নিমতলার সেও লোকটাকে আলাদা করে চোখে পরে না ঠিক
তালিমারা ঢলঢলে প্যান্ট। মুখভরা গোঁফ দাড়ি
তবুও লোকটা হাসতে পারে
বুকের উপর আঙ্গুল দিয়ে কি সহজে দেখাতেতে পারে লুকোনো নামটা ,
যদি আমিও ওই লোকটার মতো বৃষ্টি নামাতে পারতাম
আনপ্রেডিক্টেবল আকাশের ভূমিকায় একটা কবিতা লিখতে পারতাম
জানি তুমি হাসতে খুব।
.
অথবা ওই দোকানি কাকুর মতো যদি তোমার হাতে গুঁজে দিতাম একমুঠো লজেন্স
তুমি বলতে কত ?
আমি বলতাম,যা তো তুই না রানী
তোর কাছে আবার পয়সা।
আমি জানি কিছুতেই পূর্ণ হবে না ,তাই এই বুকে বৃষ্টি ফোঁটা
সেই পাগলাটে লোকটার মতো পৃথিবীর উপস্থিতিগুলো বড় মূল্যহীন আজ
মানুষগুলো বোধহয় বড় অহংকারী এই পৃথিবীর।
.
কিংবা ধরো বর্ধমান লোকালে সেই অদ্ভুত সাঁজগোজ করা সেই দিদিটার মতো
লোকে যাকে হিঁজড়া বলে ,
যে দেখা হলেই বলে দাদা কত দিন পরে , তুই খুব সুখী হবি
তোর গোলা ভরা ধান ,তোর বুকের সন্তান ,তোর অতীত ,বর্তমান
আমি হাসি
কিন্তু কাঁদতে পারি না ,আমার অহংকার
পকেট থেকে পাঁচ থাকার একটা কয়েন গুঁজে দি হাতে।
সত্যি আমি বৃষ্টি নামাতে পারি নিসেই অদ্ভুত পাগলাটে লোকটার মতো
তালিমারা ঢলঢলে প্যান্ট। মুখভরা গোঁফ দাড়ি
যাকে তুমি ভালোবাসো
আমি বোধহয় বর্ধমান লোকালের সেই হিঁজড়া দিদির মতো
চিরকাল একটা স্বপ্ন দেখতে পারি
কিন্তু কিছুতেই শেষ বিকেলে গঙ্গার ঘাটে সেই প্রেমিকের মতো
বিশ্বাস করাতে পারি না
আমিও আমার বুকের উপর লুকোনো নামটা ঈশ্বরকে দেখাতে পারি।
.
ওই লোকটা
... ঋষি
No comments:
Post a Comment