Wednesday, July 31, 2024

লা ব ডু ব

কেন রক্ত ছিটকে যাচ্ছে? 
কেন ভিতরে চিৎকার? 
একটা পরিধির মধ্যে আটকে শব্দরা লাফাচ্ছে
টুটি চেপে ধরছে সময় আক্রোশে,
শোনো -
        বুকের পাঁজরে লাবডুব 
            ভালোবাসা চোখ রাঙাচ্ছে কাটা জিভ নিয়ে। 
.
কি চাইছে সময় 
    শরীর চায়, আমারটা নেও, বললাম তো পাবে
শরীর তো কোন ঘর নয় 
      হ্যা কিছুটা বিশ্রাম হতে পারে,
সময় তুমি মুক্তি দেও 
      সব নিও, নিয়ে নিয়ো হোটেলের বিছানা, দরজা
নয় বাই নয় ছুটি। 
.
সময় কি দেখতে চাও? 
     কে কে ঢুকছে, আমার ভিতরে কে ? 
প্লিজ আর না, এইবার মুক্তি দেও, 
      পিছন ফিরে বসো না আর তুমি সময়ের থেকে
     তোমার উন্মুক্ত স্তনের মাঝখানে আমার জন্মদাগ
                                 লা ব ডু ব
কান পাতো
       শুনতে পাচ্ছো -
       তোমার কষ্টগুলো চিৎকার করছে। 
.
লা ব ডু ব
.. ঋষি 

Tuesday, July 30, 2024

অসমাপ্ত শ্রাবণ

প্রজাপতির ডানা ধরে ওড়ার সময় হয় নি আমাদের
চলে গেছে বসন্ত ক্রমশ দূরে,
বাসন্তী রঙের আভা রেখে ক্রমশ শ্রাবণ পথে
যখন তখন বৃষ্টিরা এখন ঝিরিঝিরি  কথা বলে
মনের কথা বৃষ্টি ধারায় ক্রমাগত আমাদের ভেজায়
আর ভেজায় অসুখের সময়। 
.
কোনকালে আমাদের সঙ্গে ছাতা থাকার কথা ছিল
কথা ছিল ছাতার আড়ালে বৃষ্টি কুড়িয়ে রাখার
অথচ আমরা  বৃষ্টিতে ভিজে গেলাম
অন্ধ হরিণের মতো  উঁকি দিয়ে ইদানীং দেখি  
আমাদের চোখ নেই
শুধু পুরনো ফ্রেমের চশমার কাঁচে সর্বনাশ লেখা।
.
অথচ এই শ্রাবণ আমদের খুব পরিচিত
এই বৃষ্টিই একদিন আমাদের বুকে রুয়েছিল বীজ 
কোন এক জোড়াসাঁকো ভোরে খুব একাকী আমরা পড়েছিলাম গোপন গন্তব্যের গীতবিতান
" আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে
জানি নে, জানি নে কিছুতে কেন যে মন লাগে না। " তুমি আমাকে হাত ধরে নিয়ে গিয়েছিল প্রান্তিক চত্বরে সেদিন সেখানেও উপস্থিত ছিল বৃষ্টি, 
সেদিন মাটির দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি বিনিময় হয়েছিল
বৃষ্টি ভেজা ঘাসেদের সাথে
আমরা জেনেছিলাম সেদিন রবীন্দ্রনাথকে
রবীন্দ্রনাথ প্রেমিক পুরুষ অথচ তার গল্পটা অসমাপ্ত।
.
অসমাপ্ত শ্রাবণ 
ঋষি 

Saturday, July 27, 2024

ইউ উইন- অলওয়েস

হেড- ইউ উইন,টেল- ইউ উইন 
ইউ উইন-  অলওয়েস 
বারবার, বারংবার
প্রতিবার তুমি বদলাও মিছরির ছুরির মতো,
জানি পাঁচটাকার পলকে হার আমি- কি আর দাম?
কথারা এক পা বাড়ালে এগিয়ে সেতু পেরিয়ে ভালবাসা নুনে নুন বালিয়াড়ী,
আমরা একসাথে  দাঁড়াই
আমার পা নেই তাই আমি দাঁড়াতে পারি কই
তাই রাস্তায় বুক ঘষি।
.
আতশ কাঁচে  শুয়ে আছে কিষন নামে কালো ছেলেটা
ও রাধে ? 
ছায়া পড়ছে ধমনীর অদৃশ্য লঙশটে, ডিম আলোয়
এক মিস্ট্রি, তোমার বাড়ানো হাত,আকাশী নাভিমুল
তারপর লাল-হলুদ-সবুজের তেরছা মিশ্রন দিগভুল,
তবে ভালোবাসাও কারণ খোঁজে,
এতবার যে বলো আমরা একরকম নই
কিংবা আমি অন্যরকম। 
সামনে ক্যানভাস
রং কথা  বলে?
বাঁকা উপত্যকা ২-বি পেন্সিলের গা বেয়ে যে বুড়োটা ভবিষ্যতে পা বাড়াচ্ছে
সেটা আমি, 
সেটা আমি, কারণ তোমাকে ভালোবাসার কারণ নেই।
জানি তুমি বলবে বার্ধক্য আর বয়স এক 
আর আমি ভাববো 
পাতার কান্নায় সল্টেড বিকেল,পোয়াতি সকাল
ক্যানভাসে রং জল,জল রং, ডুব জল
সময়ের বাস্তব ব্রত কথা...
হেড- ইউ উইন,টেল- ইউ উইন 
ইউ উইন-  অলওয়েস। 
.
ইউ উইন-  অলওয়েস
.... ঋষি 

Thursday, July 25, 2024

চিৎকার

আমি এখনও বেঁচে আছি অবাক লাগে ইদানীং 
তুমিই তো বলেছিলে  মরে যা
অথচ দেখো আজও দিব্যি ফুরফুরে হাওয়া লাগে গায়ে
আজও আমি বেঁচে,
মাঝে মাঝে ভাবি এই নিয়ে একটা চিঠি লিখবো তোমায়
কিন্তু ইচ্ছে করে না আর । 
.
ঘরের নীচে ঘর, 
তার নীচে কাল রাতে একলা শুয়ে ছিলাম
একটা  হীনশীতল বরফ মেয়েলি গলায় কে যেন আমায় বলছিল
কি মশাই, আপনি এখনও বেঁচে? 
কোথাও নদী ছিল না জানো, তবু পাড় ভাঙার শব্দ শুনছিলাম
বুঝতে পারছিলাম 
যারা মরে তারা ঘরের নীচে ঘর, তার নীচে অন্য ঘরে থাকে। 
.
নীল জামা  পড়া মেয়েটা হঠাৎ হারিয়ে গেল 
আমি চমকিয়ে ঘেমে নেয়ে উঠে বসলাম 
দেখি সারি সারি অন্ধকার খোলামকুচির মধ্যে শুয়ে,
গত বছর আমার মরার কথা ছিল 
মরি নি, মরি নি বাঁচার লোভে,
ভাবলাম 
নিজের ভিতর হেসে উঠলাম হঠাৎ শয়তানের হাসি
হঠাৎ উত্তরে শুনলাম 
মরতে বলেছিলাম যে , তুই এখনও মরিস নি,..........।
.
..
চিৎকার 
ঋষি 


Tuesday, July 23, 2024

দানপত্র



আমি সম্পূর্ণ সজ্ঞানে ,সুস্থ শরীরে 
আমার সম্পত্তির দানপত্র আজ লিখে যাচ্ছি,
আমার মৃত্যুর পর আমার হৃদয় তল্লাশি কোরো তোমরা
ইতস্ততঃ ছড়ানো আমার কবিতার প্রহরীদের পোস্টমর্টেম কোরো.. কিছু পাবে না তোমরা 
সব আমি দান করে গেলাম। 
আমার স্বপ্ন দান করলাম সেসব মৃত সম্পর্ককে
সেইসব রান্নাঘর আর শোবারঘরের নিয়মকে
যারা আকাশ দেখতে চায়, বাঁচতে চায়
যাদের পৃথিবী থমকে আছে
স্বপ্ন দেখতেই ভুলে গেছে যারা আজ বহুদিন। 

আমার হাসি ছড়িয়ে দিলাম সেই সব অসুস্থ শরীরকে
যারা যমের অরুচি আর জীবনেরও,
সেই সব পিতা মাতাহীন শৈশবকে আমার হাসি দিলাম
হাসি দিলাম বৃদ্ধাশ্রমের সেই জীবন ফুরোনো মানুষগুলোকে 
যারা স্বপ্ন দেখে আবার যৌবনের । 
.
আমার টেবিলে সাজানো সহস্রাধিক কবিতার বই
আমার কবিতার পান্ডুলিপি কবিতার শব্দদের
ছড়িয়ে দিলাম মানুষ আর সভ্যতার মাঝে
সেই সব মানুষ যারা মেরুদন্ড খুঁজছে দিন বদলাবে বলে
অন্তত একবার সময়ের সত্যি বলবে বলে। 

আমার চোখের জল পৌঁছে দিলাম সেই সব কবিদের
যারা বিজ্ঞাপন নয় শুধুমাত্রই কবিতা লিখতে চায়
যারা কবিতায় লিখতে চায় মানুষ,ভালোবাসা আর দেশ
আমি নিশ্চিত আমার প্রত্যেক অশ্রুবিন্দু
এক একটি কবিতার জন্ম দেবে।
.
আমার সমস্ত ভালোবাসা, আমার সমস্ত স্পর্শ
আমি দিয়ে গেলাম জানলায় বন্দী সেই সব নারীকে
যারা আকাশ কল্পনায় জানলা বন্ধ করে
আগলে রাখা সংসার, আর আগলায় চোখের জল
যাদের কাঁদতে হলে বাথরুমে শাওয়ার চালাতে হয়। 
.
আমার নাম,যশ,সম্মান,পদবী, প্রতিপত্তি দিয়ে গেলাম
চায়ের দোকানে কাজ করা সেই লোকটাকে
সেই মেয়েটাকে যে প্রতি রাতে শরীর বিক্রি করে
তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করবে বলে
সত্যি মানুষ  করবে বলে। 
.
আমার গীতবিতান আর উপনিষদ আমি তোমায় দিলাম 
আমার মৃত্যুর পর কোনরকম কান্নাকাটি না
কোন নিয়ম বা কোন শ্রাদ্ধশান্তি না
বরং আমার মৃতদেহের সাথে উপনিষদটা দিও
আর গীতবিতানটা রেখ তুমি ভালোবাসার স্মারক হিসেবে।
.
আর আমার মৃত্যুর উত্তরাধিকারী একমাত্র সেই
বাউল জীবনগুলো
যারা শূন্য হাতে ,পথে পথে ঈশ্বরের সন্ধান করে
যারা লোভী নয়, ভালোবাসার ভিখারী
যারা মানুষের মাঝে স্বার্থহীন ভালোবাসা বিলি করে
গায়, " খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়। "
.
এছাড়া বাকিসব
সমস্ত কিছু লোভ,হিংসা-দ্বেষ,মিথ্যাচারিতা,স্বার্থপরতা
সব আমি নিয়ে গেলাম সাথে
সেসব নাহয় জ্বলে-পুড়ে শেষ হয়ে যাক
আমার সঙ্গে,আমার চিতায়
অনেক হলো বাঁচা বাঁচা খেলা, এইবার ছুটি । 
..
দানপত্র
.. ঋষি 


Monday, July 22, 2024

অভিযোগ

ধ্বংস হয়েছি আমি হাজারোবার
ধ্বংসস্তুপের সামনে বসে লিখেছি অনেক কবিতা
শুধু চেয়ে দেখেছি তোমাকে প্রতিটি বিধ্বংসি ভাঙনে
কি অদ্ভূত সুন্দর উপস্থিতি,
উপস্থিতি মেঘ ভাঙে, অকারণে বৃষ্টি
সারা শহর জুড়ে তখন কারণের সায়ানাইড। 
.
হাজারো প্রহর গুনেছি প্রতিটি ধ্বংসের চিৎকারে
সময়ের ভাঁজে লিখেছি নুড়ি পাথড়ের শব্দ
এখন আমি ধ্বংস ভালোবাসি 
তাই ধ্বংসের রঙে লিখি
তোমার শব্দরা আমাকে ইদানীং ভালো রাখতে পারে না
শুধু অভ্যেস তাই তোমার ধবংসে বাঁচি।
.
জানি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে  জীবনের সব সুতো
গিঁট বাঁধি, আগলাতে যাই,
শূন্যর কাছে ধার চেয়ে নি তোমার বিহ্বল ভাবনা
বারংবার গড়িয়ে পড়ি তাতে
অবাক হয়ে দেখি তাতে এক ব্ল্যাকহোল
এক  অপার ধ্বংস যা গিলে নেয় মুহুর্তের আলো, প্রেম মনে হয় জীবন শুধু মৃত্যুর হা ডু ডু খেলা
কে জেতে ?  কে হারে ? 
আমিই তো হেরে যাই বারেবারে। 
.
তবুও শব্দগুলো জমা রাখি তোমারই জন্য
ধ্বংসের কবিতায়
স্মৃতির আস্তিনে লুকোনো তোমার সমস্ত অভিযোগ। 
.
অভিযোগ
.. ঋষি 






হিসেব অক্ষর

উপন্যাসের শেষ পর্বে আয়ু মাপে 
প্রকাশক দফতর, 
ঠিক যেমন করে তুমি ইঞ্চি টেপে মাপো লেনদেন
হিসেব অক্ষর।
.
নিকোটিন ছোঁয়া, আর্তনাদী দিন
ভালোবাসা ঋণ, 
তবু আজ, কাল, পরশু একটা সম্ভাবনা,একটা অনশন সময়ের পাড় ঘেঁষে আর একবার কি সম্ভব ? 
ভুলে থাকা মধ্য রাতের ভুলগুলো আকাশের নক্ষত্র
তারা তো আজকের না, তবুও অসম্ভব। 
.
সবটুকু জানা
তবু হিসেবের জমানো টুকরো সুদ সমেত ফেরৎ,
সেদিন খুব বৃষ্টি শেষে,এক হাঁটু জল পেরিয়ে
বৃষ্টি  রেইন কোটে, মাকড়সা জাল আঁকিবুকি।
লিপ্সটিক মুছে ফেলা টিসু পেপাড়
ওয়েস্টবিন থেকে ফিচকে হাসি ছুঁড়ে দেয় যেনো 
মনে হয় প্যাস্টেলে আঁকা সেই সেদিনের বৃষ্টি 
আজকের আর্তনাদে।
.
জানি তুমি মনে মনে মানো
উপন্যাসের চরিত্ররা সব আমাদের গল্প
আর প্রকাশক হলেন বিক্রি চরিত্রের বোঝাপড়া
ফাঁকা কলেজস্ট্রীটে পুরনো স্মৃতির গন্ধ ।
.
হিসেব অক্ষর 
.. ঋষি 







কি হচ্ছে এসব?

প্রথমে বাংলাদেশে ছাত্রখুন  তারপর তিলোত্তমা জুড়ে এক অভিশপ্ত রাত  চীৎকার, প্রতিবাদ, কান্না,মিছিল  তারপর বন্যা আক্রান্ত ঘাটাল সহ বাংলার এক অংশ,...