অফিসের বাইরে চায়ের দোকান
এক ভাঁড় চায়ের শেষে ভাঁড়ে পরে থাকে মিশ্র অনুভুতি
চিনিটা একটু কম হলে ভালো হতো কিংবা লিকারটা একটু বেশি
কিছুতেই মন ভরে না।
এই অতৃপ্তি নিয়ে যখন লিখতে বসি
কবিতা আসে না
কাগজে ফুটে ওঠে ফিকে হলদেটে রঙের নকল ইমোশান, মেকি ফ্রাস্ট্রেশান, নাতিশীতোষ্ণ রাগ।
.
আসলে দূর থেকে রাজপথ সর্বদা মসৃন মনে হয়
গাল ঘষে দেখো, বুঝতে পারবে,
গরমে পিচ গলে যাদের চটি আটকে গেছে তাদের জিজ্ঞেস করো,
তারা জানে খনিজ তেলে মাখামাখি গাংচিলদের ক্লস্ট্রোফোবিয়ার কথা।
.
প্রতিদিন পাশবালিশ জাপটে এক জব্বর ঘুমের কথা ভাবি
ঘুম আসে না,
রাতদুপুরে আবার ফুটন্ত জলে দেড় চামচ শুকনো আবেগ ঢেলে দেই
ছেঁকে নেই পেয়ালায়,তবু মন ভরে না
চা শেষ হলে চিনে মাটির কাপে পরে থাকে মিশ্র অনুভুতি।
.
আসলে দূর থেকে রাজপথ দেখে মনে হয়
সময় একটা ধ্রুব সত্য,
যারা টিয়ার গ্যাস শেল আর রাবার বুলেট পকেটে নিয়ে হাঁটে
তারাই জানে সত্যিটা কি,
তারা জানে বাসি রুটি আর কচুর তরকারি
ধুলোয় ছিটকে পড়লে
বেপোরোয়া মিছিলে কাদের গলা স্লোগানে ভিজে উঠবে।
.
ক্লস্ট্রোফোবিয়া
.... ঋষি
No comments:
Post a Comment