Saturday, May 2, 2020

ট্রিবিউট টু দ্য লিজেন্ড

ট্রিবিউট টু দ্য লিজেন্ড
.... ঋষি
নন্দনে চত্তরে দাঁড়িয়ে চলন্তিকা আমাকে বললো
বুঝলি ভদ্রলোক আসলে ম্যাজিসিয়ান ছিলেন,
আমি তাকিয়ে আছি সিনেমার পোস্টারের দিকে
আমার দিকে তাকিয়ে আছেন " দেবী "
তার চোখ দিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বাস যেন ঈশ্বর।
আর আমরা  " ঘরে  বাইরে " কতটা সাধারণ
অথচ লোকটা মৃত্যুর এতগুলো বছর পর আজও ঈশ্বর।

নন্দনের গেটে চরনদাস দাঁড়িয়ে গাইছে
" আমি কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়, ও ভাইরে ",
আমি আর চলন্তিকা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুধুই স্থির হতবাক
শুনছি  যেন ঈশ্বর  ধর্ম বলছে মানুষের " জলসাঘর " এ।
ঈশ্বর  যেন " পরশ পাথর " ছুঁয়িয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে
এই " মহানগর " এ লোভ  " সীমাবদ্ধ " করেছে মানুষকে,
করে তুলেছে " কাপুরুষ " 
অথচ অন্তসারশূন্য " নায়ক "।
.
চলন্তিকা আমাকে বলছে শুনেছি ভদ্রলোক  বড় গম্ভীর ছিলেন
আমি ভাবছি এই " জনঅরণ্য "এ তার প্রতিটা সৃষ্টি  যেন ঈশ্বরের,
আজ একশো বছর পরও তিনি " অপরাজিত " কোন " মহাপুরুষ "
 যার সৃষ্টি তাকে   মানুষের " চিড়িয়াখানা "তে তাই অমর রেখেছে।
জানি আমরা সকলেই " আগন্তুক " এই পৃথিবীতে
এ ও জানি  পৃথিবীর বেঁচে থাকাতে আমরা সকলে  " শতরঞ্জ কে খিলাড়ি  "।
আমি চলন্তিকাকে বললাম
জানিস আমাদের বেঁচে থাকাগুলো আসলে এক একটা "  অভিযান "
পৃথিবীর " পথের পাঁচালিতে "  আমরা সকলেই  শুধুই সাধারণ ,
শুধুই স্বপ্ন দেখি আমরা বরফে ঢাকা " কাঞ্চনজঙ্ঘা ",
ভুলে যাই জীবন " পোস্টমাস্টার " এর ভুমিকায় শুধু স্বপ্ন বিলি করে।
চলন্তিকা বললো তুই যে " শাখাপ্রশাখা " ছড়িয়ে কবি হয়ে গেলি আবার
লিখবি ভাবছিস   " ট্রিবিউট টু দ্য লিজেন্ড ",
আমি বললাম আমি খুব সাধারণ রে
আমি কি ঈশ্বর লিখতে পারি। 




No comments:

Post a Comment

ওয়াচ এন্ড লার্ন

তারপর রাস্তারদিকে পা বাড়াই  সমস্ত গল্পগাছা ফেলে বেরিয়ে আসি তোমার বাড়ির থেকে  একখানি চাঁদ মাথার উপর অভিশাপের মতো ঝোলে , পাশ দিয়ে ছুটে যায় ক্ল...