Saturday, April 27, 2024

এইটুকু আলোর জন্য

ঈশ্বরকে বলি ম্যাজিক চাই 
বলি মানুষে ঘরে বন্ধ দরজার শহরে আলো চায়
চায় শুভেচ্ছা ,চায় পবিত্রতা 
আর  সত্যি ,
বহুবার ভেবেছি সিগারেটের আগুনে পুড়ে যাক আমার সমস্ত পাপ 
হৃদয়ের অন্ধকার  ঘরে জমুক বিস্ফোরক নিকোটিন। 
.
বহুবার চেয়েছি 
একদিন সেই হৃদয়ে জমা নিকোটিনে  বিস্ফোরণ ঘটুক  এই শহরে 
সেদিন আমার পচা,গলা ,ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ থাকুক শব্দদের পাহারায় 
সেদিন " তুমি " শব্দটা কবিতা হয়ে একটা ভাইরাল হোক  শহরে, 
সেদিন সংসার পাতুক  সময়ের ঘরে কোনো বেওয়ারিশ সুখ। 
সেদিন প্রেমিক বুক পুড়ুক মৃত ম্যানিফেস্টোর  ভিড়ে
সেদিন সারা শহর জুড়ে ধর্মঘট হোক 
দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার 
কোনো নোংরা রাজনীতি নয় ,কোনো বিশ্বাসঘাতকের খুন নয় ,
শুধু মানুষ ,শুধু আলো 
আরো আলোর  ..........জন্য । 
.
একটা ম্যাজিক ,একটা চৈতন্য 
কিছুটা শব্দ নিংড়ে তোমার কানে পৌঁছোক আমার কবিতা 
কোনো মঞ্চ নয় ,কোনো আবৃত্তি নয় ,কোনো কণ্ঠ নয় 
কোনো কবিত্ব নয় ,কোনো কবিতার বই নয় 
শুধু তুমি ,
শুধু তুমি সেদিন এক ফোঁটা কবিতা লিখো তোমার চোখের পাতায় 
সেদিন না হয় বুঝো আমায় 
বুঝো সময়ের থেকে সত্যি কবিতা ঈশ্বরও লিখতে পারেন না 
পারেন না করতে ম্যাজিক 
" আ লো "।  
.
এইটুকু আলোর জন্য  
... ঋষি

Friday, April 26, 2024

অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই
আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি
বেঁচে থাকবো বলে,
আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না
শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অবসরে সকলেই একবার অন্তত চেষ্টা  করে
খসে যায় পাখির পালক
তবু আমাদের কবিতাগুলো জন্মায় নিয়মিত দিনান্ত লিখবে বলে। 
.
সাধারণ  আমরা শুধু গভীরতা আগলাতে থাকি
গভীরতায় আগুন লাগে 
আগুনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমাদের আর মনে থাকে না কবে,
অভ্যাস হয়ে যায় যন্ত্রনার।
শুরুয়াত সকলের একটা থাকে,তবে সময়ের  
আর মনে রাখে না কেউ
সময়  এক জাদুকর শুধু অভ্যেসে দাঁড়ায়
গিলি গিলি গে এক অভিনয় এক অজানা মঞ্চে। 
.
আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই
আমরা আগামী বা অতীতে যাই ভাবতে বসি
একনাগাড়ে খালি ঘর 
ঘরের ভিতর কে বা কারা ছিল আর জানতে ইচ্ছে করে না।
ভাবলেই তো শাড়ির কুচির মতো অসংখ্য না পাওয়া
তাই দিন কেটে যায়,কাটুক না
আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি
বেঁচে থাকবো বলে। 
.
অনবদ্য কবিতা
.. ঋষি 

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল 
দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের 
তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী 
তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদি মুছে নিতে পারতাম ,
যদি পারতাম সমস্ত ধরা - ছোঁয়ার বাইরে দাঁড়িয়ে এঁটো ,কাঁটা  সরিয়ে 
নোংরাগুলো ডাস্টবিনে ফেলতে ,
আমার কাছে তো বহুদিন পুরোনো মাছের কাঁটা আর বাসি ভাত 
পাঁচটা কাক আর কয়েকটা বেড়াল পাঁচিলের উপর। 
.
হাতের রেখাগুলো মানুষের  আয়ু বলে দেয় 
বলে দেয় গল্পের উপর দাঁড়িয়ে সমস্ত মানুষের বাঁচতে চাওয়া 
আমি বিশ্বাস করি ভাগ্য থেকে স্বাধীনতা ছাঁটার পর মানুষের দেওয়ালে পিঠ 
তখন পুরুষগুলো সব মানুষ খেকো  বাঘ আর মেয়েমানুষ হলো বাঘের মাসি ,
আমি বারংবার দেখি  ওখানে কাঁটাতার ,জবদস্ত বর্ডার পাহারায় জবান 
আর নো ম্যান্স ল্যান্ডের উপর সময়ের লুঙ্গি ড্যান্স ,আমাদের চড়ুইভাতি 
অভিনয় থেকে অভিধানশূন্য শব্দগুলো 
ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে শুয়ে থাকে তোমার ক্লান্তির চোখে ইদানিং। 
.
তোমাকে ধন্যবাদ  দেবার সাহস আমার নেই 
আমার পকেটে লুকোনো অজস্র ব্যাকরণ ,
তবুও  অদ্ভুত হলো তোমার বুকের গন্ধটা এখনো একটা ঘর  
নেশাতুর অবিকল একটা আয়না।
এখানেই আমি মেয়েমানুষ হয়ে যায় তোমার কাছে 
লিঙ্গের কাছে ক্ষমা চেয়ে নি নির্দ্বিধায় 
তোমার চোখ থেকে গড়িয়ে নামা প্রতিটা জলের বিন্দু 
কারণ খুঁজতে প্রতিবারে বেওয়ারিশ হয়ে ঝরে আমার মৃতদেহে । 
.
মধ্যবর্তী  
... ঋষি

Wednesday, April 24, 2024

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই
আমি তুমি হয়ে যাই
তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম
কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি 
হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল, কড়াইয়ে তেল 
সবকিছু হিসেবমত হয় না আমার মত অনভ্যস্ত হাতে
শুধু মন লিখে ফেলি কবিতার পাতায়। 
.
আমার দুপুরের কবিতায় আমি ভিজে চুল বিছিয়ে 
একটু গড়াই,
মুঠোফোনটা হাতে নিয়ে খুঁজি পুরনো বন্ধু
একটু খবর নি, কুশল বিনিময়ে,
তখন আমার কবিতার পাতায় শব্দরা আমার সন্তান 
আমার পাশে ঘুমোয়
হঠাৎ আনমনে থাকতে, থাকতে
আমিও কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি । 
.
বিকেলে খোলা ছাদে গিয়ে দাঁড়াই
পড়ন্ত রৌদ্র বুকে মনে করি ভালোবাসার শব্দ
পাখিরা বাড়ি ফেরে তখন, সন্ধ্যে নামে
উলু দিয়ে শাঁখ বাজাই,আমি কবিতাকে প্রণাম করি
তোমার বাড়ি ফেরার সময় হলো তবে। 
তুমি এলে চায়ের কাপটা এগিয়ে খুলে বসি দিনান্তের সংসার
কিছুক্ষন, তারপর চোয়ালে হাত দিয়ে বসি
বড্ড ক্লান্ত লাগে,কখন যেন রাত হয়ে যায় কবিতায়। 
.
তারপর সন্তানের পড়া, রাতের খাবার, আমাদের সংসার
কবিতায় মাথা রাখি, 
সারাদিনের ক্লান্তির পর কবিতার পাতার ঘুম নেই
ক্রমাগত চলতে থাকে কলম, 
কখন যেন তোমার মত কবিতাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ি
ঘুম ভাঙে, নিজিকে আয়নায় দেখি 
খুঁজে পাই নিজেকে আবার রোজনামচায়
কিন্তু সত্যি হলো আমার কবিতা পেলেই
আমি তুমি হয়ে যাই,আর আমার কবিতারা আমি। 
.
একটা কবিতা আমি তুমি
.. ঋষি

ওয়েল পেইন্টিং

কথাগুলো জটিল নয়, শুধু যন্ত্রনার
আসলে আমার মধ্যে কতটা আমি এখনও অজানা
আর অজানা শব্দটা সত্যিএকটা রোগের নাম,
এ ঠোঁটের তৃষ্ণা নিয়ে ক্রমাগত মহামারী সময়
অথচ স্মৃতির সিঙ্গেল মগের ঠোঁটে তোমার ঠোঁট
এক অপরুপ নির্লোভ পেইন্টিং
যেখানে নিখোঁজ এই গোলক, এমনকি আমাদের উপস্থিতি। 
.
যেদিন কুরুক্ষেত্রকে তুমি বলে জেনেছি
সেদিন দু:খ থেকে হেঁটে গেছি ভালোবাসার ষড়যন্ত্রে, 
তারপর মুগ্ধতার স্যাটেলাইট, তুমি আলো, আলোকবর্ষ
নির্বাসনে আমি,
আজ ঈশ্বর এবং স্মৃতি
দুটোকেই ওয়েলপেইন্টিং এ ফুটিয়ে তুলছি নিজস্ব  কারাগারে
যেখানে তুমুল প্রেমিকের বুকে মুহুর্তরা রঙিন। 
.
আমাকে কিনে নিয়েছো তুমি বহুদিন
সবকিছু এই শহরে ধোঁয়ার মতই একতরফা
আমি স্নান সেরে পাখি হচ্ছি মুহুর্তে 
আর পরমুহুর্তে দুষন ফেরৎ তোমার উপস্থিতি পাখির পালক 
এই হারাচ্ছি, জড়িয়ে ধরছি,
তুমি যুক্তির বারান্দায় তোমার প্রিয় ফুল 
আর আমি লোডশেডিংএ তোমার শরীরে ঘাম 
গড়িয়ে নামছি,আটকে যাচ্ছি তোমার বুকের ফাঁকে।
আমি এগিয়ে যাচ্ছি কারন তুমি যাচ্ছো আমার সাথে
আমি পিছিয়ে যাচ্ছি কারন তুমি দাঁড়িয়ে 
তোমার সমস্ত অবয়বের গন্ধ নিয়ে জড়িয়ে ধরছি নিজেকে
এগিয়ে আসছে ঠোট
বুঝতে পারছি
একটা সম্পুর্ণ পেইন্টিং এর বাইরে দাড়িয়ে আমি লোকটা 
পাগল ও প্রেমিক। 
.
ওয়েল পেইন্টিং
.. ঋষি 



Tuesday, April 23, 2024

অবান্তর

একটা নির্জন বিকেলের সাথে আছি  
এইমাত্র ঝুপ করে কফির কাপে সন্ধ্যে নামলো শহরে 
শহরের রাস্তায় ডেসিবেলের হিসেবে এই সব অবান্তর 
অবান্তর শহরের ভিড়ে আমার কবিতা ,
তবুও বলতে চাওয়া এই শহরে প্রতিটা হৃদয়ে পাখিদের ঘর আছে 
যারা নিয়ম করে আকাশ খোঁজে 
 অনিয়মিত সাজানো ওয়াক্তের সাথে বোঝাপড়ার খাঁচায় । 
.
এই শহর ঠুনকো কেচ্ছা আর ধারাপাতে বিশ্বাস করে 
শহরের বোবা পাটাতনে কিলবিল করা হাজারো জনরোষ 
তবু চুপ সব ,
আপনি মন্দিরে ঘন্টা নাড়বে ,বেজে উঠবে ভোরের আজান এখানে 
আপনি প্রতিবাদ করবে ,আপনার মুখ জ্বলে যাবে অনৈতিক এসিডের আগুনে 
আপনি সময়কে ,অরাজকতার ধর্মকে ,মিথ্যাকে শূলে চড়াবেন 
আপনাকে ঘিরে ধরবে নীতি বিহীন ধ্রুপদী ধারাপাত। 
.
এ শহরে আইপিএল ম্যাচ হবে ,গণেশ পুজোতে মাইক বাজবে 
ইনবক্সে সেক্স চ্যাট হবে ,রাস্তায় ঘাম ,কাজের অভাব হবে 
বাসে ভিড় , শ্বাসে নিকোটিন ,পার্টি বদল , নির্মল হৃদয় 
হাজারো সংযমের পরে কন্ডোমে ফুটো হবে 
সব আপনি মেনে নেবেন ,কি করা যাবে ?
এ শহর চলছে গতিতে ,মানুষ ভাবছে আজকের দিন
এ শহরে কাল বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। 
পাশ ফিরবেন ,দেখবেন চটকে গেছে আপনার বিছানার ঘুম 
হাত বাড়াবেন তুমুল নেশায় কিংবা আদরের নিজের বিবাহিত জীবনে 
দেখবেন জীবন মানে সংযম ,
শুধু সহ্য করবেন ইথারে চোবানো এ শহরে যাবতীয় ইলিউশন 
আর অনুভব করবেন পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্কে বারংবার সময়বিদ্ধ আপনি 
বাধ্য নপুংসক নাগরিক। 
.
অবান্তর কবিতা 
... ঋষি

Monday, April 22, 2024

আমরা যে বড় হয়ে গেছি

আমরা সকলেই আমাদের কাজ করছি 
ইচ্ছেদের নিয়ম করে খুন করছি 
জানলার লোহার রড চেপে ধরে অসহায় আকাশ দেখছি 
খুঁজছি আকাশে উড়তে থাকা পাখিদের ,
নিজের ভিতর শৈশবটাকে হাততালি দিয়ে উঠতে দেখছি প্রায়শই 
                 তবুও  হঠাৎ মুহূর্তগুলোয় 
 চুপ থাকছি আমরা যে সকলেই বড় হয়ে গেছি
তাই তো একাও। 
.
চরাচরে তীব্র ক্লান্তি 
শহর জুড়ে দূষণের কাফনে নিজেকে জড়িয়ে 
আমরা বৈধতা খুঁজছি ,
চোখমুখের চাপা আগুনকে বশ্যতাস্বীকারে বাধ্য করে ,
আমরা সকলেই ঈশ্বর কিংবা ভন্ড 
নিজে ঠকছি অথবা নিজেকে ঠকাচ্ছি। 
.
সকলের স্বপ্ন আছে 
অথচ স্বপ্নের মাঝখানে দাঁড়িয়ে এ শহরে কবিতারা বিধবা 
সারা আকাশ যেন ব্ল্যাকবোর্ড 
কুয়াশা জড়ানো কবিতায় ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা ফুটে উঠছে  
কম্প্রোমাইজ,হঠাৎ মেঘলা মন। 
আমরা সকলেই উত্তরের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করছি নিজেকে 
              একটা কনফিউশান 
অন্ধকারে মশারি ঢাকা ঘর্মাক্ত শরীরটাকে 
এগিয়ে রাখছি সময়ের থেকে 
কারণ আলাদিনের প্রদীপখানি খুব কম লোক পেয়েছে 
আর সেই পারস্যের মাদুরখানি  ,
                            সত্যি কি পালানো যায়। 
.
আমরা যে বড় হয়ে গেছি 
... ঋষি

এইটুকু আলোর জন্য

ঈশ্বরকে বলি ম্যাজিক চাই  বলি মানুষে ঘরে বন্ধ দরজার শহরে আলো চায় চায় শুভেচ্ছা ,চায় পবিত্রতা  আর  সত্যি , বহুবার ভেবেছি সিগারেটের আগুনে পুড়ে য...