অন্তরঙ্গ কুয়াশা ছিটিয়ে দেওয়ার পর
সারা শহরজুড়ে স্তব্ধতার সূত্র লিখে ফেলা যায়
সমস্ত রাত আগডুম বাগডুম ভাবার পর
কবিতার স্তব্ধতায় শীতল শবঘর লেখা যায়,
কী লিখবো আর কী লিখবো না কবিতায়, ভাবলেই খেই হারাই, সব কথা অসাড় হয়ে আসে
সব নদী, মেঘ, পাখিদের কথা তখন কাল্পনিক মনে হয়।
.
কি সেই ফুলের নাম ? মনে নেই
শুধু মনে থাকে কফির তলানিতে দু'চারটে অনুভুতি,,
সংসারের মহড়ায় আমরা গুছিয়ে রাখি নিজেদের
অথচ কবিতায় পাতায় স্বপ্নে লিখি আদর
বারংবার তেতো কফিকাপে নিজেকে জাগ্রত করি
ভাবি তুমি ছিলে বলেই এতোটা আয়ু
আর না থাকলে জোনাকির শহরে মৃত সব কবিতারা।
.
অথচ সেল্ফিলোভী শহর তখন মুখ টিপে হাসে
যারা ভালোবাসে তারা জানে এ শহরে মুখের অভাব
অভাব নিজস্ব আলাপচারিতার।
কথা ফুরিয়ে যায় যখন
তখন জীবিত আর যুদ্ধের মাঝে তফাৎ কই
তফাৎ কই কফি, কফিন আর কাফনের কাহনে।
ওদিকে বেহিসেবী রোদ ক্রমশ বাড়িয়ে দেয় শীতকে
অস্থির সম্পর্কের খাপে হাঁসফাঁস স্মৃতিলেখা
ভালোবাসা আপাতত মুক্তির ইশারায় নিজেকে খুঁজছে
অস্থির সিলেবাসে লিখছে অসহ্য,
ক্রমশ সন্ধ্যে নামছে একলা শহরে
অন্তরঙ্গ কুয়াশার আগামী শব্দটা বোধহয় প্রাক্তন।
.
প্রাক্তন
... ঋষি
No comments:
Post a Comment