Sunday, October 19, 2025

তাহাদের কথা

কারা ? 

.

কারা হাসে রোজ মোগলাই আর চাউমিনে? 

কারা আরও ভিখিরি দিন প্রতিদিনে। 

.

কারা কাজ করে?  কারা দেখায় কাজ করে

কারা সময় গড়ে?  কারা দেখে সময় গড়ায়

আমি তাদের কথা লিখি, আমি তাহাদের কথা লিখি। 


আমার শহরে কারা কাঁদে?

আলোকমন্ডিত প্যান্ডেলের গ্ল্যামারে  কারা ভাসে? 

বছর বছর সুখের অসুখ

শুধু স্বপ্নের দিন গোনা ক্যালেন্ডারে প্রতি মাসে । 

.

কারা ঘুমের বালিশে হারায় পথ মিনিবাসের ভিড়ে?

ভগ্নপ্রায় শহরের জানলায় চরা মেকআপে

কারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্বপ্ন বাঁচাতে সংসার ঘিরে? 

কাদের দৃষ্টিতে দীর্ঘশ্বাস আর বিশ্বাস সুদিনের

এ শহর বাঁচে কিন্তু মরে হাজারোবার প্রতিদিনে ?

.

আমাদের প্রবল উদযাপন,

একাকিত্ব মধ্যবিত্তের, আনুগত্য গোপনীয়তার

আমাদের সুখের অসুখ আর দিনযাপন। 

এক শহর উষ্ণতা ছুঁয়ে কারা হাতে  হাত দিয়ে বসে

কারা দেখে ?কারা হাসে? ভালোবাসে কারা?

কারা মনমিলান্তি খেলা করে ময়দানের ঘাসে।

.

কারা উদাসীন আমাদের সশব্যস্ত শহরে?

সম্পর্কের ফুটপাথে কারা দাগ টানে বাঘবন্দি খেলা?

কারা পোশাক পরেও উলঙ্গ শহরের পথে 

কারা পোশাক ছাড়াও রাজা এ শহরে সারা বেলা ? 

কারা কবিতা লেখে?  কারা কবিতা রক্ত দিয়ে লেখে

আমি তাদের কথা লিখি,আমি তাহাদের কথা লিখি

যাদের না লিখলে এ শহরে দিনবদলায় না।


তাহাদের কথা

ঋষি 


Wednesday, October 15, 2025

অ নি শ্চ য় তা



কি অনায়েসে ভাগ হয়ে যায় মানুষগুলো
ভাগ হয় দেশ, ভাগ হয় সম্পর্ক,ভাগ হয় ইতিহাস
হিস্যা বয়ান করার জন্য ভাগ হয় মা, বাবা 
অনায়েসে ভাগ হয়ে যায় উপাসনালয়,
ফুটবল মাঠ থেকে পুরনো জমিদারি,সময়ের হাঁড়িকুঁড়ি 
সবার মাঝে ভাগ হয়ে যায় ঈশ্বর 
ইদানীং তো প্রেমাংশু আর প্রিয়ংবদারও ভাগের সংসার।
..
ভাগাভাগি হয়ে যায় সরিকি বাড়ির হেঁসেল,
ফুটপাথে হকারির টেবিল, নেতাদের হিস্যা
উঁচুতলার কুর্সি থেকে নিচুতলার রুটি
আম থেকে আমসত্ত্ব,  
অনায়াসে দেওয়াল ওঠে জীবনে
ভাগ হয়ে যায় সম্পর্কের পুকুর আর বাঁশবন
ভাগ হয় মি-টু,  উই-টু আর লাল নীল আকাশ।
.
সমস্ত ভাগ হয়
তবু ভাগ করা যায় না মনের মানুষ
তবু ভাগ করা যায় না স্বপ্নের মুহুর্তের গন্ধগুলো।
ছেলে বেলায় রামদিন ফকির বলতো 
হামলোগ খুদাকে বন্দে হ্যা
লেকিন খুদাকে হিস্যেমে ভি লকিড় খিচতে হ্যা। 
আসলে অনায়াস এই ভাগাভাগিতেই আমরা জীবন্ত
কবিতার ভাগে তো ইদানীং বেবুশ্যা লেখা হয়
সময়ের কালিমায় শব্দরা সীমানার ভাগাভাগিতে।
সত্যি হলো,  জানি না আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে
তবু তোমাদের মুখে আমার শোনা
হ্যাম সাথ সাথ হ্যা,
তবু  কোন গোপন মুহুর্তে তোমার ঠোঁটে শোনা
আমি তোকে কাউকে দেবো না
না ভাগ,না যোগ, না বিয়োগ
সবটাই আমার। 
.
তবে আমি জানি ভাগের পৃথিবীতে জীবন ভগ্নাংশের
আর তার প্রতিটি অংশে লুকিয়ে অনিশ্চয়তা। 
.
অ নি শ্চ য় তা
...ঋষি 

Thursday, October 2, 2025

শেষ শব্দটা

শেষ শব্দটা 
... ঋষি 
.
শেষ শব্দটা লিখতে লিখতে ইদানিং এক  বিষন্নতা 
একে একে শেষ হওয়া প্রতিবাদ ,প্রতিফলন ,অভিমান 
কিছুই স্থির হয় না এক জীবনে ,
বাড়তে থাকা দূরত্ব ,ক্রমশ এগিয়ে আসা নৈকট্য 
মৃত্যু ,জন্ম ,ভয় কিছুই ফুরোয় না। 
.
বছরান্তে সেই কাশফুল,মায়ের মুখ ,ধূসর হতে থাকা স্মৃতি 
হাজারো ভুলের মাঝে একলা দাঁড়িয়ে দেখি 
পৃথিবীটা চলছে চলন্তিকা  ,
শুধু থেমে যাওয়া মুহূর্তে নিরন্তর কিছু আকুলতা 
কাঁচের গা বেঁয়ে গড়িয়ে নামা বদলানো কেউ 
ভালো লাগে না কিছুই ,
তবুও বলা ভালো থাকতে হবে কোনো কবিতার মতো 
চিরদিন তো আমি শুধু সত্যি হতে চেয়েছিলাম। 
.
বড্ড ব্যস্ততা মোড়া এই পৃথিবীতে কেউ দাঁড়ায় না 
সকলেই শুধু এগিয়ে যাওয়ার জন্য হাত বাড়ায় 
সাদা কালো দিনের মতো কিছু মুহূর্তরা স্থির 
কিছু অস্থির 
হাজারো মুখের মিছিলে ,কিছু মুখে শুধু অপ্রাপ্তি 
কিছুতে অশান্তি। 
এইবার একলা পরে থাকা সব পুজোমন্ডপ  
রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড ,মায়ের সিঁদুর মাখানো মুখ 
সব হারাবে ,আবার হয়তো বদলাবে মুখগুলো 
কিছুই দাঁড়াবে না 
থামবে না 
শেষ শব্দটা লিখতেই হবে ,
তবুও তো চলন্তিকা তোমাকে বলতেই হবে শুভ বিজয়া 
বলতেই হবে তোমাদের ভালো থেকো সকলে 
শুধু মানুষের অপেক্ষেরা বদলাবে না।

Tuesday, September 23, 2025

তথাপি

অন্ধকার খুঁড়তে খুঁড়তে মশা, মাছি সব পেলাম
তবুও কই জীবন পেলাম না
সম্পর্ক খুঁজতে খুঁজতে ভালোবাসা খুঁজতে গেছিলাম
শরীর, মাংস সব পেলাম
 তবুও সেই মানুষ পেলাম না। 
.
অথর্ব হাহাকার
এক সন্ধ্যায় কবিতার পাতায় চলন্তিকাকে লিখেছিলাম
হয়তো স্বপ্ন হয়তো আশায় 
চলন্তিকায় বেঁচেছিলাম,
তারপর সে এলো, রৌদ্র এলো বুকে
অথচ গত রাতের বৃষ্টির জমা জলে সব ভেসে গেলো 
তারপর আজ সন্ধ্যায় আবার ষোলোকলা পুর্ণ
বুঝেছিলাম অনেকদিন 
আজ আবার নতুন করে জানলাম
বৃষ্টির ঝাঁপটায় চলন্তিকা ঝাপসা হলো। 
.
ও জীবন রে
ছাড়িয়া জাস নে মোরে,
এ কি কথা ? 
তথাপি সব কথা সবাইকে বলতে নেই
তথাপি সব সব কথা আমাকেও বলতে নেই
তথাপি একলা বৃষ্টিতে সবাইকে ভিজতে হয়
তথাপি বিশ্বাস করতেই হয় জীবন। 





Wednesday, September 17, 2025

কাটাকুটি

নিমেষে ভাবনার রং ক্রমশ সাদা ফ্যাকাসে 
কোনটা নির্মুল কোনটাই বা মূল 
ভাবতে ভাবতে চল্লিশের চশমায় চালশে,
যোগ সংকেত,মায়া,ফ্রেম সহ মালা ঝোলানো ছবি
সম্পর্কের দাগে অজস্র কাটাকুটি,ভুলের গল্প
বদলানো কবিতায় রাস্তার পার্কিং-এ ভালোবাসা ঘুমিয়ে
সামনের জেব্রা ক্রসিং ওপারে গন্তব্য। 
.
ভালোবাসা কারণ হলে সম্পর্ক সংংবিধান
ভালোবাসা ভালো রাখা হলে সম্পর্ক আকাশের পাখি
অথচ অমুকের কবিতা তমুকের বিশ্লেষণে
লাল কলমের নিবে শরীর এসেই পরে,
তারপর শহরের মরশুমে কেমন জানি একলা সেই গল্প
একলা হারাবার গল্প
পকেট থেকে ঝরতে থাকা প্রতিদিন। 
.
ঋতু গড়িয়ে, বছর গড়ায় 
চামড়ার কোলাজে কেমন জানি একলা সম্পর্করা
আসলেই সকলেই জোকার নিজেদের সার্কাসে
শুধু জায়গা বদলায়, বদলায় তাঁবু। 
ভালোবাসা একলা হলে নখ দিয়ে খুঁতখুঁত করে হৃদয়
আকাশের দরজায় একলা দাঁড়িয়ে সেই মানুষ
খুঁজে নেয় বোঝাপড়া 
তারপর মিসিং লিংক আর  সেই পুরাতন ইতিহাস
মানুষ হওয়ার গল্প
সম্পর্ক আসলে ইনফ্যাচুয়েশন
আর ভালোবাসা হলো বারংবার কমবেশি প্রাক্তন। 
.
কাটাকুটি 
....ঋষি 

Saturday, September 6, 2025

হ্যালো টেস্টিং

হ্যালো টেস্টিং, হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো
শুনতে পাচ্ছিস, সরি শুনতে পাচ্ছেন
আপনাকে, তোমাকে, তোকে দূর থেকে ভালোবেসেছি
ভেবেছি ভেতরের ঘরটা শুধু আমার
ধুর এ কবিতা প্রেমের নয়
এ তো সময়ের মতো জালি,
এখনও বুঝতে চাইছি অমরতা না মৃত্যু কোনটা কাম্য
তুমি ভালো কথা বলতে পারো
তবু তুমি সাধারণ কারণ আমাদের কথা ফুরিয়েছে। 
.
হাততালি, হাততালি,হাততালি
ছায়া মানুষ কিংবা মানুষের পাশে ছায়া 
দু চারটে লারেলাপ্পা গান 
একই সুর, একই তান 
আমরা তো ভালোবাসার চিৎকার শুনি না। 
কারণ ভালোবাসলে চীৎকার করতে নেই
বলতে নেই
শুধু অপেক্ষার কড়ি জমাতে জমাতে মরতে হয়
মরে যেতে হয়।
.
ডাক্তার বলেছেন নিয়মিত কুলেখাড়া খেতে
শরীরে নাকি রক্তাল্পতার প্রথম সূচনা, অধিক নয়
ডাক্তারকে ঈশ্বর ভাবার দেশে
আমার ঈশ্বর তুমি,
একটা মৃত্যুমুখী সম্পর্কের সাথে শুয়ে
ভাবতে ইচ্ছে করে না কুলেখাড়া নিরাময় আনে
বরং বলতে ইচ্ছে করে
বদলানো তুমিটা কবে আমার সাথে ভালো থাকবে ? 
আর আমি কবিতায় আবারও লিখবো
চলন্তিকা আমার প্রেমিকা।
.
হ্যালো টেস্টিং 
ঋষি 

Friday, August 22, 2025

তোমাকে আমি যতটুকু চিনি

তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না
মাঝরাস্তায় ইদানীং হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ি
ভুলে যায় নিজের ঠিকানা
তারপর হঠাৎ ভুলে যাওয়া থেকে একলা দাঁড়িয়ে বুঝি
ভুল আর ঠিকের মাঝখানে ভালোবাসা দাঁড়িয়ে
সে যেন নিশ্চল পাথরের প্রতিমা। 
.
রাত তিনটের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ঠাই আমি বৃষ্টি গুনি
আমাদের হিমেল সময়গুলো মুছে যায় 
বড্ড ভ্যাপসা লাগে,
তোমার পাশে দাঁড়িয়ে ইদানীং নিজেকে বেমানান লাগে
মনে হয় তোমাকে ভীষন অচেনা। 
চেনা আর অচেনার গল্পের মাঝে সময় চিৎকার করে
দাঁত নখ নিয়ে মৃত মুহুর্তরা ছোঁক ছোঁক করে
রাধে বাড়ে,
আমার মুখে দুমুঠো খিস্তি তুলে দেয়। 
.
আসলে খিদেরা বড় অদ্ভুত
বড় অদ্ভুত তোমার প্রফাইলে বদলানো চরিত্ররা
তুমি অস্থির, 
তাই ইদানীং তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না।
.
যে বীজে ঝপ করে অসুখ চেপে ধরে
যে বীজে আঁতুড়  থেকে মৃত্যু  খেলা করে
সেখানে তোমার পাশ বদলায়, মাস বদলায়, বদলায় সময়,
চিনে জোঁকের মতো আমার স্বভাব 
পরিণত অভাব 
দাঁড়িয়ে তোমার রাস্তায়
সম্পর্ক আর যন্ত্রনা সেখানে অসহ্য অথচ অসহায়
তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না ইদানীং। 
.
তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
... ঋষি 

তাহাদের কথা

কারা ?  . কারা হাসে রোজ মোগলাই আর চাউমিনে?  কারা আরও ভিখিরি দিন প্রতিদিনে।  . কারা কাজ করে?  কারা দেখায় কাজ করে কারা সময় গড়ে?  কারা দেখে সময়...