Saturday, August 31, 2024

কাম অন রেপ মি

       আপনাকে খুন করার ক্ষমতা আমি রাখি
  ক্ষমতা রাখি পরীক্ষাতে আপনাকে ফেল করাবার
ইচ্ছেদের পিছনে দাঁড়িয়ে দরজা বন্ধ রেখেছি বহুদিন
   ইতিহাস সাক্ষী, এর আগে করে দেখিয়েছি......
                   কাম অন রেপ মি   
   এক মণিপুর ছিল, আবারও কি মণিপুর চান ? 
.
                   উত্তর পাই নি আজও
অন্ধকার আচ্ছন্ন উপরওয়ালা,একে অপরের দড়িতে
                   টান মারলে সমাচার 
                       তাই বুঝি ভয় ? 
       সেদিনও মনোরমা মরেছিল চিৎকারে
কিন্তু আজও মণিপুর বেঁচে, বেঁচে মনোরমার মায়েরা।
.
                               সুতরাং 
আবারও বলছি ভারতবর্ষের মানচিত্রের উপর দাঁড়িয়ে
        আবারও বলছি ভার‍তবর্ষের তিরঙ্গা হাতে
   আবারও আমরা মিছিলে সময়ের বুলেটের সামনে।
                  সব কিছুর সীমা থাকে,
    কি ভাবছেন? আপনার ভয়ে প্রতিবাদ মরে গেছে? 
          কি চাইছেন ?  আমাদের মাংস, স্তন,যোনি? 
.
  বলুন তো চাইছেনটা কি ?  আবারও একটা মণিপুর? 
                  নগ্ন তো করেছেন আগেই 
         এইবার চাইছেন কি?  আমাদের নগ্ন মিছিল 
                       কি হলো জবাব দিন ? 
  আবারও একটা মণিপুর কি দুনিয়াকে দেখাতে চান      জানেন তো মনোরমাদের আপনারা ধর্ষন করেছেন 
   কিন্তু ভুলবেন না মনোরমার  মায়েরা  কিন্তু বেঁচে। 
                              সুতরাং....... ।     
.
কাম অন রেপ মি 
ঋষি 

Friday, August 30, 2024

কল্লোলিনীর চড়ছে স্বর


           
                     প্ল্যাকার্ডে লেখা সভ্যতা
এগিয়ে চলেছে এশহরে শেষকদিন পায়ে পায়ে মুক্তিতে
                    আজ কুড়ি কুড়িটা দিন 
    রঙ্গতামাশাতে ক্রমশ সরতে থাকা প্রতিটি দিন 
রাতগুলো এ শহরে কাটে সাধারণ মানুষের যন্ত্রনায়,
যারা ঘুমোচ্ছে তাদের ডেকে তোলার দায়িত্বে কুম্ভকর্ণ 
  আর আমরা বন্দী রাবণ সময়ের অশোক কাননে  ।
              "তোমার স্বর  আমার স্বর
               জাস্টিস ফর আরজিকর "
তুমুল হিংস্রতা সারা শহরের ধ্বনিতে আজ প্রতিবাদ
               তবু  ছেলে ভোলানো খেলা 
এক হিজরা সভ্যতার শাড়ির আড়ালে মুখ লুকোচ্ছে
সি বি আই থেকে পুলিশের গঠন তন্ত্রে চামড়ার স্বভাব
আর অভাবের ব্রান্ডিং এ আমরা আবারও  অপেক্ষায়
                   প্রশ্ন আর কত দিন ? 
.

                    এ এক বিস্ময় সভ্যতা
সভ্যতা লিখবো ভেবে গনতন্ত্রের জন্ম খুঁজতে বেরোই
আর বারংবার খুঁজে পাই শোকপত্রে লেখা কামগন্ধ 
                 জানি না আর কত দিন ? 
এসময় বারো থেকে বাহাত্তর নারী স্রোতে ভেসে যাচ্ছে শহর 
                "কল্লোলিনীর চড়ছে স্বর 
               জাস্টিস ফর আরজিকর "
                এ হলো সভ্যতার লজ্জা।
                        মশকরা নয়, 
ইদানীং জনগনের মশারির ভিতর মশাল জ্বলছে
  এ এক আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আমরা  
যেখানে ম্যানফোর্স দাপানোর কথা বিছানা বালিশে
  যেখানে ভালোবাসা লেখার ছিল পুরুষ, নারীতে
   সেখানে আজ দলা পাকানো কামগন্ধে ভিতর
          কোটি কোটি অভাগীর হাহাকার 
                         নিরাপত্তা 
                           সন্মান 
                          জাস্টিস
                 ছি ! সভ্যতার লজ্জা।
.
কল্লোলিনীর চড়ছে স্বর 
... ঋষি 

Tuesday, August 27, 2024

সেদিন বিপ্লব এসেছিল

সেদিনও বিপ্লব এসেছিল 
গৃহপালিত আমার মত লোকের তালা ভেঙে
একটা দূরপাল্লা রাস্তায় হাঁটতে শেখায়। 
.
সেদিনও বিপ্লব এসেছিল
মহাভারতের  ভীষ্মের সভাঘরে দ্রোপদীর শাড়িতে
দূরদর্শনের হাই টি আর পি রেটে।
.
সেদিনও বিপ্লব এসেছিল
ক্যামিকাল এক্সপেরিমেন্টে দেশসুদ্ধ ঘরবন্ধী খবরের 
 অনেকে বড়লোক হয়েছিল অধিকাংশ না খেয়ে মরেছিল। 
.
সেদিনও বিপ্লব এসেছিল
দেশের সীমানা থেকে ফেরা জওয়ানের বডিটে
সুরক্ষিত ভারতবর্ষ কেঁদেছিল কিন্তু পরে ভুলেছিল।
.
সেদিনও বিপ্লব এসেছিল
জয়জয়কার ভোটবাক্সে জনতার সাথে
মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল কিন্তু ঘুমিয়েও পরেছিল। 
.
সেদিনও বিপ্লব এসেছিল
সারা গ্রামে উলঙ্গ ডাইনি মহিলার গ্রাম ছাড়াতে
মানুষ বেঁচেছিল কিন্তু ডাইনিটা মরে নি।
.
সেদিনও বিপ্লব এসেছিল
কাজিরাঙ্গা ফরেস্টে চোরা শিকারীদের বুলেটে মৃত বাঘেদের সংখ্যাতে
বাঘগুলো মরেছিল ঠিক কিন্তু  আর জন্মায় নি।
.
সেদিনও বিপ্লব এসেছিল
বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে ইনকলাব বলাতে
আজ ইতিহাস আছে কিন্তু ইনকিলাব নেই।
.
সেদিনও বিপ্লব এসেছিল
ফটোসিন্থেসিস ভুলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল দেশ বানাতে
আজ গাছ আর চাকরী কোনটাই নেই।
.
আসলে সত্যিটা হলো 
বিপ্লব বলে ভদ্রলোক মিথ্যের সাথে থাকেন না
মানুষের সাথে জাগেন আবার ঘুমোন। 
.
সেদিন বিপ্লব এসেছিল
.. ঋষি 

রাষ্ট্র বনাম আমি

আশ্চর্য  অন্ধকার
এক বহু চর্চিত বৃষ্টির লোভ, 
কোন রকম ফরেন্সিক টেস্ট ছাড়াই
রাষ্ট্র আজ সাক্ষাতকারে ব্যস্ত,
তুমি জানো না বোধহয় সম্ভাবনায় থাকে আত্মতৃপ্তি
আর যৌনতায় থাকে বিকিরণ। 
.
আমার মুখ থেকে ওঠা রুমালে লোকানো রক্ত
অভ্যেস রাষ্ট্রের বিসর্জনে সংক্রমনের,
ইচ্ছের মধ্যে সুপ্ত আমাদের ভালোবাসা,বাঁচাটুকু
আজ রাষ্ট্রবিরোধী অভিযোগে কোন ঠাসা,
তুমি জানো একথা আমি জানি
কারণ আমার স্বপ্নরা তোমার চোখের নীচে একলা।
.
এ কবিতা সাহস করে পাঠ করবে না কেউ
কারণ এখানে ইলিউশানের নিঁখাদ জট,
সম্পর্ক ইদানীং রোজনামচা ফুরিয়ে পলিথিন স্মাইল
আর কবিরা সব সন্মানিত রাষ্ট্রের হাতিয়ার, 
তাই রাষ্ট্রকে শুভেচ্ছা চিরকাল
আর অভিনন্দন তোমাকে
তোমার বিছানার চাদরে জমা অধিকার বোধকে,
আমিও জানি না এমন নয়
জনসাধারণ তাদের ডেস্টিনেশন টুকু বুঝে নিক
আমি থাকি কিংবা না থাকি
সময়ের আগামী সার্জারীতে রাষ্ট্র থাকবে না জানি। 
.
রাষ্ট্র বনাম আমি
.. ঋষি 

অসুখ

     ভালোবাসি তাই এই যুদ্ধটা আমি লড়ছি
        অথচ তিলোত্তমা তুমি ভুল বুঝলে
      লাঠি চার্জ করলে,জল কামান দাগলে
প্রশাসনের চোখে চিরকাল কালো রুমাল বাঁধা ছিল
       নতুন কি? 
        শুধু কান্নাটা আমাদের দুজনার রইলো।    
.
  তোমার উপহার দেওয়া রুমাল আমার পকেটে
   আমি তো বারংবার সেই রুমালে চোখ মুছেছি
      তোমাকে ভেবেছি, তোমার জন্য বেঁচেছি,
    আজও লড়ছি মশাল হাতে , কালও লড়বো
             তোমার সুস্থতাই আসল লক্ষ্য। 
.
   তিলোত্তমা সত্যিটা হলো আমরা দুজনেই অসুস্থ
      আমদের ভুল বোঝাটাই আসল অসুখ,
       এই শহরটাই আমাদের একটাই পরিচয়             একটাই হাসপাতালে আমরা সকলেই রোগী,
        এখানে ডাক্তার আছে, চিকিৎসা আছে
.
                            তবুও,
.
       চুমু খেতে চেয়ে যেই না ঠোঁট বাড়িয়েছি
       তারা আমাদের জিভ কেটে নিয়ে গেছে। 
.
অসুখ
... ঋষি 
.

স্লোগান

আজ এপিটাফ পড়তে 
এ শহরে প্রতিটা মেয়ের চিতায়,কবরে বিপ্লব এসেছে,
বিপ্লব হলো হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের সেই ছেলেটা
যে অমর অক্ষরে লিখে চলেছে দিনবদলের গাঁথা। 
বিপ্লব নামে ছেলেটা আসলে ম্যাজিক জানে
সে নিয়মিত লুকিয়ে থাকে মানুষের মনে 
অপেক্ষায় থাকে মানুষের ঘুম ভাঙার।
.
ইতিহাস সাক্ষী বিপ্লব নামের ছেলেটা যদি মানুষের ভিতরে জাগে
তবে জনগন টিয়ার গ্যাস, জল কামান,লাঠি চার্জ
প্রশাসনের নির্লজ্জ রক্তচক্ষু সব প্রয়োজনে অবমাননা করে
রুখে দাঁড়িয়ে  হঠাৎ সত্যি বলে, 
বেধরম মার খেতে খেতেও  চিৎকার করে
সময়ের প্রতিটা সহ্যের জবাব চেয়ে রাস্তায় নামে
অত্যাচারের শেষ দেখে, শেষ দেখিয়ে ছাড়ে।
.
আমি জানি সেই মেয়েটাও আজ একই রাস্তা দিয়ে হাঁটছে 
হাজারো মেয়ের প্রতিকীরূপে হাজারো  যন্ত্রনা কুড়িয়ে,চিৎকার কুড়িয়ে
আজ সেও শ্লোগান তুলেছে 
𝐖𝐄 𝐖𝐀𝐍𝐓 𝐉𝐔𝐒𝐓𝐈𝐂𝐄,
এটা সেই মেয়েটা যে এই শহরে কোনদিন বেলফুল কুড়োতো
আজ তারই অসময়ের না নেভা চিতার আগুনে 
এ শহরটা পুড়ে ছাড়খার
অন্ধকার ধোঁয়ায় দাঁড়িয়ে আজ সাধারণ মানুষ লড়ছে
মানুষের স্বার্থে, মানুষের হাতে হাত রেখে। 
মেয়েটা দেখতে পাচ্ছি সব, ভীষন খুশি সে
তবুও তার চোখের কোনায় জল
মেয়েটার পাশে  দাঁড়িয়ে আজ বিপ্লব নামের ছেলেটা
সেও দেখছে এ শহরটা পুড়ছে
তবুও তারা দুজনেই হাততালি দিচ্ছে আনন্দে
মানুষের স্লোগানে আজ যে শুধুই মানুষ।
.
মানুষের স্লোগান
ঋষি

Sunday, August 25, 2024

অঘোরা

বলতে না পারা সময়ের যুদ্ধটা
চন্দন ধুপে সাজানো শ্মশানে সোহাগের গন্ধে মিশে
মিশে ভালোবাসা,আক্রোশ আর পুরুষকে সন্দেহে
ভালোবাসা যখন অঘোরা তান্ত্রিক
প্রেমিকা তখন বিছানা পেরিয়ে দরজা খুলে দাঁড়ায়।
সময়ের সম্পাদকীয় কলমে যখন ছড়িয়ে পড়ে জঞ্জাল
আকাশ তখন বাড়ি ছঁতে চায়
তখন সম্পর্করা স্পর্ধা ছাড়িয়ে নরমাংস ভোগী
স্পর্শরা ছুঁতে চায় ভালোবাসার মৃতদেহের রক্ত।
.
এতদিন যতটুকু গোছানো ছিল এই শহরে
যতটুকু মাছ দিয়ে ঢাকা ছিল প্রেমিকের পাতে
আজ সব লন্ডভন্ড,
অভ্যেস বদলানো যায়,মানুষেরা পোশাক বদলায়
কিন্তু সময় সাময়িকী খবর
সমস্ত নিষেধাজ্ঞা, সংবিধানের ঘরদোর আজ লন্ডভন্ড
ভালোবাসা আজ জবাব চায়
শরীর নয় ঈশ্বরের কাছে অকৃতজ্ঞ নির্ভরশীলতা। 
.
সময় হয়তো জানে
      মানে কই ? 
ঋতুকাল কেটে গেলে ভালোবাসা কিংবা নারী
প্রেমিকের খোঁজ রাখে না
সাথে থাকে,
কিন্তু ছিঁড়ে ফেলে নিজের ভালো থাকার বিজ্ঞাপন। 
বলা আর না বলা যুদ্ধটা তাই আজ
জমান ক্ষোভে ফুটছে প্রতিটা গৃহস্থের হাঁড়িতে
তাই পুরুষ প্রেমিকের পাতে আজ আক্রোশ আর ঘৃণা, 
ভালোবাসা শরীর নয়, মানবিকতা খুঁজছে
খঁজছে প্রশ্ন অন্ধকারে
.
ভালোবাসা তুমি কখনও ফুলশয্যা বিক্রি করেছো ? 
.
অঘোরা
... ঋষি 

Saturday, August 24, 2024

আওয়াজ

   আমি রাজধানী থেকে বলছি,আমি আসাম থেকে
           আমি নেপাল থেকে, আমি হরিয়ানা
   আমাদের কোন জাত নেই,বিভেদ নেই, ধর্ম নেই
   আমাদের কোন রঙ নেই, ধর্মগ্রন্থ নেই,শ্রেনী নেই,
          আমাদের শুধু একটাই পতাকা তিরঙ্গা
            আমাদের শুধু একটাই স্তম্ভ অশোক
                         আমরা খুব সাধারণ 
              আমরা ভারতবর্ষ,আমরা জনগন।
.
                        সব ঠিক হয়ে আছে
যতক্ষণ তুমি ভিক্ষাবৃত্তিতে কুড়িয়ে নেবে উচ্ছিষ্ট জীবন 
                                অন্যথায়,
 প্রতিটা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তোমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে
 এই আলো, এই অবয়ব, এই উপস্থিতি,এই সরগম
        সব ওনাদের দান, ওনারাই বুদ্ধিমান, রাজা
              আমরা বোকা,আমরা কেউ না। 
                      ওনারা মনে করেন 
         এ সব শুধু কিছুক্ষন, এ সব শুধুই ততক্ষন
                 তাহাদের চিরকাল অপেক্ষা 
           জনগনের আওয়াজ ফুরিয়ে যাওয়ার। 
.
                   কিন্তু রাজা,
 রোদ ঝড় আর সাঁতার কাটার একটাই নিয়ম
                  "   রুখে দাঁড়ানো   "।
       অপরাধ  একবার নরম মাটিতে বিড়াল
   অপরাধ বারবার, বারংবার এইবার জনগনের নখ,
জনগন মায়ায় থাকে, ছায়ায় থাকে, বোকা সেজে থাকে
                ইতিহাস সাক্ষী ততক্ষন 
      যতক্ষন বিড়ালের দেওয়ালে পিঠ না ঠেকে
                      আর ঠেকলেই
            জ্যোৎস্না মিছিলে বারুদের ঘ্রাণ। 
.
         এইবার জনগন বলছে,বলছে গনতন্ত্র
                   জনতার আওয়াজ
কি হলো রাজা ? এইবার জবাব চাই,জবাব দেও........। 
.
আওয়াজ 
.. ঋষি 

Friday, August 23, 2024

তবু কলম থামে না

লিখতে পারাটা একটা অসুখ
ঋক, সাম, যজু, অথর্ব, রামায়ণ, মহাভারত, কোরান 
সব লেখা হলো 
তবু কলম থামে না, 
তোলপাড় সময়ের ভীড়ে বাড়ি ফিরে আসা অগুনতি শব্দরা অস্থির
রোজদিন হতাশারা পেট ভরে খায়, ঘুমোয়, জাগে
তবুও পাখির শরীরে পালক, আগুন লাগা অন্ধকারে চাঁদ
ভালোবাসা বিপ্লব কুড়িয়ে জীবনে বিলাসিতা আনে। 
.
তোমার দিকে তাকাতে ভালো লাগে
মানুষের ভীড়ে তোমাকে খোঁজাটা সাংবিধানিক অভ্যেস
হয়তো তাই আমার অকারণে বৃষ্টিতে ভেজাটা প্রতিবাদ
কিংবা অভিমান হয়তো।
এ এক বিস্ময় যৌবন 
গনতন্ত্র লিখবো ভাবলেই বীর্যের সন্ধান পাই
আসুরিক কামে আক্রান্ত হয় বারংবার ক্লান্ত ভারতবর্ষ
ইদানীং লজ্জা লাগে লিখতে
তবু কলম থামে না। 
.
লিখতে পারাটা একটা অসুখ
কেন যে লিখি ? 
জীবনের সাপ্লিমেন্টের মত তোমার কাছে ছুটে যাই বারংবার
সত্যি বলি, 
তবু দোষী অভ্যাসে বারংবার দু:খ কুড়িয়ে ফিরি।
হঠাৎ মুঠোফোনটা চমকে বেজে ওঠে
ওপারে এক ক্লান্ত সময় তোমাকে অধিকারে চায়
আমি অপমানিত , 
তবু লিখতে থাকি তোমাকে
লিখতে লিখতে কখন যেন তোমার তলপেটে শব্দরা জন্মায়
আমি আবারও অপরাধী হয়ে যাই। 
.
তবু কলম থামে না 
... ঋষি 



Thursday, August 22, 2024

বৃষ্টি ছায়া

বাইরে তুমুল বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া
ভিজে চলা ঝুটঝামেলায় এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে সময়
ইদানীং হাওয়াতেও আইন আছে
তাই তোমার চঞ্চল চাহুনি বৃষ্টি ছায়া খোঁজে,
ভিজে চলা সময়ের সফরে প্রতিবাদ একলা
অচেনা নাম্বারের একঘেয়ে রিংটোন ছুঁইমুই বাতিক
রাষ্ট্রের ঘুম ভাঙে না
শুধু চোখে দেখা বৃষ্টিতে গড়িয়ে নামছে তোমার স্বপ্ন নাভি।
.
অসফল মুহুর্তের প্রান্ত সীমানায় তুমি দাঁড়িয়ে
তোমার ক্লান্ত চোখে ইদানীং আমি ভয় দেখি
বৃষ্টির জল আমি ছড়িয়ে পরতে দেখি তোমার মুহুর্ততে, 
সমাজের অন্দরমহলে আজকাল পুরনো রেইনকোট
না বৃষ্টি মানছে না আর, বদল চাই, 
ভৌগোলিক দূরত্ব ব্যাপি ভুল সুরে বাঁধা আমার দেশে
পুরনো গীতারের স্ট্রিং জুড়ে আজ একই সুর
জবাব চাই, স্বভাব চাই.নিরাপত্তা চাই
চাই সন্মান। 
.
এক আগস্টের ১৪ তারিখ 
এক ইতিহাসে শাঁখ বাজিয়ে  তোমার জেগে ওঠা সময়ের রেডিয়েশনের আজ শুধু অপেক্ষা,
ভরসা ছিল, ভরসা আছে
তাই বৃষ্টিতে ভিজা তোমার হাত ধরে হাঁটা হে তিলোত্তমা। 
তোমার শরীর জুড়ে গড়িয়ে নামা বৃষ্টির জল
সময়ের প্রতিবাদ
আর তোমাকে একলা  ভিজতে হবে না
আমি আছি, আমরা আছি
একসাথে
এই প্রতিবাদ, এই বৃষ্টিদিন আসলে আগামীর জন্ম
আর কোন ভয় নয়, নয় লজ্জা 
আজ শুধু বৃষ্টির নিরিখে ভিজে চোখে তারিখ লেখা বাকি। 
.
বৃষ্টি ছায়া
.. ঋষি 

Monday, August 19, 2024

ইনকিলাব জিন্দাবাদ

মেয়ে তোকে বলতে নেই ভালো নেই
মেয়ে তোকে বলতে নেই খিদে পেয়েছে,ঘুম পেয়েছে
মেয়ে তোকে আবদার করতে নেই,
মেয়ে তোকে বলতে নেই আদর পাচ্ছে,কষ্ট হচ্ছে
মেয়ে তোকে পরপুরুষের দিকে তাকাতে নেই
মেয়ে তোকে দৌড়তে নেই,উঁচু গলায় কথা বলতে নেই
মেতে তোকে রাত করে বাড়ি ফিরতে নেই। 
.
মেয়ে তোকে শরীর ঢেকে রাখতে হয়, ঘোমটা দিতে হয় 
মেয়ে তোকে জন্ম দিতে হয় কিন্তু জন্মাতে নেই
মেয়ে তোকে স্বামীর কথা শুনতে হয়, মার খেতে হয়
মেয়ে তোকে কাপড় খুলতে হয় কিন্তু ইচ্ছে করছে না বলতে নেই
মেয়ে তোকে রান্না করতে হয়,সন্তান বড় করতে হয়
মেয়ে তোকে পরিবারকে যত্নে রাখতে হয় কিন্তু শরীর খারাপ বলতে নেই
মেয়ে তোকে বারংবার মরতেই হয়, বাঁচার কোন সুযোগ নেই। 
.
কি মশাই ঠিক তো ? 
কেন বলছি এমন বুঝতে পারছেন না, 
উত্তরের লাঠিটা সামনে রেখে,সামনের লাঠিটা পিছনে গুঁজে
আর কত দিন ? 
সময় কি সত্যি শুনতে চায় সত্যিগুলো? 
সময় কি সত্যি বুঝতে পারে মিথ্যেগুলো? 
সময় কি সত্যি বোঝে পৌরুষের মানে? 
রাজদন্ড, পুরুষের দন্ড, মেরুদণ্ড সব একএকখানা মিথ
আজ এতদিন ধরে এই গোলকের ভুগোল বদলালো
বদলালো সীমারেখা মানচিত্র
কিন্তু ইতিহাস ? 
.
"যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। 
অভ্যুত্থানম অধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্॥
পরিত্রাণায় হি সাধুনাং বিনাশয় চ দুষ্কৃতাম।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥"

সত্যি কি মানে আছে এই শ্লোকের? 
কি মানে মানবিকতার ? অহিংসার ? গনতন্ত্রের? 
প্রমাণ কই? 
লোপাট সব। 
আগুন দরকার, দরকার জেগে ওঠার, না ঘুমোবার
একটা বিপ্লব যুগ বদলাতে পারে
কিন্তু খুব প্র‍য়োজন একসাথে চিৎকার করে বলার
             " ইনকিলাব জিন্দাবাদ "।
.
ইনকিলাব জিন্দাবাদ 
.. ঋষি 


ভালোবাসি তোমায় তাই জবাব চাই

বিশ্বাস আর নি:শ্বাসে তুমি থেকে যাবে
ভালোবাসা পুড়ে গেলে সময়ের ঘরে ছাই
আর জীবিততে
একটা জীবন শুধুই তোমাতে বাঁচতে চাই। 
কথামালা, স্মৃতিঘর, উপসংংহারে চিতা
অল আর কমন ফ্যাক্টর 
শুধুমাত্র ভুমিকায় লেখা জীবন, শুধু একটাই উত্তর
ভালোবাসি,তাই বাঁচতে চাই। 
.
ভালোবাসি একটা গাছ, ভালোবাসি ছায়া
ভালোবাসি শ্রাবণের মেঘ, ভালোবাসি রৌদ্র
ভালোবাসি উড়তে থাকা মুহুর্তে, কফিকাপে সময়
ভালোবাসি রবিঠাকুর, ভালোবাসি সত্যজিত
ভালোবাসি অবনীন্দ্রনাথ, গনেশ পাইন,ভালোবাসি শহর
ভালোবাসি তোমার উড়তে থাকা আঁচল 
কাজল টানা চোখ 
ভালোবাসি তোমায়,তাই বাঁচতে চাই। 
.
লাশ হয়ে ভাসতে থাকা পুরনো খালে অন্ধকার অতীত
আর জি কর বেডে শুয়ে থাকা মৃত তরুনীর শরীর
যাদবপুরের খুন হওয়া সেই নিথর তরুনের বডি
সময়ের চিৎকার,অবহেলা, অগ্রাহ্যতা
সব ভুলতে চাই,
হেমলক ঢালা বিমূর্ত সম্পর্কের ছাইদানি, উপছানো ছাই
ধোঁয়া দিয়ে গড়া নিয়মের কাঠগড়া
অন্ধমারে ডিমলাইট
     ভুলতে চাই।
.
পুরনো ডাকহরকরা,টিংটিং  সাইকেল
ইথার তরঙ্গে অনবরত তুমি কবিতা,সকাল- সাঁঝ-বিকেল
বোধনের আগেই নীলকণ্ঠ পাখির ঠোঁটে সময়ে বিষ
উপছানো পান পাত্রে নেশা,
বয়সের মাঝরাস্তায় চিৎকার করে বলতে চাই
ভালোবাসি তোমায়
তাই জবাব চাই
আমিও বাঁচতে চাই। 
.
জবাব চাই
... ঋষি 

Tuesday, August 13, 2024

পত্তো কা হ্যা জিসম জানম


" পত্তো কা হ্যা জিসম জানম, ভীগ জানে দো
পাতা ঝরা বৃষ্টি বলো কেন এনেছো? "
কবির কবিতায় ভালোবাসা যেন পাহাড়ি বৃষ্টি 
এ যেন স্যাতস্যাতে চারফর্মায় প্রিয় কবিতার বই
                         ভালোবাসা
……................................  ছোঁয়াচে বড়
শুধু সময়ের প্রান্তর ছুঁয়ে কলেজস্ট্রিতে কবিতার গন্ধ।
তাই  কখনও কোন কবিতার সিলেবাস হয় না
মহাপ্রস্থানের এর গলিতে দু-চার বুক সিগারেটের ধোঁয়া
              হঠাৎ আকাশ জুড়ে মেঘ,তুমুল বৃষ্টি
শব্দরা ছোঁয়াচে
             শুধুই মুক্তিতে। 
.
পাণ্ডুলিপি সিরিজ
ছাপাখানার অন্ধকার ঘরে কবির শব্দরা সব ম্যাজিক
             ভালোবাসা,ইমপারফেক্ট চাঁদ,
সময় জুড়ে নামা চ্যাটচ্যাটে প্রেম 
বীপ্লব , যার কোন সিকিউরিটি পিওড নেই,
ভালোবাসা মৃত্যুহীন কবিতা
শুধুই পাতায় পাতায় রাত কাহিনীর মত পাঠকহীন 
কারণ ছাড়া যন্ত্রনা। 
.
ভালোবাসার শেষ চরণে কিছু নৈর্বেদ্য, ফুল আর স্বপ্ন 
প্রেমিকার বায়োপিকে চৌষট্টিকলা 
আর কালপুরুষের ছড়ানো আকাশ
                " দিকদর্শন ",
বসন্ত বাহার ও রাগ এর মূর্চ্ছনায় থমকে যায় সেমিকোলন
        প্রতিটা বৃষ্টির পরে
..... কলমের একটু আগে।
.
পত্তো কা হ্যা জিসম জানম
.. ঋষি 
.



Monday, August 12, 2024

ন্যাংটা সভ্যতা

মাথার ভিতর ক্রমাগত ধস্তাধস্তি চলছে
কোনরকম সম্ভাষণ, প্রতিশ্রুতি ভালো লাগছে না
ভালো লাগছে না মানুষের গা ছাড়া হাওয়া,
মানা যাচ্ছে না কিছুতেই
মেরুদণ্ডটা কিছুতেই আর নুইতে চাইছে না
সাদা পাতার উপর টিপ টিপ রক্তছাপ
কেমন যেন আগুন জ্বলছে মাথায়। 
.
এই আর্তনাদের অর্থ খুঁজতে গেলে
সেই মেয়েটার সবুজ কাপড়ে ঢাকা স্টেটিথস্কোপ
ছিন্নভিন্ন উলঙ্গ শরীর, মুখ হা করা জন্ম মুখ
বুকের উপর ন্যাংটা ধ্বংসের দাগ মনে আসছে,
গা গোলাচ্ছে ভীষণ।
কোথায় যেন দেহ থেকে দেহ,
ব্লেডের কিনারা দিয়ে হাঁটতে থাকা নারী নিরাপত্তা
আজ যেন আঙুল তুলে দেখাচ্ছে
ন্যাংটা  অপারক সভ্যতা । 
.
আপনাদের লজ্জা করছে না ? 
বারবার, বারংবার সারা বাংলা তথা প্রতিটা রাজ্যে
নৃশংস নগ্নতা, 
কে উত্তর দেবে কেন? 
মাছের বাজারে আঁশের চাষ হবে
আর মানুষের বাচ্চাগুলো মেরুদণ্ড বিক্রি করে নিশ্চিন্তে ঘুমোবে
আর বারংবার ইচ্ছেমতো যাকে খুশি
কি মজা তাই না !!
কারোর মাথা, কারোর যোনি, কারোর স্তন কাটা যাবে
কাউকে থেঁতলে, মেরে তারা মজা পাবে
আর আমরা ভালো দুদু বাচ্চা, চুপ থাকবো ? 
.
সত্যিকে বিকৃত করে মিডিয়া মারফৎ পরিবেশন হবে
খবরের বদলে মুখরোচক গল্প হবে 
তখন আমরা বুদ্ধিজীবি শিক্ষিত সমাজ তেলের লাইন দাঁড়াবো
কলমের মাথা খেয়ে প্রতিভা চটকাবো
লজ্জা করে না আমাদের
সময় হলো এইবার
ময়দানে আসুন, সত্যির সামনে আসুন
মেরুদন্ড তো আছে নাকি
আর না
   আর একবারও না......... 

.
ন্যাংটা সভ্যতা
.. ঋষি 



.



Sunday, August 11, 2024

মন কেমনের কবিতা

এ দুনিয়ায় ফাঁকা বলে কিছু হয় না
শাড়ির আঁচল সরে গেলে কিছু থাকে না, এমন না
কত আসাযাওয়া, কত কোলাহল
টেলিফোনিক বার্তাবিনিময়,বন্ধু,প্রেম আর সময়, 
এই শহর জানে ফুরোতে নেই
তাই এই শহরে ফুল ফোটে আবারও মানুষ বদলায়। 
আসলে গলার  কাছে আটকে থাকে কিছু ,বলতে নেই
সময়ের হাতে হিতউপদেশ, কষ্ট পেতে নেই । 
.
আমাদের ভালো থাকা জুড়ে তারা খসে পড়ে বারবার
চারপাশে কারা যেন দরজা খুলে দাঁড়ায়
হাতছানি দেয়,
পাতা জুড়ে তৈরি আমাদের বোবা সাঁকো কাঁপতে থাকে
ভাঙতে থাকে বারংবার বুকের ভিতর দূরত্ব। 
আমি পাহাড় থেকে গড়িয়ে নামি 
হঠাৎ চমকে তোমার মুখের দিকে দু'দন্ড তাকাই
চেনা মেঘ অচেনা তখন জংলী পাহাড়ী বৃষ্টিতে।
.
ঘুম আসে না ইদানীং 
কারা যেন আবারও ফিরছে ভেবে শ্বাস আটকায়
তোমার চিবুকের কোণায় একবিন্দু খুশি
সময়ের অগোছালো ভাবনা
রাখা থাকে,
ফাঁকা থাকে তোমার বন্ধ দরজার এপাশে 
এক চিলতে কাঞ্চনজঙ্ঘা 
এক মন কেমনের কবিতা।
,.
মন কেমনের কবিতা
... ঋষি 

Saturday, August 10, 2024

আর কোন ধর্ষন নয়

আমরা পিছনে ফিরে তাকাবো না
কারণ আমরা ওর কেউ নই,
আমরা সামনের দিকে তাকাবো না
কারণ আমাদের পরিবার বিপদে পড়বে
আমরা নিচে,উপরে কোনদিকেই তাই তাকাবো না
বরং চোখ বন্ধ রাখবো 
তাতেই মঙ্গল। 
.
আমরা ফেমিনিস্ট  নই
আমরা কোন জঙ্গি বা মাওবাদী কিছুই নই 
আমাদের পিস্তল নেই তবে আইন আছে
আমরা দেখতে পাই না তবে চোখ আছে
আমরা খবর শুনি, দু:খ প্রকাশ করি
আমরা শান্তি চাই, অটোর লাইনে দাঁড়াই
আমরা জনসভায় উপস্থিত থাকি,ভোট দি
কিন্তু প্রশ্ন করি না কেন? 
কেন বারংবার? 
.
পুরুষের ভোগে ব্রথেল আছে
কমবেশি সকলের অধিকার কিংবা বিয়ের সার্টিফিকেট আছে
প্রত্যেকের বাড়িতে খাট,গদি, চাদর,বালিশ সব আছে
প্রত্যেকেরি তো কম বেশি একটা শরীর আছে
তবে কেন? 
তবে কেন বারংবার এই নারীদের সম্মানে হানা? 
তবে কেন বারংবার ক্ষতবিক্ষত,রক্তাক্ত যোনি?
বাংলা বিহার উত্তরপ্রদেশ কোথাও বাদ যায় না
পাঁচ থেকে পচারত্তর কেউ বাদ যায় না
শরীর শুধু শরীর, মাংস শুধু মাংস
বিংশ শতাব্দী পার করেও আমরা এখনো বদলায়নি
এখনো তো আমরা সবাই মানুষ হতে পারি নি। 
.
হ্যা মশাই আপনাকে বলছি
আজ আরজিকর কাল হয়তো আমি, পরশু আপনি
আপনা মেয়ে এখন কি করছে ? পড়তে বসেছে,
আপনার স্ত্রী এখন কি করছেন? রান্না করছেন
আর আপনার মা ? আচ্ছা গীতা পড়ছেন। 
ভাবুন আরেকটু ভাবুন, যদি আপনার ? 
কি ভয় করছে ? 
মশাই এখনো সময় আছে, আপনারও........ 
.
আর কাহাতক একই খবর বারংবার আর কতদিন? 
একই জনরোষ কিছুক্ষণ শুধু এইটুকুই
খবর, মিডিয়া,বেচাকেনা, টি আর পি কিছুদিন
মোমবাতি মিছিল,শোক জ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন 
কিছুই যায় আসে না,আমরা শুধু ভুলে যাই
কারণ আমরা ওদের কেউ না, 
কিন্তু যার যায় তার যায়
আর আমরা, 
আবার কোন ধর্ষনের খবরের অপেক্ষায়।
অনেক তো হলো, এইবার উঠুন, জাগুন
যে নারীকে আমরা দেবীর মর্যাদা দি, প্রণাম করি
উচ্চারণ করি 
   " যা দেবীসর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা। 
     নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ॥"
  তাকে এইবার স্বআসনে অধিষ্ঠিত করার  সময় হলো
          সময় হলো রুখে দাঁড়িয়ে বলার  
                      একটাই  শাস্তি........
                       কেটে নেবো। 
.
আর কোন ধর্ষন নয়
..ঋষি 

Friday, August 9, 2024

পরদেশী

এক অতীত, এক ভবিষ্যৎ
পুরনো মুখগুলো ফিরে আসছে ধীরে ধীরে
তোমার জন্য প্রোটিন ভরপুর তারিখ,কবিতার বই
জানি শুকনো অসুখের ভিতর তুমি হিমসিম খাচ্ছো,
তুমি তেজস্ক্রিয় ঘাম মুছে নিচ্ছো বাঁচার রুমালে
আমি পরখ করছি
তোমার মাথার উপর নতুন ওঠা চাঁদের দাগ। 
.
আমি বুঝতে পারছি
তোমার আত্মা লম্বা জুতোর থেকে আরও লম্বা ইদানীং 
তোমার সমস্ত রাস্তা জুড়ে হাতছানি চিরকাল 
আনমনে হাঁটছো।
তোমার বিছানার পাশে ডাকবাক্সহীন ঘুমন্ত কলকাতা
ওষুধের বাক্স,সিসিগুলো সব যাচ্ছেতাই,
জানি ঘুম ভাঙবে কলকাতার অপেক্ষার সকালে। 
.
দেখতে দেখতে শ্রাবণ মাস এসে গেল নিয়ম করে
তোমার দরজা অবধি এগিয়ে এসেছে এ বছর রবারের মুখোশ,
এই বছর বৃষ্টি হচ্ছে যখনতখন
ঘুম ঘুম আর ঘুমের জন্য তোমার অনেকটা দিন কাটলো
আমিও পরদেশী হয়ে রয়ে গেলাম তোমার সাথে।
তোমার কবিতায়, তোমার যন্ত্রনায় জানি আমিময়
তবু তোমার ঘর,বিছানা বালিশ পেড়িয়ে
একটা নদী বয়ে চলেছে এই শহরের মাঝে
তবুও এই শহর নদীমাতৃক নয় 
বরং রোগমুক্তির অপেক্ষায়।
.
পরদেশী
.. ঋষি 




কোলাজ

আমার কিছুই হবে না আর 
                 যে  কোনো   ভাবে বেঁচে থাকবো 
বাঁচতেই হবে আমাকে তোমার জন্য। 
তন্নতন্ন করে খুঁজে চলা সুখ, পৃথিবীর খুঁদকুড়ো
জানি এই পৃথিবীর অসুখ ,
অলস মোমের আলো এ জীবন , আর খুব সাধারণ রূপকথা
বুকে নিয়ে বেঁচে থাকবো মানুষের দলে।
.
প্রতিদিন কবিতা বদলাবে 
বদলাবে ভালোবাসা কবিতার পাতায় হরেক রকম সাজে 
আমি জানি আমার তুমিটা থাকবে ঠিক , 
সামনের রবিবারে হয়তো একটি পাক্ষিক পত্রিকা আসবে 
তোমার কবিতায় ভরে উঠবে উঠোন 
সামনের রবিবারে হয়তো ব্যস্ত রাজনীতিক ভিড়ে 
      কেউ খুন হবে 
হয়তোবা সত্যি বলবে। 
.
ডুবে যাবে অন্ধকার আলোর সঙে
                      হয়তো অনেক কিছু বদলাবে এই শহরে 
 তবুও জানি আমার তুমিটা আবার  ঝাঁপিয়ে পরবে আমার বুকে 
মুখ ঘষবে ,খুঁজবে তোমার গন্ধ। 
আবার হয়তো নতুন কবিতা হবে 
সামনে রবিবার আমার খাসি ,তোমার বাড়ি ইলিশ রান্না হবে 
মিউজিয়ামে পুরাতন গ্রামাফোনের বাজবে আবারও  রবীন্দ্রসংগীত 
"আমি তোমার সনে বেঁধেছি আমার প্রাণ। "
.
আমার কিছুই হবে না আর 
হলুদ জীর্ণ পোস্টকার্ডে ঠিকই লিখে ফেলবো শব্দের কোলাজ
তার কিছু মানে দাঁড়াক
                 বা না দাঁড়াক, 
                     ভোর হয়ে আসছে এখন
দেখছি তোমার শব্দগুলো ক্রমশ কেমন যেন ক্লান্ত 
বুকের ভিতরে অনটন নিয়ে বর্তে ও বেঁচে থাকা যায় 
                 বাঁচা যায় অভ্যেসে তোমার সাথে 
                           তুমি ভালো নেই
                  আমি ভালো থাকবো কি করে ? 
.
কোলাজ 
.... ঋষি

সমব্যাথী

পিছনেই বাড়ি  
দৌড় শেষ যেখানটায় সেখানেই তোমার উঠোন
উঠোনে তোমার  তুলসী মঞ্চ,
তুমি ইদানীং ভয় পাও তাই রিংটোনে ঈশ্বরের নাম
আমি  ভয় পাই নিজেকে, নিজস্ব নিস্তব্ধতাকে,
বৃষ্টিতে ভিজে যায় তোমার তুলসী মঞ্চ 
শ্যাওলা জমা উঠোনে আমি ভিজি তোমার খাঁচায়। 
.
তোমার উঠোনে লক্ষ্মীমন্ত গিন্নি বাসন মাজতে মাজতে
ঈশ্বরের সাথে কথা বলেন,কি গো শুনছো
আমি শুনতে পাই চড়াসুরে সাংসারিক শব্দ বিনিময়,
আমি ঈশ্বর  মানি না শব্দের পুজারী
হয়তো অলস বিকেলে জানালার পাল্লা টানতে গেলে দৈবাৎ চোখ পড়ে তোমার আমার উপর
তোমার উঠোনের খাঁচাটাই আমি রয়ে গেছি। 
.
আসলে আমার মায়া-দয়া ভীষন কম 
অনেকে ছেড়ে গেছে, অনেককে আমি ছেড়ে এসেছি
শুধু আকাশ, সেই মুক্তি,
আমি আর জাদুর ভ্রমর চাই না
চাই শুধু রক্ত মাংসের একটা গল্প "সমব্যাথী "।  
রোজ ভাবি নিয়ম করে খাঁচার দিন ফুরোবে এবার
এবার শুধু আকাশ
তবু তুমি দরজা খুললেই মায়ামাখা চোখগুলো
আমি আটকে যাই বারংবার
কিছুতেই আমার চলে যাওয়া হয়ে ওঠে না।
তখন সব অহং গুঁড়িয়ে যেতে থাকে 
আমি শুনতে পাই "মিঠু মিঠু" করে তুমি ডাকছো
মনে হয় এই মুহুর্তটুকুর জন্য আমার অপেক্ষা। 
তখন এক আশীর্বাদ আমার অন্তর থেকে উঠে আসে 
মনে হয় এই ধুলোবালি অবিশ্বাসের পৃথিবীতে "ভালোবাসি" মন্ত্রোচ্চারণের মতো পবিত্র 
আমি জানি না।তবু জানি না...
.
সমব্যাথী
.. ঋষি

কি লিখবো?

হিজিবিজি সম্পর্কের  কিছু শেষ কিংবা শুরুর লাইন
কি লিখবো? 
রাগ অনুরাগে বেহাগের সুর,মাতাল গল্পগুচ্ছ
কি লিখবো? 
এ যেন ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল  
পুনশ্চ ফিরে আসা
কি লিখবো? 
.
অস্তাচলে শেষ সূর্যের মত সিগারেট আঙুলে 
আমি পুড়িয়ে চলেছি অগুনতি সংখ্যা,
আগুনের বয়স নেই জেনেও পুড়ে যাওয়া ইতিহাস,
আগুনের গল্পে অনবরত ইনফিউসানে,কনক্লুসন,
যোগ বিয়োগ ছুঁয়ে থাকে শ্যাওলা মাখা পুরানো শব্দ 
       মোড় বদলে বিপরীতমুখী, গুনগুনায়, 
       জীবনমুখী ...কিছু লাইন 
            কি লিখবো ? 
.
একটা দুর্গাপুজো চলে যায় আর একটার অপেক্ষায় প্রহর গোনা, নতুন থিম,বন্যা বা অতিমারি ইত্যাদি 
স্মৃতি বিজড়িত আড্ডায় কিছু রোমন্থন কাশ ফুল
কমরেড মারা গেলেন, বাংলাদেশ তো আছেই
ইস্কুল হাফ প্যান্ট , বাসের ঝুলন্ত হ্যান্ডেল, 
সুনীলের " নীরা ", শক্তিবাবুর " যেতে পারি "
হারিয়ে যাচ্ছে দাঁড়াচ্ছে না শব্দরা কিছুতেই,
তুমি আছো, শহর আছে,রোগ,প্রতিরোধ সব আছে
তবু কবিতা আসছে না। 
.
ডুব দে মন ভাব সাগরে, ফসফরাস হয়ে পুড়ুক রাত  ৷           কবিতার খাতায়,শব্দ আদর
রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি  অপেক্ষায়
…........................ ... নতুন কবিতার 
কষ্ট হচ্ছে,শব্দরা রান্নাঘরে মিক্সিতে শব্দ করছে 
                   কি লিখবো ? 
..

কি লিখবো ? 
..ঋষি

Wednesday, August 7, 2024

কে বলেছে তুমি নেই

আগেই তো বলেছি তোমার জন্ম নেই
না মৃত্যু তাও নেই,
তুমি এক অনুভূতি বাঙালি তথা ভারতবর্ষ
তুমি এক জ্ঞান, এক অধিকার,এক বোধ
তুমি প্রতিটা বাঙালির শিরায় শিরায় এক অভ্যেস 
এক শ্বাস । 
.
তাই ২২ শে শ্রাবণ 
শুধু মাত্র একটা দিন তোমাকে ছুঁয়ে
ওই তো  দূরে বাউলের সুরে এখনো তোমার গান
ওই তো কবিতা কণ্ঠে তুমি রয়েছো লেগে
ওই তো খোয়াই, ওই তো তুমি
ওই তো তোমার জলজ্যান্ত ছবিগুলো,তোমার চশমা
তোমার কলম, তোমার তুলি,তোমার লেখার টেবিল
কি শান্ত,কি গভীর, কি দৃপ্ত তোমার চোখ।
.
কে বলেছে তুমি নেই
বৃষ্টির টাপুরটুপুর, অরণ্যের সবুজ ঢেউ, শান্ত স্নিগ্ধ হাওয়া,
ওই তো তুমি পায়চারি করছো জোড়াসাঁকোর ছাদে।
ওই তো সহজপাঠ হাতে শিশুটা দুলছে
ওই তো প্রভাতফেরীতে তোমার গান কথা বলছে
ওই তো অমল,নিরুপমা, রতন, ফটিক, রহমত 
ওই তো কমওলাদেবী,রামসুন্দর, হৈমন্তি,খুকি
ওই তো শমীন্দ্র,রথীন্দ্র, মাধুরীলতা,রেণুকা, মীরা
ওই তো মৃণালিনী,ওই তো কাদম্বরী
ওই তো অবনীন্দ্রনাথ,ওই তো রামকিঙ্কর 
ওই তো সেই ছাতিম গাছ, ওই তো প্রার্থনা গৃহ 
ওই তো শিতোকু হোর,সৈয়দ মুজতবা, ইন্দিরা, বিনোদবিহারী
সবাই তোমায় ঘিরে বসে আছে 
ওই তুমি প্রার্থনারত।
.
কে বলেছে তুমি নেই? 
তুমি নি:শ্বাসে,তুমি বিশ্বাসে,তুমি রক্তে
তুমি বিশ্ব শান্তি,তুমি বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব, তুমি বিশ্ব সাহিত্যের 
তুমি বিশ্ব প্রেমিক,তুমি বিশ্ব বোধ, তুমিই ঈশ্বর 
তোমার মৃত্যু নেই,
না না তোমার মৃত্যু হতে পারে না
আজ শুধু সেই দিন যেদিন শধুই তোমার শরীরের মৃত্যু।
.
কে বলেছে তুমি নেই
... ঋষি 
.







Tuesday, August 6, 2024

টানাপোড়েন

ভালোবাসার সন্ত্রাসে মৃত যে মানুষ 
তাকে আর মারবে কে?  
      তাকে আর ধরবেই বা কে?  
            এ তো বাংলাদেশ নয়
বর্ডার সিল করলেই সম্পর্ক ফুরিয়ে যাবে। 
.
ইদানীং মনে হয় বড়ো তাড়াতাড়ি জীবন ফুরিয়ে গেল প্রথমে তো বুঝতেই পারি নি
যখন বুঝতে পেরেছি তখন বুঝেছি
হাতের মুঠোয় যতই সময়ের বালিকে আঁকড়ে রাখো 
গড়িয়েই যায়,,,,,।
আমরা তাড়াহুড়ো করি কিংবা টেকেন ফর গ্রান্টেড
তারপর সময় ফুরোয়
পেইকিলার দরকার হয় প্রতি রাতে
শুধু ভুলে যাই পেইনকিলার সব ব্যথার উপশম নয়। 
.
আমাদের স্মৃতিতে একটা আদরের কোণা লেগে থাকে আজন্মকাল,
অকথিত এজ ভালোবাসা ঠোঁট লেগে থাকে
আমরা জন্মদাগ ভেবে যাকে বুকের গোপনে রাখতে যাই
দেখি দাগ দিয়ে যাবার ক্ষমতাহীন সে মানুষ কত ক্ষুদ্র! তার ক্ষুদ্রতায় চোখ জলে ভরে আসে
জলের ধর্ম গড়িয়ে পড়া
আর সে গড়িয়ে পড়ায় বড়ো সোঁদা গন্ধ লেগে থাকে।
.
এখন আর তেমন করে কিছুই চাওয়া হয় না
যা যা চেয়েছিলাম তার সিংহভাগ হারিয়ে গেছে,
আসলে হৃদয়ের স্পর্শে কেউ কেউ থেকেই যায়
আবার কেউ স্পর্শ তুলে নিয়ে যেতে চায়
         কি বোকা বলো তো মানুষ ? 
তুমি বলো এ জীবনে কেউই আমরা অপরিহার্য নই
যাওয়া আসা লেগেই থাকে
কিন্তু হৃদয় যে একবার ভাঙে এমন তো নয়
ভাঙে বারংবার,
         হয়তো প্রতিমুহূর্তে ভাঙে।
.
সময়ে দাঁড়িয়ে বুঝেছি
পায়ের তলায় মাটি
     মাটির গভীরতা,
এই ভাঙা গড়ার টানাপোড়েনের নাম জীবন
আমরা তো গন্তব্যহীন সকলেই আগামীতে বিশ্বাসী।
.
টানাপোড়েন
.. ঋষি 

Monday, August 5, 2024

বন্দে মা তরম

একটা ১৫ই আগস্ট লিখতে লিখতে আবার একটা
এখানে সবুজ আছে, গেরুয়া আছে 
অতি অবশ্য ফ্যাকাসে আছে,
ভাইয়ে ভাইয়ে বিভেদ আছে, মিথ্যা স্লোগান আছে
রেশনের লাইন আছে, ফেসিয়াল ক্রিম আছে
থানায় দারোগা আছে,খাতায় জালিয়াতি কেস আছে
বৃষ্টিতে জমা জল আছে,রাস্তায় জ্যাম আছে
শুধু আছে মিথ্যা হাজারো দেখানো স্বপ্ন,সত্যি নেই। 
.
আর আছে এ সবের মাথায় একটা স্তম্ভ
অশোক বলে ছেলেটা এখন ট্যাক্সি ড্রাইভার
সকালদুপুর খয়ের দিয়ে পান চিবিয়ে থুথু ছেটায়,
কার মুখে পরে, কার বুকে পরে,কার দু:খ
শুধু ভারতবর্ষ মুখ মুছতে থাকে, মুখ লোকায়।
গনতন্ত্র আজ এক জনগনের দিকে তাক করা বন্দুকের নল 
আর বারুদের উপর লাগানো বিজ্ঞাপনি তিরংগা
যেন শহীদের পাপ " কাদের হাতে ভারতবর্ষ "। 
.
আমি বলি নি এসব 
কে যেন ,কখন যেন আগুন লাগিয়েছে আমার বাড়িতে
প্রতিবেশীরা ছিল, প্রতিবাদ ছিল
কিন্তু অন্ধকারে কেউ জাগে নি,ঘুম ভাঙে নি
শুধু সয়ে গেছে
শুধু বয়ে গেছে
কদম কদম বরাহে জা, খুশিকে গীত গায়ে.... 
দেখুন গাইছি তো 
এই পোড়া শরীরে " ভারত হামকো জানসে পেয়ারা হ্যা।"
.
উফ খুব জ্বালা করছে
আজ ১৫ ই আগস্ট আমি পোড়া শরীরে মুখপোড়া বাঁদর
তাই তো মিথ্যে বলি
এ দেশে খিদে নেই কারণ পেট ভর্তি
এ দেশ শিক্ষিত  কারণ আমরা সবজান্তা
এ দেশ স্বাস্থ্যবান কারণ আমরা সকলেই সরকার
এ দেশে মিথ্যা নেই কারণ সবটাই ভাওতা
এ দেশে চাকরী নেই কারণ ভিক্ষাই চাকরী।
.
প্লিজ ভুল বুঝবেন না
আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক 
তাই ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে শপথ করছি
মাথা নীচু করে বাঁচবো,মুখ বন্ধ করে শুধু ভিক্ষায়। 
আর আমার আগামী প্রজন্মকে শেখাবো, মিথ্যে বলো
হ্যা হ্যা মিথ্যে বলো সত্যি করে
বন্দে মা তরম, 
বিশ্বাস করুন কোন বিপ্লব  নয়, নয় প্রতিবাদ
শুধু ভোট দেওয়ায় আমাদের ভবিষ্যত। 
.
সুতরাং ভালো থাকুন বা না থাকুন
কিন্তু ভুলে থাকুন,
নিয়ন করে ভোট দিন, সরকার গড়ুন, স্লোগান শুনুন 
কিন্তু মুখ খুলবেন না,
জাতীয় পতাকা হাতে ভারতবর্ষের মানচিত্রে বিজ্ঞাপন জরুরী
যাই হোক ভাই আজ মাল খাবো, ডিজে নাচবো
আজ স্বাধীনতা আগামী দিনের পরাধীনতাকে ভোলবার সুযোগ
তাই
চলুন নাচি বাঁদর নাচ,নাচুন....... 
.
এ এক অন্য স্বাধীনতা 
.. ঋষি 




প্রাচীন শ্লোক

এমন এক অন্ধকার রাত্রির জন্য অপেক্ষা
যেদিন মিশে যাওয়া সুর পাখিদের প্রলাপ
সারা বারান্দা জুড়ে পায়চারি 
ভাবুক অনির্দিষ্টতা। 
.
সারা শূন্যে ভেসে খালি আকাশের প্রহসন 
নীল তুলি নির্বাসন, 
এক সিংহাসন চ্যুত অধিকার সাম্রাজ্যের খোঁজ 
ফিরে আসে বারংবার ভুলতে না পারা আমি 
একাটুকু বাকি
বাকি নীতি পালন । 
.
পরে পাওয়া চোদ্দোআনা
উড়াইয়ে দেখো ছাই অনেক দূরে শুয়ে থাকা অভিযোগ,
শুয়ে থাকা স্ত্রেচারে শরীর,নারী, পুরুষ কি এসে যায়
প্রেস্ক্রীসান কথা বলে
বাঁচার তারিখ 
    তারপর তারিখ
মানুষের বাঁচাগুলো প্রাচীন জঙ্গলের পুরনোশ্লোক 
লড়ো না হলে মরো। 
.
প্রাচীন শ্লোক
... ঋষি 

এক্রেলিক অন ক্যানভাস

ভিনদেশি তারারা তোমার ভিতরে মায়াজাল আঁকে
অক্ষরের গভীরে এক নির্ভুল ম্যাজিকে 
ক্ষয়াটে পুরনো গাছের গুঁড়ি,  লড়ঝড়ে বাস-হাতলে
স্মৃতির জীবনে, কফিহাউস কাপে,রিভার সাইড মলে
বেধড়ক নস্টালজিক হাত বাড়ানো স্মৃতি 
একটাই আইস্ক্রীম স্টিক 
হ্যপি ফ্রেন্ডশিপ। 
.
গল্পগুলো গভীর হতে হতে কখন যেন ভালোবাসা
ভালোবাসার রাংতা মোড়া ডার্ক চকোলেট
নিকোটিন রিং, ঠোঁটের পাশ ঘেঁষা সেই তিল 
মায়ামন্তাজে বেজে যায়, মেঘচুল অভিমানী সুর 
একই বাতাস আকাশ নীল, 
ঠিক যেন 
এক্রেলিক অন ক্যানভাস।
.
আদর খেতে খেতে কখন যে আমি জুলিয়াস সিজার
দেশ বদলাবো ভাবি,ভাবি বদলাবো রাজ্য
কলকাতা থেকে জার্মানি কিংবা ভিয়েতনাম
ভাবি আবার রেনকোট পরবো ভরা বৃষ্টিতে
ccd র কফি ধোঁয়ায় অবাধ যিশুখ্রিষ্ট
শুধু ভিজছে
শহরের কবিতায় শব্দগুলো বিষাক্ত।
.
ইদানীং দু চোখে দু শালিখ খেলা করে আমার উঠোনে
দিনগুলো  শুভকামনায়
সেই সাঁকোর পাশে কোনো এক বৃষ্টি ধোঁয়া রাস্তায় 
তুমি আলো হয়ে হাসবে আবার আমার রিংটোনে,
আমাদের কমন রুম নাম্বার  ৪০ +
অনেক তো হলো
ভালোবাসা তুমি সুর দাও আমি মুসাফির হবো
হয়ে যোবো এক্রেলিক অন ক্যানভাস
ভুলতে না পারা একটা অস্থির স্মৃতি  । 
.
এক্রেলিক অন ক্যানভাস
.. ঋষি 

কি হচ্ছে এসব?

প্রথমে বাংলাদেশে ছাত্রখুন  তারপর তিলোত্তমা জুড়ে এক অভিশপ্ত রাত  চীৎকার, প্রতিবাদ, কান্না,মিছিল  তারপর বন্যা আক্রান্ত ঘাটাল সহ বাংলার এক অংশ,...