মৃতদেহের কবিতা
... ঋষি
.
হঠাৎ নিজেকে স্নানের ঘরে আবিষ্কার করি
একজন বার্ধক্য লালিত নামহীন ,গোত্রহীন এক পুরুষ
চামড়া ভাঁজে লোকানো আয়নায় সাদা আলাস্কায়
কেমন যেন এক অন্যমস্কতা,
মনে হয় আমার কোন ঠিকানা নেই ,সম্পর্ক নেই
শুধু পায়ের উপর দাঁড়ানো অধিকারটুকুই নিজস্ব।
.
কোনো একদিন তোমাকেই শুধু ছুঁতে চেয়েছিলাম
জানি হা হা রব উঠছে এই মুহূর্তে ব্যস্ত শহরের জনতায়
কিংবা এই কলমের ওপারে কবির কবিতায় ,
জানি তুমি কখনো কোনোদিন উত্তর দেওনি এই ঠিকানাহীন শহরকে
শুধু তিরতির করে বয়ে চলেছো এই ব্যস্ত শহরের নদীতে ।
এও জানি কেও কোনোদিন খবর পাবে না তোমার। চলন্তিকা ,
আমার অসময়ের বুড়িয়ে যাওয়া নাম ,গোত্রহীন মৃতদেহে
অবশিষ্ট ২০৬ টা হাড়ে তবুও তোমার নাম লেখা।
একদিন দেখো আমার এই মৃতদেহের কবিতায়
কুয়াশা সরানো সকালে আমি ঠিক সনাক্ত হবো
আর সেদিন এই শহর চিৎকার করবে
কর্পোরেশনের মর্গের গাড়ির মতো
এটা কোন মৃত্যুর তারিখ নয় ,ভালোবাসার।
No comments:
Post a Comment