Sunday, December 24, 2017

মধুমিতাদি

মধুমিতাদি
........ ঋষি
========================================================
আঠারো মাইল লম্বা আদম ব্যালকনি
তোমার স্পর্শের শিড়শিড়ানিতে আমার আঠারো বছরের পাপ।
তোমার ছায়ার মেলোড্রামায় আমার তাবত বিশ্ব আলোর মতো
ভিজে যাওয়া অন্ধকার শরীরগুলো
চুঁইয়ে নামছে মধুমিতাদি
তোমার শুকনো ঠোঁটে লুকোনো রক্তের দাগ আজ সামাজিক।

এখনও তুমি ময়দানে যাও?
যোনিসাঁকো জুড়ে নিভৃত হরফে ডিসেম্বরের চেনা বরফ।
চিনতে না পারা শহরের গভীর শীতে পাপবিদ্ধ যুবক।
অন্ধকার  কবিতাকিশোর?
মধুমিতাদি বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসের চাপা রঙের পুরোনো যুবতী
জানেনা বোঝেনা কেউ নিতান্ত জখম।
বিয়োগচিহ্নে কতটা আর হতে পারে ক্ষত উপশম
নীরবে জমতে থাকা শুকনো গাছের পাতারা জানে না সময়ের বয়স, 
শুধু সময়ে আজ দাঁড়িয়ে পাপবিদ্ধ হাতড়ানো শরীর।
এ কবিতা লেখা হয় নি আগে
কারণ কবিতা এখন শুধু বাণিজ্যিক ,কবিতা এখন শুধু মেলা আর হাট চেনে
কিন্তু কবিতা কিশোর আজও কবিতায়।

আঠারো মাইল লম্বা ব্যালকনি
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আজও স্পষ্ট  দেখতে পাওয়া আঠারোর পাপ।
মধুমিতাদি আজ কি তুমি একলা বাথরুমে শাওয়ারে দাঁড়িয়ে
আমার মতো চিৎকার করো অন্ধকার পাপ।
যদি  কখনো সময়  করে আমার এই কবিতা পড়ো
ঠিক খুঁজে পাবে  এক মৃত কবিতাকিশোরের জীবন্ত ঘামের গন্ধ।

No comments:

Post a Comment

স্মৃতি গান

কত গুলো স্মৃতিগান,ও পথে রং ছিল, কারণ ছিল  যে কবিতা সময়কে বিপ্লব আঁকতে শিখিয়েছে আজ সে মুখ ফিরিয়ে বোবা এখন এ শহরে কোন ম্যাজিক অবশিষ্ট নেই শহরে...