Wednesday, November 2, 2022

সৎকার

 


সৎকার 

... ঋষি 

.

আমার নাভি খুঁজে পাওয়া যাবে না আমার সৎকারে 

উজ্জাপিত জীবনের আঁতুড়ঘরে এক নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটেছিল সেদিন 

লোকে বলে এমন প্রায়শই হয় ,

জন্মের সময়টুকু ছাড়া মানুষের পরিচয় তার আঁধারকার্ড 

আর তার চারিপাশের ঘিঞ্জি হয়ে থাকা বস্তির ঘর 

আর বাঁচাগুলো ঘরের ভিতর জ্বলতে থাকা কুপির আলোর মতো। 

.

ইদানীং  আর মনখারাপ হয় না 

আকাশ থেকে নিচে নেমে আসা নক্ষত্রের গতি দেখে হঠাৎ মনে পরে যায় 

বয়স তো হলো ,

জুলফির পাশের বরফ লেগেছে আগের শীতেই 

এইবার লাগছে শীতের কাঁপন 

কবিতার শব্দদের গিঁটে আজকাল অন্যমনস্ক দৈন্যতা। 

.

ইদানীং সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আমি চলন্তিকাতে হারাই 

এত বড় সমুদ্র 

আমার কবিতার  নোনা স্নানে এই শহরের মানুষ কাঁদে 

নিজের মানুষ হারিয়ে ফেলে মানুষের সমুদ্রে। 

আজকাল যখন ওপর দিয়ে এই শহরটার দিকে তাকাই 

দেখি এক ঝাঁকড়া চুলের কবি রোজ হাঁটতে থাকে মানুষের ভিড়ে 

তার ভালো থাকার খোঁজ 

তার কবিতার খোঁজ 

তাকে প্রতিদিন পিছিয়ে দেয় শেষ একটা কবিতার শব্দে ,

আসলে মৃত্যু শব্দটা যতটা সত্যি 

তার থেকেও সত্যি মৃত্যুর পর বাঁচা। 

No comments:

Post a Comment

পঁচিশে বৈশাখ

যে শহরে তুমি নেই সেখানে তোমার  উদ্‌যাপন  হয় সকলে ছবি সাজায় , ধুপ জ্বালে, গলায় রজনীগন্ধা হারমোনিয়াম বাজে,স্যোসাল লাইভ,মঞ্চ গানে, গাঁথায় পঁচিশ...