Sunday, March 1, 2020

পাগলামি (১৯)


পাগলামি (১৯)
... ঋষি

আসলে নিজের ভিতর  মৃত্যু খুঁজে চলেছি
খুঁজে চলেছি সময়ের কাঁটাতার পেরিয়ে বন্ধ দরজায় পা রাখতে ,
আসলে আমার  কবিতাগুলো আমার সময়ের প্রতিবাদ হয়ে
মানুষের বুকের পাঁজরে বিস্ফোরণ ঘটাক ভাবছি।
আসলে অলংকারহীন ,আবরণহীন মাটির কলসিতে জল খেয়ে
কবিতা তোমাকে জড়িয়ে একটু বাঁচতে চাইছি।

চাইছি অনেককিছু
সারা বিশ্ব চাইছে ,চাইছে শহর ,চাইছে বেঁচে থাকার প্রতিটা অনুরণন ,
আসলে জীবনের চাওয়াগুলো যখন তোমার আলতা মাখানো দু’পায়ের ছাপ
দৈন্দন্দিন  অলিন্দ পেরিয়ে সিঁড়ির ধাপ।
চাইছি তোমাকে ভালোবাসি বলতে
অথচ
তোমাকে ভালোবাসি সোজাসুজি বলতে কেনো যে ঠোঁট কাঁপে
কেন যে অসময়ের ভয় শিরদাঁড়া জড়িয়ে ধরে।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
চোখ রেখেছি সময়ের চোখে ,সময়ের বুকে পা দিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে দ্রোহ।
অথচ কি জানো আমি মৃত্যু ভাঙতে পারছি না
পারছি না নিজের মৃতদেহে তুলসী পাতা দিয়ে সমাজকে খুশি করতে।
মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে হেলিকপ্টার
হেলিকপ্টার শহরের  শুধু উপর থেকে মানুষ দেখা যায় ,
অথচ দেখা যায় না মানুষের ভিতরগুলো।
যখন তুমি ধরো হাত
বুঝি শরীরে আছে প্রাণ, ধ্বংস নির্মাণ এক সমান।
যখন তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরো
বুঝি ,সময়ের ডুবে  অবাধ বন্যা। আদুরী তুমি  গভীর অনন্যা ।
আর যখন তুমি আমার থেকে দূরে থাকো
আমি খুঁজি কারণ
বাঁচার কারণ ,হয়তো মৃত্যু ,হয়তো পাগলামি। 

No comments:

Post a Comment

অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...