
বিশ্বাসে তোমার সাথে বাঁচার আশায়।


rishi026@gmail.com

বাজলো তোমার আলোর বেণু
.......... ঋষি

জানি বৈরাগী হৃদয়ের তারে
যে পাখিটা বসে আছে
তার নাম হৃদয়।

আগন্তুক সময়ের অজস্র হাতছানির পিছনে
যে সময়টা চলে গেছে ,কি নাম দেবো তাকে।

এমনতর শব্দের আগুনে বৈরাগীর কুলষিত হৃদয়
একতারা ,দোতারা ,তিনতারা।
কেমনে শোনায় হৃদয়ের তার
চেনা শব্দসুরে  দূরদর্শনের সকালের সেই সুর।
বুকের মাঝে বাজলো তোমার আলোর বেণু
মাতলো যে ভুবন।

আগন্তুক শব্দের মিশ্রনে প্রেম সেই কনে দেখা আলো
তোমার মুখ জড়িয়ে গেলো ,আরো জড়িয়ে।

জানি বৈরাগী সময়ের গন্ধে
যে পাখিটা আকাশ চায়
সে তোমার হৃদয়। 

rishi026@gmail.com

শহর এগোচ্ছে
............ ঋষি

শেষ রৌদ্রে ফেলে আসা বেলা
আমার শহরে।
শহর এগোচ্ছে যেমন পোড় খাওয়া কামারের হাঁপর
ওপারের সেই চেতনা বলছে
আমরা এগোচ্ছি।

অগনতি মাথা ,অজস্র পথে ,অজস্র শ্মশান
ধুলোধুসরিত আগুনে সদ্য ঘুম ভাঙ্গা যুবতীর চিত্কার।
শহর এগোচ্ছে সান্তনার বুকে মাথা
নিচের গভীর হৃদপিন্ডে কালি
আমরা এগোচ্ছি।

সারি দেওয়া বৃষ্টি ,অজস্র কোলাহল
সদ্য জন্মানো শিশুর বুকে সময়ের  ছুরি।
ঈশ্বরের খোল করতালে  ধার্মিক ভনিতার রুপকথা
লেখা হয় প্রাচীন শিলাখন্ডে ভন্ডামি
শহর এগোচ্ছে।

যেমনতর অশোকের শিলালিপির উপরে শান্তির ধবনি
ফুটপাথ ঘেঁষা কপোত কপোতির  খোলা সংগ্রাম।
দুমুঠো ভাত রান্না হয় বেকার ভাতার নামে
আমার শহর ,আরেকটু উন্নত
শহর এগোচ্ছে।

শেষ বার্ধ্যকের চামড়ায় ভাঁজ
চোখের ছানির আড়ালে অসংখ্য সভ্যতার বাস।
মুখের নিকোটিনে জড়িয়ে  নামে নেশা
সন্ধ্যে হলো আমার শহরে
আমরা এগোচ্ছি।

শেষটুকু অজানা নয় ,চেনা সময়ের ভিড়ে
আরক্ত বুকে কর্কটের রক্ত মুখে।
কোনো এক কর্পোরেসানের কেবিনে শুয়ে
শহর হাসছে ,এবার শান্তি বোধহয়
আমরা এগোচ্ছি।
  

Wednesday, November 12, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

বিশ্বাস শব্দটা
............. ঋষি

বিশ্বাস শব্দের আভিধানিক নোলকে আটকানো
অজস্র ঝরনার মতো স্তব্ধতা আমাকে ঘিরে।
ক্লান্ত পথিকের পায়ের তলায় চুর চুর বিশ্বাস জানতে চায়
বিশ্বাস আছে কোথায়,কোন হৃদয়ে
কোন গহীনে।
সে কি কোনো ঘর ছাড়া পাখি
কোনো বাউলে হৃদয় অথবা সোনালী রৌদ্র।
না কি চেতনার ভিড়ে অস্তিত্বের ঢেউ
কোথায় সে।

বিশ্বাস শব্দের জ্বলন্ত দাগগুলো  সব যন্ত্রণা
যেখানে স্মৃতিরা উচ্ছল ঢেউ।
লাভার মত আঁকড়ে থাকে শরীরের মাটি
বয়ে যায় গভীর থেকে গভীরে।
বিশ্বাস আছে কোথায়,কোন হৃদয়ে
কোন গহীনে।
সে কি শ্রাবনের প্রথম ধারা
মেটে গন্ধ ভালো লাগা অনুভব বেঁচে থাকা
জ্বলন্ত বিশ্বাসের সাথে।

RISHI026@GMAIL.COM

সেই মেয়েটা
............ ঋষি

আমি যে মেয়েটাকে ভালোবাসি
সে তুই নোস ,তোর মতো দেখতে অন্য কেউ।
প্রশ্ন করিস না ,কেমন সে
তোকে বলবো না ,
শোন সেই মেয়েটা তোর মতো দেখতে অন্য কেউ.

প্রশ্ন করিস না ,উত্তর দেব না
তাকে আমি কতটা ভালোবাসি।
শুধু জানি এই যে বেঁচে আছি ,এই হৃদস্পন্দন
শুধু তার জন্য।
আমার রাত্রি বিছানার শেওলা রঙের যে চাদর
তার জোত্স্নায় আমার স্বপ্ন সে।
আমার জীবনের ফুটপাথে ওয়ান ওয়ে ধরে যে হাঁটা
আমার সাথে সবসময়  থাকে সে।
ক্যাকটাসের অনুভূতির আগুনে যে জ্বলন্ত রক্ত
তার উত্তর সে।
তোকে বলতে যাব কেন ,কে সে
আর কতটা আমার।

আমি যে মেয়েটাকে ভালোবাসি
সে তুই নোস ,তোর মতো দেখতে অন্য কেউ।
প্রশ্ন যদি করতে হয় ,নিজেকে কর
তোকে বলবো না
শোন তোকে ভালোবাসি ,সেই মেয়েটাকে বলবো। 

rishi026@gmail.com

তুমি কি বলো
.... ঋষি

যারা কবিতাকে ধর্ম বলে
আমি তাদের ধার্মিক বলি।

যারা প্রেমকে ধর্ম বলে
আমি তাদের প্রেমিক বলি।

যার সময়কে ধর্ম বলে
আমি তাদের ইশ্বর বলি।

যারা হৃদয়কে ধর্ম বলে
আমি তাদের পাগল বলি।

যারা শরীরকে ধর্ম বলে
আমি তাদের পশু বলি।

যারা জীবনকে ধর্ম বলে
আমি তাদের জীবিত বলি।

যারা অর্থকে ধর্ম বলে
আমি তাদের লোভি বলি।

যারা মৃত্যুকে ধর্ম বলে
আমি তাদের স্বপ্নিল বলি।

যারা স্বপ্নকে ধর্ম বলে
আমি তাদের কাল্পনিক বলি।

যারা বাস্তবকে ধর্ম বলে
আমি তাদের মানুষ বলি। 

Tuesday, November 11, 2014

rishi026@gmail.com

আমাদের শহর
.................. ঋষি

কিছুটা উত্তাপ বিনিময়
আমার হৃদয়ে তুই যদি কোলকাতা হোস।
সাজানো শহর ,এক বুক প্রেম
আমি অলিগলি ঘুরি ,আর মরি।
রোজ তোর মাঝে আমার শহর।

কিছুটা সন্ধ্যের আগুনে তুই যদি ভিক্টোরিয়া হোস
পাথুরে হৃদয়।
আমি শান্ত গঙ্গা ,শত শব্দের মাঝে
বয়ে চলি তোর মাঝে
আমার কোলকাতা।

কয়েকশো শতাব্দীর সাজানো জাদুঘরে
তুই যদি মৃত মমি হোস।
আমি ডালহৌসির অফিস পাড়ার ভিড়
অজস্র পদশব্দ আমার বুকে
আমার শহরে তুই।

সকালের প্রথম আলোয় তোর মুখ
তুই যদি ফাঁকা ফুটপাথ হোস।
আমি ব্যস্ত ফুটপাথের জীবন্ত  কবিতা
পাতায় পাতায় বদলানো তুই
আমার কোলকাতা।

কিছুটা আগুনে শর্ত
আমার হৃদয়ে তুই যদি কোলকাতা হোস,
আমার বুকের উপর চলন্ত ট্রাম
অজস্র কোলাহল ,যন্ত্রণা
তোর শহর আমার কোলকাতা। 

RISHI026@GMAIL.COM

তোকে ছিঁড়ে দেখবো
............. ঋষি

তোকে ছিঁড়ে দেখবো একদিন
ওবুকে রাখা অজস্র যন্ত্রণার মাঝে।
খুঁজে দেখবো নিজেকে
কোথায় আমি ,কতটা যন্ত্রণার।

আসলে আমার কাছে ভীষণ স্পর্শীল তুই
সকালে ঘুম থেকে উঠি আমার শিয়রে তুই,
হাজারো কাজের ফাঁকে আমাকে জড়িয়ে রাখিস তুই।
বিকেলে চায়ের কাপে তোর ঠোঁট
তোর উত্তাপ আমার বুকে।
আমি হাঁটি ,তুই হাঁটিস আমার পাশে
হাঁটতে থাকি
গ্রাম থেকে শহর ,শহর থেকে দেশ তারপর বিদেশ।
সময়ের সাথে সময়ের ঘড়িতে আমার চামড়ায় ভাঁজ
সিগারেটের প্রতি রিং - এ তুই ভাসতে থাকিস ,
আর আমি হাসতে
তুই তো আছিস আমার পাশে।

তোকে ছুঁয়ে দেখব একদিন
এক নিশ্বাসে তোর হৃদয়ের চোরা কুঠরিতে খুঁজবো
আমার লুকোনো হৃদয় ,
কেমন আছে সে ,কেমন তোর সাথে। 

RISHI026@GMAIL.COM

আবারও হারায়
............... ঋষি

যে পথে যাব না ভেবে পা বাড়াই
আসলে সেই পথেই চলে যায়।
চলে যায় তোর সাথে মৃত্যুর ওপারে
কেন জানি নিজেকে খুঁজে পায়।

নিজে অন্তারলে তোর ঠোঁটের হাসি
গড়িয়ে পড়া অভিমানে স্নেহ।
আমি হেরে যায় বারংবার ,বারবার
তোকেও হারাই নিজের মাঝে।
আরো গভীরে যেখানে চলা শুরু
সে এক অচিন দেশ।
চলার নেই শেষ
তোকে পেয়ে ভালো থাকার।

যে পথে যাব না ভেবে নিজেকে বদলায়
নিজের অজান্তে কখন যেন তোকে পেয়ে যায়।
পা বাড়ায় তোর দিকে
আবারও হারাই।

RISHI026@GMAIL.COM

সোনালী শব্দ
........... ঋষি

আজ কিছু লিখি নি
আমার কলমের নিবে আটকে তোর মুখ।
লিখতে গেলেই ঝা চকচকে মার্বেল প্লটে আছড়ে পরি
আর কিছু আসে না মনে
শুধু দুঃখ, সুখ , অতীত তোকে জড়িয়ে।

কয়েকশো ফর্মুলা ওয়ানের রেসে যে গাড়িগুলো দৌড়োয়
সবাই জিততে চায়।
কিন্তু আমার কলমের নিবে নোনতা স্পর্শ
আমি যে হারতে চাই ,কিন্তু তোকে হারাতে নয়,
তাই তো বারংবার ফিরে আসি তোর কাছে।
আমার খেয়ালে আমি সেই ট্রেক ছাড়া গাড়ি
যার স্বপ্নে কোনো ফিনিশিং লাইন নেই।
যা আছে যতটুকু আছে শুধু রেস
যার কোনো হারা জেতা নেই।

আজ কিছু লিখি নি
আমার কলমের শব্দের গন্ডিতে বাঁধা,
কয়েকটা সোনালী শব্দ
যা আমি তোকে বলেছি বহুবার ,কিন্তু কেন জানি
তোকে আমি বোঝাতে পারি না।  

Sunday, November 9, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

পরিচয়হীন
............ ঋষি

পরিচয় চাস না
আসলে তুই যাকে চিনিস সে আমি নই।
আমার মত কেউ তোর হৃদয়ের
তুই যাকে চিনিস সে জীবিত নয়।
আমার মত মৃত তোর হৃদয়ের শব ঘরে
পরিচয় চাস না।

অসংখ্য সারি সারি স্তবকে সাজানো আমার সভ্যতায়
এ বুকে হাজার আগুনে লেখা তোর নাম।
কাছে আসিস না পুড়ে যাবি
কিন্তু আমি ,তোকে পোড়াতে চাই না।
আমি যে বাঁচতে চাই তোর হাত ধরে
তোর সাথে ,তোর বিশ্বাসে।

এমন একটা জীবন খুঁজে চলেছি
যেখানে প্রেম অভিধানের পাতায় পাতায় গভীরতা।
যেখানে শেষ বলে কিছু নেই
যেখানে জীবন বলে কিছু নেই।
যেখানে শরীর নেই ,যেখানে লজ্জা নেই ,নেই ভয় হারাবার
যেখানে শুধু শান্তি,শুধু বাঁচা তোর সাথে।

আমার পরিচয়  চাস না
আমি তো মরে গেছি কবে যেদিন প্রেমের জন্ম।
আমার ঠিকানা চাস না ,মৃত্যুর কোনো দেশ নেই
যতটুকু শুধূ বেঁচে থাকা তোর সাথে।
তোকে জড়িয়ে আমার পরিচয়  দৈনন্দিন জীবনে
পরিচয়হীন আরেক জীবনে।

RISHI026@GMAIL.COM

আবারও একটা মৃত্যু দিন
.............ঋষি

নিজেকে বোঝাতে বোঝাতে ক্লান্ত কেউ
তোর হৃদয়ের বারান্দায় পা দোলায়।
যখনি তোকে ছুঁতে চায়
তাই ,,,,এই শব্দটা  উপেক্ষার অবহেলায়
চিরে ফেলে নিজের  হৃদয়।

তাই ,তাই ,তাই
সময়ের ওপারে যায়।
যেখানে শুরু ,যেখানে শেষ
হোক না সে মৃত্যুর দেশ
আসলে মৃত্যু যে জীবনের ভূমিকায়।

বাড়তে থাকে বুকের পারদে আশা
মিথ্যে নয় এই ভালোবাসা।
জীবন ,যৌনতা মোড়া অসংখ্য শেওলার দেওয়াল
ঘষতে থাকে আমার মতো কেউ
জীবন্ত দত্তক আহ্বানে।

সময় যেখানে কাটানোর অছিলায়
বাড়তে থাকা বয়সে চামড়ার বেরঙিন কাগজ।
বাস্তবে যেটা দেখা যায়
যত টুকু বেঁচে থাকা যায়
দৈনন্দিন তাকে ছোঁয়া যায় না।

নিজেকে বোঝাতে বোঝাতে ক্লান্ত কেউ
উঠে দাঁড়ায় তোর হৃদয়ের বারান্দার রেলিঙে।
ভাসতে থাকে পাখির পালকের মত
নামতে থাকে অনেক নিচে
আবারও একটা মৃত্যু দিন।

RISHI026@GMAIL.COM

অন্য সভ্যতায়
.............. ঋষি

কয়েকশো আকর্ষণ নিয়ে
পৃথিবীর বুকে ছুঁটে আসে যে অস্তিত্ব।
সে আসলে ছুটে যায় তোর বুকে
তোর হৃদস্পন্দনে রাখা অসংখ্য সিম্ফনি
সে আশ্রয় খোঁজে বাঁচার আশায়।
আসলে হেরে যাবার বাইরে জীবনটা আদুরে
সে আদর খোঁজে।

আদুরে ভীষণ আদুরে
আদুল শরীরে বৃষ্টি ভেজা শাওয়ারের  সভ্যতায়।
সে  জলের ফোঁটা গড়িয়ে যায় তোর নাভিতে
তুই মুছতে থাকিস ,যেন সে  নোংরা কাদা,
তুই সরতে থাকিস ,যেন সে  কবিতার সাদা পাতা।
কিন্তু এভাবে সরা যায় না
কিন্তু এভাবে দূরে রাখা যায় না।
সব মিটে যাবে একদিন আকাশের বুকের নীলে তোর ঠোঁট
তোর অস্তিত্ব বিলীন তার বুকে।

আসবে সে
ভেঙ্গে দেবে কোনো মেঘলা দুপুরে তোর হৃদয়ের দরজা।
তোর নাম নিয়ে চিত্কার করবে পৃথিবীর দিকে মুখ করে
ছুটে এসে  সোজা ঢুকে যাবে তোর বুকের এপার ,ওপারে।
তোর পাথুরে বুকের ঘর্ষণে জ্বলবে আগুন
সেদিন সভ্যতার পথ চলা শুরু তোর হাত ধরে
আবারও কোনো অন্য সভ্যতায়। 

rishi026@gmail.com

যদি পারো
............ ঋষি

যদি পারো ফিরে এসো তুমি
যেমন ফিরে আসে বসন্ত ঘুরে ঘুরে,
যেমন ফিরে আসে স্মৃতি মনের চিলেকোঠায়।

আকাশ জুড়ে সাদা পায়রার সারি
বাক বাকুম ,বাক বাকুম ,বাক বাকুম।
হৃদয় কোষে জমানো অনুভূতিতে অসংখ্য ইচ্ছা
হৃদয় যে আকাশ ছুঁতে চায়
হৃদয় যে ভালবাসতে চায় ,তোমাকে জড়ায়।

একটানা বৃষ্টির পর মেটে গন্ধ জীবনের
সমুদ্রের তটে ঘোরে ফেরে নোনা স্পর্শ হৃদয়ের।
মাঝে মাঝে তলিয়ে যেতে চায় ,মিশে যায়
খুব গভীরে কোনো ওয়ান ওয়ে ধরে।
মনের চিলেকোঠায় জীবনের সারি সারি মেঘ
একলা আকাশ আমার গভীরে।

আকাশ জুড়ে মেঘলা মনের সারি
সাদা পায়রারা সব শান্তির আদরে মিশে।
নেমে আসে ,একের পর এক ,একের পর এক
ফিসফিস কানের কাছে সর্বত্র ,
আমি আছি  তুমি আছো তায়।

যদি পারো ফিরে এসো তুমি
আমার হৃদয়ের না বলা কবিতায়
প্লিস একবার বোলো ,আমাকে ভালোবাসো।


Saturday, November 8, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

অদ্ভূত না
.............. ঋষি

তোর ফোনটা কেটে গেল
বুঝলাম তুই নেই সাথে।
কিন্তু ভাব সাথে থাকা মানে পাশে থাকা কি
আর পাশে মানে সাথে।
কিন্তু আমি যখন হাঁটি ,তুইও হাঁটিস পাশে
আমি যখন ঘুমোয় ,তোকে জড়িয়ে ঘুমোয়।
তুই যা যা করিস ,আমিও করি তাই
অদ্ভূত না।

কি এসে যায় একটা ফোন কেটে যায় ,
কি এসে যায় যদি যদি তোর স্পর্শ না পায়।
তোকে ছুঁয়ে কি শুধু তোকে পাওয়া যায়
আমি বিশ্বাস করি না।
দূরে থেকেও তোকে পাওয়া যায়
দূরে থেকেও ভলোবাসা যায়।
এমনকি ভালোবাসার  প্রয়োজনীয় সবকিছু
অদ্ভূত না।

আমি বেঁচে আছি ,তুই বেঁচে তাই
আমি ভালো আছি ,তুই সাথে তাই।
এই জীবনে কোনো হাহাকার নেই ,ভীষণ শান্ত
যেমন শান্ত তোর ভূমিকায় আমার জীবন।
যেমন আমার জীবনের ভূমিকায় তোর স্পর্শ
ভীষণ গভীরে তোর হৃদয়।
ভীষণ স্পর্শে আমার তুই
অদ্ভূত না। 

RISHI026@GMAIL.COM

আসলে ভালোবাসা
.............. ঋষি

আসলে ভালোবাসার কোনো  ইট ,পাথর নেই ,সময় নেই
মাঝে ,মাঝে আমার এমন মনে হয়।
যেদিন বৃষ্টি আসে ,যেদিন আসে না ,কোনদিন ,একমুহূর্ত
আমি তোকে ছাড়তে পারি না।
যেদিন তোর কথা হয় ,যেদিন হয় না
তবু আমি তোর সাথেই কথা বলি সবসময়
আসলে ভালোবাসা ছাড়া জীবন হয় না।

সেদিন তুই বললি ভাব আমি কোনো কল্পপরী
আমি হাসলাম ,ভীষণ হাসলাম।
ভিজে সিফন শাড়িতে তোর হৃদয়ের গন্ধ
ভিজে মাটিতে তোর শরীরের গন্ধ।
আমি পাগল হলাম ,আমি জীবিত হলাম
ভীষণ কাঁদলাম তোকে জড়িয়ে।
তুই চলে গেলি ,আমি যেতে দিলাম না
তোকে বন্দী রাখলাম হৃদয় ঘরে।
তোকে ভিজিয়ে রাখলাম সময়ে ঘরে
আসলে ভালোবেসে কখনো শুকনো হয় না ।

আসলে ভালোবাসার কোনো পরিচয় নেই ,সীমানা নেই
সে আটলান্টিকের গভীর জলে তোর চোখ,
সে সময়ের অসীম শরীরে হৃদয়ের গন্ধ।
আমি  তোকে ছাড়তে পারি না
আমি তোকে একা রাখতে পারি না।
তাইতো তোকে জড়িয়ে ধরি বারংবার ভালোবেসে
কিন্তু কতটা ভালোবাসি তোকে বলতে পারি না। 

RISHI026@GMAIL.COM

সেই মেয়েটা
......... ঋষি

সেই মেয়েটা যাকে আমি দেখতে পায়
আমার প্রতিটা বিকেলবেলা।
কোনো ম্যাগাজিনে গড়িয়ে যাওয়া শব্দের ঘনঘটায়
অসংখ্য কবিতায় ,পথে ঘাটে,এই জীবনে
ভীষণ একা সে।

আমি চিনি থেকে ,আজ থেকে নয় জন্ম থেকে
মনে হয় আমার রক্তে সে।
সমস্ত বিলাসিতার পর তাকে একটা নাম দিয়েছি
আমার জীবনে বৃষ্টি সে।
রোজকার  পথচলায় ,রোজকার বেঁচে থাকায়,
সমস্ত অস্তিত্বের বাইরে,
ভীষণ রকম আমার সে ,ভীষণ একার।

যখনি বৃষ্টি নামে আমি ভিজতে থাকি
যখনি একলা থাকি ,তখনি আমি তাকে ডাকি।
আসলে কেউ জানে না ,
আমার গভীরে মিশে সে।
কেউ জানে না ,কেউ জানে না
আসলে আমি বেঁচে আছি তাকে ঘিরে ,সে আছে বলে
আমি মরে গেছি তাকে ছুঁয়ে ,তাকে  ভালোবেসেছি  বলে।

সেই মেয়েটা যাকে আমি খুঁজি আমি আমার কফি কাপে
কফির প্রতি চুমুকে তার ঠোঁট ,তার স্পর্শ,
আমাকে শীতল করে যায়।
কানে কানে ফিসফিস ,হৃদয় মাঝে তুলকালাম
ভীষণ একা সে ,আমার মতন। 

RISHI026@GMAIL.COM

একদিন
.......... ঋষি.

আমি জানি তুমি আছো
হাজার পথচলায় ফুটপাথ ঘেঁষা সামান্য জীবনে।
কোথাও ,কখনো ,কোনদিন ঠিক সময় হবে
ঠিক সময় তোমার আমার বাঁচবার।

একদিন এমন হবে তোমার সামনে আমার কবিতা
যে কথা বলা হয় নি তোমায়।
দুদন্ড তোমার চোখের স্বপ্নে আমার জীবন
যে জীবন বাঁচ নি তুমি।
এক দিন এমন এমন হবে তোমার হাতের সাথে হাত
জোত্স্না বেলার অজস্র অনুরণন হৃদয় জুড়ে
সময়ের সাথে আমাদের বাস।

হয়তো বা কুড়ি বছর পরে ,হয়তো বা মৃত্যুর
সময় থাকে না থেমে।
নদীর মতন ভরা জোয়ারে হৃদয় নদীতে প্লাবন
চারিদিকে তুমুল বৃষ্টিতে হৃদয়ে নোনা শ্রাবন।
কিংবা কবিতার পাতায় স্নেহের মত পবিত্র তুমি
 তুমি আছো ,কোথাও আমি ,
কিন্তু একদিন তোমার আমার একসাথে।

আমি জানি তুমি আছো
হাজারো মানুষের ভিড়ে ,খুব চেনা ওই মুখখানি।
কোথাও ,কখনো ,কোনদিন ঠিক দেখা হবে
হৃদয়ের ঘরে ,চেনা পৃথিবীর স্বয়ংবরে। 

অবান্তর

একটা নির্জন বিকেলের সাথে আছি   এইমাত্র ঝুপ করে কফির কাপে সন্ধ্যে নামলো শহরে  শহরের রাস্তায় ডেসিবেলের হিসেবে এই সব অবান্তর  অবান্তর শহরের ভিড়...