বছর শেষের কাব্য লিখতে বসি
কি পেয়েছি ,কি চেয়েছি ,কোথায় ভুল ,কোনটা ঠিক
সব কেমন গুলিয়ে যায়
এক বছর শেষের স্যিগনেচারের কবিতায় ,
যে শহরে মানুষ চুরি হয় ,যে শহরের চুরি হয় বিশ্বাস
সেই শহরের ঈশ্বর কখনো ভালোবাসা লেখে নি
অনবরত লিখেছে স্বার্থ আর অপঘাত
সে শহরে আবার শুরু সময় ,দিন আর তারিখ ।
.
তবুও হ্যাপি নিউ ইয়ার
একটা নতুন শুরুর কবিতায় মানুষের যাপন
যেখানে মোটামুটি প্রতিদিন নিয়ম করে ২ ঘন্টা কাটে অফিসের জ্যামে
৮ থেকে ৯ ঘন্টা কেটে যায় এক পুরোনো জানলার ব্যস্ত শহরে
শুধুমাত্র খিদের অভিশাপে ,
তারপর ঘন্টা দুয়েক নিয়মিত মোবাইল স্ক্রলে জীবন
তারপর সংসার কিংবা ভালোবাসা কিংবা সন্তান
বলুন না কতটুকু বাঁচে ?
.
এইতো হলো শুরুর গল্প
এবার মোটামুটি বছরের মাঝে পকেট বুঝে দী-পু-দা
কিংবা রাতের নেশায় সিগারেটের ধোঁয়া আর কয়েক পেগ
যেখানে নিজের প্রেমিকা যেন করিনাকাপুর,
ল্যাস্টভেগাস থেকে গোয়া ঘুরে আসা স্বপ্নে ,
একটা ঘোর
আসলে এই শহরই পারে মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে
কিংবা মানুষের বাঁচার স্বপ্ন আগুনে পোড়াতে ।
.
কি নেই এ শহরে ?
চুরি ,রাহাজানি ,বেশ্যা থেকে হাজারো ব্যালকুনি
কি নেই বলুন তো
মেরে দেশ মহান ,স্লোগান ,নিয়মিত ধর্ষণ
প্ল্যাটফর্মে যাত্রী ,রবীন্দ্রসদনে হাজারো সাহিত্যের ভীড়
লোকাল বাস -মিনিবাস ,গলায় দড়ি দেওয়া প্রেমিক কিংবা সংসারী
আছেন রবীন্দ্রনাথ ,শঙ্খ ঘোষ ,সুনীল গাঙ্গুলি কিংবা গান্ধীজি
কিন্তু সত্যি কই ?
.
শিক্ষা বিক্রি ,স্বাস্থ্য বিক্রি ,নারী শরীর বিক্রি ,সময় বিক্রি
সব বিক্রি আছে এ শহরে
ভালোবাসা থেকে কন্ডোম সবটাই কেমন ভীষণ সস্তা।
দরদাম করুন ,মিথ্যা বলুন , ধর্মের গান গান
আপনি সেরা ,আপনি হিরো ,আপনি ধার্মিক ।
মশাই এই শহরই পারে মুখোশে মানুষ গড়তে
জানেন তো ঈশ্বর এখানে ভীষণ একলা
আর একলা এই নতুম শুরুর কাব্য।
.
বছর শেষের স্যিগনেচার
.... ঋষি
No comments:
Post a Comment