Tuesday, June 11, 2024

পরকীয়া পার্বণ


তাদের ঘর নেই ,আছে বাঁচার মোহ 
বাকল খসানোর মতো তাদের প্রত্যেকের নিজজন্ম 
তবে তাদের আছে কিছু দুর্বিষহ স্বপ্ন ,
তারা আকাশের চোখে চোখ রেখে দাঁড়ায় 
নিজেদের একলা বেলায় ,
তাদের এমনি কোনো ভয় নেই ,শুধু একটাই ভয় 
আদ্যোপান্তে পুড়তে পুড়তে যদি বাঁচা শেষ হয়ে যায় ।
.
আমি পরকীয়া নিয়ে মুখ খুলছি 
অন্যদিকে শাসনের একে ফোর্টি সেভেন তাক করা আমার দিকে 
কি ভাবছেন ,কেন ?
আচ্ছা ভাবুন তো একটা সম্পর্কের আপনি শব্দটা কখন বয়স বেড়ে তুমি 
কখন যেন একটা প্রশ্রয় ,একটা আশ্রয় ঈশ্বর ছুঁতে চায় ,
জানি এ সব মেঘ ভাঙা বৃষ্টি 
আর এমন সম্পর্কের কোনো স্থায়ী শাসন নেই। 
.
তাদের ঘর নেই ,শুধু ঘরের খোঁজ 
শুধু ধুলো মাখা দুটো মানুষ বাঁচার তাগিদে ঈশ্বর খোঁজে 
সমস্ত সত্যিরা যখন মিথ্যে হয়ে যায় 
সমস্ত মিথ্যেরা যখন সময়ের জাল কেটে সামনে দাঁড়ায় 
তখন মানুষের সম্পর্কের উপস্থিতিগুলো ঠুনকো বিশ্বাসের মতো ,
তখন নিশ্বাস কমতে থাকে মানুষগুলোর 
বাড়তে থাকে দূরের কারোর প্রতি নির্ভরশীলতা। 
.
সত্যি তো আমি কি লিখছি ?" পরকীয়া "
এক শূন্যের মাঝে দাঁড়িয়ে মানুষ যখন পায়ের তলায় মাটি খোঁজে 
তখন হিসেবনিকেশ বদলে যায় 
বদলে যায় ভালোবাসার মানে। 
ন হন্যতে এই ভাবনাকে ঈশ্বরও সেলাম করে 
শরীর পেরিয়ে যখন ভাবনারা সব আকাশের পাখি 
তখন বাঁচার তাগিদে পরকীয়া শব্দটা আকাশের মতো। 
.
তাদের ঘর নেই ,তবে তারা ঘরে থাকে 
তাদের উঠোনে হাঁড়ি চাপে অথচ খেতে পায় না বহুদিন 
তাদের শরীর থাকা না থাকাটা প্রশ্ন নয় 
শুধু অনেকটা অভিমান এই গোলক থেকে তাদের সরিয়ে দেয় 
নিজের অজান্তে তারা হাত বাড়ায় অন্য কোনো অভিমানী হাতে 
মানুষ ভুল বুঝলেও আসলে সব গল্পগুলো মানুষ লেখে না 
কখন ঈশ্বর ,কখনও অবস্থান গল্পের মুখ্য চরিত্র হয়ে ওঠে। 
.
পরকীয়া পার্বণ 
... ঋষি
.
 (  সময়  কিংবা মানসিকতা বিরোধী এই কবিতা কোনো নির্দিষ্ট মানুষকে নির্দেশ করে না ,কবিতার মাধ্যমে আমার নিতান্ত একটা ভাবনা তুলে ধরার প্রচেষ্টামাত্র।)

No comments:

Post a Comment

কি হচ্ছে এসব?

প্রথমে বাংলাদেশে ছাত্রখুন  তারপর তিলোত্তমা জুড়ে এক অভিশপ্ত রাত  চীৎকার, প্রতিবাদ, কান্না,মিছিল  তারপর বন্যা আক্রান্ত ঘাটাল সহ বাংলার এক অংশ,...