লক্ষ্মী বলে দেহাতি মেয়েটার ৭০২ পাতার খসড়া পরে আছে থানার গুমঘরে
যার ধর্ষণের প্রতিজন অভিযুক্তকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে,
লক্ষ্মী বলে সেই মেয়েটাকে ক্রমাগত অপমানিত হতে হচ্ছে তার শশুরবাড়িতে
কারণ তার বাপের বাড়ি কথা দিয়ে কথা রাখতে পারি ,
লক্ষ্মী বলে মেয়েটা পয়সা ইনকাম করতে রাস্তায় দাঁড়াচ্ছে
কারণ তার পতি অকালে মরেছে তিনটে বাচ্চা দিয়ে ,
তা নাকি শুনছি আজকে লক্ষ্মী পুজো
এ কি তবে লক্ষ্মী মেয়েদের পুজো নাকি এক সাজানো পুরুষতন্ত্র
সংসারে শান্তির জন্য সারাদিন অনাহারে ঘোমটা টেনে মেয়েদেরকে মানতে হয়।
.
না না আপনারা বুঝছেন না
আমার জানার আছে
লক্ষ্মী মেয়েদের বৈশিষ্ট কি ?
বিয়ের পর সামাজিক পতির সেবা করা ,বাচ্চা মানুষ করা
রান্না করা ,সংসার সামলানো ,মাথা নিচু করে ঘোমটা পরে থাকা ,
তবে কি লক্ষ্মী মেয়েদের আকাশ দেখতে নেই
সত্যি বলতে নেই কষ্ট হচ্ছে
কাঁদতে নেই কারোর সম্মুখে
শুধু হাসি মুখের মুখোশে সবার জন্য ভাবতে হয়।
.
তবে কি লক্ষ্মী মেয়েদের সহ্য করতে হয়
তার পতিদেব যদি রাত করে মদ খেয়ে ফুর্তি করে বাড়ি ফেরে
তাকে সাদরে গ্রহণ করতে হয় ,
যদি তার পতি দেব সত্যি বলার জন্য তার গায়ে হাত তোলে
সেই ব্যথার কালসিটে গুলো লুকোতে হয় ,
তবে কি দাঁড়াচ্ছে
লক্ষ্মী মেয়ে হলে বাঁচতে নেই
শুধু নিজেকে প্রতিমুহূর্তে হত্যা করে শাড়ির আড়ালে,শাড়ির গিঁটে
একটা সংসার নামক নিয়মকে মেনে চলা ,
আমি অবাক হচ্ছি না
এই পোড়া দেশে যেখানে আজও মেয়েদেরকে শরীর ভাবা হয়
আজও যেখানে মেয়েদেরকে বিয়ের উপকরণ ভাবা হয়
সেখানে মেয়েদেরকে সত্যি লক্ষ্মী ভাবাটা কষ্টকর
বরং মেয়েদের লক্ষ্মী পুজো করাটাই ভালো
মেনে নেওয়া ভালো নষ্ট পুরুষতন্ত্রের সামাজিক আবরণ ।
.
লক্ষ্মী মেয়েদের কথা
... ঋষি
ব্যক্তিগত ভাবে কবির কাছে লক্ষ্মী মেয়ের ডেফিনেশন জানার ইচ্ছা রইল কবিতা লেখা সহজ সংসারে মেনে নেওয়া সহজ নয় তাই কবিতা আসলেই হয়তো মুখোশ
ReplyDelete