আসলে একটু চুপচাপ থাকবো বলে
নিরিবিলির কাছে ছুটে যাই বারংবার,
নিরিবিলি সেই মেয়েটার নাম যার কাজল টানা চোখ
একটু অভিমানী, একটু রাগী, একটু ছন্নছাড়া
আমি আবাক হয়ে দেখি মেয়েটার ঠোঁটে হাসি
আর ওর চোখে বিষন্নতা।
.
তারপর ভোর হতে থাকে
তারপর আবারও পাখিরা জেগে ওঠে
কিচিরমিচির, কিচিরমিচির সারা শহরে শুধু শব্দ
আমিও মিশে যাই নিয়মিত সেই শব্দ স্রোতে,
আমিও হয়ে যাই এই শহরের দায়িত্বশীল নাগরিক
কিন্তু মনের পাঁজরে সেই একলা থাকা মেয়েটা থাকে
মন খোঁজে শুধু সেই নিরিবিলি ।
.
তারপর পড়ন্ত দুপুর পেরিয়ে মনটা কখন যেন পাহাড়ি
এখন বর্ষাকাল তাই মেঘ ভেঙে বিকেল নামে এই শহরে
আমার সমতল জীবন থেকে হঠাৎ শব্দরা উধাও
এই শহর উধাও
আমি আর নিরিবিলি।
সামনে দেখি বিস্তারিত কাঞ্চনজঙ্ঘা
বাঁ হাতে দার্জিলিং আর ডানহাতে রাভাংলার বুদ্ধ মূর্তি
আমরা মুল শহর থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন।
তারপর আরও উঁচুতে আকাশ আর জঙ্গল
সামনে বেশ কিছু গাছ ধাই ধাই করে লম্বা হয়ে গেছে যেন,
তারপর কখন যেন হঠাৎ রাত্রি হয়ে যায়
সামনে মেঘেরা সরে যায়
সামনে বাড়ির দরজা,সিলিংএ ঠেকা জীবন
আকাশ উধাও।
আমি কিন্তু ভয় পায় না মোটেও
আবার রাতের অন্ধকারে বালিশ জড়িয়ে আমি
ফিরে যায় তোমার কাছে
আবার আমি আর নিরিবিলি।
..
নিরিবিলি
.. ঋষি
No comments:
Post a Comment