ডুবসাঁতারের কবিতা
,,,,,ঋষি
.................................................................
এই যে কবিতা
যাকে তুমি অক্লেশে পান করে নেশাগ্রস্থ হও,
যার বুকে মাথা রেখে ডুবে যায় তোমার রমনীয় রমণ সুখ,
তাকে একবার সহ্য করে দেখো
নেশাগ্রস্ত মৃত্যু।
অক্লেশে খুলে পরা বুকের কাপড়
তোমার বুকের ডানদিকে তিলটা সজাগ প্রতি চুমুকে।
নির্ভেজাল বেণীমাধব তোমার বাড়ি যাবো
একাকী আলিঙ্গনে চেপে ধরবো সহ্য,অসহ্য একাকী।
মানিয়ে যায় আখরোট ঠোঁট, মানানো তোয়ালের ঘাম
হাতের আঙুলে লেগে সুখের ক্রনিকাল ক্রিম।
যুদ্ধ গুনতে গুনতে ক্রুদ্ধ হয়ে উঠছে তিন পুরুষের পুরুষাঙ্গ
অচল ভবিষ্য সাক্ষী থাকবে।
দু একটা মুহুর্মুহু আস্পর্ধা
জানি আমায় দিয়ে দাঁড়াবে না,তবু নেড়ে ঘেঁটে চেষ্টা, বিফল সাইক্লোন।
মন খারাপের গল্পগুলো তোমার রেলিঙ ধরে ধ্রুপদী ছন্দে
একবার নয়,নয় দুবার,একডজনের গল্প।
একটা দিনের ভেতর ঢুকে যায় গোটা রাত্রি
এক স্টেশন থেকে নাম না জানা গন্তব্য।
কাদা জল মেখে গায়ে গতরে দুধ উথলে উঠে, আমার দুইহাতে মাইল ফলক।
মাতাল নদী ফুসলে ওঠে নৌকোর মাঝি দাঁড় টানে।
ঘাড়ের কাছে আবহাওয়ার খবর বৃষ্টি আসছে।
কলকাতার কলেজস্ট্রীট এক বুক জল, ডুবসাঁতারের কবিতা
মাথায় ঝরঝর বৃষ্টি,ঘামজল গড়িয়ে নামে।
এই যে কবিতা
যাকে তুমি নিত্য পান করে তৃষিত হয়ে ওঠো।
যার নেশায় তুমি বুঝতে চেষ্টা করো সময়ের চিৎকার
তাকে একবার সহ্য করে দেখো,দেখবে
তুমিও ঠিক আমারি মতো আদিম।
No comments:
Post a Comment