সুনীলের নীরায়,জীবনানন্দের কবিতায়
রবিঠাকুরের গানে, গনেশপাইনের আঁকায়,
বৃষ্টি হলে, বৃষ্টি না হলে
গ্রীষ্মের চামড়া পোড়া দুপুরে আমি চলন্তিকাকে খুঁজি।
.
প্রত্যেক গভীর সন্ধ্যেবেলা নিজেকে কুড়োতে থাকি ফুল ভেবে
বৃক্ষের তলায় চলন্তিকার আশ্রয়ে,
জানি এ পৃথিবীতে বিরহের কবিতা জনপ্রিয়
মৃত্যুর কবিতা আরও বেশি আদরের,
তাই ইদানীং আমার মনে হয় চলন্তিকাকে না খুঁজে পাওয়ায় ভালো।
.
রমণীর শরীরের ভাঁজগুলো বহুদিন চিনেছি আমি
দেখেছি গর্ভের সন্তানের সাথে উৎফুল্ল রমণীর ছবি
বিবাহ অনুষ্ঠানে শুকিয়ে যেতে দেখেছি প্রেম
অথচ কোন কবিতা সম্মেলনে এ সব কথা বলিনি ।
জানতে চাই নি চলন্তিকাকে বহুদিন, ভালোবাসার মানে
বরং চলন্তিকাকে মিশিয়ে রেখেছি আমার নিজের ভিতর
নিজের শবদাহের আগুনে চলন্তিকাকে অমর করতে চেয়ে
কবিতা লিখেছি
লিখেছি আমার গোপন পাপ।
.
তবুও চলন্তিকাকে খুঁজি, রোজ নিজের ভিতরে
রোজ নিজের মৃতদেহ থেকে শতহস্ত দূরে
কবিতায়, কবিতার শব্দে আমি চলন্তিকে খুঁজি
এও জানি চলন্তিকাকে পাওয়া আর সম্ভব নয়।
No comments:
Post a Comment