কোন সময় পড়েছে?
এখান তো উপরওয়ালার পারমিশন বিনা নিঃশ্বাস নিতেও মানা
ইদানিং মানুষ অন্ধকার খুপরিতে মুখ লুকিয়ে রাখতে ব্যস্ত
সেখানে কোথাও জানলা নেই, কোন কথা বলার মানুষ নেই
আর এই দমবন্ধ পরিবেশে দরজার কথা ভাবাটা বাহুল্য।
বাতাস নেই বলে এখানে হিন্দু ,মুসলমান হাজারো জাতিভেদ
শান্তি নেই বলে এখানে অভিমান ,ভয় ,খিদে ,অহংকার,ভালোবাসা
রাজত্ব বেঁচে আছে , তাই পার্টি অফিস ,বিভিন্ন রঙের পতাকা
পঞ্চবার্ষিকীতে নতুন ঈশ্বর।
.
মানুষ জানে মুঠো খালি রাখতে নেই
তাই ফুল,বেলপাতার কাজ শেষ হয়ে গেলেও
হাতের কাছে যা পাওয়া যায়
পাথর, ধুলো, মরা মানুষের চামড়া ,নষ্ট মেয়েছেলের শাড়ি
সবকিছু মানুষ জাগ্রত ঈশ্বরের নামে দু-হাত ভর্তি করে নিয়ে আসে ,
মানুষ জানে কিছু না কিছু তাদের মানতে হবেই
সে সময়ের জোরে হোক ,বাহুর দমে হোক
কিংবা সামাজিক অথবা শাসনতন্ত্রের চাপে।
সত্যি হলো আমরা সুস্থ নাগরিকের বেশে অন্ধকার ঈশ্বর স্থাপন করি
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গঙ্গাজলে মুখ ধুয়ে ফেলি
কিংবা চাটি কোন ঈশ্বরের জুতো
যদি কৃপা পাই ,তবে বেঁচে যাই
তবে এটা সত্যি এখন সবই ঈশ্বরের রিমেক ,সৃষ্টি নেই
এখন শুধু মৃত ঈশ্বর আর অন্ধকার মানুষ ।
.
অন্ধকার মানুষ
... ঋষি
No comments:
Post a Comment