তাই শুধু খিদে, খিদে,খিদে, মন ভরে না কিছুতেই
এর দোষ বোধহয় সবটাই কবিতার,
একটা কবিতার রাক্ষস আমার বুকের ভিতর পাথর খেতে শিখিয়েছে
হজম করতে শিখিয়েছে নষ্ট পালস্থলীর গল্প,
অদ্ভুত সেই শব্দগুচ্ছ, কবিতার মনন
"বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল–ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় "।
.
এই রাক্ষসটার অত্যাচারে আমার বহুরাত খাওয়া নেই
তবুও সেই রাক্ষসটার খিদে পেটে,
ঘুম থাকে না,ছেঁড়া চাটাইয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখি শব্দদের,
শব্দদের বুনি, বাংলা নেশায় ভাসি,
রাক্ষসটার মত পাগলের মতো ঘুরে বেরায় সত্যি মানুষের খোঁজে ছেঁড়া জুতো পরে
পথে, ঘাটে বসে থাকি খালি পেটে
ভীষন খিদে,,, কবিতা।
.
রাক্ষসটা ভীষন কথা বলে, চোখ দিয়ে গিলে খায় জীবনের মন্দ, ভালো অন্তরিত বাঁচা,
মানুষে ঘরে উঁকি মারে,অবনীর ঘরে যায়
তার দুহাতে কালি,তবু তার সন্তান, সুখ,তবু সে সম্পর্ক খোঁজে
কিছুতেই সে যেতে চায় না, সময়ের ওপারে,
মরে গিয়েও থেকে গেছে আমাদের মতো রাক্ষসদের মাথার নিউরনে।
আজ দিনটা সেই কবিতার রাক্ষসের জন্মানোর।
আমার কাছে রাক্ষস,হয়তো কবিতার ঈশ্বর, কিংবা কবিতার মানুষ যেন একটা প্রশ্ন
"অদ্ভুত ঈশ্বর এসে দাঁড়িয়েছেন, মৃন্ময় উঠোনে
একদিকে শিউলির স্তূপ,
অন্যদিকে দ্বাররুদ্ধ; প্রাণ
কার জন্যে এসেছেন- "
.
আমি জানি উত্তর
কত বিপন্ন দশক চলে গেছে কবিতার খোঁজে
অথচ সেই রাক্ষসটা থেকে গেছে কবিতার পাতায়, মরেও মরে নি সে কবিতার শব্দে
ভাবনার নিউরোনে, সময়ের মনে,
এক অসীম শক্তিশালী কবিতার কলম সেই রাক্ষসকে সেলাম
আর প্রার্থনা যদি তোমার মতো সত্যি কবিতা চিবিয়ে খেতে পারি ।
.
শুভ জন্মদিন শক্তি স্যার
.. ঋষি
No comments:
Post a Comment