Friday, September 18, 2020

আলো কাহিনী

 আলো কাহিনী 

... ঋষি 

.

উজ্জ্বল রোদ্দুর  চা বাগিচার সামনে আলো এসে দাঁড়ালো 

ফিরে তাকালো কর্মরত সেই জন খাঁটা বস্তি যুবতী ,

গায়ে গতরে বেশ পুরুষ্ট শরীরে সেই যুবতী আলোকে বললো

 " বুঝলে আমার বস্তিতে আলো থাকে না গো 

তুমি বস্তিতে যেও আমার সাথে "।

আলো মুখ টিপে হাসলো ,মনে মনে বললো 

আমি কি মাগনায় আসি ,কি পাবো সেখানে ?


আমি একবার প্রশ্ন করেছিলাম আলোকে 

তুমি কার ?

উত্তর পেয়েছিলাম শ্যামবাজারে সেই কানা,খোঁড়া  জহর ভিখারির কাছে ,

বেশ সে গান করে বলে দিল 

কয়েকটা টাকা দিয়ে যান বাবু ,বাড়িতে ভরন্ত বৌ 

সামনে দাঁড়িয়ে একজন সম্ভ্রান্ত মহিলা এমন করে  তাকালেন 

যেন ভিখিরির বৌ কোনো বৌ থাকতে নেই ,

থাকতে নেই কোনো আলোর গাঁথা বোবা অন্ধকারে। 

.

গৃহস্থের ঘরে কে রে ?

বারবনিতার ঘরে কে রে ?

টাটা ,বিড়লা কিংবা মোগলাইয়ের ঘরে কে রে ?

আলো মুখ টিপে হাসে 

আলোর শরীরে বেশ টিপটপ পোশাক ,গায়ে ফরাসি সেন্ট ,পায়ে দামি জুতো 

সে দর্পে পা বাড়িয়ে হেঁটে যায় এই সভ্যতার লাল জাজিমে ,

মাটিতে পা পরে না তার 

পা পরে না ধুলো জমা এই নোংরা শহরের অলিতে গলিতে। 

লাবণ্যে আলো থাকে 

রূপে আলো থাকে 

আলো  থাকে এই সভ্যতার পাঁচতারা সাজানো হোটেলে, 

অথচ  সাধারণ গৃহস্থের অন্ধকারে রুগ্ন বেড়াল ডাকে

অথচ কারখানার স্ট্রাইকে আলোর পুলিশ হাঁকে ফায়ার 

লুটিয়ে পরে একটা অন্ধকার শরীর একলা কান্নায়।

.

যেহেতু আলোর কোনো শব্দ থাকে না 

সেহেতু আমি তুই সব বিশাল বড়ো বোদ্ধা হয়েও শ্যাম্পুর ফেনাতে এল খুঁজি 

চামড়া উপর ঘষে তুলে ফেলি অন্ধকার। 

আসলে আলো এমন করে আসে না 

আলোকে আনতে হলে সকলকেই সত্যি বলতে হবে 

আর আলো জানে সে কথা।  

No comments:

Post a Comment

ওয়াচ এন্ড লার্ন

তারপর রাস্তারদিকে পা বাড়াই  সমস্ত গল্পগাছা ফেলে বেরিয়ে আসি তোমার বাড়ির থেকে  একখানি চাঁদ মাথার উপর অভিশাপের মতো ঝোলে , পাশ দিয়ে ছুটে যায় ক্ল...