খাজুরাহোতে একটা চিঠি পাঠাবার কথা ছিল
পাঠায় নি, মনে হয়েছে অশ্লীল
কে পাঠাবে?
পাঠাবে অন্ধকার নিস্তব্ধ রাত, শীত কুড়োনো বিছানা
শরীরে জমে থাকা লুকোনো ব্যাধি
আর শহরের মন।
এ শহরে বাজারে বড়ো চড়া দাম অশ্লীল শব্দটার
ব্ল্যাকমার্কেটে পাওয়া যায়,
শ্লীল, অশ্লীলের মাঝে এক টুকরো পাঁচিল আছে
মানুষ জানে সেটা, সুযোগ মতো দাঁড়ায় সেখানে,
অথচ মানুষের আড়ালে মানুষই সভ্যতার ভীত গড়ে
খাজুরাহ গড়ে কেউ কেউ শরীরের বিছানায়
জানি না এই প্রেম-টেম অযৌক্তিক কিনা
তবে মৃত্যু অবধি শরীর তো থেকে যায় তাই না।
.
খাজুরাহোতে একটা চিঠি পাঠাবার কথা ছিল
কে লিখবে ? শ্লীল না অশ্লীল? কে সে?
আমি বলি মানুষের শরীর।
শীত এসেছে বলে মানুষ আগেভাগেই মাফলার গলায়
তবে মানুষের বুকে সুখে লুকোনো অন্য শরীরের ওম,
কমলালেবুর দাম নিয়ে,শ্লীল অশ্লীল নিয়ে দরাদরি
এ যেন জ্বলন্ত অম্বল উদগাররূপে জ্বালাপোড়া শরীর,
এ বোধহয় শরীরের স্পর্ধা
এক অশ্লীল সময়ের কবিতায় দ্রোহ
খাজুরাহ।
অথচ আমার বর্তমানের বিশ্বাসবিষে শরীর সত্যি
তুমি শিখিয়েছো শরীর একটা শিল্প, একটা কবিতা
জানি তোমার বুকের খাজুরাহ এক ডাকবাক্স
এতদিন সেখানে চিঠি পাঠায় নি, মনে হয়েছে অশ্লীল
কিন্তু আজ লিখছি তোমার খাজুরাহের ঠিকানায়
.
শোনো আমি শীত পাঠাচ্ছি
তুমি বুক খুলে দাও...
..
খাজুরাহের চিঠি
.. ঋষি
No comments:
Post a Comment