একটা নিদ্রাহীন তুমিময় রাতের পরে কাকভোরে শহরটা জেগে ওঠে
আমি তখন সামুদ্রিক জাহাজের মাস্তুল খুঁজি ভাঙা শহরের কবিতায়
নিঃশব্দে বেলা বেড়ে যায় ,বেড়ে চলে বুকের ভিতর প্রতীক্ষার ঢেউ।
বেলা গড়ালে কে যেন মুঠোফোনের ওপার থেকে সামুদ্রিক ঝড় তোলে
তখন এ শহরে কোনো শব্দ থাকে না
শহরটা কেন যেন ঘুমন্ত ,
ঠিক তখন আমার ঠিকানাহীন শর্তে হঠাৎ কিছু কষ্ট লেগে যায়।
.
প্রত্যক্ষ কষ্টগুলো কেমন গা সওয়া , যেন বহুকালীন
সকাল জুড়ে আমার আঙিনায় ঋতুবদলের রোদ ,
আমার বুকের গভীরে সেই একান্ত নোনা জলে একান্তে বেঁচে তুমি
কেমন আছো চলন্তিকা ইদানিং জানতে ইচ্ছে করে ,
আমি তো বস্ত্রহীন,অস্ত্রবিহীন হেঁটে চলেছি ,ভেসে আছি বিশাল সমুদ্রে
যেখান থেকে আমি তোমাকে দেখি , ঢোক গিলি
মনলোভা সেই সাধের সংসার ,আমার তুমি
আর কুড়নো বসন্ত।
.
এ বয়সে যে মৃতসঞ্জীবনী আর কবিতা হতে পারে না
এখন শুধু স্বচ্ছন্দ বোধ করি নিঃশব্দতায় ...
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগে ,ভালো লাগে মরতে
শব্দহীন কোনো সমুদ্রে একলা ভেসে আমি ক্রিস্টোফার কলম্বাস
যার কাছে ‘রহস্যময়’ এক মানচিত্রে তুমি ,
যার সাথে বহুদিন পরে দেখা হয় বারংবার ,প্রতিদিন অভিমান ভরা বিশাল সমুদ্রে
কিন্তু বিশ্বাস করো চলন্তিকা সমুদ্র কোনো অভিনয় জানে না
আর নোনা জল
এই অনর্থক জীবন আর নিজেকে খোঁজে না।
.
কুড়নো বসন্ত
... ঋষি
No comments:
Post a Comment