কি হে অবলাকান্ত ,একদম চুপ যে ?
আর কিছু বলছো না কেনো ,হাঁপিয়ে গেছো তো ,নিরাশা
আরে কিছু তো বলো ,ঝেড়ে কাশো তো বাপু
আরে তুমিই তো পারো পোড়া সমাজের মুখে ফেসিয়াল ক্রিম ঘষে
বেশ একটা নতুন মুখ ফুটিয়ে তুলতে
কিংবা ন্যাংটো রাজার জামা খুলতে বা পুড়িয়ে দিতে কুশ পুতুলের মত।
আসলে, এই দৈনন্দিন কুর্নিসের ব্যাপারটা,বোঝাপড়ার ব্যাপারটা
মাথা নিচু করে সহ্য করার ব্যাপারটা
কেমন যেন আটকে কাছে বুকের কাছে
সেখানে রক্ষা কবজও আছে ধোপদুরস্ত শার্টের নিচে বাঁধা।
.
জানি তো সহ্য করার অসীম ক্ষমতা আমাদের
যেমন একলব্য ঘোড়ার চাবুক
তবে ইদানিং কেমন যেন কিছু শব্দে পিঠ জ্বালা করে
কিছু শব্দ মিটিং থেকে মিছিল থেকে রেডিও কিংবা টিভি থেকে
শপাং করে আছড়ে পড়ছে, কেটে বসছে গন্ডারের চামড়া ভেদ করে।
.
কি হে অবলাকান্ত? বড্ড ক্লান্ত দেখাচ্ছে তোমাকে
এ শহরের প্রতিটা নর্দমায় ,ডাস্টবিনে মুখ ঘষতে ঘষতে
আমার মত তোমারো কি মাঝে মাঝে মনে হয় আর না,
মনে হয় বাথরুমে হঠাৎ পাজামার দড়িতে গিঁট লেগে গেছে
মনে হয় সাদা জামাটাতে অবাঞ্চিত চায়ের দাগ পড়ে গেছে,
জানোই তো আমাদের আদর্শের ঘানি টানতে টানতে কাঁধে কড়া পরে গেছে
বুকের পাঁজরে ভালো আছি আজ শুধু একটা স্বপ্ন
তবু মেনে নিতে হয় ,তবু সহ্য করতে হয় ,
তবুও তো ওরা লড়েছে, বুলেট বিদ্ধ হয়েছে , তাজমহল তৈরী করেছে
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।
.
কিহে অবলাকান্ত ,কিছু তো করতে হবে নাকি
ট্রামরাস্তার ঘরঘর ঘুমপাড়ানীতে ঘুমিয়ে পড়লে হবে
মলে মলে ঘুরে নিজেকে বোঝালে হবে ?
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সওয়াল
এবার তো জেগে ওঠো অবলাকান্ত।
.
জেগে ওঠো অবলাকান্ত
... ঋষি
No comments:
Post a Comment