ঘর সাজানো ছিল
ফুল তোলা চাদর দেরাজ থেকে নামিয়ে পাতা হলো
তবুও পৃথিবীর ৮৫০ রকমের সঙ্গমের কোনোটাই স্বপ্ন দেখলো না
তবুও পৃথিবীর ১৫২ রকম চুম্বনের কোনোটাই জন্ম নিল না ,
শুধু বিছানার পাশে রজনীগন্ধার স্তবকটা অকারণ প্রমাণিত হলো
কোনো বিশ্বযুদ্ধের পরের ভূমিকায়
কিছুটা সময় সাথে থাকা হলো নিজস্ব নগ্ন ভালোবাসা প্রমানে।
.
তোমাকে গ্রীক ধাঁচে ঢেলে
এতো কাছ থেকে কবিতা লেখার ইচ্ছা কবির বহুদিনের
অথচ কবিতার বইগুলো সাজানো ছিল বুকশেলফে নির্দিষ্ট তারিখে
অথচ কবিতার প্রথম পাতায় খুব যত্নে লেখা ছিল কবির নাম
বইটার মলাটে তোমার নামটাও ছিল বেশ আকর্ষণীয়
তবুও কবিতা লেখা হলো না
কিছু এলোমেলো শব্দ তোমার বিছানার চাদরে অকারণ ভালোবাসায়
শুধুমাত্র পথ হাঁটায় পাশাপাশি ছিল।
শরীর ছিল ,সরু ভাতের চাল ,মাছের মাথা মুগের ডাল
শেষ পাতে দইটুকু ছিল
শুধু ,শুধুমাত্র তুমি ছিলে না,শারিরীক ।
.
তোমার চোখে কাজলে লোকানো ভয়
তোমার আয়না সম্পর্কের অজানা রোগ ,টানাপোড়েন
তুমির কপালের লাল ছোট টিপটা ঝরে পড়েছিল
শুধু সাহসের বড়াই করে কস্তুরী ঈশ্বরটুকু তোমার নাভিপদ্মে ঝরে পড়লো।
বেলা গড়িয়েছিল
সমস্ত সজলতা তোমার ক্লান্ত শরীরে,ক্লান্ত চোখে
তুমি মুখ ঘষছিল আমার বুকে ,হয়তো কাঁদছিলে
সেদিন কেউ এসেছিল কিনা আমি জানি না
শুধু জানি একটা অসমাপ্ত সঙ্গমের ভাস্কর্যের সামনে আমি পিকাসো
কিংবা গ্রিক ভাস্কর ফিডিয়াস।
.
অসমাপ্ত ভাস্কর্য
... ঋষি
No comments:
Post a Comment