Tuesday, November 3, 2020

অবিশ্রান্ত

 অবিশ্রান্ত 

... ঋষি 


আমি বারংবার জীবনমুখী শব্দে নিঃশ্বাস ছেড়ে দাঁড়িয়ে থাকি

যেমন জীবন প্রতিদিন শহরের যোনিতে আলোচনা করে স্তব্ধ রাত,

মৃত্যুর কোন পরিবার নেই,

শরীর  নেই

মৃত্যুর ভবিষ্যত গুনছে পৃথিবী

আমি  গুনছি দশ থেকে দ্রোহ তারপর শুন্য 

সেই ছোটবেলা থেকে। 

.

নিজেকে চিনি কতটা ?

নিজেকে ঝুলিয়ে দেয়ালে দেয়ালে আমিও মুখ গুঁজেছি বারংবার

আরো সহস্রাব্দে জীবনকে শুনিয়েছি ,

ভুলও ও ভবিষ্যতের  নিয়মমাফিক আপেক্ষিকতা ।

জৈবিক একটি গাছের রিক্ততা দেখে

এই অথৈ জলের পৃথিবীতে অন্ধকারে  নিস্পৃহ হাতছানি 

ঢেউয়ের আওয়াজ শুনেছি কেবল আত্মাহুতিতে। 

.

আমি বারংবার জীবনমুখী শব্দে নিঃশ্বাস ছেড়ে দাঁড়িয়ে থাকি

যেমন জীবন বারংবার ক্লান্ত শরীরে একলা ঘুম খোঁজে প্রতিরাতে 

জানতে চায় সময়ের  রঙ

ঘুমের রঙ 

হয়তো মৃত্যুর ভাঙা ভাঙা আগুনে ঝলসানো হাতছানি। 

ভাঙা ঘর , ছায়াহীনতায় সূর্য পিঠে বাঁধা একটা ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প 

আজ রোজকার 

রোজনামচায় শহরের বিষন্নতায় শরীরগুলো ঘরে 

সম্পর্কের মানে পায় না হাতছানি। 

এই জীবন যতটুকু হেঁটে এসেছি

তার থেকে কেন যে ক্লন্তহীন পথ চেয়েছি ?

এই জীবনে যতটুকু বেঁচে থাকা 

তার থেকে কেন যে অক্লান্ত পৃথিবীতে একলা দাঁড়িয়েছি  ?

আমার পথের ছড়ানো ছেটানো নোংরা ,মাছি ওড়া সম্ভাবনায় 

আর শিশু জন্মায় নি কোনোদিন ,

জন্মাবে না 

কারণ প্রতিটা শিশু হত্যার দায় পৃথিবী নিতে পারবে না 

পারবে না নিতে প্রতিটা বসন্তে লিখতে অবিশ্রান্ত মৃত্যুর কবিতায়। 

No comments:

Post a Comment

স্মৃতি গান

কত গুলো স্মৃতিগান,ও পথে রং ছিল, কারণ ছিল  যে কবিতা সময়কে বিপ্লব আঁকতে শিখিয়েছে আজ সে মুখ ফিরিয়ে বোবা এখন এ শহরে কোন ম্যাজিক অবশিষ্ট নেই শহরে...