Monday, May 11, 2020

চ্যাপলিন

চ্যাপলিন
.... ঋষি
জানি না জীবন্ত বেঁচে থাকা কি
জানি না মানুষের আদলে আমি কেন ক্রমশ পাথর হয়ে যাচ্ছি,
ঠিক জানি একটা টানা বারান্দা,লম্বা শব্দবহুল রাস্তা
অনেকগুলো ঘর  পাশাপাশি  সম্পর্কের, সামাজিক সভ্যতার দত্তক।
পায়রার ক্রমশ বকরবকর, মাথা যন্ত্রনা
পুরনো বাড়ির ভীতে আজ কেন জানি এক অসহায় বোধ
আমি খুব সাধারণ,
আর সাধারণ বাঁচার গল্প গুলো পুরনো সাদা কালো পরর্দায়
খিদের পৃথিবী আর চ্যাপলিন।
.
ফিরে আসা পরিযায়ী রাষ্ট্র মেখে পাখি হতে পারে না
ফিরতে চাওয়ার রাস্তাটায় বহুদিনের অবহেলায় কেউ হাঁটে না,
শুনশান ট্রেনের লোহার রাস্তায় আজকাল রক্ত শুয়ে থাকে
তোমার নাকমুখ দিয়ে উপছে উঠতে থাকে অযত্ন আর অভিমান।
আমার বড় অসহায় লাগে,
কেন জানি  পরে থাকতে দেখি আমার কাটা পাগুলো,আমার হৃদয়
তোমার ট্রেন লাইনের পাশে।
.
মানুষের নিষিদ্ধ বাঁচা
তবু রুটি ছড়িয়ে থাকে সারা সময়ের খিদেয়,
ট্রেন লাইনে,রেশন লাইনে,কাজের লাইনে, সর্বপরি বাঁচার লাইনে।
কিছুই বদলায় না
তবুও  চ্যাপলিন হাসে সাদা কালো  খিদেতে অন্ধ নারীর চোখে।
তবুও জানো নিয়মকরে হারাতে থাকা টেলিফোন মাঝের মধ্যে বাজে
বুকের ভিতর ক্রিং ক্রিং
কোন ঈশ্বর যেন পৃথিবীর বুকে যন্ত্রনা বুনতে থাকে।
আমি বসে থাকি ঈশ্বরের কবরের পাশে 
আমি অপেক্ষা করি চ্যাপলিনের কাঁদতে চাওয়া হাসির পাশে,
রঙিন সাজানো আয়নায়
সমস্ত অভিনয় রাষ্ট্রের ধরা পরে যায়,
আর আমি মিল পাই  চ্যাপলিনের সাধারণ বাঁচা সাদা কালো পৃথিবীতে
ঠিক আমাদের আয়নার পাশে। 



No comments:

Post a Comment

ওয়াচ এন্ড লার্ন

তারপর রাস্তারদিকে পা বাড়াই  সমস্ত গল্পগাছা ফেলে বেরিয়ে আসি তোমার বাড়ির থেকে  একখানি চাঁদ মাথার উপর অভিশাপের মতো ঝোলে , পাশ দিয়ে ছুটে যায় ক্ল...