Friday, May 8, 2020

অরণ্যের অধিকার




অরণ্যের অধিকার
... ঋষি
আজ বহুদিন তোমায় নিয়ে চলেছি একলা নির্জন রাস্তা ধরে
আজ বহুদিন তোমার হাত ধরে হাঁটছি সময়ের রাস্তা ধরে।
তোমার যখন অসুখ,
তোমার যখন একলা শহর
আমি তোমার মাথায় হাত রেখেছি অনেকটা ছায়ার মতো,
তুমি যখন ভুল বুঝে দূরে সরে গেছো বারংবার
আমি বুঝেছি তোমার অভিমান পৃথিবীকে অভিশপ্ত করেছে।
.
আমি মায়ের কথা শুনিনি,শুনি নি বাবার কথা
শুধু শিরদাঁড়ার পাঁচিল ধরে হেঁটে গেছি বহু শতাব্দী ধরে।
আর উপার্জন
কারোর পা ছুঁয়ে আমি হয়ে যেতে পারি নি ক্রীতদাস,
তুমি ভালো জানো চলন্তিকা
শালা অন্নের খোঁজে আমি দিতে পারি নি সাজানো মতবাদ।
.
শুধু আমি হেঁটে গেছি তোমার হাত ধরে
তুমি জানো
আমার কোন শিক্ষক ছিল না যে পড়াবে আমাকে ভুগোল
বলবে পৃথিবী গোল।
তুমি জানো
আমার কোন ইতিহাস ছিল না কোনদিনও
যা পড়ে বুঝবো ভারতবর্ষ একটা সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র
আর আমি একজন স্বাধীন নাগরিক যে সত্যি বলতে পারে।
আমি হাঁপিয়ে পড়েছি চলন্তিকা আজকাল
শুধু শব্দের মতো আমাকে ঘিরে অজস্র সম্পর্কের নাম
শুধু পরিচয় মেখে আমাকে ঘিরে হাজারো চরিত্র।
.
শুধু আমি হাঁটতে চেয়েছি তোমার হাত ধরে
আজকাল জানো চিনতে পারি না নিজেকে
ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে এই মুহুর্তে  আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেটা একটা অরণ্য
আমার চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে বণ্য জন্তুদের আঁচড়ানো, কামড়ানো
হাজারো শরীর।
সেখানে মৃত চামড়ার ভীড়ে কিছু কিছু মুখ আমার ভীষণ চেনা
কিছু অচেনা
শরীরগুলো চিৎকার করছে, বাঁচতে চাইছে।
জানি আমিও পথ হারিয়েছি চলন্তিকা
তবু জানো এখনও আমি পথ হাঁটি তোমার হাত ধরে গন্তব্যের আশায়।



No comments:

Post a Comment

ওয়াচ এন্ড লার্ন

তারপর রাস্তারদিকে পা বাড়াই  সমস্ত গল্পগাছা ফেলে বেরিয়ে আসি তোমার বাড়ির থেকে  একখানি চাঁদ মাথার উপর অভিশাপের মতো ঝোলে , পাশ দিয়ে ছুটে যায় ক্ল...