ফুরিয়ে যাওয়া ঈশ্বর
... ঋষি
হঠাৎ ঈশ্বর ফুরিয়ে যায় এই শহরে
হঠাৎ সর্বস্ব নিজস্বতায় হেঁটে যায় ব্যস্ত শহরে আগের মতো
কিছুই থেমে থাকে না ,
রাস্তার পাশে প্যান্ডেলের বাঁশ ,ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো ,দড়ি,ভাঙা মণ্ডপ
সব গিলিগিলি যে ,উধাও ।
সব ছড়িয়ে থাকে বিষণ্ণ সন্ধ্যের বারান্দায়
কিন্তু হাজারো ঈশ্বরের মুখেও তোমার মুখ মনে থাকে
ভুলচুক হয় না মুহূর্তদের ভিড়ে অসংখ্য টানাপোড়েন।
.
কত কথা তো মনে পরে
কত কথা তো বলার থেকে যায় অবশিষ্ট মানুষে
পুরোনো জামার মতো হঠাৎ কেমন ছোট পরে যায় জীবন ,
হৈচৈ করে সেই অভিমানী ঈশ্বর
আজও যে তার আলতা রাঙানো পা রাখে আমার বুকে
শুধু দাগটুকু থেকে গেছে
আমিও আজও হাসি ,ভাবতে ভালো লাগে
ঈশ্বর হওয়া থেকে অসুর হওয়াই ভালো
কারণ তবে বোধহয় পৃথিবীর জন্মদ্বার দর্শন হয়।
.
সবকিছু গোলমাল হয়ে যায় উৎসবের পরের শহরে
দু শালিখ ,কিংবা তিন শালিখ ,কোনো পরিসংখ্যান টেকে না
ঈশ্বর বোধহয় অবশিষ্ট মানুষে যন্ত্রনা খোঁজে।
আমি চেয়ে থাকি দূরে রাস্তার দিকে
আজ উদযাপন ,কাল বোধন ,
ঝপাং করে একটা শব্দ হয় চোখের জলে
এর থেকে বোধহয় আরও জোরে কাঁদা যায় না ,
ঈশ্বরের অপেক্ষায় পরে থাকে অবশিষ্ট কাঠামো আগলে জীবন
আবার অপেক্ষা অন্যদিনের
হা ঈশ্বর ,সত্যি কি শুধু একটা সময়
আর উৎসব শব্দটা শুধুই সাময়িক।
No comments:
Post a Comment