Saturday, March 14, 2020

কবিতার পৃথিবী

কবিতার পৃথিবী
... ঋষি
.
হঠাৎ শান্তি উঠে আসে আমার বুকের  ভাঁজে
অন্য পৃথিবী থেকে একটা পাখি ঠোঁটে চেপে নিয়ে আসে কবিতা ,
     আমি ভাবতে থাকি একটা বাড়ি
                        শুধু কবিতার ,
সবকটা ঘর জুড়ে সময়ের অনুভূতিগুলো শুধু মাত্র দেওয়ালে
আমি দাঁড়িয়ে একলা সেখানে।
.
তুই কি করছিস চলন্তিকা ?
জানি প্রকৃতি ডাকলে মানুষ বড় অসহায় এই বিশাল সমুদ্রে,
আচ্ছা সমুদ্র তো একটা বাঁচা তাই না
একের পর এক ঢেউ ,
              তারপর ঢেউগুলো ছুঁয়ে যায় পায়ের পাতা ,
                      সময়ের গত জন্মের ভাবনা
শুধু সময় বোঝে না।
.
হঠাৎ কবিতার মাঝে আগাম বৃষ্টির মেঘ জমে
তুই বিরক্ত হোস ,
আসলে কি জানিস মানুষের বিরক্তিগুলো আসলে একটা মুক্তির খোঁজ।
তোর খোলা বারান্দার বাইরে
আমার ক্যানভাসে একটা দৃশ্য ভেসে ওঠে
           কবিতার বাড়ি।
হয়তো কোনোদিন এই কলকাতার কোনো রাস্তার পাশে কফিশপে
আমি তুই  একলা
সেই কফিশপের দেওয়াল জুড়ে শুধু কবিতা।
আচ্ছা,
এমনকি হতে পারে না কোনোদিন
মানুষের বাঁচাগুলো সব কবিতা
মানুষের ভালোবাসাগুলো এক একটা আদরের কবিতা
আর মানুষ
ধর আমি, তুই আর সক্কলে কবিতা হয়ে যাই।
.
জানি তুই ঠিক বলবি এখন আমাকে
তুই  পাগল,
আর তোর পৃথিবীতে কবিতা ছাড়া কি আর কিছু নেই ?
আর সত্যি যদি এমন হয়
তবে নাকি পৃথিবী পাগলাগারদ হয়ে যাবে।

No comments:

Post a Comment

এইটুকু আলোর জন্য

ঈশ্বরকে বলি ম্যাজিক চাই  বলি মানুষে ঘরে বন্ধ দরজার শহরে আলো চায় চায় শুভেচ্ছা ,চায় পবিত্রতা  আর  সত্যি , বহুবার ভেবেছি সিগারেটের আগুনে পুড়ে য...