Friday, June 28, 2024

না আসা কবিতারা

কবিতা আসেনা ইদানিং 
লিখতে গেলেই শব্দ খুঁজতে থাকি , 'কি-বোর্ড' থমকে যায়
শব্দরা মিছিল করে আসে ঠিক তোমার মুখের মতো 
কিন্তু সেই  মুখটা কথা বলে না আর তাই আর লেখা আসে না। 
শুধু আঁকাজোকা , জ্যামিতি ছড়ানো, শব্দ মিসিং ভাবনারা 
বড্ডো বায়না করে 
তোমাকে লিখতে চাই তারা,কিন্তু পারে না । 
.
সময়ের ডেস্কের নিচের ড্রয়ারে সেই জং ধরা তুলিটা 
শুকনো না-ধোয়া রঙ নিয়ে
সে আমার  মতোই অপেক্ষায় আছে তোমার কথা শোনার ,
বুকের ক্যাবিনেট থেকে বাহান্নটি গল্প 
আজকাল ঝটপট করে ডানা ঝাপ্টাতে থাকে একলা বারান্দায় 
উড়তে পারে না 
শব্দ আসে না 
লেখাও না। 
.
ভাবি কবিতা ছেড়ে ছবি আঁকবো এবার 
বিদেশী এ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট হয়ে তোমাকে ভাসিয়ে দেবো জীবনের পাতায় ,
কবিতায় সত্যি বলা বড় দায় 
আকাশের তলে, নদীদের জলে, এ্যাতো এ্যাতো জল
প্রবল বেগে চলে যাবে ক্যানভাসের উপর 
ভেতরে। তোমার দেয়ালে কত দিন পর উথালপাথাল 
এই শহরটা জানে ,জানতে চাই না 
কবিতা একটা বিদ্রোহ ,আর ক্যানভাস হলো সত্যি। 
.
এই দ্যাখো শব্দগুলো তোমার মতো কেমন অনবরত মুহূর্ত 
যদিও আমার আঙিনায়  সিলিংবিহীন চাঁদ ,জ্যোৎস্না
তবুও কি করে যেন কবিতা আসছে এই মুহূর্তে ,
ভাবনারা মিউজিয়ামে জমে থাকা মমির শরীরের সুগন্ধ 
যেন ছায়া শরীর 
জানি কবিতা এলে তুমি খুশি হও ,আমিও
কিন্তু একটা দুঃখ থেকেই যায় ,আমি ছবি আঁকতে পারি না। 
.
না আসা কবিতারা 
... ঋষি

নেশা যুক্তি

মদের দোকানের নিচে একসাথে  হতে হতে আমরা ভাবি 
এই তো মস্তি 
আসলে  হ্যাংওভার থেকে যখন খুলে আসে দিগ্ভ্রান্তি,  দ্বিধা
ঠিক তখনি আমরা পালাই জীবন থেকে। 
চুমুগুলো ভাঙতে থাকে ক্রমশ 
চেয়ার থেকে কোলে করে তোমাকে জড়িয়ে নেমে আসি 
তারপর কিছু মনে থেকে না 
পৃথিবীটা যেন  পিকনিক,নেশায়  ভরে ওঠে
অবিরাম দৃশ্যে, অবিশ্বস্ততায় আর অনিয়ন্ত্রিত ভালোবাসায়। 
.
খাবারের বাটি
সালাদ... ?
অভ্যাসবসত তোমার পরিচিত ঠোঁট পারিজাত নষ্ট করে 
জানতে ভালো লাগে পাস্তুরের বিজ্ঞান
নষ্ট কবিতার পাতায় আমিও যে নষ্ট বহুদিন। 
মদের দোকানের পাশে ঝুলন্ত বালবের ফিলামেন্ট জ্বলে, ধীরে
ফলে মাথাপিছু প্রতিজনের ছায়া তৈরী হয়,
সেইখানে আমরা নিচুস্বরে কথা বলি হয়তো ঈশ্বরের সাথে
সমুদ্রের ঢেউ এসে আমাদের পায়ে লাগে
হয়তো বালির পায়ে জীবন সমুদ্রের জলে ধুয়ে যায়। 
তারপর জানি না একদিন সময় গুটিয়ে যায় 
তবুও চুলের ফিতের মত পথটুকু কিছুতেই শেষ হয়েও হয় না 
ফলে তোমাকে দেখানো হয়  না সমুদ্র,
বালিয়াড়ি, দিকচিহ্নের বিভিন্ন ধারাপাত। 
তোমাকে দেখানো হয় না আর মানুষ নেশা করে ভুলতে 
ঢলায়মান রাত্রি ! সেই  লুম্পেন কুয়াশা
আর তোমাকে। 
.
নেশা যুক্তি 
... ঋষি

অসমাপ্ত উপন্যাস

একটাই বাক্যে লেখা একটা অসমাপ্ত উপন্যাস
এও কি হতে পারে ?
একটা পুরো আমিকে আজ বহুদিন একটা আয়নায় দেখতে পাইনা
অজস্র টুকরো হয়ে ছড়িয়ে গেছি যেন ,
কার কাছে রেখে এসেছি সময়ের আগামী ?কার কাছ বর্তমান ?
কেউ এ বুকের তিলটা ছুঁয়ে বলেছিল
‘নিয়ে নিলাম’।
.
অসম্ভব প্রতিজ্ঞার ভিতর বারংবার দুলে ওঠে পৃথিবী
আর হাঁটার পথ ?
তবু বারংবার পথ হারিয়ে চলেছি সহস্র বাঁকে 
আকাশের রামধনু হঠাৎ ছুটে এসে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে যায় 
একটাই সেই ছোট্ট বাক্য পুরো গুছিয়ে বলতে গিয়ে
নিজেই অগোছালো চুরমার করে চলি হাজারোবার। 
.
সময়ের এ্যাকোয়ারিয়ম ঢাকনা সরালেই দ্বিধার গোল্ডফিশ
এ্যাকোয়ারিয়ম থেকে ডানা ঝাপটে উড়ে যায় দূরে,
অদ্ভুত হলো পাখিদের সাথে সাঁতার বিষয়ক কথা হয় মাঝে মাঝে 
ওরা বলে বেঁচে থাকার জন্য আকাশ 
অথচ অদ্ভুত মিল পাখিদের সাথে মাছেদের এই ভাসতে থাকায় । 
মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা পাগলা গারদের মানচিত্র
ভালোবাসি শব্দটা এত বিশাল অথচ সীমিত আকাশ 
তাই মাছ আর পাখিদের কাছ থেকে শিখে নিতে চাই সঞ্চালন
       জলের গভীরে আছি 
                    অথচ আকাশের মাঝে বাঁচি । 
.
অসমাপ্ত উপন্যাস 
... ঋষি

Tuesday, June 25, 2024

তবুও প্রেম আসে

সবাইতো পুরুষ কিংবা নারী হয় না
তবুও তাদের মনে প্রেম আসে
প্রেম আসে এলোমেলো মানুষের চেহারার দেয়াল টপকে
ময়লা রঙের ধুলো সরিয়ে ,মড়ক-লাগা চুলে ঢেউ তুলে 
কিংবা ক্লিন সেভিং করে নারী হওয়ার প্রচেষ্টায় ।
.
সবার তো নিখুঁত বুক ,পাছা ,সঙ্গম ইন্দ্রিয় নাও থাকতে পারে 
সবার তো আর নিখুঁত দাঁত, নখ, চুল, ঠোঁট, ভুরু নাও থাকতে পারে 
সবাই তো আর অমিতাভ বচচনের মতো লম্বা হয় না 
হয় না সবাই করিনা কাপুরের মতো জিরো ফিগার 
কিন্তু তাতে কি এসে যায় তাদের ? 
কে তাকালো তাদের দিকে,কে তাকালো না 
তাতে কিছুই বদলায় না 
শুধু এটা সত্যি তবুও তাদের মনে প্রেম আসে। 
.
অন্যরা হাসে, অবাক হয়, রাগ করে
'কি সাহস!'
কেউ বলে অমন ফিগার নিয়ে দেখো কেমন নিলজ্জ ক্যাটওয়াকে হাঁটছে 
বাড়িতে আয়না নেই?
কেউ বলে ইশ এদের দেখলে আমার গা রিরি করে 
এগুলো ছেলে না মেয়ে 
ইশ কি বিচ্ছিরি গলায় কথা বলে। 
আমি জানি এই কথাগুলো ভোঁতা বুলেটের মতো তাদের তাদের চারপাশে ছিটকে পড়ে 
এই কথাগুলো ভীষণ অপ্রাসঙ্গিক হয় মরা মাছির মত
কারণ ওরা জানে
মনে প্রেম এলে সবাই সুন্দর হয়।
সব্বাই।
.
তবুও প্রেম আসে 
... ঋষি

স্মৃতি আর বিস্মৃতি

মাইকে আর শারদীয়ার নতুন বাংলা গান আর নেই
ভাড়াটে ক্যাসেটগুলো ,সিডিগুলো কোথায়  হারিয়েছে যেন 
এখন আলাদা করে  বসন্ত , শরৎ কিছুই নেই ,
শুধু এই শহরের পাশে ভীষণ  শান্ত এক নদী বয়ে চলে 
শুধু আজও আমার  চিলেকোঠার কোণে রয়ে গেছে 
সময়ের স্মৃতি আর কিছু বিস্মৃতি। 
.
আজ শঙ্কু কোথায়, নেই দেখা ফেলুদা ,তোপসের 
এখন কাকাবাবু ,টিনটিন সবই এখন বেকার
ডোনাল ডাক ,স্পাইডারম্যান সব পুরোনো ফটোফ্রেম 
এখন হাতের মুঠোফোনে রকমারি গেম আর ইউটিউব 
তবুও শুধু আজও আমার  চিলেকোঠার কোণে রয়ে গেছে 
সময়ের স্মৃতি আর কিছু বিস্মৃতি। 
.
দর্জির  দরজায় এখন আর ভিড় নেই 
এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না সেই পয়সা ফেলা টেলিফোন 
জনস্রোতের ফুট ফল গোনে এখন আধুনির ভিড় 
নিয়নেতে মোড়া বড্ড কৃত্রিম চারিপাশ কিন্তু  হাসি নেই 
শুধু আজও আমার  চিলেকোঠার কোণে রয়ে গেছে 
সময়ের স্মৃতি আর কিছু বিস্মৃতি। 
.
ছোটবেলার সেই আঁকার খাতা ,স্পিরিট গামের শিশি আজ খালি
শুধু সেই চেনা দর্শক, চেনা হাততালি
অচেনা এখন বহু নাটক দল ,নাটক মঞ্চ 
এখন আকর্ষণ আর বিকর্ষণের মাঝে শুধু কারণ ,আর কারণ 
তবুও শুধু আজও আমার  চিলেকোঠার কোণে রয়ে গেছে 
সময়ের স্মৃতি আর কিছু বিস্মৃতি। 

অনেকদিন তো হলো বয়েস বাড়লো, মন বাড়লোনা
কেন যেন পুরোনো স্মৃতিগুলো তবু পিছু ছাড়লোনা
ভুলতে পারিনা আজও ফেলে সেই নাট্য দর্পন 
ভুলতে পারিনা আজ ভালোবাসার  সেই আদরের চিঠি 
শুধু আজও আমার  চিলেকোঠার কোণে রয়ে গেছে 
সময়ের স্মৃতি আর কিছু বিস্মৃতি। 
.
স্মৃতি আর  বিস্মৃতি
..........ঋষি

আনন্দের মতো অনেকে

মানুষ ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখে কত কিছু হবার 
মানুষ ছোটবেলা থেকে কতকিছু হতে চায় 
যেমন আনন্দ নামে ছেলেটা স্কুলের টিফিনবক্স  হতে চেয়েছিল।
ভেবেছিল ঠিকই খিদে আসলে সবচেয়ে বড় সত্যি 
আর টিফিনবক্সে মা প্রতিদিন চিঁড়ের পোলাও ,লাড্ডু কতকিছু দেয়।
.
আনন্দ তারপর  সরকারি আপিসের পেপারওয়েট হতে চেয়েছিল
ভেবেছিল, যে মানুষেরা সারা জীবন ছা-পোষাদের দাবিয়ে রেখেছে
তাদের নাম লেখা কাগজগুলোর বুকে চড়ে বসবে,
সমস্ত আগুনের উত্তরগুলো বুকে চেপে বসে বলবে 
দেখ শালা এমন করেও সত্যি বলা যায়। 
.
আনন্দ  লাশকাটা ঘরের টেবিল হতে চেয়েছিল
ভেবেছিল যকৃৎ, হৃদয়, পাকস্থলীর ভিড়ে
খুঁজে নেবে ভালোবাসার বাসা শরীরের কোন কোনায়,
সে সারা শহর জুড়ে ভালোবাসার মানে বুঝেছে তা অস্থির 
যদি মৃত শরীরের কোনো কোন এক টুকরো ভালোবাসা পাওয়া যায় ।
.
কিন্তু সত্যি হলো আনন্দ  কোনোটাই হতে পারেনি
তবু সে পৌঁছে গেছে ইস্কুল থেকে আপিস
আপিস থেকে আজ লাশকাটা ঘরে,
আমি জানি এই শহরে আনন্দের মতো আরও অনেকে আছে 
যারা শুধু প্রতিবাদ চেয়েছিল ,কিন্তু শিরদাঁড়া পায় নি। 
.
আনন্দের মতো অনেকে 
... ঋষি

তারকাটা

আ্যলকোহলের ওপর যেমন একটা ঝাঁজ ভেসে থাকে
শহরটার ওপর এইমুহূর্তে একটা বিষাদের স্তর ভেসে আছে যেন
তুমি নেই এই শহরে ,
তবুও যেন তোমার বাড়ির ভেতর থেকে শোনা যাচ্ছে তোমার উপস্থিতি ,
শোনা যাচ্ছে তোমার মুঠোফোনে চেনা গলা 
কি রে কেমন আছিস ?
.
এই মুহূর্তে নৈঃশব্দের ভারি পর্দায় ঢাকা এই শহরটা 
শহরের পিচে বাঁধানো রাস্তাগুলো যেন সময়ের মৃতদেহ 
দুর্বল ল্যাম্পপোস্টের নীচেআজ এক অচেনা ছায়া 
সন্ধ্যের বাতাসে কেন জানি গাছের সবুজ পাতাগুলো কথা হারা ,
গত বেশ কয়েক ঘন্টা এই শহরে শোনা যায় নি কোনো যানবাহনের শব্দ  
অন্ধকারে ডুবে থাকা কাবুলের মতো তুমি ছাড়া এই শহর 
.
একশো ওয়াটের একটা বাল্বের সঙ্গে আলাপ হলো আজ এই শহরে 
তুমি হারা শহরে বেশ জমেছিল আলাপ 
ও বলছিল ও ভেবেছিল নাকি ওর আলো কমবেনা কোনোদিন
সারাজীবন ও ভাবতো ওই একমাত্র খট করে জ্বলবে আবার নিভবে ,
সত্যি বলতে কি, এই নিয়ে ওর বেশ একটু গরম ছিল 
চলছিল সবই ঠিকই ,
কিন্তু সময়ে হাওয়া বদলানো নাকি এই শহরে নিয়ম 
তাই সে আজ গৃহস্থের ড্রয়ারের পিছনে ঠিক আমার মতোই থাকে 
নিশ্চুপ তারকাটা । 
.
তারকাটা 
... ঋষি

হা ঈশ্বর

ঈশ্বরের কাছে জমা করা প্রতিশ্রুতিগুলো  
দমকা হওয়ায় হঠাৎ দু একটা উড়ে এসে আমার উঠোনে পড়ে।
.
একটা লাইনটানা খাতার পাতায় গোটা গোটা অক্ষরে বেশ কয়েকবার  লেখা
"আমি আর কলেজে অনিতার দিকে তাকাবো না
ও ভালো মেয়ে নয়  ।"
একটা হলদেটে নিউজপ্রিন্টের কাটিং ধেবড়ে যাওয়া ছাপায় লেখা
"বাবা নীলু, ফিরিয়া আইস, যাকে ইচ্ছা বিবাহ করিও, আপত্তি করিব না।"
এই একই বয়ান দিয়ে নাকি রোজ কাগজে ছাপা হয় গত বারো বছর ধরে
কে জানে,নীলু হয়তো রোজ এটা পড়ে
 হাই তোলে
পাতা উল্টোতে  উল্টোটা তার বৌকে বলে 
" পলা সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো অফিস যাবো চা দিলে না যে "।
.
কাগজের ন্যাপকিনের ওপর দুর্বোধ্য টেরা বেঁকা লেখা
"আজ থেকে মাল খাওয়া স্টপ,পুরো  ফুলস্টপ।"
শুনলাম এটার নাকি আজ অবধি সাড়ে সতেরো লাখ কপি জমা পড়েছে
ভবিষ্যতে আরো সাড়ে দেড় কোটি  কপি জমা পরার সম্ভাবনাও নাকি প্রবল।
লাল বিয়ের কার্ডের পেছনে ডটপেন দিয়ে লেখা এক লাইন
"অবনীদা , বাকি জীবনটা আমি কিন্তু তোমাকেই ভালোবাসবো"।
.
আমি এইসবগুলো আমার উঠোন  থেকে কুড়িয়ে চলি 
মনে মনে হাসি,ভাবি  
হা ঈশ্বর ।
.
হা ঈশ্বর 

... ঋষি

তবু মনে হয়

মনে হয় তোমাকে বোধয় অনেকদিন চিনি 
তোমাকে কি আজ থেকে জানি বলো 
সময় চলতে শেখেনি তখনো
সূর্য বৃদ্ধ হয়নি
সহস্র লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে তারার
প্রথম আলো তখনো যাত্রা শুরু করেনি আমাদের গোলকের দিকে। 
.
তোমাকে কি আজ থেকে জানি বলো 
ভেজা কলসের মত তোমার শীতল স্পর্শ যেমন সত্যি 
তেমনি সত্যি তোমার চোখের আলোয় লুকোনো আমার কবিতারা 
যারা কলমের নিবে তোমাকে আঁকে, ভালোবাসে,
তোমার ভিজের চুলের গন্ধে আমি চান করেছি বহুবার 
বহুবার তোমার চোখে চোখ রেখে দেখেছি আমার আয়না। 
.
তোমাকে কি আজ থেকে জানি বলো
লুকিংগ্লাসে দেখছি তোমার অগোছালো চুলে অন্যমনস্ক আঙুলে জড়াচ্ছ তুমি।
আমাকে অনুসরণ করছে তোমার প্যাশন, তোমার ফ্যাশন, এমবিশন, ফ্রাস্ট্রেশন
জীবনের মত অমোঘ তোমার দীর্ঘশ্বাস
এক টুকরো বিষণ্ণ হাসি
আমার পিছু ছাড়ছেনা কিছুতেই।
.
তোমাকে কি আজ থেকে জানি বলো
তবু মনে হয়, হয়তো তোমাকে পুরোটা জানা হয় নি এখনো। 
.
তবু মনে হয়
... ঋষি

কি হচ্ছে এসব?

প্রথমে বাংলাদেশে ছাত্রখুন  তারপর তিলোত্তমা জুড়ে এক অভিশপ্ত রাত  চীৎকার, প্রতিবাদ, কান্না,মিছিল  তারপর বন্যা আক্রান্ত ঘাটাল সহ বাংলার এক অংশ,...