Wednesday, November 27, 2019

অজুহাত



অজুহাত
......... ঋষি

শহর মুড়ে ফেলে অন্ধকারে
আর আমি অপেক্ষায় কোনো প্রিয়তম শব্দের খোঁজে।
শব্দরা বাউন্ডুলে হলে
হাতে তুলে নেয় একতারা আর মুখে তার সময় শেষের গান ,
খালি পা
ক্ষতবিক্ষত মাটি লেপ্টে তৈরী হয় কবিতার আশ্রয়।
.
সময় যে অজস্র মুখ লিখে চলেছে তোমার
গোপন সমাজের  অভিসার।
ক্লান্ত পথিকের ঘর ,ক্লান্ত বাউলের মতো এই শহরের ছেঁড়া পকেট হাতড়ে
খুঁজে পায় একলা দাঁড়ানো কিছু আলোর ল্যাম্প পোস্ট। 
আলো চারিপাশ
অথচ ছায়া শেষ হলেই অন্ধকার।
মানুষের অন্তরগর্ভে বেঁচে থাকা পাপ এই শহরের রাস্তায়
বিকিয়ে যায় ভালোবাসায়।
কি পায়
কি হারায়
শুধু সময়ের অন্তরে রক্তবমি
মানুষ নিজেরটা নিজেই পরিষ্কার করে।
.
শহর জুড়ে অভিসার
অনন্ত প্রশ্রয়ে এগিয়ে আসা হাত আমার বুকের দেরাজে লুকোনো কাঁটা।
তুমি বলো আমি তো চিরকালীন
আমি তো আছি।
আমি দেখি রোজ নিয়ম করে সূর্য ডুবে যায়
রোজ নিয়ম করে এই শহরের বস্তির পাশের রাস্তায় মিনতি দাঁড়ায় অন্ধকারে।
তারপর একটা লোমশ হাত এক বুক সভ্যতা বিলিয়ে
রোজ সকালে মিনতিকে খালাস করে।
আমি হাসতে থাকি পাগলের মতো
আমি বুঝতে পারি ,
ভালোবাসা একটা অভাব মানুষের
জুড়ে বাঁচবার
অন্ধকার থেকে পালাবার অজুহাত মাত্র। 

No comments:

Post a Comment

ওয়াচ এন্ড লার্ন

তারপর রাস্তারদিকে পা বাড়াই  সমস্ত গল্পগাছা ফেলে বেরিয়ে আসি তোমার বাড়ির থেকে  একখানি চাঁদ মাথার উপর অভিশাপের মতো ঝোলে , পাশ দিয়ে ছুটে যায় ক্ল...