Thursday, January 28, 2021

একটা মৃত্যুর কবিতা

 



একটা মৃত্যুর কবিতা 

... ঋষি 


কতটা সরাতে পারিস আমাকে 

ঠেলতে ঠেলতে পাহাড় থেকে একদিন ফেলে দিতে পারিস 

কিংবা ভাঙতে পারি হাতের চুড়ির মতো টুকরো টুকরো করে ,

হাসতে হাসতে ছুড়ি বসাতে পারিস আমার বুকে ?

কিন্তু আমার ভাবনা হলো 

তুই ভালো থাকবি তো ?

.

কতটা একলা হতে পারিস  তুই ?

আমার মতো একটা শহরকে কেন্দ্র করে তুই ফেলতে পারিস দীর্ঘশ্বাস,

আমার মতো ৩৬ তলার ছাদে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে পারিস 

ক্ষুদার্থ ভিখিরীর মতো দাঁড়াতে পারিস এই শহরের অলিতে গলিতে ?

কিন্তু আমার ভাবনা হলো 

আমার ভালোবাসা তোকে একা না করে। 

.

আমি জানি সম্পর্ক একটা শিরদাঁড়ার মতো 

তাকে বেঁকানো যায় ঘাড়ের মতো ,তাকে নিচু করা যায় 

কষ্ট দেওয়া যেতে পারে 

কিন্তু জেদ করে দূরে ছুঁড়ে ফেলাটা একটা বোকামি। 

এখন প্রশ্ন হলো আমি কেমন আছি  ?

প্রশ্ন হলো তুই কেমন আছিস ?

আমি হাসছি দেখ পাগলের মতো তোর দিকে তাকিয়ে 

আমি  কাঁদছি দেখ তোর গভীরে শুয়ে থাকা ক্ষোভ আর আতঙ্কে 

কিন্তু তুই কি করছিস ?

বিরক্ত হচ্ছিস 

আরো একা  হচ্ছিস

ঠেলছিস ,ঠেলে ফেলতে চাইছিস আমাকে  স্বপ্নের পাহাড়ের চুড়ো থেকে  

ফিরে যাচ্ছিস শহর থেকে দূরে সাজানো পৃথিবীতে। 

আমি সুখী তাও 

কারণ আমি মিথ্যে বলিনি কোনদিন তোকে

আমার বুকের বাগান সাজানো তেরো হাজার আটশো সত্তর দিন শুধু সংখ্যা নয় 

তোর ভুলে যাওয়া সেই ভাঙা কাঁচের চুড়ির টুকরো  নয় 

বরং তোর হাতের ছুড়ির ডগায় লেগে থাকা আমার রক্ত।  

 


No comments:

Post a Comment

তবু ভোট দি

এক একটা নির্বাচন আসে  আমাদের নির্বাসিত জীবন আরও ভয়ানক গরীব হয়ে যায়  আমাদের খিদে পায়  অথচ ভোটের বুথে খিদের কোনো চিন্হ নেই , খিদে না খিদের মতো...