চলন্তিকা তুমি বলেছিলে
যে মানুষ বিপদে আগলাতে পারে না,পাশে থাকতেও না
তার তোমাকে ভালোবাসার অধিকার নেই,
আমি বিচলিত হয়েছিলাম কিন্তু বিষণ্ণ না
কারণ তুমি আমার শতবর্ষের তপস্যা,আমার ব্রত
আমার লেখা, আমার সৃষ্টিরা শুধু তুমি চলন্তিকা।
.
চলন্তিকা তোমাকে আঁকড়াই বলে
আমার কলমের নিবে তুমি ভরা শরৎ এর মতো
যেন মৃৎ-শিল্পীর হাতের স্পর্শে তোমার মুর্তি,
অথচ বারংবার তোমায় লিখি কিন্তু মন ভরে না
কারণ তোমার মূর্তিটা হৃদয়ের ক্যানভাসে ঠিক লিখতে পারি না,
তোমার অলৌকিক সৌন্দর্যকে প্রতিদিন প্রণাম করি
তোমার গভীরে যে অতল জলের রহস্য লুকোনো
তাকে নিত্যদিন স্পর্শ করি
কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারি না।
.
আমার বাউন্ডুলে জীবন-যাপন
একলা সন্ন্যাসীর মতো ব্যক্তিগত কল্পনায় তুমি
এক রক্তক্ষয়ী ভালোবাসা,
পৃথিবীর বর্বর পুরুষের মতো আমি পারি না
পারি না তোমায় হাতে পায়ে বেড়ি পরিয়ে দিবারাত্র তোমতে বীর্যপাত করতে।
আমি তোমার জন্য আমার হৃদয়ে শীতলপাটি বিছোই আমি বিশ্বাস করি
এক অলোকময় সুবর্ণ-লগ্নে তুমি আসবে,
সেদিন রবীন্দ্র-গানের মন্ত্র উচ্চারণ করে
তোমাকে আমি জড়িয়ে ধরবো,
কিন্তু সেই স্পর্শে কোন পাপ নেই, নেই কোন লোভ
শুধু অধিকার বাঁচবে সেদিন।
তারপর এক পবিত্র সকালে চলন্তিকা তুমি ঘুম থেকে উঠে দেখবে ঠিক
তোমার পড়ার টেবিলে আমার কবিতারা অপেক্ষায়
আর আমার কলম চুইয়ে তোমাকে ভালোবাসা
মোটেও স্পর্শ নয়, এক পুজো।
..
স্পর্শ নয়
... ঋষি
No comments:
Post a Comment